Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

Bengali language and literature

  • কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি

    কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী[১]

    রচনার ইতিহাস

    ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সময় মাহবুব উল আলম চট্রগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা-সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগেই তিনি আকস্মিকভাবে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে সেই রাতেই রোগশয্যায় শুয়ে তিনি এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন। রাতেই সেটি মুদ্রিত হয় এবং পরের দিন প্রচারিত হয়। এছাড়া সে দিনই চট্রগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পঠিত হয়েছিল। কবিতাটি চৌধুরী হারুন অর রশিদ চট্টগ্রামের লালদিঘির ময়দানে ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম পাঠ করা হয়। [২]

  • করতল কমল কমল দল নয়ন

    করতল কমল কমল দল নয়ন শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কর্তৃক রচিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক কবিতাগুলোর একটি।[১] শঙ্কর দেব তাঁর শিক্ষা জীবনের শুরুতেই এই কবিতাটি রচনা করে সবাইকে অভিভূত করেন।[২] তিনি মাত্র ১২ বৎসর বয়সে এই কবিতাটি লিখেছিলেন।[৩] শ্রী মাধব কন্দলীর বিদ্যালয়ে, স্বরচিহ্নের শিক্ষা লাভ করারো পূর্বেই তিনি এই কবিতা রচনা করেছিলেন। সেই জন্যে এই কবিতাই স্বরচিহ্নের প্রয়োগ নেই।[৪]

    কবিতা

    করতল কমল কমল দল নয়ন।
    ভব দব দহন গহন-বন শয়ন ॥
    নপর নপর পর সতরত গময়।
    সভয় মভয় ভয় মমহর সততয়॥
    খরতর বর শর হত দশ বদন।
    খগচর নগধর ফনধর শয়ন॥
    জগদঘ মপহর ভব ভয় তরণ।
    পর পদ লয় কর কমলজ নয়ন॥[১]

  • কবি

    কবি সেই ব্যক্তি বা সাহিত্যিক, যিনি কবিত্ব শক্তির অধিকারী এবং কবিতা রচনা করেন। একজন কবি তার রচিত ও সৃষ্ট মৌলিক কবিতাকে লিখিত বা অলিখিত উভয়ভাবেই প্রকাশ করতে পারেন। একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট, ঘটনাকে রূপকধর্মী ও নান্দনিকতা সহযোগে কবিতা রচিত হয়। কবিতায় সাধারণত বহুবিধ অর্থ বা ভাবপ্রকাশ ঘটানোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধারায় বিভাজন ঘটানো হয়। কার্যত যিনি কবিতা লিখেন, তিনিই কবি। তবে বাংলা ভাষার প্রধানতম আধুনিক কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, “সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি”।অর্থাৎ কবিতা লিখলেই বা কবি অভিধা প্রাপ্ত হলেই কেউ “কবি” হয়ে যান না। একজন প্রকৃত কবির লক্ষণ কী তা তিনি তার কবিতার কথা নামীয় প্রবন্থ গ্রন্থে সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।

    “যিনি শব্দের সর্বোচ্চ সৌন্দর্য্যমুখর শৈল্পিক প্রয়োগের মাধ্যমে কোন একটি বা একাধিক বিষয়ের অনুপম ভাবধারার শ্রুতিমধুর, সৃজনশীল, ছন্দবদ্ধ কথামালাকে কল্পনা কিংবা বাস্তবতা অথবা উভয়ের সংমিশ্রণে প্রকাশ করেন এবং তা পাঠকের চিত্তকে আকৃষ্ট ও মোহিত করে; তিনিই কবি।”

    প্রেক্ষাপট

    কবিদের উৎপত্তি রহস্য অজ্ঞাত ও অজানাই রয়ে গেছে। সেই অনাদিকাল থেকে আধুনিক কাল পর্যন্ত যুগ-যুগ ধরে তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনাগুলোকে মনের মাধুরী মিশিয়ে সৃষ্টি করে চলেছেন নিত্য-নতুন কবিতা। কবিতাগুলো একত্রিত করে তারা কবিতাসমগ্র বা কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন। কখনো কখনো কাব্যগ্রন্থটি বিরাট আকার ধারণ করে সৃষ্টি করেন মহাকাব্য। প্রায় সকল ভাষায়ই কবিতা রচিত হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি ও ভিন্ন ভিন্ন সময়কে উপজীব্য করে রচিত হওয়ায় এগুলোর আবেদন, উপযোগিতা এবং ভাবও সাধারণতঃ ঐ সময়ের জন্য উপযোগী। তবে কতকগুলো কবিতা কালকে জয়ী করেছে বা কালজয়ী ভূমিকা পালন করেছে।[১] প্রত্যেক সমাজ-সভ্যতা ও নির্দিষ্ট ভাষায় রচিত হওয়ায় কবিরা বহুমাত্রিক, বিচিত্র ভঙ্গিমা, সৃষ্টিশৈলী প্রয়োগ করেছেন তাদের কবিতায় যা কালের বিবর্তনে যথেষ্ট পরিবর্তিত, পরিমার্জিত হয়ে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে। পরবর্তীকালে এই প্রায়োগিক বিষয়াদিই ঠাঁই করে নিয়েছে বিশ্বসাহিত্যের ইতিহাসের পর্দায়। সাহিত্যের ইতিহাসে উৎপাদিত এই বৈচিত্র্যময় শিল্প শৈলীই বর্তমান সাহিত্যকে যথেষ্ট সমৃদ্ধ করেছে।

    উৎপত্তি রহস্য

    বাংলা সাহিত্য

    চর্যাপদ পুথি, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া, মীর মশাররফ হোসেন, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, জীবনানন্দ দাশ, স্বর্ণকুমারী দেবী, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হুমায়ূন আহমেদ
    বাংলা সাহিত্য
    (বিষয়শ্রেণী তালিকা)
    বাংলা ভাষা
    সাহিত্যের ইতিহাস
    বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
    বাঙালি সাহিত্যিকদের তালিকা
    কালানুক্রমিক তালিকাবর্ণানুক্রমিক তালিকা
    বাঙালি সাহিত্যিক
    লেখকঔপন্যাসিককবি
    সাহিত্যধারা
    প্রাচীন ও মধ্যযুগীয়
    চর্যাপদমঙ্গলকাব্যবৈষ্ণব পদাবলিসাহিত্যনাথসাহিত্যঅনুবাদ সাহিত্যইসলামি সাহিত্যশাক্তপদাবলিবাউল গান
    আধুনিক সাহিত্য
    উপন্যাসকবিতানাটকছোটোগল্পপ্রবন্ধশিশুসাহিত্যকল্পবিজ্ঞান
    প্রতিষ্ঠান ও পুরস্কার
    ভাষা শিক্ষায়ন
    সাহিত্য পুরস্কার
    সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার
    সাহিত্য প্রবেশদ্বার
    বঙ্গ প্রবেশদ্বার
    দে

    কবি শব্দটি ‘কু’ ক্রিয়ামূলের বংশে প্রসূত একটি শব্দ। ‘কু’ অর্থ’ অ-সাধারণ (নবরূপে উত্তীর্ণ) কারী। [২] এতেই বোঝা যায় কবি সেই মানুষ যিনি সাধারণ অভিজ্ঞতা বা অনুভূতি অথবা প্রচলিত শব্দকে নতুন রূপে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম। ইংরেজী শব্দ ‘পয়েট’ (poet), ল্যাটিন ভাষার প্রথম শব্দরূপ বিশেষ্যবাচক পুংলিঙ্গ ‘পয়েটা, পয়েটে’ (‘poeta, poetae’) (আক্ষরিক অর্থ ‘কবি, কবি এর’) থেকে সংকলিত হয়েছে। ফরাসি কবি আর্থার রিমবোঁদ “কবি” শব্দের লিখিতভাবে সারাংশ প্রদান করেছেন,

