Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

Bengali language and literature

  • অ্যানাগ্রাম

    অ্যানাগ্রাম বা বদলিরব (গ্রিক anagrammenos যার অর্থ নতুন করে লেখা) এক ধরনের শব্দ খেলা। একটি শব্দ বা বাক্যের বর্ণগুলোকে নতুনভাবে সাজালে অন্য শব্দ বা বাক্য পাওয়া যেতে পারে; পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে প্রাপ্ত নতুন শব্দ বা বাক্যটিকে মূল শব্দ বা বাক্যটির অ্যানাগ্রাম বলে। পুনর্বিন্যাসের সময় একটি বর্ণ কেবলমাত্র একবারই ব্যবহার করা যাবে এবং কোন বর্ণ বাদ দেয়া যাবে না।[১] অ্যানাগ্রামের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে: Silver-haired congenial scum বাক্যটিকে পুনর্বিন্যস্ত করে লিখা যায় Louise is clever and charming। আবার Abnormal intellect = Malcontent liberal। যিনি অ্যনাগ্রাম তৈরি করেন তাকে অ্যানাগ্রামবিদ বা অ্যানাগ্রামিস্ট বলা হয়।[২]

    শব্দ বিশ্লেষণ

    অ্যানাগ্রাম শব্দটি ইংরেজিতে এসেছে ফরাসি anagramme শব্দ থেকে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে। শব্দটি দু’টি গ্রিক শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। গ্রিক ভাষা থেকে এসেছে। গ্রিক ভাষায় ana শব্দের অর্থ নিচ থেকে উপরে এবং gramma শব্দের অর্থ বর্ণ[৩] এর বাংলা পরিশব্দ করা হয়েছে বদলিরব। বদলি হলো বর্ণগুলোর স্থান বদল করে নতুন তৈরী হওয়া রব বা শব্দ। [৪]

    ইতিহাস

    অক্ষর পুনঃসজ্জার এই খেলাটি সর্বপ্রথম শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রিসরোমে, গ্রিকলাতিন ভাষায়। সে সময় অ্যানাগ্রাম তৈরি হতো কিছুটা লাগামহীনভাবে। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে লাতিন ও গ্রিক ভাষার গণ্ডি পেরিয়ে ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষায় ছড়িয়ে পড়ে অ্যানাগ্রাম তৈরির কৌশল।[১]

    সাহিত্য

    বাংলা

    অ্যানগ্রামে শব্দের বা বাক্যের বর্ণগুলো স্থান বিনিময় কিংবা নতুন ভাবে সাজিয়ে নতুন শব্দ বা বাক্য গঠন করে।অ্যানাগ্রামিস্ট মনোরঞ্জন রায় অর্ধ অ্যানাগ্রাম ও পূর্ণ অ্যানাগ্রাম নামে দুটি বিভাগে ভাগ করে অ্যানাগ্রাম কবিতা/সনেট রচনা করেন। তিনি অ্যানাগ্রাম সনেট অভিন্ন বর্ণ এবং সমোচ্চারিত বর্ণ (স/শ/ষ, ন/ণ, জ/য, ত/ৎ, র/ড়/ঢ়) এর ভিত্তিতে সনেট রচনা করেন।পূর্ণ অ্যানাগ্রামে সম্পূর্ণ কবিতার উপরের দিক থেকে নিচের দিকে পঙ্ক্তি/চরণের বর্ণগুলো স্থান বিনিময় করে নতুন শব্দ গঠন করে কবিতা/সনেট রচনা করেন আর অর্ধ অ্যানাগ্রামে প্রতিটি পঙ্ক্তিতে মধ্যভাগ হতে বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে বর্ণের স্থান বিনিময় করে নতুন শব্দ গঠন করে কবিতা/সনেট রচনা করেন।

    অ্যানাগ্রামিস্ট মনোরঞ্জন রায় (তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম অ্যানাগ্রাম কবিতা ও সনেট রচয়িতা ) এর “পাতার প্রতিচ্ছবি” গাণিতিকধারার কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত একটি পূর্ণ অ্যানাগ্রাম সনেট  “ঝরা-মন”। তাঁর এ সনেটে প্রথম চরণের বর্ণগুলো (অভিন্ন বর্ণের ভিত্তিতে) পুর্নবিন্যাস করে চতুর্দশ চরণ গঠিত, এভাবে দ্বিতীয় চরণ থেকে ত্রয়োদশ চরণ গঠিত…..।

    ঝরা-মন

    সবারে মনে হীনতা নদীকূট, কবি!

    সত্রাসে ভাবে রন্ধ্রের রঙ্গে অসি রত;

    রতি ভাঙ্গে, হবি ধুধু, নব ভুলে রবি

    নব পণে রহ নত, মন দিকে ক্ষত;

    রশি খুলে মজ মন, জমে খাস রস।

    নবজ নীড়ে পূবের বিকলি ধূসর

    রথ পাপে; মান তত কে ঢাকে দিবস

    সব দিকে ঢাকে তত ন মাপে পাথর

    রস ধূলি কবি; রবে পুড়ে নিজ বন;

    সরস খামে জনম জমলে খুশির

    তক্ষকে দিন মতন; হরণে পবন

    বিরলে ভুবন ধুধু বিহঙ্গে ভাতির।


    তরসি অঙ্গের রন্ধ্রে রবে ভাসে ত্রাস,

    বিকট কুদিন তান হীনে মরে বাস।


    ” তমসাচ্ছন্ন” সনেটটি কবির “পাতার প্রতিচ্ছবি ” গাণিতিকধারার কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত একটি অর্ধ অ্যানাগ্রাম সনেট ।কবি অর্ধ অ্যানাগ্রাম সনেটে প্রতিটি পঙ্ক্তিতে মধ্যভাগ হতে বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে বর্ণগুলো (অভিন্ন বর্ণের ভিত্তিতে) পুনর্বিন্যাস করে নতুন শব্দ গঠন করে কবিতা/সনেট রচনা করেন।

    তমসাচ্ছন্ন

    সামতট কবি, ধুধু বিকট তমসা,

    নত ঘাড়ে পঁচা জুজু চাঁপড়ে ঘাতন,

    নব পাকে পাবি তত বিপাকে পাবন,

    সাধনা দেবীর তত রবি দেনা ধসা;


    সান মনে তপ জুজু পতনে মনসা,

    নব জিয়ে লব তত বলয়ে জীবন

    সাহস রচে, কানন কাচের সহসা

    নব পশে রসে তত শ্বাসের পবন।

    তার বাঁকে হারে তত রে হাঁকে বারতা,

    থাক বিরসের জুজু রসে রবি কথা।


    বাদিত রসের জুজু রসে রাত দিবা,

    বিছরি বটের ধুধু রটে বরি ছবি,

    বাকিতে চিত্ররা মম রাত্র চিতে কিবা,

    বিসরি ভবের ধাঁধা রবে ভরি সবি।

    ” ভারাক্রান্ত” সনেটটি কবির “পাতার প্রতিচ্ছবি ” গাণিতিকধারার কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত একটি পূর্ণ অ্যানাগ্রাম সনেট ।তাঁর এ সনেটে প্রথম চরণের বর্ণগুলো (সমোচ্চারিত বর্ণের ভিত্তিতে) পুর্নবিন্যাস করে চতুর্দশ চরণ গঠিত, এভাবে দ্বিতীয় চরণ থেকে ত্রয়োদশ চরণ গঠিত…..।

    ভারাক্রান্ত

    নদীতে খালে কারণ রে ভরে তরস

    সমানে হারে সমক্ষে; রে খুঁজে মনের

    সকাণ্ড খরা ভয়ের; রে পাপে রোষের

    নমিত মন; মজে কে, কে সাধে বিবশ;


    কত চায়ে রাজ ধুধু রে তপ্ত দিবস;

    কব পাখি দেনা তত তরাসে, ঘাটের

    রস হরে ঝরে মম; তে ক্ষত জয়ের

    রয়ে যত, ক্ষতে মম রে ঝরে হরষ।


    রটে ঘাসে রাত তত, না দেখি পাবক;

    শব দীপ্ত তরে ধুধু জড়ায়ে চাতক।


    শব বিঁধে শাঁকে কে যে মন মত মীন,

    রসে রোপে পাড়ে রয়ে ভরা খণ্ড কাশ,

    রণে মজে খুঁড়ে ক্ষেম, শরে হানে মাস

    শর তরে ভরে নর, কালে খাতে দীন।

    ” বিষাক্ত বেদন” সনেটটি কবির “পাতার প্রতিচ্ছবি ” গাণিতিকধারার কাব্যগ্রন্থ থেকে সংগৃহীত একটি অর্ধ অ্যানাগ্রাম সনেট ।কবি অর্ধ-অ্যানাগ্রাম সনেটে প্রতিটি পঙ্ক্তিতে মধ্যভাগ হতে বাম থেকে ডানে এবং ডান থেকে বামে বর্ণগুলো (সমোচ্চারিত বর্ণের ভিত্তিতে) পুনর্বিন্যাস করে নতুন শব্দ গঠন করে কবিতা/সনেট রচনা করেন।

    বিষাক্ত বেদন

    সত্রাসে পিষ্টক তত কষ্ট পিষে ত্রাস

    দে নিভে লহর শেষে রহ লভে নিদে

    দেহী শবে রণ জুজু, ন রবে শহীদে,

    সবারে চরিত ধাঁধা তরী চরে বাস;


    সদাই রত্নের ধুধু রত্নে রই দাস,

    দেখিনু অজম ঘুঘু মজ অণু খিদে,

    দেহীর নিখিল জুজু লখি নীড়ে হিদে

    সনাথ মরণ ধাঁধা নর মথে নাশ।


    তমস দাহের তেতে রহে দাস মত,

    তক্ষক বনের নানা রণে বক ক্ষত।


    শেবধি বাঁশির ঘুঘু রশি বাঁধি বশে

    নর মনে রহ তত; হরণে মরণ

    সেবক পীড়িত, মম তরী পিক বসে

    নদ বেশে, বীরে তত রে বিষে বেদন।

    উদাহরণ

    ইংরেজি

    এখানে উদাহরণ হিসেবে কিছু অ্যানাগ্রাম উল্লেখিত হল। এগুলো একটি ওয়েবসাইটের কৌতুক পাতা থেকে নেয়া হয়েছে। ওয়েবসাইটটি GNU General Public License আওতায় রয়েছে

    মূল শব্দ এবং ফ্রেজঅ্যানাগ্রাম
    Doctor WhoTorchwood
    Gregory HouseHuge Ego, Sorry
    DormitoryDirty Room
    EvangelistEvil’s Agent
    DesperationA Rope Ends It
    The Morse CodeHere Come Dots
    Slot MachinesCash Lost in ’em
    AnimosityIs No Amity
    Mother-in-lawWoman Hitler
    Snooze AlarmsAlas! No More Z’s
    Alec GuinnessGenuine Class
    SemolinaIs No Meal
    The Public Art GalleriesLarge Picture Halls, I Bet
    The EarthquakesThat Queer Shake
    Eleven plus twoTwelve plus one
    ContradictionAccord not in it
    AstronomerMoon Starer
    Princess DianaEnd is a car spin
    Year Two ThousandA year to shut down
    PresbyterianBest in prayer
    PresbyteriansBritney Spears
    The eyesThey see
    George BushHe bugs Gore
    Election resultsLies – let’s recount
    “To be or not to be: that is the question, whether its nobler in the mind to suffer the slings and arrows of outrageous fortune.”“In one of the Bard’s best-thought-of tragedies, our insistent hero, Hamlet, queries on two fronts about how life turns rotten.”
    That’s one small step for a man, one giant leap for mankind.” —Neil Armstrong“A thin man ran; makes a large stride, left planet, pins flag on moon! On to Mars!”
    President Clinton of the USATo copulate he finds interns

    বাংলা

    বাংলায় দুই অক্ষর বা দুইবর্ণের তৈরি অসংখ্য অ্যানাগ্রাম রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বাংলা অ্যানাগ্রাম কয়েক ভাবে হতে পারে।

    • কারসহ বর্ণের স্থান বদল করে। উদাহরণ- দিশা>শাদি, কবিরাজ>রাজকবি
    • কার ও বর্ণের স্থান বদল করে। জীবন>বিজন, শানিত>শানতি
    • কার বা শুধু কার বদল করে। টাক>কাট, বিপনি>বিপিন
    • শুধু বর্ণের স্থান বদল করে।
    • উচ্চারণের উপর ভিত্তি করে।
    • যুক্তবর্ণ ভেঙ্গে দিয়ে আংশিক পাল্টিয়ে
    মূল শব্দ ও বাক্যাংশঅ্যানাগ্রাম
    আমরাআরাম
    আয়নাআয় না
    কারানির্যাতিতকারা নির্যাতিত?
    ভালোবাসাভালো বাসা
    জলঢাকাঢাকা জল
    লাশশাল
    টাকাকাটা
    তীব্রব্রতী
    বইখাতাতাই খাব
    বনলতানব তাল
    সকলকলস
    রামমরা
    করবকবর
    পদবিবিপদ
    কলমকমল
    পলককলপ
    রসদসদর
    নবমবমন
    নরমমরন
    কপালপালক
    তারকাকাতার
    সফলফসল
    কামলাকালাম
    বলদবদল
    রজনীনীরজ
    যারপরনাইযার পর নাই
    একদিনএ কদিন
    করমচাচারকম
    প্রতিদিনদিনপ্রতি
    মাননীয়নীয়মান
    রাতারাতিতারারাতি
    আমি তাকে চিনি নানা, আমি তাকে চিনি
    আমি তোমার মুখোশ খুলে দিবোআমিতো মা’র মুখোশ খুলে দিবো
    নবপল্লবপল্লব বন
    নবঘনঘন বন
    সমানমানস
    সবাকবাসক
    সহসাসাহস
    ঠাকুরকুঠার
    রকমকরম
    তপনপতন
    বকলমকম বল, কম্বল
    কপোতপোকত (পোক্ত)
    রকমমকর
    নিবারণনিরবান (নির্বাণ)
    নীলিমামালিনী
    দমনমদন
    তিলকলতিকা
    সামালসালাম
    বাতিলবালতি
    সুরকিকি সুর!
    প্রবণপ্রণব
    প্রিয়জনজনপ্রিয়
    পথছায়াছায়াপথ
    মচকানোচমকানো
    কবিরাজরাজকবি
    কলশিশিকল
    নর্তককর্তন
    জামদানিদাম জানি
    আমি ও নির্জন তট পছন্দ করিআমিও নির্জন তট পছন্দ করি
    জাতিস্বরস্বজাতির
    প্রমথপ্রথম
    মানবতাবনমাতা
    গালানোলাগানো
    রমণমরণ
    কাননকুসুমকুসুমকানন
    বল বীর!বীরবল
    আমি পারবো না বাবা!আমি পারবো, না বাবা?
    তালবনবনলতা
    হরদমদহরম
    লোকে-বলে আমি অধিক শক্তিশালীলোকে বলে আমি অধিক শক্তিশালী
    একটি জাহান্নামজাহান একটি নাম
    রণপাপারণ
    শর্তশরত
    ছেলেমেয়েমেয়েছেলে
    সওদাও দাস
    বেচালবেলচা
    নিতান্তইননি তাত
    হাতজোড়জোড়হাত
    দুর্গতিদুর গতি
    শেষকথাকথাশেষ

    আরো একপ্রকার অ্যানাগ্রাম রয়েছে যদিও অনেকে সেটাকে অ্যানাগ্রাম বলতে নারাজ। যেমন- তবিয়ত>তবিয়ত, নতুন>নতুন, কদমকলি>কদমকলি

    আরও দেখুন

  • অধিবাচন বিশ্লেষণ

    অধিবাচন বিশ্লেষণ (Discourse analysis) ভাষাবিজ্ঞান (ও অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের) একটি শাখা যেখানে বাক্য বা খন্ডবাক্যের চেয়ে বৃহত্তর ভাষিক একক (যেমন – পরপর স্বাভাবিকভাবে সংযুক্ত কতগুলো লিখিত বা কথিত বাক্য) কীভাবে গঠিত হয় ও কাজ করে, তার বিশ্লেষণ করা হয়। [১][২]

  • অংশচ্ছেদ (ভাষাবিজ্ঞান)

    অংশচ্ছেদ হল কথ্যভাষায় কোন শব্দ বা শব্দযুগল পুরোপুরি উচ্চারণ না করে সামনের বা পেছনের কিছু অংশ বাদ দিয়ে ফেলা।[১][২][৩] যেমনঃ পাকিস্তানি সেনা = পাক সেনা।

  • তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান

    তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান (ইংরেজি: Theoretical linguistics) নামক ভাষাবিজ্ঞানের শাখায় ভাষিক জ্ঞানের মডেল তৈরিতে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়। এই শাখার উপশাখাগুলো হচ্ছে বাক্যতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব, রূপমূলতত্ত্ব, এবং অর্থবিজ্ঞান। যদিও ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্বের মধ্যে সম্পর্ক আছে, এটাকে তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের অংশ হিসেবে সাধারণত গণ্য করা হয় না। একইভাবে মনোভাষাবিজ্ঞানসমাজভাষাবিজ্ঞানকেও তাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞানের সীমার বাইরে গণ্য করা হয়।

  • ক্রাউডিন

    ক্রাউডিন একটি মালিকানাধীন ক্লাউড-ভিত্তিক স্থানীয়করণ প্রযুক্তি এবং পরিষেবা সংস্থা। এটি বাণিজ্যিক পণ্যগুলির জন্য একটি পরিষেবা হিসাবে সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে এবং এটি অ-বাণিজ্যিক ওপেন সোর্স প্রকল্প[২] এবং শিক্ষামূলক প্রকল্পগুলির জন্য বিনামূল্যে সফ্টওয়্যার সরবরাহ করে।[৩] এটির মূল কেন্দ্র তালিন, এস্তোনিয়ায় অবস্থিত।

    ইতিহাস

    সংস্থাটি ২০০৮ সালে ইউক্রেনীয় প্রোগ্রামার সের্হি দিমিত্রিশিন দ্বারা ছোট প্রকল্পগুলির স্থানীয়করণের জন্য একটি শখের প্রকল্প হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্ল্যাটফর্মটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানুয়ারি ২০০৯ সালে চালু হয়েছিল। তারপর থেকে এটি সফ্টওয়্যার অনুবাদের জন্য সফ্টওয়্যার এবং গেম ডেভেলপমেন্ট[৪] (মাইনক্রাফ্টসহ)[৫] কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিল।

    অনুবাদ মেকানিক্স

    টুলটিতে একটি অনলাইন অনুবাদ সম্পাদক রয়েছে,[৬] যেখানে ভাষাবিদদের দ্বারা পাঠ্যগুলি অনুবাদ এবং প্রুফরিড করা যায়। অনুবাদের কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অনুবাদ দল, ক্রাউডসোর্সিং,[৭][৮] এবং অনুবাদ সংস্থা। ক্রাউডিনের অনুবাদ এজেন্সিগুলির সাথে একটি মার্কেটপ্লেস রয়েছে:[৯] ইনলিংগো, অ্যালকোনোস্ট, অ্যাপলিংগুয়া, ব্যাবল-অন, জেঙ্গো, টোমেডিস, ট্রান্সলেটেড, ট্রান্সলেটেড বাই হিউম্যানস,[১০] রাইটপাথ, ফার্সি অনুবাদ পরিষেবা, ব্যুরো অনুবাদ, ই২এফ, ওয়েব-লিংগো, লেনলেন, এবং অ্যাক্লারো।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

    ক্রাউডিন অনুবাদ কর্মপ্রবাহে মেশিন অনুবাদকে একীভূত করেছে। এটি বর্তমানে নিম্নলিখিত এমটি সিস্টেমগুলিকে সমর্থন করে: মাইক্রোসফট অনুবাদ, ইয়ানডেস্ক অনুবাদ, গুগল অনুবাদ, আমাজন অনুবাদ, ওয়াটসন (আইবিএম) অনুবাদক, ডিপএল অনুবাদক। মেশিন অনুবাদ পরবর্তীতে সম্পাদনা করা যেতে পারে।[১১][১২]

    আরো দেখুন

  • কুরআনের অনুবাদসমূহের তালিকা

    বাংলা ভাষায় কুরআনের অনুবাদকবৃন্দ


    বাংলা কুরআনের অনুবাদকবৃন্দ ‘

    • ১৩৮৯ খ্রিস্টাব্দ : শাহ মুহম্মদ সগীর। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক কবি ছিলেন শাহ মুহম্মদ সগীর। তিনিই বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম পবিত্র কোরআনের সুরা অনুবাদ করেন। সগীর যুগপৎ বাংলা পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে কোরআন অনুবাদ করেছেন। পবিত্র কোরআন এমনিতে আরবি ভাষার কাব্য মাধ্যমে ছন্দোবন্ধে প্রকাশিত। আর উনিশ শতকে যখন বাংলা ভাষায় কোরআন অনুবাদ হতে শুরু করেছিল, তখন বেশির ভাগই কাব্য আকারে তা অনূদিত হয়েছে। (ড. মোহাম্মাদ হাননানের বিশেষ গবেষণাসূত্রে প্রাপ্ত তথ্য)
    • ১৬২০ : আবদুল হাকিম (১৬২০-১৬৯০)। মধ্যযুগের বাঙালি কবিদের মধ্যে কট্টর ভাষাপ্রেমী ছিলেন আবদুল হাকিম। তার ‘নূরনামা’ কাব্যে বাংলা ভাষায় কোরআন অনুবাদের বিশেষ তাগিদ প্রকাশিত হয়েছে।
    • ১৮০৮ : আমির উদ্দিন বসুনিয়া। রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমির উদ্দিন বসুনিয়া। বাংলা গদ্যভাষায় তিনিই সবার আগে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন। (মুহম্মদ মুজিবুর রহমান : বাংলা ভাষায় কোরআন চর্চা, ঢাকা, ১৯৮৬) কিন্তু বাংলা ভাষায় কোরআন অনুবাদের ইতিহাসবিষয়ক অন্য এক গবেষক বলেছেন, বসুনিয়ার ‘অনুবাদটি ছিল বাংলা পুঁথি সাহিত্যের ভাষায় আমপারার কাব্যানুবাদ।’ (ড. মোহাম্মদ আবদুল অদুদ : বাংলা ভাষায় কোরআন চর্চা : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, আল কোরআন ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ একাডেমি, ঢাকা, ২০০৯, পৃষ্ঠা ৯৫) আমির উদ্দিন বসুনিয়ার অনুবাদটি ছিল খণ্ডিত। প্রথম যুগের অন্যান্যের মধ্যে তিনিও পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারা আমপারা বাংলা পয়ার ছন্দে অনুবাদ করেন।
    • ১৮৬৮ : আকবর আলী। কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আকবর আলী। তিনি ‘তরজমা আমছেপারা’ নাম দিয়ে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন এবং ১৮৬৮ সালে কলকাতা থেকেই তা প্রকাশ করেন।

    পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদের বিশিষ্ট গবেষক মোফাখখার হুসেইন খান সরাসরি মন্তব্য না করলেও আকবর আলীকেই বাংলা ভাষায় প্রথম কোরআন অনুবাদক সাব্যস্ত করেছেন।

    • ১৮৭৩ : পাদ্রি তারাচরণ মিত্র। হিন্দু থেকে খ্রিস্টান হয়েছিলেন তারাচরণ মিত্র। পবিত্র কোরআনের প্রথম ১২ পারা তিনি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন এবং ১৮৭৩ সাল থেকে কলকাতার বঙ্গমিহির নামক একটি পত্রিকায় তা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে থাকেন। পরে ১৮৮২ সালে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেন।
    • ১৮৮১ : গিরিশচন্দ্র সেন (১৮৩৫-১৯১০)। তৎকালীন পূর্ব বাংলার বৃহত্তর ঢাকার বর্তমান নরসিংদী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন গিরিশচন্দ্র সেন। তিনি প্রথমে ছিলেন হিন্দু, পরে ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী হন। বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ প্রথম তিনিই করতে সমর্থ হন। ১৮৮১ সালে তার অনূদিত পবিত্র কোরআনের প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়। ১৮৮৫ সালের মধ্যে কোরআন অনুবাদের সব খণ্ড প্রকাশিত হয়। তার অনুবাদে সংস্কৃতজাত বাংলা শব্দের প্রাবল্যের কারণে তৎকালীন মুসলিমসমাজে তা জনপ্রিয়তা লাভ করেনি।
    • ১৮৮৭ : মাওলানা নঈম উদ্দিন (রহ.) (১৮৩২-১৯০৮)। গিরিশচন্দ্র সেনের কোরআন অনুবাদের ঘটনা যে মুসলিমসমাজে বেশ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় পবিত্র কোরআন বাংলা ভাষায় অনুবাদে বাঙালি মুসলিম আলেমদের তাৎক্ষণিক আগমনের ঘটনায়। বাঙালি আলেমসমাজ এর আগে কোরআন বঙ্গানুবাদের বিষয়টিতে ততটা গুরুত্ব দেয়নি, কারণ সে সময় পবিত্র কোরআনের আরবি, ফারসি ও উর্দু অনুবাদ শিক্ষিতসমাজে সুলভ ছিল। সে সময় উচ্চশ্রেণির হিন্দু-মুসলিম এবং শিক্ষিত মুসলিম সমাজে ফারসি ও উর্দু ভাষা ভালোভাবেই প্রচলিত ছিল। এ প্রেক্ষাপটেই মাওলানা নঈম উদ্দিন সেই উষাকালে বঙ্গভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদে এগিয়ে এসেছিলেন।
    • ১৮৮৯ : আকবর উদ্দিন। তিনি উত্তর বাংলার দিনাজপুর থেকে ১৮৮৯ সালে পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন। অনুবাদ গ্রন্থটি পাওয়া না গেলেও বাংলা ভাষায় মুসলিম লেখক গ্রন্থপঞ্জিতে (মো. আবদুর রাজ্জাক, রাজশাহী : ১৯৮৮ প্রণীত) এই অনুবাদের কথা উল্লিখিত হয়েছে। তিনি তার অনুবাদের নাম দিয়েছিলেন ‘কোরআন’।
    • ১৮৯১ : ফিলিপ বিশ্বাস। বাঙালি (দেশীয়) খ্রিস্টানের হাতে এই প্রথম পবিত্র কোরআন অনূদিত হয়। কলকাতা থেকে ১৮৯১ সালে প্রকাশিত এই অনুবাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল ইসলাম ধর্মকে হেয় করা। আর এ জন্য তা বিনা মূল্যে বিতরণ করা হতো। পরে মুসলিমদের আপত্তির কারণে ব্রিটিশ সরকার অনুবাদটি বাজেয়াপ্ত করে।
    • ১৮৯১ থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছর এভাবে পত্রপত্রিকায় তার অনূদিত পবিত্র কোরআন প্রকাশ অব্যাহত থাকে। ১৯০৭ সালে ২৯ সংখ্যক পারা সুরা তাবারাকাল্লাজি গ্রন্থাকারে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ১০১।
    • ১৯০৫ : মাওলানা আব্বাছ আলী (১৮৫৯-১৯৩২)। গবেষকদের মতে, মাওলানা আব্বাছ আলী হলেন বাংলা ভাষায় কোরআনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুসলমান অনুবাদক। এর আগে মাওলানা মঈনুদ্দীন কোরআন অনুবাদের যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা পূর্ণাঙ্গভাবে সফল হয়েছিল তার সন্তানদের দ্বারা। কিন্তু মাওলানা আব্বাছ আলী নিজে পবিত্র কোরআনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ সমাপ্ত করতে সমর্থ হন।

