বিহারীনাথপশ্চিমবঙ্গেরবাঁকুড়া জেলার উচ্চতম পাহাড়। এই অঞ্চলটি জেলার অন্যতম গভীর বনাঞ্চলও বটে। এই পাহাড়ের উচ্চতা ৪৫১ মিটার (১,৪৮০ ফুট)।[১] বিহারীনাথ বাঁকুড়া শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) এবং শালতোড়া শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার (৯ মাইল) দূরে অবস্থিত। বিহারীনাথ এলাকায় কিছু প্যালিওলিথিক প্রত্নসামগ্রী উদ্ধার হয়। এর পর থেকেই এই পাহাড় ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি পুরাতাত্ত্বিক মহলে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।[২] বিহারীনাথ পাহাড়ের পাদদেশ অংশটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। ০.৫০ হেক্টর আয়তনের একটি ছোটো জলাধারকে কেন্দ্র করে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। বিহারীনাথের নিকটে একটি প্রাচীন জৈন মন্দিরও আছে।[৩] এই অঞ্চলে ভূগর্ভে কয়লা সঞ্চিত রয়েছে। বিহারীনাথ ব্লক দামোদরোত্তর অঞ্চলের রানিগঞ্জ কয়লাক্ষেত্রের দক্ষিণ মধ্য অংশে অবস্থিত। পুরো অঞ্চলটিই পলিমাটিতে ঢাকা।[৪]
অধুনা ‘বঙ্গ‘ বা বাংলা ভূমি (Land of Bengal) ইতিহাসে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল , যা সুপ্রাচীন রাজ্য ও জনবসতি থেকে উদ্ভূত হয়।
ইতিহাস
বাংলা বা বেঙ্গল (Bengal) শব্দগুলির আদি উৎস অজ্ঞাত, কিন্তু বিশ্বাস করা হয় যে শব্দটি বং অথবা বাং নামক একটি দ্রাবিড়ীয়-ভাষী উপজাতি বা গোষ্ঠী থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বং জাতিগোষ্ঠী ১০০০ খ্রিস্টপূর্বের দিকে এই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন।[১]
অন্য তত্ত্ব বলছে যে শব্দটির উৎপত্তি ভাঙ্গা (বঙ্গ) শব্দ থেকে হয়েছে, যেটি অস্ট্রিক শব্দ “বঙ্গা” থেকে এসেছিল, অর্থাৎ অংশুমালী। শব্দটি ভাঙ্গা এবং অন্য শব্দ যে বঙ্গ কথাটি অভিহিত করতে জল্পিত (যেমন অঙ্গ) প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে পাওয়া যায়, যেমনঃ বেদ, জৈন গ্রন্থে, মহাভারত এবং পুরাণে। “ভাঙ্গালা” (বঙ্গাল/বঙ্গল)-এর সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ রাষ্ট্রকূটগোবিন্দ ৩-এর নেসারি প্লেট্সে উদ্দিষ্ট (৮০৫ খ্রিস্টাব্দ-আগে) যেখানে পাল রাজা ধর্মপাল এর বৃত্তান্ত লেখা আছে।[২]
১৯৮৫ সালের শেষ দিকে এরশাদ জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি ও মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট। কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপিপি ভেঙে এরশাদের দলে যোগ দেন। ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠিত হয়। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন এরশাদ এবং মহাসচিব হন এম এ মতিন।[৩][৪]
মন্ত্রিসভাটি কার্যকর ছিল ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
উইকিম্যাপিয়া (ইংরেজি: WikiMapia) হল একটি মুক্ত বিষয়বস্তু সহযোগী মানচিত্রিকরণ প্রকল্প, যার উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সমস্ত ভৌগোলিক বস্তু চিহ্নিত করা এবং তাদের জন্য দরকারি বিবরণ প্রদান করা। একটি উইকি সিস্টেমের সাথে এটি ইন্টারেক্টিভ ওয়েব মানচিত্র সম্মিলন। এই প্রকল্পটি ২৪শে মে, ২০০৬ সালে আলেক্সান্দর কোরিয়াকাইন এবং এভজেনি সাভালিভ প্রতিষ্ঠা করেন। নিবন্ধভুক্ত এবং অনিবন্ধভুক্ত ব্যবহারকারী মিলে নভেম্বর ২০১৪ সালের হিসাবে ২৩,৮৩৩,৫৫৫ টিরও বেশি বস্তু চিহ্নিত করেছে।[৪] বর্তমানে ১,৬০০,০০০ জনের উপরে উইকিম্যাপিয়া সমাজে যোগ দিয়েছে।
প্রধান নীতি
উইকিম্যাপিয়ার মূল কার্যক্রম হচ্ছে, যথাসম্ভব সারা বিশ্বের তথ্য সংগ্রহ করা, বিষয়শ্রেণীসমূহ অনুসারে সাজানো, অনুসন্ধান করা সুযোগ প্রদান এবং বিনামূল্যে ব্যবহার। উইকিম্যাপিয়া ইন্টারনেট স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগীরূপে তৈরি করা হয়েছে যারা অধিকাংশে নিজেদের বিষয়বস্তু নির্দেশাবলী করে থাকে।
হেলিকপ্টার বাতাসের চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এমন একটি আকাশযান যার উর্দ্ধগতি সৃষ্টি হয় এক বা একাধিক আনুভূমিক পাখার ঘুর্ণনের সাহায্যে, উড়োজাহাজের মত ডানার সম্মুখগতির সাহায্যে জন্য নয় । এই পাখাগুলো দুই বা ততোধিক ব্লেডের সমন্বয়ে গঠিত যারা একটি মাস্তুল বা শক্ত দন্ডকে কেন্দ্র করে ঘোরে। ঘুর্ণনক্ষম পাখার জন্য হেলিকপ্টারকে ঘূর্ণিপাখা আকাশযান বলা যায়।
‘হেলিকপ্টার’ শব্দটি এসেছে ফরাসি hélicoptère এলিকপ্ত্যার্ শব্দটি থেকে যা গুস্তাভ দ্য পন্তন দ্যআমেকোর্ত ১৮৬১ সালে ব্যবহার করেন। এই ফরাসি শব্দটির উৎস আবার গ্রীক ἕλικ- হেলিক্ অর্থাৎ “স্পাইরাল” বা “ঘুর্ণন” এবং πτερόν প্তেরোন্ অর্থাৎ “পাখা” [১][২] শব্দ দুটি।
হেলিকপ্টারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো হেলিকপ্টার একেবারে খাড়া ভাবে উড়তে(take off) এবং নামতে(landing) পারে, এ জন্য এর কোন রানওয়ে প্রয়োজন হয় না; হেলিকপ্টারের পাখাই একে ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় উর্দ্ধচাপ সরবরাহ করে। এই কারণে সঙ্কীর্ণ বা বিচ্ছিন্ন স্থানে যেখানে বিমান ওঠা নামা করতে পারে না, সেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। পাখার দ্বারা সৃষ্ট উর্দ্ধচাপ হেলিকপ্টারকে একই স্থানে ভেসে থাকতেও সাহায্য করে, ফলে হেলিকপ্টারকে দিয়ে এমন সব কাজ করানো যায় যা বিমানকে দিয়ে করানো যায়না, যেমন ক্রেন বা ঝুলন্ত ভারবাহক হিসেবে ব্যবহার।
হেলিকপ্টারের জন্ম অনেক আগে, মানুষের ওড়াউড়ির প্রথম অর্ধশতাব্দীর মধ্যে, হলেও ১৯৪২ সালে ইগর সিকোরস্কির তৈরি করা নকশার হেলিকপ্টারই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়[৩] এবং প্রথম ১৩১টি হেলিকপ্টার তৈরি করা হয়[৪]। আবার প্রথমদিকের বেশীরভাগ হেলিকপ্টারের প্রধান পাখা দুটো করে থাকলেও একটি মূল পাখা এবং একটি অ্যান্টিটর্ক (antitorque) পেছনের পাখা সমৃদ্ধ নকশাগুলোই বিশ্বজুড়ে “হেলিকপ্টার” নামে স্বীকৃতি পেয়েছে।
