Category: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

Bengali language and literature

  • বাজিগর ভাষা

    বাজিগর উত্তর ভারতে প্রচলিত একটি অশ্রেণীবদ্ধ দ্রাবিড় ভাষা। রাজ্যজুড়ে এই ভাষাভাষী মানুষ ছড়িয়ে থাকলে চন্ডীগড়ের দক্ষিণে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের কাছাকাছি এলাকায় বড় অংশ বসবাস করে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লী, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশ ও কর্ণাটকে বাজিগরভাষী মানুষ পাওয়া যায়।

    সাধারণ তথ্য

    ঐতিহ্যগতভাবে বাজিগর জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার খুবই কম।[৩]

    নামকরণ

    বাজি শব্দটি উর্দু শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ খেলা। উর্দু বাজি শব্দটি শব্দমূল এসেছে ফারসি ভাষা থেকে। ফারসি পরপদ গর অর্থ হচ্ছে যে পারে। বাজিগর শব্দের আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় কসরতবিদ, জাদুকর, ভাঁড় ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় বাজিগর শব্দটি ঈষৎ পরিবর্তিত হয়ে বাজিকর রূপ ধারণ করেছে। বাজিগর জনগোষ্ঠী নিজেদেরকে গোয়ায়ারস বলে দাবি করে। বাজিগর জনগোষ্ঠী ঐতিহ্যগতভাবে জাদুকর, নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কসরতবিদ, সার্কাস ইত্যাদিকে তাদের পেশা হিসেবে গ্রহণ করে। তারা বিয়েসহ বিভিন্ন পার্টিতে অংশগ্রহণ করে।[৩] বাজিগরেরা নট নামেও পরিচিত।

  • থাচানাদান ভাষা

    থাচানাদান একটি অশ্রেণীবদ্ধ দক্ষিণ দ্রাবিড়িয় ভাষা, ভারতের নির্দিষ্ট কিছু উপজাতি কথা বলে। অন্যান্য দ্রাবিড়িয় ভাষার বদলে এর মুল্লু কুরুম্বা ভাষার সাথে মিল পাওয়া যায়। এই দুই ভাষার শব্দে ৬৬-৭২% মিল পাওয়া যায়।

    তথ্যসূত্র

    এথ্‌নোলগেথাচানাদান (১৮তম সংস্করণ, ২০১৫) Nordhoff, Sebastian; Hammarström, Harald; Forkel, Robert; Haspelmath, Martin, eds. (2013). হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। “Thachanadan[২]“। গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। ref stripmarker in |অধ্যায়= at position 12 (সাহায্য)

  • তেলুগু ভাষা

    তেলুগু (তেলুগু ভাষায়: తెలుగు, আ-ধ্ব-ব: [ˈt̪elʊgʊ]) একটি দক্ষিণ-কেন্দ্রীয় দ্রাবিড় ভাষা। এটি মূলত ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলাঙ্গানায় প্রচলিত ও রাজ্য সরকারি ভাষা। এটি সবচেয়ে প্রচলিত দ্রাবিড় ভাষা এবং ভারতে হিন্দি ও বাংলার পর সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষা। [১][২]

  • তুলু ভাষা

    তুলু দ্রাবিড়ীয় ভাষা পরিবারের একটি ভাষা। এই ভাষায় দুই মিলিয়ন মানুষ কথা বলে,[৮] প্রধানত ভারতের কর্ণাটক প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং উত্তর কেরালার তুলু নাড়ু নামে পরিচিত সামান্য কিছু অংশের মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। ২০১১ সালের হিসেবে ভারতের দুই মিলিয়ন লোক তুলু ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করে। ২০০১ সালে এই সংখ্যা ছিলো ১,৭২২,৭৮৬ জন।[৯] ১৯৯১ সালের আদম শুমারির হিসেব অনুযায়ী ১০% বৃদ্ধি পায়।[১০] ২০০৯ সালের তথ্যমতে পৃথিবীতে ৩-৫ মিলিয়ন লোক তুলু ভাষাকে মাতৃভাষা হিসেবে ব্যবহার করে।[১১] তুলু ভাষায় কথা বলা জনগোষ্ঠীকে তুলুভা বা তুলু জনগোষ্ঠী বলা হয়। তুলু ভাষায় অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া বিনির্মানের প্রচেষ্টা চলছে।[১২]

    শ্রেণীবিভাগ

    তুলু দ্রাবিড়ীয় ভাষা পরিবারের দক্ষিণাংশ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।

    উৎপত্তি

    ভাষাবিদদের মতে তুলু, কন্নড়, তামিল এবং মালয়ালম শব্দের উপর ভিত্তি করে তুলু শব্দের অর্থ যা পানির সাথে যুক্ত থাকে। তুলু ভাষায় টুলাভু শব্দের অর্থ জলীয়। তুলু ভাষায় পানি সম্পর্কিত অন্যান্য শব্দাবলি হচ্ছে টালিপু, টেলি, টেলী, তেলপু, টুলিপু, টুলাভু এবং তামেল। কন্নড় ভাষায় তুলুকু এবং টোলে বলে শব্দ আছে। তামিল এবং মালয়ালম ভাষায় তুলি মানে পানির ফোঁটা। ঐতিহ্যগতভাবে তুলু ভাষী জনগোষ্ঠী উপকূলীয় এলাকায় বাস করে। তুলুকে তাই বলা হয় পানির ভাষা।

    উপভাষা

    তুলু ভাষায় চারটি কথ্যরূপ আছে, যা খুবই কাছাকাছি উচ্চারণ রীতি প্রদর্শন করে।

    • সাধারণ তুলু[১৩]
    • ব্রাম্মণ তুলু[১৩]
    • জৈন কথ্যরূপ[১৪]
    • গিরিজান কথ্যরূপ[১৪]

    তথ্যসূত্র

    http://www.ciil-ebooks.net/html/piil/acharya1b.html“সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি”। ২০ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৫। “Language in India”। Language in India। ২০০৩-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২১। “Serving Mangaloreans Around The World!”। Mangalorean.Com। ২০১২-০২-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২১। “Dr Veerendra Heggade in Dubai to Unite Tuluvas for Tulu Sammelan”Daijiworld। Daijiworld Media। আগস্ট ৯, ২০০৯। ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৫। “Indian Multilingualism, Language Policy” (PDF)। ২০০৫-০১-২৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২১। হ্যামারস্ট্রোম, হারাল্ড; ফোরকেল, রবার্ট; হাস্পেলম্যাথ, মার্টিন, সম্পাদকগণ (২০১৭)। “তুলু”গ্লোটোলগ ৩.০ (ইংরেজি ভাষায়)। জেনা, জার্মানি: মানব ইতিহাস বিজ্ঞানের জন্য ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট। Lewis, M. Paul, সম্পাদক (২০০৯), “Tulu”, Ethnologue: Languages of the World (16th সংস্করণ), SIL International, সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১২. “Census of India – Statement 1”। Registrar General & Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৩। “Non-Scheduled Languages”। Central Institute of Indian Languages। ২০০৯-০৮-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১১-১৩। Mannan, Moiz (আগস্ট ৩০, ২০০৯), “Convention to Draw Attention to Tulu Culture”, The Peninsula On-line, The Peninsula, অক্টোবর ১৭, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ জুন ৯, ২০১৫ http://www.thehindu.com/news/national/karnataka/tulu-wikipedia-in-incubation-stage-600-articles-uploaded-says-ub-pavanaja/article6636113.ece?homepage=true“Ethnologue report for language code: tcy”। Ethnologue.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২১।

    1. “Places”। Boloji.com। ২০১০-০৫-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৫-২১।

    কাগজে পড়ুন

    বহিঃসংযোগ

    উইকিমিডিয়া কমন্সে তুলু ভাষা সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
    উইকিমিডিয়া ইনকিউবেটরে উইকিপিডিয়ার তুলু ভাষা পরীক্ষা
    দেদ্রাবিড় ভাষাসমূহ
    দেবিশ্বের প্রধান কিছু ভাষা
    কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ: জাতীয় গ্রন্থাগার জার্মানি জাপান

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • তামিল ভাষা

    তামিল ভাষা (தமிழ் তাম্যিল্ড়্‌) মূলত দক্ষিণ ভারতশ্রীলঙ্কায় প্রচলিত একটি দ্রাবিড় ভাষা। তবে বিশ্বের আরও বহু দেশে তামিলভাষী সম্প্রদায় রয়েছে।

    সব দ্রাবিড় ভাষার মধ্যে তামিল ভাষাই ভৌগলিকভাবে সবচেয়ে বেশি বিস্তৃতি লাভ করেছে এবং এটির সাহিত্যই সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও প্রাচীন। ভারতীয় উপমহাদেশে কেবল সংস্কৃত ভাষারই অনুরূপ ইতিহাস রয়েছে। তামিল ভাষার সাহিত্য ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো এবং এর লিখিত ভাষাটির খুব সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে। সে কারণে আধুনিক তামিল সাহিত্যের পাশাপাশি চিরায়ত তামিল সাহিত্যও সমান তালে পঠিত হয়। তামিল শিশুরা এখনও হাজার বছরের পুরনো ছড়া কেটে তাদের বর্ণমালা শেখে। তামিল ভাষার নিজস্ব ব্যাকরণ সংস্কৃত থেকে আলাদাভাবে রচিত হয়েছিল। এই ভাষায় রচিত প্রাচীনতম রচনাটি খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতকে লেখা।

    ভারতের ছয় কোটির বেশি লোক তামিল ভাষায় কথা বলে। ভাষাটি ভারতের তামিলনাড়ু অঙ্গরাজ্যের সরকারি ভাষা এবং উত্তর ও উত্তর-পূর্ব শ্রীলঙ্কার প্রধান ভাষা। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সময় বহু তামিলভাষী লোককে শ্রমিক হিসেবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সব অঞ্চলে তারা তামিলভাষী সম্প্রদায় গঠন করে। এদের মধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মরিশাসদক্ষিণ আফ্রিকায় বেশ বড় আকারের তামিলভাষী সম্প্রদায় রয়েছে। সমগ্র বিশ্বে প্রায় সাড়ে সাত কোটি লোক তামিল ভাষায় কথা বলে।

    তামিল ভাষার ধ্বনিব্যবস্থা এবং ব্যাকরণের সাথে প্রত্ন-দ্রাবিড় ভাষার অনেক মিল আছে।

  • গোণ্ডি ভাষা

    গোণ্ডি (আ-ধ্ব-ব: Gōndi) একটি দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় দ্রাবিড়ীয় ভাষা, এটি মূলত মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, ছত্তিসগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ তথা উক্ত রাজ্যগুলোর পার্শ্ববর্তী কিছু অঞ্চলের গোণ্ড জাতির প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা।[৪] এটি গোণ্ড জাতির ভাষা হলেও বর্তমানে এক-পঞ্চমাংশ গোণ্ডই এই ভাষা বলতে পারে, যা বিলুপ্তির পথে ঝুঁকিপূর্ণ। গোণ্ডি ভাষার সমৃদ্ধ লোক সাহিত্য রয়েছে, যার উদাহরণস্বরূপ বিয়ের সঙ্গীত ও কাহন উল্লেখ্য।

    বৈশিষ্ট্য

    গোণ্ডি ভাষায় দুটি লিঙ্গ পদ্ধতি প্রচলিত, সাধারণত বিশেষ্যগুলো পুংলিঙ্গ অথবা অ-পুংলিঙ্গ হয়ে থাকে। গোণ্ডি ভাষা প্রাথমিকভাবে স্পর্শ ব্যাঞ্জন (গ্, জ্, , ড্, ব্) ও মহাপ্রাণ ব্যাঞ্জন (ঘ্, ঝ্, ঠ্, ধ্, ভ্) বিকাশের মাধ্যমে আদি-দ্রাবিড় ভাষা থেকে আলাদা হয়ে স্বতন্ত্র ভাষার রূপ ধারণ।

    উপভাষাসমূহ

    গোণ্ডির অধিকাংশ উপভাষা এখনও পর্যাপ্তভাবে নথিভুক্ত তথা বর্ণনা করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ উপভাষাগুলো হলো ডোরলা, কোয়া, মদিয়া, মুরিয়া ও রাজ গোণ্ড। কিছু মৌলিক ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপভাষাগুলোকে পৃথক করে। একটি মূল আচরণের প্রাথমিক “স”, যা উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলীয় উপভাষায় লক্ষ্য করা যায়, যেখানে দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলীয় উপভাষায় তা পরিবর্তিত হয়ে “হ” উচ্চারিত হয়; অন্য কিছু উপভাষায় এটি সম্পূর্ণ লুপ্ত। গোণ্ডি ভাষায় অন্যান্য দ্বান্দ্বিক বৈচিত্র্যে যেমন, প্রাথমিক “র” থেকে প্রাথমিক “ল”-এ রূপান্তর এবং “ই” ও “ও” থেকে “আ”-এ রূপান্তর।

    লেখন পদ্ধতি

    মূল নিবন্ধ: গোণ্ডি লেখন পদ্ধতি

    গোণ্ডির লেখন পদ্ধতি দুভাগে বিভক্ত যথা: সহজাত লিপির ব্যবহার এবং অ-সহজাত লিপির ব্যবহার।

    ঐতিহ্যগতভাবে, কোনও বহুবিস্তৃত সহজাত লিপির অভাবে, গোণ্ডি ভাষা দেবনাগরীতেলুগু লিপিতে লেখা হয়।

    গোণ্ডির জন্য একটি সহজাত লিপি উদ্ভাবনে উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে, মুন্সি মঙ্গল সিং মাসারাম ব্রাহ্মী অক্ষরগুলির উপর ভিত্তি করে এবং ভারতীয় বর্ণমালার অনুরূপ বিন্যাসে একটি সহজাত লিপি তৈরি করেন। [৫] যাইহোক, এই লিপিটি ব্যবহারিক ব্যাপকতা লাভ করেনি, এবং গোণ্ড জাতির অধিকাংশ লোক অশিক্ষিতই থেকে যায়।

    ভারতীয় প্রাচ্য পাণ্ডুলিপি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, মহারাষ্ট্র অনুযায়ী, ঐ লিপিতে ডজন খানিক পাণ্ডুলিপি পাওয়া গেছে। এই লিপি সম্পর্কে গোণ্ডি জাতির মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচার অভিযান ও লিপির উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।

  • কুরুখ

    v

    রুখ /ˈkʊrʊx/[৩] (কুরুক্স এবং ওঁরাও বা উরাও;[৪] নামে পরিচিত) দেবনাগরী: कुड़ुख़) হচ্ছে একটি দ্রাবিড় ভাষা, ওঁরাও এবং কিশান জনগোষ্ঠী এই ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশের উত্তরাংশে, ভারতের উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্য প্রদেশ, ছত্রিশগড়, পশ্চিমবঙ্গে, নেপাল এবং ভুটানে এই ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী আছে। নেপালের ধানগড় নামে এই ভাষার একটি উপভাষা আছে। ব্রাহুই ভাষা এবং পাহাড়িয়া ভাষার সাথে এই ভাষার মিল লক্ষ্য করা যায়।

    শ্রেণীবিন্যাস

    কুরুখ ভাষা দ্রাবিড়ীয় ভাষা গোষ্ঠীরর উত্তর অংশ থেকে এসেছে।[৫] ভাষাটির সাথে সাউরিয়া পাহারিয়া ভাষা এবং কুমারভাগ পাহাড়িয়া ভাষার মিল আছে। সাউরিয়া পাহারিয়া ভাষা এবং কুমারভাগ পাহাড়িয়া ভাষাকে একত্রে মালতো বলা হয়।[৬]

    কুরুখ ভাষা দেবনাগরী লিপিতে লেখা হয়। ডাক্তার নারায়ন ওঁরাও, একজন মেডিকেল ডাক্তার, কুরুখ ভাষার জন্য তোলং সিকি লিপি উদ্ভাবন করেছেন। এই লিপিতে অনেক বই এবং পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। ভারতের কুরুখ সাহিত্য সমিতি কুরুখ সাহিত্যের জন্য তোলং সিকি লিপির প্রসারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

    ভাষাগোষ্ঠী

    ১,৮৩৪,০০০ ওঁরাও এবং ২১৯,০০০ কিশান জনগোষ্ঠী এই ভাষায় কথা বলে। ২৩% ওঁরাও এবং ১৭% কিশান জনগোষ্ঠী শিক্ষিত। বিশাল ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও ভাষাটিকে বিপন্নপ্রায় ভাষার তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।[৭] ঝাড়খন্ড এবং ছত্রিশগড়ের সরকার যেসব স্কুলে কুরুখ ভাষী ছাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ সেখানে কুরুখ ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা রেখেছে।

    অন্য নাম এবং উপভাষা

    কুরুখ ভাষা একাধিক নামে পরিচিত। উরাও, কুরুক্স, কুনরুখ, কুন্না, উরাং, মর্ভা, বিরহোর। ওঁরাও এবং কিশান নামে দুটি উপভাষা আছে। এই দুই উপভাষার আছে ৭৩% ভাগ মিল পাওয়া যায়। ওঁরাও ভাষাটাকে বর্তমানে আদর্শ ধরা হয়।

    ধ্বনিতত্ত্ব

    কুরুখ ভাষায় মুখবিবর ও নাসিক্য স্বরধ্বনি বিদ্যমান।

  • কন্নড় ভাষা

    কন্নড় (কন্নড় ভাষায়: ಕನ್ನಡ কন্নড়) ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার একটি। এটি কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি ভাষা এবং এই রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিন কোটি লোক এই ভাষায় কথা বলেন। এছাড়াও এটি অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ুমহারাষ্ট্রে প্রচলিত। মাতৃভাষী ও দ্বিতীয় ভাষাভাষীর সংখ্যা মিলিয়ে কন্নড়-ভাষীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৩৭ লক্ষ।[১]

    কন্নড়ের আদিতম শিলালিপি ৪৫০ খ্রিষ্টাব্দের, আর এতে সাহিত্য রচনা শুরু হয় ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ। কন্নড়ের প্রাথমিক উন্নতি তামিলতেলুগু ভাষার সাথে তুলনীয়। পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে কন্নড় সংস্কৃত ভাষার শব্দভাণ্ডার ও সাহিত্যিক ধারার প্রভাবাধীন হয়।

    মূল নিবন্ধ: কন্নড় ভাষাভাষী অনুযায়ী ভারতের রাজ্যসমূহ

    কন্নড় ভাষার মৌখিক ও লিখিত রূপের মধ্যে যথেষ্ট বৈসাদৃশ্য আছে। কথ্য কন্নড়ের অনেকগুলি আঞ্চলিক উপভাষা আছে, কিন্তু এর লিখিত রূপ প্রায় সবজায়গাতেই একই রকম। চলিত কন্নড়ের তিনটি উপভাষা সামাজিক শ্রেনীভিত্তিক: ব্রাহ্মণ, অ-ব্রাহ্মণ, এবং অস্পৃশ্য।

  • আল্লার ভাষা

    আল্লার, যা ছটন বা চেতন নামেও পরিচিত, একটি অশ্রেণীবদ্ধ দ্রাবিড়িয় ভাষা।[২] ভারতের হাতে গোনা কিছু মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। ভাষাবিদগণ আল্লার মূল দ্রাবিড়িয় ভাষা নাকি অন্য কোন দ্রাবিড়িয় ভাষার উপভাষা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে নাই।

    ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী

    ভারতের কেরালা, মালাপ্পুরাম জেলা্র পেরিনথালমান্না তাহসিল, মানজেরি তাহসিল, আমিনিকাড়ু ও তাযহেকোড়ে এবং পালাক্কাড় জেলার মান্নারক্কাড় ও অট্টাপ্পালাম তাহসিলে কিছু মানুষ এই ভাষায় কথা বলে। ১৯৯৪ সালের হিসেবে ৩৫০ জন মানুষ এই ভাষায় কথা বলতো। এই ভাষার উপর খুব কম গবেষণা হয়েছে।

  • হায়রাটিক লিপি

    হায়রাটিক লিপি (ইংরেজি: Hieratic)হলো প্রাচীন মিশরের প্রচলিত লিপি হায়ারোগ্লিফিকের বিবর্তিত রূপ। “হায়রাটিক” নামটি গ্রিকদের দেয়া, যার অর্থ ‘পৌরহিতিক’ বা ‘পুরোহিত সম্পর্কিত’। এই লিপিটি হায়ারোগ্লিফিক লিপির সরল সংকলন। হায়রাটিক লিপি উদ্ভবের সঙ্গে মিশরীয় সাহিত্যেরও সফল সূত্রপাত ঘটে।[১]

    ইতিহাস

    খ্রিষ্টপূর্ব ২৭০০ অব্দের দিকে প্রাচীন রাজত্বকালের গোড়ার দিকে হায়রাটিক লিপির উদ্ভব। জানা যায়, প্রারম্ভিক রাজবংশীয় যুগের শেষদিকে মিশরীয়রা প্যাপিরাস প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তা লিখনপত্র হিসেবে ব্যবহারোপযোগী করে তোলে। আর এই প্যাপিরাসে লেখার সুবিধা থেকেই উদ্ভব হয় হায়রাটিক লিপি।[১]

    তথ্যসূত্র

    1. ফরহাদ খান। হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী (প্রিন্ট) (ফেব্রুয়ারি ২০০৫ সংস্করণ)। ঢাকা: দিব্যপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ২৭২। আইএসবিএন 984-483-179-2

    বহিঃসংযোগ

    দেপ্রাচীন মিশর প্রসঙ্গ
    দেলিখন পদ্ধতিসমূহ

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: