Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

Bengali language and literature

  • বাক্যতত্ত্ব

    বাক্যতত্ত্ব (ইংরেজি: Syntax) নামক ভাষাবিজ্ঞানের শাখায় বাক্যের গঠন নিয়ে আলোচনা করা হয়। আরও সঠিকভাবে বলতে গেলে একাধিক শব্দ কী নিয়মে যুক্ত হয়ে বৃহত্তর এককসমূহ (যাদের মধ্যে বাক্য প্রধানতম একক) গঠন করে এবং এই বৃহত্তর এককগুলোর বৈশিষ্ট্য কী, সেটাই বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

    বৃহত্তর খণ্ডবাক্য-সদৃশ (clause-like) এককে প্রদর্শিত আচরণের ওপর ভিত্তি করে শব্দসমূহের শ্রেণীবিভাগ, বাক্যের গঠনের ওপর শব্দের আভিধানিক (lexical) অর্থের প্রভাব, বিভিন্ন প্রকারের বাক্যের মধ্যকার বিধিবদ্ধ (formal) সম্পর্ক আবিষ্কার, ইত্যাদি বাক্যতাত্ত্বিকদের (syntactician) গবেষণার বিষয়।

    আধুনিক বাক্যতত্ত্বে বিমূর্তন (abstraction) গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা। ধারণা করা হয় প্রতিটি বাক্যের বহিঃস্থ ধ্বনিতাত্ত্বিক (phonetic) রূপ বা তলের (surface structure) বিপরীতে একটি গভীর সাংগঠনিক তল (deep structure) বিদ্যমান, এবং এই তলদ্বয় এক ধরনের “রূপান্তর” (transformation) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংযুক্ত।

    বিশুদ্ধ তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাক্যতত্ত্বের কাজ মানুষের ভাষাবোধের একটি বিধিনির্ভর (formal) মডেল তৈরিতে সাহায্য করা। আবার শ্রেণীকরণবিদ্যার (typology) দৃষ্টিকোণ থেকে বাক্যতত্ত্বের লক্ষ্য বিভিন্ন ভাষার উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের মধ্যে সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য খুঁজে বের করে কিছু বর্ণনামূলক (descriptive) সাধারণ বৈশিষ্ট্য সংগ্রহ করা।

    বাক্যতত্ত্বের বিধিবদ্ধ মডেল হিসেবে নোম চম্‌স্কি-র প্রস্তাবিত ‘Principles and Parameters’ মডেলটি বর্তমান বাক্যতাত্ত্বিকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

    উৎপত্তি

    বাক্যতত্ত্ব শব্দটি প্রাচীন গ্রিক σύνταξις থেকে এসেছে যার অর্থ হল “সমন্বয়”, যার মধ্যে রয়েছে σύν syn, “একসাথে,” এবং τάξις táxis, “একটি ক্রম”।

    উদ্দেশ্য, ক্রিয়া এবং বিধেয়

    একটি ভাষায় বাক্য গঠনের মৌলিক বৈশিষ্ট্য ক্রম হল উদ্দেশ্য (এস), ক্রিয়া (ভি), এবং বিধেয় (ও) যা সাধারণত বাক্যের মধ্যে প্রদর্শিত হয়। প্রায় ৮৫% ভাষায় সাধারণত উদ্দেশ্য প্রথমে থাকে, ক্রমানুসারে এসভিও বা ক্রম এসওভি। অন্যান্য সম্ভাব্য অনুক্রমগুলি ভিএসও, ভিওএস, ওভিএস এবং ওএসভি তাদের মধ্যে শেষ তিনটি বিরল।

    প্রাথমিক ইতিহাস

    আধুনিক বাক্যতত্ত্ব আসার আগেই প্রাচীন ভারতে লিখিত ছিল পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী (সি. চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) যাকে আধুনিকোত্তর কাজের একটি উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা হয় যা আধুনিক বাক্যতত্ত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমে চিন্তার স্কুলটি “প্রথাগত ব্যাকরণ” নামে পরিচিত হয়ে উঠেছিল যা মূলত ডায়নোসিয়াস থ্র্যাক্সের কাজের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।

    শতাব্দী জুরে বাক্যতত্ত্বের উপর যে কাজগুলো হয়েছে তা গ্রামেইর জেনারেল(grammaire générale) নামে পরিচিত একটি কাঠামো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আসতেছে, ১৬৬০ সালে একই শিরোনামের একটি বইয়ে অ্যান্টনি আর্নল্ডের মাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। এই সিস্টেমটি তার মৌলিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করেছিল যেখানে ভাষা হল চিন্তা প্রক্রিয়াগুলির একটি প্রত্যক্ষ প্রতীক এবং সর্বাধিক স্বাভাবিক উপায়ে চিন্তাকে প্রকাশ করার একটি একক ।

    যাইহোক, ঐতিহাসিক-তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের উন্নয়নের সাথে সাথে উনিশ শতকে ভাষাবিদগণ মানব ভাষাগুলির নিবিড় বৈচিত্র্য উপলব্ধি করতে এবং ভাষা ও যুক্তিবিজ্ঞানের মধ্যে মৌলিক ধারণাগুলির সম্পর্ক নিয় প্রশ্ন করতে শুরু করেছিলেন। এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছিল যে চিন্তাকে প্রকাশ করার সবচেয়ে স্বাভাবিক কোন উপায় ছিল না, এবং সেইজন্য লজিককে ভাষার কাঠামো অধ্যয়ন করার জন্য ভিত্তি হিসাবে নির্ভর করা যেতে পারে না।

    পোর্ট-রয়্যাল ব্যাকরণ লজিকের উপর ভিত্তি করে বাক্যতত্ত্বের অধ্যয়ন পরিচালনা করেছে। (প্রকৃতপক্ষে, পোর্ট-রয়েল লজিকের বৃহৎ অংশগুলি গ্রামেইর জেনারেল থেকে কপি করা বা রূপান্তরিত হয়েছিল। বাক্যতত্ত্বের বিভাগগুলিকে লজিক্যাল শনাক্তকরণের সাথে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং “সাবজেক্ট-কোপালা-প্রেডিকেট” অনুসারে সকল বাক্যকে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই মতামতটি তুলনামূলক ভাষাবিদ যেমন ফ্রাঞ্জ বোপ্পের দ্বারাও গৃহীত হয়েছিল।

    তাত্ত্বিক ভাষাতত্ত্বের মধ্যে বাক্যতত্ত্বের কেন্দ্রীয় ভূমিকা কেবল স্পষ্ট হয়ে ওঠেছিল বিংশ শতাব্দীতে, যুক্তিসঙ্গতভাবে যাকে “বাক্যতত্ত্বের শতাব্দী” বলা যেতে পারে যা ভাষাতত্ত্বের সাথে সংশ্লিষ্ট। (গত দুই শতাব্দীতে বাক্যতত্ত্বের ইতিহাসের বিস্তারিত ও সমালোচনামূলক জরিপের জন্য, জর্জজি গ্রাফি (২০০১) এর স্মরণীয় কাজটি দেখুন।

