Author: admin

  • বাচ্য

    শাস্ত্রে, বাচ্য বলতে সাধারণত বাক্যের প্রকাশভঙ্গি[১] বা বাচনভঙ্গির রূপভেদ অর্থাৎ রূপের পরিবর্তন বোঝায়।[২] বাচ্য ভাষার একটি বিশিষ্ট প্রকাশভঙ্গি বা রীতি। এক্ষেত্রে কর্তা বা কর্ম ক্রিয়াপদ সম্পর্কে কীভাবে কথিত বা কথিত হবে, তাই হচ্ছে বাচ্য।[৩][৪]

    নিচের উদাহরণদ্বয় বাংলা ভাষার বাচ্যের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করে,[২]

    • পুলিশ চোরটিকে ধরেছে।
    • পুলিশের দ্বারা চোরটি ধরা হয়েছে।

    দুইটি বাক্যে বক্তব্য এক কিন্তু প্রকাশভঙ্গি আলাদা। প্রথম বাক্যে ধরেছে কর্তাবাচ্য প্রকাশ করে, যেখানে দ্বিতীয় বাক্যে দ্বারা…ধরা হয়েছে কর্মবাচ্য প্রকাশ করে। উভয় ক্ষেত্রে পুলিশ হচ্ছে কর্তা এবং চোর হচ্ছে কর্ম

    ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞা

    ‘বাচ্য’ শব্দের অর্থ- “বক্তব্য বলার যোগ্য কোনো কথা”।[৩] ব্যক্তিভেদে বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে, তাকে বাচ্য বলে।[২] বাংলা ভাষার ব্যাকরণ গ্রন্থের প্রণেতা জ্যোতিভূষণ চাকী বাচ্যের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন,

    “বাক্যে ব্যবহৃত ক্রিয়াপদ কর্তা বা কর্ম কাকে অবলম্বন করে প্রযুক্ত হয়েছে এবং বাক্যে উভয়ের মধ্যে কার প্রাধান্য বেশি সূচিত হচ্ছে, অথবা, ক্রিয়া নিজেই প্রধান হয়ে উঠেছে কি-না, তা ক্রিয়ার যে শক্তি বা রূপভেদ থেকে বোঝা যায়, তাকেই ‘বাচ্য’ (Voice) বলে।”[৩]

    অর্থাৎ এই সংজ্ঞামতে বাচ্য হলো ক্রিয়াপদ যে রূপভেদে বাক্যের মধ্যে কখনো কর্তা, কখনো কর্ম, আবার কখনো ক্রিয়াই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়।

    ইতিহাস

    প্রাচীন গ্রিক ব্যাকরণে, বাচ্যকে দিয়াথেসিস (গ্রিক: διάθεσις, অর্থ “ব্যবস্থা” বা “অবস্থা”) নামে ডাকা হতো। প্রাচীন গ্রিক ব্যাকরণে বাচ্যের তিনটি উপশ্রেণি ছিলো:

    • এনেরগেইয়া (ἐνέργεια, কর্তাবাচ্য)
    • পাথোস (πάθος, কর্মবাচ্য)
    • মেসোতেস (μεσότης, মধ্যম বাচ্য)[৫][ক]

    লাতিন ভাষায় দুটি বাচ্য স্বীকৃত ছিলো:

    • আক্তিভিউম (লাতিন: activum, কর্তাবাচ্য)
    • পাসিভিউম (লাতিন: passivum, কর্মবাচ্য)

    শ্রেণিবিভাগ

    প্রকাশভঙ্গির ভিন্নতা অনুযায়ী বাচ্য ৩ প্রকার:[১][৬]
    ১. কর্তাবাচ্য[খ] বা কর্তৃবাচ্য
    ২. কর্মবাচ্য
    ৩. ভাববাচ্য

    কিছু কিছু ব্যাকরণবিদের মতে[কার মতে?] কর্ম-কর্তাবাচ্য (নিচে দেখুন) নামে আরেক প্রকার বাচ্য রয়েছে,[৬] তবে তা আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে গৃহীত নয়।

    কর্তাবাচ্য

    কর্তাবাচ্য সর্বাধিক ব্যবহৃত বাচ্য। কথা বলার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কর্তাবাচ্য ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের বাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্তাকে অনুসরণ করে, তাই এর নাম কর্তাবাচ্য।[১] উদাহরণ: আমি ভাত খাই।

    এই বাক্যে খাই ক্রিয়াপদ আমি-কে (কর্তা) অনুসরণ করে।

    কর্মবাচ্য

    কর্মবাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মকে অনুসরণ করে, তাকে কর্মবাচ্য বলে।[১] অর্থাৎ, ক্রিয়াপদ একটি কাজের (কর্ম) মধ্য দিয়ে যায় বা তার অবস্থা পরিবর্তিত হয়। তাই কর্মপদই এই বাচ্যে প্রধান। উদাহরণ: আমার দ্বারা ভাত খাওয়া হয়।

    এই বাক্যে ক্রিয়াপদ খাওয়া হয় কর্মপদ ভাতকে অনুসরণ করে।

    কর্মপদে দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক, মাধ্যমে ইত্যাদি অনুসর্গের মাধ্যমে কর্তা ও কর্ম সংযুক্ত এবং ক্রিয়াপদের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে।[গ]

    ভাববাচ্য

    ভাববাচ্য বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একটি “মধ্যম বাচ্য”, অর্থাৎ বাচ্য গঠনের সাধারণ নিয়মের (কর্তা-ক্রিয়া নীতি) সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এবং কর্মবাচ্য ও কর্তাবাচ্য থেকে কিছুটা ভিন্ন। ভাববাচ্যে ক্রিয়া-বিশেষ্য বাক্যের ক্রিয়াপদকে নিয়ন্ত্রণ করে।[১] ভাববাচ্যে কর্ম অনুপস্থিত। উদাহরণ: আমার খাওয়া হয়েছে।

    এই বাক্যে ত্রিয়াপদ খাওয়া বাক্যের কর্তাকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

