Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

Bengali language and literature

  • সারকাজম

    সারকাজম হল “তিক্ত উপহাস বা বিদ্রুপাত্মক একটি তীক্ষ্ণ তিক্ত অথবা মর্মভেদী অভিব্যক্তি বা টিপ্পনী”।[১][২] সারকাজমে পরস্পর বিরোধীতাও বিদ্যমান,[৩] যেমন— বিদ্রূপাত্মক হওয়া এর আবশ্যিকতা বা বাধ্যবাধকতার মধ্য পড়ে না।[৪] মূলত কার সাথে[৫] কী প্রসঙ্গে[৬] এটি প্রয়োগ করা হয় তার ধরনের উপর এর বৈশিষ্ট্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।

    সারকাজম এমন একটি আলংকারিক সাহিত্য-উপাদান যা কাউকে আহ্লাদিত করা অথবা সমাজের কিছু অংশকে ক্রমাগত আঘাত করা অথবা সরাসরি আঘাত না করে ঘুরিয়ে কিছু বলার উদ্দেশ্যে বক্রোক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সারকাজমধর্মী বক্তব্যের অর্থ আক্ষরিক অর্থ থেকে ভিন্ন এমনকি বিদ্রুপাত্মকও হয়ে থাকে।

    সারকাজম শব্দের উৎপত্তি

    সারকাজম (sarcasm) শব্দটি গ্রিক σαρκασμός (sarkasmós সারকাসমোস) থেকে এসেছে যা σαρκάζειν (sarkázein সারকাজীন) থেকে নেওয়া হয়েছে। σαρκάζειν (সারকাজীন) এর অর্থ “ক্রোধে, অবজ্ঞাভরে মাংস ছিঁড়ে ফেলা, ঠোঁট কামড়ানো“।[৭][৮]

    সর্বপ্রথম ১৫৭৯ সালে ইংরেজি সাহিত্যে এডমান্ড স্পেন্সারের Shepheardes Calender কাব্য পুস্তকের একটি টীকাতে এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

    Tom piper, an ironicall Sarcasmus, spoken in derision of these rude wits, whych …[৯]

    যাই হোক, “তীব্র বিদ্রুপাত্মক বা শ্লেষাত্মক এবং সারকাজমের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন বা সারকাজম সংশ্লিষ্ট” অর্থে সার্কাস্টিক (sarcastic) শব্দটির প্রয়োগ ১৬৯৫ সালের পূর্বে দেখা যায় নি।

    ব্যবহার

    সনাক্তকরণ

    একটি ফরাসি কোম্পানি অ্যালগরিদম ভিত্তিক একটি বিশ্লেষণী সফটওয়্যার তৈরি করেছে। তাদের দাবি এর মাধ্যমে অনলাইনে প্রকাশিত সারকাজমধর্মী কমেন্টসমূহ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। তাদের উদ্ভাবিত প্রক্রিয়া আশি শতাংশেরও বেশি কার্যকর বলে কোম্পানিটির দাবি। কোম্পানিটির দাবি ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্র অফিস এবং দুবাইয়ের আদালত তাদের গ্রাহক।[১০] তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সারকাজম শনাক্ত করা এখনও একটা দুরূহতম ব্যাপার।

    বৈধতা

    ২০১৬ সালে উত্তর কোরিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে সারকাজম নিষিদ্ধ করা হয়। বিচ্ছিন্ন, একদল কেন্দ্রিক দেশটিতে সারা দেশের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[১১][১২]

    বাংলা সাহিত্যে সারকাজম

    বাংলা রম্য রচনার শুরু উনিশ শতকের শুরু থেকে। বাংলা সাহিত্যিকদের মধ্যে ঈশ্বর গুপ্ত, প্রমথ চৌধুরী, পরশুরাম, শিবরাম চক্রবর্তী, পরিমল গোস্বামী, সৈয়দ মুজতবা আলী ও আবুল মনসুর আহমেদ এ ধারায় নাম কুড়িয়েছেন। বক্রোক্তি তথা সারকাজমের ব্যবহার আধুনিক বাংলা সাহিত্যেও লক্ষ্যণীয়।

    আরও দেখুন

    মূলসূত্র

    Wollenberg, Susan (২০০১)। “Oxford”Oxford Music Online। Oxford University Press। Boxer, D. (২০০২)। “4 – ‘Yeah right:’ sociolinguistic functions of sarcasm in classroom discourse”। Applying Sociolinguistics: Domains and Face-to-Face Interaction। John Benjamins Publications। পৃষ্ঠা 100। আইএসবিএন978-90-272-1850-6Only people can be sarcastic, whereas situations are ironic. Rockwell, P. A. (২০০৬)। Sarcasm and Other Mixed Messages: The Ambiguous Ways People Use Language। Edwin Mellen Press। আইএসবিএন978-0-7734-5917-5Partridge, Eric (১৯৬৯)। Usage and Abusage: A Guide to Good English। Penguin Press। আইএসবিএন978-0-393-31709-1Irony must not be confused with sarcasm, which is direct: sarcasm means precisely what it says, but in a sharp, bitter, cutting, caustic, or acerbic manner: it is the instrument of indignation, a weapon of offence, whereas irony is one of the vehicles of wit. In Locke’s ‘If ideas were innate, it would save much trouble to many worthy persons’, worthy is ironical; the principal clause as a whole is sarcastic as also is the complete sentence. Both are instruments of satire and vituperation.“Irony”Dictionary.comThe distinctive quality of sarcasm is present in the spoken word and manifested chiefly by vocal inflection, whereas satire and irony arising originally as literary and rhetorical forms, are exhibited in the organization or structuring of either language or literary material. Campbell, JD. (২০১২)। Investigating Components of Sarcastic ContextThe findings … show that the target sentences, when presented in isolation, were not seen as being conventionally sarcastic in nature. These same target sentences, however, when surrounded by contextual information provided by the participants asked to create a sarcastic context, were later coded as being sarcastic by a naïve rater. [১] Wollenberg, Susan (২০০১)। “Oxford”Oxford Music Online। Oxford University Press। “sarcasm (English) Origin & historys”। www.wordsense.eu। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-১০। “The Shepheardes Calender — October”www.luminarium.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০। “Authorities ‘use analytics tool that recognises sarcasm’”BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০। “North Korean Citizens Warned Against ‘Hostile’ Speech”Radio Free Asia (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০।

    1. “North Korean dictator Kim Jong Un bans sarcasm”The Sun (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১০।

    বহিঃসংযোগ

    সাহিত্য
    প্রধান ক্ষেত্র
    উপন্যাস কাব্য নাটক ছোটগল্প উপন্যাসিকা
    ধারা
    হাস্যরসাত্মক নাটক মহাকাব্য প্রণয়োপাখ্যান বিদ্রুপাত্মক গীতি কাব্য পুরাণরচনা প্রেমধর্মী ব্যঙ্গকাব্য বিয়োগাত্মক হাস্য-বিয়োগাত্মক
    মাধ্যম
    অভিনয় (নাট্য) বই
    কৌশল
    গদ্য পদ্য
    ইতিহাস এবং তালিকা
    রূপরেখা সাহিত্যবিষয়ক সূচীকরণ ইতিহাস আধুনিক বই লেখক সাহিত্য পুরস্কার / কবিতা পুরস্কার
    আলোচনা
    সমালোচনা তত্ত্ব সমাজবিদ্যা পত্রিকা
     সাহিত্য প্রবেশদ্বার
    দে

    বিষয়শ্রেণী:

  • মণিপুরী সাহিত্য

    মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় যৌথ সাহিত্য

    বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্যের যাত্রা শুরু হয় ১৯২৫ সনে শ্রীফাল্গুনী সিংহ সম্পাদিত মৈতৈ ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষার দ্বিভাষিক সাময়িকী ”জাগরন” প্রকাশনার মাধ্যমে। এ সময়কালে আরো কয়েকটি দ্বিভাষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ”মেখলী”(১৯৩৩), ”মণিপুরী” (১৯৩৮), ক্ষত্রিয়জ্যোতি (১৯৪৪) ইত্যদি।

    মণিপুরী (মৈতৈ) ভাষার সাহিত্য

    বাংলাদেশে বসবাসকারী অসংখ্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে মণিপুরিরা অন্যতম। এক উজ্জ্বল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অধিকারী মণিপুরিদের এদেশে বসবাসের ব্যাপ্তি প্রায় তিনশত বৎসরের। এই দীর্ঘ বসবাসের কারণে এ দেশের মণিপুরিরা আজ চিন্তায়-চেতনায়, মনে-মননে পরিপূর্ণভাবে এ দেশের ভূমিজ সন্তান। মণিপুরি ভাষা ও সাহিত্য প্রাচীনতা ও ঐতিহ্য গৌরবে অনন্যতায় ভাস্বর। মণিপুরি সাহিত্যের লিখিত অস্তিত্ব পাওয়া যায় খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতাব্দী থেকে। তবে ইতিহাসের নিবিড় পর্যালোচনা প্রমাণ করে খ্রিষ্টিয় সপ্ত শতাব্দী থেকেই মণিপুরি ভাষা সুসংহত রূপ রাভ করে। সপ্তম শতাব্দীতে রাজত্বকারী উরা কোন্থৌবার (শাসনকাল ৫৬৮-৬৫৮ খ্রিঃ) শাসনামলে চালু করা ব্রোঞ্জ মুদ্রায় খোদায় করা বিভিন্ন বর্ণমালাই এর প্রমাণ।

    বাংলাদেশে মণিপুরিদের সামগ্রিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ইতিহাস মূলতঃ ওরেচার ও ইনফরমাল প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ইতিহাস। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে (ফরমাল) মণিপুরি ভাষা চর্চার ও শিক্ষালাভের সুযোগবঞ্চিত এদেশের কয়েকজন উৎসাহী সাহিত্যকর্মী মণিপুরি যুবক একত্রিত হয়ে ১৯৭৫ সালে গড়ে তুলেছিলো ‘বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ’ যা পুজারী সাহিত্য সংসদ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮০সালে বর্তমান নামকরণ করা হয়। এটিই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাহিত্য সংগঠন। এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার পূর্বেও যারা মণিপুরি সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিলো তাদের মধ্যে স্বর্গীয় পণ্ডিত খোংখাতাবম নবকিশোর শর্মা, স্বগীয় প্রফেসর সোনামণি সিংহ, থোকচোম মণিহার সিংহ (শোণী) প্রমূখের নাম উল্লেখযোগ্য।

    বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠার পর এর মুখপত্র ‘দ্বীপান্বিতা’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় বাংলাদেশে মণিপুরি সাহিত্যচর্চার উজ্জ্বল ঔপনিবেশিক সাহিত্যের ইতিহাস। দ্বীপান্বিতা কেন্দ্রীক সাহিত্যধারায় পুষ্ট হয়ে অনেক সাহিত্যকর্মী পরবর্তীতে গড়ে তোলেন বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন এবং প্রকাশিত হয় বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী। বাংলাদেশের মণিপুরিরা বাংলা সাহিত্যের মতো এক উন্নত সাহিত্যের প্রত্যক্ষ প্রভাব বলয়ে অবস্থান করেও মণিপুরি ভাষা-সাহিত্যের চর্চায় এগিয়ে এসেছে এবং এই ধারা ক্রমশ বেগবান হচ্ছে। এ যাবৎ প্রকাশিত বাংলাদেশের মণিপুরি সাহিত্য সাময়িকীগুলোর দ্বিপান্বিতা/মৈরা, মতম, থাজ, থরো-থম্বাল-থারীকথ্রা, খোল্লাউ, অনৌবা মঙাল, তাম্না, মণিপুরী দর্পণ, মীৎকপ থোকপা, প্রয়াস, ইপোম, শজিবু, মৈঙাল, ঔগ্রী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব সাময়িকীগুলোর মধ্যে দীপান্বিতা/মৈরা ও শজিবু ব্যতীত অন্যান্য সাময়িকীগুলো কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশের পর প্রকাশ পাচ্ছে না। বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্যচর্চার ব্যাপ্তি কয়েক যুগের হলেও প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা মাত্র বিশটি। প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রকাশ করেছে ১০ টি, ঈনাৎ পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ৭টি, হামোম পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ৩ টি এবং ঔগ্রী পাবলিকেশন্স প্রকাশ করেছে ২ টি গ্রন্থ। বাংলাদেশে প্রকাশিত মণিপুরি গ্রন্থের তালিকা নিম্নে দেয়া হলোঃ

    বইয়ের নামলেখক/সম্পাদকপ্রকাশকাল
    (১)বসন্ত কুন্নিপালগী লৈরাং (কাব্য)এ কে শেরাম১৯৮২
    (২) বাংলাদেশকী মণিপুরী (কবিতা সংকলন)সম্পা: এ কে শেরাম১৯৯০
    (৩) মঙ মপৈ মরক্তা (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন১৯৯৫
    (৪) ওয়াখলগী নাচোম (কাব্য)হামোম প্রমোদ১৯৯৫
    (৫) মণিপুরী শক্তাক খুদমসম্পা: এ কে শেরাম১৯৯৯
    (৬) লৈনম য়াওদ্রিবী লৈরাং (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০০
    (৭) ইচেল ইরাওখোলসম্পা: শেরাম নিরঞ্জন২০০০
    (৮) এক বসন্তের ভালবাসা (অনুবাদ কবিতা সংকলন)সম্পা: মুতুম অপু২০০১
    (৯) নোঙ্গৌবী (গল্প)এ কে শেরাম২০০১
    (১০) থওয়াইগী নুংশিরৈ (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০৩
    (১১) মচু নাইবা মঙ (নিবন্ধ)খোইরোম ইন্দ্রজিৎ২০০৩
    (১২) অতোপ্পগী পিরাং (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন২০০৪
    (১৩) লৈরাংগী লৈরোং (কাব্য)মুতুম অপু২০০৪
    (১৪) ইন্নফি (কাব্য)খোইরোম ইন্দ্রজিৎ২০০৫
    (১৫) মোংফম থম্মোয়গী নুংশিব (কাব্য)মাইস্নাম রাজেশ২০০৫
    (১৬) নাতৈ চাদ্রবা পৃথিবী (কাব্য)শেরাম নিরঞ্জন২০০৫
    (১৭) মঙ মরক্তা (কাব্য)সনাতোন হামোম২০০৬
    (১৮) মঙলানগী আতিয়াদা নুমিৎ থোকপাএ কে শেরাম২০০৭
    (১৯) ওয়াখলগী মঙাল (কাব্য)ইমোদম রবিন২০০৭
    (২০) ফরংজাই ওয়াখল (প্রবন্ধ)শেরাম নিরঞ্জন২০০৭

    বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ প্রতিষ্ঠালগ্নে যে সব কবি-সাহিত্যিক মণিপুরি সাহিত্যচর্চায় ব্রতী হয়েছিলেন তাদের মধ্যে মাইবম তলেন, তৌরেম রবিন, এ. কে শেরাম, কারাম নীলবাবু, এল পদ্মামণি দেবী, শান্ত খুমন, খোইরোম ইন্দ্রজিৎ, খোইরোম কামিনী কুমার সিংহ, পি অমুস্না, কন্থৌজম সুবোধ সিংহ, শেরাম শরৎ প্রমুখের নাম সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। পরবর্তীতে এ ধারায় যুক্ত হয়ে মণিপুরি সাহিত্যের ধারাকে বেগবান করেন ইমোদম রবিন, সনাতন হামোম, এন শ্যামল, অহৈবম রনজিৎ কুমার সিংহ, টিএইচ কৈনাহল প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকগণ। ১৯৯০ এর দিকে বাংলাদেশের মণিপুরি সাহিত্যে প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাত হয় । এ সময় মণিপুরি কবিতার বিষয়বস্তুতে, প্রকাশভঙ্গীতে, শব্দপ্রয়োগে, উপমা-উৎপ্রেক্ষার ব্যবহারে পূববর্তী কবিদের থেকে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এ সময়ের কবিদের মধ্যে ইতোমধ্যে শেরাম নিরঞ্জন ও হামোদ প্রমোদ নিজস্ব চারিত্র অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এ সময়ের অন্যান্য কবিদের মধ্যে এন যোগেশ্বর অপু, নামব্রম শংকর, শেরাম রিপন, মাইস্নাম রাজেশ, মুতুম অপু, কে বীরলাল, এন শান্ত ,অ. গুণমণি মৈতৈ, ওয়াই চন্দ্রজিৎ প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখের দাবী রাখে। পরবর্তীতে এ ধারাকে আরো পরিপুষ্ট করে তুলেন কন্থৌজম সুরঞ্জিত, থোঙাম সঞ্জয়, পারী চিংথাম, মাইবম সাধন, শ্যামল সিংহ, শেরাম চীংখৈ, রানা প্রতাপ সিংহ প্রমুখ।

    মণিপুরী সাহিত্যের মূল স্রোতোধারা থেকে বিচ্ছিন্ন বিধায় বাংলাদেশে মণিপুরী সাহিত্য চর্চার ধারা খুব একটা বেগবান হতে পারছে না এটা সত্য। কিন্তু বাংলা সাহিত্যের বিপুলায়তন ভাণ্ডারের প্রত্যক্ষ প্রভাবে পুষ্ট হওয়ার কারণে বাংলাদেশের মণিপুরী কবিতাগুলো বিষয়-ব্যাপ্তিতে এবং গভীরতায়, শৈলী ও চেতনায় প্রায়শঃই নানা মাত্রাকে ছুঁয়ে যায় বলে এগুলো মণিপুরী সাহিত্যের মূলভূমি মণিপুরেও যথেষ্ট সমাদৃত।

    মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষায় সাহিত্য

    পত্রপত্রিকা

    অপরপক্ষে ১৯৭২ সনে প্রকাশিত ”খঙচেল” স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সাহিত্যের প্রথম প্রকাশনা। এরপর কালক্রমে ইমার ঠার (১৯৭৭), সত্যম(১৯৮৫), মিঙাল(১৯৮৮), মণিপুরীর সাহিত্য (১৯৮৯), পৌরি (১৯৮৯), জাগরন(১৯৯০), যেবাকা যেদিন(১৯৯১), ইথাক(১৯৯৪), তেইপাঙ(১৯৯৮), গাওরাপা(১৯৯৯), মণিপুরী থিয়েটারর পত্রিকা(২০০৩), কুমেই(২০০৪) পৌরি পত্রিকা(২০০৫) ইত্যাদি সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশনা বাংলাদেশের বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী সাহিত্যে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।

    কবিতা

    গোপীচাঁদ সিংহের লেখা “বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” এবং রনজিত সিংহের লেখা “স্বাধীনতা সংগ্রামে মণিপুরি সমাজ” মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই। বাংলাদেশের মণিপুরী(বিষ্ণুপ্রিয়া) কবিতার বইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য পরিষদ প্রকাশিত “থাম্পাল”, ‘নিয়োতি”, “চিকারী বাগেয়া”, ”কনাক কেথক” ইত্যাদি, মণিপুরি তথ্য ও গবেষণা কেন্দ্র (পৌরি) প্রকাশিত “রসমানজুরি”, “জীর মেরিক”, “তোর নিংসিঙে”, “ছেয়াঠইগীর যাদু”, “তানকালেই” ইত্যাদি এবং মণিপুরি থিয়েটার প্রকাশিত “সেনাতম্বীর আমুনিগৎত সেম্পাকহান পড়িল অদিন”এবং মণিপুরী(বিষ্ণুপ্রিয়া), চাকমা ও মান্দি ভাষার কবিতা সংকলন “রৌদ্রজলের পংক্তিমালা” উল্লেখযোগ্য।কবি মধু মঙ্গল সিহনা-‌এর “নিংশিঙ হপনে” আধুনিক উল্লেখযোগ্য কাব্য।

    গবেষণা

    গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে “বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী ছন্দ পরিচয়”, “ভানুবিল কৃষক প্রজা আন্দোলন বারোহ বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সমাজ” উল্লেখযোগ্য।

    অনুবাদ সাহিত্য

    বাংলাদেশের আধুনিক মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া সাহিত্য নাটক, কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণ কাহিনীর পথ পেরিয়ে অনুবাদ সাহিত্যের মাধ্যমে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বিশ্বের নানান ভাষার সাহিত্য বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুদিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য,বঙ্কিমমসাহিত্য, শরৎসাহিত্য, কালিদাসের মেঘদুতম, ইষোপনিষদ, শ্রীমদভাগবতগীতা, বাইবেল, রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম, সফোকিসের আন্তিগোনে, উইলিয়াম শেক্সপীয়রের নাটক, জাপানী হাইকু কবিতা বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষায় অনুদিত হয়েছে। অনুদিত হয়েছে বেরতোল্ড ব্রেশ্ট, বোদলেয়ার, লোরকা, পলএল্যুয়ার, মালার্মে, এজরা পাউন্ড, রিলকে,বোর্হেসের লেখা। মণিপুরী বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষার অনেক সাহিত্যও বাংলা, অসমীয়া, ককবরক,হিন্দী, ইংরেজি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

    পৌরি প্রকাশিত “কুরৌ আহান রবীন্দ্রনাথ” বাংলাদেশের মণিপুরী সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের কবিতার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ। রবীন্দ্রনাথের “রুদ্রচন্দ্র” নাটকটি বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী অনুদিত হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের প্রায় ষাটটি ভাষার অনুবাদ কবিতার সংকলন “অনুবাদকল্প” ১ম ও ২য় খন্ড।

    আরও পড়ুন

    ওয়েব সংযোগ

    বিষয়শ্রেণী:

  • ভৌতিক বই

    ভৌতিক বই বলতে সাধারনত সেইসব বইকে বোঝানো হয় যা লেখা হয় ভূত, প্রেত, আত্মা, প্রেতাত্মা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। এতে ভৌতিক অভিজ্ঞতাও থাকে। অর্থাৎ এসব বইয়ের প্রধান চরিত্র থাকে ভূত। ভৌতিক বইতে সংকলিত হয় ভৌতিক গল্পবাংলা সাহিত্যে অনেক লেখক ইতিমধ্যেই ভৌতিক বই বা ভৌতিক গল্প রচনায় নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছেন।

  • ফুতুহুল বুলদান

    ফুতুহ আল বুলদান (فتوح البلدان‎, দেশ জয়ের বই Book of the Conquests of the Lands) পারস্যের ঐতিহাসিক আহমাদ ইবনে ইয়াহিয়া আল বালাজুরী কর্তৃক লিখিত আরবী বই। বইটি এম জে ডে গোইজে কর্তৃক লিবার এক্সপুগনেশানিস রিজিওনাম (লেইডেন ১৮৭০, কায়রো ১৯০১খি.) নামে সম্পাদনা করেন। গৈজের সম্পাদনা কিতাব ফুতুহ আল বুলদানকে পরিচিতি এনে দেয়। বইটিতে মুহাম্মদ ও ইসলামের প্রথম খলিফাদের প্রথম দিককার অভিযান বর্ণিত হয়েছে। এই বইটি লেখার উপকরণ জোগাড় করতে আল বালাজুরী সিরিয়া এবং মেসোপটেমিয়া অঞ্চল ভ্রমণ করেন।[১]

    কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বইটি দুই খণ্ডে অনুবাদ করে The Origins of the Islamic State নামে প্রকাশ করে। প্রথম খন্ড ফিলিপ খুরি হিট্টির[২] অনুবাদে ১৯১৬ খিস্টাব্দে এবং দ্বিতীয় খন্ড ফ্রান্সিস ক্লার্ক ম্যুরগট্টেনের[৩] অনুবাদে ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিতে খিলাফাত সাম্রাজ্যের ভৌগোলিক বর্ণনা রয়েছে। লেখক কিছু লেখা ফারসি থেকে আরবীতে অনুবাদ করেছেন।[১]

  • প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান

    প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান (মূলত প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান: দ্য রিটার্ন টু নার্নিয়া নামে প্রকাশিত হয়) ১৯৫১ সালে জিওফ্রি ব্লেস প্রকাশিত শিশুদের জন্য লেখা সি. এস. লিউইসে একটি কল্প-উপন্যাস। এটি দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া (১৯৫০-১৯৫৬) ধারার সাতটি উপন্যাসের দ্বিতীয় বই। লিউইস বইটি ১৯৪৯ সালে লেখা সম্পন্ন করেন।[৪] অন্যসবগুলোর মত এই বইটিরও অলঙ্করণ করেছেন পউলিন বেইনিস[১][৩]

    প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান পেভেনসি ভাইবোনদের নার্নিয়ায় পুনরায় প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রচিত। প্রথম যাত্রার এক বছর পর কিন্তু নার্নিয়ার তেরোশ বছর পর তারা তাদের দ্বিতীয় এই ভ্রমণ করে। দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া ধারার এটিই একমাত্র বই যেখানে নার্নিয়ায় বসবাসকারীদের মধ্যে মানুষের আধিক্য দেখা যায় এবং কথা বলা জন্তু ও পৌরাণিক প্রাণীরা তাদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। পেভেনসিরা নার্নিয়ার কিংবদন্তি শাসক এবং তাদেরকে রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান জাদুবলে পুনরায় আহ্বান জানায় এবং তারা পুর্বের শিশুরুপে আগমন করে।

    কাহিনী-সংক্ষেপ

    একটি ব্রিটিশ রেলওয়ে স্টেশনে দাড়িয়ে থাকার সময় পিটার, সুজান, এডমন্ড এবং লুসি পেভেনসি জাদুবলে এক ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদের নিকট সমুদ্র তীরে এসে পৌঁছায়। তারা বুঝতে পারে এটিই কেইর প্যারাভেল, যেখানে তারা নার্নিয়ার রাজা ও রানি হিসেবে শাসন করেছিল, এবং তারা একটি ধনভান্ডার খুজে পায় যেখানে পিটারের ঢাল ও তলোয়ার, সুজানের তীর-ধনুক, আর লুসির জাদুর নিরাময়ী রাখা ছিল। কিন্তু নার্নিয়া থেকে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার সময় জঙ্গলে রেখে যাওয়ায় সেখানে সুজানের শিঙ্গা ছিলনা। যদিও ইংল্যান্ডে একবছর সময়কাল অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু নার্নিয়ায় ১৩০০ বছর পার হয়ে গিয়েছে।[ক]

    সমুদ্র তীরে পেভেনসিরা বামুণ ট্রাম্পকিনকে কয়েকজন সৈনিকের হাত থেকে রক্ষা করে, যারা তাকে ডুবিয়ে মারার উদ্দ্যেশ্যে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। ট্রাম্পকিন পেভেনসিদের তাদের চলে যাওয়ার পর থেকে নার্নিয়ার ইতিহাস বলে: টেলমেরিনরা নার্নিয়া দখল করে নিয়েছে, এখন নার্নিয়া শাসন করছে রাজা মিরাজ এবং তার স্ত্রী রাণী প্রুনাপ্রিসমিয়া, কিন্তু ন্যায়সঙ্গত রাজা হলো মিরাজের ভাতিজা রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান, যে প্রাচীন নার্নিয়ানদের সমর্থন অর্জন করেছে।

    মিরাজ তার ভাই এবং ক্যাস্পিয়ানের বাবা রাজা দশম ক্যাস্পিয়ানকে হত্যা করে সিংহাসন নিজের করায়ত্তে আনে। মিরাজ তার নিজের সন্তানের জন্ম হওয়া পর্যন্ত ক্যাস্পিয়ানকে উত্তরাধিকারি হিসাবে সহ্য করে। তার চাচার কৃতকর্ম জানার পর ক্যাস্পিয়ান তার গৃহশিক্ষক ডক্টর কর্নেলিয়াসের সহায়তায় মিরাজের প্রাসাদ থেকে পালিয়ে যায়। কর্নেলিয়াস ক্যাস্পিয়ানকে প্রাচীন নার্নিয়ানদের সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিল এবং সে তাকে রাণী সুজানের শিঙ্গা দেয়। ক্যাস্পিয়ান জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘোড়া থেকে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। সে জ্ঞান ফিরে পায় এক কথা বলা ব্যাজার ও দুই বামুণ নিকাব্রিক ও ট্রাম্পকিনের কুঠরিতে, যারা ক্যাস্পিয়ানকে তাদের রাজা হিসেবে গ্রহণ করে।

    ব্যাজার ও বামুণেরা ক্যাস্পিয়ানকে অন্য প্রাচীণ নার্নিয়ানদের সাথে দেখা করাতে নিয়ে যায়। ডান্সিং লনে মধ্যরাতের এক পরামর্শ সভায় ডক্টর কর্নেলিয়াস এসে তাদের মিরাজ ও তার সৈন্যবাহীনির অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে সাবধান করে দেয়। সে তাদের বলে কেইর প্যারাভালের নিকট মহাজঙ্গলের মধ্যে স্টোন টেবিলে পালিয়ে যেতে বলে। টেলমেরিনরা নার্নিয়ানদের স্টোন টেবিল পর্যন্ত ধাওয়া করে এবং কিছু বিচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর নার্নিয়ানরা প্রায় পরাজয়ের কাছাকাছি অবস্থায় চলে আসে। দ্বিতীয় যুদ্ধকালীন পরামর্শ সভায়, তারা রাণী সুজানের শিঙ্গা বাজানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এই আশায় যে, আসলান অথবা নার্নিয়ার স্বর্ণযুগের কিংবদন্তি রাজা রাণীদের কাছ থেকে সাহায্য আসবে।

    ট্রাম্পকিন আর পেভেনসিরা ক্যাস্পিয়ানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তাদের যাত্রাপথ ছিল কঠিন, কিন্তু আসলান লুসির সামনে আসে এবং তাকে নির্দেশ দেয় অন্যদের নিয়ে তার পেছনে আসতে। আসলান পিটার, এডমন্ড এবং ট্রাম্পকিনকে বিশ্বাঘাতকতা দমন করতে স্টোন টেবিলে পাঠায় এবং তার সাথে সুজান ও লুসিকে নিয়ে যায়।

    পিটার, এডমন্ড, এবং ট্রাম্পকিন সেখানে পৌঁছে ক্যাস্পিয়ানকে হুমকির মুখে ফেলা জন্তুদের হত্যা করার পর পিটার মিরাজকে একক লড়াইয়ে আহ্বান জানায়। এই দন্দ যুদ্ধে বিজেতার সেনারা যুদ্ধে বিজয়ী বলে বিবেচিত হবে। মিরাজ লর্ড গ্লজেল্লি ও লর্ড সোপেসফিয়ানের প্ররোচনায় এই প্রস্তাবে রাজী হয়। লড়াইয়ে মিরাজ পরাজিত হয়, কিন্তু গ্লজেল্লি আর সোপেসফিয়ান ঘোষণা করে যে, নার্নিয়ানরা প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজা পড়ে যাওয়ার পর তার পিঠে ছুরি চালিয়েছে। তারা টেলমেরিন সৈন্যদের নার্নিয়ানদের আক্রমণের আদেশ দেয় এবং এই গোলমালের ভেতর গ্লজেল্লি মাটিতে পড়ে থাকা মিরাজের পিঠে ছুরি চালায়। লুসি ও সুজানের সাথে থাকা আসলান বাচ্চুস এবং সিলেনাসের সাহায্য নিয়ে আসে। তারা টেলমেরিনদের হামলা করে এবং তাদের পালাতে বাধ্য করে। টেলমেরিনরা যখন বুঝতে পারে বাচ্চুস সেতু ধ্বংস করার ফলে তারা মহানদীতে আটকা পড়েছে, তখন তারা আত্মসমর্পণ করে।

    আসলান টেলমেরিনদের সুযোগ দেয় ক্যাস্পিয়ানের অধিনে নার্নিয়ায় থাকার অথবা তাদের প্রকৃত বাসভূমি পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার। পৃথিবীতে ফেরত আসতে ইচ্ছুক প্রথম ব্যক্তি আসলানের তৈরী জাদুর দরজায় প্রবেশ করে অদৃশ্য হয়ে গেলে পেভেনসিরা অন্যান্য টেলমেরিনদের আশ্বস্ত করার জন্য দরজায় প্রবেশ করে। এর আগে পিটার এবং সুজান এডমন্ড এবং লুসিকে জানায় বড় হয়ে যাওয়ায় তারা আর নার্নিয়ায় ফেরত আসতে পারবে না। পেভেনসিরা পুনরায় সেই রেলওয়ে স্টেশনে নিজেদের দেখতে পায়।

    চরিত্রসমূহ

    • লুসি পেভেনসি, পেভেনসিদের মধ্যে সবার ছোট, এবং সে-ই প্রথমবার আসলানকে পুনরায় দেখে।
    • এডমন্ড পেভেনসি হলো পেভেনসিদের মধ্যে বয়সে তৃতীয়। নার্নিয়ায় তাদের প্রথমবার ভ্রমণে লুসির সঠিক হওয়া ও তার বোকা বনে যাওয়ার কথা স্মরণ করে তার অন্য দুই ভাই-বোন লুসির আসলানকে দেখার কথা বিশ্বাস না করলেও সে বিশ্বাস করে।
    • পিটার পেভেনসি, পেভেনসিদের মধ্যে সবার বড়। সে নার্নিয়ার মহারাজা।
    • সুজান পেভেনসি দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ পেভেনসি। সে তীর ও ধনুক ব্যবহার করে।
    • রাজকুমার ক্যাস্পিয়ান, ন্যায়সঙ্গত টেলমেরিন রাজা, যে পরে সিংহাসনে বসে। তাকে পরবর্তী দুইটি বই দ্য ভয়েজ অব দ্য ডন ট্রেডার এবং দ্য সিলভার চেয়ারে দেখা যায় এবং দ্য লাস্ট ব্যাটলে তার সংক্ষিপ্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
    • আসলান, মহান সিংহ, যে নার্নিয়া তৈরী করেছে।
    • মিরাজ, ক্যাস্পিয়ানের চাচা। সে টেলমেরিনের সিংহাসন দখল করে রেখেছে। যতদিন মিরাজের কোন পুত্রসন্তান ছিলনা, ততদিন সে ক্যাস্পিয়ানকে উত্তরাধিকারী হিসেবে জীবিত রাখে। কিন্তু তার পুত্রসন্তান জন্ম নেওয়ার পর সে ক্যাস্পিয়ানকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ক্যাস্পিয়ামকে সমর্থন করা প্রাচীণ নার্নিয়ানদের সাথে লড়াই করে এবং পিটারের সাথে দ্বন্দযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু দ্বন্দযুদ্ধের পর লর্ড গ্লজেল্লি প্রতারণা করে তাকে হত্যা করে।
    • ট্রাম্পকিন, এক লাল বামুণ, যে মিরাজকে পরাজিত করতে ক্যাস্পিয়ানকে সাহায্য করে। মিরাজের সৈন্যরা যখন তাকে আটক করে ডুবিয়ে মারার জন্য কেইর প্যারাভালে নিয়ে যায় তখন পেভেনসিরা তাকে উদ্ধার করে এবং সে তাদের ক্যাস্পিয়ানের নিকট নিয়ে যায়। উপন্যাসের শুরুর দিকে সে আসলান ও প্রাচীন রাজা-রাণীদের অস্তিত্বের বিষয়ে সন্দিহান ছিল। কিন্তু গল্পে তার যাত্রাপথে সে তাদের সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানতে থাকে।
    • ডক্টর কর্নেলিয়াস, আধা বামুণ এবং আধা মানুষ, হলেন ক্যাস্পিয়ানের গৃহ শিক্ষক। তিনি টেলমেরুনদের পরাজিত করতে নার্নিয়ানদের সহায়তা করেন।
    • রিপিসিপ, এক কথা বলা ইদুর (কথা না বলা ইদুরদের উত্তরপুরুষ, যারা পুর্ববর্তী বইয়ে আসলানকে শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে। এরপর তাদের কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হয়) যে একজন নির্ভিক তলোয়ারবাজ এবং আসলান ও ক্যাস্পিয়ানের অনুগত সমর্থক।
    • নিকাব্রিক, ক্যাস্পিয়ানের সেনাবাহিনীর এক কালো বামুণ। সে ক্যাস্পিয়ানের পক্ষে লড়াই করতে অস্বীকৃতি জানায়। সে এক শুকর ও এক নেকড়েকে সাথে নিয়ে টেলমেরিনদের বিরুদ্ধে হোয়াইট উইচকে জাগ্রত করার পরিকল্পনা করে, কিন্তু তাদের তিনজনকেই ক্যাস্পিয়ান ও তার মিত্ররা হত্যা করে।
    • ট্রাফলহান্টার, এক কথা বলা ব্যাজার। সে আসলান ও প্রাচীন নার্নিয়ার ব্যাপারে আস্থাশীল। মিরাজের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সে ক্যাস্পিয়ানকে সাহায্য করে।
    • লর্ড সোফেস্পিয়ান এবং লর্ড গ্লজেল্লি, হলেন টেলমারের দুইজন লর্ড। মিরাজের কাছে অপমানিত হওয়ার পর তারা পিটারের সাথে মিরাজকে দ্বন্দ যুদ্ধে অংশ নিতে রাজী করায়। যুদ্ধে মিরাজ মাটিতে পড়ে গেলে নার্নিয়ানরা প্রতারণা করেছে বলে তারা চিৎকার করে এবং গ্লজেল্লি মিরাজের পিঠে গোপনে ছুরি বসায়। দুই পক্ষ পূর্ণ শক্তি নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে পিটার সোফেস্পিয়ানের শিরশ্ছেদ করে। কিন্তু গ্লজেল্লির পরিণতির বিষয়ে লিউইস কিছুই বলেননি।

    থিম

    গল্পের মূল দুইটি থিম হলো সাহস এবং বিরত্ব এবং যেমনটা লিউইস নিজেই এক মার্কিন শিশুকে একটি চিঠিতে বলেছিলেন, “অবিচারের পর সত্য ধর্মের প্রতিষ্ঠা”।[৫]

    টেলমেরিনদের নার্নিয়া দখলের সাথে ঐতিহাসিকভাবে নরমম্যানদের ইংল্যান্ড দখলের সাথে মিল রয়েছে। যদিও এর সাথে গল্পের কোন ঘটনার নিখুঁত ও সমান্তরাল কোন মিল নেই। গল্পের শেষ পরিণতি ” প্রাচীন নার্নিয়ান” ও টেলমেরিনদের একই জাতি হিসেবে শান্তিতে বসবাসের সাথে স্যাক্সন ও নরম্যানদের একক ইংরেজ জাতি হিসেবে বসবাসের সাথে মিল রয়েছে।

    উন্নয়ন

    বিবিসি ১৯৮৯ সালে দ্য ক্রনিকলস্ অব নার্নিয়া টেলিভিশন ধারাবাহিক সিরিজের জন্য দুই পর্বের প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান ধারাবাহিক নির্মাণ করে।

    ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স এবং ওয়াল্ডেন মিডিয়া কর্তৃক চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র দ্য ক্রনিকলস অব নার্নিয়া: প্রিন্স ক্যাস্পিয়ান শিরোনামে ২০০৮ সালের ১৬ই মে যুক্তরাষ্ট্রে এবং একই বছরের ২৬ জুন যুক্তরাজ্য মুক্তি পায়।

    উপন্যাসটি পিশের বিলি ব্রিথস অ্যালবামের একই নামের গানের অনুপ্রেরণা ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

    উপন্যাসটিকে নিয়ে ইরিনা কারাদাস একটি নাটক লেখেন যেটি ২০০৭ সালে প্রথম মঞ্চস্থ করা হয়।[৬]

  • প্রকরণসর্বস্বতা

    প্রকরণসর্বস্বতা বা ফর্মালিজম (তামিল: வடிவவியத் திறனாய்வு, মালয়ালম: രൂപഭദ്രതാവാദം, কাতালান: Formalisme, বুলগেরীয়: Формализъм ) হলো সাহিত্য সমালোচনা ও সাহিত্য তত্ত্বের শিক্ষা যেখানে মূলত কোন নির্দিষ্ট লেখার গঠনগত দিকই বিবেচনা করা হয়। কোন ধরনের বাহ্যিক প্রভাব ব্যতীত শুধুমাত্র লেখার উপর গুরুত্ব দেয়া হয় এ ধরনের অধ্যয়নে। প্রকরণসর্বস্বতা বা ফর্মালিজম মাঝেমধ্যে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মত বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যায়। বরঞ্চ তাদের দৃষ্টি থাকে মোড, জনরা, ডিসকোর্স ও ফর্মের উপর।

    সাহিত্য তত্ত্বে

    সাহিত্য তত্ত্বে ফর্মালিজম হলো এমন একধরনের সমালোচনামূলক পদ্ধতি যেটা কোন লেখার অন্তর্নিবিষ্ট বৈশিষ্ট্যকে বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা, বা মূল্যায়ন করে।

    প্রাগ চক্র ও গঠনতন্ত্র

    জ্যাকবসনের তৈরি করা মস্কো লিঙ্গুয়েস্টিক চক্র ভাষাবিজ্ঞানের সাম্প্রতিক উন্নয়নে আইক্যানবাউমের গ্রুপের চেয়ে বেশি সচেতন ছিলো। জ্যাকবসন ১৯২০ সালে মস্কো ছেড়ে প্রাগে চলে যান এবং ১৯২৬ সালে প্রাগ লিঙ্গুয়েস্টিক সার্কেল গড়ে তুলেন। এ চক্রটি আগেরটার মতই একইরকম বিষয়ে আগ্রহী ছিলো

  • পুরুষ সমকামী সাহিত্য

    পুরুষ সমকামী সাহিত্য বলতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের জন্য সৃষ্ট বা উক্ত সম্প্রদায়ের দ্বারা সৃষ্টি সাহিত্যকে বোঝায়। এই সাহিত্যের চরিত্র, প্লট বা বিষয়ববস্তু পুরুষ সমকামিতাকে চিত্রিত করে।[২][৩]

    একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমরা সাহিত্যকে এক অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের আধুনিকতা বলে অনুভব করতে পারব। সাংস্কৃতিক দিক থেকে সমকামিতা সম্পর্কে বর্তমান ধারণাটি আরও স্বচ্ছ। এটি বিরাট বিস্ময়কর কিছু নয়। তাই পুরুষ সমকামী সাহিত্য বা সাহিত্যে পুরুষ সমকামী চরিত্রগুলিও আপেক্ষিকভাবে নতুন এবং উজ্জ্বলতর।
     — কিলিয়ান মেলয়, “ইনফ্লুয়েন্সিয়াল গে ক্যারাক্টারস ইন লিটারেচার” (২০০৭)[৪]
  • গীতি কাব্য

    করতে পারেন, তবে তার মূল রস ক্ষুণ্ন হয় না। কবির আন্তরিকতাই শ্রেষ্ঠ গীতি কবিতা বা গীতি কাব্যের একমাত্র কষ্টি-পাথর।

    ইংরেজি সাহিত্যে গীতি কাব্য লিরিক নামে অভিহিত হয়ে থাকে। বীণাযন্ত্র সহযোগে এই শ্রেণীর সঙ্গীত-কবিতা গীত হতো বলে এটি লিরিক বা গীতকবিতা নামে চিহ্নিত।

    গান

    শব্দ চয়নের ব্যাপারে গান রচয়িতার স্বাধীনতা নাই। কারণ, সুরাত্মক ও সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন শব্দই তার পক্ষে উপযোগী। গানে ছন্দেবৈচিত্র্য সম্ভব নয়, কারণ কোন বিশিষ্ট ছন্দের পুণরাবৃত্তির সাহায্যে গান রচয়িতা গানের মূল ভাবটিকে গভীরতর করে তোলেন। এগুলো ছাড়াও গানে সুরের প্রাধান্য থাকে; গীতিকবিতায় কথা ও সুরের সমন্বয় থাকে। গানে একাধিক ভাব-কল্পনা সম্ভব নয; গীতি কাব্যে ভাব-কল্পনার বিচিত্রতা ও সুর-সঙ্গতি শুধু সম্ভবপর নয়, সুসাধ্যও বটে।

    যে-কবিতায় কবির আত্মনুভূতি বা একান্ত ব্যক্তিগত বাসনা-কামনা ও আনন্দ-বেদনা তার প্রাণের অন্তঃস্থল থেকে আবেগ-কম্পিত সুরে অখণ্ড ভাবমূর্ত্তিতে আত্মপ্রকাশ করে, তাকেই গীতি-কাব্য বা গীতিকবিতা বলে। এতে পরিপূর্ণ মানবজীবনের ইঙ্গিত নাই; এটি একক পুরুষের একান্ত ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনায় পরিপূর্ণ। কবি এখানে আত্ম-বিমুগ্ধ, তাই সমস্তটি কবিতাব্যাপী তার প্রাণ-স্পন্দন অনুভব করা যায়। কবি তার ব্যক্তি-অনুভূতি অথবা বিশিষ্ট মানসিকতা একে স্নিগ্ধ কান্তি দান করে। তার চরিত্রের কমনীয়তা, নমনীয়তা বা দৃঢ়তা এতে প্রতিফলিত হয়। সংক্ষেপে বলা যায়, গীত কবিতা কবির আত্ম-মুকুর বিশেষরবীন্দ্রনাথ বলেন,

    ‘যাহাকে আমরা গীতিকাব্য বলিয়া থাকি অর্থাৎ যাহা একটুখানির মধ্যে একটিমাত্র ভাবের বিকাশ ঐ যেমন বিদ্যাপতি’র

    ভরা বাদর মাহ ভাদরশূন্য মন্দির মোর, –

    সে-ও আমাদের মনের বহুদিনের, অব্যক্ত ভাবের একটি কোনো সুযোগ আশ্রয় করিয়া ফুটিয়া ওঠা’।

    গীতিকবিতার মধ্যে আমরা আন্তরিকতাপূর্ণ অনুভূতি, অবয়বের স্বল্পতা, সঙ্গীত-মাধুর্য্য ও গতিস্বাচ্ছন্দ্য – এই কয়েকটি জিনিস প্রত্যাশা করি। বলাবাহুল্য যে, গীতিকবিতা গান না হলেও আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে যে গীতি-কবিতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সুরের প্রাধান্য অব্যাহত রয়েছে।

    মহাকবি

    একজন গীতিকবি যেমন আত্মসচেতন, মহাকবিও তেমনই আত্মসচেতন। তাদের মধ্যেকার পার্থক্য শ্রেণীগত নয, ভাবগত কারণে। গীতি কবি আপনাকে কেন্দ্র করে নিজের উপলদ্ধ জগৎ সৃষ্টি করেন। মহাকবির ব্যক্তি-পরায়ণতা আরও বিস্তৃত। গীতিকবি অন্ধ, মহাকবি সহস্র-চক্ষু, গীতিকবি আত্মরতিসম্পন্ন, মহাকবি স্বকীয় কল্পনার আলোকে নির্বাচিত বিষয়বস্তু অবলম্বনে সর্বজনীন মানবতাকে নিরীক্ষণ করেন। মিল্টনআর্থারের কাহিনী পরিত্যাগ করে বাইবেল-বর্ণিত আদিম মানবের পতন কাহিনীকেই মহাকাব্যের সামগ্রীরূপে গ্রহণ করেছিলেন। কারণ এটি তার বিপুল ব্যক্তিত্বের রসে রসায়িত হয়ে এমন কাব্য রচনার সাহায্য করবে, যাতে তিনি ঐশ্বরিক বিধানকে মানবভাগ্যের সাথে সংযুক্ত করে দেখাতে পারবেন। মধুসূদনও রামায়ণের যে-কাহিনী গ্রহণ করেছেন, তার ব্যঞ্জনা ব্যক্তি-নির্বিশেষ হলেও তা মাইকেল মধুসূদন দত্তের কবি-মানসের ও জীবনদর্শনের সহায়ক।

  • কল্পসাহিত্য

    Redirect arrow bn.svgএই বিষয়শ্রেণীটির সঠিক অবস্থান হল বিষয়শ্রেণী:কল্পকাহিনি লক্ষ করুন: এই বিষয়শ্রেণীটি খালি থাকা উচিত। আরো তথ্যের জন্য নির্দেশনা দেখুন। (শোধন)

    এই বিষয়শ্রেণীতে বর্তমানে কোনও পাতা বা মিডিয়া ফাইল নেই।

    লুকানো বিষয়শ্রেণী:

  • ভাষার মৃত্যু

    ভাষাবিদদের মতে ভাষার মৃত্যু বলতে বোঝায় যখন কোন ভাষা তার শেষ বক্তাকেও হারায়।[১][২]) তবে ঐ ভাষাটি বক্তার প্রধান ভাষা বা মাতৃভাষা হতে হবে। ভাষার মৃত্যু অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন উপভাষা এবং ভাষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ভাষার মৃত্যু এবং ভাষা হারিয়ে যাওয়ার মাঝে পার্থক্য রয়েছে।[৩]

    ভাষার মৃত্যুর প্রকারভেদ

    Language shift can be the result of linguicide, in which ethnic group members no longer learn their heritage language as their first language.

    ভাষার মৃত্যুর সুস্পষ্ট কারণ নিম্নলিখিত যে কোন একটি হতে পারেঃ

    • ক্রমশ ভাষার মৃত্যু।
    • নিম্ন থেকে উচ্চ ভাষার মৃত্যু: যখন ভাষা পরিবর্তন একটি নিম্ন স্তরের পরিবেশে শুরু হয় যেমন বাড়ি থেকে।
    • উচ্চ-থেকে-নিম্ন ভাষা্র মৃত্যু: যখন ভাষা পরিবর্তন উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশে শুরু হয় যেমন রাষ্ট্রের সরকারের থেকে।
    • ভিত্তিগত ভাষার মৃত্যু।
    • ভাষার মৃত্যু (এছাড়াও আকস্মিক মৃত্যু, ভাষার গণহত্যা, শারীরিক ভাষার মৃত্যু, জৈবিক ভাষার মৃত্যু নামে পরিচিত)।

    সবচেয়ে সাধারণ যে প্রক্রিয়ায় ভাষার মৃত্যু ঘটে তা হল যখন কোন এক ভাষার ব্যবহারকারী একটি সম্প্রদায় অন্য কোন ভাষায় দ্বিভাষিক হয়ে যায়। ধীরে ধীরে দ্বিতীয় ভাষার প্রতি অনুরক্ত হয়ে তারা তাদের মূল ভাষা ব্যবহার করা ছেড়ে দেয়, এই আত্তীকরণ প্রক্রিয়াটি স্বেচ্ছায় হতে পারে অথবা একটি জনসংখ্যার উপর চাপিয়ে দেয়া হতে পারে। কিছু ভাষার জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে আঞ্চলিক বা সংখ্যালঘু ভাষার জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা অর্থনৈতিক বা উপযোগিতার উপর ভিত্তি করে নিজ ভাষা পরিত্যাগ করে, বৃহত্তর উপযোগ বা প্রতিপত্তি সম্পন্ন ভাষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় ভাষার মৃত্যু ধীরে ধীরে হয় এবং নিম্ন থেকে উচ্চ অথবা উচ্চ থেকে নিম্ন হতে পারে।

    কোন ক্ষুদ্র, ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন জনসংখ্যার ভাষা তাদের জনগোষ্ঠীর সাথে গণহত্যা, রোগ, বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা অপসারিত হলে ভাষার মৃত্যু হতে পারে।