    আধুনিক তত্ত্ব

    বাক্যতত্ত্বের অনেকগুলো তাত্ত্বিক পন্থা আছে। ডেরেক বিকার্টনের রচনায় চিন্তার একটি গঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যেখানে বাক্যতত্ত্বকে জীববিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে দেখান হয়েছে, যেহেতু এটি মানুষের মনের মত ভাষাগত জ্ঞানের অধ্যয়নের মত বাক্যতত্ত্ব ধারণ করে। অন্যান্য ভাষাবিদগণ (যেমন, গেরাল্ড গাজডার) আরও প্ল্যাটোনিস্টিক মতামত গ্রহণ করেন, যেহেতু তারা বাক্যতত্ত্বকে একটি বিমূর্ত আনুষ্ঠানিক পদ্ধতির অধ্যয়ন হিসেবে বিবেচনা করে। তবুও অন্যদের মধ্যে (উদাঃ, জোসেফ গ্রীনবার্গ) সমস্ত ভাষা জুড়ে বিস্তৃত সাধারণীকরণের জন্য বাক্যতত্ত্বকে একটি করণীয় যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেন।

    উৎপাদক ব্যাকরণ

    উৎপাদক ব্যাকরণের অনুমানুযায়ী ভাষা হল মানুষের মন দিয়ে তৈরি একটি কাঠামো। উৎপাদক ব্যাকরণের লক্ষ্য হল অভ্যন্তরীণ ভাষার একটি সম্পূর্ণ মডেল তৈরি করা (আমি-ভাষা হিসাবে পরিচিত)। এই মডেলটি সমস্ত মানব ভাষা বর্ণনা করতে পারবে এবং যেকোনো উচ্চারণকে (যা কিনা উচ্চারণ ভাষাটির স্থানীয় ভাষাকে সঠিক বলে মনে হবে, ভবিষ্যদ্বাণী করা) এর ব্যাকরণগততার পূর্বাভাস দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাষার এই তত্ত্বটি নোম চম্‌স্কি দ্বারা প্রবর্তিত হয়েছে। বেশিরভাগ উৎপাদনী তত্ত্বে (যদিও সবগুলিই নয়) অনুমান করা হয় যে বাক্যতত্ত্ব বাক্যের গঠনগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়। উৎপাদক ব্যাকরণ তত্ত্বগুলির মধ্যে অন্যতম যা প্রাথমিকভাবে একটি বাক্যের গঠনের উপর জোর দেয় তবে কথোপকথনমূলক ফাংশনের উপর তেমন গুরুত্ব দেয়না।

    ভাষাতত্ত্বের বহু উৎপাদক তত্ত্বগুলির মধ্যে চম্‌স্কীয় তত্ত্বগুলি হল:

    • রূপান্তরমূলক ব্যাকরণ: (১৯৫৭ সালে চমস্কি দ্বারা উৎপাদিত বাক্যতত্ত্বের মূল তত্ত্ব)
    • সরকার ও বাইন্ডিং তত্ত্ব: (১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে রূপান্তরমূলক ব্যাকরণের রিবাইসড তত্ত্বটি মূলত চমস্কি দ্বারা নির্মিত)
    • ন্যূনতাবাদী কর্মসূচী : (১৯৯৫সালে চমস্কি দ্বারা প্রকাশিত সরকার ও বাইন্ডিং তত্ত্বের ফ্রেমওয়ার্কের পুনর্বিন্যাস)

    উৎপত্তিমূলক দৃষ্টান্তে তাদের উৎপত্তি খুঁজে পাওয়া যায় এমন অন্যান্য তত্ত্বগুলি হল:

    • আর্ক জোড়া ব্যাকরণ
    • সাধারণ শব্দগুচ্ছ গঠনগত ব্যাকরণ (এখন বেশিরভাগ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে)
    • উৎপাদক শব্দার্থবিদ্যা (এখন বেশিরভাগ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে)
    • মস্তিষ্ক-চালিত বাক্যাংশ গঠনগত ব্যাকরণ
    • আভিধানিক ব্যবহারগত ব্যাকরণ
    • ক্ষুদ্র বাক্যতত্ত্ব
    • সম্পর্কবাচক ব্যাকরণ (এখন বেশিরভাগ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে )

    শ্রেণীগত ব্যাকরণ

    শ্রেণীগত ব্যাকরণ হল একটি পদ্ধতি যা ব্যাকরণের বাক্যতত্ত্বগত কাঠামোকে নির্দেশ করে এর নিয়মকে নয়, তবে বাক্যতত্ত্বগত শ্রেণির বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে নিজেকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, বাক্যগুলিকে এমন একটি নিয়ম দ্বারা গঠন করা হয় যেখানে একটি বিশেষ্য ফ্রেজ(এনপি) এবং একটি ক্রিয়া ফ্রেজের (ভিপি) মধ্যে সমন্বয় সাধন করা হয় (উদাহরণস্বরূপ, ফ্রেজ গঠন নীতির এস → এনপি ভিপি), ক্যাটাগরিকাল ব্যাকরণের মধ্যে এই নীতিগুলির সংমিশ্রণ করা হয় যেখানে নীতিগুলি এম্বেড করা হয় শব্দ নিজেই সেখানে একটি বিভাগ। সুতরাং একটি অকর্মক ক্রিয়ার একটি জটিল সূত্র একটি কার্যকরী শব্দ হিসাবে কাজ করে যা একটি এনপি হিসাবে একটি ইনপুট হিসাবে কাজ করে এবং একটি আউটপুট হিসাবে একটি বাক্যে স্তর কাঠামো উত্পাদনে প্রতিনিধিত্ব করে। এই জটিল শ্রেণিটি ভি. এনপি\ এস এর পরিবর্তে (এনপি \ এস) হিসাবে উল্লেখ করা হয় “একটি বিভাগ যা বাম দিকে অনুসন্ধান করে (দ্বারা নির্দেশিত হয়) একটি এনপি (বামের উপাদান) এবং একটি বাক্য (আউটপুট) ডানদিকে উপাদান)। “অকর্মক ক্রিয়ার শ্রেণিটিকে একটি উপাদান হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যার একটি বাক্য গঠন করতে দুটি এনপি (তার বিষয় এবং এর সরাসরি বস্তু) প্রয়োজন হয়। এটি (এনপি / (এনপি \ এস)) হিসাবে উল্লিখিত হয় যার মানে “একটি বিভাগ যা একটি এনপি (বস্তুর) জন্য ডান (অনুসন্ধান দ্বারা) / অনুসন্ধান করে এবং একটি ফাংশন (ভিপি সমতুল্য) তৈরি করে (এনপি \ এস), যা পাল্টে একটি ফাংশন প্রতিনিধিত্ব করে যা একটি এনপি জন্য বাম অনুসন্ধান এবং একটি বাক্য উৎপন্ন করে। “

    নির্ভরতা ব্যাকরণ

    নির্ভরতা গঠনের অধীনে “আলফ্রেড বক্তৃতা” হল একটি বাক্যসংক্রান্ত ফ্রেজ নির্ভরতা ব্যাকরণ হল বাক্য কাঠামোর একটি পদ্ধতি যেখানে সিনট্যাক্টিক ইউনিটগুলিকে নির্ভরতার সম্পর্ক অনুসারে সাজানো হয়, যেহেতু রেফারেন্স কাঠামোটির সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে ব্যাকরণগুলির সম্পর্কের বিরোধিতা করে। নির্ভরতাগুলি শব্দের মধ্যে লিঙ্কগুলি নির্দেশ করে। সসীম ক্রিয়াকে সকল ক্লজ গঠনের মূল অংশ হিসেবে দেখা হয় এবং অন্যান্য মূল শব্দের অর্থ এই পদ্ধতিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এই মূলের উপর নির্ভরশীল। বাক্যতত্ত্বের কিছু বিশিষ্ট নির্ভরশীলতা ভিত্তিক তত্ত্বগুলি হল:

    • পুনরাবৃত্ত বিবরণের বাক্যতত্ত্ব বা বীজগাণিতিক বাক্যতত্ত্ব
    • কার্যকরী উৎপাদক বর্ণনা
    • অর্থ-পাঠ্য তত্ত্ব
    • অপারেটর ব্যাকরণ
    • শব্দ ব্যাকরণ

    লুসিইয়াঁ তেনিয়ে-কে (১৮৯৩-১৯৫৪) ব্যাপকভাবে বাক্যতত্ত্ব এবং ব্যাকরণের আধুনিক নির্ভরতা ভিত্তিক তত্ত্বের পিতা হিসেবে দেখা হয়। তিনি দফতরের বাইনারি বিভাগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে তর্ক করেন এবং বিধেয় কে ব্যাকরণের সহযোগী (এস → এনপি ভিপি) হিসেবে মনে করেন এবং যা অধিকাংশ বাক্যাংশ গঠন ব্যাকরণের মূল অংশে থাকে। এই বিভাগের জায়গায় তিনি সমস্ত ক্লজ কাঠামোর মূল হিসাবে ক্রিয়াকে স্থান দিয়েছেন।

    স্টকাস্টিক / সম্ভাব্য ব্যাকরণ / নেটওয়ার্ক তত্ত্ব

    বাক্যতত্ত্বের তাত্ত্বিক পন্থা যা সম্ভাব্যতা তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় যা স্টকাস্টিক ব্যাকরণ নামে পরিচিত। এই ধরনের একটি পদ্ধতির সাধারণ বাস্তবায়নকে একটি স্নায়ুতন্ত্রের নেটওয়ার্ক বা সংযোগবাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।

    কার্যকারিতার ব্যাকরণ

    কার্যকারিতার তত্ত্ব যদিও গঠনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাদের একটি বাক্যের কার্যের উপর ভিত্তি করে ব্যাখ্যা করা হয় (যেমন তার কার্যকরী ফাংশন)। কিছু সাধারণ ক্রিয়ামূলকবাদী তত্ত্ব হল:

    জ্ঞানীয় ব্যাকরণ

    • নির্মাণ ব্যাকরণ
    • জরুরী ব্যাকরণ
    • কার্যকরী বক্তৃতা ব্যাকরণ
    • প্রাগ ভাষাগত বৃত্ত
    • ভূমিকা এবং রেফারেন্স ব্যাকরণ
    • সিস্টেমিক ক্রিয়ামূলক ব্যাকরণ

    তথ্যসূত্র

    উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি

    পটভূমিক আলোচনা

    • Burton-Roberts, N. (1986) Analysing Sentences: An Introduction to English Syntax. Cambridge: CUP.
    • Cook, V. & M. Newson (1996/2006) Chomsky’s Universal Grammar. An Introduction. Oxford: Blackwell.
    • Radford, A. (1988) Transformational Grammar: A First Course. CUP, 1988.
    • Tallerman, M. (1998/2005). Understanding Syntax. London: Arnold.

    সাধারণ পাঠ্যপুস্তক

    • Adger, D. (2002) Core Syntax: a Minimalist Approach. Oxford: OUP.
    • Carnie, A. (2002/2006) Syntax: A Generative Introduction. Oxford: Blackwell.
    • Culicover, P.J. (1997) Principles and Parameters: An Introduction to Syntactic Theory. Oxford: OUP.
    • Green, G. and Morgan, J. 2001. Practical Guide to Syntactic Analysis. CSLI Publications.
    • Haegeman, L. (1994) Introduction to Government and Binding Theory. Oxford: Blackwell.
    • Haegeman, L. and J. GuŽron (1999) English Grammar. A Generative Perspective. Oxford: Blackwell.
    • Haegeman, L. (2006) Thinking Syntactically. A Guide to Argumentation and Analysis. Oxford: Blackwell.
    • Hornstein, N., J. Nunes and K. Grohmann (2005) Understanding Minimalism. Cambridge: CUP.
    • Lasnik, H. and J. Uriagereka (1988) A Course in GB Syntax: Lectures on Binding and Empty Categories. Cambridge, Mass.: MIT Press.
    • Lasnik, H. and J. Uriagereka (2005) A Course in Minimalist Syntax. Foundations and Prospects. Oxford: Blackwell.
    • Napoli, D.J. (1993) Syntax: Theory and Problems. Oxford: OUP.
    • Ouhalla, J. (1999) Introducing Transformational Grammar. London: Arnold.
    • Poole, G. (2002) Syntactic Theory. London: Palgrave.
    • Radford, A. (1988) Transformational Grammar: A First Course. Cambridge: CUP.
    • Radford, A. (2004) Minimalist Syntax. Cambridge: CUP.
    • Roberts, I. (1997) Comparative Syntax. London: Arnold.

    বিভিন্ন বাক্যতত্ত্বের পর্যালোচনা

    • Edmondson, Jerold and Donald A. Burquest (1998) A Survey of Linguistic Theories. (3rd ed.) Dallas: Summer Institute of Linguistics.
    • Sampson, Geoffrey (1980) Schools of Linguistics.
    • Sells, Peter (1985) Lectures on Contemporary Syntactic Theories. Stanford: CSLI Publications.

    চম্‌স্কীয় (রূপান্তরমূলক) সঞ্জননী বাক্যতত্ত্ব

    শুরু

    • Chomsky, Noam (1975). The Logical Structure of Linguistic Theory. Chicago: University of Chicago Press. (Written in 1955)
    • Chomsky, Noam (1957). Syntactic Structures. The Hague: Mouton.

    মান তত্ত্ব (Standard Theory or ST)

    • Katz, Jerold J., and Paul M. Postal (1964). An Integrated Theory of Linguistic Descriptions. Cambridge, MA: MIT Press.
    • Chomsky, Noam (1965). Aspects of the Theory of Syntax. Cambridge, MA.: MIT Press.

    সম্প্রসারিত মান তত্ত্ব (Extended Standard Theory or EST)

    • Chomsky, Noam (1973). ‘Conditions on transformations.’ In Anderson S R & Kiparsky P (eds.) A Festschrift for Morris Halle. New York: Holt, Rinehart & Winston. 232–286. [Reprinted in Chomsky, Noam (1977). Essays on form and interpretation. New York, Amsterdam/Oxford: North-Holland, 80–160.]
    • Bach, E (1977). ‘Comments on the paper by Chomsky.’ In Culicover P W, Wasow T & Akmajian A (eds.) Formal syntax. New York: Academic Press. 133–155.

    শাসন ও বন্ধন (Government and Binding) তত্ত্ব

    • Chomsky, Noam (1981). Lectures on Government and Binding. Dordrecht: Foris.
    • Radford, Andrew (1988). Transformational Grammar: A First Course. Cambridge University Press.
    • Cowper, Elizabeth (1992). A Concise Introduction to Syntactic Theory: The Government and Binding Approach. Chicago: Chicago University Press.
    • Haegeman, Liliane (1994). Introduction to Government and Binding Theory. Oxford: Blackwell.
    • Cook, V. J. and Mark Newson (1996). Chomsky’s Universal Grammar: An Introduction (2nd ed.). Oxford: Blackwell.

    নীতি ও পরামিতি (Principles and Parameters) তত্ত্ব এবং ন্যূনতমবাদী প্রকল্প (the Minimalist Program)

    • Chomsky, Noam (1995). The Minimalist Program. Cambridge, MA: MIT Press.
    • Ouhalla, Jamal (1999). Introducing Transformational Grammar : From Principles and Parameters to Minimalism (2nd ed.). London: Edward Arnold.
    • Radford, Andrew (2004). Minimalist Syntax: Exploring the Structure of English. Cambridge: Cambridge University Press.
    • Carney, Andrew (2006). Syntax: A Generative Introduction (2nd ed.). Oxford: Blackwell.
    • Roberts, Ian (1997). Comparative Syntax. London: Edward Arnold.

    আভিধানিক কার্যমূলক ব্যাকরণ (Lexical Functional Grammar)

    • Dalrymple, Mary, Ronald Kaplan, John Maxwell and Annie Zaenen (eds.) (1995) Formal Issues in Lexical-Functional Grammar. Stanford: CSLI Publications.
    • Bresnan, Joan (2001) Lexical-Functional Syntax. Oxford: Blackwell.
    • Dalrymple, Mary (2001) Lexical Functional Grammar. New York: Academic Press.
    • Falk, Yehuda N. (2002) Lexical-Functional Grammar: An Introduction to Parallel Constraint-Based Syntax. Stanford: CSLI Publications.

    সাধারণীকৃত পদ সংগঠন ব্যাকরণ (Generalized Phrase Structure Grammar) এবং মস্তক-চালিত পদ সংগঠন ব্যাকরণ (Head Driven Phrase Structure Grammar)

    • Gazdar, Gerald, Ewan Klein, Geoffrey Pullum and Ivan Sag (1985) Generalized Phrase Structure Grammar. Cambridge: Harvard University Press.
    • Pollard, Carl and Ivan Sag (1994) Head-Driven Phrase Structure Grammar. Stanford: CSLI Publications and Chicago: The University of Chicago Press.
    • Borsley, Robert (1996) Modern Phrase Structure Grammar. Oxford: Blackwell.
    • Richter, Frank (2000) A Mathematical Formalism for Linguistic Theories with an Application in Head-Driven Phrase Structure Grammar. Ph.D. Dissertation. University of Tübingen.
    • Sag, Ivan, Thomas Wasow and Emily Bender (2003) Syntactic Theory: A Formal Introduction. (2nd ed.). Stanford: CSLI Publications.
    ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

    ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় ভাষাবৈজ্ঞানিক বর্ণনা বা বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলতে একটি বাক-সম্প্রদায়ে ভাষা কীভাবে প্রকৃতপক্ষে ব্যবহৃত হয় (বা অতীতে কীভাবে ব্যবহৃত হত) তার বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ ও বর্ণনাকে বোঝানো হয়।[১]

    ভাষাবিজ্ঞানের সমস্ত উচ্চশিক্ষায়তনিক গবেষণাকর্ম বর্ণনামূলক হিসেবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য বৈজ্ঞানিক শাস্ত্রের মতো এখানেও বস্তুনিষ্ঠভাবে বাস্তবতাকে বর্ণনা করার প্রচেষ্টা করা হয় এবং ভাষা কীরকম হওয়া উচিত, এ সংক্রান্ত সমস্ত পূর্বধারণাজাত পক্ষপাত পরিহার করা হয়।[২][৩][৪][৫] আধুনিক বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে ভাষাকে সাংগঠনিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হয়, যার দৃষ্টান্ত বিখ্যাত মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী লিওনার্ড ব্লুমফিল্ড ও অন্যান্যদের গবেষণাকর্মে পরিলক্ষিত হয়।[৬] এই ধরনের ভাষাবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাষার বর্ণনা করা হয়, যেমন মৌলিক উপাত্ত সংগ্রহ ও বিভিন্ন ধরনের উদ্ঘাটন পদ্ধতি (elicitation method)।[৭]

    বর্ণনামূলক বনাম বিধানমূলক ভাষাবিজ্ঞান

    ভাষাবৈজ্ঞানিক বর্ণনার সাথে প্রায়শই ভাষিক বিধানবাদের পার্থক্য করা হয়।[৮] ভাষিক বিধানবাদ সাধারণত শিক্ষাব্যবস্থায় ও প্রকাশনা খাতে বিদ্যমান, যেখানে কোনও ভাষার প্রমিত বা মানরূপের ব্যবহারকে বিধিবিধানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা হয় বা বলপূর্বক প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৯][১০]

  • প্রোটোটাইপ তত্ত্ব

    প্রোটোটাইপ তত্ত্ব (ইংরেজি: Prototype Theory) বোধ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত একটি ধারণা যা ধাপবিশিষ্ট ক্যাটেগরি বা শ্রেণী নির্মাণ আলোচনা করে। এই তত্ত্ব অনুসারে একটি ক্যাটেগরির সকল বস্তু সমান নয়। কিছু কিছু বস্তু ক্যাটেগরিটির সাথে বেশি সম্পৃক্ত। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজিতে furniture ধারণাটির একটি উদাহরণ দিতে বললে বেশির ভাগ লোক চেয়ারের উদাহরণ দেয়, কিন্তু ছোট স্টুলের উদাহরণ খুব কম লোকই দেয়। অর্থাৎ ফার্নিচার ক্যাটেগরিটিতে চেয়ার একটি অধিকতর কেন্দ্রীয় ধারণা, একটি প্রোটোটাইপ। ভাষাবিজ্ঞানে এই প্রোটোটাইপ তত্ত্ব ধ্বনিগত রূপ ও আর্থিক রূপের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে কাজে আসে।

    ১৯৭০-এর দশকে এলেয়ানর রশ এবং অন্যান্যরা প্রোটোটাইপ তত্ত্বের অবতারণা করেন।

  • পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

    পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (ইংরেজি Computational linguistics) জ্ঞানের একটি আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যেখানে পরিগণনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের মুখের স্বাভাবিক ভাষার পরিসংখ্যানগত বা গাণিতিক সূত্র-ভিত্তিক মডেল তৈরি করা হয়।

    প্রথাগতভাবে যেসব কম্পিউটার প্রকৌশলী পরিগণক যন্ত্র তথা কম্পিউটারের ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে স্বাভাবিক ভাষা প্রক্রিয়াজাতকরণের উপরে কাজ করতেন, তারাই মূলত পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের উপর কাজ করতেন। তবে বর্তমানে তারা ভাষাবিজ্ঞানী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞ, গণিতবিদ, যুক্তিবিদ, দার্শনিক, ধীবিজ্ঞানী, ধী-মনোবিজ্ঞানী, মনোভাষাবিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী এবং স্নায়ুবিজ্ঞানীদের সাথে একত্রে কাজ করেন।

    পরিগণণামূলক ভাষাবিজ্ঞানের তাত্ত্বিক ও ফলিত দুইটি দিকই আছে। তাত্ত্বিক পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান ও ধী-বিজ্ঞানগুলির বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া হয়। অন্যদিকে ফলিত পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানে মানুষের মুখের স্বাভাবিক ভাষার প্রতিমান তথা মডেল নির্মাণ করলে যে ব্যবহারিক সুবিধাগুলি পাওয়া সম্ভব সেগুলির উপর জোর দেওয়া হয়[১]

    অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিকস (Association for Computational Linguistics) পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানকে নিচের মত করে সংজ্ঞায়িত করেছে: …the scientific study of language from a computational perspective. Computational linguists are interested in providing computational models of various kinds of linguistic phenomena.[২] অর্থাৎ “[পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান] হল পরিগণনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষার বৈজ্ঞানিক গবেষণা। এর লক্ষ্য বিভিন্ন ভাষাগত ঘটনার পরিগণনামূলক মডেল তৈরি করা।”

  • নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান

    নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান হল ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করা হয়। সমাজস্থ যে মানুষেরা একই ভাষায় ভাব বিনিময় করে, তাদের ভাষার সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক আলোচনা করে নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান। সেই সমাজের ঐতিহ্য, বিশ্বাস, প্রথা, পারিবারিক সংগঠন প্রভৃতির সঙ্গে ভাষার সম্পর্ক কী, তাই নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। এতে মূলত এমন ধরনের ভাষা নিয়ে গবেষণা হয় যেসব ভাষার কোন লিখিত দলিল-দস্তাবেজ নেই। [১]

  • নির্মিত ভাষা

    নির্মিত ভাষা (ইংরেজি: Constructed language, সংক্ষেপে Conlang কন্‌ল্যাং) এমন ধরনের ভাষাকে নির্দেশ করে যার ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ এবং শব্দভাণ্ডার সংস্কৃতির অংশ হিসেবে প্রাকৃতিকভাবে বিবর্তিত হয়ে সৃষ্টি হওয়ার পরিবর্তে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক নির্মিত হয়েছে। এ ধরনের নির্মিত ভাষা তৈরির অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে: মানব যোগাযোগ সহজ করার জন্য, কোন গল্প বা সাহিত্যে সম্পূর্ণ নতুন কোন বিশ্বের উপস্থাপনার জন্য, ভাষাতাত্ত্বিক পরীক্ষণ, কারও নিছক নৈসর্গিক সাধ মেটানোর জন্য বা কেবল ভাষাগত খেলা বিনির্মাণের তাগিদে।

    এক ধরনের নির্মিত ভাষা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সহায়ক ভাষা যাকে অনেকেই পরিকল্পিত ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকেন। কৃত্রিম ভাষা না বলে পরিকল্পিত বলাকে অনেকেই অধিক যুক্তিসঙ্গত মনে করেন। সহায়ক ভাষায় যারা কথা বলে থাকেন তাদের মধ্যে কয়েকজন মাত্র তাদের এই ভাষাকে কৃত্রিম বলে থাকে কারণ হয়তোবা তাদের সহায়ক ভাষাটি এসপেরান্তো বা ইডোর মত অত সমৃদ্ধ নয়। কিন্তু এসপেরান্তো এবং ইডো ভাষায় যারা কথা বলেন তাদের কেউই এই সহায়ক ভাষা দুটিকে কৃত্রিম বলতে রাজি নন। কারণ তারা স্বীকার করেন না যে এই সহায়ক ভাষায় অন্যের সাথে যোগাযোগ করার মধ্যে একটু অপ্রাকৃতিক ব্যাপার রয়েছে।

    পরিকল্পিত ভাষা নামক এই শব্দের ব্যবহার আরেকটি সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। সহায়ক ভাষার বেশ কিছু শব্দ রয়েছে যারা শাব্দিক অর্থে নির্মিত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেনা কিন্তু পরিকল্পিত হিসেবে অনায়াসেই আখ্যায়িত হতে পারে।

    বহিঃসংযোগ

    উইকিবইয়ে এই বিষয়ের উপরে একটি বই রয়েছে: Conlang
    ভাষা সম্পর্কিত এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • ধ্বনিবিজ্ঞান

    ধ্বনিবিজ্ঞান (ইংরেজি: Phonetics) মানুষের উচ্চারিত ধ্বনিসমূহের বিশ্লেষণ। ধ্বনিতত্ত্বের সাথে ধ্বনিবিজ্ঞানের পার্থক্য হল ভাষাবিজ্ঞানের এই শাখায় ধ্বনির ভৌত তরঙ্গধর্মী প্রকৃতি, এর উৎপাদন, শ্রবণ ও অনুধাবন নিয়ে গবেষণা করা হয়, কিন্তু ধ্বনিতত্ত্বের মত বিভিন্ন ধ্বনি-একক, তাদের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য,ধ্বনির পরিবর্তন ও ধ্বনি-ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা করা হয় না। ধ্বনিতত্ত্ব (উচ্চারণ / /fəˈnɛtɪks / গ্রিক φωνή থেকে:, ফোন, ‘শব্দ, ধ্বনি ‘) ভাষাতত্ত্বের একটি শাখা যার মধ্যে রয়েছে মানুষের কথার অন্তর্গত শব্দের গবেষণা, অথবা ভাষার ক্ষেত্রে চিহ্নের ব্যবহার-বা চিহ্নের সমতুল্য দিক। ধ্বনিবিজ্ঞানের তিনটি প্রধান শাখা:

    ইতিহাস

    2:27CC

    শব্দ কীভাবে উত্স থেকে মস্তিষ্কে পৌঁছায়

    ধ্বনিবিদ্যা খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দী এবং সম্ভবত ভারতীয় উপমহাদেশে ষষ্ঠ শতাব্দীর দিকে, সংস্কৃত ভাষায় পাণিনির ব্যঞ্জনবর্ণের উচ্চারণের স্থান এবং পদ্ধতির মাধ্যমে অধ্যয়ন করা হয়েছিল। বর্তমান প্রধান ভারতীয় বর্ণমালার অন্তর্গত ব্যঞ্জনবর্ণ-গুলো পাণিনি এর শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ী বিন্যাস্ত করা হয়েছে।

    প্রচলিত ধ্বনি-বিদ্যাগুলি যাদের প্রচেষ্টায় শুরু হয়- যেমন জোসো স্টিলে (প্রসোডিয়া রেশনালিস, ১৭৭৯) এবং আলেকজান্ডার মেলভিল বেল (দৃশ্যমান বক্তব্য, ১৮৬৭) -ভাষার জন্য যে ধ্বনির প্রয়োজন হয় তার সুনির্দিষ্ট সূচনা তারা করেছিলেন।

    উনিশ শতকের শেষ দিকে ফোনোগ্রাফ আবিষ্কারের কারণে ধ্বনিবিদ্যা চর্চা আংশিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল, যা কথার জন্য ব্যবহৃত সংকেতকে রেকর্ড করার সুযোগ করে দিয়েছিল । ধ্বনিবিদরা কথার সংকেতটি বেশ কয়েকবার রিপ্লে করতে সক্ষম হয়েছিল এবং সংকেতের জন্য এ শব্দগত ফিল্টারগুলি প্রয়োগ করেছিল। এটি করার মাধ্যমে তারা কথার জন্য ব্যবহৃত সংকেতের শব্দ-প্রবণ প্রকৃতি নিয়ে আরও সতর্কতার সাথে অনুমান সক্ষম হন।

    এডিসনের ফনোগ্রাফ ব্যবহার করে, লুডিমার হারম্যান স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলি অনুসন্ধান করেন। কাগজে রেকর্ড করা প্রথম শব্দগত ফরমেট ছিল এটি । হারম্যান এডিসনের ফনোগ্রাফ দিয়ে বানানো স্বরবর্ণ রেকর্ডিংটি পরিচালনা করেছিলেন উইলিস আর উইটস্টোনের স্বরবর্ণ উৎপাদনের তত্ত্বগুলি পরীক্ষা করার জন্য ।

    ধ্বনিবিজ্ঞানের সাথে সম্পর্ক

    ধ্বনিতত্ত্বের বিপরীতে, ধ্বনিবিদ্যা হল কী করে ধ্বনি বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও অঙ্গভঙ্গিগুলির প্যাটার্নের বিভিন্ন স্তরে কাজ করে তা নিয়ে অধ্যয়ন করা। ধ্বনিতত্ত্ব মূলত উচ্চারণ এবং শাব্দিক বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে কাজ করে, যেমন-কীভাবে তারা উৎপাদিত হয় এবং কীভাবে অনুভূত হয়। এই তদন্তের অংশ হিসাবে, ধ্বনিবিদরা অর্থপূর্ণ শব্দ বৈপরীত্যের ভৌত সম্পত্তি বা বক্তৃতা সংকেত (সামাজিক-ফোনেটিক) (যেমন লিঙ্গ, যৌনতা, জাতিগত ইত্যাদি) এনকোডেড সামাজিক অর্থের সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে বলে মনে করেন। যাইহোক, ধ্বনিতত্ত্ব গবেষণার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কথার জন্য ব্যবহৃত সংকেত অর্থপূর্ণ উপাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।

    যদিও এটি ব্যাপকভাবে সম্মত হয় যে ধ্বনিতত্ত্ব ধ্বনিবিজ্ঞান ভিত্তিক, ধ্বনিবিজ্ঞান ভাষাতত্ত্বের একটি স্বতন্ত্র শাখা যা শব্দের এবং অঙ্গভঙ্গিগুলি যেমন বিমূর্ত ইউনিট (যেমন, স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, ফোনিম্স, মোরেই, সিলেবল, ইত্যাদি) এবং তাদের শর্তযুক্ত ভিন্নতা (এর মাধ্যমে, উদাহরণস্বরূপ, অ্যালোফোনীয় নিয়ম, সীমাবদ্ধতা, বা ডেরিভেশনাল নিয়ম)। ধ্বনিবিজ্ঞান স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলির সংমিশ্রণে ধ্বনিতত্ত্বের সাথে সম্পর্কযুক্ত, যা উচ্চারণগত অঙ্গভঙ্গি, শাব্দিক সংকেত বা অনুধাবনগত উপস্থাপনার জন্য বক্তৃতা ইউনিটের বিমূর্ত উপস্থাপনাটি ম্যাপ করে।

    প্রতিলিপি

    ফোনেটিক্স ট্রান্সক্রিপশন একটি ভাষাতে শব্দ লেখার জন্য একটি সিস্টেম যা মৌখিক বা সাংকেতিক হতে পারে । সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি ফোনেটিক ট্রান্সক্রিপশন যা ইন্টারন্যাশনাল ফোনেটিক বর্ণমালা (আইপিএ) নামে পরিচিত । এটি মৌখিক ধ্বনির জন্য প্রতীকের একটি নির্দিষ্ট সেট প্রদান করে। আইপিএ-র মানসম্মত প্রকৃতি তার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভাষা, উপভাষাসমূহ এবং অডিওঅ্যাক্টগুলিকে নির্ভুল এবং ধারাবাহিকভাবে রূপান্তর করতে সক্ষম করে। আইপিএ শুধুমাত্র ফোনেটিকের অধ্যয়নের জন্যই নয় ভাষা শিক্ষার জন্য, পেশাদার অভিনয়, ভাষা শিক্ষাদান এবং বক্তৃতার জন্য একটি দরকারি সরঞ্জাম।

    অ্যাপ্লিকেশন

    ফোনেটিক্স অ্যাপ্লিকেশন এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো হল:

    • ফরেনসিক ফোনেটিক্স: ফোনেটিক্স (ধ্বনির বিজ্ঞান) ফরেনসিক (বৈধ) উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়
    • বক্তৃতা স্বীকৃতি: একটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা রেকর্ডকৃত বক্তৃতা বিশ্লেষণ এবং ট্রান্সক্রিপশন করা হয়।
    • বক্তৃতা সংশ্লেষণ: একটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা মানুষের বক্তৃতা উৎপাদন করা হয়।
    • উচ্চারণ: বিভিন্ন ভাষায় শব্দের প্রকৃত উচ্চারণ শিখতে এটি দরকার হয়।

    প্রাকটিক্যাল ফোনেটিক্স প্রশিক্ষণ

    ফোনেটিক্স অধ্যয়ন কেবলমাত্র তাত্ত্বিক উপাদান শেখার সাথে জড়িত নয় কথার জন্য ব্যবহৃত শব্দের উৎপাদন এবং উপলব্ধির জন্য চলমান প্রশিক্ষণও গ্রহণ করে। এটি প্রায়ই কান প্রশিক্ষণ হিসাবে পরিচিত । শিক্ষার্থীকে উচ্চারণের ভিন্নতা কী করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তা শিখতে হবে এবং বিভিন্ন স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মধ্যে পার্থক্যগুলি শনাক্ত করতে সক্ষম হতে হবে। প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তারা ফোনেটিক প্রতীক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠবে, সাধারণত আন্তর্জাতিক ফোনেটিক বর্ণমালার।

    তথ্যসূত্র

    1) O’Grady, William; et al. (2005). Contemporary Linguistics: An Introduction (5th ed.). Bedford/St. Martin’s. আইএসবিএন ০-৩১২-৪১৯৩৬-৮. 2) Stearns, Peter; Adas, Michael; Schwartz, Stuart; Gilbert, Marc Jason (2001). World Civilizations (3rd ed.). New York: Longman. আইএসবিএন ৯৭৮০৩২১০৪৪৭৯২.

    গ্রন্থপঞ্জি

    • Abercrombie, David (১৯৬৭), Elements of General Phonetics, Edinburgh: Edinburgh University Press
    • Ashby, Michael; Maidment, John (২০০৫), Introducing Phonetic Science, Cambridge: Cambridge University Press, আইএসবিএন 0-521-00496-9
    • Catford, J. C. (১৯৭৭), Fundamental problems in phonetics, Bloomington, IN: Indiana University Press, আইএসবিএন 0-253-32520-X
    • Clark, John; Yallop, Colin (১৯৯৫), An introduction to phonetics and phonolog (2nd সংস্করণ), Oxford: Blackwell Publishers, আইএসবিএন 0-631-19452-5
    • Gussenhoven, C; Broeders, A. (১৯৯৭), English pronunciation for student teachers, Groningen, the Netherlands: Wolters-Noordhoff BV, আইএসবিএন 9-001-16703-9
    • Hardcastle, William J.; Laver, John (১৯৯৭), The handbook of phonetic sciences, Oxford: Blackwell Publishers, আইএসবিএন 0-631-18848-7
    • Ladefoged, Peter (১৯৮২), A course in phonetics, London: Harcourt Brace Jovanovich, আইএসবিএন 0-631-23269-9
    • Ladefoged, Peter (২০০৩), Phonetic data analysis: An introduction to fieldwork and instrumental techniques, Malden, MA: Blackwell Publishers, আইএসবিএন 0-631-19814-8
    • Ladefoged, Peter; Maddieson, Ian (১৯৯৬), The Sounds of the World’s Languages, Oxford: Blackwell Publishers, আইএসবিএন 0-631-19814-8
    • Laver, John (১৯৯৪), Principles of Phonetics, Cambridge: Cambridge University Press
    • Maddieson, Ian (১৯৮৪), Patterns of sounds, Cambridge studies in speech science and communication, Cambridge: Cambridge University Press
    • Pike, Kenneth L. (১৯৪৩), Phonetics: A critical analysis of phonetic theory and a technic for the practical description of sounds, Ann Arbor: University of Michigan Press
    • Pisoni, David B.; Remez, Robert E. (২০০৪), he handbook of speech perception, Oxford: Blackwell Publishers, আইএসবিএন 0-631-22927-2
    • Rogers, Henry (২০০০), The Sounds of Language: An Introduction to Phonetics, Harlow, Essex: Pearson, আইএসবিএন 0-582-38182-7
    • Stevens, Kenneth N. (১৯৯৮), Acoustic phonetics, Current studies in linguistics, Cambridge, MA: MIT Press, আইএসবিএন 0-262-19404-X
    দেভাষাবিজ্ঞান
    ভাষা·পৃথিবীর ভাষাসমূহ·ভাষা পরিবারসমূহ·লিখন পদ্ধতি·পৃথিবীর লিখন পদ্ধতিসমূহ·ইশারা ভাষা
    ভাষিক তথ্য
    আহরণ
    ক্ষেত্রানুসন্ধানমূলক ভাষাবিজ্ঞান·ভাষাংশ ভাষাবিজ্ঞান
    তত্ত্বীয়
    ভাষাবিজ্ঞান
    বর্ণনামূলক/এককালিক ভাষাবিজ্ঞান·ধ্বনিতত্ত্ব·ধ্বনিবিজ্ঞান·রূপমূলতত্ত্ব·রূপধ্বনিতত্ত্ব·বাক্যতত্ত্ব·সঞ্জননী ব্যাকরণ·বাগর্থবিজ্ঞান·ভাষাতাত্ত্বিক শ্রেণীকরণবিদ্যা
    ভাষা
    ও সমাজ
    প্রয়োগতত্ত্ব·অধিবাচন বিশ্লেষণ·ক্রিয়াবাদী ভাষাবিজ্ঞান·সমাজভাষাবিজ্ঞান·নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান·জাতিভাষাবিজ্ঞান
    ঐতিহাসিক
    ভাষাবিজ্ঞান
    ভাষা পরিবারসমূহ·তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান·ব্যুৎপত্তি·ব্যক্তিগত ভাষার বিবর্তনতত্ত্ব·স্থান-নাম তত্ত্ব
    ফলিত
    ভাষাবিজ্ঞান
    উপভাষাতত্ত্ব·ভৌগোলিক ভাষাবিজ্ঞান·মনোভাষাবিজ্ঞান·অভিধানবিজ্ঞান·গাণিতিক বা পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান·মাতৃভাষা অর্জন·দ্বিতীয় ভাষা অর্জন·বহুভাষিকতা·আদালতি ভাষাবিজ্ঞান·চিকিৎসা ভাষাবিজ্ঞান·ভাষানুবাদ·ভাষা পরিকল্পনা·শিক্ষামূলক ভাষাবিজ্ঞান·স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান
    ইতিহাসভাষার উৎস·ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস
    ভাষাবিজ্ঞান
    ও সাহিত্য
    সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব·শৈলীবিজ্ঞান·ছন্দোবিজ্ঞান·অলংকারশাস্ত্র
    অন্যান্যভাষাবিজ্ঞানীদের তালিকা·অমীমাংসিত সমস্যাসমূহ·পরিভাষা·সংকেতবিজ্ঞান
    ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • দ্বিতীয় ভাষা অর্জন

    দ্বিতীয় ভাষা অর্জন (ইংরেজি: Second language acquisition) বলতে যে প্রক্রিয়ায় লোকেরা তাদের প্রথম ভাষার বাইরের কোন ভাষা শিখে, সেই প্রক্রিয়াকে বোঝায়। দ্বিতীয় ভাষা বলতে বাল্যকালের পরবর্তী সময়ে অর্জিত যেকোন ভাষাকে বোঝায়। যে ভাষাটি অর্জন করা হবে তাকে “লক্ষ্য ভাষা” বা “L2” বলা হয় (আর প্রথম ভাষাকে বলা হয় “L1”)। দ্বিতীয় ভাষা অর্জনকে ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায় ইংরেজিতে “SLA”, বা L2A-ও বলা হয়।

    দ্বিতীয় ভাষা অর্জন ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের গবেষণার একটি বিষয়বস্তু। ফলিত ভাষাবিজ্ঞানীরা দ্বিতীয় ভাষা অর্জনকারী শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতার উপর জোর দেন।

    ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
  • তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান

    তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান (মূলত তুলনামূলক দর্শন), ঐতিহাসিক ভাষাতত্ত্ব-এর একটি শাখা, যা বিভিন্ন ভাষার তুলনার মাধ্যমে তাদের ঐতিহাসিক সম্পর্কিততা স্থাপন সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

    পদ্ধতি

    ইতিহাস

    তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেছিলেন স্যার উইলিয়াম জোন্স(১৭৮৬)।

    সম্পর্কিত ক্ষেত্র

    ছদ্ম ভাষাগত তুলনা

    আরও দেখুন

    তথ্যসূত্র

    গ্রন্থপঞ্জি

    ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • তুর্ক-মঙ্গোল ঐতিহ্য

    তুর্ক-মঙ্গোল ঐতিহ্য (Turko-Mongol tradition) হচ্ছে একটি সাংস্কৃতিক বা নৃ-সাংস্কৃতিক একীভূতকরণ যা চতুর্দশ শতকের প্রথম দিকে মঙ্গোল সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী রাজ্য যেমন চাগতাই খানাত এবং গোল্ডেন হোর্ড এর নেতৃত্বস্থানীয় সম্ভ্রান্তদের মধ্যে বিকশিত হয়। এই সম্ভ্রান্তগণ তুর্কীয় ভাষাসমূহ এবং ইসলাম গ্রহণ করেন, যেখানে তারা একই সাথে মঙ্গোল রাজনৈতিক এবং আইনগত প্রতিষ্ঠানসমূহ ধরে রাখে।[১] পরবর্তীতে অনেক মধ্য এশীয় রাজ্য এই ঐতিহ্যকে প্রচণ্ডভাবে গ্রহণ করে, যাদের মধ্যে তৈমুরি সাম্রাজ্য, কাজাখ খানাত, কাজানের খানাত, নোগাই খানাত, ক্রিমীয় খানাত এবং মুঘল সাম্রাজ্য উল্লেখযোগ্য।

    এরও পূর্বে প্রাগৈতিহাসিক কালেও তুর্ক-মঙ্গোল ঐতিহ্য ছিল। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের মধ্যেই প্রোটো-তুর্কীয় ভাষা থেকে প্রোটো-মঙ্গোলীয় ভাষার পূর্বপুরুষ ভাষাগুলোতে প্রচুর শব্দ প্রবেশ করে। ব্যক্তিবাচক সর্বনামগুলোতে তুর্কীয় ও মঙ্গোলীয় ভাষাগুলোতে অনেক সাদৃশ্য দেখা যায় (যেমন প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তির ক্ষেত্রে যথাক্রমে *b-, *s-, *i- প্যারাডাইম)। এরকম অন্যান্য সাদৃশ্যগুলো খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০ অব্দের পূর্বে তুর্কীয় ভাষাগুলোর বিভিন্ন শ্রেণীবিভাগে বিভক্ত হয়ে বিকশিত হবার আগেই তৈরি হয়ে যায়।[২] তুর্কীয় ও মঙ্গোলীয় মানুষেরা অন্তত সেই সময় থেকেই একই ধর্ম তেনগ্রিবাদ এর অনুসারী ছিল।

    প্রাচীন কালে অনেক সময় ব্যাপী ভাষাগত সংস্পর্শে থাকার কারণে তুর্কীয় ও মঙ্গোলীয়দের ভাষায় আরও বেশি মৌলিক ফনোট্যাক্টিক, ব্যাকরণগত ও টাইপোলজি সংক্রান্ত সাদৃশ্য দেখা যায় (যেমন সঙ্কালিক স্বরসঙ্গতি, ব্যাকরণগত লিঙ্গের অভাব, প্রচুর সংযোজন, উচ্চমাত্রার সাদৃশ্যপূর্ণ ফনোট্যাকটিকাল নিয়ম)।[২] অতীতে এরকম সাদৃশ্যগুলোর এদের মধ্যকার জিনগত সম্পর্ক অনুসন্ধানে ধাবিত করে, আর সেখান থেকে আলতাইক ভাষা পরিবার নামক ধারণার জন্ম হয় যা এখন বিস্তৃত পরিসরে পণ্ডিতমহলে গৃহীত। আরও সম্প্রতি, জিনগত সম্পর্কের নির্দিষ্ট প্রত্যক্ষ প্রমাণের অভাব হেতু, এই সাদৃশ্যগুলোকে ভাষা সংস্পর্শের তিনটি জ্ঞাত সময়কাল অনুসারে ভাগ করা হয়েছে। এই সাদৃশ্যগুলোর কারণে উত্তর-পূর্ব এশীয় ভাষা অঞ্চল এর একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে তুংগুসীয়, কোরীয় এবং জাপনীয় ভাষা পরিবারও অন্তর্গত, যদিও তুর্কীয় এবং মঙ্গোলীয় ভাষাগুলোই সব থেকে বেশি সাদৃশ্য প্রদর্শন করে।

    আরও দেখুন

    তথ্যসূত্র

    Beatrice Forbes Manz (১৯৮৯)। The Rise and Rule of TamerlaneCambridge University Press। পৃষ্ঠা 6–9। আইএসবিএন978-0-521-34595-8

    1. Janhunen, Juha (২০১৩)। “Personal pronouns in Core Altaic”। Martine Irma Robbeets; Hubert Cuyckens। Shared Grammaticalization: With Special Focus on the Transeurasian Languages। পৃষ্ঠা 221।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: