Category: আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি international affair

  • ২০১৯ বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ

    ২০১৯ বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ

    ২০১৯ সালের বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ জার্মানির স্টুটগার্টে ৪ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। [১] চ্যাম্পিয়নশিপ হ্যানস-মার্টিন-স্লেয়ার-হ্যালে অনুষ্ঠিত হবে, ১৯৮৯ এবং ২০০৭ এর পরে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপটি স্টুটগার্ট শহরে আয়োজিত হচ্ছে আর পঞ্চমবারের মতো জার্মানিতে এটির আয়োজন হচ্ছে।

    ২০১৯ বিশ্ব আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ

    ১ অক্টোবর পর্যন্ত ৯২টি ফেডারেশন এই চ্যাম্পিয়নশিপে তাদের জিমন্যাস্টদের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছে, মোট ২৮৯ জন পুরুষ এবং ২৫৯ জন মহিলার নাম রয়েছে।[২]

    প্রতিযোগিতার সময়সূচী

    স্থানীয় সময় অনুযায়ী (UTC + 2)। [৩]

    তারিখসেশনসময়উপবিভাজনগুলি
    বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবরউদ্বোধনী অনুষ্ঠান
    শুক্রবার, ৪ অক্টোবরমহিলাদের বাছাইসকাল ৯.০০ টাওয়াগ: উপবিভাজন-১
    সকাল ১১:০০ টাওয়াগ: উপবিভাজন-২
    দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটওয়াগ: উপবিভাজন-৩
    সাড়ে তিনটায়ওয়াগ: উপবিভাজন-৪
    বিকাল ৬:০০ওয়াগ: উপবিভাজন-৫
    রাত ৮:০০ টাওয়াগ: উপবিভাজন-৬
    শনিবার, ৫ অক্টোবরসকাল ৯:০০ওয়াগ: উপবিভাজন-৭
    সকাল ১১:০০ টাওয়াগ: উপবিভাজন-৮
    দুপুর ১:৩০ওয়াগ: উপবিভাজন-৯
    বিকাল ৩:৩০ওয়াগ: উপবিভাজন-১০
    বিকাল ৬:০০ওয়াগ: উপবিভাজন-১১
    রাত ৮:০০ওয়াগ: উপবিভাজন-১২
    রবিবার, ৬ অক্টোবরপুরুষদের বাছাইসকাল ১০:০০ম্যাগ: উপবিভাজন-১
    দুপুর ১:০০ম্যাগ: উপবিভাজন-২
    বিকাল ৪:৩০ম্যাগ: উপবিভাজন-৩
    রাত ৭:৩০ম্যাগ: উপবিভাজন-৪
    সোমবার, ৭ অক্টোবরসকাল ১০:০০ টাম্যাগ: উপবিভাজন-৫
    দুপুর ১:০০ম্যাগ: উপবিভাজন-৬
    বিকাল 4.30ম্যাগ: উপবিভাজন-৭
    7:30 অপরাহ্নম্যাগ: উপবিভাজন-৮
    মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবরমহিলা দলগত ফাইনাল2: 30–5: 05 অপরাহ্নবাছাই থেকে শীর্ষ ৮ জন
    বুধবার, ৯ অক্টোবরপুরুষদের দলগত ফাইনাল১:৪৫-৫:০০ অপরাহ্ন
    বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবরমহিলাদের ব্যক্তিগত অল-রাউন্ড ফাইনাল৪:০০–৬:৪৫ অপরাহ্নবাছাই থেকে শীর্ষ ২৪ জন
    শুক্রবার, ১১ অক্টোবরপুরুষদের ব্যক্তিগত অল-রাউন্ড ফাইনাল৪:০০–৭:২৫ অপরাহ্ন
    শনিবার, ১২ অক্টোবরএপারেটাস ফাইনাল৪:০০–৭:৫০ অপরাহ্নম্যাগ : ফ্লোর, পমেল হর্স, রিং
    ওয়াগ : ভল্ট, আনইভেন বার
    রবিবার, ১৩ অক্টোবর১:০০–৪:৫০ অপরাহ্নম্যাগ : ভল্ট, প্যারালাল বার, হরিজন্টাল বার
    ওয়াগ : ব্যালেন্স বিম, ফ্লোর
    সমাপনী অনুষ্ঠানে

    একনজরে পদক তালিকা

    পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি

    তারকাচিহ্নিত (*) নামগুলি দলকে বিকল্প হিসাবে চিহ্নিত করে।

    ইভেন্টস্বর্ণরূপাব্রোঞ্জ
    পুরুষ


    দলগত


    ব্যক্তিগত অল-রাউন্ড




    ফ্লোর



    পমেল হর্স



    রিং



    ভল্ট



    প্যারালাল বার


    হরিজন্টাল বার


    মহিলা


    দলগত















    ব্যক্তিগত অল-রাউন্ড



    ভল্ট

    বিস্তারিত
    আনইভেন বার



    বিস্তারিত
    ব্যালেন্স বিম
    বিস্তারিত


    ফ্লোর

    বিস্তারিত

    পদক তালিকায় অবস্থান

    সার্বিক

    অবজাতিস্বর্ণরৌপ্যব্রোঞ্জমোট
    মোট (০টি জাতি)

    পুরুষ

    অবজাতিস্বর্ণরৌপ্যব্রোঞ্জমোট
    মোট (০টি জাতি)

    মহিলা

    অবজাতিস্বর্ণরৌপ্যব্রোঞ্জমোট
    মোট (০টি জাতি)

    পুরুষদের ফলাফল

    দলগত

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    সবচেয়ে কনিষ্ঠডাইকি হাশিমোতো জাপান৭ আগস্ট, ২০০১১৮ বছর, ২ মাস ও ২ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কদেং শুডি গণচীন১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১২৮ বছর ও ২৯ দিন

    একক অল-রাউন্ড

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠকার্লোস ইউলো ফিলিপাইনফেব্রুয়ারি 16, 2000১৯ বছর, ৭ মাস ও ২৫ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কআন্দ্রে টোবা জার্মানিঅক্টোবর 7, 1990২৯ বছর ও ৪ দিন

    ফ্লোর

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠকার্লোস ইউলো ফিলিপাইনফেব্রুয়ারি 16, 2000১৯ বছর, ৭ মাস ও ২৬ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কডোমিনিক কানিংহামমে 9, 1995

    পমেল হর্স

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠডাইকি হাশিমোটো জাপানআগস্ট 7, 2001
    সবচেয়ে বয়স্কসিরিল টমাসোনজুলাই 4, 1987

    রিং

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠনিক ক্লেসিং জার্মানিজানুয়ারি 14, 1998
    সবচেয়ে বয়স্কসমীর আঃ সাদনভেম্বর 1, 1989

    ভল্ট

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠনিকিতা নাগরর্নয়ফেব্রুয়ারি 12, 1997
    সবচেয়ে বয়স্কমারিয়ান দ্রোগুলেস্কু রোমানিয়া18 ডিসেম্বর, 1980৩৮ বছর, ৯ মাস ও ২৫ দিন

    প্যারালাল বার

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠজো ফ্রেজার যুক্তরাজ্যডিসেম্বর 6, 1998২০ বছর, ১০ মাস ও ৭ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কপেট্রো পাখনিউক ইউক্রেননভেম্বর 26, 1991২৭ বছর, ১০ মাস ও ১৭ দিন

    হরিজন্টাল বার

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠডাইকি হাশিমোটো জাপানআগস্ট 7, 2001১৮ বছর, ২ মাস ও ৬ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কস্যাম মিকুলাক যুক্তরাষ্ট্র13 ই অক্টোবর, 1992২৭ বছর

    মহিলাদের ফলাফল

    দলগত

    সবচেয়ে বয়স্ক এবং কনিষ্ঠ প্রতিযোগী

    নামদেশজন্ম তারিখবয়স
    কনিষ্ঠক্লেয়ার পন্টলেভয়নভেম্বর 17, 2003১৫ বছর, ১০ মাস ও ২১ দিন
    সবচেয়ে বয়স্কলাইক ওয়েভার্স নেদারল্যান্ডসসেপ্টেম্বর 17, 1991২৮ বছর ও ২১ দিন
    সান ওয়েভার্স নেদারল্যান্ডস
    RankTeamটেমপ্লেট:Vaultটেমপ্লেট:Uneven barsটেমপ্লেট:Balance beamটেমপ্লেট:Floor (gymnastics)Total
    ১ যুক্তরাষ্ট্র45.166 (1)42.299 (2)40.966 (1)43.899 (1)172.330
    Simone Biles15.40014.60014.43315.333
    Jade Carey15.16614.333
    Kara Eaker14.000
    Sunisa Lee14.73312.53314.233
    Grace McCallum14.60012.966
    ২ রাশিয়া43.899 (2)43.665 (1)38.456 (6)40.500 (3)166.529
    Anastasia Agafonova14.56612.166
    Lilia Akhaimova14.73312.53313.600
    Angelina Melnikova14.53314.33313.76613.900
    Aleksandra Shchekoldina14.63313.000
    Daria Spiridonova14.766
    ৩ ইতালি43.732 (3)42.299 (3)38.799 (4)39.966 (6)164.796
    Desirée Carofiglio13.333
    Alice D’Amato14.53314.133
    Asia D’Amato14.53313.26613.333
    Elisa Iorio13.90011.933
    Giorgia Villa14.66614.26613.60013.300
    4 গণচীন43.066 (5)40.199 (6)40.599 (2)40.366 (4)164.230
    Chen Yile13.73314.000
    Li Shijia14.16614.266
    Liu Tingting11.90012.33313.433
    Qi Qi14.60013.433
    Tang Xijing14.30014.56613.500
    5 ফ্রান্স43.599 (4)40.565 (5)38.732 (5)40.732 (2)163.628
    Marine Boyer13.83313.266
    Lorette Charpy14.03312.666
    Mélanie de Jesus dos Santos14.73314.36612.23314.166
    Aline Friess14.90013.300
    Claire Pontlevoy13.96612.166
    6 গ্রেট ব্রিটেন42.632 (8)42.099 (4)39.499 (3)37.265 (8)161.495
    Becky Downie14.90013.566
    Ellie Downie14.56614.033
    Georgia-Mae Fenton13.16612.23311.933
    Taeja James13.80013.266
    Alice Kinsella14.26613.70012.066
    7 কানাডা43.033 (6)39.899 (7)37.965 (7)39.666 (7)160.563
    Ellie Black14.20014.03313.36613.433
    Brooklyn Moors14.13312.53312.46613.200
    Shallon Olsen14.70013.033
    Ana Padurariu12.133
    Victoria-Kayen Woo13.333
    8 নেদারল্যান্ডস42.732 (7)39.098 (8)37.432 (8)40.165 (5)159.427
    Eythora Thorsdottir14.46611.40013.633
    Naomi Visser14.06614.06613.166
    Tisha Volleman14.20013.566
    Lieke Wevers12.46612.966
    Sanne Wevers12.56612.866
  • প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

    প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

    প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা (এছাড়াও নার্সারি স্কুল অথবা প্লে স্কুল নামে পরিচিত) হল একটি শিক্ষা সংস্থা বা শেখার জায়গা নৈবেদ্য শৈশবের শিক্ষা। শিশুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক শিক্ষা শুরু করার আগের শিক্ষাই হলো প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা। এটি প্রকাশ্যে বা বেসরকারীভাবে পরিচালিত হতে পারে এবং সরকারী তহবিল থেকে ভর্তুকিও দেওয়া হতে পারে।

    প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

    পরিভাষা

    পরিভাষা দেশ অনুসারে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। কিছু ইউরোপীয় দেশগুলিতে “কিন্ডারগার্টেন” শব্দটি আইএসসিইডি স্তর ০ হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষাকে বোঝায়। এক বা একাধিক বছর এই ধরনের পড়াশোনা বাধ্যতামূলক (শিশুরা ইস্কেডি স্তর ১-এ প্রাথমিক বিদ্যালয় শুরু করার আগে)।[১]

    নিম্নলিখিত শর্তাবলী এই বয়সীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যেতে পারে:

    • প্রাক-প্রাথমিক [২] ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে ৬ বছর বয়সী- এমন একটি শিক্ষামূলক সার্ভিস যা পিতামাতারা তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (শিশুদের) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগে ভর্তি করতে পারেন। কিন্ডারগার্টেন বয়সের চেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য পরিষেবাগুলি সংজ্ঞায়িত করতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষত যেসব দেশে কিন্ডারগার্টেন বাধ্যতামূলক। প্রাক-প্রাথমিক প্রোগ্রামটি একটি নার্সারি স্কুলে হয়
    • নার্সারি স্কুল (যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন) ০ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী- একটি প্রাক-প্রাথমিক চাইল্ড কেয়ার ইন্সটিটিউশনে শিক্ষা ব্যবস্থা। যার মধ্যে প্রাক স্কুল রয়েছে।
    • ডে কেয়ার (মার্কিন) ০ মাস থেকে ২/ বছর বয়সী – একটি নার্সারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এটিকে “চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস” বা “ক্র্যাচে “ও বলা যেতে পারে।[৩][৪]
    • প্রাক বিদ্যালয় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য) ২ থেকে ৫ বছর বয়সী – এটি একটি নার্সারি স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। সন্তানের বিকাশগতভাবে উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে প্রস্তুতির সম্পর্ক রয়েছে এতে। পটি প্রশিক্ষণ এর একটি বড় কারণ। যাতে কোনও শিশু ২ বছরের কম বয়সে এটা শুরু করতে পারে। নার্সারি স্কুলে পড়াশোনা করা যে কোনও শিশুর জন্য প্রাক-বিদ্যালয় শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী কারণ এটি সামাজিক মিথস্ক্রিয়াগুলির মাধ্যমে শিশুকে একটি প্রধান ভুমিকা দেয়। প্রাক-প্রাথমিকের একটি শিশু জ্ঞান, মানসিক এবং শারীরিক বিকাশের উপর ভিত্তি করে শেখার মাধ্যমে তাদের পরিবেশ এবং কীভাবে অন্যদের সাথে মৌখিকভাবে যোগাযোগ করবেন সে সম্পর্কে শিখে। যেসব শিশু প্রাক-প্রাথমিক পড়াশোনা করে তারা কীভাবে তাদের চারপাশের বিশ্ব কিভাবে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে তা শিখে।
    • প্রাক-কে (বা প্রাক-কিন্ডারগার্টেন) ৪ থেকে ৫ বছর বয়সী নার্সারি স্কুলে অনুষ্ঠিত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশাধিকার উন্নয়নের একটি উদ্যোগ। সন্তানের রঙ, সংখ্যা, আকার এবং আরও অনেক কিছু শেখানোর জন্য এখানে আরও অনেক কিছু রয়েছে।
    • কিন্ডারগার্টেন (মার্কিন) ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী – একটি নার্সারী স্কুলে এবং কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অনেক জায়গায় (ইংরেজি ভাষী দেশগুলিতে কম) এটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম পর্যায়কে বোঝায়।

    ইতিহাস

    উৎপত্তি

    স্যামুয়েল ওয়াইল্ডারস্পিন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৮৪৮ সালে জন রজার্স হারবার্ট দ্বারা খোদাই করা।

    এমন যুগ ছিল যখন স্কুলে পড়া হতো না এবং যারা কেবল বাড়িতে পড়া-লিখা শিখেছে এমন শিশুদের মধ্যে এটি সীমাবদ্ধ ছিল। সেখানে অনাথদের জন্য বা কারখানায় কর্মরত মহিলাদের বাচ্চাদের কাছে বিদ্যালয় প্রবেশাধিকার করার অনেক প্রচেষ্টা করা হয়েছিল।

    ১৭৭৯ সালে জোহান ফ্রেডরিক ওরবিলিন এবং লুইস স্কিপা প্রতিষ্ঠিত স্ত্রাসবুর। এখানে তারা প্রাক বিদ্যালয়ে তাদের দেখাশুনা করত যাদের বাবা দিনের বেলা তাদের বাচ্চাদের সময় দিতে পারতেন না এবং এটি ছিল শিক্ষার একটি প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান।[৫] প্রায় একই সময়ে, ১৭৮০ সালে, বাভারিয়াতেও একই ধরনের শিশু প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। [৬] ১৮০২ সালে, পলিন জুর লিপ্পি ডেটমোল্ডে একটি প্রাক বিদ্যালয় কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন।

    ১৮১৬ সালে রবার্ট ওউনে একজন দার্শনিক পাঠশালা এবং স্কটল্যান্ডের নিউ ল্যানার্কে প্রথম ব্রিটিশ শিশু বিদ্যালয় চালু করেন। সম্ভবত এটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বিশ্বব্যাপী প্রথম শিশু বিদ্যালয় চালু করেছিলেন।[৭][৮][৯] সমবায় কলগুলিতে তাঁর উদ্যোগে ওউন চান শিশুদের একটি ভাল নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের নীতির জন্য উপযুক্ত হয়। তাঁর এই ব্যবস্থা মৌলিক সাক্ষরতার সাথে বাধ্য শিশুদের ভালো শিশুতে তৈরি করতে সফল হয়েছিল।[১০]

    স্যামুয়েল ওয়াইল্ডারস্পিন লন্ডনে ১৮১৯ সালে তাঁর প্রথম শিশু বিদ্যালয়টি খোলেন।[১১] এবং তিনি আর কয়েক শতাধিক প্রতিষ্ঠা শুরু করেছিলেন। তিনি এই বিষয়টিতে প্রচুর রচনা প্রকাশ করেছিলেন এবং তাঁর কাজটি পুরো ইংল্যান্ড এবং তারপরেও শিশুদের বিদ্যালয়ের মডেল হয়ে যায়। ওয়াইল্ডারস্পিনের শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল প্লে বিদ্যালয়। খেলার মাঠ আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাঁরই। ১৮২৩ সালে, ওয়াইল্ডারস্পিন বিদ্যালয় ভিত্তিক শিশু দরিদ্রদের শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি পরের বছর ইনফ্যান্ট স্কুল সোসাইটির পক্ষে কাজ শুরু করেন। তিনি অন্যকে তার মতামত জানান। তিনি লিখেছিলেন “দ্য ইনফ্যান্ট সিস্টেম”। এক থেকে সাত বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত শিশুদের শারীরিক, বৌদ্ধিক এবং নৈতিক ক্ষমতা বিকাশের জন্য লিখেছেন।

    বিস্তার

    কাউন্টেস থেরেসা ব্রুনজিভিক (১৭৭৫-১৮৬১) যিনি এই ধরনের পরিকল্পনার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং জোহান হাইনরিখ পেস্তালজি যার প্রভাবিত হয়েছিল এই পরিকল্পণাটি। বুদাপেস্টে একটি এঙ্গেলকেট নামে তার বাসভবনে মে ১৮২৮ সালের ২৭ তারিখে (হাঙ্গেরিয়ানের ‘দেবদূত বাগানে’) এই ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলেন। প্রথমে তিনি ছোট বাচ্চাদের জন্য এগারো কেয়ার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।[১২][১৩] ১৮৩৬ সালে তিনি প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্রগুলির ভিত্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। এই ধারণা আভিজাত্য এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং পুরো হাঙ্গেরীয় রাজ্যে এর অনুলিপি করা হয়।

    ১৯৫৪ সালে জার্মানিতে একটি কিন্ডারগার্টেন

    ফ্রিডরিচ ফ্রাবেল (১৭৮২-১৮৫২) থুওরিয়ায়ের শোয়ার্জবার্গ-রুডলস্টাড্টের প্রধানত ব্যাড ব্লাঙ্কেনবার্গ গ্রামে ১৮৩৭ সালে একটি প্লে এবং অ্যাক্টিভিটি ইনস্টিটিউট চালু করেন। যার নাম তিনি কিন্ডারগার্টেনের নাম দিয়েছিলেন ২৮ জুন ১৮৪০ সালে।

    ফ্রেবেলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলারা পুরো ইউরোপ এবং বিশ্বজুড়ে কিন্ডারগার্টেনগুলি খোলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কিন্ডারগার্টেনটি ১৮৫২ সালে উইসকনসিনের ওয়াটারটাউনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি জার্মান ভাষায় পরিচালিত হয়েছিল।[১৪] এলিজাবেথ পিবাডি ১৮৬০ সালে আমেরিকার প্রথম ইংরেজি-কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং আমেরিকাতে প্রথম নিখরচায় কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৮৭০ সালে একটি জার্মান শিল্পপতি ও সমাজসেবী কনরাড পপেনহুসেন। তিনি পপেনহুসেন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রকাশ্যে অর্থায়িত কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেন্ট লুইতে ১৮৭৩ সালে সুসান ব্লো দ্বারা কানাডার প্রথম প্রাইভেট কিন্ডারগার্টেন ১৮৭০ সালে প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপ শার্লটটাউনে ওয়েসলিয়ান মেথোডিস্ট চার্চ দ্বারা খোলা হয়েছিল এবং দশকের শেষে, তারা কানাডার বড় শহর এবং শহরগুলিতে সাধারণ ছিল।[১৫][১৬] দেশের প্রথম পাবলিক-বিদ্যালয় কিন্ডারগার্টেনস সেন্ট্রাল স্কুল। ১৮৮২ সালে অন্টারিওয়ের বার্লিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১৭] ১৮৮৫ সালে, টরন্টো নর্মাল স্কুল (শিক্ষক প্রশিক্ষণ) কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার জন্য একটি বিভাগ চালু করে।

    এলিজাবেথ হ্যারিসন শৈশবকালীন শিক্ষার তত্ত্ব নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি করেছিলেন এবং কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ১৮৮৬ সালে ন্যাশনাল কলেজ অফ এডুকেশন প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

    হেড স্টার্ট হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রকাশিত অর্থায়নের প্রাক বিদ্যালয় প্রোগ্রাম। ১৯৬৫ সালে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলির জন্য রাষ্ট্রপতি জনসন তৈরি করেছিলেন কেবলমাত্র ১০% শিশু প্রাক-প্রাথমিকে ভর্তি হয়েছিল। ব্যাপক চাহিদা থাকার কারণে, বিভিন্ন রাজ্য ১৯৮০ এর দশকে নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলির জন্য প্রাক-প্রাথমিক ভর্তুকি দিয়েছিল।

    উন্নয়নমূলক অঞ্চল

    শিক্ষা গ্রহণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলি জন্মের সময় থেকেই শুরু হয়।[১৮] এই প্রারম্ভিক বছরগুলিতে মানুষ পরবর্তীকালের তুলনায় আরও তথ্য গ্রহণ করতে সক্ষম হয়ে থাকে। প্রথম বছরগুলিতে মস্তিষ্ক সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল উন্নত করতে উচ্চমানের শিক্ষক এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপর দীর্ঘমেয়াদী ভালো প্রভাব ফেলতে পারে।[১৯][২০]

    প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রগুলি পৃথক। তবে নিম্নলিখিত মূল বিষয় সাধারণত দেওয়া হয়ে থাকে।[২১][২২]

    প্রাক – প্রাথমিক ব্যবস্থা কাঠামোর (প্রশাসন, শ্রেণির আকার, শিক্ষার্থী-শিক্ষক অনুপাত, পরিষেবাদি), প্রক্রিয়া (শ্রেণিকক্ষের পরিবেশের গুণগত মান, শিক্ষক-শিশুর মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদি) এবং প্রান্তিককরণ (মানক, পাঠ্যক্রম, মূল্যায়ন) উপাদানগুলির মান পর্যবেক্ষণ করে। পাঠ্যক্রম বিভিন্ন বয়সের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১০ পর্যন্ত গণনা সাধারণত চার বছর বয়সের পরে হয়।[২৩] কিছু অধ্যয়ন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সুবিধার বিষয়ে বিতর্ক করে।[২৪] যে প্রি-স্কুলটি জ্ঞানীয় এবং সামাজিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তা সন্ধান করে।[২৫][২৬] ইউসি বার্কলে এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ১৪,০০০ প্রাক-প্রাথমিক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে প্রাক-পাঠ ও গণিতে সাময়িক জ্ঞানীয় বিকাশ থাকাকালীন প্রাক-পাঠ বিদ্যালয়ের সামাজিক বিকাশ এবং সহযোগিতার উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।[২৭] গবেষণায় আরও প্রমাণিত হয়েছে যে প্রাক-প্রাথমিকে চেয়ে বাড়ির পরিবেশ ভবিষ্যতের ফলাফলগুলিতে আরো বেশি প্রভাব ফেলে।[১৮] এমন একটি উদীয়মান প্রমাণ রয়েছে যে উচ্চমানের প্রাক-প্রাথমিক একাডেমিক বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেওয়ার চেষ্টা করার পরিবর্তে এটি “খেলার ভিত্তিতে” হয়। বোস্টনের ডাঃ পিটার গ্রে অনুসারে “বড়দের থেকে দূরে অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা হল কীভাবে বাচ্চারা নিজের সিদ্ধান্ত নিতে, তাদের আবেগ এবং অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে, অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে, অন্যের সাথে মতপার্থকতা করতে এবং বন্ধুবান্ধব শিখতে শেখে” কলেজের অধ্যাপক এবং খেলার বিবর্তন এবং শিশু বিকাশে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ “সংক্ষেপে, খেলা কীভাবে বাচ্চারা তাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে শেখে।”[২৮] প্রাক স্কুলগুলি মন্টেসরি, ওয়াল্ডর্ফ, হেড স্টার্ট, হাইস্কোপ,[২৯] রেজিও এমিলিয়া পদ্ধতির, ব্যাংক স্ট্রিট এবং ফরেস্ট কিন্ডারগার্টেনের মতো বিভিন্ন শিক্ষার পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।

  • দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, যা ১৮৬৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি একটি মৌলিক শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে যা দরসে নেজামি নামে পরিচিত। দারুল উলুম দেওবন্দে এটি উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সাথে চালু করা হয়েছিল।[১] পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণে সারাবিশ্বে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। তাই এটি দরসে নেজামি মাদ্রাসার মূল আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত।[২] দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম মোট ৩টি ধাপে সমাপ্ত হয়: প্রাথমিক শিক্ষা, ফাযেল কোর্স এবং তাখাচ্ছুছাত। প্রাথমিক শিক্ষা বা দীনিয়াত বিভাগের ব্যপ্তি মোট ৫ বছর। ফাযেল কোর্স বা আলেম কোর্সের ব্যপ্তি মোট ৮ বছর। ফাযেল কোর্স দারুল উলুম দেওবন্দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর্স। এই কোর্স সমাপ্তকারীদের আলেম বলা হয়৷ ফাযেল কোর্সের মান সাধারণ শিক্ষার স্নাতকের সমান। ফাযেল কোর্স পরবর্তী বিভিন্ন বিষয়ের বিষেশায়িত উচ্চশিক্ষা তাখাচ্ছুছাত নামে পরিচিত। বিষয় অনুযায়ী এটি ১, ২ বছর বা আরও বেশি হতে পারে।

    দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    ফাযেল কোর্সের প্রথম চার বছরকে ছানুভী বিভাগ বলা হয়৷ এই বিভাগে আরবি নাহু ছরফ, আরবি ইনশা মান্তেক (তর্কবিদ্যা), কুরআন তরজমা এবং ইসলামি ইতিহাস সহ ইসলামের মৌলিক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। আর শেষ চার বছরে ইলুমল বালাগাত, ফাসাহাত, তাফসির, উসূলে তাফসির, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, হাদিস ও উসূলে হাদিসের পাঠ দান করা হয়৷ শেষ বছরকে দাওরায়ে হাদিস বলা হয়। এতে সিহাহ সিত্তাহসহ মোয়াত্তাইন ও তহাবী এবং শামায়েলে তিরমিজীর পাঠদান করা হয়৷

    ফাযেল কোর্স পরবর্তী বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা বা তাখাচ্ছুছাতের মধ্যে রয়েছে তাদরিব ফিল ইফতা, তাজবিদ, তাখাস্সুস ফিল হাদিস, তাকমিল আদব, তাকমিল তাফসির ইত্যাদি।[৩][৪][৫][৬][৭][৮]

    প্রেক্ষাপট

    নবীর যুগে শিক্ষার সূচনা হয় কুরআন দিয়ে। ওমরের খেলাফতকালে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি হাদিস বিদ্যার প্রচার ও প্রকাশনারও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষাগত চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি কুরআন, হাদীস, ফিকাহ এবং আরবি কবিতা শিখার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত যাকে উদ্ভাবন ও সংস্কারের যুগ বলা হয়, সভ্যতার বিকাশ ও অগ্রগতির সাথে সাথে বিভিন্ন শিল্প ও বিজ্ঞানের উদ্ভাবন এবং তাদের অনুবাদের সূত্রপাত ঘটে এবং প্রয়োজন অনুসারে কিছু কলাও শেখানো শুরু হয়। যেমন: হাদিস, তাফসির, ফিকহ, ফিকহের মূলনীতি, ব্যাকরণ ও বাক্য গঠন, অভিধান, আরবি কবিতা এবং ইতিহাস সেই সময়ের শিক্ষাগত শিক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হত। মেডিসিন, জ্যোতিষ, জ্যোতির্বিদ্যা এবং আরও কিছু গ্রীক বিজ্ঞানও এই সিলেবাসে যোগ করা যেতে পারে। হিজরি পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে দ্বান্দ্বিকতা বা স্কলাস্টিক থিওলজির বিজ্ঞান ইমাম গাজ্জালির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং যার সমর্থনে পূর্বোক্ত বিজ্ঞান ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ইত্যাদির মতো নৈমিত্তিক বিজ্ঞান ইসলামিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে ওঠে। যেহেতু আরব পরিবারগুলো মিশর, সিরিয়া প্রভৃতি দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করেছিল। প্রচুর সংখ্যায় আরবের ঝোঁককে প্রাধান্য দিয়ে, তাফসীর, হাদিস এবং আসমা আল-রিজাল শাস্ত্রের প্রতি তুলনামূলকভাবে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। আন্দালুসিয়ায় (স্পেন) সাহিত্য, কাব্য ও ইতিহাসের ব্যাপক উচ্চতা ছিল। ইরানে যুক্তি ও দর্শনের প্রাধান্য ছিল এবং খুরাসান ও ট্রান্সক্সিয়ানাতে ফিকহ, ফিকহের নীতি এবং তাসাউউফের প্রচলন ছিল বেশি। তবে একই সময়ে, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং চাহিদার প্রভাবের কারণে, সিলেবাসে পরিবর্তন ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া প্রায়ই এক এবং একই দেশে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত হয়েছে। যদিও মুসলমানরা হিজরির প্রথম শতাব্দীতে ভারতে পৌঁছেছিল এবং হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর শুরুতে অর্থাৎ সুলতান মাহমুদ গজনভির আমলে, যখন সিন্ধু ছাড়াও পাঞ্জাবের এলাকা তাদের সংখ্যায় বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইসলামি রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাদের প্রকৃত প্রভাবের সময়কাল শুরু হয় হিজরি সপ্তম শতাব্দীর শুরু থেকে, অর্থাৎ সুলতান শাহাব আল-দিন ঘুরির শাসনামল থেকে। এটি সেই সময় ছিল যখন খুরাসান, ট্রান্সক্সিয়ানা ইত্যাদিতে, যদিও তাফসীর এবং হাদিস, ব্যাকরণ এবং বাক্য গঠন, অলঙ্কারশাস্ত্র এবং সাহিত্য, আইনশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, স্কলাস্টিক থিওলজি এবং তাসাউউফকে আদর্শ শিক্ষা, আইনশাস্ত্র এবং আইনশাস্ত্রের নীতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ভারতে যে সমস্ত মুসলমানরা এসেছিলেন তারা বেশির ভাগই এই দেশগুলো থেকে এসেছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই তাই তাদের ঝোঁকের আগমনও অনিবার্য ছিল। এই হিসেবে এই সমস্ত বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ভারতে এই যুগের পাঠ্যক্রমের একটি অংশ এবং পার্সেল ছিল। মাওলানা হাকিম সাইয়্যিদ আবদ আল-হায় লখনভি পুরাতন ভারতীয় পাঠ্যক্রমের নিম্নলিখিত চারটি সময়কাল নির্ধারণ করেছেন:

    প্রথম পর্যায়

    হিজরী সপ্তম শতাব্দী থেকে এর শুরু এবং দশম শতাব্দীতে এর সমাপ্তি এমন সময়ে নেওয়া উচিত যখন দ্বিতীয় যুগ শুরু হয়েছিল। কম-বেশি দুইশত বছর ধরে নিম্নোক্ত শাখার অধিগ্রহণকে ব্যাকরণ, বাক্য গঠন, সাহিত্য, অলঙ্কারশাস্ত্র, ফিকহ, ফিকহের মূলনীতি, যুক্তিবিদ্যা,

    আরও দেখুন

  • এলিট শার্প সিটিটি

    এলিট শার্প সিটিটি

    এমার্জেন্ট লিডার ইমরসিভ ট্রেনিং এনভায়রনমেন্ট সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্ট/অ্যাসল্ট রেসপন্স অ্যান্ড প্রিভেনশন কমান্ড টিম ট্রেইনার, বা এলিট শার্প সিটিটি, হলো ল্যাপটপ-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, যাতে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ব্যাটালিয়ন এবং ব্রিগেড কমান্ডাররা একসঙ্গে কাজ করতে এবং শিখতে যৌন নিপীড়ন প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী (এসএআরসিএস) এবং ভিকটিম অ্যাডভোকেটস (ভিএএস) এর সাথে তাদের পদে যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির অভিযোগের সঠিকভাবে যোগাযোগ করার জন্য।[১][২] এটি একটি ইন্টারেক্টিভ অ্যাভাটার-ভিত্তিক সিমুলেটর যা ভিডিও গেমের বিন্যাসে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে পাঠগুলি আরও কার্যকরভাবে বোঝানো যায় এবং ঐতিহ্যগত স্লাইড শো-ভিত্তিক প্রশিক্ষণকে প্রতিস্থাপন করা যায়।[১] এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রামটি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস এবং ইউএস আর্মি রিসার্চ ল্যাবরেটরি (এআরএল) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।

    এলিট শার্প সিটিটি

    উন্নয়ন

    এলিট শার্প সিটিটি সফটওয়্যারটি বর্তমান এমার্জেন্ট লিডার ইমারসিভ ট্রেনিং এনভায়রনমেন্ট (এলিট) লাইট প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, যা একটি অ্যাভাটার-ভিত্তিক কাউন্সেলিং সরঞ্জাম যা জুনিয়র অফিসার এবং নন-কমিশনড অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে যে কিভাবে উর্ধ্বতনদের সঙ্গে মতবিরোধ থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়।[১][২] এলিট লাইট প্রোগ্রামের বিপরীতে, যা প্লাটুন এবং এর নীচের স্তরের জন্য, এলিট-শার্প সিটিটি প্রোগ্রামটি কমান্ড দলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।[২] গবেষকদের মতে, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রায় ১২ মাস সময় লেগেছে এবং অতীতে তাদের কমান্ডের মধ্যে যৌন হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে এমন কমান্ডারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।[১]

    ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে, সফটওয়্যার যাচাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইউএস আর্মি শার্প প্রোগ্রাম অফিস, ইউএস আর্মি শার্প একাডেমি, আর্মি রিসার্চ ল্যাব, ইনস্টিটিউট ফর ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস এন্ড ন্যাশনাল সিমুলেশন সেন্টার দ্বারা একটি বিটা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রাম ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তারিখে অফিসিয়াল আর্মি ট্রেনিং সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে এবং ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে মুক্তি পায়।[১]

    ব্যবহার

    এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রাম একটি ভার্চুয়াল হিউম্যান ইন্সট্রাক্টরকে মূল ধারণাগুলি শেখানোর জন্য ব্যবহার করে এবং অ্যানিমেটেড ভিগনেট প্রদান করে যা যৌন হয়রানির ঘটনার ভাল এবং খারাপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে। অভ্যাসের অনুশীলনগুলিও সরবরাহ করা হয়েছিল যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা উদাহরণের পরিস্থিতিতে যা শিখেছিল তা পরীক্ষা করতে পারে।[৩]

    প্রশিক্ষণ অ্যাপ্লিকেশনটিতে ১৩টি দৃশ্য ছিল যা তিনটি পর্যায়ে উপস্থাপিত হয়েছিল: আপ-ফ্রন্ট নির্দেশ, অনুশীলন পরিবেশ এবং একটি পরের কর্ম পর্যালোচনা। অভ্যাসের অনুশীলনে এমন দৃশ্য দেখানো হয়েছে যেখানে কমান্ডারকে অবশ্যই ভিকটিম এবং যৌন হয়রানির কথিত অপরাধী উভয়ের সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।[১] এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রামে পুরুষ যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তার উদাহরণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    যৌন নিপীড়নের উপর ২০১৬ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানি কমান্ডার এবং প্রথম সার্জেন্টরা এলিট শার্প সিটিটি প্রশিক্ষণ শেষ করার পর যৌন হয়রানি/হামলা প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধের ঘটনাগুলি পরিচালনার বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ১৫% পয়েন্ট বৃদ্ধি দেখিয়েছে।[৪] যদিও সৈন্যরা একটি ওয়েবসাইটে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারে, মার্কিন সেনাবাহিনীর স্কুলের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে গেমটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে।[৫]

  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই কপিরাইট আইন তৈরি করা হয়েছে লেখক ও শিল্পীদের উৎসাহিত করার জন্য, তাদের সৃষ্টি করা শিল্প ও সংস্কৃতি উপর তাদের বিশেষ কিছু অধিকার প্রদান করার জন্য। কপিরাইট আইন, লেখক ও শিল্পীদের একচ্ছত্র অধিকার করতে প্রদান করে কাজ সৃষ্টি করতে এবং এগুলোর কপি বিক্রি করতে, একই সাথে অধিকার প্রদান করে ব্যুৎপত্তি সম্পন্ন কাজ করেতে, এবং প্রকাশ্যে তাদের কাজ প্রদর্শন করতে ও সম্পাদনা করতে। এই একচেটিয়া অধিকার একটি সময় সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং সাধারণত, অধিকারের এই মেয়াদ শেষ হয় কাজটির মালিকের মৃত্যুর ৭০ বছর পর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ১লা জানুয়ারি, ১৯২৩ সালের আগে তৈরি করা যে কোনো সঙ্গীতকে সাধারণত বিবেচনা করা পাবলিক ডোমেইন হিসাবে।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইন

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কপিরাইট আইন নিয়ন্ত্রিত হয়, কপিরাইট আইন, ১৯৭৬ দ্বারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে স্পষ্টভাবে ক্ষমতা প্রদান করেছে কংগ্রেসকে কপিরাইট আইন তৈরি করার জন্য যা আর্টিকেল ১, সেকশন-৮, ধারা ৮, এ পরিচিত রয়েছে,[১] হিসেবে কপিরাইট ধারা হিসাবে। কপিরাইট ধারার অধীনে কংগ্রেসের ক্ষমতা আছে, “বিজ্ঞানের অগ্রগতি উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় শিল্পকলাকে, সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সুরক্ষিত করার, যাতে লেখক ও উদ্ভাবকরা তাদের নিজ নিজ লেখা এবং আবিষ্কারের উপর মেধাস্বত্ত অধিকার পায়।”[২]

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট অফিসে কপিরাইট নিবন্ধন করা হয়, লিপিবদ্ধ করা হয় মেধাস্বত্ত হস্তান্তর ও কপিরাইট আইন সংক্রান্ত অন্যান্য দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।[৩]

    ইতিহাস

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কপিরাইট আইনের আদি গোড়া খুজে পাওয়া যায় ব্রিটিশ স্ট্যাচুট অফ অ্যানা পাশ হওয়ার পর থেকেই, যা প্রভাব রাখে প্রথম ইউএস ফেডারাল কপিরাইট আইন, কপিরাইত এক্ট ১৭৯০ পাশ করতে। এরপর থেকে এই কপিরাইট আইনটি বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, সবচেয়ে আলোচিত, কপিরাইট আইন ১৯৭৬ ও সনি বোনো কপিরাইট টার্ম এক্সটেনশন এক্ট ১৯৯৮ (যা “মিকি মাউস প্রটেকশন এক্ট” নামেও পরিচিত, কারণ প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফলতাপ্রাপ্ত কার্টুন চরিত্র মিকি মাউসের কপিরাইটের সময় সীমা শেষ হওয়া থেকে রক্ষা পায়)।

    মামলা

    অটলতা

    • White-Smith Music Publishing Company v. Apollo Company (1908)
    • Midway Manufacturing Co. v. Artic International, Inc. (N.D. Ill. 1982)

    মৌলিকত্ব

    • Burrow-Giles Lithographic Co. v. Sarony (1884)
    • Bridgeman Art Library v. Corel Corp. (SDNY 1999)

    ধারণা/ভাব প্রকাশের বৈপরীত্য

    • Baker v. Selden (1880)
    • Whelan v. Jaslow (1986)
    • Broderbund v. Unison (N.D. Cal. 1986)
    • Computer Associates Int’l, Inc. v. Altai Inc. (2d Cir. 1992)

    ন্যায্য ব্যবহার

    • Suntrust v. Houghton Mifflin (11th Cir. 2001) (re Parody)
  • মানবাধিকার

    মানবাধিকার

    মানব পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সার্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার প্রতিটি মানুষের এক ধরনের অধিকার যেটা তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য। মানুষমাত্রই এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। তবে এ চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও প্রশান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারবে না। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধিকার একই সাথে সহজাত ও আইনগত অধিকার। স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যতম দায়িত্ব হল এসব অধিকার রক্ষণাবেক্ষণ করা।[১] যদিও অধিকার বলতে প্রকৃতপক্ষে কি বোঝানো হয় তা এখন পর্যন্ত একটি দর্শনগত বিতর্কের বিষয়।[২] বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয়টি এখন আরো প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে, যখন আমরা দেখছি যে, মানুষের অধিকারসমূহ আঞ্চলিক যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির কারণে বার বার লংঘিত হচ্ছে। প্রথমত একটি পরিবার ও সমাজের কর্তারা তাদের অধিনস্তদের অধিকার রক্ষা করবে। দ্বিতীয়ত রাষ্ট্র এবং তৃতীয়ত আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করে থাকে।

    মানবাধিকার

    মানবাধিকারের সংজ্ঞা

    মানবাধিকার হচ্ছে কতগুলো সংবিধিবদ্ধ আইন বা নিয়মের সমষ্টি, যা মানব জাতির সদস্যদের আচার আচরণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে বুঝায় এবং যা স্থানীয় ও আর্ন্তজাতিক আইন সমষ্টি দ্বারা সুরক্ষিত যা মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিষয় হিসেবে ধর্তব্য।[৩] এতে কোন মানুষ এজন্য সংশ্লিষ্ট অধিকার ভোগ করবে যে, সে জন্মগতভাবে একজন মানুষ।[৪] অন‍্যকথায় বলা যায়, দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য মানুষের যেসকল অধিকার রাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত তাদেরকে মানবাধিকার বলে

    জাতিসংঘের Universal Declaration of Human Rights এর ১ম অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে যে,

    All human beings are born free and equal in dignity and rights.

    অর্থাৎ ‘জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।’[৫] বর্তমান বিশ্বে Human Rights শব্দটি বহুল আলোচিত ও বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। মানবাধিকারের বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় হলেও সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই এ নিয়ে চলছে বাক-বিতণ্ডা ও দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত। একদিকে মানবাধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে মতাধর শাসকরা দেশে দেশে জনগণের স্বীকৃত অধিকারগুলো পর্যন্ত অবলীলায় হরণ ও দমন করে চলছে। আর দুর্বল জাতিগুলোর সাথে সবল জাতিগুলোর আচরণ আজকাল মানবাধিকারকে একটি উপহাসের বস্তুতে পরিণত করেছে।[৬]

    মানবাধিকারের ক্রমবিকাশ

    প্রাচীন ভারতীয় নীতিশাস্ত্র সমূহ

    মানবাধিকারের ক্রমবিকাশের ধারায় প্রাচীন ভারতীয় নীতি শাস্ত্র সমূহ এক গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে বিবেচিত করা যায়। প্রাচীন ভারতের ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহের আলোচনার মূল বিষয়ই ছিল ন্যায়-নীতি এবং মানব ধর্ম, যা বাস্তবে মানব অধিকারকেই নির্দেশ করেছে। এই সব ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক বিকাশ, মানুষের করণীয়ের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রাচীন ভারতের জ্ঞানচর্চা পরোক্ষভাবে নৈতিক নীতি বা মানব অধিকার নিয়েই বিস্তার লাভ করেছে।

    সাইরাস সিলিন্ডার

    ৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্যের রাজা দ্বিতীয় সাইরাস যিনি সাইরাস দ্য গ্রেট’নামে সমধিক পরিচিত ব্যাবিলন আক্রমণ করেন। ব্যাবিলন আক্রমণের পর তিনি ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা নির্যাতিত দাস জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে দেন। তাদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনেরও ব্যবস্থা করে দেন। অতঃপর সাইরাসের নির্দেশে একটি সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। যা সাইরাস সিলিন্ডার নামে অভিহিত। এতে সাম্রাজ্যজুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ।

    মদীনা সনদ

    মানবাধিকারের প্রধান ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (স.) কর্তৃক মদীনা সনদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। মদীনা সনদকে পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এ সনদে মোট ৪৭ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যেগুলোতে মানবাধিকারের বিষয়গুলো সর্বপ্রথম সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অনুচ্ছেদসমূহ:

    • সনদে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।
    • সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
    • নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।
    • সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও ধর্ষণ নিষিদ্ধ।
    • কোনো লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তার কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না।
    • দুর্বল ও অসহায়দের সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।

    ম্যাগনা কার্টা

    মানবাধিকারের ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে ম্যাগনা কার্টাকে একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি মানবাধিকারের মহাসনদ হিসেবে ইতিহাসে অভিহিত। এটি ছিলো মূলতঃ ইংল্যান্ডের রাজা জন ও ধনী বিত্তশালী ব্যারনদের মধ্যে ১২১৫ সালে সম্পাদিত একটি চুক্তি। এতে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিলো যে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাউন্সিলের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে খামখেয়ালীভাবে জনগণের উপর কর আরোপ করা যাবেনা। রাজকর্মকর্তারা যথেচ্ছভাবে জনগণের ভূ-সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারবে না।ব্যাবসায়ীরা রাজ্যের মধ্যে ইচ্ছেমতো একস্থান হতে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারবে। কোনো স্বাধীন মানুষকে বিচারিক রায় বা দেশীয় আইনানুযায়ী ব্যতীত গ্রেপ্তার, কারারুদ্ধকরণ, সম্পত্তিচ্যুত, দীপান্তরিত বা নির্বাসিত কিংবা হয়রানির শিকার করা যাবে না।

    এই ম্যাগনা কার্টা চুক্তির মধ্য দিয়েই সংসদীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি আইনের শাসনের ধারণার যাত্রাও শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক সনদেই বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয় কোনো দেশের রাজাসহ সে দেশের সকলেই রাষ্ট্রীয় আইনের অধীন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রজাদের অধিকার ও রাজার ক্ষমতা হ্রাসের যৌক্তিক এ দলিল পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহুদেশে মানবাধিকার ও জনগণের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেকে কাজ করেছে।

    পিটিশন অব রাইটস

    ১৬শ শতকে ব্রিটিশ জনগণের আন্দোলনের ফলে প্রথম যে তাৎপর্যপূর্ণ দলিলের সৃষ্টি হয় তা পিটিশন অব রাইটস নামে অভিহিত। ১৬২৮ সালে পিটিশন অব রাইটস সংসদ কর্তৃক আইনের আকারে গৃহীত হয়েছিলো। পার্লামেন্টের সম্মতি ছাড়া করারোপ, বিনা অপরাধে কারারুদ্ধকরণ, ব্যক্তিগত বাসস্থানে স্বেচ্ছাচারী অনুপ্রবেশ এবং সামরিক আইনের প্রয়োগ থেকে জনগণকে সুরক্ষা প্রদান করেছিলো মানবাধিকারের এ গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি।

    বিল অব রাইটস

    ১৬৮৯ সালে বিল অব রাইটস ব্রিটিশ পার্লমেন্টে গৃহীত হয় ও বিধিবদ্ধ আইনে রূপান্তরিত হয়। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। প্রখ্যাত ফরাসী দার্শনিক ভল্টেয়ারের মতে, বিল অব রাইটস প্রত্যেক মানুষকে সেই সমস্ত প্রাকৃতিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে দিয়েছে যেগুলো থেকে তারা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শাসক থেকে বঞ্চিত ছিলো। যেমনঃ জীবন ও সম্পত্তির পূর্ণ স্বাধীনতা, লেখনী দ্বারা জাতির নিকট কথা বলার অধিকার, স্বাধীন লোকদের দ্বারা গঠিত জুরি ছাড়া আর কারো দ্বারা ফৌজদারী অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন না হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। শুধু তাই নয়, বিল অব রাইটস ঘোষণা করে, পার্লামেন্টের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে রাজা যদি কোনো আইনকে স্থগিত বা ভঙ্গ করেন অথবা রাজা তার খরচের জন্য ইচ্ছেমত করারোপ করেন বা রাজ-কমিশন বা রাজ-আদালত গঠন করেন তাহলে এগুলো হবে বেআইনি ও ধ্বংসাত্মক।

    বিভিন্ন ধর্মে মানবাধিকারের স্বরুপ

    ইসলাম ধর্মে মানবাধিকার

    সর্বশেষ একেশ্বরবাদী ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মের প্রচারক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কতৃক নাজিলকৃত কুরআনুল কারীমের বিভিন্নস্থানে মানবাধিকারের বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। ইসলামে সার্বজনীন মানবাধিকারের বিষয়টি জীবনের সর্বক্ষেত্র ও বিভাগে পরিব্যাপ্ত। ইসলাম মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের গৌরবময় অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে। মানুষকে সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মর্মবাণী শুনিয়ে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, বংশীয় মর্যাদা, শ্রেণীবৈষম্য ও বর্ণপ্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে। অধীনদের প্রতি সদাচারী ও ন্যায়পরায়ণ হতে শিক্ষা দিয়েছে। আরব-অনারব, সাদা-কালো সবাই একই পিতা-মাতা হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর সন্তান। মানুষের মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য হতে পারে না। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানবজাতির সম্মান ও মর্যাদার অধিকার, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি জীবনযাত্রার মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার, জীবনরক্ষণ ও সম্পদের নিরাপত্তার অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, একতা, সংঘবদ্ধ ও সাম্যের অধিকার, হালাল উপার্জনের অধিকার, এতিম, মিসকিন, অসহায় নারী ও শিশুর অধিকার, প্রতিবেশির অধিকার, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রভৃতি সব ব্যাপারেই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ও কালজয়ী চিরন্তন আদর্শ হিসেবে ইসলাম মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।[৭]

    মহানবী সা: বিদায় হজ্জের ভাষণে এসব উল্লেখিত মানবাধিকারের কথা সংক্ষিপ্ত অথচ স্পষ্ট করে বলে গেছেন।[৮]

  • ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২

    ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২

    ভারতবর্ষে চুক্তি সম্পর্কীয় আইন ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২ (ইংরেজি: Indian Contract Act, 1872) তে সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। এই আইনটি ইংরেজ শাসনের সময়ে অনুমোদিত এবং এটি ইংরেজ সাধারণ আইনের (British Common Law) নীতিসমূহের ওপর প্রতিষ্ঠিত। জম্মু ও কাশ্মীর বাদে সমগ্র ভারতে ভারতীয় চুক্তি আইনটি প্রযোজ্য। এই আইনটি কোন্ পরিস্থিতিতে কোনো কাজের জন্য দুটি দলের হওয়া চুক্তি আইনমতে পালনীয় হবে তাকে নির্ণয় করে। প্রত্যেক লোকই প্রতিদিন বিভিন্ন চুক্তিতে জড়িত হয়ে পড়ে। এই চুক্তিসমূহ থেকে কিছু অধিকার এবং কর্ত্তব্যর সৃষ্টি হয়। ভারতীয় চুক্তি আইনে ভারত এই অধিকার এবং কর্ত্তব্যসমূহের সুরক্ষা তথা পালনের বিষয় সামগ্রিকভাবে নেয়।

    ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২

    ইতিহাস

    ১৮৬১ সালে ইংরেজ শাসনকালে চেয়ারম্যান স্যার জন রমিলির (Sir John Romilly) তত্ত্বাবধানে স্যার এডওয়ার্ড রিয়ান, আর. লোব, জে. এম. মেকলয়েড, স্যাার ডব্লিউ. আরলি এবং জাষ্টিস উইলসকে প্রারম্ভিক সদস্য হিসাবে নিয়ে গঠন করা তৃতীয় আইন আয়োগ (The Third Law commission) ভারতের জন্য চুক্তি আইনের এক প্রতিবেদন খসড়া হিসাবে দাখিল করে। এই খসড়া ১৮৭২ সালের ২৫ এপ্রিল সেই বর্ষের নবম আইন হিসাবে গৃহীত হয় এবং ১৮৭২ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতীয় চুক্তি আইনটি কার্যকরী হয়।

    ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২ গৃহীত হওয়ার আগে পর্যন্ত ভারতে চুক্তির জন্য কোনো সংগঠিত আইন ছিল না। দেশটির মুখ্য নগরসমূহ অর্থাৎ মাদ্রাজ, বোম্বে এবং কলিকতায় বিভিন্ন চুক্তিসমূহ রাজা ১ম জর্জ ১৭২৬ সালে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর অনুমোদন করা এক সনদমতে সম্পন্ন হয়েছিল। এর পরে ১৭৮১ সালে ইংরেজ সরকার নিষ্পত্তি আইন বলবৎ করে। নিষ্পত্তি আইন অনুসারে ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয় চুক্তি সম্পর্কিত বিষয়সমূহ সওয়াল-জবাব করেছিলেন। পক্ষের ধর্ম অনুসারে বিবাদসমূহের মীমাংসা হিন্দু আইন অথবা মুসলিম আইনমতে হয়েছিল। অন্য ধর্মের ক্ষেত্রে পদকীয় আইন প্রযোজ্য ছিল। মূল শহরগুলির বাইরের চুক্তিসমূহ ইংরেজ চুক্তি আইনসমূহের মতে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

    ক্রমবিকাশ

    গৃহীত হওয়ার সময়ে আইনটির ২৬৬ টা ধারা ছিল। আইনটি যথেষ্ট বড় পরিসরের ছিল এবং এটি নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ নিয়ে হয়েছিল।

    • চুক্তি আইনের প্রাথমিক নীতিসমূহ (ধারা ১-৭৫)
    • সামগ্রী বিক্রীর সঙ্গে জড়িত চুক্তি (ধারা ৭৬-১২৯)
    • বিশেষ প্রকারের চুক্তি (ক্ষতিপূরণ, নিশ্চিতি, জামিন এবং বন্ধক অন্তর্ভুক্ত) (ধারা ১২৫-২৩৮)
    • অংশীদারী ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত চুক্তি (ধারা ২৩৯-২৬৬)

    ভারতীয় চুক্তি আইনে সামগ্রী বিক্রয় এবং অংশীদারী ব্যবসায় সম্পর্কীয় সরল এবং প্রাথমিক নীতিসমূহ সামরি লৈছিল। বাণিজ্য ক্ষেত্রটির প্রগতির ফলত উদ্ভব হওয়া নতুন নিয়ম-নীতিসমূহ সামরি ল’বলৈ চুক্তি আইনটি যঠেষ্ট নাছিল। গতিকে ১৯৩০ এবং ১৯৩২ সালে সামগ্রী বিক্রয় এবং অংশীদারী ব্যবসায়র জন্য দুটি নতুন আইন ক্রমে সামগ্রী বিক্রয় আইন ১৯৩০ এবং অংশীদারী ব্যবসায় আইন ১৯৩২ গৃহীত করা হয়।

    বর্তমান সময়ে ভারতীয় চুক্তি আইনে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ এসেছে।

    • চুক্তি আইনের প্রাথমিক নীতিসমূহ (ধারা ১-৭৫)
    • বিশেষ প্রকারের চুক্তি (ক্ষতিপূরণ, নিশ্চিতি, জামিন এবং বন্ধক অন্তর্ভুক্ত) (ধারা ১২৫-২৩৮)[১]

    সংজ্ঞা

    আইনটির ধারা ২(এইচ) মতে “আইনমতে বলবৎ হওয়া যেকোনো বন্দোবস্তই”চুক্তি। অর্থাৎ বৈধ চুক্তির জন্য এক বন্দোবস্ত ও থাকা এবং এটি আইনমতে বলবৎ হওয়া প্রয়োজনীয়।[২]

    ধারা ২(ই) মতে “পরস্পরের জন্য লাভের সৃষ্টি করা সকল অঙ্গীকার এবং অঙ্গীকারের সকল সমষ্টি” বন্দোবস্ত।[২]

    ধারা ২(বি) মতে “যখন একজন লোক তাঁকে দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় তখন প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়া বলে ধরা হয়। যখন একটি প্রস্তাব গৃহীত হয় তখন এটি একটি অঙ্গীকার হয়ে যায়।”[২]

    বৈধ চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত

    ধারা ১০ অনুসারে, “সবধরণের বন্দোস্তই চুক্তি, যদি এইসমূহ দুইপক্ষের মুক্ত সম্মতি, চুক্তির জন্য যোগ্যতার, এক ন্যায্য সামগ্রীর সঙ্গে ন্যায্য লাভের জন্য হয়, এবং যদি একে প্রকাশ্যে অবৈধ বলে স্বীকৃত দেওয়া না হয়।”

    প্রস্তাব

    ভারতীয় চুক্তি আইন ১৮৭২ ধারা ২(এ) ত প্রস্তাবের সংজ্ঞা এরকম দেওয়া হয়েছে, “যখন একজন ব্যক্তি অন্য একজনের সম্মতি নিয়ে কোনো এক কাজ করার বা কাজটি করার থেকে মুক্ত থাকার ইচ্ছা অন্যজনকে ব্যক্ত করে, তখন তাঁকে একটা প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে ধরা হয়।” এইমত এক ন্যায্য প্রস্তাব হতে হলে কাজটি করা বা না করার ইচ্ছার বিষয়টি ব্যক্ত করা জরুরী। কিন্তু কেবল ইচ্ছা ব্যক্ত করলেই এটি ন্যায্য প্রস্তাব হয় না। এই ইচ্ছার কথা প্রস্তাব পাঁচজনকে তাদের সম্মতি নিয়ে প্রত্যেককে জানাতে হয় এবং এই প্রস্তাবে এমন কোনো শর্ত্ত থাকবে না যেটি পূর্ণ না হলে প্রস্তাব গৃহীত হল বলে ধরা যায়।

    প্রস্তাবের বিভাগসমূহ: ১. সাধারণ প্রস্তাব : সকলের জন্য। ২. বিশেষ প্রস্তাব : নির্দিষ্ট লোকর জন্য। ৩. বিপরীতমুখী প্রস্তাব : দুইপক্ষ পরস্পরকে দেওয়া একই প্রস্তাব। ৪. পরিবর্ত্তিত প্রস্তাব : মূল প্রস্তাবের শুদ্ধি। ৫. স্থিত প্রস্তাব : কোনো বিশেষ সময় পর্যন্ত থাকা প্রস্তাব।

    প্রস্তাব গ্রহণ

    ধারা ২(বি) মতে “যখন একজন লোক তাঁকে দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় তখন প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে বলে ধরা হয়। যখন একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়।”

    ন্যায্য প্রস্তাব গ্রহণের নিয়মসমূহ:

    ১. প্রস্তাব গ্রহণ এবং পাশ করতে হবে।

    ২. প্রস্তাব দাতাকে সম্মতির বিষয়ে অন্যজনকে জানাতে হবে।

    ৩. প্রস্তাবটি নির্ধারিত উপায়ে গ্রহণ করতে হবে।

    8. নির্দিষ্ট করে দেওয়া অথবা এক যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে প্রস্তাব গ্রহণ করতে হবে।

    ৫. মৌনতাকে প্রস্তাব গ্রহণ হিসাবে ধরা হয় না।

    ৬. দুইপক্ষ বিষয়টিতে সম্মত হতে হবে।

    লাভ

    ধারা ২(ডি) র সংজ্ঞা অনুযায়ী, “when at the desire of the promisor, the promisee or any other person, has done or abstained from doing, or does or abstains from doing, or promises to do or abstain from doing, something, such act or abstinence or promise is called a consideration for the promise.”[৩]

    বন্দোবস্ত একটি দুইপক্ষের একটা ন্যায়সংগত লাভের (consideration) জন্য হতে হবে।

    সেই লাভ আইনসংগত হবে না যদি এটি:

    1. আইন দ্বারা নিষিদ্ধ হয়।
    2. এমন প্রকৃতির, যাকে অনুমোদন জানালে কোনো আইন ভংগ হয়।
    3. এক জালিয়াতি, অথবা কোনো ব্যক্তি তথা অন্যের সম্পত্তির অনিষ্ট সাধন করে।
    4. ন্যায়ালয়ে একই নীতিবিরুদ্ধ, অথবা জনগণের নীতির বিপক্ষে যায়, এবং
    5. লাভ বিভিন্ন রূপের যেমন টাকা, সামগ্রী, পরিষেবা, বিবাহের অঙ্গীকার, ভবিষ্যতে কার্য পালনের অঙ্গীকার ইত্যাদি হতে পারে।

    সংশ্লিষ্ট পক্ষের যোগ্যতা

    আইনটির ধারা ১১ অনুযায়ী এক বৈধ চুক্তির জন্য পক্ষসমূহের নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকতে হবে।

    1. তিনি নাবালক হলে চলবে না। ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্ক আইন ১৮৭৫ মতে ১৮ বছরের অনুর্ধ্বজনই নাবালক।
    2. চুক্তিবদ্ধ হওয়ার সময়ে তাকে মানসিকভাবে সুস্থ অবস্থায় থাকতে হবে।
    3. তাকে এমন একজন ব্যক্তি হলে চলবে না যাকে আইন ব্যক্তিগতভাবে অযোগ্য ঘোষণা করেছে।

    মুক্ত সম্মতি

    ধারা ১৩ অনুযায়ী, দুজন বা ততোধিক ব্যক্তিকে তখনই সম্মত হওয়া বলে ধরা হয় যখন তারা কোনো এক বিষয়ে একই অর্থে একমত হয়।[৪]

    একটি সম্মতি তখনই মুক্ত হয় যখন এটি বাধ্যকরণ (ধারা ১৫), দমনীয় প্রভাব (ধারা ১৬), জাল (ধারা ১৭), অপবর্ণনা (ধারা ১৮) এবং ভুলের দ্বারা (ধারা ১৯) প্রভাবিত না হয়।

    চুক্তির প্রকার

    চুক্তির নির্বাহ বা বাতিলকরণ

    চুক্তি একটি নিম্নলিখিত ধরনে নির্বাহ অথবা রদ করা হতে পারে।

    ১. একমত মাধ্যমে নির্বাহ (ধারা ৬২, ৬৩)

    দুইপক্ষের মুক্ত সম্মতি থাকলে একটি চুক্তি নির্বাহ করতে পারা যায়।[৫]

    ২. রূপায়ণের মাধ্যমে নির্বাহ (ধারা ৩৭, ৩৮)

    চুক্তি অনুযায়ী কার্য সমাপন হলেই সেই চুক্তি নির্বাহ হয়।[৬]

    ৩. আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাহ

    চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হ’লে অথবা তিনি দেউলীয়া অবস্থাত পড়লে আইন হস্তক্ষেপ করে চুক্তিটি বাতিল করে। কোনো ক্ষেত্রে যদি পূর্বের অধিকার নতুন অধিকারের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় তবে পূর্বের অধিকার সম্বন্ধীয় চুক্তি বাতিল হয়ে যায়।[৭]

    ৪. চুক্তি ভংগকরণের মাধ্যমে নির্বাহ (ধারা ৩৯)

    কোনো পক্ষই চুক্তি অনুসারে কার্য না করলে সেই চুক্তি বাতিল হয়। এইক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত অন্য পক্ষ প্রথম পক্ষের বিপক্ষে আইনের কাছে যেতে পারে।[৮]

    ৫. রূপায়ণ করার সম্ভাবনাহীনতার মাধ্যমে (ধারা ৫৬)

    একটি চুক্তি রূপায়ণ করা প্রকৃতপক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়লে এটি নির্বাহ হয়।[৯]

    ৬. সময় পেরোনোর ফলে

    চুক্তি রূপায়ণের সময় পেরিয়ে গেলে এটি বাতিল হয়ে যায়। মেয়াদ আইন ১৯৪০ (The Limitation Act 1940) অনুযায়ী একটি চুক্তি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রূপায়িত করতে হয়।[১০]

  • জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    সমুদ্র আইন বলতে সমুদ্র সংক্রান্ত আইনকে বুঝায় অর্থাৎ সামুদ্রিক অঞ্চলে বিভিন্ন দেশসমূহের যে সকল অধিকার বিদ্যামান সে সম্পর্কিত আইনকে সমুদ্র আইন বলে।

    জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    সমুদ্র সম্পর্কিত আইন সমূহ

    বিভিন্ন দেশে সমুদ্র সম্পর্কিত আইন রয়েছে, যেমন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক সমুদ্র আইন পাস করা হয় যা আঞ্চলিক পানি ও সামুদ্রিক এলাকা আইন ১৯৭৪ (The Territorial Waters And Meritime Zones Act, 1974) নামে পরিচিত। এছাড়া জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক “জাতিসংঘ কনভেনশন”-১৯৮২একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন যা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত।

  • ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    ক্রিয়েটিভ কমন্স (সিসি) লাইসেন্স হল এমন কিছু পাবলিক কপিরাইট লাইসেন্সের সমষ্টি, যা অন্য কোনো কপিরাইটযুক্ত কাজের মুক্ত বিতরণ সক্ষম করে। একটি সিসি লাইসেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক তার তৈরিকৃত কাজ/লেখা অন্যকে ব্যবহার, শেয়ার করার অধিকার, এবং তার মূল কাজের উপর ভিত্তি করে নতুন কিছু নির্মাণের অধিকার প্রদান করে। সিসি একজন লেখককে নমনীয়তা উপলব্ধ করতে সক্ষম (উদাহরণ স্বরূপ, তারা কেবলমাত্র নিজের কাজের অ-বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করতে পারে)।

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    বিভিন্ন ধরনের সিসি লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সসমূহ বিভিন্ন সংযোজনের উপর ভিত্তি করে পৃথকৃত হয় যা মূলত বিতরণের শর্ত সংবলিত শর্ত। যা প্রাথমিকভাবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন অলাভজনক সংগঠন ক্রিয়েটিভ কমন্স কর্তৃক ডিসেম্বর ১৬, ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে লাইসেন্স স্যুটের ১.০ থেকে ৪.০ সংখ্যাযুক্ত পাঁচটি সংস্করণ রয়েছে।[১] জুলাই ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ৪.০ লাইসেন্স স্যুটটি বর্তমানে সর্বশেষ স্যুট।

    লাইসেন্সের প্রকৃতি

    3:08CC

    কাজ করতে চান একসঙ্গে? ক্রিয়েটিভ কমন্সের অ্যানিমেশন

    The second version of the Mayer and Bettle promotional animation explains what Creative Commons is.

    Ordering of CC licenses from most to least open

    সিসি লাইসেন্সসমূহ বেশকিছু অধিকার প্রকাশ করে থাকে। স্বত্বাধীন কাজ বা প্রকাশনার অবাণিজ্যিক কাজে বৈশ্বিক ব্যবহারের মত বিভিন্ন অধিকার দিয়ে থাকে।[২] বিভিন্ন লাইসেন্সের প্রকৃতি চার ধরনের হয়ে থাকে।

    প্রতীকঅধিকারবর্ণনা
    অ্যাট্রিবিউশন (BY)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, বিতরণ, প্রদর্শন ও কাজ সম্পাদন করা এবং এটি উপর ভিত্তি করে উপজাত কর্মসমূহ করতে পারে, যাতে শুধুমাত্র এই নির্ধারিত রীতি অনুযায়ী কৃতিত্ব হিসাবে লাইসেন্সধারীর নাম উল্লেখ করতে হবে।
    শেয়ার-আলাইক (SA)লাইসেন্সধারীদের উপজাত কর্মসমূহ বিতরণ করা যাবে, যাতে মুল কাজের অভিন্ন লাইসেন্স থাকবে এবং মুল কাজের লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত হবে।
    অ-বাণিজ্যিক (NC)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, প্রদর্শন, বিতরণ এবং কাজ সম্পাদন করা এবং উপজাত কর্মসমূহ শুধুমাত্র অ-বাণিজ্যিক হিসাবে ব্যবহার করা।
    কোন অমৌলিক কাজ নয়(ND)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, বিতরণ, প্রদর্শন এবং কাজ শুধুমাত্র ধারণকৃত কপি সম্পাদন করতে পারেন, কোন অনুকৃতি এর উপর ভিত্তি করে নয়।

    সূত্র:[৩]

    বহুল ব্যবহৃত সাতটি লাইসেন্স

    প্রতীকবর্ণনাআদ্যক্ষরঅনুমোদন পুনর্মিশ্রন সংস্কৃতিবাণিজ্যিক ব্যবহার অনুমোদনঅনুমোদন বিনামূল্যে সাংস্কৃতিক কাজপূরণ করে ‘মুক্ত সংজ্ঞা
    বিধিনিষেধ ছাড়াই বিশ্বব্যাপী মুক্ত কন্টেন্টCC0হ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    শুধুমাত্র অ্যাট্রিবিউশনBYহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    অ্যাট্রিবিউশন + শেয়ার-আলাইকBY-SAহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিকBY-NCহ্যাঁনানানা
    অ্যাট্রিবিউশন + মৌলিকBY-NDনাহ্যাঁনানা
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিক + শেয়ার-আলাইকBY-NC-SAহ্যাঁনানানা
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিক + মৌলিকBY-NC-NDনানানানা

    সূত্র:[৪][৫]

    সংস্করণ ৪.০ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবহার

    মূল অ স্থানীয় ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স লিখা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আইনি সিস্টেমকে মাথায় রেখে, তাই বিভিন্ন বাক্যে কথন স্থানীয় আইনে বেমানান হতে পারে এবং বিভিন্ন বিচারব্যবস্থায় বিবেচ্য লাইসেন্স রেন্ডার করতে পারে। এই সমস্যা মোকাবেলায়, ক্রিয়েটিভ কমন্স এর বিভিন্ন অনুমোদনকারীদের স্থানীয় আইন প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করে যেটি “ক্রিয়েটিভ কমন্স এখতিয়ার পোর্ট” নামে পরিচিত।[৬] জুলাই ২০১১ অনুসারে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের বিশ্বব্যাপী ৫০টি বিচারব্যবস্থায় অনুদিত। [৭]

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০, প্রকাশ করা হয় ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর, যা সাধারণ বিচারব্যবস্থায় প্রযোজ্য এবং সাধারণত পোর্ট প্রয়োজন বোধ করেন না, এমন জেনেরিক লাইসেন্স আছে। [৮][৯][১০][১১] লাইসেন্সের সংস্করণ ৪.০ -এ নতুন কোন পোর্ট বাস্তবায়ন করা হয়নি।[১২] সংস্করণ ৪.০ পোর্ট সংস্করণকে নিরুৎসাহিত করে এবং একক বৈশ্বিক সংস্করণকে উৎসাহিত করে।[১৩]

    অধিকার

    অ্যাট্রিবিউশন

    অ-বানিজ্যিক লাইসেন্স

    জিরো / পাবলিক ডোমেইন

    অভিযোজন

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লোগো

    ভিডিওটি কিভাবে বাণিজ্যিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থাসমূহের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স ব্যবহার করা যায় তা ব্যাখ্যা করে।

    ক্রিয়েটিভ কমন্স (সিসি) লাইসেন্স হল এমন কিছু পাবলিক কপিরাইট লাইসেন্সের সমষ্টি, যা অন্য কোনো কপিরাইটযুক্ত কাজের মুক্ত বিতরণ সক্ষম করে। একটি সিসি লাইসেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক তার তৈরিকৃত কাজ/লেখা অন্যকে ব্যবহার, শেয়ার করার অধিকার, এবং তার মূল কাজের উপর ভিত্তি করে নতুন কিছু নির্মাণের অধিকার প্রদান করে। সিসি একজন লেখককে নমনীয়তা উপলব্ধ করতে সক্ষম (উদাহরণ স্বরূপ, তারা কেবলমাত্র নিজের কাজের অ-বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করতে পারে)।

    বিভিন্ন ধরনের সিসি লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সসমূহ বিভিন্ন সংযোজনের উপর ভিত্তি করে পৃথকৃত হয় যা মূলত বিতরণের শর্ত সংবলিত শর্ত। যা প্রাথমিকভাবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন অলাভজনক সংগঠন ক্রিয়েটিভ কমন্স কর্তৃক ডিসেম্বর ১৬, ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে লাইসেন্স স্যুটের ১.০ থেকে ৪.০ সংখ্যাযুক্ত পাঁচটি সংস্করণ রয়েছে।[১] জুলাই ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ৪.০ লাইসেন্স স্যুটটি বর্তমানে সর্বশেষ স্যুট।

    লাইসেন্সের প্রকৃতি

    3:08CC

    কাজ করতে চান একসঙ্গে? ক্রিয়েটিভ কমন্সের অ্যানিমেশন

    The second version of the Mayer and Bettle promotional animation explains what Creative Commons is.

    আইনগত দিক

  • কমন ল

    কমন ল

    কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: “কমন ল” – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর(নভেম্বর ২০২১)
    কমন ল

    ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত কলোনি সমূহ যা পরবর্তীতে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, সেইসকল দেশসমূহে ইংরেজদের প্রণীত আইনের প্রভাব দেখা যার; আইনের এই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাবই মূলত কমন ল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশ, যারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন কলনি, তারা কমন ল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।

    মানচিত্রে বিশ্বের আইন পদ্ধতি – কমন ল

    দণ্ডবিধি, ১৮৬০, দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮, তামাদি আইন ১৯০৮, রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ সহ বিভিন্ন আইন, যা ১৯ শতকের দিকে প্রণীত ও কার্যকরী হয়, এগুলোর মুল নির্যাস এখনো কমন ল দেশগুলোতে পরিলক্ষিত হয়।