Category: কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি

Computer and Information Technology

  • কম্পিউটার

    গণনাযন্ত্র, সংগনক বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।

    কম্পিউটার (Computer) শব্দটি গ্রিককম্পিউট” (compute)শব্দ থেকে এসেছে। Compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (Computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। পশ্চিমবঙ্গে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে। [১] পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines – IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ। এটি ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কম্পিউটার।

    ইতিহাস

    পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটার (এনিয়াক)

    প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস হিসেবে ধরা হয়। প্রাচীন কালে মানুষ একসময় সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গণনা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়।[২] এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গণনা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।

    ১৬১৭ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি অথবা দন্ড ব্যবহার করেন। এসব দন্ড জন নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত। ১৬৪২ সালে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন। ১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তৈরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের পরিমার্জন করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

    উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইঞ্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারণা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি।

    কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে। বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।[৩]

    ল্যাপটপ কম্পিউটারের ছবি

    যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করার পর থেকে বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। তখন থেকে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একই সময় আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো।

    কম্পিউটার সিস্টেম

    সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে। কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ :-[৪]

    1. হার্ডওয়্যার,
    2. সফটওয়্যার,
    3. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,
    4. ডেটা বা ইনফরমেশন

    হার্ডওয়্যার

    কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

    ইনপুট যন্ত্রপাতি

    সিস্টেম ইউনিট

    আউটপুট যন্ত্রপাতি

    সফটওয়্যার

    সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। এই প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।[৫]

    1. সিস্টেম সফটওয়্যার : সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে।[৬]
    2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।[৭]

    হার্ডওয়্যার

    একটি কম্পিউটারের সকল ভৌত অংশ, যেগুলি কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত থাকে, সেগুলিকে হার্ডওয়্যার বলে | এই অংশগুলি ইনপুট নেবার কাজে, ডেটা প্রক্রিয়াকরনের কাজে, আউটপুট দেবার কাজে, ডেটা সংরক্ষন এবং কার্য নিয়ন্ত্রণে কম্পিউটারকে সাহায্য করে থাকে |

    হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী

    ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।

    ডেটা/ইনফরমেশন

    ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে। ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুই রকম –

    (ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমনঃ ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। (খ) অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমনঃ মানুষ, দেশ ইত্যাদির নাম, জীবিকা, জাতি কিংবা ছবি, শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।

    অপারেটিং সিস্টেম

    মূল নিবন্ধ: অপারেটিং সিস্টেম

    অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো –

    প্রয়োগ

    কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যবহার। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার। সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব। চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী। এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।

    ভূগোলে কমপিউটারের ব্যবহার:

    1. জি আই এস এ কম্পিউটার: GIS প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের সাহায্যে মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।

    শিক্ষাক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার:

    মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির মাধ্যমে শ্রেণিতে পাঠদানের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়াও ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এক্সেল ব্যবহৃত হয়।

    কম্পিউটারের প্রকারভেদ

    কম্পিউটারের গঠন ও প্রচলন নীতির ভিত্তিতে একে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।[৮]

    1. অ্যানালগ কম্পিউটার[৯]
    2. ডিজিটাল কম্পিউটার
    3. হাইব্রিড কম্পিউটার

    আকার, সামর্থ্য, দাম ও ব্যবহারের গুরুত্বের ভিত্তিতে ডিজিটাল কম্পিউটারকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    1. মাইক্রোকম্পিউটার
    2. মিনি কম্পিউটার
    3. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
    4. সুপার কম্পিউটার

    মাইক্রো কম্পিউটারগুলোকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।

    1. ডেস্কটপ
    2. ল্যাপটপ

    নিচে কম্পিউটারের পূর্ণাঙ্গ শ্রেণীবিভাগ দেখানো হলো :

    এনালগ কম্পিউটার

    যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

    ডিজিটাল কম্পিউটার

    ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।

    হাইব্রিড কম্পিউটার

    হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

    মেইনফ্রেম কম্পিউটার

    মেইনফ্রেম কম্পিউটার (কথ্য ভাষায় “বড় কম্পিউটার”) গুলি প্রধানত গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যবহার করে, যেমন জনসংখ্যা, শিল্প এবং ভোক্তা পরিসংখ্যান, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স পরিকল্পনা এবং লেনদেন প্রক্রিয়াজাতকরণ।

    মিনি কম্পিউটার

    যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11, ibms/36, ncrs/9290,

    মাইক্রো কম্পিউটার

    মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (Mother Board) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর, সিপিইউ, র‍্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।

    সুপার কম্পিউটার

    নাসার আধুনিক সুপার কম্পিউটার এর ছবি

    অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাণ্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।

    ট্যাবলেট কম্পিউটার

    ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরনের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সংবলিত প্রযুক্তি। এটি এনড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

    সফটওয়্যার

    কম্পিউটার সফটওয়্যার (ইংরেজি: Computer software) বলতে একগুচ্ছ কম্পিউটার প্রোগ্রাম, কর্মপদ্ধতি ও ব্যবহারবিধিকে বোঝায়, যার সাহায্যে কম্পিউটারে কোনো নির্দিষ্ট প্রকারের কাজ সম্পাদন করা যায়। [১]

    বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যারের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারিক সফটওয়্যার, যেমন- অফিস স্যুট অ্যাপলিকেশন, যার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের চিঠিপত্র, বিল, হিসাবপত্র, তথ্য ভান্ডার তৈরি করা যায়।

    আবার কম্পিউটারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার চালানো ও সার্বিকভাবে কম্পিউটার পরিচালনার জন্য এক প্রকারের সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলোকে বলা হয় অপারেটিং সিস্টেম, যেমন গ্নু/লিনাক্স, ম্যাক ওএস, মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ইত্যাদি। এ ধরনের সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সফটওয়্যারের মাঝে সমন্বয় সাধন করে এবং কম্পিউটারের মাধ্যমে সকল প্রকারের কাজ সম্পাদনে সাহায্য করে।

    এছাড়া প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকারের সফটওয়্যার তৈরি করা হয়।

    প্রধান প্রকারভেদ

    সফটওয়্যার প্রধানত ৩ প্রকারঃ-

    ১. সিস্টেম সফটওয়্যার

    ২. প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার

    ৩. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার

    সিস্টেম সফটওয়্যারসম্পাদনা

    সিস্টেম সফটওয়্যার হার্ডওয়্যার চালনা করতে সহায়তা করে, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর জন্য প্লাটফর্ম গঠন করে। সিস্টেম সফটওয়্যারের মধ্যে আছে অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার ড্রাইভার ইত্যাদি

    Man replacing one vacuum tube out of hundreds in early computer
    Computer room with multiple computer cabinets and operating panel
    Smartphone with rainbow-like display held in a hand
    Black desktop computer with monitor on top and keyboard in front
    Purple video game console with attached controller
    Rows of large, dark computer cabinets in warehouse-like room

    বিভিন্ন যুগের কম্পিউটার এবং কম্পিউটিং ডিভাইস – উপরের বাম দিক থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে:
    আর্লি ভ্যাকুয়াম টিউব কম্পিউটার (ENIAC) > ডেস্কটপ কম্পিউটার (IBM ThinkCentre S50 মনিটর সহ)
    সুপার কম্পিউটার (IBM সামিট) ভিডিও গেম কনসোল]] (নিন্টেন্ডো GameCube)
    স্মার্টফোন (LYF জল 2)

  • ওয়েবক্যাম

    ওয়েবক্যাম হলো বিশেষ ধরনের ভিডিও ক্যামেরা যা একটি কম্পিউটারের সাথে ইউএসবির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটে ভিডিও আদান-প্রদান করতে পারে। ১৯৯১ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এ ওয়েবক্যাম আবিষ্কার হয়। একুশ শতক থেকে ল্যাপটপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ল্যাপটপেই ওয়েবক্যাম যুক্ত করা শুরু করেছে।

    0:40

    industrial CT scanning

    A webcam installed near Sumburgh Head lighthouse, (shetland). The cliffs are home to large numbers of seabirds and the area is an RSPB nature reserve.

    প্রযুক্তি

    ওয়েবক্যামে সাধারণত একটি লেন্স (উপরে), ইমেজ সেন্সর (নিচে), এবং সমর্থনকারী সার্কিট।

    ওয়েবক্যামে লেন্স, ইমেজ সেন্সর ও মাইক্রোফোন থাকে। ওয়েবক্যামে সাধারণত চার্জ কাপল্‌ড ডিভাইস বা কপ্লিমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টর সেন্সর ব্যবহার করা হয়, তবে সস্তা হওয়ার কারণে কপ্লিমেন্টারি মেটাল-অক্সাইড-সেমিকন্ডাক্টর অধিক ব্যবহার করা হয়।

    ওয়েবক্যাম বা ওয়েব ক্যামেরা হচ্ছে এক ধরনের ভিডিও ক্যামেরা, যা বাস্তব সময়ের ভিডিও ধারণ করে এবং একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা কোনো মনিটরে প্রদর্শন করে৷ বাস্তব সময়ের ভিডিও চিত্র ধারণের পর তা ব্যবহারকারী নিজে দেখতে পারে অথবা ইমেইল ইত্যাদির মাধ্যমে অন্য কোথাও প্রেরণ করতে পারে৷ আই পি ক্যামেরা(যা সাধারণত ইথারনেট বা ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়), যেভাবে মূল সিস্টেমের সাথে সংযু্ক্ত হয়ে থাকে, ওয়েবক্যাম সেভাবে যুক্ত না হয়ে সাধারণত ইউএসবি ক্যাবলের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে থাকে৷

    বৈশিষ্ট্য

    ওয়েবক্যাম সাধারণত এর কম মূল্য কিন্তু ব্যবহারের ক্ষেত্রে অধিক সুবিধার জন্য সুপরিচিত৷[১] দূর হতে ভিডিও কথোপকথনের ক্ষেত্রে ওয়েবক্যাম যেমন বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে থাকে, তেমনি এর বাণিজ্যিক মূল্যও কম৷[২][৩]

    ব্যবহার

    ওয়েবক্যাম এর সর্বাধিক ব্যবহার হচ্ছে ওয়েব লিঙ্ক তৈরির মাধ্যমে একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসকে অপর একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত করে ভিডিও কথোপকথনের সুবিধা প্রদান৷ এক্ষেত্রে কম্পিউটার বা ডিভাইসটি একটি ভিডিও ফোন অথবা ভিডিও কনফারেন্স স্টেশন হিসাবে কাজ করে৷ এছাড়া ওয়েবক্যাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষন, কম্পিউটার ভিশন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, নিরাপত্তা ক্ষেত্রে, ভিডিও সম্প্রচার এবং সামাজিক ভিডিও রেকর্ড করা ইত্যাদি কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷[৪]

    বিভিন্ন ধরনের কাজে বিভিন্ন রকমের সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবক্যামকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷

    ইতিহাস

    প্রথম উন্নতকরণের কাজ করা হয় ১৯৯১ সালে, ক্যমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে৷[৫] ১৯৯৪ সালে প্রথম সাদা কালো ওয়েবক্যাম বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসে৷ এটি বাজারজাত করে আমেরিকার একটি কোম্পানি কানেকটিক্স৷ ১৯৯৪ সালের আগস্ট মাসে প্রথম অ্যাপল ম্যাকিনটোশ এর কুইকক্যাম বাজারে আসে৷ এ ওয়েবক্যামগুলোর দাম ছিলো ১০০ ডলার করে৷ ১৯৯৫ সালের অক্টোবরে পার্সোন্যাল কম্পিউটার এ ওয়েবক্যাম ব্যবহারের জন্য মাইক্রোসফট উইন্ডোজ সিরিয়াল পোর্ট ও সফ্টওয়্যার বাজারে নিয়ে আসে৷

    বৈশিষ্টসূচক কম খরচে ওয়েবক্যাম যা ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সাথে ব্যবহৃত করা হয়।

  • ওঅথ

    ওঅথ হল প্রবেশ প্রতিনিধিদের জন্য একটি বিশেষ মুক্ত আদর্শ,যে পদ্ধতিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কোন পাসওয়ার্ড দেয়া ছাড়াই অন্য ওয়েবসাইটকে তাদের ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপ্লিকেশনের তথ্যাদিতে প্রবেশাধিকার দেন।[১] তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন অথবা ওয়েবসাইটকে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে গুগল,অ্যামাজন[২], ফেসবুক, মাইক্রোসফট এবং টুইটারের মতো কোম্পানিরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের অনুমতি প্রদান করেন।

    সাধারণত রিসোর্স মালিকের পক্ষ থেকে ওঅথ তার গ্রাহকদের রিসোর্সে সুরক্ষিত প্রবেশাধিকার পরিষেবা প্রদান করে।

    এটি রিসোর্স মালিকদের পরিচয় দলিলাদি প্রকাশ না করেই তাদের সার্ভারের রিসোর্সগুলোতে তৃতীয় পক্ষের প্রবেশাধিকার অনুমোদন করার একটি প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে থাকে। রিসোর্স মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে ওঅথ সার্ভারের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের গ্রাহকদের প্রবেশাধিকার টোকেন প্রদান করেন, যা বিশেষভাবে হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল এর সাথে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রিসোর্স সার্ভারে অবস্থিত এসব সুরক্ষিত রিসোর্স ব্যবহার করতে তৃতীয় পক্ষ এই প্রবেশাধিকার টোকেন ব্যবহার করে। [৩]

    ওঅথ, ওপেন আইডি থেকে পৃথক এবং সম্পূরক একটি পরিষেবা। ওঅথ মুক্ত প্রমাণীকরণ থেকেও স্বতন্ত্র, যা প্রমাণীকরণ এর জন্য সূত্রক স্থাপত্য, আদর্শ নয়। তবে ওঅথ সরাসরি ওপেন আইডি সংযোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কেননা ওঅথ ২.০ এর উপর ভিত্তি করেই এটি নির্মিত। ওঅথ প্রমাণীকরণ নীতি আদর্শাবলী, এক্সএসিএমএল হতেও স্বতন্ত্র। ওঅথ এক্সএসিএমএলের সঙ্গে সংযুক্ত যেতে পারে, যেখানে ওঅথ মালিকানা অনুমোদন এবং প্রবেশাধিকার প্রতিনিধিদের জন্য ব্যবহার করা হবে এবং এক্সএসিএমএল অনুমোদন নীতিটি সংজ্ঞায়িত করতে ব্যবহৃত হবে।

    ইতিহাস

    ওঅথ ২০০৬ সালের নভেম্বরে চালু হয়, যখন ব্লেন কুক টুইটারে ওপেন আইডি এর প্রয়োগ করেন। ইতিমধ্যে Ma.gnolia তার সদস্যদের সেবার প্রবেশাধিকারের জন্য ওপেন আইডি দ্বারা প্রমাণীকরণ এর প্রয়োজন হয়। ম্যাগনোলিয়া হতে কুক, ক্রিস মেসিনা এবং ল্যারি হ্যাফ ডেভিড রেকর্দন এর সঙ্গে টুইটার এবং ম্যাগনোলিয়া এপিআই দ্বারা প্রবেশাধিকারের ব্যাপারে আলোচনা করতে সাক্ষাৎ করেন। তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে এপিআই এর জন্য কোন মুক্ত আদর্শ নেই, যা দ্বারা এমন প্রবেশাধিকার প্রদান সম্ভব। [৪].

    একটি মুক্ত প্রটোকল লেখার খসড়া প্রদানকারীদের একটি ছোট গ্রুপ নিয়ে ২০০৭ সালের এপ্রিলে ওঅথ আলোচনা গ্রুপ সৃষ্টি হয়। গুগলের ডেউইট ক্লিনটন ওঅথ প্রকল্প সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। ২০০৭ সালের জুলাইয়ে দলটি একটি প্রাথমিক সংজ্ঞায়নের খসড়া তৈরি করে। এরান হ্যামার এতে যোগদান করেন এবং আরো আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে অবদান রাখেন। চৌঠা ডিসেম্বর ২০০৭ সালে ওঅথ কোর ১.০ এর সর্বশেষ খসড়া প্রকাশিত হয়। [৫]

    ২০০৮ সালের নভেম্বরে মিনিয়াপলিসে ৭৭তম ইন্টারনেট প্রকৌশল টাস্ক ফোর্স (আইইএইটিএফ) সভায় প্রটোকলটি আদর্শীকরণের জন্য আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জনসমাগম ছিল এবং আইইএটিএফে ওঅথে অংশগ্রহণকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মচাঞ্চল্য তৈরী করা হয়।

    OAuth 1.0 প্রোটোকলটি RFC 5849, একটি তথ্যসূচক মন্তব্যের জন্য অনুরোধ, হিসাবে এপ্রিল ২০১০ এ প্রকাশিত হয়েছিল।

    ৩১ আগস্ট ২০১০ সাল থেকে, তৃতীয় পক্ষের টুইটার অ্যাপ্লিকেশনগুলি ওঅথ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।[৬]

    OAuth 2.0 ফ্রেমওয়ার্কটি RFC 6749 হিসেবে প্রকাশিত হয়, এবং বহনকারী টোকেন ব্যবহার RFC 6750 হিসেবে ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়। উভয়ই ছিল মন্তব্যের জন্য অনুরোধ

    ওঅথ ২.০

    ওঅথ ২.০, ওঅথ ১.০ এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ওঅথ ২.০ ওয়েব এপ্লিকেশন, ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ফোন এবং স্মার্ট যন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে প্রমাণীকরণ ধারা প্রদান করে। এই সংজ্ঞায়ন এবং সংশ্লিষ্ট আরএফসিগুলো IETF OAuth দ্বারা উন্নয়নকৃত [৭] মূল ফ্রেমওয়ার্কটি অক্টোবর ২০১২ তে প্রকাশিত হয়।ফেসবুকের গ্রাফ এপিআই শুধুমাত্র OAuth 2.0 সমর্থন করে।[৮] গুগল তার সকল এপিআইয়ের কার্যনীতির প্রমাণীকরণের জন্য OAuth 2.0 কে সুপারিশ করে।[৯] মাইক্রোসফটও [১০] তার বিভিন্ন এপিআই এবং অ্যাজুর অ্যাক্টিভ ডিরেক্টরি পরিষেবার সকল প্রকারের প্রমাণীকরণ এর জন্য OAuth 2.0 সমর্থন করে। ওঅথ ২.০ ফ্রেমওয়ার্কটি [১১] এবং বাহক টোকেন ব্যবহার[১২] ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।

    নিরাপত্তা

    ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল ওঅথ ১.০ প্রটোকলে নিরাপত্তা ত্রুটি সারানোর একটি সেশন ঘোষণা করা হয়েছিল,যা ওঅথ কোর ১.০ পরিচ্ছেদ ৬ প্রমাণীকরণ ধারাকে কে প্রভাবিত করেছিল। [১৩] এই ত্রুটিটি শনাক্তকরণের জন্য ওঅথ কোর প্রটোকলের Version 1.0a বের করা হয়েছিল। [১৪]

    OAuth 2.0 কোন প্রকারের স্বাক্ষর গুপ্তকরণ, মাধ্যম সীমাবদ্ধকরণ অথবা গ্রাহক যাচাইকরণ সমর্থন করে না। এটি সম্পূর্ণভাবে কয়েক মাত্রার টিএলএস এবং সার্ভার প্রমাণীকরণের উপর নির্ভর করে।[১৫][১৬]

    OAuth 2.0 এর প্রয়োগের পর অসংখ্য নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া যায়।[১৭] নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই প্রটোকলকে অনিরাপদ বলে আখ্যায়িত করেন এবং এর সংজ্ঞায়নের প্রধান অবদানকারী বলেন, যে প্রায়োগিক ত্রুটিগুলো প্রায় অনিবার্য।[১৮][১৯]

    জানুয়ারী ২০১৩ এ ইন্টারনেট ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্কফোর্স ওঅথ ২.০ এর জন্য হুমকিস্বরূপ এমন অনেকগুলো মডেল প্রকাশ করেন।[২০] তাদের মধ্যে একটিকে বলা হয় মুক্ত পুননির্দেশ; ২০১৪ এর শেষের দিকে এটি কোভার্ট পুনর্নির্দেশক নামে ইয়ান ঝিং বর্ণনা করেন। [২১][২২][২৩][২৪]

    সম্ভবত ওঅথের সবচেয়ে ভয়াবহ নিরাপত্তা ত্রুটি হল ফিশিং দুর্বলতা :[২৫] বাহ্যিকভাবে ওঅথের মত দেখতে কোন আক্রমণকারীর ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড প্রবেশ এর মাধ্যমে পরিচয়পত্র চুরির দরজা খুলে দেয়া। প্রচলিত two-factor authentication (এককালীন পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে) এটি প্রতিরোধ করতে পারে না, কেননা ফিশিং সাইট গুলো তাও চুরি করতে পারে। তবে তৎক্ষণাৎ টোকেন গুলো ব্যবহারের মাধ্যমে (দেখুন বিশ্বজনীন সেকেন্ড ফ্যাক্টর) এ থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে।

    ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ১ মিলিয়ন জিমেইল ব্যবহারকারী এই আক্রমণের শিকার হন, যেখানে তাদেরকে সহকর্মী, বন্ধু কিংবা কোন আত্মীয় একটি গুগল ডকুমেন্ট শেয়ার করতে চাইছে এই মর্মে একটি ইমেইল পাঠানো হতো। [২৬] তাদের মধ্যে যারা ইমেইল টি তে থাকা লিংকটিতে ক্লিক করেছে এবং তৃতীয় পক্ষের ক্ষতিকর প্রোগ্রামকে গুগল অ্যাপস এ প্রবেশাধিকার দিয়েছে তাদের পরিচয় পত্র চুরি হয়ে গিয়েছিল। [২৬] প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে [২৬] গুগল কর্তৃপক্ষ এই ফিশিং আক্রমণ বন্ধ করতে পেরেছিল এবং যারা প্রবেশাধিকার দিয়েছিল তাদেরকে প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল।

    ব্যবহার

    সুরক্ষিত আরএসএস /অ্যাটমকে ধারণ করার জন্য প্রমাণীকরণের লক্ষ্যে ওঅথ ব্যবহৃত হতে পারে। আরএসএস/এটম ফিডের প্রমাণীকরণ ব্যবহার সবসময় একটি সমস্যা হিসেবে পরিগণিত। উদাহরণস্বরূপ, গুগল সাইটের একটি আরএসএস ফিড গুগল রিডার দ্বারা ব্যবহারযোগ্য ছিল না। এর পরিবর্তে গুগল সাইট থেকে আরএসএস গ্রাহক যাচাইকরণের জন্য তিন স্তরবিশিষ্ট ওঅথ ব্যবহৃত হতো। এটি কোন সাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি ছাড়াই লগইন করার পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেখানে ওঅথ সিস্টেমের সকল সুবিধা পাওয়া যাবে।

    ওঅথ এবং অন্যান্য আদর্শ

    ওপেন আইডি বনাম ওঅথ ব্যবহার করে ছদ্ম-প্রমাণীকরণ

    ওঅথ প্রমাণীকরণ প্রটোকল নয় বরং একটি অনুমোদন প্রটোকল। ওঅথ স্বয়ং ব্যবহারের পদ্ধতিকে ছদ্ম প্রমাণীকরণ বলা যেতে পারে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নিম্নোক্ত ডায়াগ্রাম গুলো অপেন আইডি( প্রমাণীকরণ প্রটোকল হিসেবে বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত) এবং প্রমাণীকরণের জন্য ওঅথের মধ্যকার পার্থক্য সম্পর্কে আলোকপাত করে।

    উভয় পদ্ধতিতে যোগাযোগ প্রবাহটি একই :

    1. (চিত্রে নেই) অ্যাপ্লিকেশন থেকে ব্যবহারকারী কোন রিসোর্স কিংবা লগইনের জন্য অনুরোধ করেন।
    2. সাইটটি দেখে যে ব্যবহারকারী প্রমাণীকৃত নয়। এর ফলে এটি পরিচয় প্রদানকারীর(ওপেন আইডি কিংবা ওঅথ) জন্য একটি অনুরোধ প্রস্তুত করে, একে সাংকেতিকীকরণ করে এবং পুনর্নির্দেশক ইউআরএলের অংশ হিসেবে ব্যবহারকারীকে পাঠায়।
    3. ব্যবহারকারীর ব্রাউজারটি অ্যাপ্লিকেশনের অনুরোধসহ পরিচয় প্রদানকারীর কাছে পুননির্দেশক ইউআরএল অনুরোধ করে।
    4. যদি প্রয়োজন হয়, পরিচয় প্রদানকারী ব্যবহারকারীকে যাচাই করে (হতে পারে ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড প্রদান সাপেক্ষে)
    5. যখন পরিচয় প্রদানকারী ব্যবহারকারীর প্রমাণিকরণের যথেষ্ট পরিমাণে তথ্য পায়,তখন এটি অ্যাপ্লিকেশনের অনুরোধকে প্রক্রিয়াকরণ করে এবং একটি প্রত্যুত্তর প্রস্তুত করে এবং ব্যবহারকারীকে পুননির্দেশক ইউআরএল দ্বারা অ্যাপ্লিকেশন এ পাঠায়।
    6. ব্যবহারকারীর ব্রাউজার অ্যাপ্লিকেশনের ফিরে যাওয়া পুননির্দেশক ইউআরএল কে অনুরোধ করে (যেখানে পরিচয় প্রদানকারীর প্রত্যুত্তরটিও সংযুক্ত থাকে)
    7. অ্যাপ্লিকেশন টি পরিচয় প্রদানকারীর প্রত্যুত্তরকে সাংকেতিকীকরণ হতে উদ্ধার করে।
    8. (শুধুমাত্র ওঅথ) প্রত্যুত্তরে একটি প্রবেশাধিকার টোকেন থাকে যা দ্বারা অ্যাপ্লিকেশনটি, ব্যবহারকারীর পক্ষে, পরিচয় প্রদানকারীর পরিষেবাসমূহে সরাসরিভাবে প্রবেশাধিকার লাভ করেন।

    এদের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল যে ওপেন আইডি প্রমাণীকরণ এর ক্ষেত্রে পরিচয় প্রদানকারীর প্রত্যুত্তর হলো ব্যবহারকারী সংক্রান্ত তথ্যাবলী; যেখানে ওঅথ অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিচয় প্রদানকারী একটি এপিআই প্রদানকারীও বটে এবং পরিচয় বহনকারী কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রত্যুত্তরটি একটি প্রবেশাধিকার টোকেন, যা দ্বারা অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্যাদিতে প্রবেশাধিকার লাভ করে। এক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার টোকেনটিকে একটি “ভৃত্য চাবির” ন্যায় কাজ করে, যা সংশ্লিষ্ট এপিআইগুলোতে প্রবেশাধিকার জন্য ব্যবহারকারীর অনুমোদন রয়েছে– তা প্রমাণ করতে অ্যাপ্লিকেশনটি তার প্রতিটি অনুরোধের সঙ্গে যুক্ত করে।

    পরিচয় প্রদানকারী সাধারণত (কিন্তু সবসময় নয়) ব্যবহারকারীকে ওঅথ প্রবেশাধিকার টোকেন প্রদানের অংশ হিসেবে যাচাই করায়, একটি সফল ওঅথ প্রবেশাধিকার টোকেন পাওয়াকে প্রমাণীকরণের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। তবে, ওঅথ যেহেতু এই বিষয়গুলোর জন্য ডিজাইন করা হয়নি, ফলে, এর উপর ভিত্তি করলে ব্যাপক নিরাপত্তা ত্রুটি দেখা যেতে পারে [২৭]

    ওপেন আইডি বনাম ওঅথ ব্যবহার করে ছদ্ম-প্রমাণীকরণ

    ওঅথ এবং এক্সএসিএমএল

    এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই অনুচ্ছেদটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: “ওঅথ” – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর(April 2019)

    এক্সএসিএমএল একটি নীতি-ভিত্তিক,বৈশিষ্ট্যভিত্তিক প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ অনুমোদন কাঠামো। এটি প্রদান করে:

    • একটি প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ স্থাপত্য
    • একটি নীতিমূলক ভাষা যার সাহায্যে ওঅথ দ্বারা সংজ্ঞায়িত সম্মতিসমূহ ব্যবহারকারী নীতিমালাসহ বৃহৎ পরিসরে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রকাশ করা যায়
    • অনুমোদন অনুরোধ পাঠানো এবং গ্রহণ করার জন্য একটি অনুরোধ/প্রত্যুত্তর স্কিম

    অধিক দক্ষ অনুমোদন সিস্টেম সংগঠনের জন্য এক্সএসিএমএল এবং ওঅথ কে সংযুক্ত করা যেতে পারে। ওঅথ কোন নীতিমালা ভাষা প্রদান করে না, যার সাহায্যে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে। এর নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এক্সএসিএমএল ব্যবহার করা যেতে পারে।

    যেখানে ওঅথ মূলত প্রতিনিধিত্বমূলক প্রবেশাধিকার (আমি, এর ব্যবহারকারী, টুইটারকে আমার ফেসবুক ওয়ালের প্রবেশাধিকারের অনুমতি প্রদান করছি) এবং পরিচয় কেন্দ্রিক অনুমোদনের উপর জোর প্রদান করে, সেখানে এক্সএসিএমএল বৈশিষ্ট্য ভিত্তিক পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা ব্যবহারকারীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, তার রিসোর্স এবং পরিস্থিতিকে (কে, কাকে , কখন, কোথায়, কিভাবে) বিবেচনা করে। এক্সএসিএমএল দ্বারা নিম্নোক্ত নীতিমালাসমূহ সংজ্ঞায়িত করা যায়:

    • ব্যবস্থাপকগণ তাদের ডিপার্টমেন্টে দলিলাদি দেখতে পারেন
    • ব্যবস্থাপকগণ তাদের আয়ত্তকৃত দলিলাদিসমূহ খসড়া পর্যায়ে সম্পাদনা করতে পারেন

    এক্সএসিএমএল ওঅথের চেয়েও ভালো প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ প্রদান করতে পারে। এর ফলে প্রায়ই ওঅথ এবং এক্সএসিএমএলকে একত্র করা হয় যেখানে ওঅথ প্রতিনিধিত্বমূলক প্রবেশাধিকার এবং সম্মতি ব্যবস্থাপনার কাজ করে অন্যদিকে এক্সএসিএমএল অনুমোদন নীতিমালা প্রণয়ন করে, যা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়াকরণ এবং উপাত্তের উপর কাজ করবে। সবশেষে,এক্সএসিএমএল একাধিক স্তরে (এপিআই, ওয়েব এককদফায় প্রবেশ, ESBs, গৃহনির্মিত এপ্লিকেশন, ডেটাবেজ…) কাজ করতে পারে। ওঅথ বিশেষভাবে এইচটিটিপি ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সমূহের উপর জোর প্রদান করে।

    বিতর্ক

    জুলাই ২০১২ সালে এরান হেমার তার ওঅথ ২.০ প্রকল্পের প্রধান কর্তৃপক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করেন, আইইটিএফে কর্মরত গ্রুপ থেকে অবসর নেন এবং সংজ্ঞায়ন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করেন। আইইটিএফকে একটি “বাণিজ্যিক ক্ষেত্র” হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি ওয়েব এবং বাণিজ্যের সংস্কৃতির মধ্যকার দ্বন্দ্ব কে উত্থাপন করেন। অনুমোদন প্রটোকল হিসেবে বর্তমানে যাকে নকশা হিসেবে মনে করা হয়, তিনি বলেন যে এটি মূলত একটি “বাণিজ্যিক পদ্ধতি যাতে পরামর্শ সেবা এবং সাংগঠনিক সমাধান বিক্রয় করা হয়”। [২৮] ওঅথ ২.০ কে ১.০ এর সঙ্গে তুলনা করার সময় হ্যামার উল্লেখ করেন যে, এটি “জটিলতর, কম ব্যবহার্য, তুলনামূলক আরো অসম্পূর্ণ এবং অনিরাপদ” হয়ে উঠেছে। তিনি ব্যাখ্যা করেন কিভাবে প্রটোকল পর্যায়ের সকল প্রকারের স্বাক্ষর এবং গুপ্তিবিদ্যা অপসারণের মাধ্যমে গ্রাহকের টোকেন অসীম করা হয়েছে এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াটি জটিল করে মেয়াদোত্তীর্ণ টোকেন যুক্ত করা হয়েছে (কেননা টোকেন গুলো রুদ্ধ করা সম্ভব নয়)। সংজ্ঞায়নে অসংখ্য উপাদান অসংজ্ঞায়িত অথবা অসীম রাখা হয়েছে, কারণ এই কর্মরত গ্রুপের বৈশিষ্ট্য হল কোন ত্রুটি আটকানোর জন্য ছোট হও অথবা একে প্রয়োগের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের জন্য রেখে দাও[২৮]

    হ্যামার পরবর্তীতে তার পর্যবেক্ষণকে বিস্তৃত করে ইয়েটে উপস্থাপন করেন।[২৯]

    পরবর্তীতে ডেভিড রেকর্ডনও অজানা কারণে সংজ্ঞায়ন থেকে নিজের নাম অপসারণ করেন। ডিক হার্ডট সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে নেন এবং ফ্রেমওয়ার্ক টি ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।[১১]

  • এনকোডার

    এনকোডার(ইংরেজি: Encoder) হচ্ছে একটি রূপান্তরকরণ লজিক সার্কিট যা মানুষের ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য অর্থাৎ যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে। [১]

    মানুষের ভাষাএনকোডারকম্পিউটারের বোধগম্য ভাষা

    একটি এনকোডারে সর্বোচ্চ 2n সংখ্যক ইনপুট এবং n সংখ্যক আউটপুট থাকে।

    গঠন

    এনকোডারে অনেকগুলো ইনপুট থাকে যার মধ্যে একটি ইনপুট সচল থাকে অর্থাৎ যেকোনো মুহূর্তে একটিমাত্র ইনপুট 1 ও বাকি সব ইনপুট 0 থাকে।

    ব্যবহারের ক্ষেত্র

    এনকোডারের সার্কিটসমূহ সাধারণত বিভিন্ন বৈদ্যুতিক ইনপুট ডিভাইস যেমন— কী-বোর্ড, মাউস, মোবাইলফোন ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।

    এনকোডারের সার্কিটসমূহ যেভাবে কাজ করে

    • আলফানিউমেরিক কোডকে ASCII ও EBCDIC কোডে রূপান্তর করে।
    • দশমিক(Decimal) সংখ্যাকে বিভিন্ন কোডে রূপান্তর করে।
    • দশমিক(Decimal) সংখ্যাকে সমতুল্য বাইনারি(Binary) সংখ্যায় রূপান্তর করে।
    • সাধারণ ভাষার বর্ণকে জটিল অর্থাৎ কোড ভাষার বর্ণতে রূপান্তর করে।

    এনকোডারের ধরন

    2 n {\displaystyle 2^{n}}-টু-n এনকোডার

    2 n {\displaystyle 2^{n}}-টু-n এনকোডারে 2 n {\displaystyle 2^{n}} সংখ্যক ইনপুট ও n সংখ্যক আউটপুট থাকে। 2 n {\displaystyle 2^{n}}-টু-n এনকোডারের উপর ভিত্তি করে নিম্নের এনকোডারসমূহ তৈরি করা হয়।

    4-টু-2 এনকোডার

    A simple 4:2 Encoder using OR gate.

    OR gate ব্যবহৃত একটি সাধারণ 4:2 এনকোডার।

    8-টু-3 এনকোডার

    The image represent a 8:3 encoder.
    ইনপুটআউটপুট
    a[7]a[6]a[5]a[4]a[3]a[2]a[1]a[0]d[2]d[1]d[0]
    00000000XXX
    00000001000
    00000010001
    00000100010
    00001000011
    00010000100
    00100000101
    01000000110
    10000000111
  • উদীয়মান প্রযুক্তি

    উদীয়মান প্রযুক্তি হল সেসব প্রযুক্তি যেগুলো বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনে সক্ষম বলে বিবেচ্য। এই প্রযুক্তিগুলো সাধারণত নতুন হলেও কিছু পুরোন প্রযুক্তি যেগুলো সম্পর্কে দ্বিমত আছে বা তুলনামূলকভাবে অনুন্নত, সেসব প্রযুক্তিও উদীয়মান প্রযুক্তির অন্তর্গত। উদাহরণস্বরূপঃ ৩ডি প্রিন্টিং ও জিন থেরাপি উদীয়মান প্রযুক্তি হলেও এদের উতপত্তি যথাক্রমে ১৯৮১ ও ১৯৯০ সালে।

    উদীয়মান প্রযুক্তি তুলনামূলক ভিত্তিগত নতুনত্ব, দ্রুত বৃদ্ধি ও প্রসারমান, যুক্তিসম্পন্ন, দৃশ্যমান প্রভাব বিস্তারকারী, অনিশ্চিত ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। [১]

    বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি উদীয়মান প্রযুক্তির অন্তর্গত। যেমনঃ শিক্ষা প্রযুক্তি, তথ্য প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, সংজ্ঞানাত্মক বিজ্ঞান, মনস্তত্ব প্রযুক্তি, রোবটিক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা[২]

    ইতিহাস

    বিভিন্ন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সমসাময়িক অগ্রগতি ও উদ্ভাবনকে উদীয়মান প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বহু শতাব্দি ধরে এসব অগ্রগতি ও উদ্ভাবন সাধারণত তাত্ত্বিক গবেষণা এবং বাণিজ্যিক গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য হয়ে আসছে। [৩][৪]

    ক্রমবর্দ্ধমান উন্নয়ন এবং সংহতিনাশক প্রযুক্তিও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত। বিপরীতভাবে, সংহতিনাশক প্রযুক্তি বলতে বোঝায় একটি নতুন পদ্ধতি পূর্ববর্তী প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করে। উদাহরণ ঃ অটোমোবাইল দ্বারা ঘোড়ায় টানা রথ প্রতিস্থাপন।

    উদীয়মান প্রযুক্তি বিতর্ক

    কম্পিউটার বিজ্ঞানী বিল জয় সহ আরো অনেক লেখক প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্লাস্টারকে মানবতার ভবিষ্যতের জন্য সমালোচনামূলক হিসেবে চিনহিত করেছেন। জয় সাবধান করেছেন যে, প্রযুক্তি অভিজাতদের দ্বারা ভালো বা মন্দ- উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে পারে। [৫]

    উদাহরণ

    উদীয়মান প্রযুক্তি
    NASA জ্বালানী সেল ষ্ট্যাক
    Direct-methanol cell. ্সলিড স্টেট এয়ার ব্যাটারী
    Li-Air composition
    3D IC components (থ্রিডি আইসি উপাদান.
    Master and the slave boards.[৬] RFID Transciever (রেডিও ফ্রিকুইয়েন্সি সনাক্তকরণ ট্রান্সিভার)s.
    Activates passive RFID chip.
    DARPA Power armatura(পাওয়ার আরমাটুরা)
    Electromechanical exoskeleton Agri-robot farming (কৃষি রোবট).
    Cultivation ‘bots and husbandry.
    Atmo-vortex engine (আমটো-ভরটেক্স ইঞ্জিন)s.[৭]
    Vortex generators Electromagnetic weapon । ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক অস্ত্র.
    Hydrogen rf plasma discharger
  • উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প প্রযুক্তি

    লক্ষ্য

    বাংলা উইকিপিডিয়ায় প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য সমৃদ্ধ করা এই প্রকল্পের লক্ষ্য।

    সুযোগ

    এর অন্তর্গত সব নিবন্ধ এই প্রকল্পের আওতাধীন হতে পারে।

    টেমপ্লেট

    এইরকম টাইপ করলেএইরকম প্রদর্শিত হবেএটি যে কারণে
    {{ব্যবহারকারী উইকিপ্রকল্প প্রযুক্তি}}
    এই ব্যবহারকারী
    উইকিপ্রকল্প প্রযুক্তি এর একজন সদস্য।
    This can be placed on your user page to show that you are a part of this Wikiproject.

    প্রকল্পের সংগঠন

    সদস্য

    এখানে আপনার নাম যোগ করুন।

    সারণি

    নিচের সারণিতে উইকিপিডিয়ার জন্য আবশ্যকীয় প্রযুক্তি বিষয়ক নিবন্ধ তালিকাবদ্ধ করা হল। লাল সংযোগ বোঝায় নিবন্ধটি এখনও শুরু করা হয়নি।

    প্রযুক্তি উইকিপ্রকল্প
    বাংলা নিবন্ধইংরেজি নিবন্ধগুরুত্বযাচাইকৃত অবস্থামন্তব্য
    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (১২ কেবি)Information and communication technologyসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    উন্নয়নের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (২ কেবি)Information and communication technologies for developmentসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (০ কেবি)Information and communication technologies in educationসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    কৃষিক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (০ কেবি)ICT in agricultureসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    উপযুক্ত প্রযুক্তি (০ কেবি)Appropriate technologyসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    প্রযুক্তি স্থানান্তর (০ কেবি)Technology transferসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    মোবাইল কমার্স (১০ কেবি)Mobile commerceসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    মোবাইল হেলথ (০ কেবি)mHealthসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    মুক্ত সফটওয়্যার (১০ কেবি)Free and Open Source Softwareসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    ই-বাণিজ্য (১৬ কেবি)e-commerceসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    উদীয়মান প্রযুক্তি (৮ কেবি)Emerging technologiesসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    ইলেক্ট্রনিক তহবিল স্থানান্তর (৯ কেবি)Electronic Fund Transferসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ
    উপাত্ত খনন (৮ কেবি)Data Miningসর্বোচ্চঅসম্পূর্ণ

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • ইলেকট্রন বিজ্ঞান

    ইলেকট্রন বিজ্ঞান ফলিত পদার্থবিজ্ঞানতড়িৎ প্রকৌশলের একটি আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যেখানে বায়ুশূন্য নল (ভ্যাকিউম টিউব), গ্যাস অথবা অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশের মধ্য দিয়ে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত বহনকারী ইলেক্ট্রনের নিঃসরণ, প্রবাহ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক আচরণ ও প্রক্রিয়া আলোচিত হয়। ১৯০৪ সালে জন অ্যামব্রোস ফ্লেমিং দুইটি তড়িৎ ধারক বৈশিষ্ট সম্পূর্ণ বদ্ধ বায়ুশূন্য কাচের নল (vacuum tube) উদ্ভাবন করেন ও তার মধ্য দিয়ে একমুখী তড়িৎ পাঠাতে সক্ষম হন। তাই সেই সময় থেকে ইলেকট্রন বিজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে বলা যায়।[১] ইংরেজি পরিভাষাতে একে ইলেকট্রনিক্স (ইংরেজি Electronics ইলেকট্রনিক্‌স্‌) বলা হয়।

    ইলেকট্রন বিজ্ঞান ক্ষেত্রে প্রধানত ইলেকট্রনীয় বর্তনীর নকশা প্রণয়ন এবং পরীক্ষণ করা হয়। ইলেকট্রনীয় বর্তনী সাধারণত রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড প্রভৃতি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য তৈরি করা হয়। বেতার যন্ত্রের টিউনার যেটি শুধুমাত্র আকাংক্ষিত বেতার স্টেশন ছাড়া অন্যগুলোকে বাতিল করতে সাহায্য করে, সেটি ইলেকট্রনীয় বর্তনীর একটি উদাহরণ। পাশে আরেকটি উদাহরণের (নিউমেটিক সংকেত কন্ডিশনারের ) ছবি দেওয়া হলো।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে ইলেকট্রন বিজ্ঞান রেডিও প্রকৌশল বা বেতার প্রকৌশল নামে পরিচিত ছিল। তখন এর কাজের পরিধি রাডার, বাণিজ্যিক বেতার (Radio) এবং আদি টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন ভোক্তা বা ব্যবহারকারী-কেন্দ্রিক যন্ত্রপাতির উন্নয়ন শুরু হল, তখন থেকে প্রকৌশলের এই শাখা বিস্তৃত হতে শুরু করে এবং আধুনিক টেলিভিশন, অডিও ব্যবস্থা, কম্পিউটার এবং মাইক্রোপ্রসেসর (অণুপ্রক্রিয়াকারক বা সমন্বিত বর্তনী) এই শাখার অন্তর্ভুক্ত হয়। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে বেতার প্রকৌশল নামটি ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে দশকের শেষ নাগাদ ইলেকট্রন বিজ্ঞান (ইলেকট্রনিক্‌স) নাম ধারণ করে।

    উইলিয়াম ব্র্যাডফোর্ড শকলি, জন বারডিন এবং ওয়াল্টার হাউজার ব্র্যাটেইন একসাথে যৌথভাবে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন করেন। ১৯৪৮ সালে ট্রানজিস্টর উদ্ভাবন ও ১৯৫৯ সালে সমন্বিত বর্তনী (integrated circuit or IC) উদ্ভাবনের আগে ইলেকট্রনীয় বর্তনী তৈরি হতো বড় আকারের পৃথক পৃথক বায়ুশূন্য নল যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই সব বিশাল আকারের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি বর্তনীগুলো বিপুল জায়গা দখল করত এবং এগুলো চালাতে অনেক শক্তি লাগত। এই যন্ত্রাংশগুলির গতিও ছিল অনেক কম। অন্যদিকে সমন্বিত বর্তনী বা আইসি অসংখ্য (প্রায়ই ১০ লক্ষেরও বেশি) ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র তড়িৎ যন্ত্রাংশ, যাদের বেশিরভাগই মূলত ট্রানজিস্টর দিয়ে গঠিত হয়। এই যন্ত্রাংশগুলোকে একটি ছোট্ট পয়সা আকারের সিলিকন চিলতে বা চিপের উপরে সমন্বিত করে সমন্বিত বর্তনী তৈরি করা হয়। বর্তমানের অত্যাধুনিক কম্পিউটার বা নিত্যপ্রয়োজনীয় ইলেকট্রনীয় যন্ত্রপাতি সবই প্রধানত সমন্বিত বর্তনী বা আই সি দ্বারা নির্মিত।

  • ইউনিফাইড এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টারফেস

    ইউনিফাইড এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টারফেস একটি বৈশিষ্ট্য যা অপারেটিং সিস্টেম ও প্ল্যাটফর্ম ফার্মওয়্যার এর মধ্যবর্তী সফটওয়্যার ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে। ইউইএফআই বায়োসকে প্রতিস্থাপন করার জন্য তৈরি হয়েছে।

    ইতিহাস

    ১৯৯০ এর দশকের মধ্যবর্তী সময়ে ইন্টেল-এইচপি ইটানিয়াম সিস্টেম তৈরির সময় এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টারফেস ধারণার উদ্ভব হয়। বৃহত্তর সার্ভার প্ল্যাটফর্মের জন্য বায়োসের সীমাবদ্ধতাসমূহ অগ্রহণযোগ্য ছিল।

    কন্টেন্ট

    • সিপিইউ অনধীন আর্কিটেকচার
    • সিপিইউ অনধীন ড্রাইভার

    প্রসেসর কম্প্যাটিবিলিটি

    ইউনিফাইড এক্সটেনসিবল ফার্মওয়্যার ইন্টারফেস

  • আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন

    আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা আইটিইউটেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মান নির্ধারণের কাজ করে থাকে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডেরজেনেভাতে। এটি টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ ধরনের মান নির্ধারণের কাজ করেছে। মে ১৭,১৮৬৫ সালে ফ্রান্সেরপ্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন নামে এটি কাজ শুরু করে। এর ফলে সংস্থাটি জাতিসংঘের সবচেয়ে পুরাতন অঙ্গ সংগঠনের মর্যাদা পেয়েছে।[১] মূলত এই সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সমঝোতার উপর ভিত্তি করে তৈরি মান অনুমোদন করে। এই সমঝোতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো এইসব নিয়ম বা অনুমোদিত মান মেনে চলার ক্ষেত্রে আইনত বাধ্য থাকে। এছাড়াও আইটিইউ এর দুইটি সহযোগী সংস্থা চুক্তিভিত্তিক সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ, অভিযোগ, অভিমত তৈরি এবং যাচাই বাছাই করে থাকে। এরা হল:


    *আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন
    International Telecommunication Union  (ইংরেজি)
    Union internationale des télécommunications  (ফরাসি)
    Unión Internacional de Telecomunicaciones  (স্পেনীয়)
    Международный союз электросвязи  (রুশ)
    الاتحاد الدولي للاتصالات  (আরবি)
    国际电信联盟  (চীনা)
    সংস্থার ধরনজাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা
    সংক্ষিপ্ত নামআইটিইউ
    ইউআইটি
    প্রধানHamadoun Touré
    মর্যাদাসক্রিয়
    প্রতিষ্ঠাকাল১৭ই মে ১৮৬৫
    প্রধান কার্যালয়জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
    ওয়েবসাইটhttp://www.itu.int/

    আইটিইউ সেক্রেটারি জেনারেল এবং ব্যুরো ডিরেক্টরবৃন্দ

    আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা আইটিইউ টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম মান নির্ধারণের কাজ করে থাকে। এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে। এটি টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০০ ধরনের মান নির্ধারণের কাজ করেছে। মে ১৭,১৮৬৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন নামে এটি কাজ শুরু করে। এর ফলে সংস্থাটি জাতিসংঘের সবচেয়ে পুরাতন অঙ্গ সংগঠনের মর্যাদা পেয়েছে।[১] মূলত এই সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত সমঝোতার উপর ভিত্তি করে তৈরি মান অনুমোদন করে। এই সমঝোতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো এইসব নিয়ম বা অনুমোদিত মান মেনে চলার ক্ষেত্রে আইনত বাধ্য থাকে। এছাড়াও আইটিইউ এর দুইটি সহযোগী সংস্থা চুক্তিভিত্তিক সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ, অভিযোগ, অভিমত তৈরি এবং যাচাই বাছাই করে থাকে।

    এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
  • অ্যাপ্লিকেশন

    কম্পিউটিং

    অ্যাপেল অ্যাপ স্টোর। এই অ্যাপটি থেকে অ্যাপেল ডিভাইস ব্যবহারকারীরা অন্য বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারে।