আঞ্জুমান নিজস্ব প্রচার মাধ্যম হিসেবে আল-এসলাম (১৯১৫-১৯২১) নামক পত্রিকা প্রকাশ করে।[১]
কার্যক্রম
এই সংগঠন ১৯২১ সাল পর্যন্ত স্বনামে কার্যকর ছিল। এরপর তা জামিয়াত-উল-উলামা-ই-বাঙ্গালার সাথে একীভূত হয়। আঞ্জুমান বাংলা ও আসামে তাদের কার্যক্রম চালায়। ভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রভাবিত হয়ে পড়া মুসলিমদেরকে শিরক ও বিদাত থেকে মুক্ত থাকার শিক্ষা প্রদান করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা মক্তব, মাদ্রাসা নির্মাণ করেন ও তহবিল গঠন করেন। চট্টগ্রামে আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল কিন্তু তহবিলের কারণে তা সম্ভব হয়নি।[১]
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে আঞ্জুমান অংশ নেয়। আঞ্জুমান হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষপাতী ছিল। স্বদেশী পণ্যের বিক্রির জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতায় স্বদেশী খিলাফত স্টোর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।[১]
সমাপ্তি
দীর্ঘদিন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার পর ১৯২১ সালে আঞ্জুমানের কার্যক্রম বন্ধ হয় এবং তা জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের বাংলার শাখা জামিয়াত-উল-উলামা-ই-বাঙ্গালার সাথে একীভূত হয়।[১]