আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড তিব্বতি ব্যাকরণ

তিব্বতি ব্যাকরণ একটি চীন-তিব্বতি ভাষা লাসা তিব্বতি এর রূপবিদ্যা, বাক্য গঠন এবং অন্যান্য ব্যাকরণগত বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে। স্ট্যান্ডার্ড তিব্বতি হল শ্রেণীকরণ বিদ্যানুযায়ী একটি ইরগেটিভ-নিরঙ্কুশ ভাষা । বিশেষ্যগুলি সাধারণত ব্যাকরণগত সংখ্যার জন্য চিহ্নিত করা হয় না, তবে কারকের ক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়। বিশেষণগুলি কখনই চিহ্নিত করা হয় না এবং বিশেষ্যের পরে উপস্থিত হয়। ডেমনস্ট্রেটিভরা এছাড়াও বিশেষ্যের পরে আসে কিন্তু এই সংখ্যার জন্য চিহ্নিত করা হয়. রূপবিদ্যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্রিয়াপদগুলি সম্ভবত তিব্বতি ব্যাকরণের সবচেয়ে জটিল অংশ। এখানে বর্ণিত উপভাষা হল মধ্য তিব্বতের, বিশেষ করে লাসা এবং আশেপাশের এলাকার কথ্য ভাষা, কিন্তু ব্যবহৃত বানানটি ধ্রুপদী তিব্বতি প্রতিফলিত করে, কথ্য উচ্চারণ নয়।

বিশেষ্য এবং কারক

তিব্বতি বিশেষ্য লিঙ্গ বা বচনের জন্য চিহ্নিত হয় না।

আভিধানিক অর্থ দ্বারাই মূলত লিঙ্গ বোঝা যায়, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- তিব্বতি: གཡག་, ওয়াইলি: gyag কথার অর্থ হল চমরী গাই(পুং) আবার তিব্বতি : འབྲི ওয়াইলি: ‘bri কথার অর্থ হল চমরী গাই(স্ত্রী)৷ যে বিশেষ্যগুলি মানুষ বা কোনো সজীব বস্তুকে বোঝায় বহু ক্ষেত্রেই তাদের লিঙ্গ নিরধারণে অনুসর্গের ব্যবহার হয়। সাধারণত তিব্বতি: པ་, ওয়াইলি: pa অথবা তিব্বতি: པོ་, ওয়াইলি: po দ্বারা পুরুষ এবং তিব্বতি: མ་, ওয়াইলি: ma অথবা তিব্বতি: མོ, ওয়াইলি: mo দ্বারা স্ত্রী বোঝানো হয়।

তিব্বতি অজীবজ বিশেষ্যে কখনও বচন চিহ্নিত হয় না। এমনকি যে সকল বিশেষ্য মনুষ্য জাতিকে বিশেষিত করে তাদেরও বহুবচন একমাত্র যখন তারা নির্দিষ্ট হবে। কোনো বিশেষ্যকে বহুবচনে আনার জন্য তিব্বতি: ཚ་, ওয়াইলি: tsho ব্যবহৃত হয়। যেমন তিব্বতি: ཨ་མ་, ওয়াইলি: a-ma কথার অর্থ হল মা; তিব্বতি: ཨ་མ་ཚ་, ওয়াইলি: a-ma-tsho কথার অর্থ হল মা গুলি৷

লিখিত তিব্বতির বিশেষ্য কখনো নিশ্চয়তাকে চিহ্নিত করে না, কারণ তাহলে তিব্বতি ভাষায় তার কোনো অর্থই দাঁড়াবে না৷

তিব্বতি বিশেষ্য কারক দ্বারা চিহ্নিত হয়। তিব্বতিতে মোট ৬টি কারক বর্তমান৷ যথা-

১.নিরঙ্কুশ কারক

২.এজেন্টিভ কারক

৩.সম্বন্ধ পদ

৪.অপাদান কারক

৫.সঙ্গী কারক

৬.বিধেয় কারক

তিব্বতিতে কণাগুলি সর্বদা বিশেষ্য শব্দবন্ধের সাথে যুক্ত হয়, বিশেষ্যের সঙ্গে নয়। কারক অনুসর্গ গুলি সর্বদা বিশেষ্য শব্দবন্ধের সাথে যুক্ত হয় কিন্তু প্রকৃত বিশেষ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। অনুসর্গের রূপটি সে যার সঙ্গে যুক্ত হবে তার উপর নির্ভর করে৷

নিরঙ্কুশ কারক

নিরঙ্কুশ কারক হল বিশেষ্যের একটি অচিহ্নিত রূপ যা অকর্মক ক্রিয়ার উদ্দেশ্য এবং সকৰ্মক ক্রিয়ার বিধেয় অথবা কোনো আবেগের অভিজ্ঞক রূপে কাজ করে।

সম্বন্ধ পদ

সম্বন্ধ পদ কোনো বস্তু বা প্রাণীর উপর অধিকারকে বোঝায়। তিব্বতি সম্বন্ধ কারককে বাংলায় “এর” বা “র” বলা যেতে পারে। সম্বন্ধ পদীয় অনুসর্গ মূলত শব্দের শেষ বর্ণের উপর নির্ভর করে।

  • যদি শেষ বর্ণ འ་ <‘a> হয় তবে অনুসর্গ འི་ <‘i> হবে।
  • যদি শেষ বর্ণ ག་ <-g> অথবা ང་ <-ng> হয় তবে অনুসর্গ হবে གི་
  • যদি শেষ বর্ণ ད་ <-d>,  བ་ <-b>বা ས་ <-s> হয় তবে অনুসর্গ হিসেবে ཀྱི་ <Kyi> ব্যবহৃত হয়।
  • যদি শেষ বর্ণ ན་ <-n>,མ་ <-m>, ར་ <-r> অথবা <-l> হয় তবে གྱི: <gyi> অনুসর্গ ব্যবহৃত হবে৷

ཆོས་ཀྱི་ འཁོར་ལོ

chos-kyi ‘khor-lo

ধর্মে চাকা

ལུག་གི་ པགས་པ

lug-gi pags-pa

ভেড়া চামড়া

সম্বন্ধ পদ সম্বন্ধী বাক্যখন্ড তৈরীতে সহায়তা করে।যেমন-

དེབ་ ནང་ལ་ ཡོད་པའི་ པར་

deb nang-la yod-pai par

book inside-OBL is-GEN photo

“ছবিটা বইয়ের মধ্যে আছে”

এজেন্টিভ কারক

তিব্বতি ভাষায় সম্বন্ধ পদের সাথে ས་ <-s> যোগ করে এজেন্টিভ কারক পাওয়া যায়। সম্বন্ধ পদের মতই-

  • শব্দের শেষে যদি འ་ <‘a> থাকে তবে অনুসর্গ রূপে ব্যবহৃত হবে ས་ <-s>৷
  • শব্দের শেষে ག་ <-g > বা ང་ <-ng> থাকলে གིས་ <gis> ব্যবহৃত হবে।
  • ད་ <-d>,བ་ <-b> অথবা ས་ <-s> যদি শব্দের শেষে থাকে তবে ཀྱིས་ <kyis> ব্যবহৃত হবে।
  • শব্দের শেষ অক্ষর যদি ན་ <-n>, མ་ <-m>, ར་ <-r> বা ལ་ <-l> উপস্থিত থাকলে উপসর্গ রূপে ব্যবহৃত হবে གྱིས་ <gyis> ৷

এজেন্টিভ কারক মূলত এরগেটিভ বা করণ কারকের কাজ করে থাকে। এই প্রকার কারক উদ্দেশ্য, এজেন্ট অথবা সকৰ্মক ক্রিয়ার সম্পাদক, “মানসিক” বা “মৌখিক” ক্রিয়ার এজেন্ট এবং সংবেদনের উপলব্ধকে দেখা যায়।

অপাদান কারক

অপাদান কারক-এর অনুসর্গ রূপে সর্বদাই ནས་ <nas> ব্যবহৃত হয়। এটি বিশেষ্য পদের থেকে দূরে যাওয়াকে বোঝায়৷ এজেন্টিভ কারকের মতই অপাদান কারকও অনেক সময় এরগেটিভ কারকের মত কাজ করে থাকে এবং কোনো ক্রিয়ার সম্পাদকের সাথে বসে।

সঙ্গী কারক

সঙ্গী কারকের কারক-অনুসর্গ হিসেবে དང་ <dang> ব্যবহৃত হয়, যাকে বাংলাতে এবং, সঙ্গে, বিরুদ্ধে ইত্যাদি নানাভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে (যদিও কিছু ক্ষেত্রে অন্য কোনো শব্দ দিয়ে একে অনুবাদ করা যায় না)৷ এই কারকের ব্যবহারের পর একটি পূৰ্ণচ্ছেদ () ব্যবহৃত হয় যেমন –

པཱ་ལགས་དང་། ཨ་ཁུ་དང་། ཨ་ནེ།

paa-lags-dang, a-khu-dang, a-ne

father-ass uncle-ass aunt

“বাবা এবং কাকু এবং কাকি”

কিন্তু এটি বহুবচনের সাথে যুক্ত হবে না। যেমন –

བུ་དང་ བུ་མོ་ཚོར་ ལག་རྟགས་ སྦྲུས་པ་ཡོད།

bu-dang bu-mo-tsho-r lag-rtags sbrus-pa-yod

boy-ASS boy-FEM-PL-DAT present give-PAST-be:EX-EGO

“(তারা) ছেলে ও মেয়েদের উপহার গুলি দিলেন”

বিধেয় কারক

তিব্বতিতে বিধেয় কারক একই সঙ্গে সম্প্রদান কারক এবং অধিকরণ কারক-এর কাজ করে। সম্প্রদান কারক অপ্রধান উদ্দেশ্যের কাজ করে এবং একে “জন্য” হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। অধিকরণ কারক কোনো কিছুর অবস্থান চিহ্নিত করে।

এই কারকের দুটি অনুসর্গ রয়েছে, যথা-

  • -ར་ <r> ব্যাবহৃত হয় যেকোনো স্বরবর্ণ এবং འ་ <‘a> এর পর।
  • -ལ་ <l> ব্যাবহৃত হয় যেকোনো শব্দের পর।

-ར་ এর ব্যবহার খুবই কম হয়। একমাত্র ব্যক্তিবাচক সর্বনাম এবং কিছু বিশেষণের পর এটি ব্যবহৃত হয়।

সর্বনাম

ব্যক্তিবাচক সর্বনাম

তিব্বতি সর্বনামগুলি মূলত তিনটি থেকে একটি রেজিস্টার এবং তিনটি বচন (এক,দ্বি এবং বহুবচন) যুক্ত হয়।

একবচনদ্বিবচনবহুবচন
উত্তম পুরুষང་ང་གཉིས་ང་ཚོ་
মধ্যম পুরুষসাধারণརང་རང་གཉིས་རང་ཚོ་
সম্মানীয়ཁྱེད་རང་ཁྱེད་རང་གཉིས་ཁྱེད་རང་ཚོ་
আপমানজনকཁྱོད་ཁྱོད་གཉིས་ཁྱོད་ཚོ་
প্রথম পুরুষসাধারণཁོང་ཁོང་གཉིས་ཁོང་ཚོ་
পরিচিতপুংཁོ་(རང་)ཁོ་(རང་)གཉིས་ཁོ་(རང་)ཚོ་
স্ত্রীམོ་(རང་)མོ་(རང་)གཉིས་མོ་(རང་)ཚོ་

নিদের্শক সর্বনাম

নিদেৰ্শক সর্বনাম এই ভাষায় মূলত তিন প্রকার হয় যথা-

১.সমীপ্যবাচক: འདི་ <‘di> (“এই”, মূলত উত্তম পুরুষের নিকটে থাকা বস্তু)৷

২.মধ্যবাচক: ད་ <de> (“সেই” অর্থাৎ মধ্যম পুরুষের নিকটে থাকা বস্তু)৷

৩.দূরত্ববাচক: ཕ་གི་ <pha-gi> (“ওই” অর্থাৎ উভয়ের থেকে দূরে থাকা বস্তু)৷

এদের মধ্যে འདི་ <‘di> ও ད་ <de> ক্রিয়াকালের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে-

  • ལོ་རདི་<lo-‘di> “এই বছর” (বর্তমান কাল)
  • ལོ་དེ་ <lo-de> “সেই(ওই) বছর” (অতীত বা ভবিষ্যৎকাল)

অপর পক্ষে ཕ་གི་ <pha-gi> দ্বারা কেবল মাত্র দূরত্বই বোঝায়৷ এই তিনটি নিদেৰ্শক সর্বনামের সাথে তির্যক কারক-অনুসর্গ () যুক্ত হয়ে তিনপ্রকারের ক্রিয়াবিশেষণ নির্মান করে৷ যথা-

  • འདིར <‘dir>- “এইখানে”
  • དེར་ <der>- “সেইখানে”
  • ཕ་གིར་ <pha-gir>- ” ওইখানে”

ক্রিয়াপদ

কপুলা