Author: admin

  • চিকিৎসা বিজ্ঞান

    চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসা শাস্ত্র হল রোগ উপশমের বিজ্ঞান কলা বা শৈলী। মানব শরীর এবং মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখার উদ্দেশ্যে রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিষেধক বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়ন করা হয় এবং প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

    সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অধ্যয়ন, গৱেষণা, এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ঔষধ বা শল্য চিকিৎসার দ্বারা রোগ নিরাময় করার চেষ্টা করা হয়।ঔষধ বা শল্য চিকিৎসা ছাড়াও মনোচিকিৎসা (psychotherapy), কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন, আণবিক রশ্মির প্রয়োগ, বিভিন্ন বাহ্যিক উপায় (যেমন, স্প্লিণ্ট (Splint) এবং ট্রাকশন),জৈবিক সামগ্রি (রক্ত, অণু জীব ইত্যাদি), শক্তির অন্যান্য উৎস (বিদ্যুৎ, চুম্বক, অতি-শব্দ ইত্যাদি) ইত্যাদিরও প্রয়োগ করা হয়।

    ব্যুৎপত্তি

    চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইংরেজি মেডিসিন (Medicine) । মেডিসিন শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন ভাষার ars medicina শব্দ থেকে, যার অর্থ হচ্ছে “the medical art” (‘চিকিৎসা কলা’) [১][২]

    ইতিহাস

    চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত গ্রিক চিকিৎসাবিদ হিপোক্রেটিস ( আনু. খ্রীষ্টপূর্ব ৪৬০- খ্রীষ্টপূর্ব ৩৭০) রচিত ‘হিপোক্রেটিক কর্পাস’

    প্রাগৈতিহাসিক যুগ

    চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস মানবেতিহাসের ন্যায় প্রাচীন। সুদূর অতীতে মানব প্রজাতির বিকাশের সাথে সাথেই চিকিৎসাবিদ্যাও বিকশিত হয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ঔষধ হিসাবে উদ্ভিদ (herbalism), পশুর দেহের বিভিন্ন অংশ, এবং খনিজ পদার্থ ব্যবহার করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে পুরোহিত, shamans, বা চিকিৎসকরা এই উপকরণগুলিকে ঐন্দ্রজালিক পদার্থ হিসাবে ব্যবহার করতেন। সুপরিচিত কিছু আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাসমূহের কথা বলা যায় যেমন, প্রাণবৈচিত্র্য (আত্মার অনিবার্য বস্তু সম্পর্কে ধারণা), আধ্যাত্মিকতা (দেবতাদের কাছে আপীল বা পূর্বপুরুষের আত্মার সাথে আলাপ করা); Shamanism (রহস্যময় ক্ষমতার সঙ্গে ব্যক্তির পরিচিতি); এবং ভবিষ্যদ্বাণী (জাদুর মাধ্যমে সত্যকে প্রাপ্তি)। চিকিৎসা নৃতত্ত্বের ক্ষেত্রগুলি মূলত স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যসেবা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলির দ্বারা আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজের চারপাশ কী করে সংগঠিত বা প্রভাবিত হয় এমন উপায়গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে।

    প্রাচীন যুগ

    মহান গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস কে চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন গ্রেকো-লাতিন সংস্কৃতিরর আরেকজন বিখ্যাত চিকিৎসক হলেন গ্যালেন

    প্রাচীন চিকিৎসার প্রমাণগুলি পাওয়া গেছে মিশরীয় ঔষধ, বেবিলনিয়ান ঔষধ, আয়ুর্বেদিক ঔষধ (যা ভারতীয় উপমহাদেশে সুপ্রচলিত ছিল), ক্লাসিক্যাল চীনা ওষুধ ( যাকে আধুনিক ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধের পূর্বসূরি বলে ধারণা করা হয়), প্রাচীন গ্রিক ঔষধ এবং রোমান ঔষধ থেকে।

    মিশরের ইমহোতেপ (৩য় সহস্রাব্দের বিসি) ছিল প্রথম পরিচিত চিকিৎসক যা ইতিহাসে পাওয়া যায় । ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রাচীনতম মিশরীয় চিকিৎসা পাঠ্যক্রমটি কাহুন গাইনোকোলজিক্যাল প্যাপিরাস নামে পরিচিত যা মূলত গাইনোকোলজিক্যাল রোগের বর্ণনা দেয়ার ক্ষেত্র ব্যবহৃত হতো। ১৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস সার্জারির উপর প্রথম কাজ করেছিলেন, আর ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে Ebers Papyrus কাজ করেছিলেন যা চিকিৎসা সংক্রান্ত পাঠ্যপুস্তকের অনুরূপ ছিল।

    চীনে চিকিৎসা বিষয়ক প্রত্নতাত্ত্বিক যে প্রমাণগুলি পাওয়া যায় তা ছিল ব্রোঞ্জ যুগের নিদর্শন । তখন সেখানে শং রাজবংশের শাসন চলিতেছিল । চীনে অস্ত্রোপচারের জন্য বনজঙ্গল থেকে সংগৃহীত বীজ ব্যবহৃত হতো । Huangdi Neijing ছিল চীনের চিকিৎসা শাস্রের জন্য মাইল ফলক যা ছিল দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দের শুরু এবং তৃতীয় শতাব্দীতে লেখা একটি মেডিকেল পাঠ।

    ভারতে, শল্যচিকিৎসক Sushruta প্লাস্টিকের অস্ত্রোপচারের প্রাচীনতম রূপসহ অসংখ্য অস্ত্রোপচারের বর্ণনা দিয়েছেন। অস্ত্রোপচারের সবচেয়ে পুরনো রেকর্ডগুলি পাওয়া যায় শ্রীলংকার মিহিনটলে অবস্থিত উৎসর্গীকৃত হাসপাতালে , যেখানে রোগীদের জন্য সুষম চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রমাণ পাওয়া যায়।

    গ্রীসে, গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস যাকে “পশ্চিমা চিকিৎসা শাস্রের জনক বলা হয়”, তিনিই প্রথম ঔষধের যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতির ভিত্তি স্থাপন করেন। হিপোক্রেটিসই চিকিৎসকদের জন্য হিপোক্রেটিক ওথ চালু করেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক এবং আজ অবধি ব্যবহৃত হয়ে আসতেছে । রোগকে তখনি প্রথম acute, chronic, endemic and epidemic হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাছাড়া তাদেরকে “exacerbation, relapse, resolution, crisis, paroxysm, peak, and convalescence” হিসাবেও শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল । গ্রীক চিকিৎসক গ্যালেন প্রাচীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সার্জন ছিলেন বলে ধারণা করা হয় । মস্তিষ্ক ও চক্ষু অস্ত্রোপচার সহ অনেক অদ্ভুত অপারেশন তিনি করেছিলেন। পশ্চিমা রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এবং মধ্যযুগীয় যুগের সূচনা হওয়ার পরে পশ্চিম ইউরোপে ঔষধের গ্রীক ঐতিহ্য হ্রাস পেতে থাকে, যদিও এই পদ্ধতিটি পূর্ব রোমান (বাইজানটাইন) সাম্রাজ্যের মধ্যে অব্যাহত ছিল।

    ১ম সহস্রাব্দের দিকে প্রাচীন হিব্রু চিকিৎসা পদ্বতির অধিকাংশই তওরাত থেকে আসে । যেমন মুসা (আ) এর পাঁচটি বই, যা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আইন এবং রীতিনীতিগুলি ধারণ করে। আধুনিক ঔষধের উন্নয়নে হিব্রুদের অবদান বাইজেন্টাইন যুগে শুরু হয়েছিল ইহুদি চিকিৎসক আসফ এর মাধ্যমে।

    মধ্যযুগ

    মধ্যযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা সবচেয়ে বিখ্যাত। মধ্যযুগীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব রচনা করেন যা ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ ছিল। আরবিতে ইবন সীনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পশ্চিমে তিনি অ্যাভিসিনা নামে পরিচিত। তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে।

    ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর মুসলিম বিশ্বের হাতে ছিল হিপোক্রেটস, Galen এবং Sushruta আরবি অনুবাদিত অনুলিপি । তাছাড়া ইসলামী চিকিৎসকগণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা গবেষণার সাথেও জড়িত ছিল। উল্লেখযোগ্য ইসলামিক চিকিৎসা অগ্রগামীদের মধ্যে রয়েছে ফারসি আভিসিনা, ইমহোটেপ ও হিপোক্রেটসের সাথে তাকেও “মেডিসিনের জনক” বলা হয়। তিনি কানুন অফ মেডিসিন গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত বইগুলির মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া আবুলকাসিস, আভেনজার, ইবনে আল নাফিস, এবং আভিরোস ও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। Rhazes গ্রিক theory of humorism নিয়ে প্রথম প্রশ্ন করেছিল, যা মধ্যযুগীয় পশ্চিমা ও মধ্যযুগীয় ইসলামী চিকিৎসা পদ্বতিতে খুবই প্রভাবশালী ছিল। শিয়া মুসলমানদের অষ্টম ইমাম আলি-আল-রাধা Al-Risalah al-Dhahabiah রচনা করেছিলেন যা আজ অবধি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে মূল্যবান ইসলামি সাহিত্য হিসেবে সম্মানিত। ফারসি বিমরস্তান হাসপাতালগুলি পাবলিক হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রাথমিক উদাহরণ হিসাবে গণ্য করা হয়।

    ইউরোপে, শার্লিমেন ঘোষণা করেছিলেন যে প্রতিটি ক্যাথিড্রাল এবং মঠের জন্য একটি হাসপাতালকে সংযুক্ত করা উচিত । ইতিহাসবিদ জ্যফ্রে ব্লেইন মধ্যযুগের স্বাস্থ্যসেবার ক্যাথলিক চার্চের কার্যক্রমগুলিকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রাথমিক সংস্করণের সাথে যুক্ত করেছিলেন । যেখানে বয়স্কদের জন্য হাসপাতাল, অনাথ শিশুদের জন্য এতিমখানা এবং সব বয়সের রোগীদের জন্য ঔষধ, কুষ্ঠরোগীদের জন্য থাকার জায়গা; এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য হোস্টেল বা inns যেখানে তারা সস্তায় বিছানা এবং খাবার কিনতে পারবে। এটি দুর্ভিক্ষের সময় জনসাধারণের জন্য খাদ্য সরবরাহ এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করে। এই কল্যাণ ব্যবস্থাটি মূলত গির্জা অর্থায়ন করতো । এই বড় আকারের টাকা তারা কর সংগ্রহের মাধ্যমে সম্পন্ন করতো যার মূল উৎস ছিল বৃহৎ কৃষিভূমি এবং এস্টেটগুলি। বেলডিসটাইনের আদেশটি তাদের মঠগুলিতে হাসপাতাল ও রোগীর স্থাপনা নির্মাণ করাতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল, ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা সেবার জন্য এবং তাদের জেলাসমূহের প্রধান চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীর জন্য Abbey of Cluny সুপরিচিত ছিল। এছাড়াও গির্জা ক্যাথেড্রাল স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল যেখানে চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন করা যেতো । মধ্যযুগীয় ইউরোপের সালেনোতে গ্রিক ও আরব চিকিত্সকগণের চিকিৎসা শাস্র অধ্যয়নেরর জন্য সেরা মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার নাম ছিল Schola Medica Salernitana.

    তবে, চৌদ্দ এবং পঞ্চদশ শতকের কালো মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ উভয়কেই ধ্বংস করে দিয়েছিল । তাছাড়া তর্কবিতর্ক করা হয়েছিল যে মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় পশ্চিম ইউরোপ সাধারণত আরও বেশি কার্যকর ছিল রোগ মুক্তির জন্য । প্রাক আধুনিক যুগে, চিকিৎসা বিদ্যা এবং শরীর বিদ্যা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পরিসংখ্যান ইউরোপে আবির্ভূত হয়েছিল, যার মধ্যে Gabriele Falloppio এবং William Harvey এর নাম অন্যতম।

    চিকিৎসা সংক্রান্ত চিন্তাভাবনায় প্রধান পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান প্রত্যাখ্যানটাই ছিল একটি আলোচ্য বিষয় যা মূলত চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে বিশেষভাবে কালো মৃত্যুর সময় যাকে ‘traditional authority’ বলা যেতে পারে চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে । Andreas Vesalius ‘De humani corporis fabrica’ নামে একটা বই লিখেছিলেন যা মানব অজ্ঞ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। ১৬৭৬ সালে এন্টোনি ভ্যান লিউভেনহোক একটি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে ব্যাকটেরিয়া পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে প্রথম বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে মাইক্রোবায়োলজির যাত্রা শুরু করেছিলেন। মাইকেল সার্ভেটাস ‘pulmonary circulation’ সন্ধান পেয়েছিলেন স্বাধীনভাবে ইবনে আল নাফিসের কাছ থেকে, , কিন্তু এই আবিষ্কারটি জনগণের কাছে পৌঁছেনি কারণ এটি প্রথমবারের জন্য “Manuscript of Paris” এ লেখা হয়েছিল ১৫৪৬ সালের দিকে । পরবর্তীতে এটি ধর্মতত্ত্ব নামে প্রকাশিত হয়েছিল ১৫৫৩ সালে যা তার জীবনের সবচেয়ে কাজ ছিল এটি। পরবর্তীতে এটি রেনালডাস কলম্বাস এবং আন্দ্রে সিলেপিনোর মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছিল । Herman Boerhaave কখনও কখনও তাকে “শারীরবৃত্তির জনক” হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন লিডেন এবং পাঠ্যপুস্তক ‘ইনস্টিটিউশন মেডিয়াকে’ (1708) শিক্ষা প্রদান করার কারণে । পিয়ের ফৌচারকে “আধুনিক দন্তচিকিৎসার জনক” বলা হয়। সম্পাদনা মোঃ শাহাদাত হোসেন, বাংলা বিভাগ, ঢাবি

    আধুনিক যুগ

    চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল যুগ হচ্ছে ঊনবিংশ এবং বিংশ শতক। এই দুই শতকে বিজ্ঞানের অন্যান্য সব শাখার ন্যায় চিকিৎসাবিজ্ঞানেও বিপ্লবাত্মক সব আবিষ্কার হয়। বিশেষ করে বিংশ শতকের প্রথমার্ধে সংঘটিত দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যুদ্ধকালীন প্রয়োজনেই আবিষ্কার হয় বহু চিকিৎসাকৌশল।

    ১৭৬১ সালের দিকে পশু চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল যা মানবদেহের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে একটু পৃথক ছিল। ফ্রান্সের পশু চিকিৎসক ক্লড বুগ্রেল্যাট ফ্রান্সের লায়নে বিশ্বের প্রথম পশুচিকিৎসা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই আগে মেডিকেলের ডাক্তারাই মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর চিকিৎসা করতো।

    আধুনিক বৈজ্ঞানিক বায়োমেডিকাল গবেষণা (যেখানে ফলগুলি পরীক্ষাযোগ্য এবং প্রজননযোগ্য হয়)শুরু হয়েছিল পশ্চিমা ঐতিহ্য ভেষজের উপর ভিত্তি করে। প্রথম দিকে গ্রীক “four humours” এর পরিবর্তে এবং পরে অন্যান্য ধরনের প্রাক-আধুনিক ধারণার পরিবর্তন শুরু হতে থাকে । আধুনিক যুগ আসলে শুরু হয়েছিল ১৮ শতকের শেষের দিকে এডওয়ার্ড জেনারের smallpox এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার (এশিয়ায় প্রচলিত টিউশুর পদ্ধতির দ্বারা অনুপ্রাণিত), ১৮৮৮ সলে রবার্ট কোচের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগের সংক্রমণের আবিষ্কার তারপর ১৯০০ এর কাছাকাছি এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ।

    অষ্টাদশ শতাব্দীর পরে আধুনিকতার যুগ ইউরোপ থেকে আরো জাগ্রত গবেষক খুঁজে পেয়েছিল। জার্মানি ও অস্ট্রিয়া থেকে, ডাক্তার রুডলফ বীরভো, উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেন, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনটার ও অটো লোইই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, জোসেফ লিস্টার, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। স্প্যানিশ ডাক্তার সান্তিয়াগো র্যামন ও কাজালকে আধুনিক স্নায়ুবিজ্ঞানের জনক বলে মনে করা হয়।

    নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে মরিস উইলকিন্স, হাওয়ার্ড ফ্লোরী এবং ফ্রাঙ্ক ম্যাকফার্লেন বার্নেট কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় ।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উইলিয়াম উইলিয়ামস কিন, উইলিয়াম কলি, জেমস ডি.ওয়াটসন ইতালি (সালভাদর লুরিয়া) থেকে, সুইজারল্যান্ড থেকে আলেক্সান্ডার ইয়ারসিন, জাপান থেকে কিটাসাটো শিবাশাবুরো এবং ফ্রান্স থেকে জিন মার্টিন চারকোট, ক্লাউড বার্নার্ড, পল ব্রোকা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। রাশিয়ান নিকোলাই করতোকভ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন যেমন করেছিলেন স্যার উইলিয়াম ওসলার এবং হার্ভি কুশিং ।

    বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকে । ইউরোপ জুড়ে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে কেবল পশু ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যই ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় নি সাথে সাথে মানুষের দেহের অংশ এবং তরলও ব্যবহৃত হয়েছিল। ফারমাকোলজি বিকশিত হয়েছে হারবালিজম থেকে এবং কিছু কিছু ঔষধ (এট্রোপাইন, এফ্রেডিন, ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন, ডাইগক্সিন, ভিনকা অ্যালকোলোড, ট্যাকোলোল, হাইস্কিন ইত্যাদি) এখনও উদ্ভিদ থেকে থেকে প্রস্তুত হয়। এডওয়ার্ড জেনার এবং লুই পাস্তুর টিকা আবিষ্কার করেছিলেন।

    প্রথম অ্যান্টিবায়োটিকটি ছিল অ্যারফেনামাইন (সালভারসন) যা ১৯০৮ সালে পল এরিলিচ আবিষ্কার করেন। তারপর তিনা আবিষ্কার করেন ব্যাক্টেরিয়া যে বিষাক্ত রঞ্জন গ্রহণ করে মানুষের কোষে তা করেনা। প্রথম এবং প্রধান এন্টিবায়োটিকস হলো সালফা ওষুধ যা জার্মান রসায়নবিদ azo dyes থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ।

    ফার্মাকোলজি ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে; আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মাদকদ্রব্যকে বিকশিত করতে সহায়তা করে, আবার কখনও কখনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে শরীরের সাথে সামঞ্জস্যের ব্যবস্থা করা হয়। জিনোমিক্স এবং জেনেটিক্স সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান ঔষধের উপর কিছু প্রভাব ফেলেছে, কারণ বেশিরভাগ মনোজেনিক জেনেটিক ডিসঅর্ডারগুলির জিনগুলি এখন চিহ্নিত করা হয়েছে যা causative genes হিসাবে কার্যকারী। তাছাড়া আণবিক জীববিদ্যা এবং জেনেটিক্সের কৌশলগুলির বিকাশ ও চিকিৎসা প্রযুক্তি অনুশীলনের এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকে অনেক প্রভাবিত করছে।

    শাখা

    চিকিৎসাবিদ্যা অনেকগুলো শাখায় বিভক্ত। এগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক বা বেসিক, প্যারাক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল। বেসিক শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে এনাটমী বা অঙ্গংস্থানতত্ত্ব, ফিজিওলজি বা শারীরতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি বা প্রাণরসায়ন ইত্যাদি। প্যারাক্লিনিক্যাল শাখার মধ্যে অণুজীববিদ্যা, রোগতত্ত্ব বা প্যাথোলজি, ভেষজতত্ত্ব বা ফার্মাকোলজি অন্যতম। ক্লিনিক্যাল হলো প্রায়োগিক চিকিৎসাবিদ্যা। এর প্রধান দুটি শাখা হলো, মেডিসিন এবং শল্যচিকিৎসা বা সার্জারি। আরও আছে ধাতৃ ও স্ত্রীরোগবিদ্যা, শিশুরোগবিদ্যা বা পেডিয়াট্রিক্স, মনোরোগবিদ্যা বা সাইকিয়াট্রি, ইমেজিং ও রেডিওলোজি ইত্যাদি। এগুলোর সবগুলোরই আবার বহু বিশেষায়িত্ব শাখা রয়েছে।

    • এনাটমি: এনাটমি হচ্ছে জীবের শারীরিক কাঠামো নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা । তাছাড়া ম্যাক্রোস্কোপিক বা গ্রস এনাটমি , সায়োটোলজি এবং হিস্টোলজিও তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়।
    • জৈব রসায়ন : জীবজন্তুর ক্ষেত্রে বিশেষ করে কাঠামোগত পদার্থের গঠন এবং কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে।
    • বায়োমেকানিকস: বায়োমেকানিকস হল যান্ত্রিক পদ্ধতির দ্বারা জৈবিক পদ্ধতির কাঠামো এবং ক্রিয়াকলাপের অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা।
    • বায়োস্ট্যাটিক্স : বায়োস্ট্যাটিক্স হল জীববিজ্ঞান এর বিস্তৃত প্রয়োগ । বায়োস্ট্যাটিক্সের জ্ঞান চিকিৎসা গবেষণার পরিকল্পনা, মূল্যায়ন এবং ব্যাখ্যার জন্য অপরিহার্য। এটি মহামারীবিদ্যা এবং প্রমাণ ভিত্তিক ঔষধের জন্যও মৌলিক বিষয় হিসাবে কাজ করে।
    • জীবজগতবিজ্ঞান: এটি আন্তঃসম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান যা জৈবিক পদ্ধতিগুলি অধ্যয়ন করার জন্য পদার্থবিজ্ঞান ও শারীরিক রসায়ন পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে থাকে।*
    • কোষবিদ্যা: এটি পৃথক কোষগুলির মাইক্রোস্কোপিক গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা ।*
    • ভ্রূণবিদ্যা : এটি কী করে ভ্রূণের বিকাশ ঘটে তা নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা । ১৮৮৫ সালে লুই পাস্তুর তার পরীক্ষাগারে ভ্রূণবিদ্যা নিয়ে প্রথম গবেষণা করেছিল।*
    • এন্ডোক্রিনোলজি: এটি হরমোন এবং পশুদের সমগ্র শরীর জুড়ে তাদের প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা ।
    • মহামারীবিদ্যা : মহামারী রোগের প্রক্রিয়ায় জনসংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণা কাজে এই বিষয়টি ব্যবহৃত হয়, কিন্তু এটি শুধু মহামারী গবেষণা কাজের মধ্যেই সীমিত নয়।*
    • জেনেটিক্স : জিন গবেষণা, জৈবিক উত্তরাধিকার এবং তাদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করে।*
    • হিস্টোলজি : এটি আলোর মাইক্রোস্কোপি, ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি এবং ইমিউনোহিসটোমমিশ্রিয়া দ্বারা জৈবিক টিস্যুর গঠনগুলির অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা।
    • ইমিউনোলজি : ইমিউন সিস্টেম নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা , উদাহরণস্বরূপ, যা মানুষের মধ্যে সহজাত এবং অভিযোজিত ইমিউন সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করে ।*
    • চিকিৎসা পদার্থবিদ্যা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে পদার্থবিজ্ঞানের নীতির প্রয়োগগুলি নিয়ে আলোকপাত করে।*
    • মাইক্রোবায়োলজি : এটি প্রোটোজোয়া, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গি এবং ভাইরাস সহ সুক্ষতত্ত্ব নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা ।*
    • আণবিক জীববিদ্যা : জেনেটিক উপাদান এর প্রতিলিপি এবং অনুবাদ প্রক্রিয়ার আণবিক ভিত্তি নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা ।*
    • স্নায়ুবিজ্ঞান : এটি স্নায়ুতন্ত্রের গবেষণার সাথে সম্পর্কিত বিজ্ঞানগুলির অন্তর্ভুক্ত। স্নায়ুবিজ্ঞান এর প্রধান আলোচ্য বিষয় হল মানব মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড। স্নায়ুবিদ্যা, নিউরো-সার্জারি এবং মানসিক রোগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্নায়ুবিজ্ঞান এর অন্তর্ভুক্ত ।*
    • পুষ্টি বিজ্ঞান : (তাত্ত্বিক ফোকাস) এবং ডাইটিটিক্স (বাস্তব ফোকাস) খাদ্য এবং পানির সাথে স্বাস্থ্য, রোগের সম্পর্ক নিয়ে আলোকপাত করে। চিকিৎসা পুষ্টি থেরাপি মূলত ডায়েটিশিয়ান দ্বারা পরিচালিত হয় এবং বিভিন্ন রোগ যেমন ,ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ওজন এবং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে যে রোগ হয়, এলার্জি, অপুষ্টি, এবং নিউপ্লাস্টিক রোগের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
    • প্যাথলজি : এটি রোগের কারণ, কোর্স, অগ্রগতি এবং তার রেজোল্যুশন নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা ।
    • ফার্মাকোলজি : এটি মূলত ড্রাগ এবং তাদের কর্ম প্রণালী নিয়ে পর্যালোচনা করে ।
    • ফোটোবায়োলজি : এটি non- ionizing এর বিকিরণ এবং জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া নিয়ে অধ্যয়ন সংক্রান্ত বিদ্যা ।*
    • শারীরবৃত্তীয় : শরীরের সাধারণ কাজ এবং অন্তর্নিহিত নিয়ন্ত্রক প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা ।
    • রেডিওবায়োলজি : আয়নীকরণ , বিকিরণ এবং জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা ।
    • বিষক্রিয়াবিদ্যা : এটি ওষুধ এর বিষাক্ত এবং বিপজ্জনক প্রভাব নিয়ে গবেষণা সংক্রান্ত বিদ্যা।

    শিক্ষা

    বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার বেশকয়েকরকম পদ্ধতি আছে। সাধারণত মেডিকেল স্কুল বা কলেজগুলোতে শিক্ষা দেওয়া হয়। একে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা হয়: স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি হিসেবে এম.বি.বি.এস বা এম.ডি প্রচলিত। প্রথমোক্ত ডিগ্রিটি যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথ দেশগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এম.ডি. ডিগ্রি যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশে প্রচলিত। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মেডিকেল কলেজ ডি.ও. ডিগ্রিও প্রদান করে থাকে। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে এমআরসিপি, এফআরসিএস ইত্যাদি বিভিন্ন মেম্বারশিপ ও ফেলোশিপ অন্যতম। বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে এফ.সি.পি.এস. অন্যতম, যা দেশগুলোর নিজ নিজ রাষ্ট্রীয় ‘কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এণ্ড সার্জনস’ কর্তৃক প্রদান করা হয়ে থাকে।

    বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার মূল ক্ষেত্র মেডিকেল কলেজ। প্রতিবছর সরকারি প্রায় ৩৭ ও বেসরকারি অনেকগুলো কলেজে প্রায় দশহাজারের মতো ছাত্রছাত্রি ভর্তি হয়ে থাকে। পাঁচবছর মেয়াদি পড়াশোনা শেষে স্নাতক হিসেবে এম.বি.বি.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর একবছর শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। শিক্ষানবিশি শেষে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল এণ্ড ডেন্টাল কাউন্সিল’এর রেজিস্টার্ড ডাক্তার হিসেবে চর্চা করতে পারেন।

    তথ্যসূত্র

    Etymology: Latin: medicina, from ars medicina “the medical art”, from medicus “physician”. (Etym.Online) Cf. mederi “to heal”, etym. “know the best course for,” from PIE base *med- “to measure, limit. Cf. Greekmedos “counsel, plan”, Avestanvi-mad “physician”)

    1. “Medicine” Online Etymology Dictionary

    বহিঃসংযোগ

    উইকিপিডিয়ার সহপ্রকল্পেচিকিৎসা বিজ্ঞান

    দেচিকিৎসাবিজ্ঞান (চিকিৎসাচিকিৎসক)
    বিশেষায়িত ক্ষেত্র
    এবং
    উপক্ষেত্র
    শল্যচিকিৎসাহৃৎ শল্যচিকিৎসা (Cardiac) হৃৎ-বক্ষীয় শল্যচিকিৎসা (Cardiothoracic) মলান্ত্র-মলাশয় শল্যচিকিৎসা (Colorectal) চক্ষু শল্যচিকিৎসা সাধারণ শল্যচিকিৎসা স্নায়ু শল্যচিকিৎসা (Neuro) মুখবিবরীয় ও কপোলাস্থি-মুখমণ্ডলীয় শল্যচিকিৎসা (Oral and maxillofacial) অস্থি শল্যচিকিৎসা (Orthopedic) হস্ত শল্যচিকিৎসা নাক-কান-গলা শল্যচিকিৎসা শিশুরোগ শল্যচিকিৎসা (Pediatric) পুনর্গাঠনিক শল্যচিকিৎসা (Plastic) জননীয় শল্যচিকিৎসা (Reproductive) শল্য অর্বুদবিজ্ঞান (Surgical oncology) বক্ষীয় শল্যচিকিৎসা (Thoracic) প্রতিস্থাপন শল্যচিকিৎসা (Transplant) আঘাত শল্যচিকিৎসা (Trauma) বৃক্কশল্যবিজ্ঞান (Urology) পুংরোগবিজ্ঞান (Andrology) রক্তবাহ শল্যচিকিৎসা (Vascular)অন্তররোগ চিকিৎসাবিজ্ঞান(Internal medicine)অতিপ্রতিক্রিয়া (অ্যালার্জি) (Allergy) / অনাক্রম্যবিজ্ঞান (Immunology) বাহবিজ্ঞান (Angiology) হৃৎবিজ্ঞান (Cardiology) অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বিজ্ঞান (Endocrinology) পাকান্ত্রবিজ্ঞান (Gastroenterology) যকৃৎবিজ্ঞান (Hepatology) জরাবিজ্ঞান (Geriatrics) রক্তবিজ্ঞান (Hematology) হাসপাতাল চিকিৎসাবিজ্ঞান (Hospital medicine) সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসা (Infectious disease) বৃক্কবিজ্ঞান (Nephrology) অর্বুদবিজ্ঞান (Oncology) ফুসফুসবিজ্ঞান (Pulmonology) বাতবিজ্ঞান (Rheumatology)ধাত্রীবিজ্ঞান এবং স্ত্রীরোগবিজ্ঞান(Obstetrics and gynaecology)স্ত্রীরোগবিজ্ঞান (Gynaecology) স্ত্রী অর্বুদবিজ্ঞান (Gynecologic oncology) মাতৃ-প্রভ্রূণ চিকিৎসাবিজ্ঞান (Maternal–fetal medicine) ধাত্রীবিজ্ঞান (Obstetrics) জননীয় অন্তঃক্ষরা গ্রন্থিবিজ্ঞান এবং অনুর্বরতা (Reproductive endocrinology and infertility) মূত্র-স্ত্রীরোগবিজ্ঞান (Urogynecology)রোগনির্ণয়(Diagnostic)রঞ্জনবিজ্ঞান (Radiology) হস্তক্ষেপমূলক রঞ্জনবিজ্ঞান (Interventional radiology) নিউক্লীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান (Nuclear medicine) রোগবিজ্ঞান (Pathology) শারীরস্থানিক (Anatomical) রোগীভিত্তিক (Clinical) রোগীভিত্তিক রসায়ন (Clinical chemistry) রোগীভিত্তিক অনাক্রম্যবিজ্ঞান (Clinical immunology) কোষীয় রোগবিজ্ঞান (Cytopathology) চিকিৎসা অণুজীববিজ্ঞান (Medical microbiology) রক্ত সংক্রমণ চিকিৎসাবিজ্ঞান (Transfusion medicine)অন্যান্য বিশেষ ক্ষেত্রসমূহআসক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞান (Addiction medicine) কিশোর চিকিৎসাবিজ্ঞান (Adolescent medicine) অবেদনবিজ্ঞান (Anesthesiology) চর্মবিজ্ঞান (Dermatology) বিপর্যয় চিকিৎসাবিজ্ঞান (Disaster medicine) জরুরী চিকিৎসাবিজ্ঞান (Emergency medicine) পারিবারিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Family medicine) সাধারণ চিকিৎসক (General practitioner) হাসপাতাল চিকিৎসাবিজ্ঞান (Hospital medicine) নিবিড় পরিচর্যা চিকিৎসাবিজ্ঞান (Intensive care medicine) প্রকট চিকিৎসাবিজ্ঞান (Acute medicine) চিকিৎসা বংশাণুবিজ্ঞান (Medical genetics) মাদকবিজ্ঞান (Narcology) স্নায়ুবিজ্ঞান (Neurology) নিদানিক স্নায়ুশারীরবিজ্ঞান (Clinical neurophysiology) পেশাক্ষেত্রীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান (Occupational medicine) চক্ষুবিজ্ঞান (Ophthalmology) মৌখিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Oral medicine) ব্যথা ব্যবস্থাপনা (Pain management) প্রশমনমূলক সেবা (Palliative care) শিশুরোগবিজ্ঞান (Pediatrics) নবজাতকবিজ্ঞান (Neonatology) ভৌত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চিকিৎসা (Physical medicine and rehabilitation) প্রতিরোধমূলক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Preventive medicine) মনোরোগবিজ্ঞান (Psychiatry) আসক্তি মনোরোগবিজ্ঞান (Addiction psychiatry) বিকিরণ অর্বুদবিজ্ঞান (Radiation oncology) জননীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান (Reproductive medicine) যৌন চিকিৎসাবিজ্ঞান (Sexual medicine) নিদ্রা চিকিৎসাবিজ্ঞান (Sleep medicine) ক্রীড়া চিকিৎসাবিজ্ঞান (Sports medicine) প্রতিস্থাপন চিকিৎসাবিজ্ঞান (Transplantation medicine) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান (Tropical medicine) ভ্রমণ চিকিৎসাবিজ্ঞান (Travel medicine) যৌনরোগবিজ্ঞান (Venereology)
    চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষাচিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক ও শল্যবিজ্ঞানে স্নাতক (Bachelor of Medicine, Bachelor of Surgery) চিকিৎসীয় বিজ্ঞানসমূহে স্নাতক (Bachelor of Medical Sciences) চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (Master of Medicine) শল্যবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (Master of Surgery) চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডক্টর (Doctor of Medicine) অস্থিরোগ চিকিৎসাবিজ্ঞানের ডক্টর (Doctor of Osteopathic Medicine) এমডি–পিএইচডি (MD-PhD)
    সম্পর্কিত বিষয়াদিবিকল্প চিকিৎসাবিজ্ঞান (Alternative medicine) সহযোগী স্বাস্থ্য পেশাসমূহ (Allied health professions) দন্তবিজ্ঞান (Dentistry) চরণ প্রসাধন বিজ্ঞান (Podiatry) ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহার বিজ্ঞান (Pharmacy) দেহচর্চামূলক চিকিৎসা (Physiotherapy) আণবিক অর্বুদবিজ্ঞান (Molecular oncology) ন্যানো চিকিৎসাবিজ্ঞান (Nanomedicine) ব্যক্তিমাফিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (Personalized medicine) জনস্বাস্থ্য (Public health) গ্রামীণ স্বাস্থ্য (Rural health) চিকিৎসা (Therapy) ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাবিজ্ঞান (Traditional medicine) পশুরোগ চিকিৎসাবিজ্ঞান (Veterinary medicine) চিকিৎসক (Physician) প্রধান চিকিৎসক (Chief physician) চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস
    উইকিপিডিয়া বই গ্রন্থ বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী কমন্স পাতা কমন্স উইকিপ্রকল্প উইকিপ্রকল্প প্রবেশদ্বার প্রবেশদ্বার রূপরেখা রূপরেখা

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • খাদ্য বিজ্ঞান

    খাদ্য বিজ্ঞান হচ্ছে একটি ফলিত বিজ্ঞান যা খাদ্য সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করে। Institute of Food Technologists এর সংজ্ঞানুসারে যে শৃঙ্খলে প্রকৌশল,জীববিজ্ঞানপদার্থবিজ্ঞান একত্রে খাদ্যের প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা হয়, খাদ্যের গুনগত মানের অবনতির কারণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মূলনীতি, এবং ভোক্তার স্বার্থে খাদ্যের উন্নতি সম্পর্কে আলোচনা হয় তাকে খাদ্য বিজ্ঞান বলে।[১]

    প্রয়োগ

    এই বিজ্ঞানে নতুন খাদ্যের মানোন্নয়ন করা হয়, এসব খাদ্য প্রক্রিয়াজাতের নকশা প্রণয়ন করা হয়, খাদ্যের মোড়ক নির্বাচন করা হয়, খাদ্যের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়,[২][৩][৪][৫] অণুজীববিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়।
    খাদ্য বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু সংস্থা হচ্ছেঃ

    ক্ষেত্র

    মলিকুলার গ্যাস্ট্রোনমিতে ডিমের উপর ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।[৬][৭] এবং এর সান্দ্রতা, পৃষ্ঠটান, এবং এর ভেতর বাতাস প্রবাহের বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করে।[৮]

    পাউরুটিরকারখানা, জার্মানি

    খাদ্য বিজ্ঞানের অনেকগুলো শাখা রয়েছে।

    খাদ্য রসায়ন

    এই শাখায় খাদ্যের জৈব উপাদান এবং অজৈব উপাদান এর পারস্পরিক ক্রিয়া এবং রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।[৯][১০] খাদ্য রসায়নের যাত্রা শুরু হয় ১৮ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে যখন অনেক বিখ্যাত বিজ্ঞানী খাদ্যের রাসায়নিক গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করেন। Carl Wilhelm Scheele ১৭৮৫ সালে আপেল থেকে ম্যালিক এসিড পৃথক করেন। পানি, কার্বোহাইড্রেট, উৎসেচক, খাদ্যের রং, খনিজ, ভিটামিন, লিপিড, প্রোটিন এই শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    খাদ্য অণুজীববিজ্ঞান

    এই শাখায় খাদ্যে বসবাসকারী অণুজীব এবং এর দ্বারা খাদ্যের দূষণ এবং পচন সম্পর্কে আলোচনা হয়।[১১] উপকারি ব্যাকটেরিয়া, উদাহরণস্বরূপ প্রোবায়োটিক ক্রমশ খাদ্য বিজ্ঞানের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।[১২][১৩][১৪] ইস্ট নামক ছত্রাক খাদ্যের গাঁজনে ব্যবহার করা হয়।কিছু ব্যাকটেরিয়া যেমন ল্যাকটিক এসিড ব্যাকটেরিয়া দই, পনির সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

    খাদ্য নিরাপত্তা

    এই শাখায় খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য ব্যবহারের অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা হয়। খাদ্য সংরক্ষণের এমন প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয় যার সাহায্যে খাদ্যঘটিত অসুখ প্রতিরোধ অর্থাৎ দুষিত খাদ্যে যেসব ক্ষতিকারক অণুজীব থাকে তাদের প্রতিরোধ করা যায়।

    মলিকুলার গ্যাস্ট্রোনমি

    এই শাখায় রান্না করার সময় খাদ্যের ভৌত পরিবর্তণ এবং রাসায়নিক পরিবর্তণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। ১৯৮৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর পদার্থবিদ Nicholas Kurti এবং French INRA এর রসায়নবিদ Hervé This প্রথম মলিকুলার গ্যাস্ট্রোনমি শব্দটি ব্যবহার করেন।[১৫] খাদ্য বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা খাদ্যের নিরাপত্তা, অণুজীব, সংরক্ষণ, রাসায়নিক , প্রকৌশল ও ভৌত দিক নিয়ে আলোচনা করলেও একমাত্র এই শাখাটিই বাড়ি এবং রেস্টুরেন্টের নিয়মিত রন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে।

    খাদ্য প্রকৌশল

    এই শাখা মূলত ফলিত পদার্থবিজ্ঞানের একটি বহুমুখী শাখা। কৃষি প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল এবং রাসায়নিক প্রকৌশল এর খাদ্য বিষয়ক মূলনীতি আলোচনার পাশাপাশি এই শাখা বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য উৎপাদনের কৌশল সম্পর্কেও আলোচনা করে।

    বিভিন্ন দেশে খাদ্য বিজ্ঞান

    অস্ট্রেলিয়া

    সংস্থার রূপরেখা
    গঠিত১৯২৬
    অধিক্ষেত্র Commonwealth of Australia
    সদর দপ্তরCanberra, Australian Capital Territory, অস্ট্রেলিয়া
    কর্মী৬,৬০০+
    ওয়েবসাইটCSIRO

    অস্ট্রেলিয়ায় Commonwealth Scientific and Industrial Research Organisation (CSIRO) খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করে।

    যুক্তরাষ্ট্র

    ধরনঅলাভজনক
    প্রতিষ্ঠাকাল১৯৩৯
    সদরদপ্তরশিকাগো, ইলিনয়, আমেরিকা
    ওয়েবসাইটঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট

    Institute of Food Technologists (IFT) খাদ্য বিজ্ঞান এবং খাদ্য প্রকৌশল বিষয়ক বৃহত্তম সংস্থা। ২০১২ সালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৮,০০০। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।

    যুক্তরাজ্য

    খাদ্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন, এই বিষয়ে শিক্ষা প্রসার, এবং জনগনের উপকার, নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সংরক্ষণের জন্য ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যে Institute of Food Science & Technology(IFST) প্রতিষ্ঠিত

  • কৃষি প্রকৌশল

    কৃষি প্রকৌশল হচ্ছে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরনের প্রকৌশল। কৃষি প্রকৌশল পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল, রাসায়নিক কৌশল, তড়িৎ কৌশল ও খাদ্যবিজ্ঞান ও কৃষি বিজ্ঞান এর মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। কৃষি উৎপাদনে স্থায়িত্ব ও উপযুক্ত কার্য ক্ষমতা প্রদর্শন হচ্ছে এই বিষয়ের মূল লক্ষ্য।[১]

    ইতিহাস

    কৃষি প্রকৌশলের সূচনা হয় যখন থেকে কৃষিতে সেচ ব্যবস্থার ব্যবহারের শুরু হয়। সেচ ব্যবস্থা শিল্প বিপ্লবের আগ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় নি।

    ট্রাক্টর এবং অন্যান্য কৃষি যন্ত্রপাতির আবিষ্কার কৃষিতে নতুন বিপ্লবের সূচনা করে। পরে যান্ত্রিক কর্তনযন্ত্র ও বুননযন্ত্র ২০ শতকে হাতে কৃষিকাজের পরিমান বলতে গেলে কমিয়ে দেয়। পরে ২০ শতকে ক্রপডাস্টারের আবির্ভাবে ফসলে কীটনাশক ছিটানো সহজ হয়ে যায়। কৃষিক্ষেত্রে এই সব প্রকৌশল শাস্ত্রীয় কনসেপ্ট প্রয়োগের ফলে কৃষিক্ষেত্রে এক ধরনের বিপ্লব ঘটে যাকে ২য় কৃষি বিপ্লব বলে।

    ২০ শতকের শেষে Genetically Modified Foods (GMOs) তৈরি করা হয় যাতে করে ফসলের মোট উতপাদন বাড়ে ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।[২]

    বিশেষায়ন

    কৃষি প্রকৌশলীগণ নিম্নলিখিত বিভাগ গুলোতে বিশেষজ্ঞ হতে পারেনঃ-

    1. কৃষি যন্ত্রপাতি, কৃষি অবকাঠামো ও কৃষি উপকরন তৈরি ও নকশা করতে পারেন
    2. অন্তঃ তাপীয় ইণ্জিনকে কৃষি ক্ষেত্রে যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
    3. কৃষি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ( ভূমি ব্যবহার ও পানি ব্যবহার সহ।)
    4. পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা
    5. ভূমি জরিপ
    6. মাটি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ
    7. বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
    8. জৈবসম্পদ প্রকৌশল
    9. শস্য ব্যবস্থাপনা ও গুদামজাতকরন
    10. শস্য ও প্রাণী উতপাদন এর সাথে সম্পর্কিত এক্সপেরিমেন্ট ডিজাইন
    11. খাদ্য প্রকৌশল ও কৃষি পন্য প্রক্রিয়াজাতকরন।
    12. সার্কিট বিশ্লেষণের মূল নীতি।
    13. কৃষি উতপাদনেে ব্যবহৃত বস্তু সমূহের ভৌতিক ও রাসায়নিক বৈশিস্ট্য।

    কৃষি প্রকৌশলী

    কৃষি প্রকৌশলীগণ হচ্ছেন সেই বিশেষজ্ঞ যারা কৃষি উপকারণ, কৃষি খামার কৃষি যন্ত্রপাতি নকশা, পরিকল্পনা সেচ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, দুগ্ধখামার নিয়ন্ত্রণ, পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ইত্যাদি সহ পরিবেশগত প্রভাব বিবেচনার কাজ করেন। অনেক কৃষি প্রকৌশলী শিক্ষাজগতে কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। অনেক কৃষি প্রকৌশলী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ করেন। কেউ কেউ কনসালটেন্সি করে থাকেন। অনেকে উতপাদন, বিক্রয়, ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়েেে ও কাজ করে থাকেন। যুক্তরাজ্যে যারা কৃষি যন্ত্রপাতি মেরামত করেন তাদেরকেও কৃষি প্রকৌশলী বলা হয়।

    কর্মক্ষেত্রঃ

    কৃষির অভাবনীয় উন্নয়নে কৃষি প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনেক। দিন দিন কৃষি প্রকৌশলীদের চাকরির ক্ষেত্র বাড়ছে। কৃষি প্রযুক্তিকরণের লক্ষ্যে কৃষি প্রকৌশলীগণ বিভিন্ন সেক্টরে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিরি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এক্সটেনশন (ডিএই), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ছাড়াও জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং, মাহবুব ইঞ্জিনিয়ারিং, এসিআই, সিনজেনটা, কাজী ফার্মসসহ সব কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ থাকছে। অন্যদিকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি এবং ভালো রেজাল্টধারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থাকছে। একটু ভালো সিজিপিএ থাকলে খুব সহজেই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্কলারশিপসহ পড়াশোনা ও স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগও থাকছে।

    আয়-রোজগার : বাংলাদেশে সাধারণত কৃষি সম্পর্কিত যে কোনো প্রতিষ্ঠানে একজন কৃষি প্রকৌশলীর বেতন সরকারি স্কেলেই ধার্য করা হবে। তা ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রথম অবস্থায় উচ্চবেতন দিয়ে চাকরি শুরু হয়। দিন যত গড়াবে, বেতন তত বাড়তে থাকবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো অনেক উচ্চমানের বেতন

    দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে শুরুতেই লাখ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

    শিক্ষা

    বিশ্বের অনেক দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি প্রকৌশল বিষয়ক কোর্স চালু আছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়ানো হয় যা ক্যারিয়ার এ এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।

    ১৯০৫ কৃষি প্রকৌশলের প্রথম কারিকুলাম তৈরি করেন আইওয়া অঙ্গরাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জে.বি ডেভিডসন।

    অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশল এবং জৈব প্রকৌশলের উপর বিভিন্ন প্রোগ্রাম আছে। এসব প্রোগ্রাম এই ক্ষেত্রের উপর পড়াশোনার জন্যে জরুরী।[৩]

    বাংলাদেশে চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি দিয়ে থাকে।

    ১.বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,ময়মনসিংহ

    ২. হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ,দিনাজপুর

    ৩.সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,সিলেট

    ৪.খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনা

    এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

    আরো পড়ুন

    • Brown R,H (1988): CRC Handbook of Engineering in Agriculture. Boca Ration, FL. ISBN 0-8493-3860-3
    • DeForest S,S, 2007): The vision that cut drugery from the farming forever. St Joseph, Mich.: ASAE.ISBN 1-892769-61-1
    • Stewert, Robert E ( 1979). Seven decades that changed America: a history of the American Society of

    Agricultural Engineers, 1907-1977. St. Joseph, Mich.: ASAE. OCLC 5947727

  • অধিকরণ কারক

    ব্যাকরণ শাস্ত্রে, অধিকরণ কারক বলতে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় এবং আধারকে নির্দেশ করে।[১] ক্রিয়াকে “কখন” ও “কোথায়” দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ ‘-এ’ ‘-য়’ ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।

    উদাহরণ:
    আধার (স্থান): আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ নেই।
    কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে।

    প্রকারভেদ

    অধিকরণ কারক তিন প্রকার। যথা-
    ১. কালাধিকরণ,
    ২. আধারাধিকরণ এবং
    ৩. ভাবাধিকরণ

    কালাধিকরণ

    যে সময় ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ কারক বলে।[২]

    উদাহরণ: শরতে (কখন? – শরৎ) শাপলা ফোটে।

    আধারাধিকরণ

    আধারাধিকরণ তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:- ১. ঐকদেশিক, ২. অভিব্যাপক এবং ৩. বৈষয়িক।

    ঐকদেশিক

    বিশাল স্থানের যে কোনো এক অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে। সামীপ্য অর্থেও ঐকদেশিক অধিকরণ হয়।

    উদাহরণ:
    পুকুরে মাছ আছে। (পুকুরের যে কোনো একস্থানে)
    বনে বাঘ আছে। (বনের যে কোনো এক অংশে)
    আকাশে চাঁদ উঠেছে। (আকাশের কোনো এক অংশে)
    ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (ঘাটের কাছে)
    দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেহ তারে। (দুয়ারের কাছে)
    রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা।

    অভিব্যাপক

    উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে।

    উদাহরণ:
    তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)
    নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)

    বৈষয়িক

    বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়।

    উদাহরণ:
    রাকিব অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।
    আমাদের সেনারা সাহসে দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়।

    ভাবাধিকরণ

    যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়।

    উদাহরণ:
    সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়। হাসিতে মুক্তা ঝরে। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। (সপ্তমী বিভক্তি)

    অধিকরণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার

    আরও দেখুন: বিভক্তি

    (ক)প্রথমা বা শুন্য বিভক্তিআমি ঢাকা যাব।
    বাবা বাড়ি নেই।
    আগামীকাল বাড়ি যাব।
    আকাশ মেঘে ঢাকা।
    সারারাত বৃষ্টি হয়েছে।
    (খ)দ্বিতীয়া বিভক্তিমন আমার নাচে রে আজিকে
    (গ)তৃতীয়া বিভক্তিখিলিপান (এর ভিতর) দিয়ে ওষুধ খাবে।
    (ঘ)পঞ্চমী বিভক্তিবাড়ি/ ছাদ থেকে নদী দেখা যায়।
    (ঙ)ষষ্ঠী বিভক্তি
    (চ)সপ্তমী বা এ বিভক্তিকাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল।
    গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা।’
    আকাশে চাঁদ উঠেছে।
    বনে বাঘ আছে।
    ছাদে বৃষ্টি পড়ে।
    ছেলেটি অঙ্কে কাঁচা।
    জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।
    ঝিনুকে মুক্তা আছে।/ সব ঝিনুকে মুক্তা মেলে না।
    তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত।
    তার ধর্মে মতি আছে।
    সরোবরে পদ্ম জন্মে।
    সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দেব কোথা?
    সমুদ্রজলে লবণ আছে।
    আমরা রোজ স্কুলে যাই।
    প্রভাতে সূর্য ওঠে।
    বসন্তে কোকিল ডাকে।
    সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়।
    ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে।
    দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেহ তারে।’
    রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা।
    তিলে তৈল আছে।
    দেহে প্রাণ নেই।
    তে বিভক্তিবাড়িতে কেউ নেই।
    নদীতে মাছ/পানি আছে।
    জমিতে সোনা ফলে।
    ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে।
    য় বিভক্তিকান্নায় শোক মন্দীভূত হয়।
    জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ।

    অধিকরণ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার: ঘরের মধ্যে কে রে? তোমার আসন পাতিব হাটের মাঝে

    আরো দেখুন

    কারক

  • অপাদান কারক

    ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, অপাদান কারক বলতে এমন একটি উপায় বোঝায়, যার সাহায্যে বাক্যস্থিত কোনো শব্দের রূপ পরিবর্তন করে বা অন্য কোনো উপায়ে শব্দটির সাথে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে বিশেষ এক ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। সাধারণভাবে, যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।[১] অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনাম এর উপর প্রযুক্ত হয়।

    অপাদান কারক দিয়ে সাধারণত কোনো কিছু থেকে সরে যাওয়া অর্থ বোঝানো হয়। বাংলা ভাষাতে বিশেষ্যের পরে হতে, থেকে,চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), দিয়া, দিয়ে (তৃতীয়া বিভক্তি) ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহার করে সাধারণত অপাদান কারক বোঝানো হয়।

    উদাহরণ:
    বিচ্যুত: গাছ থেকে পাতা পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে।
    গৃহীত: সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। দুধ থেকে দই হয়।
    জাত: জমি থেকে ফসল পাই। খেঁজুর রসে গুড় হয়।
    বিরত: পাপে বিরত হও।
    দূরীভূত: দেশ থেকে পঙ্গপাল চলে গেছে।
    রক্ষিত: বিপদ থেকে বাঁচাও। বিপদে মোরে রক্ষা কর।
    আরম্ভ: সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু।
    উৎপন্ন: তিলে তৈল হয়।
    ভীত: বাঘকে ভয় পায় না কে? চোরের ভয়ে ঘুম আসে না।

    ব্যবহার

    অর্থভেদে:

    • স্থানবাচক: তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন।
    • দূরত্বজ্ঞাপক: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারের বেশি।
    • নিক্ষেপ: বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।

    অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ

    আরও দেখুন: বিভক্তি

    (ক)প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তিবোঁটা-আলগা ফল গাছে থাকে না।
    ‘মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন।’
    ট্রেন ঢাকা ছাড়ল।
    গাড়ি স্টেশন ছাড়ল।
    (খ)দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তিবাবাকে বড্ড ভয় পাই।
    বাঘকে ভয় পায় না কে?
    (গ)তৃতীয়া বা দিয়ে বিভক্তিতার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
    (ঘ)পঞ্চমী বা থেকে বিভক্তিজেলেরা নদী থেকে মাছ ধরছে।
    গাছ থেকে পাতা পড়ে।
    মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে।
    সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে।
    দুধ থেকে দই হয়।
    জমি থেকে ফসল পাই।
    দেশ থেকে পঙ্গপাল চলে গেছে।
    বিপদ থেকে বাঁচাও।
    সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু।
    তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন।
    ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারেরও বেশি।
    বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।
    ধান থেকে চাউল হয়।
    (ঙ)ষষ্ঠী বা এর বিভক্তিযেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়।
    চোরের ভয়ে ঘুম আসে না।
    বাঘের ভয়ে সকলে ভীত।
    (চ)সপ্তমী বা এ বিভক্তিবিপদে মোরে করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।’
    লোকমুখে শুনেছি।
    তিলে তৈল হয়।
    দুধে দই হয়।
    খেঁজুর রসে গুড় হয়।
    পাপে বিরত হও।
    মেঘে বৃষ্টি হয়।
    দুধে ছানা হয়।
    বিপদে মোরে রক্ষা কর।
    য় বিভক্তিটাকায় টাকা হয়।

    আরো দেখুন

    কারক

  • প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১ম পর্ব

    প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি সাধারণ জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১ম পর্ব

    • অভিন্ন ইউরােপে যােগদানের লক্ষ্যে দু’বার গণভােটের আয়ােজন করেছিল- ডেনমার্ক।
    • ‘পাের্ট অব স্পেন’ অবস্থিত- ত্রিনিদাদ ও টোবাগাের রাজধানী।
    • আলেকজান্দ্রিয়া শহরটি যে সমুদ্রের তটে অবস্থিত ভূমধ্যসাগর।
    • ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮-এ অংশ নিয়েছিল- ৩২টি দেশ।
    • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়- ১ সেপ্টেম্বর ১৯৩৯।
    • বিশ্বে যে শহরে প্রথম সেলফোন চালু হয়- শিকাগাে; যুক্তরাষ্ট্র।
    • জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির মেয়াদ- ৩০ দিন।
    • ডােকলাম উপত্যকা যে দেশের সাথে সংযুক্ত ভারত-ভুটান-চীন।
    • বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদ সংস্থা এএফপি।

    এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন :

    • মালয়েশিয়া যে দেশের উপনিবেশ ছিল- ব্রিটেন।
    • নাসা (NASA) যে ধরনের প্রতিষ্ঠান মহাকাশ গবেষণা।
    • ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথের সাংকেতিক নাম- লন্ডন ব্রিজ।
    • ডেমােক্রেসি মনুমেন্ট অবস্থিত ব্যাংকক, থাইল্যান্ড।
    • বিশ্বের নির্মাণাধীন সর্বোচ্চ ভবন ‘কিংডম টাওয়ার’ অবস্থিত জেদ্দা, সৌদি আরব (উচ্চতা ১০০০ মিটার)।
    • বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জেরুজালেমে দূতাবাস উদ্বোধন করে- যুক্তরাষ্ট্র, ১৪ মে ২০১৮।
    • বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক উন্নয়নশীল দেশের যােগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতিপত্র লাভ করে ১৬ মার্চ ২০১৮।
    • সৌদি আরবের প্রথম নারী মন্ত্রী তামাদুর বিনতে ইউসেফ আল রামাহ।
    • ১ এপ্রিল ২০১৬ কমনওয়েলথ-এর প্রথম নারী মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন- প্যাট্রিসিয়া জ্যানেট; স্কটল্যান্ড।
    • আরব লীগের অষ্টম মহাসচিব আহমেদ আকুল ঘেইত।
    • অ্যাবেল পুরস্কার ২০১৮ লাভ করেন- রবার্ট ল্যাংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র।
    • বিশ্বের যে দেশে সর্বাধিক সংখ্যক বাঘ রয়েছে- ভারত (২,২২৬টি)।
    • চেক প্রজাতন্ত্রের নতুন ডাকনাম- চেকিয়া (Czechia)।
    • ‘ডুয়িং বিজনেস ২০১৮’ প্রতিবেদনে শীর্ষ দেশ নিউজিল্যান্ড।
    • বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সেতুর নাম- Hong Kang Zhuhai-Macau Bridge (HKZMB)
  • বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী পর্ব- ০২


    উত্তর : ১৯৮৮।

    প্রশ্ন : ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর বাংলা কোন সনে সংঘটিত হয়?
    উত্তর : ১১৭৬।

    প্রশ্ন : হাজার হৃদের দেশ কোনটি?
    উত্তর : ফিনল্যান্ড।

    প্রশ্ন : পূর্বে কোন দেশটি শ্যাম দেশ নামে পরিচিত ছিল?
    উত্তর : থাইল্যান্ড।

    প্রশ্ন : হারারের পূর্ব নাম কি?
    উত্তর : সলসব্যারী ।

    প্রশ্ন : বিশ্বকাপ ক্রিকেট কোন দলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ প্রথম জয়লাভ করে?
    উত্তর : স্কটল্যান্ড।

    প্রশ্ন : Extradition Treaty হল
    উত্তর : অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তি।

    প্রশ্ন : কোনটি নিরস্ত্রীকরণের সাথে সম্পৃক্ত নয়?
    উত্তর : NATO.

    প্রশ্ন : BRICS এর সদর দপ্তর কোথায়?
    উত্তর : সদর দপ্তর নেই।

    আরো পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির জন্য বাংলা ২য় পত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : SDR (Special Drawing Rights) সুবিধা প্রবর্তনের জন্য কত সালে আইএমএফ এর গঠনতন্ত্র সংশােধন করা হয়েছিলাে?
    উত্তর : ১৯৬৯।

    প্রশ্ন : মাওয়া ফেরিঘাট কোন জেলায় অবস্থিত?
    উত্তর : মুন্সীগঞ্জ।

    প্রশ্ন : উইন্সটন চার্চিল যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন?
    উত্তর : ব্রিটেন।

    প্রশ্ন : ভারতে মুদ্রণ শিল্পের সূচনা হয়
    উত্তর : মুঘল আমলে।

    প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক ডাক সংস্থার সংক্ষিপ্ত রূপ
    উত্তর : ইউ পি ইউ।

    প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস পালিত হয়
    উত্তর : ৫ অক্টোবর।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ
    উত্তর : জেনারেল।

    প্রশ্ন : ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি যা Joint Comprehensive Plan of Action নামে পরিচিত তা সই হয়- 
    উত্তর : ১৪ জুলাই ২০১৫।

    প্রশ্ন : গ্রিণপিস যাত্রা শুরু করে
    উত্তর : ১৯৭১ সালে।

    আরো পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির জন্য ইংরেজি ১ম পত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : Black Lives Matter কি?
    উত্তর : বর্ণবাদ বিরােধী আন্দোলন।

    প্রশ্ন : মাথাপিছু গ্রিণহাউজ উদগীরণে সবচেয়ে বেশি দায়ী কোন দেশ?
    উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : যুক্তফ্রন্টে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ছিল
    উত্তর : ৪টি।।

    প্রশ্ন : তড়িৎ শক্তি যে যন্ত্রের সাহায্যে শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়|
    উত্তর : লাউড স্পিকার।

    প্রশ্ন : World ‘No Tobacco Day’ is observed on
    উত্তর : May 31.

    প্রশ্ন : In Cricket game the length of pitch between the two wickets is
    উত্তর : 22 Yards.

    প্রশ্ন : অংসান সূচির রাজনৈতিক দল
    উত্তর : ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমােক্রেসি।

    প্রশ্ন : ‘ব্ল্যাক মানডে’ কিসের সাথে জড়িত?
    উত্তর : স্টক মার্কেট।

    প্রশ্ন : বিমসটেক এর সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : ঢাকায়।

    প্রশ্ন : সামন্তবাদ কোন ইউরােপীয় দেশে প্রথম সূত্রপাত হয়?
    উত্তর : ইতালি।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য-
    উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন।

    প্রশ্ন : Law of the Sea Convention অনুযায়ী উপকূল হতে কত দূরত্ব পর্যন্ত Exclusive Economic Zone হিসেবে গণ্য?
    উত্তর : ২০০ নটিক্যাল মাইল।

    আরো পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের ইংরেজি অনুবাদক
    উত্তর : সৈয়দ আলী আহসান।

    প্রশ্ন : প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম
    উত্তর : রামায়ণ।

    প্রশ্ন : আলেকজান্ডারের গৃহশিক্ষক ছিলেন
    উত্তর : এরিস্টটল।

    প্রশ্ন : ইতিহাস হচ্ছে অভিজাত শ্রেণীর সমাধিক্ষেত্র- উক্তিটি কার?
    উত্তর : প্যারেটো।

    প্রশ্ন : অবিভক্ত বাংলার দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী
    উত্তর : খাজা নাজিমুদ্দিন।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিস্কৃত হয়
    উত্তর : ১৯৫৫ সালে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় লােগােটি ডিজাইন করেন
    উত্তর : এ. এন. সাহা।

    প্রশ্ন : World Development Report নিম্নের কোন সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিষ্ঠান?
    উত্তর : World Bank.

    প্রশ্ন : আইএমএফ এর সদর দপ্তর কোথায়?
    উত্তর : ওয়াশিংটন ডিসি।

    প্রশ্ন : বিশ্বব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন সংস্থাটি স্বল্প আয়ের উন্নয়নশীল দেশে বেসরকারি খাতে আর্থিক সহায়তা ও উপদেশ দিয়ে থাকে?
    উত্তর : আইএফসি।

    প্রশ্ন : আমার সােনার বাংলা এর কতটি লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত
    উত্তর : প্রথম দশটি।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কথা বলা হয়েছে?
    উত্তর : ২২।

    আরো পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী পর্ব- ০১

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা কোন সেক্টরের অধীন ছিল?
    উত্তর : সেক্টর- ২।

    প্রশ্ন : মাৎস্যন্যায় বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?
    উত্তর : ৭ম-৮ম

    প্রশ্ন : ১৯৪৭ সালের সীমানা কমিশন যে নামে পরিচিত
    উত্তর : র‌্যাডক্লিফ কমিশন।

    প্রশ্ন : তৎকালীন পূর্ব বাংলার আইনসভার অবস্থান ছিল
    উত্তর : জগন্নাথ হলে।

    প্রশ্ন : সংবিধান অনুযায়ী মায়ানমারের সংসদে কত শতাংশ আসন অনির্বাচিত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত
    থাকবে?
    উত্তর : ২৫%।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা (UNEP) ও জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা (WMO) এর মিলিত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা লাভ করে?
    উত্তর : IPCC.

    প্রশ্ন : ‘ভাসানী যখন ইউরােপে’- বইটির লেখক
    উত্তর : আবু জাফর শামসুদ্দীন।

    প্রশ্ন : জরুরি অবস্থা জারির বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত হয়।
    উত্তর : দ্বিতীয় সংশােধনীতে।

    প্রশ্ন : শকুন্তলা গ্রন্থটির রচয়িতা
    উত্তর : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

  • ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১ম পর্ব

    ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রস্তুতি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১ম পর্ব

    ক. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

    প্রশ্ন : ‘বলকানের কসাই’ নামে পরিচিত
    উত্তর : সাবেক যুগােশ্লাভ একনায়ক স্লোবােদান মিলােসেচ্চি।

    প্রশ্ন : আরাকান পাহাড় হতে উৎপন্ন নদী
    উত্তর : সাঙ্গু।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : বর্তমানে জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র
    উত্তর : ফিলিস্তিন ও ভ্যাটিকান সিটি।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা
    উত্তর : পাঁচটি; ইংরেজি, ফরাসি, চীনা, রুশ, স্প্যানিশ ও আরবি।

    প্রশ্ন : CNN এর পূর্ণ রুপ
    উত্তর : Cable News Network

    আরো পড়ুন : ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা প্রস্তুতি বাংলাদেশ বিষয়াবলী ১ম পর্ব

    প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সদর দপ্তর অবস্থিত
    উত্তর : ভিয়েনা; অস্ট্রিয়া।

    প্রশ্ন : উপসাগরীয় সহযােগিতা পরিষদ (GCC) এর সদস্য রাষ্ট্র
    উত্তর : ৬টি।

    প্রশ্ন : ‘ডটার অব পাকিস্তান’ হিসেবে পরিচিত
    উত্তর : মালালা ইউসুফজাঈ।

    প্রশ্ন : ‘পঞ্চইন্দ্রিয়’ তৈলচিত্রের চিত্রশিল্পী
    উত্তর : মকবুল ফিদা হােসেন।

    প্রশ্ন : মানবসমাজের ইতিহাস অবিরাম শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস’ উক্তিটি
    উত্তর : কার্ল মার্কসের।

    প্রশ্ন : শান্তিতে নােবেলজয়ী প্রথম নারী
    উত্তর : বার্থাভন সুটনার (অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরি)।

    প্রশ্ন : যে আরব দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়
    উত্তর : ইরাক।

    খ. চলতি ঘটনাবলি আন্তর্জাতিক

    প্রশ্ন : ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর কলকাতার প্রথম মুসলমান মেয়র নির্বাচিত হন
    উত্তর : ফিরহাদ হাকিম।

    প্রশ্ন : তুরস্কের আইনসভার বর্তমান আসন সংখ্যা
    উত্তর : ৬০০টি।

    প্রশ্ন : মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম মুসলিম নারী কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হন
    উত্তর : ইলহান ওমর ও রশিদা তালিব।

    আরো পড়ুন : কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স আগস্ট ২০২০ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : বিশ্বের বৃহত্তম ই কমার্স বা অনলাইনভিত্তিক বেচাকেনার প্রতিষ্ঠানের নাম
    উত্তর : আলিবাবা (চীন)।

    প্রশ্ন : সম্প্রতি বিজ্ঞানের যে মৌলিক এককের সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসে
    উত্তর : কিলােগ্রাম।

    প্রশ্ন : ২০১৮ সালের বৈশ্বিক প্রতিযােগিতা সক্ষমতা প্রতিবেদনে শীর্ষ দেশ
    উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : ২০১৮ সালে ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন
    উত্তর : আনা বার্নস (আয়ারল্যান্ড)।

    প্রশ্ন : ১১ মে ২০১৮ যে দেশের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে
    উত্তর : আয়ারল্যান্ড।

    প্রশ্ন : বিশ্বের ১১৬তম টেস্ট ভেন্যু
    উত্তর : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

    গ. বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, পরিবেশ এবং রােগব্যাধি সম্পর্কিত মৌলিক জ্ঞান

    প্রশ্ন : বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলেও বিদ্যুৎ খরচ
    উত্তর : একই হয়।

    প্রশ্ন : পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন খনিজ পদার্থ হলাে
    উত্তর : হীরক।

    প্রশ্ন : যে ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি রােগ হয়
    উত্তর : ভিটামিন ‘সি’।

    আরো পড়ুন : কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স মার্চ ২০২০ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : মানুষের রক্তে লােহিত রক্তকণিকার পরিমাণ শ্বেত কণিকার চেয়ে
    উত্তর : ৫০০ গুণ বেশি।

    প্রশ্ন : হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে
    উত্তর : ক্যালসিয়াম।

    প্রশ্ন : পৃথিবীকে সমান দুই অংশে ভাগ করেছে যে রেখা
    উত্তর : নিরক্ষরেখা।

    প্রশ্ন : যে তারিখে উত্তর গােলার্ধে দিন সবচাইতে বড় এবং রাত সবচাইতে ছােট হয়
    উত্তর : ২১ জুন।

    প্রশ্ন : কম্পিউটারের মূল মেমােরি তৈরি হয়
    উত্তর : সিলিকন দিয়ে।

    প্রশ্ন : তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক
    উত্তর : গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর।

    প্রশ্ন : বসন্ত রােগ
    উত্তর : দুই ধরনের গুটি বসন্ত ও জল বসন্ত।

    প্রশ্ন : ফলের প্রধান তিনটি অংশ
    উত্তর : বহিঃত্বক, মধ্যত্বক ও অন্তঃত্বক।

  • বিসিএস প্রস্তুতি সাধারন জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ৩য় পর্ব

    বিসিএস প্রস্তুতি সাধারন জ্ঞান আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ৩য় পর্ব

    • করােনাভাইরাসের টিকা তৈরির গবেষণায় মার্কিন সরকার যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে- Operation Warp Speed।
    • জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি নির্বাচিত হন- ভােলকান বােজকার; তুরস্ক।
    • Black Lives Matter হলো- বর্ণবাদ বিরােধী আন্দোলন।
    • স্বাদু বা মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দেশ- চীন।
    • ৩২তম গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে- ২৩ জুলাই-৮ আগস্ট ২০২১; টোকিও, জাপান।
    • NATO’র সর্বশেষ (৩০তম) সদস্য- উত্তর মেসিডােনিয়া।
    • ২০২০ সালের বৈশ্বিক শান্তিসূচকে শীর্ষ দেশ- আইসল্যান্ড।
    • বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের নাম- ফুগাকু।
    • এশীয় অবকাঠামাে বিনিয়ােগ ব্যাংকের (AIIB) বর্তমান সদস্য- ৮১টি।
    • ইউরােপের লৌহমানবী হিসেবে পরিচিত- মার্গারেট থ্যাচার (যুক্তরাজ্য)।

    আরো পড়ুন : বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ১ম পর্ব

    • আফ্রিকা মহাদেশের প্রাচীনতম সমুদ্রবন্দর- কেপটাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা।
    • আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ- কানাডা।
    • মার্বেলের দেশ হিসেবে পরিচিত- ইতালি।
    • পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা- মেসােপটেমীয় সভ্যতা।
    • ফরাসি বিপ্লবের মতবাদ বা স্লোগানের প্রবক্তা- দার্শনিক রুশাে।
    • বর্তমান বিশ্বের একমাত্র নগররাষ্ট্র- সিঙ্গাপুর।
    • উগ্রপন্থি হিন্দু কর্তৃক বাবরী মসজিদ ধ্বংস হয়- ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২।
    • লিথুয়ানিয়ার রাজধানীর নাম- ভিলনিয়াস।
    • যুদ্ধাহত ও যুদ্ধবন্দি ব্যক্তিদের সাথে আচরণবিধি সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত চুক্তি- জেনেভা কনভেনশন।

    আরো পড়ুন : বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ২য় পর্ব

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    • রাশিয়ার শাখালিন দ্বীপের অবস্থান যে দুই সাগরের মাঝে- জাপান ওখটস্ক সাগর।
    • জাপানের গােয়েন্দা সংস্থার নাম- নাইচো।
    • সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংঘটিত হয়- চীনে।
    • NATO’র সদর দপ্তর অবস্থিত- ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
    • Comprehensive and Progressive Agreement for Trans-Pacific Partnership (CPTPP) বা TPP11 কার্যকর হয়- ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
    • ৬৯তম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযােগিতায় ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ নির্বাচিত হন- টনি-আন সিং।
    • সম্প্রতি যে দেশে ‘ইয়েলাে ভেস্ট’ আন্দোলনের সূত্রপাত হয়- ফ্রান্স।
    • ২০২০ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে শীর্ষ দেশ- নরওয়ে।
    • বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ- যুক্তরাষ্ট্র।
    • যে সকল গ্যাস গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার জন্য দায়ী তাদের বলে- গ্রিনহাউস গ্যাস।
    • বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের স্বাভাবিক পরিমাণ- ০.০৩ শতাংশ।

    আরো পড়ুন : কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স আগস্ট ২০২০ থেকে ৫০টি এমসিকিউ

    • বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়- ৫ জুন।
    • আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দশক- ২০১১-২০২০।
    • গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠিত হয়- ২০১০ সালে।
    • কিয়ােটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়- ১১ ডিসেম্বর ১৯৯৭।
    • আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়- ২২ মার্চ ১৯৪৫।
    • রােটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠিত হয়- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫।
    • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রতিষ্ঠিত হয়- ৭ এপ্রিল ১৯৪৮।
    • সার্ক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অবস্থিত- কলম্বাে, শ্রীলংকা।
    • জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (UNESCO) সদর দপ্তর- প্যারিস, ফ্রান্স।
    • সিরডাপ (CIRDAP)-এর বর্তমান সদস্য- ১৫টি।