পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity বলে। সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। কথিত আছে, একদিন নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ভাবছিলেন এমন সময় তার মাথায় একটি আপেল এসে পড়ে। যদিও নিউটনের নিজের বর্ণনা হলো: তিনি চিন্তার মেজাজে নিমগ্ন অবস্থায় আপেল পড়তে দেখতে পেয়েছিলেন।[১] আপেলটি কেন মাটিতে পড়ল এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেই তিনি অভিকর্ষ বা মহাকর্ষ বল সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। এই মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে তাকে মহাকর্ষীয় বল বলে। আর এই দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তখনি এই বলকে অভিকর্ষজ বল বলে। অভিকর্ষজ বল “মাধ্যাকর্ষণ শক্তি” নামেও সাধারণের কাছে পরিচিত, যদিও বল ও শক্তি এক জিনিস নয়। সুতরাং অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বলের একটি অংশ। বিশ্বে যে চার প্রকারের মৌলিক বল রয়েছে তার মধ্যে একটি হল মহাকর্ষীয় বল।।
অভিকর্ষজ ত্বরণ
বল প্রযুক্ত হলে বস্তুর ত্বরণ হয়। অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।
পৃথিবী, সূর্য, চাঁদ, গ্রহ এবং প্লুটোর তুলনামূলক অভিকর্ষ
কাঠামো | পৃথিবী অভিকর্ষ অপেক্ষা যতগুন বেশি/কম | মি./সে.২ |
---|---|---|
সূর্য | ২৭.৯০ | ২৭৪.১ |
বুধ গ্রহ | ০.৩৭৭০ | ৩.৭০৩ |
শুক্র গ্রহ | ০.৯০৩২ | ৮.৮৭২ |
পৃথিবী | ১ (সংজ্ঞা মধ্যে) | ৯.৮২২৬[২] |
চাঁদ | ০.১৬৫৫ | ১.৬২৫ |
মঙ্গল গ্রহ | ০.৩৮৯৫ | ৩.৭২৮ |
বৃহস্পতি গ্রহ | ২.৬৪০ | ২৫.৯৩ |
Io | ০.১৮২ | ১.৭৮৯ |
ইউরোপা | ০.১৩৪ | ১.৩১৪ |
Ganymede | ০.১৪৫ | ১.৪২৬ |
ক্যালিস্টো | ০.১২৬ | ১.২৪ |
শনি গ্রহ | ১.১৩৯ | ১১.১৯ |
টাইটান | ০.১৩৮ | ১.৩৫৮ |
ইউরেনাস গ্রহ | ০.৯১৭ | ৯.০১ |
টাইটানিয়া | ০.০৩৯ | ০.৩৭৯ |
অবেরন | ০.০৩৫ | ০.৩৪৭ |
নেপচুন গ্রহ | ১.১৪৮ | ১১.২৮ |
ট্রিটন | ০.০৭৯ | ০.৭৭৯ |
প্লুটো | ০.০৬২১ | ০.৬১০ |
এরিস | ~০.০৮১৪ | ~০.৮ |