    মওলানা আকরম খাঁ (১৮৬৮-১৯৬৮)। বাঙালি মুসলিম আলেমদের মধ্যে মওলানা আকরম খাঁ পবিত্র কোরআন অনুবাদের সঙ্গে নানাভাবে জড়িত ছিলেন। প্রথমত, গিরিশচন্দ্র সেনের অনুবাদকে অভিনন্দিত করে তিনি প্রথম এ বিষয়ে আলোচনায় আসেন। পরে মাওলানা আব্বাছ আলীর সঙ্গে যৌথভাবে ১৯০৫ সালে কোরআন অনুবাদে অংশগ্রহণ করেন। যৌথ অনুবাদটি ছিল তিন ভাষায় সমন্বিত। আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় এই কোরআন অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।

    • ১৯০৮ : রেভারেন্ড উইলিয়াম গোল্ডস্যাক (১৮৬১-১৯৫০)। সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাপ্টিস্ট মিশনের পক্ষ থেকে রেভারেন্ড গোল্ডস্যাক ১৯০৮ সালে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করে ফরিদপুর থেকে প্রকাশ করেন। মোট ১২ খণ্ডে তিনি পুরো কোরআন অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলেন। এ জন্য তার সময় লেগেছিল মোট ১২ বছর।

    শ্রী কিরণ গোপাল সিংহ (১৮৮৫-১৯৪২)। ইতিহাসে দেখা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে একমাত্র কিরণ গোপাল সিংহই পবিত্র কোরআন অনুবাদে এগিয়ে এসেছিলেন। ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুরাগ থেকেই কিরণ গোপাল সিংহ পবিত্র কোরআন বাংলা ভাষায় অনুবাদে হাত দিয়েছিলেন।

    • ১৯১১ : মুহাম্মদ মেহেরুল্লাহ সানী (১৮৫৬-১৯১৮)। সিরাজগঞ্জ জেলার সমাজকর্মী ও সাহিত্যিক মেহেরুল্লাহ সানী পবিত্র কোরআন বাংলায় অনুবাদ করেন এবং এর নাম দেন বাংলা কোরআন শরিফ। আলেমসমাজ কোরআন অনুবাদের এ রকম নাম গ্রহণ করেনি, কারণ ‘আরবি কোরআন’, ‘বাংলা কোরআন’—এ রকম কোরআনের নাম হতে পারে না। উলামা-হজরতরা বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ’—এমন করে নামকরণে এই কার্যক্রম সহিহ হতে পারে।
    • ১৯১৩ : আলাউদ্দীন আহমদ (১৮৫১-১৯১৫) ও হাফেজ মাহমুদ শাহ। সুসাহিত্যিক আলাউদ্দীন আহমদ সিরাজগঞ্জে পবিত্র কোরআন অনুবাদে হাত দেন। পরে তিনি হাফেজ মাহমুদ শাহর সাহায্য গ্রহণ করেন এবং যুগ্ম নামে এই অনুবাদ ১৯১৩ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। বাংলা ভাষায় মুসলিম লেখক গ্রন্থপঞ্জি, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৩৬-৩৭ (মো. আবদুর রাজ্জাক প্রণীত)-এ তার নাম কোরআন অনুবাদক হিসেবে উল্লিখিত আছে। তার গ্রন্থের পৃষ্ঠাসংখ্যা ছিল ৬৬। বলা হয়েছে, তাফসির রুহুল বয়ান থেকে তিনি সুরা আল কদরের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন। (ড. মোহাম্মদ আবদুল অদুদ : বাংলা ভাষায় কোরআন চর্চা : উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ১৬৭)
    • ১৯১৪ : মাওলানা খোন্দকার আবুল ফজল আবদুল করিম (১৮৭৬-১৯৪৭)। টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণকারী খোন্দকার আবদুল করিম ১৯১৪ সালে ‘কোরআন’ নামে বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন এবং টাঙ্গাইল থেকে মুদ্রণ করে প্রকাশ করেন। কোরআনের আমপারার অংশ তিনি কাব্যানুবাদও করেছিলেন। পরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় কোরআন শরিফ প্রথম খণ্ড। পরে তার অন্য খণ্ডগুলো কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।
    • ১৯১৬ : মুন্সী করিম বখশ। কলকাতার অধিবাসী মুন্সী করিম বখশ ১৯১৬ সালে পবিত্র কোরআনের প্রথম ও শেষ পারার বাংলা অনুবাদ কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। বাংলা ভাষায় পবিত্র কোরআনের মূল আরবির বাংলা উচ্চারণের প্রথা তিনিই প্রথম চালু করেন। শুধু তা-ই নয়, তার অনুবাদে প্রথম আরবি, পরে আরবির বাংলা উচ্চারণ এবং তারপর বাংলা অনুবাদ পর পর প্রদত্ত হয়েছে। যদিও আরবির বাংলা উচ্চারণ প্রদানকে আলেমসমাজ যথার্থ মনে করেন না, তার পরও আরবিতে অনভিজ্ঞ মুসলমানদের জন্য তা কার্যকর মনে করা হয়েছিল। এই ধারা তখন থেকে বাংলা সমাজে এখনো প্রচলিত আছে।
    • ১৯১৭ : আবদুল ছাত্তার সুফী। কলকাতা থেকে ১৯০৭ সালে পবিত্র কোরআনের আয়াত কাব্য আকারে অনুবাদ করে প্রকাশ করেন তিনি। বাংলা কবিতার ত্রিপদী ছন্দে কোরআন অনুবাদে ছিলেন তিনিই প্রথম।

    মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন (১৮৭৫-১৯৪৫)। পশ্চিম বাংলার চব্বিশ পরগনায় জন্মগ্রহণকারী মাওলানা রুহুল আমিন ১৯১৭ সালে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন। কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে পাস করা আলেম হওয়ায় তার অনুবাদের প্রতি তৎকালীন মুসলিমসমাজের আগ্রহ দেখা যায়।

    • ১৯২০ : মাওলানা এয়ার আহমদ এলটি (-১৯৪৪)। ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণকারী মাওলানা এয়ার আহমদ ‘আমপারা বাঙ্গালা তফছির’ নামে কোরআন অনুবাদ করে ১৯২০ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশ করেন।
    • ১৯২২ : মোহাম্মদ আবদুল হাকিম (১৮৮৭-১৯৫৭) ও মোহাম্মদ আলী হাসান। গোপালগঞ্জ নিবাসী মোহাম্মদ আবদুল হাকিম এবং মানিকগঞ্জ নিবাসী মোহাম্মদ আলী হাসান ‘কোরআন শরিফ’ নাম দিয়ে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ যৌথভাবে সম্পাদন করেন এবং কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। এর সঙ্গে তারা তাফসিরও বর্ণনা করেছেন। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক থেকে শুরু করে অনেক মুসলমান নেতাই তাঁদের অনুবাদের প্রশংসা করে সনদ দিয়েছিলেন।
    • ১৯২৩ : মাওলানা শেখ ইদ্রিস আহমদ। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৮৯২ সালে মাওলানা শেখ ইদ্রিস আহমদ জন্মগ্রহণ করেন। ‘কোরআনের মহাশিক্ষা’ নামে তার অনূদিত পবিত্র কোরআন ১৯২৩, ১৯২৭ ও ১৯৩৪ সালে মোট তিন খণ্ডে বিভক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়।
    • ১৯২৪ : মাওলানা ফাজেল মকিমী। কলকাতার অধিবাসী মাওলানা ফাজেল মকিমী ১৯২৪ সালে পবিত্র কোরআনের দু-তিন পারা অনুবাদ করেছিলেন। কিন্তু গবেষকরা তার অনুবাদের কোনো নমুনা বা কপির সন্ধান পাননি। (ড. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান : বাংলা ভাষায় কোরআন চর্চা, পূর্বোক্ত, পৃষ্ঠা ২৭৪)
    • ১৯২৫ : ফয়জুদ্দীন আহমেদ (১৮৯৯-১৯৩৫)। বরিশালে জন্মগ্রহণকারী ফয়জুদ্দীন আহমেদ সুরা ফাতিহা ও এর তাফসির অনুবাদ করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকা থেকে ১৯২৫ সালে তা প্রকাশ করেন। সুরা ফাতিহার অনুবাদ ও তাফসিরের এই খণ্ডটি ছিল ১৫৭ পৃষ্ঠার।
    • ১৯২৬ : ফজলুর রহীম চৌধুরী (১৮৯৬-১৯২৯)। বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণকারী এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জামাতা ফজলুর রহীম চৌধুরী প্রথমে ‘কোরআনের সুবর্ণ পঞ্জিকা’ নামে বিশেষ বিশেষ সুরা ও সুরাংশ অনুবাদ করে ১৯২৬ সালে প্রকাশ করেন। পরে ‘কোরআন শরিফ’ নামে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন, যা তার মৃত্যুর পর ১৯৩০ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।

    মাওলানা খন্দকার গোলাম রসুল। ঝিনাইদহ জেলার আলেম ‘বাঙ্গালা পাঞ্জ সুরাহ’ নাম দিয়ে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরা অনুবাদ করেন। ১৯২৬ সালে তা নদিয়া থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলা ভাষায় মুসলিম লেখক গ্রন্থপঞ্জিতে (মো. আবদুর রাজ্জাক প্রণীত, রাজশাহী ১৯৮৮) তার নাম পবিত্র কোরআনের একজন অনুবাদক হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে।

    • ১৯২৭ : মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ছিদ্দিকী। কক্সবাজার জেলায় জন্মগ্রহণকারী মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ছিদ্দিকী ‘মহা কোরআন কাব্য’ নাম দিয়ে ১৯২৭ সালে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। গদ্য ও পদ্য—দুই রীতিতে তার কোরআন অনূদিত হয়েছিল, আর এটা ছিল বঙ্গ ভাষায় কোরআন অনুবাদের একটি ব্যতিক্রম রীতি।
    • ১৯২৮ : মাওলানা ওসমান গনি। পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯১৪ সালে পাঞ্জ সুরা অনুবাদ করেন এবং এর নাম দেন ‘পঞ্চমণি’। কিন্তু এটি প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে কলকাতা থেকে। পরে ‘পবিত্র কোরআন’ শিরোনামে কোরআন অনুবাদ করেন এবং ১৯৪৭ সালে তা প্রকাশিত হয়। তিনি এই অনুবাদে আরবি উচ্চারণের বাংলা অনুলিখন (প্রতিবর্ণায়ন) সংযোজন করেন।

    মাওলানা আহমদ আলী (১৮৯৮-১৯৫৯)। যশোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং কলকাতা আলিয়া মাদরাসা থেকে দ্বিনি শিক্ষার প্রাথমিক ভিত গড়ে তোলেন। ১৯২৮ সালে সুরা ইয়াসিন অনুবাদ করে প্রকাশ করেন।

    • ১৯২৯ : মাওলানা কফিলউদ্দিন আস সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল জেলার অধিবাসী মাওলানা কফিলউদ্দিন ১৯২৯ সালে ‘তরজমা পাঞ্জে সুরা’ নাম দিয়ে পবিত্র কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সুরা অনুবাদ করেন। এটি প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে। তবে তার অনূদিত এই তরজমা পাওয়া যায়নি।

    অধ্যাপক আলী আহমদ লিখিত বাংলা মুসলিম গ্রন্থপঞ্জিতে (বাংলা একাডেমি, ঢাকা ১৯৮৫) মাওলানা কফিলউদ্দিন আস সিদ্দিকী (রহ.)-কে একজন কোরআন অনুবাদক হিসেবে দেখানো হয়েছে। (পৃষ্ঠা ৩৪৬)

    • ১৯৩০ : মোরশেদ আলী। ‘কোরআন দর্পণ’ নামে পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেন মোরশেদ আলী ১৯৩০ সালে। এটি প্রকাশিত হয়েছিল ঢাকা থেকে। অধ্যাপক আলী আহমদ লিখিত বাংলা মুসলিম গ্রন্থপঞ্জিতে কোরআন অনুবাদক হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি তার অনূদিত গ্রন্থের নাম দিয়েছিলেন ‘কোরআন দর্পণ’। এর প্রথম খণ্ডে ১৭টি সুরার বঙ্গানুবাদ স্থান পেয়েছিল।

    মীর ফজলে আলী (১৮৯৮-১৯৩৯)। বরগুনা জেলার সন্তান মীর ফজলে আলী ১৯৩০ সালে ‘কোরআন কণিকা’ শিরোনামে পবিত্র কোরআনের অংশবিশেষ অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। এটি প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে। ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এই অনুবাদের ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন।

    • ১৯৩১ : মুহাম্মদ আজহার উদ্দীন। রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন মুহাম্মদ আজহার উদ্দীন। ‘কোরআনের আলো’ শিরোনামে পবিত্র কোরআনের দীর্ঘ সুরাগুলো অনুবাদ করে ১৯৩১ সালে তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন।
    • ১৯৩২ : আবদুল আযীয হিন্দি (১৮৬৭-১৯২৬)। কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আবদুল আযীয হিন্দি। ‘কোরআন শরিফ’ শিরোনামকৃত তার অনূদিত পবিত্র কোরআন নোয়াখালী থেকে ১৯৩২ সালে প্রকাশিত হয়।
    • ১৯৩৩ : কাজী নজরুল ইসলাম। পশ্চিম বাংলার বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি বলে পরিচিত কাজী নজরুল ইসলাম পবিত্র কোরআনের আমপারা অংশ কাব্যাকারে অনুবাদ করেন। তা ‘কাব্য আমপারা’ নামে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয় ১৯৩৩ সালে। কবি নজরুলের অনুবাদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি কাব্যানুবাদ শেষে মার্জিনের নিচে আরবি সুরার বাংলা অর্থ পরিবেশন করেছেন।
    • ১৯২০ সালে ‘আমপারা’ শীর্ষক অংশে পবিত্র কোরআনের অনুবাদের খণ্ডাংশ কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। গদ্য ও কাব্য—এ দুই-ই বিচ্ছিন্নভাবে অনুবাদে তিনি কাজে লাগান।
    • ১৯৩৪ : সৈয়দ আবুল খায়ের তাজুল আউলিয়া জাহাঙ্গীর। টাঙ্গাইল থেকে ১৯৩৪ সালে ‘বাংলা কোরআন শরিফ’ নাম দিয়ে পবিত্র কোরআনের অনুবাদ প্রকাশ করেন। তবে তা ছিল শুধু প্রথম পারার অনুবাদ।
    • ১৯৩৫ : সৈয়দ আবুল মনসুর। সিলেটের অধিবাসী ছিলেন সৈয়দ আবুল মনসুর। কলকাতা থেকে ১৯৩৫ সালে ‘কোরআন কুসুমাঞ্জলি’ নামে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। পরে ‘কোরআন মঞ্জরি’, ‘কোরআন মঙ্গল’ ইত্যাদি নামে আরো কিছু সুরার অনুবাদ প্রকাশিত হয়। মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমিত্রাক্ষর ছন্দের অনুসরণ করে তিনি কোরআনের কাব্যানুবাদের অনুশীলন করেছিলেন।
    • ১৯৩৬ : আইয়ুব আলী চৌধুরী (১৮৭৭-১৯৩৬)। বাংলা পয়ার ছন্দে সুরা ফাতিহার কাব্যানুবাদ করে আইয়ুব আলী চৌধুরী ১৯৩৬ সালে কলকাতা থেকে তা প্রকাশ করেন। এর নাম দেন তিনি ‘স্বর্গীয় কানন’। কাব্যানুবাদে সুরা ফাতিহা বিষয়ে তার মনগড়া অনেক শব্দও তিনি এতে প্রয়োগ করেন।

    মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম আকবর (১৮৯২-১৯৫৬)। যশোর থেকে ১৯৩৬ সালে ‘আমপারার তফসির’ নাম দিয়ে তার কোরআন অনুবাদের খণ্ড প্রকাশ করেন।

    • ১৯৩৭ : বসন্তকুমার মুখোপাধ্যায়। হিন্দু ব্রাহ্মণদের মধ্যে বসন্তকুমার মুখোপাধ্যায়ই প্রথম কোরআন অনুবাদ করে প্রকাশ করেছিলেন। ‘পবিত্র কোরআন প্রবেশ’ নামে তার অনুবাদ ১৯৩৭ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুদ্রিত হয়ে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে বলে গ্রন্থটিতে উল্লিখিত হয়।
    • ১৯৩৯ : মুহাম্মদ ইসমাইল। চাঁদপুরে জন্মগ্রহণকারী মুহাম্মদ ইসমাইল পবিত্র কোরআনের ৩০তম পারা অনুবাদ করে ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরা থেকে প্রকাশ করেন। তিনি এর নাম দেন ‘আমপারার তরজমা’।
    • ১৯৪০ : মুহাম্মদ শামসুল হুদা। গিরিশচন্দ্র সেনের পর নরসিংদীতে জন্মগ্রহণকারী মুহাম্মদ শামসুল হুদা নামের আরেক নরসিংদীবাসী কোরআন অনুবাদে এগিয়ে আসেন। ১৯৪০ সালে ‘নেয়ামুল কোরআন’ নামে পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন সুরার অনুবাদ, ফজিলতসহ তার অনুবাদ প্রকাশিত হয় ঢাকা থেকে।
    • ১৯৪১ : খানবাহাদুর আহসানউল্লা (১৮৭৩-১৯৬৫)। সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণকারী খানবাহাদুর আহসানউল্লা পবিত্র কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সুরা অনুবাদ করে ১৯৪০ সালে (মতান্তরে ১৯৪০-১৯৪৭-এর কোনো সময়ে) কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন। এর নাম দেন তিনি ‘পাঁচ ছুরা’। এর আগে এ রকম অন্যান্য অনুবাদে আমরা নাম পেয়েছি ‘পোঞ্জু সুরা’, তিনিই প্রথম ‘পোঞ্জু’র বাংলা করেন ‘পাঁচ’।
    • ১৯৪৪ : মীজানুর রহমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অধিবাসী মীজানুর রহমান তার মায়ের নির্দেশে পবিত্র কোরআন অনুবাদ করে ‘নূরের ঝলক’ বা ‘কোরআনের আলো’ নাম দিয়ে ১৯৪৪ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন।
    • ১৯৪৫ : মাওলানা যুলফিকার আলী। ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআনের আমপারার অংশ অনুবাদ করে ১৯৪৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশ করেন। তার অনুবাদের বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি আরবি অক্ষরে বাংলা অনুবাদ করেন। পবিত্র কোরআন অনুবাদে এই রীতিতে তিনিই প্রথম। তবে এই ধারার আর বেশি চর্চা হয়নি।
    • ১৯৪৬ : ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯)। পশ্চিম বাংলার চব্বিশ পরগনা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বহুভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ থেকেও বাংলাভাষী মানুষ পবিত্র কোরআনের অনুবাদ লাভ করেছে। ‘মহাবাণী’ শিরোনামে তার অনূদিত কোরআন প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে বগুড়া থেকে। এতে সুরা ফাতিহা থেকে সুরা ফিল পর্যন্ত অনূদিত হয়েছিল। এ ছাড়া তিনি সুরা বাকারাও অনুবাদ করেছিলেন। তার অনুবাদে সংস্কৃতজাত শব্দের অগ্রাধিকার ছিল। ‘ইমাম’কে ‘আচার্য’ ও ‘ধর্মাচার্য’, ‘মুক্তাদি’কে ‘অনুবর্তী’, ‘আয়াত’কে ‘প্রবচন’, ‘নবী’কে ‘সংবাদবাহক’, ‘নবুয়ত’কে ‘প্রেরিতত্ব’ শব্দ দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
    • ১৯৪৭ : মাওলানা মুনীর উদ্দীন আহমদ। রংপুর নিবাসী মাওলানা মুনীর উদ্দীন আহমদ ‘হাফিজিল কাদেরী’ নামে তাফসিরসহ পবিত্র কোরআনের অনুবাদ করেন ১৯৪৭ সালে। এটি রংপুর থেকেই প্রকাশিত হয়েছিল।
    • ১৯৬২ : ‘তাফসিরে আশরাফী’, এমদাদিয়া লাইব্রেরি। উর্দু বয়ানুল কোরআনের অনুবাদ। মূল : আল্লামা আশরাফ আলী থানভি (রহ.)।
    • ১৯৬৩ : ‘সহজ পাক তফসির’, খন্দকার মোহাম্মদ হুছাইন। পাকুল্লা, টাঙ্গাইল, তফসির মঞ্জিল।
    • ১৯৬৬-৬৭ : ‘পবিত্র কোরান’, কাজী আব্দুল ওদুদ। ফরিদপুর, পরে কলকাতা।
    • ১৯৬৭ : ‘কোরআন শরিফ’, ঝিনুক প্রকাশনী, আলী হায়দার চৌধুরী।

    ‘কোরআনুল করিম’, ইসলামিক একাডেমি, ঢাকা (বর্তমানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন), অনুবাদক : শামসুল ওলামা বেলায়েত হোসেন ও অন্যান্য।

    • ১৯৬৮ : ‘কোরআনের মুক্তাহার’, মাওলানা মোহাম্মদ ছায়ীদ ইব্রাহিমপুরী। ইব্রাহিমপুর, চাঁদপুর।
    • ১৯৬৯ : ‘কোরআন শরিফ’, হাকিম আব্দুল মান্নান। সহজ-সরল কথা, ভাষায় প্রথম ও মূলানুগ অনুবাদ। তাজ কম্পানি, ঢাকা।
    • ১৯৭০ : ‘তাফাসরুল কোরআন’। শব্দসহ তাফসির। মুহা. নূরুল ইসলাম, বগুড়া।
    • ১৯৭০-৭২ : ‘আল-কোরআন : তরজমা ও তাফসির’। পাঁচ খণ্ড, অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ তাহের, কলকাতা আলিয়া মাদরাসা।
    • ১৯৭৪ : ‘তাফসিরে বয়ানুল কোরান’-এর বঙ্গানুবাদ, মাওলানা নূরুর রহমান, ১৯০৯, এমদাদিয়া লাইব্রেরি।

    মূল : আল্লামা আশরাফ আলী থানভি (রহ.)।

    ‘কোরআন শরিফ’, টীকাসহ গোটা কোরআন শরিফের বঙ্গানুবাদ, মোবারক করিম জওহর। কলি. হরফ, প্রকাশনী।

    • ১৯৭৫ : ‘তাফহিমুল কোরআন’, মাহবুব প্রকাশনী। মূল লেখক : মাওলানা মওদুদি (রহ.), অনুবাদক : অধ্যাপক গোলাম আযম।
    • ১৯৭৭ : ‘পবিত্র কোরআন শরিফ’, মূল আরবিসহ বিশুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ, অর্থ ও প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যাসংবলিত। এ কে এম ফজলুর রহমান মুন্সী, রাজামেহার, কুমিল্লা।
    • ১৯৭৮-৭৯ : ‘তাফহিমুল কোরআন : কোরআন মজিদের বাংলা তাফসির’। ইসলামিক পাবলিকেশন্স, অন্য মুদ্রণ : আধুনিক প্রকাশনী।
    • ১৯৮০ : ‘তাফসিরে মা‘রেফুল কোরআন’, মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মূল : মুফতি মুহম্মদ শফি।
    • ১৯৯৪ : ‘পবিত্র কোরআনুল করিম : বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসির’ (মা‘আরেফুল কোরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির), সৌদি দূতাবাস।
    • ১৯৮২ : ‘তাফসিরে জালালাইন’ (অনুবাদ), মুহম্মদ খুরশীদ উদ্দীন।
    • ১৯৮৭ : ‘বাংলা কোরান শরিফ’, আব্দুদ দাইয়্যান চিশতী (মাওলানা শাহ সুফী), ছারছীনা, বরিশাল, কথাকলি।
    • ১৯৮৮ : ড. মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান, অধ্যাপক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

    ‘তাফসিরে ইবনে কাছির’, অধ্যাপক আখতার ফারুক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    • ১৯৯২ : ‘কোরআন শরিফ’, ড. ওসমান গনি, কলকাতা মল্লিক ব্রাদার্স।
    • ১৯৯৩ : ‘তাফসির-ই জালালাইন’, ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। মূল : জালালুদ্দীন সুয়ুতি (রহ.), ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
    • ১৯৯৪ : ‘তাফসিরে নূরুল কোরআন’, মাওলানা মো. আমিনুল ইসলাম, আলবালাগ পাবলিকেশন্স।

    ‘তাফসিরে মাজেদি শরিফ’, মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান মল্লিক (অনুবাদক)। মূল : মাওলানা আব্দুল মজিদ দরিয়াবাদি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

    • ১৯৯৫:কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান অনুবাদ: মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
    মূল তরজুমা: আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহ)ও তাফসীর: মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মুরাদাবাদী (রহ), গুলশান-ই-হাবীব ইসলামী কমপ্লেক্সে, চট্টগ্রাম।
    
    • ১৯৯১-৯৫ : ‘তাফসিরে তাবারি শরিফ’, মাওলানা মুহাম্মদ সাখাওয়াত উল্লাহ। মূল : আল্লামা আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারির তাবারি (রহ.), ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
    • ১৯৯৫ : ‘তাফসির ফি যিলালিল কোরআন’, হাফিজ মুনির উদ্দীন আহমদ, আল কোরআন একাডেমি, লন্ডন। মূল : সাইয়েদ কুতুব শহীদ (রহ.)।
    • ১৯৯৬ : ‘ছহীহ বঙ্গানুবাদ কোরআন শরিফ’, মাওলানা এম এ বশির উদ্দিন।
    • ১৯৯৬-৯৭ : ‘তাফসিরে উসমানী’ (অনূদিত), ইসলামিক ফাউন্ডেশন। মূল : মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মাওলানা শাব্বীর আহমদ উসমানী।
    • ১৯৯৭ : ‘কোরান শরিফ’, ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, খোশরোজ।
    • ১৯৯৮ : ‘শাহনূর কোরআন শরিফ’, মাওলানা মাজহার উদ্দীন আহমদ, ছারছীনা।

    মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

    • ১৯৯৯ : ‘তাফসিরে কোরআন’, সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী।
    • ২০০০ : ‘কোরআন শরিফ : সরল বঙ্গানুবাদ’, বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
    • ২০০২ : ‘কোরআন শরিফ : সহজ সরল বাংলা অনুবাদ’, হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমদ, আল কোরআন একাডেমি, লন্ডন।
    • ২০০৬ : ‘পবিত্র আল কোরআনের পুঁথি অনুবাদ’, মাওলানা আব্দুল হামিদ কাসেমী, নিউ হামিদিয়া প্রকাশনী।
    • ২০১০ : ‘কোরআন শরিফ’, আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী, মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ যাকারিয়া, মীনা বুক হাউস।
    • ২০১১ : ‘নূর নূরানি বাংলা উচ্চারণ’, বঙ্গানুবাদ ও শানে নজুলসহ কোরআন শরিফ, মাওলানা মোহাম্মদ ওসমান গনি, সোলাইমানি বুক হাউজ।
    • ২০১২ : ‘বঙ্গানুবাদ কোরআন শরিফ’, মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহিম (রহ), খায়রুন প্রকাশনী।
    • ২০১৭ : ‘তাফসিরে তাওযিহুল কোরআন’, মূল : শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তাকী উসমানী। অনুবাদ : মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। মাকতাবাতুল আশরাফ।
    • ২০১৮ : ‘সহজ কোরআন’, আসিফ সিবগাত ভূঞা, আদর্শ লাইব্রেরি।

    আরও পড়ুন

  • আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত-এর কুরআন অনুবাদ

    বিশ্বের ৭৬ টি ভাষায়[১] অনুবাদ করেছে। [২] এরই সাথে কুরআনের বিষয়ভিত্তিক নির্বাচিত অংশ অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। লাহোর আহমদিয়া আন্দোলন কমপক্ষে ৭টি ভাষায় অনুবাদ তৈরি করেছে। ১৯৮০ এর দশকে এবং ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের কুরআন অনুবাদের কাজে বিশেষ গতি বা সংখ্যা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।

    প্রারম্ভিকভাবে বিশ্বের বেশকিছু ভাষায় কুরআনের অনুবাদ আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের আলেমরা করেন এবং বর্তমান সময়েও অনেকগুলি ভাষা রয়েছে যেসব ভাষায় কুরআনের অনুবাদ শুধুমাত্র আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত করেছে। সমস্ত অনুবাদকর্ম আরবি শব্দের পাশাপাশি রেখে প্রকাশিত হয়।

    প্রকাশনা

    আহমদীয়া মুসলিম জামা’তের আলেমরা কুরআনের অনুবাদগুলি প্রত্যেকক্ষেত্রেই মূল আরবী পাঠের পাশে অনুবাদকৃত আয়াত উপস্থাপন করে থাকে। অনুবাদগুলি প্রকাশের আগে ত্রুটিগুলো সংশোধনের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের এবং ভাষার অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়, যাচাই-বাছাই করা হয় এবং প্রুফ-রিড করা হয়। অনুবাদগুলির সংশোধিত সংস্করণগুলোও প্রকাশ করার সময় একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। বিশেষত, পাঠ্য এবং অন্যান্য ভাষাগত অসুবিধাগুলির জন্য আহমদীয়া জামা’তের খলিফার কাছ থেকে নির্দেশনা চাওয়া হয়। যেহেতু কুরআনের বেশিরভাগ অনুবাদ ১৯৮০ এর দশক থেকে করা হয়েছে, তাই বেশিরভাগ অনুবাদ চতুর্থ খলিফা এবং পঞ্চম খলিফা থেকে পরামর্শ নেয়া হয়েছিল।

    কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদসমূহ

    উর্দু ভাষার অনুবাদগুলির জন্য নিচে তফসীর অংশটি দেখুন।

    বছরভাষা [৩]শিরোনামঅনুবাদক (মন্ডলী)উদাহরণ (১:১)বহিঃসংযোগ
    ১৯৫৩[nb ১]ডাচ{{refn|The project was started in 1945[৪][nb 1][nb 1][nb 1][nb 1][nb 1]De Heilige Qur’an met Nederlandse Vertalingবিবৃত হয়নিIn naam van Allah, de Barmhartige, de Genadevolle.অনলাইন ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে
    ১৯৪২সোয়াহিলিQur’an Tukufu Pamoja na Tafsiri na Maelezo Kwa Swahili[৫]বিবৃত হয়নিKwa jina la Mwenyezi Mungu, Mwingi wa rehema, Mwingi wa ukarimu.অনলাইন
    পিডিএফ
    ১৯৭৪LugandaKur’āni Entukuvu mu Luganda[৬]ওয়েব
    পিডিএফ
    ১৯৭৬ইওরুবাAlkurani Mimọ[৭]
    ১৯৮৮জাপানি聖クルアーン[৮]ওয়েব
    পিডিএফ
    ১৯৮৮কিকু্ইয়ুKũrani Theru[৯]ওয়েব
    পিডিএফ
    ১৯৮৮কোরিয়ান꾸란 한글번역본[১০]ওয়েব
    পিডিএফ
    ১৯৯০চীনা古兰经 阿文原文-中文译释[১১]ওয়েব
    ১৯৯০ইগ্বোKoran Nsọ[১২]
    ১৯৯০মেন্ডেKurana Gayemagoi[১৩]
    ১৯৯২হাউসাAl-Kur’ani Mai Tsarki Takui Cikin Arabci da Fassara Cikin Hausa[১৪]
    ২০০২এফিকKurana Saniman Julakan Na Ani Arabukan Na[১৫]
    ২০০২KikambaKulani Ntheu Maandiko ma Kialavu na Ualyulo kwa Kikamba[১৬]নামান নিথেঞ্জ লুকিন্ডোওয়েব
    পিডিএফ
    ২০০৪KreolLe Saint Qur’an Texte Arabe avec traduction en créole[১৭]নাজির আহমদ হুলাশ
    সাïদা সুকিয়া
    আমিনা ইয়াসমিন সুলতানগোস
    ওয়েব
    পিডিএফ
    ২০০৬মুর
    ২০০৭ফুলা
    ২০০৭Mandinka,
    ২০০৭উওলোফ
    ২০০৮মালাগাসিNy Kor’any Masina Amin’ny Teny Arabo sy Ny Dikani Amin’ny Teny Malagasy[১৮]রামভনিরিনা অলিভা রাহন্তমালাল
    রাজাফিমোমনি জর্জেস ইউগান ফঞ্জা
    আন্ড্রিয়াডাহী মাহমুদউ
    ওয়েব
    পিডিএফ
    ২০০৮আসন্তে টোইKur’aan Kronkron No Arabek Atwerεnsεm ne Asante Nkyerεaseε[১৯]ইউসুফ আহমদ এদুসিঅনলাইন
    পিডিএফ
    ২০১০Kriol,Sagradu Al Kur’an k’un Traduson na Kriol[২০]

    ইউরোপীয় ভাষায় কুরআনের অনুবাদ সমূহ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক স্থানপ্রকাশনের বছরঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট/বহিঃসংযোগ
    Kurani Karim:Arabist – shqib[৩][২১]আলবেনীয় ভাষাআলবেনিয়া; কসোভো; উত্তর মেসিডোনিয়া১৯৯০মুহাম্মাদ যাকারিয়া খানOnline versionPDF version
    Kur’an Časni: Arapski texsti bosanskiprijevod[৩][২২]বসনীয় ভাষাবসনিয়া ও হার্জেগোভিনা; আরো সাধারণভাবে – বলকান অঞ্চল২০০৮Fahrija Avdić; ওয়াসিম আহমদOnline version
    Свещеният Коран[৩][২৩]বুলগেরীয় ভাষাবুলগেরিয়া; আরো সাধারণভাবে – বলকান অঞ্চল১৯৯১PDF (selected verses)
    El Sagrat Alcorà: Amb text Àrab I traducció al Català[৩][২৪]কাতালান ভাষাকাতালোনিয়া; অ্যান্ডোরা; Roussillon, ফ্রান্স২০০৩PDF version
    Svatý Korán: Arabský text a Český překlad[৩][২৫]চেক ভাষাচেক প্রজাতন্ত্র১৯৯০Šera AlíhoPDF version
    Koranen: med dansk oversaettelse[৩][২৬]ডেনীয় ভাষাডেনমার্ক১৯৬৭এ.এস. ম্যাডসেনOnline versionPDF version
    *De Heilige Qoer-anওলন্দাজ ভাষানেদারল্যান্ডস; ফ্লেডার্স, বেলজিয়াম১৯৩৪Muhammad AliPDF version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে
    De Heilige Qor’aan – met Nederlandse vertaling[৩][২৭]ওলন্দাজ ভাষা১৯৫৩Online ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৭ জুলাই ২০১৭ তারিখে
    *The Holy Quranইংরেজি ভাষাঅস্ট্রেলিয়া; কানাডা; যুক্তরাজ্য; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; নিউজিল্যান্ড; এছাড়াও আফ্রিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল, এবং দক্ষিণ এশিয়া অংশে১৯১৭Muhammad AliPDF ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখে
    The Holy Quran – Arabic Text and English translation[৩][২৮]ইংরেজি ভাষা১৯৫৫Sher AliOnline versionPDF version
    ইংরেজি ভাষা১৯৭১মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান
    Le Saint Coran: Texte arabe et traduction français[৩][২৯]ফরাসি ভাষাফ্রান্স; কেবেক, কানাডা;
    পশ্চিম আফ্রিকা অংশে এবং মধ্য আফ্রিকা
    ১৯৮৫
    PDF version
    *Le Quran Sacreফরাসি ভাষা১৯৯০PDF version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে
    ১০Der Heilige Qur-ân: Arabisch und Deutsch[৩][৩০]জার্মান ভাষাজার্মানি; সুইজারল্যান্ড; আরো বিস্তৃর্ণ মধ্য ইউরোপ অঞ্চলেও১৯৫৪Online versionPDF version
    *Der Koranজার্মান ভাষা১৯৬৪সদর-উদ-দ্বীনPDF version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে
    ১১Το Ιερό Κοράνιο[৩][৩১]গ্রিক ভাষাগ্রিস১৯৮৯হামিদ আযিয রেহমানOnline version
    ১২Il Sacro Qur’an[৩][৩২]ইতালীয় ভাষাইতালি; সুইজারল্যান্ড১৯৮৬PDF (selected verses)
    ১৩Den Hellige Qur’ânen: Arabisk texst med Norsk oversettelse[৩][৩৩]নরওয়েজীয় ভাষানরওয়ে১৯৯৬PDF version
    ১৪Swiety Koran: Tekst Arabskii tlumaczenie Polskie[৩][৩৪]পোলীয় ভাষাপোল্যান্ড১৯৯০Online version (including short commentary)PDF version
    ১৫O Sogrado Al-Corão: Texto arabe e tradução portuguêsa[৩][৩৫]পর্তুগিজ ভাষাব্রাজিল; পর্তুগাল; আরো সাধারণভাবে দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকা১৯৮৮Online versionPDF version
    ১৬Священный Коран: Арабский текст c русским переводом[৩][৩৬]রুশ ভাষারাশিয়া; সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র; ইসরায়েল১৯৮৭রুস্তম খামাতভালেভ; রাভিল বুখারায়েভ; রানা খালিদ আহমদOnline versionPDF version
    *El Sagrado Quranস্পেনীয় ভাষাস্পেন; অধিকাংশ দক্ষিণ আমেরিকা; অধিকাংশ মধ্য আমেরিকা; বিষুবীয় গিনি;
    এছাড়াও পশ্চিম ইউরোপ
    ১৯৮৭PDF version ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে
    ১৭El SAgrado Corán con texto en Árabe y traducción al Español[৩][৩৭]স্পেনীয় ভাষা১৯৮৮আনটোনিও কার্লিও রবলেসOnline version (including short commentary)PDF version
    ১৮Den Heliga Qur’anen: Arabisk Text med Svenska översättning[৩][৩৮]সুয়েডীয় ভাষাসুইডেন; ফিনল্যান্ড-এর অংশ১৯৮৮কানিতা সাদিকাPDF version

