ধাতুগণ

বাংলা ব্যাকরণে, ধাতুর গণ বলতে ধাতু বা ক্রিয়ামূলগুলোর বানানের ধরনকে বোঝায়।[১] এক্ষেত্রে “গণ” শব্দের অর্থ হলো শ্রেণি।

ধাতুর গণ নির্ধারণ করতে দুইটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা হয়-
(ক) ধাতুর অক্ষর সংখ্যা। এবং
(খ) ধাতুর প্রথম বর্ণে সংযুক্ত স্বরবর্ণ

উদাহরণ: ‘লওয়া’ ক্রিয়ার ধাতু ল (ল + অ)। ‘ল’ একাক্ষর ধাতু অবং প্রথম বর্ণ ল্-এর সাথে স্বরবর্ণ ‘অ’ সংযুক্ত আছে। সুতরাং, হ-আদিগণের মধ্যে ল্-ধাতু (ক্রিয়াপদ- লওয়া) পড়বে।

ধাতুর গণসমূহ

বাংলা ভাষার সমস্ত ধাতুকে ২০টি গণে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো:

ক্রমিক নংধাতুগণউদাহরণ
হ-আদিগণহ (হওয়া), ল (লওয়া) ইত্যাদি।
খা-আদিগণখা (খাওয়া), ধা (ধাওয়া), পা (পাওয়া), যা (যাওয়া) ইত্যাদি।
দি-আদিগণদি (দেওয়া), নি (নেওয়া) ইত্যাদি।
শু-আদিগণচু (চোঁয়ানো), নু (নোয়ানো), ছু (ছোঁয়া) ইত্যাদি।
কর্-আদিগণকর্ ( করা), কম্ (কমা), গড় (গড়া), চল (চলা) ইত্যাদি।
কহ্-আদিগণকহ্ (কহা), সহ্ (সহা), বহ্ (বহা) ইত্যাদি।
কাট্-আদিগণগাঁথ্, চাল্, আক্, বাঁধ্, কাঁদ্ ইত্যাদি।
গাহ্-আদিগণচাহ্, বাহ্, নাহ্ (নাহান>স্নান) ইত্যাদি।
লিখ্-আদিগণকিন্, ঘির্, জিত্, ফির্, ভিড়্, চিন্ ইত্যাদি।
১০উঠ্-আদিগণউড়্, শুন্, ফুট্, খুঁজ্, খুল্, ডুব্, তুল্ ইত্যাদি।
১১লাফা-আদিগণকাটা, ডাকা, বাজা, আগা (অগ্রসর হওয়া) ইত্যাদি।
১২নাহা-আদিগণগাহা ইত্যাদি।
১৩ফিরা-আদিগণছিটা, শিখা, ঝিমা, চিরা ইত্যাদি।
১৪ঘুরা-আদিগণউঁচা, লুকা, কুড়া (কুড়াচ্ছে) ইত্যাদি।
১৫ধোয়া-আদিগণশোয়া, খোঁচা, খোয়া, গোছা, যোগা ইত্যাদি।
১৬দৌড়া-আদিগণপৌঁছা, দৌড়া ইত্যাদি।
১৭চটকা-আদিগণসমঝা, ধমকা, কচলা ইত্যাদি।
১৮বিগড়া-আদিগণহিচড়া, ছিটকা, সিটকা ইত্যাদি।
১৯উলটা-আদিগণদুমড়া, মুচড়া, উপচা ইত্যাদি।
২০ছোবলা-আদিগণকোঁচকা, কোঁকড়া, কোদলা ইত্যাদি।