Category: ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

Geography Environment and Disaster Management

  • গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ[১] বা সুন্দরবন ব-দ্বীপ, ইংরেজি: Ganges Delta বা, Bengal Delta) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিক ব-দ্বীপ।[২][৩] এটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র সহ বেশ কয়েকটি নদীর মিলিত জলরাশি হিসেবে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এ কারণে একে অনেক সময় গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র ব-দ্বীপ নামেও অভিহিত করা হয়। এটি বিশ্বের উর্বরতম অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। তাই, অনেকে একে গ্রিন ডেল্টা বা সবুজ ব-দ্বীপ বলে থাকেন। বদ্বীপটি হুগলী নদী থেকে পূর্ব দিকে মেঘনা নদী পর্যন্ত প্রসারিত।

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ

    ভূগোল

    ব-দ্বীপের একটি সাধারণ দৃশ্য, যেখানে খেজুর গাছ, ধান খেত, সবুজ সমতল ভূমি এবং পুকুর দেখা যাচ্ছে।

    জেমস রেনেলের জরিপের মানচিত্রে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (১৭৭৮)

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ দেখতে অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতির এবং এটি একটি “আর্কুয়েট” (তোরণ-আকৃতির) বদ্বীপ হিসাবে বিবেচিত হয়। বদ্বীপটি ১,০৫,০০০ কিমি (৪১,০০০ মা)-এরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। বদ্বীপটি বাংলাদেশ এবং ভারতে বিস্তৃত থাকলেও উত্তরের ভুটান, তিব্বত, ভারত ও নেপাল থেকে সৃষ্ট নদীগুলো এই বদ্বীপের মধ্য দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। ব-দ্বীপটির প্রায় ৬০% হয় বাংলাদেশে এবং ৪০% ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। বদ্বীপটির বেশিরভাগ অঞ্চল নদী বাহিত ছোট ছোট পলি কণা দ্বারা গঠিত। এমনকি নদীগুলো তাদের উৎস হিমবাহগুলো থেকে ফ্লুভিও-হিমবাহ হিসাবে এই সূক্ষ্ম কণাগুলো বহন করে নিয়ে আসে। লাল এবং লাল-হলুদ ল্যাটারাইট মাটি আরো পূর্ব দিকের প্রান্তে পাওয়া যায়। এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

    এটি অসংখ্য চ্যানেল, জলাশয়, হ্রদ এবং পলি মাটির প্লাবন সমভূমি (চর)-এর সমন্বয়ে গঠিত। গঙ্গার শাখানদী- গড়াই-মধুমতি নদী গাঙ্গেয় ব-দ্বীপকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে: একটি হল ভূতাত্ত্বিকভাবে তরুণ ও সক্রিয় পূর্বাঞ্চলীয় বদ্বীপ এবং অপরটি হল পুরাতন ও কম সক্রিয় পশ্চিমাঞ্চলীয় বদ্বীপ।[১]

    জনসংখ্যা

    মৌসুমী বায়ু জনিত বন্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে বেশি পানি প্রবাহ জনিত বন্যা এবং উত্তর ভারত মহাসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ১২৫ থেকে ১৪৩ মিলিয়ন মানুষ এই ব-দ্বীপে বাস করে। বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাস করে এবং দেশের অনেক মানুষ বেঁচে থাকার জন্য এই বদ্বীপের উপর নির্ভরশীল।[৪]

    মনে করা হয়, ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের উপর নির্ভরশীল এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ গঙ্গা অববাহিকায় বাস করে। অর্থাৎ, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নদী অববাহিকা। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ২০০ জন (অর্থাৎ, বর্গমাইল প্রতি ৫২০ জন) এবং এটি বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চলগুলোর একটি।

    বন্যজীবন

    বেঙ্গল টাইগার

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ জুড়ে রয়েছে তিনটি বাস্তুসংস্থান অঞ্চল। নিম্নতর গাঙ্গেয় সমভূমির আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য অঞ্চল এ অঞ্চলের সর্বাধিক অংশ জুড়ে বিদ্যমান। অবশ্য, বনের বেশিরভাগ অংশই কৃষিকাজের জন্য ফাঁকা করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র ছোট ছোট কিছু বনাঞ্চল রয়েছে। ক্যানব্রেক নামে পরিচিত লম্বা ঘাসের ঘন স্ট্যান্ডগুলো আর্দ্র অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়। সুন্দরবনের স্বাদুপানির জলাভূমির বনাঞ্চল বঙ্গোপসাগরে কাছাকাছি অবস্থিত। এই বন শুষ্ক মৌসুমে নোনাপানিতে প্লাবিত হয় আবার বর্ষা মৌসুমে মিঠাপানিতে প্লাবিত হয়। এই বনও ধীরে ধীরে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাস্তু-অঞ্চলের ১৪,৬০০ বর্গকিলোমিটার (৫,৬০০ মা)-এর মধ্যে মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার (৫০ মা) অঞ্চল সুরক্ষিত। বদ্বীপটির বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ হল বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বাস্তুসংস্থান অঞ্চল, যা ৫৪ টি দ্বীপ সহ মোট ২০,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৭,৯০০ মা) জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবনের নামকরণও করা হয়েছে সুন্দরী নামে পরিচিত একটি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদের নামানুসারে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Heritiera fomes

    ব-দ্বীপের প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে দেশি অজগর (Python molurus), মেঘলা চিতা (Neofelis nebulosa), ভারতীয় হাতি (Elephas maximus indicus), কুমির ইত্যাদি। প্রায় ১,০২০টি বিপন্নপ্রায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris tigris) সুন্দরবনে বাস করে বলে মনে করা হয়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় পাতলা বন রয়েছে যা থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে শাল, সেগুন এবং অশ্বত্থ গাছ পাওয়া যায়। এছাড়া, বদ্বীপ অঞ্চলে গরান গাছও রয়েছে।

    অনুমান করা হয় যে প্রায় ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ (Axis axis) বদ্বীপটির সুন্দরবন অংশে রয়েছে। এছাড়াও সেখানে মাছরাঙা, ঈগল, কাঠঠোকরা, শালিক (Acridotheres tristis), জলার তিতির (Francolinus gularis) এবং দোয়েল (Copsychus saularis) পাখি দেখা যায়। বদ্বীপটিতে দুটি প্রজাতির ডলফিনের সন্ধান পাওয়া যায়: ইরাবতী ডলফিন (Orcaella brevirostris) এবং গঙ্গা নদীর ডলফিন (Platanista gangetica gangetica)। ইরাবতী ডলফিন একটি মহাসাগরীয় ডলফিন, যা বঙ্গোপসাগর থেকে বদ্বীপে প্রবেশ করে। তবে গঙ্গা নদীর ডলফিন সত্তিকারার্থেই একটি নদীতে বসবাসকারী ডলফিন। তবে এটি অত্যন্ত বিরল এবং বিপন্নপ্রায় প্রাণী হিসাবে বিবেচিত।

    এছাড়া, অঞ্চলটিতে যেসব উদ্ভিদ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: সুন্দরী, গর্জন, বাঁশ, গোলপাতা (Nypa fruticans) এবং ম্যানগ্রোভ খেজুর (Phoenix paludosa)। উদ্ভিদের অনেক বিপন্ন প্রজাতিও এখানে পাওয়া যায়।

    ভূ-তত্ত্ব

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত: ভারতীয় পাত, ইউরেশীয় পাত এবং বার্মা পাত[৫] ইওসিন প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি কলকাতা থেকে শিলং মালভূমির প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি উত্তর-পশ্চিমে পুরু মহাদেশীয় ভূত্বক থেকে দক্ষিণ-পূর্বের পাতলা মহাদেশীয় বা মহাসাগরীয় ভূত্বকে রূপান্তর চিহ্নিত করে। হিমালয়ের প্রবাহ থেকে আগত বিপুল পরিমাণে পলি ইওসিনের পর থেকে বদ্বীপটির সমুদ্রসৈকতকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মা) প্রসারিত করেছে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের নিচে পেলোশেল্ফের প্রান্তের দক্ষিণ-পূর্বে পলির ঘনত্ব ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) অতিক্রম করতে পারে।[৬]

    অর্থনীতি

    ধান, গবাদি পশু এবং নদী ও পুকুরের মাছ এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস।

    বাংলাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোক কৃষি ক্ষেত্রে কর্মরত। তারা বদ্বীপের উর্বর প্লাবনভূমিতে ফসল ফলান। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে যেসব ফসল উৎপন্ন হয় সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল পাট, চা এবং ধান[৪] মাছ ধরাও এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। কারণ এ অঞ্চলের অনেকের কাছেই মাছ একটি প্রধান খাদ্য।[৭]

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বদ্বীপের দরিদ্র মানুষদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছেন। অব্যবহৃত পুকুরগুলোকে কার্যকর মাছের খামারে পরিণত করে এবং বিদ্যমান পুকুরগুলোতে মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই এখন মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে পুকুরে মাছের উৎপাদন ৮০০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।[৮] চিংড়ি সাধারণত খোলা পানিতে নিমজ্জিত কন্টেইনার বা খাঁচায় চাষ করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই রফতানি করা হয়।[৭]

    হাসনাবাদ ফেরি ঘাটে মানুষের ভীড়

    কলকাতার হুগলী নদীর উপর বিদ্যাসাগর সেতু

    অসংখ্য নদী-নালা বেষ্টিত থাকায় অঞ্চলটিতে যাতায়াত করা বেশ কষ্টসাধ্য। বেশিরভাগ দ্বীপপুঞ্জ থেকে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াতের একমাত্র উপায় হল কাঠের ফেরি নৌকা। সেতুর সংখ্যা খুবই কম। কিছু দ্বীপ এখনও বৈদ্যুতিক গ্রিডের সাথে সংযুক্ত নেই। সেসব দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে সৌর কোষ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রবণতা দেখা যায়।

    আর্সেনিক দূষণ

    আর্সেনিক একটি প্রাকৃতিক মৌল যা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। এটি ধান এবং অন্যান্য প্রধান ফসলের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করতে পারে।

    জলবায়ু

    গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমাঞ্চলে প্রতি বছর ১,৫০০ থেকে ২,০০০ মিমি (৫৯ থেকে ৭৯ ইঞ্চি) এবং পূর্বাঞ্চলে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মিমি (৭৯ থেকে ১১৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়। গরম ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং শীতল ও শুষ্ক শীতকাল জলবায়ুকে কৃষির জন্য উপযুক্ত করে তোলে।

    বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়

    ১৯৭০ সালের নভেম্বরে, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়টি গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে আঘাত হানে ১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে ৫,০০,০০০ মানুষ নিহত হয় (সরকারিভাবে হিসেবে) এবং আরও ১০,০০০ জন নিখোঁজ হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুমান করেছিল যে, ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০,০০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।[৯]

    ১৯৯১ সালে বদ্বীপটিতে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রায় ১,৩৯,০০০ মানুষ মারা যায়।[১০]

    এ অঞ্চলে প্রায়ই তীব্র বন্যা দেখা দিয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে বন্যার ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত এবং ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। পুরো ধানের ফসল নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলের মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছিল।[১১]

    বঙ্গীয় ব-দ্বীপের ইতিহাস

    বিনিতা দামোদরন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন কর্তৃক দুর্ভিক্ষ ব্যবস্থাপনার রীতিটির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং বন ও জমি পরিচালনার ফলে যে বড় ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছে তার সাথে এই পদ্ধতিগুলোর সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন।[১২][১৩][১৪] দেবযানী ভট্টাচার্য্য দেখিয়েছেন যে পরিবেশগত পরিবর্তন মোকাবিলা করে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বিংশ শতাব্দীতে সূচনা পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শক্তি কীভাবে কলকাতাকে নগর কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছিল।[১৫][১৬]

    বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের পূর্ব অংশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার ইকবাল কৃষ্ণবিত্ত সমৃদ্ধি বা হ্রাস, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, দারিদ্র্য এবং দুর্ভিক্ষ অধ্যয়ন করার জন্য বঙ্গীয় ব-দ্বীপকে (বিশেষত, ঔপনিবেশিক সময়কালকে) একটি পরিবেশগত কাঠামো হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন।[১৭] ইকবাল দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে ঔপনিবেশিক শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে ফরায়েজি আন্দোলনের মতো প্রতিরোধ আন্দোলন কীভাবে অধ্যয়ন করা যেতে পারে।[১৮]

    বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় বদ্বীপের পরিবেশ ইতিহাসের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি দুর্বল দিক হল বেশিরভাগ গবেষণা অষ্টাদশ থেকে একবিংশ শতাব্দীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই অষ্টাদশ শতকের পূর্বে এই অঞ্চলের পরিবেশগত ইতিহাস সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে।

    বদ্বীপের ভবিষ্যত

    আসন্ন বছরগুলোতে গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাসকারী লোকদের সবচেয়ে বড় যে হুমকির সম্মুখীন হতে হবে তা হল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আর মাত্র ০.৫ মিটার (১ ফু ৮ ইঞ্চি) বাড়লেই বাংলাদেশে প্রায় ছয় মিলিয়ন লোক ঘরছাড়া হতে পারে।[১৯]

    বদ্বীপটিতে তিতাস এবং বখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে, এখন বেশ কয়েকটি বড় বড় তেল সংস্থা গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানোর কাজে বিনিয়োগ করেছে।[২০][২১]

    দৃশ্য

    মহাকাশ থেকে গঙ্গা নদী

    আরো দেখুন

    তথ্যসূত্র

  • জাতি

    জাতি হচ্ছে একটি সম্প্রদায় যা একটি সাধারণ ভাষা, অঞ্চল, ইতিহাস, জাতিগততা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। স্পষ্টতই, জাতি উপজাতি হতে অধিক রাজনৈতিক।[১][২] সাধারণভাবে একে বলা যায়, “জাতি হচ্ছে একত্রিত ও প্রতিষ্ঠিত উপজাতি সম্প্রদায়।”[৩] কিছু জাতি উপজাতি গোষ্ঠীর সমান বলে বিবেচ্য আবার কিছু জাতি গড়ে ওঠে সামাজিক ও রাজনৈতিক কিছু নির্দিষ্ট সংবিধান অনুসরণ করে।[৩] জাতির অন্য একটি সংজ্ঞা হচ্ছে, এটি একটি সম্প্রদায়, যে সম্প্রদায়ের জনগণ নিজেদের স্বায়ত্তশাসন, ঐক্য ও অন্যান্য অধিকারের ব্যাপারে সচেতন।[৪] আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, একটি জাতি হলো একটি ভূ-খন্ডের স্বাধীন ও সার্বভৌম অঞ্চল।

    আমেরিকান রাজনৈতিক বিজ্ঞানী বেনেডিক্ট এন্ডারসন জাতিকে একটি কাল্পনিক সম্প্রদায় হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[৫] আর অস্ট্রেলিয়ান পণ্ডিত পল জেমস জাতিকে কোনো একটি সম্প্রদায়ের খন্ড হিসেবে দেখেন।[৬] যে হিসেবে জাতিকে কাল্পনিক সম্প্রদায় হিসেবে ধরা হয় তার পেছনের কারণ হলো এই যে, একটি জাতির সকল ব্যক্তি একে অপরকে চিনে না এবং ব্যাপার‍টি এমন যে হয়ত তাদের কখনো দেখাও হবে না।[৭] অর্থাৎ তারা সকলেই একে অপরের কাছে আগন্তুক৷ এজন্য “আগন্তকদের জাতি” বাক্যাংশটি উদ্ভূত হয় যা বিভিন্ন লেখক তাঁদের লেখায় লিখে গেছেন। এর মধ্যে একজন হলেন আমেরিকান সাংবাদিক ভ্যান্স প্যাকার্ড। সেই হিসেবে “জাতি” একটি ইন্টারসাব্জেক্টিভ বাস্তবতা এবং শব্দটির অর্থ ও অস্তিত্ব কেবলমাত্র নাগরিকদের চিন্তা-ভাবনায় বিদ্যমান। এমনকি কোনো ব্যক্তি যদি চিন্তা করেন যে জাতি বলতে কিছু নেই তবুও সেই জাতির তাতে বিন্দুমাত্র ক্ষতি হবেনা কেননা “জাতি” কোনো সাব্জেক্টিভ বাস্তবতা নয় যে এটি শুধুমাত্র একটি মানুষের চিন্তাধারায় বিরাজমান। তবে যদি একটি বিশালসংখ্যক মানুষ বিশ্বাস করা শুরু করে যে জাতির অস্তিত্ব থাকা উচিত নয় এবং জাতি বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করে তবে জাতির অস্তিত্ব বিরাজ করা সম্পূর্ণরূপে থেমে যাবে।[৮][৯][১০]

    ব্যুৎপত্তি ও পরিভাষা

    জাতি (ইংরেজি: Nation, উচ্চারণঃ ন্যাশন) শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফ্রেঞ্চ ভাষার শব্দ nacion বা naissance থেকে যার অর্থ হলো জন্ম, উৎপত্তির অবস্থান। এর উৎপত্তি ফ্রেঞ্চ ভাষার natio শব্দ হতে আক্ষরিক অর্থে যার অর্থ হচ্ছে “জন্ম”।[১১]

    ব্ল্যাক’স ল ডিকশনারি অনুসারে “জাতি” কে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়ঃ

    nation, n (14c) . (জাতি হলো) মানুষদের একটি বিশাল গোষ্ঠী যাদের একটি সাধারণ মূল, ভাষা, ঐতিহ্য এবং সাধারণত একটি সংবিধান রয়েছে। • যখন একটি জাতি একটি রাষ্ট্রের সাথে মিলিত হয় তখন সেটাকে প্রায়শই জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করা হয়।…

    . কতিপয় মানুষদের বিচরণ যা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলব্যাপী এবং তা কোনো স্বাধীন সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত; অর্থাৎ, একটি সার্বভৌম রাজনৈতিক রাষ্ট্র।[১]

    তবে “জাতি” শব্দটির কিছু প্রতিশব্দ রয়েছে যা সচরাচর ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ

    • রাষ্ট্র কিংবা সার্বভৌম রাষ্ট্র: একটি রাষ্ট্র যা একটি নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড শাসন করে, যা কোনো উপজাতিদের সাথে সংযুক্ত থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে।
    • দেশ: একটি ভৌগোলিক অঞ্চল যা কোনো সরকার দ্বারা চালিত হতে পারে বা নাও হতে পারে এবং সেখানে উপজাতি থাকতেও পারে বা নাও থাকতে পারে৷

    তাই, “বিশ্বের জাতিসমূহ” বলতে বোঝায় উঁচু স্তরের সরকার ব্যবস্থা, বিভিন্ন বিশাল ভৌগোলিক অঞ্চল ও পৃথিবীর বৃহৎ ও বিচিত্র উপজাতি গোষ্ঠী।

    “জাতি” শব্দটির ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে, জাতিরাষ্ট্র শব্দটি ব্যবহার করা হয় ছোট শহর রাষ্ট্রকে বৃহৎ রাষ্ট্র থেকে পৃথক করার জন্য কিংবা বহুজাতিক রাষ্ট্রকে ছোট ছোট একক উপজাতি গোষ্ঠী হতে পৃথক করার জন্য।

    মধ্যযুগীয় জাতি

    ব্রিটিশ ইতিহাসবেত্তা সুসান রেয়নল্ড তার বই কিংডম এন্ড কমিউনিটিজ ইন ওয়েস্টার্ন ইউরোপ ৯০০-১৩০০ তে বর্ণনা করেছেন যে, কিছু ইউরোপীয়ান সাম্রাজ্য আধুনিক যুক্তি অনুসারে তখনকার সময়ে জাতি হিসেবে ছিল। তবে জাতীয়তাবাদে রাজনৈতিক অধিকার শুধুমাত্র কিছু শিক্ষিত ও উন্নত শ্রেণির মানুষদের নাগালে ছিল।[১২] রোমান ধর্মযাজক আদ্রিয়ান হ্যাস্টিংস দ্য কন্সট্রাকশন অফ ন্যাশনহুডঃ এথনিসিটি, রিলিজিওন এন্ড ন্যাশনালিজম বইতে উল্লেখ করেছেন যে, ইংল্যান্ডের এংলো স্যাক্সন রাজা বিপুল মানুষকে একত্র করে জাতীয়তাবাদের উত্থান করেছিলেন নোর্সদের আক্রমণ বিতাড়িত করার জন্য। তিনি যুক্তি দেন যে, ওয়েস্ট স্যাক্সনের রাজা আলফ্রেড দ্য গ্রেট বাইবেলীয় জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে তার আইনি কোডে বাইবেলীয় ভাষা যুক্ত করে দেন এবং তার শাসনামলে বাইবেলের কিছু অংশ ইংরেজিতে অনুবাদিত হয় যেন ইংরেজরা অনুপ্রাণিত হয়ে নোর্স আক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ওয়াইক্লিফ সার্কেলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বাইবেল ইংরেজিতে অনুবাদ করে হ্যাস্টিংস ইংরেজ জাতীয়তাবাদের একটি শক্ত নতুন যুক্তি তুলে ধরে। তাঁর মতামত, এগারো শতকে ইংল্যান্ডের সেনাদের নর্ম্যান বিজয় এর মধ্য দিয়ে ইংরেজ জাতি গঠিত হয় এবং সেই থেকে এই জাতি টিকে আছে।[১৩]

    মধ্যযুগীয় জাতীয়তাবাদের আরেকটি ভালো উদাহরণ হচ্ছে আরব্রোথের ঘোষণা, একটি দলিল যা স্কটিশ পণ্ডিত ও পাদ্রিদের দ্বারা লিখিত হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। দলিলটির উদ্দেশ্য ছিল পাদ্রিকে দেখানো যে, স্কটল্যান্ড নিজের মৌলিক সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভাষার কারণে নিজেই একটি জাতি এবং অবশ্যই জাতিটি ইংল্যান্ডের থেকে পুরোনো। দলিলটি ন্যায়সঙ্গত কিনা তা যাচাইয়ের জন্য স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুসের কাছে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে রবার্ট ব্রুসের অধীনে স্কটল্যান্ডের সেনাদেরকে ইংরেজ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠানো হয় ইংরেজদের বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে কারণ ইংরেজরা অন্যায়ভাবে স্কটল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিতে চেয়েছিল। এর ফলে ব্রুসের অধীনে মিলিটারি ক্যাম্প গড়ে ওঠে এবং সেই সময়ে ইংরেজ-স্কটল্যান্ডের যে যুদ্ধ হয় তা ব্যানকবার্নের যুদ্ধ নামে পরিচিতি লাভ করে। এ যুদ্ধের ফলে স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের দখলমুক্ত হয় এবং স্কটল্যান্ড স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এই ঘটনাটি স্কটিশ জাতীয়তাবাদ ও বিখ্যাত সার্বভৌমত্বের ঘটনার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

    গ্রিক ইতিহাসবিদ অ্যানথোনি কালদেলিস হেলেনিজম ইন বায়জান্তিয়াম বইতে নিশ্চিত করেন যে, বর্তমান বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য যা একসময় রোমান সাম্রাজ্য ছিল তা মধ্যযুগীয় সময়ে জাতিরাষ্ট্রে রূপান্তরিত হয়।

    পণ্ডিত আজার গাত যুক্তি দেন যে, চীন, কোরিয়াজাপান ইউরোপীয় মধ্যযুগ থেকেই জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে।[১৪]

    মধ্যযুগীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য মধ্যযুগীয় প্রতিষ্ঠানে ন্যাশন্স শব্দের ব্যবহার

    কিছু মধ্যযুগীয় বিশ্ববিদ্যালয় তথা প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে- যারা একই ভাষা ও একই নিয়ম-নীতির আওতায় পড়ে তাদেরকে ন্যাশিও নামে ডাকা হয়। বর্তমান সময়ে যা কোনো কোনো দেশে শাখা নামে পরিচিত। ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে জিন গ্যারিসন প্যারিসে ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে অধ্যয়ন করার সময় দুইবার ফ্রেঞ্চ ন্যাশিও এর ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন। চার্লস বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয় নামেও পরিচিত, শিক্ষার্থীদের দলগুলোকে ন্যাশন বা জাতিতে বিভক্ত করেছিল- স্টেডিয়াম জেনারেলে (ইউরোপের মধ্যযুগীয় বিশ্ববিদ্যালয়) বহেমিয়ান, বেভারিয়ান, স্যাক্সন ও সিলেশিয়ান এই চারটি জাতি বা ন্যাশন্স ছিল।

    একইভাবে মধ্যযুগীয় ক্যাথলিক মিলিটারি বর্গ নাইটস হসপিটালার জাতিতে বিভক্ত ছিল যারা গ্রিসের সর্ববৃহৎ ডোডেকানিজ দ্বীপ রোডস এর হোস্টেল রক্ষণাবেক্ষণ করতো৷ এই হোস্টেলসমূহ থেকেই তারা তাদের নাম গ্রহণ করেছে। হোস্টেলগুলোর ব্যাপারে স্প্যানিশ পর্যটক পেড্রো টাফুর বলেন যে, হোস্টেলসমূহ ছিল এমন জায়গা যেখানে বিদেশীরা খেতে আসে ও একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে, এক জাতি অপর জাতি হতে বিভক্ত থেকে এবং একজন নাইট এদের সবার উপরে কর্তৃত্ব স্থাপন করেন ও নিবাসীদের ধর্মানুযায়ী তাদেরকে সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সরবরাহ করেন।[১৫]

    প্রাচীন আধুনিক জাতি

    আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী ফিলিপ এস. গোরস্কি তার নিবন্ধ দ্য মোজাইক মোমেন্টঃ এন আর্লি মডার্নিস্ট ক্রিটিক অফ দ্য মডার্নিস্ট থিওরি অফ ন্যাশনালিজম এ বলেন যে ডাচ প্রজাতন্ত্র হচ্ছে সর্বপ্রথম আধুনিক জাতি যা বাইবেলীয় জাতীয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে সম্পূর্ণ আধুনিক রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদের ফলে সৃষ্টি হয়। [১৬] ডায়ানা মুর এপেলবাউম ২০১৩ সালের একটি নিবন্ধ বাইবলিকাল ন্যাশনালিজম এন্ড দ্য সিক্সটিন্থ সেঞ্চুরি স্টেটস তে গোরস্কির বর্ণনা বিস্তৃতি করে নতুন, প্রতিবাদী ও ষোড়শ শতকের জাতিরাষ্ট্রের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। [১৭] একইভাবে, যদিও একটু বিস্তৃত করে, ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী অ্যানথোনি ডি. স্মিথ ও একই যুক্তিগুলোই তুলে ধরেন তাঁর বই চুসেন পিপলঃ স্যাক্রেড সোর্সেস অফ ন্যাশনাল আইডেন্টিটি এন্ড মিথ্স এন্ড মেমরিজ অফ দ্য ন্যাশন এ। [১৮]

    জাতীয়তাবাদের একজন মহৎ ইতিহাসবেত্তা লিয়াহ গ্রিনফিল্ড তাঁর বই ন্যাশনালিজমঃ ফাইভ রোডস টু মডার্নিটি তে উল্লেখ করেন যে, জাতীয়তাবাদ সর্বপ্রথম শুরু হয় ১৬০০ সালে, ইংল্যান্ডে। গ্রিনফিল্ডের মতানুযায়ী, ইংল্যান্ড এই বিশ্বের সর্বপ্রথম জাতি। [১৯][২০]

    সামাজিক বিজ্ঞান

    ২০ শতকের শেষের দিকে সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে দুই ধরনের জাতি বিদ্যমান। একটি হলো নাগরিক জাতি যার প্রধান উদাহরণ হলো ফ্রান্স ও অপরটি হলো উপজাতীয় জাতি যার উদাহরণ হলো জার্মান জাতিগোষ্ঠী। উনিশ শতকে জোহান গতিলেব ফিশট এর মতো জার্মান দার্শনিকদের উদ্ভবের ফলে জার্মান ঐতিহ্যটি পরিচিতি লাভ করে যা নির্দেশ করে জার্মানদের একই সাধারণ ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও উপজাতীয় উৎপত্তি, যা জার্মানদেরকে অন্যান্য জাতি হতে পৃথক করে৷[২১] অন্যদিকে নাগরিক জাতি বিষয়টি সামনে আসে ফরাসি বিপ্লব এর পর থেকে এবং এর ধারণা দেন ১৮ শতকের ফরাসি দার্শনিকগণ। সব জনগণের একসাথে কেন্দ্রীভূত হয়ে থাকার ব্যাপারটি বোঝা গিয়েছিল এবং এর থেকেই জাতি গঠিত হয়। [২২] এটি ফরাসি প্রাচ্যবিদ আর্নেস্ট রেনান এর মতামত। [২১]

    জাতীয় পরিচয় বা জাতীয়তা এর উদ্ভব কিভাবে হয় তা জানার জন্য বর্তমান সময়ের গবেষণাকে সামাজিক ও ইতিহাসবিদ্যার দিকে ঝুঁকে থাকার প্রবণতা দেখা যায়। এর উদ্দেশ্য হলো স্বতন্ত্র কিংবা মিলিত গঠন পদ্ধতি শনাক্ত করা যা হতে পারে সতর্ক কিংবা অসতর্ক, ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃতভাবে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা যা কিনা আংশিকভাবে অর্থনৈতিক বিষয়বস্তুর আওতায় পড়ে, এটিও যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। [২১]

    জাতিসমূহের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক

    জাতিসমূহের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি বিতর্ক চলমান এবং তা হলো জাতিসমূহ সামনেও বর্তমানের মতই টিকে থাকবে নাকি জাতিসমূহের বদলে কোনো টেকসই বিকল্প আসবে। [৮]

    জাতি ভাঙ্গন তত্ত্বটি সরাসরি কসমোপলিটান বিষয়ের উপরে আলোকপাত করে তৈরি। কসমোপলিটন বা বিশ্বনাগরিকত্ব ধারণামতে, এই পৃথিবীতে মানুষের মেলবন্ধন আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যে জাতি ও রাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। রাজনৈতিক বিজ্ঞানী স্যামুয়েল পি. হান্টিংটন এর মতে, মানুষের সংস্কৃতি ও ধর্মগত পরিচয় আগামী দিনে স্নায়ুযুদ্ধ এর প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

    তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৯২ সালে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউট এর একটি বক্তৃতায় যা পরবর্তীতে বিকশিত হয় ১৯৯৩ সালে আমেরিকান ম্যাগাজিন ফরেইন অ্যাফেয়ার্স এর একটি নিবন্ধে যার শিরোনাম ছিল “দ্য ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশ্যন্স?”[২৩][২৪] আমেরিকান রাজনৈতিক বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা এর বই দি এন্ড অফ হিস্টরি এন্ড দ্য লাস্ট ম্যান (১৯৯২) এর জবাবে হান্টিংটন তাঁর দ্য ক্ল্যাশ অফ সিভিলাইজেশ্যন্স এন্ড দা রিমেকিং অফ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বইতে ১৯৯৬ সালে তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধের (থিসিস) সম্প্রসারণ ঘটান।

    হান্টিংটন বিগত স্নায়ুযুদ্ধের সময়ের বৈশ্বিক রাজনীতির বিচিত্র তত্ত্ব নিরীক্ষা করে তাঁর চিন্তা শুরু করেন। কিছু তাত্ত্বিক ও লেখক যুক্তি দিয়েছেন যে মানবাধিকার, অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্র, পুঁজিবাদী মুক্ত বাজার অর্থনীতি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার জাতিদের একমাত্র ভাবাদর্শগত বিকল্প হিসেবে ছিল। বিশেষভাবে, ফ্রান্সিস ফুকুয়ামা দ্য এন্ড অফ হিস্টোরি এন্ড দ্য লাস্ট ম্যান বইতে লিখেছেন যে এই বিশ্ব ইতিহাসের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

    হান্টিংটন বিশ্বাস করেছিলেন যে সেই ভাবাদর্শ শেষ হওয়ার পরেও সাংস্কৃতিক দ্বন্দের ফলে পৃথিবী শুধুমাত্র একটি সাধারণ অবস্থায় এসেছে। তাঁর থিসিসে তিনি উল্লেখ করেছেন যে আগামী ভবিষ্যতে দ্বন্দের মেরুদণ্ড হবে সাংস্কৃতিক ও ধার্মিক বিষয়বস্তুসমূহ।

    অ-জাতীয়তাবাদ একটি প্রক্রিয়া কিংবা রীতি যার ফলে জাতিরাষ্ট্র ও জাতীয় পরিচয় তাঁদের প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে ফেলে অধিজাতীয় ও বৈশ্বিক সত্তার প্রভাবে। কিছু বিশেষ কারণ এটিকে সমৃদ্ধশালী করে তোলে যেমন অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন, বহুজাতিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা, অর্থনৈতিক বাজারের আন্তর্জাতিকীকরণ, শাসকগোষ্ঠীর সমাজ-রাজনৈতিক ক্ষমতা অধিজাতীয় সত্তার নিকট স্থানান্তর (যেমনঃ ইউনাইটেড ন্যাশন্স, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন) এবং ইন্টারনেটের মতো নতুন নতুন তথ্য ও সাংস্কৃতিক প্রযুক্তির আগমন। যা হোক, নাগরিকত্ব ও জাতীয় পরিচয় ব্যাপারটি প্রায়ই দরকার পড়ে৷ [২৫][২৬][২৭]

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যান জিয়েলংকা বিবৃতি দেন যে “ভবিষ্যতের রাজনৈতিক শক্তির নীতি ও প্রয়োগ ওয়েস্টফালিয়ার (ঐতিহাসিক এলাকা, ডিউকের জমিদারি এলাকা) মতো না হয়ে বেশি হবে মধ্যযুগীয় নীতির মতো।” রাজনৈতিক শক্তির সম্পৃক্ততা থাকবে “ক্ষমতায় একাগ্রতা, সার্বভৌমত্ব, সুস্পষ্ট পরিচয় এবং নব্য মধ্যযুগীয়তা যার বৈশিষ্ট্য হলো একাধির কর্তৃপক্ষ, বিভাজিত সার্বভৌমত্ব, একাধিক পরিচয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অস্পষ্ট সীমান্ত” এসব বিষয়ের সাথে। [৮]

  • সারের ইতিহাস

    সারের ইতিহাস মূলত তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে ঐতিহ্যগত ব্যবহার দ্বারা ব্যাপকভাবে আকার ধারণ করেছে। পরবর্তীতে রাসায়নিকভাবে সংশ্লেষিত সারের ক্রমবিকাশের ফলে পরিবেশগত পরিস্থিতির একটি আমূল পুনর্নির্মাণ ঘটেছে।[১][২][৩]

    ইতিহাস

    মিশরীয়, রোমানীয়, ব্যাবিলনীয় এবং প্রথম দিকের জার্মান সবাই তাদের খামারের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য খনিজ এবং/বা সার ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। মাটির কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কাঠের ছাই-এর ব্যবহার ব্যাপক আকার ধারণ করে।[৪]

    উনিশ শতকে পক্ষিমল সার যা আন্দিজে কমপক্ষে ১৫০০ বছর ধরে বিদিত এবং ব্যবহৃত ছিল, পেরু এবং চিলি (এবং পরে নামিবিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে) থেকে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর পরিমাণে আমদানি করা হয়।

    ইউরোপের মূল ব্যক্তিত্ব

    ১৭৩০ এর দশকে ভিসকাউন্ট চার্লস টাউনশ্যান্ড (১৬৭৪–১৭৩৮) প্রথমে চারটি ফসল চক্রাবর্ত ব্যবস্থার উন্নতির ফলাফল নিয়ে গবেষণা করেন যা তিনি ফ্ল্যাণ্ডার্সে ব্যবহার করে নিরীক্ষণ করেন। এ জন্য তিনি টুর্নিপ টাউনশ্যান্ড উপাধি অর্জন করেন।

    জোহান ফ্রেডরিচ মেয়ার

    জোহান ফ্রিডরিচ মেয়ার (১৭১৯–১৭৯৮) পৃথিবীর সামনে প্রথম গবেষণার একটি ক্রম কৃষির সাথে জিপসামের সম্পর্কের উপর উপস্থাপন করেন এবং উনবিংশ শতাব্দীতে অনেক রসায়নবিদ তাকে অনুসরণ করেন। যাহা হউক উনিশ শতকের গোড়ার দিকে তার ক্রিয়া পদ্ধতি সম্পর্কে প্রচুর মতামত রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ:[৫]

    • ফরাসি কৃষিবিদ ভিক্টর ইয়ার্ট (১৭৬৩-১৮৩১)[৬] বিশ্বাস করেন যে জিপসামের ক্রিয়াটি সালফিউরিক অ্যাসিডের একচেটিয়া প্রভাব, যা এর সংমিশ্রণের অংশভুক্ত; এবং এই মতামত প্রমাণ করে যে জমির ছাই, যা লোহার সালফেট এবং অ্যালুমিনার সালফেট ধারণ করে, উদ্ভিদসমূহের উপর জিপসামের মতো একই কাজ করে।[৫]
    • ফরাসী কৃষিবিদ চার্লস ফিলিবার্ট দে লাস্টেরি (১৭৫৯–১৮৪৯) পর্যবেক্ষণ করেন যে সমস্ত উদ্ভিদের মূল মাটির পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে সে সকল উদ্ভিদ জিপসাম চুন দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে, তিনি উপসংহারে পৌঁছান যে জিপসাম বায়ুমণ্ডল থেকে উদ্ভিজ্জ জীবনের জন্য উপাদানসমূহ আহরণ করে এবং এগুলিকে সরাসরি উদ্ভিদে স্থানান্তর করে।[৫]
    • লুই অগস্টিন গিলিয়াম বস্ক জানান যে জিপসামের পচনশীলতা গুণ (যা তিনি মঞ্জুর করেন) গাছপালার উপর এর কাজ সর্বোত্তমভাবে ব্যাখ্যা করে; তবে এই মতামত ডেভির গবেষণা দ্বারা ভুল প্রমাণিত হয়।
    • হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেছেন যে দুই খন্ড কিমা করা বাছুরের মাংসের মধ্যে একটির সাথে জিপসাম মিশ্রিত করা হয়, অন্য খন্ডটিকে একই ভাবে রেখে দেওয়া হয় এবং উভয়ই খন্ডকে সূর্যের আলোতে ক্রিয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়, দেখা যায় যে দ্বিতীয় অংশটি প্রথম পচন ধরার লক্ষণ প্রদর্শন করছে। এই বিষয়ে ডেভির নিজস্ব ধারণা, এটি উদ্ভিদের খাবারের অংশ হিসাবে তৈরি হয়, উদ্ভিদে গৃহীত হয় এবং এর সাথে সংযুক্ত হয়।[৫]

    মেয়ার শস্য চক্রের নতুন পদ্ধতিও উন্নীত করেন।[৭]

    জাস্টাস ফন লাইবিগ

    রসায়নবিদ জাস্টাস ফন লাইবিগ (১৮০৩-১৮৭৩) উদ্ভিদের পুষ্টি বোঝার ক্ষেত্রে অগ্রগতিতে ব্যাপক অবদান রাখেন। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনাসমূহ প্রথমে হিউমাসের জীবনী তত্ত্বকে নিন্দা করে, অ্যামোনিয়ার গুরুত্ব নিয়ে তর্ক করে এবং পরে উদ্ভিদের পুষ্টিতে অজৈব খনিজসমূহের গুরুত্ব প্রচার করে।[৮] প্রাথমিকভাবে লাইবিগের কাজ পরবর্তী ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষি বিজ্ঞানের প্রশ্নসমূহের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে সফল হয়েছিল।

    তিনি ইংল্যান্ডে অস্থিচূর্ণ যুক্ত সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে ফসফেট চুন ব্যবহার করে তৈরি করা সারের মাধ্যমে তাঁর তত্ত্বকে বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেন। যদিও এটি সেই সময় ব্যবহৃত পক্ষিমলসারে চেয়ে অনেক কম ব্যয়বহুল ছিল, তবুও এটি ব্যর্থ হয় কারণ এটি শস্য সঠিকভাবে শোষণ করতে সক্ষম হতো না।

    স্যার জন বেনেট লয়েস

    জন বেনেট লয়েস একজন ইংরেজ উদ্যোক্তা (তাঁর জীবন ও কাজের সময়ক্রম দেখুন), তিনি ১৮৩৭ সালে পাত্রে জন্মানো উদ্ভিদের উপর বিভিন্ন সারের প্রভাব সম্পর্কে পরীক্ষা শুরু করেন এবং এক বা দু’বছর পরে গবেষণা জমির ফসলের উপর সম্প্রসারিত করেন। তার তাত্ক্ষণিক ফলাফল হলো ১৮৪২ সালে তিনি সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে ফসফেটের ব্যবহার করে একটি সার তৈরি করে তার পেটেন্ট করেন এবং এভাবেই প্রথম কৃত্রিম সার শিল্প তৈরি হয়।[৯] পরবর্তী বছরে তিনি জোসেফ হেনরি গিলবার্টের কাজ তালিকাভুক্ত করেন, যিনি জিসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইবিগের অধীনে পড়াশোনা করেছিলেন, রথ্যামস্টেড এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনে গবেষণা পরিচালক হিসাবে কাজ করেছে, যেটি তিনি তাঁর এস্টেটে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজ পর্যন্ত এই যুগল প্রতিষ্ঠিত রথ্যামস্টেড গবেষণা কেন্দ্রটি এখনও ফসলের ফলনের উপর অজৈব এবং জৈব সারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে।[১০]

    জিয়ান ব্যাপটিস্ট বুসিনগাল্ট

    ফ্রান্সে জিয়ান ব্যাপটিস্ট বুসিনগাল্ট (১৮০২-১৮৮৭) নির্দিষ্ট করেন যে বিভিন্ন ধরনের সারে নাইট্রোজেনের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ।

    ধাতুবিদ্যাবিশারদ পার্সি গিলক্রিস্ট (১৮৫১-১৯৩৫) এবং সিডনি গিলক্রিস্ট থমাস (১৮৫০-১৮৮৫) গিলক্রিস্ট-থমাস প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন, যে প্রক্রিয়ায় ইস্পাত তৈরিতে উচ্চ ফসফরাস অ্যাসিডিক কন্টিনেন্টাল আকরিকগুলি সক্ষম করে। উত্পাদনযন্ত্রে ডলোমাইট চুনের আস্তরণের সময় ক্যালসিয়াম ফসফেটে পরিণত হয়, এটি থমাস-ফসফেট নামে পরিচিত যা সার হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে।

    বার্কল্যান্ড-আইড প্রক্রিয়া

    ১৭৮৪ সালে হেনরি ক্যাভেনডিশের ব্যবহৃত পদ্ধতির ভিত্তিতে ১৯০৩ সালে নরওয়ের শিল্পপতি ও বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান বার্কল্যাণ্ড তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার স্যাম আইডের সাথে বার্কল্যাণ্ড–আইড প্রক্রিয়াটি তৈরি করেন।[১১] এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নাইট্রিক অ্যাসিডে (HNO3) বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন (N2) ব্যবহার করা হয়, এটি সাধারণত নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণ নামে পরিচিত। এর ফলে নাইট্রিক অ্যাসিডটি কৃত্রিম সার উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হত। বৃহৎ জলবিদ্যুৎ শক্তি সুবিধাসম্পন্ন ভবনের সাথে মিলিত ভাবে এই প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে নরওয়ের রজুকান এবং নটোডডেনে কারখানা নির্মিত হয়।[১২] শক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি অদক্ষ এবং বর্তমানে এটি হেবার প্রক্রিয়া দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।[১৩]

    হেবার প্রক্রিয়া

    বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে নোবেল পুরস্কার বিজয়ি রসায়নবিদ আইজি ফারবেন এর কার্ল বস এবং ফ্রিটজ হেবার হেবার প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটান[১৪] যাতে নাইট্রোজেন অণু (N2) এবং মিথেন (CH4) গ্যাস দ্বারা অর্থনৈতিকভাবে সহনীয় অ্যামোনিয়া (NH3)সংশ্লেষণে ব্যবহার করা হয়। হেবার প্রক্রিয়াতে উৎপাদিত অ্যামোনিয়া অস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়ার মূল কাঁচামাল।

    অস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়া

    ওস্টওয়াল্ড প্রক্রিয়া হলো নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO3) উৎপাদনের একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, উইলহেলম অস্টওয়াল্ড এই প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠা করেন (১৯০২ সালে পেটেন্ট করান)। এটি আধুনিক রাসায়নিক শিল্পের মূল ভিত্তি এবং বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে প্রচলিত সার উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করে (উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রচলিত সার অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, এটি নাইট্রিক অ্যাসিডের সাথে অ্যামোনিয়ার বিক্রিয়া দ্বারা তৈরি করা হয়)। ঐতিহাসিক ও ব্যবহারিকভাবে এটি হেবার প্রক্রিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যা প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অ্যামোনিয়া (NH3) সরবরাহ করে।

    এরলিং জনসন

    ১৯২৭ সালে এরলিং জনসন নাইট্রোফসফেট উৎপাদনের জন্য একটি শিল্প পদ্ধতি তৈরি করেন, এটি ওড্ডা প্রক্রিয়া নামেও পরিচিত। এই প্রক্রিয়ায় অম্লীয় ফসফেট শিলার (দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নাউরু এবং বানাবা দ্বীপপুঞ্জ থেকে সংগৃহীত) সাথে নাইট্রিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ার ফলে ফসফরিক অ্যাসিড এবং ক্যালসিয়াম নাইট্রেট উৎপাদতি হয় যাকে একসময় প্রশমিত করে নাইট্রোজেন সার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

    শিল্প

    একটি অ্যামোনিয়া উৎপাদনযন্ত্র

    ব্রিটিশ

    রসায়ন এবং জীবাশ্র্মবিজ্ঞানের উন্নয়নে পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়ায় বাণিজ্যিক পরিমাণে কপ্রোলাইট আবিষ্কৃত হয়, ফিজনস এবং প্যাকার্ড ১৮৫০ এর দশকে সুপারফসফেটস তৈরি করতে ব্র্যামফোর্ডে এবং সাফল্কের স্নেপ এ সালফিউরিক এসিড এবং সার কারখানা তৈরি করতে নেতৃত্ব দেন, যা থেকে বিশ্বব্যাপী ইপসুইচ বন্দরের মাধ্যমে রপ্তানি করা হতো। ১৮৭১ সালের মধ্যে প্রায় ৮০ টি কারখানায় সুপারফসফেট তৈরি হয়।[১৫]

    প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে গুয়ানো থেকে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হওয়ায় এই ব্যবসা প্রতিযোগিতামূলক চাপের মধ্যে পড়ে, এটি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসমূহে পাওয়া যায় এবং তাদের নিষ্কাশন ও বিতরণ অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হয়ে উঠে।

    দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে[১৬] সাম্রাজ্যিক রাসায়নিক শিল্পকারখানার উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা দেখা যায় যারা ১৯২৩ সালে কৃত্রিম অ্যামোনিয়াম সালফেট, ১৯২৭ সালে নাইট্রো-চক এবং ১৯৩১ সালে অ্যামোনিয়াম ফসফেটের উপর ভিত্তি করে সিসিএফ (ঘনীভূত পরিপূর্ণ সার) নামে একটি আরও ঘনীভূত এবং অর্থনৈতিক ভাবে লাভজনক সার উৎপাদন করে।[১৭] প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ ছিল কারণ আইসিআই বিশ্বের বেশিরভাগ অ্যামোনিয়াম সালফেট এর সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করতো।

    উত্তর আমেরিকা এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহ

    ১৮১২ সালে সালামানকা (স্পেন) এ প্রতিষ্ঠিত কম্পোস্ট সার এবং রাসায়নিক সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিরাত, এটি প্রাচীনতম শিল্প ব্যবসা বলে দাবি করা হয়।

    অন্যান্য ইউরোপীয় এবং উত্তর আমেরিকার সার কারখানাগুলি বাজারের তাদের অংশদারিত্বের উন্নতি করেছিল, বিলাতী অগ্রণী সংস্থাগুলিকে একীভূত করতে বাধ্য করে, ১৯২৯ সালে ফিসন, প্যাকার্ড এবং প্রেন্টিক লিমিটেড উঠে আসে। ১৯৩৪ সালে তারা একসাথে ইপ্সউইচে তাদের নতুন কারখানা এবং গভীর-জলের ডক থেকে প্রতি বছর ৮৫,০০০ টন সুপারফসফেট উৎপাদন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যে তারা ১৯৩৫ সালের হ্যাডফিল্ড সহ প্রায় ৪০ টি সংস্থা অধিগ্রহণ করে, এবং দু’বছর পরে ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশাল অ্যাংলো-কন্টিনেন্টাল গুয়ানো ওয়ার্কস অধিগ্রহণ করে।

    যুদ্ধোত্তর সময়ে “সবুজ বিপ্লব” এর ফলে এবং উচ্চতর নাইট্রোজেন-শোষণকারী নতুন ধরনের বীজ, বিশেষত উচ্চফলনশীল ভুট্টা, গম এবং ধানের জাত উদ্ভাবিত হওয়ায় উৎপাদনের পরিমান অনেক বৃদ্ধি পায়। এটি শক্তিশালী জাতীয় প্রতিযোগিতা উন্নয়ের সাথে রয়েছে কার্টেলের অভিযোগ এবং একচেটিয়া সরবরাহের অভিযোগ এবং শেষ পর্যন্ত সংযুক্তি এবং অধিগ্রহণের আরও একটি ঢেউ। হোল্ডিং সংস্থা বা ব্র্যান্ডের নাম ব্যতীত মূল নামগুলির অস্তিত্ব আর নেই: ফাইসনস এবং আইসিআই এগ্রোকেমিক্যালস আজকের ইয়ারা ইন্টারন্যাশনাল[১৮] এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার অংশ।

    এই বাজারের বর্তমানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আছে রাশিয়ান সার কোম্পানী উরালকলি (লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্ত) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার প্রাক্তন প্রধান মালিক দিমিত্রি রাইবোলোভলেভ ২০০৮ সালের ফোবর্সের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৬০ তম স্থানে ছিলেন।

  • জাতিগত ইতিহাস

    জাতিগত ইতিহাস সামাজিক ইতিহাসের একটি শাখা যা নৃগোষ্ঠী এবং অভিবাসীদের নিয়ে গবেষণা ও অধ্যয়ন করে। বরকান (২০০৭) যুক্তি দেখিয়েছেন যে এই ক্ষেত্রটি ঐতিহাসিকদের ব্যাখ্যার বিকল্প মডেল ব্যবহার করতে, গুণগত এবং পরিমাণগত তথ্য একত্রিত করতে, ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলিতে সমাজতাত্ত্বিক মডেল প্রয়োগ করতে, আরও গভীরভাবে ম্যাক্রো-স্তরের নীতি ও সিদ্ধান্তগুলি পরীক্ষা করতে এবং বিশেষত জাতিগত গোষ্ঠীগুলির সাথে সহানুভূতি লাভ করার অনুমোদন দেয়।

    ক্ষেত্রের সংজ্ঞা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় জাতিগত ইতিহাস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুসংখ্যক পিএইচডি গবেষণা পরিচালক অস্কার হ্যান্ডলিন (জ. ১৯১৫) ছিলেন জাতিগত ঐতিহাসিকতার একজন গুরুত্বপূর্ণ পথিকৃৎ এবং পৃষ্ঠপোষক। হ্যান্ডলিনের পুলিৎজার পুরস্কার প্রাপ্ত দ্য আপ্রোয়েটেডএর (১৯৫১) ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিল।[১]

    প্রধান এনসাইক্লোপিডিয়াগুলো এই ক্ষেত্রটি সংজ্ঞায়িত করতে সহায়তা করেছে; ১৯৮০ সালে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে হ্যান্ডলার একটি প্রকাশনি স্পনসর করে যেটি মিডিয়াতে ব্যাপক মনোযোগ পেয়েছিল কারণ এটি আমেরিকানদের মূলের প্রতি আগ্রহের সাথে জড়িত।[২][৩]

    পেরিন (১৯৮৩) কানাডিয়ান নৃতাত্ত্বিক ইতিহাসের ইতিহাসগ্রন্থের দিকে তাকিয়ে দুটি বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে পেয়েছেন। এর মধ্যেও একটি অধিকতর স্থিতিশীল এবং অভিবাসী সংস্কৃতিগুলি কীভাবে পুরোনো বিশ্বের প্রতিলিপি তৈরি করে তার দিকে জোর দেয়। এই পদ্ধতির ফিলিওপ্যাটিস্টিক হতে থাকে। এই বিকল্প পদ্ধতিটি শ্রম, নগর ও পারিবারিক ইতিহাস সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ইতিহাসবিদদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি অভিবাসী সম্প্রদায়কে একটি উত্তর আমেরিকান মূল বিষয় হিসাবে দেখায় এবং এটিকে কানাডিয়ান সংস্কৃতির মূল স্রোতে সংহত করে।[৪]

    ম্যাকডোনাল্ড (২০০) মার্কিন নৃগোষ্ঠীর ইতিহাসের বিষয়ে পণ্ডিতের জন্য আগ্রহের পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে: জাতিগততার উৎস এবং অর্থ, বিশেষত এটি উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত বা উদ্ভাবিত কিনা তা ইস্যু; জাতিগত বৈচিত্রের উৎস (যেমন বিজয়, অভিবাসন, স্বেচ্ছাসেবী স্থানান্তর); জাতিগত অভিযোজনের মডেল (বিশেষত গলিত পট, মোজাইক, সালাদ বাটি এবং ক্যালিডোস্কোপ রূপক); আলোচ্য দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ফ্যাব্রিক মধ্যে জাতিগত সংহতকরণ; এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর বেঁচে থাকার কৌশলগুলি সহ শ্রেণি এবং লিঙ্গের মতো প্রতিযোগিতামূলক ফর্মগুলির প্রতিক্রিয়া। [৫]

    অভিবাসীরা দেশে ফিরে স্বজনদের যেসব চিঠি লিখেছেন সেগুলো পড়ে অনেক গবেষণা করা হয় যাথেকে তাদের নতুন জীবনের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলির তুলনা করা যায়।[৬]

    উল্লেখযোগ্য প্রবণতা হলো আটলান্টিক ইতিহাস,[৭] শ্রম ইতিহাস বা মহিলাদের ইতিহাসের মতো অন্যান্য নতুন ঐতিহাসিক প্রবণতাগুলির সাথে জাতিগত ইতিহাসকে সংহত করা।

    সংস্থা

    • ইমিগ্রেশন অ্যান্ড এথনিক হিস্ট্রি সোসাইটি ১৯৬৫ সালে গঠিত হয়েছিল এবং এটি লাইব্রেরি ও এর ৮২৯ জন সদস্যদের জন্য একটি জার্নাল প্রকাশ করেছে।[৮]
    • ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত আমেরিকান কনফারেন্স ফর আইরিশ স্টাডিজের ১৭০০ সদস্য এবং মাঝে মাঝে প্রকাশনা রয়েছে তবে কোনো জার্নাল নেই। [৯]
    • আমেরিকান ইতালিয়ান ঐতিহাসিক সমিতি ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর ৪০০ সদস্য রয়েছে; এটিও কোনো জার্নাল প্রকাশ করে না।[১০]
    • মার্কিন ইহুদি ঐতিহাসিক সমিতি হলো ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম জাতিগত সমিতি; এর ৩,৩০০ সদস্য রয়েছে এবং আমেরিকান ইহুদি ইতিহাস নামে একটি জার্নাল প্রকাশ করে।[১১]
    • পোলিশ আমেরিকান ঐতিহাসিক সমিতি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এবং প্রতি বছর দু’বার রেফার্ড করা পণ্ডিত জার্নাল একটি নিউজলেটার এবং পোলিশ আমেরিকান স্টাডিজ প্রকাশ করে। [১২]
    • এইচ-এথনিক একটি দৈনিক আলোচনার তালিকা যা ১৯৯৩ সালে ১৪০০ সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল; এটি বিশ্বব্যাপী জাতিগততা এবং মাইগ্রেশন সম্পর্কিত বিষয়গুলি আয়ত্ত করে। [১৩]

    মন্তব্য

    Oscar Handler and Mary F. Handler, “The New History and the Ethnic Factor in American Life,” Perspectives in American History, 1970, Vol. 4, pp 5-24 Stephan Thernstrom, ed. Harvard Encyclopedia of American Ethnic Groups (1980) excerpt and text search Paul R. Magocsi, ed. Encyclopedia of Canada’s peoples (1999) excerpt and text search Roberto Perin, “Clio as Ethnic: The Third Force in Canadian Historiography,” Canadian Historical Review, Dec 1983, Vol. 64 Issue 4, pp441-467 Jason McDonald. American Ethnic History: Themes and Perspectives. (2007), আইএসবিএন৯৭৮-০-৮১৩৫-৪২২৭-০ Walter D. Kamphoefner, “Immigrant Epistolary and Epistemology: On the Motivators and Mentality of Nineteenth-Century German Immigrants.” Journal of American Ethnic History (2009): 34-54. in JSTOR, on deep-reading their letters Colin Kidd, British Identities before Nationalism: Ethnicity and Nationhood in the Atlantic World, 1600-1800 (1999) See Immigration and Ethnic History Society See American Conference for Irish Studiesওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০১১-০১-০৯ তারিখে See American Italian Historical Associationওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ৩ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে See American Jewish Historical Society and journalওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ১২ মে ২০২২ তারিখে See PAHA websiteওয়েব্যাক মেশিনেআর্কাইভকৃত ২০১৭-১২-২৩ তারিখে

    1. see H-ETHNIC wite

    গ্রন্থপঞ্জী

    • বরকান, এলিয়ট আর। “চেঞ্জিং বর্ডারস, মুভিং বাউন্ডারিস: পঞ্চাশ বছর অন্তর্দ্বন্দ্বী ও বহু-জাতিগত গবেষণা থেকে পাঠ,” আমেরিকান এথনিক ইতিহাসের জার্নাল, জানুয়ারী 2007, খণ্ড। 26 সংখ্যা 2, পিপি 85-99
    • গ্যাব্যাকিয়া, ডোনা আর এবং রুইজ, ভিকি এল।, এড। আমেরিকান ড্রিমিং, গ্লোবাল রিয়ালিটিস: ইউএস ইমিগ্রেশন ইতিহাসের পুনর্বিবেচনা
    • গ্লাজিয়ার, মাইকেল, এড। আমেরিকাতে আইরিশ-এর এনসাইক্লোপিডিয়া (১৯৯)), ২০০-র উপরে বিশেষজ্ঞের নিবন্ধ, ক্যাথলিক এবং প্রোটেস্ট্যান্ট উভয়কেই কভার করে।
    • হোয়ার্ডার, ডার্ক “১৮৮০ থেকে ১৯62২ সাল পর্যন্ত কানাডায় জাতিগত পড়াশোনা: একটি ographতিহাসিক নিদর্শন এবং সমালোচনা,” কানাডিয়ান এথনিক স্টাডিজ, ১৯৯৪, খণ্ড। 26 সংখ্যা 1, পিপি 1-18
    • লেভিনসন, ডেভিড। জাতিগত গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী: একটি প্রস্তুত রেফারেন্স হ্যান্ডবুক, (1998), আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৭৩৫৬-০১৯-১
    • ম্যাকডোনাল্ড, জেসন আমেরিকান জাতিগত ইতিহাস: থিম এবং দৃষ্টিভঙ্গি । (2007) আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮১৩৫-৪২২৭-০ [১]
    • মাগোসি, পল রবার্ট, এড। কানাডার পিপলস এর এনসাইক্লোপিডিয়া (১৯৯৯), প্রায় সমস্ত নৃগোষ্ঠীর জন্য বিস্তৃত বিদ্বান গাইড
    • মিনাহান, জেমস একটি ইউরোপ, বহু দেশ: ইউরোপীয় জাতীয় গোষ্ঠীর একটি historicalতিহাসিক অভিধান (2000), আইএসবিএন ০-৩১৩-৩০৯৮৪-১
    • Landভারল্যান্ড, Orm, এড। কেবল ইংলিশ নয়: আমেরিকান স্টাডিজে “আমেরিকান” এর নতুন সংজ্ঞা দেওয়া (আমস্টারডাম: ভিইউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস, 2001)। 202 পিপি।
    • পামার, হাওয়ার্ড “1970 এবং 1980 এর দশকে কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন এবং জাতিগত ইতিহাস,” আন্তর্জাতিক অভিবাসন পর্যালোচনা, পতন 1981, খণ্ড। 15 সংখ্যা 3, পিপি 471 47501
    • থারনস্ট্রম, স্টিফান, এডি। আমেরিকান জাতিগত গোষ্ঠীর হার্ভার্ড এনসাইক্লোপিডিয়া (1980) অংশ এবং পাঠ্য অনুসন্ধান

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • গ্রামীণ ইতিহাস

    গ্রামীণ ইতিহাস হলো গ্রামীণ সমাজের ইতিহাস কেন্দ্রিক ঐতিহাসিক গবেষণার একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র। প্রতিষ্ঠার সময়, এই ক্ষেত্রটি ছিলো কৃষি-অর্থনৈতিক ইতিহাসভিত্তিক। ১৯৮০ এর দশক থেকে এটি ক্রমশ সামাজিক ইতিহাস দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অর্থনৈতিক দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা “কৃষি ইতিহাস” থেকে সরে এসেছে। এটিকে নগর ইতিহাসের সমতুল্য হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

    গ্রামীণ ইতিহাসের প্রচারের জন্য প্রচুর শিক্ষায়তনিক সাময়িকী (একাডেমিক জার্নাল) এবং বিদ্বৎসমাজ (শিখন সমাজ) রয়েছে।

    ইতিহাস

    ১৯৮০ এর দশকে গ্রামীণ ইতিহাস কৃষির ইতিহাস থেকে স্বতন্ত্র শাখা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং ফরাসি অ্যানালিস স্কুল দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল যা অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসকে একীকরণের পক্ষে ছিল। [১] প্রাথমিকভাবে এটি গ্রামীণ জীবনের সামাজিক ইতিহাসের দিকে মনোনিবেশ করে এবং পরে ক্রমশ সাংস্কৃতিক ইতিহাসে আগ্রহী হয়ে ওঠে। [১]

    ইউরোপে গ্রামীণ ইতিহাস অধ্যয়নকে ইউরোপীয় গ্রামীণ ইতিহাস সংস্থা (ইআরএইচও) পরিচালনা করে থাকে।

    জাতীয় অধ্যয়ন

    ব্রিটেন

    বুর্চার্ড (২০০৭) ইংরেজি গ্রামীণ ইতিহাসের অবস্থা মূল্যায়ন করেন এবং একটি “অর্থোডক্স” বিদ্যালয়ের উপর দৃষ্টিনিবদ্ধ করেন যা প্রধানত কৃষির অর্থনৈতিক ইতিহাস নিয়ে কাজ করে। একটি ভিন্নধারার ঐতিহ্য থেকে একটি চ্যালেঞ্জ এসেছিল যা প্রধানত কৃষির অগ্রগতির ঋণাত্মক সামাজিক ব্যয়ের প্রতি নজর দিয়েছিলো, বিশেষত ঘেরের (বেড়া বা বেষ্টনী) বিষয়ে। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সেখানে একটি নতুন স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, যা রুরাল হিস্টোরিজ সাময়িকীর সাথে যুক্ত। অর্থোডক্স ঐতিহাসিকরা কৃষি বিপ্লবের পর থেকে আউটপুট এবং উত্পাদনশীলতার বৃদ্ধির পরিমাণ নির্ধারণ ও ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে “চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি” করেছিলেন। অ্যালুন হকিন্সের দিকনির্দেশনায়,[২] এটি গ্রামীণ ব্রিটেনকে একটি বিস্তৃত সামাজিক ইতিহাসের সাথে যুক্ত করেছে। বার্চার্ড ২০তম শতাব্দীর গ্রামীণ জীবনকে রুপদানকারী সংস্কৃতি ও প্রতিনিধিত্বমূলক দিকগুলিতে আরও বেশি মনোযোগ দিয়ে একটি নতুন গ্রামীণ ইতিহাসের আহ্বান জানিয়েছেন। [৩]

    যুক্তরাষ্ট্র

    বাস্ক অঞ্চলের কৃষকরা

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ গ্রামীণ ইতিহাস দক্ষিণ অঞ্চলের দিকেই মনোনিবেশ করেছে—১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত যা প্রবলভাবে গ্রাম্য ছিলো। তবে উত্তর অঞ্চলেরও একটি “নতুন গ্রামীণ ইতিহাস” রয়েছে। কৃষিনির্ভর পুঁজিবাদী হওয়ার পরিবর্তে কৃষকরা পরিবার ও সম্প্রদায়ের উপর জোর দেওয়া প্রাক-প্রাকৃতিক পুঁজিবাদী মূল্যবোধকে ধরে রেখেছিল। গ্রামীণ অঞ্চল জনসংখ্যার স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছিলো; আত্মীয়তার সম্পর্কগুলি গ্রামীণ অভিবাসী জনবসতি এবং সম্প্রদায়ের কাঠামো নির্ধারণ করেছিলো; এবং খামারের কাজকে মহিলাদের কাজ হিসাবে উত্সাহিত করেছিল। এই অনুসন্ধানগুলি পুরোনো সীমান্তবর্তী অঞ্চলের পাওয়া ইতিহাসের পাশাপাশি নতুন নগর ইতিহাসের সাথেও তীব্র বৈপরীত্যমূলক।[৪]

    ২০তম শতাব্দীতে যান্ত্রিকীকরণের আগমনের ফলে গ্রামীণ কৃষিতেও আধুনিকীকরণ এসেছিল। মডেল টি (T), কৃষি প্রতিনিধি (এজেন্ট) এবং পাশাপাশি বেতারযন্ত্রও (রেডিও) এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।[৫]

    ফ্রান্স

    ১৯২০ এর দশক থেকেই গ্রামীণ ইতিহাস ফরাসি পণ্ডিতদের কাছে একটি প্রধান বিশেষ বিষয় হয়ে আছে, এজন্য বিশেষত আনালেস স্কুলের কেন্দ্রীয় ভূমিকা অনস্বীকার্য। এর জার্নাল আনালেস সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাস, পরিসংখ্যান, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, পারিবারিক অধ্যয়ন এবং এমনকি মনোবিশ্লেষণ থেকে শনাক্তকরণপূর্বক ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলি সমন্বয়ের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। [৬]

    বিশেষায়িত জার্নাল

    গ্রামীণ ইতিহাসের উপর একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যবিন্দু নিয়ে একাধিক একাডেমিক জার্নাল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

    • কৃষি ইতিহাস (১৯২৭–), যুক্তরাষ্ট্র
    • কৃষি ইতিহাস পর্যালোচনাকৃষি ও পল্লী ইতিহাসের একটি জার্নাল (১৯৫৩–), যুক্তরাজ্য
    • হিস্টোয়ার এবং সোসাইটিস রুরালস (১৯৯০–), ফ্রান্স
    • গ্রামীণ ইতিহাস। অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি (১৯৯০–), যুক্তরাজ্য

    গ্রন্থপঞ্জি

    • ব্লাচ, মার্ক। ফরাসি গ্রামীণ ইতিহাস: এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলির একটি প্রবন্ধ (১৯৬৬) সংক্ষিপ্তসার এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • ব্লুম, জেরোম গ্রামীণ ইউরোপে পুরানো আদেশের সমাপ্তি (১৯৭৮) পৃ. ৫০৫
    • ব্রেনার, রবার্ট “প্রাক-শিল্প ইউরোপে কৃষি শ্রেণিবদ্ধ কাঠামো এবং অর্থনৈতিক বিকাশ”। অতীত এবং বর্তমান ৭০ (১৯৭৬), পৃ; ৩-৭৪, বিতর্কিত “ব্রেনার থিসিস” এর প্রভাবশালী বক্তব্য যে ক্ষুদ্রতর কৃষকরা জমির অধিকারের অধিকারী ছিল এবং প্রচলিত প্রযুক্তি ছেড়ে দিতে বা স্থানীয় বাজারের বাইরে যাওয়ার জন্য তেমন উত্সাহ ছিল না এবং এভাবেই পুঁজিবাদের প্রতিও কোন উত্সাহ ছিল না।
    • সিপোল্লা, শিল্প বিপ্লবের আগে মুখ্যমন্ত্রী ড ইউরোপীয় সমাজ এবং অর্থনীতি, ১০০০-১৭০০ (দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯৭৬)
    • ফেদেরিকো, জিওভান্নি। বিশ্বকে খাওয়ানো: বিশ্ব কৃষির একটি অর্থনৈতিক ইতিহাস, ১৮০০-২০০০। (২০০৫)। পৃ. ৩৮৮ উদ্ধৃতাংশ এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • ফরস্টার, আর, এবং ও রানাম, এডিএস। ফ্রান্সের গ্রামীণ সমাজ। আনালেস অর্থনীতি, সমাজ, সভ্যতা থেকে নির্বাচন (১৯৭৭)।
    • গুডি, জ্যাক, জোয়ান থারস্ক এবং ইপি থম্পসন, এডিএস। পরিবার এবং উত্তরাধিকার: পশ্চিম ইউরোপের গ্রামীণ সোসাইটি, ১২০০-১৮০০ (১৯৭৬)।
    • গ্রাস, নরম্যান ইউরোপ ও আমেরিকার কৃষির ইতিহাস, (১৯২৫)। অনলাইন সংস্করণ
    • হের, রিচার্ড, এড। পশ্চিমা বিশ্বের গ্রামীণ ইতিহাসের থিমস (১৯৯৩) (হেনরি অ্যা ওয়ালাস সিরিজ অ্যাগ্রিকালচারাল হিস্ট্রি অ্যান্ড পল্লী স্টাডিজ) সংক্ষিপ্তসার এবং পাঠ্য অনুসন্ধান
    • হফম্যান; একটি মধ্যযুগীয় পল্লীতে রিচার্ড সি ল্যান্ড, লিবার্টিজ এবং লর্ডশিপ: কৃষি স্ট্রাকচারস অ্যান্ড চেচ অফ ডুচি অফ রোকলা (১৯৮৯), মধ্যযুগীয় পোল্যান্ড অনলাইন সংস্করণ
    • লেআরয় লাডুরি, ই। দ্য পেজেন্টস অফ ল্যাঙ্গুইডোক (১৯৭৪), মধ্যযুগীয় ফ্রান্স
    • লুডেন, ডেভিড। দক্ষিণ এশিয়ার একটি কৃষি ইতিহাস (১৯৯৯) অনলাইন সংস্করণ
    • ভিনজে, ভিক্টর কন্ডোসার্ট। উত্তরের বহুমুখী কৃষকরা; অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক শক্তির জন্য নরওয়েজিয়ান ইয়েমেনের স্ট্রাগল, ১৭৫০-১৮১৪ (২০১৪) নিসাস পাবলিকেশনস।

    ব্রিটেন

    • বাটলিন, আরএ দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ রুরাল ইংল্যান্ড, ১৫৮০-১৮০০: ঐতিহাসিক ভূগোলের একটি গবেষণা (১৯৮২)
    • হানাওয়াল্ট, বারবারা এ । টাইস দ্যা বাউন্ড। মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের কৃষক পরিবার (১৯৮৬)
    • হিল্টন, আরএইচ পরবর্তী যুগের ইংরেজ কৃষক (১৯৭৫)।
    • হাওকিন্স, আলুন পল্লী ইংল্যান্ড পুনঃনির্মাণ ১৮৫০-১৯২৫ (১৯৯২)
    • হাওকিন্স, আলুন দি ডেথ অফ পল্লী ইংল্যান্ড: ১৯০০ সাল (২০০৩) অনলাইন সংস্করণ থেকে পল্লীর এক সামাজিক ইতিহাস
    • কুসমৌল, অ্যান। আদি আধুনিক ইংল্যান্ডে স্বামী-দাসীরা (১৯৮১)
    • মিঙ্গা, জিই, এড। ভিক্টোরিয়ান পল্লী (২য় খণ্ড ১৯৮১)
    • টেলর, ক্রিস্টোফার গ্রাম এবং ফার্মস্টেড ইংল্যান্ডের গ্রামীণ বন্দোবস্তের ইতিহাস (১৯৮৩)।

    যুক্তরাষ্ট্র

    • আমেরিকান কৃষির সাইক্লোপিডিয়া; এলএইচ বেইলি সম্পাদিত কৃষির অবস্থার একটি জনপ্রিয় সমীক্ষা, ৪র্থ খণ্ড ১৯০৭-১৯০৯। অনলাইন সংস্করণ অত্যন্ত দরকারী সংকলন
    • ব্যারন, হাল এস মিক্সড হারভেস্ট: পল্লী উত্তরের দ্বিতীয় দুর্দান্ত রূপান্তর, ১৮৭০-১৯৩০ (১৯৯৭) অনলাইন সংস্করণ
    • বোয়ার্স, উইলিয়াম এল । আমেরিকাতে কান্ট্রি লাইফ মুভমেন্ট, ১৯০০-১৯২০ (১৯৭৪)
    • ব্রুনার, এডমন্ড ডি শোয়েঞ্জ। গ্রামীণ সামাজিক প্রবণতা (১৯৩৩) অনলাইন সংস্করণ
    • ড্যানবম, ডেভিড বি । দেশে জন্ম: গ্রামীণ আমেরিকার ইতিহাস (১৯৯৫)
    • জিজারড, জন পশ্চিমের মন: গ্রামীণ মধ্য পশ্চিমে জাতিগত সংস্কৃতি বিবর্তন, ১৮৩০-১৯১৭ (১৯৯৭)
    • গোরহাম, গ্যারি এ এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রুরাল আমেরিকা (২ য় খণ্ড ১৯৯৭); পৃ. ৪৩৮; শিল্প, ব্যবসায়, সম্প্রদায় বিকাশ, অর্থনীতি, শিক্ষা, পরিবেশগত সমস্যা, পরিবার, শ্রম, জীবনযাত্রার মান, বিনোদন এবং খেলাধুলার উপর বিশেষজ্ঞদের ২৩২ টি প্রবন্ধ
    • হার্ট, ডগলাস, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পল্লী দক্ষিণ (১৯৯৮)
    • কির্বি, জ্যাক মন্দির। গ্রামীণ পৃথিবী হারিয়ে গেছে: আমেরিকান দক্ষিণ ১৯২০-১৯৬০ (১৯৮৭)
    • কুলিকফ; অ্যালান ব্রিটিশ কৃষক থেকে শুরু করে উপনিবেশিক আমেরিকান কৃষক (২০০০) অনলাইন সংস্করণ
    • লাক, জন। “‘সময়ের নিরব আর্টিলারি’: গ্রামীণ মিডওয়েষ্টে সামাজিক পরিবর্তন বোঝা,” দুর্দান্ত সমতল ত্রৈমাসিক ১৯ (পতন ১৯৯৯)
    • শেফার, জোসেফ আমেরিকান কৃষির সামাজিক ইতিহাস (১৯৩৬) অনলাইন সংস্করণ
    • উইডেন, উইলিয়াম ব্যাবকক। নিউ ইংল্যান্ডের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস, ১৬২০-১৭৮৯ (১৮৯১) পৃষ্ঠা. ৯৬৪ অনলাইন সংস্করণ

    নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়াম

    কার্টিস, ডি, ‘ প্রাক-শিল্প নিম্ন দেশগুলির গ্রামীণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইতিহাসের প্রবণতা: বিগত পাঁচ বছরের জার্নাল এবং বইগুলির সাম্প্রতিক থিম এবং ধারণাগুলি ( ২০০৭-২০১৩ ), বিএমজিএন-তে পর্যালোচনা প্রবন্ধ : নিম্ন দেশগুলির ঐতিহাসিক পর্যালোচনা ১২৮.৩ (২০১৩) ৬০-৯৫।

    ইতিহাস লিখন

    আলফোনসো, ইসাবেল। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় সমাজের পল্লী ইতিহাস।প্রবণতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি , টার্নআউট: ব্রেপোলস (মধ্যযুগীয় পল্লী, ১), ২০০৭। অ্যাটাক, জেরেমি “একবিংশ শতাব্দীতে কৃষি ইতিহাস গবেষণার জন্য উনিশ শতকের রিসোর্স।” কৃষি ইতিহাস ২০০৪ ৭৮ (৪): ৩৮৯-৪১২। আইএসএসএন0002-1482 ফুলটেক্সট: ক্যালিফোর্নিয়া জার্নালস এবং পাণ্ডুলিপি আদমশুমারি থেকে পৃথক আমেরিকান কৃষকদের একটি বৃহত কম্পিউটারাইজড ডাটাবেসে। ব্ল্যাঙ্ক, ডেভিড “গ্রাহক পছন্দ, সংস্থা এবং গ্রামীণ ইতিহাসের নতুন দিকনির্দেশ,” কৃষি ইতিহাস ৮১#২ (বসন্ত ২০০৭), ১৮২-২০৩। বগু, অ্যালান জি। “পল ওয়ালেস গেটস এবং জেমস সি ম্যালিনের সাথে কৃষিকাজের ইতিহাসের কথা বলা” কৃষি ইতিহাস ২০০৬ ৮০ (৪): ৪৩৬-৪৪০। আইএসএসএন0002-1482আইএসএসএন0002-1482 ফুলটেক্সট: ইবস্কোতে বুর্চার্ড, জেরেমি “কৃষি ইতিহাস, গ্রামীণ ইতিহাস, বা গ্রামাঞ্চলের ইতিহাস?” ঐতিহাসিক জার্নাল ২০০৭ ৫০ (২): 465-481। আইএসএসএন0018-246Xআইএসএসএন0018-246X বার্টন, ভার্নন ও। “আমরা যা বপন করি সেগুলি কাটা: সম্প্রদায় এবং গ্রামীণ ইতিহাস,” কৃষি ইতিহাস, পতন ২০০২, খণ্ড. ৭৬ ইস্যু ৪, পৃষ্ঠা. ৬৩০–৫৮ জেএসটিওআর-এ ডায়ার, সি। “মধ্যযুগের গ্রামীণ ইতিহাসের অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত”। গ্রামীণ ইতিহাস: অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ১:১ (১৯৯০), পৃষ্ঠা; ৩৭-৪৯ সুইরিঙ্গা, রবার্ট পি। “নতুন গ্রামীণ ইতিহাসের তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি: পরিবেশবাদ থেকে আধুনিকীকরণের দিকে,” কৃষি ইতিহাস ৫৬#৩ (জুলাই ১৯৮২): ৪৯৫-৫০২, যুক্তরাষ্ট্রে ফোকাস

  • ওদালগুড়ি

    ওদালগুড়ি (অসমীয়া: ওদালগুৰি; /ˌɒdɑːlˈɡʊəri/) হল ভারতের আসাম রাজ্যের বড়োল্যান্ড এখতিয়ার অধীনে একটি শহর ও ওদালগুরি জেলার সদর দপ্তর, যা আসাম রাজ্যের বোড়োল্যান্ড ক্ষেত্রীয় অঞ্চল জেলা নিয়ন্ত্রণ করে।

    ভূগোল

    ওদালগুড়ি ২৬.৭৪৫২° উত্তর ৯২.০৯৬২° পূর্ব এ অবস্থিত।[১] সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে এর গড় উচ্চতা ১৮০ মিটার বা ৫৯০ ফুট।

    রাজনীতি

    ওদালগুড়ি মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত।[২]

  • আসরমাম

    আসরমাম (মালয়ালম: ആശ്രാമം) আশ্রম ভারতের কেরালার কোলম শহর, প্রধান প্রধান স্থানগুলির একটি।এটি কোল্লাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের৫৫ ওয়ার্ডগুলির মধ্যে একটি। [১] আশরাম শহরের পুরনো এয়ারপোর্ট, পাবলিক / প্রাইভেট ইনস্টিটিউট, পর্যটন গন্তব্যস্থল, উদ্যান, হাসপাতাল ইত্যাদির উপস্থিতির কারণে শহরের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। কেরল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের কোনও শাখা বর্তমানে বিদ্যমান সবচেয়ে বড় খোলা জায়গা আসামাম ময়দান । আসারামে < কেরালা রাজ্যের প্রথম বিমানবন্দর, কোল্লাম এয়ারপোর্ট, এই ময়দানে কাজ করে। [২] আসরাম ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের কোল্লাম শাখা এবং ভারতের ক্রীড়া সংস্থার সদর দপ্তর। [৩] লিংক রোড, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলির একটি, আসরাম দিয়ে অতিক্রম করে। আসামামে এক এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক হকি স্টেডিয়াম আসছে। [৪]

    গুরুত্ব

    আওরঙ্গম কোল্লাম শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির একটি।এশাদাম এলাকাতে শহরটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ অ্যাডভেঞ্চার পার্ক, চিলড্রেন পার্ক, পিকনিক গ্রাম এবং ব্রিটিশ রেসিডেন্সি অবস্থিত। [৫][৬][৭][৮] এই অঞ্চলের পুরু মংগ্রু বন সমগ্র রাষ্ট্রের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। [৯] আসারামের কাছাকাছি শহরের অনেক বিখ্যাত হাসপাতাল অবস্থিত।সাংকর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এসআইএমএস, ডাঃ নায়ারের হাসপাতাল, ইসিআইসি মডেল এবং সুপার স্প্যানিশ হাসপাতাল ইত্যাদি আসরামের কাছাকাছি বিখ্যাত হাসপাতাল। [১০][১১]

    আসরমাম
    ആശ്രാമം
    আশ্রমাম
    উপকন্ঠিও শহর
    আসরমাম লিংক রোড
    আসরমামআসরমামকোল্লমের মানচিত্রে দেখুনকেরলের মানচিত্রে দেখুনভারতের মানচিত্রে দেখুনসব দেখানভারতে কোল্লমের অবস্থান
    স্থানাঙ্ক: ৮.৮৯৫৮৮৮° উত্তর ৭৬.৫৯২০৯২° পূর্ব
    দেশ ভারত
    রাজ্যকেরালা
    জেলাকোল্লাম জেলা
    সরকার
     • শাসককোল্লম পৌরসভা কর্পোরেশন (কেএমসি)
    ভাষা
     • অফিসিয়ালমালয়ালম, ইংরেজি
    সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
    PIN691002
    যানবাহন নিবন্ধনKL-02
    Lok Sabha constituencyকোল্লম
    Civic agencyKollam Municipal Corporation
    Avg. summer temperature৩৪ °সে (৯৩ °ফা)
    Avg. winter temperature২২ °সে (৭২ °ফা)
    ওয়েবসাইটhttp://www.kollam.nic.in
  • শহর

    শহর, নগর বা নগরী বলতে সাধারণত এমন একটি ঘনবসতিপূর্ণ বৃহৎ পৌর এলাকাকে বোঝায়, যেটি পারিপার্শ্বিক অঞ্চলের একটি কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে ও সেখানকার অধিবাসীদের জন্য বিশেষায়িত সেবা প্রদান করে থাকে। কোনও পৌরবসতির জনসংখ্যার আকার বা এর এলাকার আয়তন ন্যূনতম কতটুকু হলে সেটিকে শহর বলা যায়, এ ব্যাপারে কোনও বিশ্বব্যাপী ঐকমত্যভিত্তিক সংজ্ঞা নেই।[১][২]

    শহর এক ধরনের মানববসতি। শহরের চেয়ে উত্তরোত্তর ছোট বসতিগুলিকে ছোট শহর (টাউন), গ্রামছোট গ্রাম (হ্যামলেট) বলা হয়। অন্যদিকে শহরের চেয়ে উত্তরোত্তর বড় বসতিগুলিকে মহানগরী, অতিমহানগরী, পৌরপুঞ্জমহাপৌরপুঞ্জ নামে ডাকা হয়। শহরকে কীভাবে অর্থের দিক দিয়ে ছোট শহর থেকে আলাদা করা হয়, সে বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। তবে সাধারণত একটি শহরকে দুই বা ততোধিক প্রশাসনিক এলাকায় ভাগ করা হয়ে থাকে এবং শহরকে ঘিরে উপশহর বা শহরতলী থাকে, যেগুলি ছোট শহরের বেলায় প্রযোজ্য নয়। অনেক শহরের নিজস্ব প্রশাসন, ইতিহাস এবং আইন রয়েছে। সাধারণত একটি শহরের পয়োঃনিষ্কাশন, ভূমির ব্যবহার, গৃহায়ন, পরিবহন, আইন-শৃঙ্খলানিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে নিজস্ব নিয়মকানুন ও ব্যবস্থা থাকে। শহরের বিকাশ মানুষ এবং ব্যবসার প্রসার ঘটাতে সহায়তা করে। শহর প্রায়শই গ্রাম দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। এখানে চাকরির সুযোগ-সুবিধাও বেশি থাকে। কালক্রমে একটি বর্ধনশীল শহরের আশেপাশের এলাকাগুলিও ঐ শহরের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত হতে শুরু করে।

    শহরে বসবাসের অনেক অসুবিধা যেমন আছে (যেমন কোলাহল, দূষণ, ভিড়, অপরাধ, ফুটপাথ দখল, ইত্যাদি), তেমনি গ্রামের তুলনায় শহরে বসবাস করা অনেক দিক থেকেই সুবিধাজনক। যখন অনেক মানুষ শহরের মতো একটি ক্ষুদ্র এলাকাতে গুচ্ছবদ্ধ হয়ে বাস করতে ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড করতে শুরু করে, তখন তাকে পিণ্ডীভবন (agglomeration) বলে। এর ফলে হাজার হাজার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের জন্য বিরাট দূরত্ব পাড়ি দেবার অসুবিধা কমে যায়। আদর্শ দৃষ্টিকোণ থেকে শহর হচ্ছে মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণের নিশ্চয়তা প্রাপ্তির একটি স্থান যেখানে মানুষ বসবাস, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষার সুব্যবস্থা, কর্মের সুযোগ, সামাজিক যোগাযোগ ও খেলাধুলা-বিনোদনের জন্য সুবিধাজনক একটি স্থান। শহরে গণপরিবহনের ব্যয় কম, আর অবকাঠামোর খরচও এককভাবে ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে বা পরিচিতদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়, যে ব্যাপারটিকে “পিণ্ডীভবনের অর্থনীতি” বলে। এটি একটি নগর স্থাপত্য উৎপত্তির অন্যতম মূল কারণ। নগর জীবনের সুবিধা ও অর্থনৈতিক লাভের কারণে উন্নত বিশ্বের দেশগুলিতে সিংহভাগ নাগরিক শহরে বাস করে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার ৯৫% জনগণই কোনও না কোনও শহরে বাস করে।

    উৎপত্তি

    শহর কেন উৎপত্তি লাভ করে সে বিষয়ে কোন নির্ধারিত প্রমাণ নেই। তবে অনেক তত্ত্ববিদ ধারণা করেন, কিছু মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর তাগিদেই শহর জন্মলাভ করে।

    ধারণা করা হয়, কৃষি বিপ্লব শহর সৃষ্টির মূল। এই বিপ্লব কৃষির উদ্ভাবন করায়। এরফলে মানুষ খাদ্য উৎপাদনের তাগিদে স্থায়ীভাবে একস্থানে বসবাস শুরু করে। এই ঘন জনবসতির ফলেই ধীরে ধীরে শহর গড়ে ওঠে।[৩] পল বাইরোচ তার শহর এবং অর্থনৈতিক উন্নতি বইয়ে বলেন, কৃষির ফলেই মানুষ একসাথে বসবাস করার প্রয়োজন অনুভব করে এবং এই মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর জন্যই মানুষ শহর গড়ে তোলে।

    গ্রামীণ তত্ত্ববিদ জেন জ্যাকবস বলেন, শহরের উৎপত্তিই কৃষির আবিষ্কারকে তরান্বিত করে, তবে তার এ যুক্তি অকাট্য বলে মেনে নেয়া হয় না।[৪]

    ভূগোল

    হারলেম-এর মানচিত্র১৫৫০ সালের দিকে জেরুজালেমের একটি শহর থেকে অনুপ্রানিত। এটি দেয়াল এবং প্রতিরক্ষামূলকখাল দ্বারা ঘেরা।

    বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে শহরকে সাজানো হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রিড পদ্ধতিতে শহর তৈরি হয়। হাজার বছর আগে চীনে এই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের পরিকল্পনাবিদ ডিনোক্রেটস অব রোডস এই পরিকল্পনা করেছিলেন।

    স্থান-নামে “নগর” প্রত্যয়ের ব্যবহার

    দক্ষিণ এশিয়ায় স্থান-নামে প্রত্যয় হিসেবে নগর শব্দের বহুল প্রচলন আছে। যেমন –

    উপজেলার নামে “নগর”

    বাংলাদেশে নগর প্রত্যয়যুক্ত ১৫টি উপজেলা আছে। যথা,

    ইউনিয়নের নামে “নগর”

    কাঞ্চন নগর, ফটিকছড়ি উপজেলা

  • মানচিত্র

    মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • পিরি রেইসের মানচিত্র

    পিরি রেইসের মানচিত্র ১৫১৩ সালে অঙ্কিত একটি বিশ্ব মানচিত্র যেটি মধ্যযুগের উসমানীয় অ্যাডমিরাল মানচিত্রাঙ্কনবিদ পিরি রেইস কর্তৃক প্রস্তুতকৃত। মানচিত্রের প্রায় এক তৃতীয়াংশ পাওয়া গেছে; এটি ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার পশ্চিম উপকূল এবং ব্রাজিলের উপকূলকে নির্ভুলতার সাথে চিত্রায়িত করে। আজোরেস এবং ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ সহ বিভিন্ন আটলান্টিক দ্বীপ, যেমন টিলিয়া এবং সম্ভবত জাপানকে পৌরাণিক দ্বীপ হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।

    বিবরণ

    এই মানচিত্রটি হরিণের চর্মে অঙ্কিত এবং বিভিন্ন বর্ণনায় এর মাপ হচ্ছেঃ ৯০ সে.মি. × ৬৩ সে.মি.,[২][৩] ৮৬ সে.মি. × ৬০ সে.মি.,[৪] ৯০ সে.মি. × ৬৫ সে.মি.,[৫][৬][৭] ৮৫ সে.মি. × ৬০ সে.মি.,[৮][৯] ৮৭ সে.মি. × ৬৩ সে.মি.,[১০] এবং ৮৬ সে.মি. × ৬২ সে.মি.।[১১]

    আরও দেখুন