    তুর্কো-ইরানি ভাষায় কুরআনের অনুবাদ সমূহ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক অবস্থানবছর প্রকাশিতঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট / বহিঃসংযোগ
    [৩]কির্গিজকিরগিজস্তান ; আফগানিস্তান ; তাজিকিস্তান ; জিনজিয়াং, চীন২০০৮বাশারত আহমদ, বেকটেনভ এ, কাসিম্বেভা কে.পিডিএফ সংস্করণ (নির্বাচিত আয়াত)
    قران مجید سره دَ پښتو ترجمی[৩]পুশতুআফগানিস্তান ; পাকিস্তান১৯৯০মুহাম্মদ ইকবালঅনলাইন সংস্করণ
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ
    قرآن مجيد – ترجمه فارسی[৩][৩৯]পারসিকইরান ; প্রাক্তন পারস্য সাম্রাজ্যের আরও সাধারণ অঞ্চল১৯৮৯সৈয়দ আশিক হুসাইন শাহঅনলাইন সংস্করণ
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ
    Kur’an-i Kerim ve Türkçe meali[৩][৪০]তুর্কীতুরস্ক ; বলকান অঞ্চল কিছু অংশের১৯৯০মুহাম্মাদ সেলাল সেমস্‌অনলাইন সংস্করণ
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ
    Куръони Карим[৩][৪১]উজবেকউজবেকিস্তান ; উত্তর আফগানিস্তান ; পশ্চিম কিরগিজস্তান২০০৫বাশারত আহমদ, খুডিবারডিভ কি।, জিয়াদিনভ ইউ, ওয়াহিদভ এ।অনলাইন
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ (নির্বাচিত আয়াত)

    পূর্ব এশিয়ান ভাষায় কুরআনের অনুবাদ সমূহ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক অবস্থানবছর প্রকাশিতঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট / বহিঃসংযোগ
    [৩]অসমীয়া ভাষাআসাম, ভারত১৯৯০খাঁন বাহাদুর আতাউর রাহমান খাঁনOnline versionPDF version
    কুরআন মজীদ (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা)[২]বাংলা ভাষা(চলিত)বাংলাদেশ; পূর্ব ভারত২০০৯অনলাইন সংস্করণ
    [৪২] কুরআন মজীদ (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা)বাংলা ভাষা (সাধু)বাংলাদেশ; পূর্ব ভারত১৯৯২পিডিএফ সংস্করণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে
    [৩] কুরআন মজীদবাংলা ভাষাবাংলাদেশ; পূর্ব ভারত১৯৯০অনলাইন সংস্করণপিডিএফ সংস্করণ
    પવિત્ર અલ કુરઆન અલ હકીમ[৩]গুজরাটি ভাষাগুজরাত, ভারত১৯৯০Online versionPDF version
    कुरान मजीढ – के हिन्दी अनुवाद[৩][৪৩]হিন্দি ভাষাভারত১৯৮৭Online version
    [৩]কন্নড় ভাষাদক্ষিণ ভারত২০০৪মুহাম্মাদ ইউসুফPDF version
    [৩]কাশ্মীরি ভাষাকাশ্মীর উপত্যকা১৯৯৮Online versionPDF version
    [৩]মালয়ালম ভাষাকেরল, ভারত১৯৯১
    [৩]মৈতৈ মণিপুরী ভাষামণিপুর, ভারত১৯৯০আহমদ হাসানOnline versionPDF version
    मराठी पवित्र क़ुरआन ए हकीम[৩]মারাঠি ভাষামহারাষ্ট্র এবং গোয়া, ভারত১৯৯২Online version
    ১০पवित्र कुरान नेपाली अनुवाद[৩]নেপালি ভাষানেপাল২০০১Online eversionPDF version
    ১১ପବିତ୍ର କୋରାନ[৩]ওড়িয়া ভাষাওড়িশা১৯৮৯আব্দুল কাদির খান, মোহাম্মদ আনোয়ার-উল-হকOnline versionPDF version
    ১২ਕੁਰਆਨ ਮਜੀਦ ਦਾ ਗੁਰਮੁਖੀ ਅਨੁਵਾਦ[৩]পাঞ্জাবী (গুরুমুখী লিপি)পাঞ্জাব, ভারত১৯৮৩Online version (including short commentary)PDF version
    ১৩قران مجید سرائیکی ترجمے نال[৩][৪৪]SaraikiBahawalpur South Punjab, Pakistan১৯৯০মুহাম্মদ সাকলাইন বালুচ, রাফিক আহমদ, নাঈম সাকলাইন বালুচOnline versionPDF version
    ১৪قران مجید سنڌي ترجمي سان[৩][৪৫]সিন্ধি ভাষাসিন্ধু প্রদেশ; কচ্ছ জেলা১৯৯১আবদুল কাদির দাহরী; ঘোউস বাকশ্‌ শাইখOnline versionPDF version
    ১৫[৪৬]সিংহলি ভাষাশ্রীলঙ্কা২০১৫Online (first 10 parts)
    ১৬[৩]তামিল ভাষাদক্ষিণ ভারত১৯৮৯
    ১৭పవిత్ర ఖురాన్ గ్రంథము[৩]তেলুগু ভাষাদক্ষিণ ভারত১৯৮১Online version
    ১৮تفسیر صغیر (Tafseer-e-Sagheer)[৩][৪৭]উর্দু ভাষাপাকিস্তান; উত্তর ভারত কিছু অংশ১৯৫৭দ্বিতীয় খলীফা মির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহমদPDF version (includes Commentary)
    قرآن کریم: اردو ترجمہ[৩][৪৮]উর্দু ভাষা২০০০চতুর্থ খলীফা, মির্যা তাহের আহমদPDF version
    قرآن کریم: ترجمہ[৩][৪৯]উর্দু ভাষামীর ইশাকPDF version

    দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় ভাষায় কুরআনের অনুবাদ সমূহ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক অবস্থানবছর প্রকাশিতঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট / বহিঃসংযোগ
    [৩]ইন্দোনেশিয়াসম্বন্ধীয়ইন্দোনেশিয়া১৯৭০
    *Qur’an Suci Terjemah & Tafsir Mukadimahইন্দোনেশিয়াসম্বন্ধীয়১৯৭৯মোহাম্মদ আলীপিডিএফ সংস্করণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ নভেম্বর ২০২০ তারিখে
    *Qur’an Suchi Jarwa Jawiজাভানিজাভা, ইন্দোনেশিয়া২০০১মোহাম্মদ আলীপিডিএফ সংস্করণ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে
    Terjemahan dan Pecahan Loghat Alquranul Karim[৩][৫০]মালেমালয়েশিয়া ; ব্রুনাই ; সিঙ্গাপুর১৯৮৯পিডিএফ (নির্বাচিত আয়াত)
    [৩]সুদানীজাভা এবং ল্যাম্পুং, ইন্দোনেশিয়া১৯৯৮
    Ang Banal Na Koran[৩][৫১]তাগালোগলুজন, ফিলিপাইন১৯৯১
    [৩]থাইথাইল্যান্ড২০০৮
    Thánh Thư Koran[৩][৫২]ভিয়েতনামীভিয়েতনাম ; গুয়াংসি, চীন১৯৮৯অনলাইন সংস্করণ
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ

    মহাসাগরীয় ভাষায় কুরআনের অনুবাদ সমূহ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক অবস্থানবছর প্রকাশিতঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট / বহিঃসংযোগ
    [৩]ফিজিওফিজি১৯৮৭
    Te Kurānu Tapu[৩][৫৩][৫৪]মাওরিনিউজিল্যান্ড২০১০শাকিল আহমদ মনিরপিডিএফ সংস্করণ (নির্বাচিত আয়াত)
    Te Kulani Tapu[৩][৫৫]Tuvaluanটুভালু১৯৯০পুলিকাই সোগিবালু, ওয়ালিদ কাতালাকে। [৫৫]
    </br> সুনিমা মাকাতুই রুশিয়া (নির্বাচিত আয়াত)
    পিডিএফ সংস্করণ (নির্বাচিত আয়াত)

    অন্যান্য ভাষাসমূহে কুরআনের অনুবাদ

    ক্রমিকশিরোনামভাষাভাষার প্রাথমিক অবস্থানবছর প্রকাশিতঅনুবাদক (মন্ডলী)নোট / বহিঃসংযোগ
    La Nobla Korano[৩]এস্পেরান্তো১৯৭০ইটালো চিউসিঅনলাইন সংস্করণ
    </br>
    </br> পিডিএফ সংস্করণ

    কুরআনের তফসীর

    শিরোনামইংরেজিতে শিরোনামভাষাবছর প্রকাশিতলেখক (গুলি)অনুবাদনোট / বহিঃসংযোগ
    Commentary on the Holy Quran: Surah Al-Fatehaউর্দুমির্জা গোলাম আহমদমুহম্মদ জাফরউল্লাহ খান রচিত ইংরেজি অনুবাদকুরআনের প্রথম অধ্যায়ে মির্জা গোলাম আহমদের রচনা থেকে সংকলিত সমীক্ষা। কেবলমাত্র প্রথম খণ্ডটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে। পিডিএফ (ইংরেজি)
    حقائق الفرقان ( হকয়িক আল-ফারকান )Inner Verities of the Discriminantউর্দুহেকীম নুর উদ্দীন, প্রথম খলীফানেই৪ খণ্ড। লিংক
    تفسير کبير ( তাফসীর-কাবীর )The Extensive Commentaryউর্দুহেকীম নুর উদ্দীন, প্রথম খলীফামির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহদ, দ্বিতীয় খলীফাহেকীম নুর উদ্দীন, প্রথম খলীফানেই১০ খণ্ড। কুরআনের ৩ থেকে ৯ অধ্যায় বাদে সমস্ত অধ্যায়ের তফসীর করা হয়েছে। লিংক
    تفسیر صغیر ( তাফসীরে সাগীর )The Short Commentaryউর্দুহেকীম নুর উদ্দীন, প্রথম খলীফামির্যা বশীরুদ্দীন মাহমুদ আহদ, দ্বিতীয় খলীফাহেকীম নুর উদ্দীন, প্রথম খলীফানেইপিডিএফ

    অংশ বিশেষের অনুবাদ

    পূর্ণাঙ্গ কুরআনের অনুবাদ ছাড়াও আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অংশবিশেষ অনুবাদ করেছে যেগুলো মূলত “নির্বাচিত আয়াতসমূহ”। “নির্বাচিত আয়াতসমূহ” – ১০০ এর বেশি ভাষায় ১৯৮৯ সালে আহমদীয়া মুসলিম জামা’ত তাদের শতবর্ষ উদযাপনের জন্য তৈরি করেছিল। [৫৬]

    আরো দেখুন

    নোট

  • উপাখ্যা

    উপাখ্যা বা সাবটাইটেল বলতে বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের উপর সংলাপের মুদ্রিত অনুবাদ।[১][২]আরো বিস্তারিতভাবে বললে উপাখ্যা হলো চলচ্চিত্র, টিভি অনুষ্ঠান, ভিডিও গেম এবং যেকোনো ভিডিওর থেকে নেওয়া ধারাভাষ্য বা সংলাপের পাঠ্য বা প্রতিলিপি, যা পর্দার নিচের অংশে দৃশ্যমান থাকে এবং উপরের অংশেও দেখা যায় যদি নিচের অংশ ইতিমদ্ধেই পূর্ণ থাকে। উপাখ্যা বিদেশি ভাষার সংলাপের অনুবাদ হিসাবে অথাবা একই-ভাষার সংলাপ থেকে হতে পারে, যা বধির এবং যাদের শ্রবণ শক্তি কম অথবা যাদের বাচনভঙ্গি বুজতে কষ্ট হয় অথবা যারা বলা ভাষাটি জানের না তাদের বোঝার সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়।

    স্বয়ংক্রিয় উপাখ্যা

    কিছু কিছু প্রোগ্রাম এবং অনলাই সফটওয়্যার কথ্য-থেকে-পাঠ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় উপাখ্যা করে। উদাহরণস্বরূপঃ ইউটিউবে ইংরেজি, উলন্দাজ, ফরাসি, জার্মানি, ইতালি, জাপানি, কোরিয়ান, পর্তুগিজ, রাশিয়ান,ইন্দোনেশিয়ান এবং স্প্যানিশ ভাষাসমূহের স্বয়ংক্রিয় উপাখ্যা করার ব্যবস্থা আছে। যে সব ভাষার স্বয়ংক্রিয় উপাখ্যা করা যায় সেগুলো ইউটিউবে আপনাআপনি উপাখ্যায়িত হয়ে প্রকাশ হয়।[৩][৪]

    একই-ভাষার উপাখ্যা

    একই-ভাষার উপাখ্যা (এভাউ) অর্থাৎ অ-অনুবাদিত উপাখ্যা বা যে ভাষায় কথা বলা হচ্ছে সেই ভাষারই উপাখ্যা প্রাথমিকভাবে বধির এবং যারা কানে কম শুনতে পায় (শ্রবণলঘুদের) তাদের সুবিধার উদ্দেশ্য করে তৈরি করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে, বেশ কয়েকটি বড় গবেষণায় দেখা যায় যে একই-ভাষার উপাখ্যা পড়ার ক্ষমতা এবং সাক্ষরতা বৃদ্ধিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।[৫] [৬]এই ধরনের উপাখ্যার পদ্ধতি চীন এবং ভারতের জাতীয় টেলিভিশন সম্প্রচারে ব্যবহার করা হয়। এই বুদ্ধিটির উদ্ভাবক ব্রিজি কোঠারি বিশ্বাস করেন যে, এভাউ পড়ার অনুশীলনকে একটি ঘটনাগত, স্বয়ংক্রিয় এবং অবচেতন বিনোদনে রূপান্তর করে। যা প্রতি ব্যক্তিতে কম খরচে ভারতের সাক্ষরতার হারকে বৃদ্ধি করতে পারে।

    বধির ও শ্রবণলঘুদের জন্য উপাখ্যা

    বধির বা শ্রবণলঘুদের জন্য উপাখ্যা (বশ্রউ) আমেরিকার ডিভিডি-শিল্পের দ্বারা পরিচায়িত হয়।[৭] এটি বলতে একই ভাষার সাধারণ উপাখ্যা বোঝায় যেখানে সংলাপের পাশাপাশি আরও অন্যান্য তথ্য সংযুক্ত থাকে। অন্যান্য তথ্য বলতে, কে কথা বলছে, বিভিন্ন ধরনের অভিব্যক্তি এবং আওয়াজকে  বুজানো হচ্ছে। বশ্রউ বধির ও শ্রবণলঘুদের বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ এবং অভিব্যক্তি সনাক্ত করতে সহয়তা করে যা অন্যথায় সম্ভব নয়। এতে করে তাঁরা অন্যান্য স্বাভাবিক মানুষদের মত নানা বিনোদন উপভোগ করতে পারে।

    নিম্নে বশ্রউ-এর কিছু উদাহরন লিখিত আকারে দেয়া হলঃ

    ১) -মহিলাঃ [হাঁফ] অ্যালিস্টার!

       -পুরুষঃ এখন আবার কি হলো, প্যামেলা?

    ২) -প্ল্যাস্টিক, মরিচারোধী, অগ্নিরোধী,  রোধী-রোধী

       -[টেলিফোন ক্রিং ক্রিং]

    ৩) -[দরজা ক্যা]

        -[চিৎকার]

    ৪) ♪[ব্যান্ড ল্যাটিন জ্যাজ বিট বাজাচ্ছে ] ♪

    ৫) ♪ সে যে বসে আছে একা একা

           রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে ♪

    ব্যবহার করে বধির ও শ্রবণলঘু নয় তারা

    যদিও একই-ভাষার উপাখ্যা (এভাউ) বধির ও শ্রবণলঘুদের জন্য তৈরি কিন্তু এটি ব্যবহার করা যেতে পারে সকলের জন্য যাতে সংলাপের বোধগম্যতা নিশ্চিত করা যায়।কখনও কখনও অনেক ধরনের আওয়াজ, শব্দ, আবহসঙ্গীত, বাচনভঙ্গি, পর্দার বাহিরের চরিত্র বা সহকারী চরিত্রের কথা ইত্যাদি নানান কারনে সংলাপ দর্শকের কাছে অপরিষ্কার থেকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে এভাউ সংলাপ বোঝার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া এভাউ সংলাপের বিভিন্ন খুঁটিনাটি যা সাধারণভাবে ধরা পরে না তা বোঝার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করে।[৮][৯] অনেক গবেষণায় পরিলক্ষত হয় যে, উপাখ্যার ব্যবহার স্কুল-বয়সী শিশুদের পড়ার বোধগম্যতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।[১০]

    উপাখ্যার ধরন

    উপাখ্যার দুটি ধরন পাওয়া যায়, খোলা উপাখ্যা, “সবার জন্য উন্মুক্ত”  যা দর্শক বন্ধ করতে পারে না এবং বন্ধ উপাখ্যা যার নকশা এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে যে ইচ্ছা সে সেটাকে চালু/বন্ধ করতে পারে এবং যেকোনো উপাখ্যা পছন্দ মত বাছাই করতে নিতে পারে।

    কন্টেন্ট বিতরণের সময় উপাখ্যা ৩ ধরনের রুপে আবির্ভূত হতে পারে

    1. কঠিনঃ কঠিন উপাখ্যা (কৌপা) বা খোলা উপাখ্যা নামেও পরিচিত। এই ধরনের উপাখ্যার টেক্সট আসল ভিডিওর সাথে একেবারে মিশে থাকে যার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এটি চালানোর জন্য বিশেষ কোন যন্ত্র বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয় না। তাই, এতে জটিল জটিল ইফেক্ট এবং অ্যানিমেশন যুক্ত করা যায়। যেমনঃ লিরিক্সে বিভিন্ন রঙ, নড়াচড়া, অক্ষর বড় ছোট করা ইত্যাদি। কিন্তু কৌপা বন্ধ করা যায় না যদি না ভিডিও বন্ধ করা হয়। তাই এই ধরনের উপাখ্যাতে একাধিক ভাষা যুক্ত করা অসম্ভব।
    2. পূর্বসংশ্লেষণঃ বন্ধ উপাখ্যা নামেও পরিচিত। এটি চলিত অবস্থায় আলাদা ফ্রেম হিসাবে আসল ভিডিও স্ট্রিমের উপর আচ্ছাদিত থাকে। পূর্বসংশ্লেষণ উপাখ্যা ডিভিডিব্লু-রে তে ব্যবহার করা হয় (যদিও এটা অন্তর্ভুক্ত থাকে একই ভিডিও স্ট্রিম ফাইলের মধ্যে)। এটিকে বন্ধ করা সম্ভব অথবা একাধিক ভাষা যুক্ত করা সম্ভব এবং সেই ভাষাগুলোর মধ্যে যেটা ইচ্ছা সেটা বাছাই করা সম্ভব।
    3. নরমঃ নরম উপাখ্যা (নৌপা) বা বন্ধ উপাখ্যা নামেও পরিচিত। চলিত অবস্থাত এটি সময়-ছাপের উপর ভিত্তি করে লেখা পর্দায় প্রদর্শন করে। নৌপার ফাইল এবং ভিডিওর ফাইল আদালা হয়। এর জন্য আলাদাভাবে সফটওয়্যার সমর্থনের প্রয়োজন পরে। এর অনেক ধরনের ফাইল প্রকরন থাকায় সবধরনের ভিডিও-প্লেয়ারে সমর্থন নাও পেতে পারে। নৌপা অনেক সহজেই তৈরি ও পরিবর্তন করা যায় বলে এটিকে ফ্যানসাবে বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
    বৈশিষ্ট্যকঠিনপূর্বসংশ্লেষণনরম
    চালু বা বন্ধ করানাহ্যাঁহ্যাঁ
    একাধিক উপাখ্যা (যেমনঃ ভাষা)হ্যাঁ, তবে সব একসাথে প্রদর্শিত হবেহ্যাঁহ্যাঁ
    সম্পাদনযোগ্যনাকঠিন তবে সম্ভবহ্যাঁ
    প্লেয়ার রিকোয়ারমেন্টনেইডিভিডি উপাখ্যা বেশিরভাগ প্লেয়ারই সমর্থন করেসাধারণত বিশেষ সফটওয়্যার ইনস্ট্রল করার প্রয়োজন হয়
    দেখতে, রঙ, অক্ষরের মাননিম্ন থেকে উচ্চ, নির্ভর করে ভিডিওর রেজুলেশন /সংকোচনের উপরনিম্ননিম্ন থেকে উচ্চ, নির্ভর করে প্লেয়ার এবং উপাখ্যার ফাইল প্রকরনের উপর
    ট্রানজিশন,কারাওকে এবং অন্যান্য বিশেষ ইফেক্টসর্বোচ্চনিম্ননির্ভর করে প্লেয়ার এবং উপাখ্যার ফাইল প্রকরনের উপর কিন্তু সচারচরভাবে নিম্ন
    বিতরণআসল ভিডিওর ভেতরেআলাদা নিম্ন-বিটের ভিডিও স্ট্রিমতুলনামূলকভাবে ছোট উপাখ্যার ফাইল
    অতিরিক্ত ঊর্ধ্বস্থনেইউচ্চনিম্ন
  • ইউনেস্কো প্রতিনিধিত্বমূলক সাহিত্যকর্মের সংকলন

    ইউনেস্কো প্রতিনিধিত্বমূলক সাহিত্যকর্মের সংকলন (ইংরেজি: UNESCO Collection of Representative Works) বা ইউনেস্কো প্রতিনিধিত্বমূলক সাহিত্যকর্মের তালিকা (ইংরেজি: UNESCO Catalogue of Representative Works) ছিল ১৯৪৮ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫৭ বছর সক্রিয় একটি ইউনেস্কো অনুবাদ প্রকল্প। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল প্রধানত একটি স্বল্প-পরিচিত ভাষা থেকে ইংরেজি ও ফরাসির মতো অধিকতর আন্তর্জাতিক ভাষায় বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কীর্তিগুলির অনুবাদ।[১] ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, প্রায় পঞ্চাশটি এশীয় ভাষা, কুড়িটি ইউরোপীয় ভাষা এবং সেই সঙ্গে আফ্রিকা ও ওশিয়ানিয়ার বেশ কিছু সাহিত্য ও ভাষা মিলিয়ে পঁয়ষট্টিটিরও বেশি সাহিত্য থেকে[১] ১০৬০টি রচনা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।[২] এই প্রকল্পের অধীকে কিছু কিছু রচনা অধিকতর কম প্রচলিত ভাষাতেও অনূদিত হয়। যেমন জাপানি লেখক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার রচনা ইন্দোনেশীয় ভাষায় (আটটি অন্য ভাষা সহ) অথবা উর্দু কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজের রচনা হাঙ্গেরীয় ভাষায় (অন্য দু’টি ভাষা সহ) অনূদিত হয়। ইউনেস্কো অনুবাদ ও প্রকাশনার কাজে অর্থসাহায্য করলেও নিজে প্রকাশকের ভূমিকা পালন করত না; বরং অন্যান্য প্রকাশকেদের সঙ্গে কাজ করত এবং সেই প্রকাশকেরাও স্বাধীনভাবে বই বিক্রয় করতে পারতেন।

    একাধিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে সাহিত্যকর্ম এই তালিকায় নির্বাচিত হত। সাধারণত, অনুবাদের পূর্বপ্রকাশিত নতুন সংস্করণ গ্রহণ করা হত না এবং স্বল্পপরিচিত ও স্বল্পপ্রসূ সমসাময়িক লেখকদের রচনাও খুব অল্প ক্ষেত্রেই অন্তর্ভুক্তির জন্য বিবেচিত হত।[১] নিম্নলিখিত প্রক্রিয়ায় রচনা নির্বাচন করা হত: সদস্য রাষ্ট্রগুলি তাদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্বকারী সাহিত্যকর্মের নাম প্রস্তাব করত। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকেও (যেমন পেন ফেডারেশন অফ রাইটার্সইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর ফিলোসফি অ্যান্ড হিউম্যানিস্টিক স্টাডিজ) এই তালিকাগুলি প্রস্তুতির কাজে পরামর্শের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেই সঙ্গে যে সকল প্রকাশক এই সংকলনে স্থান অর্জনের জন্য উপযুক্ত কোনও নির্দিষ্ট রচনার অনুবাদের দায়িত্ব গ্রহণে ইচ্ছুক থাকতেন, তাদের পরামর্শও গ্রহণ করা হত।[১]

    ২০০৫ সালের হিসেব অনুযায়ী, ইউনেস্কো আর নতুন অনুবাদের জন্য অর্থসাহায্য করে না, তবে পূর্ববর্তী অনুবাদগুলিকে অনলাইনে এখনও সংরক্ষণ করে।

    পরিসংখ্যান

    নিম্নোক্ত তালিকায় যে সকল প্রধান ভাষায় সাহিত্যকর্ম অনূদিত হয়েছে সেগুলির তালিকা সংশ্লিষ্ট ভাষায় অনূদিত গ্রন্থের সংখ্যা-সহ দেওয়া হল:

    যে সকল ভাষা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যায় সাহিত্যকর্ম অনূদিত হয়েছে সেগুলি হল:

    এক ভাষা থেকে অপর ভাষায় অনূদিত সাহিত্যকর্মের পরিসংখ্যান:

    • জাপানি থেকে ইংরেজিতে: ৯২
    • চীনা থেকে ইংরেজিতে: ৩০
    • ফার্সি থেকে ইংরেজিতে: ২৬
    • সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে: ২৩
    • কোরীয় থেকে ইংরেজিতে: ২২
    • স্পেনীয় থেকে ইংরেজিতে: ২২
    • হিন্দি থেকে ইংরেজিতে: ২০
    • পালি থেকে ইংরেজিতে: ২০
    • বাংলা থেকে ইংরেজিতে: ১৯
    • আরবি থেকে ইংরেজিতে: ১২
    • স্পেনীয় থেকে ফরাসিতে: ৬২
    • আরবি থেকে ফরাসিতে: ৪১
    • জাপানি থেকে ফরাসিতে: ৩৯
    • পর্তুগিজ থেকে ফরাসিতে: ৩১
    • চীনা থেকে ফরাসিতে: ২৩
    • ফার্সি থেকে ফরাসিতে: ২০
    • ইতালীয় থেকে ফরাসিতে: ১৯
    • সংস্কৃত থেকে ফরাসিতে: ১৬
    • ইংরেজি থেকে ফরাসিতে: ১৪
    • বাংলা থেকে ফরাসিতে: ১৩
    • আরবি থেকে ফরাসিতে: ১৪

    যে লেখকদের রচনা গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যায় অনূদিত হয়েছে:

  • লাতিন ভাষা

    লাতিন (লাতিন: latīnum, উচ্চারণ: [laˈt̪iːnʊ̃] লাতীনুঁ; অথবা lingua latīna, উচ্চারণ: [ˈlɪŋɡʷa laˈt̪iːna] লিঙ্‌ওয়া লাতীনা) একটি প্রাচীন ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা, যা প্রাচীন রোম এবং পার্শ্ববর্তী লাতিউম এলাকাতে প্রচলিত ছিল। রোমান শক্তির বিস্তারের সাথে সাথে প্রাচীন ইউরোপ ও সংলগ্ন প্রায় সব অঞ্চলে ভাষাটি ছড়িয়ে পড়ে এবং পশ্চিম ইউরোপের প্রধান ভাষাতে পরিণত হয়। ১৮শ শতক পর্যন্ত এটি ইউরোপে জ্ঞানচর্চা ও কূটনীতির ভাষা ছিল। আজ পর্যন্ত এটি রোমান ক্যাথলিক ধর্মীয় রচনাবলির ভাষা।

    লাতিন ভাষাটি ইতালির স্থানীয় ভাষা ছিল না। প্রাগৈতিহাসিক যুগে উত্তর দিক থেকে ইতালিক জাতির লোকেরা ইতালীয় উপদ্বীপে ভাষাটি নিয়ে এসেছিল। ভাষাটি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের ইতালিক উপ-পরিবারের সদস্য। ইতালিতে লাতিন ছিল মূলত রোম ও তার আশেপাশের অঞ্চলের একটি উপভাষা। ইতালিক ভাষাসমূহের মধ্যে লাতিন, ফালিস্কান ও অন্যান্য কিছু ভাষা মিলে লাতিনীয় দল গঠন করেছে। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে লাতিনীয় ভাষাতে লেখা শিলালিপি পাওয়া গেছে। সুস্পষ্ট রোমান লাতিনে লেখা বিভিন্ন প্রাচীনতম রচনা বেশির ভাগই খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকের। উত্তর ইতালিতে প্রচলিত কেল্টীয় উপভাষাগুলি, মধ্য ইউরোপে প্রচলিত অ-ইন্দো-ইউরোপীয় এত্রুস্কান ভাষা, এবং দক্ষিণ ইতালিতে প্রচলিত গ্রিক ভাষা (খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতক থেকেই প্রচলিত) লাতিন ভাষাকে প্রভাবিত করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকের দ্বিতীয়ার্ধে গ্রিক সাহিত্যগুলি লাতিনে অনুবাদ করা হয়। গ্রিক ভাষা ও সাহিত্যের প্রভাবে লাতিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক ভাষায় পরিণত হয়।

    প্রাচীন সাহিত্যিক লাতিন

    লাতিন সাহিত্যিক ভাষার ইতিহাসকে চারটি পর্বে ভাগ করা যায়। এগুলি প্রাচীন লাতিন সাহিত্যেরও পর্ববিভাগ নির্দেশ করে।

    আদি পর্ব

    ২৪০-৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ। এসময় এন্নিউস, প্লাউতুস এবং তেরেন্‌কে-র রচনাবলি উল্লেখযোগ্য।

    স্বর্ণযুগ

    খ্রিস্টপূর্ব ৭০ অব্দ থেকে ১৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এসময়কার বিখ্যাত রচনাবলির মধ্যে আছে ইউলিয়ুস কাইসার, কিকেরো এবং লিভির লেখা গদ্য এবং কাতুল্লুস, লুক্রেতিয়ুস, ভির্গিল, হোরাকে, এবং ওভিদের লেখা কাব্য। এই পর্বে গদ্য ও পদ্য উভয় ক্ষেত্রে লাতিন ভাষা ভাব প্রকাশের জন্য একটি উৎকৃষ্ট, সমৃদ্ধ শৈল্পিক মাধ্যমে পরিণত হয়।

    রৌপ্য যুগ

    ১৪ থেকে ১৩০ খ্রিস্টাব্দ। এ সময় আলঙ্কারিক ব্যাখ্যা এবং চাতুর্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। বিশেষ করে দার্শনিক ও নাট্যকার সেনেকা এবং ইতিহাসবিদ তাকিতুসের রচনাবলিতে এর প্রমাণ মেলে।

    শেষ পর্ব

    ২য় শতক থেকে ৬ষ্ঠ শতক পর্যন্ত। এই পর্বে ফাদার্স অভ দ্য চার্চের লেখা পাত্রিস্তিক লাতিন নামের সাহিত্য উল্লেখযোগ্য। এই পর্বের শেষ দিকে বিদেশী হানাদারেরা রোমান সাম্রাজ্য আক্রমণ করলে লাতিন ভাষাতে বহু বিদেশী শব্দ ও বাগধারা প্রবেশ করে। এই পরিবর্তিত লাতিন ভাষাটিকে নাম দেওয়া হয় লিঙুয়া রোমানা। অন্যদিকে প্রাচীন ধ্রুপদী ভাষাটির নাম দেওয়া হয় লিঙুয়া লাতিনা।

    প্রাচীন কথ্য লাতিন

    প্রাচীন অভিজাত রোমানদের মুখের ভাষা অনেক লেখকের সাহিত্যে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে প্লাউতুস এবং তেরেঙ্কে রচিত হাস্যরসাত্মক নাটকগুলি, কিকেরোর চিঠিপত্র, হোরাকে ও পেত্রোনিয়ুসের বিদ্রূপাত্মক রচনা, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এগুলি সের্মো কোতিদিয়ানুস বা ভদ্র সমাজের মুখের ভাষা নামে পরিচিত। এর বাইরেও ছিল সের্মো প্লেবেইয়ুস বা অশিক্ষিত জনগণের মুখের ভাষা; এই লাতিন ভাষাতে বাক্যগঠন ও বাক্যে পদের ক্রম সরল এবং নতুন শব্দের সংখ্যা বেশি। সের্মো প্লেবেইয়ুস প্রাকৃত লাতিন নামেও পরিচিত। আধুনিক রোমান্স ভাষাগুলি (ফরাসি, ইতালীয়, স্পেনীয়, ইত্যাদি) সাহিত্যিক লাতিন থেকে নয়, বরং এই প্রাকৃত লাতিনের শেষ পর্যায় লিঙুয়া রোমানা থেকে উৎপত্তি লাভ করে। উদাহরণস্বরূপ সাহিত্যিক লাতিনে equus শব্দটি দিয়ে ঘোড়া বোঝানো হত। কিন্তু কথ্য প্রাকৃত লাতিনে এটির পরিবর্তে caballus ব্যবহার করা হয়, এবং এই caballus থেকেই রোমান্স ভাষার ঘোড়া নির্দেশকারী শব্দগুলি এসেছে। যেমন ঘোড়াকে ফরাসিতে বলা হয় cheval, আর স্পেনীয় ভাষাতে বলা হয় caballo। একইভাবে রোমান্স ভাষাতে মস্তক ধারণাটি প্রকাশের জন্য শব্দগুলি (যেমন ফরাসি tête, স্পেনীয় testa) লাতিন caput থেকে নয়, বরং একটি লাতিন স্ল্যাং testa থেকে এসেছে, যার অর্থ পাত্র।

    মধ্যযুগীয় লাতিন

    মধ্যযুগে লাতিন ছিল পশ্চিম ইউরোপের শিক্ষাদীক্ষার ভাষা। একে মধ্যযুগীয় লাতিন বা নিম্ন লাতিন বলা হয়। এমনকি সাধারণ মানুষেও লাতিনে কথা বলত, কেননা গির্জাতে বিপুল পরিমাণে ধর্মীয় গদ্য ও পদ্য রচিত হত। কিন্তু ভাষাটির বহু পরিবর্তন সাধিত হয়। এর বাক্যগঠনের নিয়মগুলি সরল করা হয়, বিভিন্ন উৎস থেকে নতুন শব্দ গ্রহণ করা হয় এবং শব্দের নতুন নতুন অর্থও যুক্ত হয়। তবে অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষা যেমন ফরাসি বা ইংরেজির তুলনায় লাতিনে এই যুগে পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক কম ছিল।

    নতুন লাতিন বা আধুনিক লাতিন

    ১৫শ ও ১৬শ শতকে নতুন লাতিন বা আধুনিক লাতিনের আবির্ভাব ঘটে। রেনেসাঁ যুগের লেখকেরা লাতিন ভাষাতে নতুন ও অত্যন্ত উচ্চমানের লাতিন গ্রন্থ রচনা করেন, যেগুলিতে ধ্রুপদী লাতিন ভাষার লেখক বিশেষ করে কিকেরোর লেখার ধরন অনুকরণ করা করেছিল। ঐ দুই শতকে পাশ্চাত্যের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক এবং ধর্মীয় গ্রন্থাবলি লাতিন ভাষাতে লেখা হয়েছিল। এদের মধ্যে ওলন্দাজ পণ্ডিত দেসিদেরিয়ুস এরাসমুস, ইংরেজ দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকন, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী আইজাক নিউটনের বিভিন্ন কাজ উল্লেখযোগ্য। লাতিন ছিল এসময় ইউরোপীয় দেশগুলির কূটনৈতিক ভাষা। কেবল ১৭শ শতকের শেষে এসেই আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে লাতিন ভাষার ব্যবহার উঠে যায়। তবে ১৮শ ও ১৯শ শতকেও এটি ধ্রুপদী পাণ্ডিত্যের ভাষা ছিল। এমনকি বিংশ শতাব্দীতে এসেও কিছু কিছু লাতিনে লেখা জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। আজও রোমান ক্যাথলিক গির্জা সরকারী কাজকর্মে লাতিন ভাষা ব্যবহার করে।

    লাতিনের আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতিতে এটি উচ্চারণের বেশ কিছু পদ্ধতি পাশাপাশি প্রচলিত। একটি হল মহাদেশীয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিটি আধুনিক ইউরোপীয় ভাষাগুলির উচ্চারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি। প্রধান মহাদেশীয় উচ্চারণ পদ্ধতিটি হল রোমান ক্যাথলিক গির্জার অনুসৃত পদ্ধতি। এতে ইতালীয় ভাষার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। ইংরেজি পদ্ধতিতে লাতিন শব্দগুলি ইংরেজির মত করে উচ্চারিত হয়, তবে প্রতিটি সিলেবল আলাদা আলাদা করে উচ্চারিত হয়। রোমান পদ্ধতিতে কিকেরোর সময়কার ধ্রুপদী লাতিন যেভাবে উচ্চারিত হত, সেই ধরনের কাছাকাছি একটি উচ্চারণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়; স্কুল কলেজে লাতিন পাঠদানের সময় এই পদ্ধতিটিই ব্যবহৃত হয়। তবে ব্যক্তি বা স্থান নামগুলি সাধারণত যে দেশের যে ভাষা, সেই ভাষার মত করে উচ্চারিত হয়। যেমন লাতিন কিকেরো নামটি ইংল্যান্ডে সিসেরো, ফ্রান্সে সিসেরো, স্পেনে থিথেরো, ইতালিতে চিচেরো, এবং জার্মানিতে ৎসিৎসেরো উচ্চারিত হয়।

    আদি লাতিন ভাষাতে গ্রিক ভাষার তুলনায় সৌন্দর্য ও নমনীয়তা কম ছিল। এর শব্দভাণ্ডার ছিল সীমিত এবং বিমূর্ত ধারণাসমূহ ব্যাখ্যার জন্য এটি সম্পূর্ণ উপযুক্ত ছিল না। রোমানরা তাদের ভাষার সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারে এবং গ্রিক থেকে বহু শব্দ ধার করে। বাক্যতাত্ত্বিক নিয়মাবদ্ধতা ও শব্দচয়নের গুরুত্ব লাতিন ভাষাকে এক ধরনের ওজস্বিতা ও সঠিকতা প্রদান করে, যার ফলে বহু শতাব্দী ধরে ভাষাটি গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা প্রকাশের বাহক ভাষা হিসেবে পাশ্চাত্যে আদৃত হয়ে এসেছে। লাতিন বর্তমানে দুইভাবে বেঁচে আছে। প্রথমত সাহিত্যিক লাতিন এখনও বহুল পঠিত এবং কেউ কেউ এ ভাষাতে এখনও লিখে থাকেন। দ্বিতীয়ত আধুনিক রোমান্স ভাষাগুলিও (ফরাসি, স্পেনীয়, পর্তুগিজ, ইতালীয়, রোমানীয়) আসলে প্রাকৃত লাতিনের আধুনিক বিবর্তিত রূপ। আধুনিক বিশ্বের আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি হলেও ইংরেজি প্রথমে সরাসরি এবং পরে ফরাসির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে লাতিন ভাষা থেকে বহু ঋণ গ্রহণ করে সমৃদ্ধ হয়েছে। লাতিন ভাষা কেবল এর উৎকৃষ্ট সাহিত্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। আধুনিক ইউরোপের অনেকগুলি প্রধান ভাষার ইতিহাস লাতিনের ইতিহাসের সাথে জড়িত।