    কর্ম-কর্তাবাচ্য

    কর্ম-কর্তাবাচ্যে (অন্যান্য নাম: অর্ধ-কর্মবাচ্য, মধ্যম-কর্মবাচ্য) কর্মপদ কর্তাপদের মতোই প্রতীয়মান হয়, বাক্যে কর্মপদ কর্তারূপে ব্যবহৃত হয়।[৩] এটিও এক প্রকার মধ্যম বাচ্য। কর্ম-কর্তাবাচ্য বাংলা ব্যাকরণে একটি অপ্রচলিত বাচ্য, কারণ এই বাচ্যে ক্রিয়াপদ কর্মকে অনুসরণ করে এবং একই নিয়ম কর্মবাচ্যের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে কর্তা-কর্মবাচ্যকে কর্মবাচ্যের অংশ হিসেবে ধরা হয়। কর্ম-কর্তাবাচ্যের উদাহরণ: ভাত খাওয়া হয়েছে।

    এখানে খাওয়া হয়েছে ক্রিয়াপদ ভাত কর্মপদকে অনুসরণ করে বাক্য গঠন করেছে।

    বাচ্যান্তর

    বাক্যের অর্থ ঠিক রেখে বাকভঙ্গির পরিবর্তন সাধন করার মাধ্যমে এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যের বাক্যে পরিবর্তন করার নামই হচ্ছে- বাচ্য-পরিবর্তন বা বাচ্যান্তর।[৩]

    উদ্ধৃতি

    টীকা

    আলবেনীয়, বাংলা, ফুলা, তামিল, সংস্কৃত, আইসল্যান্ডীয়, সুইডীয়, প্রাচীন গ্রীকের মতো কিছু ভাষায় একটি মধ্যম বাচ্য রয়েছে, যেটি বেশকিছু তৈরিকৃত বা সাধারণ নিয়মের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন বাচ্যের সমষ্টি এবং কর্মবাচ্য ও কর্তাবাচ্য থেকে কিছুটা ভিন্ন। যেমন- বাংলা ভাষায় ভাববাচ্য। আধুনিক ব্যাকরণিক নাম।[১]দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক তৃতীয়া বিভক্তি

  • বাক্য

    এক বা একাধিক বিভক্তিযুক্ত পদের দ্বারা যখন বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়, তখন তাকে বাক্য বলে[১][২] অথবা যে সুবিন্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার মনোভাব সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হয়, তাকে বাক্য বলে। যেমন: মারিয়া আরমানকে ভালোবাসে। তারা একে অপরকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করে।

    কতগুলো পদের সমষ্টিতে বাক্য গঠিত হলেও যে কোনো পদসমষ্টিই বাক্য নয়। বাক্যের বিভিন্ন পদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বা অন্বয় থাকা আবশ্যক। এ ছাড়াও বাক্যের অন্তর্গত বিভিন্ন পদ দ্বারা মিলিতভাবে একটি অখণ্ডভাব পূর্ণ রুপে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন, তবেই তা বাক্য হবে। বাক্য হল যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি সম্পন্ন পদসমষ্টি, যা বক্তার মনের ভাব সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করে।

    বাক্যের গুণ

    ভাষার বিচারে বাক্যের এ গুণ তিনটি গুণ থাকা চাই। যথা:

    1. আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্যপদ শোনার যে ইচ্ছা তাই আকাঙ্ক্ষা। যেমন: চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে– এইটুকু মনের ভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করে না, আরও কিছু জানার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু যদি বলা যায় চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে, তবে বাক্যটি সম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ কোনো বাক্য শ্রবণ করে যদি বাক্যের উদ্দেশ্য বোঝা যায়,তাহলে বুঝতে হবে যে বাক্যটির আকাঙ্ক্ষা গুণটি সম্পূর্ণ।
    2. আসত্তি: বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমন: কাল বিতরণী হবে উৎসব আমাদের পুরস্কার স্কুলে অনুষ্ঠিত। বাক্যটি ত্রুটিপূর্ণ। কিন্তু, কাল আমাদের স্কুলে পুরস্কার বিতরণী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে, বাক্যটি আসত্তিসম্পন্ন।অর্থাৎ বাক্যের পদগুলো যদি এরুপ সজ্জিত থাকে যে বাক্যের সম্পূর্ণ অর্থ স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ,তবে তার আসত্তি গুণটি সম্পূর্ণ।
    3. যোগ্যতা: বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত ও ভাবগত মেলবন্ধনের নাম যোগ্যতা। যেমন: বর্ষার বৃষ্টিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয় বাক্যটি যোগ্যতা সম্পন্ন, কিন্তু বর্ষার রোদে প্লাবনের সৃষ্টি হয় বললে বাক্যটি তার যোগ্যতা হারাবে।[৩] কারণ, রোদের কারণে কখনো প্লাবণ সঙ্গঠিত হয় না।অর্থাৎ, বাক্যের অর্থ যেন সত্য ও যুক্তিযুক্ত হয়।তাহলেই বাক্যের যোগ্যতা থাকবে।

    শব্দের যোগ্যতার সঙ্গে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জড়িত থাকে:

    • রীতিসিদ্ধ অর্থবাচকতা: প্রকৃতি-প্রত্যয়জাত অর্থে শব্দ সর্বদা ব্যবহৃত হয়।যোগ্যতার দিক থেকে রীতিসিদ্ধ অর্থের প্রতি লক্ষ রেখে কতগুলো শব্দ ব্যবহর করতে হয়।যেমন-
    শব্দরীতিসিদ্ধপ্রকৃতি +প্রত্যয়প্রকৃতি + প্রত্যয়জাত অর্থ
    ১. বাধিতঅনুগৃহিত বা কৃতজ্ঞবাধ + ইতবাধাপ্রাপ্ত
    ২.তৈলতিল জাতীয় বিশেষ কোনো শস্যের রসতিল +ষ্ঞতিলজাত স্নেহ পদার্থ
    • দুর্বোধ্যতা : অপ্রচলিত, দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করলে বাক্যের যোগ্যতা বিনষ্ট হয়।যেমন- তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছ।(চাতুরি বা মায়া অর্থে ,কিন্তু বাংলা প্রপঞ্চ শব্দটি অপ্রচলিত)
    • উপমার ভুল প্রয়োগ: ঠিকভাবে উপমা ব্যবহার না করলে যোগ্যতা হানি ঘটে।যেমন-

    আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো। বীজ ক্ষেতে উপ্ত করা হয়, মন্দিরে নয়।কাজেই বাক্যটি হওয়া উচিত:আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হইল। অথবা, আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠল।

    • বাহুল্য দোষ: প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে বাহুল্য দোষ ঘটে এবং এর ফলে বাক্য তার যোগ্যতা গুণ হারিয়ে থাকে।যেমন- দেশের সব আলেমগণ রাই এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন।’আলেমগণ’ বহুবচনবাচক শব্দ।এর সঙ্গে ‘সব’ শব্দটি বাহুল্য দোষ করেছে।
    • বাগধারার শব্দ পরিবর্তন:বাগধারা ভাষাবিশেষের ঐতিহ্য। এর যথেচ্ছ পরিবর্তন করলে শব্দ তার যোগ্যতা হারায়।যেমন- ‘অরণ্যে রোদন’(অর্থ: নিষ্ফল আবেদন)-এর পরিবর্তে যদি বলা হয়,’বনে ক্রন্দন’ তবে বাগধারাটি তার যোগ্যতা হারাবে।
    • গুরুচণ্ডালি দোষ: তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগ কখনো কখনো গুরুচণ্ডালি দোষ সৃষ্টি করে।এ দোষে দুষ্ট শব্দ তার যোগ্যতা হারায়।’গরুর গাড়ি’, ‘শবদাহ’, ‘মড়াপোড়া’ প্রভৃতি স্খলে যথাক্রমে ‘গরুর শকট’, ‘শবপোড়া’, ’মড়াদাহ’ প্রভৃতির ব্যবহার গুরুচণ্ডালি দোষ সৃষ্টি করে

    যদি কোনো বাক্যে এ তিনটি গুণের একটি অনুপস্থিত থাকে,তবে তাকে বাক্য বলে গণ্য করা হবে না।

    অথগত বাক্যের অংশ

    প্রতিটি বাক্যে ২টি অংশ থাকে: উদ্দেশ্য ও বিধেয়।

    • উদ্দেশ্য: বাক্যের যে অংশে কাউকে উদ্দেশ করে কিছু বলা হয় তাকে উদ্দেশ্য বলে।যেমন: আব্দুরহিম স্কুলে যায়। এখানে আব্দুর রহিম উদ্দেশ্য।
    • বিধেয়: উদ্দেশ্য সম্পর্কে যা বলা হয় তাই বিধেয়।আর স্কুলে যায় বিধেয়।

    বাক্যের প্রকারভেদ

    অর্থ অনুসারে

    অর্থ অনুযায়ী বাক্য দুই প্রকার। যথা: ১. ইতিবাচক ২. নেতিবাচক

    ইতিবাচক: যে বাক্য দ্বারা হ্যাঁ বোধক অর্থ প্রকাশ করা হয়,তাকে হ্যাঁ বাচক বা ইতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আমি লেখালেখি করি। সে স্কুলে যায়। আমি সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি।

    নেতিবাচক: যে বাক্য দ্বারা না বোধক অর্থ প্রকাশ পায় তাকে নেতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: আমি লেখালেখি করি না। সে স্কুলে যায় না। আমি সকালে ঘুম থেকে দেরিতে উঠি না।

    গঠন অনুসারে

    গঠন অনুসারে বাক্য তিন প্রকার। যথা:

    1. সরল বাক্য(কর্তা+কর্ম+ক্রিয়া)
    2. জটিল বাক্য (….+অব্যয়+….)
    3. যৌগিক বাক্য (সাপেক্ষ সর্বনাম+বাক্য+সাপেক্ষ সর্বনাম+বাক্য)

    ক। সরল বাক্যঃ যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন- ছেলেরা ফুটবল খেলছে।

    খ। জটিল বাক্যঃ যে বাক্যে একটি প্রধান বাক্যাংশ এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বাক্যাংশ থাকে, তাকে মিশ্র বা জটিল বাক্য বলে। যেমন- যে মানুষের সেবা করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ।

    গ। যৌগিক বাক্যঃ পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা দুয়ের অধিক বাক্য যখন কোনো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য তৈরি করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- সে দরিদ্র, কিন্তু সুখী।

    একটি সার্থক বাক্যের কয়টি গুণ থাকে ব্যাখ্যা করুন।

    সরল, জটিল ও যৌগিক – বাক্যের এই তিন গঠনগত বিভাগের পারস্পরিক পরিবর্তনকে বলে বাক্য পরিবর্তন।

    একটি সার্থক বাক্য হতে হলে কতগুলো গুণ থাকা আবশ্যক। এই দৃষ্টিকোণ থেকে সার্থক বাক্যের তিনটি গুণ লক্ষ্য করা যায় –

    বর্ণনা অনুসারে

    বর্ণনা অনুসারে বাক্য পাঁচ প্রকার।

    1. নির্দেশক বাক্য
    2. প্রশ্নবোধক বাক্য
    3. অনুজ্ঞাসূচক বাক্য
    4. বিস্ময়সূচক বাক্য
    5. ইচ্ছাসূচক বাক্য

    ১) যে বাক্য বিষয় সম্পর্কে বিবৃতি বা বর্ণনা দেওয়া হয় তাকে নির্দেশক বাক্য বলে। যেমন : রাম ভালো ছেলে। বসন্তে কোকিল ডাকে।

  • পরিবর্তনশীল নিয়ম বিশ্লেষণ

    পরিবর্তনশীল নিয়ম বিশ্লেষণ (ইংরেজি: Variable rules analysis) বলতে সমাজভাষাবিজ্ঞানঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান শাখায় ব্যবহৃত কতগুলি পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতির একটি সেট বোঝায়, যেগুলির সাহায্যে ব্যবহৃত ভাষার বিভিন্ন রূপের মধ্যে পার্থক্যের বিন্যাস (patterns of variation) বর্ণনা করা হয়। এই বিশ্লেষণকে অনেকসময় ভার্বরুল বিশ্লেষণ (Varbrul analysis)-ও বলা হয়, কেননা প্রধানত ভার্বরুল নামের একটি সফটওয়্যার দিয়েই এই পরিসংখ্যানিক গণনার কাজটি সম্পন্ন করা হয়। Varbrul কথাটি “variable rule” থেকে এসেছে।

    সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম লাবভ ১৯৬০-এর দশকে শেষে ও ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে এই পদ্ধতির তাত্ত্বিক দিকটি নিয়ে লেখেন। ১৯৭৪ সালে হেনরিয়েটা সিডারগ্রেন এবং ডেভিড সানকফ ধারণাটি গাণিতিকভাবে বাস্তবায়ন করেন। [১]

    যে ধরনের পরিস্থিতিতে বক্তারা একই অর্থবিশিষ্ট শব্দ বা বাক্যাংশ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উচ্চারণ করে থাকেন (তথা মুক্ত বৈচিত্র্য প্রদর্শন করেন), যেখানে তাদের বাচনিক ভিন্নতা (variation) বিভিন্ন প্রাতিবেশিক ফ্যাক্টর বা সামাজিক বৈশিষ্ট্যাবলীর উপর নির্ভর করে, সেই সমস্ত পরিস্থিতির একটি পরিমাণবাচক মডেল প্রদানের লক্ষ্যে “পরিবর্তনশীল নিয়ম বিশ্লেষণ” পদ্ধতিটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভিন্নতা (variation) পুরোপুরি দৈব নয়, বরং নিয়ম-শাসিত, এবং একে “কাঠামোগত ভিন্নতা” (structured variation) বলা হয়। পরিবর্তনশীল নিয়ম বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণলব্ধ টোকেন সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এমনভাবে একটি বহুচলকীয় পরিসংখ্যানিক মডেল গণনা করা হয়, যাতে প্রতিটি নিয়ন্ত্রক ফ্যাক্টরের সাথে একটি সাংখ্যিক ভার (numerical factor weight) সংযুক্ত করা সম্ভব এবং এভাবে প্রতিটি ভাষিক রূপের সম্ভাবনা কীভাবে একেকটি ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয়, তার বর্ণনা করা সম্ভব হয়। একটি সর্বোচ্চ সম্ভাবনা অ্যালগোরিদমের (maximum likelihood algorithm) সাহায্যে ধাপভিত্তিক লজিস্টিক নির্ভরণের (stepwise logistic regression) সাহায্যে এই ভার সংযুক্তকরণের কাজটি সম্পাদন করা হয়।

    যদিও পরিবর্তনশীল নিয়ম বিশ্লেষণের জন্য প্রয়োজনীয় গণনার কাজগুলি সাধারণ পরিসংখ্যানিক কাজে ব্যবহৃত যেকোন প্রচলিত সফটওয়্যার যেমন এসপিএসএস দিয়েই করে নেয়া যায়, তা সত্ত্বেও এটি ভাষাবিজ্ঞানীদের চাহিদার জন্য বিশেষভাবে নির্মিত একটি সফটওয়্যার দিয়েই সম্পন্ন করা হয়। এই সফটওয়্যারটির নাম ভার্বরুল (Varbrul)। ডেভিড সানকফ এর আদি সংস্করণটি রচনা করেছিলেন। বর্তমানে এটি ম্যাক ওএসমাইক্রোসফট উইন্ডোজ সিস্টেমের জন্য বিনামূল্যের সফটওয়্যার হিসেবে গোল্ডভার্ব (Goldvarb) নামে ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। [২]

    পরিবর্তনশীল নিয়ম দৃষ্টিভঙ্গি প্রায়ই সমাজবৈজ্ঞানিক গবেষণায় ভাষাংশ বা কর্পাস উপাত্তের বিশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়। সময়ের সাথে সাথে ভাষার পরিবর্তন একটি বাক-সম্প্রদায়ের কাঠামোগত ভিন্নতার বিন্যাসে কীভাবে রূপায়িত হয়, এ সংক্রান্ত গবেষণাতে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে প্রয়োগ করা হয়। [৩]

  • পরম গাঠনিক উপাদান

    ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় পরম গাঠনিক উপাদান (ইংরেজি: Absolute Construction) বলতে বাক্যের তেমন একটি গাঠনিক উপাদানকে বোঝায়, যা বাক্যের বাকী অংশ থেকে পৃথক বা বিচ্ছিন্ন।

    ইংরেজি ভাষাতে বিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণগুলিকে এভাবে ব্যবহার করা যায়। যেমন – Nevertheless, the inevitable happened. বাক্যটিতে nevertheless ক্রিয়াবিশেষণটিকে একটি পরম গাঠনিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে Hungry, she let out a scream. বাক্যটিতে Hungry বিশেষণটি একটি পরম গাঠনিক উপাদান।

    আরও দেখুন

  • পদাশ্রিত নির্দেশক

    পদাশ্রিত নির্দেশক,[১] সংক্ষেপে নির্দেশক,[২] বলতে বাক্যে ব্যবহৃত সেসব শব্দাংশকে বোঝায় যেগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ পদের পরে বা “আশ্রয়ে” সংযুক্ত হয়ে উক্ত পদের নির্দিষ্টতা বা অনির্দিষ্টতা বোঝায়।[৩] এগুলো মূলত অব্যয় পদ, তাই এদের পদাশ্রিত অব্যয়ও বলে।[১][৪] বাংলাঅসমীয়া ভাষায় নির্দেশকগুলো প্রত্যয় হিসেবে পদের পরে বসে, তাই উক্ত ভাষাগুলোর ক্ষেত্রে পদাশ্রিত নির্দেশককে নির্দেশক প্রত্যয়[৫] বলা যায়। পদাশ্রিত নির্দেশক ব্যাকরণিক বর্গ গঠনে ভূমিকা রাখে।

    বাংলা ভাষায় সাধারণত ব্যবহৃত নির্দেশকগুলো হলো – -টা, -টি, -টে -টু, -টুক, -টুকু, -টুকুন, -গুলা, -গুলি, -গুলো, -খান, -খানা, -খানি, -গাছ, -গাছা, -গাছি, -জন, -এক[১][৫][৪] বাংলা ব্যাকরণে নির্দেশকসমূহ লগ্নক শ্রেণিভুক্ত।[২] “পদাশ্রিত নির্দেশক হচ্ছে খাঁটি বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদ।”[৫]

    ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞা

    পদাশ্রিত শব্দটির অর্থ “পদে আশ্রিত” আর নির্দেশক অর্থ “নির্দেশনাকারী”। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন,

    “কোনো বিশেষ্য দ্বারা দ্যোতিত পদার্থের রূপ, প্রকৃতি অথবা তৎসম্বন্ধে বক্তার মনের ভাব প্রকাশ করার একটা বিশেষ উপায় বাঙ্গালা ভাষায় আছে। টা, টি, টুকু, টুক, খানা, খানী (খানি) জল প্রভৃতি কতগুলো শব্দ বা শব্দাংশ আছে যেগুলি বিশেষ্যের সহিত (অথবা বিশেষ্যের পূর্বে ব্যবহৃত সংখ্যাবাচক বিশেষণের সহিত) সংযুক্ত হইয়া যায়। পদার্থ বা বস্তুর গুণ বা প্রকৃতি নির্দেশ করে। এই রূপ শব্দ বা শব্দাংশকে পদাশ্রিত বলা যাইতে পারে।”[৬]

    বাংলার পদাশ্রিত নির্দেশক ইংরেজি definite article (‘the’) এর “সমতুল্য”।[৩]

    প্রকারভেদ

    নির্দিষ্টতাবাচক

    নির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশক বিশেষ্য, সর্বনাম বা বিশেষণ পদ বা বর্গের পরে বসে পদ বা বর্গটিকে নির্দিষ্টতা প্রদান করে। বাংলা এ ধরনের নির্দেশকের মধ্যে রয়েছে – -টা, -টি, -টো, -টে, -টু, -টুক, -টুকু, -টুকুন, -গুলা, -গুলি, -গুলো, -খান, -খানা, -খানি, -গাছ, -গাছা, -গাছি, -জন

    • একটি বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণ পদ বা বর্গকে নির্দিষ্ট করে বোঝাতে -টা, -টি, -খানা-খানি নির্দেশক বসে, রূপান্তর: -টো-টে এবং -খান। উদাহরণ: বইটা, বইখানি, দিনটি, একটি, একখানা, একখান, দুটো, তিনটে। স্বল্পতা বোঝাতে অগণনযোগ্য নামপদের পর -টুক বসে, রূপান্তর: -টু, -টুকু। উদাহরণ: একটু, এইটুক, ভাতটুকু
    • একের বেশি বিশেষ্য, সর্বনাম ও বিশেষণ পদ বা বর্গকে নির্দিষ্ট করে বোঝাতে -গুলা, -গুলি নির্দেশক বসে। এর রূপান্তর: -গুলো। যেমন: বইগুলা, এগুলো, সেগুলি। আধিক্য বোঝাতে বিশেষত “লম্বা বা সরু” নির্দেশ করে এমন অগণনযোগ্য নামপদের পর -গাছ বসে, রূপান্তর: -গাছা, -গাছি। উদাহরণ: একগাছ, চুলগাছা
    • এক বা একের বেশি মানুষ বোঝাতে বিশেষ্য, সর্বনাম বা বিশেষণ পদ বা বর্গের পর -জন নির্দেশক ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: লোকজন, সেইজন, অনেকজন, কয়জন

    অনির্দিষ্টতাবাচক

    অনির্দেশক প্রত্যয় এমনই একটি নির্দেশক প্রত্যয় যেটি অনির্দিষ্টতাবাচক বিশেষ্য, সর্বনাম বা বিশেষণ পদ বা বর্গের পরে বসে। এই প্রত্যয় দিয়ে সাধারণত সংখ্যা বা পরিমাণের অনির্দিষ্টতা বোঝায়। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত একমাত্র অনির্দেশক প্রত্যয় হলো -এক[ক] নিচের উদাহরণে ব্যবহৃত দশেক (দশ্‌ + -এক্‌) বলতে কমবেশি দশ বোঝায় বলে এখানে -এক একটি অনির্দেশক প্রত্যয়।[৫] জন দশেক ছাত্র।

    -এক প্রত্যয়টিকে -টা বা -খান নির্দেশকের পরে যুক্ত হয়ে -টাক (-টা + -এক্‌) ও -খানেক (-খান্‌ + -এক্‌) – দুটি সাধিত নির্দেশক তৈরি করে। নিচের দুটি উদাহরণে উক্ত নির্দেশক দুটির প্রচলিত ব্যবহার দেখানো হলো।[৫] মাইলটাক গিয়ে পেয়ে গেলামঘণ্টাখানেক হলো বসে আছি।

    শূন্য

    শূন্য নির্দেশক হলো বাক্যে পদাশ্রিত নির্দেশকের অনুপস্থিতি। যেসব নির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশক আছে সেখানে কোনো বাক্যে বা পদ/বর্গের সঙ্গে নির্দেশকের অঅনুপস্থিতি বিশেষভাবে নির্দেশ করে যে পদটি “অনির্দিষ্টতাবাচক”। যেসব ভাষায় অনির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশক বিরল বা নগণ্য (যেমন: বাংলা), সেখানে শূন্য নির্দেশক বিশেষভাবে অনির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশকের কাজ করে। নিচের উদাহরণে দর্শনার্থীরাকাদা পদ দুটির পরিমাণ অনির্দিষ্ট, কিন্তু এখানে কোনো নির্দেশক যুক্ত হয় নি। দর্শনার্থীরা কাদায় হাঁটা শেষ করলেন।

    ভাষাভেদে প্রচলন

    অনেক ইন্দো-ইউরোপীয়, সেমিটীয় (শুধুমাত্র নির্দিষ্টতাবাচক) ও পলিনেশীয় ভাষাসমূহতে নির্দেশক দেখা যায়; যাইহোক, চীনা, জাপানি, কোরীয়, মঙ্গোলীয়, তুর্কীয় ভাষাসমূহ (তাতার, বাশকির, তুভাইচুভাশসহ), উরালীয় ভাষাসমূহ (ফিনীয়সামি ভাষাসমূহসহ), ইন্দোনেশীয়, হিন্দি-উর্দু, পাঞ্জাবি, তামিল, বাল্টীয় ভাষাসমূহ, অধিকাংশ স্লাভীয় ভাষা, বান্টু ভাষাসমূহ (সোয়াহিলিসহ) ও ইয়োরুবাসহ বিশ্বের অনেক প্রধান প্রধান ভাষায় নির্দেশকের ব্যবহার অনুপস্থিত। কিছু ভাষায় নির্দেশকের ব্যবহার রয়েছে, যেমন কিছু উত্তর ককেশীয় ভাষাসমূহতে নির্দেশকের ব্যবহার ঐচ্ছিক; তবে, বাংলা, অসমীয়, ইংরেজিজার্মানের মতো আরও কিছু ভাষার ক্ষেত্রে অর্থ ও সাবলীলতা রক্ষায় নির্দেশক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক, যদিও এরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের সদস্য।

    ভাষাবিদরা বিশ্বাস করেন যে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার পূর্বপুরুষ আদি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতে নির্দেশকের কোনো ব্যবহার ছিল না। এই পরিবারের বেশিরভাগ ভাষায় নির্দিষ্টতাবাচক বা অনির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশক নেই: লাতিন বা সংস্কৃত ভাষায় কোনো নির্দেশকের ব্যবহার নেই, এমন কি কিছু আধুনিক ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতেও, যেমন স্লাভীয় ভাষাসমূহ (বুলগেরীয়, মেসেডোনীয় ও কিছু উত্তর রুশ উপভাষা বাদে), বাল্টীয় ভাষাসমূহ এবং অনেক ইন্দো-আর্য ভাষাতেও নির্দেশক নেই। যদিও ধ্রুপদী গ্রিক ভাষায় নির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশকের ব্যবহার ছিল[খ], পূর্ববর্তী হোমরীয় গ্রিকে নির্দেশককে মূলত সর্বনাম বা প্রদর্শনমূলক পদ হিসাবে ব্যবহার করা হত, যেখানে প্রথম দিকে মাইসেনীয় গ্রিক নামে পরিচিত গ্রিক ভাষায় পরিচিত রূপে কোনো নির্দেশক ছিল না। বিভিন্ন ভাষা পরিবারে অঞ্চলভেদে নির্দেশকের ব্যবহার স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছে।

    আরও দেখুন

    টীকা

    একে সংখ্যাবাচক “এক” () এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না, কারণ শব্দের সাথে একীভূত না হলে প্রত্যয় হয় না। তাই বাক্যে স্বতন্ত্র পদরূপে ব্যবহৃত “এক” প্রত্যয়বাচক নয়, এমন কি এক এর পর নির্দেশক যুক্ত হলেও (যেমন: একটি) এটি পদ হিসাবেই বাক্যে আচরণ করবে। নির্দেশকের ব্যবহার আধুনিক গ্রিকেও টিকে আছে এবং এটি জার্মান ভাষার নির্দিষ্টতাবাচক নির্দেশকের সাথে একটি শক্তিশালী কার্যকরী সাদৃশ্য বহন করে, যার সাথে এটি সম্পর্কিত।

  • BCS Model Test 5/100

    BCS Model Test 5/100

    bcs model test
    [forminator_quiz id=”5746″]
    bcs model test
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ ৩০+ সাধারণ জ্ঞান [পিডিএফ]

    বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ ৩০+ সাধারণ জ্ঞান [পিডিএফ] টি নিচে দেওয়া হলো। আসা করি আপনারা যারা বিসিএস, শিক্ষক নিবন্ধন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করবেন তাদের জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলীর প্রশ্ন ও উত্তর গুলো খুবই উপকারী হবে। 

    বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ ৩০+ সাধারণ জ্ঞান [পিডিএফ]

    https://youtube.com/watch?v=N6remGSgiHE%3Ffeature%3Doembed

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেন
    উত্তর : ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে।

    প্রশ্ন : গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা
    উত্তর : সমুদ্র গুপ্ত।

    প্রশ্ন : আলাউদ্দীন হুসেন শাহের রাজধানী ছিল
    উত্তর : একডালা ।

    প্রশ্ন : শেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন
    উত্তর : দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।

    প্রশ্ন : বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর হয়েছিল
    উত্তর : বাংলা ১১৭৬ সনে।

    প্রশ্ন : ইন্ডিয়ান এসােসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়
    উত্তর : ১৮৭৬ সালে।

    প্রশ্ন : বঙ্গীয় প্রজাস্বত্ব আইন প্রবর্তন করেন
    উত্তর : এ কে ফজলুল হক।

    প্রশ্ন : ‘ভুলব না ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’-এর রচয়িতা
    উত্তর : আ ন ম গাজীউল হক।

    প্রশ্ন : আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়
    উত্তর : ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন
    উত্তর : মেজর এম আবু তাহের এবং এম হামিদুল্লাহ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একজন ইতালির নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন তার নাম
    উত্তর : ফাদার মারিও ভেরেনজি।

    প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন
    উত্তর : ৮ জানুয়ারি ১৯৭২।

    প্রশ্ন : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে শহিদ দার্শনিকের নাম
    উত্তর : গােবিন্দ চন্দ্র দেব।

    প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘সংগ্রাম’-এর পরিচালক
    উত্তর : চাষী নজরুল ইসলাম।

    প্রশ্ন : কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের উদ্বোধক
    উত্তর : শহিদ শফিউর রহমানের পিতা।

    প্রশ্ন : মণিপুরী জাদুঘর অবস্থিত
    উত্তর : কমলগঞ্জ, মৌলভীবাজার।

    প্রশ্ন : ঢাকার সবচেয়ে প্রাচীন মন্দির
    উত্তর : ঢাকেশ্বরী মন্দির।

    প্রশ্ন : ‘সােমপুর বিহার অবস্থিত
    উত্তর : নওগাঁ ।

    প্রশ্ন : ‘ম্যাডােনা ৪৩’ চিত্রটি যে পটভূমিতে অঙ্কন করা হয়
    উত্তর : বাংলার দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে।

    চলতি ঘটনা বাংলাদেশ বিষয়াবলী

    প্রশ্ন : দেশের ১৬তম অ্যাটর্নি জেনারেল
    উত্তর : আবু মােহাম্মদ আমিন উদ্দীন।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে করােনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়
    উত্তর : ২৭ জানুয়ারি ২০২১।

    প্রশ্ন : MY FATHER MY BANGLADESH গ্রন্থের রচয়িতা
    উত্তর : শেখ হাসিনা।

    প্রশ্ন : স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম মৃত্যুবরণ করেন
    উত্তর : ৪ মার্চ ২০২১।

    প্রশ্ন : ১০ দিনব্যাপী মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান পালন করা হয়
    উত্তর : ১৭-২৬ মার্চ ২০২১।

    প্রশ্ন : স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিদেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করেন
    উত্তর : ৫ জন।

    প্রশ্ন : ভারতের ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২০’ লাভ করেন
    উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ টেলিযােগাযােগ কোম্পানি লিমিটেডের (BTCL) নতুন চালুকৃত OTT অ্যাপ
    উত্তর : আলাপ।

    প্রশ্ন : ভারতের যে বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ চালু করবে
    উত্তর : দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল টেস্ট মর্যাদা লাভ করে
    উত্তর : ১ এপ্রিল ২০২১।

    প্রশ্ন : ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে
    উত্তর : তৃতীয়।

    প্রশ্ন : ‘সুখ সাগর’ যে ফসলের জাত
    উত্তর : পেয়াজ।

  • প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

    প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির একটা বড় অংশ সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী। কিভাবে পড়লে প্রাইমারিতে চাকুরী পাওয়া যায় এই প্রশ্ন সবার মধ্যেই কমবেশি কাজ করে। www.bcspreparation.net এর মতে প্রথমে আপনাকে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রশ্ন ব্যাংক পড়ে নিতে হবে। পাশাপাশি প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তুতি জন্য কিছু বই নিয়ে সেগুলো পড়ে নিতে হবে। আসা করা যায় আপনার জন্য প্রাইমারিতে চাকুরী পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। ।আপনার প্রস্তুতির জন্য নিচের পিডিএফটি পড়তে পারেরন।

    প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভিডিওটি দেখতে পারেন।

    https://youtube.com/watch?v=Rt-82eii5Bg%3Ffeature%3Doembed

    প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। প্রশ্ন ও উত্তরগুলো একবার হলেও আপনার পড়া উচিত।

    বাংলাদেশ বিষয়াবলি

    প্রশ্ন : আসাদগেট যে স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়
    উত্তর : ১৯৬৯’র গণঅভ্যুত্থান।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়
    উত্তর : ৪ জুলাই ২০০১।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম সংসদীয় আসন বিন্যাস করা হয়
    উত্তর : ১৯৭৩ সালে।

    প্রশ্ন : আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থটির প্রচ্ছদে ব্যবহৃত সম্মেলনের লােগাে শান্তির কপােত-এর চিত্রশিল্পী
    উত্তর : পাবলাে পিকাসাে।

    প্রশ্ন : আর্য সংস্কৃতি বিকাশ লাভ করে
    উত্তর : পাল আমলে।

    প্রশ্ন : নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত অন্তর্ভুক্ত
    উত্তর : আদি-অস্ট্রেলীয় জনগােষ্ঠীর।

    প্রশ্ন : বাংলার রাজধানী হিসেবে ‘সােনারগাঁও-এর পত্তন করেছিলেন
    উত্তর : ঈসা খান।

    প্রশ্ন : ‘মাৎস্যন্যায়’ যে সময়কে নির্দেশ করে
    উত্তর : পাল পূর্ব যুগ।

    প্রশ্ন : যে গ্রন্থে বাংলার প্রাচীন বয়নশিল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়
    উত্তর : কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ।

    প্রশ্ন : ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বাংলার গভর্নর ছিল
    উত্তর : কার্টিয়ার।

    প্রশ্ন : ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়
    উত্তর : ১৮৭৬ সালে।

    প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র হিসেবে কাজ করতাে
    উত্তর : সাপ্তাহিক সৈনিক।

    প্রশ্ন : ৩ মে ২০২১ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ
    উত্তর : ৪৫.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রথমবারের মতাে টাকা দিবস পালিত হয়
    উত্তর : ৪ মার্চ ২০১১।

    প্রশ্ন : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক গভর্নর ছিলেন
    উত্তর : ফিরােজ খান নূন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

    প্রশ্ন : ‘দরবার স্কয়ার’ অবস্থিত
    উত্তর : নেপাল

    প্রশ্ন : বিশ্বে বায়ােটেক (GM) শস্য চালু হয়
    উত্তর : ১৯৯৬ সালে।

    প্রশ্ন : ‘কুয়ােমিনটাং’ যে দেশের বিপ্লবী দল
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : ‘আগা খান’ পুরস্কার দেওয়া হয় যে ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য
    উত্তর : স্থাপত্য শিল্প।

    প্রশ্ন : বার্লিন প্রাচীর নির্মাণ শুরু হয় যে স্থান থেকে
    উত্তর : বারনউয়া।

    প্রশ্ন : পােল্যান্ডের মুদ্রার নাম
    উত্তর : জলােটি।

    প্রশ্ন : গুয়াম দ্বীপ যে ভৌগােলিক অঞ্চলে অবস্থিত
    উত্তর : মাইক্রোনেশিয়া।

    প্রশ্ন : ‘ইস্টার দ্বীপপুঞ্জ’ যে দেশের অধীন
    উত্তর : চিলি ।

    প্রশ্ন : ২০১২ সালে কার্বন কর চালু হয়
    উত্তর : অস্ট্রেলিয়া।

    প্রশ্ন : ‘SEATO’র পূর্ণরূপ
    উত্তর : South East Asian Treaty Organisation!

    প্রশ্ন : ইস্তানবুলের পূর্বনাম
    উত্তর : কনস্ট্যান্টিনােপল।

    প্রশ্ন : Organization for Security and Co-operation in Europe (OSCE)’র সদর দপ্তর
    উত্তর : ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া ।

    প্রশ্ন : ইউনিভার্সেল স্ট্যান্ডার্ড টাইম হিসেবে বিশ্বব্যাপী GMT-এর ব্যবহার শুরু হয়
    উত্তর : ১৮৬৪ সালে।

    প্রশ্ন : ম্যালেরিয়া শব্দটি প্রথম প্রয়ােগ করেন
    উত্তর : টর্টি।

    প্রশ্ন : পূর্ব আফ্রিকার রুটির ঝুড়ি বলা হয়
    উত্তর : দক্ষিণ সুদানকে।

    প্রশ্ন : হন্ডুরাসের রাজধানীর নাম
    উত্তর : তেগুচিগালপা।

    প্রশ্ন : দক্ষিণ আমেরিকার যে দেশটি কমনওয়েলথের একমাত্র সদস্য
    উত্তর : গায়ানা।

    প্রশ্ন : পেরুর মুদ্রার নাম
    উত্তর : পেরুভিয়ান সােল।

    প্রশ্ন : এন্টার্কটিকা মহাদেশের সর্বনিম্ন বিন্দু
    উত্তর : বেন্টলে সাবগ্ল্যাসিয়াল ট্রেঞ্চ ।

    প্রশ্ন : চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল
    উত্তর : তাতার দস্যুদের আক্রমণ থেকে সুরক্ষা।

    প্রশ্ন : ‘পলাশী প্রান্তর’ যে নদীর তীরে অবস্থিত
    উত্তর : ভাগীরথী।

    প্রশ্ন : ‘বেথেলহাম’ অবস্থিত
    উত্তর : জেরুজালেমে ।

    প্রশ্ন : দিয়াগাে গার্সিয়া যে দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত
    উত্তর : চ্যাগােজ।

    প্রশ্ন : নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় যে রাজ্যে অবস্থিত
    উত্তর : বিহারে।

    প্রশ্ন : চেঙ্গিস খান যে জাতিগােষ্ঠীর নেতা ছিলেন
    উত্তর : তাতার ।

    প্রশ্ন : আমেরিকার আদি অধিবাসীদের ‘রেড ইন্ডিয়ান’ নাম দেন
    উত্তর : কলম্বাস।

    প্রশ্ন : বিশ্বের বৃহত্তম ভূবেষ্টিত দেশ
    উত্তর : কাজাখস্তান ।

    প্রশ্ন : ল্যাটিন ভাষায় শ্রেষ্ঠ কবি
    উত্তর : ভার্জিল।

    প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস
    উত্তর : ২২ মে।

    প্রশ্ন : ‘আগস্ট বিপ্লব’ হয়
    উত্তর : ভিয়েতনামে।

    প্রশ্ন : ‘ভার্জিন অব দ্য রকস’ শিল্পের স্রষ্টা
    উত্তর : লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আরেকদফা পেছানোর সম্ভাবনা

    আগামী ৩১ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে পুর্বের এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করােনা পরিস্থিতির কারণে ভর্তি পরীক্ষা আরেকদফা পেছানাের চিন্তা ভাবনা করছে প্রশাসন। যদিও এ বিষয়ে পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনাে সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ১০ জুলাই থেকে ক, খ, গ, ঘ ও চ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলােডের কার্যক্রমটিও স্থগিত করা হয়েছে।

    গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ওয়েবসাইটের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই পরীক্ষার্থীদের অবহিত জানানাে হবে’। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছাবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগির বিষয়টি নিয়ে বৈঠক হবে। এই সূত্রের দাবি, করােনা শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদের জন্যও হুমকিস্বরূপ। অনেক বয়স্ক শিক্ষক রয়েছেন; যারা করােনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষার হলে ডিউটি করতে চাইবেন না।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিট প্ল্যানসহ পরীক্ষা আয়ােজনে অন্যান্য প্রস্তুতির বিষয়টিও বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। স্বভাবই ৩১ জুলাই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না। তবে বৈঠকের পরই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-?উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, বর্তমানে করােনার কারণে সারাদেশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এই মুহুর্তে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কোন কারণ দেখছি না।

    তবে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। প্রবেশপত্র ডাউনলােড কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মাে. মােস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে করােনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় আমরা ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র ডাউনলােড কার্যক্রমটি আপতত স্থগিত রেখেছি। তিনি বলেন, সাধারণত প্রবেশপত্রে ভর্তি পরীক্ষার তারিখটি উল্লেখ করা থাকে।

    যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা আগামী ১০ তারিখে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দিতে পারি না। এটা করলে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। ঈদের আগেই ভর্তি প্রবেশপত্র ও ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র এবং ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের ঈদের আগেই একটি জরুরি সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

    তবে সভার এখনাে তারিখ নির্ধারণ হয়নি। অধ্যাপক মােস্তাফিজ বলেন, করােনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সভায় যদি ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয় তাহলে। আমরা সেটি জানাবাে। আর যদি পূর্বের তারিখে পরীক্ষা বহাল থাকলে তাহলে সেটিও জানানাে। যদি পূর্বের তারিখে পরীক্ষা বহাল থাকে; তাহলে পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশপত্র পৌঁছে দেব।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৩১ জুলাই, ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৬ আগস্ট, ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৭ আগস্ট, ১৩ আগস্ট ‘গ’ ইউনিট ও ১৪ আগস্ট ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

  • টিকা পেতে দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র করার আহ্বান ঢাবি প্রশাসনের

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তাদের টিকা পেতে দ্রুত জাতীয় পরিচয়পত্র করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

    ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেই লক্ষ্যে https://services.nidw.gov.bd/new_voter ওয়েব লিংকে গিয়ে বর্ণিত ধাপসমূহ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পূরণকৃত ফরমটি (ফরম-২) পিডিএফ ফরম্যাটে ডাউনলোড করতে হবে। পিডিএফ ফরমটি প্রিন্ট করার পর প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর ও সত্যায়িত করে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহ আবেদনপত্র উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিলে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির পর নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইল আইডি ব্যবহার করে টিকার জন্য আবেদন করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততম সময়ে তাদের ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন