উর্ট মেঘ

উর্ট মেঘ বা ওপিক-উর্ট মেঘ (/ˈɔːrt/ বা /ˈʊərt/[১]) জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের চারিদিকে ১,০০,০০০ জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.) দূরত্বে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ ও ধূমকেতুর অঞ্চল বা পটী৷[২] জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের বিশ্বাসমতে, সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করা দীর্ঘদূরত্বের ধুমকেতু এবং বৃহস্পতি গোত্রের ধূমকেতুর এই অঞ্চলেই উৎপত্তিস্থল৷ উর্ট মেঘ অঞ্চলের শেষ সীমাকেই সৌরজগৎ এর শেষ সীমা বলে ধরা হয়৷[৩] নেদারল্যান্ডসের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী জা হেন্দ্রিক উর্ট এবং ইষ্টোনিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী আর্নেষ্ট ওপিকের নামে নামকরণ করা এই অঞ্চল সূর্য থেকে ২০০০-৫০০০ জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.) থেকে 50,000 জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.) পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে প্লুটো (বামন গ্রহ)এর দূরত্ব মাত্র ৩০-৪৯ জ্যোর্তিবিজ্ঞান একক (A.U.)৷

উর্ট মেঘ অঞ্চল দুই অংশে বিভক্ত – ক) গোলাকৃতি বাহ্যিক অঞ্চল ও খ) কাহী আকৃতির অন্তঃ উর্ট মেঘ অঞ্চল৷ এই অঞ্চলের উৎপত্তি সম্বন্ধে ভাবা হয যে, আদিম সৌরজগতের সৃষ্টির সময়ে এর অবস্থান সূর্যের থেকে এত দূরে ছিল না কিন্তু বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাসনেপচুনএর মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পড়ে সরে গিয়ে এখনকার এই অবস্থান নেয়৷

শিল্পীর তুলিতে উর্ট মেঘ এবং কাইপার বেষ্টনী (ইন্‌সেট)।