Tag: বিসিএস পরীক্ষা মডেল টেস্ট

  • বাংলাদেশের আইন

    বাংলাদেশের আইন

    বাংলাদেশ একটি সাধারণ আইনের দেশ। এটির আইনগত পদ্ধতি বিকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ ভারতের উপর তাদের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় ব্রিটিশ নিয়মে। ব্রিটিশ ও মোগল আমলে বাংলাদেশ বঙ্গ নামে পরিচিত ছিল এবং এর আগে আগে বাংলাদেশের আরও কিছু নাম ছিল। যদিও আমাদের প্রায় পূর্ব ঐতিহাসিক যুগ থেকেই বাংলাদেশে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উপকরণ ও প্রতিষ্ঠান ছিল। মুঘলরা প্রথমে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলি শনাক্ত ও প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। কিং জর্জ ১ প্রদত্ত ১৭২৬-এর সনদে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে মাদ্রাজ, বোম্বাই এবং কলকাতায় মেয়রের আদালত প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয় এবং ব্রিটিশ ভারতের জন্য সেটাকে প্রথম সংহিতাবদ্ধ আইন হিসাবে স্বীকৃত হয়। তখনকার ব্রিটিশ ভারতের অংশ হিসাবে তৎকালীন বাংলার জন্যেও এটি প্রথম সংহিতাবদ্ধ আইন ছিল। একাত্তরের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সংসদ কর্তৃক প্রণীত সংবিধিবদ্ধ আইন আইন গঠনের প্রাথমিক রূপ। [১]

    বাংলাদেশের আইন

    ইতিহাস

    মৌলিক অধিকার আইন

    বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় অংশে মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।

    1. মৌলিক অধিকারের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আইন বাতিল করা হবে (ধারা-২৬)
    2. আইনের সামনে সমতা (ধারা-২৭)
    3. ধর্ম, ইত্যাদির ভিত্তিতে বৈষম্য (ধারা-২৮)
    4. সরকারি চাকরিতে সুযোগের সমতা (ধারা-২৯)
    5. বিদেশী উপাধি, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণ (ধারা-৩০)
    6. আইন রক্ষার অধিকার (ধারা-৩১)
    7. জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষা (ধারা-৩২)
    8. গ্রেফতার ও আটকের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা (ধারা-৩৩)
    9. জোরপূর্বক শ্রম নিষিদ্ধকরণ (ধারা-৩৪)
    10. বিচার ও শাস্তির ক্ষেত্রে সুরক্ষা (ধারা-৩৫)
    11. চলাফেরার স্বাধীনতা (ধারা-৩৬)
    12. সমাবেশের স্বাধীনতা (ধারা-৩৭)
    13. সংগঠনের স্বাধীনতা (ধারা-৩৮)
    14. চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ-৩৯)
    15. পেশা বা পেশার স্বাধীনতা (ধারা-৪০)
    16. ধর্মের স্বাধীনতা (ধারা-৪১)
    17. সম্পত্তির অধিকার (ধারা-৪২)
    18. বাড়ি এবং চিঠিপত্রের সুরক্ষা (ধারা-৪৩)
    19. মৌলিক অধিকারের প্রয়োগ (ধারা-৪৪)
    20. শৃঙ্খলা আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন (ধারা-৪৫)
    21. ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা (ধারা-৪৬)
    22. কিছু আইনের জন্য সংরক্ষণ (ধারা-৪৭)
    23. নির্দিষ্ট নিবন্ধের অপ্রযোজ্যতা (ধারা-৪৭.ক)

    মামলা আইন

    বিচারিক নজির বাংলাদেশের সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    বাংলাদেশী আদালত সাংবিধানিক আইনের মতো ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিচারিক নজির প্রদান করেছে, যেমন বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেড বনাম বাংলাদেশ সরকার, যা সামরিক আইনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব বনাম মাসদার হোসেনের রায়ে ক্ষমতা পৃথকীকরণ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

    অরুণা সেন বনাম বাংলাদেশ সরকার, সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি আটক ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নজির স্থাপন করেছে। আদালত আব্দুল লতিফ মির্জা বনাম বাংলাদেশ সরকারের রায়ে প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতি নিশ্চিত করেছে । দুটি রায় বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর অধীনে বেশিরভাগ আটককে অবৈধ করার নজির ছিল ।

    বাংলাদেশের আইনে বৈধ প্রত্যাশার মতবাদ বিচারিক নজির দ্বারা বিকশিত হয়েছে।

    কোডিফিকেশন এবং ভাষা

    তথ্য স্বাধীনতা আইন

    ফৌজদারি আইন

    কোম্পানি আইন

    চুক্তি আইন

    ধর্মীয় আইন

    কর প্রদান আইন

    শ্রমিক আইন

    সম্পত্তি আইন

    মেধাসত্ত্ব আইন

    বিচার বিভাগ

    বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা

    বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি

    আইনি পেশা

  • প্রধান বিচারপতি

    প্রধান বিচারপতি

    প্রধান বিচারপতি (ইংরেজি: Chief Justice) হল বিচারর বিভাগ রয়েছে এমন বেশ কিছু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালতের প্রিজাইডিং সদস্যের পদ। ইংরেজি সাধারণ আইন অনুসারে এই পদটি গঠন করা হয়। এই ধরনের সর্বোচ্চ আদালত বিশিষ্ট কিছু দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাংলাদেশ, কানাডা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আইয়ারল্যন্ড, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি; তবে যুক্তরাজ্যে এই বিচারব্যবস্থা কিছুটা ব্যতিক্রম।

    প্রধান বিচারপতি

    নিয়োগ প্রক্রিয়া

    প্রধান বিচারপতি নির্ধারন এক একটি অঞ্চলে এক এক প্রক্রিয়ায় করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ রাষ্ট্রেই এই পদটি আদালতের সর্বাপেক্ষা প্রবীন ব্যক্তিকে দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে এই পদটির জন্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক মনোনয়ন দিয়ে থাকেন যেটি পরবর্তিতে সিনেট কর্তৃক অনুমদিত হতে হয়।

  • টর্ট

    টর্ট

    টর্ট এর উদ্ভব মূলত ল্যাটিন শব্দ Toram থেকে, যার অর্থ দাঁড়ায় ভুল, অর্থাৎ যে দেওয়ানি ভুল আমল যোগ্য। বাংলাদেশে টর্ট কি, তা সম্পর্কে যথাযথভাবে কোথাও, অর্থাৎ সংবিধানে বা কোন আইনে উল্লেখ করা নেই। তবে, বাংলাদেশ সহ আমদের এই ভারতীয় উপমাহাদেশের যতগুলো দেশ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল, সকল দেশের আইন ব্যাবস্থায় কমন ল-এর প্রভাব দেখা যায়। বাংলাদেশ-ও এর ব্যাতিক্রম নয়। টর্ট এর উৎপত্তি ইংল্যান্ডে, তাই এর সরাসরি উল্লেখ বাংলাদেশের সংবিধান বা কোন আইনে না থাকলেও, এখতিয়ারভুক্ত আদালতে এর আমলযোগ্যতা রয়েছে।

    টর্ট

    টর্ট সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা এখনো পর্যন্ত দেওয়া সম্ভব হয়নি। এটি মুলত ধারণা এবং লিগ্যাল ম্যাক্সিমের উপর ভিত্তি করে বর্তমান রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত স্যালমন্ডের অভিমতটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত, যেখানে তিনি বলেছেন,

    Tort is a civil wrong for which the remedy in common law action for unliquidated damages, and which is not exclusively the breach of a contrat, or, the breach of a trust, or, other merely equitable obligation.

    যার অর্থ দাঁড়ায়,

    টর্ট এমন এক প্রকারের প্রতিকার যা দেওয়ানি ক্ষতিসাধনের দরুন প্রদান করা হয়; যা পারতপক্ষে চুক্তিভঙ্গ, বিশ্বাসভঙ্গ বা এই জাতীয় ন্যায়সম্মত দায়ের অন্তর্গত নয়।

  • জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ (বাংলাদেশ)

    জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ (বাংলাদেশ)

    জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ হলো বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নের একটি আইন। শিশুদের সুরক্ষা ও তাদের জীবন বিকাশের সরকার 2011 সালে আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনে শিশুদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সুদূরপ্রসারী রূপকল্প বহন করা হয়েছে। এনীতিতে শিশু বলতে 18 বছরের কম বয়সী এবং কিশোর বলতে 14 থেকে 18 বছর বয়সীদের বুঝায়। জবরদস্তিমূলক ভারি ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের ব্যবহার করা এই আইনে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।পথশিশু ও বিপথগামী শিশুদের বিকাশে পৃথক ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে ।[১]

    জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ (বাংলাদেশ)

    প্রেক্ষাপট

    বাংলাদেশ সংবিধানে ২৮(৪) অনুচ্ছেদে শিশুদের অগ্রগতির বিশেষ বিধান প্রণয়নের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে শিশুদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামুলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ লক্ষে ১৯৭৪ সালে শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও অধিকার প্রতিষ্ঠারলক্ষে প্রণীত হয় “শিশু আইন ১৯৭৪”। বহুমাত্রিক উন্নয়নের সাথে সঙ্গতি রেখে এ আইনের যুগোপযোগীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৯০ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ১৯৮৯ এ স্বাক্ষর ও অনুসমর্থনকারী প্রথম রাষ্ট্রসমুহের মধ্যে বাংরাদেশ অন্যতম হওয়ায় ১৯৯৪ সালে জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন করা হয়। ২০০৬ সালে প্রতিবন্ধী শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেশ হিসাবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেছে। শিশু নির্যাতন বন্ধ করা, বিশেষ করে কন্যা শিশুদের প্রতি সকল বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ ও তাদের প্রতি নিরাপত্তা বিধান করা অন্যতম লক্ষ্য ধরা হয়। জাতীয় শিশু অধিকার কমিটির সুপারিশমালার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৪ সালে প্রণীত জাতীয় শিশু নীতিকে আবারও যুগোপযোগী করার জন্য জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ প্রণয়ন করে।[১]

    জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এর বিভিন্ন দিক

    সংজ্ঞা : এ নীতিতে শিশু বলতে আঠারো বছরের কম বয়সী ব্যক্তি এবং কিশোর বলতে ১৪ থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের বুঝায়।

    পরিধি : এ নীতি বাংলাদেশের নাগরিক সকল শিশুর ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনভাবে বুঝায়।

    মূলনীতি :

    1. বাংলাদেশের সংবিধান, শিশু আইন ও আন্তর্জাতিক সনদসমূহের আলোকে শিশু অধিকার নিশ্চিতকরণ।
    2. শিশু দারিদ্র বিমোচন।
    3. শিশুর প্রতি সকল প্রকাল নির্যাতন ও বৈষম্য দূরীকরণ।
    4. কন্যা শিশুর প্রতি সকল প্রকার নির্যাতন ও বৈষম্য দূরীকরণ।
    5. শিশুর সার্বিক সুরক্ষা ও সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে শিশুদের অংগ্রহণ ও মতামত গ্রহণ।

    লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

    1. শিক্ষা, স্বাস্থ, পুষ্টি, নিরাপত্তা, বিনোদন ও অন্যান্য অধিকারের ক্ষেত্রে বয়স, লিঙ্গগত, ধর্মীয়, জাতিগত, পেশাগত, সামাজিক, আঞ্চলিক ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির পরিচয় নির্বিশেষে সকল শিশু ও কিশোর কিশোরীর জন্য মানসম্পন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সর্বোত্তম উন্নয়ন ও বিকাশ নিশ্চিত করা।
    2. কন্যা শিশু এবং প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রয়োজন অনুযায়ী সুবিধা প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
    3. শিক্ষা ও শিশু বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে শিশুদের দেশ সম্পর্কে আগ্রহী ও সচেতন করে গড়ে তোলা যাতে তারা সৎ, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক রূপে বিকাশ লাভ করতে পারে।
    4. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে শিক্ষার অপরিহার্য বিষয় হিসেবে বিবেচনা করে শিশুদের একটি বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তোলা যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশ ও বিশ্বের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হয়।
    5. শিশুদের জন্য অনুকূল পারিবারিক পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
    6. শিশু ও কিশোর কিশোরীর জীবনকে প্রভাবিত করে এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরিকল্পনা প্রণয়নে তাদের মতামত প্রতিফলনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
    7. শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি-বিধান প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

    এভাবে এ নীতিতে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ, শিশুর নিরাপদ জন্ম ও সার্বিক বিকাশ নিশ্চিতকরণ, শিশুর দারিদ্র বিমোচন, শিশু স্বাস্থ্য, শিশুর বিকাশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা (৩ – ৫ বছর), শিশু শিক্ষা, শিশুর বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিশুর সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, অটিস্টিক শিশুর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, শিশুর জন্ম নিবন্ধন, সংখ্যালঘু ও নৃতাত্ত্বিক শিশুর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে শিশুর সুরক্ষা, শিশুর অধিকার ও উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে শিশুর উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমে তাদের মতামত ও অংশগ্রহণের উপর গুরুত্ব প্রদান করা, কিশোর কিশোরীদের উন্নয়ন করা, শিশুশ্রম নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা ও বাস্তবায়ন কৌশলসূহ উল্লেখ আছে।[১]

    পরবর্তীতে শিশু আইন

    বাংরাদেশ সরকার পরবর্তীকালে ২০১৩ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করে। এ আইনের ধারা ২৬। (১) এ বলা হয়েছে বিচারকালীন শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখতে হবে যার মেয়াদ হবে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের জন্য। উপধারা (৩) এ বলা হয়েছে শিশুকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা একান্ত প্রয়োজন হলে শিশু-আদালত, সংশ্লিষ্ট শিশুকে উক্ত আদালত হতে যুক্তিসঙ্গত দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করবার জন্য আদেশ প্রদান করবে : তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীনে কোনো শিশুকে প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা হলে উক্ত প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকারী অধিক বয়স্ক শিশুদের হতে প্রেরিত শিশুকে পৃথক করে রাখতে হবে। ধারা ৫৯। (১) এ বলা হয়েছে সরকার, বিচার প্রক্রিয়ায় আটকাদেশপ্রাপ্ত শিশু এবং বিচারের আওতাধীন শিশুর আবাসন, সংশোধন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে, লিঙ্গভেদে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। (২) উপধারা (১) এর প্রাসঙ্গিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া সরকার, যে কোনো সময়, এর যে কোনো ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠানকে শিশু অপরাধীদের অবস্থানের জন্য উপযুক্ত মর্মে প্রত্যয়ন করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে শর্ত রয়েছে- ধারা ৬৩। (৩) দণ্ডবিধির ধারা ৮২-এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী কোনো শিশুকে কোনো প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠানে রাখা যাবে না : তবে শর্ত থাকে যে, কোনো কারণে ৯ (নয়) বছর বয়সের কম বয়সী অভিভাবকহীন কোনো শিশুকে কোথাও পাওয়া গেলে তাকে অধিদফতর বা উহার নিকটস্থ কোনো কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে এবং অধিদফতর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বোর্ডের গোচরীভূত করত: সংশ্লিষ্ট শিশুকে সুবিধাবঞ্চিত শিশু গণ্যে, ক্ষেত্রমতো, ধারা ৮৪ বা ধারা ৮৫-এর বিধান অনুযায়ী পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।[২]

    সুপারিশ

    বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৭ শে আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবে শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে এক লটেবিল বৈঠকে কিছু সুপারিশ করে। যেমন রাষ্ট্রকে শিশুর প্রতি সব ধরণের সহিংসতা বন্ধে সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি গ্রহণ ও প্রচলিত আইনের কার্যকর বাস্তÍবায়ন এর লক্ষ্যে রাজনৈতিক অঙ্গিকার প্রদান করা। এভাবে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করা যাতে সবাই শিশুদের প্রতি মানবিক দৃষ্টি রাখে। ইত্যাদি।[৩]

  • জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    সমুদ্র আইন বলতে সমুদ্র সংক্রান্ত আইনকে বুঝায় অর্থাৎ সামুদ্রিক অঞ্চলে বিভিন্ন দেশসমূহের যে সকল অধিকার বিদ্যামান সে সম্পর্কিত আইনকে সমুদ্র আইন বলে।

    জাতিসংঘ সমুদ্র আইন বিষয়ক সনদ

    সমুদ্র সম্পর্কিত আইন সমূহ

    বিভিন্ন দেশে সমুদ্র সম্পর্কিত আইন রয়েছে, যেমন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ কর্তৃক সমুদ্র আইন পাস করা হয় যা আঞ্চলিক পানি ও সামুদ্রিক এলাকা আইন ১৯৭৪ (The Territorial Waters And Meritime Zones Act, 1974) নামে পরিচিত। এছাড়া জাতিসংঘের সমুদ্র আইন বিষয়ক “জাতিসংঘ কনভেনশন”-১৯৮২একটি আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন যা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত।

  • গোয়েন্দা

    গোয়েন্দা

    গোয়েন্দা (ইংরেজি: Detective) হচ্ছেন একজন পেশাদার অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি কোন পুলিশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য অথবা নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তি কর্তৃক মনোনীত গুপ্তচর হতে পারেন। সাম্প্রতিককালে গোয়েন্দাকে ‘ব্যক্তিগত গোয়েন্দা’ বা ‘ব্যক্তির অন্তঃদৃষ্টি’ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। অনানুষ্ঠানিকভাবে, বিশেষত কথাসাহিত্যে একজন গোয়েন্দাকে নিবন্ধন বা লাইসেন্সধারী কিংবা লাইসেন্সবিহীন অবস্থায় দেখা যায়। শার্লক হোমস এবং ইন্সপেক্টর ক্লোসিও অত্যন্ত জনপ্রিয় গোয়েন্দা ঔপন্যাসিক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত নাম।

    গোয়েন্দা

    গোয়েন্দার প্রধান কাজই হচ্ছে কোন গুরুতরভাবে লুক্কায়িত অপরাধ বা অমিমাংসিত ঐতিহাসিক অপরাধের ঘটনাপ্রবাহ তদন্তের স্বার্থে তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগ্রহ করে সংবাদের পিছনের সংবাদ জনসমক্ষে তুলে ধরা। এছাড়াও, গোয়েন্দা হিসেবে একজন ব্যক্তি ‘ডিটেকটিভ’ হিসেবেও সকলের কাছে পরিচিতি পেয়ে থাকেন।

    বৈশিষ্ট্যাবলী

    সাধারণ অর্থে যিনি গুপ্তচর বৃত্তির মাধ্যমে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করেন, তিনি ‘গোয়েন্দা’ নামে পরিচিত।[১] সাধারণত একজন সফল ও স্বার্থক গোয়েন্দাকে নিম্নবর্ণিত বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হয়

    • অপরাধ বা রহস্যজনক কর্মকাণ্ড মনোঃবিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রমাণ করবেন।
    • রহস্যমূলক কর্মকাণ্ডে সর্বক্ষণ সম্পৃক্ত থেকে তীক্ষ্ণ ও শাণিত মেধা প্রয়োগ করবেন।
    • উপস্থিত বিচার-বুদ্ধি যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা বস্তুকে জনসমক্ষে উপস্থাপন করবেন।
    • নির্দোষ ব্যক্তি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বা দোষী না হন এবং প্রকৃত দোষীকে আইনে সোপর্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
    • অপরাধী বা ঘটনার ছোট্ট ক্লু, সঙ্কেত বা চিহ্নের সাহায্যে অপরাধের গতি-প্রকৃতি ও অবস্থান চিহ্নিত করবেন।

    প্রেক্ষাপট

    কিছু কিছু পুলিশ অধিদপ্তরে ‘গোয়েন্দা’ পদে সরাসরি লোক নিয়োগ করা হয় না। গোয়েন্দাকে ঐ পদে নিয়োগের জন্যে নির্দিষ্ট কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হয়। তন্মধ্যে লিখিত পরীক্ষা একটি অন্যতম মানদণ্ড। পুলিশ কর্মকর্তাকে এ যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমেই কেবল গোয়েন্দা পদে নিয়োগ দেয়া হয়।

    ব্রিটিশ আইন অনুসারে, পুলিশ গোয়েন্দাকে কমপক্ষে দু’বছর পোশাকধারী বা উর্দি পরিহিত কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতে হয়। এরফলে তিনি ‘অপরাধী তদন্ত অধিদপ্তরে’ যোগদানের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করেন। গোয়েন্দা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবার জন্য যুক্তরাজ্যের পুলিশবাহিনীতে চাকরির পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনার অধীনে ‘জাতীয় তদন্ত পরীক্ষায়’ অবশ্যই কৃতকার্য হতে হয়।

    অনেক পুলিশ অধিদপ্তরে গোয়েন্দা হিসেবে স্নাতক উত্তীর্ণ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পোশাকবিহীন অবস্থায় সরাসরি নিয়োগ দেয়া হয়। অনেকের মতে, গোয়েন্দারা সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের চাকরি করেন ও পৃথক ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। গোয়েন্দাদের মাঝে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধরনের গুণাবলী, সক্ষমতা, যোগ্যতার অধিকারী হতে হয় যা পোশাক বা উর্দিধারী পুলিশ কর্মকর্তাদের চেয়ে পৃথক।

    অপরদিকে সমালোচকেরা বলেন যে, কোনরূপ পূর্ব অভিজ্ঞতা বা পুলিশ বিভাগে চাকরি না করে একজন গোয়েন্দা সম্পূর্ণরূপে সফলকাম হতে পারেন না। বরঞ্চ আদর্শ পুলিশী কার্যক্রমে তাদের কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টিসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরী হয়। পোশাক পরিহিত পুলিশ সহকর্মীদের সাথে কাজ করতে গিয়ে তারা কাজের পরিবেশকে আরো কঠিন ও দুরূহ করে তোলেন।

    গোয়েন্দাকে তার অবস্থান ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়। তন্মধ্যে – তদন্তকার্যে নীতিবোধ, চর্চা এবং প্রক্রিয়া রয়েছে। সাক্ষাৎকার ও প্রশ্নমূলক দৃষ্টিভঙ্গী; অপরাধ আইন ও প্রক্রিয়া, প্রচলিত আইনে গ্রেফতার, অনুসন্ধান ও মালামাল জব্দ, ওয়ারেন্ট ও প্রমাণ; পুলিশ বিভাগে রক্ষিত নথিপত্র ও প্রতিবেদন সম্পর্কে ধারণা; আদালতে প্রমাণ বা স্বাক্ষ্য হিসেবে পুলিশ বিভাগের নীতিমালা, চর্চা ও উদ্দেশ্য; এবং পুলিশ বিভাগের পদ্ধতি ও স্বাক্ষ্য অন্যতম। সাধারণতঃ উভয়ক্ষেত্রেই পুলিশ কর্মকতা এবং গোয়েন্দাকে প্রশ্নমূলক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে অগ্রসর হতে হয়। কিন্তু গোয়েন্দাকে আরো বেশি প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি ও মোকাবেলা করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়।

    বেসরকারী পর্যায়ে গোয়েন্দাকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের নির্দিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবন্ধনের মাধ্যমে অনুমোদন দেয়া হয়। কিন্তু এর জন্যে তাকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং অপরাধীর অতীত ইতিহাস সম্পর্কেও সম্যক অবগত হতে হয়। কয়েকটি রাজ্যে শ্রেণীকক্ষে প্রশিক্ষণ, সঠিকভাবে ও দক্ষতার সাথে অস্ত্র পরিচালনাসহ অভিজ্ঞতার প্রয়োজনকে গুরুত্ব প্রদান করে।

    সংস্থা

    মূল নিবন্ধ: গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তালিকা

    প্রশিক্ষিত গোয়েন্দাদেরকে একত্রিত করে গঠিত ‘গোয়েন্দা শাখা’ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সামরিক বাহিনী কিংবা পুলিশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা। অভ্যন্তরীণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এ শাখার ভূমিকা অপরিসীম। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্যান্য দল কিংবা বিভাগের তুলনায় সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাসম্পন্ন শাখা হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে গোয়েন্দা শাখাকে।

    লুক্কায়িত, অমিমাংসিত বা গোপনীয় অপরাধের গুরুত্ব অনুসারে গোয়েন্দা শাখাকে বিশেষায়িত করে অনেকগুলো স্তরে বিভাজন করা হয়। সেগুলো হলো – নরহত্যা; দস্যুতা বা ডাকাতি; সংগঠিত অপরাধ; নিখোঁজ; প্রতারণা; মাদকদ্রব্য; যৌন হয়রানী; কম্পিউটার অপরাধ; অভ্যন্তরীণ সহিংসতা; নজরদারী ইত্যাদি।

    পরিচয়

    একজন ব্যক্তি যখন গোয়েন্দা হিসেবে কর্মরত থাকেন তখন তিনি একটি আইডেন্টি কার্ড সঙ্গে রাখেন। প্রয়োজনে কেউ তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করলে নিজ পরিচয় প্রদান করেন। সাধারণতঃ গোয়েন্দা বা ডিটেকটিভ পদবীধারী ব্যক্তির নামের পূর্বে ডিটেকটিভ লেখা থাকে যা সংক্ষেপে ‘ডিট (Det), নামে পরিচিতি পায়।

    কার্যধারা

    মাঠ পর্যায়ে

    গোয়েন্দা কার্য পরিচালনার জন্য একজন গোয়েন্দাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাপক ও বিস্তৃত চিন্তাধারার অধিকারী হতে হয়। নিত্য-নতুন কলা-কৌশল, ছলনার আশ্রয় গ্রহণ করতে হয় তাকে। এছাড়াও, অধিকাংশ মামলা কার্য সম্পূর্ণকরণের জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তদন্তকার্য ও প্রত্যক্ষদর্শী বা স্বাক্ষীদের উপযুক্ত স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদির উপর নির্ভর করতে হয়, যা বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তদন্তকার্য পরিচালনার পাশাপাশি যদি গোয়েন্দা কার্যক্রমে চরদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পৃক্ত করা হয়, তাহলে অতি দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর। চরগণ ব্যক্তির সাথে নিরবচ্ছিন্ন কিংবা মাঝে মাঝে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন। গোয়েন্দারা পরবর্তীতে চরদের কাছ তাদের মধ্যকার কথাবার্তা থেকে এ সংক্রান্ত বিষয়াদি সম্পর্কে জানেন ও তথ্য সংগ্রহ করেন; কিন্তু তিনি তা কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন না। পরবর্তীতে গোয়েন্দারা পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ এবং তথ্য সংরক্ষণের উপরই সম্ভাব্য ব্যক্তি বা ইপ্সিত বস্তুর অবস্থান নিশ্চিত করেন।

    ফৌজদারী তদন্তের কার্যকলাপগুলো খতিয়ে দেখতে বা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ। ফৌজদারী তদন্তে দ্রুতবেগে গাড়ী চালানো, মাতলামী করে গাড়ী চালানো, চৌর্য্যবৃত্তি, হত্যাকাণ্ড, জালিয়াতি, প্রতারণা ইত্যাদি বিষয়াবলী অন্তর্ভুক্ত। যখন পুলিশ তদন্ত কার্যের সমাপণী ঘোষণা করেন, তখন তারা কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন।

    কোন কারণে ফৌজদারী তদন্তে একজন গোয়েন্দার মনে যদি সন্দেহজনক কোন কিছুর উদ্রেক হয়, তাহলে তিনি স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এর মাধ্যমেই তিনি আদালতের সম্মুখে পর্যাপ্ত স্বাক্ষ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করেন।

    ময়না তদন্ত

    সাধারণতঃ মৃতদেহের শারীরিক বা দৈহিক বৈশিষ্ট্য জানার জন্য ময়না তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায়ই ময়না তদন্তের ব্যবস্থা রয়েছে। ময়না তদন্তের মাধ্যমেও একটি মামলা সুচারুরূপে নিষ্পত্তি হওয়া সম্ভব যা গোয়েন্দাদের কার্যক্রম এবং তদন্তের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ও হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়। আইন অনুযায়ী ‘ফরেনসিক বিজ্ঞান’ এমন একটি পদ্ধতি যা বিস্তারিত ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে যে-কোন ব্যক্তির প্রশ্নের ব্যাখ্যা বা উত্তর প্রদান করা সম্ভব হয়ে থাকে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধ অথবা দেওয়ানী মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর।

    অতীত ইতিহাস

    অনেক ক্ষেত্রে গোয়েন্দারা সরকারী এবং ব্যক্তিগত নথিপত্র ঘেঁটে অপরাধ বা রহস্য সম্পর্কীয় বিষয়কে পটভূমিকায় নিয়ে ও তথ্য সংযোগ করে অগ্রসর হন। পুলিশ বাহিনীর গোয়েন্দারা শুধুমাত্র নথিপত্র কিংবা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা আঙ্গুলের ছাঁপের সাহায্যে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করে থাকেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ গুরুতর অপরাধী থেকে শুরু করে সামান্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির জন্যেও ‘ব্যক্তিগত নথি’ খুলে রক্ষণাবেক্ষন করে থাকেন। এরফলে, গোয়েন্দারা অপরাধীর গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্ত বিবরণ, ব্যক্তিগত তথ্যাবলী, ছবি ইত্যাদির সাহায্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তির গতিবিধি অনুসন্ধানসহ নজরদারী করতে পারেন। এছাড়াও, অপরাধী যদি মোটর সাইকেলের মালিক হন, তাহলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যাবলীও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

    ওয়ারেন্ট সাথে নিয়ে পুলিশের গোয়েন্দারা ক্রেডিট কার্ডের রেকর্ড এবং ব্যাংক বিবৃতির মতো বিষয়গুলোও অনুসন্ধান করে থাকেন। হোটেলের নিবন্ধন তথ্য, ক্রেডিট প্রতিবেদন, আনসার মেশিনের বার্তা এবং ফোনের কথোপকথনও এর অন্তর্ভুক্ত।

    অবদান

    দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে গোয়েন্দা বা গোয়েন্দা দল প্রয়োজনে জীবনবাজী রেখে নিজ রাষ্ট্রের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় অন্য দেশে অবস্থান করেন যা আইনের পরিভাষায় ‘গোয়েন্দাগিরি’ বা ‘গুপ্তচরবৃত্তি’ নামে পরিচিত।

    আধুনিক বিশ্বে গোয়েন্দা তৎপরতার উপরই একটি দেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। কখনো তারা সাফল্য পান ও নিজ রাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় তথ্য কিংবা উপকরণ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রেরণ দেশের স্বার্থ রক্ষা করে থাকেন। আবার ব্যর্থতায় তাদের জীবনহানী ঘটে কিংবা কারাগারে ঠাঁই হয় বছরের পর বছর ধরে। অনেক সময় গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে দু’দেশের মধ্যেকার পারস্পরিক চমৎকার ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হতে দেখা যায়। সৌভাগ্যবশতঃ দেশগুলোর পারস্পরিক বন্দী বিনিময় চুক্তির আওতায় কদাচিৎ কেউ কেউ মুক্তিলাভ করেন। গোয়েন্দাদের দক্ষ করে তুলতে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে কিংবা প্রশিক্ষণের জন্য উন্নত দেশে প্রেরণ করা হয়। অপরাধী সনাক্তকরণে তারা বহুবিধ নিত্য-নতুন কৌশল ও পন্থা গ্রহণ করেন।

    বাংলা সাহিত্যে

    মূল নিবন্ধ: বাংলা সাহিত্যে ডিটেকটিভ

    কিশোর, তরুণদেরকে উদ্দীপ্ত করতে গোয়েন্দা(দের) রোমাঞ্চকর অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে ঘিরে মুদ্রণ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক খ্যাতিমান লেখক, প্রকাশক বিভিন্নভাবে ‘গোয়েন্দা উপন্যাস’ প্রকাশ করে যথেষ্ট খ্যাতি ও সুনাম অর্জন করেছেন। সাধারণতঃ এতে তাদের সাফল্যগাঁথাকে প্রাধান্য দেয়া হয়। দলগত পর্যায়ে গোয়েন্দাদেরকে ঘিরে রচিত হয়েছে – তিন গোয়েন্দা, পাণ্ডব গোয়েন্দা, এমিলের গোয়েন্দা দল ইত্যাদি গোয়েন্দা কাহিনী সিরিজ। বাংলা সাহিত্যের মধ্যে গোয়েন্দা সিরিজ: ফেলুদা,কাকাবাবু ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা চরিত্র হলো ব্যোমকেশ বক্সী যার স্রষ্টা শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে গোয়েন্দা সিরিজের জনক বলা হয়। কাকাবাবুর স্রষ্টা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিত রায়। এর মধ্যে বাঙালির প্রিয় চরিত্র হিসেবে বিবেচিত হয় ফেলুদা। ফেলুদার প্রথম দুটি চলচ্চিত্র তৈরী করেন স্বয়ং এর স্রষ্টা সত্যজিত রায়। চলচ্চিত্র দুটি:সোনার কেল্লা ও জয়বাবা ফেলুনাথ।

    চলচ্চিত্র অঙ্গনে

    গোয়েন্দাদের দক্ষতা, সমস্যা সমাধানে সক্ষমতা, কৌশল অবলম্বন, ব্যক্তিগত জীবন, ব্যর্থতা ইত্যাদির বিভিন্ন নিত্য-নতুন ধারা নিয়ে বিশ্বে অনেক চলচ্চিত্র, নাটক প্রদর্শিত হয়েছে। তন্মধ্যে – জেমস বন্ড বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সাধারণতঃ এ ধারার সিনেমাগুলো চলচ্চিত্রকার ব্যতীত অন্য কোন লেখক, ঔপন্যাসিকের লেখা গল্প বা উপন্যাসকে অবলম্বন করে চলচ্চিত্র উপযোগী করা হয়।

    অনেকগুলো চলচ্চিত্রে গোয়েন্দাকে প্রধান চরিত্র কিংবা অপ্রধান চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা ভাষায় বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার হিসেবে সম্ভবতঃ সত্যজিৎ রায় সর্বাগ্রে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি গোয়েন্দাদের ঘিরে অনেকগুলো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তন্মধ্যে – চিড়িয়াখানা, জয় বাবা ফেলুনাথ তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।

    আরও দেখুন

    শার্লক হোমস জেমস বন্ড (চরিত্র) শন কনারি পিয়ার্স ব্রুসনান ড্যানিয়েল ক্রেইগ মাসুদ রানা ফেলুদা ব্যোমকেশ বক্সী কিরীটী রায় জয়ন্ত কাকাবাবু তিন গোয়েন্দা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তালিকা সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ডিজিএফআই স্নায়ু যুদ্ধ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ ২য় বিশ্বযুদ্ধ ম্যানহাটন প্রকল্প
  • খুলা তালাক

    খুলা তালাক

    খুলা’ হলো স্বামী স্ত্রীর কাছ থেকে বা অন্যের কাছ থেকে নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করে যে ক্ষতিপূরণ নিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করে তার নাম। এ তালাকের পর স্বামী স্ত্রীর কাছে ফিরে আসতে পারে না। এটাকে এ কারণে খুলা‘ বলা হয়, একজন নারী তার হাত থেকে স্বামীকে সরিয়ে দেয় যেমন একটি আংটি হাতের আঙুল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।[১] আল্লাহ বলেন

    খুলা তালাক

    هن لباس لكم وانتم لباس لهن

    অর্থ: নারীরা পুরুষের অঙ্গ স্বরূপ এবং পুরুষরা নারীর অঙ্গ স্বরূপ। তিনি আরও বলেন যে,

    فإن خفتم ألا يقيما حدود الله فلا جناح عليهما فيما افتدت به

    অর্থ: তোমরা ভয় করো যে উভয়ের মাঝে ন্যায়বিচার করতে পারবে না, তাহলে উভয়ে সমজোতার ভিত্তিতে যে বিচার হবে তাতে কোনো পাপ নেই।

    নবী মুহাম্মাদ বলেন: “যে কোন মহিলা তার স্বামীকে বিনা কারণে তালাক চায়, তার জন্য জান্নাতের সুবাস হারাম।”[২]

    হায়েজের সময় এবং পবিত্রতার সময় হলেও দোষ নেই। কেননা মুহাম্মাদ খুলাপ্রাপ্ত নারীকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি।”[৩]

    আইনগত ভিত্তি

    ২০০০ সালের ১ নং আইনের ২০ নং ধারা হল ‘খুলা’ পদ্ধতির আইনি ভিত্তি। অনুচ্ছেদ ৬ এবং ২৪ এ এর বিবরণ দেয়া হয়েছে। এটা শরীয়া আদালতের একটি আইন। এ আইনের অনুচ্ছেদ ১৮, অনুচ্ছেদ ২ এবং অনুচ্ছেদ ১৯, অনুচ্ছেদ ১, ২ এর বিস্তারিত বিবরণ আছে।

    কারণ লিপিবদ্ধ করা

    দেওয়ানি আইনের ক্ষেত্রে, মামলায় স্ত্রীকে খুলা তালাকের কারণগুলি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। তবে খুলার প্রয়োজনীয় ক্ষতির কারণের কারণগুলি তালিকাভুক্ত করতে হয়। যেমন স্ত্রী যদি দাম্পত্য বা বৈবাহিক জীবন চলার কোন উপায় না থাকে এবং সে ভয় করে যে সে আল্লাহর হক প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। তখন সে নারী খুলা তালাক চা্যইতে পারে।অন্যায় ভাবে কোন নারী খুলা তালাক চাইলে “সে জান্নাতের ঘ্রাণ পাবে না।” যে আদালতে খুলার মামলা চলবে তার বিচারক সুনির্দিষ্ট আইন বা আইনি কারণ বা সীমিত ক্ষতির দিকে নজর দিবে না। সে বিবাহ টিকে রাখার জন্য চেষ্টা চালাবে। স্বামী/স্ত্রী, যদি এটি ব্যর্থ হয় এবং বিবাহবিচ্ছেদের শর্ত পূরণ করা হয়, তাহলে তার বিচার করা হবে। তবে স্বামী -স্ত্রী তালাকের ব্যাপারে সম্মত হলে এবং বিবাহবিচ্ছেদ চুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত হলে খুলা হবে। যা ২০০০ সালের ১ নং আইন এর ২০ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বামী যদি তালাক সম্পূর্ণ করতে অস্বীকার করে, তাহলে স্ত্রী তালাকের মামলা করতে পারে। উক্ত আদালতে আবেদন করবে এবং মামলাটি ইসলামিক আইন অনুযায়ী নয়, বরং আবেদনমূলক আইনের নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হবে। কার্যক্রম নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়-

    মহর পরিশোধ

    স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্ত মহর ফের দিবে। এটা হলো প্রথম শর্ত। কিন্তু যদি স্বামী তার চেয়ে বেশি অর্থ প্রদান করে, তাহলে স্ত্রীকে সেটাও ফেরৎ দিতে হবে। অথবা আদালত বিয়ের দলিলে যতি আরও কিছু লেখা থাকে সেটা স্ত্রীকে ফেরৎ দিতে হবে না। এভাবে (১) বিবাহের উপহার সামগ্রীও ফেরৎ দিতে হবে না। কেননা তা মহর নয়। (২) বৈবাহিক অস্থাবর সম্পত্তিও মহর নয়, সেটাও ফেরৎ দিতে হবে না যতক্ষণ না স্ত্রী তার অর্থ ফেরত দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। স্ত্রীর মহর ফেরত বা মহর আদালতে ফেরৎ আইনি উপস্থাপনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, এবং এটি যুক্তি দ্বারা বা আইনের দ্বারা প্রমাণিত হয়।

    আর্থিক অধিকার মওকুফ

    স্ত্রীর তার আর্থিক অধিকার মওকুফ করা বা স্বামীর কাছ থেকে তার সন্তানদের অধিকার ছাড়া বা তার হেফাজতে থাকা এবং খুলার স্বীকৃতি চাওয়া সবকিছু স্ত্রীর উপর নির্ভর করে। স্বামী তার সমস্ত আর্থিক ও আইনগত অধিকার মওকুফ করতে পারে, যদি সে বিলম্বে মহর গ্রদান করে বা ইদ্দতকালে থাকে। আর এটা সে উপস্থিত লোকদের হাতে অথবা বিচারকের সামনে পেশ করবে। আর এটা উভয়ের বিচ্ছেদের পরে করবে। তবে ছোট সন্তানের হেজানত বা তাদের দেখাশোনার জন্য ব্যয় করা অর্থের ক্ষেত্রে হবে না।

    মীমাংসার প্রস্তাব

    স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধের অবসান ঘটাতে আদালতকে অবশ্যই হস্তক্ষেপ করতে হবে। আদালতের হস্তক্ষেপ অবশ্যই স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে বোঝাপরার মাধ্যমে পুনর্মিলনের ব্যবস্থা করবে। এই মীমাংসার বাধ্যবাধকতা হচ্ছে ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত রক্ষা করার জন্য। যা জনশৃঙ্খলার সাথে সম্পর্কিত। আদালত তাদের মধ্যে দুইবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে বাধ্য, যা ত্রিশ দিনের কম নয় এবং ষাট দিনের বেশি নয়, যাতে পরিবারকে রক্ষা করা যায়।

    দুই মীমাংসাকারীর নিয়োগ

    স্বামীর পরিবার থেকে একজন এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন মোট দু’জন বিচারক নিয়োগ করবে। তারা স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মীমাংসা করে পরিবারটাকে রক্ষা করবে। এটা কুরআনের বিধান, যা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফতওয়া বিভাগ বাস্তবায়ন করেছিল। ফলে এরকম একটি খুলা মামলার সমাধান হয়েছিল। যেহেতু এটা স্ত্রীর পক্ষ থেকে হয় বা খুলার মামলাটি স্বামীর দ্বারা সৃষ্ট ত্রুটি বা ক্ষতির উপর ভিত্তি করে নয়, বরং এটি স্বামীর মনস্তাত্ত্বিক বিদ্বেষ এবং স্ত্রীর সমাপ্তির আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে। আর বিবাহিত জীবন. স্বামী -স্ত্রীর স্বার্থে এবং শিশুদের স্বার্থে স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য দুই সালিশকারীকে অবশ্যই তিন মাসের বেশি সময়ের মধ্যে স্বামীদের পুনর্মিলনের চেষ্টায় তাদের ভূমিকা শেষ করতে হয় এবং এটা বিবাহবিচ্ছেদ মামলার বিশেষ প্রকৃতি।

    আদালতের সামনে স্ত্রীর ঘোষণা দেবে যে সে তার বৈবাহিক জীবন চালিয়ে নিতে ইচ্ছুক নয়।

    স্ত্রী স্বামীর সাথে তার জীবন বিদ্বেষের স্বীকারুক্তি দেবে। এই স্বীকারোক্তিটি বিচারিক আদালতের সামনে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা হিসাবে হবে। বিচারক তদন্তের শেষ মামলাটি বিচারের জন্য সংরক্ষিত করবে। স্ত্রীর এ ঘোষণা প্রমাণ করবে যে সে স্বামীর সাথে সংসার করতে অপারগ।

    মামলাটি যখন পূর্ণ হয় তখন বিচারের জন্য সংরক্ষণ করা

    যখন আদালত পূর্ববর্তী সমস্ত পদ্ধতি বা পর্যায় সমাপ্ত করে, তখন সে রায়কে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেবে। খুলার শর্ত পূরণ হলে বিবাহ বিচ্ছেদের রায় এড়ানো যায় না। যদি আদালতের বিশ্বাস এবং তার দৃঢ় বিশ্বাসের মধ্যেও থাকে যে আসামী স্বামী ভুল করেনি এবং কোন ক্ষতি করেনি তার স্ত্রীর উপর। ডিভোর্স কেস একটি প্রক্রিয়াগত মামলা, যার মধ্যে আদালতের ভূমিকা তার উপাদানগুলি প্রমাণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই যখন স্ত্রীকে স্বামীর কাছে ফেরত দেওয়া হয় তখন মহর পরিশোধ করতে হয়। এটা ঐ সময় হয় যখন উক্ত বিচারকদ্বয় বা অন্যকোন উপায়ে মীমাংসা করা সম্ভব না হয়।

    ডিভোর্স মামলায় চূড়ান্ত রায়

    ডিভোর্স মামলায় জারি করা রায় চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হয়, কোন আফিল চলে না। বিবাহ বিচ্ছেদ কার্যকর হয়।

    খুলার কারণে স্ত্রীর জন্য ব্যয় থাকে না

    বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে স্ত্রীর বিবাহিত জীবন শেষ করার অধিকার কার্য়কর হওয়ার পর তার স্বামীর কাছ থেকে নেওয়া মহর ফেরত দিবে। ফলে স্বামীকে আর স্ত্রীকে কোন খরচ দেবেনা। মোটা অংকের অর্থও দাবি করতে পারবে না।

    ইসলামে খুলা তালাকের বিধান

    বিবাহ এবং তালাক একটি ধর্মীয় চুক্তি বা এটি একটি আইনি চুক্তি। উদাহরণস্বরূপ, তালাক একটি নিছক শব্দ দিয়ে সংঘটিত হয়, যা স্বামী লিখিতভাবে জানাবে। তবে খুলার বিধান ইসলামে অনেক গুরুত্তপূর্ণ।

    খুলার শরয়ী বিধান

    হাম্বলী চিন্তাধারায়: হাম্বলী মতে কোন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চাইলে সে তার কাছ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ গ্রহণ করার জন্য নির্ধারিত হয়।[৪] তাদের দলিল হলো সাবিত বিন কাইসের স্ত্রীর ঘটনা। কিন্তু পর্যাপ্ত কারণ না থাকলে হবে না। কেননা নবী স বলেছেন, যে নারী বিনা কারণে স্বামীর কাছে তালাক চায় তার জন্য বেহেশতের সুবাস হারাম।

    ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে, যদি স্বামী তার স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্নতার কারণ হয় তবে স্বামীর পক্ষে এটি গ্রহণ করা অপছন্দনীয়।আর যদি বিষয়টি স্ত্রীর নিজের বিচ্ছিন্নতার কারণে হয়, তবে স্বামীর জন্য মহরের চেয়ে বেশি গ্রহণ করাকে ঘৃণা করেন। আর বিষয়টির অন্যদিক হলে বেশি গ্রহণ করা জায়েজ, কারণ সর্বশক্তিমানের উক্তি: “এতে কোন দোষ নেই সে তার বিনিময়ে যা মুক্তিপণ দিয়েছিল “আল-বাকারাহ: ২২

    আর স্বামীর আচরণের কারণে যদি স্ত্রী খুলা তালাকে বাধ্য হন তাহলে অতিরিক্ত কিছু দিতে হবে না।[৫] তারা এটিকে সর্বশক্তিমানের উক্তি দ্বারা প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে: ((এবং তাদেরকে আপনি যা দিয়েছেন তা থেকে কিছু নিতে নিষেধ করবেন না)) [আন-নিসা: 19]।

    শাফিরা একেবারে খুলকে ঘৃণা করেন। তারা এর থেকে দুটি ব্যতিক্রম কথা বলেন:[৬]

    1. স্ত্রী ভয় পায় যে, আল্লাহ স্বামীর উপর আরোপিত অধিকার পালন করতে পারবে না। অথবা মহিলা তার স্বামীকে অস্বীকার করে, সে তার উপর তার অধিকার পূরণ করতে পারে না।
    2. একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়ার শফৎ করে তালাক না দিয়ে আবার একসাথে থাকতে চায় এবং তাকে খাওয়ায়, পান করায়। তখন এ স্ত্রী লোকটি খুলা তালাকা চাইতে পারে।

    মালেকীরা খুলাকে জায়েজ করেছে (এটা সুন্নাহ বা অপছন্দ নয়)। এ শর্তে যে যদি স্ত্রীর সম্মতিতে থাকে, যদি এটি তার বাধ্যবাধকতায় হয়, তাহলে তালাক কার্যকর করা হয়।[৭]

    খুলার সময়

    তালাকের নির্দিষ্ট সময় আছে।একজন পুরুষ হায়েজের সময় তার স্ত্রীকে তালাক দেবে না, তবে খুলাতে কোন দোষ নেই।[৮]

    খুলার শর্ত

    খুলার শর্ত হচ্ছে-[৯]

    1. এটা স্বামীর সম্মতিতে হতে হবে।
    2. স্বামীর ক্ষমতা যার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে: সে একজন বিবেকবান প্রাপ্তবয়স্ক।
    3. বিবাহ চুক্তি অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সহবাস হোক বা না হোক।
    4. স্ত্রী অর্থের সঠিকভাবে ব্যবহারকারিনি হবে। সেই সাথে একজন প্রাপ্তবয়স্কা, বুদ্ধিমতি, অক্ষম, দাসী, মূর্খ, বা অসুস্থ হবে না। উদাহরণস্বরূপ, বোকার খুলা হয় না।
    5. খুলার বিনিময় হালাল অর্থে হবে যাতে এটি একটি মহর হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াইন বা শুয়োরের মাংস দিয়ে খুলা হয় নযা।
    6. অবৈধ বস্তু দিয়ে খুলা হয় না।[৭]
    7. স্ত্রীর সম্মতিতে খুলা হবে। এতে স্বামীর সম্মতি থাকবে।

    খুলার বিনিময়

    হাম্বালীদের মতে, স্বামী তার স্ত্রীর থেকে বিচ্ছিন্ন হলে খুলার ক্ষতিপূরণ নেওয়া অপছন্দনীয়। যদিও এটি স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করার কারণেদিতে হয়। তবে স্ত্রীর মহরের পরিবর্তে স্বামী গ্রহণ করতে পারে, তবে এর চেয়ে বেশিও নিতে পারে। কেননা আল্লাহ পাক বলেছেন, কোনো ক্ষতি নাই।﴾[১০]

    খুলা এমনও হতে হবে যে এটি মহর হিসাবে প্রদান করা যেতে পারে। ফকীহগণ উপকার ও অধিকারের বিনিময়ে খুলার অনুমতি দিয়েছেন, যেমন কোনো রোগের চিকিৎসা বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জমি চাষ করা বা তাদের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো, বা এর পেছনে খরচ করা, অথবা ইদ্দতকালের ব্যয় রহিত করা।

    শরীয়তে খুলার প্রভাব

    1. তালাকে বায়েন :এটি দ্বারা এক তালাক বায়েন হয়।
    2. খুলা দ্বারা তালাকের সংখ্যা হ্রাস পায় না:। কেননা আল্লাহ প্রথমে তালাকের কথা বলেছেন পরে খুলার কথা বলেছেন।
    3. বিচারকের রায় কার্যকর হওয়ার শর্ত নয়।
    4. যদি খুলের কিছু শর্ত নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে খুল ‘অবৈধ হয় না।
    5. স্ত্রীর জন্য খুলার অর্থ প্রদান করা বাধ্যতামূলক।
    6. বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
    7. খুলা হলেআবার স্ত্রীকে ফেরৎ নেয়া যায় না। তবে হিলা বিবাহের পর নেয়া যাবে।
    8. খুলা হওয়ার পর ঝগড়া করা যাবেনা।
    9. মহরের পরিমাণ নিয়ে বিতর্ক যাবে না।
  • ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    ক্রিয়েটিভ কমন্স (সিসি) লাইসেন্স হল এমন কিছু পাবলিক কপিরাইট লাইসেন্সের সমষ্টি, যা অন্য কোনো কপিরাইটযুক্ত কাজের মুক্ত বিতরণ সক্ষম করে। একটি সিসি লাইসেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক তার তৈরিকৃত কাজ/লেখা অন্যকে ব্যবহার, শেয়ার করার অধিকার, এবং তার মূল কাজের উপর ভিত্তি করে নতুন কিছু নির্মাণের অধিকার প্রদান করে। সিসি একজন লেখককে নমনীয়তা উপলব্ধ করতে সক্ষম (উদাহরণ স্বরূপ, তারা কেবলমাত্র নিজের কাজের অ-বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করতে পারে)।

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স

    বিভিন্ন ধরনের সিসি লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সসমূহ বিভিন্ন সংযোজনের উপর ভিত্তি করে পৃথকৃত হয় যা মূলত বিতরণের শর্ত সংবলিত শর্ত। যা প্রাথমিকভাবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন অলাভজনক সংগঠন ক্রিয়েটিভ কমন্স কর্তৃক ডিসেম্বর ১৬, ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে লাইসেন্স স্যুটের ১.০ থেকে ৪.০ সংখ্যাযুক্ত পাঁচটি সংস্করণ রয়েছে।[১] জুলাই ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ৪.০ লাইসেন্স স্যুটটি বর্তমানে সর্বশেষ স্যুট।

    লাইসেন্সের প্রকৃতি

    3:08CC

    কাজ করতে চান একসঙ্গে? ক্রিয়েটিভ কমন্সের অ্যানিমেশন

    The second version of the Mayer and Bettle promotional animation explains what Creative Commons is.

    Ordering of CC licenses from most to least open

    সিসি লাইসেন্সসমূহ বেশকিছু অধিকার প্রকাশ করে থাকে। স্বত্বাধীন কাজ বা প্রকাশনার অবাণিজ্যিক কাজে বৈশ্বিক ব্যবহারের মত বিভিন্ন অধিকার দিয়ে থাকে।[২] বিভিন্ন লাইসেন্সের প্রকৃতি চার ধরনের হয়ে থাকে।

    প্রতীকঅধিকারবর্ণনা
    অ্যাট্রিবিউশন (BY)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, বিতরণ, প্রদর্শন ও কাজ সম্পাদন করা এবং এটি উপর ভিত্তি করে উপজাত কর্মসমূহ করতে পারে, যাতে শুধুমাত্র এই নির্ধারিত রীতি অনুযায়ী কৃতিত্ব হিসাবে লাইসেন্সধারীর নাম উল্লেখ করতে হবে।
    শেয়ার-আলাইক (SA)লাইসেন্সধারীদের উপজাত কর্মসমূহ বিতরণ করা যাবে, যাতে মুল কাজের অভিন্ন লাইসেন্স থাকবে এবং মুল কাজের লাইসেন্স দ্বারা পরিচালিত হবে।
    অ-বাণিজ্যিক (NC)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, প্রদর্শন, বিতরণ এবং কাজ সম্পাদন করা এবং উপজাত কর্মসমূহ শুধুমাত্র অ-বাণিজ্যিক হিসাবে ব্যবহার করা।
    কোন অমৌলিক কাজ নয়(ND)লাইসেন্সধারীদের অনুলিপি, বিতরণ, প্রদর্শন এবং কাজ শুধুমাত্র ধারণকৃত কপি সম্পাদন করতে পারেন, কোন অনুকৃতি এর উপর ভিত্তি করে নয়।

    সূত্র:[৩]

    বহুল ব্যবহৃত সাতটি লাইসেন্স

    প্রতীকবর্ণনাআদ্যক্ষরঅনুমোদন পুনর্মিশ্রন সংস্কৃতিবাণিজ্যিক ব্যবহার অনুমোদনঅনুমোদন বিনামূল্যে সাংস্কৃতিক কাজপূরণ করে ‘মুক্ত সংজ্ঞা
    বিধিনিষেধ ছাড়াই বিশ্বব্যাপী মুক্ত কন্টেন্টCC0হ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    শুধুমাত্র অ্যাট্রিবিউশনBYহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    অ্যাট্রিবিউশন + শেয়ার-আলাইকBY-SAহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁহ্যাঁ
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিকBY-NCহ্যাঁনানানা
    অ্যাট্রিবিউশন + মৌলিকBY-NDনাহ্যাঁনানা
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিক + শেয়ার-আলাইকBY-NC-SAহ্যাঁনানানা
    অ্যাট্রিবিউশন + অ-বাণিজ্যিক + মৌলিকBY-NC-NDনানানানা

    সূত্র:[৪][৫]

    সংস্করণ ৪.০ এবং আন্তর্জাতিক ব্যবহার

    মূল অ স্থানীয় ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স লিখা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের আইনি সিস্টেমকে মাথায় রেখে, তাই বিভিন্ন বাক্যে কথন স্থানীয় আইনে বেমানান হতে পারে এবং বিভিন্ন বিচারব্যবস্থায় বিবেচ্য লাইসেন্স রেন্ডার করতে পারে। এই সমস্যা মোকাবেলায়, ক্রিয়েটিভ কমন্স এর বিভিন্ন অনুমোদনকারীদের স্থানীয় আইন প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করে যেটি “ক্রিয়েটিভ কমন্স এখতিয়ার পোর্ট” নামে পরিচিত।[৬] জুলাই ২০১১ অনুসারে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের বিশ্বব্যাপী ৫০টি বিচারব্যবস্থায় অনুদিত। [৭]

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের সর্বশেষ সংস্করণ ৪.০, প্রকাশ করা হয় ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর, যা সাধারণ বিচারব্যবস্থায় প্রযোজ্য এবং সাধারণত পোর্ট প্রয়োজন বোধ করেন না, এমন জেনেরিক লাইসেন্স আছে। [৮][৯][১০][১১] লাইসেন্সের সংস্করণ ৪.০ -এ নতুন কোন পোর্ট বাস্তবায়ন করা হয়নি।[১২] সংস্করণ ৪.০ পোর্ট সংস্করণকে নিরুৎসাহিত করে এবং একক বৈশ্বিক সংস্করণকে উৎসাহিত করে।[১৩]

    অধিকার

    অ্যাট্রিবিউশন

    অ-বানিজ্যিক লাইসেন্স

    জিরো / পাবলিক ডোমেইন

    অভিযোজন

    ক্রিয়েটিভ কমন্স লোগো

    ভিডিওটি কিভাবে বাণিজ্যিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থাসমূহের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স ব্যবহার করা যায় তা ব্যাখ্যা করে।

    ক্রিয়েটিভ কমন্স (সিসি) লাইসেন্স হল এমন কিছু পাবলিক কপিরাইট লাইসেন্সের সমষ্টি, যা অন্য কোনো কপিরাইটযুক্ত কাজের মুক্ত বিতরণ সক্ষম করে। একটি সিসি লাইসেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে লেখক তার তৈরিকৃত কাজ/লেখা অন্যকে ব্যবহার, শেয়ার করার অধিকার, এবং তার মূল কাজের উপর ভিত্তি করে নতুন কিছু নির্মাণের অধিকার প্রদান করে। সিসি একজন লেখককে নমনীয়তা উপলব্ধ করতে সক্ষম (উদাহরণ স্বরূপ, তারা কেবলমাত্র নিজের কাজের অ-বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করতে পারে)।

    বিভিন্ন ধরনের সিসি লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সসমূহ বিভিন্ন সংযোজনের উপর ভিত্তি করে পৃথকৃত হয় যা মূলত বিতরণের শর্ত সংবলিত শর্ত। যা প্রাথমিকভাবে ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন অলাভজনক সংগঠন ক্রিয়েটিভ কমন্স কর্তৃক ডিসেম্বর ১৬, ২০০২ সালে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে লাইসেন্স স্যুটের ১.০ থেকে ৪.০ সংখ্যাযুক্ত পাঁচটি সংস্করণ রয়েছে।[১] জুলাই ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ৪.০ লাইসেন্স স্যুটটি বর্তমানে সর্বশেষ স্যুট।

    লাইসেন্সের প্রকৃতি

    3:08CC

    কাজ করতে চান একসঙ্গে? ক্রিয়েটিভ কমন্সের অ্যানিমেশন

    The second version of the Mayer and Bettle promotional animation explains what Creative Commons is.

    আইনগত দিক

  • কমন ল

    কমন ল

    কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: “কমন ল” – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর(নভেম্বর ২০২১)
    কমন ল

    ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত কলোনি সমূহ যা পরবর্তীতে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, সেইসকল দেশসমূহে ইংরেজদের প্রণীত আইনের প্রভাব দেখা যার; আইনের এই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রভাবই মূলত কমন ল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশ, যারা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন কলনি, তারা কমন ল দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।

    মানচিত্রে বিশ্বের আইন পদ্ধতি – কমন ল

    দণ্ডবিধি, ১৮৬০, দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮, তামাদি আইন ১৯০৮, রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯০৮ সহ বিভিন্ন আইন, যা ১৯ শতকের দিকে প্রণীত ও কার্যকরী হয়, এগুলোর মুল নির্যাস এখনো কমন ল দেশগুলোতে পরিলক্ষিত হয়।

  • ঋণ সালিশি বোর্ড

    ঋণ সালিশি বোর্ড

    ঋণ সালিশি বোর্ড হলো একটি সরকারি আইনি সংস্থা, যেটি ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের বাংলা প্রদেশে গঠন করা হয় অসহায় ও ঋণগ্রস্থ কৃষককে সহায়তা এবং আর্থিক সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে নিজেদের জমির দখল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।[১]

    ঋণ সালিশি বোর্ড

    ইতিহাস

    পূর্ব বাংলার ভূমিহীন ও নির্যাতিত কৃষককুল ১৯২৮ সালের শেষ দিকে বিশ্বব্যপী চলমান ‘মহামন্দা’ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ায় কৃষিপণ্যের মূল্য কমে যাওয়ায় সুদী-কারবারের জালে জর্জড়িত হয়ে পড়ে অর্থলগ্নিকারকদের নিপীড়নে চরমভাবে পর্যুদস্ত হতে থাকে।[২] ফলে লগ্নিকারকরা ঋণগ্রস্তদের জমিজমা ছিনিয়ে নিতে থাকায় অসহায় কৃষকরা তাদের শেষ সম্বল ভিটে-মাটি-জমিটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হতে থাকে।[৩] এর প্রেক্ষিতে ১৯৩৫ সালে ‘ঋণ সালিশি বোর্ড’ গঠনের জন্য সুপারিশ করা হয়[৩] এবং পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালের বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ডেটরস অ্যাক্ট (১৯৩৬-এর বেঙ্গল অ্যাক্ট ৭)-এর অধীনে ১৯৩৭ সালে সারা বাংলায় প্রায় ১১ হাজার ঋণ সালিশি বোর্ড স্থাপন করা হয়।[৪]

    প্রভাব

    এই আইনের ফলে কৃষকরা সুদখোর মহাজনের কবল থেকে রক্ষা পাওয়ার সাথে সাথে তাদের হারানো সম্পত্তি ও কৃষি জমি পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়;[৫] এমনকি ৪০ বছর পূর্বে সুদের দায়-দেনার কারণে লগ্নীকারী কর্তৃক দখল করে নেয়া জমিও ফেরত পায় সাধারণ কৃষক।[৪] এই আইন প্রণয়নের ফলে জমিদারগণ তাদের প্রজাদেরকে দেয়া ঋণ এবং অন্যান্য দেনা মাফ করে দিতে বাধ্য হোন এবং ফলে তারা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির সম্মুত্থিন হন।[৬]