Author: admin

  • BCS Model Test Bangla Language and Literature

    BCS Model Test Bangla Language and Literature is the Most important Model test for BCS Preparation. You can try to complete the model test and enjoy it. 1347

    Created by Bcs Preparation

    বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

    মডেল টেস্টটিতে যতবার অংশগ্রহণ করবেন ততবার নতুন নতুন প্রশ্ন পাবেন।

    Bangla language and literature, Bangla literature, BCS preparation Bangla, BCS Bangla literature, BCS Bangla, BCS model test, english language and literature, BCS Bangla preparation, bangle literature, model test, BCS bangle literature, BCS preparation model test, BCS preparation Bangla literature, BCS preliminary model test, Bangla literature lecture, BCS short suggestion Bangla literature, english literature mcq questions and answers, english literature exam questions and answers, Bangla literature for BCS

  • উত্তর-পশ্চিম ককেসীয় ভাষাসমূহ

    উত্তর-পশ্চিম ককেসীয় ভাষাসমূহ (ইংরেজি: Northwest Caucasian languages) ককেসাস অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম অংশে (রাশিয়া, জর্জিয়া ও তুরস্কে) প্রচলিত কতগুলি ভাষার একটি দল। এগুলি আবখাজো-আদিজীয় ভাষা নামেও পরিচিত। এই ভাষাগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এগুলিতে প্রচুর সংখ্যক ব্যঞ্জনধ্বনির উপস্থিতি এবং স্বরধ্বনির স্বল্পতা। এদের মধ্যে উবিখ ভাষাতে ৮০টিরও বেশি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। কোন কোন ভাষাতে স্বরধ্বনির সংখ্যা মাত্র দুইটি হতে পারে।

    আরও দেখুন

  • ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহ

    ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহ হল পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরেশিয়ার স্থানীয় একটি ভাষা পরিবার। এটি উত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইরানীয় মালভূমির ভাষাসমূহের সাথে অধিকাংশ ইউরোপের ভাষাসমূহ নিয়ে গঠিত। এই পরিবারের কিছু ইউরোপীয় ভাষা যেমন, ইংরেজি, ফরাসি, পর্তুগিজ, রুশ, ডেনীয়, ওলন্দাজস্পেনীয় ভাষাসমূহের আধুনিক যুগে উপনিবেশবাদের দরুণ বিস্তার ঘটেছে এবং বর্তমানে অনেক দেশে এই ভাষাগুলোতে কথা বলা হয়ে থাকে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারটিকে বিভিন্ন শাখা বা উপ-পরিবারে বিভক্ত করা হয়, যেগুলোর মধ্যে আটটি শাখা এখনও বিদ্যমান, যথা: আলবেনীয়, আর্মেনীয়, বাল্টো-স্লাভীয়, কেল্টীয়, জার্মানীয়, হেলেনীয়, ইন্দো-ইরানীয় এবং ইতালীয়; এবং বাকি ছয়টি শাখা বর্তমানে বিলুপ্ত।

    বর্তমানে এই ভাষা-পরিবারের সবচাইতে বেশি কথিত ভাষাসমূহ হল ইংরেজি, হিন্দুস্তানি, স্পেনীয়, বাংলা, ফরাসি, রুশ, পর্তুগিজ, জার্মান, ফার্সি, পাঞ্জাবি; উল্লিখিত প্রতিটি ভাষারই ১০কোটির চাইতে বেশি বক্তা আছে। কিন্তু, আবার অনেক ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাই সংখ্যায় ছোট এবং বিলুপ্তির পথে, যেমন: কর্নিশ ভাষায় ৬০০জনের থেকেও কম লোক কথা বলে থাকে।[২]

    পৃথিবীর সর্বমোট ৪৬ শতাংশ জনসংখ্যা (৩২০ কোটি) প্রথম ভাষা হিসাবে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বলে, যা কিনা বাকি সকল ভাষা পরিবারসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি। এথনোলগ দ্বারা কৃত হিসাব অনুযায়ী ৪৪৫টি চলমান ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভাষাই (৩১৩টি) ইন্দো-ইরানি শাখার অন্তর্গত।[৩]

    প্রতিটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাই একটি প্রাগৈতিহাসিক ভাষা থেকে উদ্ভুত হয়েছে, যা কিনা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় হিসাবে পুনর্নিমিত করা হয়েছে এবং নব্যপ্রস্তরযুগ থেকে নব ব্রোঞ্জ যুগের মধ্যবর্তী কোনো সময়ে বলা হত। এটির যথাথথ ভৌগোলিক অবস্থান অজানা এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন অনুমান করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা গৃহীত অনুকল্পটি হল কুর্গান অনুকল্প। কুর্গান অনুকল্প পন্টিক-কাস্পিয়ান স্তেপকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের উৎসভূমি হিসাবে মেনে নিয়েছে এবং প্রায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বের ইয়াম্নায়া সংস্কৃতির সাথে এর সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রথমবারের মতন লিপিবদ্ধ আবিষ্কার হওয়ার বহু পূর্বেই ইন্দো-ইউরোপীয় অন্য অনেক ভাষায় বিবর্তিত হয় এবং ইউরোপের বহুলাংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে কথিত হওয়া শুরু হয়। মাইসিনীয় গ্রিক এবং আনাতোলীয় ভাষাসমূহ, হিতাইটলুইয়ান-এর রূপে ব্রোঞ্জ যুগে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার লিখিত সাক্ষ্য পাওয়া যায়। সর্বপ্রাচীন লেখ্যগুলো হল বিশ্লিষ্ট হিতাইট শব্দ ও নাম যেগুলো বিভিন্ন লিপিতে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, অন্যথা অসম্পর্কিত প্রাচীন এসিরীয় আক্কাদীয় ভাষায় পাওয়া যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ২০শতকের পূর্ব আনাতোলিয়ার কুলতেপের এসিরীয় বসতির লেখাগুলিতে লব্ধ একটি সেমিটিক ভাষা।[৪] যদিও প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় মানুষদের কোনো পুরানো লিখিত লিপি পাওয়া যায় না, তথাপি তাদের থেকে উদ্ভুত সংস্কৃতির প্রামাণ্য লিপিগুলোর সাহায্যে তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের কিছু কিছু বিষয় পুনর্নিমাণ করা যেতে পারে। [৫] ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের জন্য ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবরার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মিশরীয় ভাষা এবং সেমিটিক ভাষাসমূহের রূপে উপলব্ধ আফ্রো-এশীয় ভাষা পরিবারের পর উক্ত ভাষা পরিবারেরই দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ লিপিবদ্ধ ইতিহাস আছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে সম্পর্কের বিশ্লেষণ এবং তাদের সাধারণ উৎসের পুনর্নিমাণ ১৯শ শতাব্দীতে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের একটি শিক্ষাগত বিষয় হিসাবে উন্নত হওয়ার অপরিহার্য ও অন্যতম কারণ ছিল।

    এই ভাষা পরিবারের সাথে অন্য কোনো ভাষ-পরিবারের কোনো ধরনের বংশগত সম্পর্ক নেই, যদিও বা এই নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত প্রস্তাব করা হয়েছে।

    ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্বের ইতিহাস

    আরও দেখুন: ইন্দো-ইউরোপীয় অধ্যয়ন § ইতিহাস

    ১৬শ শতকের সময়, ভারতীয় উপমহাদেশে আগত ইউরোপীয়রা ইন্দো-আর্য, ইরানীয়ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন। ১৫৮৩ সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক ও কোঙ্কণী পণ্ডিত থোমাস স্টিফেন্স তাঁর ভাইকে গোয়া থেকে একটি চিঠি লিখে পাঠান (২০ শতক পর্যন্ত অপ্রকাশিত ছিল), [৬] যেখানে তিনি গ্রিক, লাতিন এবং ভারতীয় ভাষাসমূহের মধ্যেকার সাদৃশ্যগুলো লিপিবদ্ধ করেছিলেন।

    ১৫৪০ সালে ফ্লোরেন্সে জন্ম নেওয়া বণিক ফিলিপো সাসেতি, যিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্রমণ করেছিলেন, আরেক বিবরণ লিখেন। ১৫৮৫ সালের লেখায়, তিনি সংস্কৃত ও ইতালীয় ভাষার শব্দগুলোর মধ্যে কিছু সাদৃশ্য লিপিবদ্ধ করেন, যেমন: devaḥ(দেবঃ)/dio “ঈশ্বর”, sarpaḥ(সর্পঃ)/serpe “সাপ”, sapta(সপ্ত)/sette “সাত”, aṣṭa(অষ্ট)/otto “আট”, এবং nava(নব)/nove “নয়”।[৬] যদিও, স্টিফেন বা সাসেতি কারোরই পর্যবেক্ষণ কোন ধরনের শৈক্ষিক অনুসন্ধানে পরিবর্তিত হয়নি।[৬]

    ১৬৪৭ সালে, ওলন্দাজ ভাষাতাত্ত্বিক ও পণ্ডিত মার্কাস জুয়েরিয়াস ভান বক্সহর্ন কিছু এশীয় ও ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যের সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন এবং ধারণা করেন যে সেগুলো অন্য এক আদিম ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে যাকে তিনি সিথিয়ান নাম দেন।[৭] তিনি তাঁর অনুকল্পে ওলন্দাজ, আলবেনীয়, গ্রিক, লাতিন, ফার্সি, জার্মান এবং পরে স্লাভীয়, কেল্টীয়বাল্টীয় ভাষাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করেন। যদিওবা, তাঁর প্রস্তাব অখ্যাত থেকে যায় এবং ফলস্বরূপ পরবর্তীতে আর কোনও গবেষণা অনুপ্রাণিত করে না।

    শাখা

    ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের শাখা-উপশাখা এবং ভাষাসমূহ

    ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ৮টি শাখা রয়েছে।

    1. আর্মেনীয় ভাষাপরিবার – বর্তমানে শুধু একটি সদস্য রয়েছে। যথা – আর্মেনীয় ভাষা
    2. আলবেনীয় ভাষাপরিবার (১৩০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে উৎপত্তি[৮])- বর্তমানে শুধু একটি সদস্য রয়েছে। যথা – আলবেনীয় ভাষা
    3. ইতালিক ভাষাপরিবার – দক্ষিণ ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
    4. ইন্দো-ইরানীয় ভাষাপরিবারইরান, শ্রীলঙ্কা, ও উত্তর ভারত উপমহাদেশে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
    5. কেল্টীয় ভাষাপরিবার – পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি এলাকায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
    6. গ্রিক ভাষাপরিবার[৯] – বর্তমানে শুধু একটি সদস্য (গ্রিক) রয়েছে।
    7. জার্মানীয় ভাষাপরিবার – উত্তর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও অশেনিয়ায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
    8. বাল্টীয় ভাষাপরিবার – উত্তর-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
    9. স্লাভীয় ভাষাপরিবাররাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।

    আরও ৫টি শাখার অন্তর্গত সব ভাষাগুলো আর বলা হয় না।

    1. আনাতোলীয় ভাষাপরিবার
    2. তোখারীয় ভাষাপরিবার
    3. ডাসীয় ভাষাপরিবার
    4. থ্রাসীয় ভাষাপরিবার
    5. ফ্রিজীয় ভাষাপরিবার
  • ইগবয়েড ভাষাসমূহ

    ইগবয়েড ভাষাসমূহ ভোল্টা–নাইজার ভাষা পরিবারের শাখা-প্রশাখা গঠন করেছে। এর অন্তর্গত ভাষাসমূহ হচ্ছে ইকপেয়ে, উকুয়ানি এবং ইগবো ভাষা:

    উইলিয়ামসন এবং ব্লেঞ্চ সংজ্ঞায়িত করেছেন যে ইগবো ভাষা (ইকপেয়ে ব্যতীত ইগবয়েড) একটি “ভাষা গুচ্ছ” গঠন করেছে এবং এসব অনেকটা পারস্পরিকভাবে বোধগম্য।[২] যাইহোক, পারস্পরিক বোধগম্যতা শুধুমাত্র প্রান্তিকপর্যায়ে রয়েছে, ইজি–ইকয়ো–এজা–ম্‌গবো ভাষাসমূহের ক্ষেত্রেও।[৩]

  • আরাওয়াক ভাষাসমূহ

    আরাওয়াক (আরাহুয়াক, মাইপুরে আরাওয়াক), বা মেইপুরীয় ভাষাসমূহ একটি ভাষা পরিবার যেটি প্রাচীন দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল। আরাওয়াকরা মধ্য আমেরিকা এবং বর্তমানের বাহামা দ্বীপপুঞ্জ সহ ক্যারিবীয় এবং আটলান্টিকের বৃহত্তর এন্টিলিসে ছড়িয়ে পরে। শুধুমাত্র বর্তমানের ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, এবং চিলিতে আরাকান ভাষার কথা বলে মতো মানুষ ছিল না। মেইপুরীয় একটি কল্পিত বৃহৎ-আরাওয়াক গোষ্ঠীর অন্যান্য ভাষা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

    মেইপুরে নামটি দিয়েছিলেন ফিলিপ্পো এস গিলিজ, ১৭৮২ সালে, ভেনেজুয়েলার মেইপুরে ভাষা অনুসারে। প্রায় এক শতাব্দী পরে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরাওয়াক ভাষার উপর ভিত্তি করে বর্তমানের নামটি রাখা হয়। উত্তর আমেরিকার পন্ডিতদের বৃহৎ-আরাওয়াক ভাষাগোষ্ঠির প্রস্তাবের আগে অবধি আরাওয়াক শব্দটিই প্রধান্য পেয়েছিল। এরপর মেইপুরীয় নামটি মূল পরিবারের জন্য পুনরুত্থিত হয়েছিল।

    ভৌগোলিক বন্টন

    আমেরিকাতে ভাষাভাষির সংখ্যা অনুসারে আরাওয়াক বৃহত্তম ভাষা পরিবার। ব্রাজিলের আমাজন অববাহিকা অঞ্চলে, পেরুবলিভিয়ার মধ্য আন্দিজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় ঢাল বরাবর, উত্তর দিকে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর উপকূলের সুরিনাম, গায়ানা, ফরাসি গায়ানা, ভেনেজুয়েলা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং কলম্বিয়া অঞ্চল থেকে উত্তরদিকে নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, বেলিজ এবং গুয়াতেমালা পর্যন্ত আরাওয়াক ভাষাগুলি ব্যবহৃত হয়।[২] আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতেও এই ভাষাগুলির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।

    আরাওয়াক ভাষীরা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে চলে যান এবং বৃহত্তর অ্যান্টিলিস এবং বাহামাকে বাসভূমি করেন। সম্ভবত উত্তর আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনা অঞ্চলের কিছু কুসাবো এবং কঙ্গারী জাতির বিলুপ্ত ভাষাগুলি এই পরিবারের সদস্য ছিলো।[৩]

    তাইনো ভাষা, যেটিকে সাধারণভাবে দ্বীপ আরাওয়াক বলা হয়, সেটি কিউবা, হিসপানিয়োলা, পুয়ের্তো রিকো, জ্যামাইকা, এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জগুলিতে ব্যবহৃত হতো। কয়েকটি তাইনো শব্দ এখনও এই দ্বীপগুলিতে ইংরেজি বা স্পেনীয় ভাষী বংশধরদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। তাইনো ভাষাটি স্বল্প পরিমাণে প্রত্যয়িত ছিল কিন্তু আরাওয়াক পরিবারের মধ্যে তার শ্রেণীবদ্ধকরণ অবিতর্কিত। ভাল সাক্ষ্যপ্রাপ্ত আরাওয়াক ভাষার মধ্যে তাইনোর নিকটতম আত্মীয় মনে হয় কলম্বিয়ায় ব্যবহৃত গোয়াহিরো ভাষা।

    গারিফুনা (বা কৃষ্ণ ক্যারিব) দ্বীপগুলি থেকে উদ্ভূত আরেকটি আকর্ষণীয় আরাওয়াক ভাষা। এটি মিশ্র আরাওয়াক, ক্যারিব এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে জোরপূর্বক অভিবাসনের ফলে বিকশিত হয়েছিল।[৪] হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা এবং বেলিজে এই ভাষার আনুমানিক ১,৯৫,৮০০ ব্যবহারকারী আছেন।[৫]

    বর্তমানে সাম্প্রতিককালের তা-আরাওয়াক (তা-মেইপুরীয়) গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বক্তা দেখা যায় আরাওয়াক ভাষাগুলির: ওয়াইউ [গোয়াহিরো] (প্রায় ৩,০০,০০ ভাষিক); এবং গারিফুনা, (প্রায় ১,০০,০০০ ভাষিক)। এর পরে আসে কাম্পা গোষ্ঠী; আশানিনকা বা মূল কাম্পার প্রায় ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ বক্তা আছে; এবং আশানিনকার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রায় ১৮,০০ থেকে ২৫,০০০। তারপরে সম্ভবত তেরেনা আসে (১০,০০০ ভাষিক); এবং ইয়ানেশাক বা আমুয়েশা (৬,০০০ থেকে ৮,০০০ ভাষিক)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

    ভাষাসমূহ

    বিপুল সংখ্যক আরাওয়াক ভাষার বিলুপ্তি এবং অপূর্ণ নথিভুক্তিকরণের কারণে মেইপুরীয়র শ্রেণীবিভাগ কঠিন। তবে একক ভাষা গঠনের প্রত্যক্ষ সম্পর্কগুলি ছাড়াও পন্ডিতরা সাধারণত মেইপুরীয়র বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। বেশ কিছু শ্রেণিকরণে মেইপুরীয়কে উত্তর ও দক্ষিণ শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে, তবে সমস্ত ভাষাই যে কোন না কোন গষ্ঠীতে সঠিকভাবে জায়গা করে নিয়েছে তেমন সম্ভবত নয়। সকলেই নিচের তিনটি শ্রেণীবিভাগ মেনে নিয়েছেন:

    “আমি” উপসর্গের উপর নির্ভর করে পূর্ববর্তী তা-আরাওয়াক এবং নু-আরাওয়াক বিভাজন অস্বচ্ছ; নু- সমগ্র ভাষাপরিবারের বংশগত রূপ, এবং তা- ভাষাপরিবারের একটি শাখার অভিনবত্ব।

    কাউফমান (১৯৯৪)

    নিম্নোক্ত (পরীক্ষামূলক) শ্রেণিবদ্ধকরণ কাউফমান (১৯৯৪: ৫৭-৬০) থেকে নেওয়া। নিচে বর্ণিত বংশলতিকার পাশাপাশি, এমন কয়েকটি ভাষা রয়েছে যা হয় অ-মেইপুরীয় আরাওয়াক ভাষা বা শ্রেণীবদ্ধ করার পক্ষে স্বল্পজ্ঞাত (কফম্যান ১৯৯৪: ৫৮):

    আরও একটি ভাষাও “আরাওয়াক” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে:

    উপরে উল্লিখিত শ্রেণীবিহীন ভাষা সহ, মেইপুরীয় পরিবারে প্রায় ৬৪ টি ভাষা রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯টি ভাষা এখন বিলুপ্ত: ওয়াইনুুুমা, মারিয়াতে, আনাউইয়া, আমারিজানা, খুমানা, পাসে, কাউইশানা, গারু, মারাওয়া, গুইনাও, ইয়াভিতেরো, মেইপুরে, মানাও, কারিয়াই, ওয়ারাইকু, ইয়াবাআনা, উইরিনা, আরুয়ান, তাইনো, কালহিফোনা, মারাওয়ান-কারিপুরা, সারাভেচা, কুস্তেনাউ, ইনাপারি, কানামারে, শেবায়ে, লাপাচু, এবং মোরিকে। উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়

    দক্ষিণাঞ্চলীয় মেইপুরীয়

    কাউফমান মোখোস গোষ্ঠীর বিলুপ্ত মাগিয়ানা ভাষার কোন বিবরণ দেননি।

    আইখেনভাল্ড (১৯৯৯)

    কোনো ভাষার প্রকার ভাষা না উপভাষা, নাম পরিবর্তন এবং বিভিন্ন অপূর্ণভাবে নথিভুক্ত ভাষার বিষয় আলোচনা না করার মতো ছোটখাটো সিদ্ধান্ত ছাড়া, আইখেনভাল্ড এবং কাউফমানের শ্রেণীকরণেরে মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায় তা হলো আইখেনভাল্ড দক্ষিণ মেইপুরীয়ের দক্ষিণ বহিস্থ এবং পশ্চিম শাখাগুলিকে বিভক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ বহিস্থ (‘দক্ষিণ আরাওয়াক’) শাখার অবশিষ্টাংশে সালুমাঁঁ এবং লাপাচু (‘আপোলিস্টা’) ভাষাগুলিকে নিয়োগ করেছেন; উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়র সামুদ্রিক শাখাকে বিভক্ত করেছেন, যদিও আরোয়াঁঁ এবং পালিকুর ভাষাগুলিকে এই শাখায় রেখেছেন; এবং উত্তর মেইপুরীয়র উত্তর আমজনীয় শাখার উপ-গোষ্ঠীকরণকে মানতেন না।

    নিম্নলিখিত শ্রেণীকরণটি কাউফমান দ্বারা অনুসৃত আইখেনভাল্ডের নামকরণ: উত্তর আরাওয়াক = উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়

    দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আরাওয়াক = দক্ষিণ মেইপুরীয়

    আইখেনভাল্ড মোরিকে ভাষার পাশাপাশি কাউফমানের দ্বারা শ্রেণীকরণ করা হয়নি এমন ভাষা শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। তিনি এমন ১৫টি বিলুপ্ত ভাষা শ্রেণীবদ্ধ করেননি যেগুলি কাউফমান মেইপুরীয়র বিভিন্ন শাখায় রেখেছিলেন। আইখেনভাল্ড (১৯৯: ৬৯) রিও ব্রাঙ্কো শাখার অধীনে মাহুয়াইয়ানা এবং ওয়াপিশানাকে একসঙ্গে শ্রেণীভুক্ত করেছেন, এবং মাওয়াইয়ানা ভাষাকে “মাপিদীয়” এবং “মাওয়াকোয়া” নাম প্রদান করেছেন।

    ওয়াকার এবং রিবেইরো (২০১১)

    বেজীয় কম্পিউটেশনাল ফায়োলজেনটিকস ব্যবহার করে ওয়াকার এবং রিবেইরো (২০১১), নিম্নরূপে আরাওয়াক ভাষাগুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।

     আরাওয়াক উত্তরপূর্ব দক্ষিণ পশ্চিম আমাজনিয়া আমুয়েশা, চামিকুরো পরি-কারিবীয় মধ্য ব্রাজিল মধ্য আমাজনিয়া উত্তরপশ্চিম আমাজনিয়া

    প্রতিটি শাখা অভ্যন্তরীণ কাঠামো নিচে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে কঠোরভাবে বাইনারি বিভক্ত ব্যবহৃত বেজীয় কম্পিউটেশনাল পদ্ধতির একটি ফলাফল।

    আরাওয়াক বনাম মেইপুরীয়

    ১৭৮৩ সালে, ইতালীয় যাজক ফিলিপ্পো সালভাতোরে গিলিয়ি ওরিনোকোর মেইপুরীয় ভাষার এবং বলিভিয়ার মোখো ভাষার মধ্যে সাদৃশ্য দেখতে পান; তিনি এই ভাষা পরিবারের নাম দেন মেইপুরে। ফন ডেন শটাইনেন (১৮৮৬) এবং ব্রিন্টেন (১৮৯১) এর নাম পরিবর্তন করে এই ভাষাপরিবারের অন্যতম গুইয়ানা অঞ্চলের আরাওয়াক ভাষার নামে নামকরণ করেন। বর্তমানে এই ভাষা পরিবারকে মেইপুরিয়ান বা মেইপুরান এবং আরাওয়াক বা আরাওয়াকান বলা হয়।

    আরাওয়াক শব্দটি বর্তমানে দুটি অর্থে ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার পণ্ডিতরা এই ভাষা পরিবারের জন্য গিলিয়ি এবং পরবর্তী ভাষাবিদদের দ্বারা প্রদর্শিত আরুয়াক শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে উত্তর আমেরিকার বিদ্বানরা এই একই নামের দ্বারা একটি প্রকল্পিত ভাষা পরিবারকে বোঝাতেন, যার মধ্যে গুয়াহিবো এবং আরাওয়ান ভাষা গোষ্ঠীগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় মূল পরিবারকে আলাদা করার জন্য মেইপুরিয়ান নামটি ব্যবহার করে থাকেন, যেটিকে কখনও কখনও অন্তঃআরাওয়াক বা মূল আরাওয়াক বলা হয়ে থাকে।[৬][৭]

    বৈশিষ্ট্য

    আরাওয়াকান বা মেইপুরীয় ভাষাগুলি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মূলত একটি পৃথক গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃত ছিল। বর্তমানে যে ভাষাগুলি আরাওয়াক নামে প্রচলিত তাদের প্রত্যেকটির উত্তম-পুরুষ একবচন উপসর্গ নু-, কিন্তু মূল আরাওয়াক গোষ্ঠীর ভাষাগুলিতে সেটি তা-। অন্যান্য মিলের মধ্যে রয়েছে মধ্যম-পুরুষ একবচন উপসর্গ পি-, সম্বন্ধবাচক কা-, এবং নঞর্থক মা-

    এল অ্যাডাম দ্বারা গঠিত আরাওয়াক ভাষা পরিবার, যেটিকে তিনি প্রথমে মেইপুরে নাম দিয়েছিলেন, সেটিকে ফন ডেন শটাইনেন “নু-আরাওয়াক” নাম দিয়েছিলেন, উত্তম-পুরুষ নু- উপসর্গের জন্য। ওলন্দাজ গুইয়ানা থেকে ব্রিটিশ গুইয়ানার উপকূল পর্যন্ত সব আরাওয়াক জাতির ভাষার মধ্যে এই মিলটি রয়েছে।

    উচ্চ প্যারাগুয়েতে আরাওয়াক ভাষার উপজাতিরা বিদ্যমান: কিঙ্কিনাও, লায়ানা, ইত্যাদি। আমাজন নদীর মোহনার মাঝখানে, মারাখোস দ্বীপপুঞ্জে, আরুওয়ান লোকেরা আরাওয়াক উপভাষায় কথা বলতেন। ভেনেজুয়েলার উত্তরে গোয়াখিরা উপদ্বীপে যে গোয়াখিরা উপজাতিরা বাস করেন তারাও আরাওয়াক ভাষী। ডি ব্রেটের ১৮৯০-৯৫ সালের অনুমান অনুযায়ী গোয়াখিরা জাতির জনসংখ্যা ৩,০০০।[৮]

    ১৯২৮ সালে ক্লডিয়াস ড্যে ঘোয়ে ওলন্দাজ এবং গুইয়ানা লোকোনো/আরাওয়াকের ১৪০০টি পদের একটি শব্দভান্ডার প্রকাশ করেন, যার মধ্যে অধিকাংশ রূপমূল (ধাতু, প্রত্যয়), এবং অসম্পুর্ণ মূল ছিল, সামান্য পরিমানে যৌগিক বা সাধিত শব্দ ছিল। এছাড়াও ন্যন্সি হিকার্সনের ব্রিটিশ গুইয়ানার পাণ্ডুলিপি থেকে ৫০০টি পদের একটি তালিকা পাওয়া যায়। তবে এই তালিকাগুলিতে স্পেনীয়, ওলন্দাজ এবং ইংরেজি থেকে নেওয়া শব্দঋণের সংখ্যা বেশি ছিল। ড্যে ঘোয়ের তালিকায় ১০৬টিতে ইউরোপীয় ছাপ পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৯৮টি ছিল শব্দঋণ।[৯]

    ধ্বনিতত্ত্ব

    একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষার মধ্যে বিভিন্নতা থাকলেও একটি যৌগিক ধ্বনিতালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:[১০]

    ব্যঞ্জনধ্বনিওষ্ঠ্যদন্ত্যদন্তমূলীয়শীর্ষ-(দন্তমূলীয়)-
    তালব্য
    পশ্চাত্তালব্যকণ্ঠনালীয়
    স্পর্শঘোষ(b)dɡ
    অঘোষptk(ʔ)
    অঘোষ মহাপ্রাণ(pʰ)(tʰ)(kʰ)
    উষ্মts
    ঘৃষ্ট(ɸ)sʃh
    পার্শ্বিকl
    র-কারr
    নাসিক্যmnɲ
    অর্ধস্বরwj
    সম্মুখকেন্দ্রিকপশ্চাৎ
    সংবৃতi iːɨ ɨːu uː
    মধ্যe eː
    বিবৃতa aː

    সদৃশ মূলরূপীয় বৈশিষ্ট্য

    সার্বিক মূলরূপ

    আরাওয়াক ভাষাগুলি বহুসংশ্লেষণাত্নক এবং প্রধানত শির-চিহ্নিত। এদের ক্রিয়াপদ গঠন প্রক্রিয়া মোটামুটি জটিল। বিশেষ্যপদ গঠন প্রক্রিয়া অনেক কম জটিল এবং পরিবার জুড়ে অনুরূপ হতে থাকে। এই ভাষাগুলি প্রধানত পরসর্গীয়, কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ ব্যবহার হয়।[১১]

    অবিচ্ছেদ্য এবং বিচ্ছেদবোধক সম্বন্ধবাচকতা

    আরাওয়াক ভাষাগুলিতে সম্বন্ধবাচকতায় অবিচ্ছেদ্য এবং বিচ্ছেদবোধকতার পার্থক্য করার প্রবণতা আছে। এই ভাষাগুলিতে যে একটি সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হলো একটি পরসর্গ, যার পুনর্নির্মিত প্রত্ন-আরাওয়াক রূপ হলো /*-tsi/ (*ৎসি), যার মাধ্যমে শরিরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সম্বন্ধীয় বিশেষ্য পদগুলির সম্বন্ধবাচকতা লোপ পায়। এই পরসর্গটি শুধুমাত্র অবিচ্ছেদ্য শরীরাঙ্গের সাথেই ব্যবহার করা হয়। জ্ঞাতিত্ববোধক বিশেষ্যপদগুলি অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ হলেও এই পরসর্গ যোগ হয় না। পারেসি ভাষার একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:[১১]

    নো-তিহো
    1SG-face
    আমার মুখ
    তিহো-তি
    face-ALIEN
    (অন্য ব্যক্তির) মুখ

    শ্রেণীনির্দেশক

    অনেক আরাওয়াক ভাষার মধ্যে শ্রেণীনির্দেশক জাতীয় রূপমূল রয়েছে যা বিশেষ্য পদগুচ্ছের প্রধান বিশেষ্য পদটির শ্রেণী চিহ্নিত করে। নিচের উদাহরণটি তারিয়ানা ভাষা থেকে নেওয়া।[১২] এখানে শ্রেণীনির্দেশক পরসর্গটি বিশেষ্য পদগুচ্ছের শব্দশ্রেণীটি প্রধান বিশেষ্যপদ (এবং বিশেষণ, সংখ্যা, নির্দেশক, সম্বন্ধবাচক শব্দ) এবং বাক্যাংশের ক্রিয়া ছাড়া বিশেষ্য পদগুচ্ছের বাকি সকল উপাদানে চিহ্নিত করে:[১২]

    হা-দাপানাপা-দাপানাপানি-সিনু-ইয়া-দাপানাহানু-দাপানা
    DEM-CL:HOUSEone-CL:HOUSEhouse-NON.POSSV1SG-POSSV-CL:HOUSEbig-CL:HOUSE
    হেকুনা-নি-নি-দাপানা-মাহকা
    wood3PL-make-TOPIC.ADVANCING.VOICE-CL.HOUSE-REC.PAST.NON.VISUAL
    ‘আমার এই বড়ো ঘরটি কাঠ দিয়ে তৈরি।’

    উদাহরণ

    বিভিন্ন পশ্চিম ইউরোপীয় ভাষায় ভুট্টার জন্য ব্যবহৃত শব্দটি আরাওয়াক ভাষার মারিসি শব্দ থেকে এসেছে, এবং এই শব্দের বিভিন্ন রূপ আরাওয়াক ভাষার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষায় পাওয়া যায়: লোকোনো, মারিসি, গায়ানা। তাইনো, মাহিসি, বৃহত্তর আন্টিলিস। কাউইশানা, মাজি, রিও খুপুরা। ওয়াইউ, মাইক্কি, গোয়াখিরা উপদ্বীপ। পাসেস, মারি, নিম্ন খুপুরা। পুরি, মাকি, রিও পারাইবা। ওয়াউরা, মাইনকি, উচ্চ শিঙ্গু নদী।

  • আইমারা ভাষাসমূহ

    আইমারা ভাষাসমূহ দক্ষিণ আমেরিকান আদিবাসী আমেরিকান ভাষাসমূহের একটি দল, যেগুলি দক্ষিণ পেরুর উচ্চভূমি এবং সংলগ্ন বলিভীয় এলাকাগুলি নিয়ে গঠিত একটি বেশ বড় অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত। কিছু ভাষাবিদ আইমারা ভাষাসমূহ ও কেচুয়া ভাষাসমূহকে একত্রে কেচুমারা নামের একটি বৃহৎ দলের অন্তর্গত বলে মনে করেন।

    আরও দেখুন

  • অস্ট্রোনেশীয় ভাষাসমূহ

    অস্ট্রো-এশীয় ভাষাসমূহ /ˌɔːstroʊ.eɪʒiˈætɪk/ বা মোন-খ্‌মের ভাষাসমূহ [১] /moʊnˌkəˈmɛər/ হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতবাংলাদেশে প্রচলিত একটি বড় ভাষা পরিবার। লাতিন আস্ত্রো (অর্থাৎ “দক্ষিণ”) এবং গ্রিক “আসিয়া” (এশিয়া) মিলে এই ভাষাগুলির নাম করা হয়েছে। প্রায় ১১৭ মিলিয়ন ভাষাভাষী এসব ভাষায় কথা বলে। [২] এই ভাষাগুলির মধ্যে কেবল ভিয়েতনামীয় ভাষা, খ্‌মের ভাষামোন ভাষার দীর্ঘ লিখিত ইতিহাস বিদ্যমান, এবং কেবল ভিয়েতনামীয় ও খমের ভাষা সরকারি ভাষার মর্যাদাপ্রাপ্ত (যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায়)। অন্য ভাষাগুলি বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে প্রচলিত।

    অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলি ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত। এই অঞ্চলগুলির মাঝখানের এলাকাগুলিতে অন্যান্য ভাষা প্রচলিত। অনেকে মনে করেন অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলিই ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অংশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বত্র প্রচলিত দেশী ভাষা ছিল। এই অঞ্চলের প্রচলিত অন্যান্য ভাষা, যেমন ইন্দো-ইউরোপীয়, তাই-কাদাই, দ্রাবিড় ও চীনা-তিব্বতি ভাষা পরিবারের ভাষাগুলি এই অঞ্চলে অন্য জাতির মানুষদের অণুপ্রবেশের ফলে প্রচলিত হয়।

    শ্রেণীবিভাগ

    ভাষাবিজ্ঞানীরা অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলিকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন:

    এথ্‌নোলগ অনুসারে ১৬৮টি অস্ট্রো-এশীয় ভাষা আছে। এগুলির মধ্যে ১৪৭টি মোন-খ্‌মের জাতীয় ভাষা এবং ২১টি মুন্ডা জাতীয় ভাষা।

  • প্রবেশদ্বার:সাহিত্য

    প্রবেশদ্বার:সাহিত্য ভুমিকা সাহিত্য শব্দটির উৎপত্তি ‘সহিত’ শব্দ থেকে। দুনিয়ার ভাষাগুলিতে সমগ্র কল্পিত ও বাস্তব বিষয়ে রচনাকে সাহিত্য বলে। সাহিত্যের অনেক শ্রেণীবিভাগ। বিশ্বে সাহিত্যের সর্বোচচ সম্মান হল নোবেল সাহিত্য পুরস্কার। এশিয়ার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এই পুরস্কার পান। মানুষের সমাজ জীবনে সাহিত্যের ভুয়সী প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। ইতিহাস ও সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রেও সাহিত্যের গুরুত্ব আছে। অন্যান্য ভাষার মত বাংলাভাষার সাহিত্যও সমৃদ্ধ। আরো দেখুন বিশেষ নিবন্ধ মহাভারত প্রাচীন ভারতের মহাকাব্য। কথিত আছে যে মহাভারতের রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাস লেখক হিসাবে গণেশকে নিযুক্ত করেন। গণেশ শর্ত দেন যে তার লেখনী (pen) কে একবারও যেন অপেক্ষা না করতে হয়। ১৮ পর্বে রচিত আদি মহাভারতে একলক্ষ শ্লোক আছে। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ – ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)(২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ – ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক,১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বাঙালি কবি এবং পরবর্তী কালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য এবং তিনি ছিলেন বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। তার মাতুলালয় ছিল হালিশহরে। তার মাতামহ ভাগলপুরের কাছারিতে কেরানীর কাজ করতেন। তিনি সেখানেই উপনিবিষ্ট হয়েছিলেন। মতিলাল লেখাপড়া শিখেছিলেন, চাকরিও করতেন। সংসারে বারংবার অর্থকষ্ট ঘটায় তিনি কন্যা-পুত্র-পত্নীকে নিয়ে ভাগলপুরে শ্বশুরগোষ্ঠীর আশ্রয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে শরৎচন্দ্র তেজনারায়ণ জুবিলী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৮৯৪ সালে এনট্রান্স পরীক্ষা পাস করে এফ.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে অর্থাভাবে পড়াশুনায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সাধনার হাতেখড়ি হল ভাগলপুরে। তার অনেক গল্প, যা পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়ে তার যশ বৃদ্ধি করেছে, তার খসড়া এই সময়েই লেখা। যেমন: চন্দ্রনাথ, দেবদাস। কলকাতা থেকে বর্মা যাবার কালে তিনি তার একটি গল্প “মন্দির” কুন্তলীন পুরষ্কারের জন্য দাখিল করে যান। গল্পটি প্রথম পুরষ্কার পায় এবং কুন্তলীন পুস্তিকামালায় প্রকাশিত হয় ১৩১০। বর্মাতে তিনি সাহিত্যসাধনা চালিয়ে যেতে থাকেন। সেখানে লেখা “বড়দিদি” গল্পটি “ভারতী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বর্মাতে থাকতে শেষের দিকে তিনি ইংরেজি উপন্যাস থেকে কিছু সারবস্তু গ্রহণ করে নিজেই উপন্যাস রচনা করেছিলেন। সেসব উপন্যাসের মধ্যে দত্তা, দেনাপাওনা ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও আরও অনেক সমাদৃত উপন্যাস তিনি রচনা করেছেন। মৃত্যুর কিছুকাল আগে তিনি কলকাতায় বালিগঞ্জ অঞ্চলে বাড়ি করেছিলেন। কলকাতাতেই তাঁর জীবনাবসান হয়। আরো দেখুন বিশেষ উক্তি “ আয়ু হিসেবে চেয়েছিলাম দুই চার দিন,
    দুটি কাটল ভালোবেসে, দুটি পথ চেয়ে। ” -বাহাদুর শাহ জাফর সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফর বা ২য় বাহাদুর শাহ্ (অক্টোবর ২৪, ১৭৭৫নভেম্বর ৭, ১৮৬২) মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট। সিপাহী বিপ্লবের শেষে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসকেরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ও রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। style=”background-color: টেমপ্লেট:Indian National Congress/meta/color” |আপনি জানেন কি? কায়কোবাদ রচিত মহাশ্মশান বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র মহাকাব্য। ছবি
    সর্বকালের সেরা নাট্যকারদের একজন জর্জ বার্ণাড শ্য। সহপ্রবেশদ্বার প্রবেশদ্বার:বাংলা সাহিত্য প্রবেশদ্বার:উপন্যাস প্রবেশদ্বার কী? প্রবেশদ্বারসমূহের তালিকা নির্বাচিত প্রবেশদ্বার সার্ভার ক্যাশ খালি করুন

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • সারকাজম

    সারকাজম হল “তিক্ত উপহাস বা বিদ্রুপাত্মক একটি তীক্ষ্ণ তিক্ত অথবা মর্মভেদী অভিব্যক্তি বা টিপ্পনী”।[১][২] সারকাজমে পরস্পর বিরোধীতাও বিদ্যমান,[৩] যেমন— বিদ্রূপাত্মক হওয়া এর আবশ্যিকতা বা বাধ্যবাধকতার মধ্য পড়ে না।[৪] মূলত কার সাথে[৫] কী প্রসঙ্গে[৬] এটি প্রয়োগ করা হয় তার ধরনের উপর এর বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।

    সারকাজম এমন একটি আলংকারিক সাহিত্য-উপাদান যা কাউকে আহ্লাদিত করা অথবা সমাজের কিছু অংশকে ক্রমাগত আঘাত করা অথবা সরাসরি আঘাত না করে ঘুরিয়ে কিছু বলার উদ্দেশ্যে বক্রোক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সারকাজমধর্মী বক্তব্যের অর্থ আক্ষরিক অর্থ থেকে ভিন্ন এমনকি বিদ্রুপাত্মকও হয়ে থাকে।

    সারকাজম শব্দের উৎপত্তি

    সারকাজম (sarcasm) শব্দটি গ্রিক σαρκασμός (sarkasmós সারকাসমোস) থেকে এসেছে যা σαρκάζειν (sarkázein সারকাজীন) থেকে নেওয়া হয়েছে। σαρκάζειν (সারকাজীন) এর অর্থ “ক্রোধে, অবজ্ঞাভরে মাংস ছিঁড়ে ফেলা, ঠোঁট কামড়ানো“।[৭][৮]

    সর্বপ্রথম ১৫৭৯ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এডমান্ড স্পেন্সারের Shepheardes Calender কাব্য পুস্তকের একটি টীকাতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

    Tom piper, an ironicall Sarcasmus, spoken in derision of these rude wits, whych …[৯]

    যাই হোক, “তীব্র বিদ্রুপাত্মক বা শ্লেষাত্মক এবং সারকাজমের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বা সারকাজম সংশ্লিষ্ট” অর্থে সার্কাস্টিক (sarcastic) শব্দটির প্রয়োগ ১৬৯৫ সালের পূর্বে দেখা যায় নি।

    ব্যবহার

    সনাক্তকরণ

    একটি ফরাসি কোম্পানি অ্যালগরিদম ভিত্তিক একটি বিশ্লেষণী সফটওয়্যার তৈরি করেছে। তাদের দাবি এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশিত সারকাজমধর্মী কমেন্টসমূহ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। তাদের উদ্ভাবিত প্রক্রিয়া আশি শতাংশেরও বেশি কার্যকর বলে কোম্পানিটির দাবি। কোম্পানিটির দাবি ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র অফিস এবং দুবাইয়ের আদালত তাদের গ্রাহক।[১০] তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সারকাজম শনাক্ত করা এখনও একটা দুরূহতম ব্যাপার।

    বৈধতা

    ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে সারকাজম নিষিদ্ধ করা হয়। বিচ্ছিন্ন, একদল কেন্দ্রিক দেশটিতে সারা দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১১][১২]

    বাংলা সাহিত্যে সারকাজম

    বাংলা রম্য রচনার শুরু উনিশ শতকের শুরু থেকে। বাংলা সাহিত্যিকদের মধ্যে ঈশ্বর গুপ্ত, প্রমথ চৌধুরী, পরশুরাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পরিমল গোস্বামী, সৈয়দ মুজতবা আলী ও আবুল মনসুর আহমেদ এ ধারায় নাম কুড়িয়েছেন। বক্রোক্তি তথা সারকাজমের ব্যবহার আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও লক্ষ্যণীয়।

    আরও দেখুন

    মূলসূত্র

    Wollenberg, Susan (২০০১)। “Oxford”Oxford Music Online। Oxford University Press। Boxer, D. (২০০২)। “4 – ‘Yeah right:’ sociolinguistic functions of sarcasm in classroom discourse”। Applying Sociolinguistics: Domains and Face-to-Face Interaction। John Benjamins Publications। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন978-90-272-1850-6Only people can be sarcastic, whereas situations are ironic. Rockwell, P. A. (২০০৬)। Sarcasm and Other Mixed Messages: The Ambiguous Ways People Use Language। Edwin Mellen Press। আইএসবিএন978-0-7734-5917-5Partridge, Eric (১৯৬৯)। Usage and Abusage: A Guide to Good English। Penguin Press। আইএসবিএন978-0-393-31709-1Irony must not be confused with sarcasm, which is direct: sarcasm means precisely what it says, but in a sharp, bitter, cutting, caustic, or acerbic manner: it is the instrument of indignation, a weapon of offence, whereas irony is one of the vehicles of wit. In Locke’s ‘If ideas were innate, it would save much trouble to many worthy persons’, worthy is ironical; the principal clause as a whole is sarcastic as also is the complete sentence. Both are instruments of satire and vituperation.“Irony”Dictionary.comThe distinctive quality of sarcasm is present in the spoken word and manifested chiefly by vocal inflection, whereas satire and irony arising originally as literary and rhetorical forms, are exhibited in the organization or structuring of either language or literary material. Campbell, JD. (২০১২)। Investigating Components of Sarcastic ContextThe findings … show that the target sentences, when presented in isolation, were not seen as being conventionally sarcastic in nature. These same target sentences, however, when surrounded by contextual information provided by the participants asked to create a sarcastic context, were later coded as being sarcastic by a naïve rater. [১] Wollenberg, Susan (২০০১)। “Oxford”Oxford Music Online। Oxford University Press। “sarcasm (English) Origin & historys”। www.wordsense.eu। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১০। “The Shepheardes Calender — October”www.luminarium.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০। “Authorities ‘use analytics tool that recognises sarcasm’”BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০। “North Korean Citizens Warned Against ‘Hostile’ Speech”Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০।

    1. “North Korean dictator Kim Jong Un bans sarcasm”The Sun (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০।

    বহিঃসংযোগ

    সাহিত্য
    প্রধান ক্ষেত্র
    উপন্যাস কাব্য নাটক ছোটগল্প উপন্যাসিকা
    ধারা
    হাস্যরসাত্মক নাটক মহাকাব্য প্রণয়োপাখ্যান বিদ্রুপাত্মক গীতি কাব্য পুরাণরচনা প্রেমধর্মী ব্যঙ্গকাব্য বিয়োগাত্মক হাস্য-বিয়োগাত্মক
    মাধ্যম
    অভিনয় (নাট্য) বই
    কৌশল
    গদ্য পদ্য
    ইতিহাস এবং তালিকা
    রূপরেখা সাহিত্যবিষয়ক সূচীকরণ ইতিহাস আধুনিক বই লেখক সাহিত্য পুরস্কার / কবিতা পুরস্কার
    আলোচনা
    সমালোচনা তত্ত্ব সমাজবিদ্যা পত্রিকা
     সাহিত্য প্রবেশদ্বার
    দে

    বিষয়শ্রেণী:

  • মণিপুরী সাহিত্য

    মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় যৌথ সাহিত্য

    বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সনে শ্রীফাল্গুনী সিংহ সম্পাদিত মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার দ্বিভাষিক সাময়িকী ”জাগরন” প্রকাশনার মাধ্যমে। এ সময়কালে আরো কয়েকটি দ্বিভাষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ”মেখলী”(১৯৩৩), ”মণিপুরী” (১৯৩৮), ক্ষত্রিয়জ্যোতি (১৯৪৪) ইত্যদি।

    মণিপুরী (মৈতৈ) ভাষার সাহিত্য

    বাংলাদেশে বসবাসকারী অসংখ্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে মণিপুরিরা অন্যতম। এক উজ্জ্বল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী মণিপুরিদের এদেশে বসবাসের ব্যাপ্তি প্রায় তিনশত বৎসরের। এই দীর্ঘ বসবাসের কারণে এ দেশের মণিপুরিরা আজ চিন্তায়-চেতনায়, মনে-মননে পরিপূর্ণভাবে এ দেশের ভূমিজ সন্তান। মণিপুরি ভাষা ও সাহিত্য প্রাচীনতা ও ঐতিহ্য গৌরবে অনন্যতায় ভাস্বর। মণিপুরি সাহিত্যের লিখিত অস্তিত্ব পাওয়া যায় খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী থেকে। তবে ইতিহাসের নিবিড় পর্যালোচনা প্রমাণ করে খ্রিষ্টিয় সপ্ত শতাব্দী থেকেই মণিপুরি ভাষা সুসংহত রূপ রাভ করে। সপ্তম শতাব্দীতে রাজত্বকারী উরা কোন্থৌবার (শাসনকাল ৫৬৮-৬৫৮ খ্রিঃ) শাসনামলে চালু করা ব্রোঞ্জ মুদ্রায় খোদায় করা বিভিন্ন বর্ণমালাই এর প্রমাণ।

    বাংলাদেশে মণিপুরিদের সামগ্রিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ইতিহাস মূলতঃ ওরেচার ও ইনফরমাল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ইতিহাস। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে (ফরমাল) মণিপুরি ভাষা চর্চার ও শিক্ষালাভের সুযোগবঞ্চিত এদেশের কয়েকজন উৎসাহী সাহিত্যকর্মী মণিপুরি যুবক একত্রিত হয়ে ১৯৭৫ সালে গড়ে তুলেছিলো ‘বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ’ যা পুজারী সাহিত্য সংসদ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০সালে বর্তমান নামকরণ করা হয়। এটিই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাহিত্য সংগঠন। এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার পূর্বেও যারা মণিপুরি সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিলো তাদের মধ্যে স্বর্গীয় পণ্ডিত খোংখাতাবম নবকিশোর শর্মা, স্বগীয় প্রফেসর সোনামণি সিংহ, থোকচোম মণিহার সিংহ (শোণী) প্রমূখের নাম উল্লেখযোগ্য।

    বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠার পর এর মুখপত্র ‘দ্বীপান্বিতা’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় বাংলাদেশে মণিপুরি সাহিত্যচর্চার উজ্জ্বল ঔপনিবেশিক সাহিত্যের ইতিহাস। দ্বীপান্বিতা কেন্দ্রীক সাহিত্যধারায় পুষ্ট হয়ে অনেক সাহিত্যকর্মী পরবর্তীতে গড়ে তোলেন বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন এবং প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী। বাংলাদেশের মণিপুরিরা বাংলা সাহিত্যের মতো এক উন্নত সাহিত্যের প্রত্যক্ষ প্রভাব বলয়ে অবস্থান করেও মণিপুরি ভাষা-সাহিত্যের চর্চায় এগিয়ে এসেছে এবং এই ধারা ক্রমশ বেগবান হচ্ছে। এ যাবৎ প্রকাশিত বাংলাদেশের মণিপুরি সাহিত্য সাময়িকীগুলোর দ্বিপান্বিতা/মৈরা, মতম, থাজ, থরো-থম্বাল-থারীকথ্রা, খোল্লাউ, অনৌবা মঙাল, তাম্না, মণিপুরী দর্পণ, মীৎকপ থোকপা, প্রয়াস, ইপোম, শজিবু, মৈঙাল, ঔগ্রী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সাময়িকীগুলোর মধ্যে দীপান্বিতা/মৈরা ও শজিবু ব্যতীত অন্যান্য সাময়িকীগুলো কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশের পর প্রকাশ পাচ্ছে না। বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্যচর্চার ব্যাপ্তি কয়েক যুগের হলেও প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা মাত্র বিশটি। প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রকাশ করেছে ১০ টি, ঈনাৎ পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ৭টি, হামোম পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ৩ টি এবং ঔগ্রী পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ২ টি গ্রন্থ। বাংলাদেশে প্রকাশিত মণিপুরি গ্রন্থের তালিকা নিম্নে দেয়া হলোঃ

    বইয়ের নামলেখক/সম্পাদকপ্রকাশকাল
    (১)বসন্ত কুন্নিপালগী লৈরাং (কাব্য)এ কে শেরাম১৯৮২
    (২) বাংলাদেশকী মণিপুরী (কবিতা সংকলন)সম্পা: এ কে শেরাম১৯৯০
    (৩) মঙ মপৈ মরক্তা (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন১৯৯৫
    (৪) ওয়াখলগী নাচোম (কাব্য)হামোম প্রমোদ১৯৯৫
    (৫) মণিপুরী শক্তাক খুদমসম্পা: এ কে শেরাম১৯৯৯
    (৬) লৈনম য়াওদ্রিবী লৈরাং (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০০
    (৭) ইচেল ইরাওখোলসম্পা: শেরাম নিরঞ্জন২০০০
    (৮) এক বসন্তের ভালবাসা (অনুবাদ কবিতা সংকলন)সম্পা: মুতুম অপু২০০১
    (৯) নোঙ্গৌবী (গল্প)এ কে শেরাম২০০১
    (১০) থওয়াইগী নুংশিরৈ (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০৩
    (১১) মচু নাইবা মঙ (নিবন্ধ)খোইরোম ইন্দ্রজিৎ২০০৩
    (১২) অতোপ্পগী পিরাং (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন২০০৪
    (১৩) লৈরাংগী লৈরোং (কাব্য)মুতুম অপু২০০৪
    (১৪) ইন্নফি (কাব্য)খোইরোম ইন্দ্রজিৎ২০০৫
    (১৫) মোংফম থম্মোয়গী নুংশিব (কাব্য)মাইস্নাম রাজেশ২০০৫
    (১৬) নাতৈ চাদ্রবা পৃথিবী (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন২০০৫
    (১৭) মঙ মরক্তা (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০৬
    (১৮) মঙলানগী আতিয়াদা নুমিৎ থোকপাএ কে শেরাম২০০৭
    (১৯) ওয়াখলগী মঙাল (কাব্য)ইমোদম রবিন২০০৭
    (২০) ফরংজাই ওয়াখল (প্রবন্ধ)শেরাম নিরঞ্জন২০০৭

    বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠালগ্নে যে সব কবি-সাহিত্যিক মণিপুরি সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে মাইবম তলেন, তৌরেম রবিন, এ. কে শেরাম, কারাম নীলবাবু, এল পদ্মামণি দেবী, শান্ত খুমন, খোইরোম ইন্দ্রজিৎ, খোইরোম কামিনী কুমার সিংহ, পি অমুস্না, কন্থৌজম সুবোধ সিংহ, শেরাম শরৎ প্রমুখের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে এ ধারায় যুক্ত হয়ে মণিপুরি সাহিত্যের ধারাকে বেগবান করেন ইমোদম রবিন, সনাতন হামোম, এন শ্যামল, অহৈবম রনজিৎ কুমার সিংহ, টিএইচ কৈনাহল প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকগণ। ১৯৯০ এর দিকে বাংলাদেশের মণিপুরি সাহিত্যে প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাত হয় । এ সময় মণিপুরি কবিতার বিষয়বস্তুতে, প্রকাশভঙ্গীতে, শব্দপ্রয়োগে, উপমা-উৎপ্রেক্ষার ব্যবহারে পূববর্তী কবিদের থেকে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এ সময়ের কবিদের মধ্যে ইতোমধ্যে শেরাম নিরঞ্জন ও হামোদ প্রমোদ নিজস্ব চারিত্র অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এ সময়ের অন্যান্য কবিদের মধ্যে এন যোগেশ্বর অপু, নামব্রম শংকর, শেরাম রিপন, মাইস্নাম রাজেশ, মুতুম অপু, কে বীরলাল, এন শান্ত ,অ. গুণমণি মৈতৈ, ওয়াই চন্দ্রজিৎ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখের দাবী রাখে। পরবর্তীতে এ ধারাকে আরো পরিপুষ্ট করে তুলেন কন্থৌজম সুরঞ্জিত, থোঙাম সঞ্জয়, পারী চিংথাম, মাইবম সাধন, শ্যামল সিংহ, শেরাম চীংখৈ, রানা প্রতাপ সিংহ প্রমুখ।

    মণিপুরী সাহিত্যের মূল স্রোতোধারা থেকে বিচ্ছিন্ন বিধায় বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্য চর্চার ধারা খুব একটা বেগবান হতে পারছে না এটা সত্য। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের বিপুলায়তন ভাণ্ডারের প্রত্যক্ষ প্রভাবে পুষ্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মণিপুরী কবিতাগুলো বিষয়-ব্যাপ্তিতে এবং গভীরতায়, শৈলী ও চেতনায় প্রায়শঃই নানা মাত্রাকে ছুঁয়ে যায় বলে এগুলো মণিপুরী সাহিত্যের মূলভূমি মণিপুরেও যথেষ্ট সমাদৃত।

    মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষায় সাহিত্য

    পত্রপত্রিকা

    অপরপক্ষে ১৯৭২ সনে প্রকাশিত ”খঙচেল” স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সাহিত্যের প্রথম প্রকাশনা। এরপর কালক্রমে ইমার ঠার (১৯৭৭), সত্যম(১৯৮৫), মিঙাল(১৯৮৮), মণিপুরীর সাহিত্য (১৯৮৯), পৌরি (১৯৮৯), জাগরন(১৯৯০), যেবাকা যেদিন(১৯৯১), ইথাক(১৯৯৪), তেইপাঙ(১৯৯৮), গাওরাপা(১৯৯৯), মণিপুরী থিয়েটারর পত্রিকা(২০০৩), কুমেই(২০০৪) পৌরি পত্রিকা(২০০৫) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশনা বাংলাদেশের বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী সাহিত্যে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।

    কবিতা

    গোপীচাঁদ সিংহের লেখা “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” এবং রনজিত সিংহের লেখা “স্বাধীনতা সংগ্রামে মণিপুরি সমাজ” মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। বাংলাদেশের মণিপুরী(বিষ্ণুপ্রিয়া) কবিতার বইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ প্রকাশিত “থাম্পাল”, ‘নিয়োতি”, “চিকারী বাগেয়া”, ”কনাক কেথক” ইত্যাদি, মণিপুরি তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র (পৌরি) প্রকাশিত “রসমানজুরি”, “জীর মেরিক”, “তোর নিংসিঙে”, “ছেয়াঠইগীর যাদু”, “তানকালেই” ইত্যাদি এবং মণিপুরি থিয়েটার প্রকাশিত “সেনাতম্বীর আমুনিগৎত সেম্পাকহান পড়িল অদিন”এবং মণিপুরী(বিষ্ণুপ্রিয়া), চাকমা ও মান্দি ভাষার কবিতা সংকলন “রৌদ্রজলের পংক্তিমালা” উল্লেখযোগ্য।কবি মধু মঙ্গল সিহনা-‌এর “নিংশিঙ হপনে” আধুনিক উল্লেখযোগ্য কাব্য।

    গবেষণা

    গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে “বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী ছন্দ পরিচয়”, “ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলন বারোহ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সমাজ” উল্লেখযোগ্য।

    অনুবাদ সাহিত্য

    বাংলাদেশের আধুনিক মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সাহিত্য নাটক, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনীর পথ পেরিয়ে অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বিশ্বের নানান ভাষার সাহিত্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুদিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য,বঙ্কিমমসাহিত্য, শরৎসাহিত্য, কালিদাসের মেঘদুতম, ইষোপনিষদ, শ্রীমদভাগবতগীতা, বাইবেল, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, সফোকিসের আন্তিগোনে, উইলিয়াম শেক্সপীয়রের নাটক, জাপানী হাইকু কবিতা বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুদিত হয়েছে। অনুদিত হয়েছে বেরতোল্ড ব্রেশ্ট, বোদলেয়ার, লোরকা, পলএল্যুয়ার, মালার্মে, এজরা পাউন্ড, রিলকে,বোর্হেসের লেখা। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষার অনেক সাহিত্যও বাংলা, অসমীয়া, ককবরক,হিন্দী, ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

    পৌরি প্রকাশিত “কুরৌ আহান রবীন্দ্রনাথ” বাংলাদেশের মণিপুরী সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের “রুদ্রচন্দ্র” নাটকটি বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী অনুদিত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের প্রায় ষাটটি ভাষার অনুবাদ কবিতার সংকলন “অনুবাদকল্প” ১ম ও ২য় খন্ড।

    আরও পড়ুন

    ওয়েব সংযোগ

    বিষয়শ্রেণী: