সুপার সাইক্লোন আম্পান সম্পর্কে এক নজরে কিছু তথ্য

জন্ম দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, ১৬ই মে শনিবার রাতে।

আম্পান নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড।

ধেয়ে আসছে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে।

সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাতটায় এটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে সাতশো কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি নিজে ঘুরছে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

আম্পানের ব্যাস ৭২০ কিলোমিটার, সাতক্ষীরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত।

শক্তিমত্তার বিচারে আবহাওয়াবিদরা একে সুপার সাইক্লোন হিসেবে উল্লেখ করছেন।

বুধবার, ২০শে মে সন্ধ্যে নাগাদ উপকূলে আঘাত করতে পারে।

সেসময় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার হতে পারে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারি। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর।

সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলা বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বলে চিহ্নিত।

২২ থেকে ২৫ লাখ লোককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ সরকার বলছে ১২,০০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত। এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে প্রায় ৫২ লাখ মানুষ।

করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব রক্ষায় উপকূলীয় জেলার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

লোকজনকে মাস্ক পরে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে বলা হয়েছে।

সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত গাবুরা ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ২,৫০০ লোককে নিয়ে আসা হয়েছে।

৫৫,০০০ স্বেচ্ছাকর্মী ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বলছে, পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্রতটের কোন একটি জায়গা দিয়ে ঝড়টি আছড়ে পড়বে।