Tag: বিসিএস পরীক্ষা মডেল টেস্ট

  • দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    ভারতের উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত একটি মাদ্রাসা, যা ১৮৬৬ সালের ৩০ মে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এটি একটি মৌলিক শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে যা দরসে নেজামি নামে পরিচিত। দারুল উলুম দেওবন্দে এটি উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সাথে চালু করা হয়েছিল।[১] পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসরণে সারাবিশ্বে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে। তাই এটি দরসে নেজামি মাদ্রাসার মূল আদর্শ হিসেবে স্বীকৃত।[২] দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম মোট ৩টি ধাপে সমাপ্ত হয়: প্রাথমিক শিক্ষা, ফাযেল কোর্স এবং তাখাচ্ছুছাত। প্রাথমিক শিক্ষা বা দীনিয়াত বিভাগের ব্যপ্তি মোট ৫ বছর। ফাযেল কোর্স বা আলেম কোর্সের ব্যপ্তি মোট ৮ বছর। ফাযেল কোর্স দারুল উলুম দেওবন্দের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোর্স। এই কোর্স সমাপ্তকারীদের আলেম বলা হয়৷ ফাযেল কোর্সের মান সাধারণ শিক্ষার স্নাতকের সমান। ফাযেল কোর্স পরবর্তী বিভিন্ন বিষয়ের বিষেশায়িত উচ্চশিক্ষা তাখাচ্ছুছাত নামে পরিচিত। বিষয় অনুযায়ী এটি ১, ২ বছর বা আরও বেশি হতে পারে।

    দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাক্রম

    ফাযেল কোর্সের প্রথম চার বছরকে ছানুভী বিভাগ বলা হয়৷ এই বিভাগে আরবি নাহু ছরফ, আরবি ইনশা মান্তেক (তর্কবিদ্যা), কুরআন তরজমা এবং ইসলামি ইতিহাস সহ ইসলামের মৌলিক বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। আর শেষ চার বছরে ইলুমল বালাগাত, ফাসাহাত, তাফসির, উসূলে তাফসির, ফিকহ, উসূলে ফিকহ, হাদিস ও উসূলে হাদিসের পাঠ দান করা হয়৷ শেষ বছরকে দাওরায়ে হাদিস বলা হয়। এতে সিহাহ সিত্তাহসহ মোয়াত্তাইন ও তহাবী এবং শামায়েলে তিরমিজীর পাঠদান করা হয়৷

    ফাযেল কোর্স পরবর্তী বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা বা তাখাচ্ছুছাতের মধ্যে রয়েছে তাদরিব ফিল ইফতা, তাজবিদ, তাখাস্সুস ফিল হাদিস, তাকমিল আদব, তাকমিল তাফসির ইত্যাদি।[৩][৪][৫][৬][৭][৮]

    প্রেক্ষাপট

    নবীর যুগে শিক্ষার সূচনা হয় কুরআন দিয়ে। ওমরের খেলাফতকালে কুরআন শিক্ষার পাশাপাশি হাদিস বিদ্যার প্রচার ও প্রকাশনারও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সময়ের প্রয়োজনে শিক্ষাগত চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত এটি কুরআন, হাদীস, ফিকাহ এবং আরবি কবিতা শিখার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এরপর হিজরি চতুর্থ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত যাকে উদ্ভাবন ও সংস্কারের যুগ বলা হয়, সভ্যতার বিকাশ ও অগ্রগতির সাথে সাথে বিভিন্ন শিল্প ও বিজ্ঞানের উদ্ভাবন এবং তাদের অনুবাদের সূত্রপাত ঘটে এবং প্রয়োজন অনুসারে কিছু কলাও শেখানো শুরু হয়। যেমন: হাদিস, তাফসির, ফিকহ, ফিকহের মূলনীতি, ব্যাকরণ ও বাক্য গঠন, অভিধান, আরবি কবিতা এবং ইতিহাস সেই সময়ের শিক্ষাগত শিক্ষার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হত। মেডিসিন, জ্যোতিষ, জ্যোতির্বিদ্যা এবং আরও কিছু গ্রীক বিজ্ঞানও এই সিলেবাসে যোগ করা যেতে পারে। হিজরি পঞ্চম থেকে সপ্তম শতাব্দীর মধ্যে দ্বান্দ্বিকতা বা স্কলাস্টিক থিওলজির বিজ্ঞান ইমাম গাজ্জালির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং যার সমর্থনে পূর্বোক্ত বিজ্ঞান ছাড়াও যুক্তিবিদ্যা, দর্শন ইত্যাদির মতো নৈমিত্তিক বিজ্ঞান ইসলামিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হয়ে ওঠে। যেহেতু আরব পরিবারগুলো মিশর, সিরিয়া প্রভৃতি দেশগুলিতে বসতি স্থাপন করেছিল। প্রচুর সংখ্যায় আরবের ঝোঁককে প্রাধান্য দিয়ে, তাফসীর, হাদিস এবং আসমা আল-রিজাল শাস্ত্রের প্রতি তুলনামূলকভাবে বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। আন্দালুসিয়ায় (স্পেন) সাহিত্য, কাব্য ও ইতিহাসের ব্যাপক উচ্চতা ছিল। ইরানে যুক্তি ও দর্শনের প্রাধান্য ছিল এবং খুরাসান ও ট্রান্সক্সিয়ানাতে ফিকহ, ফিকহের নীতি এবং তাসাউউফের প্রচলন ছিল বেশি। তবে একই সময়ে, পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং চাহিদার প্রভাবের কারণে, সিলেবাসে পরিবর্তন ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া প্রায়ই এক এবং একই দেশে বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত হয়েছে। যদিও মুসলমানরা হিজরির প্রথম শতাব্দীতে ভারতে পৌঁছেছিল এবং হিজরি পঞ্চম শতাব্দীর শুরুতে অর্থাৎ সুলতান মাহমুদ গজনভির আমলে, যখন সিন্ধু ছাড়াও পাঞ্জাবের এলাকা তাদের সংখ্যায় বেশ ভালোভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইসলামি রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল, তাদের প্রকৃত প্রভাবের সময়কাল শুরু হয় হিজরি সপ্তম শতাব্দীর শুরু থেকে, অর্থাৎ সুলতান শাহাব আল-দিন ঘুরির শাসনামল থেকে। এটি সেই সময় ছিল যখন খুরাসান, ট্রান্সক্সিয়ানা ইত্যাদিতে, যদিও তাফসীর এবং হাদিস, ব্যাকরণ এবং বাক্য গঠন, অলঙ্কারশাস্ত্র এবং সাহিত্য, আইনশাস্ত্র, যুক্তিবিদ্যা, স্কলাস্টিক থিওলজি এবং তাসাউউফকে আদর্শ শিক্ষা, আইনশাস্ত্র এবং আইনশাস্ত্রের নীতি হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। ভারতে যে সমস্ত মুসলমানরা এসেছিলেন তারা বেশির ভাগই এই দেশগুলো থেকে এসেছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই তাই তাদের ঝোঁকের আগমনও অনিবার্য ছিল। এই হিসেবে এই সমস্ত বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং ভারতে এই যুগের পাঠ্যক্রমের একটি অংশ এবং পার্সেল ছিল। মাওলানা হাকিম সাইয়্যিদ আবদ আল-হায় লখনভি পুরাতন ভারতীয় পাঠ্যক্রমের নিম্নলিখিত চারটি সময়কাল নির্ধারণ করেছেন:

    প্রথম পর্যায়

    হিজরী সপ্তম শতাব্দী থেকে এর শুরু এবং দশম শতাব্দীতে এর সমাপ্তি এমন সময়ে নেওয়া উচিত যখন দ্বিতীয় যুগ শুরু হয়েছিল। কম-বেশি দুইশত বছর ধরে নিম্নোক্ত শাখার অধিগ্রহণকে ব্যাকরণ, বাক্য গঠন, সাহিত্য, অলঙ্কারশাস্ত্র, ফিকহ, ফিকহের মূলনীতি, যুক্তিবিদ্যা,

    আরও দেখুন

  • উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    পানুষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার একটি ধরন। মূলত উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে এই ধারার উৎপত্তি। সাধারণত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে, সুনির্দিষ্ট জনগোষ্টির জন্য, বিশেষ উদ্দেশ্যে সংগঠিত এবং বিশেষ শিখন চাহিদা পূরণের জন্য, আলাদাভাবে বা সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত শিক্ষামূলক কার্যক্রমই হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (non formal education)।

    উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ধারণা নতুন নয়। উন্নয়নশীল দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার আগেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে (drop out) বা কোন না কোন কারণে প্রাথমিক শিক্ষাচক্র (primary education cycle) সমাপ্ত করার আগেই স্কুল থেকে ঝরে পরে। ফলে এইসব দেশে এইভাবে নিরক্ষর জনগণের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তাই তাদের মানে এইসব দেশের বিশাল নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত অসুবিধাগ্রস্থ (disadvantaged) ছেলে-মেয়ে, কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ (second chance of education) প্রদান করা যায়। তাই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ দানকারী কার্যক্রমও বলা হয়।

    আবার উন্নয়নশীল দেশসমূহে দেখা যায় সরকারের একার পক্ষে সকল শ্রেণির সকল মানুষের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই সেইসব ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সহায়ক/সম্পূরক ও পরিপূরক (supplementary and complementary) হিসেবেও কাজ করে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা। তবে কখনোই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমান্তরাল শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে না।

    উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উল্লেখ্যযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য-

    ১। এটি একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত উন্মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

    ২। শিক্ষাক্রম নির্দিষ্ট নয়, আর থাকলেও শিথিলযোগ্য।

    ৩। ডিগ্রীমুখী বা সার্টিফিকেটমুখী শিক্ষা নয়।

    ৪। এটি স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম

    ৫। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়।

    ৬। ব্যবহারিক দিকগুলোর প্রতি বেশি লক্ষ রাখা হয়।

    ৭। আলাদাভাবে পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা নেই তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা আছে।

    বিষয়শ্রেণী:

  • আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয়

    আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয়

    আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালের ২৯ মার্চে গুয়াহাটি-এর আজারাত প্রতিষ্ঠা করা একটি ব্যক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়। আসাম ব্যক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি,২০০৭র অনুসারে আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় বিধি,২০০৯ ২০০৯ সাল ৯ জানুয়ারির মতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। Salesians of Don Bosco (SDB)র অধীনস্থ ডনবস্কো সোসাইটি বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন।[১][২][৩][৪] ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় আসামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

    আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয়

    ইতিহাস

    Fr. Pascual Chávez, Rector Major, Salesians of Don Bosco laying the Foundation Stone of the University

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিক্ষার সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য Salesians of Don Bosco সোসাইটি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৩৪ সালে শিলংে সেইন্ট এন্ঠনিজ কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে Salesians of Don Bosco উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।

    • ১১ আগস্ট, ২০০৮ সালে প্রথম প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিবিদ্যার স্নাতকের পাঠক্রম আরম্ভ হয়েছিল।
    • আসাম সরকার আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ২০০৮ সালে অনুমোদন জানায়।
    • ৬ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।
    • ২০০৯ সালের ২০ আগস্টে প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং ২৭ আগস্টে খারঘুলির ডনবস্কো ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রথম ব্যবস্থাপনার স্নাতকোত্তর শ্রেণী আরম্ভ করা হয়।
    • ৮ ডিসেম্বর ২০১০ সালে অনলাইন দূর শিক্ষা www.dbuglobal.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে তে আরম্ভ করা হয়।

    ভিত্তিপ্রস্তর

    শিক্ষা

    বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রকৌশল, ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান, গবেষণা এবং দূর শিক্ষার বিভিন্ন পাঠক্রম দেয়।

    • প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিবিদ্যার স্নাতক পাঠক্রম
      • Civil Engineering
  • আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

    আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

    অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Informal Education) অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার একটি সাধারণ শব্দ যা কাঠামোগত পাঠ্যক্রমের বাইরেও ঘটতে পারে। [১] এটি শিক্ষার একটি উল্লেখ্যযোগ্য ধরন। মানুষ তার জন্মের পর থেকে এ নানাভাবে শিখছে। এই শিক্ষা তার সমাজের কাছ থেকে হচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে হচ্ছে, আবার গুরুজনের বা বিশিষ্ট-অবিশিষ্ট ব্যক্তি বা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমেও হচ্ছে। আবার প্রকৃতি কাছ থেকেও মানুষ শিখছে। প্রতিনিয়ত তার শেখার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছাসত্ত্বেও সে শেখে । এই যে অনির্দিষ্ট নানা উপায়ে মানুষ শিখছে এটাই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাই আমাদের শেখার বা আচার-আচরণের অনেক বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দেয়। জন্মের পর একটি শিশু কীভাবে কথা বলতে হবে তাকে আলাদা করে শেখাতে হয় না, সে নিজে নিজে তার পরিবারের সবাইকে দেখেই শেখে। এইভাবেই সূচনা হয় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার। প্রাচীন সমাজে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাই ছিল শিক্ষা লাভের একমাত্র উপায় এবং এ শিক্ষা ছিল সর্বজনীন। বাঁচার জন্য এবং বাঁচার মধ্যে দিয়ে এ শিক্ষা অর্জিত হতো। তখন সামাজিকীকরণ ও শিক্ষার মধ্যে কোন প্রভেদ ছিল না। আধূনিক সমাজে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আধিপত্য সত্ত্বেও পারিবারিক শিক্ষাই এখনো শিশুর মানসিক বিকাশ ও চরিত্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

    আসাম উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ

    এই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে বোঝাতেই সুনির্মল বসু লিখেছেন-

    “বিশ্বজোড়া পাঠাশালা মোর

    সবার আমি ছাত্র,

    নানাভাবে নতুন জিনিস

    শিখছি দিবারাত্রি”

    নিয়ম

    লোকেরা তথ্যের আলাদা ব্যাখ্যা করে এবং তাই কাঠামোগত পাঠ্যক্রম সমস্ত শিক্ষার্থীকে সঠিক তথ্য বুঝতে না দেয়। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার তুলনায় কম নিয়ন্ত্রিত, যার কারণে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এত শক্তিশালী হতে পারে

  • অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধারাবাহিক এবং ক্রম উচ্চস্তরে বিন্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে বোঝানো হয়। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। শিক্ষার্থী একটি বয়সে আনুষ্ঠানিক উপায়ে শিক্ষা অর্জন শুরু করে এবং ধারাবাহিকভাবে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে থাকে।

    অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা

    আনুষ্ঠানিক শিক্ষার কাঠামো স্তর

    বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আলোকে ১৯৭৭ সালে প্রণীত হয় আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী।

  • অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন যে-কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ব্যক্তিত্ব। এটি এক পদবি বিশেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অধিকারী। অধ্যক্ষ পদবির সমার্থক হিসেবে অনেক দেশে বিশেষতঃ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে উপাচার্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আচার্য বা চ্যান্সেলর ব্যবহৃত হয় এবং এটি ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের সমগোত্রীয় পর্যায়ের।

    অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    প্রয়োগ ক্ষেত্র

    মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যক্ষ শব্দের যথাযথ প্রয়োগ হতে দেখা যায়। অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বা প্রধান শিক্ষানুক্রমিক কর্মকর্তা। সচরাচর অধ্যক্ষ পদবির পরিবর্তে ‘প্রিন্সিপাল’ শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।

    ইংল্যান্ড

    ইংল্যান্ডের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষতঃ যেগুলো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত রাখার স্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে ধরে রেখেছে, ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ইন চার্জ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ রয়েছে। তন্মধ্যে – সুইনডন কলেজ এবং ওয়েস্ট নটিংহ্যামশায়ার কলেজ অন্যতম।[১][২]

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক কলেজের প্রধানগণ প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।[৩] তন্মধ্যে – ব্রেসনোজ, গ্রীন ট্যাম্পেলটন, হ্যারিস ম্যানচেস্টার, হার্টফোড, জিসাস, ল্যাডি মার্গারেট হল, লিনাক্রে, ম্যান্সফিল্ড, সেন্ট এ্যানি’জ, সেন্ট এডমান্ড হল, সেন্ট হিল্ডা’স, সেন্ট হিউজেস এবং সমারভিল অন্যতম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউনহ্যাম কলেজ, ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন অধিকাংশ মহাবিদ্যালয়ের প্রধানগণের পরিচিত হচ্ছে প্রিন্সিপাল।

    কানাডা

    মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজকীয় সনদে স্বাক্ষর ও স্কটল্যান্ডে উৎপত্তিজনিত কারণে ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে কানাডায় ১৬ অক্টোবর, ১৮৪১ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কুইন’স ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল পদবি ব্যবহার করা হয়।[৪][৫]

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও সিনেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত হন। তিনি শিক্ষাক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যাবলীও তদারক করে থাকেন।[৬] ১৯৭৪ সাল থেকে অধ্যক্ষ ৫ বছর মেয়াদকালের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এছাড়াও, কার্যসন্তুষ্টি ও বিবেচনাপূর্বক তিনি পুনরায় নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন।

    স্কটল্যান্ড

    স্কটল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান হিসেবে প্রিন্সিপাল নিয়োগ করেন ইউনিভার্সিটি কোর্ট কিংবা পরিচালনা পরিষদ। তিনি পরবর্তীকালে শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রিন্সিপাল একাডেমিক সিনেটের সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর পদবি ধারণ করে আছেন। কিন্তু তার ক্ষমতা শুধু সনদ প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইস-চ্যান্সেলর বা উপাচার্য ও চ্যান্সেলর বা আচার্য – উভয় পদই নামেমাত্র পদ হিসেবে বিবেচিত।

  • ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    আমি Mr. Sandip Sanki । আমি একজন উইকিপিডিয়ান হিসাবে আামি গর্বিত । আমি একজন বাঙালি। তাই বাংলা ভাষার বাংলা উইকিপিডিয়াতেই বেশি সম্পাদনা করি। বাংলা ভাষা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রথম সারিতে থাক এটাই কামনা করি।

    ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    জন্মস্থান

    উইকিমিডিয়া | © ওপেনস্ট্রিটম্যাপ

    = ভারতের পূর্ব দিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একেবারে দক্ষিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত ঘাটাল থানার ছোট্ট একটি গ্রাম প্রতাপ পুর।

    শিক্ষা

    প্রতাপপুর গোলাপ সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত।

    প্রতাপপুর উচ্চবিদ্যালয় এ পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত।

    ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুল এ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী সম্পন্ন হয়।

    ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক।

    মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস।

    সম্পাদনার মাইলফলক

    10 = 31.05.2022

    50 = 02.06.2022

    যোগাযোগ করতে

    ইমেইল = sandipgeo98@gmail.com

    আঁকাআঁকি

    Drawing art by Sandip sanki

    Drawing art by Sandip sanki

    ওয়েবসাইট

    শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট. Study Hub 360

    ফেসবুক SANDIP SANKI

    ইন্স্টাগ্রাম SANDIP SANKI

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ হল মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্কগত একধরনের বিশ্বাস। ‘টোটেম’ শব্দটির অর্থ “আমার এক আত্মীয়”। আমেরিকা, আফ্রিকাঅস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের মধ্যে এর বিবরণ পাওয়া গেছে। জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, কোন একটি স্বজাতির গোষ্ঠীর টোটেম একটি প্রাণী বা গাছ হয়ে থাকে। এগুলোকে তাদের কোন পবিত্র বস্তু হতে হয় এবং কেবলমাত্র তাদেরই অধিকারভুক্ত হতে হয়।[১][২][৩][৪][৫]

    টোটেমবাদ

    উত্তর আমেরিকা

    উত্তর আমেরিকার টোটেম পোলসমূহ

    ধর্মের নৃবিজ্ঞান
    বিষয়ে ধারাবাহিকের একটি অংশ
    A totem pole in Ottawa, Ontario, Canada
    মৌলিক ধারণাসমূহপরকাল Animism Bora Communitas Comparative religion Divination Divine language Evolutionary origin of religions Fetishism Great Spirit Henotheism Initiation Liminality Magic Mana একেশ্বরবাদ Polytheism Transtheism Revitalization movement Rite of passage Ritual Sacred language Sacred–profane dichotomy Shamanism Theories about religions Totem Veneration of the dead
    ঘটনা অধ্যয়ন
    সংশ্লিষ্ট নিবন্ধসমূহ
    মূখ্য তাত্ত্বিকবৃন্দ
    গবেষণা জার্নালসমূহ
    ধর্মসমূহ
    সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান
  • জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান বলতে বুঝায় কোন এলাকার সাধারণত দেশের সম্পদের পরিমাণ, মানুষের আয়, চাহিদা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা। জীবনযাত্রার মানে অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যেমন-চাকরি বাজার, কর্মক্ষমতা, শ্রেণী -বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি, এক বছরে ছুটির পরিমাণ, ক্রয়ক্ষমতা, সেবার ব্যয়,শিক্ষার সহজলভ্যতা, রাজনৈতিক স্থিতীশিলতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জলবায়ু, প্রকৃতিক অবস্তুা, জাতীয় অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। বেঁচে থাকার মানদণ্ড আমাদের জীবনের মানের উপর নির্ভর করে।[১]

    জীবনযাত্রার মান

    মাপকাঠি

    জীবনযাত্রার মান সাধারনত হিসেব করা হয় মাথাপিছু আয় এবং দারিদ্রতার হার দিয়ে। অন্য কিছু উপাদান যেমন- শিক্ষার অবস্থা,আয়-বৃদ্ধি ইত্যাদি ও যোগ করা হয়। জীবনযাত্রার মান শব্দটি মূলত গুনগত জীবনের বিপরীত হিসেবে ধরা হয় যেখানে শুধু উপদানগত মান থাকবে না।

    আরও দেখুন

  • জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব বলতে মানব জনসংখ্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক আলোচনা ও গবেষণাশাস্ত্রকে বোঝায়। সাধারণভাবে এই শাস্ত্রে যে কোনো বাস্তব জনসংখ্যা, অর্থাৎ স্থান ও কাল সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল যে কোনো জনসমষ্টির বিশ্লেষণ সম্ভব। এতে উদ্দিষ্ট জনসংখ্যার আয়তন, গঠন ও জনবণ্টন সম্বন্ধে আলোকপাত করা যায়, আর সময়, জন্ম, পরিযান, আয়ুবৃদ্ধি ও মৃত্যু প্রভৃতি প্রভাবকের ফলে তার পরিবর্তনের বিশ্লেষণও করা যায়।

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-পদ্ধতিতে গোটা সমাজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সূচকের ভিত্তিতে নির্ধারিত জনসমষ্টিরও গবেষণা সম্ভব; এই সূচকগুলোর মধ্যে শিক্ষা, জাতীয়তা, ধর্ম এবং জাতি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জনসংখ্যাতত্ত্বকে সাধারণত সমাজবিজ্ঞানের শাখা হিসেবে গণ্য করা হলেও আলাদা জনসংখ্যাতত্ত্ব বিভাগেরও অস্তিত্ব আছে।[১]