Author: admin

  • অ্যালিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন

    জৈব রসায়নে হাইড্রোকার্বন (সম্পূর্ণরূপে কার্বন এবং হাইড্রোজেন সমন্বিত যৌগ) দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত: অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন (সুগন্ধি যৌগ) এবং আলিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন (/ˌælɪˈfætɪk/; অ্যালিফার অর্থ: চর্বি/তেল)। আলিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন গুলো অ-অ্যারোম্যাটিক বা সুগন্ধহীন হাইড্রোকার্বন হিসাবেও পরিচিত। আলিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বনগুলো বদ্ধ-শিকল (চক্রীয়) হতে পারে। তবে পাই-বন্ধনের মাধ্যমে (কার্বনকার্বন দ্বি-বন্ধন) মাধ্যমে যুক্ত যেসব হাইড্রোকার্বন হাকেলের নীতি মেনে চলে সেগুলোকে অ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন বলা হয়। [১] অ্যালিফ্যাটিক যৌগগুলি হেক্সেনের মতো সম্পৃক্ত কিংবা হেক্সিন বা হেক্সাইনের মতো অসম্পৃক্তও হতে পারে। মুক্ত-শিকল যৌগগুলিতে (সরাসরি বা শাখাযুক্ত) কোনও ধরনের রিং থাকে না।

    গঠন

    অ্যালিফ্যাটিক যৌগগুলি কার্বনকার্বন একক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সম্পৃক্ত যৌগ (অ্যালকেন) অথবা কার্বনকার্বন দ্বি-বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে অসম্পৃক্ত যৌগ গঠন করে। হাইড্রোজেন ছাড়াও অন্যান্য মৌলও কার্বন শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে পারে। সাধারণত অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, সালফার এবং ক্লোরিনই সবচেয়ে বেশি যুক্ত হয়। সর্বনিম্ন জটিল অ্যালিফ্যাটিক যৌগটি হল মিথেন (CH4)।

    ধর্ম

    বেশিরভাগ আলিফ্যাটিক যৌগগুলোই দাহ্য। তাই এসব হাইড্রোকার্বনগুলোকে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যেমন বুনসেন বার্নারে মিথেনতরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং ঝালাইয়ের (ওয়েল্ডিং) কাজে ইথিন (অ্যাসিটিলিন) ব্যবহার করা হয়।

    অ্যালিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বনের উদাহরণ

    সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আলিফ্যাটিক যৌগগুলি হলো:

    • n-, আইসো- এবং সাইক্লো-অ্যালকেন (cyclo-alkanes) (সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন)।
    • n-, আইসো- এবং সাইক্লো-অ্যালকিন cyclo-alkenes) এবং -অ্যালকাইন (-alkynes) (অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন)।
    সংকেতনামগাঠনিক সংকেতরসায়নিক শ্রেণিবিভাগ
    CH4মিথেনঅ্যালকেন
    C2H2ইথাইন (অ্যাসিটিলিন)অ্যালকাইন
    C2H4ইথিন (ইথিলিন)অ্যালকিন
    C2H6ইথেনঅ্যালকেন
    C3H4প্রোপাইনঅ্যালকাইন
    C3H6প্রোপিনঅ্যালকিন
    C3H8প্রোপেনঅ্যালকেন
    C4H61,2-ButadieneDiene
    C4H61-বিউটাইনঅ্যালকাইন
    C4H81-বিউটিনঅ্যালকিন
    C4H10বিউটেনঅ্যালকেন
    C6H10Cyclohexeneসাইক্লোঅ্যালকিন
    C5H12n-pentaneঅ্যালকেন
    C7H14Cycloheptaneসাইক্লোঅ্যালকেন
    C7H14MethylcyclohexaneCyclohexane
    C8H8CubaneOctane
    C9H20ননেনঅ্যালকেন
    C10H12DicyclopentadieneDiene, সাইক্লোঅ্যালকিন
    C10H16PhellandreneTerpene, Diene সাইক্লোঅ্যালকিন
    C10H16α-TerpineneTerpene, সাইক্লোঅ্যালকিন, Diene
    C10H16LimoneneTerpene, Diene, সাইক্লোঅ্যালকিন
    C11H24Undecaneঅ্যালকেন
    C30H50SqualeneTerpene, Polyene
    C2nH4nPolyethyleneঅ্যালকেন
  • অ্যালকাইন

    অ্যালকাইন জৈব রসায়নের পরিভাষায় একটি অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন যার মধ্যে অন্তত একটি কার্বন-কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান আছে।[১] অ্যালকাইনসমূহ প্রাচীনকাল থেকে অ্যাসিটাইলিন নামে পরিচিত। কিন্তু অ্যাসিটাইলিন দ্বারা বোঝানো হয় C2H2 যার IUPAC নাম ইথাইন। অ্যালকাইনের সাধারণ সংকেত CnH2n-2

    অ্যালকাইন প্রস্তুতি

    ডিহাইড্রোহ্যালোজিনেশন বিক্রিয়ার মাধ্যমে অ্যালকাইন প্রস্তুত করা যায়। এক্ষেত্রে ১,২ বা ১,১ অ্যালকাইল হ্যালাইড থেকে ডাবল ডিহাইড্রোহ্যালোজিনেশনের মাধ্যমে অ্যালকাইন প্রস্তুত করা হয়। প্রভাবক হিসেবে KOH ব্যবহার করা হয়।[২]

    রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য

    অ্যালকাইনসমূহ বৈশিষ্ট্যগতভাবে অ্যালকিন সমূহের তুলনায় বেশি অসম্পৃক্ত। বিক্রিয়া অ্যালকিন এক অণু ব্রোমিন যুক্ত করলে অ্যালকাইন দুই অণু ব্রোমিন যুক্ত করে। অ্যালকাইনসমূল পলিমার বিক্রিয়া প্রদর্শন করে।

  • অ্যাভোগাড্রো ধ্রুবক

    অ্যাভোগাড্রো ধ্রুবক, যা সাধারণত NA[১] বা L[২], দ্বারা প্রকাশকরা হয়, হলো আনুপাতিকতা ফ্যাক্টর যা সেই নমুনার মধ্যে পদার্থের পরিমাণের সাথে নমুনার মধ্যে উপাদান কণা (সাধারণত অণু, পরমাণু বা আয়ন) এর সংখ্যার সম্পর্ক। এটি এসআই ধ্রুবক যার ৬.০২২১৪০৭৬×১০২৩/মোল।[৩][৪] স্ট্যানিস্লাও ক্যানিজারো এটি ইতালীয় বিজ্ঞানী আমাদিও আভোগাদ্রো এর নামানুসারে এর নামকরণ করে।[৫] স্ট্যানিস্লাও ১৮৬০ সালে কার্লসরুহে কংগ্রেসে থাকাকালীন আভোগাদ্রোর মৃত্যুর চার বছর পরে এই সংখ্যাটি ব্যাখ্যা করেছিলেন।[৬]

    অ্যাভোগাড্রো ধ্রুবকের সাংখ্যিক মান, মাত্রাহীন সংখ্যা, মোল এককে প্রকাশ করা হয়। পুরানো সাহিত্যে, অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা N[৭][৮] বা N0[৯][১০] দিয়ে প্রকাশ করা হয় এবং যার মান ৬.০২২১৪০৭৬×১০২৩

    ইতিহাস

    অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার নামকরণ করা হয়েছে ১৯ শতকের ইতালীয় রসায়নবিদ আমাদিও আভোগাদ্রোর নামানুসারে। ১৮১১ সালে তিনি প্রথম প্রস্তাব করেন যে কোন গ্যাসের আয়তন স্থির তাপমাত্রা ও চাপে তাতে বিদ্যমান অণু বা পরমাণু সংখ্যার সমান।[১১] ১৯০৯ সালে ফরাসী বিজ্ঞানী জিন বাপটিস্ট পেরিন ধ্রুবসংখ্যাটিকে অ্যাভোগাড্রোর সম্মানে নামকরণের প্রস্তাব করেন। পেরিন বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান নির্ণয়ের চেষ্টা করেন এবং এ কারণে ১৯২৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

    ১৮৬৫ সালে সর্বপ্রথম জোহান জোসেফ লসমিডট্‌ ধ্রুবসংখ্যাটির মান নির্দেশ করেন। তিনি একটি নির্দিষ্ট আয়তনে অণুর সংখ্যা গণনা করার মত একই ধরনের একটি প্রক্রিয়ায় বাতাসের অণুগুলোর গড় ব্যাস নির্ণয় করতে সমর্থ হন। তার সম্মানে একক আয়তনে গ্যাসের অণুর সংখ্যাকে লসমিডট্‌ ধ্রুবক নামকরণ করা হয়েছে যা কিনা অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

    অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার নির্ভুল মান নির্ণয় করা সম্ভব হয় যখন ১৯১০ সালে আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট মিলিকান একটা ইলেকট্রনের চার্জ পরিমাপ করেন। ১৮৩৪ সালে মাইকেল ফ্যারাডের তড়িৎ বিশ্লেষণ এর গবেষণা গুলো থেকে জানা যায় এক মোল ইলেকট্রনের চার্জ সর্বদা স্থির বা ধ্রুব, যাকে বলা হয় ১ ফ্যারাডে। এক মোল ইলেকট্রনের চার্জকে একটা ইলেকট্রনের চার্জ দিয়ে ভাগ করে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান নির্ণয় করা যায়।

    পেরিন মূলত অক্সিজেনের এক গ্রাম অণুতে বিদ্যমান অণুর সংখ্যাকেই অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা (N) নামকরণের প্রস্তাব করেছিলেন, যেটা এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত প্রাথমিক গবেষণা কাজ গুলোতে। পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালে যখন পরিমাপের আন্তর্জাতিক একক (SI) এ মোল কে একটি মৌলিক এককে রূপান্তর করা হল তখন এর নাম পরিবর্তন করে অ্যাভোগাড্রো ধ্রুবক (NA) রাখা হয়, যা কোন বস্তুতে উপস্থিত পদার্থের পরিমাণ প্রকাশ করে এবং পরিমাপের মাত্রার উপর নির্ভর করে না। এই স্বীকৃতির ফলে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা (NA) আর একটি বিশুদ্ধ সংখ্যা নয়, এর একক রয়েছে যা হচ্ছে মোলের বিপরীত রাশি (মোল−1)। যদিও পদার্থের পরিমাণ প্রকাশে সাধারণত মোলই ব্যবহৃত হয়, অ্যাভোগাড্রো সংখ্যাকে আরো কিছু এককের মাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়, যেমন পাউন্ড মোল (lb-mol) কিংবা আউন্স মোল (oz-mol)। NA = ২.৭৩১৫৯৭৫৭(১৪)×১০২৬ (lb-mol)−১ = ১.৭০৭২৪৮৪৭৯(৮৫)×১০২৫ (oz-mol)−১

  • অ্যাডেনিন

    অ্যাডেনিন হচ্ছে একটি পিউরিন জাতক। একটি নিউক্লিয়ক্ষার। প্রোটিন সংশ্লেষনে অ্যাডেনিন রাসায়নিক উপাদান DNA এবং RNA হিসেবে কাজ করে।[২] অ্যাডেনিনের আকৃতি থাইমিন এর ডিএনএ এবং ইউরাসিল এর আরএনএ‘র মত দেখতে।

    গঠন

    অ্যাডেনিনের গাঠনিক সংকেত, with standard numbering of positions in red.

    অ্যাডেনিন বিভিন্ন ধরনের টটোমার গঠন করে যা খুব দ্রুত একটা থেকে অন্যাটায় রুপান্তরতিত হয়। সংশ্লেষিত অবস্থায় এটি গ্যাস ম্যাট্রিক্স এবং গ্যাস দশায় থাকে, সচরাচর 9H-adenine টটোমার পাওয়া যায়।[৩][৪]

    জৈব সংশ্লেষণ

    তথ্যসূত্র

    Dawson, R.M.C., et al., Data for Biochemical Research, Oxford, Clarendon Press, 1959. Definition of Adenine from the Genetics Home Reference – National Institutes of Health Plützer, Chr., Kleinermanns, K.; Kleinermanns (২০০২)। “Tautomers and electronic states of jet-cooled adenine investigated by double resonance spectroscopy”। Phys.Chem.Chem.Phys.4 (20): 4877–4882। ডিওআই:10.1039/b204595hবিবকোড:2002PCCP….4.4877P

    1. M. J. Nowak and H. Rostkowska and L. Lapinski and J. S. Kwiatkowski and J. Leszczynski (১৯৯৪)। “Experimental matrix isolation and theoretical ab initio HF/6-31G(d, p) studies of infrared spectra of purine, adenine and 2-chloroadenine,”Spectrochimica Acta Part A: Molecular Spectroscopy50 (6): 1081–1094। আইএসএসএন 0584-8539ডিওআই:10.1016/0584-8539(94)80030-8বিবকোড:1994AcSpA..50.1081N[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
    রসায়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
  • অ্যাডিপিক অ্যাসিড

    অ্যাডিপিক অ্যাসিড একটি জৈব যৌগ যার সংকেত (CH2)4(COOH)2। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডাইকার্বক্সিলিক এসিড। নাইলনের কাঁচামাল হিসেবে প্রায় আড়াই বিলিয়ন কেজি এডিপিক এসিডের সাদা গুঁড়া প্রতিবছর প্রস্তুত করা হয়। অন্যথায় প্রকৃতিতে কদাচিৎ এডিপিক এসিড উৎপন্ন হয়।[২]

    প্রস্তুতি প্রক্রিয়া

    অ্যাডিপিক অ্যাসিড সাইক্লোহেক্সানল এবং সাইক্লোহেক্সানোনের মিশ্রণ থেকে প্রস্তুত করা হয়। সাইক্লোহেক্সানল এবং সাইক্লোহেক্সানোনের মিশ্রণকে একত্রে কিটোন-অ্যালকোহল তেল বা “KA তেল” বলা হয়। KA তেলকে নাইট্রিক অক্সাইডের সাথে জারিত করলে কয়েক ধাপে এডিপিক এসিড প্রস্তুত হয়ঃ HOC6H11 + HNO3 → OC6H10 + HNO2 + H2O HNO2 + HNO3 → NO+NO3 + H2O OC6H10 + NO+ → OC6H9-2-NO + H+

    বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে গ্লুটারিক এসিড এবং সাকসিনিক এসিড উৎপন্ন হয়।[২]

    প্রক্রিয়াটি সাইক্লোহেক্সানল থেকে শুরু হয় যা ফেনলের হাইড্রাজিনেশান থেকে পাওয়া যায়।[২][৩]

    বিকল্প প্রস্তুত প্রক্রিয়া

    বিক্রিয়া

    অ্যাডিপিক অ্যাসিড একটি দ্বিক্ষারীয় এসিড কারণ এটা দুইবার প্রোটন সরবরাহ করতে পারে। এটার pKa‘s are 4.41 and 5.41.[৪]। চারটি মিথিলিন গ্রুপ দ্বারা পৃথক হওয়া কার্বক্সিলেট গ্রুপের কারণে এডিপিক এসিড আন্তঃঅনু ঘনীভবন বিক্রিয়া প্রদর্শন করে। বেরিয়াম হাইড্রোক্সাইড এর সাথে বিক্রিয়ায় এটা কিটোনাইজেশানের মাধ্যমে সাইক্লোপেন্টানোন প্রদান করে।[৫]

    ব্যবহার

    প্রতিবছর উৎপাদিত এডিপিক এসিডের ৬০% নাইলনের মনোমার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৬]

    খাদ্যে ব্যবহার

    স্বাদবিবর্ধক হিসেবে সামান্য পরিমাণে এডিপিক এসিড খাদ্য উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৭] এটা কিছু কিছু ক্যালসিয়াম কার্বনেট এন্টাসিডে ব্যবহার করে টকভাব সৃষ্টি করা হয়।

    নিরাপত্তা

    অ্যাডিপিক অ্যাসিড কার্বক্সিলিক এসিডসমূহের মত চামড়ার উপর মৃদু চুলকানির সৃষ্টি করে। এটা সামান্য বিষাক্ত।[২]

    পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলা

    অ্যাডিপিক অ্যাসিড উৎপাদনে অন্যতম গ্রীন হাউজ গ্যাস N
    2O নিঃসৃত হয়, [৮] যা স্ট্রাটোস্ফিয়ারের ওজন স্তরের ক্ষয় সাধন করে। তাই এডিপিক এসিড উৎপাদনের সময় নাইট্রাস অক্সাইডকে প্রভাবকের উপস্থিতিতে রূপান্তরিত করা হয়ঃ[৯] 2 N2O → 2 N2 + O2

  • অস্বাভাবিক বাষ্প ঘনত্ব

    আস্বাভাবিক বাষ্প ঘনত্ব (Abnormal Vapor density) বলতে কোন যৌগের উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার পরীক্ষালব্ধ বাষ্পঘনত্বের গাণিতিক বাষ্পঘনত্বের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি নেমে আসার ঘটনাকে বোঝায়। অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, ফসফরাস পেন্টাক্লোরাইডের ক্ষেত্রে এরকম ঘটে।

    রসায়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • অলিগোমাইসিন

    ফাংশন

    অ্যান্টিবায়োটিক হিসাবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে।

    অলিগোমাইসিন-এ এটিপি সংশ্লেষণের একটি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশন গবেষণায়, এটি স্টেট ৩ এ (ফসফোরিল্যাটিং) শ্বাস-প্রশ্বাস প্রতিরোধ করতে ব্যবহৃত হয়। অলিগোমাইসিন-এ এর প্রোটন চ্যানেল (FO সাবইউনিট) ব্লক করে এটিপি সংশ্লেষণকে বাধা দেয়, যা ADP থেকে ATP (শক্তি উৎপাদন) এর অক্সিডেটিভ ফসফোরিলেশনের জন্য প্রয়োজনীয়। অলিগোমাইসিন-এ এটিপি সংশ্লেষণে বাধা দেওয়ায়, ইলেকট্রন পরিবহন শৃঙ্খলের মাধ্যমে ইলেকট্রন প্রবাহকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে বলে ধরণা বিজ্ঞানীদের। কিন্তু, প্রোটন লিক বা মাইটোকন্ড্রিয়াল আনকপলিং নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়ার কারণে ইলেক্ট্রন প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয় না। [১] এই প্রক্রিয়াটি থার্মোজেনিন বা UCP1- এর মতো একটি আনকপলিং প্রোটিনের মাধ্যমে মাইটোকন্ড্রিয়াল ম্যাট্রিক্সে প্রোটনের সহজতর প্রসারণের কারণে।

    ইঁদুরকে অলিগোমাইসিন খাওয়ালে এর রক্ত ও প্রস্রাবে খুব বেশি মাত্রায় ল্যাকটেট জমা হতে পারে। [২]

    আর আর আর আর আর
    অলিগোমাইসিন এCH 3HOHH, HCH
    অলিগোমাইসিন বিCH HOHOCH
    অলিগোমাইসিন সিCH 3HHH, HCH 3
    অলিগোমাইসিন ডি ( রুটামাইসিন এ )HHOHH, HCH 3
    অলিগোমাইসিন ইCH 3OHOHOCH 3
    অলিগোমাইসিন এফCH 3HOHH, HCH 2 CH 3
    রুটামাইসিন বিHHHH, HCH 3
    ৪৪-হোমুলিগোমাইসিন এCH 2 CH 3HOHH, HCH 3
    ৪৪-হোমুলিগোমাইসিন বিCH 2 CH 3HOHOCH 3
  • অরনিথিন

    অরনিথিন হলো একটি নন-প্রোটিনোজেনিক অ্যামিনো অ্যাসিড যা ইউরিয়া চক্রে ভূমিকা পালন করে। অরনিথিন ট্রান্সকার্বামাইলেজের ঘাটতিতে শরীরে অরনিথিন অস্বাভাবিকভাবে জমা হতে পারে। রেডিকাল হল অরনিথাইল

    ইউরিয়া চক্রে এর ভূমিকা

    এল -অরনিথিন হলো এল – আরজিনিনে এনজাইম আর্গিনেসের ক্রিয়াকলাপে উৎপন্ন পদার্থগুলোর মধ্যে একটি যা ইউরিয়া তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ফলে, অরনিথিন ইউরিয়া চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অতিরিক্ত নাইট্রোজেন নির্গত করতে সহায়তা করে। অর্নিথিন পুনর্ব্যবহৃত হতে পারে এবং এই পদ্ধতিতে এটি একটি অনুঘটক বা এনজাইম হিসাবে কাজ করে। প্রথমে, অ্যামোনিয়া, কার্বাময়েল ফসফেটে (H
    2NC(O)OPO2−
    3) রূপান্তরিত হয়। অর্নিথিন কার্বাময়েল ফসফেট সংশ্লেষনের মাধ্যমে δ (টার্মিনাল) নাইট্রোজেনের ইউরিয়া ডেরিভেটিভে রূপান্তরিত হয়। অ্যাসপার্টেট থেকে আরেকটি নাইট্রোজেন যোগ হয়, যা ডেনিট্রোজেনেটেড ফিউমারেট তৈরি করে এবং এর ফলে আর্জিনাইন (গুয়ানিডিনিয়াম যৌগ) অরনিথিনে হাইড্রোলাইজড হয়ে ইউরিয়া তৈরি করে। ইউরিয়ার নাইট্রোজেন অ্যামোনিয়া এবং অ্যাসপার্টেট থেকে আসে এবং অর্নিথিনের নাইট্রোজেন অক্ষত থাকে।

    অরনিথিন ডিএনএ দ্বারা গঠিত কোনো অ্যামিনো অ্যাসিড নয়, অর্থাৎ প্রোটিনোজেনিক নয়। যাইহোক, স্তন্যপায়ী প্রাণীর নন-হেপাটিক টিস্যুতে, ইউরিয়া চক্রের প্রধান ব্যবহার হয় আর্জিনাইন জৈব সংশ্লেষণে। তাই বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলির সংযোগকারী হিসাবে অরনিথিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।[২]

    অন্যান্য বিক্রিয়া

    অরনিথিন, অরনিথিন ডিকারবক্সিলেসের (EC 4.1.1.17) ক্রিয়া দ্বারা, পুট্রেসসিনের মতো পলিমাইনগুলির সংশ্লেষণের প্রথমেই অংশগ্রহন করে।

    ব্যাকটেরিয়ায়, যেমন ই. কোলাই, অর্নিথিন এল -গ্লুটামেট থেকে সংশ্লেষিত হতে পারে।[৩]

  • অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া

    অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া হল একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যা অম্ল ও ক্ষারের মধ্যে ঘটে থাকে । এটি পিএইচ নির্ধারণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশকিছু তাত্ত্বিক কাঠামো বিক্রিয়া কৌশল এবং তাদের প্রয়োগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বিকল্প ধারণা প্রদান করে ; এগুলিকে অম্ল-ক্ষার তত্ত্ব বলা হয়, উদাহরণস্বরূপ, ব্রনস্টেড-লাউরি অম্ল-ক্ষার তত্ত্ব

    গ্যাসীয় বা তরল অবস্থার অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া বিশ্লেষণে অথবা যখন অম্ল ক্ষার ধর্ম স্পষ্টরূপে বোঝা সম্ভব হয়ে ওঠে না তখন তাদের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে । এই ধারণাগুলির মধ্যে প্রথমটি ফরাসি রসায়নবিদ অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়ে আনুমানিক ১৭৭৬ সালে প্রদান করেছিলেন।

    Lewis, Brønsted-Lowery, Arrhenius ways of thinking of Acids and Bases

    অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া তত্ত্বসমূহ সুপারসেট ও উপসেট মডেল রূপে।

    অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়া মডেলসমূহকে একে অপরের পরিপূরক তত্ত্ব হিসাবে ভাবা গুরুত্বপূর্ণ। [১] উদাহরণস্বরূপ, অম্ল ও ক্ষার কী সে সম্পর্কিত তার বিস্তৃত সংজ্ঞা প্রদান করে বর্তমান লুইস মডেলটি, যেখানে ব্রনস্টেড-লাউরি তত্ত্বটি অম্ল ও ক্ষারের সংজ্ঞা প্রদান করে এর একটি উপসেট হিসেবে

    এবং আরহেনিয়াস তত্ত্বটি এক্ষেত্রে সর্বাধিক সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করে।

    অ্যালবুমিন এবং অম্ল বিক্রিয়া করে সাদা একটি অধঃক্ষেপ তৈরি করে । এই অধঃক্ষেপের ঘনত্ব পনির চেয়ে বেশি তাই এটি পনিতে ডুুুবে থাকে। অ্যালবুমিন এবং অম্ল খুব দ্রুুুত গতিতে বিক্রিয়া করে। বিক্রিয়ার অ্যালবুমিনের আয়তন বেড়ে যায়। এবং অ্যালবুমিন তরল থেকে কঠিনে রুপান্তর হয়।

    অ্যালবুমিন এবং ক্ষার বিক্রিয়া করে সাদা রংয়ের একটি অধঃক্ষেপ তৈরি করে। অ্যালবুমিন ক্ষারের সাথে খুব ধীর গতিতে বিক্রয়া করে। অ্যালবুমিনের অধঃক্ষেপ পানির চেয়ে ঘন তাই পানিতে ডুবে যায়। অ্যালবুমিন ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে তরল থেকে কঠিনে রুপান্তর হয়।

    অম্ল-ক্ষার সংজ্ঞাসমূহ

    ঐতিহাসিক বিকাশ

    অম্ল-ক্ষার বিক্রিয়ার ধারণা সর্বপ্রথম ১৭৫৪ সালে গিলাইম-ফ্রেঞ্চোইস রৌয়েল দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে যিনি “ক্ষার” শব্দটি রসায়নবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছিলেন যা এমন একটি পদার্থরূপে যা অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে তাকে শক্ত রূপ প্রদান করে (লবণ হিসাবে)। [২]

    ল্যাভয়সিয়ের অম্লের অক্সিজেন তত্ত্ব

    অম্ল ও ক্ষারের প্রথম বৈজ্ঞানিক ধারণাটি প্রদান করেছিলেন অ্যান্টনি ল্যাভয়সিয়েল্যাভয়সিয়ে আনুমানিক ১৭৭৬ সালে । যেহেতু শক্তিশালী এসিড সম্পর্কে ল্যাভয়সিয়ের জ্ঞান প্রধানত সীমাবদ্ধ ছিল অক্সো এসিড পর্যন্ত যেমন HNO
    3</br> HNO
    3 (নাইট্রিক অ্যাসিড) এবং H
    2SO
    4</br> H
    2SO
    4</br> H
    2SO
    4 (সালফিউরিক অ্যাসিড) যা অক্সিজেন দ্বারা বেষ্টিত উচ্চ জারণ সংখ্যা বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় পরমাণু ধারণ করে, এবং যেহেতু তিনি হাইড্রোহ্যালিক অ্যাসিডগুলির প্রকৃত গঠন ( HF, HCl, HBr এবং HI ) সম্পর্কে অবগত ছিলেন না, তাই তিনি এসিডগুলিকে অক্সিজেন ধারণকারী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন , যা গ্রিক শব্দ থেকে প্রাপ্ত যার অর্থ “অ্যাসিড-প্রাক্তন” ( গ্রীক οξυς ( অক্সিজ থেকে ) যার অর্থ “অ্যাসিড” বা “ধারালো” এবং γεινομαι ( জিনোমাই ) যার অর্থ “এনজেন্ডার”)। ল্যাভয়সিয়ের সংজ্ঞা ৩০ বছরেরও বেশি সময় অবধি কার্যকর ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না ১৮১০ এর নিবন্ধ এবং স্যার হামফ্রি ডেভির বক্তৃতায় তিনি H
    2S
    , H2Te,এবং হাইড্রোহ্যালিক এসিডে অক্সিজেনের অনুপস্থিতিকে প্রমাণ করেন। যাইহোক, ডেভি একটি নতুন তত্ত্ব তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, এবং পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে “অম্লতা কোনও নির্দিষ্ট প্রাথমিক পদার্থের উপর নির্ভর করে না, তবে বিভিন্ন পদার্থের অদ্ভুত বিন্যাসের উপর নির্ভর করে”। [৩] অক্সিজেন তত্ত্বের একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন জন্স জ্যাকব বার্জেলিয়াস দিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন যে অধাতুর অক্সাইডসমূহ এসিড এবং ধাতুর অক্সাইডসমূহ ক্ষার।

    লিবিগের এসিডের হাইড্রোজেন তত্ত্ব

    ১৮৩৮ সালে, জাস্টাস ভন লিবিগ প্রস্তাব করেছিলেন যে এসিড হল হাইড্রোজেনযুক্ত যৌগ যার হাইড্রোজেন একটি ধাতু দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যেতে পারে। [৪][৫][৬] এই পুনঃনির্ধারণটি জৈব অ্যাসিডের রাসায়নিক সংযুতি সম্পর্কে তাঁর ব্যাপক কাজের ভিত্তিতে এবং ডেভি দ্বারা শুরু হওয়া অক্সিজেন-ভিত্তিক অ্যাসিড থেকে হাইড্রোজেন-ভিত্তিক অ্যাসিডের মতবাদগত পরিবর্তনকে সমাপ্ত করে। লিবিগের সংজ্ঞা পুরোপুরি অভিজ্ঞতাবাদী হওয়া সত্ত্বেও আরহেনিয়াস সংজ্ঞা গ্রহণ না হওয়া অবধি প্রায় 50 বছর ধরে ব্যবহৃত ছিল। [৭]

    আরহেনিয়াসের সংজ্ঞা

    সোভান্তে আরহেনিয়াস

    আণবিক পর্যায়ে অম্ল ও ক্ষারের প্রথম আধুনিক সংজ্ঞা প্রদান করেছিলেন সোভান্তে আরহেনিয়াস[৮][৯] অম্লের হাইড্রোজেন তত্ত্ব, এটি জলীয় দ্রবণে আয়নের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠায় ফ্রিডরিচ উইলহেলম অস্টওয়াল্ডের সাথে তাঁর ১৮৮৪ সালের কাজ থেকে শুরু করে ১৯০৩ সালে অ্যারেনিয়াসকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে।

    আরহেনিয়াস দ্বারা সংজ্ঞায়িত:

    • অ্যারেনিয়াস এসিড হল একটি পদার্থ যা জলীয় দ্রবণে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) গঠন করে;[৪] অর্থাৎ একটি এসিড জলীয় দ্রবণে H+ আয়নের ঘনমাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

    এটি পানির প্রোটোনেশন বা হাইড্রোনিয়াম (H3O+) ) আয়ন তৈরির কারণে হয়ে থাকে। সুতরাং, আধুনিক সময়ে H+ কে H 3O+ একটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে কারণ এটি বর্তমানে পরিচিত হয় যে একটি খালি প্রোটন জলীয় সমাধান একটি বিনামূল্যে প্রজাতি হিসেবে বিদ্যমান নয় হয়। [১০]

    • অ্যারেনিয়াস ক্ষার হল এমন একটি পদার্থ যা পানিতে বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোক্সাইড (OH) আয়ন তৈরি করে; অর্থাৎ, একটি ক্ষার জলীয় দ্রবণে OH− আয়নের ঘনমাত্রা
  • অপঘর্ষক

    অপঘর্ষক (Abrasive) হল অত্যন্ত কঠিন, দুর্গলনীয় বস্তু যা অপেক্ষাকৃত কম কঠিন পদার্থকে ঘষে মসৃণ করা বা বিভিন্ন আকার দান (বা ছিদ্র) করার জন্য ব্যবহৃত হয়। হীরা (হীরকচূর্ণ), ঝামা, বালি ইত্যাদি হল প্রাকৃতিক অপঘর্ষক; সিলিকন কার্বাইড, বোরাজন ইত্যাদি হল কৃত্রিম অপঘর্ষক। আজকাল অর্ধকৃএিম অপঘর্ষক পাওয়া যাচ্ছে।অপঘর্ষক নানা আকারে ব্যবহার করা যায়, যেমন

    রসায়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    কাঠমিস্রীরা ব্যবহার করতেও দেখা যায়।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: