বঙ্গমাতা[১] হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত বাংলা কবিতা।[২][৩] এটি তার চৈতালি (১৮৯৬) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।[৪] কবিতায় মোট ১৪টি লাইন আছে।[২][৩]
প্রেক্ষাপট
ভারতে ব্রিটিশ রাজের সময়ে রবীন্দ্রনাথ বঙ্গমাতা কবিতাটি রচনা করেন। তিনি অসন্তুষ্ট হয়ে এই কামনা করেন যেন বাঙালিরা বঙ্গদেশের প্রতি কর্তব্য ঠিকভাবে পালন করে।[৫][৬]
কবিতা
পুণ্যে পাপে দুঃখে সুখে পতনে উত্থানে
মানুষ হইতে দাও তোমার সন্তানে
হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহক্রোড়ে
চিরশিশু করে আর রাখিয়ো না ধরে।
দেশদেশান্তর-মাঝে যার যেথা স্থান
খুঁজিয়া লইতে দাও করিয়া সন্ধান।
পদে পদে ছোটো ছোটো নিষেধের ডোরে
বেঁধে বেঁধে রাখিয়ো না ভালোছেলে করে।
প্রাণ দিয়ে, দুঃখ স’য়ে, আপনার হাতে
সংগ্রাম করিতে দাও ভালোমন্দ-সাথে।
শীর্ণ শান্ত সাধু তব পুত্রদের ধরে
দাও সবে গৃহছাড়া লক্ষ্মীছাড়া ক’রে।
সাত কোটি সন্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ কর নি।[২][৩]
বর্তমানকালের প্রাসঙ্গিকতা
বাঙালিরা তাদের মাতৃভাষা বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বঙ্গমাতা কবিতাটিকে বর্তমানে আবারও প্রাসঙ্গিক হিসেবে ধরা হয়।[৭][৮][৯]