Author: admin

  • জেডথ্রি (কম্পিউটার)

    জেডথ্রি বা জেড৩ (ইংরেজি: Z3) জার্মান প্রকৌশলী কনরাড ৎসুজে কর্তৃক ডিজাইনকৃত পৃথিবীর সর্বপ্রথম কার্যকরী টেপ-রক্ষিত-প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার। এটি টুরিং-সম্পূর্ণ। ২,০০০টি বৈদ্যুতিক রিলে দ্বারা নির্মিত জেডথ্রি প্রায় ৫–১০; হার্জ ক্লক কম্পাঙ্কে (ক্লক ফ্রিকোয়েন্সি) ২২ বিটের শব্দে পরিচালিত হত।[১] এর প্রোগ্রামিং সংকেত এবং উপাত্ত ছিদ্রযুক্ত সেলুলয়েডের ফিতা বা ফিল্মে করে সংরক্ষিত হয়।

    ১৯৪১ সালে বার্লিনে জেডথ্রি চালু হয়। জার্মান উড়োজাহাজ গবেষণা কেন্দ্র (জার্মান এয়ারক্রাফট রিসার্চ ইনস্টিটিউট) উড়োজাহাজের ডানার চঞ্চলতা বা কম্পনের পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষনকাজে জেডথ্রি ব্যবহার করেন।[২]

    ১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বার্লিনে মিত্রবাহিনীর বোমা হামলায় মূল জেডথ্রি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। পরে ১৯৬০ সালে ৎসুজের কোম্পানী ৎসুজে কেজি জেডথ্রির একটি কর্মক্ষম প্রতিলিপি তৈরী করে। এটি মিউনিখর ডয়েচ যাদুঘরে প্রদর্শনীর জন্য রাখা আছে।

    কনরাড ৎসুজে জেডথ্রির রিলেগুলিকে ইলেকট্রনিক সুইচ দ্বারা পরিবর্তন করতে অর্থ সাহায্যের জন্য জার্মান সরকারকে অনুরোধ করেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষিতে জার্মান সরকার এই কাজ যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় নয় বলে অর্থ বরাদ্দ করতে রাজী হয়নি[৩]

    আরো দেখুন

  • কম্পিউটিং

    পরিগণনামূলক কর্মকাণ্ড বা ইংরেজি পরিভাষায় কম্পিউটিং (Computing) বলতে এমন সব বিশেষ লক্ষ্যবিশিষ্ট কর্মকাণ্ডকে বোঝায় যেগুলি সম্পাদনের জন্য পরিগণনাকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা আবশ্যক, কিংবা যেগুলি পরিগণনাকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সুবিধা পেতে, অথবা যেগুলিতে পরিগণনাকারী যন্ত্রপাতি সৃষ্টি করা হয়। পরিগণনামূলক কর্মকাণ্ড ক্ষেত্রটির মধ্যে পদ্ধতি বা অ্যালোগোরিদমীয় প্রক্রিয়ার অধ্যয়ন ও পরীক্ষণ এবং পরিগণক যন্ত্রাংশসামগ্রী (হার্ডওয়্যার) ও নির্দেশনাসামগ্রীর (সফটওয়্যার) নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত। এই ক্ষেত্রটির বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক, প্রকৌশলগত, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক দিক রয়েছে। পরিগণক যন্ত্রচালনা-সংশ্লিষ্ট প্রধান কয়েকটি উচ্চশিক্ষায়তনিক জ্ঞানের শাখা হল কম্পিউটার প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান, কম্পিউটার নিরাপত্তা, উপাত্ত বিজ্ঞান, তথ্য ব্যবস্থাসমূহ, তথ্য প্রযুক্তি এবং সফটওয়্যার প্রকৌশল[১]

    র‌্যাম (র‌্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি)

  • ঢেঁকি

    ঢেঁকি ধান ভানা বা শস্য কোটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ।[১] প্রাচীন কাল থেকে ভারত উপমহাদেশে ঢেঁকি ব্যবহার হয়ে আসছে । ঢেঁকি দ্বারা চালের ছাতু, মাস কালাই এর ডাল ইত্যাদিও তৈরি করা হয়।

    গঠন

    এক খণ্ড পাথরের চটান বা কাঠ খণ্ডে গর্ত খুঁড়ে মুষলের সাহায্যে শস্য কোটা হয়। মুষলটির মাথায় লোহার পাত জড়ানো থাকে। মুষলটি ৪/৫ হাত লম্বা একটি ভারী কাঠের আগায় জোড়া লাগিয়ে গর্ত বরাবর মাপে দুটি শক্ত খুঁটির উপর পুঁতে রাখা হয়।

    ব্যবহারের পদ্ধতি

    শস্য কোটার জন্য ঢেঁকির গর্তে শস্য ঢেলে দিয়ে এক জন বা দু’জন ঢেঁকির গোড়ায় ক্রমাগত চাপ দেয়। অন্যদিকে মুষলের আঘাতের ফাঁকে ফাঁকে আরেক জন গর্তের কাছে বসে শস্যগুলো নাড়াতে থাকে।

    ঢেঁকিতে শশ্য ভাংছেন নারী

    ঢেঁকি; বাঙালি জীবনে পিঠের সাথে অঙ্গাঙ্গিক ভাবে সম্পৃক্ত

    ঢেঁকি ব্যবহার

  • কাস্তে

    কাস্তে ফসল কাটার কাজে ব্যবহৃত বাঁকা চাঁদের মত গঠনের হাতলওয়ালা একধরনের যন্ত্র। অনেক প্রাচীন কাল থেকেই এই যন্ত্রটির ব্যবহার হয়ে আসছে। সাধারণত কাস্তে বা কাচির অবতল দিক খাজকাটা ভাবে ধারালো করা থাকে।

    ইতিহাস

    মেসোপটেমিয়ায় কাস্তের বিকাশ সেই সময়ের আগে নিওলিথিক যুগেও পাওয়া গেছে। ইসলায়েলের আশেপাশের এলাকায় খননকালে প্রচুর পরিমাণে কাস্তের ব্লেড পা ওয়া গেছে যা এপিপালিওলিথিক (খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০০-৮০০০) যুগের। [১]

    বানানোর পদ্ধতি

    কাস্তে তৈরীর জন্য লাগবে লোহা। লোহাকে কয়লার আগুনে পুড়িয়ে লাল রং করা হয়। তারপর লাল লোহাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে কাস্তে তৈরি করা হয়। এভাবে বেশ কয়েকবার পুড়িয়ে এবং হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হয় কাস্তে। কাস্তে তৈরীর কারিগরকে কামার বলা হয়।

    ব্যবহার

    বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কাস্তে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ধান পাকার পরে কৃষকেরা ধান কাটতে এটি ব্যবহার করে। এছাড়া গবাদিপশুর ঘাস, লতাপাতা এবং অন্যান্য অনেক সবজি ফসল কাস্তে দিয়ে কেটে সংগ্রহ করা হয়। এভাবেই বহু যুগ ধরে কাস্তে ব্যবহার হয়ে আ

  • আলপিন

    আলপিন হলো একপ্রকারের সরু, সূচাগ্র কীলকবিশেষ, যা সাধারণত কাগজ ইত্যাদি ফুঁড়ে, গেঁথে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। আলপিনকে সংক্ষেপে পিনও বলা হয়ে থাকে।

    Pin-artsy.jpg

    স্ট্যান্ডার্ড পিন

    Bobby pin.jpg

    শব্দগত ব্যুৎপত্তি

    বাংলা “আলপিন” শব্দটি এসেছে পোর্তুগিজ শব্দ alfinete থেকে বিবর্তিত হয়ে।[১]

    গণমাধ্যমে ব্যবহার

    • দৈনিক প্রথম আলো, “আলপিন” নামে একটি ব্যঙ্গাত্মক ক্রোড়পত্র প্রকাশ করতো, যা মূলত রম্যকৌতুকের আশ্রয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতির বিষয়কে উপস্থাপন করতো।
  • অশ্বক্ষমতা

    অশ্বশক্তি হল ক্ষমতার একক যা একটি ইঞ্জিন কতটা শক্তিশালী তা পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়। । এটি প্রায় ৭৪৬ ওয়াটের সমান।ধারণাটি সর্বপ্রথম জেমস ওয়াট দ্বারা উপস্থাপন করেন, যিনি বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন।যেহেতু মানুষ ঘোড়া ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল,এই শক্তির পরিমাণ সেই সময়ে অধিকাংশ লোক অনুমান করতে পারতেন।ছোট মোটর ১০ অশ্বশক্তি তৈরি করতে পারে যেখানে একটি জেট ইঞ্জিন ১০০০ অশ্বশক্তি তৈরি করতে পারে।

    ইতিহাস

    বাষ্পীয় ইঞ্জিন

    বাষ্পীয় ইঞ্জিন

    জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিন যে তখনকার সময়ের ঘোড়াগুলোর চেয়ে বেশি কার্যকরী এবং তা সাধারণ মানুষের কাছে বাষ্পীয় ইঞ্জিন এর ক্ষমতা তুলে ধরার জন্য এ এককের বিপণন কৌশল হিসাবে এ একক দেন । তার নতুন উদ্ভাবিত বাষ্প ইঞ্জিন বিক্রি করার চেষ্টা করার সময়, ওয়াট বুঝতে পেরেছিলেন যে তার অনেক গ্রাহক ঘোড়া প্রতিস্থাপনের জন্য মেশিনটি ব্যবহার করবে, তাই তিনি একটি ঘোড়ার দ্বারা সরবরাহিত শক্তি পরিমাপ করেন। তাই তিনি ১৯৭০-এর দশকে তিনি একটি কূপের নিচ থেকে ১০০ পাউন্ড (৪৫ কেজি) ভর টানার জন্য দুটি ভারী ড্রে ঘোড়া খাটান এবং দেখতে পান যে তারা ঘন্টায় ২.৫ মাইল বেগে স্বাচ্ছন্দ্যে হেঁটে কাজটি অর্জন করতে পারে। ওয়াট তারপরে ঘর্ষণ কাটানো কাজের জন্য হিসাবটিতে একটি অতিরিক্ত ৫০% যোগ করেন এবং ১ হর্সপাওয়ার সংজ্ঞায়িত করেন। ওয়াট ইচ্ছাকৃতভাবে ঘোড়ার শক্তি আউটপুটকে অতিরিক্ত মূল্যায়ন করেছিলেন যাতে তার স্টিম ইঞ্জিনগুলি প্রতিস্থাপিত ঘোড়াগুলির চেয়ে ভাল পারফর্ম করে। সাধারণ কিংবদন্তি বলে যে এককটি তৈরি হয়েছিল যখন ওয়াটের প্রথম গ্রাহকদের মধ্যে একজন সুরা-প্রস্তুতকারী(brewer) এমন একটি ইঞ্জিন চেয়েছিলেন যা একটি বলিষ্ঠ ঘোড়া মতো এবং সর্বোচ সীমায় কাজ করবে।ওয়াট, চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন এবং এমন একটি মেশিন তৈরি করলেন যা আসলে সুরা-প্রস্তুতকারী যা চেয়ে ছিলেন তার তুলনায়ও অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, এবং এই মেশিনের শক্তি আউটপুটকেই অশ্বশক্তি বা horsepower বলে।

    প্রাসঙ্গিক সুত্র

    P = W t = F s t . {\displaystyle P={\frac {W}{t}}={\frac {Fs}{t}}.}

  • হেলিকপ্টার

    হেলিকপ্টার বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এমন একটি আকাশযান যার উর্দ্ধগতি সৃষ্টি হয় এক বা একাধিক আনুভূমিক পাখার ঘুর্ণনের সাহায্যে, উড়োজাহাজের মত ডানার সম্মুখগতির সাহায্যে জন্য নয় । এই পাখাগুলো দুই বা ততোধিক ব্লেডের সমন্বয়ে গঠিত যারা একটি মাস্তুল বা শক্ত দন্ডকে কেন্দ্র করে ঘোরে। ঘুর্ণনক্ষম পাখার জন্য হেলিকপ্টারকে ঘূর্ণিপাখা আকাশযান বলা যায়।

    ‘হেলিকপ্টার’ শব্দটি এসেছে ফরাসি hélicoptère এলিকপ্ত্যার্‌ শব্দটি থেকে যা গুস্তাভ দ্য পন্তন দ্যআমেকোর্ত ১৮৬১ সালে ব্যবহার করেন। এই ফরাসি শব্দটির উৎস আবার গ্রীক ἕλικ- হেলিক্‌ অর্থাৎ “স্পাইরাল” বা “ঘুর্ণন” এবং πτερόν প্তেরোন্‌ অর্থাৎ “পাখা” [১][২] শব্দ দুটি।

    হেলিকপ্টারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হেলিকপ্টার একেবারে খাড়া ভাবে উড়তে(take off) এবং নামতে(landing) পারে, এ জন্য এর কোন রানওয়ে প্রয়োজন হয় না; হেলিকপ্টারের পাখাই একে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় উর্দ্ধচাপ সরবরাহ করে। এই কারণে সঙ্কীর্ণ বা বিচ্ছিন্ন স্থানে যেখানে বিমান ওঠা নামা করতে পারে না, সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। পাখার দ্বারা সৃষ্ট উর্দ্ধচাপ হেলিকপ্টারকে একই স্থানে ভেসে থাকতেও সাহায্য করে, ফলে হেলিকপ্টারকে দিয়ে এমন সব কাজ করানো যায় যা বিমানকে দিয়ে করানো যায়না, যেমন ক্রেন বা ঝুলন্ত ভারবাহক হিসেবে ব্যবহার।

    হেলিকপ্টারের জন্ম অনেক আগে, মানুষের ওড়াউড়ির প্রথম অর্ধশতাব্দীর মধ্যে, হলেও ১৯৪২ সালে ইগর সিকোরস্কির তৈরি করা নকশার হেলিকপ্টারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়[৩] এবং প্রথম ১৩১টি হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়[৪]। আবার প্রথমদিকের বেশীরভাগ হেলিকপ্টারের প্রধান পাখা দুটো করে থাকলেও একটি মূল পাখা এবং একটি অ্যান্টিটর্ক (antitorque) পেছনের পাখা সমৃদ্ধ নকশাগুলোই বিশ্বজুড়ে “হেলিকপ্টার” নামে স্বীকৃতি পেয়েছে।

    গ্যালারি

    • লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির এরিয়াল স্ক্রু (aerial screw)
    • পল কর্নুর হেলিকপ্টার, ১৯০৭ সাল
    • সিকোরস্কি এস-৬৪, ভারবাহী হেলিকপ্টার
    • ক্যালিফোর্নিয়ার দমকল বিভাগের একটি বেল ২০৫ হেলিকপ্টার আগুনের উপরে পানি ছিটাচ্ছে
    • পুলিশের পিযেডএল এসডব্লিউ-৪
    • সামরিক হেলিকপ্টারঃ ব্রিটিশ আর্মি এয়ার কর্পসের ডব্লিউএএইচ-৬৪ অ্যাপাচি
    • মিল মি-২৬ – বৃহত্তম এবং সবচেয়ে ভারী হেলিকপ্টার, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ১৯৮৩
    • চিনূক সিএইচ-৪৭

    বিশ্বরেকর্ড

    রেকর্ডের ধরনরেকর্ডহেলিকপ্টারের নামপাইলট(গণ)তারিখঅবস্থানসংক্ষিপ্ত বিবরণতথ্যসূত্র
    গতি৪০০.৮৭ কি.মি/ঘণ্টা (২৪৯.০৯ মাইল/ঘণ্টা)ওয়েস্টল্যান্ড লিঙ্কস যুক্তরাজ্য জন ট্রেভর এগিংটন১১ আগস্ট, ১৯৮৬ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য[৫]
    অবতরণবিহীন অবস্থায় দূরত্ব৩,৫৬১.৫৫ কি.মি. (২,২১৩.০৪ মাইল)হিউজেস ওয়াইওএইচ-৬এ যুক্তরাষ্ট্র রবার্ট জি. ফেরী৬ এপ্রিল, ১৯৬৬যুক্তরাষ্ট্র[৫]
    বৈশ্বিক পরিভ্রমণে গতি১৩৬.৭ কি.মি/ঘণ্টা (৮৪.৯ মাইল/ঘণ্টা)অগাস্টা এ১০৯এস গ্র্যান্ড যুক্তরাষ্ট্র স্কট ক্যাসপ্রোইকআগস্ট, ২০০৮নিউইয়র্ক থেকে ইউরোপ, রাশিয়া, আলাস্কা, কানাডাজ্বালানী গ্রহণ ছাড়া[৬]
    সর্বোচ্চ উচ্চতায় উড্ডয়ন১১,০১০ মিটার (৩৬,১২০ ফুট)সিকোরস্কি সিএইচ-৫৪ তারহে যুক্তরাষ্ট্র জেমস কে. চার্চ৪ নভেম্বর, ১৯৭১যুক্তরাষ্ট্র[৭]
    ৪০ টন মালামাল নিয়ে উড্ডয়ন২,২৫৫ মিটার (৭,৩৯৮ ফুট)মিল ভি-১২ সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্যাসিলি কোলোচেঙ্কো ও সহযোগী৬ আগস্ট, ১৯৬৯সোভিয়েত ইউনিয়ন[৮]

    তথ্যসূত্র

    1:26

    হেলিকপ্টার

  • বেলুন

    বেলুন (ইংরেজি: Balloon) হচ্ছে গ্যাস যেমন হিলিয়াম, হাইড্রোজেন, নাইট্রাস অক্সাইড অথবা বাতাস ভর্তি একটি ব্যাগ বা থলে। আধুনিক বেলুন যদিও রাবার, ল্যাটেক্স, পলিক্লোরোফেরেন, নাইলন দিয়ে তৈরি হয়, তবে পূর্বে বেলুন তৈরি হতো পশু যেমন শুকরের মূত্রথলী থেকে। বহুকাল ধরে বেলুনকে মানুষ তার আকাশযান হিসেবে ব্যবহার করছে। আধুনিক যুগে বেলুনে আকাশ ভ্রমণ একপ্রকার প্রমোদভ্রমণ হিসেবে উপভোগ্য। তবে বিভিন্ন গবেষণা, জরিপ কিংবা সহজসাধ্য আকাশ ভ্রমণে বেলুনযান গুরুত্বের সাথেই ব্যবহৃত হয়।

    খেলনা বেলুন

    শিশুরা খেলনা হিসেবে যে বেলুন ব্যবহার করে থাকে, তা সাধারণত ল্যাটেক্সের তৈরি হয়। সাধারণত মুখ দিয়ে জোরে ফু দিয়ে ফুলিয়ে এজাতীয় বেলুন ব্যবহৃত হয়। তবে ভিতরে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহৃত হয় বলে বেলুন, বাতাসের তুলনায় ভারি হয়ে যায় এবং বাতাসে ভাসতে পারে না। রঙ-বেরঙের বেলুন দিয়ে জন্মদিনের উৎসবে ঘর সাজানোর রেওয়াজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায়।

    গ্যাস বেলুন

    সাধারণ বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরা হলে তা বাতাসে ভাসে। তখন বেলুনের মুখ সুতায় বেঁধে সে সুতা হাতে ধরে রাখতে হয়। হাইড্রোজেন গ্যাস বাতাসের চেয়ে হালকা বিধায় এরকম বেলুন বাতাসে ভাসে। শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে যেমন অনেক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় তেমনি একগুচ্ছ গ্যাস বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের রেওয়াজ চালু হয়েছে। গ্যাস বেলুন ছেড়ে দিলে ভাসতে ভাসতে তা ক্রমশ: আকশে উঠে যায়। তবে সুতায় মুখ বাঁধা হলেও গ্যাস ‘লিক’ হয়ে যেতে থাকে এবং একসময় বেলুন নিচে নামতে শুরু করে।

    বেলুনযান

    বেলুন যখন যান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন তার আকৃতি হয় যথেষ্ট বড় এবং তা ভর্তি করা হয় সাধারণ বাতাসের থেকে হালকা কোনো গ্যাস দিয়ে —সাধারণত হিলিয়াম দিয়ে। বেলুনের নিচের দিকে একটা বাঁশ কিংবা বেতের ঝুড়ি রশি দিয়ে লাগানো থাকে। বেলুনকে গ্যাস পুরে ফুলিয়ে নিলে তা উর্ধ্বমুখী হয়, তখন তার নিচে ঝুড়িটা ঝুলে থাকে এবং মানুষ বা বেলুন যাত্রী এই ঝুড়িতে অবস্থান করেন। অতীতে[কখন?] বেলুনের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঝুড়িতে রাখা হতো বালির বস্তা। পরবর্তিতে বেলুনের উপরিভাগে আলগা পরিচলনক্ষম পর্দা লাগানোর মাধ্যমে বেলুনের ভিতরকার বাতাস প্রয়োজনমতো বের করে দেয়া ও ধরে রাখার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে বেলুনের নিয়ন্ত্রণকে সহজ করা হয়।

    বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে বেলুন দিয়ে সাজানো হয়

  • পরিবাহক বেল্ট

    পরিবাহক বেল্ট বা ” কনভেয়ার বেল্ট” একটি “বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা”, যা একটি বহন মাধ্যম (প্রায়ই বেল্ট পরিবাহক থেকে সংক্ষিপ্ত)। একটি “বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা” অনেক ধরনের “কনভেয়ার সিস্টেমের” মধ্যে একটি। একটি বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা দুটি বা তার অধিক ঘূর্ণিগুলির (কখনও কখনও ড্রামস হিসাবে পরিচিত) মধ্যবর্তী মধ্যম-পরিবাহক বেল্ট-এর একটি অবিরাম বৃত্তাকার পথ বা লুপ দিয়ে গঠিত। এক বা উভয় দিকে চালিত হয় বেল্ট এবং বেল্ট সম্মুখের দিকে উপাদান স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত হয়। বেল্ট পরিবাহকের দুটি প্রধান শিল্প ক্লাস আছে; সাধারণ উপাদানগুলির মধ্যে যারা যেমন একটি ফ্যাক্টরি চলন্ত বক্সগুলির এবং বাল্ক উপাদানগুলি যেমন শস্য, লবণ, কয়লা, লৌহ আকরিক, বালি, ওভারব্রোর্ড এবং আরও অনেকগুলি সম্পদ ও কৃষি সামগ্রী পরিবহন করতে ব্যবহৃত হয়।

    সংক্ষিপ্ত বিবরণ

    পরিবাহক বেল্ট স্বয়ংক্রিয় বণ্টন এবং গুদাম মধ্যে ব্যবহৃত টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য উপাদান। কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত প্যালেট হ্যান্ডলিং সরঞ্জামের সংমিশ্রণে এটি আরও দক্ষ ভাবে খুচরো, পাইকারি এবং উপাদান বিতরণের জন্য অনুদিত। এটি একটি শ্রম সংরক্ষণ ব্যবস্থা বলে মনে করা হয় যার ফলে বড় পরিমানে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পণ্য দ্রুত সরানো সম্ভব, যার ফলে কোম্পানীগুলিকে ছোট সঞ্চয়ের স্থান থেকে জাহাজ পণ্য পরিবহন কম শ্রমিক দ্বারা সম্ভব।

    রবার কনভেয়র বেল্টগুলি সাধারণত নিচে পৃষ্ঠতল অনিয়মিত, ছোট্ট উপাদান যা রোলার্সের মধ্যে পড়ে (যেমন, একটি সুদৃশ্য কনভেয়র বার), বা বেল্টের মধ্যে বণ্টন করে, যা রোলার্সের মধ্যে সজীব থাকে। বেল্ট পরিবহন সাধারণত একটি সমতল ধাতু বিছানার উভয় শেষে রোলার সঙ্গে যুক্ত একটি ধাতব ফ্রেম গঠনের অনুরূপ। বেল্টটি রোলারের প্রতিটির কাছে ছিঁড়ে যায় এবং যখন রোলারগুলি একটি (বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা) চালিত হয় তখন ধাতুটি ছাঁচে ঢোকানো কঠিন ধাতু ফ্রেম বেল্টে জুড়ে পণ্য সরানো হয়। ভারী উপাদান পরিবহনের জন্য বেল্টটি টানা হয়, এমন শয্যাগুলি রোলার্সের সাথে প্রতিস্থাপিত হয়। বেল্টের উপর ভারী লোডিং থেকে উৎপন্ন ঘর্ষণ পরিমাণ কমাতে বেল্টের উপর কম ওজন অনুমতি দেয়।

    এই পরিবাহক ব্যবস্থা সাধারণত ডাক শ্রেণীবিভাজন অফিসে এবং এয়ারপোর্ট ব্যাগ হ্যান্ডলিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। একটি স্যান্ডউইচ বেল্ট পরিবাহকে দুটি পরিবাহক বেল্ট ব্যবহার করে। এই পরিবাহক বেল্ট মুখোমুখি ও দৃঢ়ভাবে বস্তু ধারণ করে, খাড়া ঢাকনা তৈরি এবং এমনকি উল্লম্ব লিফট অর্জনযোগ্য রান।

    বেল্ট পরিবাহকগুলির মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও চালিত হল কনভেয়ার বেল্ট, কারণ তারা সবচেয়ে বহুমুখী এবং কম খরচে ব্যবহার করা যায়। পণ্য পরিবাহক দ্বারা বেল্ট সরাসরি প্রেরিত হয়। নিয়মিত এবং অনিয়মিত আকৃতির বস্তু, বড় বা ছোট, হালকা এবং ভারী উভয়ই সফলভাবে পরিবহন করা যায়। এই পরিবাহকে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ মানের প্রিমিয়াম বেল্টিং পণ্য ব্যবহার করা উচিত, যাতে বেল্টের প্রসারণ হ্রাস এবং টান সমন্বয় জন্য কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। বেল্ট পরিবাহক একটি সরল রেখা বা উচ্চতা বা দিক পরিবর্তন মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে তারা স্ট্যাটিক সঞ্চিত বা কার্টসগুলির জন্যও ব্যবহার করা যায়।

    ইতিহাস

    আদিম পরিবাহক বেল্টগুলি ১৯ শতকের থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৯২ সালে টমাস রবিনস একটি পরিবাহক আবিষ্কার শুরু করেন যা কয়লা, অরেস এবং অন্যান্য পণ্য বহন করার জন্য ব্যবহৃত একটি কনভেয়ার বেল্টের বিকাশে নেতৃত্ব দেয়। [১][২] ১৯০১ সালে, স্যান্ডভিক ইস্পাত নির্মিত পরিবাহক বেল্টের আবিষ্কার করেন এবং উৎপাদন শুরু করেন। ১৯০৫ সালে রিচার্ড স্যাটক্লিফ কয়লা খনিতে ব্যবহারের জন্য প্রথম পরিবাহক বেল্ট আবিষ্কার করেন যা খনি শিল্পে বিপ্লব ঘটায়। ১৯১৩ সালে, হেনরি ফোর্ড মিশিগান কারখানায় ফোর্ড মোটর কোম্পানির পার্বত্য পার্কে পরিবাহক-বেল্ট সমাবেশ লাইন চালু করেছিলেন। [৩]

  • পরিবহন

    পরিবহন বা অপসারণ হচ্ছে মানুষ, প্রাণীপণ্যের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে অবস্থান পরিবর্তন। পরিবহন মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বিমান, রেল, স্থল পরিবহন, পানি, তার, পাইপলাইন এবং মহাকাশ। এর ক্ষেত্র ভাগ করা যায় অবকাঠামো, যানবাহনঅপারেশন।পরিবহন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটা ব্যক্তির মধ্যে বাণিজ্য সক্ষম করে, যা সভ্যতার বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

    পরিবহন মাধ্যম

    মূল নিবন্ধ: পরিবহন মাধ্যম

    Manchester Transport Montage.jpg

    পরিবহনের একটি মাধ্যম হল একটি উপায় যা একটি নির্দিষ্ট ধরনের যানবাহন, অবকাঠামো এবং অপারেশন ব্যবহার করে। একজন ব্যক্তি বা পণ্যসম্ভারের পরিবহনে একটি মাধ্যম বা একাধিক মাধ্যম জড়িত থাকতে পারে, পরবর্তী ক্ষেত্রেকে আন্তঃ-মাধ্যম বা বহু-মাধ্যম পরিবহন বলা হয়। প্রতিটি মাধ্যমের নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে এবং খরচ, ক্ষমতা এবং গমনপথের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হবে।

    স্থল

    মূল নিবন্ধ: স্থল পরিবহন

    স্থল পরিবহন সমস্ত ভূমি-ভিত্তিক পরিবহন ব্যবস্থাকে নিয়ে গঠিত যা মানুষ, পণ্য এবং পরিষেবার চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্থল পরিবহন সম্প্রদায়কে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্থল পরিবহন হল নগর পরিকল্পনার একটি প্রধান বিষয়। রেল পরিবহন ও সড়ক পরিবহন – এই দুইয়ের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে স্থল পরিবহন।

    রেল

    মূল নিবন্ধ: রেল পরিবহন

    White electric train with red cheatline emerging from tunnel in the countryside

    ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, একটি জার্মান যাত্রীবাহী উচ্চ-গতির রেল

    বেইজিং সাবওয়ে বিশ্বের বৃহত্তম এবং ব্যস্ততম দ্রুত ট্রানজিট নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি।

    রেল পরিবহন হল যেখানে একটি রেলগাড়ি দুটি সমান্তরালভাবে বসানো ইস্পাতের পাতদ্বয়ের উপরে চালিত হয়, যা একটি রেলপথ নামে পরিচিত।

    সড়ক

    মূল নিবন্ধ: সড়ক পরিবহন

    সড়ক পরিবহন

    সড়ক হল দুটি বা ততোধিক স্থানের মধ্যে একটি শনাক্তযোগ্য পথ[১] সড়ক সাধারণত মসৃণ, পাকা বা সহজ ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত করা হয়;[২] যদিও এগুলোর প্রয়োজন নেই, এবং ঐতিহাসিকভাবে অনেক সড়ক ছিল যা কোনো আনুষ্ঠানিক নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই স্বীকৃত পথ।[৩] পৌর এলাকায়, সড়ক একটি শহর বা গ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে পারে এবং সড়ক হিসাবে নামকরণ করা যেতে পারে, যা শহুরে স্থান সহজীকরণ এবং রুট হিসাবে দ্বৈত কাজ করে।[৪]