ভৌতিক বই বলতে সাধারনত সেইসব বইকে বোঝানো হয় যা লেখা হয় ভূত, প্রেত, আত্মা, প্রেতাত্মা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। এতে ভৌতিক অভিজ্ঞতাও থাকে। অর্থাৎ এসব বইয়ের প্রধান চরিত্র থাকে ভূত। ভৌতিক বইতে সংকলিত হয় ভৌতিক গল্প। বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখক ইতিমধ্যেই ভৌতিক বই বা ভৌতিক গল্প রচনায় নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছেন।
Author: admin
-
ফুতুহুল বুলদান
ফুতুহ আল বুলদান (فتوح البلدان, দেশ জয়ের বই Book of the Conquests of the Lands) পারস্যের ঐতিহাসিক আহমাদ ইবনে ইয়াহিয়া আল বালাজুরী কর্তৃক লিখিত আরবী বই। বইটি এম জে ডে গোইজে কর্তৃক লিবার এক্সপুগনেশানিস রিজিওনাম (লেইডেন ১৮৭০, কায়রো ১৯০১খি.) নামে সম্পাদনা করেন। গৈজের সম্পাদনা কিতাব ফুতুহ আল বুলদানকে পরিচিতি এনে দেয়। বইটিতে মুহাম্মদ ও ইসলামের প্রথম খলিফাদের প্রথম দিককার অভিযান বর্ণিত হয়েছে। এই বইটি লেখার উপকরণ জোগাড় করতে আল বালাজুরী সিরিয়া এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল ভ্রমণ করেন।[১]
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বইটি দুই খণ্ডে অনুবাদ করে The Origins of the Islamic State নামে প্রকাশ করে। প্রথম খন্ড ফিলিপ খুরি হিট্টির[২] অনুবাদে ১৯১৬ খিস্টাব্দে এবং দ্বিতীয় খন্ড ফ্রান্সিস ক্লার্ক ম্যুরগট্টেনের[৩] অনুবাদে ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিতে খিলাফাত সাম্রাজ্যের ভৌগোলিক বর্ণনা রয়েছে। লেখক কিছু লেখা ফারসি থেকে আরবীতে অনুবাদ করেছেন।[১]
-
প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান
প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান (মূলত প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান: দ্য রিটার্ন টু নার্নিয়া নামে প্রকাশিত হয়) ১৯৫১ সালে জিওফ্রি ব্লেস প্রকাশিত শিশুদের জন্য লেখা সি. এস. লিউইসে একটি কল্প-উপন্যাস। এটি দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া (১৯৫০-১৯৫৬) ধারার সাতটি উপন্যাসের দ্বিতীয় বই। লিউইস বইটি ১৯৪৯ সালে লেখা সম্পন্ন করেন।[৪] অন্যসবগুলোর মত এই বইটিরও অলঙ্করণ করেছেন পউলিন বেইনিস[১][৩]
প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান পেভেনসি ভাইবোনদের নার্নিয়ায় পুনরায় প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রচিত। প্রথম যাত্রার এক বছর পর কিন্তু নার্নিয়ার তেরোশ বছর পর তারা তাদের দ্বিতীয় এই ভ্রমণ করে। দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া ধারার এটিই একমাত্র বই যেখানে নার্নিয়ায় বসবাসকারীদের মধ্যে মানুষের আধিক্য দেখা যায় এবং কথা বলা জন্তু ও পৌরাণিক প্রাণীরা তাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। পেভেনসিরা নার্নিয়ার কিংবদন্তি শাসক এবং তাদেরকে রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান জাদুবলে পুনরায় আহ্বান জানায় এবং তারা পুর্বের শিশুরুপে আগমন করে।
কাহিনী-সংক্ষেপ
একটি ব্রিটিশ রেলওয়ে স্টেশনে দাড়িয়ে থাকার সময় পিটার, সুজান, এডমন্ড এবং লুসি পেভেনসি জাদুবলে এক ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদের নিকট সমুদ্র তীরে এসে পৌঁছায়। তারা বুঝতে পারে এটিই কেইর প্যারাভেল, যেখানে তারা নার্নিয়ার রাজা ও রানি হিসেবে শাসন করেছিল, এবং তারা একটি ধনভান্ডার খুজে পায় যেখানে পিটারের ঢাল ও তলোয়ার, সুজানের তীর-ধনুক, আর লুসির জাদুর নিরাময়ী রাখা ছিল। কিন্তু নার্নিয়া থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার সময় জঙ্গলে রেখে যাওয়ায় সেখানে সুজানের শিঙ্গা ছিলনা। যদিও ইংল্যান্ডে একবছর সময়কাল অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু নার্নিয়ায় ১৩০০ বছর পার হয়ে গিয়েছে।[ক]
সমুদ্র তীরে পেভেনসিরা বামুণ ট্রাম্পকিনকে কয়েকজন সৈনিকের হাত থেকে রক্ষা করে, যারা তাকে ডুবিয়ে মারার উদ্দ্যেশ্যে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। ট্রাম্পকিন পেভেনসিদের তাদের চলে যাওয়ার পর থেকে নার্নিয়ার ইতিহাস বলে: টেলমেরিনরা নার্নিয়া দখল করে নিয়েছে, এখন নার্নিয়া শাসন করছে রাজা মিরাজ এবং তার স্ত্রী রাণী প্রুনাপ্রিসমিয়া, কিন্তু ন্যায়সঙ্গত রাজা হলো মিরাজের ভাতিজা রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান, যে প্রাচীন নার্নিয়ানদের সমর্থন অর্জন করেছে।
