মুল্যবােধের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সমুহ

মুল্যবােধের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল— নীতি ও ঔচিত্যবােধ।
নৈতিকতা বা ঔচিত্যবােধের মূল ভিত্তিভূমি হল— বিবেক, আর বিকাশ ভূমি হল- সমাজ।
সমাজে কারাে ক্ষতি না করা, কারাে মনে কষ্ট না দেয়া, কটুক্তি না করা এবং সমাজে প্রচলিত।
আদর্শিক রীতিনীতিসমূহের যথার্থ অনুশীলনই হচ্ছে—নীতি ও ঔচিত্যবােধ।
উত্তেজনা উপশম করে সুখী ও সুন্দর সমাজ গঠনে সাহায্য করে— সহনশীলতা।

শমের মর্যাদা হল— মানবিক ও সামাজিক গুণ।
নাগরিকের প্রধান কর্তব্য হলাে— রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা।
পরমত সহিষ্ণুতা ছাড়া কখনাে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়— গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ।
সামাজিক সংহতিকে সুসংগত করে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবােধ। যার যা প্রাপ্য তাকে তা প্রদান করাই হলাে ন্যায় বিচার।

মানুষের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতাকে বাংলাদেশ সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া। হয়েছে— ৩৯ নং অনুচ্ছেদে।
বাংলাদেশ সংবিধানে জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ করা হয়েছে—৩৪ নং অনুচ্ছেদে।
সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে ব্রত মূল্যবােধসম্পন্ন মানুষ। অন্যকে সহযােগিতা করার মনােভাবকে বলে— সহমর্মিতা।
বুদ্ধিমান ও নম্র মানুষ তৈরিতে সাহায্য করে নীতি ও ঔচিত্যবােধ। গ্রহণ ও শ্রদ্ধার শিক্ষাকে বলে– আত্মসংযম।

শিশুর মূল্যবােধ শিক্ষার প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র হল— পরিবার।
মানুষের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যবােধ বিকাশে সর্বাপেক্ষা বেশি প্রভাব বিস্তার করে ধর্ম।
বাংলাদেশ সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান করা হয়েছে।
সামাজিক মূল্যবােধের প্রধানতম উৎসসমূহ হল— প্রচলিত সামাজিক রীতিনীতি, প্রথা, ধ্যানধারণা, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি।

মূল্যবােধের প্রধানতম প্রাতিষ্ঠানিক উৎস — শিক্ষালয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *