Tag: বিসিএস পরীক্ষা মডেল টেস্ট

  • সরকার

    সরকার

    সরকার বা শাসনব্যবস্থা[১] (ইং: Government) হলো কোনো দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে দেশটির শাসন কার্য পরিচালিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। সরকারের মৌলিক দায়িত্ব জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের নিরাপত্তা বিধান করা, সমাজের শান্তি বজায় রাখা, মানুষের জান-মাল রক্ষা করা এবং বিবাদের ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনা করা। সরকার তার ওপর আরোপিত দায়িত্বসমূহ পালনের স্বার্থে রাজস্ব আহরণ করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তা ব্যয় করে থাকে।[২]

    সরকার

    সাধারণত “সরকার” শব্দটির দ্বারা একটি সাধারণ সরকার বা সার্বভৌম রাষ্ট্রকে বোঝায়। সরকার স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক হতে পারে। যদিও বাণিজ্যিক, শিক্ষাগত, ধর্মীয়, বা অন্যান্য বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিও নিজস্ব পরিচালন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাসিত হয়। এই জাতীয় কর্তৃপক্ষ বোর্ড অফ ডিরেক্টর, ম্যানেজ‍ার, গভর্নর নামে পরিচিত; এগুলিকে প্রশাসন (যেমন বিদ্যালয় প্রশাসন) বা কাউন্সিল অফ এল্ডার্স (যেমন খ্রিষ্টান চার্চে) নামেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সরকারের আকার অঞ্চল বা উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়।

    সংগঠনের আয়তন বৃদ্ধি হলে সরকারের জটিলতাও বাড়ে। তাই ছোটো শহর বা ছোটো-মাঝারি বেসরকারি সংস্থাগুলিতে আধিকারিকের সংখ্যা বড়ো বড়ো বহুজাতিক কর্পোরেশনের তুলনায় কম রাখা হয়। বড়ো সংস্থায় বহুমুখী দপ্তর ব্যবস্থা ও প্রশাসনের ক্রমপর্যায়ে লক্ষিত হয়। জটিলতা বাড়লে সরকারের কাজ-কর্মের প্রকৃতিও জটিল হয়ে পড়ে। তাই আনুষ্ঠানিক নীতি ও কার্যপদ্ধতি ঘোষণারও প্রয়োজন হয়।

    সরকারের ধরন

    সরকারের বিভিন্ন ধরন। বিস্তারিত দেখতে মানচিত্রে ক্লিক করুন।

    ‘সকল সংসদের জননী’ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট

    মূল নিবন্ধ: বিভিন্ন প্রকার সরকারের তালিকা

    • নৈরাজ্যবাদ – এটি এমন একটি রাজনৈতিক দর্শন যা রাষ্ট্রকে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছনীয় মনে করে এবং রাষ্ট্রহীন সমাজের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে।
    • কর্তৃত্ববাদী সরকার – কর্তৃত্ববাদী সরকার কোনো প্রজাতন্ত্র বা যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে। এটি অনির্বাচিত শাসকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থা, যাঁরা কিছুটা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন।
    • সাংবিধানিক রাজতন্ত্র – এই জাতীয় সরকারে একটি রাজতন্ত্র বিদ্যমান; কিন্তু উক্ত রাজতন্ত্রের ক্ষমতা আইন বা ঘোষিত সংবিধানের দ্বারা সীমাবদ্ধ। উদাহরণ: যুক্তরাজ্য[৩][৪]
    • সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র – এই জাতীয় সরকারের ক্ষমতা আইন বা আনুষ্ঠানিক সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং এই সরকার সংশ্লিষ্ট দেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ দ্বারা নির্বাচিত। উল্লেখ্য, প্রাচীন স্পার্টা ঘোষিতভাবে ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র; কিন্তু সেদেশের অধিকাংশ মানুষই ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতেন। আবার প্রথম যুগের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ছিল গণতান্ত্রিক দেশ; কিন্তু ক্রীতদাসদের সেযুগে ভোটদানের অধিকার ছিল না।
    • গণতন্ত্র – গণতন্ত্র হল এমন একটি সরকার যা দেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ দ্বারা নির্বাচিত। এই সরকার সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বা সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র দুইই হতে পারে। গণতন্ত্রের ব্যক্তির ভোটদানের অধিকার তার সামাজিক মর্যাদা বা সম্পদের উপর নির্ভরশীল নয়।
    • একনায়কতন্ত্র – একক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় শাসিত দেশের সরকার। স্বৈরাচারী শাসক সাধারণত বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করেন।[৫] (আরও দেখুন স্বৈরতন্ত্ররাষ্ট্রতন্ত্র)
    • রাজতন্ত্র – এমন ব্যক্তির শাসন যিনি শাসনক্ষমতা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হন।[৫]
    • সংকীর্ণ গোষ্ঠীতন্ত্র – একই স্বার্থবিশিষ্ট ছোটো ছোটো গোষ্ঠী বা পরিবারের শাসন।[৬]
    • ধনিকতন্ত্র – ধনবান শ্রেণির শাসন।
    • দিব্যতন্ত্র – ধর্মীয় নেতাদের শাসনতন্ত্র।[৭]
    • সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী সরকার – এই জাতীয় সরকার সরকার ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ কর্তৃত্ব আরোপ করে।
    • আইনানুগমনবাদী সরকার – এই জাতীয় সরকার আইনের শাসনকে চূড়ান্ত মনে করে; আইনমান্যকারীদের পুরস্কৃত করে ও আইনভঙ্গকারীদের কঠিন শাস্তি দেয়।

    পাদটীকা

    “শাসনব্যবস্থা – English Meaning of ‘শাসনব্যবস্থা’ at english-bangla.com | শাসনব্যবস্থা শব্দের ইংরেজি অর্থ”www.english-bangla.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-১৩। “government” — Dictionary.com: cites 3 separate dictionaries Fotopoulos, Takis, The Multidimensional Crisis and Inclusive Democracy. (Athens: Gordios, 2005).(English translation[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] of the book with the same title published in Greek). “Victorian Electronic Democracy : Glossary”। জুলাই ২৮, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১২-১৪। American 503 American 1225 American 1793

  • সংসদ সদস্য

    সংসদ সদস্য

    সংসদ সদস্য জনপ্রতিনিধি হিসেবে পার্লামেন্ট বা জাতীয় সংসদে সরকার কিংবা বিরোধীদলীয় সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর ইংরেজি প্রতিরূপ হচ্ছে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘এমপি’ এবং বাংলায় ‘সংসদ সদস্য’ কিংবা ‘সাংসদ’। এছাড়া, ফরাসী ভাষায় সংসদ সদস্যকে ‘ডেপুটি’ নামে অভিহিত করা হয়।

    সংসদ সদস্য

    পরিচিতি

    সংসদীয় গণতন্ত্রে একজন সংসদ সদস্য আইন-প্রণয়ন বিশেষতঃ রাষ্ট্রীয় আইননাগরিক অধিকার প্রণয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণ অর্থে নির্দিষ্ট সংসদ কিংবা জাতীয় সংসদের সদস্যই এমপি বা সংসদ সদস্য হিসেবে আখ্যায়িত হন।

    বিশ্বের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে দ্বি-স্তরবিশিষ্ট সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে – উচ্চ কক্ষ এবং নিম্ন কক্ষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ‘সংসদ সদস্য’ পদটি নিম্নকক্ষের জন্য প্রযোজ্য। সচরাচর জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্য পদটি উচ্চ কক্ষে ভিন্ন পদে উপস্থাপন ও চিহ্নিত করা হয়। উচ্চ কক্ষ হিসেবে সিনেটে সংসদ সদস্য তখন তিনি ‘সিনেটর’ পদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।

    অবস্থান

    সংসদ সদস্য হিসেবে ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে দলের সদস্যরূপে তাঁর অবস্থানকে নিশ্চিত করতে হয়। পরবর্তীতে দলীয় সভায় মনোনয়নের মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও জনমতের যথার্থ সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিফলনে তিনি এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। কখনোবা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অভাবে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সাধারণতঃ সংসদ সদস্য কোন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়ে থাকেন। দলীয়ভাবে মনোনয়নলাভে ব্যর্থ হলে কিংবা দলীয় সম্পৃক্ততা না থাকলেও ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে অনেকে নির্বাচিত কিংবা মনোনীত সংসদ সদস্য হন।

    সংসদ সদস্যকে অনেকে ‘সাংসদ’ নামেও ডেকে থাকেন। তবে, নিত্য-নৈমিত্তিক বা প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডে ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ হিসেবে সংসদ সদস্যকে ‘এমপি’ শব্দের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানকালে প্রচারমাধ্যমে সাধারণ অর্থেই এমপি শব্দের প্রয়োগ লক্ষ্যণীয়।

    ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতি

    গণতান্ত্রিক সংসদীয় ব্যবস্থায় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত প্রতিফলন বা ভোটে একজন প্রধানমন্ত্রী সরকার প্রধান হিসেবে মনোনীত হন, যা ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ‘প্যালেস অব ওয়েস্টমিনিস্টারে’ বা হাউজেস অব পার্লামেন্ট বা ওয়েস্টমিনিস্টার প্যালেসে রক্ষিত জনপ্রতিনিধির আসনকে কেন্দ্র করে ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে।

    অস্ট্রেলিয়া

    অস্ট্রেলিয়ায় সংসদ সদস্য বলতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হিসেবে পরিচিত ‘হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভসের’ সদস্যকে বুঝায়। সদস্যরা কখনো কখনো তাদের নামের শেষে এমপি লিখে থাকেন। ‘কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট’ হিসেবে সিনেটের সদস্যগণ সিনেটর নামে পরিচিতি।

    অস্ট্রেলিয়ার প্রদেশ হিসেবে নিউ সাউথ ওয়েলস্‌ এবং ভিক্টোরিয়ায় নিম্ন কক্ষ লেজিসলেটিভ এসেম্বলিতে সংসদ সদস্যগণ তাদের নামের শেষে ‘এমপি’ লিখেন। পক্ষান্তরে উচ্চ কক্ষ হিসেবে লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা নামের শেষে ব্যবহার করেন’এমএলসি’।

    বাংলাদেশ

    মূল নিবন্ধ: জাতীয় সংসদ

    বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যগণ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। তাঁরা প্রতি পাঁচ বৎসর অন্তর সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তাদেরকেও ‘এমপি’ বা ‘মেম্বার অব পার্লামেন্ট’ বা ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সংসদে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩৫০ জন সংসদ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করেন। তন্মধ্যে ৫০ জন সংরক্ষিত আসন থেকে মহিলা সদস্য। সাংসদদের নামের শেষে এমপি লেখা হয়। যেমনঃ বর্তমান বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন চট্টগ্রাম – ১ (মীরসরাই) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, এমপি

    বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে নির্বাচিত হতে হয়।

    কানাডা

    কানাডায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় ব্যবস্থা বিরাজমান। কানাডীয় সংসদে উচ্চ কক্ষকে ‘সিনেট অব কানাডা’ এবং নিম্ন কক্ষকে ‘কানাডিয়ান হাউজ অব কমন্স’ ডাকা হয়। তাসত্ত্বেও, উভয় কক্ষের সদস্যগণই মেম্বার অব পার্লামেন্ট বা সংসদ সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন। কিন্তু কথা বলার ধরন অনুযায়ী নিম্ন কক্ষের সদস্যগণকে ‘সংসদ সদস্য’ এবং উচ্চ কক্ষের সদস্যগণকে সিনেটরের মর্যাদা দেয়া হয়।[১] ১০৫ আসনের সিনেট এবং ৩০৮ আসনের হাউজ অব কমন্স নিয়ে কানাডায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠিত।[২]

    প্রত্যেকটি প্রদেশের সংসদীয় ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব পরিচিতি রয়েছে। সাধারণতঃ প্রত্যেক সদস্যই এমএলএ বা মেম্বার অব দ্য লেজিসলেটিভ এসেম্বলী হিসেবে পরিচিতি পেয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে দেশটির কয়েকটি প্রদেশ। তন্মধ্যে ওন্টারিও প্রদেশে সংসদ সদস্যরা ‘মেম্বার অব প্রভিনশিয়াল পার্লামেন্ট’ বা এমপিপি; কুইবেক প্রদেশে ‘মেম্বার অব দ্য ন্যাশনাল এসেম্বলী’ বা এমএনএ নামে পরিচিত। ফরাসী ভাষায় একজন এমএনএ-কে ডেপুটি বলা হয়। নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডর প্রদেশে তাদেরকে ‘মেম্বার অব দ্য হাউজ অব এসেম্বলী’ বা এমএইচএ পদবী গ্রহণ করতে দেখা যায়।

    ভারত

    মূল নিবন্ধ: সংসদ (ভারত)

    পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের বেশ সুনাম রয়েছে। দেশটির সংসদীয় ব্যবস্থাপনা দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট। সেগুলো হচ্ছে লোকসভা এবং রাজ্যসভা। সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সকল সদস্যই ‘সংসদ সদস্য’ হিসেবে পরিচিতি।

    সদস্যরা ভারতীয় প্রদেশ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে লোকসভায় সদস্যরূপে নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজ্যসভার সদস্যরা পরোক্ষভাবে প্রদেশের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংসদ সদস্য হন। প্রত্যেক প্রদেশেই নির্দিষ্টসংখ্যক সংসদ সদস্যের পদ বরাদ্দ আছে। উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশীসংখ্যক সদস্য পদ রয়েছে।

    কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটভূক্ত দলের সংমিশ্রণে গঠিত হয় যেখানে লোকসভায় সর্ববৃহৎ দল বৃহৎসংখ্যক আসন লাভ করতে সক্ষম হয়।

    আয়ারল্যান্ড

    মেম্বার অব পার্লামেন্ট শব্দটি ১৮০১ সালের পূর্বেকার আয়ারল্যান্ডের সংসদ ‘আইরিশ হাউজ অব কমন্সের’ সদস্যকে বুঝায়। এছাড়াও এটি যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডের হাউজ অব কমন্সে ১৮০১ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত নির্বাচিত আইরিশ সদস্যদেরকে বুঝানো হয়ে থাকে।

    উত্তর আয়ারল্যান্ডে নির্বাচিত এমপিরা বর্তমানকালেও যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে অংশ নিয়ে থাকেন।

    ১৯২২ সালের পর ‘আইরিশ ফ্রি স্টেটের’ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ‘ডেইল আইরিয়ান’ বা (দ্য ডেইল)-এর সদস্যরা নিম্নকক্ষে ‘অয়েরেচটাসে’ (সংসদ) ‘ডেইল আয়ারিন’ (ডেইল) বা টিচটা ডালা বা টিডি নামে পরিচিত। উচ্চ কক্ষকে ‘সীনাড আইরিয়ান’ বলে। এর সদস্যরা ‘সিনেটর’ নামে পরিচিত।

    কেনিয়া

    জাতীয় সংসদের ২১০টি আসনের সাধারণ নির্বাচনে কেনিয়ার অধিবাসীরা সদস্যরূপে নির্বাচিত হয়ে যোগ দেন। পরবর্তীতে আরো ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করা হয়। সদস্যরা প্রত্যেকেই ‘সংসদ সদস্য’ নামে অভিহিত হন।[৩]

    মালয়েশিয়া

    যুক্তরাজ্যের সংসদের অনুরূপ ধাঁচে মালয়েশিয়ার সংসদ গড়ে উঠেছে। এটি দু’টি কক্ষবিশিষ্ট। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে রয়েছে ‘দিওয়ান রাকিয়াত’ এবং সিনেট হিসেবে ‘দিওয়ান নাগারা’।

    দিওয়ান রাকিয়াতের জন্য একজন ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য হিসেবে পরিচিত হতে গেলে তাকে সাধারণ নির্বাচন কিংবা উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। এছাড়াও, যারা দেশের সেবায় অসামান্য অবদান রাখেন তাদেরকে দিওয়ান নাগারা’র সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য রাজা কর্তৃক মনোনীত হন। তারা প্রদেশ প্রধান কর্তৃক মনোনীত হয়ে রাজার অনুমোদনের উপর নির্ভর করেন। তন্মধ্যে, প্রত্যেকটি প্রদেশের আয়তনের উপর সিনেটরের সংখ্যা নির্ভরশীল।

    সংসদ সদস্যরা তাদের নামের পূর্বে ‘ইয়াং বারহোরমাত’ বা ‘সম্মানীয়’ পদবী ব্যবহার করেন যা সংক্ষেপে ওয়াই.বি নামে পরিচিত।

    নাউরু

    ১৮টি আসন নিয়ে নাউরু সংসদ গঠিত। এখানকার সংসদ সদস্যদের নামের সামনে ‘সম্মানীয়’ শব্দ প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানে সংসদ সদস্য বলতে ‘ন্যাশনাল এসেম্বলী অব পাকিস্তান’ বা ‘কউমি এসেম্বলী’র সদস্যকে বুঝানো হয়ে থাকে। এই ন্যাশনাল এসেম্বলী বা জাতীয় সংসদ ইসলামাবাদ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়।

    শ্রীলঙ্কা

    সার্কভূক্ত দেশের অন্যতম দেশ শ্রীলঙ্কায় সংসদ সদস্যগণ ১৯৭৮ সাল থেকে ‘পার্লামেন্ট অব শ্রীলঙ্কা’র সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এছাড়াও, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ‘ন্যাশনাল স্টেট এসেম্বলী’, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত ‘পার্লামেন্ট অব সিলোন’ নিম্নকক্ষের ‘হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস্‌ অব সিলোনে’র সদস্যকে বুঝানো হয়ে থাকে।

    জিম্বাবুয়ে

    ‘হাউজ অব এসেম্বলী অব জিম্বাবুয়ে’ আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের প্রধান আইন সভা। আইন সভার সদস্যগণ সংসদ সদস্য নামে পরিচিত। সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্যবৃন্দ সিনেটর নামে পরিচিত।

    অন্যান্য পদ্ধতি

    সংসদ সদস্য শব্দটি বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে বিভিন্ন সংসদীয় গণতন্ত্রে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যা ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতি অবলম্বন করে না।

    প্রতিনিধিত্বকারী দেশসমূহ

    নিম্নবর্ণিত দেশসমূহে সংসদীয় ব্যবস্থা বিরাজমান রয়েছে। ওয়েস্টমিনিস্টার পদ্ধতিতে একজন সংসদ সদস্য নির্দিষ্ট কিংবা নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের সংসদ কার্যালয়ে স্বীয় মতামত ব্যক্ত ও প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ লাভের অধিকারী।

    এন্টিগুয়া ও বারবুডা অস্ট্রেলিয়া আয়ারল্যান্ড ইরাক ইসরায়েল কানাডা গ্রেনাডা জ্যামাইকা টুভালু ডোমেনিকা ত্রিনিদাদ এন্ড টোব্যাগোথাইল্যান্ড নাউরু নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান পাপুয়া নিউগিনি মালয়েশিয়া মাল্টা মৌরীতাস বাহামা বার্মুডা বাংলাদেশবার্বাডোজ বেলিজ ভারত ভানুয়াতু যুক্তরাজ্য সিঙ্গাপুর সেন্ট কিটস্‌ এন্ড নেভিস সেন্ট লুসিয়া সেন্ট ভিনসেন্ট এণ্ড দ্য গ্রেনাডাইনস্‌ সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
  • শাসন

    শাসন

    শাসন ব্যবস্থা (এছাড়াও “শাসন“) হল সরকারের রূপ বা নিয়ম, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক নিয়ম ইত্যাদির সেট যা একটি সরকার বা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম এবং সমাজের সাথে এর মিথস্ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। ইয়েলের অধ্যাপক জুয়ান জোসে লিঞ্জের মতে বর্তমানে তিনটি প্রধান ধরনের রাজনৈতিক শাসন রয়েছে: গণতন্ত্র, একচ্ছত্রবাদ এবং এই দুটির মধ্যে বসে কর্তৃত্ববাদ (হাইব্রিড শাসনের সাথে)।[১][২]

    শাসন

    ব্যবহার

    যদিও regime শব্দটি যেকোন ধরনের সরকারের প্রতিশব্দ হিসাবে উদ্ভূত হয়েছে, আধুনিক ব্যবহার এটিকে একটি নেতিবাচক অর্থ দিয়েছে, যা একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার বা একনায়কত্বকে বোঝায়। ওয়েবস্টারের সংজ্ঞা বলে যে régime শব্দটি কেবল সরকারের একটি রূপকে বোঝায়,[৩] যেখানে অক্সফোর্ড ইংরেজি অভিধানে শাসনকে “একটি সরকার, বিশেষ করে কর্তৃত্ববাদী” হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।[৪]

    “শাসন” শব্দটির সমসাময়িক একাডেমিক ব্যবহার জনপ্রিয় এবং সাংবাদিকতার ব্যবহারের চেয়ে বিস্তৃত, যার অর্থ “সরকারের মধ্যে একটি মধ্যবর্তী স্তর (যা প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং পরিবর্তন করা সহজ) এবং রাষ্ট্রের (যা একটি জটিল আমলাতন্ত্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জবরদস্তিমূলক ফাংশনগুলির একটি পরিসর সহ)।”[৫] বৈশ্বিক অধ্যয়ন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, শাসনের ধারণাটি আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির নাম দেওয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয় (আন্তর্জাতিক শাসন দেখুন), যা জাতীয় সরকারগুলির নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। কিছু লেখক এইভাবে প্রতিষ্ঠান এবং শাসনের মধ্যে বিশ্লেষণাত্মকভাবে পার্থক্য করেন এবং স্বীকার করেন যে তারা একে অপরের সাথে আবদ্ধ:

    আমরা যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্ণনা করি সেগুলি সর্বজনীনভাবে প্রণীত, অনুশীলন, পদ্ধতি এবং নিয়মগুলির তুলনামূলকভাবে স্থায়ী সংস্থা, ডব্লিউটিও-এর মতো আনুষ্ঠানিক আইনি সত্তা থেকে শুরু করে আরও অনানুষ্ঠানিক কিন্তু আইনগতভাবে চাপযুক্ত এবং উদার পুঁজিবাদী বাজারের মতো অনুশীলন এবং শাসনের স্থায়ী সেট। এখানে মূল বাক্যাংশগুলি হল ‘পাবলিকলি অ্যাক্টেড’ এবং ‘আপেক্ষিকভাবে স্থায়ী’। এই অর্থে ‘পাবলিকলি অ্যাক্টেড’ শব্দগুচ্ছটি সক্রিয় অভিক্ষেপ, আইনি অনুমোদন, এবং প্রায়শই নয়, একধরনের বিরোধিতাকে বোঝায়।[৬]

    এইভাবে শাসনগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে প্রোটোকল এবং নিয়মগুলির সেট হিসাবে যেগুলি হয় প্রতিষ্ঠান বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুশীলনগুলিতে এমবেড করা – আনুষ্ঠানিক যেমন রাষ্ট্র বা অনানুষ্ঠানিক যেমন “উদার বাণিজ্য শাসন” – যা প্রকাশ্যে প্রণীত এবং তুলনামূলকভাবে স্থায়ী।[৬]

  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান

    রাষ্ট্রবিজ্ঞান

    রাষ্ট্রবিজ্ঞান (ইংরেজি: Political Science) সমাজবিজ্ঞানের একটি শাখাবিশেষ; যেখানে পরিচালন প্রক্রিয়া, রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতি সম্পর্কীয় বিষয়াবলী নিয়ে আলোকপাত করা হয়। এরিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রাষ্ট্র সম্পর্কীয় বিজ্ঞান নামে উল্লেখ করেছেন।[১]

    রাষ্ট্রবিজ্ঞান

    উপ-শাখাসমূহ

    অধিকাংশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নিম্নোক্ত এক বা একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন –

    ভারতীয় উপমহাদেশ

    প্রাচীন ভারতে ঋগ্বেদ, সংহিতা, ব্রাহ্মণ, মহাভারত এবং বৌদ্ধদের পালি শাস্ত্রে রাজনীতিবিদদের কথকতা উল্লেখ আছে। তক্ষশীলায় অবস্থানকারী চাণক্য ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তিনি অর্থশাস্ত্র রচনা করেন যাতে রাজনৈতিক চিন্তাধারা, অর্থনীতি এবং সামাজিক ভারসাম্যের কথা তুলে ধরেছেন। এতে মুদ্রা ব্যবস্থা ও আর্থিক নীতি, কল্যাণ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, যুদ্ধের আত্মরক্ষামূলক কলাকৌশল-সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। চাণক্য যুগের অবসানের দুই শতক পরবর্তীকালে রচিত মনুস্মৃতি গ্রন্থেও ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রামাণ্য বিষয় হিসেবে স্বীকৃত। যদিও বহু পাশ্চাত্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মনে করেন যে, প্রাচীন ভারতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান চর্চা ধর্মনিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে গড়ে ওঠেনি। এবিষয়ে বিখ্যাত অধ্যাপক ডানিং বলেছেন, “প্রাচ্যের আর্যরা তাঁদের রাষ্ট্রভাবনাকে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা থেকে মুক্ত করতে পারেননি।” তবে এ মতের বিরোধীতা করে বলা যায়, প্রাচীন ভারতে ধর্ম কেবলমাত্র পূজাপার্বণ ছিলনা, বরং ধর্ম বলতে বোঝাত, একপ্রকার জীবনচর্যা, যা মানুষ এবং সমাজের উন্নতি সাধন করে। প্রাচীন ভারতীয় রাষ্ট্রচিন্তার একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান হল সপ্তাঙ্গ। কৌটিল্য তার অর্থশাস্ত্রে এবিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার মতে, কোন রাষ্ট্রের মোট উপাদান হল সাতটি। যথাঃ- স্বামী, অমাত্য, জনপদ, কোষ, দুর্গ, দূরগ, মিত্র। কৌটিল্যর এই সপ্তাঙ্গ তত্ত্ব বর্তমান কালের বহু চিন্তাবিদকেও বিস্মিত করে।

    প্রাচীন ভারতের মতোই মধ্যযুগেও ভারতে রাষ্ট্রচিন্তার এক উল্লেখযোগ্য ধারা পরিলক্ষিত হয়। সুলতানী সাম্রাজ্যের মতোই মোঘল সাম্রাজ্যেও রাজনীতি এক বিশেষ প্রায়োগিক রূপলাভ করে। এ সময়ে আকবর, শাহজাহান, (একইসাথে শেরশাহ) প্রভৃতি বাদশাহদের পররাষ্ট্রনীতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এসময়ে এক কেন্দ্রীভূত রাষ্ট্রব্যবস্থা যেমন গড়ে ওঠে, তার পাশাপাশি জায়গীরদারি ব্যাবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতির বিকেন্দ্রীভবনও বহুলাংশে সম্ভবপর হয়। আবুল ফজল সহ আরও বহু লেখকের লেখা সেসময়কার রাষ্ট্রব্যাবস্থার প্রামান্য দলিল হয়ে রয়েছে।

    সাধারণভাবে ভারতে ইউরোপীয় বণিকশক্তি, পাশাপাশি রাজশক্তির আগমণের মাধ্যমেই আধুনিক যুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করা হয়। আধুনিক যুগের সূচনায় ভারতীয় রাজনীতি এক সম্পূর্ণ নতুন রূপ পরিগ্রহ করে। রাষ্ট্রব্যাবস্থার বিস্তার ঘটার পাশাপাশি তা আরও জটিল রূপলাভ করে। ভারতে বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তার যে কটি ধারা বিশেষ প্রবল রূপলাভ করে সেগুলি হলঃ-

    ১) সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা হিসেবে জাতীয়তাবাদের বিকাশ। এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, ইউরোপে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটেছিল এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়। সে সময়কার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বুর্জোয়া অর্থনীতির বিকাশের এক হাতিয়ার হিসেবে। কিন্তু ভারতে জাতীয়তাবাদের বিকাশের পটভূমি সম্পূর্ণ পৃথক, যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতে জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রচিন্তার ক্ষেত্রে কয়েকজন পুরোধা ব্যক্তি হলেনঃ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, স্বামী বিবেকানন্দ প্রমূখ। এঁরা বিদেশী রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ বিরোধীতা করে এক যথার্থ ভারতবর্ষের কল্পনা করেছিলেন।

    ২) উপনিবেশিক শক্তির সাহায্যে ভারতীয় সমাজের উন্নয়ন ঘটানোর প্রয়াস একদল চিন্তাবিদের কাজকর্মের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। যেমন, রাজা রামমোহন রায়।

    ৩) জাতীয়তাবাদের সংকীর্ন গন্ডীকে পেরিয়ে এসময় কতিপয় ভারতীয় দার্শনিক আন্তর্জাতিকতাবাদের প্রশস্ত পথেই মানবমুক্তির কথা বলেন। এদের অন্যতম হলেন রবীন্দ্রনাথ।

    ৪) বিংশ শতকের বিশের দশকের গোড়া থেকেই সোভিয়েত বিপ্লবের সাফল্যে অনুপ্রানিত হয়ে মানবেন্দ্রনাথ রায়, অবনী মুখার্জী প্রমুখেরা মার্ক্সবাদী রাজনীতির একটি বিকল্প ধারা গড়ে তোলেন।

    ৫) এর পাশাপাশি বিশেষভাবে উল্লেখ করা দরকার উপনিবেশিক ভারতে ধর্মের ভিত্তিতেও রাজনীতির তথা রাষ্ট্রচিন্তার এক ধারা লক্ষ্য করা যায়, যা পরবর্তীকালে প্রবল হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে সৈয়দ আহমেদ খান, সাভারকার, গোলয়ালকার প্রমুখের নাম এবং ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে মুসলিম লিগ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ প্রভৃতির কথা উল্লেখ করা যায়।

    আরও পড়ুন

  • রাজনৈতিক অর্থনীতি

    রাজনৈতিক অর্থনীতি

    রাজনৈতিক অর্থনীতি বা রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি হল এবং আইন, প্রচলিত পদ্ধতি ও সরকারের সঙ্গে উৎপাদন ও ক্রয় বিক্রয়ের সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত প্রধান পরিভাষা।

    এই শাস্ত্রটি বিভিন্ন রাষ্ট্রের অর্থনীতির পাঠশাস্ত্র হিসেবে ১৭শ শতকে বিকাশ লাভ করে যা সরকার বিষয়ে তত্ত্বের মাঝে সম্পদের মালিকানার তত্ত্বকে অন্তর্ভুক্ত করে। [১]

    রাজনৈতিক অর্থনীতি

    কিছু রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ শ্রমভিত্তিক মূল্যের তত্ত্বের প্রস্তাব করেন (জন লক কর্তৃক প্রবর্তিত, এডাম স্মিথকার্ল মার্ক্স কর্তৃক বিকশিত), যাতে বলা হয়, শ্রম হল মূল্যের প্রকৃত উৎস। অনেক রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ আবার প্রযুক্তির রাতারাতি উন্নয়নের দিকে আলোকপাত করেছেন, যার ভূমিকা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

    ১৯ শতকে, “রাজনৈতিক অর্থনীতি” পরিভাষাটি অর্থনীতি নামক পরিভাষা দ্বারা স্থানান্তরিত হয়, এবং পরিভাষাটি পরিবর্তন করেছিলেন এমন কিছু লোক, যারা উৎপাদন ও ভোগের মধ্যকার সম্পর্কের ভিত্তির পরিবর্তে গাণিতিক ভিত্তিতে অর্থ বিষয়ক অধ্যয়নকে স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।

    বর্তমানে, রাজনৈতিক অর্থনীতি অর্থ হল ভিন্ন কিন্তু পারস্পারিকভাবে-সম্পর্কিত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আচরণের অধ্যয়নের আঙ্গিকসমূহ, যার সীমা হল অন্যান্য ক্ষেত্রের সঙ্গে সমন্বিত অর্থনীতি থেকে শুরু করে প্রথাগত অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করা বিভিন্ন মৌলিক স্বতঃসিদ্ধ চিন্তার ব্যবহার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকে।

  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার হল এমন একটি অস্থায়ী অ্যাডহক (বিশেষ ও পূর্বপরিকল্পনাবিহীন) সরকার যা একটি নিয়মিত সরকার নির্বাচিত বা গঠিত না হওয়া পর্যন্ত একটি দেশের কিছু সরকারি দায়িত্ব ও কার্য সম্পাদন করে। নির্দিষ্ট অনুশীলনের উপর নির্ভর করে, এটি সাধারণত এলোমেলোভাবে নির্বাচিত বা সংসদের অনুমোদিত সদস্য বা বিদায়ী সদস্যদের নিয়ে থাকে, যতক্ষণ না তাদের বরখাস্ত করা হয়।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার

    প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসমূহ সাধারণত তাদের কার্যে সীমিত থাকে, সত্যিকারের শাসন ও নতুন আইনের প্রস্তাব না করে শুধুমাত্র চলমান স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য কাজ করে। স্থায়ী সরকারের পরিবর্তে নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে অস্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়, কারণ উপরোক্ত কার্যাবলী অনুশীলন করার জন্য এই সরকারের কোন বৈধ ম্যান্ডেট (নির্বাচনী অনুমোদন) থাকে না।

  • ছায়া সরকার (ষড়যন্ত্র)

    ছায়া সরকার (ষড়যন্ত্র)

    ছায়া সরকার হচ্ছে এক গুচ্ছ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যা এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় যে, বাস্তব ও প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা গঠিত হয় না ( যেমন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস), বরং বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা গঠিত হয় যারা পর্দার আড়ালে থেকে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নজরের বাইরে থেকে ক্ষমতার চর্চা করেন। এই বিশ্বাস অনুসারে, আনুষ্ঠানিক নির্বাচিত সরকার এই ছায়া সরকারের অনুগত হয় যেখানে এই ছায়া সরকার সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হয়।

    ছায়া সরকার (ষড়যন্ত্র)

    ছায়া সরকার তত্ত্ব প্রায়ই প্রস্তাব করে যে, সরকারকে গুপ্তভাবে বৈদেশিক সত্ত্বা (যেমন এলিয়েন, দ্য ভ্যাটিকান এবং জেস্যুটস), আভ্যন্তরীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদি, করপোরেট সমাজ ও সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ফ্রিম্যাসোন) বা কোন বৈশ্বিক অভিজাত ও রাষ্ট্রাতিগ প্রতিষ্ঠান (নিও ওয়ার্ল্ড অর্ডার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে সুপ্রান্যাশনাল অরগানাইজেশন) দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় যারা রাষ্ট্রের নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় বা বিশ্বকে জয় করতে চায়।

    ইতিহাস

    ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত রচনাগুলো একটি গুপ্ত সরকারের অস্তিত্বকে ধরে নেয়া হয় যা আপাত সরকারের পেছনে আসল ক্ষমতার অধিকারী। এরকম রচনার মধ্যে ড্যান স্মুট, উইলিয়াম গাই কার, জিম মারস, ক্যারল কুইংলি, গ্যারি অ্যালেন, অ্যালেক্স জোনস, ডেস গ্রিগিন, জি. এডোয়ার্ড গ্রিফিন, ডেভিড আইক এবং দ্বিতীয় মাইকেল এ. হফম্যান এর রচনা রয়েছে। এই লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন, এই গুপ্ত সরকারের সদস্যরা কাউনসিল অব ফরেইন রিলেশনস, রয়াল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ারস, দ্য ট্রাইলেটারেল কমিশন, দ্য বিল্ডারবার্গ গ্রুপ, সিআইএ এবং এমআই৬ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বা এদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে এরা আন্তর্জাতিক ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান যেমন বিশ্ব ব্যাংক এবং ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট এর সহায়তা নিতে পারে।[১][২][৩] এই ধারণাটি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো দ্য এক্স-ফাইলস দ্বারা জনপ্রিয় হয়।

    মিল্টন উইলিয়াম কুপার দাবী করেন, ছায়া সরকার বহির্বিশ্বের এলিয়েনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ১৯৯১ সালে তার প্রকাশিত গ্রন্থ বিহাইন্ড এ পেল হর্স [৪][৫] “ইউএফও এবং মিলিশিয়া সারকেলে” প্রভাবশালী ছিল।[৬] বইটিতে “গুপ্ত বিশ্বের সরকারের কার্যাবলি” এবং “যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের উপর ইলুমিনেটির যুদ্ধের ঘোষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুপ্ত কার্যাবলি” সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হয়।[৭] কুপার দাবী করেন তিনি যখন নেভিতে কাজ করেন তখন একটি গুপ্ত নথি দেখেন যেখানে এলিয়েনদের সাথে সরকারের বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে বর্ণনা ছিল। কুপার ইলুমিনেটির ধারণাকে তার বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত করেন এবং দাবী করেন, বহির্বিশ্বের এলিয়েনরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে গুপ্তভাবে জড়িত। তিনি ১৯৫৪ সালে ডিউইট ডি. আইজেনহাওয়ারকে এলিয়েনদের সাথে মধ্যস্থতা করা, ইলুমিনেটির একটি অভ্যন্তরীন চক্র প্রতিষ্ঠা করে তাদের সাথে সম্পর্কের ব্যবস্থাপনা এবং জনগণের কাছ থেকে এসব গোপন রাখার জন্য অভিযুক্ত করেন। কুপার বিশ্বাস করতেন, এলিয়েনরা বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন, ধর্ম, জাদু, উইচক্রাফট এবং অকাল্টের দ্বারা মানবজাতিকে শাসন ও প্ররোচিত করে। এমনকি ইলুমিনেটিও নিজেদের অজান্তেই এলিয়েনদের দ্বারা প্রভাবিত হয়।[৪]

    কুপার ইলুমিনেটিকে গুপ্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করেন, যাকে দ্য বিল্ডারবার্গ গ্রুপ দ্বারা ন্নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি নাইটস অব কলম্বাস, মেসনস, স্কাল এবড বোন্স এবং অন্যান্য সংগঠনের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে। তার কথায় এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নব্য বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কুপারের মতে, ইলুমিনেটি ষড়যন্ত্রকারীরা কেবল তাদের নিজেদের স্বার্থ অর্জনের জন্যই এলিয়েন হুমকি আবিষ্কার করে নি, বরং বিশ্বকে দখল করতে সক্রিয়ভাবে এলিয়েনদের সাথে মিলে ষড়যন্ত্রে জড়িত।[৪] কুপার বিশ্বাস করতেন জেমস ফরেস্টালের বেথেসডা হাসপাতালের ষোল তলার জানালা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি ম্যাজেস্টিক-১২ নামের একটি গুপ্ত কমিটির কারসাজি ছিল এবং জেসন এডভাইজরি গ্রুপের বিজ্ঞনীরা ট্রাইটেরিয়াল কমিশন এবং কাউন্সিল অব ফরেইন রিলেশন এর নির্বাহী কমিটি মেম্বারদেরকে সবসময় রিপোর্ট করে যারা ইলুমিনেটির উচ্চপদস্থ সদস্য।[৮][৯]

    উক্তিতে

    “আমাদের রিপাবলিকের ভীতি হচ্ছে অদৃশ্য সরকার, যা একটি বিশালাকার অক্টোপাস এবং আমাদের শহর, রাজ্যসমূহ ও জাতির উপরে তার পাগুলো নাচাচ্ছে।” – জন হাইলান, নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র, ১৯২২

    “প্রকাশ্য সরকারের পেছনে একটি অদৃশ্য সরকার আছে যার জনগণের প্রতি কোন আনুগত্য ও দায়বধ্যতা নেই” -রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্টের প্রোগ্রেসিভ (“বুল মুজ”) পার্টির প্লাটফর্ম থেকে।[১০]

    “গণতান্ত্রিক সমাজে জনগণের থেকে আসা সংগঠিত মতামতের একটি সচেতন ও বুদ্ধিদীপ্ত হস্তক্ষেপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যারা সমাজের এই অদৃশ্য কৌশলকে হস্তক্ষেপ করে তারা অদৃশ্য সরকার, যারা দেশের প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী। আমরা সকার, আমাদেরকে শাসন করা হয়, আমাদের মনকে গঠন করা হয়, স্বাদকে তৈরি করা হয়, আমাদের ধারণা হচ্ছে নির্দেশিত, আর এগুলোর বেশিরভাগই তাদের দ্বারা হয় যাদের সম্পর্কে আমরা কখনও শুনিই নি।” – এডওয়ার্ড বারনেস, দ্য “ফাদার অব পাবলিক রিলেশনস”, তার ১৯২৮ সালের প্রভাবশালী বই প্রোপাগান্ডা -তে এটা লেখেন।[১১]

    “কিন্তু অকপটে বলতে গেলে একটি বাইরের সূত্র আছে যাকে আমরা “ডিপ স্টেট” বা “ছায়া সরকার” বলি। জনগণ এদে দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয়, যারা আমাদের সরকার, আমাদের রাষ্ট্রপতির চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী।” – রন পল, প্রাক্তন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি, নভেম্বর ২০১৬ তে বলেন (ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর)।[১২]

    আরও দেখুন

  • ছায়া মন্ত্রিসভা

    ছায়া মন্ত্রিসভা

    ছায়া মন্ত্রিসভা ওয়েস্টমিন্সটার সরকার পদ্ধতির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানে সংসদের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার নেতৃত্বে বিরোধী দল থেকে একদল জ্যৈষ্ঠ সদস্য একটা মন্ত্রিসভা গঠন করেন যেটা সরকারের মন্ত্রিসভার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। এখানে, প্রতিটি সরকারী মন্ত্রীদের বিপরীতে একজন ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য থাকেন যিনি সরকারী মন্ত্রীর কাজকে বিশ্লেষণ করেন এবং প্রয়োজনে বিকল্প পথ তুলে ধরেন। অধিকাংশ দেশে ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্যকে ছায়া মন্ত্রী বলা হয়ে থাকে।

    ছায়া মন্ত্রিসভা

    একজন ছায়া মন্ত্রীর কাজের পরিধি তাকে দল ও সমর্থকের কাছে প্রসিদ্ধ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যদি তিনি উচ্চ পদস্থ কোন দফতরে কাজ করেন। অবশ্য, ছায়া মন্ত্রীরা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সাধারণ সদস্যদের মতই পেয়ে থাকেন। একজন ছায়া মন্ত্রীর দল সরকার গঠন করলে তিনি যেই দফতরের ছায়া মন্ত্রী ছিলেন, সেই দফতর নাও পেতে পারেন।

  • অ্যাটর্নি জেনারেল

    অ্যাটর্নি জেনারেল

    অ্যাটর্নি জেনারেল পদের কাজ হচ্ছে সেই দেশের সরকারের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়ন করা।

    অ্যাটর্নি জেনারেল


    বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবিধানিক পদ নয়। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ পদ। সাংবিধানিক পদ হচ্ছে সে সকল পদ, যেগুলোর মেয়াদ সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত, সংবিধান দ্বারা রক্ষিত। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেলের মেয়াদ নির্দিষ্ট করা নেই। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে এটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উত্থাপিত যেকোনো রেফারেন্সের ক্ষেত্রে তাঁর নিজস্ব মত প্রকাশ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অনুচ্ছেদ ৬৪(৪) অনুসারে রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী সময়সীমা পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীয় পদে বহাল থাকবেন এবং রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্ধারিত পারিশ্রমিক লাভ করবেন।[১] কিছু কিছু আইন বিশেষজ্ঞের মতে অ্যাটর্নি জেনারেল পদটা হচ্ছে একটি রাজনৈতিক পদ।[২]


    অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারকে সংবিধান, সাধারণ আইন, আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইনগত পরামর্শ দেন। সরকারের পক্ষে আদালতে উপস্থিত থাকেন। বলা যায় অ্যাটর্নি জেনারেল হলো সরকারের আইনগত পরামর্শক। [৩]

    আরও দেখুন

  • অস্থায়ী সরকার

    অস্থায়ী সরকার

    অস্থায়ী সরকার যাকে জরুরী সরকার বা ট্রানজিশনাল সরকারও বলা হয়,[১] একটি জরুরি সরকার কর্তৃপক্ষ যা সাধারণত নতুন জাতির ক্ষেত্রে বা পূর্ববর্তী শাসকের পতনের পরে রাজনৈতিক কাজ পরিচালনার জন্য গঠিত হয় । অস্থায়ী সরকার সাধারণত নাগরিক বা বিদেশীদের দ্বারা যুদ্ধের সময় অথবা পরে নিযুক্ত হয় এবং প্রায়শই উত্থিত হয়।

    অস্থায়ী সরকার

    অস্থায়ী সরকার নিয়মিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়া অব্যহত রাখে যতক্ষণনা একটি নতুন সরকার নিযুক্ত হয় এবং যা সাধারণত একটি নির্বাচনের মাধ্যমে হয় ।[২] তারা পরবর্তী সরকারের জন্য আইনি কাঠামো, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা সম্পর্কিত নির্দেশিকা, অর্থনীতির কাঠামো, সরকারী প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সারিবদ্ধকরণ সংজ্ঞায়িত করতে জড়িত থাকতে পারে। [৩]

    ইয়োসি শেইন এবং জুয়ান জে লিন্জের মতে, অস্থায়ী সরকারগুলিকে চারটি দলে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে:[৪