করণ কারক

ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র, উপকরণ বা সহায়ককেই করণ কারক বলা হয়।[১] বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সঙ্গে ‘কিসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ প্রশ্ন করলে উত্তরে করণ কারক পাওয়া যায়।

উদাহরণ:
নীরা কলম দিয়ে লেখে। (উপকরণ – কলম)
‘জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়।’ (উপায় – সাধনা)

প্রকারভেদ

  1. সমধাতুজ করণ:- ক্রিয়াটি যে ধাতু নিষ্পন্ন, করণটিও সেই ধাতুনিষ্পন্ন হলে, তাকে সমধাতুজ করণ বলে। যেমন:- সে কাটারিতে গাছ কাটছে।

করণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার

আরও দেখুন: বিভক্তি

(ক)প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তিছাত্ররা বল খেলে। (অকর্মক ক্রিয়া)
ডাকাতেরা গৃহস্বামীর মাথায় লাঠি মেরেছে।
কৃষক লাঙ্গল চষছে।
(খ)তৃতীয়া বা দ্বারা বিভক্তিলাঙল দ্বারা জমি চাষ করা হয়।
আমরা কান দ্বারা শুনি।
দিয়া বিভক্তিমন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন।
(গ)পঞ্চমী বা থেকে বিভক্তিএ সন্তান হতে দেশের মুখ উজ্জ্বল হবে।
(ঘ)ষষ্ঠী বা র বিভক্তিতার মাথায় লাঠির আঘাত করো না।
ইট-পাথরের বাড়ি বেশ শক্ত।
ইটের বাড়ি সহজে ভাঙে না।
কাচের জিনিস সহজে ভাঙে।
জলের লিখন থাকে না।
(ঙ)সপ্তমী বা এ বিভক্তিফুলে ফুলে ঘর ভরেছে।
আকাশ মেঘে ঢাকা।
শিকারী বিড়াল গোঁফে চেনা যায়।
জ্ঞানে বিমল আনন্দ লাভ হয়।
কলমে ভালো লেখা হয়/ বেশ লেখা যায়।
নতুন ধান্যে হবে নবান্ন।
হাতে কাজ কর।
তে বিভক্তি‘এত শঠতা, এত যে ব্যথা,
তবু যেন তা মধুতে মাখা।’ – নজরুল
লোকটা জাতিতে বৈষ্ণব।
য় বিভক্তিচেষ্টায় সব হয়।
সুতায় কাপড় হয় না।
নিজের চেষ্টায় বড় হও।
জগতে কীর্তিমান হয় সাধনায়
বন্যায় দেশ প্লাবিত হলো।
কলমটি সোনায় মোড়া।[২]
টাকায় কি না হয়।

আরো দেখুন

কারক