পরিবাহক বেল্ট বা ” কনভেয়ার বেল্ট” একটি “বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা”, যা একটি বহন মাধ্যম (প্রায়ই বেল্ট পরিবাহক থেকে সংক্ষিপ্ত)। একটি “বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা” অনেক ধরনের “কনভেয়ার সিস্টেমের” মধ্যে একটি। একটি বেল্ট পরিবাহক ব্যবস্থা দুটি বা তার অধিক ঘূর্ণিগুলির (কখনও কখনও ড্রামস হিসাবে পরিচিত) মধ্যবর্তী মধ্যম-পরিবাহক বেল্ট-এর একটি অবিরাম বৃত্তাকার পথ বা লুপ দিয়ে গঠিত। এক বা উভয় দিকে চালিত হয় বেল্ট এবং বেল্ট সম্মুখের দিকে উপাদান স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত হয়। বেল্ট পরিবাহকের দুটি প্রধান শিল্প ক্লাস আছে; সাধারণ উপাদানগুলির মধ্যে যারা যেমন একটি ফ্যাক্টরি চলন্ত বক্সগুলির এবং বাল্ক উপাদানগুলি যেমন শস্য, লবণ, কয়লা, লৌহ আকরিক, বালি, ওভারব্রোর্ড এবং আরও অনেকগুলি সম্পদ ও কৃষি সামগ্রী পরিবহন করতে ব্যবহৃত হয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিবাহক বেল্ট স্বয়ংক্রিয় বণ্টন এবং গুদাম মধ্যে ব্যবহৃত টেকসই এবং নির্ভরযোগ্য উপাদান। কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত প্যালেট হ্যান্ডলিং সরঞ্জামের সংমিশ্রণে এটি আরও দক্ষ ভাবে খুচরো, পাইকারি এবং উপাদান বিতরণের জন্য অনুদিত। এটি একটি শ্রম সংরক্ষণ ব্যবস্থা বলে মনে করা হয় যার ফলে বড় পরিমানে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পণ্য দ্রুত সরানো সম্ভব, যার ফলে কোম্পানীগুলিকে ছোট সঞ্চয়ের স্থান থেকে জাহাজ পণ্য পরিবহন কম শ্রমিক দ্বারা সম্ভব।
রবার কনভেয়র বেল্টগুলি সাধারণত নিচে পৃষ্ঠতল অনিয়মিত, ছোট্ট উপাদান যা রোলার্সের মধ্যে পড়ে (যেমন, একটি সুদৃশ্য কনভেয়র বার), বা বেল্টের মধ্যে বণ্টন করে, যা রোলার্সের মধ্যে সজীব থাকে। বেল্ট পরিবহন সাধারণত একটি সমতল ধাতু বিছানার উভয় শেষে রোলার সঙ্গে যুক্ত একটি ধাতব ফ্রেম গঠনের অনুরূপ। বেল্টটি রোলারের প্রতিটির কাছে ছিঁড়ে যায় এবং যখন রোলারগুলি একটি (বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা) চালিত হয় তখন ধাতুটি ছাঁচে ঢোকানো কঠিন ধাতু ফ্রেম বেল্টে জুড়ে পণ্য সরানো হয়। ভারী উপাদান পরিবহনের জন্য বেল্টটি টানা হয়, এমন শয্যাগুলি রোলার্সের সাথে প্রতিস্থাপিত হয়। বেল্টের উপর ভারী লোডিং থেকে উৎপন্ন ঘর্ষণ পরিমাণ কমাতে বেল্টের উপর কম ওজন অনুমতি দেয়।
এই পরিবাহক ব্যবস্থা সাধারণত ডাক শ্রেণীবিভাজন অফিসে এবং এয়ারপোর্ট ব্যাগ হ্যান্ডলিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। একটি স্যান্ডউইচ বেল্ট পরিবাহকে দুটি পরিবাহক বেল্ট ব্যবহার করে। এই পরিবাহক বেল্ট মুখোমুখি ও দৃঢ়ভাবে বস্তু ধারণ করে, খাড়া ঢাকনা তৈরি এবং এমনকি উল্লম্ব লিফট অর্জনযোগ্য রান।
বেল্ট পরিবাহকগুলির মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহৃত ও চালিত হল কনভেয়ার বেল্ট, কারণ তারা সবচেয়ে বহুমুখী এবং কম খরচে ব্যবহার করা যায়। পণ্য পরিবাহক দ্বারা বেল্ট সরাসরি প্রেরিত হয়। নিয়মিত এবং অনিয়মিত আকৃতির বস্তু, বড় বা ছোট, হালকা এবং ভারী উভয়ই সফলভাবে পরিবহন করা যায়। এই পরিবাহকে শুধুমাত্র সর্বোচ্চ মানের প্রিমিয়াম বেল্টিং পণ্য ব্যবহার করা উচিত, যাতে বেল্টের প্রসারণ হ্রাস এবং টান সমন্বয় জন্য কম রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। বেল্ট পরিবাহক একটি সরল রেখা বা উচ্চতা বা দিক পরিবর্তন মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে তারা স্ট্যাটিক সঞ্চিত বা কার্টসগুলির জন্যও ব্যবহার করা যায়।
ইতিহাস
আদিম পরিবাহক বেল্টগুলি ১৯ শতকের থেকে ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৮৯২ সালে টমাস রবিনস একটি পরিবাহক আবিষ্কার শুরু করেন যা কয়লা, অরেস এবং অন্যান্য পণ্য বহন করার জন্য ব্যবহৃত একটি কনভেয়ার বেল্টের বিকাশে নেতৃত্ব দেয়। [১][২] ১৯০১ সালে, স্যান্ডভিক ইস্পাত নির্মিত পরিবাহক বেল্টের আবিষ্কার করেন এবং উৎপাদন শুরু করেন। ১৯০৫ সালে রিচার্ড স্যাটক্লিফ কয়লা খনিতে ব্যবহারের জন্য প্রথম পরিবাহক বেল্ট আবিষ্কার করেন যা খনি শিল্পে বিপ্লব ঘটায়। ১৯১৩ সালে, হেনরি ফোর্ড মিশিগান কারখানায় ফোর্ড মোটর কোম্পানির পার্বত্য পার্কে পরিবাহক-বেল্ট সমাবেশ লাইন চালু করেছিলেন। [৩]
গণপরিবহন সাধারণ যাত্রীদের ও সাধারণ জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ একটি পরিবহন ব্যবস্থা। বিশেষ করে পরিচালিত রুটগুলিতে যাত্রী পরিবহন একটি সময়সূচীতে পরিচালিত হয় এবং এটি একটি নির্ধারিত মূল্য দ্বারা করা হয়। প্রতিটি ট্রিপ। [১][২][৩] পাবলিক পরিবহন বা গণপরিবহনের উদাহরণগুলির মধ্যে শহরের বাস, ট্রলিবাস, ট্রাম (বা হালকা রেল) এবং যাত্রীবাহী ট্রেন, দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা (মেট্রো / সাবওয়ে / ভূগর্ভস্থ ইত্যাদি) এবং ফেরি অন্তর্ভুক্ত। শহরগুলির মধ্যে গণপরিবহনগুলি বিমান, আন্তঃনগর বাস পরিষেবক এবং আন্তঃনগর রেল (ইন্টারসিটি রেল) দ্বারা প্রভাবিত। বিশ্বের অনেক অংশে উচ্চ গতির রেল ব্যবস্থাগুলি বিকশিত হচ্ছে।
বেশিরভাগ গণপরিবহন ব্যবস্থাতে সময়সীমা নির্ধারিত সময়ের সাথে স্থির রুটগুলির সাথে চালিত হয়, যা সর্বাধিক ঘন ঘন পরিষেবা (যেমন: “প্রত্যেক ১৫ মিনিট” দিনের কোনও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়)। অধিকাংশ গণপরিবহনের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য উপায়, যেমন ট্রেন চলাচলের জন্য যাত্রীদের যাত্রা বা বাস চলাচলের সুবিধা। [৪] বিশ্বের অনেক অংশে ট্যাক্সি পরিষেবা অফারের চাহিদাগুলি ভাগ করে নিয়েছে, যা নির্দিষ্ট গণপরিবহনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, বা তাদের প্রশংসা করতে পারে, যাত্রীদেরকে ইন্টারচেঞ্জের মাধ্যমে নিয়ে আসতে। প্যারাট্রান্সিট কখনও কখনও নিম্ন চাহিদাগুলির ক্ষেত্রে এবং “ডোর-টু-ডোর” পরিষেবা প্রয়োজন এমন লোকদের জন্য ব্যবহৃত হয়। [৫]
নিউ ইয়র্ক সিটি সাবওয়ে হল বিশ্বের অন্যতম দ্রুত গতির ব্যবস্থার একটি । সিস্টেম স্টেশনগুলির সংখ্যা অনুসারে
সাংহাই মেট্রো রুট দৈর্ঘ্যের হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম দ্রুত গতির গণপরিবহন ব্যবস্থা।
নগরের সার্বজনীন গণপরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এশিয়া, উত্তর আমেরিকা, ও ইউরোপের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এশিয়াতে, মুনাফা-চালিত, বেসরকারি মালিকানাধীন এবং জনসাধারণের ব্যবসা বাণিজ্য এবং রিয়েল এস্টেট সংস্থাগুলি প্রধানত পাবলিক ট্রানজিট ব্যবস্থা পরিচালনা করে।[৬][৭] উত্তর আমেরিকায়, “পৌর গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ” সর্বাধিক গণপরিবহন ব্যবস্থা চালায়। ইউরোপে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি উভয় সংস্থা প্রধানত সরকারী গণপরিবহন ব্যবস্থা পরিচালনা করে, সরকারী পরিবহন পরিষেবা লাভের দ্বারা চালিত অর্থের দ্বারা ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা সরকারী ভর্তুকি দ্বারা অর্থায়নে পরিচালিত হতে পারে যার মধ্যে প্রতিটি যাত্রীকে ফ্ল্যাট হারের ভাড়া দিতে হয় । সেবা উচ্চ ব্যবহারকারীত্ব সংখ্যার এবং উচ্চ হারে ভারা পুনরুদ্ধার অনুপাতের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে লাভজনক হতে পারে, অথবা নিয়ন্ত্রিত এবং সম্ভবত স্থানীয় বা জাতীয় কর রাজস্ব থেকে ভর্তুকি করা হয়। সম্পূর্ণভাবে ভর্তুকির দ্বারা কিছু শহরগুলিতে বিনামূল্যে গণপরিবহন পরিষেবা প্রদান করে।
ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক কারণগুলির জন্য, পার্থক্য রয়েছ আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যমান জনসাধারণের গণরিবহণের ব্যবহার এবং গণপরিবহনের পরিমাণে। যদিও ওল্ড ওয়ার্ল্ডের দেশগুলো তাদের পুরানো ও ঘন বসতি সম্পর্ন শহরগুলিতে গণপরিবহন পরিবেশন করছে বিস্তৃত ভাবে এবং ঘন গণপরিবহন ব্যবস্থা আছে, তবে নিউ ওয়ার্ল্ডের অনেকগুলি শহরে আরো বেশি করে গণপরিবহনের প্রয়োজন কারণ এই সব শহরে সার্বজনীন পরিবহন ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ভাবে নেই। “ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট” (ইউআইটিপি) হল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অথরিটি এবং পরিচালক, প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নির্মাতা, বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান এবং গণপরিবহন সরবরাহ ও পরিষেবার শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক। সংস্থাটির ৯২ টি দেশে ৩,৪০০ সদস্য রয়েছে।
জৈবপ্রযুক্তি হলো বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত নীতি অনুসরণ ও প্রয়োগ করে জীবদের ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষের জন্য কল্যাণকর ও ব্যবহারযোগ্য প্রয়োজনীয় মালামাল তৈরির বিশেষ প্রযুক্তি। এটি মূলত জীববিদ্যাভিত্তিকপ্রযুক্তি, বিশেষ করে যখন প্রযুক্তি কৃষি, খাদ্য বিজ্ঞান, এবং ঔষধশিল্পে ব্যবহৃত হয়। ১৯১৯ সালে হাঙ্গেরীয় কৃষি প্রকৌশলী কারোলি এরাকি (Károly Ereky) সর্বপ্রথম biotechnology শব্দটি ব্যবহার করেন।[১]
জাতিসংঘেরকনভেনশন অন বায়োলোজিক্যাল ডাইভার্সিটি অনুসারে জৈব প্রযুক্তিকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়:[২]
যে কোনো প্রকারের প্রায়োগিক প্রাযুক্তিক কাজ যা জৈবিক ব্যবস্থা, মৃত জৈবিক বস্তু অথবা এর থেকে প্রাপ্ত কোনো অংশকে ব্যবহার করে কোনো দ্রব্য বা পদ্ধতি উৎপন্ন করে বা পরিবর্তন করে যা বিশেষ ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
(Any technological application that uses biological systems, dead organisms, or derivatives thereof, to make or modify products or processes for specific use.)
ইতিহাস
জৈবপ্রযুক্তির একটি প্রাচীন প্রয়োগ– গাঁজন (Fermentation)
যদিও কৃষিকাজে জৈবপ্রযুক্তি বহুকাল পূর্বে থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে, তবুও উদ্ভিদের চাষাবাদে এর আধুনিকতম প্রয়োগ দেখা যায়। নব্যপ্রস্তর যুগেরনবোপলীয় বিপ্লবের পর থেকেই কৃষিকে খাদ্য উৎপাদনের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। আধুনিক যুগের কৃষকেরা শ্রেষ্ঠ বীজ নির্বাচন ও ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ফলন ঘটিয়ে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যারখাদ্য চাহিদা পূরণ করছে। যখন শস্য ও জমির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল, তখন এমন কিছু জীব এবং তাদের থেকে উৎপন্ন পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা মাটিরউর্বরাশক্তি বৃদ্ধি করে, নাইট্রোজেন সংবদ্ধকরণ করে, এবং ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ বা পেস্ট দমন করে। কৃষির ইতিহাসে দেখা যায়, কৃষক ভিন্ন পরিবেশে ভিন্ন উদ্ভিদের সাথে কোনো উদ্ভিদের প্রজনন ঘটিয়ে উদ্ভিদের জিনে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে জৈবপ্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ উন্মোচন করেছেন। বিয়ারেরগাঁজন ও আদিম জৈবপ্রযুক্তির একটি উদাহরণ।[৩] এই পদ্ধতিগুলো মেসোপটেমিয়া,মিশর,চিন এবং ভারতে প্রচলিত ছিল এবং পদ্ধতিগুলোর জীববৈজ্ঞানিক মূলনীতিগুলো এখনো একই রয়েছে। ১৮৫৭ সালে লুই পাস্তুরের গাঁজনবিষয়ক কাজের আগে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু বোঝা না গেলেও এটিই একপ্রকার খাদ্যকে অন্য প্রকার খাদ্যে রূপান্তরকারী জৈবপ্রযুক্তির প্রাথমিক রূপ। গাঁজন প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট ভেঙে অ্যালকোহল উৎপন্ন হয়। হাজার বছর ধরে মানুষ শস্য এবং প্রাণীর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতি ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতে প্রত্যাশিত উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী জীবের মিলনে সৃষ্ট সন্তান একই বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে বৃহত্তম ও সর্বাধিক মিষ্টি ভুট্টা উৎপাদন করা হয়েছিল।[৪] বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বিজ্ঞানীগণ অণুজীব সম্পর্কে অনেক তথ্য লাভ করতে থাকেন এবং পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৯১৭ সালেChaim Weizmann বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে প্রথম বিশুদ্ধ অণুজীব কালচারের প্রয়োগ করেন। তিনি Clostridium acetobutylicumব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে ভুট্টার স্টার্চ প্রক্রিয়াজাত করে অ্যাসিটোন উৎপাদন করেছিলেন যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধেযুক্তরাজ্যের খুব দরকার ছিল বিস্ফোরক তৈরি করতে।[৫] জৈবপ্রযুক্তি অ্যান্টিবায়োটিকের উন্নতিতেও ব্যবহৃত হয়েছে। অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৮ সালে Penicillium মোল্ড আবিষ্কার করেন। তার কাজ Howard Florey, Ernst Boris Chain এবং Norman Heatley কে পরিচালিত করে পেনিসিলিন উদ্ভাবনের দিকে। ১৯৪০ সাল থেকে পেনিসিলিন মানুষের দেহে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে।[৬]
প্রয়োগ
একটি গোলাপ গাছ যার জীবন কতগুলো কোষ হিসেবে শুরু হয়েছিল টিস্যু কালচারে।
৪টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে জৈবপ্রযুক্তির প্রয়োগ দেখা যায়। এগুলো হচ্ছে
স্বাস্থ্য
কৃষি
শিল্পে শস্য ও অন্যান্য পণ্যের (যেমন: জৈবিক উপায়ে পচনশীল প্লাস্টিক, উদ্ভিজ্জ তেল, জৈব জ্বালানি) ব্যবহার
পরিবেশ
অণুজীব দ্বারা জৈব পদার্থ প্রক্রিয়াজাতে জৈবপ্রযুক্তির প্রয়োগ হয়। আকরিক থেকে ধাতু নিষ্কাশনে ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহারও জৈবপ্রযুক্তির উদাহরণ। এছাড়া কোনো জিনিসকে পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা, বর্জ্য শোধন, কলকারখানা দ্বারা দূষিত এলাকা পরিষ্কার এবং জীবাণু অস্ত্র তৈরিতে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
জৈবপ্রযুক্তির বিভিন্ন শাখাকে শনাক্ত করার জন্য কিছু শব্দ বা পরিভাষা উদ্ভূত হয়েছে। যেমন:-
গোল্ড বায়োটেকনোলজি বা স্বর্ণ জৈবপ্রযুক্তি
এই শাখাটি মূলত বায়োইনফরমেটিকসের উপরে ভিত্তি করে গঠিত হয়েছে যা জৈবপ্রযুক্তির একটি আন্তঃবিষয়ক ক্ষেত্র যেখানে জীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলো দ্রুত সাজানো যায় এবং তথ্য বিশ্লেষণ করা যায় কম্পিউটারের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।এ টি অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন- functional genomics, structural genomics and proteomics যা জৈবপ্রযুক্তি ও ওষুধশিল্পের মূল উপাদান তৈরিতে সাহায্য করে।
ব্লু বায়োটেকনোলজি বা নীল জৈবপ্রযুক্তি
মূলত সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিল্পক্ষেত্রে বিভিন্ন দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্র। যেমন- জৈব জ্বালানি পরিশোধনের ক্ষেত্রে সালোকসংশ্লেষণকারী মাইক্রো-শৈবাল ব্যবহৃত হয়।
গ্রিন বায়োটেকনোলজি বা সবুজ জৈবপ্রযুক্তি
জৈবপ্রযুক্তির সেই শাখা, যেখানে জৈবপ্রযুক্তি কৃষিক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। যেমন- মাইক্রোপ্রোপাগেশনের মাধ্যমে একসাথে অনেক উদ্ভিদ উৎপন্ন করা যায়। নির্দিষ্ট পরিবেশে বেড়ে ওঠার জন্য ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদ (বাইরে থেকে জিন প্রবেশ করানোর মাধ্যমে উৎপন্ন উদ্ভিদ) তৈরি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী এবং অধিক ফলনশীল উদ্ভিদ উৎপাদন।
রেড বায়োটেকনোলজি বা লাল জৈবপ্রযুক্তি
চিকিৎসা শাস্ত্র এবং ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত জৈবপ্রযুক্তি। এই শাখার অন্তর্গত কাজগুলো হল টিকা ও অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি, বিভিন্ন থেরাপি, কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি, কৃত্রিম হরমোন তৈরি, স্টেম কোষ প্রভৃতি তৈরি।
হোয়াইট বায়োটেকনোলজি বা সাদা জৈবপ্রযুক্তি
এটিকে শিল্প জৈবপ্রযুক্তিও বলা হয় কারণ এই প্রযুক্তি শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। যেমন- বিভিন্ন এনজাইমের সঠিক ব্যবহারের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ তৈরি এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ধ্বংস করা হয়।
ইয়োলো বায়োটেকনোলজি বা হলুদ জৈবপ্রযুক্তি
খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জৈবপ্রযুক্তি।যেমন- গাঁজন পদ্ধতিতে ওয়াইন, পনির, বিয়ার প্রভৃতি উৎপাদন। বিভিন্ন কীটপতঙ্গের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জৈবপ্রযুক্তিও এই শাখার আলোচ্য বিষয়।
গ্রে বা ধূসর জৈবপ্রযুক্তি
পরিবেশে প্রয়োগকৃত জৈবপ্রযুক্তি। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং পরিবেশ দূষণ দূর করাই এর প্রধান লক্ষ্য।
ব্রাউন বা বাদামি জৈবপ্রযুক্তি
শুষ্ক বা মরুভূমি এলাকার পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জৈবপ্রযুক্তি। এক্ষেত্রে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বীজ উৎপাদন করা হয় যা কঠিন প্রাকৃতিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে সক্ষম।
ভায়োলেট বা বেগুনি জৈবপ্রযুক্তি
এই ক্ষেত্রটি জৈবপ্রযুক্তির আইনি, নৈতিক এবং দার্শনিক দিকগুলোর সাথে সম্পর্কযুক্ত।
ডার্ক বা অন্ধকার জৈবপ্রযুক্তি
সন্ত্রাসবাদে জৈবপ্রযুক্তির ব্যবহার, জীবাণু অস্ত্র তৈরি এই শাখার অন্তর্গত।যেমন- অণুজীব বা বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে মানুষ, গবাদি পশু বা ফসলের রোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করা।
ইউক্লিড (জন্ম: অজানা – মৃত্যু: ৩০০ খ্রি. পূ.) বিখ্যাত গ্রিক গণিতজ্ঞ। তার লেখা গ্রন্থগুলির মধ্যে মাত্র তিনটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এগুলো হলো : ডাটা, অপটিক্স ও এলিমেন্টস। এলিমেন্টস বইটি মোট ১৩ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
পাটিগণিতের মূল নিয়মাবলী, জ্যামিতি, গাণিতিক রাশি ও গাণিতিক সংকেত, সংখ্যাতত্ত্বসহ গণিতের বিভিন্ন শাখায় তার অবদান রয়েছে। অমূলদ রাশির আবিষ্কার গ্রিক গণিতকে যে সংকটে ফেলেছিল তা থেকে উদ্ধার পেতে পাটিগণিত জ্যামিতির দিকে ঝুঁকে পড়েছিল আর ইউক্লিডের গণিতেরও অনেকটাকেই বলা যেতে পারে জ্যামিতিক বীজগণিত। তার প্রধান বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ ইউক্লিড’স এলিমেন্টস। এতে আলোচনা আছে তলমিতি ও ঘ্নমিতি এবং সংখ্যাতত্ত্বের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যালগরিদম নিয়ে।[১]
ইউক্লিডের জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধ প্রণালী নিম্নোক্ত কয়েকটি মৌলিক প্রতীকির উপর নির্ভরশীল। সেগুলো হচ্ছে : বিন্দু, রেখা, তল, গতি এবং এই দুটি সম্পর্ক_”কোনো বিন্দু একটি তলের অন্তর্গত একটি রেখার উপর অবস্থিত” ও “যে কোনো বিন্দুর অবস্থান অন্য আর দুটি বিন্দুর মধ্যে”। আধুনিক পর্যালোচনা অনুসারে, ইউক্লিডের জ্যামিতির স্বতঃসিদ্ধগুলো এই পাঁচটি ভাগে বিভক্ত : আপত্ন, ক্রম, গতি, সন্ততি এবং সমান্তরাল স্বতঃসিদ্ধ। এই জ্যামিতি অসীম স্তরের উপাদানের কথাও বিবেচনা করেছে। এই প্রসঙ্গে ইউক্লিডিয়ান স্পেস ও ইউক্লিডিয়ান রিং-এর কথা উল্লেখ করা যায়।[১]
যদিও এলিমেন্টস এর বহু কাজই পূর্বতন গণিতবিদরা সম্পন্ন করেছেন, তবুও ইউক্লিডের বিশেষত্ব ছিল এই কাজগুলো একত্রীকরণে। তিনি বিচ্ছিন্ন কাজগুলোকে জড়ো করে একক গ্রন্থে প্রাসঙ্গিকভাবে সাজিয়ে দেয়ায় যেকোনো কাজের তথ্যসূত্র উদ্ধৃতিকরণ সহজ হয়ে যায়। ২৩ শতাব্দী পরও তাই গাণিতিক প্রমাণগুলো যথাযথভাবে গণিতের ভিত্তি হয়ে রয়েছে।
এলিমেন্টস এর প্রথম দিকের প্রতিলিপিগুলোয় ইউক্লিডের নাম আসেনি, বরং অধিকাংশ প্রতিলিপিতে বলা হয়েছে সেগুলো “থিওনের সংস্করণ থেকে” অথবা “থিওনের বক্তৃতামালা”। ভ্যাটিকানে সংরক্ষিত যে প্রতিলিপিটিকে প্রাথমিক সময়ের প্রতিলিপি বলে ধরা হয় সেটায় কোনো লেখকের নাম উল্লেখ নেই। ইউক্লিড এলিমেন্টসের রচয়িতা বলে একমাত্র যে তথ্যসূত্রটি পাওয়া যায় তার নাম প্রোক্লুস, যিনি তার কমেন্টারি অন দ্যা এলিমেন্টস বইতে ইউক্লিডকে এর লেখক হিসেবে আরোপ করেছেন।
যদিও এলিমেন্টস এর জ্যামিতির জন্য সর্বাধিক পরিচিত, সংখ্যাতত্ত্বও এর অন্তর্গত যেখানে পারফেক্ট নাম্বার ও মার্জেন প্রাইমের মধ্যকার সম্পর্ক এবং গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বের করার ইউক্লিডীয় এলগরিদম বর্ণনা করা হয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে এলিমেন্টস এ বর্ণিত জ্যামিতিই ছিল জ্যামিতি বলতে যা বোঝায় তার সবকিছু। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীতে অ-ইউক্লিডীয় বা ত্রিমাত্রিক জ্যামিতির আবির্ভাব হলে এলিমেন্টস এর জ্যামিতিজ্ঞানকে ইউক্লিডীয় জ্যামিতি নামে আখ্যায়িত করা হয়।
Proclus, A commentary on the First Book of Euclid’s Elements, translated by Glenn Raymond Morrow, Princeton University Press, 1992. আইএসবিএন৯৭৮-০-৬৯১-০২০৯০-৭.
DeLacy, Estelle Allen (১৯৬৩)। Euclid and Geometry। New York: Franklin Watts।
Knorr, Wilbur Richard (১৯৭৫)। The Evolution of the Euclidean Elements: A Study of the Theory of Incommensurable Magnitudes and Its Significance for Early Greek Geometry। Dordrecht, Holland: D. Reidel। আইএসবিএন90-277-0509-7।