মিরাজ তার ভাই এবং ক্যাস্পিয়ানের বাবা রাজা দশম ক্যাস্পিয়ানকে হত্যা করে সিংহাসন নিজের করায়ত্তে আনে। মিরাজ তার নিজের সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত ক্যাস্পিয়ানকে উত্তরাধিকারি হিসাবে সহ্য করে। তার চাচার কৃতকর্ম জানার পর ক্যাস্পিয়ান তার গৃহশিক্ষক ডক্টর কর্নেলিয়াসের সহায়তায় মিরাজের প্রাসাদ থেকে পালিয়ে যায়। কর্নেলিয়াস ক্যাস্পিয়ানকে প্রাচীন নার্নিয়ানদের সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিল এবং সে তাকে রাণী সুজানের শিঙ্গা দেয়। ক্যাস্পিয়ান জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘোড়া থেকে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। সে জ্ঞান ফিরে পায় এক কথা বলা ব্যাজার ও দুই বামুণ নিকাব্রিক ও ট্রাম্পকিনের কুঠরিতে, যারা ক্যাস্পিয়ানকে তাদের রাজা হিসেবে গ্রহণ করে।
ব্যাজার ও বামুণেরা ক্যাস্পিয়ানকে অন্য প্রাচীণ নার্নিয়ানদের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যায়। ডান্সিং লনে মধ্যরাতের এক পরামর্শ সভায় ডক্টর কর্নেলিয়াস এসে তাদের মিরাজ ও তার সৈন্যবাহীনির অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দেয়। সে তাদের বলে কেইর প্যারাভালের নিকট মহাজঙ্গলের মধ্যে স্টোন টেবিলে পালিয়ে যেতে বলে। টেলমেরিনরা নার্নিয়ানদের স্টোন টেবিল পর্যন্ত ধাওয়া করে এবং কিছু বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর নার্নিয়ানরা প্রায় পরাজয়ের কাছাকাছি অবস্থায় চলে আসে। দ্বিতীয় যুদ্ধকালীন পরামর্শ সভায়, তারা রাণী সুজানের শিঙ্গা বাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই আশায় যে, আসলান অথবা নার্নিয়ার স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি রাজা রাণীদের কাছ থেকে সাহায্য আসবে।
ট্রাম্পকিন আর পেভেনসিরা ক্যাস্পিয়ানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তাদের যাত্রাপথ ছিল কঠিন, কিন্তু আসলান লুসির সামনে আসে এবং তাকে নির্দেশ দেয় অন্যদের নিয়ে তার পেছনে আসতে। আসলান পিটার, এডমন্ড এবং ট্রাম্পকিনকে বিশ্বাঘাতকতা দমন করতে স্টোন টেবিলে পাঠায় এবং তার সাথে সুজান ও লুসিকে নিয়ে যায়।
পিটার, এডমন্ড, এবং ট্রাম্পকিন সেখানে পৌঁছে ক্যাস্পিয়ানকে হুমকির মুখে ফেলা জন্তুদের হত্যা করার পর পিটার মিরাজকে একক লড়াইয়ে আহ্বান জানায়। এই দন্দ যুদ্ধে বিজেতার সেনারা যুদ্ধে বিজয়ী বলে বিবেচিত হবে। মিরাজ লর্ড গ্লজেল্লি ও লর্ড সোপেসফিয়ানের প্ররোচনায় এই প্রস্তাবে রাজী হয়। লড়াইয়ে মিরাজ পরাজিত হয়, কিন্তু গ্লজেল্লি আর সোপেসফিয়ান ঘোষণা করে যে, নার্নিয়ানরা প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজা পড়ে যাওয়ার পর তার পিঠে ছুরি চালিয়েছে। তারা টেলমেরিন সৈন্যদের নার্নিয়ানদের আক্রমণের আদেশ দেয় এবং এই গোলমালের ভেতর গ্লজেল্লি মাটিতে পড়ে থাকা মিরাজের পিঠে ছুরি চালায়। লুসি ও সুজানের সাথে থাকা আসলান বাচ্চুস এবং সিলেনাসের সাহায্য নিয়ে আসে। তারা টেলমেরিনদের হামলা করে এবং তাদের পালাতে বাধ্য করে। টেলমেরিনরা যখন বুঝতে পারে বাচ্চুস সেতু ধ্বংস করার ফলে তারা মহানদীতে আটকা পড়েছে, তখন তারা আত্মসমর্পণ করে।
আসলান টেলমেরিনদের সুযোগ দেয় ক্যাস্পিয়ানের অধিনে নার্নিয়ায় থাকার অথবা তাদের প্রকৃত বাসভূমি পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার। পৃথিবীতে ফেরত আসতে ইচ্ছুক প্রথম ব্যক্তি আসলানের তৈরী জাদুর দরজায় প্রবেশ করে অদৃশ্য হয়ে গেলে পেভেনসিরা অন্যান্য টেলমেরিনদের আশ্বস্ত করার জন্য দরজায় প্রবেশ করে। এর আগে পিটার এবং সুজান এডমন্ড এবং লুসিকে জানায় বড় হয়ে যাওয়ায় তারা আর নার্নিয়ায় ফেরত আসতে পারবে না। পেভেনসিরা পুনরায় সেই রেলওয়ে স্টেশনে নিজেদের দেখতে পায়।
চরিত্রসমূহ
- লুসি পেভেনসি, পেভেনসিদের মধ্যে সবার ছোট, এবং সে-ই প্রথমবার আসলানকে পুনরায় দেখে।
- এডমন্ড পেভেনসি হলো পেভেনসিদের মধ্যে বয়সে তৃতীয়। নার্নিয়ায় তাদের প্রথমবার ভ্রমণে লুসির সঠিক হওয়া ও তার বোকা বনে যাওয়ার কথা স্মরণ করে তার অন্য দুই ভাই-বোন লুসির আসলানকে দেখার কথা বিশ্বাস না করলেও সে বিশ্বাস করে।
- পিটার পেভেনসি, পেভেনসিদের মধ্যে সবার বড়। সে নার্নিয়ার মহারাজা।
- সুজান পেভেনসি দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ পেভেনসি। সে তীর ও ধনুক ব্যবহার করে।
- রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান, ন্যায়সঙ্গত টেলমেরিন রাজা, যে পরে সিংহাসনে বসে। তাকে পরবর্তী দুইটি বই দ্য ভয়েজ অব দ্য ডন ট্রেডার এবং দ্য সিলভার চেয়ারে দেখা যায় এবং দ্য লাস্ট ব্যাটলে তার সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
- আসলান, মহান সিংহ, যে নার্নিয়া তৈরী করেছে।
- মিরাজ, ক্যাস্পিয়ানের চাচা। সে টেলমেরিনের সিংহাসন দখল করে রেখেছে। যতদিন মিরাজের কোন পুত্রসন্তান ছিলনা, ততদিন সে ক্যাস্পিয়ানকে উত্তরাধিকারী হিসেবে জীবিত রাখে। কিন্তু তার পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার পর সে ক্যাস্পিয়ানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ক্যাস্পিয়ামকে সমর্থন করা প্রাচীণ নার্নিয়ানদের সাথে লড়াই করে এবং পিটারের সাথে দ্বন্দযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু দ্বন্দযুদ্ধের পর লর্ড গ্লজেল্লি প্রতারণা করে তাকে হত্যা করে।
- ট্রাম্পকিন, এক লাল বামুণ, যে মিরাজকে পরাজিত করতে ক্যাস্পিয়ানকে সাহায্য করে। মিরাজের সৈন্যরা যখন তাকে আটক করে ডুবিয়ে মারার জন্য কেইর প্যারাভালে নিয়ে যায় তখন পেভেনসিরা তাকে উদ্ধার করে এবং সে তাদের ক্যাস্পিয়ানের নিকট নিয়ে যায়। উপন্যাসের শুরুর দিকে সে আসলান ও প্রাচীন রাজা-রাণীদের অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দিহান ছিল। কিন্তু গল্পে তার যাত্রাপথে সে তাদের সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে থাকে।
- ডক্টর কর্নেলিয়াস, আধা বামুণ এবং আধা মানুষ, হলেন ক্যাস্পিয়ানের গৃহ শিক্ষক। তিনি টেলমেরুনদের পরাজিত করতে নার্নিয়ানদের সহায়তা করেন।
- রিপিসিপ, এক কথা বলা ইদুর (কথা না বলা ইদুরদের উত্তরপুরুষ, যারা পুর্ববর্তী বইয়ে আসলানকে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে। এরপর তাদের কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়) যে একজন নির্ভিক তলোয়ারবাজ এবং আসলান ও ক্যাস্পিয়ানের অনুগত সমর্থক।
- নিকাব্রিক, ক্যাস্পিয়ানের সেনাবাহিনীর এক কালো বামুণ। সে ক্যাস্পিয়ানের পক্ষে লড়াই করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে এক শুকর ও এক নেকড়েকে সাথে নিয়ে টেলমেরিনদের বিরুদ্ধে হোয়াইট উইচকে জাগ্রত করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু তাদের তিনজনকেই ক্যাস্পিয়ান ও তার মিত্ররা হত্যা করে।
- ট্রাফলহান্টার, এক কথা বলা ব্যাজার। সে আসলান ও প্রাচীন নার্নিয়ার ব্যাপারে আস্থাশীল। মিরাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে ক্যাস্পিয়ানকে সাহায্য করে।
- লর্ড সোফেস্পিয়ান এবং লর্ড গ্লজেল্লি, হলেন টেলমারের দুইজন লর্ড। মিরাজের কাছে অপমানিত হওয়ার পর তারা পিটারের সাথে মিরাজকে দ্বন্দ যুদ্ধে অংশ নিতে রাজী করায়। যুদ্ধে মিরাজ মাটিতে পড়ে গেলে নার্নিয়ানরা প্রতারণা করেছে বলে তারা চিৎকার করে এবং গ্লজেল্লি মিরাজের পিঠে গোপনে ছুরি বসায়। দুই পক্ষ পূর্ণ শক্তি নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে পিটার সোফেস্পিয়ানের শিরশ্ছেদ করে। কিন্তু গ্লজেল্লির পরিণতির বিষয়ে লিউইস কিছুই বলেননি।
থিম
গল্পের মূল দুইটি থিম হলো সাহস এবং বিরত্ব এবং যেমনটা লিউইস নিজেই এক মার্কিন শিশুকে একটি চিঠিতে বলেছিলেন, “অবিচারের পর সত্য ধর্মের প্রতিষ্ঠা”।[৫]
টেলমেরিনদের নার্নিয়া দখলের সাথে ঐতিহাসিকভাবে নরমম্যানদের ইংল্যান্ড দখলের সাথে মিল রয়েছে। যদিও এর সাথে গল্পের কোন ঘটনার নিখুঁত ও সমান্তরাল কোন মিল নেই। গল্পের শেষ পরিণতি ” প্রাচীন নার্নিয়ান” ও টেলমেরিনদের একই জাতি হিসেবে শান্তিতে বসবাসের সাথে স্যাক্সন ও নরম্যানদের একক ইংরেজ জাতি হিসেবে বসবাসের সাথে মিল রয়েছে।
উন্নয়ন
বিবিসি ১৯৮৯ সালে দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া টেলিভিশন ধারাবাহিক সিরিজের জন্য দুই পর্বের প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান ধারাবাহিক নির্মাণ করে।
ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স এবং ওয়াল্ডেন মিডিয়া কর্তৃক চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান শিরোনামে ২০০৮ সালের ১৬ই মে যুক্তরাষ্ট্রে এবং একই বছরের ২৬ জুন যুক্তরাজ্য মুক্তি পায়।
উপন্যাসটি পিশের বিলি ব্রিথস অ্যালবামের একই নামের গানের অনুপ্রেরণা ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
উপন্যাসটিকে নিয়ে ইরিনা কারাদাস একটি নাটক লেখেন যেটি ২০০৭ সালে প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়।[৬]
-
প্রকরণসর্বস্বতা
প্রকরণসর্বস্বতা বা ফর্মালিজম (তামিল: வடிவவியத் திறனாய்வு, মালয়ালম: രൂപഭദ്രതാവാദം, কাতালান: Formalisme, বুলগেরীয়: Формализъм ) হলো সাহিত্য সমালোচনা ও সাহিত্য তত্ত্বের শিক্ষা যেখানে মূলত কোন নির্দিষ্ট লেখার গঠনগত দিকই বিবেচনা করা হয়। কোন ধরনের বাহ্যিক প্রভাব ব্যতীত শুধুমাত্র লেখার উপর গুরুত্ব দেয়া হয় এ ধরনের অধ্যয়নে। প্রকরণসর্বস্বতা বা ফর্মালিজম মাঝেমধ্যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মত বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যায়। বরঞ্চ তাদের দৃষ্টি থাকে মোড, জনরা, ডিসকোর্স ও ফর্মের উপর।
সাহিত্য তত্ত্বে
সাহিত্য তত্ত্বে ফর্মালিজম হলো এমন একধরনের সমালোচনামূলক পদ্ধতি যেটা কোন লেখার অন্তর্নিবিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা, বা মূল্যায়ন করে।
প্রাগ চক্র ও গঠনতন্ত্র
জ্যাকবসনের তৈরি করা মস্কো লিঙ্গুয়েস্টিক চক্র ভাষাবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উন্নয়নে আইক্যানবাউমের গ্রুপের চেয়ে বেশি সচেতন ছিলো। জ্যাকবসন ১৯২০ সালে মস্কো ছেড়ে প্রাগে চলে যান এবং ১৯২৬ সালে প্রাগ লিঙ্গুয়েস্টিক সার্কেল গড়ে তুলেন। এ চক্রটি আগেরটার মতই একইরকম বিষয়ে আগ্রহী ছিলো
-
পুরুষ সমকামী সাহিত্য
পুরুষ সমকামী সাহিত্য বলতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য সৃষ্ট বা উক্ত সম্প্রদায়ের দ্বারা সৃষ্টি সাহিত্যকে বোঝায়। এই সাহিত্যের চরিত্র, প্লট বা বিষয়ববস্তু পুরুষ সমকামিতাকে চিত্রিত করে।[২][৩]
“ একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা সাহিত্যকে এক অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের আধুনিকতা বলে অনুভব করতে পারব। সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমকামিতা সম্পর্কে বর্তমান ধারণাটি আরও স্বচ্ছ। এটি বিরাট বিস্ময়কর কিছু নয়। তাই পুরুষ সমকামী সাহিত্য বা সাহিত্যে পুরুষ সমকামী চরিত্রগুলিও আপেক্ষিকভাবে নতুন এবং উজ্জ্বলতর। ” — কিলিয়ান মেলয়, “ইনফ্লুয়েন্সিয়াল গে ক্যারাক্টারস ইন লিটারেচার” (২০০৭)[৪] -
গীতি কাব্য
করতে পারেন, তবে তার মূল রস ক্ষুণ্ন হয় না। কবির আন্তরিকতাই শ্রেষ্ঠ গীতি কবিতা বা গীতি কাব্যের একমাত্র কষ্টি-পাথর।
ইংরেজি সাহিত্যে গীতি কাব্য লিরিক নামে অভিহিত হয়ে থাকে। বীণাযন্ত্র সহযোগে এই শ্রেণীর সঙ্গীত-কবিতা গীত হতো বলে এটি লিরিক বা গীতকবিতা নামে চিহ্নিত।
গান
শব্দ চয়নের ব্যাপারে গান রচয়িতার স্বাধীনতা নাই। কারণ, সুরাত্মক ও সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন শব্দই তার পক্ষে উপযোগী। গানে ছন্দেবৈচিত্র্য সম্ভব নয়, কারণ কোন বিশিষ্ট ছন্দের পুণরাবৃত্তির সাহায্যে গান রচয়িতা গানের মূল ভাবটিকে গভীরতর করে তোলেন। এগুলো ছাড়াও গানে সুরের প্রাধান্য থাকে; গীতিকবিতায় কথা ও সুরের সমন্বয় থাকে। গানে একাধিক ভাব-কল্পনা সম্ভব নয; গীতি কাব্যে ভাব-কল্পনার বিচিত্রতা ও সুর-সঙ্গতি শুধু সম্ভবপর নয়, সুসাধ্যও বটে।
যে-কবিতায় কবির আত্মনুভূতি বা একান্ত ব্যক্তিগত বাসনা-কামনা ও আনন্দ-বেদনা তার প্রাণের অন্তঃস্থল থেকে আবেগ-কম্পিত সুরে অখণ্ড ভাবমূর্ত্তিতে আত্মপ্রকাশ করে, তাকেই গীতি-কাব্য বা গীতিকবিতা বলে। এতে পরিপূর্ণ মানবজীবনের ইঙ্গিত নাই; এটি একক পুরুষের একান্ত ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনায় পরিপূর্ণ। কবি এখানে আত্ম-বিমুগ্ধ, তাই সমস্তটি কবিতাব্যাপী তার প্রাণ-স্পন্দন অনুভব করা যায়। কবি তার ব্যক্তি-অনুভূতি অথবা বিশিষ্ট মানসিকতা একে স্নিগ্ধ কান্তি দান করে। তার চরিত্রের কমনীয়তা, নমনীয়তা বা দৃঢ়তা এতে প্রতিফলিত হয়। সংক্ষেপে বলা যায়, গীত কবিতা কবির আত্ম-মুকুর বিশেষ। রবীন্দ্রনাথ বলেন,
‘যাহাকে আমরা গীতিকাব্য বলিয়া থাকি অর্থাৎ যাহা একটুখানির মধ্যে একটিমাত্র ভাবের বিকাশ ঐ যেমন বিদ্যাপতি’র –
ভরা বাদর মাহ ভাদরশূন্য মন্দির মোর, –
সে-ও আমাদের মনের বহুদিনের, অব্যক্ত ভাবের একটি কোনো সুযোগ আশ্রয় করিয়া ফুটিয়া ওঠা’।
গীতিকবিতার মধ্যে আমরা আন্তরিকতাপূর্ণ অনুভূতি, অবয়বের স্বল্পতা, সঙ্গীত-মাধুর্য্য ও গতিস্বাচ্ছন্দ্য – এই কয়েকটি জিনিস প্রত্যাশা করি। বলাবাহুল্য যে, গীতিকবিতা গান না হলেও আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে গীতি-কবিতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সুরের প্রাধান্য অব্যাহত রয়েছে।
মহাকবি
একজন গীতিকবি যেমন আত্মসচেতন, মহাকবিও তেমনই আত্মসচেতন। তাদের মধ্যেকার পার্থক্য শ্রেণীগত নয, ভাবগত কারণে। গীতি কবি আপনাকে কেন্দ্র করে নিজের উপলদ্ধ জগৎ সৃষ্টি করেন। মহাকবির ব্যক্তি-পরায়ণতা আরও বিস্তৃত। গীতিকবি অন্ধ, মহাকবি সহস্র-চক্ষু, গীতিকবি আত্মরতিসম্পন্ন, মহাকবি স্বকীয় কল্পনার আলোকে নির্বাচিত বিষয়বস্তু অবলম্বনে সর্বজনীন মানবতাকে নিরীক্ষণ করেন। মিল্টনআর্থারের কাহিনী পরিত্যাগ করে বাইবেল-বর্ণিত আদিম মানবের পতন কাহিনীকেই মহাকাব্যের সামগ্রীরূপে গ্রহণ করেছিলেন। কারণ এটি তার বিপুল ব্যক্তিত্বের রসে রসায়িত হয়ে এমন কাব্য রচনার সাহায্য করবে, যাতে তিনি ঐশ্বরিক বিধানকে মানবভাগ্যের সাথে সংযুক্ত করে দেখাতে পারবেন। মধুসূদনও রামায়ণের যে-কাহিনী গ্রহণ করেছেন, তার ব্যঞ্জনা ব্যক্তি-নির্বিশেষ হলেও তা মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবি-মানসের ও জীবনদর্শনের সহায়ক।
-
কল্পসাহিত্য
এই বিষয়শ্রেণীটির সঠিক অবস্থান হল বিষয়শ্রেণী:কল্পকাহিনি। লক্ষ করুন: এই বিষয়শ্রেণীটি খালি থাকা উচিত। আরো তথ্যের জন্য নির্দেশনা দেখুন। (শোধন) এই বিষয়শ্রেণীতে বর্তমানে কোনও পাতা বা মিডিয়া ফাইল নেই।
লুকানো বিষয়শ্রেণী:
-
ভাষার মৃত্যু
ভাষাবিদদের মতে ভাষার মৃত্যু বলতে বোঝায় যখন কোন ভাষা তার শেষ বক্তাকেও হারায়।[১][২]) তবে ঐ ভাষাটি বক্তার প্রধান ভাষা বা মাতৃভাষা হতে হবে। ভাষার মৃত্যু অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপভাষা এবং ভাষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভাষার মৃত্যু এবং ভাষা হারিয়ে যাওয়ার মাঝে পার্থক্য রয়েছে।[৩]
ভাষার মৃত্যুর প্রকারভেদ
Language shift can be the result of linguicide, in which ethnic group members no longer learn their heritage language as their first language.
ভাষার মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ নিম্নলিখিত যে কোন একটি হতে পারেঃ
- ক্রমশ ভাষার মৃত্যু।
- নিম্ন থেকে উচ্চ ভাষার মৃত্যু: যখন ভাষা পরিবর্তন একটি নিম্ন স্তরের পরিবেশে শুরু হয় যেমন বাড়ি থেকে।
- উচ্চ-থেকে-নিম্ন ভাষা্র মৃত্যু: যখন ভাষা পরিবর্তন উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশে শুরু হয় যেমন রাষ্ট্রের সরকারের থেকে।
- ভিত্তিগত ভাষার মৃত্যু।
- ভাষার মৃত্যু (এছাড়াও আকস্মিক মৃত্যু, ভাষার গণহত্যা, শারীরিক ভাষার মৃত্যু, জৈবিক ভাষার মৃত্যু নামে পরিচিত)।
সবচেয়ে সাধারণ যে প্রক্রিয়ায় ভাষার মৃত্যু ঘটে তা হল যখন কোন এক ভাষার ব্যবহারকারী একটি সম্প্রদায় অন্য কোন ভাষায় দ্বিভাষিক হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দ্বিতীয় ভাষার প্রতি অনুরক্ত হয়ে তারা তাদের মূল ভাষা ব্যবহার করা ছেড়ে দেয়, এই আত্তীকরণ প্রক্রিয়াটি স্বেচ্ছায় হতে পারে অথবা একটি জনসংখ্যার উপর চাপিয়ে দেয়া হতে পারে। কিছু ভাষার জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে আঞ্চলিক বা সংখ্যালঘু ভাষার জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা অর্থনৈতিক বা উপযোগিতার উপর ভিত্তি করে নিজ ভাষা পরিত্যাগ করে, বৃহত্তর উপযোগ বা প্রতিপত্তি সম্পন্ন ভাষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় ভাষার মৃত্যু ধীরে ধীরে হয় এবং নিম্ন থেকে উচ্চ অথবা উচ্চ থেকে নিম্ন হতে পারে।
কোন ক্ষুদ্র, ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন জনসংখ্যার ভাষা তাদের জনগোষ্ঠীর সাথে গণহত্যা, রোগ, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা অপসারিত হলে ভাষার মৃত্যু হতে পারে।
-
বিলুপ্ত ভাষা
বিলুপ্ত ভাষা বা মৃত ভাষা এমন একটি ভাষা, যার আর কোনো বক্তা বেঁচে নেই।[১] বিশেষ করে যদি ভাষাটির কোনোরূপ জীবন্ত সত্তা (ভাষাবংশের সাথে সম্পর্ক) না থাকে । [২] একটি মৃত ভাষা এমন একটি ভাষা যা কোনো সম্প্রদায়ের স্থানীয় ভাষা নয়, এমনকি এটি যদি এখনও ব্যবহার করা হয়, যেমন- লাতিন ভাষা বা সংস্কৃত ভাষা। [৩] বর্তমানে যে ভাষাগুলির স্থানীয় ভাষাভাষী রয়েছে তাদেরকে মৃত ভাষাগুলি থেকে পৃথক করার জন্য “আধুনিক ভাষা” বলা হয়, বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে। অনেক ক্ষেত্রে শুধু বক্তার অভাবে একটি ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যায়। আধুনিক যুগে, ভাষাগুলি সাধারণত সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রক্রিয়ার ফলে বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। উদাহরণসরূপ, ইউরোপীয় দেশগুলিতে লিংগুয়া ফ্রাঙ্কার কারণে স্থানীয় ভাষাসমূহ ক্রমশ পরিত্যাগ করা হচ্ছে। [৪][৫][৬]
২০০০ -এর দশকে বিশ্বব্যাপী মোট প্রায় ৭,০০০ ভাষা বিদ্যমান ছিল। এর মধ্যে সর্বাধিক বিলুপ্তির পথে ক্ষুদ্র ভাষা গুলো; ২০০৪ সালে প্রকাশিত একটি অনুমানে বলা হয়েছিল যে ২০৫০ সালের মধ্যে বর্তমানে কথিত ভাষাগুলির প্রায় ৯০% বিলুপ্ত হয়ে যাবে। [৭]
ভাষার মৃৃত্যু
মূল নিবন্ধ: ভাষার মৃত্যু
বোন ম্যাক্সাইন ওয়াইল্ডকেট বার্নেট (বাম) এবং জোসেফিন ওয়াইল্ডক্যাট বিগলার; ইউচি ভাষার দুই চূড়ান্ত জীবিত বৃদ্ধা, পিকেট চ্যাপেলের পিছনে তাদের দাদীর কবর পরিদর্শনে সাপুলপারওকলাহোমাতে । বোনদের মতে, তাদের দাদী তাদের নিজস্ব ভাষা হিসাবে ইউচিতে জোর দিয়েছিলেন।
সাধারণভাবে একটি কথিত ভাষা থেকে বিলুপ্ত ভাষয় রূপান্তরিত হয় তখনি যখন একটি ভাষা সরাসরি অন্য ভাষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে মৃত ভাষায় পরিনত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ঔপনিবেশিকতার ফলে ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ বা ডাচ দ্বারা অনেক স্থানীয় আমেরিকান ভাষা প্রতিস্থাপিত হয়।
অন্যদিকে একটি বিলুপ্ত ভাষা, যার কোন বক্তা নেই বা কোন লিখিত ব্যবহার নেই, দীর্ঘমেয়াদী কথোপকথন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও একটি ঐতিহাসিক ভাষা সাহিত্যিক বা লিটার্জিক্যাল ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের ভাষাকে কখনও কখনও “মৃত ভাষা” হিসাবে উল্লেখ করা হয়, কিন্তু এগুলো শাস্ত্রীয় ভাষা থেকেও আরও কঠিন। যেমন একটি বিশিষ্ট পশ্চিমা ভাষার উদাহরণ হলো ল্যাটিন, কিন্তু তুলনামূলক ঘটনাও বিশ্ব ঐতিহাসিক পর্যায়েও liturgical ভাষার মতো সর্বজনীন প্রবণতার ভাষা ধরে রাখার প্রবণতা খুজেঁ পাওয়া যায়।
যে সকল ভাষার ক্ষেত্রে বক্তার পাশাপাশি কোনো সাহিত্য খুজেঁ পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে তাকে বিলুপ্ত ভাষা বলা যেতে পারে।
ভাষা পুনরুজ্জীবন
ভাষা পুনরুজ্জীবন হলো নতুন প্রজন্মের স্থানীয় ভাষাভাষীদের দ্বারা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য সম্প্রতি বিলুপ্ত ভাষা পুনরায় চালু করার প্রচেষ্টা। [৮]
সম্প্রতি বিলুপ্ত ভাষা
মূল নিবন্ধ: বিলুপ্তির সময় অনুযায়ী ভাষাসমূহের তালিকা
এটি ২০০০ সালের পর বিলুপ্ত হওয়ার খবর হিসাবে প্রকাশিত ভাষাগুলির একটি তালিকা। সম্পূর্ণ তালিকা দেখার বিলুপ্ত ভাষার তালিকা দেখুন।
তারিখ ভাষা ভাষা পরিবার এলাকা সর্বশেষ বক্তা/নোট ফেব্রুয়ারি ২০১৬ নুচাতাহতের উপভাষা নু- চা – নুল্থ ওয়াকাশান ভাষাসমূহ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা অ্যালবান মাইকেল [৯] ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৪ Klallam
নাক্লালাম, সক্লামমসালিশান ভাষাসমূহ ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: উত্তর-পূর্ব অলিম্পিক উপদ্বীপ, পোর্ট এঞ্জেলেস। হেজেল স্যাম্পসন [১০] জুন ৫, ২০১৩ Livonian
Liv, Livõ কেএলUralic লাতভিয়া : কুলজেম, কলক্রেগাসের পশ্চিম, ১২ টি উপকূলীয় গ্রাম; রিগা এলাকা dispersed। গ্রিজেল্ডা ক্রিশ্দিনা [১১] ২ অক্টোবর, ২০১২ স্কট্স ভাষার Cromarty উপভাষা
কালো আইল উপভাষাজর্মানির উত্তর স্কটল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ববি হগ [১২] অক্টোবর ২৪, ২০১০ Pazeh,
Kulon-Pazehফর্মোশান ভাষাসমূহ তাইওয়ান : পশ্চিম উপকূলে এলাকা, পূর্বে তায়াল, চোলান এলাকা, হলি, ফেংযুয়ান, তান্তজু, তাইচুং, তুংশিহ । প্যান জিন-ইয়ু [১৩] ২০ আগস্ট, ২০১০ কোচিন ইন্দো-পর্তুগীজ ক্রেওল
Vypin ইন্দো-পর্তুগীজপর্তুগিজ- ভিত্তিক ক্রেওল দক্ষিণ ভারত: কয়েক খ্রিস্টান পরিবারের Vypeen দ্বীপ শহর (Vypin দ্বীপ) কোচিনে মধ্যে (কোচি) কেরল । উইলিয়াম রোজারিও [১৩] ২৬ জানুয়ারী, ২০১০ Aka-Bo,
ছি-ছিবৃহত্তর আন্দামানবাসী আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, ভারত: উত্তর আন্দামান দ্বীপের উত্তর কেন্দ্রীয় উপকূলে, উত্তর রিফ দ্বীপ। বোয়া সার [১৪] ২০০৯ Nyawaygi, পম-Nyungan অস্ট্রেলিয়া: উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ড, হার্বার্টন দক্ষিণে হারবার্ট নদী হেডওয়াটারস, কেশমিরে, রাভেনশো, মিলা মিল্লা এবং উডলেঘে, পূর্বে টুলি ফলের কাছে। উইলি সিটন [১৫] নভেম্বর ২০০৯ Bo-Coro
কোরাবৃহত্তর আন্দামানবাসী আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, ভারত: উত্তর আন্দামান দ্বীপের উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর কেন্দ্রীয় উপকূল, স্মিথ আইল্যান্ড। বোরো [১৬] 2009 [১৭] প্যাটাকো হা-হা-হা [শ্রেণীবিভক্ত করা হয়নি] ব্রাজিল : মিনাস গেরিস এবং বাহিয়া রাজ্য, ইটাবুনা পৌরসভার পোস্তো প্যারাগুসু। পর্তুগিজ স্থানান্তরিত। 21 জানুয়ারী, ২008 Eyak,
আমি · আগে · কুইনার-Dene আলাস্কা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: কপার নদীর মুখ। মেরি স্মিথ জোন্স[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] c.2008 (?) Bidyara
বিজজারা, বিথারা, বিজিতরাপম-Nyungan কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া: ট্যাম্বো ও অগাগথ্লা, ওয়ার্রেগো এবং ল্যাংলো নদীগুলির মধ্যে। 1981 সালে ২0 জন স্পিকার পাওয়া গেছে; 2008 দ্বারা কার্যকরভাবে বিলুপ্ত c.2006 (?) এ-Pucikwar বৃহত্তর আন্দামানবাসী আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ, ভারত: স্ট্রেইট আইল্যান্ড। 2006 সালে পাওয়া 10 বা কম স্পিকার; স্ট্রেইট দ্বীপে 53 জন ব্যক্তির মোট জনসংখ্যার 8-10 দ্বারা কথিত কথিত ছিল। 2005 ওসেজ সিউয়ান ওকলাহোমা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লুসিলে রউবেডক্স 2003 Akkala সামি
আহক্কিল, বাবিনো, বাবিন্সUralic কোলা উপদ্বীপ, রাশিয়া: মুরমানসইয়া ওব্লাস্টা, দক্ষিণ-পশ্চিম কোলা উপদ্বীপ। মার্জা সার্জিনা মে 2002 Gaagudju
আব্দীদাল, আবদুলুল, গাগুদ্দুজা, কাকাডু, কাক্কতা, কাকদুজ, কাকডজুয়ানArnhem ভূমি ভাষা উত্তর টেরিটরি, অস্ট্রেলিয়া: ওেনপেলি। বড় বিল Neidjie 2000 Sowa, মালয়-পলিনেশিয়ান পেন্টেকস্ট দ্বীপ, ভানুয়াতু মরিস তাবি c.2000 Laua
Labuট্রান্স-নিউ গিনি পাপুয়া নিউ গিনি : লৌহের উত্তর ও পশ্চিমে কেন্দ্রীয় প্রদেশ। 1987 সালে পাওয়া এক স্পিকার c.2000 Mesmes, সেমিটিক ইথিওপিয়া : ইয়েদেবুব বাইহেরচ বায়হেরেস না হিজবচ রাজ্য, গুরুজ, হাদিয়া, এবং কাম্বতা অঞ্চল। সর্বশেষ স্পিকার সাক্ষাত্কারে ভাষা জরিপ দল, 80 ~ বয়স। তিনি 30 বছর ধরে ভাষা উচ্চারণ করেন নি। আরও দেখুন
উইকিমিডিয়া কমন্সে বিলুপ্ত ভাষা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
-
প্রাচীন আনাতোলিয় তুর্কি ভাষা
প্রাচীন আনাতোলিয়ান তুর্কি[৩] (OAT, তুর্কি: Eski Anadolu Türkçesi, EAT) হলো ১১’শ থেকে ১৫’শ শতক পর্যন্ত বর্তমান তুরস্কের আনাতোলিয়া অঞ্চলে কথিত এক ধরণের তুর্কি ভাষা। পরবর্তীতে প্রাথমিক উসমানীয় তুর্কি ভাষায় ইহা বিবর্তিত হয়। এর লিখন পদ্ধতি ছিল আরবি হরফে। উসমানীয় তুর্কি ভাষার সাথে এর পার্থক্য হল, এ ভাষাতে স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ করা হত।
কারামানের প্রথম মেহমেত ফার্সি ভাষার আধিপত্য এবং জনপ্রিয়তা ভঙ্গের প্রয়াসে ১২৭৭ সালে একটি ফরমান জারী করেন। ইতোপূর্বে এর কোন সরকারি মর্যাদা ছিল না।[৪][৫]
Şimden girü hiç kimesne kapuda ve divanda ve mecalis ve seyranda Türki dilinden gayri dil söylemeye.[৬] আজ থেকে, দিওয়ান, সাধারণ পরিষদ, এবং ভ্রমণের সময় কেউ তুর্কি ছাড়া অন্য কোনো ভাষায় কথা বলতে পারবে না। ইতিহাস
একটি ভুল ধারণা করা হয় যে, প্রাচীন আনাতোলিয়ান তুর্কি সাহিত্যের ভাষা আনাতোলিয়াতেই তৈরি হয় এবং এর লেখকরা ফারসি ধাঁচেই একটি আদিম ভাষাকে সাহিত্যের মাধ্যমে রূপান্তরিত করেছিলেন। প্রকৃত সত্য হলো, এটি আনাতোলিয়ায় আসা ওঘুজ তুর্কিদের নিজস্ব লিখিত ভাষা। এর সাহিত্যিক ঐতিহ্য এবং পদ্ধতিগুলি খাওয়ারেজম এবং মা ওয়ারাউন নাহর সভ্যতা থেকে আমদানি করা হয়।[৭]
উদাহরণ
নিম্নলিখিত পাঠ্যগুলি কাবুসনামার উদ্ধৃতি। এগুলি তুরান ফিকরেতের ১৯৯৬ সালের গবেষণা: “Old Anatolian Turkish: Syntactic Structure” থেকে নেওয়া:[৮]
- bizüm delilümüz : “আমাদের প্রমাণ।”
- devletlü gişiler : “সৌভাগ্যবান।”
- zinhār zinhār : “কখনও না।”
- pīrlikde yigitlenmek rusvāylıqdur : “বৃদ্ধ বয়সে যুবকের মতো আচরণ করা লজ্জাজনক।”
- bulardan artanı beytü’l mālda qoyalar : “তাদের যা অবশিষ্ট ছিল, তা সরকারি কোষাগারে রাখা উচিত।”
- birgün bu ilçiyile oturur iken Qısri Büzürcmihre sorar : “একদিন যখন তিনি এই [বিদেশি] রাষ্ট্রদূতের সাথে বসেছিলেন, চোসরোস বুজুরকমিহরকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।”
- Kelām-ı mecīd : “সবচেয়ে মহিমান্বিত (আল্লাহর) বাণী, কুরআন ।”
- dar’ül-harb: ” ইসলামের আওতার বাইরের দেশ ।”
- Taŋrı aŋa rahamet itmez : “আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবে না।”
- aġırlaŋ aṭaŋuzı anaŋuzı egerçi kāfirse daqı : “পিতা-মাতাকে সম্মান কর যদিও তারা অবিশ্বাসী হয়।”
- Ne qul kim alam āzāz olsun: “আমার ক্রয় করা ক্রীতদাসদের মুক্ত করা উচিত।”
- ve cahil gişileri gişi sanma ve hünersüzleri bilür sayma : “আর জাহিলদেরকে (আসল) পুরুষ মনে করো না, এবং অপ্রতিভাহীনদেরকে জ্ঞানী মনে করো না।”
- zinhār işüŋi ṭanışmaqdan ʿārlanma : “সাবধান, নিজের কাজ শিখতে কখনই লজ্জিত হবে না।”
- sen yalan söyleyesi gişi degülsin : “আপনি এমন কেউ নন যে মিথ্যা বলবে।”
- artuq zaḥmet çeküp artuq ṭamaʿ eyleme : “লোভ মেটানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করবে না।”
- eger sen Taŋriya mutiīʿ olmayup bunlardan muṭīʿlıq isteyüp bunlara zahmet virür iseŋ Taŋrılıq da’vīsin itmiş olursın: “যদি তুমি নিজেই খোদার আনুগত্য না করে থাক, আর এই সব লোকেদেরকে তোমার আনুগত্য করতে বল এবং জুলুম কর, তাহলে তুমি সেই লোকদের কাতারে গণ্য হবে যারা নিজেদেরকে খোদা বলে দাবি করেছিল।”
- yaʿnī bir şaḫsuŋ bir sarayda naṣībi olsa andan ol naṣībi ṣatsa ne qadardur bāyiʿyā müşterī bilmese Ebū Ḥanīfeden üç rivāyetdür: “অন্য ভাষায়, যদি কারও কোনো জমিতে অংশীদারিত্ব থাকে, এবং সে এর খরিদ্দার ও বিক্রেতা ব্যতিত তার বিক্রয়মূল্য জানা ছাড়াই বিক্রি করে, তাহলে এক্ষেত্রে ফয়সালার জন্য আবু হানিফার মতে তিনটি রেওয়ায়েত আছে।”
- benüm dostlarum beni ġāyet sevdüklerinden baŋa ʿaybum dimezler idi ve düşmānlarum benüm ʿaybumı ḫalqa söylerler idi : “আমার বন্ধুরা আমাকে খুব পছন্দ করত, তাই তারা আমার ঘাটতিগুলো লোকেদের বলত না, কিন্তু আমার শত্রুরা আমার ঘাটতিগুলো লোকেদের বলে বেড়িয়েছে।”
- ben eyittim sübḥān Allāh qırq iki yaşında gişi neçün şöyle içekim nerdübāŋ ayaġın nice urasın bilmeye düşe ve dün buçuġında neçün şöyle yörüye kim şunuŋ gibi vāqıʿaya uġraya: “আমি বললাম,’হে আল্লাহ কেন বেয়াল্লিশ বছর বয়সের একজন ব্যক্তি এতটাই শরাব পান করে যে, সে কিভাবে সিঁড়ির সিঁড়িতে পা রাখবে তাও জানে না, ফলে সে পড়ে যায়? আর মাঝরাতে যখন এমন অনুভূতি হয়, তখন কেন সে এভাবে হাঁটে?”
অর্থোগ্রাফি
পুরাতন আনাতোলিয়ান তুর্কি উসমানীয় তুর্কি
(Kamus-ı Türkî বানান)আধুনিক তুর্কি বাংলা گُزلٔر گوزلر Gözler “চক্ষু” دَدَ دده Dede “দাদা” كُچُك كوچك Küçük “ছোট” বর্ণমালা
আরও দেখুন: উসমানীয় তুর্কি বর্ণমালা
বর্ণ আধুনিক তুর্কি বর্ণ আধুনিক তুর্কি ا a, e, i ص s ب b ض d پ p ط t ت t ظ z ث s ع a ج c غ ğ, g چ ç ف f ح h ق k خ h ك k د d ل l ذ d, z م m ر r ن n ز z و o, ö, u, ü, v ژ j ه h س s لا la, le ش ş ى i, y, ı আরো দেখুন