Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
Bengali language and literature
-
অ্যাম্পিয়ার
অ্যাম্পিয়ার (ইংরেজি:Ampere) (এসআই এককের প্রতীক: A; এসআই মাত্রার প্রতীক: I), প্রায়ই সংক্ষিপ্ত Amp;[১] হলো তড়িৎ প্রবাহের আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি[২][৩] এবং সাতটি এসআই[৪] ভিত্তি এককের একটি। বিখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী আঁদ্রে মারি অম্পেয়্যার (১৭৭৫-১৮৩৬) এর নামানুসারে এই এককের নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ছিলেন ফরাসি গণিতবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী, এবং তিনি তড়িৎগতিবিজ্ঞানের জনক হিসেবে বিবেচিত। সব ইলেকট্রিকাল যন্ত্রতেই এর গ্রহণীয় অ্যাম্পিয়ারের সর্বোচ্চ মান উল্লেখ থাকে। ব্যাটারির মান বুঝানোর জন্য এর গায়ে ভোল্ট (V) ও অ্যাম্পিয়ার (Amp) উল্লেখ করা থাকে।এস আই পদ্ধতিতের মতে অ্যাম্পিয়ার হল একটা ইউনিট। এটি তড়িৎ চুম্বকীয় বল যা তড়িৎ পরিবাহীর মধ্যে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি করে। প্রথমে সি জি এস পদ্ধতির তড়িৎ এর দুটি ধারণা ছিল। এটি এস আই পদ্ধতির মতই এবং অন্যটি তড়িৎ চার্জ এর ভিত্তির একক হিসাবে ধরা হয় এবং একক চার্জের পরিমাপ করা হয় দুটি চার্জিত তামার প্লেটের মধ্যে। এরপর অ্যাম্পিয়ার নির্ধারণ করা হয় প্রতি সেকেন্ডে ১ কুলম্ব চার্জকে। এস আই পদ্ধতিতে চার্জের একক কুলম্ব এবং এটি পরিমাপ করা হয় ১ অ্যাম্পিয়ার বিদ্যুৎ ১ সেকেন্ডে যে পরিমাণ প্রবাহিত হয়। ভবিষ্যতে এস আই পদ্ধতির পরিবর্তন হতে পারে এবং তা ভিত্তি একক হতে পারে। কুলম্বের মতে তড়িৎ চার্জ নির্ধারিত হয় ইলেকট্রন এবং প্রোটন দ্বারা।
বিষয়বস্তু
১) বর্ণনা ২) ইতিহাস ৩) অনুধাবন ৪) ভবিষ্যৎ বর্ণনা ৫) প্রতিদিনের উদাহরণ
৫,১) সি পি উ == ডি সি 1 V ৫,২) পোর্টেবল ডিভাইস 12 V ৫,৩) অভ্যন্তরীণ জ্বালানি ইঞ্জিন যানবাহন ৫,৪) উত্তর আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সরবরাহ 120 V AC ৫,৫) ইউরোপিয়ান এবং কমনওয়েলথ অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ২৩০-২৪০V AC
বর্ণনা
২০১৯ সালের মে মাস থেকে প্রযোজ্য সংঙ্গা হলো: প্রতি সেকেন্ডে 1/1.602176634×10‐¹⁹ সংখ্যক ইলেকট্রনের সমপরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হলে সেটি হচ্ছে এক অ্যাম্পিয়ার। এস আই পদ্ধতিতে আমপিয়ারের বর্ণনা দেয় – অ্যাম্পিয়ার হলো একটি তড়িৎ ধ্রুবক, যদি অসীম দৈর্ঘ্যের ও উপেক্ষণীয় প্রস্থচ্ছেদের দুটি সোজা সমান্তরাল পরিবাহক, নমনীয় বৃত্তাকার এবং শূন্য মাধ্যমে পরস্পর থেকে ১ মিটার দূরে থাকলে পরিবাহক দুইটির মধ্যে ক্রিয়াশীল বলের মান হবে 2 × 10
−7 নিউটন।
অ্যাম্পিয়ার বলের সূত্র ব্যাখ্যা করে যে- দুটি সমান্তরাল তারের মধ্যে তড়িৎ প্রবাহের ফলে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের সৃষ্টি হয়। এই বল আম্পিয়ারের সংজ্ঞা প্রদান করে। এস আই পধতিতে চার্জের একক কুলম্ব। এর পরিমাণ হলো ১ আম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহের ১ কুলম্ব চার্জ যা প্রতি সেকেন্ডে প্রদত্ত বিন্দু দিয়ে যায়। 1 A = 1 C s .
সাধারণত Q বের করা হয় তড়িৎ প্রবাহের I এবং সময় t দ্বারা, Q=।t, ধ্রুবক তাৎক্ষণিক এবং গড় তড়িৎ প্রবাহ আম্পিয়ারে প্রকাশ করা হয়। যেহেতু চার্জ তড়িৎ ১,২ আম্পিয়ার এবং চার্জ সংগৃহীত সময় একটি বর্তনীর মাধ্যমে কুলম্বে প্রকাশ করা হয়। যেমন ব্যাটারির চার্জ ৩০০০০ কুলম্ব। আমাপিয়ারের এবং কুলম্বের সম্পর্ক ওয়াট (জুল/সেকেন্ড) ও জুলের মতই।
ইতিহাস
আম্পিয়ার ছিল তড়িৎ প্রবাহের সেন্টিমিটার গ্রাম সেকেন্ড পদ্ধতির দশম ইউনিট। যা তখন আবাম্ফেয়ার নামে পরিচিত। যা দুইটি তারের মধ্যে এক সেন্টিমিটার পার্থকে প্রতি সেন্টিমিটার এ দুইটি বলের দৈর্ঘ্যর মধ্যবর্তী তড়িৎ প্রবাহ। ইউনিটির মাপ নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে এমকে এসএ বেবস্থায় এটি থেকে প্রাপ্ত ইউনিট সহজলভ্য আকারে করা হয়। আন্তর্জাতিক আমাপিয়ার হল আম্পিয়ারের প্রাথমিক পরিচয়। এটি ব্যাখ্যা করে এটি সিলভার নাইট্রেট থেকে প্রতি সেকেন্ডে ০.০০১১৮ গ্রাম সিলভার জমা করে।
অনুধাবন
ওয়াট ব্যালেন্স ব্যবহার করে অ্যাম্পিয়ার এর আদর্শ মান উপলব্ধি করা যায় কিন্তু ব্যবহারিক ক্ষেত্রে এটিকে ব্যবহার করা হয় ওহমের সূত্র দ্বারা যা ইলেক্ট্রোমটিভ বল এবং রোধের একক হতে পাওয়া যায়(ভোল্ট এবং ওহম, এই দুটি সহজেই উৎপাদন করা যায়। এটি জসেফসন জাংশন এবং কোয়ান্টাম হোলের প্রভাব। বর্তমানে অ্যাম্পিয়ার বের করার জন্য অনিশ্চিত আপেক্ষিকতা যাতে প্রায় 107 টি অংশ আছে, এতে আরও ওয়াট ওহম ভোল্ট যুক্ত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত ভবিষ্যৎ
দুটি তারের মধ্যে বলের সম্পর্কের বর্ণনা না দিয়ে এটি প্রস্তাব করে যে অ্যাম্পিয়ারকে প্রাথমিক চার্জের প্রভাব হতে বিবেচনা করা উচিত। যেহেতু এক কুলম্ব এর মান প্রায় ৬.২৪১৫০৯৩×১০১৮ প্রাথমিক চার্জের সমান। যা ইলেকট্রন প্রোটন বহন করে। এক অ্যাম্পিয়ার প্রায় ৬.২৪১৫০৯৩×১০১৮ প্রাথমিক চার্জ প্রতি সেকেন্ডে। এটি প্রাথমিক চার্জ এর মান ১ কুলম্ব। এখানে প্রস্তাব করা হয় যে ১ অ্যাম্পিয়ার হল তড়িৎ প্রবাহের দিকে প্রতি সেকেন্ডে চার্জ এর মান। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক ওজন ও পরিমাপ কমিটি এই প্রস্তাবে রাজি হয় । নতুন ধারণা পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ওজন ও পরিমাপ কমিটিতে আলোচনা করা হয় কিন্তু তা পরে সময়ের জন্য বাস্তবায়িত হয় নি।
নিত্যদিনের উদাহরণ
সাধারণত ভোল্টেজে এর ধ্রুবক শক্তি বিতরণ পদ্ধতি দ্বারা যুক্ত। এটি সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত শক্তি (ওয়াট ) এবং অপারেটিং ভোল্টেজ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তাই নিচের উদাহরণগুলো ভোল্টেজ লেভেলের সাথে মিলিয়ে করা হয়েছে। সি পি ইউ ১ ভোল্ট ডি সি
- —– তড়িৎ নোটবুক সি পি ইউ (১৫-৪৫ ওয়াট , ১ ভোল্ট ); ১৫ -৪৫ অ্যাম্পিয়ার
- —– উচ্চ তড়িৎ ই পি ইউ (৬৫ – ১৪০ ওয়াট , ১,১৫ ভোল্ট ); ৫৫-১২০ অ্যাম্পিয়ার
সহজে বহনীয় যন্ত্র
- —– শোনায় সাহায্যকারী (সাধারণত ১ মিলি ওয়াট , ১,৪ ভোল্ট ); ৭০০ মাইক্রো অ্যাম্পিয়ার
- —– ইউ এস বি এডাপ্ট্র (পাওয়ার সাপ্লাই- সাধারণত ১০ ওয়াট , ৫ ভোল্ট ); ২ অ্যাম্পিয়ার
অভ্যন্তরীণ জ্বালানী ইঞ্জিন যানবাহন – ১২ ভোল্ট ডি সি সাধারণত মোটর যন্ত্র ১২ ভোল্ট ব্যাটারি থাকে। এছাড়াও
- — আলোক প্যানেল যন্ত্র (সাধারণত ২ ওয়াট ); ১৬৬ মিলি অ্যাম্পিয়ার
- — হেডলাইট (প্রত্যেক সাধারণত ৬০ ওয়াট ); ৫ অ্যাম্পিয়ার
উত্তর আমেরিকার অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ১২০ ভোল্ট এ সি – বেশীরভাগ কানাডা, মেক্সিকো , আমেরিকার পাওয়ার সাপ্লাই ১২০ ভোল্ট ঘরের আসবাবপত্র সর্বচ্চো ১৫ আম্পিয়ার থেকে ২০ অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহ থাকে।
- — চার্জ ইউ এস বি এডাপটর (সাধারনত ১০ ওয়াট ); ৪৩ মিলি আম্পিয়ার
- — ২২ ইঞ্চি / ৫৬ সেন্টিমিটার পোর্টেবল টেলিভিশন (৩৫ ওয়াট ); ২৯০ মিলি অ্যাম্পিয়ার
- — তড়িৎ বাতির টাংস্টেন (৬০-১০০ ওয়াট ); ৫০০-৮৩০ মিলি আম্পিয়ার
- — টোস্টার, কেটলি (১,৫ কিলোওয়াট ) ; ১২,৫ আম্পিয়ার
- — চুল শুকানোর যন্ত্র (১,৮ কিলোওয়াট ); ১৫ অ্যাম্পিয়ার
ইউরোপিয়ান এবং কমনওয়েলথ এর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ – বেশীরভাগ ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পাওয়ার সাপ্লাই ২৩০ ভোল্ট আর কমনওয়েলথ দেশগুলোর ২৪০ ভোল্ট। — ফ্লুরস্টে বাতি (১১-৩০ ওয়াট ) — ২২ ইঞ্চি / ৫৬ সেন্টিমিটার পোর্টেবল টেলিভিশন (৩৫ ওয়াট ); ১৪৫-১৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার — তড়িৎ টাংস্টেন বাতি (৬০-১০০ ওয়াট) ; ২৪০-৪৫০ মিলি অ্যাম্পিয়ার — টোস্টার, কেটলি (২ কিলোওয়াট ) ; ৯ আম্পিয়ার — ইমারসন হিটার (৪,৬ কিলোওয়াট) ; ১৯-২০ অ্যাম্পিয়া
-
অধিকরণ কারক
ব্যাকরণ শাস্ত্রে, অধিকরণ কারক বলতে ক্রিয়া সম্পাদনের সময় এবং আধারকে নির্দেশ করে।[১] ক্রিয়াকে “কখন” ও “কোথায়” দ্বারা প্রশ্ন করলে উত্তরে অধিকরণ কারক পাওয়া যায়। অধিকরণ কারকে সপ্তমী অর্থাৎ ‘-এ’ ‘-য়’ ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
আধার (স্থান): আমরা রোজ স্কুলে যাই। এ বাড়িতে কেউ নেই।
কাল (সময়): প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে।প্রকারভেদ
অধিকরণ কারক তিন প্রকার। যথা-
১. কালাধিকরণ,
২. আধারাধিকরণ এবং
৩. ভাবাধিকরণ।কালাধিকরণ
যে সময় ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে কালাধিকরণ কারক বলে।[২]
উদাহরণ: শরতে (কখন? – শরৎ) শাপলা ফোটে।
আধারাধিকরণ
আধারাধিকরণ তিন ভাগে বিভক্ত। যথা:- ১. ঐকদেশিক, ২. অভিব্যাপক এবং ৩. বৈষয়িক।
ঐকদেশিক
বিশাল স্থানের যে কোনো এক অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারাধিকরণ বলে। সামীপ্য অর্থেও ঐকদেশিক অধিকরণ হয়।
উদাহরণ:
পুকুরে মাছ আছে। (পুকুরের যে কোনো একস্থানে)
বনে বাঘ আছে। (বনের যে কোনো এক অংশে)
আকাশে চাঁদ উঠেছে। (আকাশের কোনো এক অংশে)
ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (ঘাটের কাছে)
‘দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেহ তারে। (দুয়ারের কাছে)
রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা।অভিব্যাপক
উদ্দিষ্ট বস্তু যদি সমগ্র আধার ব্যাপ্ত করে বিরাজমান থাকে, তবে তাকে অভিব্যাপক আধারাধিকরণ বলে।
উদাহরণ:
তিলে তৈল আছে। (তিলের সারা অংশব্যাপী)
নদীতে পানি আছে। (নদীর সমস্ত অংশ ব্যাপ্ত করে)বৈষয়িক
বিষয় বিশেষে বা কোনো বিশেষ গুণে কারও কোনো দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকলে সেখানে বৈষয়িক অধিকরণ হয়।
উদাহরণ:
রাকিব অঙ্কে কাঁচা, কিন্তু ব্যাকরণে ভালো।
আমাদের সেনারা সাহসে দুর্জয়, যুদ্ধে অপরাজেয়।ভাবাধিকরণ
যদি কোনো ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য অন্য ক্রিয়ার কোনোরূপ ভাবের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে, তবে তাকে ভাবাধিকরণ বলে। ভাবাধিকরণে সর্বদাই সপ্তমী বিভক্তির প্রয়োগ হয় বলে একে ‘ভাবে সপ্তমী’ বলা হয়।
উদাহরণ:
সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়। হাসিতে মুক্তা ঝরে। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। (সপ্তমী বিভক্তি)অধিকরণ কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার
আরও দেখুন: বিভক্তি
(ক) প্রথমা বা শুন্য বিভক্তি আমি ঢাকা যাব। বাবা বাড়ি নেই। আগামীকাল বাড়ি যাব। আকাশ মেঘে ঢাকা। সারারাত বৃষ্টি হয়েছে। (খ) দ্বিতীয়া বিভক্তি মন আমার নাচে রে আজিকে। (গ) তৃতীয়া বিভক্তি খিলিপান (এর ভিতর) দিয়ে ওষুধ খাবে। (ঘ) পঞ্চমী বিভক্তি বাড়ি/ ছাদ থেকে নদী দেখা যায়। (ঙ) ষষ্ঠী বিভক্তি (চ) সপ্তমী বা এ বিভক্তি কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল। ‘গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষা।’ আকাশে চাঁদ উঠেছে। বনে বাঘ আছে। ছাদে বৃষ্টি পড়ে। ছেলেটি অঙ্কে কাঁচা। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। ঝিনুকে মুক্তা আছে।/ সব ঝিনুকে মুক্তা মেলে না। তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত। তার ধর্মে মতি আছে। সরোবরে পদ্ম জন্মে। সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দেব কোথা? সমুদ্রজলে লবণ আছে। আমরা রোজ স্কুলে যাই। প্রভাতে সূর্য ওঠে। বসন্তে কোকিল ডাকে। সূর্যোদয়ে অন্ধকার দূরীভূত হয়। ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। ‘দুয়ারে দাঁড়ায়ে প্রার্থী, ভিক্ষা দেহ তারে।’ রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা। তিলে তৈল আছে। এ দেহে প্রাণ নেই। তে বিভক্তি এ বাড়িতে কেউ নেই। নদীতে মাছ/পানি আছে। এ জমিতে সোনা ফলে। ঘরেতে ভ্রমর এলো গুনগুনিয়ে। য় বিভক্তি কান্নায় শোক মন্দীভূত হয়। জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ। অধিকরণ কারকে অনুসর্গের ব্যবহার: ঘরের মধ্যে কে রে? তোমার আসন পাতিব হাটের মাঝে।
আরো দেখুন
-
অপাদান কারক
ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, অপাদান কারক বলতে এমন একটি উপায় বোঝায়, যার সাহায্যে বাক্যস্থিত কোনো শব্দের রূপ পরিবর্তন করে বা অন্য কোনো উপায়ে শব্দটির সাথে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে বিশেষ এক ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। সাধারণভাবে, যা থেকে কিছু বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, উৎপন্ন, দূরীভূত ও রক্ষিত হয় এবং যা দেখে কেউ ভীত হয়, তাকেই অপাদান কারক বলে।[১] অপাদান কারক মূলত বিশেষ্য পদ এবং এর সাথে সম্পর্কিত পদ যেমন বিশেষণ বা সর্বনাম এর উপর প্রযুক্ত হয়।
অপাদান কারক দিয়ে সাধারণত কোনো কিছু থেকে সরে যাওয়া অর্থ বোঝানো হয়। বাংলা ভাষাতে বিশেষ্যের পরে হতে, থেকে,চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), দিয়া, দিয়ে (তৃতীয়া বিভক্তি) ইত্যাদি অনুসর্গ ব্যবহার করে সাধারণত অপাদান কারক বোঝানো হয়।
উদাহরণ:
বিচ্যুত: গাছ থেকে পাতা পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে।
গৃহীত: সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। দুধ থেকে দই হয়।
জাত: জমি থেকে ফসল পাই। খেঁজুর রসে গুড় হয়।
বিরত: পাপে বিরত হও।
দূরীভূত: দেশ থেকে পঙ্গপাল চলে গেছে।
রক্ষিত: বিপদ থেকে বাঁচাও। বিপদে মোরে রক্ষা কর।
আরম্ভ: সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু।
উৎপন্ন: তিলে তৈল হয়।
ভীত: বাঘকে ভয় পায় না কে? চোরের ভয়ে ঘুম আসে না।ব্যবহার
অর্থভেদে:
- স্থানবাচক: তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন।
- দূরত্বজ্ঞাপক: ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারের বেশি।
- নিক্ষেপ: বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে।
অপাদান কারকে বিভিন্ন বিভক্তির প্রয়োগ
আরও দেখুন: বিভক্তি
(ক) প্রথমা বা শূন্য বা অ বিভক্তি বোঁটা-আলগা ফল গাছে থাকে না। ‘মনে পড়ে সেই জ্যৈষ্ঠের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন।’ ট্রেন ঢাকা ছাড়ল। গাড়ি স্টেশন ছাড়ল। (খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি বাবাকে বড্ড ভয় পাই। বাঘকে ভয় পায় না কে? (গ) তৃতীয়া বা দিয়ে বিভক্তি তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। (ঘ) পঞ্চমী বা থেকে বিভক্তি জেলেরা নদী থেকে মাছ ধরছে। গাছ থেকে পাতা পড়ে। মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে। সুক্তি থেকে মুক্তো মেলে। দুধ থেকে দই হয়। জমি থেকে ফসল পাই। দেশ থেকে পঙ্গপাল চলে গেছে। বিপদ থেকে বাঁচাও। সোমবার থেকে পরীক্ষা শুরু। তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দুশো কিলোমিটারেরও বেশি। বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। ধান থেকে চাউল হয়। (ঙ) ষষ্ঠী বা এর বিভক্তি যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে হয়। চোরের ভয়ে ঘুম আসে না। বাঘের ভয়ে সকলে ভীত। (চ) সপ্তমী বা এ বিভক্তি ‘বিপদে মোরে করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।’ লোকমুখে শুনেছি। তিলে তৈল হয়। দুধে দই হয়। খেঁজুর রসে গুড় হয়। পাপে বিরত হও। মেঘে বৃষ্টি হয়। দুধে ছানা হয়। বিপদে মোরে রক্ষা কর। য় বিভক্তি টাকায় টাকা হয়। আরো দেখুন
-
উত্তর-পশ্চিম ককেসীয় ভাষাসমূহ
উত্তর-পশ্চিম ককেসীয় ভাষাসমূহ (ইংরেজি: Northwest Caucasian languages) ককেসাস অঞ্চলের উত্তর-পশ্চিম অংশে (রাশিয়া, জর্জিয়া ও তুরস্কে) প্রচলিত কতগুলি ভাষার একটি দল। এগুলি আবখাজো-আদিজীয় ভাষা নামেও পরিচিত। এই ভাষাগুলির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এগুলিতে প্রচুর সংখ্যক ব্যঞ্জনধ্বনির উপস্থিতি এবং স্বরধ্বনির স্বল্পতা। এদের মধ্যে উবিখ ভাষাতে ৮০টিরও বেশি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। কোন কোন ভাষাতে স্বরধ্বনির সংখ্যা মাত্র দুইটি হতে পারে।
আরও দেখুন
-
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহ
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহ হল পশ্চিম ও দক্ষিণ ইউরেশিয়ার স্থানীয় একটি ভাষা পরিবার। এটি উত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইরানীয় মালভূমির ভাষাসমূহের সাথে অধিকাংশ ইউরোপের ভাষাসমূহ নিয়ে গঠিত। এই পরিবারের কিছু ইউরোপীয় ভাষা যেমন, ইংরেজি, ফরাসি, পর্তুগিজ, রুশ, ডেনীয়, ওলন্দাজ ও স্পেনীয় ভাষাসমূহের আধুনিক যুগে উপনিবেশবাদের দরুণ বিস্তার ঘটেছে এবং বর্তমানে অনেক দেশে এই ভাষাগুলোতে কথা বলা হয়ে থাকে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারটিকে বিভিন্ন শাখা বা উপ-পরিবারে বিভক্ত করা হয়, যেগুলোর মধ্যে আটটি শাখা এখনও বিদ্যমান, যথা: আলবেনীয়, আর্মেনীয়, বাল্টো-স্লাভীয়, কেল্টীয়, জার্মানীয়, হেলেনীয়, ইন্দো-ইরানীয় এবং ইতালীয়; এবং বাকি ছয়টি শাখা বর্তমানে বিলুপ্ত।
বর্তমানে এই ভাষা-পরিবারের সবচাইতে বেশি কথিত ভাষাসমূহ হল ইংরেজি, হিন্দুস্তানি, স্পেনীয়, বাংলা, ফরাসি, রুশ, পর্তুগিজ, জার্মান, ফার্সি, পাঞ্জাবি; উল্লিখিত প্রতিটি ভাষারই ১০কোটির চাইতে বেশি বক্তা আছে। কিন্তু, আবার অনেক ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাই সংখ্যায় ছোট এবং বিলুপ্তির পথে, যেমন: কর্নিশ ভাষায় ৬০০জনের থেকেও কম লোক কথা বলে থাকে।[২]
পৃথিবীর সর্বমোট ৪৬ শতাংশ জনসংখ্যা (৩২০ কোটি) প্রথম ভাষা হিসাবে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বলে, যা কিনা বাকি সকল ভাষা পরিবারসমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি। এথনোলগ দ্বারা কৃত হিসাব অনুযায়ী ৪৪৫টি চলমান ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ভাষাই (৩১৩টি) ইন্দো-ইরানি শাখার অন্তর্গত।[৩]
প্রতিটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাই একটি প্রাগৈতিহাসিক ভাষা থেকে উদ্ভুত হয়েছে, যা কিনা প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় হিসাবে পুনর্নিমিত করা হয়েছে এবং নব্যপ্রস্তরযুগ থেকে নব ব্রোঞ্জ যুগের মধ্যবর্তী কোনো সময়ে বলা হত। এটির যথাথথ ভৌগোলিক অবস্থান অজানা এবং এই বিষয়ে বিভিন্ন অনুমান করা হয়েছে, যার মধ্যে সর্বাপেক্ষা গৃহীত অনুকল্পটি হল কুর্গান অনুকল্প। কুর্গান অনুকল্প পন্টিক-কাস্পিয়ান স্তেপকে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের উৎসভূমি হিসাবে মেনে নিয়েছে এবং প্রায় ৩০০০ খ্রিষ্টপূর্বের ইয়াম্নায়া সংস্কৃতির সাথে এর সংযোগ স্থাপন করেছে। প্রথমবারের মতন লিপিবদ্ধ আবিষ্কার হওয়ার বহু পূর্বেই ইন্দো-ইউরোপীয় অন্য অনেক ভাষায় বিবর্তিত হয় এবং ইউরোপের বহুলাংশ ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াতে কথিত হওয়া শুরু হয়। মাইসিনীয় গ্রিক এবং আনাতোলীয় ভাষাসমূহ, হিতাইট ও লুইয়ান-এর রূপে ব্রোঞ্জ যুগে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার লিখিত সাক্ষ্য পাওয়া যায়। সর্বপ্রাচীন লেখ্যগুলো হল বিশ্লিষ্ট হিতাইট শব্দ ও নাম যেগুলো বিভিন্ন লিপিতে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, অন্যথা অসম্পর্কিত প্রাচীন এসিরীয় আক্কাদীয় ভাষায় পাওয়া যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ২০শতকের পূর্ব আনাতোলিয়ার কুলতেপের এসিরীয় বসতির লেখাগুলিতে লব্ধ একটি সেমিটিক ভাষা।[৪] যদিও প্রত্ন-ইন্দো-ইউরোপীয় মানুষদের কোনো পুরানো লিখিত লিপি পাওয়া যায় না, তথাপি তাদের থেকে উদ্ভুত সংস্কৃতির প্রামাণ্য লিপিগুলোর সাহায্যে তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের কিছু কিছু বিষয় পুনর্নিমাণ করা যেতে পারে। [৫] ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের জন্য ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবরার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মিশরীয় ভাষা এবং সেমিটিক ভাষাসমূহের রূপে উপলব্ধ আফ্রো-এশীয় ভাষা পরিবারের পর উক্ত ভাষা পরিবারেরই দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ লিপিবদ্ধ ইতিহাস আছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে সম্পর্কের বিশ্লেষণ এবং তাদের সাধারণ উৎসের পুনর্নিমাণ ১৯শ শতাব্দীতে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের একটি শিক্ষাগত বিষয় হিসাবে উন্নত হওয়ার অপরিহার্য ও অন্যতম কারণ ছিল।
এই ভাষা পরিবারের সাথে অন্য কোনো ভাষ-পরিবারের কোনো ধরনের বংশগত সম্পর্ক নেই, যদিও বা এই নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত প্রস্তাব করা হয়েছে।
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাতত্ত্বের ইতিহাস
আরও দেখুন: ইন্দো-ইউরোপীয় অধ্যয়ন § ইতিহাস
১৬শ শতকের সময়, ভারতীয় উপমহাদেশে আগত ইউরোপীয়রা ইন্দো-আর্য, ইরানীয় ও ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন। ১৫৮৩ সালে, জেসুইট ধর্মপ্রচারক ও কোঙ্কণী পণ্ডিত থোমাস স্টিফেন্স তাঁর ভাইকে গোয়া থেকে একটি চিঠি লিখে পাঠান (২০ শতক পর্যন্ত অপ্রকাশিত ছিল), [৬] যেখানে তিনি গ্রিক, লাতিন এবং ভারতীয় ভাষাসমূহের মধ্যেকার সাদৃশ্যগুলো লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
১৫৪০ সালে ফ্লোরেন্সে জন্ম নেওয়া বণিক ফিলিপো সাসেতি, যিনি ভারতীয় উপমহাদেশে ভ্রমণ করেছিলেন, আরেক বিবরণ লিখেন। ১৫৮৫ সালের লেখায়, তিনি সংস্কৃত ও ইতালীয় ভাষার শব্দগুলোর মধ্যে কিছু সাদৃশ্য লিপিবদ্ধ করেন, যেমন: devaḥ(দেবঃ)/dio “ঈশ্বর”, sarpaḥ(সর্পঃ)/serpe “সাপ”, sapta(সপ্ত)/sette “সাত”, aṣṭa(অষ্ট)/otto “আট”, এবং nava(নব)/nove “নয়”।[৬] যদিও, স্টিফেন বা সাসেতি কারোরই পর্যবেক্ষণ কোন ধরনের শৈক্ষিক অনুসন্ধানে পরিবর্তিত হয়নি।[৬]
১৬৪৭ সালে, ওলন্দাজ ভাষাতাত্ত্বিক ও পণ্ডিত মার্কাস জুয়েরিয়াস ভান বক্সহর্ন কিছু এশীয় ও ইউরোপীয় ভাষাসমূহের মধ্যের সাদৃশ্য লক্ষ্য করেন এবং ধারণা করেন যে সেগুলো অন্য এক আদিম ভাষা থেকে উৎপন্ন হয়েছে যাকে তিনি সিথিয়ান নাম দেন।[৭] তিনি তাঁর অনুকল্পে ওলন্দাজ, আলবেনীয়, গ্রিক, লাতিন, ফার্সি, জার্মান এবং পরে স্লাভীয়, কেল্টীয় ও বাল্টীয় ভাষাসমূহ অন্তর্ভুক্ত করেন। যদিওবা, তাঁর প্রস্তাব অখ্যাত থেকে যায় এবং ফলস্বরূপ পরবর্তীতে আর কোনও গবেষণা অনুপ্রাণিত করে না।
শাখা
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের শাখা-উপশাখা এবং ভাষাসমূহ
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের ৮টি শাখা রয়েছে।
- আর্মেনীয় ভাষাপরিবার – বর্তমানে শুধু একটি সদস্য রয়েছে। যথা – আর্মেনীয় ভাষা
- আলবেনীয় ভাষাপরিবার (১৩০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে উৎপত্তি[৮])- বর্তমানে শুধু একটি সদস্য রয়েছে। যথা – আলবেনীয় ভাষা
- ইতালিক ভাষাপরিবার – দক্ষিণ ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
- ইন্দো-ইরানীয় ভাষাপরিবার – ইরান, শ্রীলঙ্কা, ও উত্তর ভারত উপমহাদেশে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
- কেল্টীয় ভাষাপরিবার – পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটি এলাকায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
- গ্রিক ভাষাপরিবার[৯] – বর্তমানে শুধু একটি সদস্য (গ্রিক) রয়েছে।
- জার্মানীয় ভাষাপরিবার – উত্তর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ও অশেনিয়ায় অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
- বাল্টীয় ভাষাপরিবার – উত্তর-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
- স্লাভীয় ভাষাপরিবার – রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত ভাষা ও উপভাষা।
আরও ৫টি শাখার অন্তর্গত সব ভাষাগুলো আর বলা হয় না।
- আনাতোলীয় ভাষাপরিবার
- তোখারীয় ভাষাপরিবার
- ডাসীয় ভাষাপরিবার
- থ্রাসীয় ভাষাপরিবার
- ফ্রিজীয় ভাষাপরিবার
-
ইগবয়েড ভাষাসমূহ
ইগবয়েড ভাষাসমূহ ভোল্টা–নাইজার ভাষা পরিবারের শাখা-প্রশাখা গঠন করেছে। এর অন্তর্গত ভাষাসমূহ হচ্ছে ইকপেয়ে, উকুয়ানি এবং ইগবো ভাষা:
উইলিয়ামসন এবং ব্লেঞ্চ সংজ্ঞায়িত করেছেন যে ইগবো ভাষা (ইকপেয়ে ব্যতীত ইগবয়েড) একটি “ভাষা গুচ্ছ” গঠন করেছে এবং এসব অনেকটা পারস্পরিকভাবে বোধগম্য।[২] যাইহোক, পারস্পরিক বোধগম্যতা শুধুমাত্র প্রান্তিকপর্যায়ে রয়েছে, ইজি–ইকয়ো–এজা–ম্গবো ভাষাসমূহের ক্ষেত্রেও।[৩]
-
আরাওয়াক ভাষাসমূহ
আরাওয়াক (আরাহুয়াক, মাইপুরে আরাওয়াক), বা মেইপুরীয় ভাষাসমূহ একটি ভাষা পরিবার যেটি প্রাচীন দক্ষিণ আমেরিকার আদিবাসীদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল। আরাওয়াকরা মধ্য আমেরিকা এবং বর্তমানের বাহামা দ্বীপপুঞ্জ সহ ক্যারিবীয় এবং আটলান্টিকের বৃহত্তর এন্টিলিসে ছড়িয়ে পরে। শুধুমাত্র বর্তমানের ইকুয়েডর, উরুগুয়ে, এবং চিলিতে আরাকান ভাষার কথা বলে মতো মানুষ ছিল না। মেইপুরীয় একটি কল্পিত বৃহৎ-আরাওয়াক গোষ্ঠীর অন্যান্য ভাষা পরিবারের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
মেইপুরে নামটি দিয়েছিলেন ফিলিপ্পো এস গিলিজ, ১৭৮২ সালে, ভেনেজুয়েলার মেইপুরে ভাষা অনুসারে। প্রায় এক শতাব্দী পরে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরাওয়াক ভাষার উপর ভিত্তি করে বর্তমানের নামটি রাখা হয়। উত্তর আমেরিকার পন্ডিতদের বৃহৎ-আরাওয়াক ভাষাগোষ্ঠির প্রস্তাবের আগে অবধি আরাওয়াক শব্দটিই প্রধান্য পেয়েছিল। এরপর মেইপুরীয় নামটি মূল পরিবারের জন্য পুনরুত্থিত হয়েছিল।
ভৌগোলিক বন্টন
আমেরিকাতে ভাষাভাষির সংখ্যা অনুসারে আরাওয়াক বৃহত্তম ভাষা পরিবার। ব্রাজিলের আমাজন অববাহিকা অঞ্চলে, পেরু ও বলিভিয়ার মধ্য আন্দিজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় ঢাল বরাবর, উত্তর দিকে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর উপকূলের সুরিনাম, গায়ানা, ফরাসি গায়ানা, ভেনেজুয়েলা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো এবং কলম্বিয়া অঞ্চল থেকে উত্তরদিকে নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, বেলিজ এবং গুয়াতেমালা পর্যন্ত আরাওয়াক ভাষাগুলি ব্যবহৃত হয়।[২] আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েতেও এই ভাষাগুলির ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
আরাওয়াক ভাষীরা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে চলে যান এবং বৃহত্তর অ্যান্টিলিস এবং বাহামাকে বাসভূমি করেন। সম্ভবত উত্তর আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনা অঞ্চলের কিছু কুসাবো এবং কঙ্গারী জাতির বিলুপ্ত ভাষাগুলি এই পরিবারের সদস্য ছিলো।[৩]
তাইনো ভাষা, যেটিকে সাধারণভাবে দ্বীপ আরাওয়াক বলা হয়, সেটি কিউবা, হিসপানিয়োলা, পুয়ের্তো রিকো, জ্যামাইকা, এবং বাহামা দ্বীপপুঞ্জগুলিতে ব্যবহৃত হতো। কয়েকটি তাইনো শব্দ এখনও এই দ্বীপগুলিতে ইংরেজি বা স্পেনীয় ভাষী বংশধরদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়। তাইনো ভাষাটি স্বল্প পরিমাণে প্রত্যয়িত ছিল কিন্তু আরাওয়াক পরিবারের মধ্যে তার শ্রেণীবদ্ধকরণ অবিতর্কিত। ভাল সাক্ষ্যপ্রাপ্ত আরাওয়াক ভাষার মধ্যে তাইনোর নিকটতম আত্মীয় মনে হয় কলম্বিয়ায় ব্যবহৃত গোয়াহিরো ভাষা।
গারিফুনা (বা কৃষ্ণ ক্যারিব) দ্বীপগুলি থেকে উদ্ভূত আরেকটি আকর্ষণীয় আরাওয়াক ভাষা। এটি মিশ্র আরাওয়াক, ক্যারিব এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূতদের মধ্যে জোরপূর্বক অভিবাসনের ফলে বিকশিত হয়েছিল।[৪] হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, গুয়াতেমালা এবং বেলিজে এই ভাষার আনুমানিক ১,৯৫,৮০০ ব্যবহারকারী আছেন।[৫]
বর্তমানে সাম্প্রতিককালের তা-আরাওয়াক (তা-মেইপুরীয়) গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বক্তা দেখা যায় আরাওয়াক ভাষাগুলির: ওয়াইউ [গোয়াহিরো] (প্রায় ৩,০০,০০ ভাষিক); এবং গারিফুনা, (প্রায় ১,০০,০০০ ভাষিক)। এর পরে আসে কাম্পা গোষ্ঠী; আশানিনকা বা মূল কাম্পার প্রায় ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ বক্তা আছে; এবং আশানিনকার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা প্রায় ১৮,০০ থেকে ২৫,০০০। তারপরে সম্ভবত তেরেনা আসে (১০,০০০ ভাষিক); এবং ইয়ানেশাক বা আমুয়েশা (৬,০০০ থেকে ৮,০০০ ভাষিক)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ভাষাসমূহ
বিপুল সংখ্যক আরাওয়াক ভাষার বিলুপ্তি এবং অপূর্ণ নথিভুক্তিকরণের কারণে মেইপুরীয়র শ্রেণীবিভাগ কঠিন। তবে একক ভাষা গঠনের প্রত্যক্ষ সম্পর্কগুলি ছাড়াও পন্ডিতরা সাধারণত মেইপুরীয়র বিভিন্ন ভাষাগোষ্ঠীকে গ্রহণ করে নিয়েছেন। বেশ কিছু শ্রেণিকরণে মেইপুরীয়কে উত্তর ও দক্ষিণ শাখায় বিভক্ত করা হয়েছে, তবে সমস্ত ভাষাই যে কোন না কোন গষ্ঠীতে সঠিকভাবে জায়গা করে নিয়েছে তেমন সম্ভবত নয়। সকলেই নিচের তিনটি শ্রেণীবিভাগ মেনে নিয়েছেন:
- তা-মেইপুরীয় (বা তা-আরাওয়াক, ক্যারিবীয় আরাওয়াক, ক্যারিবীয় মেইপুরীয়)
- উচ্চ আমাজন মেইপুরীয় (বা উত্তর আমাজনীয় আরাওয়াক, অন্তর্দেশীয় মেইপুরীয়)
- মধ্য মেইপুরীয় (বা পারেসি-শিঙ্গু, পারেসি-ওয়াউখা)
- পিরো (বা পুরুস)
- কাম্পা (বা প্রাক-আন্দীয় মেইপুরীয়)
“আমি” উপসর্গের উপর নির্ভর করে পূর্ববর্তী তা-আরাওয়াক এবং নু-আরাওয়াক বিভাজন অস্বচ্ছ; নু- সমগ্র ভাষাপরিবারের বংশগত রূপ, এবং তা- ভাষাপরিবারের একটি শাখার অভিনবত্ব।
কাউফমান (১৯৯৪)
নিম্নোক্ত (পরীক্ষামূলক) শ্রেণিবদ্ধকরণ কাউফমান (১৯৯৪: ৫৭-৬০) থেকে নেওয়া। নিচে বর্ণিত বংশলতিকার পাশাপাশি, এমন কয়েকটি ভাষা রয়েছে যা হয় অ-মেইপুরীয় আরাওয়াক ভাষা বা শ্রেণীবদ্ধ করার পক্ষে স্বল্পজ্ঞাত (কফম্যান ১৯৯৪: ৫৮):
আরও একটি ভাষাও “আরাওয়াক” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে:
- সালুমাঁঁ (বা এনাওয়েনে-নাওয়ে)
উপরে উল্লিখিত শ্রেণীবিহীন ভাষা সহ, মেইপুরীয় পরিবারে প্রায় ৬৪ টি ভাষা রয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯টি ভাষা এখন বিলুপ্ত: ওয়াইনুুুমা, মারিয়াতে, আনাউইয়া, আমারিজানা, খুমানা, পাসে, কাউইশানা, গারু, মারাওয়া, গুইনাও, ইয়াভিতেরো, মেইপুরে, মানাও, কারিয়াই, ওয়ারাইকু, ইয়াবাআনা, উইরিনা, আরুয়ান, তাইনো, কালহিফোনা, মারাওয়ান-কারিপুরা, সারাভেচা, কুস্তেনাউ, ইনাপারি, কানামারে, শেবায়ে, লাপাচু, এবং মোরিকে। উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়
- উচ্চ আমাজনীয় শাখা
- সামুদ্রিক শাখা
- আরোয়াঁঁ (†)
- ওয়াপিশানা: আতোরাদা (বা আতোরাই), মাহুয়াইয়ানা (বা মাওয়াইয়ানা, মাপিদীয়, মাওপিদীয়), ওয়াপিশানা
- তা-মেইপুরীয়
- পালিকুর
দক্ষিণাঞ্চলীয় মেইপুরীয়
কাউফমান মোখোস গোষ্ঠীর বিলুপ্ত মাগিয়ানা ভাষার কোন বিবরণ দেননি।
আইখেনভাল্ড (১৯৯৯)
কোনো ভাষার প্রকার ভাষা না উপভাষা, নাম পরিবর্তন এবং বিভিন্ন অপূর্ণভাবে নথিভুক্ত ভাষার বিষয় আলোচনা না করার মতো ছোটখাটো সিদ্ধান্ত ছাড়া, আইখেনভাল্ড এবং কাউফমানের শ্রেণীকরণেরে মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায় তা হলো আইখেনভাল্ড দক্ষিণ মেইপুরীয়ের দক্ষিণ বহিস্থ এবং পশ্চিম শাখাগুলিকে বিভক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ বহিস্থ (‘দক্ষিণ আরাওয়াক’) শাখার অবশিষ্টাংশে সালুমাঁঁ এবং লাপাচু (‘আপোলিস্টা’) ভাষাগুলিকে নিয়োগ করেছেন; উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়র সামুদ্রিক শাখাকে বিভক্ত করেছেন, যদিও আরোয়াঁঁ এবং পালিকুর ভাষাগুলিকে এই শাখায় রেখেছেন; এবং উত্তর মেইপুরীয়র উত্তর আমজনীয় শাখার উপ-গোষ্ঠীকরণকে মানতেন না।
নিম্নলিখিত শ্রেণীকরণটি কাউফমান দ্বারা অনুসৃত আইখেনভাল্ডের নামকরণ: উত্তর আরাওয়াক = উত্তরাঞ্চলীয় মেইপুরীয়
- রিও ব্রাঙ্কো = কাউফমানের ওয়াপিশানীয় (২) [“মাহুয়াইয়ানা” নামে মাপিদীয় এবং মাওয়াকোয়া সম্ভাব্য উপভাষা হিসাবে এর অন্তর্গত]
- পালিকুর = কাউফমানের পালিকুর + আরোয়াঁঁ (৩)
- কারিবীয় = তা-মেইপুরীয় (৮) [শেবায়ে সহ]
- উত্তর আমাজনীয় = উচ্চ আমাজন (১৭টি প্রত্যয়িত)
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আরাওয়াক = দক্ষিণ মেইপুরীয়
- দক্ষিণ আরাওয়াক = তেরেনা + কাউফমানের মোখো গোষ্ঠী + সালুমাঁঁ + লাপাচু [‘আপোলিস্তা’] (১১)
- পারেসি-শিঙ্গু = মধ্য মেইপুরীয় (৬)
- দক্ষিণ-পশ্চিম আরাওয়াক = পিরো (৫)
- কাম্পা (৬)
- আমুয়েশা (১)
- চামিকুরো (১)
আইখেনভাল্ড মোরিকে ভাষার পাশাপাশি কাউফমানের দ্বারা শ্রেণীকরণ করা হয়নি এমন ভাষা শ্রেণীবদ্ধ করেছেন। তিনি এমন ১৫টি বিলুপ্ত ভাষা শ্রেণীবদ্ধ করেননি যেগুলি কাউফমান মেইপুরীয়র বিভিন্ন শাখায় রেখেছিলেন। আইখেনভাল্ড (১৯৯: ৬৯) রিও ব্রাঙ্কো শাখার অধীনে মাহুয়াইয়ানা এবং ওয়াপিশানাকে একসঙ্গে শ্রেণীভুক্ত করেছেন, এবং মাওয়াইয়ানা ভাষাকে “মাপিদীয়” এবং “মাওয়াকোয়া” নাম প্রদান করেছেন।
ওয়াকার এবং রিবেইরো (২০১১)
বেজীয় কম্পিউটেশনাল ফায়োলজেনটিকস ব্যবহার করে ওয়াকার এবং রিবেইরো (২০১১), নিম্নরূপে আরাওয়াক ভাষাগুলিকে শ্রেণীবদ্ধ করেছেন।
আরাওয়াক উত্তরপূর্ব দক্ষিণ পশ্চিম আমাজনিয়া আমুয়েশা, চামিকুরো পরি-কারিবীয় মধ্য ব্রাজিল মধ্য আমাজনিয়া উত্তরপশ্চিম আমাজনিয়া প্রতিটি শাখা অভ্যন্তরীণ কাঠামো নিচে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য যে কঠোরভাবে বাইনারি বিভক্ত ব্যবহৃত বেজীয় কম্পিউটেশনাল পদ্ধতির একটি ফলাফল।
- উত্তরপূর্ব
- দক্ষিণ
- পশ্চিম আমাজনিয়া
- আমুয়েশা, চামিকুরো
- পরি-ক্যারিবীয়
- ওয়ারাইকু, মারাওয়া
- (অন্তঃশাখা)
- (দ্বীপ শাখা)
- তাইনো
- দ্বীপী ক্যারিব, গারিফুনা
- লোকোনো
- পারাহুয়ানো, গুয়াহিরো
- (দ্বীপ শাখা)
- মধ্য ব্রাজিল
- (শাখা)
- (শাখা)
- ইয়াওয়ালাপিতি
- ওয়াউরা, মেহিনাকু
- মধ্য আমাজনিয়া
- (শাখা)
- আনাউইয়া
- গুইনাও, বারে
- (শাখা)
- বাহুয়ানা, মানাও
- (শাখা)
- আরোয়াঁঁ
- (শাখা)
- কাবিয়াই
- মাহুয়াইয়ানা, ওয়াপিশানা
- (শাখা)
- উত্তরপশ্চিম আমাজনিয়া
আরাওয়াক বনাম মেইপুরীয়
১৭৮৩ সালে, ইতালীয় যাজক ফিলিপ্পো সালভাতোরে গিলিয়ি ওরিনোকোর মেইপুরীয় ভাষার এবং বলিভিয়ার মোখো ভাষার মধ্যে সাদৃশ্য দেখতে পান; তিনি এই ভাষা পরিবারের নাম দেন মেইপুরে। ফন ডেন শটাইনেন (১৮৮৬) এবং ব্রিন্টেন (১৮৯১) এর নাম পরিবর্তন করে এই ভাষাপরিবারের অন্যতম গুইয়ানা অঞ্চলের আরাওয়াক ভাষার নামে নামকরণ করেন। বর্তমানে এই ভাষা পরিবারকে মেইপুরিয়ান বা মেইপুরান এবং আরাওয়াক বা আরাওয়াকান বলা হয়।
আরাওয়াক শব্দটি বর্তমানে দুটি অর্থে ব্যবহার করা হয়। দক্ষিণ আমেরিকার পণ্ডিতরা এই ভাষা পরিবারের জন্য গিলিয়ি এবং পরবর্তী ভাষাবিদদের দ্বারা প্রদর্শিত আরুয়াক শব্দটি ব্যবহার করেন। তবে উত্তর আমেরিকার বিদ্বানরা এই একই নামের দ্বারা একটি প্রকল্পিত ভাষা পরিবারকে বোঝাতেন, যার মধ্যে গুয়াহিবো এবং আরাওয়ান ভাষা গোষ্ঠীগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় মূল পরিবারকে আলাদা করার জন্য মেইপুরিয়ান নামটি ব্যবহার করে থাকেন, যেটিকে কখনও কখনও অন্তঃআরাওয়াক বা মূল আরাওয়াক বলা হয়ে থাকে।[৬][৭]
বৈশিষ্ট্য
আরাওয়াকান বা মেইপুরীয় ভাষাগুলি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে মূলত একটি পৃথক গোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃত ছিল। বর্তমানে যে ভাষাগুলি আরাওয়াক নামে প্রচলিত তাদের প্রত্যেকটির উত্তম-পুরুষ একবচন উপসর্গ নু-, কিন্তু মূল আরাওয়াক গোষ্ঠীর ভাষাগুলিতে সেটি তা-। অন্যান্য মিলের মধ্যে রয়েছে মধ্যম-পুরুষ একবচন উপসর্গ পি-, সম্বন্ধবাচক কা-, এবং নঞর্থক মা-।
এল অ্যাডাম দ্বারা গঠিত আরাওয়াক ভাষা পরিবার, যেটিকে তিনি প্রথমে মেইপুরে নাম দিয়েছিলেন, সেটিকে ফন ডেন শটাইনেন “নু-আরাওয়াক” নাম দিয়েছিলেন, উত্তম-পুরুষ নু- উপসর্গের জন্য। ওলন্দাজ গুইয়ানা থেকে ব্রিটিশ গুইয়ানার উপকূল পর্যন্ত সব আরাওয়াক জাতির ভাষার মধ্যে এই মিলটি রয়েছে।
উচ্চ প্যারাগুয়েতে আরাওয়াক ভাষার উপজাতিরা বিদ্যমান: কিঙ্কিনাও, লায়ানা, ইত্যাদি। আমাজন নদীর মোহনার মাঝখানে, মারাখোস দ্বীপপুঞ্জে, আরুওয়ান লোকেরা আরাওয়াক উপভাষায় কথা বলতেন। ভেনেজুয়েলার উত্তরে গোয়াখিরা উপদ্বীপে যে গোয়াখিরা উপজাতিরা বাস করেন তারাও আরাওয়াক ভাষী। ডি ব্রেটের ১৮৯০-৯৫ সালের অনুমান অনুযায়ী গোয়াখিরা জাতির জনসংখ্যা ৩,০০০।[৮]
১৯২৮ সালে ক্লডিয়াস ড্যে ঘোয়ে ওলন্দাজ এবং গুইয়ানা লোকোনো/আরাওয়াকের ১৪০০টি পদের একটি শব্দভান্ডার প্রকাশ করেন, যার মধ্যে অধিকাংশ রূপমূল (ধাতু, প্রত্যয়), এবং অসম্পুর্ণ মূল ছিল, সামান্য পরিমানে যৌগিক বা সাধিত শব্দ ছিল। এছাড়াও ন্যন্সি হিকার্সনের ব্রিটিশ গুইয়ানার পাণ্ডুলিপি থেকে ৫০০টি পদের একটি তালিকা পাওয়া যায়। তবে এই তালিকাগুলিতে স্পেনীয়, ওলন্দাজ এবং ইংরেজি থেকে নেওয়া শব্দঋণের সংখ্যা বেশি ছিল। ড্যে ঘোয়ের তালিকায় ১০৬টিতে ইউরোপীয় ছাপ পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৯৮টি ছিল শব্দঋণ।[৯]
ধ্বনিতত্ত্ব
একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষার মধ্যে বিভিন্নতা থাকলেও একটি যৌগিক ধ্বনিতালিকা নিম্নে দেওয়া হলো:[১০]
ব্যঞ্জনধ্বনি ওষ্ঠ্য দন্ত্য দন্তমূলীয় শীর্ষ-(দন্তমূলীয়)-
তালব্যপশ্চাত্তালব্য কণ্ঠনালীয় স্পর্শ ঘোষ (b) d ɡ অঘোষ p t k (ʔ) অঘোষ মহাপ্রাণ (pʰ) (tʰ) (kʰ) উষ্ম ts tʃ ঘৃষ্ট (ɸ) s ʃ h পার্শ্বিক l র-কার r নাসিক্য m n ɲ অর্ধস্বর w j সদৃশ মূলরূপীয় বৈশিষ্ট্য
সার্বিক মূলরূপ
আরাওয়াক ভাষাগুলি বহুসংশ্লেষণাত্নক এবং প্রধানত শির-চিহ্নিত। এদের ক্রিয়াপদ গঠন প্রক্রিয়া মোটামুটি জটিল। বিশেষ্যপদ গঠন প্রক্রিয়া অনেক কম জটিল এবং পরিবার জুড়ে অনুরূপ হতে থাকে। এই ভাষাগুলি প্রধানত পরসর্গীয়, কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গ ব্যবহার হয়।[১১]
অবিচ্ছেদ্য এবং বিচ্ছেদবোধক সম্বন্ধবাচকতা
আরাওয়াক ভাষাগুলিতে সম্বন্ধবাচকতায় অবিচ্ছেদ্য এবং বিচ্ছেদবোধকতার পার্থক্য করার প্রবণতা আছে। এই ভাষাগুলিতে যে একটি সর্বজনীন বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হলো একটি পরসর্গ, যার পুনর্নির্মিত প্রত্ন-আরাওয়াক রূপ হলো /*-tsi/ (*ৎসি), যার মাধ্যমে শরিরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ সম্বন্ধীয় বিশেষ্য পদগুলির সম্বন্ধবাচকতা লোপ পায়। এই পরসর্গটি শুধুমাত্র অবিচ্ছেদ্য শরীরাঙ্গের সাথেই ব্যবহার করা হয়। জ্ঞাতিত্ববোধক বিশেষ্যপদগুলি অবিচ্ছেদ্য সম্বন্ধ হলেও এই পরসর্গ যোগ হয় না। পারেসি ভাষার একটি উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:[১১]
নো-তিহো 1SG-face আমার মুখ তিহো-তি face-ALIEN (অন্য ব্যক্তির) মুখ শ্রেণীনির্দেশক
অনেক আরাওয়াক ভাষার মধ্যে শ্রেণীনির্দেশক জাতীয় রূপমূল রয়েছে যা বিশেষ্য পদগুচ্ছের প্রধান বিশেষ্য পদটির শ্রেণী চিহ্নিত করে। নিচের উদাহরণটি তারিয়ানা ভাষা থেকে নেওয়া।[১২] এখানে শ্রেণীনির্দেশক পরসর্গটি বিশেষ্য পদগুচ্ছের শব্দশ্রেণীটি প্রধান বিশেষ্যপদ (এবং বিশেষণ, সংখ্যা, নির্দেশক, সম্বন্ধবাচক শব্দ) এবং বাক্যাংশের ক্রিয়া ছাড়া বিশেষ্য পদগুচ্ছের বাকি সকল উপাদানে চিহ্নিত করে:[১২]
হা-দাপানা পা-দাপানা পানি-সি নু-ইয়া-দাপানা হানু-দাপানা DEM-CL:HOUSE one-CL:HOUSE house-NON.POSSV 1SG-POSSV-CL:HOUSE big-CL:HOUSE হেকু না-নি-নি-দাপানা-মাহকা wood 3PL-make-TOPIC.ADVANCING.VOICE-CL.HOUSE-REC.PAST.NON.VISUAL ‘আমার এই বড়ো ঘরটি কাঠ দিয়ে তৈরি।’ উদাহরণ
বিভিন্ন পশ্চিম ইউরোপীয় ভাষায় ভুট্টার জন্য ব্যবহৃত শব্দটি আরাওয়াক ভাষার মারিসি শব্দ থেকে এসেছে, এবং এই শব্দের বিভিন্ন রূপ আরাওয়াক ভাষার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন উপজাতীয় ভাষায় পাওয়া যায়: লোকোনো, মারিসি, গায়ানা। তাইনো, মাহিসি, বৃহত্তর আন্টিলিস। কাউইশানা, মাজি, রিও খুপুরা। ওয়াইউ, মাইক্কি, গোয়াখিরা উপদ্বীপ। পাসেস, মারি, নিম্ন খুপুরা। পুরি, মাকি, রিও পারাইবা। ওয়াউরা, মাইনকি, উচ্চ শিঙ্গু নদী।
-
অস্ট্রোনেশীয় ভাষাসমূহ
অস্ট্রো-এশীয় ভাষাসমূহ /ˌɔːstroʊ.eɪʒiˈætɪk/ বা মোন-খ্মের ভাষাসমূহ [১] /moʊnˌkəˈmɛər/ হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে প্রচলিত একটি বড় ভাষা পরিবার। লাতিন আস্ত্রো (অর্থাৎ “দক্ষিণ”) এবং গ্রিক “আসিয়া” (এশিয়া) মিলে এই ভাষাগুলির নাম করা হয়েছে। প্রায় ১১৭ মিলিয়ন ভাষাভাষী এসব ভাষায় কথা বলে। [২] এই ভাষাগুলির মধ্যে কেবল ভিয়েতনামীয় ভাষা, খ্মের ভাষা ও মোন ভাষার দীর্ঘ লিখিত ইতিহাস বিদ্যমান, এবং কেবল ভিয়েতনামীয় ও খমের ভাষা সরকারি ভাষার মর্যাদাপ্রাপ্ত (যথাক্রমে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায়)। অন্য ভাষাগুলি বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে প্রচলিত।
অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলি ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত। এই অঞ্চলগুলির মাঝখানের এলাকাগুলিতে অন্যান্য ভাষা প্রচলিত। অনেকে মনে করেন অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলিই ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব অংশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্বত্র প্রচলিত দেশী ভাষা ছিল। এই অঞ্চলের প্রচলিত অন্যান্য ভাষা, যেমন ইন্দো-ইউরোপীয়, তাই-কাদাই, দ্রাবিড় ও চীনা-তিব্বতি ভাষা পরিবারের ভাষাগুলি এই অঞ্চলে অন্য জাতির মানুষদের অণুপ্রবেশের ফলে প্রচলিত হয়।
শ্রেণীবিভাগ
ভাষাবিজ্ঞানীরা অস্ট্রো-এশীয় ভাষাগুলিকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করেছেন:
- মোন-খ্মের ভাষাসমূহ; এগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে প্রচলিত।
- মুন্ডা ভাষাসমূহ; এগুলি পূর্ব ও মধ্য ভারত এবং বাংলাদেশের অঞ্চলবিশেষে প্রচলিত।
এথ্নোলগ অনুসারে ১৬৮টি অস্ট্রো-এশীয় ভাষা আছে। এগুলির মধ্যে ১৪৭টি মোন-খ্মের জাতীয় ভাষা এবং ২১টি মুন্ডা জাতীয় ভাষা।
-
প্রবেশদ্বার:সাহিত্য
প্রবেশদ্বার:সাহিত্য ভুমিকা সাহিত্য শব্দটির উৎপত্তি ‘সহিত’ শব্দ থেকে। দুনিয়ার ভাষাগুলিতে সমগ্র কল্পিত ও বাস্তব বিষয়ে রচনাকে সাহিত্য বলে। সাহিত্যের অনেক শ্রেণীবিভাগ। বিশ্বে সাহিত্যের সর্বোচচ সম্মান হল নোবেল সাহিত্য পুরস্কার। এশিয়ার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম এই পুরস্কার পান। মানুষের সমাজ জীবনে সাহিত্যের ভুয়সী প্রভাব ও গুরুত্ব আছে। ইতিহাস ও সমাজ গবেষণার ক্ষেত্রেও সাহিত্যের গুরুত্ব আছে। অন্যান্য ভাষার মত বাংলাভাষার সাহিত্যও সমৃদ্ধ। আরো দেখুন বিশেষ নিবন্ধ মহাভারত প্রাচীন ভারতের মহাকাব্য। কথিত আছে যে মহাভারতের রচয়িতা কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ বেদব্যাস লেখক হিসাবে গণেশকে নিযুক্ত করেন। গণেশ শর্ত দেন যে তার লেখনী (pen) কে একবারও যেন অপেক্ষা না করতে হয়। ১৮ পর্বে রচিত আদি মহাভারতে একলক্ষ শ্লোক আছে। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ই মে, ১৮৬১ – ৭ই আগস্ট, ১৯৪১)(২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ – ২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক,১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে।রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী কাজী নজরুল ইসলাম (২৫ মে ১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বাঙালি কবি এবং পরবর্তী কালে বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য এবং তিনি ছিলেন বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তার কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। আরো দেখুন বিশেষ জীবনী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলী জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মাতা ভুবনমোহিনী দেবী। তার মাতুলালয় ছিল হালিশহরে। তার মাতামহ ভাগলপুরের কাছারিতে কেরানীর কাজ করতেন। তিনি সেখানেই উপনিবিষ্ট হয়েছিলেন। মতিলাল লেখাপড়া শিখেছিলেন, চাকরিও করতেন। সংসারে বারংবার অর্থকষ্ট ঘটায় তিনি কন্যা-পুত্র-পত্নীকে নিয়ে ভাগলপুরে শ্বশুরগোষ্ঠীর আশ্রয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে শরৎচন্দ্র তেজনারায়ণ জুবিলী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৮৯৪ সালে এনট্রান্স পরীক্ষা পাস করে এফ.এ. ক্লাসে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে অর্থাভাবে পড়াশুনায় ইস্তফা দিতে বাধ্য হন। শরৎচন্দ্রের সাহিত্য সাধনার হাতেখড়ি হল ভাগলপুরে। তার অনেক গল্প, যা পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়ে তার যশ বৃদ্ধি করেছে, তার খসড়া এই সময়েই লেখা। যেমন: চন্দ্রনাথ, দেবদাস। কলকাতা থেকে বর্মা যাবার কালে তিনি তার একটি গল্প “মন্দির” কুন্তলীন পুরষ্কারের জন্য দাখিল করে যান। গল্পটি প্রথম পুরষ্কার পায় এবং কুন্তলীন পুস্তিকামালায় প্রকাশিত হয় ১৩১০। বর্মাতে তিনি সাহিত্যসাধনা চালিয়ে যেতে থাকেন। সেখানে লেখা “বড়দিদি” গল্পটি “ভারতী” পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বর্মাতে থাকতে শেষের দিকে তিনি ইংরেজি উপন্যাস থেকে কিছু সারবস্তু গ্রহণ করে নিজেই উপন্যাস রচনা করেছিলেন। সেসব উপন্যাসের মধ্যে দত্তা, দেনাপাওনা ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এছাড়াও আরও অনেক সমাদৃত উপন্যাস তিনি রচনা করেছেন। মৃত্যুর কিছুকাল আগে তিনি কলকাতায় বালিগঞ্জ অঞ্চলে বাড়ি করেছিলেন। কলকাতাতেই তাঁর জীবনাবসান হয়। আরো দেখুন বিশেষ উক্তি “ আয়ু হিসেবে চেয়েছিলাম দুই চার দিন,
দুটি কাটল ভালোবেসে, দুটি পথ চেয়ে। ” -বাহাদুর শাহ জাফর সম্রাট বাহাদুর শাহ্ জাফর বা ২য় বাহাদুর শাহ্ (অক্টোবর ২৪, ১৭৭৫ – নভেম্বর ৭, ১৮৬২) মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট। সিপাহী বিপ্লবের শেষে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসকেরা তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করে ও রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। style=”background-color: টেমপ্লেট:Indian National Congress/meta/color” |আপনি জানেন কি? কায়কোবাদ রচিত মহাশ্মশান বাংলা ভাষার স্বতন্ত্র মহাকাব্য। ছবিসর্বকালের সেরা নাট্যকারদের একজন জর্জ বার্ণাড শ্য। সহপ্রবেশদ্বার প্রবেশদ্বার:বাংলা সাহিত্য প্রবেশদ্বার:উপন্যাস প্রবেশদ্বার কী? প্রবেশদ্বারসমূহের তালিকা নির্বাচিত প্রবেশদ্বার সার্ভার ক্যাশ খালি করুন