Author: admin

  • উন্নত দেশ

    উন্নত দেশ বলতে ঐ সকল সার্বভৌম দেশকে বুঝায় যারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং উচ্চতর প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর সর্বোচ্চ স্তর বা নির্দিষ্ট সীমারেখায় অবস্থানসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহ থেকে অনেকাংশেই এগিয়ে রয়েছে। উন্নত দেশকে অনেকে অধিক উন্নত দেশ নামে আখ্যায়িত করে থাকেন। অনেক উপায়ে উন্নত দেশের সংজ্ঞা নিরূপিত করা হয়। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হিসেবে জনগণের মাথাপিছু আয়, মোট দেশজ উৎপাদন, শিল্পায়নের স্তর, বিস্তৃত অবকাঠামোর বিন্যাস এবং সাধারণ জীবনযাত্রার মান এর প্রধান মাপকাঠি।[১] এছাড়াও, মানব উন্নয়ন সূচকের মাধ্যমে উন্নত দেশকে নির্ধারিত করা হয়। তবে, কোন দেশটি কি মানদণ্ডে, কোন শ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে উন্নত দেশের মর্যাদা পাবে এটি প্রকৃতই বিতর্কিত বিষয়। সাধারণতঃ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুতের উৎপাদন ও এর মাথাপিছু ব্যবহার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক হাসপাতাল, সুন্দর ব্যবস্থাসম্পন্ন চমৎকার গণশৌচাগার উন্নত দেশসমূহে বিদ্যমান থাকে।

    উন্নত দেশসমূহের শিল্পাঞ্চল-পরবর্তী সমাজ ব্যবস্থায় মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি বিরাজমান। অর্থাৎ, শিল্পাঞ্চল খাতের তুলনায় সেবা খাতেই অর্থনৈতিক বুনিয়াদ রয়েছে বেশি। উন্নয়নশীল দেশের শিল্পায়নে প্রবেশের চেষ্টা কিংবা শিল্প-পূর্ব সমাজের তুলনায় উন্নত দেশে বিপরীত চিত্র সবিশেষ লক্ষ্যণীয়। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ২০১০ সালের তথ্য মোতাবেক উচ্চ অর্থনীতিতে উন্নত দেশের জিডিপিতে ৬৫.৮% এবং পিপিপিতে ৫২.১% বৈশ্বিক অংশগ্রহণ রয়েছে।[২] ২০১১ সালে শীর্ষ দশ উচ্চ অর্থনীতির দেশ হিসেবে – যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কানাডা, স্পেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া পরিচিতি পেয়েছে।[৩][৪]

    সমার্থক পরিভাষা

    উন্নত দেশের সমার্থক পরিভাষা হিসেবে রয়েছে – উচ্চতর দেশ, শিল্পাঞ্চল দেশ, অধিক উন্নত দেশ (এমডিসি), অধিক অর্থনৈতিক উন্নত দেশ (এমইডিসি), বৈশ্বিক উত্তর দেশ, প্রথম বিশ্ব দেশ এবং শিল্প-পরবর্তী দেশ। শিল্পাঞ্চল দেশের সংজ্ঞাটি চলমান প্রক্রিয়া বিধায় সংজ্ঞার্থ নিরূপণ করা বেশ খানিকটা কঠিন। এমইডিসি পরিভাষাটি আধুনিককালের ভূগোলবিশারদগণ সুনির্দিষ্টভাবে অধিক অর্থনৈতিক উন্নত দেশসমূহকে নির্দেশ করেছেন। প্রথম শিল্পাঞ্চল দেশ হিসেবে রয়েছে যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম। পরবর্তীতে তা জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। জেফ্রে সাচের ন্যায় অর্থনীতিবিদ মনে করেন, ‘বিংশ শতকে বিশ্ব অর্থনীতি দু’টি ধারায় বিভক্ত। একটি হচ্ছে উন্নত দেশ এবং অপরটি উন্নয়নশীল দেশ।’

    সংজ্ঞার্থ নিরূপণ

    মূল নিবন্ধ: উন্নয়নশীল দেশ

    জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আন্নান উন্নত দেশের সংজ্ঞা প্রদান করতে গিয়ে বলেছেন,[৫]

    উন্নত দেশ বলতে যে সকল দেশ তার নাগরিকদের মুক্ত ও নিরাপদে রক্ষণাবেক্ষণ বা নিরাপত্তাসহ উপযুক্ত পরিবেশে স্বাস্থ্যকর জীবন প্রদানে সক্ষম তাকে বুঝাবে।

    কিন্তু জাতিসংঘের পরিসংখ্যান বিভাগের মতে,[৬]

    উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ অথবা অঞ্চলের রূপরেখা জাতিসংঘের প্রচলিত পদ্ধতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠা করা হয়নি।

    জাতিসংঘ আরো বলেছে, সাধারণভাবে এশিয়ায় জাপান, উত্তর আমেরিকায় কানাডামার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ওশেনিয়ায় অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো উন্নত অঞ্চল বা এলাকা হিসেবে পরিচিত। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিসংখ্যান মোতাবেক সাউদার্ন আফ্রিকান কাস্টমস ইউনিয়নকেও উন্নত অঞ্চল এবং ইসরায়েলকে উন্নত দেশ হিসেবে বলা যায়। উদীয়মান দেশ হিসেবে পরিচিত সাবেক যুগোস্লাভিয়ার বিভক্ত দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু পূর্ব ইউরোপ এবং কমনওয়েলথভূক্ত স্বাধীন দেশ বা সিআইএস-ভূক্ত ইউরোপীয় দেশসমূহ (কোড ১৭২) উন্নত বা উন্নয়নশীল কোনটিরই মর্যাদা পায়নি।[৬]

    অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফ তাদের সংজ্ঞায় উল্লেখ করেছে যে – এপ্রিল, ২০০৪-এর পূর্বেকার উত্তর ও দক্ষিণ ইউরোপের দেশসমূহ বিশেষতঃ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তানসহ মঙ্গোলিয়া উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল দেশের আওতাভূক্ত নয়। কিন্তু, ঐ সকল দেশসমূহও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বৈশ্বিকভাবে বিবেচিত হয়ে আসছে।

    মানব উন্নয়ন সূচক

    বৈশ্বিকভাবে ২০১১ সালের মানব উন্নয়ন সূচকের অবস্থান।

      খুবই ভাল

      ভাল

      মাঝারি

      নিম্ন

      তথ্য পাওয়া যায়নি

    জাতিসংঘ মানব উন্নয়ন সূচকে পরিসংখ্যানগতভাবে কোন দেশের মানব উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্যাদি তুলে ধরে। উচ্চমাত্রার মানব উন্নয়ন সূচকের সাথে উন্নত দেশের ভবিষ্যতের অর্থনীতির গতিধারা গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। সেখানে একটি দেশের আর্থিক আয় কিংবা উৎপাদনশীলতার চেয়ে অন্যান্য বিষয়াদির উপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করা হয়। মাথাপিছু মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কিংবা মাথাপিছ আয়ের পাশাপাশি আয়ের কতটুকু অংশ শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে ব্যয়িত হয়েছে তা-ও তুলে ধরা হয়।

    ১৯৯০ সাল থেকে নরওয়ে, জাপান, কানাডা এবং আইসল্যান্ড সর্বোচ্চ মানব উন্নয়ন সূচকে স্থান পেয়েছে। ২০১১ সালের মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২ নভেম্বর, ২০১১ সালে প্রকাশিত হয়। এতে উচ্চমাত্রার মানব উন্নয়ন সূচকে ৪৭টি দেশ স্থান পায় যাতে সর্বোচ্চ ০.৯৪৩ স্কোরে নরওয়ে এবং ০.৭৯৩ স্কোরে বার্বাডোজ জায়গা করে নেয়।[৭]

    ০.৭৮৮ স্কোরের অনেক দেশের তালিকা আইএমএফ অথবা[৮] সিআইএ তৈরী করেছে যাতে ২০০৯ সাল থেকে ঐ দেশসমূহকে উচ্চতর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অনেক দেশ[৯] ২০১০ সাল থেকে মানব উন্নয়ন সূচকে ০.৭৮৮ স্কোরে পৌঁছে। এ স্কোর কিংবা তারও বেশি স্কোরকে ২০০৯ সাল থেকে আইএমএফ বা সিআইএ উচ্চতর দেশ হিসেবে তাদের তালিকায় রাখে। এছাড়াও, ২০০৯ সাল থেকে অনেক উচ্চতর অর্থনীতির দেশ হিসেবে মানব উন্নয়ন সূচকে ০.৯ বা তদূর্ধ্ব স্কোরের অধিকারী দেশকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

  • রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস

    রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইতিহাস বিষয়টি সামাজিক বিজ্ঞানের ভিন্ন শাখা হিসেবে তুলনামূলকভাবে দেরিতে এসেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাজনৈতিক দর্শন থেকে আলাদা নয় এবং এই আধুনিক শাখার পূর্বগামী ধারণাসমূহ হল নৈতিক দর্শন, রাজনৈতিক অর্থনীতি, রাজনৈতিক ধর্মতত্ত্ব, ইতিহাস ও অন্যান্য মাননির্ধারক শাখা।[১]

    পশ্চিমা

    প্লেটো (বাম) এবং অ্যারিস্টটল (ডান), রাফায়েলের একটি ফ্রেস্কো দ্য স্কুল অফ অ্যাথেন্সের বিবরণ থেকে। প্লেটোর প্রজাতন্ত্র এবং অ্যারিস্টটলের রাজনীতি গ্রীক দার্শনিকদের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দার্শনিকদের আশ্বাস দিয়েছিল।

    সক্রেটিসীয় রাজনৈতিক দার্শনিকগণ পশ্চিমা রাজনৈতিক ভাবধারার পূর্বসূরি; তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন অ্যারিস্টটল (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৮৪-৩২২ অব্দ), যাকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করা হয়। অ্যারিস্টটলই প্রথম ব্যক্তি যিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কার্যকর সংজ্ঞা প্রদান করেন। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য শাখা বলে মনে করতেন এবং এটি সামরিক বিজ্ঞানসহ অন্য শাখাগুলোর উপর বিশেষ কর্তৃত্ব ধরে রেখেছে।[২] প্লেটোঅ্যারিস্টটলদের মত রাজনৈতিক দার্শনিকগণ এমনভাবে রাজনৈতিক চিন্তাধারার বিশ্লেষণ শুরু করেন যে তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বৈজ্ঞানিক ধারণাসমূহে অধিকতর গুরুত্ব বহন করে, যা তাদের পূর্বের গ্রিক দার্শনিকগণ যেভাবে এই বিষয়টিকে চিত্রায়িত করেছিলেন তার বিপরীত। প্লেটোর পূর্বে রাজনীতির উপর উল্লেখযোগ্য বক্তব্য প্রদান করেছিলেন সে সময়ের কবি, ইতিহাসবেত্তা ও বিখ্যাত নাট্যকারগণ।[৩]

    আলোকিত যুগ

    নব্য পশ্চিমা দর্শনের ভিত্তি স্থাপিত হয় আলোকিত যুগে যা পৃথক গির্জা ও রাজ্যের প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দেয়। এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতিগুলো বস্তু বিজ্ঞানের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করে যা সমাজে প্রয়োগ করা যায় ও সামাজিক বিজ্ঞানের উদ্ভব ঘটায়। রাজনীতি গবেষণাগারে অধ্যয়ন করা যেত কারণ এটি সামাজিক প্রতিবেশ ছিল। ১৭৮৭ সালে আলেকজান্ডার হ্যামিলটন লিখেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান অন্যান্য বিজ্ঞানের মত অনেকাংশে বিকশিত হয়েছে।” মার্কুইস দার্গেনসন ও আব দ্য সাঁ-পিয়ের দুজনেই রাজনীতিকে বিজ্ঞান হিসেবে উল্লেখ করেছেন; তন্মধ্যে দার্গেনসন একজন দার্শনিক এবং দ্য সাঁ-পিয়ের আলোকিত যুগের সংস্কারক ছিলেন।[৪]

    ভারত

    ভারতে চাণক্য খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীতে অর্থশাস্ত্র রচনা করেন, যা ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত রচনা হিসেবে উল্লেখিত হয়ে থাকে।[৫] অর্থশাস্ত্র রাজনৈতিক চিন্তাধারার একটি প্রামাণ্য ইতিহাস, যেটাতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, যুদ্ধের কৌশল, রাজস্ব নীতিসহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।

    প্রাচীন ভারতের রাজনীতির পূর্বসূরির মধ্যে উল্লেখযোগ্য রচনা হল হিন্দুধর্মের চারটি বেদের মধ্যকার তিনটি বেদ, এবং মহাভারতপালি ত্রিপিটক। উল্লেখিত তিনটি বেদ হল ঋগ্বেদ, সংহিতাব্রাহ্মণ। চাণক্যের সময়ের প্রায় দুইশত বছর পর মনুসংহিতা প্রকাশিত হয়, যা সে সময়ের ভারতের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রামাণ্য গ্রন্থ।[৬]

    চীন

    কনফুসীয়বাদতাওবাদ মূলত ধর্ম হিসেবে পরিচিত হলেও এতে মৌলিক রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে। যুক্তিবাদ ও মহিবাদসহ এই রাজনৈতিক দর্শন প্রাচীন চীনের শরৎ বসন্ত কাল থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। চীনের ইতিহাসে এই সময়টি চীনা দর্শনের স্বর্ণযুগ ছিল, কারণ এই সময়ে অনেকগুলো ভিন্ন ধারণার জন্ম হয় যা মুক্তভাবে আলোচিত হত। শরৎ বসন্ত কালে সামরিক কৌশল ও রাজনৈতিক পদ আরোহণ মানব জীবনের দিকগুলো আধ্যাত্মিকতার প্রতি মানুষের আকর্ষণের মধ্য দিয়ে প্রভাবিত হয়।[৭]

    মধ্যপ্রাচ্য

    ইবন সিনামায়মোনিদেসসহ মধ্যপ্রাচ্যের অ্যারিস্টটলবাদীগণ অ্যারিস্টটলের অভিজ্ঞতাবাদের ঐতিহ্য ধরে রাখেন এবং অ্যারিস্টটলের কাজের উপর বিশদ মন্তব্য রচনার মধ্য দিয়ে তার রাজনৈতিক বিশ্লেষণকে বাঁচিয়ে রাখেন। আরব পরবর্তীকালে অ্যারিস্টটলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাবধারা থেকে সরে যায় এবং প্লেটোর রিপাবলিক রচনার দিকে মনোনিবেশ করে। এর ফলে রিপাবলিক ইহুদি-ইসলামি রাজনৈতিক দর্শনের ভিত্তি হয়ে ওঠে, যা আল ফারাবীইবনে রুশদের রচনাবলিতে দেখা যায়।[৮]

    ওমর খৈয়ামের রুবাইয়াৎফেরদৌসীর শাহনামার মত রচনাবলিতে মধ্যযুগীয় পারস্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের প্রমাণ পাওয়া যায়।[৮]

  • সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন একটি আন্তঃবিভাগীয় ক্ষেত্র যা সমসাময়িক সংস্কৃতির রাজনৈতিক গতিশীলতা (জনপ্রিয় সংস্কৃতি সহ) এবং এর ঐতিহাসিক ভিত্তি গবেষণা বা তদন্ত ও পরীক্ষা করে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন গবেষকরা সাধারণত তদন্ত করেন যে কীভাবে সাংস্কৃতিক অনুশীলনগুলো সামাজিক ঘটনার সাথে যুক্ত বা পরিচালনার সাথে জড়িত ক্ষমতার বিস্তৃত পদ্ধতির সাথে সম্পর্কিত। এর মধ্যে রয়েছে মতাদর্শ, শ্রেণী কাঠামো, জাতীয় গঠন, জাতিসত্তা, যৌন অভিযোজন, লিঙ্গ এবং প্রজন্ম। সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণ নিযুক্ত করা, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সংস্কৃতিগুলিকে স্থির, আবদ্ধ, স্থিতিশীল এবং বিচ্ছিন্ন সত্তা হিসাবে নয়, বরং ক্রমাগত পরস্পরের উপর ক্রিয়ারত এবং অনুশীলন এবং প্রক্রিয়াগুলির সদৃশ হিসাবে পরিবর্তন করে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রটি তাত্ত্বিক এবং পদ্ধতিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং অনুশীলনের একটি পরিসীমা অন্তর্ভুক্ত করে। যদিও সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের শৃঙ্খলা এবং জাতিগত অধ্যয়নের আন্তঃবিভাগীয় ক্ষেত্র থেকে আলাদা, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন।[১]

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন প্রাথমিকভাবে ১৯৫০, ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের শেষদিকে ব্রিটিশ মার্কসবাদী শিক্ষাবিদদের দ্বারা বিকশিত হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে বিশ্বের বিভিন্ন শাখার পণ্ডিতদের দ্বারা গ্রহণ করা হয়েছে এবং রূপান্তরিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন স্পষ্টতই ও এমনকি আমূল আন্তঃবিভাগীয় এবং কখনও কখনও শৃঙ্খলাবিরোধী হিসাবে দেখা যায়। সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অনুশীলনকারীদের জন্য একটি মূল উদ্বেগের বিষয় হল সেই শক্তিগুলির পরীক্ষা করা যার মাধ্যমে সামাজিকভাবে সংগঠিত লোকেরা তাদের দৈনন্দিন জীবন গঠনে পরিচালনা করে এবং অংশগ্রহণ করে।[২]

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সেমিওটিক্স, মার্কসবাদ, নারীবাদী তত্ত্ব, নৃতাত্ত্বিকতা, পোস্ট- কাঠামোবাদ, উত্তর- ঔপনিবেশিকতা, সামাজিক তত্ত্ব, রাজনৈতিক তত্ত্ব, ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য তত্ত্ব, মিডিয়া তত্ত্ব, চলচিত্র বিদ্যা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিকভাবে জড়িত সমালোচনামূলক পদ্ধতির সমন্বয় করে রাজনৈতিক অর্থনীতি, অনুবাদ অধ্যয়ন, যাদুঘর অধ্যয়ন এবং শিল্প ইতিহাস /সমালোচনা বিভিন্ন সমাজ এবং ঐতিহাসিক সময়ের সাংস্কৃতিক ঘটনা অধ্যয়ন করার জন্য। সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলি বোঝার চেষ্টা করে যে কীভাবে অর্থ তৈরি হয়, প্রচার করা হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়, ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাথে আবদ্ধ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট সামাজিক গঠন বা সংমিশ্রণে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্র থেকে উৎপন্ন হয়। আন্দোলনটি সাংস্কৃতিক আধিপত্য এবং সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব তৈরি করেছে। এর অনুশীলনকারীরা বিশ্বায়নের সাথে সম্পর্কিত সাংস্কৃতিক শক্তি এবং প্রক্রিয়াগুলি ব্যাখ্যা এবং বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে।[৩]

    ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নব্যউদারনীতিবাদ উত্থানের সময়, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন উভয়ই একটি বৈশ্বিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল এবং বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এবং এর বাইরে অনেক রক্ষণশীল বিরোধীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। পান্ডিত্যপূর্ণ সংঘ এবং প্রোগ্রাম, বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন এবং প্রকাশনাগুলির একটি ভেলা সহ ছাত্র এবং অনুশীলনকারীদের একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন আজ এই ক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের স্বতন্ত্র পদ্ধতির উদ্ভব হয়েছে।[৪][৫]

    পরিদর্শন

    বৈশিষ্ট্য

    প্রাচ্যবিদ পণ্ডিত জিয়াউদ্দিন সরদার তাঁর ১৯৯৪ সালের বই, ইনট্রোডিউসিং কালচারাল স্টাডিজে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের নিম্নলিখিত পাঁচটি প্রধান বৈশিষ্ট্যের তালিকা করেছেন:[৬]

    • সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের উদ্দেশ্য হল সংস্কৃতিকে তার সমস্ত জটিল আকারে বোঝা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করা যেখানে সংস্কৃতি নিজেকে প্রকাশ করে।
    • সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অধ্যয়ন/বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক সমালোচনা উভয়েরই একটি দিক। উদাহরণস্বরূপ, একজন সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পণ্ডিত শুধুমাত্র একটি বস্তু অধ্যয়ন করবেন না, কিন্তু তারা এই অধ্যয়নটিকে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত করতে পারে।
    • সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন জ্ঞানের নির্মিত বিভাজনগুলোকে উন্মোচিত এবং মিলিত করার চেষ্টা করে যা প্রকৃতিতে( অভিজ্ঞতাবাদ) ভিত্তি করে
    • সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন আধুনিক সমাজের নৈতিক মূল্যায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
    • সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের একটি লক্ষ্য হতে পারে সমালোচনামূলক তত্ত্ব অনুসরণ করে সাংস্কৃতিক অনুশীলন এবং ক্ষমতার সাথে তাদের সম্পর্ক গবেষণা বা তদন্ত করা। উদাহরণস্বরূপ, একটি উপ -সংস্কৃতির অধ্যয়ন (যেমন: লন্ডনে শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক-শ্রেণির যুবক) তাদের সামাজিক অনুশীলনকে প্রভাবশালী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিবেচনা করবে (এই উদাহরণে, লন্ডনের মধ্য ও উচ্চবিত্ত যারা রাজনৈতিক ও আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণ করে লন্ডনের শ্বেতাঙ্গ শ্রমিক শ্রেণীর যুবকদের মঙ্গলকে প্রভাবিত করে এমন নীতি তৈরি করুন)।

    ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ইতিহাসের অসংখ্য প্রকাশিত বিবরণ রয়েছে।[৭][৮][৯]

    ডেনিস ডোয়ার্কিন লিখেছেন যে একটি ক্ষেত্র হিসাবে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের শুরুতে “একটি সমালোচনামূলক মুহূর্ত” ছিল যখন রিচার্ড হগার্ট ১৯৬৪ সালে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সময় এই শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। এই কেন্দ্রটি বুদ্ধিবৃত্তিক অভিযোজনের বিকাশের আবাসস্থল হয়ে উঠবে যা আন্তর্জাতিকভাবে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নে বার্মিংহাম স্কুল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে,[১০][১১] এইভাবে বিশ্বের প্রথম সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের প্রাতিষ্ঠানিক আবাসস্থল হয়ে উঠেছে।[১২]

    হগার্ট তার সহকারী স্টুয়ার্ট হল নিযুক্ত হন, যিনি কার্যকরভাবে ১৯৬৮ সালের মধ্যে বার্মিংহাম স্কুল পরিচালনা করবেন। হল আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭১ সালে বার্মিংহাম স্কুল-এর ডিরেক্টরশিপ গ্রহণ করেন, যখন হগার্ট ইউনেস্কোর সহকারী মহাপরিচালক হওয়ার জন্য বার্মিংহাম ত্যাগ করেন।[১৩] এরপর হলের কাজের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ক্ষেত্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে পড়ে। ১৯৭৯ সালে, হল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন গ্রহণ করার জন্য বার্মিংহাম ত্যাগ করেন এবং রিচার্ড জনসন কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[১৪][১৫]

    ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে, বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের “পুনর্গঠন” বার্মিংহাম স্কুল অফ কালচারাল স্টাডিজ-কে বাদ দিয়ে এবং ১৯৯৯ সালে একটি নতুন ডিপার্টমেন্ট অফ কালচারাল স্টাডিজ অ্যান্ড সোসিওলজি (সিএসএস) তৈরি করে। তারপর, ২০০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন প্রশাসন আকস্মিকভাবে সিএসএস-কে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়, যা একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক ক্ষোভ উস্কে দেয়। ২০০১ সালের যুক্তরাজ্যের গবেষণা মূল্যায়ন অনুশীলনে একটি অপ্রত্যাশিতভাবে কম ফলাফল ছিল নতুন বিভাগটি বিচ্ছিন্ন করার তাৎক্ষণিক কারণ, যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ডিন এই সিদ্ধান্তটিকে “অভিজ্ঞ ‘মাচো ম্যানেজমেন্ট’” বলে দায়ী করেছেন।[১৬] আরএই, ১৯৮৬ সালের মার্গারেট থ্যাচারের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকারের একটি হোল্ডওভার উদ্যোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামগুলির জন্য গবেষণা তহবিল নির্ধারণ করে।[১৭]

    ব্রিটিশ কালচারাল স্টাডিজের বিকাশের সন্ধান করতে, উদাহরণস্বরূপ, রিচার্ড হগার্ট, ইপি থম্পসন, রেমন্ড উইলিয়ামস, স্টুয়ার্ট হল, পল উইলিস, অ্যাঞ্জেলা ম্যাকরোবি, পল গিলরয়, ডেভিড মরলে, শার্লট ব্রান্সডন, রিচার্ড ডায়ার এবং অন্যান্যদের কাজ দেখুন।

    বার্মিংহাম স্কুল-এর স্টুয়ার্ট হলের ডিরেক্টরশিপ

    ১৯৬৪ সালের শুরুতে, ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে ব্রিটিশ কালচারাল স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা কাজের প্রাথমিক উপস্থিতির পর, বার্মিংহাম স্কুল -এ স্টুয়ার্ট হলের অগ্রগামী কাজ, তার সহকর্মী এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রদের সাথে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রে একটি আকার এবং উপাদান দিয়েছিল। এর মধ্যে পল উইলিস, ডিক হেবডিজ, ডেভিড মরলে, শার্লট ব্রান্সডন, জন ক্লার্ক, রিচার্ড ডায়ার, জুডিথ উইলিয়ামসন, রিচার্ড জনসন, ইয়ান চেম্বার্স, ডরোথি হবসন, ক্রিস উইডন, টনি জেফারসন, মাইকেল গ্রিন এবং অ্যাঞ্জেলা ম্যাকরোবি-এর মতো ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

    অনেক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পণ্ডিতরা বিশ্লেষণের মার্কসবাদী পদ্ধতি ব্যবহার করেন, সাংস্কৃতিক ফর্ম (অর্থাৎ, উপরিকাঠামো ) এবং রাজনৈতিক অর্থনীতির (অর্থাৎ ভিত্তি ) মধ্যে সম্পর্ক অন্বেষণ করেন। ১৯৭০ এর দশকের মধ্যে, লুই আলথুসারের কাজ মৌলিকভাবে ভিত্তি এবং উপরিকাঠামোর মার্কসবাদী বিবরণকে এমনভাবে পুনর্বিবেচনা করে যেগুলি “বার্মিংহাম স্কুল” এর উপর একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। বার্মিংহাম স্কুলে করা বেশিরভাগ কাজ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে “সম্মানিত” মধ্যবিত্ত ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি বৈরিতার যুব-উপ-সংস্কৃতির অভিব্যক্তি অধ্যয়ন করেছে। এছাড়াও ১৯৭০ এর দশকে, রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী ব্রিটিশ শ্রমিক শ্রেণীর পতন ঘটেছিল। ব্রিটেনের উৎপাদন শিল্পগুলি যখন উৎপাদন এবং মূল্যের বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছিল, জিডিপির অংশ এবং নিযুক্ত সংখ্যা কমছিল, এবং ইউনিয়ন চরিত্রগুলোও সঙ্কুচিত হচ্ছিল। লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী ব্রিটেন শ্রম ক্ষতির মধ্য দিয়ে মার্গারেট থ্যাচারের উত্থানকে সমর্থন করেছিল। স্টুয়ার্ট হল এবং তার সহকর্মীদের জন্য, লেবার পার্টি থেকে কনজারভেটিভ পার্টিতে আনুগত্যের এই পরিবর্তনকে সাংস্কৃতিক রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা করতে হয়েছিল, যা তারা থ্যাচারের প্রথম বিজয়ের আগে থেকেই অনুসরণ করেছিল। এই কাজের কিছু উপস্থাপনা করা হয়েছিল কালচারাল স্টাডিজ ক্লাসিক, পলিসিং দ্য ক্রাইসিস,[১৮] এবং অন্যান্য পরবর্তী গ্রন্থে যেমন: হলের দ্য হার্ড রোড টু রিনিউয়াল: থ্যাচারিজম অ্যান্ড দ্য ক্রাইসিস অফ দ্য লেফট,[১৯] এবং নিউ টাইমস: দ্য চেঞ্জিং;১৯৯০-এর দশকে রাজনীতির চেহারা[২০]

    ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং তার পরেও

    ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে, দ্য বার্মিংহাম স্কুলের সাথে যুক্ত পণ্ডিতরা সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের লক্ষ্যে লিঙ্গ এবং বর্ণের প্রশ্নগুলিকে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছিলেন, যেখানে তারা তখন থেকেই রয়ে গেছে। এছাড়াও ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করেছিল। এটি ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশক জুড়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এটি করার সাথে সাথে, এটি উভয়ই জ্ঞান উৎপাদনের নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল এবং অন্যান্য প্রধান আন্তর্জাতিক বৌদ্ধিক স্রোত যেমন উত্তর গঠনতন্ত্রবাদ, উত্তর আধুনিকতাবাদ এবং উত্তর- ঔপনিবেশিকতার সাথে জড়িত ছিল। সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন জার্নালগুলির বিস্তৃত পরিসর এখন সারা বিশ্বে অবস্থিত, নীচে দেখানো হিসাবে, এই ক্ষেত্রে বিশ্বায়নের একটি ইঙ্গিত।[২১]

    যুক্তরাজ্যের বাইরে উন্নয়ন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ব্রিটিশ কালচারাল স্টাডিজের উত্থানের আগে, সাংস্কৃতিক বিশ্লেষণের বিভিন্ন সংস্করণ মূলত বাস্তববাদী এবং উদার-বহুত্ববাদী দার্শনিক ঐতিহ্য থেকে আবির্ভূত হয়।[২২] ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকের শেষের দিকে, যখন ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং নারীবাদ, উত্তর গঠনতন্ত্রবাদ, উত্তর আধুনিকতাবাদ, এবং জাতিতত্ত্বের সাথে যুক্ত হতে শুরু করে, তখন সমালোচনামূলক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন (যেমন, মার্কসবাদী, নারীবাদী, পোস্টস্ট্রাকচারালিস্ট, ইত্যাদি) আমেরিকায় ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়। যোগাযোগ অধ্যয়ন, শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান এবং সাহিত্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মতো ক্ষেত্রে।[২৩][২৪][২৫] সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন , এই ক্ষেত্রের পতাকাধারী পত্রিকা, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিত্তি করে এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক জন ফিস্ক ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়া থেকে এটিকে সেখানে নিয়ে আসেন।

    ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের দৃশ্য বিদ্যমান ছিল, যখন মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অনুশীলনকারী যুক্তরাজ্য থেকে সেখানে চলে আসেন, ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন তাদের সাথে নিয়ে আসেন। সাংস্কৃতিক পলিসি স্টাডিজ নামে পরিচিত সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের স্কুল একটি স্বতন্ত্র অস্ট্রেলিয়ান অবদান, যদিও এটি একমাত্র নয়। অস্ট্রেলিয়াও ১৯৯০ সালে বিশ্বের প্রথম পেশাদার সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সমিতির জন্ম দেয় যা বর্তমানে অস্ট্রেলাশিয়ার কালচারাল স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশন নামে পরিচিত।[২৬][২৭] অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পত্রিকাগুলোর মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ কালচারাল স্টাডিজ, কন্টিনিউম: জার্নাল অফ মিডিয়া অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, এবং কালচারাল স্টাডিজ রিভিউ

    কানাডায়, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কখনও কখনও প্রযুক্তি এবং সমাজের বিষয়গুলোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, মার্শাল ম্যাকলুহান, হ্যারল্ড ইনিস এবং অন্যান্যদের কাজের উপর জোর দেওয়া অব্যাহত রাখে। কানাডা ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পত্রিকার মধ্যে রয়েছে টপিয়া: কানাডিয়ান জার্নাল অফ কালচারাল স্টাডিজ

    আফ্রিকাতে, মানবাধিকার এবং তৃতীয় বিশ্বের সমস্যাগুলো কেন্দ্রীয় বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক এবং মিডিয়া অধ্যয়ন বৃত্তি রয়েছে, যা দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়েতে হয়।[২৮] আফ্রিকা ভিত্তিক সাংস্কৃতিক স্টাডিজ জার্নালগুলির মধ্যে রয়েছে আফ্রিকান কালচারাল স্টাডিজ জার্নাল

    লাতিন আমেরিকায়, বিশ্বের অন্যান্য অংশে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের সাথে যুক্ত পশ্চিমা তাত্ত্বিক উৎস ছাড়াও, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলি জোসে মার্টি, অ্যাঞ্জেল রামা এবং অন্যান্য লাতিন-আমেরিকান ব্যক্তিত্বের মতো চিন্তাবিদদের আকৃষ্ট করেছে। নেস্টর গার্সিয়া ক্যানক্লিনি, জেসুস মার্টিন- বারবেরো, এবং বিয়াট্রিজ সারলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় লাতিন আমেরিকান সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছে।[২৯][৩০] লাতিন আমেরিকান সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পণ্ডিতদের দ্বারা সম্বোধন করা মূল বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে ঔপনিবেশিকতা, শহুরে সংস্কৃতি এবং উত্তরোন্নয়ন তত্ত্ব । ল্যাটিন আমেরিকান কালচারাল স্টাডিজ জার্নালের মধ্যে রয়েছে – জার্নাল অফ ল্যাটিন আমেরিকান কালচারাল স্টাডিজ

    যদিও সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন মহাদেশীয় ইউরোপের তুলনায় যুক্তরাজ্যে অনেক দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে, ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগালের মতো দেশে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের উপস্থিতি রয়েছে। ক্ষেত্রটি জার্মানিতে তুলনামূলকভাবে অনুন্নত, সম্ভবত ফ্রাঙ্কফুর্ট স্কুলের অব্যাহত প্রভাবের কারণে,[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] যা এখন প্রায়ই বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব যেমন অ্যাক্সেল হোনেথ রয়েছে। মহাদেশীয় ইউরোপে অবস্থিত সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন জার্নালগুলির মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় জার্নাল অফ কালচারাল স্টাডিজ, জার্নাল অফ স্প্যানিশ কালচারাল স্টাডিজ, ফ্রেঞ্চ কালচারাল স্টাডিজ এবং পর্তুগিজ কালচারাল স্টাডিজ

    জার্মানিতে, কালচারাল স্টাডিজ শব্দটি বিশেষ করে অ্যাংলোস্ফিয়ারের ক্ষেত্রকে বোঝায়, বিশেষ করে ব্রিটিশ কালচারাল স্টাডিজ, এটিকে জার্মান কালচারউইসেনশ্যাফ্ট থেকে আলাদা করার জন্য যা বিভিন্ন রেখায় বিকশিত হয়েছে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে এর দূরত্ব দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।[৩১] যাইহোক, কালচারউইসেনশ্যাফ্ট (Kulturwissenschaft) এবং সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো প্রায়ই বিনিময়যোগ্যভাবে ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে সাধারণ মানুষদের দ্বারা।

    সমগ্র এশিয়া জুড়ে, ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সমৃদ্ধ হয়েছে।[৩২] এশিয়া ভিত্তিক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পত্রিকার মধ্যে রয়েছে ইন্টার-এশিয়া সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন । ভারতে, সেন্টার ফর স্টাডি অফ কালচার অ্যান্ড সোসাইটি, ব্যাঙ্গালোর এবং ইংলিশ অ্যান্ড ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস ডিপার্টমেন্ট অফ কালচারাল স্টাডিজ এবং হায়দ্রাবাদ ইউনিভার্সিটি হল সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের জন্য দুটি প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক স্থান।

    সমস্যা,ধারণা ও পন্থা

    মার্কসবাদ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। যারা বার্মিংহাম স্কুল এর সাথে যুক্ত তারা প্রথমে লুই আলথুসারের গঠনতন্ত্রের সাথে গভীরভাবে জড়িত ছিল এবং পরে ১৯৭০-এর দশকে তারা আন্তোনিও গ্রামসির দিকে সিদ্ধান্তমূলকভাবে ফিরে আসে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন জাতি, লিঙ্গ এবং পরিচয়ের অন্যান্য দিকগুলোর পরীক্ষাকেও গ্রহণ করেছে, যেমনটি চিত্রিত করা হয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে বার্মিংহাম স্কুল নামে সম্মিলিতভাবে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি মূল বইয়ের দ্বারা, যার মধ্যে রয়েছে উইমেন টেক ইস্যু্ : নারীর অধীনতার দিকগুলো (১৯৭৮), এবং কিংডম স্ট্রাইকস ব্যাক: ৭০ এর দশকে ব্রিটেনে জাতি এবং বর্ণবাদ (১৯৮২)।

    গ্রামসি এবং আধিপত্য

    যুক্তরাজ্যের শ্রেণী, রাজনীতি এবং সংস্কৃতির পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বোঝার জন্য বার্মিংহাম স্কুলের পণ্ডিতরা ইতালীয় চিন্তাবিদ, লেখক এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আন্তোনিও গ্রামসি -এর কাজের দিকে ঝুঁকেছিলেন। গ্রামসি একই ধরনের বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন: কেন ইতালীয় শ্রমিক ও কৃষকরা ফ্যাসিস্টদের ভোট দেবে? আরও প্রগতিশীল দিকে জনসমর্থন জোগাড় করার জন্য কোন কৌশলগত পদ্ধতির প্রয়োজন? গ্রামসি ধ্রুপদী মার্কসবাদকে পরিবর্তিত করেন এবং যুক্তি দেন যে সংস্কৃতিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগ্রামের মূল স্থান হিসেবে বোঝা উচিত। তার দৃষ্টিতে, পুঁজিবাদীরা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার জন্য শুধুমাত্র পাশবিক শক্তি ( পুলিশ, কারাগার,দমন, সামরিক ) ব্যবহার করেনি বরং জনপ্রিয় “সম্মতি” অর্জনের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন উপায়ে শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন সংস্কৃতিতেও প্রবেশ করেছে।[৩৩]

    এটা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে গ্রামসির জন্য, ঐতিহাসিক নেতৃত্ব বা আধিপত্য, শ্রেণী উপদলের মধ্যে জোট গঠন এবং দৈনন্দিন সাধারণ জ্ঞানের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের মধ্যে সংগ্রাম। গ্রামসির জন্য আধিপত্য সর্বদাই ছিল, একটি অন্তহীন, অস্থির এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রক্রিয়া।

    স্কট ল্যাশ লিখেছেন:

    হল, হেবডিজ এবং ম্যাকরোবির কাজে জনপ্রিয় সংস্কৃতি সামনে এসেছিল… গ্রামসি এটিকে যা দিয়েছেন তা হল সম্মতি এবং সংস্কৃতির গুরুত্ব। যদি মৌলিক মার্কসবাদীরা শ্রেণী-বনাম-শ্রেণীর পরিপ্রেক্ষিতে শক্তি দেখেন, তাহলে গ্রামসি আমাদের কাছে শ্রেণী জোট-এর একটি প্রশ্ন দিয়েছিলেন। সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের উত্থান নিজেই মৌলিক শ্রেণী-বনাম-শ্রেণীর রাজনীতির প্রাধান্যের পতনের উপর ভিত্তি করে।

    — [৩৪]

    এডগার এবং সেডগউইক লিখেছেন:

    আধিপত্যের তত্ত্বটি ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের [বিশেষ করে বার্মিংহাম স্কুলের বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় গুরুত্ব ছিল। এটি অধস্তন গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ এবং প্রতিক্রিয়া করার উপায়গুলির বিশ্লেষণকে সহজতর করেছে। অধস্তন গোষ্ঠীগুলিকে শুধুমাত্র আধিপত্যবাদী শ্রেণী এবং তার মতাদর্শের নিষ্ক্রিয় প্রতারক হিসাবে দেখা উচিত নয়।

    কাঠামো এবং সংস্থা

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়নে আধিপত্য তত্ত্বের বিকাশ কিছু উপায়ে অন্বেষণকারী সংস্থার অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, একটি তাত্ত্বিক ধারণা যা অধীনস্থ মানুষের সক্রিয়, সমালোচনামূলক ক্ষমতার উপর জোর দেয় (যেমন শ্রমিক শ্রেণী, উপনিবেশিত মানুষ, নারী)।[৩৫] যেমন স্টুয়ার্ট হল বিখ্যাতভাবে তার ১৯৮১ প্রবন্ধে যুক্তি দিয়েছিলেন, “নোটস অন ডিকনস্ট্রাক্টিং ‘দ্য পপুলার’”: “সাধারণ মানুষ সাংস্কৃতিক ডোপ নয়।”[৩৬] অধস্তন লোকদের সংস্থার হিসাবরক্ষণের জন্য ঐতিহ্যগত কাঠামোবাদীদের কাজের বিপরীতে চলে। কিছু বিশ্লেষক[কে?] যদিও সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের কিছু কাজের সমালোচনা করেছেন যে তারা মনে করেন জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংস্থার কিছু রূপের তাৎপর্য অতিমাত্রায় বা এমনকি রোমান্টিক করে তোলে।[৩৭]

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন প্রায়শই দৈনন্দিন জীবনের অনুশীলনের স্তরে সংস্থার সাথে নিজেকে উদ্বিগ্ন করে এবং আমূল প্রাসঙ্গিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে এই ধরনের গবেষণার দিকে যায়। অন্য কথায়, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সাংস্কৃতিক অনুশীলন, অর্থ এবং পরিচয়ের সার্বজনীন বিবরণ প্রত্যাখ্যান করে।

    জুডিথ বাটলার, একজন আমেরিকান নারীবাদী তাত্ত্বিক যার কাজ প্রায়শই সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের সাথে জড়িত, লিখেছেন যে:

    একটি কাঠামোবাদী বিবরণ থেকে সরানো যেখানে পুঁজিকে বোঝা যায় সামাজিক সম্পর্ককে তুলনামূলকভাবে সমজাতীয় উপায়ে আধিপত্যের একটি দৃষ্টিভঙ্গিতে গঠন করা হয় যেখানে ক্ষমতা সম্পর্ক পুনরাবৃত্তি, একত্রিত হওয়া এবং পুনরুক্তিকরণের সাপেক্ষে কাঠামোর চিন্তায় অস্থায়ীতার প্রশ্ন নিয়ে আসে। এটি আলথুসেরিয়ান তত্ত্বের একটি রূপ থেকে একটি স্থানান্তর চিহ্নিত করেছে যা কাঠামোগত সামগ্রিকতাকে তাত্ত্বিক বস্তু হিসাবে নিয়ে যায় যেখানে কাঠামোর আনুষঙ্গিক সম্ভাবনার অন্তর্দৃষ্টি ক্ষমতার পুনর্বিন্যাসের আনুষঙ্গিক দিক এবং কৌশলগুলোর সাথে আবদ্ধ হিসাবে আধিপত্যের একটি নতুন ধারণার উদ্বোধন করে।

    বিশ্বায়ন

    সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, বিশ্বায়নের সমসাময়িক ধাঁচের মাধ্যমে পুঁজিবাদ সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো স্থানীয় ক্ষেত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ এবং পশ্চিমা আধিপত্যের সাথে আলোচনা এবং প্রতিরোধের অনুশীলন তৈরি করেছে৷[৩৮]

    সাংস্কৃতিক খাদন

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন নিষ্ক্রিয় ভোক্তার ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করে, বিশেষ করে বিভিন্ন উপায়ে মানুষ যেভাবে সাংস্কৃতিক পাঠ্য পাঠ, গ্রহণ এবং ব্যাখ্যা করে বা অন্যান্য ধরণের সাংস্কৃতিক পণ্যের উপযুক্ত বা অন্যথায় অর্থের উৎপাদন ও প্রচলনে অংশগ্রহণ করে তার উপর গুরুত্বারোপ করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে, একজন ভোক্তা সাংস্কৃতিক পাঠ্যের মাধ্যমে প্রচারিত অর্থগুলোকে উপযুক্ত, সক্রিয়ভাবে পুনরায় কাজ করতে বা চ্যালেঞ্জ করতে পারে। এর কিছু রূপের মধ্যে, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিকে উৎপাদনের ঐতিহ্যগত বোঝাপড়া থেকে ভোগে স্থানান্তরিত করেছে – এটিকে তার নিজের অধিকারে উৎপাদনের একটি রূপ (অর্থ, পরিচয় ইত্যাদি) হিসাবে দেখা হয়। স্টুয়ার্ট হল, জন ফিস্ক এবং অন্যান্যরা এই উন্নয়নে প্রভাবশালী হয়েছে।

    এই ক্ষেত্রের পতাকাধারী জার্নাল, কালচারাল স্টাডিজের একটি বিশেষ ২০০৮ ইস্যু, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কোণ থেকে ” ভোক্তাবিরোধী ” পরীক্ষা করেছে। জেরেমি গিলবার্ট ইস্যুতে উল্লেখ করেছেন, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অবশ্যই এই সত্যের সাথে আঁকড়ে ধরতে হবে যে “আমরা এখন এমন এক যুগে বাস করছি যখন, পুরো পুঁজিবাদী বিশ্ব জুড়ে, সরকারের অর্থনৈতিক নীতির প্রধান লক্ষ্য হল ভোক্তা ব্যয়ের মাত্রা বজায় রাখা। এটি এমন একটি যুগ যখন ‘ভোক্তা আস্থা’কে অর্থনৈতিক কার্যকারিতার মূল সূচক এবং কারণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।”[৩৯]

    “পাঠ্য” ধারণা

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন, সেমিওটিক্সের উপর আঁকা এবং বিকাশ করে, শুধুমাত্র লিখিত ভাষাই নয়, টেলিভিশন প্রোগ্রাম, চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফ, ফ্যাশন, চুলের স্টাইল এবং আরও অনেক কিছু নির্ধারণ করতে পাঠ্যের ধারণা ব্যবহার করে; সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের পাঠ্যগুলো সংস্কৃতির সমস্ত অর্থপূর্ণ নিদর্শন নিয়ে গঠিত। পাঠ্যতার এই ধারণাটি বিশেষত অগ্রগামী এবং প্রভাবশালী সেমিওটিশিয়ান রোল্যান্ড বার্থেসের কাজ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, তবে অন্যান্য উৎস যেমন: জুরি লটম্যান এবং তারতু -মস্কো স্কুলের তার সহকর্মীদের কাছেও ঋণ রয়েছে। একইভাবে, ক্ষেত্রটি সংস্কৃতির ধারণাকে প্রশস্ত করে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো দৈনন্দিন জীবনের স্থান এবং স্থানগুলোর সাথে যোগাযোগ করে, যেমন: পাব, বসার ঘর, বাগান এবং সমুদ্র সৈকত, “পাঠ্য” হিসাবে।[৪০]

    সংস্কৃতি, এই প্রেক্ষাপটে, শুধুমাত্র উচ্চ সংস্কৃতিই অন্তর্ভুক্ত করে না,[৪১] বরং দৈনন্দিন অর্থ ও অনুশীলনও অন্তর্ভুক্ত করে, যা সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের কেন্দ্রবিন্দু।

    জেফ লুইস তার সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের পাঠ্যপুস্তক এবং মিডিয়া এবং সন্ত্রাসবাদের উপর একটি উত্তর-৯/১১ মনোগ্রাফে পাঠ্যতা এবং পাঠ্য বিশ্লেষণের অনেক কাজ সংক্ষিপ্ত করেছেন।[৪২][৪৩] লুইসের মতে, পাঠ্য অধ্যয়ন জটিল এবং কঠিন হিউরিস্টিক পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং শক্তিশালী ব্যাখ্যামূলক দক্ষতা এবং রাজনীতি এবং প্রসঙ্গগুলোর একটি সূক্ষ্ম ধারণা উভয়ই প্রয়োজন। সাংস্কৃতিক বিশ্লেষকের কাজ, লুইসের জন্য, উভয় জ্ঞান ব্যবস্থা এবং পাঠ্যের সাথে জড়িত হওয়া এবং উভয়ের একে অপরের সাথে যোগাযোগের উপায়গুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা। এই ব্যস্ততা বিশ্লেষণের সমালোচনামূলক মাত্রাগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে, প্রদত্ত পাঠ্য এবং এর বক্তৃতার মধ্যে এবং আশেপাশের শ্রেণিবিন্যাসগুলোকে আলোকিত করার ক্ষমতা।

    একাডেমিক সমাদর

    নৃবিজ্ঞান, প্রচার মাধ্যম বিদ্যা, যোগাযোগ অধ্যয়ন, সাহিত্য অধ্যয়ন, শিক্ষা, ভূগোল, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, রাজনীতি এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর সংমিশ্রণে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন বিকশিত হয়েছে।

    যদিও কেউ কেউ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রকে রাজনৈতিক আপেক্ষিকতাবাদে পরিণত করার এবং ” উত্তরআধুনিক ” বিশ্লেষণের এক ধরণের খালি সংস্করণের অভিযোগ করেছেন, অন্যরা মনে করেন যে এর মূলে, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সমালোচনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধারণাগত এবং পদ্ধতিগত কাঠামো প্রদান করে। এই সমালোচনাটি ” বিনির্মাণ ” করার জন্য নকশা করা হয়েছে যে অর্থ এবং অনুমানগুলো যা প্রতিষ্ঠান, পাঠ্য এবং অনুশীলনগুলোতে খোদাই করা আছে যেগুলোর সাথে এবং মাধ্যমে কাজ করে , সংস্কৃতি তৈরি করে এবং পুনরায় উপস্থাপন করে৷[৪৪][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] [ পৃষ্ঠা প্রয়োজন ] সুতরাং, যখন কিছু পণ্ডিত এবং শৃঙ্খলা শৃঙ্খলার পদ্ধতিগত প্রত্যাখ্যানের জন্য সাংস্কৃতিক অধ্যয়নকে বরখাস্ত করেছে, সমালোচনা এবং বিশ্লেষণের মূল কৌশলগুলো সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিক ক্ষেত্রগুলোকে প্রভাবিত করেছে; উদাহরণস্বরূপ, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো সামাজিক পার্থক্য, নিয়ন্ত্রণ এবং অসমতা, পরিচয়, সম্প্রদায়-নির্মাণ, মিডিয়া, এবং জ্ঞান উৎপাদনের উপর কাজ করে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। অধিকন্তু, অনুবাদ অধ্যয়ন, স্বাস্থ্য অধ্যয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, উন্নয়ন অধ্যয়ন, কম্পিউটার অধ্যয়ন, অর্থনীতি, প্রত্নতত্ত্ব এবং নিউরোবায়োলজির মতো বৈচিত্র্যময় অঞ্চলগুলোতে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের প্রভাব ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো গণমাধ্যম নীতি, গণতন্ত্র, নকশা, অবসর, পর্যটন, যুদ্ধ এবং উন্নয়নের উপর অধ্যয়নের একটি পরিসীমা অন্তর্ভুক্ত করে নিজস্ব আগ্রহ এবং পদ্ধতিগুলোকেও বৈচিত্র্যময় করেছে। যদিও কিছু মূল ধারণা যেমন মতাদর্শ বা বক্তৃতা, শ্রেণী, আধিপত্য, পরিচয় এবং লিঙ্গ তাৎপর্যপূর্ণ থেকে যায়,সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন দীর্ঘকাল ধরে নতুন ধারণা এবং পদ্ধতির সাথে জড়িত এবং সংহত করেছে। এইভাবে ক্ষেত্রটি সংস্কৃতি ও রাজনীতির শক্তির সাথে জড়িত থাকার মাধ্যমে রাজনৈতিক সমালোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।[৪৫][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] [ পৃষ্ঠা প্রয়োজন ]

    দ্য ব্ল্যাকওয়েল কম্প্যানিয়ন টু কালচারাল স্টাডিজ, শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন পণ্ডিত টবি মিলারের দ্বারা সম্পাদিত প্রবন্ধ, যা সমসাময়িক সামাজিক বিজ্ঞান এবং মানবিকতা জুড়ে বিস্তৃত প্রতিটি শাখার মধ্যে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের পদ্ধতির বিকাশকে বিশ্লেষণ করে।[৪৬]

    সাহিত্য বিশারদগণ

    অনেক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অনুশীলনকারী ইংরেজি বা তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে কাজ করে। তা সত্ত্বেও, কিছু ঐতিহ্যবাহী সাহিত্যিক পণ্ডিত যেমন: ইয়েলের অধ্যাপক হ্যারল্ড ব্লুম সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের স্পষ্ট সমালোচক। পদ্ধতির স্তরে, এই পণ্ডিতরা আন্দোলনের সমালোচনামূলক কাঠামোর তাত্ত্বিক ভিত্তিকে বিতর্ক করেন।

    ব্লুম ৩ সেপ্টেম্বর ২০০০-এর সি-স্প্যানের বুকনোটস পর্বে তাঁর অবস্থান বর্ণনা করেন, তাঁর বই ‘কিভাবে পড়তে হয়’এবং কেন ‘ আলোচনার সময়।

    (ঐ)এখানে পড়ার দুটি শত্রু এখন বিশ্বে, শুধু ইংরেজি-ভাষী বিশ্বে নয়। একটি হল সাহিত্য অধ্যয়নের উন্মাদ ধ্বংস…এবং ইংরেজিভাষী বিশ্বের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে যাকে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন বলা হয় তার দ্বারা প্রতিস্থাপন করা, এবং সবাই জানে সেই ঘটনাটি কী। আমি বলতে চাচ্ছি,…এখন ক্লান্ত-শ্রান্ত বাক্যাংশ ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতা’ যা হয়েছে তার জন্য একটি পুরোপুরি ভাল বর্ণনামূলক বাক্যাংশ হিসেবে রয়ে গেছে, হায় এখনও প্রায় সর্বত্র চলছে এবং যা প্রাধান্য পাচ্ছে, আমি বলব বরং তিন-পঞ্চমাংশেরও বেশি ইংরেজি-ভাষী বিশ্বের স্থায়ী অনুষদের মধ্যে, যারা সত্যিই বুদ্ধিজীবীদের বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিনিধিত্ব করে, আমি মনে করি তা ‘কেরানিদের বিশ্বাসঘাতকতা’।”

    — [৪৭]


    মার্কসবাদী সাহিত্য সমালোচক টেরি ঈগলটন সম্পূর্ণরূপে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের বিরোধী নন, তবে তিনি এর দিকগুলোর সমালোচনা করেছেন এবং আফটার থিওরি (২০০৩) এর মতো বইগুলোতে এর শক্তি ও দুর্বলতাগুলোকে তিনি তুলে ধরেছেন। ঈগলটনের জন্য, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তত্ত্বের জীবনের “মৌলিক প্রশ্ন” সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তাত্ত্বিকরা এই সম্ভাবনা খুব কমই উপলব্ধি করেছেন।

    ইংরেজি বিভাগগুলো সাংস্কৃতিক অলঙ্কারশাস্ত্রের পণ্ডিতদেরও আকর্ষণ করে। এই একাডেমিক ক্ষেত্রটি সাংস্কৃতিক অলঙ্কারশাস্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করে “সমস্ত সংস্কৃতি অলংকারমূলক এবং সমস্ত অলঙ্কারশাস্ত্র সাংস্কৃতিক।” সাংস্কৃতিক অলঙ্কারশাস্ত্রের পণ্ডিতরা জলবায়ু পরিবর্তন, আত্মসংবৃতি, এশীয় আমেরিকান অলঙ্কারশাস্ত্র, এবং আরও অনেক বিষয়ে তদন্ত করতে আগ্রহী।[৪৮]

    সমাজবিজ্ঞান

    সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সমাজবিজ্ঞানের উপরও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। উদাহরণস্বরূপ, যখন স্টুয়ার্ট হল বার্মিংহামে বার্মিংহাম স্কুল ত্যাগ করেন, তখন ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটিতে সমাজবিজ্ঞানের একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রফেসরশিপ গ্রহণ করতে হয়। সাংস্কৃতিক সমাজবিজ্ঞানের উপক্ষেত্র, বিশেষ করে, অনেক সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অনুশীলনকারীদের জন্য শৃঙ্খলামূলক আবাস। তা সত্ত্বেও, একটি শৃঙ্খলা হিসাবে সমাজবিজ্ঞান এবং সামগ্রিকভাবে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ক্ষেত্রের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যদিও সমাজবিজ্ঞান বিভিন্ন ঐতিহাসিক কাজের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল উদ্দেশ্যমূলকভাবে দর্শন বা মনোবিজ্ঞান থেকে বিষয়টিকে আলাদা করে, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নগুলো স্পষ্টভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং শৃঙ্খলার ঐতিহ্যগত বোঝাপড়া এবং অনুশীলনের সমালোচনা করেছে। বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন অনুশীলনকারীরা মনে করেন যে এটি সর্বোত্তম যে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন শৃঙ্খলা অনুকরণ করে না বা সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের জন্য শৃঙ্খলাবদ্ধতার আকাঙ্ক্ষা করে না। বরং, সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ভিত্তি হিসাবে এক ধরনের আমূল আন্তঃবিভাগীয়তার প্রচার করে।

    একজন সমাজবিজ্ঞানী যার কাজ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে তিনি হলেন পিয়েরে বোর্দিউ, যার কাজ পরিসংখ্যান এবং গভীর সাক্ষাৎকারের উদ্ভাবনী ব্যবহার করে।[৪৯][৫০] যাইহোক, বার্দিউ-এর কাজ সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী হয়েছে, এবং যদিও বোর্দিউ তার কাজকে বিজ্ঞানের একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করেছেন, সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন কখনই এই ধারণাটিকে গ্রহণ করেনি যে এটি “বৈজ্ঞানিকতার” দিকে আকাঙ্ক্ষা করা উচিত এবং তাত্ত্বিক ও বিস্তৃত পরিসরে প্রবেশ করেছে। সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের ভিত্তি হিসাবে “বৈজ্ঞানিকতা” এর ফেটিশাইজেশনের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত যুক্তি।

    দুই সমাজবিজ্ঞানী যারা সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের সমালোচনা করেছেন, ক্রিস রোজেক এবং ব্রায়ান এস টার্নার, তাদের প্রবন্ধ, “সজ্জাসংক্রান্ত সমাজবিজ্ঞান: সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সূচক সমালোচনার প্রতি” যুক্তি দিয়েছেন যে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন, বিশেষ করে স্টুয়ার্ট হল দ্বারা রক্ষা করা স্বাদের অভাব রয়েছে। স্থিতিশীল গবেষণা লক্ষ্য,এবং পাঠ্যের সমসাময়িক পড়ার বিশেষাধিকার, এইভাবে একটি ঐতিহাসিক তাত্ত্বিক দৃষ্টি তৈরি করে।[৫১] যাইহোক, হল অনুসরণ করে, যুক্তি দেবে যে সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন সবসময় একটি নির্দিষ্ট গবেষণা লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা এড়াতে চেয়েছে; এটি তার শৃঙ্খলার সমালোচনা থেকে অনুসরণ করে। অধিকন্তু, হল এবং অন্য অনেকে দীর্ঘদিন ধরে এই ভুল বোঝাবুঝির বিরুদ্ধে যুক্তি দেখিয়েছেন যে পাঠ্য বিশ্লেষণ হল সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের একমাত্র পদ্ধতি এবং উপরে উল্লিখিত হিসাবে অন্যান্য অনেক পদ্ধতির অনুশীলন করেছে। রোজেক এবং টার্নার সাংস্কৃতিক অধ্যয়নে “রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঠিকতা সম্পর্কে নৈতিক শ্রেষ্ঠত্বের ধারনা” বলেও অভিযোগ তোলেন।

    পদার্থবিদ্যা (অ্যালান সোকাল)

    ১৯৯৬ সালে, পদার্থবিদ অ্যালান সোকাল একটি সাংস্কৃতিক অধ্যয়ন জার্নাল, সোশ্যাল টেক্সটে একটি প্রতারণামূলক নিবন্ধ জমা দিয়ে সাংস্কৃতিক অধ্যয়নের বিরুদ্ধে তার বিরোধিতা প্রকাশ করেছিলেন। নিবন্ধটি, যা সোকাল যাকে উত্তর- আধুনিকতার “ফ্যাশনেবল ননসেন্স” হিসাবে উল্লেখ করেছে তার মিথ্যা অভিনয় হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল, জার্নালের সম্পাদকদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল, যা সেই সময়ে পিয়ার রিভিউ অনুশীলন করেনি। কাগজটি ছাপা হলে, সোকাল একটি স্ব-বর্ণিত “একাডেমিক গসিপ” ম্যাগাজিনে একটি দ্বিতীয় নিবন্ধ প্রকাশ করে, লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা, সামাজিক পাঠ্যের উপর তার প্রতারণা প্রকাশ করে। সোকাল বলেছেন যে তার প্রেরণাটি বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদের সমসাময়িক সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করার কারণে উদ্ভূত হয়েছিল:[৫২]

    রাজনৈতিকভাবে, আমি ক্ষুব্ধ কারণ এই মূর্খতার বেশিরভাগই (যদিও সব নয়) স্বঘোষিত বামদের থেকে উদ্ভূত। আমরা এখানে একটি গভীর ঐতিহাসিক ভোল্ট-ফেস প্রত্যক্ষ করছি। গত দুই শতাব্দীর বেশির ভাগ সময় ধরে, বামপন্থীরা বিজ্ঞানের সাথে এবং অস্পষ্টবাদের বিরুদ্ধে চিহ্নিত হয়েছে; আমরা বিশ্বাস করেছি যে যৌক্তিক চিন্তা এবং বস্তুনিষ্ঠ বাস্তবতার নির্ভীক বিশ্লেষণ (প্রাকৃতিক এবং সামাজিক উভয়ই) ক্ষমতাবানদের দ্বারা প্রচারিত রহস্যময়তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তীক্ষ্ণ হাতিয়ার – তাদের নিজের অধিকারে কাঙ্খিত মানবিক পরিণতির কথা উল্লেখ না করা। অনেক “প্রগতিশীল” বা “বামপন্থী” একাডেমিক মানবতাবাদী এবং সমাজ বিজ্ঞানীদের এক বা অন্য রূপের জ্ঞানীয় আপেক্ষিকতার দিকে সাম্প্রতিক বাঁক এই যোগ্য ঐতিহ্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং প্রগতিশীল সামাজিক সমালোচনার জন্য ইতিমধ্যে ভঙ্গুর সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে। “বাস্তবতার সামাজিক নির্মাণ” সম্পর্কে তাত্ত্বিকতা আমাদের এইডসের একটি কার্যকর চিকিত্সা খুঁজে পেতে বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং প্রতিরোধের জন্য কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করবে না। আমরা সত্য ও মিথ্যার ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করলে ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে মিথ্যা ধারণার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি না।

    এই সমালোচনার জবাবে, জ্যাক দেরিদা লিখেছেন:[৫৩]

    দুঃখজনকভাবে, এটি প্রতিস্থাপিত কাজে অংশ নেওয়ার পরিবর্তে দ্রুত ব্যবহারিক রসিকতার জন্য যাওয়া, কার স্বার্থে ছিল?

    প্রতিষ্ঠার কর্ম

    হল এবং অন্যরা সাংস্কৃতিক অধ্যয়নে কিছু মূল উদ্ভব পাঠ্য বা মূল ” পাঠ্যক্রম ” চিহ্নিত করেছেন:

  • সামাজিক বিজ্ঞান

    সামাজিক বিজ্ঞান হচ্ছে জ্ঞানের এমন একটি শাখা যা সমাজ ও মানবিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করে।[১] সামাজিক বিজ্ঞানকে সাধারণত জ্ঞানের একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা যার মধ্যে রয়েছে নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, অপরাধ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষাবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমাজবিজ্ঞান, মানবিক ভূগোল, মনোবিজ্ঞানআইন, পরিবেশ বিজ্ঞান, সমাজকর্ম ও তুলনামূলক-সংস্কৃতি অধ্যয়ন এর মতো বিষয়গুলোও কখনো কখনো সামাজিক বিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়।


    কখনো কখনো বিশেষ ক্ষেত্রে সামাজিক বিজ্ঞান বলতে শুধুমাত্র সমাজবিজ্ঞান বোঝান হয়। এমিল ডুর্খাইম, কার্ল মার্ক্সমাক্স ভেবারকে সাধারণত আধুনিক সামাজিক বিজ্ঞানের মূল স্থপতি বলে বিবেচনা করা হয়।[২] দৃষ্টবাদী সামাজিক বিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানকে আধুনিক দৃষ্টিতে দেখেন এবং সমাজকে বোঝার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অন্যদিকে, ব্যাখ্যাবাদী সামাজিক বিজ্ঞানীরা অভিজ্ঞতা দ্বারা যাচাইযোগ্য তত্ত্ব প্রতিষ্ঠার বদলে সামাজিক সমালোচনা বা প্রতীকীমূলক ব্যাখ্যা দেন। তারা বিজ্ঞানকে ব্যাপক অর্থে ধরে নেন। তবে আধুনিক গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষকরা সাধারণত বহুদর্শনবাদী হয়ে থাকেন এবং গবেষণার ক্ষেত্রে পরিমাণাত্বক ও গুণাত্বক গবেষণা পদ্ধতির মিশেল ব্যবহার করেন। বিভিন্ন বিভাগ ও বিষয়ের সংশ্লিষ্ট মানুষ বর্তমানে সামাজিক গবেষণার লক্ষ্য ও পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন যা সামাজিক গবেষণাকে একটি স্বাতন্ত্র্য দান করেছে। ব্যাপক অর্থে সমাজ বিজ্ঞান কে সংজ্ঞায়িত করলে বলা যায় যে সমাজ বিজ্ঞান হল মানবসমাজের একটি বস্তুনিষ্ঠ যুক্তিসিদ্ধ বিচার ও নিয়ম ভিত্তিক চর্চা।

  • সারের ইতিহাস

    সারের ইতিহাস মূলত তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যগত ব্যবহার দ্বারা ব্যাপকভাবে আকার ধারণ করেছে। পরবর্তীতে রাসায়নিকভাবে সংশ্লেষিত সারের ক্রমবিকাশের ফলে পরিবেশগত পরিস্থিতির একটি আমূল পুনর্নির্মাণ ঘটেছে।[১][২][৩]

    ইতিহাস

    মিশরীয়, রোমানীয়, ব্যাবিলনীয় এবং প্রথম দিকের জার্মান সবাই তাদের খামারের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য খনিজ এবং/বা সার ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। মাটির কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কাঠের ছাই-এর ব্যবহার ব্যাপক আকার ধারণ করে।[৪]

    উনিশ শতকে পক্ষিমল সার যা আন্দিজে কমপক্ষে ১৫০০ বছর ধরে বিদিত এবং ব্যবহৃত ছিল, পেরু এবং চিলি (এবং পরে নামিবিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে) থেকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা হয়।

    ইউরোপের মূল ব্যক্তিত্ব

    ১৭৩০ এর দশকে ভিসকাউন্ট চার্লস টাউনশ্যান্ড (১৬৭৪–১৭৩৮) প্রথমে চারটি ফসল চক্রাবর্ত ব্যবস্থার উন্নতির ফলাফল নিয়ে গবেষণা করেন যা তিনি ফ্ল্যাণ্ডার্সে ব্যবহার করে নিরীক্ষণ করেন। এ জন্য তিনি টুর্নিপ টাউনশ্যান্ড উপাধি অর্জন করেন।

    জোহান ফ্রেডরিচ মেয়ার

    জোহান ফ্রিডরিচ মেয়ার (১৭১৯–১৭৯৮) পৃথিবীর সামনে প্রথম গবেষণার একটি ক্রম কৃষির সাথে জিপসামের সম্পর্কের উপর উপস্থাপন করেন এবং উনবিংশ শতাব্দীতে অনেক রসায়নবিদ তাকে অনুসরণ করেন। যাহা হউক উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তার ক্রিয়া পদ্ধতি সম্পর্কে প্রচুর মতামত রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ:[৫]

    • ফরাসি কৃষিবিদ ভিক্টর ইয়ার্ট (১৭৬৩-১৮৩১)[৬] বিশ্বাস করেন যে জিপসামের ক্রিয়াটি সালফিউরিক অ্যাসিডের একচেটিয়া প্রভাব, যা এর সংমিশ্রণের অংশভুক্ত; এবং এই মতামত প্রমাণ করে যে জমির ছাই, যা লোহার সালফেট এবং অ্যালুমিনার সালফেট ধারণ করে, উদ্ভিদসমূহের উপর জিপসামের মতো একই কাজ করে।[৫]
    • ফরাসী কৃষিবিদ চার্লস ফিলিবার্ট দে লাস্টেরি (১৭৫৯–১৮৪৯) পর্যবেক্ষণ করেন যে সমস্ত উদ্ভিদের মূল মাটির পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে সে সকল উদ্ভিদ জিপসাম চুন দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে, তিনি উপসংহারে পৌঁছান যে জিপসাম বায়ুমণ্ডল থেকে উদ্ভিজ্জ জীবনের জন্য উপাদানসমূহ আহরণ করে এবং এগুলিকে সরাসরি উদ্ভিদে স্থানান্তর করে।[৫]
    • লুই অগস্টিন গিলিয়াম বস্ক জানান যে জিপসামের পচনশীলতা গুণ (যা তিনি মঞ্জুর করেন) গাছপালার উপর এর কাজ সর্বোত্তমভাবে ব্যাখ্যা করে; তবে এই মতামত ডেভির গবেষণা দ্বারা ভুল প্রমাণিত হয়।
    • হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেছেন যে দুই খন্ড কিমা করা বাছুরের মাংসের মধ্যে একটির সাথে জিপসাম মিশ্রিত করা হয়, অন্য খন্ডটিকে একই ভাবে রেখে দেওয়া হয় এবং উভয়ই খন্ডকে সূর্যের আলোতে ক্রিয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়, দেখা যায় যে দ্বিতীয় অংশটি প্রথম পচন ধরার লক্ষণ প্রদর্শন করছে। এই বিষয়ে ডেভির নিজস্ব ধারণা, এটি উদ্ভিদের খাবারের অংশ হিসাবে তৈরি হয়, উদ্ভিদে গৃহীত হয় এবং এর সাথে সংযুক্ত হয়।[৫]

    মেয়ার শস্য চক্রের নতুন পদ্ধতিও উন্নীত করেন।[৭]

    জাস্টাস ফন লাইবিগ

    রসায়নবিদ জাস্টাস ফন লাইবিগ (১৮০৩-১৮৭৩) উদ্ভিদের পুষ্টি বোঝার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রাখেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ প্রথমে হিউমাসের জীবনী তত্ত্বকে নিন্দা করে, অ্যামোনিয়ার গুরুত্ব নিয়ে তর্ক করে এবং পরে উদ্ভিদের পুষ্টিতে অজৈব খনিজসমূহের গুরুত্ব প্রচার করে।[৮] প্রাথমিকভাবে লাইবিগের কাজ পরবর্তী ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষি বিজ্ঞানের প্রশ্নসমূহের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সফল হয়েছিল।

    তিনি ইংল্যান্ডে অস্থিচূর্ণ যুক্ত সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে ফসফেট চুন ব্যবহার করে তৈরি করা সারের মাধ্যমে তাঁর তত্ত্বকে বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। যদিও এটি সেই সময় ব্যবহৃত পক্ষিমলসারে চেয়ে অনেক কম ব্যয়বহুল ছিল, তবুও এটি ব্যর্থ হয় কারণ এটি শস্য সঠিকভাবে শোষণ করতে সক্ষম হতো না।

    স্যার জন বেনেট লয়েস

    জন বেনেট লয়েস একজন ইংরেজ উদ্যোক্তা (তাঁর জীবন ও কাজের সময়ক্রম দেখুন), তিনি ১৮৩৭ সালে পাত্রে জন্মানো উদ্ভিদের উপর বিভিন্ন সারের প্রভাব সম্পর্কে পরীক্ষা শুরু করেন এবং এক বা দু’বছর পরে গবেষণা জমির ফসলের উপর সম্প্রসারিত করেন। তার তাত্ক্ষণিক ফলাফল হলো ১৮৪২ সালে তিনি সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে ফসফেটের ব্যবহার করে একটি সার তৈরি করে তার পেটেন্ট করেন এবং এভাবেই প্রথম কৃত্রিম সার শিল্প তৈরি হয়।[৯] পরবর্তী বছরে তিনি জোসেফ হেনরি গিলবার্টের কাজ তালিকাভুক্ত করেন, যিনি জিসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইবিগের অধীনে পড়াশোনা করেছিলেন, রথ্যামস্টেড এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনে গবেষণা পরিচালক হিসাবে কাজ করেছে, যেটি তিনি তাঁর এস্টেটে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ পর্যন্ত এই যুগল প্রতিষ্ঠিত রথ্যামস্টেড গবেষণা কেন্দ্রটি এখনও ফসলের ফলনের উপর অজৈব এবং জৈব সারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে।[১০]

    জিয়ান ব্যাপটিস্ট বুসিনগাল্ট

    ফ্রান্সে জিয়ান ব্যাপটিস্ট বুসিনগাল্ট (১৮০২-১৮৮৭) নির্দিষ্ট করেন যে বিভিন্ন ধরনের সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ।

    ধাতুবিদ্যাবিশারদ পার্সি গিলক্রিস্ট (১৮৫১-১৯৩৫) এবং সিডনি গিলক্রিস্ট থমাস (১৮৫০-১৮৮৫) গিলক্রিস্ট-থমাস প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যে প্রক্রিয়ায় ইস্পাত তৈরিতে উচ্চ ফসফরাস অ্যাসিডিক কন্টিনেন্টাল আকরিকগুলি সক্ষম করে। উত্পাদনযন্ত্রে ডলোমাইট চুনের আস্তরণের সময় ক্যালসিয়াম ফসফেটে পরিণত হয়, এটি থমাস-ফসফেট নামে পরিচিত যা সার হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।

    বার্কল্যান্ড-আইড প্রক্রিয়া

    ১৭৮৪ সালে হেনরি ক্যাভেনডিশের ব্যবহৃত পদ্ধতির ভিত্তিতে ১৯০৩ সালে নরওয়ের শিল্পপতি ও বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান বার্কল্যাণ্ড তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার স্যাম আইডের সাথে বার্কল্যাণ্ড–আইড প্রক্রিয়াটি তৈরি করেন।[১১] এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নাইট্রিক অ্যাসিডে (HNO3) বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন (N2) ব্যবহার করা হয়, এটি সাধারণত নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণ নামে পরিচিত। এর ফলে নাইট্রিক অ্যাসিডটি কৃত্রিম সার উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হত। বৃহৎ জলবিদ্যুৎ শক্তি সুবিধাসম্পন্ন ভবনের সাথে মিলিত ভাবে এই প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে নরওয়ের রজুকান এবং নটোডডেনে কারখানা নির্মিত হয়।[১২] শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি অদক্ষ এবং বর্তমানে এটি হেবার প্রক্রিয়া দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।[১৩]

    হেবার প্রক্রিয়া

    বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে নোবেল পুরস্কার বিজয়ি রসায়নবিদ আইজি ফারবেন এর কার্ল বস এবং ফ্রিটজ হেবার হেবার প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটান[১৪] যাতে নাইট্রোজেন অণু (N2) এবং মিথেন (CH4) গ্যাস দ্বারা অর্থনৈতিকভাবে সহনীয় অ্যামোনিয়া (NH3)সংশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়। হেবার প্রক্রিয়াতে উৎপাদিত অ্যামোনিয়া অস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়ার মূল কাঁচামাল।

    অস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়া

    ওস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়া হলো নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) উৎপাদনের একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, উইলহেলম অস্টওয়াল্ড এই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেন (১৯০২ সালে পেটেন্ট করান)। এটি আধুনিক রাসায়নিক শিল্পের মূল ভিত্তি এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে প্রচলিত সার উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করে (উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রচলিত সার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, এটি নাইট্রিক অ্যাসিডের সাথে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়)। ঐতিহাসিক ও ব্যবহারিকভাবে এটি হেবার প্রক্রিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যা প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অ্যামোনিয়া (NH3) সরবরাহ করে।

    এরলিং জনসন

    ১৯২৭ সালে এরলিং জনসন নাইট্রোফসফেট উৎপাদনের জন্য একটি শিল্প পদ্ধতি তৈরি করেন, এটি ওড্ডা প্রক্রিয়া নামেও পরিচিত। এই প্রক্রিয়ায় অম্লীয় ফসফেট শিলার (দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নাউরু এবং বানাবা দ্বীপপুঞ্জ থেকে সংগৃহীত) সাথে নাইট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ার ফলে ফসফরিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম নাইট্রেট উৎপাদতি হয় যাকে একসময় প্রশমিত করে নাইট্রোজেন সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

    শিল্প

    একটি অ্যামোনিয়া উৎপাদনযন্ত্র

    ব্রিটিশ

    রসায়ন এবং জীবাশ্র্মবিজ্ঞানের উন্নয়নে পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়ায় বাণিজ্যিক পরিমাণে কপ্রোলাইট আবিষ্কৃত হয়, ফিজনস এবং প্যাকার্ড ১৮৫০ এর দশকে সুপারফসফেটস তৈরি করতে ব্র্যামফোর্ডে এবং সাফল্কের স্নেপ এ সালফিউরিক এসিড এবং সার কারখানা তৈরি করতে নেতৃত্ব দেন, যা থেকে বিশ্বব্যাপী ইপসুইচ বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হতো। ১৮৭১ সালের মধ্যে প্রায় ৮০ টি কারখানায় সুপারফসফেট তৈরি হয়।[১৫]

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে গুয়ানো থেকে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হওয়ায় এই ব্যবসা প্রতিযোগিতামূলক চাপের মধ্যে পড়ে, এটি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহে পাওয়া যায় এবং তাদের নিষ্কাশন ও বিতরণ অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়ে উঠে।

    দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে[১৬] সাম্রাজ্যিক রাসায়নিক শিল্পকারখানার উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা দেখা যায় যারা ১৯২৩ সালে কৃত্রিম অ্যামোনিয়াম সালফেট, ১৯২৭ সালে নাইট্রো-চক এবং ১৯৩১ সালে অ্যামোনিয়াম ফসফেটের উপর ভিত্তি করে সিসিএফ (ঘনীভূত পরিপূর্ণ সার) নামে একটি আরও ঘনীভূত এবং অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক সার উৎপাদন করে।[১৭] প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ ছিল কারণ আইসিআই বিশ্বের বেশিরভাগ অ্যামোনিয়াম সালফেট এর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতো।

    উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহ

    ১৮১২ সালে সালামানকা (স্পেন) এ প্রতিষ্ঠিত কম্পোস্ট সার এবং রাসায়নিক সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিরাত, এটি প্রাচীনতম শিল্প ব্যবসা বলে দাবি করা হয়।

    অন্যান্য ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার সার কারখানাগুলি বাজারের তাদের অংশদারিত্বের উন্নতি করেছিল, বিলাতী অগ্রণী সংস্থাগুলিকে একীভূত করতে বাধ্য করে, ১৯২৯ সালে ফিসন, প্যাকার্ড এবং প্রেন্টিক লিমিটেড উঠে আসে। ১৯৩৪ সালে তারা একসাথে ইপ্সউইচে তাদের নতুন কারখানা এবং গভীর-জলের ডক থেকে প্রতি বছর ৮৫,০০০ টন সুপারফসফেট উৎপাদন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে তারা ১৯৩৫ সালের হ্যাডফিল্ড সহ প্রায় ৪০ টি সংস্থা অধিগ্রহণ করে, এবং দু’বছর পরে ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশাল অ্যাংলো-কন্টিনেন্টাল গুয়ানো ওয়ার্কস অধিগ্রহণ করে।

    যুদ্ধোত্তর সময়ে “সবুজ বিপ্লব” এর ফলে এবং উচ্চতর নাইট্রোজেন-শোষণকারী নতুন ধরনের বীজ, বিশেষত উচ্চফলনশীল ভুট্টা, গম এবং ধানের জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় উৎপাদনের পরিমান অনেক বৃদ্ধি পায়। এটি শক্তিশালী জাতীয় প্রতিযোগিতা উন্নয়ের সাথে রয়েছে কার্টেলের অভিযোগ এবং একচেটিয়া সরবরাহের অভিযোগ এবং শেষ পর্যন্ত সংযুক্তি এবং অধিগ্রহণের আরও একটি ঢেউ। হোল্ডিং সংস্থা বা ব্র্যান্ডের নাম ব্যতীত মূল নামগুলির অস্তিত্ব আর নেই: ফাইসনস এবং আইসিআই এগ্রোকেমিক্যালস আজকের ইয়ারা ইন্টারন্যাশনাল[১৮] এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার অংশ।

    এই বাজারের বর্তমানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আছে রাশিয়ান সার কোম্পানী উরালকলি (লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার প্রাক্তন প্রধান মালিক দিমিত্রি রাইবোলোভলেভ ২০০৮ সালের ফোবর্সের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৬০ তম স্থানে ছিলেন।

  • জাতিগত ইতিহাস

    জাতিগত ইতিহাস সামাজিক ইতিহাসের একটি শাখা যা নৃগোষ্ঠী এবং অভিবাসীদের নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করে। বরকান (২০০৭) যুক্তি দেখিয়েছেন যে এই ক্ষেত্রটি ঐতিহাসিকদের ব্যাখ্যার বিকল্প মডেল ব্যবহার করতে, গুণগত এবং পরিমাণগত তথ্য একত্রিত করতে, ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিতে সমাজতাত্ত্বিক মডেল প্রয়োগ করতে, আরও গভীরভাবে ম্যাক্রো-স্তরের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলি পরীক্ষা করতে এবং বিশেষত জাতিগত গোষ্ঠীগুলির সাথে সহানুভূতি লাভ করার অনুমোদন দেয়।

    ক্ষেত্রের সংজ্ঞা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় জাতিগত ইতিহাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক পিএইচডি গবেষণা পরিচালক অস্কার হ্যান্ডলিন (জ. ১৯১৫) ছিলেন জাতিগত ঐতিহাসিকতার একজন গুরুত্বপূর্ণ পথিকৃৎ এবং পৃষ্ঠপোষক। হ্যান্ডলিনের পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্ত দ্য আপ্রোয়েটেডএর (১৯৫১) ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল।[১]

    প্রধান এনসাইক্লোপিডিয়াগুলো এই ক্ষেত্রটি সংজ্ঞায়িত করতে সহায়তা করেছে; ১৯৮০ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে হ্যান্ডলার একটি প্রকাশনি স্পনসর করে যেটি মিডিয়াতে ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছিল কারণ এটি আমেরিকানদের মূলের প্রতি আগ্রহের সাথে জড়িত।[২][৩]

    পেরিন (১৯৮৩) কানাডিয়ান নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের ইতিহাসগ্রন্থের দিকে তাকিয়ে দুটি বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যেও একটি অধিকতর স্থিতিশীল এবং অভিবাসী সংস্কৃতিগুলি কীভাবে পুরোনো বিশ্বের প্রতিলিপি তৈরি করে তার দিকে জোর দেয়। এই পদ্ধতির ফিলিওপ্যাটিস্টিক হতে থাকে। এই বিকল্প পদ্ধতিটি শ্রম, নগর ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ইতিহাসবিদদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি অভিবাসী সম্প্রদায়কে একটি উত্তর আমেরিকান মূল বিষয় হিসাবে দেখায় এবং এটিকে কানাডিয়ান সংস্কৃতির মূল স্রোতে সংহত করে।[৪]

    ম্যাকডোনাল্ড (২০০) মার্কিন নৃগোষ্ঠীর ইতিহাসের বিষয়ে পণ্ডিতের জন্য আগ্রহের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে: জাতিগততার উৎস এবং অর্থ, বিশেষত এটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বা উদ্ভাবিত কিনা তা ইস্যু; জাতিগত বৈচিত্রের উৎস (যেমন বিজয়, অভিবাসন, স্বেচ্ছাসেবী স্থানান্তর); জাতিগত অভিযোজনের মডেল (বিশেষত গলিত পট, মোজাইক, সালাদ বাটি এবং ক্যালিডোস্কোপ রূপক); আলোচ্য দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ফ্যাব্রিক মধ্যে জাতিগত সংহতকরণ; এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বেঁচে থাকার কৌশলগুলি সহ শ্রেণি এবং লিঙ্গের মতো প্রতিযোগিতামূলক ফর্মগুলির প্রতিক্রিয়া। [৫]

    অভিবাসীরা দেশে ফিরে স্বজনদের যেসব চিঠি লিখেছেন সেগুলো পড়ে অনেক গবেষণা করা হয় যাথেকে তাদের নতুন জীবনের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির তুলনা করা যায়।[৬]

    উল্লেখযোগ্য প্রবণতা হলো আটলান্টিক ইতিহাস,[৭] শ্রম ইতিহাস বা মহিলাদের ইতিহাসের মতো অন্যান্য নতুন ঐতিহাসিক প্রবণতাগুলির সাথে জাতিগত ইতিহাসকে সংহত করা।

    সংস্থা

    • ইমিগ্রেশন অ্যান্ড এথনিক হিস্ট্রি সোসাইটি ১৯৬৫ সালে গঠিত হয়েছিল এবং এটি লাইব্রেরি ও এর ৮২৯ জন সদস্যদের জন্য একটি জার্নাল প্রকাশ করেছে।[৮]
    • ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান কনফারেন্স ফর আইরিশ স্টাডিজের ১৭০০ সদস্য এবং মাঝে মাঝে প্রকাশনা রয়েছে তবে কোনো জার্নাল নেই। [৯]
    • আমেরিকান ইতালিয়ান ঐতিহাসিক সমিতি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর ৪০০ সদস্য রয়েছে; এটিও কোনো জার্নাল প্রকাশ করে না।[১০]
    • মার্কিন ইহুদি ঐতিহাসিক সমিতি হলো ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম জাতিগত সমিতি; এর ৩,৩০০ সদস্য রয়েছে এবং আমেরিকান ইহুদি ইতিহাস নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করে।[১১]
    • পোলিশ আমেরিকান ঐতিহাসিক সমিতি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং প্রতি বছর দু’বার রেফার্ড করা পণ্ডিত জার্নাল একটি নিউজলেটার এবং পোলিশ আমেরিকান স্টাডিজ প্রকাশ করে। [১২]
    • এইচ-এথনিক একটি দৈনিক আলোচনার তালিকা যা ১৯৯৩ সালে ১৪০০ সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; এটি বিশ্বব্যাপী জাতিগততা এবং মাইগ্রেশন সম্পর্কিত বিষয়গুলি আয়ত্ত করে। [১৩]

    মন্তব্য

    Oscar Handler and Mary F. Handler, “The New History and the Ethnic Factor in American Life,” Perspectives in American History, 1970, Vol. 4, pp 5-24 Stephan Thernstrom, ed. Harvard Encyclopedia of American Ethnic Groups (1980) excerpt and text search Paul R. Magocsi, ed. Encyclopedia of Canada’s peoples (1999) excerpt and text search Roberto Perin, “Clio as Ethnic: The Third Force in Canadian Historiography,” Canadian Historical Review, Dec 1983, Vol. 64 Issue 4, pp441-467 Jason McDonald. American Ethnic History: Themes and Perspectives. (2007), আইএসবিএন৯৭৮-০-৮১৩৫-৪২২৭-০ Walter D. Kamphoefner, “Immigrant Epistolary and Epistemology: On the Motivators and Mentality of Nineteenth-Century German Immigrants.” Journal of American Ethnic History (2009): 34-54. in JSTOR, on deep-reading their letters Colin Kidd, British Identities before Nationalism: Ethnicity and Nationhood in the Atlantic World, 1600-1800 (1999) See Immigration and Ethnic History Society See American Conference for Irish Studiesওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০১১-০১-০৯ তারিখে See American Italian Historical Associationওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে See American Jewish Historical Society and journalওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১২ মে ২০২২ তারিখে See PAHA websiteওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০১৭-১২-২৩ তারিখে

    1. see H-ETHNIC wite

    গ্রন্থপঞ্জী

    • বরকান, এলিয়ট আর। “চেঞ্জিং বর্ডারস, মুভিং বাউন্ডারিস: পঞ্চাশ বছর অন্তর্দ্বন্দ্বী ও বহু-জাতিগত গবেষণা থেকে পাঠ,” আমেরিকান এথনিক ইতিহাসের জার্নাল, জানুয়ারী 2007, খণ্ড। 26 সংখ্যা 2, পিপি 85-99
    • গ্যাব্যাকিয়া, ডোনা আর এবং রুইজ, ভিকি এল।, এড। আমেরিকান ড্রিমিং, গ্লোবাল রিয়ালিটিস: ইউএস ইমিগ্রেশন ইতিহাসের পুনর্বিবেচনা
    • গ্লাজিয়ার, মাইকেল, এড। আমেরিকাতে আইরিশ-এর এনসাইক্লোপিডিয়া (১৯৯)), ২০০-র উপরে বিশেষজ্ঞের নিবন্ধ, ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট উভয়কেই কভার করে।
    • হোয়ার্ডার, ডার্ক “১৮৮০ থেকে ১৯62২ সাল পর্যন্ত কানাডায় জাতিগত পড়াশোনা: একটি ographতিহাসিক নিদর্শন এবং সমালোচনা,” কানাডিয়ান এথনিক স্টাডিজ, ১৯৯৪, খণ্ড। 26 সংখ্যা 1, পিপি 1-18
    • লেভিনসন, ডেভিড। জাতিগত গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী: একটি প্রস্তুত রেফারেন্স হ্যান্ডবুক, (1998), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৩৫৬-০১৯-১
    • ম্যাকডোনাল্ড, জেসন আমেরিকান জাতিগত ইতিহাস: থিম এবং দৃষ্টিভঙ্গি । (2007) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৩৫-৪২২৭-০ [১]
    • মাগোসি, পল রবার্ট, এড। কানাডার পিপলস এর এনসাইক্লোপিডিয়া (১৯৯৯), প্রায় সমস্ত নৃগোষ্ঠীর জন্য বিস্তৃত বিদ্বান গাইড
    • মিনাহান, জেমস একটি ইউরোপ, বহু দেশ: ইউরোপীয় জাতীয় গোষ্ঠীর একটি historicalতিহাসিক অভিধান (2000), আইএসবিএন ০-৩১৩-৩০৯৮৪-১
    • Landভারল্যান্ড, Orm, এড। কেবল ইংলিশ নয়: আমেরিকান স্টাডিজে “আমেরিকান” এর নতুন সংজ্ঞা দেওয়া (আমস্টারডাম: ভিইউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, 2001)। 202 পিপি।
    • পামার, হাওয়ার্ড “1970 এবং 1980 এর দশকে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন এবং জাতিগত ইতিহাস,” আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা, পতন 1981, খণ্ড। 15 সংখ্যা 3, পিপি 471 47501
    • থারনস্ট্রম, স্টিফান, এডি। আমেরিকান জাতিগত গোষ্ঠীর হার্ভার্ড এনসাইক্লোপিডিয়া (1980) অংশ এবং পাঠ্য অনুসন্ধান

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • গ্রামীণ ইতিহাস

    গ্রামীণ ইতিহাস হলো গ্রামীণ সমাজের ইতিহাস কেন্দ্রিক ঐতিহাসিক গবেষণার একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র। প্রতিষ্ঠার সময়, এই ক্ষেত্রটি ছিলো কৃষি-অর্থনৈতিক ইতিহাসভিত্তিক। ১৯৮০ এর দশক থেকে এটি ক্রমশ সামাজিক ইতিহাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অর্থনৈতিক দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা “কৃষি ইতিহাস” থেকে সরে এসেছে। এটিকে নগর ইতিহাসের সমতুল্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

    গ্রামীণ ইতিহাসের প্রচারের জন্য প্রচুর শিক্ষায়তনিক সাময়িকী (একাডেমিক জার্নাল) এবং বিদ্বৎসমাজ (শিখন সমাজ) রয়েছে।

    ইতিহাস

    ১৯৮০ এর দশকে গ্রামীণ ইতিহাস কৃষির ইতিহাস থেকে স্বতন্ত্র শাখা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ফরাসি অ্যানালিস স্কুল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসকে একীকরণের পক্ষে ছিল। [১] প্রাথমিকভাবে এটি গ্রামীণ জীবনের সামাজিক ইতিহাসের দিকে মনোনিবেশ করে এবং পরে ক্রমশ সাংস্কৃতিক ইতিহাসে আগ্রহী হয়ে ওঠে। [১]

    ইউরোপে গ্রামীণ ইতিহাস অধ্যয়নকে ইউরোপীয় গ্রামীণ ইতিহাস সংস্থা (ইআরএইচও) পরিচালনা করে থাকে।

    জাতীয় অধ্যয়ন

    ব্রিটেন

    বুর্চার্ড (২০০৭) ইংরেজি গ্রামীণ ইতিহাসের অবস্থা মূল্যায়ন করেন এবং একটি “অর্থোডক্স” বিদ্যালয়ের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করেন যা প্রধানত কৃষির অর্থনৈতিক ইতিহাস নিয়ে কাজ করে। একটি ভিন্নধারার ঐতিহ্য থেকে একটি চ্যালেঞ্জ এসেছিল যা প্রধানত কৃষির অগ্রগতির ঋণাত্মক সামাজিক ব্যয়ের প্রতি নজর দিয়েছিলো, বিশেষত ঘেরের (বেড়া বা বেষ্টনী) বিষয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সেখানে একটি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা রুরাল হিস্টোরিজ সাময়িকীর সাথে যুক্ত। অর্থোডক্স ঐতিহাসিকরা কৃষি বিপ্লবের পর থেকে আউটপুট এবং উত্পাদনশীলতার বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ধারণ ও ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে “চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি” করেছিলেন। অ্যালুন হকিন্সের দিকনির্দেশনায়,[২] এটি গ্রামীণ ব্রিটেনকে একটি বিস্তৃত সামাজিক ইতিহাসের সাথে যুক্ত করেছে। বার্চার্ড ২০তম শতাব্দীর গ্রামীণ জীবনকে রুপদানকারী সংস্কৃতি ও প্রতিনিধিত্বমূলক দিকগুলিতে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে একটি নতুন গ্রামীণ ইতিহাসের আহ্বান জানিয়েছেন। [৩]

    যুক্তরাষ্ট্র

    বাস্ক অঞ্চলের কৃষকরা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ গ্রামীণ ইতিহাস দক্ষিণ অঞ্চলের দিকেই মনোনিবেশ করেছে—১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত যা প্রবলভাবে গ্রাম্য ছিলো। তবে উত্তর অঞ্চলেরও একটি “নতুন গ্রামীণ ইতিহাস” রয়েছে। কৃষিনির্ভর পুঁজিবাদী হওয়ার পরিবর্তে কৃষকরা পরিবার ও সম্প্রদায়ের উপর জোর দেওয়া প্রাক-প্রাকৃতিক পুঁজিবাদী মূল্যবোধকে ধরে রেখেছিল। গ্রামীণ অঞ্চল জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছিলো; আত্মীয়তার সম্পর্কগুলি গ্রামীণ অভিবাসী জনবসতি এবং সম্প্রদায়ের কাঠামো নির্ধারণ করেছিলো; এবং খামারের কাজকে মহিলাদের কাজ হিসাবে উত্সাহিত করেছিল। এই অনুসন্ধানগুলি পুরোনো সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পাওয়া ইতিহাসের পাশাপাশি নতুন নগর ইতিহাসের সাথেও তীব্র বৈপরীত্যমূলক।[৪]

    ২০তম শতাব্দীতে যান্ত্রিকীকরণের আগমনের ফলে গ্রামীণ কৃষিতেও আধুনিকীকরণ এসেছিল। মডেল টি (T), কৃষি প্রতিনিধি (এজেন্ট) এবং পাশাপাশি বেতারযন্ত্রও (রেডিও) এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।[৫]

    ফ্রান্স

    ১৯২০ এর দশক থেকেই গ্রামীণ ইতিহাস ফরাসি পণ্ডিতদের কাছে একটি প্রধান বিশেষ বিষয় হয়ে আছে, এজন্য বিশেষত আনালেস স্কুলের কেন্দ্রীয় ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর জার্নাল আনালেস সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস, পরিসংখ্যান, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, পারিবারিক অধ্যয়ন এবং এমনকি মনোবিশ্লেষণ থেকে শনাক্তকরণপূর্বক ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সমন্বয়ের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। [৬]

    বিশেষায়িত জার্নাল

    গ্রামীণ ইতিহাসের উপর একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবিন্দু নিয়ে একাধিক একাডেমিক জার্নাল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

    • কৃষি ইতিহাস (১৯২৭–), যুক্তরাষ্ট্র
    • কৃষি ইতিহাস পর্যালোচনাকৃষি ও পল্লী ইতিহাসের একটি জার্নাল (১৯৫৩–), যুক্তরাজ্য
    • হিস্টোয়ার এবং সোসাইটিস রুরালস (১৯৯০–), ফ্রান্স
    • গ্রামীণ ইতিহাস। অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি (১৯৯০–), যুক্তরাজ্য

    গ্রন্থপঞ্জি

    • ব্লাচ, মার্ক। ফরাসি গ্রামীণ ইতিহাস: এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলির একটি প্রবন্ধ (১৯৬৬) সংক্ষিপ্তসার এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • ব্লুম, জেরোম গ্রামীণ ইউরোপে পুরানো আদেশের সমাপ্তি (১৯৭৮) পৃ. ৫০৫
    • ব্রেনার, রবার্ট “প্রাক-শিল্প ইউরোপে কৃষি শ্রেণিবদ্ধ কাঠামো এবং অর্থনৈতিক বিকাশ”। অতীত এবং বর্তমান ৭০ (১৯৭৬), পৃ; ৩-৭৪, বিতর্কিত “ব্রেনার থিসিস” এর প্রভাবশালী বক্তব্য যে ক্ষুদ্রতর কৃষকরা জমির অধিকারের অধিকারী ছিল এবং প্রচলিত প্রযুক্তি ছেড়ে দিতে বা স্থানীয় বাজারের বাইরে যাওয়ার জন্য তেমন উত্সাহ ছিল না এবং এভাবেই পুঁজিবাদের প্রতিও কোন উত্সাহ ছিল না।
    • সিপোল্লা, শিল্প বিপ্লবের আগে মুখ্যমন্ত্রী ড ইউরোপীয় সমাজ এবং অর্থনীতি, ১০০০-১৭০০ (দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৭৬)
    • ফেদেরিকো, জিওভান্নি। বিশ্বকে খাওয়ানো: বিশ্ব কৃষির একটি অর্থনৈতিক ইতিহাস, ১৮০০-২০০০। (২০০৫)। পৃ. ৩৮৮ উদ্ধৃতাংশ এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • ফরস্টার, আর, এবং ও রানাম, এডিএস। ফ্রান্সের গ্রামীণ সমাজ। আনালেস অর্থনীতি, সমাজ, সভ্যতা থেকে নির্বাচন (১৯৭৭)।
    • গুডি, জ্যাক, জোয়ান থারস্ক এবং ইপি থম্পসন, এডিএস। পরিবার এবং উত্তরাধিকার: পশ্চিম ইউরোপের গ্রামীণ সোসাইটি, ১২০০-১৮০০ (১৯৭৬)।
    • গ্রাস, নরম্যান ইউরোপ ও আমেরিকার কৃষির ইতিহাস, (১৯২৫)। অনলাইন সংস্করণ
    • হের, রিচার্ড, এড। পশ্চিমা বিশ্বের গ্রামীণ ইতিহাসের থিমস (১৯৯৩) (হেনরি অ্যা ওয়ালাস সিরিজ অ্যাগ্রিকালচারাল হিস্ট্রি অ্যান্ড পল্লী স্টাডিজ) সংক্ষিপ্তসার এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • হফম্যান; একটি মধ্যযুগীয় পল্লীতে রিচার্ড সি ল্যান্ড, লিবার্টিজ এবং লর্ডশিপ: কৃষি স্ট্রাকচারস অ্যান্ড চেচ অফ ডুচি অফ রোকলা (১৯৮৯), মধ্যযুগীয় পোল্যান্ড অনলাইন সংস্করণ
    • লেআরয় লাডুরি, ই। দ্য পেজেন্টস অফ ল্যাঙ্গুইডোক (১৯৭৪), মধ্যযুগীয় ফ্রান্স
    • লুডেন, ডেভিড। দক্ষিণ এশিয়ার একটি কৃষি ইতিহাস (১৯৯৯) অনলাইন সংস্করণ
    • ভিনজে, ভিক্টর কন্ডোসার্ট। উত্তরের বহুমুখী কৃষকরা; অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক শক্তির জন্য নরওয়েজিয়ান ইয়েমেনের স্ট্রাগল, ১৭৫০-১৮১৪ (২০১৪) নিসাস পাবলিকেশনস।

    ব্রিটেন

    • বাটলিন, আরএ দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ রুরাল ইংল্যান্ড, ১৫৮০-১৮০০: ঐতিহাসিক ভূগোলের একটি গবেষণা (১৯৮২)
    • হানাওয়াল্ট, বারবারা এ । টাইস দ্যা বাউন্ড। মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের কৃষক পরিবার (১৯৮৬)
    • হিল্টন, আরএইচ পরবর্তী যুগের ইংরেজ কৃষক (১৯৭৫)।
    • হাওকিন্স, আলুন পল্লী ইংল্যান্ড পুনঃনির্মাণ ১৮৫০-১৯২৫ (১৯৯২)
    • হাওকিন্স, আলুন দি ডেথ অফ পল্লী ইংল্যান্ড: ১৯০০ সাল (২০০৩) অনলাইন সংস্করণ থেকে পল্লীর এক সামাজিক ইতিহাস
    • কুসমৌল, অ্যান। আদি আধুনিক ইংল্যান্ডে স্বামী-দাসীরা (১৯৮১)
    • মিঙ্গা, জিই, এড। ভিক্টোরিয়ান পল্লী (২য় খণ্ড ১৯৮১)
    • টেলর, ক্রিস্টোফার গ্রাম এবং ফার্মস্টেড ইংল্যান্ডের গ্রামীণ বন্দোবস্তের ইতিহাস (১৯৮৩)।

    যুক্তরাষ্ট্র

    • আমেরিকান কৃষির সাইক্লোপিডিয়া; এলএইচ বেইলি সম্পাদিত কৃষির অবস্থার একটি জনপ্রিয় সমীক্ষা, ৪র্থ খণ্ড ১৯০৭-১৯০৯। অনলাইন সংস্করণ অত্যন্ত দরকারী সংকলন
    • ব্যারন, হাল এস মিক্সড হারভেস্ট: পল্লী উত্তরের দ্বিতীয় দুর্দান্ত রূপান্তর, ১৮৭০-১৯৩০ (১৯৯৭) অনলাইন সংস্করণ
    • বোয়ার্স, উইলিয়াম এল । আমেরিকাতে কান্ট্রি লাইফ মুভমেন্ট, ১৯০০-১৯২০ (১৯৭৪)
    • ব্রুনার, এডমন্ড ডি শোয়েঞ্জ। গ্রামীণ সামাজিক প্রবণতা (১৯৩৩) অনলাইন সংস্করণ
    • ড্যানবম, ডেভিড বি । দেশে জন্ম: গ্রামীণ আমেরিকার ইতিহাস (১৯৯৫)
    • জিজারড, জন পশ্চিমের মন: গ্রামীণ মধ্য পশ্চিমে জাতিগত সংস্কৃতি বিবর্তন, ১৮৩০-১৯১৭ (১৯৯৭)
    • গোরহাম, গ্যারি এ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রুরাল আমেরিকা (২ য় খণ্ড ১৯৯৭); পৃ. ৪৩৮; শিল্প, ব্যবসায়, সম্প্রদায় বিকাশ, অর্থনীতি, শিক্ষা, পরিবেশগত সমস্যা, পরিবার, শ্রম, জীবনযাত্রার মান, বিনোদন এবং খেলাধুলার উপর বিশেষজ্ঞদের ২৩২ টি প্রবন্ধ
    • হার্ট, ডগলাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পল্লী দক্ষিণ (১৯৯৮)
    • কির্বি, জ্যাক মন্দির। গ্রামীণ পৃথিবী হারিয়ে গেছে: আমেরিকান দক্ষিণ ১৯২০-১৯৬০ (১৯৮৭)
    • কুলিকফ; অ্যালান ব্রিটিশ কৃষক থেকে শুরু করে উপনিবেশিক আমেরিকান কৃষক (২০০০) অনলাইন সংস্করণ
    • লাক, জন। “‘সময়ের নিরব আর্টিলারি’: গ্রামীণ মিডওয়েষ্টে সামাজিক পরিবর্তন বোঝা,” দুর্দান্ত সমতল ত্রৈমাসিক ১৯ (পতন ১৯৯৯)
    • শেফার, জোসেফ আমেরিকান কৃষির সামাজিক ইতিহাস (১৯৩৬) অনলাইন সংস্করণ
    • উইডেন, উইলিয়াম ব্যাবকক। নিউ ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস, ১৬২০-১৭৮৯ (১৮৯১) পৃষ্ঠা. ৯৬৪ অনলাইন সংস্করণ

    নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম

    কার্টিস, ডি, ‘ প্রাক-শিল্প নিম্ন দেশগুলির গ্রামীণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের প্রবণতা: বিগত পাঁচ বছরের জার্নাল এবং বইগুলির সাম্প্রতিক থিম এবং ধারণাগুলি ( ২০০৭-২০১৩ ), বিএমজিএন-তে পর্যালোচনা প্রবন্ধ : নিম্ন দেশগুলির ঐতিহাসিক পর্যালোচনা ১২৮.৩ (২০১৩) ৬০-৯৫।

    ইতিহাস লিখন

    আলফোনসো, ইসাবেল। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় সমাজের পল্লী ইতিহাস।প্রবণতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি , টার্নআউট: ব্রেপোলস (মধ্যযুগীয় পল্লী, ১), ২০০৭। অ্যাটাক, জেরেমি “একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ইতিহাস গবেষণার জন্য উনিশ শতকের রিসোর্স।” কৃষি ইতিহাস ২০০৪ ৭৮ (৪): ৩৮৯-৪১২। আইএসএসএন0002-1482 ফুলটেক্সট: ক্যালিফোর্নিয়া জার্নালস এবং পাণ্ডুলিপি আদমশুমারি থেকে পৃথক আমেরিকান কৃষকদের একটি বৃহত কম্পিউটারাইজড ডাটাবেসে। ব্ল্যাঙ্ক, ডেভিড “গ্রাহক পছন্দ, সংস্থা এবং গ্রামীণ ইতিহাসের নতুন দিকনির্দেশ,” কৃষি ইতিহাস ৮১#২ (বসন্ত ২০০৭), ১৮২-২০৩। বগু, অ্যালান জি। “পল ওয়ালেস গেটস এবং জেমস সি ম্যালিনের সাথে কৃষিকাজের ইতিহাসের কথা বলা” কৃষি ইতিহাস ২০০৬ ৮০ (৪): ৪৩৬-৪৪০। আইএসএসএন0002-1482আইএসএসএন0002-1482 ফুলটেক্সট: ইবস্কোতে বুর্চার্ড, জেরেমি “কৃষি ইতিহাস, গ্রামীণ ইতিহাস, বা গ্রামাঞ্চলের ইতিহাস?” ঐতিহাসিক জার্নাল ২০০৭ ৫০ (২): 465-481। আইএসএসএন0018-246Xআইএসএসএন0018-246X বার্টন, ভার্নন ও। “আমরা যা বপন করি সেগুলি কাটা: সম্প্রদায় এবং গ্রামীণ ইতিহাস,” কৃষি ইতিহাস, পতন ২০০২, খণ্ড. ৭৬ ইস্যু ৪, পৃষ্ঠা. ৬৩০–৫৮ জেএসটিওআর-এ ডায়ার, সি। “মধ্যযুগের গ্রামীণ ইতিহাসের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত”। গ্রামীণ ইতিহাস: অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ১:১ (১৯৯০), পৃষ্ঠা; ৩৭-৪৯ সুইরিঙ্গা, রবার্ট পি। “নতুন গ্রামীণ ইতিহাসের তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি: পরিবেশবাদ থেকে আধুনিকীকরণের দিকে,” কৃষি ইতিহাস ৫৬#৩ (জুলাই ১৯৮২): ৪৯৫-৫০২, যুক্তরাষ্ট্রে ফোকাস

  • ওদালগুড়ি

    ওদালগুড়ি (অসমীয়া: ওদালগুৰি; /ˌɒdɑːlˈɡʊəri/) হল ভারতের আসাম রাজ্যের বড়োল্যান্ড এখতিয়ার অধীনে একটি শহর ও ওদালগুরি জেলার সদর দপ্তর, যা আসাম রাজ্যের বোড়োল্যান্ড ক্ষেত্রীয় অঞ্চল জেলা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ভূগোল

    ওদালগুড়ি ২৬.৭৪৫২° উত্তর ৯২.০৯৬২° পূর্ব এ অবস্থিত।[১] সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে এর গড় উচ্চতা ১৮০ মিটার বা ৫৯০ ফুট।

    রাজনীতি

    ওদালগুড়ি মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত।[২]

  • ইয়াসরিব

    পূর্বে মদিনার পূর্বের নাম ইয়াসরিব । ইয়াসরিব ইবনে কাইনা ইবনে মাহলাইল ইবনে ইরাম ইবনে উবীল ইবনে আওয়াদ ইবনে ইরাম ইবনে সাম ইবনে নূহ এর সাথে সম্পর্ক রেখে এই নামটি ইয়াসরিব রাখা হয়েছিল। এটি লক্ষণীয় যে এটিকে এই নাম বলা ঘৃণ্য এবং বরং এটিকে মদিনা (“আল-মুনাওয়ারাহ” শব্দ ব্যতীত) এবং তাইবেহ এবং নবীর হিজরতের পরে এটিকে দেওয়া অন্যান্য নাম দ্বারা ডাকা ঘৃণ্য। .

    ইয়াসরিব নামটি অতীতে জনপ্রিয় ছিল এবং অ-আরবি শিলালিপি এবং লেখাগুলিতে পাওয়া গিয়েছিল। এটি টলেমির গ্রীক ভূগোলে ইয়াথ্রিব (Γιαθρίμπ) হিসাবে এবং স্টিফেনের বাইজেন্টাইন বইয়ে ইয়াথ্রিব (YATHRIP) হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং এর নাম একটি শিলালিপিতে প্রকাশিত হয়েছিল। হারান শহরের একটি পাথরের স্তম্ভ ( ITRIBO )।

    এটি ইয়াসরিব এর নেতৃত্বে উবিল উপজাতি দ্বারা বসতি স্থাপন করা হয়েছিল, যার নামকরণ করা হয়েছিল তার নামানুসারে, এবং তারা এতে উর্বর জমি, গাছ এবং জল খুঁজে পেয়েছিল যতক্ষণ না আমালেকীয়রা এসে তাদের পরে সেখানে বসবাস করে ।

    নবী ও তাঁর সঙ্গীদের হিজরতের পর ইয়াসরিব এর পবিত্র মর্যাদা লাভ করে এবং মদিনা দুই পবিত্র মসজিদের মধ্যে দ্বিতীয় হয়ে ওঠে। এটিতে প্রথম ইসলামী রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল, এর সংবিধান ছিল কোরআন, এবং এটি একটি রাষ্ট্রের প্রথম ইসলামিক রাজধানী হয়ে উঠেছিল যা একজন দূত দূত দ্বারা শাসিত হয়েছিল এবং তার পরে তৃতীয় খলিফা ওসমান ইবনে আফফানের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সঠিকভাবে পরিচালিত খলিফারাআব্বাসীয়রা এটি প্রতিষ্ঠার পর বাগদাদে স্থানান্তরিত করে

    ভিত্তি

    কোন নির্দিষ্ট বছর দ্বারা আমরা এর ভিত্তি নির্ধারণ করেছি তা নিশ্চিত করা অসম্ভব, কারণ আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না যে নূহ এবং নবীর হিজরতের মধ্যে কত শতাব্দী বিচ্ছিন্ন ছিল এবং কিছু ঐতিহাসিক যা উল্লেখ করেছেন তা মৌখিক বর্ণনা যা ওজনযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে নয়। . আমরা শুধু আশা করতে পারি যে এটি প্রাচীনকালে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জাতিদের হাতে ঘটেছিল। আবেল বা আমালেকাইটরা বিলুপ্ত জাতিগুলির মধ্যে থেকে, এবং আমাদের কাছে এমন কোনও চিহ্ন নেই যা আমাদের ভিত্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়কাল নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটি আনুমানিক তারিখ রেখেছেন যা নবীর হিজরতের 1600 বছর আগে পর্যন্ত বিস্তৃত, এই সত্যের উপর ভিত্তি করে যে হাবীল গোত্র আরবি ভাষায় কথা বলেছিল এবং সেই তারিখে আরবি ভাষার অস্তিত্ব ছিল। এই সংজ্ঞাটি সেই সময়ের কাছাকাছি যখন (ইয়াথ্রিব) শব্দটি অনারবদের ঐতিহাসিক লেখায় এবং কিছু আবিষ্কৃত শিলালিপিতে পাওয়া গিয়েছিল। ইয়াসরিব নামটি রাজ্যের (মেইন) লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে এবং এটি মা’ইন সম্প্রদায়ের দ্বারা অধ্যুষিত শহরগুলির মধ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জানা যায় যে মাইন রাজ্য ইয়েমেনের অংশে 1900 এবং 1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর প্রভাব হিজাজ এবং ফিলিস্তিনের সমৃদ্ধির সময়কালে প্রসারিত হয় এবং যখন এর কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন এটি উত্তরে বাণিজ্য পথ রক্ষা করার জন্য একটি বসতি স্থাপন করে এবং এই রাস্তাটি ইয়াথ্রিবের মধ্য দিয়ে চলে যায়। এই আনুমানিক তারিখটি সেই ইতিহাসের সাথেও একমত যে ইতিহাসবিদরা উত্তর আরব ও সিনাইতে আমালেকীয়দের অস্তিত্ব এবং বনী ইসরায়েলের সাথে তাদের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। [১] [২] [৩]

    প্রথম পর্যায়ে ইয়াসরিব

    যদি এটা সত্য হয় যে উবাইল শাখাই ইয়াসরিব প্রতিষ্ঠা করেছিল, তাহলে উবিল সম্পর্কে খুব কম রিপোর্ট রয়েছে যা আমাদেরকে একটি পরিষ্কার চিত্র তৈরি করতে সাহায্য করে না। বংশতত্ত্ববিদদের বর্ণনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে (আবীল) নূহের চতুর্থ নাতি (আল-তাবারির বর্ণনা অনুসারে) বা ষষ্ঠ নাতি (আস-সুহাইলি এবং ইবনে খালদুনের বর্ণনা অনুসারে) এবং তিনি ব্যাবিলনে বসবাস করতেন। নূহের অন্যান্য পুত্রদের থেকে তার আত্মীয়দের সাথে। জেনেসিস বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে আমোবাল (আবীল) হলেন মাকানের (কাহতান) পুত্রদের একজন (দেখুন: প্রথম অধ্যায়, আয়াত 22 এবং দশম অধ্যায়, 28 নং আয়াত)। ইতিহাসবিদরা বিশ্বাস করেন যে নোহের মৃত্যুর পর ব্যাবিলন কৃষির উন্নতির একটি ভাল মাত্রায় পৌঁছেছিল, কারণ তার কিছু পুত্র তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং শহরের রাজা হন। তাদের নেতা ইয়াথ্রিব, এবং তারা তাদের সাথে তাদের কৃষি সভ্যতা বহন করেছিল। আল- সামহুদি উল্লেখ করেছেন তাঁর বই ওয়াফা’ আল-ওয়াফা উবাইলিয়ীনদের বিলাপের আয়াত, যেখান থেকে আমরা সেই সময়ে তাদের কৃষি ও যাজক সংক্রান্ত অগ্রগতির প্রভাব বুঝতে পারি। আয়াতগুলো বলে:

    জুডির নজর আবিলের দিকে এবং সে কি ফিরে আসবে – যে সাজ্জামের সাথে তার ডিম পাড়ি দিয়েছে

    তারা ইয়াসরিব বাস করত, এবং সেখানে কোন ব্লেড ছিল না – না একটি চিৎকার বা কুঁজ ছিল না

    তারা এটি একটি নির্দিষ্ট স্রোতে রোপণ করেছিল – তারপর তারা গাছের সাথে তাল গাছকে ঘিরে ফেলেছিল

    যদিও আমরা আয়াতের সত্যতা বিশ্বাস করি না, এবং আমরা আশা করি যে সেগুলি গল্পকারদের মধ্যে থাকবে, তারা আবিলদের জন্য যে ছবি এঁকেছেন তা ঐতিহাসিকরা ব্যাবিলনের লোকেদের এবং তাদের যাজক ও কৃষিকাজ সম্পর্কে যা বলেছেন তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। উর্বর জমি এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পানি উবেলিদেরকে খেজুর চাষ করতে এবং ইয়াথ্রিবে পশু পালনে সাহায্য করেছিল। আমরা সেই সময়ে ইয়াসরিবের উবীলের জীবনকে নিম্নরূপ কল্পনা করতে পারি:

    একদল পরিবার একটি ছোট গ্রামে বাস করে যেখানে অনেক গাছ এবং জল রয়েছে। তারা তাদের গৃহপালিত পশুদের লালন-পালন করে: উট, ঘোড়া এবং ভেড়া। তারা খেজুর এবং অন্যান্য কিছু শাকসবজি এবং ফল ফলায়। তারা প্রচুর ফসল এবং ভাল ফল ভোগ করে, এবং আধা -দূরবর্তী এবং অজানা বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্নতা, পাহাড় এবং আগ্নেয়গিরির পাহাড় দ্বারা সুরক্ষিত যা এলাকাকে ঘিরে রাখে এবং কোন আউটলেট ছেড়ে দেয় না। এটিতে শুধুমাত্র কিছু পথ রয়েছে যা পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং টিকা দেওয়া যায়। ডক্টর জাওয়াদ আলী প্রাচীন লেখায় আবিল গোত্রের অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য প্রমাণ চেয়েছিলেন এবং তাওরাতের কিছু বইয়ে আমোবাল নামের উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন যেখানে উল্লেখ আছে যে তিনি (ইয়াকতান) এর পুত্রদের একজন এবং তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে ঐতিহাসিক বেলিটাস একটি স্থানের নাম উল্লেখ করেছেন: (অ্যাবলাইটস) (অ্যাবলেটস) অর্থাৎ অ্যাবেলিয়ান। [৪] [৫]

    আমালেকীগণ

    আমালেকাইটদের নাম দেওয়া হয়েছিল প্রাচীন উপজাতিদের জন্য যেগুলি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, এবং কিছু বই তাদের সম্পর্কে কিংবদন্তি মিশ্রিত খবর দিয়েছে। এটির মত গল্পকারদের দ্বারা তৈরি করা হয় যারা তাদের শ্রোতাদের অস্বাভাবিকতা এবং আশ্চর্যের সাথে উত্তেজিত করতে আগ্রহী।

    এই অতিরঞ্জনগুলি ছাড়াও, ভাষায় দৈত্য শব্দের অর্থ দীর্ঘ, এবং মনে হয় এই উপজাতিগুলি কিছু দৈর্ঘ্য এবং উচ্চতার দ্বারা আলাদা ছিল এবং কিছু আধুনিক ঐতিহাসিক বিশ্বাস করেন যে আরব উপদ্বীপের জনসংখ্যা 1600 সাল পর্যন্ত অভিবাসনের আগে পর্যন্ত বিশাল ছিল, এবং এর পর পর্যন্ত তাদের বংশধর ছিল এবং তারা এই নামে পরিচিত ছিল যদিও তাদের এত উচ্চতা না ছিল এবং তাদের পূর্বপুরুষদের মতো দীর্ঘকাল বেঁচে ছিল না। আর আরবের ইতিহাসের বইয়ে আমালেকীয়রা আমালেক বিন লাউদ বিন সাম বিন নূহের বংশধর। তারা মেসোপটেমিয়া অঞ্চলে নূহের অন্যান্য নাতি-নাতনিদের সাথে বসবাস করত, তারপর তারা অন্যান্য দলের সাথে বেরিয়ে গেল এবং নূহের বংশধরের সংখ্যা বেড়ে গেল যতক্ষণ না তারা প্রত্যেকে ভিড় করে। অন্যান্য আমালেকীয়রা, তাসাম, জাদিস এবং ইরাম বিন সামের বংশের তাদের বাকি ভাইদের সাথে আরব উপদ্বীপে পৌঁছেছিল। তাদের আগে ছিল সামুদ, আদ, উমীম, উবার এবং হাবীল এবং তাদের অধিকাংশই ছিল। যেসব লোক আল-আহকাফ, হাদরামাউত, ধোফার এবং বর্তমান আরব উপদ্বীপের দক্ষিণের খালি কোয়ার্টারে বসতি স্থাপন করেছিল এবং এটি জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, তারপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামুদের মতো আল-আহকাফ থেকে হিজরত করেছিল। এবং আবিল এবং তাদের অনেক গোত্র। নজদ, বাহরাইন, ওমান, ইয়েমেন, তিহামাতে বসবাস করতেন এবং তারা লেভান্টের উপকণ্ঠে পৌঁছেছিলেন এবং তাদের মধ্যে মিশরের ফারাও ছিলেন। এবং নীল ছেলেরা। আমরা জানি না কখন আমালেকাইটরা বিশেষভাবে ইয়াথ্রিবে বসতি স্থাপন করেছিল এবং তারা মেসোপটেমিয়া দেশ থেকে প্রস্থান করার পরে এটি অবতরণ করেছিল। ঐতিহাসিকদের মতভেদ, তারাই কি ইয়াথ্রিব বা উবাইল গোত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল? তারা কি তাদের কাছ থেকে এটি কেড়ে নিয়েছে? কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে আমালেকীয়রা হাবীল থেকে এসেছে। তারা যে বিষয়ে একমত তা হল ইয়াথ্রিবে আমালেকাইটদের উপস্থিতি প্রাচীন, তা ভিত্তির সময় হোক বা তার পরেই হোক। এটা নিশ্চিত যে প্রাচীনকালে ইয়াসরিব আমালেকীয়দের পাওয়া যেত এবং তারা আরব ছিল। আল-তাবারি বিশ্বাস করেন যে তাদের দাদা আমালেকই প্রথম আরবি ভাষায় কথা বলতেন। এছাড়াও, তাওরাতের বইগুলো বহুবার তাদের উল্লেখ করেছে এবং তাদের নাম অনুসারে তাদের নামকরণ করেছে, এক সময় আমালেকীয়রা এবং অন্য সময়ে পরাক্রমশালীদের নামে। আমি তাদের কিছু আরব নেতা ও শহরের নাম উল্লেখ করেছি, কারণ তারা মিশর থেকে বনী ইসরাঈলের যাত্রা প্রত্যক্ষ করেছিল এবং সিনাই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিল।

    আমালেকীয়রা ইয়াসরিব একটি সফল কৃষি সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল যেটি স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল এবং তাদের উর্বর জমি চাষ এবং তাদের গবাদি পশু লালন-পালনে নিয়োজিত ছিল এবং প্রথমে তাদের ফসলের প্রাচুর্য উপভোগ করে জীবনযাপন করেছিল। তাদের জমির উর্বরতা এবং প্রাচুর্যের কারণে কৃষিকাজ তাদের জলের। তাদের সফল ব্যবসা তাদের প্রচুর অর্থ এনে দিয়েছে। তারা অন্যান্য উপজাতিদের আগ্রাসনের ভয়ে ভীত ছিল যা তাদের জমিকে বাধা দেবে এবং তাদের সম্পদের অভাব করবে, তাই তারা আল-আটাম তৈরি করেছিল, যা ছোট দুর্গ যা এক বা কয়েকটি পরিবারকে মিটমাট করতে পারে এবং শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

    আমালেকীয়রা ইয়াসরিব বাস করত, ঈশ্বরের ইচ্ছা, এবং তারপরে অন্যান্য উপজাতিরা তাদের বসবাস করতে এসেছিল।আমালেকাইটরা এই অঞ্চলে যে জমিগুলি বিনিয়োগ করেনি, এবং তারা মালিকে পরিণত হয়েছিল এবং তাদের জীবনে আমালেকীয়দের প্রভাবিত ও প্রতিবেশী করেছিল।

    বছরের পর বছর ধরে, আমালেকাইট এবং আগত উপজাতিদের মধ্যে আন্তঃবিবাহ ও মিলন ঘটেছিল, এবং নতুন প্রজন্ম মিশ্র রক্ত বহন করে আবির্ভূত হয়েছিল, এবং শীঘ্রই তাদের দেহের বৃহত্তর দ্বারা আলাদা করা আমালেকাইটরা ধীরে ধীরে সংখ্যায় হ্রাস পেতে থাকে, কিন্তু তারা সম্পূর্ণরূপে পরিণত হয়নি। ইবনে জাব্বালাহ বলেন, বনু আনিফ – যারা জীবিত ছিল এবং যারা আউস ও খাযরাজের আগমনের পূর্বে ইহুদীদের সাথে বসবাস করেছিল – তাদের মধ্যে ছিল। ইসলাম যখন ইয়াসরিব পৌঁছেছিল, তখন মাত্র কয়েকজন ব্যক্তি অবশিষ্ট ছিল, তাদের উচ্চতা দ্বারা আলাদা। [৬] [৭] [৮]

    ইয়াসরিব ও মাঈনাইট কিং

    গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে ইয়াসরিব মা’ইনাইট কিংডমের অধীন ছিল এবং এর প্রভাবের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছিল। মায়িনাহ রাজ্য দক্ষিণ আরবের প্রাচীনতম রাজ্যগুলির মধ্যে একটি, যার মধ্যে কিছু আমরা প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। উত্তর ইয়েমেন এবং 1300-630 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে এর প্রভাব বিস্তার করে এবং প্রসারিত করে। কিছু পশ্চিমা ভূগোলবিদ, যেমন (থিওডোর) সিসিলিয়ান (এবং স্ট্র্যাবো) রোমান, যখন আরব ঐতিহাসিক এবং ভূগোলবিদরা এর খবর পাননি। ইয়াকুত আল-হামাবী মাঈন তার সম্পর্কে বলেছেন: ইয়েমেনের একটি দুর্গের নাম এবং ইয়েমেনের একটি শহরের নাম যা বারাকিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আমর ইবনে মাদিকারব বলেন:

    তিনি বারাকিশ বা মুঈন থেকে ডাকেন, সুতরাং আমাদের কথা শুনুন এবং সাড়া দিন

    আবিষ্কৃত পুরাকীর্তিগুলি ইঙ্গিত করে যে মাইন রাজ্যের প্রতিবেশীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল, যা প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণে পরিণত হয়েছিল এবং এর কর্তৃত্ব দক্ষিণ ইয়েমেন থেকে হিজাজ এবং এমনকি ফিলিস্তিন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। খননকারীরা কিছু লেখা খুঁজে পেয়েছেন যাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইয়াথ্রিব, মাওয়ান, আম্মোন এবং গাজা ছিল মাইন রাজ্যের অংশ এবং এটির অধীনস্থ একটি ভূমি এবং নির্দিষ্ট কিছু রাজারা তাদের নামে শাসক নিযুক্ত করেছিলেন। এর অর্থ এই যে, মাইনিয়ানরা তাদের রাজ্যের বিস্তারের সময়, অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব সহস্রাব্দ থেকে ইয়াথ্রিবের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এবং এর জনগণের মধ্য থেকে একজন শাসক নিয়োগ করেছিল – যেমন তারা তাদের প্রভাবের অন্যান্য ক্ষেত্রে করত – তাদের সুরক্ষার জন্য। স্থল বাণিজ্যের পথ, এবং শহরের উপর তাদের কর্তৃত্ব তাদের উপর আরোপিত বার্ষিক কর অতিক্রম করেনি, তাদের কাফেলার সুরক্ষার কথাই ছেড়ে দিন, এবং আমরা মাঈনের কয়েকটি লেখায় তাদের জনগণের সাথে যে যুদ্ধ করেছিল তার উল্লেখ পাই না। Yathrib, বা স্বতন্ত্র ঘটনা না. আমরা যা পাই তার বেশিরভাগই ইঙ্গিত দেয় যে তাদের নিয়ন্ত্রণ সমগ্র হিজাজের উপর ছিল, এবং এই নিয়ন্ত্রণের দুর্বলতার কারণে, ইয়াথ্রিব সম্প্রদায় বেশিরভাগই কৃষি এবং যাজকীয় ছিল এবং আরও স্থিতিশীলতা এবং পুনরুদ্ধার ছাড়া আর কোন বড় পরিবর্তনের সাক্ষী হয়নি। ট্রানজিটিং বাণিজ্য কনভয়গুলি যে সুবিধাগুলি নিয়ে আসে। [৯]

    শেবা রাজ্যের রাজত্বকালে ইয়াসরিব

    এবং এই বিষয়ে বিস্তৃত করার জন্য, আল-খামলানী বই পৃষ্ঠা 196-77

    ইয়ারিব এবং ক্যালডীয়রা

    ক্যালডীয় রাষ্ট্র ইরাকে আবির্ভূত হয়, যার রাজধানী ছিল ব্যাবিলন। এটি বিকাশ লাভ করে এবং খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বিশাল এলাকায় তার প্রভাব বিস্তার করে এবং কিছু সময়ে হিজাজে পৌঁছে। হারানের গ্রেট মসজিদের ধ্বংসাবশেষে, একটি শিলালিপি পাওয়া গেছে যা ক্যালডীয় রাজা নেবু নিডের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে কথা বলে, যেখানে তিনি আরব উপদ্বীপের উত্তরে গিয়েছিলেন এবং তাইমাকে দখল করেছিলেন এবং সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন, তারপর প্রতিবেশীকে দখল করেছিলেন। শহরগুলিকে তার সাথে সংযুক্ত করে, যথা: দেদানো (হিব্রু ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত একটি প্রাচীন সুপরিচিত শহর) এবং বেদাকুয়া (ফাদাক), খবর (খায়বার) এবং ইট্রিবোয়া (ইয়াথ্রিব) এবং তারা এই রাজার শাসনাধীনে থেকে যায়। দশ বছরের জন্য. নাবোনিডাস হলেন ব্যাবিলনীয় ক্যালডীয় রাজ্যের শেষ রাজা। তিনি 16 বছর শাসন করেছিলেন (556-539 খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে)। তিনি তাদের দশ বছর আরব উপদ্বীপের উত্তরে কাটিয়েছিলেন, তার রাজধানী ব্যাবিলনের শাসনের অধীনে রেখেছিলেন। তার পুত্র (বেলশজার) এবং তারপরে ব্যাবিলনে ফিরে আসেন এবং 539 খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্যের রাজা সাইরাস দ্বারা আক্রমণ করা হয়। ইয়াথ্রিবের লোকেরা রাজা নাবোনিডাসের সাথে পুনর্মিলন করে এবং সাবায়িয়ান রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে যাওয়ার পরে শান্তিপূর্ণভাবে তার আনুগত্যে প্রবেশ করে এবং সাবায়িয়ানরা তাদের কাছ থেকে তাদের উপর যে কর আদায় করেছিল তা তারা পরিশোধ করেছিল।

