Author: admin

  • দ্য লেক আইল্ অব ইনিস্ফ্রি

    দ্য লেক আইল অব ইনিস্ফ্রি” উইলিয়াম বাটলার কর্তৃক ১৮৮৮ সালে রচিত তিনটি চতূষ্পদী অংশের বারো লাইনের একটি কবিতা, যা ১৮৯০ সালে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল অবসার্ভারে প্রথমবার প্রকাশিত হয়।[১]

    পটভূমি

    ১৮৯০ সালে নেওয়া উইলিয়াম বাটলার ইয়েটসের আলোকচিত্র

    ইনিস্ফ্রি আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি স্লিগোর লাফ গিলে অবস্থিত একটি জনবসতিহীন দ্বীপ, যেখানে বাটলার তার শৈশবে একবার গ্রীষ্ম অতিবাহিত করেন। ১৮৮৮ সালে লন্ডনের ফ্লিট স্ট্রিট দিয়ে হাঁটার সময় “হঠাত্‍” শৈশব থেকে ফিরে আসা স্মৃতিকে বাটলার এই কবিতাটি লেখার অনুপ্রেরণা হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি লেখেন, “কৈশরে স্লিগোর ইনিস্ফ্রিতে থোরিয়ুর অনুকরণে আমার বসবাসের অকাঙ্ক্ষা ছিল, যা লাফ গিলের একটি ছোট দ্বীপ , এবং ঘরকাতুরে চিন্তা নিয়ে ফ্লিট স্ট্রিটে হাঁটার সময় আমি জলের সামান্য ঝিরঝির শব্দ শুনতে পাই এবং একটি দোকানের জানালায় এক ঝর্ণা দেখতে পাই এবং এর ফিনকি মুখে একটি বল রাখা ছিল, আর এতেই আমার হ্রদের পানির কথা মনে পড়তে শুরু করে। এই হঠাত্‍ ফিরে আসা স্মৃতি আমার কবিতা “ইনিস্ফ্রিতে,” প্রতিফলিত হয় যা আমার প্রথম গীতধর্মী কবিতা এবং আমি নিজেই সূর সংযোজন করেছি।”[২] আইরিশ নাগরিকদের পাসপোর্টে কবিতাটি সংযুক্ত রয়েছে।

    সারমর্ম

    বারো লাইনের কবিতাটি তিনটি চতুষ্পদি অংশে বিভক্ত এবং এটি ইয়েটসের পূর্ববর্তী গীতি কবিতাগুলোর উদাহরণ। সম্পূর্ণ কবিতাজুড়ে শহুরে জীবনযাপন করা কবির ইনস্ফ্রিতে শান্তি খোঁজার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়। ইনস্ফ্রির শান্ত ও নীরব পরিবেশের টানে কবি সেখানে ফিরে যেতে চান। তিনি মনে করেন এর মাধ্যমে তিনি শহুরে জীবনের কোলাহল ও অশান্তি থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারেন। এই ছোট্ট দ্বীপে সন্ধ্যার বেগুনী আভা, পাখিদের গুঞ্জন, তাদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ উপভোগ করার মাধ্যমে তিনি প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে চান। তিনি সেখানে একটি কুটির তৈরী করতে পারেন যেখানে তিনি অনেকদিন থাকবেন। কবিতাটি ইয়টসের অন্যতম একটি জনপ্রিয় কবিতা, যা তার জীবদ্দশাতেই তূমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং এক অনুষ্ঠানে কবিতাটি তার সম্মানে দুই হাজার (মতান্তরে দশ হাজার) বয় স্কাউট কর্তৃক আবৃতি অথবা গাওয়া হয়েছিল।[৩] প্রথম চতুষ্পদী অংশে মানুষের জৈবিক চাহিদার (খাবার এবং আশ্রয়) কথা বলা হয়েছে; দ্বিতীয় অংশে আত্মিক চাহিদার (শান্তি) কথা; এবং সর্বশেষ অংশে মানুষের আত্মার সাথে বাস্তব পৃথিবীর মিলনের কথা বলা হয়েছে (ধূসর পটভূমি)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

    দ্য লেক আইল্ অব ইনিস্ফ্রি

    I will arise and go now, and go to Innisfree,
    And a small cabin build there, of clay and wattles made;
    Nine bean rows will I have there, a hive for the honey bee,
    And live alone in the bee-loud glade.

    And I shall have some peace there, for peace comes dropping slow,
    Dropping from the veils of the morning to where the cricket sings;
    There midnight’s all a glimmer, and noon a purple glow,
    And evening full of the linnet’s wings.

    I will arise and go now, for always night and day
    I hear lake water lapping with low sounds by the shore;
    While I stand on the roadway, or on the pavements grey,
    I hear it in the deep heart’s core.

    অর্থ: আমি উঠব জেগে, এক্ষুণি যাব ইনিস্ফ্রিতে,
    আর বানাব ছোট্ট ঘর, মাটি আর বেড়ায়;
    নয়টি শিমের সারি থাকবে, আর একটি মৌচাক,
    আর থাকব মৌ-গুঞ্জরিত বনানীর ফাঁকে।

    আর সেখানে পাব শান্তি, কারণ শান্তি নামে স্তব্ধ নিরবতায় সকালের অবগুন্ঠন থেকে ঝিঁঝির গানে ক্লিষ্ট সন্ধ্যায়;
    যেখানে মাঝরাত দ্যুতি, দুপুর এক নিরক্ত আলো,
    আর সন্ধ্যা পূর্ণ পিঙ্গল শ্যামার পাখায়।

    জেগে উঠব আর যাব, কারণ সারাক্ষণ রাতে আর দিনে আমি শুনি কিনারের নিচু স্বরে সে হ্রদের ঢেউভাঙ্গা ধ্বনি,
    যখন দাঁড়িয়ে থাকি রাজপথে, আর ধূলিধূসরিত পথে,
    আমি শুনি সে শব্দ হৃদয়ের গভীর জগতে।

  • তালগাছ (কবিতা)

    এই নিবন্ধটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কবিতা সম্পর্কে। সম্পর্কিত বৃক্ষ ও ফলের জন্য তাল দেখুন।

    তালগাছ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিখ্যাত বাংলা কবিতা।[১][২] এটি শিশু ভোলানাথ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।[১] রবীন্দ্রনাথ বিশেষত ছোটদের জন্য এটি লিখেন।[৩] এতে ২৪টি ছন্দময় পঙক্তি রয়েছে।[১][২] কবিতাটি মূলত তালগাছের ওপর উপজীব্য করে রচিত।[১][২][৩]

  • চিত্ত যেথা ভয়শূন্য

    চিত্ত যেথা ভয়শূন্য (ইংরেজি: Where the mind is without fear, প্রতিবর্ণী. Chitto Jetha Bhoyshunno) হল ভারতের স্বাধীনতার আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি কবিতা। এটি রবীন্দ্রনাথের একটি নতুন এবং জাগ্রত ভারত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে। মূল কবিতাটি ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয় এবং ১৯১০ সালের গীতাঞ্জলিতে সংগ্রহ করা হয় এবং ১৯২১ সাল রবীন্দ্রনাথের নিজের অনুবাদ ইংরেজি সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থর জনপ্রিয় কবিতার গুলির মধ্যে একটি অন্য তম।

    বাংলা পাঠ্য

       চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির,
        জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর
        আপন প্রাঙ্গণতলে দিবসশর্বরী
        বসুধারে রাখে নাই খণ্ড ক্ষুদ্র করি,
        যেথা বাক্য হৃদয়ের উৎসমুখ হতে
        উচ্ছ্বসিয়া উঠে, যেথা নির্বারিত স্রোতে
        দেশে দেশে দিশে দিশে কর্মধারা ধায়
        অজস্র সহস্রবিধ চরিতার্থতায়,
        যেথা তুচ্ছ আচারের মরুবালুরাশি
        বিচারের স্রোতঃপথ ফেলে নাই গ্রাসি,
        পৌরুষেরে করে নি শতধা, নিত্য যেথা
        তুমি সর্ব কর্ম চিন্তা আনন্দের নেতা,
        নিজ হস্তে নির্দয় আঘাত করি, পিতঃ;
        ভারতেরে সেই স্বর্গে করো জাগরিত॥

    ইতিহাস ও অনুবাদ

    এই কবিতা সম্ভবত ১৯০০ সালে রচনা করা হয়েছিল। কবিতাটি “প্রার্থনা” (জুলাই ১৯০১, বাংলায় ১৩০৮ বঙ্গাব্দে) শিরোনামে নৈবেদ্য শীর্ষকে প্রদর্শিত হয়েছিল। ইংরেজি অনুবাদটি ১৯১১ সালের মধ্যে রচনা করা হয়েছিল, উইলিয়াম রত্তেনস্টাইনের অনুরোধের পর রবীন্দ্রনাথ নিজের কাজের কিছু কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। ১৯১২ সালে লন্ডনের ইন্ডিয়ান সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত ইংরেজি গীতাঞ্জলিতে এটি ৩৫ তম কবিতা হিসেবে আবির্ভূত হয়।[১] ১৯১৭ সালে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে ইংরেজি আনুবাদটি (পরে খেতাবধারী ‘ভারতীয় প্রার্থনা’) পাঠ করেন।[২]

    ইংরেজি গীতাঞ্জলি জন্য ঠাকুরের অনুবাদের বেশিরভাগ ইংরেজি উপস্থাপনার প্রায় প্রতিটি লাইন যথেষ্ট সরলীকৃত হয়েছে। ইংরেজি সংস্করণে ৬ তম লাইন  মানুষের কল্যাণের একটি তথ্য বাদ দেয় (জনসাধারণ, পুরাতন শাষ), এবং মূলের কঠোর পরিসমাপ্তি ঘটে, যেখানে পিতা দ্বারা “নিদ্রা ছাড়াই ঘুমিয়ে থাকা জাতিকে আঘাত করা” হয়েছে।

    এই কবিতা প্রায়ই ভারতের পাঠ্যপুস্তকগুলিতে প্রদর্শিত হয় এবং বাংলাদেশেও জনপ্রিয়। এই গানের একটি সিংহলী অনুবাদ “গে ডিসায়া অয়াধি কারানু মেনা পিয়াননি” নামে, যা মহাগমা সেকারা দ্বারা সিংহলী অনুবাদ করা হয়েছিল।

    জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে

    এই কবিতাটি বাঙালি তথা ভারতীয় উপমহাদেশের সংস্কৃতিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে। এ.আর. রহমান ২০১৩ সালে ‘জগাও মেরে দেশ কো’ নামে একটি ভারতীয় স্বাধীনতা দিবসের গান রচনা করেন এই কবিতাটির উপর ভিত্তি করে যা কাইম মিউজিক কনজার্ভরিটি একটি কাহিনীসহ কবিতা প্রদর্শন করে। এমটিভি কোক স্টুডিও থেকে ২০১৩ সালে গানটি দেখানো হয়েছিল।[৩]

    আমির খান টেলিভিশন অনুষ্ঠান সত্যমেব জয়তের শেষ পর্বে কবিতাটির হিন্দি সংস্করণটি অনুবাদ করেছেন।[৪]

    জন আব্রাহামের সিনেমা মাদ্রাজ ক্যাফে’তে মধ্যে কবিতাটির  ইংরেজি সংস্করণ ঊপস্থিত।

    কবিতাটি ২০১৩ সালে শ্রীজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র মিশরে রহশ্যেও ব্যবহার করা হয়; কাকাবাবু নামক কল্পবিজ্ঞানের চরিত্রটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন।

    এই কবিতা উপর ভিত্তি করে প্রগতিশীল রক ব্যান্ড সিনিস্টার সিম্ফনি তাদের গান ‘ইন টু হে হেভেন’ লিখেছে। ইমোজেন হিপ এবং বৈশাল-শেখার চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উপর ভিত্তি করে “মাইন্ডস ইউথাউট ফেয়ার” রচনা করেন। এটি দ্য ডুয়ার্সস্টের প্রথম মৌসুমের প্রথম পর্বে তুলে ধরা হয়েছে।