    একজন কবি দর্শনীয় মাধ্যম হিসেবে নিজেকে অন্যের চোখে ফুঁটিয়ে তোলেন। তিনি একটি দীর্ঘ, সীমাহীন এবং পদ্ধতিবিহীন, অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় সকলের দৃষ্টিগ্রাহ্যতার বাইরে অবতীর্ণ হয়ে কবিতা রচনা করেন। সকল স্তরের ভালবাসা, দুঃখ-বেদনা, উন্মত্ততা-উন্মাদনার মাঝে নিজেকে খুঁজে পান তিনি। তিনি সকল ধরণের বিষবাষ্পকে নিঃশেষ করতে পারেন। সেই সাথে পারেন এগুলোর সারাংশকে কবিতা আকারে সংরক্ষণ করতে। অকথ্য দৈহিক ও মানসিক যন্ত্রণাকে সাথে নিয়ে তিনি অকুণ্ঠ বিশ্বাসবোধ রচনা করে যখন, যেমন, যেখানে খুশী অগ্রসর হন। একজন অতি মানবীয় শক্তিমত্তার সাহায্যে তিনি সকল মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত হন। একজন বড় ধরণের অকর্মণ্য ব্যক্তি থেকে শুরু করে কুখ্যাত অপরাধী, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অভিসম্পাতগ্রস্ত ব্যক্তি, এমনকি সর্বশ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক হিসেবেও তিনি অভিহিত হতে পারেন! যদি তিনি অজানা, অজ্ঞাত থেকে যান কিংবা যদি তিনি বিকৃত, উন্মত্ত, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন – তারপরও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে সেগুলো দেখতে পাবেন। তাই, কি হয়েছে যদি তিনি উৎফুল্লে ভেসে অ-শ্রুত, নামবিহীন অজানা বিষয়াদি ধ্বংস করেনঃ অন্যান্য আদিভৌতিক কর্মীরা তখন ফিরে আসবে এবং তারা পুনরায় সমান্তরালভাবে রচনা শুরু করবে যা পূর্বেই নিপতিত হয়েছিল!

    অবশ্য, এটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক কবিকূলের মধ্যে একজন কবি যিনি তার দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করেছেন মাত্র।[৩]

    বুদ্ধদেব বসু তার সম্পাদিত কবিতা পত্রিকার একটি প্রবন্ধ সংখ্যার (১৩৪৫, বৈশাখ) পরিকল্পনা করেছিলেন মূলত: কবিদের গদ্য প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে। এরই সূত্রে জীবনানন্দ তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন যার নাম ‘কবিতার কথা’। এ প্রবন্ধের শুরুতেই আছে “কবি” সম্পর্কে স্বীয় ধ্যান-ধারণার সারকথাঃ

    সকলেই কবি নয়। কেউ কেউ কবি ; কবি  কেননা তাদের হৃদয়ে কল্পনার এবং কল্পনার ভিতরে চিন্তা ও অভিজ্ঞতার সারবত্তা রয়েছে, এবং তাদের পশ্চাতে অনেক বিগত শতাব্দী ধরে এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক জগতের নব নব কাব্যবিকীরণ তাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু সকলকে সাহায্য করতে পারে না ; যাদের হৃদয়ে কল্পনা ও কল্পনার ভিতরে অভিজ্ঞতা ও চিন্তার সারবত্তা রয়েছে তারাই সাহায্যপ্রাপ্ত হয় ; নানারকম চরাচরের সম্পর্কে এসে তারা কবিতা সৃষ্টি করবার অবসর পায়।

    উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ একবার কবিদের কাজ সম্বন্ধে বিবৃত করেছিলেন যে,

    গানের বিষয়বস্তুকে আনন্দের সাথে তুলে ধরা
    বাইরে নির্গত হয়ে আমার আত্মাকে ঐদিন পরিশোধিত করবে
    যা কখনো ভুলে যাবার মতো বিষয় নয় এবং এখানে লিপিবদ্ধ থাকবে। (দ্য প্রিলুড বুক ওয়ান)

    ম্যারিয়েন মুরে কর্তৃক কবিদের কাজ সম্পর্কে বলেছেন যে,

    তারা প্রকৃতই সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। (পয়েট্রি)

    অন্যান্য অনেক কবি যেমনঃ ‘এইনিডে’ ভার্জিল এবং ‘প্যারাডাইজ লস্টে’ জন মিল্টন বর্ণনা করেছেন যে, ‘গ্রীক পুরাণে বর্ণিত কাব্য ও সঙ্গীতাদির দেবীরা তাদের আবেগিক কর্মকাণ্ড প্রয়োগের মাধ্যমে কবিদের কাজে সহায়তা করেন’।

    সংজ্ঞা নির্ধারণ

    কবির বেদনা-বিদ্ধ হৃদয়ই কবিতার জন্ম-ভূমি। অর্থাৎ, সময়-বিশেষে কোন একটি বিশেষ সূত্রকে অবলম্বন করে কবির আনন্দ-বেদনা যখন প্রকাশের পথ পায়, তখনই কবিতার জন্ম। কবি বেদনাকে আস্বাদ্যমান রস-মূর্তি দান করেন। ব্যক্তিগত বেদনার বিষপুষ্প থেকে কবি যখন কল্পনার সাহায্যে আনন্দমধু আস্বাদন করতে পারেন, তখন বেদনা পর্যন্ত রূপান্তরিত ও সুন্দর হয়ে উঠে। বেদনার যিনি ভোক্তা, তাঁকে এটি দ্রষ্টা না হতে পারলে তার দ্বারা কাব্য-সৃষ্টি সম্ভব নয়। কবির বেদনা-অনুভূতির এ রূপান্তর-ক্রিয়া সম্বন্ধে ক্রোচে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন এভাবে –

    Poetic idealisation is not a frivolous embellishment, but a profound penetration in virtue of which we pass from troublous emotion to the serenity of contemplation.

    বাইরের জগতের রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দ বা আপন মনের ভাবনা-বেদনা কল্পনাকে যে-লেখক অনুভূতি-স্নিগ্ধ ছন্দোবদ্ধ তনু-শ্রী দান করতে পারেন, তাকেই আমরা কবি নামে বিশেষিত করি।

    অনেকে বলেন যে, যিনি জগতের একখানি যথাযথ স্বাভাবিক চিত্রপট এঁকে দিতে পারেন, তিনিই যথার্থ কবি। অর্থাৎ, কবি জগতের ভালো-মন্দের যথাযথ চিত্র অঙ্কন করবেন। [৪]

    আরও দেখুন

  • এজ আই ওয়াস গোয়িং বাই চারিং ক্রস

    এজ আই ওয়াস গোয়িং বাই চারিং ক্রস” (কখনও এজ আই ওয়াস গোয়িং টু চারিং ক্রস বলা হয়) হলো একটি ইংরেজি কবিতা যা ছড়া হিসেবে শিশুদের পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কবিতাটি ১৮৪০ সালে প্রথম লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু মনে করা হয় যে সপ্তদশ শতাব্দীর বিভিন্ন শ্লোক ও চারণ কবিতাসমূহ এর আদি উৎস হতে পারে। এটি মূলত লন্ডনের চারিং ক্রস-এ অবস্থিত একটি পথের মোড়ে, রাজা ১ম চার্লস-এর অশ্বারোহী মূর্তিকে নির্দেশ করে অথবা হয়তো তার মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে রাজপক্ষীয় প্রতিবিধানে তার ফাঁসির কারণে শোক গাঁথা প্রকাশ পায়। এটা তার আধুনিক আকারে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়কালে লিপিবদ্ধ করা হয় । এটার রৌড লোকসঙ্গীত অনুক্রম নম্বর ২০৫৬৪ ।

    কবিতার পদাবলী

    আধুনিক সংস্করণ হল:

    As I was going by Charing Cross,
    I saw a black man upon a black horse;
    They told me it was King Charles the First-
    Oh dear, my heart was ready to burst![১]


    রৌড লোকসঙ্গীত সূচী, যা, লোকগীতি ও তাদের বৈচিত্র সংখ্যা দ্বারা বিন্যাস করে , সেখানে এটির ক্রমিক নং ২০৫৬৪[২]

    উৎস

    রাজা ১ম চার্লস এর অশ্বারোহী মূর্তি

    কবিতাটি রাজা ১ম চার্লস এর অশ্বারোহী মূর্তি নির্দেশ করে বলে মনে করা হয়(১৬২৫-৪৯),যা ১৬৬০ সালে পুনরুদ্ধারের পরে ১৬৭৫ সালে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড চারিং ক্রসে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল ।[১] ব্রোঞ্জ মূর্তিটি মূলত কালো ও দাগযুক্ত, কিন্তু সম্ভবত “কৃষ্ণবর্ণ” এখানে রাজার চুল নির্দেশ করে।[১]

    কবিতাটির শেষচরণটি চার্লস এর শিরোচ্ছেদের সময় জনতার অনুভূতি প্রকাশ করে , অথবা হতে পারে এটি রাজপক্ষীয় প্রতিবিধানে তার ফাঁসির কারণে “পিউরিটান” দলের (যারা ক্যাথলিক গির্জার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন) শোক গাঁথার প্রকাশ। [১] কবিতাটি তৎকালীন জনপ্রিয় করেকটি ছড়ার মিশ্রণ কিংবা জোড় ছন্দ হতে তৈরি হয়েছে। লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী একটি শ্লোক:

    I cry my matches at Charing Cross,
    Where sits a black man on a black horse.[১]

    অথবা

    I cry my matches by old Charing-Cross,
    Where sitteth King Charles upon a black horse.[৩]


    অক্সফোর্ডে [৪] সপ্তদশ শতাব্দীর একটি পান্ডুলিপিতে কবিতাটির যেসকল শোক গাঁথার চরণ রয়েছেঃ

    But because I cood not a vine Charlles the furste
    By my toth my hart was readdy to burst[১]


    প্রথম অংশটি বিখ্যাত গান “রাইড এ কক হর্স” এর সাথে মিলিয়ে শিশুতোষ কবিতা হিসেবে ,প্রিটি টেলস এ ১৮০৮ সালে ছাপা হয়েছিলঃ

    Ride a Cock Horse,
    To Charing Cross,
    To see a black man,
    Upon a black horse.[১]


    আধুনিক সংস্করণটি, উক্ত কবিটার সাথে চার্লস ১ এর মৃত্যুদন্ড এর ঘটনা মিল করে তৈরি হয়েছে , যা ১৮৪০ সালে প্রথম সংগৃহীত এবং ছেপেছিল জেমস অর্চাড হেলিওয়েল। [১][৫]

    টীকা

    রাজা ১ম চার্লস ছিলেন ব্রিটেনের রাজসিংহাসন এর উত্তঅধিকারী। তিনিক্যাথলিক গির্জার ঘোর বিরুদ্ধাচরণ করতেন। একচ্ছত্র স্বৈরাচারী ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর এক গৃহ যুদ্ধে হেরে গেলে, অলিভার ক্রমওয়েলের নির্দেশে রাজা ১ম চার্লস কে শিরোচ্ছেদে হত্যা করা হয়।

  • আবৃত্তি

    আবৃত্তি (ইংরেজি: Recitation) সাধারণ ধারণায় শ্রোতার সম্মুখে কোনো কবিতা বা বক্তব্য ইত্যাদি আকর্ষনীয়ভঙ্গিতে উপস্থাপন করার একটি শিল্প।[১][২] মূলত বাংলাদেশ, কলকাতা ও জাপান-এ আবৃত্তির চর্চা হয়ে থাকে।[৩]

    আবৃত্তির সংজ্ঞা

    সাহিত্য পদবাচ্যের (কবিতা এবং গদ্য) সামগ্রিক রূপকে কণ্ঠস্বরে যথাযথ প্রয়োগ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রমিত উচ্চারণ অক্ষুণ্ণ রেখে বিষয়ে ধারণকৃত অনুভূতি, আবেগ, ভাব, গতি, বিরাম, ছন্দ ইত্যাদির সমন্বিত ও ব্যঞ্জনার প্রকাশই আবৃত্তি।[৪]

    সর্ব শাসত্রানাং বোধাদপি গরীয়সী। যারা আবৃত্তি করবেন তারা এই কথাটি বেশির ভাগ লেখায় দেখে থাকবেন। আবৃত্তি বিষয়ে গবেষক রামচন্দ্র পাল দাবী করছেন ইদানীং এ কথাটি দিয়ে আবৃত্তিকাররা বোঝাতে চাইছেন যে শাস্ত্রের মধ্যে আবৃত্তি শাস্ত্র প্রধান। ধারনাটি বর্মের মত আবৃত্তিকারকে বাঁচাচ্ছে। এতে আত্মতৃপ্তি রয়েছে তবু এটি অনুসন্ধান যোগ্য। প্রবচন টি বাংলা করলে দাঁড়ায় সকল শাস্ত্রের মধ্যে বোধ অপেক্ষা আবৃত্তি শ্রেষ্ঠতর। এবারে দেখুন অধ্যাপক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলছেন। তিনি বলছেন, সর্ব শাস্ত্রের মধ্যে একটা জিনিস কে বোঝবার আগে আবৃত্তি করা দরকার, আবৃত্তিতে এর রূপ মূর্ত হবে। আবার এই কথাটিকে ব্যাখ্যা করলেন শ্রী গোবিন্দ গোপাল এই ভাবে যে প্রাচীণ কালে বেধ পাঠের ব্যাপার ছিল। অর্থের দিকে ততটা দৃষ্টি দেয়া হতো না। তাদের মত ছিল যথাযথভাবে উচ্চারণ করে আবৃত্তি বা পাঠ করলেই মন্ত্রের ফল পাওয়া যায়।

    পবিত্র কোরআনের সুরা মুযযাম্মিলে রয়েছে- “ও রাত্তিলিল কুরানা তারতিলা” অর্থাৎ তোমরা তারতিলের সাথে কোরআন পাঠ করো। এখানে তারতিল মানে আবৃত্তি বোঝানো হয়েছে।

    প্রায় তিন হাজার বছর পূর্বে আবৃত্তি শব্দটির একটি বিশেষ অর্থ ছিল। শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ-বারংবার পাঠ। প্র, পরা, অপ, সম ইত্যাদি যে বিশটি উপসর্গ বাংলায় পাওয়া যায় “আ” তার একটি। “আ” মানে সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে। সেক্ষেত্রে আবৃত্তির প্রাচীন অর্থটা হয় এরকম- সম্যকভাবে বা সর্বতোভাবে যা পঠিত বা উচ্চারিত। বৈদিক ভাষা যখন রচিত হয়, তখন লেখার কোন পদ্ধতি আমাদের জানা ছিল না। বৈদিক কবিরা রচনা করতেন মুখে মুখে এবং সে রচনা কাগজে লিখে রাখবার মতোই ধরে রাখতেন মুখে মুখে, আবৃত্তির সাহায্যে। বৈদিক সাহিত্য আবৃত্তির মাধ্যমে যুগে যুগে বাহিত হবার আরও একটি কারণ ছিল। এ প্রসঙ্গে সুকুমার সেন বলেন- “সে হল লেখাপড়ার চেয়ে আবৃত্তির উৎকর্ষ। লেখাতে ভাষার সবটুকু ধরা পরে না। না কন্ঠস্বর, না সুরের টান, না ঝোঁক। কিন্তু আবৃত্তিতে এসবই যথাযথ বজায় থাকে।”

    আবৃত্তির উপাদান

    1. বিষয়বস্তু (কবিতা, গল্প, গল্পাংশ, সাহিত্য মান সমৃদ্ধ চিঠি, প্রবন্ধ, নাট্যাংশ, বিখ্যাত কোন ভাষণ ইত্যাদি)
    2. প্রমিত উচ্চারণ
    3. পাঠের গতি
    4. স্বচ্ছতা
    5. শ্বাসাঘাত
    6. স্বর প্রক্ষেপণ
    7. গড় গতি
    8. বিরতি
    9. ভাব, অনুভূতি, আবেগ
    10. অণুরণন
    11. স্বর বৈচিত্র্য
    12. স্বর বর্ণভেদ
    13. আবৃত্তির কবিতা
    14. ধ্বনি
    15. ছন্দ

    আবৃত্তির ধরণ

    1:28

    জুলিয়াস সিজার, বেলাম গ্যালিকাম ১,১, একজন জার্মান দ্বারা আবৃত্তি।

    দুই ধরনের আবৃত্তি প্রচলিত রয়েছে

    • ১ আবৃত্তি অনুষ্ঠান ১.ক)একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান,১.খ) সমন্বিত আবৃত্তি অনুষ্ঠান
    • ২ আবৃত্তি প্রযোজনা

    উল্লেখিত দুটি ধরনের মধ্যে আবৃত্তি প্রযোজনা কে অধিকতর শিল্প সম্ভাবনাময় মনে করা হয়।

    উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনা গুলো হলো – মানুষেরা মানুষের পাশে, ধরিত্রী, সবুজ করুণ ডাঙ্গায় ।

    যেগুলোর মঞ্চায়ন করেছে আবৃত্তি সংগঠন স্বরশ্রুতি এবং গ্রন্থণা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মীর মাসরুর জামান রনি।

    [৫][৬][৭]

    আবৃত্তি পরিবেশনা হয় তিনটি প্রকারে –

    ১. একক পরিবেশনা

    ২. দ্বৈত পরিবেশনা

    ৩. দলীয় পরিবেশনা

    ১৯৮২ সালে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন আবৃত্তি সংগঠন ঐকতান।

    ১৯৮৩ সালে হাসান আরিফ স্বরিত প্রতিষ্ঠা করেন এরপর স্বরশ্রুতি, কন্ঠশীলণ, কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৮] বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০০ এর মতো আবৃত্তি সংগঠন রয়েছে যার অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ

  • প্রবেশদ্বার:কবিতা

    সম্পাদনাকবিতা প্রবেশদ্বারে স্বাগতকবিতা (গ্রিক: “ποίησις,” poiesis, “নির্মাণ” অথবা “তৈরি করা”; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলীর ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়। কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলের পোয়েটিকস্, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্মক বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের ওপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সম্ভবত সাহিত্যের আদিমতম শাখা। কবিতা সম্পর্কে আরও… নিচের নতুন নির্বাচনগুলো দেখুন (পার্জ) সম্পাদনানির্বাচিত নিবন্ধতুর্কি সাহিত্য (তুর্কি: Türk edebiyatı or Türk yazını) তুর্কি ভাষায় মৌখিক রচনায় এবং লিখিত গ্রন্থে, উভয় মাধ্যমে গঠিত। এছাড়াও উসমানীয় বা একচেটিয়াভাবে সাহিত্য রূপে বর্তমান তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের কথ্যভাষার মাধ্যমে। …সংরক্ষাণাগার/মনোনয়ন আরও পড়ুন… সম্পাদনানির্বাচিত চিত্র কৃতিত্ব: লিয়াঙ্গ কাই লি পো কবিতা আবৃত্তি করছেন। কাগজের উপর কালি, লিয়াঙ্গ কাই (১৩তম শতাব্দীর)। …সংরক্ষাণাগার/মনোনয়ন আরও পড়ুন… সম্পাদনানির্বাচিত জীবনীকাজী নজরুল ইসলাম (মে ২৪, ১৮৯৯আগস্ট ২৯, ১৯৭৬),(জ্যৈষ্ঠ ১১, ১৩০৬ – ভাদ্র ১২, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ), অগ্রণী বাঙালি কবি, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকার সঙ্গে সঙ্গে প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবিপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশ – দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতাগান সমানভাবে সমাদৃত। তাঁর কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাঁকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে –- কাজেই “বিদ্রোহী কবি”, তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে। নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবে কাজও করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মত কবিতা; ধূমকেতুর মত সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোট গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্য তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামাসংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা “নজরুল গীতি” নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়। মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আরও পড়ুন…সংরক্ষাণাগারসম্পাদনানির্বাচিত কবিতাপ্রবেশদ্বার:কবিতা/কবিতা/২” নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই। সম্পাদনানির্বাচিত উক্তি “ A good poem is one in which the form of the verse and the joining of its two parts seem light as a shallow river flowing over its sandy bed. ” — Matsuo Bashō সংরক্ষণ… সম্পাদনাভাষা দৃষ্টিকোনপ্রবেশদ্বার:কবিতা/ভাষা দৃষ্টিকোন/৩” নামক কোন পাতার অস্তিত্ব নেই। সম্পাদনাউল্লেখযোগ্য বিষয়কবিতা বিষয়ে আরো বিস্তারিতর জন্য, দেখুন কবিতা রুপরেখা সংস্কৃতি, জাতীয়তা বা ভাষা অনুযায়ী আমেরিকান, অ্যাংলো-ওয়েলশ, আরবি, অস্ট্রেলীয়, বাংলা, বাইবেলীয়, ব্রিটিশ, কানাডীয়, চীনা, কর্নিশ, ইংরেজি, প্রাচীন ইংরেজি, ফিনীয়, ফরাসি, গ্রিক, হিব্রু, ভারতীয়, আইরিশ, ইতালীয়, জাপানি, জাভানীয়, Jèrriais, কন্নড়, কোরীয়, লাতিন আমেরিকান, লাতিনো, ম্যাঙ্কস, প্রাচীন নর্স, উসমানীয়, পাকিস্তানি, ফার্সি, স্কটিশ, সার্বীয়, স্লোভাক, স্পেনীয়, উর্দু, ওয়েলশ কবিদের তালিকা আলবেনীয়, আফ্রিকান, আরবি, বাঙালা, বেলারুশীয়, বুলগেরীয়, কাতালান, চীনা, ক্রোয়েশীয়, ওলন্দাজ, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, প্রাচীন গ্রিক, আধুনিক গ্রিক, হিব্রু, হিন্দি, ভারতীয়, ইন্দোনেশীয়, আইরিশ, ইতালীয়, জাপানি, কোরীয়, লাতিন, মল্টিয়, ফার্সি, পোলিশ, পর্তুগিজ, পাঞ্জাবি, পশতু, রোমানীয়, রাশিয়ান, স্লোভাকিয়, স্লোভেনীয়, স্পেনীয়, সুয়েডীয়, তুর্কীয়, উর্দু, ওয়েলশ, ইদ্দিশ কবিতা বিদ্যালয় Akhmatova’s Orphans, Alexandrian, বিট, Black Arts Movement, Black Mountain poets, British Poetry Revival, Cairo poets, Cavalier poets, Confessionalists, Cyclic Poets, Dada, Deep image, Della Cruscans, Dolce Stil Novo, Dymock poets, The poets of Elan, Flarf poetry, Fugitives, Garip, Generation of ’98, Generation of ’27, George-Kreis, Georgian poets, Goliard, Graveyard poets, The Group, Harvard Aesthetes, Imagism, Lake Poets, Language poets, Martian poetry, Metaphysical poets, Misty Poets, Modernist poetry, The Movement, Négritude, New Apocalyptics, New Formalism, New York School, Objectivists, Others group, Parnassian poets, La Pléiade, Rhymers’ Club, Rochester Poets, San Francisco Renaissance, Scottish Renaissance, Sicilian School, Sons of Ben, Southern Agrarians, Spasmodic poets, Sung poetry, পরাবাস্তবাদ, Symbolism, Uranian poetry বিষয়শ্রেণী Poetry by nation or language, Ethnopoetics, Modernist poetry in English, Poems, Poetic form, Poetry awards, Poetry collections, Prosody, Spoken word, Years in poetry, Poetry stubs সম্পাদনাবিষয়শ্রেণী

    কবিতা

    কবি পরিভ্রমণ বাক্স

    চলচ্চিত্রে অভিযোজিত কবিতা

    তারিখ অনুযায়ী কবিতা

    কবিতার বই

    বিষয় অনুযায়ী কবিতা

    ভাষা অনুযায়ী কবিতা

    রূপ অনুযায়ী কবিতা

    লেখক অনুযায়ী কবিতা

    লেখকের জাতীয়তা অনুযায়ী কবিতাসম্পাদনাসম্পর্কিত প্রবেশদ্বার বাংলা সাহিত্য ভাষা সাহিত্য কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদনাআপনি যা করতে পারেনঅনুরোধ: Alan Jenkins, Paul Hyland, Penelope Shuttle, Ted Walker, Richard Wilbur Award, Arabic Poetics, আরো…অসম্পূর্ণ: ফিনিশ কবিতা, ইতালীয় কবিতা, Akhmatova’s Orphans, Donald Hall, Roddy Lumsden, আরো…ত্রুটি দূরীকরণ: Eugénio de Andradeবিস্তৃত: Stanley Burnshaw, Yevgeny Rein, The poetry side of Walter Ralegh, Robert Herrick, William Ernest Henleyযোগ করুন কবিতায় বছরের তালিকায় (উপাদান যুক্ত করতে নির্দিষ্ট বছরে ক্লিক এবং সম্পাদনা করুন)।শেকসপিয়রের সনেট নিবন্ধ লিখতে সাহায্য করুন। (পৃষ্ঠার নীচের অংশে অবস্থিত টেমপ্লেটের যে কোনো স্থানে ক্লিক করুন)। সম্পাদনাউইকিপ্রকল্পউইকিপ্রকল্প কবিতা — কবিতার সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প উইকিপ্রকল্প উপন্যাস — উপন্যাসের সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প উইকিপ্রকল্প গান — গানের সাথে সম্পর্কিত সকল নিবন্ধ উন্নয়নের জন্যে একটি প্রকল্প সম্পাদনাসংযুক্ত উইকিমিডিয়া
    উইকিসংবাদে কবিতা
    উন্মুক্ত সংবাদ উৎস
    উইকিউক্তিতে কবিতা
    উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন
    উইকিসংকলনে কবিতা
    উন্মুক্ত পাঠাগার
    উইকিবইয়ে কবিতা
    উন্মুক্ত পাঠ্যপুস্তক ও ম্যানুয়াল
    উইকিবিশ্ববিদ্যালয়ে কবিতা
    উন্মুক্ত শিক্ষা মাধ্যম
    উইকিমিডিয়া কমন্সে কবিতা
    মুক্ত মিডিয়া ভাণ্ডার
    উইকিঅভিধানে কবিতা
    অভিধান ও সমার্থশব্দকোষ
    উইকিউপাত্তে কবিতা
    উন্মুক্ত জ্ঞানভান্ডার
    উইকিভ্রমণে কবিতা
    উন্মুক্ত ভ্রমণ নির্দেশিকা প্রবেশদ্বার কী? প্রবেশদ্বারসমূহের তালিকা নির্বাচিত প্রবেশদ্বার

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • কবিতা

    কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস— যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রুপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ। পৃথিবী নামক গ্রহের তাবৎ বিষয়কে পুজি করে কবিতা ফলত সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। কাঠামোর বিচারে কবিতা নানা রকম। যুগে যুগে কবিরা কবিতার বৈশিষ্ট্য ও কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছেন। কবিতা শিল্পের মহত্তম শাখা হিসেবে পরিগণিত।

    এর আয়তন প্রকারের উপর নির্ভরশীল।

    কবিতা (গ্রিক: “ποίησις,” poiesis, “নির্মাণ” অথবা “তৈরি করা”; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলির ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলের পোয়েটিকস, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্ম বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের উপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সাহিত্যের আদিমতম শাখা।

    ইতিহাস

    মূল নিবন্ধসমূহ: কবিতার ইতিহাসসাহিত্য তত্ত্ব

    পশ্চিমা ঐতিহ্য

    ২০ শতকের বিরোধ

    উপাদানসমূহ

    ছন্দ:প্রকরণ

    মূল নিবন্ধ: মিটার (কবিতা)

    তাল

    মূল নিবন্ধসমূহ: সময়জ্ঞান (ভাষাতত্ত্ব), স্বন (ভাষাতত্ত্ব)গীতিপ্রস্বর

    মিটার

    মূল নিবন্ধ: ছন্দোরীতি পদ্ধতি

    ছন্দোময় নিদর্শন

    মূল নিবন্ধ: মিটার (কবিতা)

    ছড়া, অনুপ্রাস, স্বরানুপ্রাস

    মূল নিবন্ধসমূহ: অন্ত্যমিল, অনুপ্রাসধর্মী পদ্যস্বরসাদৃশ্য

    মিত্রাক্ষরকারী স্কিম

    মূল নিবন্ধ: মিত্রাক্ষরকারী স্কিম

    গঠন

    পদ এবং স্তবক

    দৃষ্টি সহায়ক উপস্থাপনা

    মূল নিবন্ধ: দৃষ্টি সহায়ক কবিতা

    রচনাশৈলী

    মূল নিবন্ধ: কাব্যিক রচনাশৈলী

    প্রকার

    রুবাই

    এটি আরবীয় অঞ্চলের চার পংক্তির একটি কবিতা। ওমর খৈয়াম তার রুবাই-এর জন্য বিখ্যাত।

    সিজো

    এটি সীমিত দৈর্ঘ্যের কোরীয় কবিতা। সাধারণত ৪ পংক্তিতে লেখা হয়।

    ক্বাসিদা

    ক্বাসিদা-কবিতা ইংরেজজাতি দ্বারা নিষিদ্ধ কবিতার বই । মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসিগণ একে ক্বসিদা শরীফ বলে। মুসলিম জাতির বিভিন্ন দুর্যোগ-কালে এ ক্বাসিদা পাঠ করা হয় যাতে মুসলমানরা প্রাণ শক্তি ফিরে পান ।মুসলমানদের উপর এর প্রভার লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) ভারতবর্ষে এ ক্বাসিদা (কবিতা) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ কবিতাকে আরবী ও ফার্সি ভাষায় বলা হয় ক্বাসিদা ।

    চতুর্দশপদী

    মূল নিবন্ধ: চতুর্দশপদী

    চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার উদ্ভব হয় ইউরোপে। এর বৈশিষ্ট হল যে এরূপ কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে মোট ১৪টি অক্ষর থাকবে।

    ইংরেজি চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল ১৬তম শতাব্দিতে ‘টমাস ওয়াট’ এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে উঠে স্যার ফিলিপ সিডিনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এরূপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালোবাসা।

    হাইকু

    মূল নিবন্ধ: হাইকু

    হাইকু (একবচনে “হাইকি”) একধরনের সংক্ষিপ্ত জাপানি কবিতা। তিনটি পংক্তিতে যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ৫ জাপানি শ্বাসাঘাত মোরাস মিলে মোট ১৭ মোরাসের সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি মুহূর্তে ঘটিত মনের ভাব প্রকাশ করা হয়। জাপানি হাইকু একটি লাইনে লিখিত হয়। সেই বাক্যটিতে ১৭টি মোরাস থাকে। সাধারণত একটি ছবি বর্ণনা করার জন্য হাইকু লিখিত হয়। মোরাস ও মাত্রা একই ব্যাপার নয়। ইউরোপীয়গণ ১৭ মোরাসকে ১৭ দল মনে করে হাইকু লেখার সূত্রপাত করে। তাদের দেখাদেখি বাংলা ভাষায় ১৭ মাত্রার হাইকু লেখার প্রচলন হয়। মোরাস, দল ও মাত্রা এক-একটি ভাষার নিজস্ব শ্বাস অনুসারী। সেই অনুযায়ী ১২ মোরাসে ১৭ সিলেবল হয়। ইউরোপে ইমেজিস্ট আন্দোলনের পর ১৭ সিলেবলের পরিবর্তে আরো বেশি সিলেবলের হাইকু লেখা শুরু হয়েছে। জ্যাক কেরুয়াক প্রমুখ মার্কিন কবিগণ স্বীকার করেছেন যে মার্কিন উচ্চারণ জাপানি উচ্চারণ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। তারা ১৭ দল ও তিন বাক্যবন্ধন অস্বীকার করে হাইকু লিখেছেন। বাংলা ভাষায় প্রথম আন্তর্জাতিক হাইকু কবি সম্মেলন হয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, কলকাতায় কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে, ‘যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা’র আয়োজনে। [১]

    লিমেরিক

    মূল নিবন্ধ: পঞ্চপদী ছড়া

    লিমেরিক (Limerick) একটি ইংরেজি শব্দ। শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা কবিতার জগতে এসেছে। লিমেরিক ছোট কবিতার (Little Poems) এক অনন্য রচনা শৈলী। ৫টি চরণে গঠিত এই ফর্মে অন্ত্যমিলের বিন্যাস- ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি ১ম, ২য় ও ৫ম এর চেয়ে মাপে ছোট হয়। ইংরেজি নার্সারী রাইম (Nursery rhyme) থেকে এর উৎপত্তি। সাধারণতঃ লিমেরিকের বক্তব্য অর্থবোধক হয় না, বরং দ্যোতনাযুক্ত হয়। বাংলা লিমেরিকের উদাহরণ –

    “তাতীর বাড়ি ব্যাঙের বাসা

    কোলা ব্যাঙের ছা।

    খায় দায়,

    গান গায়,

    তাইরে নাইরে না।”

    লিমেরিকের ইতিহাসঃ

    লিমেরিক আয়ারল্যান্ডের একটি জায়গার নাম। ফ্রান্সের সৈন্যদলের আইরিশ ব্রিগেডিয়াররা ওই লিমেরিকে অবস্থান কালে এ রকম ছোট ছোট ছড়ার গান গাইত এবং শেষ লাইনে থাকত ধোয়াশার মতো এ কথাটি “ Let us come up to Limerick”. (সুর করে কোরাসের মাধ্যমে এ গানগুলো গাওয়া হত।) কোন এক অজানা কবির হাতে সৃষ্টি হয় এ গীতিকবিতা। সৈন্যারা হয়ত লিমেরিকের এই ধরনটার অনুকরনে মুখে মুখে ছড়া তৈরী করে মুখে মুখে গান গাইত। যূদ্ধশেষে যে যার বাড়ী ফিরে তারা তাদের বংশধদের এ গান শোনাতো। লিমেরিক স্থান থেকে আগত বলে ছোট ছোট এই গীতিকবিতাগুলোর নাম হয়ে যায় লিমেরিক

    আঠারো খ্রিষ্টাব্দের গোড়ার দিকে ইংরেজি সাহিত্যে লিমেরিকের প্রচলনতা ও সাহিত্যিক জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এডোয়ার্ড লিয়রের হাত ধরে (A Book of Nonsense in the year 1846), তবে লিয়ের এগুলোকে কখনো লিমেরিক অভিধায় রাখেননি। এরপর এই ফর্মে লিখতে থাকেন Alfred Lord Tennyson, Shakespeare, Rudyard Kipling, Dante Gabriel Rossetti, Ogden Nash, H. G. Wells, W. H. Auden, T. S. Eliot, James Joyce, and Lewis Carroll – এঁদের মতো আরো অনেক বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক।

    গজল

    মূল নিবন্ধ: গজল

    গজল আরব থেকে এর উৎপত্তি হলেও ফার্সি ভাষায় এটি বিশেষ বিকাশ লাভ করে। পরবর্তীতে উর্দু ভাষায় এটি সমধিক জনপ্রিয়তা পায়। আরবি, ফার্সি, পশতু, উর্দু ছাড়াও হিন্দি, পাঞ্জাবী, মারাঠি, বাংলা এমনকি ইংরেজিতেও গজল লেখা হয়। প্রাথমিক দিকে ইমাম গাজালি, মওলানা জালালুদ্দিন রুমি, হাফিজ, সিরাজী, ফরিদুদ্দিন আত্তার, হাকিম শানাঈ প্রমুখ গজল লিখে বেশ নাম করেন। পরবর্তিতে আমির খসরু, মির তকি মির, ইবরাহিম জক, মির্জা গালিব, দাগ দেলবি এবং আধুনিক কালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, কাজী নজরুল ইসলাম, ফিরাক গোরখপুরী গজল লেখক হিসাবে নাম করেন। গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকুতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

    শব্দকবিতা

    মূল নিবন্ধ: তথ্যপ্রযুক্তিযুগের কবিতা

    i-কবিতা

    মূল নিবন্ধ: তথ্যপ্রযুক্তিযুগের কবিতা

    চ্যাটি কবিতা

    কাজল কবি রচিত পথের ধারে একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা ।

    অণুকবিতা

    ছোট আকারের কবিতা। যাতে খুব অল্প কথায় কবি তার মনের ভাব প্রকাশ করে।

    পরমাণু কবিতা

    পরমাণু কবিতা হল এক বিশেষ ধরণের কাব্য। এখানে সর্বোচ্চ ৯ শব্দের মধ্যে এই কবিতা লিখতে হয়। ভাবসম্প্রসাণযোগ্য। বাংলা ভাষায় পরমাণু কবিতা নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক কবি সম্মেলন হয়েছে ২১ মার্চ ২০২১ সালে কলকাতায় কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে, আয়োজক ছিল ‘যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা’। [২]

    ধারা

    আখ্যান কবিতা

    মূল নিবন্ধ: আখ্যান কবিতা

    মহাকাব্য

    মূল নিবন্ধ: মহাকাব্য

    মহাকাব্য হচ্ছে দীর্ঘ ও বিস্তৃত কবিতা বিশেষ। সাধারণত দেশ কিংবা সংস্কৃতির বীরত্ব গাঁথা এবং ঘটনাক্রমের বিস্তৃত বিবরণ এতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়। সুপ্রাচীনকালে মুখে মুখে প্রচলিত কবিতাসমগ্রও মহাকাব্যের মর্যাদা পেয়েছে। মহাকাব্য নিয়ে আলবার্ট লর্ড এবং মিলম্যান প্যারি গবেষণা করেছেন। তারা উভয়েই যুক্তিপ্রদর্শন সহকারে ঐকমত্য পৌঁছেছেন যে, আধুনিককালের মহাকাব্যগুলো প্রকৃত অর্থে প্রাচীনকালের মৌখিকভাবে প্রচলিত ও প্রচারিত কবিতাসমগ্রেরই শ্রেণিবিভাগ মাত্র।

    নাট্যকাব্য

    বিদ্রুপাত্মক কবিতা

    এ ধরনের কবিতায় মূলত কবি তার কাব্য শৈলীতে কোনো সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,বৈশ্বিক অবক্ষয় গুলোকে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে ফুটিয়ে তোলেন,নিজের চিন্তাশক্তি দ্বারা পাঠকের মনে আনন্দ অনুভূতি সৃষ্টির মাধ্যমে সচেতনতা প্রবেশে সাহায্য করেন।এ ধরনের কবিতা কোনো ব্যাক্তি,ঘটনা কিংবা স্থান কে কেন্দ্র করে লিখে থাকেন।

    গীতিকাব্য

    মূল নিবন্ধ: গীতি কাব্য

    শোককাব্য

    শোক বা দুঃখ অর্থাৎ স্যাডনেস, ফ্রাস্ট্রেশন থেকে উদ্ভূত কবিমনের মর্মবাণী হলো শোককাব্য। মৃত্যুতে শোকাহত কবিমনের জীবন ও মৃত্যুর যথার্থ উপলব্ধি এই ধরনের কবিতা বা কাব্যে প্রকাশিত হয় একটি বিখ্যাত কাব্যের মধ্যে রয়েছে অক্ষয় কুমার বড়ালের “এষা” নামক শোককাব‍্য।

    পদ্য আখ্যান

    গদ্য কবিতা

    গদ্য কবিতা বলতে সে সব কবিতাকে বুঝায় যেগুলো গদ্যে লিখিত হয়। এগুলো পদ্য ও গদ্যের সংমিশ্রণে সৃষ্ট। প্রকৃতির বাস্তবতার কাব্যিক ব্যঞ্জনার নাম গদ্য কবিতা। গদ্য কবিতা প্রাচীন যুগে স্কলারদের দ্বারা প্রথম লিখিত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে নাম-না-জানা কয়েকজন লেখক ইংরেজিতে গ্রিক ও হিব্রু বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন; এই অনুবাদের ভাষায় আশ্চর্য শক্তি এদের মধ্যে কাব্যের রস ও রূপকে নিঃসংশয়ে পরিস্ফুট করেছে। এই গানগুলোতে গদ্যছন্দের ব্যবহার রয়েছে। ১৮৪২ সালে প্রকাশিত হয় Aloysius Bertand-এর Gespard La nuit; যা গদ্য কবিতাকে প্রথম স্বীকৃতি এনে দেয়। এর ছন্দোময় ও কাব্যিক ভাষায় আকৃষ্ট হয়ে পরবর্তীতে অনেককে এ জাতীয় কবিতা লেখাতে আগ্রহী হন। ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয় Bandelaire-এর Petis poems en Prose। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে Rimbond, Oscar Wilde, Amy Lowell এই ধারায় লেখেন। ভার্জিনিয়া উল্‌ফ তার Gertrnde Stien- ÔTender Buttons উপন্যাসে এই ধারায অনুসরণ করেন। এটির সূচনা হয় ফ্রান্স থেকে এবং পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আমেরিকায় Pablo Neruda ও Borges, রাশিয়ার Turgenev, ইতালীতে Marinetti এবং ডেনমার্কে J. B. Jacobson, উত্তর আমেরিকায় Whitman, Robert Bly, W. S. Merwin প্রমুখ এই ধারার স্বার্থক ও প্রমাণিত কবি।

    তবে এটিকে কবিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে গদ্য কবিতা একটি বিশেষ ধারার কবিতা; কেননা এটা রূপক ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। অপর কারো মতে গদ্য কবিতা গদ্য। আধুনিকবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টি.এস.এলিয়ট গদ্য কবিতার বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন, যদিও তিনি নিজে দু-একটি চেষ্টাও করেছেন এই ধারায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেছেন — গদ্যকাব্য নিয়ে সন্দিগ্ধ পাঠকের মনে তর্ক চলছে। এতে আশ্চর্যের বিষয় নেই। ছন্দের মধ্যে যে বেগ আছে সেই বেগের অভিঘাত রসগর্ভ বাক্য সহজে হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করে, মনকে দুলিয়ে তোলে, এ কথা স্বীকার করতে হবে। তবে ছন্দটাই যে ঐকান্তিকভাবে কাব্য তা নয়। কাব্যের মূল কথাটা আছে রসে, ছন্দটা এই রসের পরিচয় দেয় তার অনুষঙ্গ হয়ে। সহায়তা করে দুই দিক থেকে। এক হচ্ছে স্বভাবতই তার দোলা দেবার শক্তি আছে, আর-এক হচ্ছে পাঠকের চির অভ্যস্ত সংস্কার। এই সংস্কারের কথাটা ভাববার বিষয়। একদা নিয়মিত অংশে বিভক্ত ছন্দই সাধু কাব্য ভাষায় একমাত্র পাঙ্কতেয় পদ্য ছিল। তখন ছন্দে মিল রাখাও ছিল অপরিহার্য। এমন সময় মধুসূদন বাংলা সাহিত্যে আমাদের সংস্কারের প্রতিকূলে আনলেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। তাতে রইল না মিল। তাতে লাইনের বেড়াগুলি সমানভাবে সাজানো বটে,কিন্তু ছন্দের পদক্ষেপ চলে ক্রমাগত বেড়া ডিঙিয়ে। অর্থাৎ এর ভঙ্গি পদ্যের মতো কিন্তু ব্যবহার চলে গদ্যের চালে। অমিত্রাক্ষর ছন্দের মিলবর্জিত অসমতাকে কেউ কাব্যরীতির বিরোধী বলে কাজ মনে করেন না। অথচ পূর্বতন বিধানকে এই ছন্দ বহুদূর লঙ্ঘন করে গেছে। কাজটা সহজ হয়েছিল, কেননা তখনকার ইংরেজি শেখা পাঠকেরা মিল্টন-শেক্স্পীয়রের ছন্দকে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কী হতে পারে এবং হতে পারে না, তা হওয়ার উপরই নির্ভর করে, লোকের অভ্যাসের উপর করে না, এ কথাটা ছন্দই পূর্বেই প্রমাণ করেছে। আজ গদ্যকাব্যের উপর প্রমাণের ভার পড়েছে যে, গদ্যেও কাব্যের সঞ্চারণ অসাধ্য নয়। এই ধারাবাহিকতায় আমরা গদ্যকবিতানির্ভর সবুজ তাপস (কাব্যগ্রন্থ) পেয়েছি এবং এর মতো আরও আরও কবিতার বই পাবো।

  • মালয়ালম ভাষা

    মালয়ালম বা মলয়ালম (മലയാളം মালায়াল্ড়াঁ‌‌) দক্ষিণ ভারতের একটি দ্রাবিড় ভাষা। ভাষাটি তামিলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত, তবে তামিল ভাষার চেয়ে সংস্কৃত ভাষা মালয়ালম ভাষাকে বেশি প্রভাবিত করেছে। মালয়ালম ভাষার বক্তারা মালয়ালী নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় মালয়ালম ও তামিল ভাষা একই পূর্বসূরী ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং খ্রিস্টীয় ৯ম শতকের দিকে এগুলি আলাদা স্বতন্ত্র ভাষায় পরিণত হয়। তামিল তখনকার দিনে শিক্ষাদীক্ষা ও প্রশাসনের ভাষা ছিল বলে মালয়ালম ভাষাকে প্রভাবিত করেছিল। পরবর্তীতে ধর্মীয় সূত্রে সংস্কৃত ভাষা মালয়ালম ভাষার উপর প্রভাব ফেলে।

    এ পর্যন্ত প্রাপ্ত মালয়ালম ভাষায় লেখা আদিতম রচনাগুলি ৯ম শতকে লেখা। ১১২৫-১২৫০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে মালয়লাম ভাষার প্রথম সাহিত্যিক রচনাগুলি লিখিত হয়। এদের মধ্যে আছে ধ্রুপদী গীতিকবিতা। বিভিন্ন যুগের মালয়ালম গদ্যের উপর অন্যান্য ভাষা যেমন তামিল, সংস্কৃত, হিন্দি, উর্দু, আরবি, ফার্সি, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষার প্রভাব পড়েছে। আধুনিক মালয়ালম সাহিত্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, জীবনী এবং সাহিত্যিক সমালোচনা —সব ক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ।

    দক্ষিণ ভারতের কেরল অঙ্গরাজ্য এবং লক্ষদ্বীপের প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক মালয়ালম ভাষাতে কথা বলেন। মালয়ালম ভারতের ২২টি সরকারী ভাষার একটি।[১] এছাড়াও এটি ইসরায়েল, বাহরাইন, ফিজি, কাতার, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত।

    বর্তমানে কেরলে প্রশাসন ও শিক্ষার ভাষা হিসেবে মালয়ালম ভাষা ধীরে ধীরে গুরুত্ব লাভ করে চলেছে।

    ধ্বনিব্যবস্থা

    অন্যান্য দ্রাবিড় ভাষার মত মালয়ালম ভাষাতেও বেশ কিছু মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি আছে যেগুলি জিহ্বার ডগা উল্টিয়ে মুখের উপরের তালুতে বা মূর্ধায় স্পর্শ করিয়ে উচ্চারণ করতে হয়।

    ব্যাকরণ

    মালয়ালম একটি সংশ্লেষণাত্মক ভাষা। এর ব্যাকরণ তামিলের অনুরূপ।

    শব্দভাণ্ডার

    মালয়ালম ভাষার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং তামিল ভাষার সাথে এর পার্থক্য হল এটি অন্য বিদেশী ভাষা যেমন সংস্কৃত, হিন্দি, উর্দু, আরবি, ফার্সি, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ফরাসি ও ইংরেজি ভাষা থেকে উদারহস্তে শব্দ ঋণ নিয়েছে। এ ভাষার স্ক্রিপ্টে ৫৭৮টি শব্দ রয়েছে। [২]

    লিখন পদ্ধতি

    মালয়ালম একটি সিলেবলভিত্তিক লিপিতে লেখা হয়, যাতে প্রতিটি ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে একটি স্বরবর্ণ অন্তর্নিহিত থাকে। ব্রাহ্মী লিপি থেকে বিবর্তিত হয়ে ১৩শ শতকে লিপিটির উদ্ভব হয়। ১৯৭০-৮০-র দশকে ছাপার সুবিধার্থে লিপিটির একটি সহজ সংস্করণ প্রবর্তন করা হয়। মালয়ালম লিপির অক্ষরগুলির সাথে তামিল লিপির অনেক মিল আছে।

    সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতে মালয়ালম ভাষা আরবি লিপিতে লেখা হয়। অনেক সময় কেরলের মুসলমানেরাও আরবি লিপিতে ভাষাটি লিখে থাকেন। [৩][৪

  • মালতো ভাষা

    মালতো /ˈmæltoʊ/[৪] বা পাহাড়িয়া /pəˈhɑːriə/[৫] পূর্ব ভারতে প্রচলিত উত্তর দ্রাবিড় ভাষা। অঞ্চল ভেদে এই ভাষার লেখ্যরূপ বাংলা লিপি অথবা দেবনাগরি লিপিতে লেখা হয়

    বৈচিত্রতা

    মালতো ভাষার দুটি রূপ প্রচলিত আছে। কুমারভাগ পাহাড়িয়া (দেবনাগরি: कुमारभाग पहाड़िया) এবং সাউরিয়া পাহাড়িয়া (দেবনাগরি: सौरिया पहाड़िया)। অনেক সময় এই ভাষা দুটিকে পৃথক ভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুই ভাষার মধ্যে ৮০% ভাগ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ঝাড়খন্ড, পশ্চিম বঙ্গে এবং উড়িষ্যার অল্প কিছু অংশে কুমারভাগ সাউরিয়া ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের কিছু অংশে এবং বিহার ও পশ্চিমবঙ্গে সাউরিয়া পাহাড়িয়া ভাষার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

    ব্যাকরণ

    লিখন পদ্ধতি

    মালতো জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার খুবই কম। তাই মালতো ভাষাটি ঐতিহ্যগতভাবে লিখিত ভাষা নয়। ১৮৮৪ সালে আর্নেস্ট ড্রোয়েসে দেবনাগরি লিপি ব্যবহার করে প্রথম এই ভাষায় লেখেন। বাংলাভাষী অঞ্চলে মালতো জনগোষ্ঠী বাংলা লিপিতে তাদের ভাষা লিখে থাকেন।

  • ব্রাহুই ভাষা

    ব্রাহুই ভাষা (উর্দু: براہوئی‎‎) উত্তর ভারতের একমাত্র দ্রাবিড় ভাষা। ব্রাহুইভাষী লোকেরা মূলত পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কালাত এলাকায় থাকেন। এছাড়া আফগানিস্তান ও ইরানেও এটি প্রচলিত।

    ইতিহাস

    কোনো কোনো পণ্ডিতের মতে এই ভাষাটি সরাসরি সিন্ধু নদের হরপ্পা সভ্যতার ভাষার রূপান্তরের ফলে সৃষ্ট হয়েছে। তবে মধ্যযুগে ব্রাহুইরা হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করার পর তাদের ভাষার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

    অন্যান্য ভাষার প্রভাব

    বর্তমানে এই ভাষার ওপর জাত ভাষা তামিল, তেলুগু ইত্যাদি দ্রাবিড় ভাষার চেয়ে ব্রাহুইদের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের ভাষা বেলুচিউর্দুর প্রভাব বেশি ৷

    লিখন পদ্ধতি

    আরও দেখুন: দেবনাগরী লিপিনাস্তালিক লিপি

    বর্তমানে দেবনাগরী লিপির পরিবর্তে ব্রাহুই ভাষা আরবিফার্সি নাস্তালিক লিপিতে লেখা হয়