    নাবু নেদ তার সাথে কিছু ক্যালডীয় উপজাতি এবং ইহুদি বন্দীকে এই অঞ্চলে নিয়ে আসেন এবং সেখানে তাদের বসতি স্থাপন করেন এবং আরব মালিকদের কাছ থেকে যে সম্পত্তি তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন তার কিছু তাদের দিয়েছিলেন এবং তার সেনাবাহিনীর টুকরো দিয়ে তাদের রক্ষা করেছিলেন। সমগ্র অঞ্চলকে তার রাজ্যের সাথে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু পরিকল্পনাটি সফল হয়নি এবং ব্যাবিলনে ফিরে আসার পর তার প্রজেক্টের মৃত্যু হয়।তবে অধিকাংশ নতুন বসতি স্থাপনকারী ওই এলাকায়ই থেকে যায় এবং সেখানকার লোকদের সাথে মিশে যায় এবং ডক্টর জাওয়াদ আলী ভাষায় কিছু ক্যালডীয় শব্দের উপস্থিতি থেকে এটি অনুমান করেন। ইয়াথ্রিব এবং এর উত্তরের অন্যান্য এলাকার মানুষ, বিশেষ করে কৃষিতে। [১০]

    ইয়াথ্রিব এবং রোমানরা

    খ্রিস্টপূর্ব কয়েক শতাব্দীতে রোমান রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটে এবং এর শক্তি তীব্রতর হয়, এটি গ্রীকদের (প্রাচীন গ্রীকদের) রাজ্য দখল করে এবং ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকার বাকি অংশে এর প্রভাব বিস্তার করে। কিন্তু রোমানরা তাদের বিশাল সামরিক সম্প্রসারণের সময় আরব উপদ্বীপে প্রবেশ করতে পারেনি, কারণ বিশাল মরুভূমি তাদের বৃহৎ নিয়মিত সৈন্যবাহিনীর জন্য বড় বাধা ছিল। রোমান ইতিহাসে একটি প্রচেষ্টার উল্লেখ রয়েছে যেখানে একটি রোমান অভিযান দক্ষিণে আরব উপদ্বীপে প্রবেশ করে ইয়েমেনের ভূমিতে সোনার অঞ্চলে পৌঁছানোর জন্য এবং এই প্রচেষ্টাটি খ্রিস্টপূর্ব 25 সালে সম্রাটের (আগস্ট) শাসনামলে করা হয়েছিল।AD, যেখানে এই সম্রাট এবং তার মিশরের গভর্নর (Olius Gallus) অভিযানের প্রস্তুতি ও নেতৃত্বের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং একজন সুপরিচিত ভূগোলবিদ, স্ট্র্যাবো, নেতার বন্ধু (গ্যালাস) অভিযানের সাথে ছিলেন এবং এটি সম্পর্কে লিখেছেন, তাই আমরা এটি সম্পর্কে প্রায় সম্পূর্ণ খবর পেয়েছি।

    এই অভিযানটি দশ হাজার রোমান যোদ্ধা, এক হাজার কপ্ট এবং পাঁচশো ইসরায়েলি নিয়ে এসেছিল, একজন নাবাটিয়ান সেনাপতির দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল এবং লোহিত সাগরের মিশরীয় উপকূল থেকে যাত্রা করে (লুইকা কোমা) বন্দরে পৌঁছেছিল (ড. জাওয়াদ আলী অনুমান করেছেন যে এটি ইয়ানবু। জয়েন্টটি 2/45, যখন ফুয়াদ হামজা এটিকে মুওয়াইলিহ হিসাবে দেখেন। হার্ট দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা 257) এটি বিপুল সংখ্যক জাহাজ এবং পুরুষদের হারিয়ে যাওয়ার পরে এবং খাদ্যের দুর্নীতির কারণে এই রোগটি আরও অনেককে হত্যা করেছিল। জল এবং দরিদ্র খাদ্য, তাই সেনাবাহিনী বিশ্রাম এবং রোগ থেকে পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত সেখানে গ্রীষ্ম এবং শীত কাটাতে বাধ্য হয়েছিল। তারপর অভিযানটি নাজরানে স্থানান্তরিত হয়, বেশ কয়েকটি শহর অতিক্রম করে এবং মারসিবা (মারিব) শহরে পৌঁছা পর্যন্ত এর লোকদের সাথে লড়াই করে, যেখান থেকে এটি মাদাইন সালেহে ফিরে আসে এবং তারপর মিশরে ফিরে যায়। ইয়ানবু বা মুওয়াইলিহে অবতরণের পর অভিযানটি যে পথটি নিয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক মতামত ছিল এবং সেই মতামতগুলির মধ্যে একটি অভিমত ছিল যে অভিযানটি বাস করা উপজাতিদের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে (ইদহাম) থেকে (ইয়াথ্রিব) পর্যন্ত রাস্তায় গিয়েছিল। ইয়ানবু ও দক্ষিণের মধ্যে বাণিজ্য পথ।এবং এটি (ইয়াথ্রিব) থেকে (নজদ) পর্যন্ত চলতে থাকে এবং সেখান থেকে ইয়েমেনের রাস্তা ধরে নাজরানের দিকে যাত্রা করে।

    স্ট্র্যাবো বলেছেন যে সেই অঞ্চলের রাজা (সম্ভবত একজন সর্দার) আল-হারিথ রোমানদের স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং তাদের রাস্তা পার হতে সাহায্য করেছিলেন। এই বর্ণনার উপর ভিত্তি করে (যা সম্ভবত বর্ণনা) অভিযানটি ইয়াসরিবের মধ্য দিয়ে যায় এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয় এবং প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার সরবরাহ করা হয়। নিঃসন্দেহে, আল-হারিথের বুদ্ধিমত্তা এবং প্রচারাভিযানের নেতার সাথে তার ভাল আচরণ (ইয়াসরিব ) এবং এটির মধ্য দিয়ে যাওয়া বাকি শহরগুলি উপকৃত হয়েছিল। যাই হোক না কেন, অভিযানটি (ইয়াথ্রিব) বা ইয়াথ্রিবিয়ানদের জীবনে কোনও চিহ্ন রেখে যায়নি, যাতে আমরা প্রাচীন ঐতিহাসিকদের লেখায় এর উল্লেখ পাই না, তবে সাধারণভাবে রোমানরা প্রভাবিত করেনি। ইয়াসরিব ও তার সন্তানদের জীবন। এই অভিযানে রোমান সেনাবাহিনীর উত্তরণই ছিল তাদের সাথে একমাত্র এবং ক্ষণস্থায়ী সম্পর্ক। [১১] [১২]

    ইয়াসরিবে ইহুদীরা

    ঐতিহাসিক সূত্রগুলি প্রাক-ইসলামী যুগে ইয়াথ্রিবে ইহুদিদের উপস্থিতির বিভিন্ন বিবরণ উল্লেখ করে এবং তারা সর্বসম্মতভাবে একমত যে তারা আরব উপদ্বীপের বাইরে থেকে পরপর বেশ কয়েকটি অভিবাসনে এখানে এসেছিল:

    প্রথমটি ছিল 589 খ্রিস্টপূর্বাব্দে যখন ব্যাবিলনীয় বখতনাসির লেভান্ট অঞ্চলে আক্রমণ করেছিল এবং সেখানকার বেশিরভাগ লোককে বিমোহিত করেছিল। দ্বিতীয় স্থানান্তরটি ছিল 66-70 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে যখন রোমান সেনাপতি টাইটাস ফিলিস্তিন আক্রমণ করে এবং এই অঞ্চলটিকে আবার ধ্বংস করে এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং অনেক সংখ্যককে লট হ্রদে ডুবিয়ে দেয়। 132 খ্রিস্টাব্দে তৃতীয় স্থানান্তর যখন রোমান সম্রাট হার্ডিয়ান ফিলিস্তিনে একটি সৈন্য প্রেরণ করে, সেখান থেকে তাদের বিতাড়িত করে এবং স্থায়ীভাবে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। যারা বেঁচে ছিল তারা আরব উপদ্বীপে পালিয়ে যায়।

    এবং (ইয়াসরিব) যখন পলাতক ইহুদিদের বিক্ষিপ্তকরণের ঘটনা ঘটে, তখন এটি এমন একটি সম্প্রদায়ে পরিপূর্ণ ছিল যার মধ্যে আরব উপজাতি অন্তর্ভুক্ত ছিল, যার মধ্যে কিছু ছিল আমালেকীয়দের অবশিষ্টাংশ এবং তাদের মধ্যে কিছু গোত্র ছিল যারা (ইয়াথ্রিব) এর উপকণ্ঠ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছিল। কাছাকাছি এবং দূরে ইহুদিদের প্রথম (ইয়াথ্রিব) পৌঁছান তিনটি গোত্র: বনু কুরাইজা, বনু আল-নাদির এবং বনু কায়নুকা’। তারপর অন্যান্য গোত্র তাদের অনুসরণ করে। বনু আল-নাদির ওয়াদি (বাথান), বনু কুরাইজা ওয়াদি মাহজুরে, এবং মাঝখানে বনু কাইনুকা, তারপর তারা এই অঞ্চলের সবচেয়ে উর্বর অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তারা প্রথমে ইয়াথ্রিবে বসবাসকারী আরবদের সাথে শান্তি স্থাপন করেছিল এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছিল এবং তাদের চাষাবাদ এবং তারা যে শিল্পগুলি আয়ত্ত করছিল তাতে নিয়োজিত ছিল এবং তাদের উপর আক্রমণ না করার বিনিময়ে প্রতিবেশী গোত্রের প্রধানদের অর্থ প্রদান করেছিল এবং বন্ধ সমাবেশ স্থাপন করেছিল এবং নির্মাণ করেছিল। দূর্গ এবং ধ্বংসাবশেষ, এবং প্রচুর সম্পদ সংগ্রহ. . তারা খেজুর চাষে আগ্রহী ছিল এবং তাদের চাষ সম্প্রসারিত হয় এবং তাদের ফসল ইয়াথ্রিবের পূর্ব ও দক্ষিণ উপকণ্ঠে বৃদ্ধি পায় এবং ছড়িয়ে পড়ে। তারা পৌত্তলিক আরব উপজাতিদের মধ্যে তাদের বিশ্বাস ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে উত্সাহী ছিল না। তারা কিছু ব্যক্তি এবং তাদের সাথে সন্তুষ্ট ছিল। যে গোষ্ঠীগুলি তাদের দিকে ঝুঁকছিল, তারপর ধীরে ধীরে জুডাইজড হয়েছিল, এবং শীঘ্রই তারা অর্থনৈতিক আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং অমানবিক সুদখোর ঋণ ছড়িয়ে দেয়। ইয়েমেন থেকে যখন আওস এবং খাজরাজের দুটি অভিবাসী গোত্র এসেছিল, তারা ইয়াথ্রিবের প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিল, তাই তারা তাদের তাদের খামারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসতি স্থাপনের অনুমতি দিতে বলেছিল। ইহুদিদের তাদের খামারে বিনিয়োগ করার জন্য শ্রমের প্রয়োজন ছিল এবং তাদের ক্রমবর্ধমান সম্পদ। [১৩]

    আউস ও খাযরাজ

    ঐতিহাসিকরা একমত যে আওস এবং খাজরাজ হল দুটি কাহতানি গোত্র, যারা মারিব বাঁধ ধ্বংসের পর ইয়েমেনের শেবা রাজ্য থেকে এসেছিল। তারা আল-হাররা আল-শারকিয়া এবং কুবার মধ্যে তাদের কাছাকাছি অবতরণ করেছিল এবং তাদের কাজ প্রথম দিকে পরিস্থিতি কঠোর ছিল, এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে, তাই ইহুদীরা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ভয় করতে শুরু করে।সময়, যে সময়ে আওস ও খাযরাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের সম্পদ বৃদ্ধি পায়, তাই ইহুদীরা জোট ভেঙ্গে এবং একজনকে হত্যা করে। তাদের সংখ্যা ছিল এবং তাদের অপমান করার জন্য কাজ করেছিল। এবং তারা ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন করেছিল। যখন তাবা বিন হাসান (ইয়াসরিব) আক্রমণ করেছিল এবং এটি নাশকতা করতে চেয়েছিল, তখন সবাই তার পথে দাঁড়িয়েছিল যতক্ষণ না সে উদ্দেশ্যমূলক এবং তাদের পক্ষে ফিরে আসে। সমঝোতার পর্যায়, আওস ও খাযরাজের ছেলেরা বেল্টের বাইরে চলে গেল তারা এতে আটকা পড়েছিল এবং (ইয়াথ্রিব) এর সমস্ত অংশে বাড়িঘর ও জমি তৈরি করেছিল এবং খামারগুলিতে বিস্তৃত হয়েছিল এবং তাদের প্রতিটি পেটে অনেক জায়গা ছিল।, এবং বনু কাইনুকা খাজরাজীদের সাথে মিত্রতা করেছিল। ইসলাম তা বন্ধ করে দিয়েছিল

    আওস ও খাযরাজের মধ্যে যুদ্ধ

    আওস এবং খাযরাজের মধ্যে যুদ্ধ সামির যুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং হিজরতের পাঁচ বছর আগে বাথ যুদ্ধের মাধ্যমে শেষ হয়েছিল এবং এই দুটি যুদ্ধের মধ্যে দশটিরও বেশি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল এবং ইহুদিদের উসকানি ও জ্বালানোর ভূমিকা ছিল। -আসলাত, ফারিয়ার যুদ্ধ, ইওম আল-রাবী’, আল-ফাজ্জারের প্রথম এবং দ্বিতীয় যুদ্ধ, মাবস এবং মুধারের যুদ্ধ।

    সর্বশেষ এবং সবচেয়ে মারাত্মক ছিল বাথ যুদ্ধ, যার জন্য আওস এবং খাযরাজ উভয়েই দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে সঞ্চিত ক্ষোভের জন্য প্রস্তুত ছিল এবং আওস বনু কুরাইজা এবং বনু আল-নাদিরের সাথে মিত্র হয়েছিল, যখন খাজরাজিদরা মুজাইনার সাথে মিত্র হয়েছিল। এবং আশজা’ এবং আবদুল্লাহ বিন আবি বিন সালুল তাদের সাথে মতানৈক্য পোষণ করেন। দুই দল বা‘আত নামক একটি এলাকায় মিলিত হয় এবং তারা একে অপরের সাথে যুদ্ধ করে। ওসিড এবং তাদের মিত্ররা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাদের বিপুল সংখ্যক নিহত হয় এবং তারা। পালাতে শুরু করে, কিন্তু তাদের নেতা হাজির আল কাতায়েব তাদের প্রমাণ করে। এই ঘটনার পর, তারা যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বিদ্রোহ ঘৃণা করে এবং তারা সর্বসম্মতিক্রমে আব্দুল্লাহ বিন আবি বিন সালুলকে তাদের উপর রাজা হিসাবে মুকুট দেয় যাতে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিবাদের অবসান ঘটে। এবং ঈশ্বরের ইচ্ছা ছিল যে আকাবার আনুগত্যের প্রথম অঙ্গীকার সংঘটিত হবে, তারপরে মক্কায় দ্বিতীয় আকাবা হবে, যাতে দুটি বিবাদমান গোত্রের সদস্যরা অংশ নিয়েছিল। রসূল দ্রুত এসেছিলেন এবং তারা একে অপরের ঘাড়ে আঘাত করতে চলেছেন, তাই তিনি তাদের বললেন, “আমি অজ্ঞতা প্রার্থনা করছি এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।”একইভাবে এ দুটি গোত্র ইসলামের আলোয় সমৃদ্ধি, ঘনিষ্ঠতা ও সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করত।

  • আসরমাম

    আসরমাম (মালয়ালম: ആശ്രാമം) আশ্রম ভারতের কেরালার কোলম শহর, প্রধান প্রধান স্থানগুলির একটি।এটি কোল্লাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের৫৫ ওয়ার্ডগুলির মধ্যে একটি। [১] আশরাম শহরের পুরনো এয়ারপোর্ট, পাবলিক / প্রাইভেট ইনস্টিটিউট, পর্যটন গন্তব্যস্থল, উদ্যান, হাসপাতাল ইত্যাদির উপস্থিতির কারণে শহরের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। কেরল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কোনও শাখা বর্তমানে বিদ্যমান সবচেয়ে বড় খোলা জায়গা আসামাম ময়দান । আসারামে < কেরালা রাজ্যের প্রথম বিমানবন্দর, কোল্লাম এয়ারপোর্ট, এই ময়দানে কাজ করে। [২] আসরাম ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কোল্লাম শাখা এবং ভারতের ক্রীড়া সংস্থার সদর দপ্তর। [৩] লিংক রোড, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলির একটি, আসরাম দিয়ে অতিক্রম করে। আসামামে এক এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়াম আসছে। [৪]

    গুরুত্ব

    আওরঙ্গম কোল্লাম শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির একটি।এশাদাম এলাকাতে শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অ্যাডভেঞ্চার পার্ক, চিলড্রেন পার্ক, পিকনিক গ্রাম এবং ব্রিটিশ রেসিডেন্সি অবস্থিত। [৫][৬][৭][৮] এই অঞ্চলের পুরু মংগ্রু বন সমগ্র রাষ্ট্রের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। [৯] আসারামের কাছাকাছি শহরের অনেক বিখ্যাত হাসপাতাল অবস্থিত।সাংকর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এসআইএমএস, ডাঃ নায়ারের হাসপাতাল, ইসিআইসি মডেল এবং সুপার স্প্যানিশ হাসপাতাল ইত্যাদি আসরামের কাছাকাছি বিখ্যাত হাসপাতাল। [১০][১১]

    আসরমাম
    ആശ്രാമം
    আশ্রমাম
    উপকন্ঠিও শহর
    আসরমাম লিংক রোড
    আসরমামআসরমামকোল্লমের মানচিত্রে দেখুনকেরলের মানচিত্রে দেখুনভারতের মানচিত্রে দেখুনসব দেখানভারতে কোল্লমের অবস্থান
    স্থানাঙ্ক: ৮.৮৯৫৮৮৮° উত্তর ৭৬.৫৯২০৯২° পূর্ব
    দেশ ভারত
    রাজ্যকেরালা
    জেলাকোল্লাম জেলা
    সরকার
     • শাসককোল্লম পৌরসভা কর্পোরেশন (কেএমসি)
    ভাষা
     • অফিসিয়ালমালয়ালম, ইংরেজি
    সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
    PIN691002
    যানবাহন নিবন্ধনKL-02
    Lok Sabha constituencyকোল্লম
    Civic agencyKollam Municipal Corporation
    Avg. summer temperature৩৪ °সে (৯৩ °ফা)
    Avg. winter temperature২২ °সে (৭২ °ফা)
    ওয়েবসাইটhttp://www.kollam.nic.in