    ২০১০ সালে ভারতীয় সংসদের ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই কবিতার লাইন উদ্ধৃত করেছেন।[৫]

    আরও দেখুন

  • চতুর্দশপদী

    চতুর্দশপদী(Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার প্রথম উদ্ভব হয় মধ্যযুগে ইতালিতে। এর বৈশিষ্ট্য হল যে এই কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে সাধারণভাবে মোট ১৪টি করে অক্ষর থাকবে। এর প্রথম আট চরণের স্তবককে অষ্টক এবং পরবর্তী ছয় চরণের স্তবককে ষষ্টক বলে। অষ্টকে মূলত ভাবের প্রবর্তনা এবং ষষ্টকে ভাবের পরিণতি থাকে, যাকে বলা হয় ভোল্টা

    ইংরেজি চতুর্দশপদী

    ইংরেজিতে চতুর্দশপদী কবিতাকে সনেট (sonnet) বলা হয়। ইংরেজি চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল খ্রীষ্টীয় ১৬শ (ষোড়শ) শতাব্দীতে ‘টমাস ওয়াট’ এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে ওঠে স্যার ফিলিপ সিডনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্ত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। এরুপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালবাসা।

    বাংলা চতুর্দশপদী

    বাংলা ভাষায় প্রথম সনেট রচনার কৃতিত্ব মাইকেল মধুসূদন দত্তের, সনেটকে বাংলায় চতুর্দশপদী নাম মহাকবি মাইকেল মধুসূদনই দিয়েছিলেন। বাংলা সনেট (চতুর্দশপদী) এর সার্থক স্রষ্টা কবি মধুসূদন দত্ত ১৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে অবস্থানকালেই ইতালির কবি পেত্রার্কের সনেট থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বাংলা সনেটের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ১৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দে কবির চতুর্দশপদী কবিতাগুলি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই কবিতাগুলিতে কবি চিত্তের ব্যকুলতা, স্বদেশ প্রেম ও আবেগ ধ্বনিত হয়েছে।[১]

    মাইকেল মধুসূধন দত্তের একটি চতুর্দশপদী।

    “বউ কথা কও”[২]
    কি দুখে, হে পাখি, তুমি শাখার উপরে
    বসি, বউ কথা কও, কও এ কাননে ?—
    মানিনী ভামিনী কি হে, ভামের গুমরে,
    পাখা-রূপ ঘোমটায় ঢেকেছে বদনে ?
    তেঁই সাধ তারে তুমি মিনতি-বচনে ?
    তেঁই হে এ কথাগুলি কহিছ কাতরে ?
    বড়ই কৌতুক, পাখি, জনমে এ মনে—
    নর-নারী-রঙ্গ কি হে বিহঙ্গিনী করে ?
    সত্য যদি, তবে শুন, দিতেছি যুকতি;
    (শিখাইব শিখেছি যা ঠেকি এ কু-দায়ে)
    পবন বেগে যাও যথায় যুবতী;
    “ক্ষম, প্রিয়ে” এই বলি পড় গি

  • কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি

    কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী[১]

    রচনার ইতিহাস

    ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সময় মাহবুব উল আলম চট্রগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা-সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগেই তিনি আকস্মিকভাবে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে সেই রাতেই রোগশয্যায় শুয়ে তিনি এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন। রাতেই সেটি মুদ্রিত হয় এবং পরের দিন প্রচারিত হয়। এছাড়া সে দিনই চট্রগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পঠিত হয়েছিল। কবিতাটি চৌধুরী হারুন অর রশিদ চট্টগ্রামের লালদিঘির ময়দানে ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পাঠ করা হয়। [২]

  • করতল কমল কমল দল নয়ন

    করতল কমল কমল দল নয়ন শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কর্তৃক রচিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক কবিতাগুলোর একটি।[১] শঙ্কর দেব তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরুতেই এই কবিতাটি রচনা করে সবাইকে অভিভূত করেন।[২] তিনি মাত্র ১২ বৎসর বয়সে এই কবিতাটি লিখেছিলেন।[৩] শ্রী মাধব কন্দলীর বিদ্যালয়ে, স্বরচিহ্নের শিক্ষা লাভ করারো পূর্বেই তিনি এই কবিতা রচনা করেছিলেন। সেই জন্যে এই কবিতাই স্বরচিহ্নের প্রয়োগ নেই।[৪]

    কবিতা

    করতল কমল কমল দল নয়ন।
    ভব দব দহন গহন-বন শয়ন ॥
    নপর নপর পর সতরত গময়।
    সভয় মভয় ভয় মমহর সততয়॥
    খরতর বর শর হত দশ বদন।
    খগচর নগধর ফনধর শয়ন॥
    জগদঘ মপহর ভব ভয় তরণ।
    পর পদ লয় কর কমলজ নয়ন॥[১]

  • কবি

    কবি সেই ব্যক্তি বা সাহিত্যিক, যিনি কবিত্ব শক্তির অধিকারী এবং কবিতা রচনা করেন। একজন কবি তার রচিত ও সৃষ্ট মৌলিক কবিতাকে লিখিত বা অলিখিত উভয়ভাবেই প্রকাশ করতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট, ঘটনাকে রূপকধর্মী ও নান্দনিকতা সহযোগে কবিতা রচিত হয়। কবিতায় সাধারণত বহুবিধ অর্থ বা ভাবপ্রকাশ ঘটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধারায় বিভাজন ঘটানো হয়। কার্যত যিনি কবিতা লিখেন, তিনিই কবি। তবে বাংলা ভাষার প্রধানতম আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, “সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি”।অর্থাৎ কবিতা লিখলেই বা কবি অভিধা প্রাপ্ত হলেই কেউ “কবি” হয়ে যান না। একজন প্রকৃত কবির লক্ষণ কী তা তিনি তার কবিতার কথা নামীয় প্রবন্থ গ্রন্থে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।

    “যিনি শব্দের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্যমুখর শৈল্পিক প্রয়োগের মাধ্যমে কোন একটি বা একাধিক বিষয়ের অনুপম ভাবধারার শ্রুতিমধুর, সৃজনশীল, ছন্দবদ্ধ কথামালাকে কল্পনা কিংবা বাস্তবতা অথবা উভয়ের সংমিশ্রণে প্রকাশ করেন এবং তা পাঠকের চিত্তকে আকৃষ্ট ও মোহিত করে; তিনিই কবি।”

    প্রেক্ষাপট

    কবিদের উৎপত্তি রহস্য অজ্ঞাত ও অজানাই রয়ে গেছে। সেই অনাদিকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত যুগ-যুগ ধরে তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনাগুলোকে মনের মাধুরী মিশিয়ে সৃষ্টি করে চলেছেন নিত্য-নতুন কবিতা। কবিতাগুলো একত্রিত করে তারা কবিতাসমগ্র বা কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। কখনো কখনো কাব্যগ্রন্থটি বিরাট আকার ধারণ করে সৃষ্টি করেন মহাকাব্য। প্রায় সকল ভাষায়ই কবিতা রচিত হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন ভিন্ন সময়কে উপজীব্য করে রচিত হওয়ায় এগুলোর আবেদন, উপযোগিতা এবং ভাবও সাধারণতঃ ঐ সময়ের জন্য উপযোগী। তবে কতকগুলো কবিতা কালকে জয়ী করেছে বা কালজয়ী ভূমিকা পালন করেছে।[১] প্রত্যেক সমাজ-সভ্যতা ও নির্দিষ্ট ভাষায় রচিত হওয়ায় কবিরা বহুমাত্রিক, বিচিত্র ভঙ্গিমা, সৃষ্টিশৈলী প্রয়োগ করেছেন তাদের কবিতায় যা কালের বিবর্তনে যথেষ্ট পরিবর্তিত, পরিমার্জিত হয়ে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। পরবর্তীকালে এই প্রায়োগিক বিষয়াদিই ঠাঁই করে নিয়েছে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসের পর্দায়। সাহিত্যের ইতিহাসে উৎপাদিত এই বৈচিত্র্যময় শিল্প শৈলীই বর্তমান সাহিত্যকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করেছে।

    উৎপত্তি রহস্য

    বাংলা সাহিত্য

    চর্যাপদ পুথি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া, মীর মশাররফ হোসেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, জীবনানন্দ দাশ, স্বর্ণকুমারী দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ
    বাংলা সাহিত্য
    (বিষয়শ্রেণী তালিকা)
    বাংলা ভাষা
    সাহিত্যের ইতিহাস
    বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
    বাঙালি সাহিত্যিকদের তালিকা
    কালানুক্রমিক তালিকাবর্ণানুক্রমিক তালিকা
    বাঙালি সাহিত্যিক
    লেখকঔপন্যাসিককবি
    সাহিত্যধারা
    প্রাচীন ও মধ্যযুগীয়
    চর্যাপদমঙ্গলকাব্যবৈষ্ণব পদাবলিসাহিত্যনাথসাহিত্যঅনুবাদ সাহিত্যইসলামি সাহিত্যশাক্তপদাবলিবাউল গান
    আধুনিক সাহিত্য
    উপন্যাসকবিতানাটকছোটোগল্পপ্রবন্ধশিশুসাহিত্যকল্পবিজ্ঞান
    প্রতিষ্ঠান ও পুরস্কার
    ভাষা শিক্ষায়ন
    সাহিত্য পুরস্কার
    সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার
    সাহিত্য প্রবেশদ্বার
    বঙ্গ প্রবেশদ্বার
    দে

    কবি শব্দটি ‘কু’ ক্রিয়ামূলের বংশে প্রসূত একটি শব্দ। ‘কু’ অর্থ’ অ-সাধারণ (নবরূপে উত্তীর্ণ) কারী। [২] এতেই বোঝা যায় কবি সেই মানুষ যিনি সাধারণ অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি অথবা প্রচলিত শব্দকে নতুন রূপে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম। ইংরেজী শব্দ ‘পয়েট’ (poet), ল্যাটিন ভাষার প্রথম শব্দরূপ বিশেষ্যবাচক পুংলিঙ্গ ‘পয়েটা, পয়েটে’ (‘poeta, poetae’) (আক্ষরিক অর্থ ‘কবি, কবি এর’) থেকে সংকলিত হয়েছে। ফরাসি কবি আর্থার রিমবোঁদ “কবি” শব্দের লিখিতভাবে সারাংশ প্রদান করেছেন,

    একজন কবি দর্শনীয় মাধ্যম হিসেবে নিজেকে অন্যের চোখে ফুঁটিয়ে তোলেন। তিনি একটি দীর্ঘ, সীমাহীন এবং পদ্ধতিবিহীন, অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সকলের দৃষ্টিগ্রাহ্যতার বাইরে অবতীর্ণ হয়ে কবিতা রচনা করেন। সকল স্তরের ভালবাসা, দুঃখ-বেদনা, উন্মত্ততা-উন্মাদনার মাঝে নিজেকে খুঁজে পান তিনি। তিনি সকল ধরণের বিষবাষ্পকে নিঃশেষ করতে পারেন। সেই সাথে পারেন এগুলোর সারাংশকে কবিতা আকারে সংরক্ষণ করতে। অকথ্য দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রণাকে সাথে নিয়ে তিনি অকুণ্ঠ বিশ্বাসবোধ রচনা করে যখন, যেমন, যেখানে খুশী অগ্রসর হন। একজন অতি মানবীয় শক্তিমত্তার সাহায্যে তিনি সকল মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হন। একজন বড় ধরণের অকর্মণ্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে কুখ্যাত অপরাধী, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিসম্পাতগ্রস্ত ব্যক্তি, এমনকি সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক হিসেবেও তিনি অভিহিত হতে পারেন! যদি তিনি অজানা, অজ্ঞাত থেকে যান কিংবা যদি তিনি বিকৃত, উন্মত্ত, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন – তারপরও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে সেগুলো দেখতে পাবেন। তাই, কি হয়েছে যদি তিনি উৎফুল্লে ভেসে অ-শ্রুত, নামবিহীন অজানা বিষয়াদি ধ্বংস করেনঃ অন্যান্য আদিভৌতিক কর্মীরা তখন ফিরে আসবে এবং তারা পুনরায় সমান্তরালভাবে রচনা শুরু করবে যা পূর্বেই নিপতিত হয়েছিল!

    অবশ্য, এটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক কবিকূলের মধ্যে একজন কবি যিনি তার দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন মাত্র।[৩]

    বুদ্ধদেব বসু তার সম্পাদিত কবিতা পত্রিকার একটি প্রবন্ধ সংখ্যার (১৩৪৫, বৈশাখ) পরিকল্পনা করেছিলেন মূলত: কবিদের গদ্য প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে। এরই সূত্রে জীবনানন্দ তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন যার নাম ‘কবিতার কথা’। এ প্রবন্ধের শুরুতেই আছে “কবি” সম্পর্কে স্বীয় ধ্যান-ধারণার সারকথাঃ

    সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি ; কবি  কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সারবত্তা রয়েছে, এবং তাদের পশ্চাতে অনেক বিগত শতাব্দী ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্যবিকীরণ তাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু সকলকে সাহায্য করতে পারে না ; যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিন্তার সারবত্তা রয়েছে তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হয় ; নানারকম চরাচরের সম্পর্কে এসে তারা কবিতা সৃষ্টি করবার অবসর পায়।

    উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ একবার কবিদের কাজ সম্বন্ধে বিবৃত করেছিলেন যে,

    গানের বিষয়বস্তুকে আনন্দের সাথে তুলে ধরা
    বাইরে নির্গত হয়ে আমার আত্মাকে ঐদিন পরিশোধিত করবে
    যা কখনো ভুলে যাবার মতো বিষয় নয় এবং এখানে লিপিবদ্ধ থাকবে। (দ্য প্রিলুড বুক ওয়ান)

    ম্যারিয়েন মুরে কর্তৃক কবিদের কাজ সম্পর্কে বলেছেন যে,

    তারা প্রকৃতই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। (পয়েট্রি)

    অন্যান্য অনেক কবি যেমনঃ ‘এইনিডে’ ভার্জিল এবং ‘প্যারাডাইজ লস্টে’ জন মিল্টন বর্ণনা করেছেন যে, ‘গ্রীক পুরাণে বর্ণিত কাব্য ও সঙ্গীতাদির দেবীরা তাদের আবেগিক কর্মকাণ্ড প্রয়োগের মাধ্যমে কবিদের কাজে সহায়তা করেন’।

    সংজ্ঞা নির্ধারণ

    কবির বেদনা-বিদ্ধ হৃদয়ই কবিতার জন্ম-ভূমি। অর্থাৎ, সময়-বিশেষে কোন একটি বিশেষ সূত্রকে অবলম্বন করে কবির আনন্দ-বেদনা যখন প্রকাশের পথ পায়, তখনই কবিতার জন্ম। কবি বেদনাকে আস্বাদ্যমান রস-মূর্তি দান করেন। ব্যক্তিগত বেদনার বিষপুষ্প থেকে কবি যখন কল্পনার সাহায্যে আনন্দমধু আস্বাদন করতে পারেন, তখন বেদনা পর্যন্ত রূপান্তরিত ও সুন্দর হয়ে উঠে। বেদনার যিনি ভোক্তা, তাঁকে এটি দ্রষ্টা না হতে পারলে তার দ্বারা কাব্য-সৃষ্টি সম্ভব নয়। কবির বেদনা-অনুভূতির এ রূপান্তর-ক্রিয়া সম্বন্ধে ক্রোচে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন এভাবে –

    Poetic idealisation is not a frivolous embellishment, but a profound penetration in virtue of which we pass from troublous emotion to the serenity of contemplation.

    বাইরের জগতের রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দ বা আপন মনের ভাবনা-বেদনা কল্পনাকে যে-লেখক অনুভূতি-স্নিগ্ধ ছন্দোবদ্ধ তনু-শ্রী দান করতে পারেন, তাকেই আমরা কবি নামে বিশেষিত করি।

    অনেকে বলেন যে, যিনি জগতের একখানি যথাযথ স্বাভাবিক চিত্রপট এঁকে দিতে পারেন, তিনিই যথার্থ কবি। অর্থাৎ, কবি জগতের ভালো-মন্দের যথাযথ চিত্র অঙ্কন করবেন। [৪]

    আরও দেখুন

  • এজ আই ওয়াস গোয়িং বাই চারিং ক্রস

    এজ আই ওয়াস গোয়িং বাই চারিং ক্রস” (কখনও এজ আই ওয়াস গোয়িং টু চারিং ক্রস বলা হয়) হলো একটি ইংরেজি কবিতা যা ছড়া হিসেবে শিশুদের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কবিতাটি ১৮৪০ সালে প্রথম লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু মনে করা হয় যে সপ্তদশ শতাব্দীর বিভিন্ন শ্লোক ও চারণ কবিতাসমূহ এর আদি উৎস হতে পারে। এটি মূলত লন্ডনের চারিং ক্রস-এ অবস্থিত একটি পথের মোড়ে, রাজা ১ম চার্লস-এর অশ্বারোহী মূর্তিকে নির্দেশ করে অথবা হয়তো তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে রাজপক্ষীয় প্রতিবিধানে তার ফাঁসির কারণে শোক গাঁথা প্রকাশ পায়। এটা তার আধুনিক আকারে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়কালে লিপিবদ্ধ করা হয় । এটার রৌড লোকসঙ্গীত অনুক্রম নম্বর ২০৫৬৪ ।

    কবিতার পদাবলী

    আধুনিক সংস্করণ হল:

    As I was going by Charing Cross,
    I saw a black man upon a black horse;
    They told me it was King Charles the First-
    Oh dear, my heart was ready to burst![১]


    রৌড লোকসঙ্গীত সূচী, যা, লোকগীতি ও তাদের বৈচিত্র সংখ্যা দ্বারা বিন্যাস করে , সেখানে এটির ক্রমিক নং ২০৫৬৪[২]

    উৎস

    রাজা ১ম চার্লস এর অশ্বারোহী মূর্তি

    কবিতাটি রাজা ১ম চার্লস এর অশ্বারোহী মূর্তি নির্দেশ করে বলে মনে করা হয়(১৬২৫-৪৯),যা ১৬৬০ সালে পুনরুদ্ধারের পরে ১৬৭৫ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড চারিং ক্রসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ।[১] ব্রোঞ্জ মূর্তিটি মূলত কালো ও দাগযুক্ত, কিন্তু সম্ভবত “কৃষ্ণবর্ণ” এখানে রাজার চুল নির্দেশ করে।[১]

    কবিতাটির শেষচরণটি চার্লস এর শিরোচ্ছেদের সময় জনতার অনুভূতি প্রকাশ করে , অথবা হতে পারে এটি রাজপক্ষীয় প্রতিবিধানে তার ফাঁসির কারণে “পিউরিটান” দলের (যারা ক্যাথলিক গির্জার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন) শোক গাঁথার প্রকাশ। [১] কবিতাটি তৎকালীন জনপ্রিয় করেকটি ছড়ার মিশ্রণ কিংবা জোড় ছন্দ হতে তৈরি হয়েছে। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী একটি শ্লোক:

    I cry my matches at Charing Cross,
    Where sits a black man on a black horse.[১]

    অথবা

    I cry my matches by old Charing-Cross,
    Where sitteth King Charles upon a black horse.[৩]


    অক্সফোর্ডে [৪] সপ্তদশ শতাব্দীর একটি পান্ডুলিপিতে কবিতাটির যেসকল শোক গাঁথার চরণ রয়েছেঃ

    But because I cood not a vine Charlles the furste
    By my toth my hart was readdy to burst[১]


    প্রথম অংশটি বিখ্যাত গান “রাইড এ কক হর্স” এর সাথে মিলিয়ে শিশুতোষ কবিতা হিসেবে ,প্রিটি টেলস এ ১৮০৮ সালে ছাপা হয়েছিলঃ

    Ride a Cock Horse,
    To Charing Cross,
    To see a black man,
    Upon a black horse.[১]


    আধুনিক সংস্করণটি, উক্ত কবিটার সাথে চার্লস ১ এর মৃত্যুদন্ড এর ঘটনা মিল করে তৈরি হয়েছে , যা ১৮৪০ সালে প্রথম সংগৃহীত এবং ছেপেছিল জেমস অর্চাড হেলিওয়েল। [১][৫]

    টীকা

    রাজা ১ম চার্লস ছিলেন ব্রিটেনের রাজসিংহাসন এর উত্তঅধিকারী। তিনিক্যাথলিক গির্জার ঘোর বিরুদ্ধাচরণ করতেন। একচ্ছত্র স্বৈরাচারী ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর এক গৃহ যুদ্ধে হেরে গেলে, অলিভার ক্রমওয়েলের নির্দেশে রাজা ১ম চার্লস কে শিরোচ্ছেদে হত্যা করা হয়।

  • আবৃত্তি

    আবৃত্তি (ইংরেজি: Recitation) সাধারণ ধারণায় শ্রোতার সম্মুখে কোনো কবিতা বা বক্তব্য ইত্যাদি আকর্ষনীয়ভঙ্গিতে উপস্থাপন করার একটি শিল্প।[১][২] মূলত বাংলাদেশ, কলকাতা ও জাপান-এ আবৃত্তির চর্চা হয়ে থাকে।[৩]

    আবৃত্তির সংজ্ঞা

    সাহিত্য পদবাচ্যের (কবিতা এবং গদ্য) সামগ্রিক রূপকে কণ্ঠস্বরে যথাযথ প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রমিত উচ্চারণ অক্ষুণ্ণ রেখে বিষয়ে ধারণকৃত অনুভূতি, আবেগ, ভাব, গতি, বিরাম, ছন্দ ইত্যাদির সমন্বিত ও ব্যঞ্জনার প্রকাশই আবৃত্তি।[৪]

    সর্ব শাসত্রানাং বোধাদপি গরীয়সী। যারা আবৃত্তি করবেন তারা এই কথাটি বেশির ভাগ লেখায় দেখে থাকবেন। আবৃত্তি বিষয়ে গবেষক রামচন্দ্র পাল দাবী করছেন ইদানীং এ কথাটি দিয়ে আবৃত্তিকাররা বোঝাতে চাইছেন যে শাস্ত্রের মধ্যে আবৃত্তি শাস্ত্র প্রধান। ধারনাটি বর্মের মত আবৃত্তিকারকে বাঁচাচ্ছে। এতে আত্মতৃপ্তি রয়েছে তবু এটি অনুসন্ধান যোগ্য। প্রবচন টি বাংলা করলে দাঁড়ায় সকল শাস্ত্রের মধ্যে বোধ অপেক্ষা আবৃত্তি শ্রেষ্ঠতর। এবারে দেখুন অধ্যাপক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলছেন। তিনি বলছেন, সর্ব শাস্ত্রের মধ্যে একটা জিনিস কে বোঝবার আগে আবৃত্তি করা দরকার, আবৃত্তিতে এর রূপ মূর্ত হবে। আবার এই কথাটিকে ব্যাখ্যা করলেন শ্রী গোবিন্দ গোপাল এই ভাবে যে প্রাচীণ কালে বেধ পাঠের ব্যাপার ছিল। অর্থের দিকে ততটা দৃষ্টি দেয়া হতো না। তাদের মত ছিল যথাযথভাবে উচ্চারণ করে আবৃত্তি বা পাঠ করলেই মন্ত্রের ফল পাওয়া যায়।

    পবিত্র কোরআনের সুরা মুযযাম্মিলে রয়েছে- “ও রাত্তিলিল কুরানা তারতিলা” অর্থাৎ তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন পাঠ করো। এখানে তারতিল মানে আবৃত্তি বোঝানো হয়েছে।

    প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে আবৃত্তি শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ ছিল। শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-বারংবার পাঠ। প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি যে বিশটি উপসর্গ বাংলায় পাওয়া যায় “আ” তার একটি। “আ” মানে সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে। সেক্ষেত্রে আবৃত্তির প্রাচীন অর্থটা হয় এরকম- সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে যা পঠিত বা উচ্চারিত। বৈদিক ভাষা যখন রচিত হয়, তখন লেখার কোন পদ্ধতি আমাদের জানা ছিল না। বৈদিক কবিরা রচনা করতেন মুখে মুখে এবং সে রচনা কাগজে লিখে রাখবার মতোই ধরে রাখতেন মুখে মুখে, আবৃত্তির সাহায্যে। বৈদিক সাহিত্য আবৃত্তির মাধ্যমে যুগে যুগে বাহিত হবার আরও একটি কারণ ছিল। এ প্রসঙ্গে সুকুমার সেন বলেন- “সে হল লেখাপড়ার চেয়ে আবৃত্তির উৎকর্ষ। লেখাতে ভাষার সবটুকু ধরা পরে না। না কন্ঠস্বর, না সুরের টান, না ঝোঁক। কিন্তু আবৃত্তিতে এসবই যথাযথ বজায় থাকে।”

    আবৃত্তির উপাদান

    1. বিষয়বস্তু (কবিতা, গল্প, গল্পাংশ, সাহিত্য মান সমৃদ্ধ চিঠি, প্রবন্ধ, নাট্যাংশ, বিখ্যাত কোন ভাষণ ইত্যাদি)
    2. প্রমিত উচ্চারণ
    3. পাঠের গতি
    4. স্বচ্ছতা
    5. শ্বাসাঘাত
    6. স্বর প্রক্ষেপণ
    7. গড় গতি
    8. বিরতি
    9. ভাব, অনুভূতি, আবেগ
    10. অণুরণন
    11. স্বর বৈচিত্র্য
    12. স্বর বর্ণভেদ
    13. আবৃত্তির কবিতা
    14. ধ্বনি
    15. ছন্দ

    আবৃত্তির ধরণ

    1:28

    জুলিয়াস সিজার, বেলাম গ্যালিকাম ১,১, একজন জার্মান দ্বারা আবৃত্তি।

    দুই ধরনের আবৃত্তি প্রচলিত রয়েছে

    • ১ আবৃত্তি অনুষ্ঠান ১.ক)একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান,১.খ) সমন্বিত আবৃত্তি অনুষ্ঠান
    • ২ আবৃত্তি প্রযোজনা

    উল্লেখিত দুটি ধরনের মধ্যে আবৃত্তি প্রযোজনা কে অধিকতর শিল্প সম্ভাবনাময় মনে করা হয়।

    উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনা গুলো হলো – মানুষেরা মানুষের পাশে, ধরিত্রী, সবুজ করুণ ডাঙ্গায় ।

    যেগুলোর মঞ্চায়ন করেছে আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতি এবং গ্রন্থণা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মীর মাসরুর জামান রনি।

    [৫][৬][৭]

    আবৃত্তি পরিবেশনা হয় তিনটি প্রকারে –

    ১. একক পরিবেশনা

    ২. দ্বৈত পরিবেশনা

    ৩. দলীয় পরিবেশনা

    ১৯৮২ সালে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন আবৃত্তি সংগঠন ঐকতান।

    ১৯৮৩ সালে হাসান আরিফ স্বরিত প্রতিষ্ঠা করেন এরপর স্বরশ্রুতি, কন্ঠশীলণ, কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৮] বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০০ এর মতো আবৃত্তি সংগঠন রয়েছে যার অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ

  • প্রবেশদ্বার:কবিতা

    সম্পাদনাকবিতা প্রবেশদ্বারে স্বাগতকবিতা (গ্রিক: “ποίησις,” poiesis, “নির্মাণ” অথবা “তৈরি করা”; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলীর ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়। কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলের পোয়েটিকস্, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্মক বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের ওপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সম্ভবত সাহিত্যের আদিমতম শাখা। কবিতা সম্পর্কে আরও… নিচের নতুন নির্বাচনগুলো দেখুন (পার্জ) সম্পাদনানির্বাচিত নিবন্ধতুর্কি সাহিত্য (তুর্কি: Türk edebiyatı or Türk yazını) তুর্কি ভাষায় মৌখিক রচনায় এবং লিখিত গ্রন্থে, উভয় মাধ্যমে গঠিত। এছাড়াও উসমানীয় বা একচেটিয়াভাবে সাহিত্য রূপে বর্তমান তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের কথ্যভাষার মাধ্যমে। …সংরক্ষাণাগার/মনোনয়ন আরও পড়ুন… সম্পাদনানির্বাচিত চিত্র কৃতিত্ব: লিয়াঙ্গ কাই লি পো কবিতা আবৃত্তি করছেন। কাগজের উপর কালি, লিয়াঙ্গ কাই (১৩তম শতাব্দীর)। …সংরক্ষাণাগার/মনোনয়ন আরও পড়ুন… সম্পাদনানির্বাচিত জীবনীকাজী নজরুল ইসলাম (মে ২৪, ১৮৯৯আগস্ট ২৯, ১৯৭৬),(জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ – ভাদ্র ১২, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ), অগ্রণী বাঙালি কবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার সঙ্গে সঙ্গে প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবিপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতাগান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে –- কাজেই “বিদ্রোহী কবি”, তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে। নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবে কাজও করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মত কবিতা; ধূমকেতুর মত সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্য তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা “নজরুল গীতি” নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়। মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আরও পড়ুন…সংরক্ষাণাগারসম্পাদনানির্বাচিত কবিতাপ্রবেশদ্বার:কবিতা/কবিতা/২” নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই। সম্পাদনানির্বাচিত উক্তি “ A good poem is one in which the form of the verse and the joining of its two parts seem light as a shallow river flowing over its sandy bed. ” — Matsuo Bashō সংরক্ষণ… সম্পাদনাভাষা দৃষ্টিকোনপ্রবেশদ্বার:কবিতা/ভাষা দৃষ্টিকোন/৩” নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই। সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য বিষয়কবিতা বিষয়ে আরো বিস্তারিতর জন্য, দেখুন কবিতা রুপরেখা সংস্কৃতি, জাতীয়তা বা ভাষা অনুযায়ী আমেরিকান, অ্যাংলো-ওয়েলশ, আরবি, অস্ট্রেলীয়, বাংলা, বাইবেলীয়, ব্রিটিশ, কানাডীয়, চীনা, কর্নিশ, ইংরেজি, প্রাচীন ইংরেজি, ফিনীয়, ফরাসি, গ্রিক, হিব্রু, ভারতীয়, আইরিশ, ইতালীয়, জাপানি, জাভানীয়, Jèrriais, কন্নড়, কোরীয়, লাতিন আমেরিকান, লাতিনো, ম্যাঙ্কস, প্রাচীন নর্স, উসমানীয়, পাকিস্তানি, ফার্সি, স্কটিশ, সার্বীয়, স্লোভাক, স্পেনীয়, উর্দু, ওয়েলশ কবিদের তালিকা আলবেনীয়, আফ্রিকান, আরবি, বাঙালা, বেলারুশীয়, বুলগেরীয়, কাতালান, চীনা, ক্রোয়েশীয়, ওলন্দাজ, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, প্রাচীন গ্রিক, আধুনিক গ্রিক, হিব্রু, হিন্দি, ভারতীয়, ইন্দোনেশীয়, আইরিশ, ইতালীয়, জাপানি, কোরীয়, লাতিন, মল্টিয়, ফার্সি, পোলিশ, পর্তুগিজ, পাঞ্জাবি, পশতু, রোমানীয়, রাশিয়ান, স্লোভাকিয়, স্লোভেনীয়, স্পেনীয়, সুয়েডীয়, তুর্কীয়, উর্দু, ওয়েলশ, ইদ্দিশ কবিতা বিদ্যালয় Akhmatova’s Orphans, Alexandrian, বিট, Black Arts Movement, Black Mountain poets, British Poetry Revival, Cairo poets, Cavalier poets, Confessionalists, Cyclic Poets, Dada, Deep image, Della Cruscans, Dolce Stil Novo, Dymock poets, The poets of Elan, Flarf poetry, Fugitives, Garip, Generation of ’98, Generation of ’27, George-Kreis, Georgian poets, Goliard, Graveyard poets, The Group, Harvard Aesthetes, Imagism, Lake Poets, Language poets, Martian poetry, Metaphysical poets, Misty Poets, Modernist poetry, The Movement, Négritude, New Apocalyptics, New Formalism, New York School, Objectivists, Others group, Parnassian poets, La Pléiade, Rhymers’ Club, Rochester Poets, San Francisco Renaissance, Scottish Renaissance, Sicilian School, Sons of Ben, Southern Agrarians, Spasmodic poets, Sung poetry, পরাবাস্তবাদ, Symbolism, Uranian poetry বিষয়শ্রেণী Poetry by nation or language, Ethnopoetics, Modernist poetry in English, Poems, Poetic form, Poetry awards, Poetry collections, Prosody, Spoken word, Years in poetry, Poetry stubs সম্পাদনাবিষয়শ্রেণী

    কবিতা

    কবি পরিভ্রমণ বাক্স

    চলচ্চিত্রে অভিযোজিত কবিতা

    তারিখ অনুযায়ী কবিতা

    কবিতার বই

    বিষয় অনুযায়ী কবিতা

    ভাষা অনুযায়ী কবিতা

    রূপ অনুযায়ী কবিতা

    লেখক অনুযায়ী কবিতা

    লেখকের জাতীয়তা অনুযায়ী কবিতাসম্পাদনাসম্পর্কিত প্রবেশদ্বার বাংলা সাহিত্য ভাষা সাহিত্য কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদনাআপনি যা করতে পারেনঅনুরোধ: Alan Jenkins, Paul Hyland, Penelope Shuttle, Ted Walker, Richard Wilbur Award, Arabic Poetics, আরো…অসম্পূর্ণ: ফিনিশ কবিতা, ইতালীয় কবিতা, Akhmatova’s Orphans, Donald Hall, Roddy Lumsden, আরো…ত্রুটি দূরীকরণ: Eugénio de Andradeবিস্তৃত: Stanley Burnshaw, Yevgeny Rein, The poetry side of Walter Ralegh, Robert Herrick, William Ernest Henleyযোগ করুন কবিতায় বছরের তালিকায় (উপাদান যুক্ত করতে নির্দিষ্ট বছরে ক্লিক এবং সম্পাদনা করুন)।শেকসপিয়রের সনেট নিবন্ধ লিখতে সাহায্য করুন। (পৃষ্ঠার নীচের অংশে অবস্থিত টেমপ্লেটের যে কোনো স্থানে ক্লিক করুন)। সম্পাদনাউইকিপ্রকল্পউইকিপ্রকল্প কবিতা — কবিতার সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প উইকিপ্রকল্প উপন্যাস — উপন্যাসের সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প উইকিপ্রকল্প গান — গানের সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প সম্পাদনাসংযুক্ত উইকিমিডিয়া
    উইকিসংবাদে কবিতা
    উন্মুক্ত সংবাদ উৎস
    উইকিউক্তিতে কবিতা
    উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন
    উইকিসংকলনে কবিতা
    উন্মুক্ত পাঠাগার
    উইকিবইয়ে কবিতা
    উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল
    উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে কবিতা
    উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম
    উইকিমিডিয়া কমন্সে কবিতা
    মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার
    উইকিঅভিধানে কবিতা
    অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ
    উইকিউপাত্তে কবিতা
    উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার
    উইকিভ্রমণে কবিতা
    উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা প্রবেশদ্বার কী? প্রবেশদ্বারসমূহের তালিকা নির্বাচিত প্রবেশদ্বার

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: