Tag: ভ্লাদিমির কোপেন

  • ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (Vladimir Kopen) ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    Vladimir Kopen

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (রুশ: Влади́мир Петро́вич Кёппен, ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • জন্ম

    জন্ম

    জন্ম হচ্ছে কার্য-সম্পাদনকারী, প্রাকৃতিক ও আচরণগত প্রক্রিয়া যা মাতৃগর্ভ থেকে সন্তান প্রসব করতে সাহায্য করে বা ভূমিষ্ঠ হয়। গবাদি পশু এবং কিছু অন্যান্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে বাছুর ও মাংসাশী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে শাবক প্রসব করাকে বুঝায়।[১] প্রাকৃতিকগতভাবে মা বা স্ত্রীলিঙ্গজাতীয় প্রাণীই সন্তান প্রসবের অধিকারী হয়। মানব শিশু ভূমিষ্ঠ হয় যখন মায়ের গর্ভে রক্ষিত ভ্রুণ জরায়ুর মাধ্যমে বিশ্বে নির্গত হয়। ওভিপারিটি বা ডিম প্রসব, ভিভিপারি বা ডিমের বদলে শাবক প্রসব এবং ওভোভিভিপারি – ইত্যাদি ধরনের জন্ম হয়ে থাকে।

    ভ্লাদিমির কোপেন

    আইনগত দিক

    বিশ্বের অনেক দেশেই শিশুর জন্মের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে জন্মসনদ বা বার্থ সার্টিফিকেট উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হয়। এতে শিশুর বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে ও বৈধ দলিল হিসেবে স্বীকৃত হয় যা সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর নির্দিষ্ট তারিখ থেকে প্রতিবছর ঐ দিনে পালনীয় অনুষ্ঠান জন্মদিনরূপে উদ্‌যাপন করা হয়। জন্ম তারিখ অথবা জ্যোতিষশাস্ত্রের হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে পালনীয় এটি শিশু বা ব্যক্তির বার্ষিকভিত্তিক অনুষ্ঠান। একক পরিবারে বাবা, মা, ভাই অথবা বোন রয়েছে – যারা শিশুর জন্মকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট থাকেন। কিছু দেশে বৈধভাবে বিবাহ-পর্ব সম্পন্ন না হয়ে বাবা-মায়ের মিলনে শিশু ভূমিষ্ঠ হলে ওই শিশু জারজ সন্তান বা অবৈধ শিশু নামে পরিচিতি পায় বা বিবেচনা করা হয়।

    আধ্যাত্মিক প্রভাব

    জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে, জন্মকালীন সময়ে প্রতিটি ব্যক্তির জীবনই আকাশের সূর্য, চন্দ্র এবং গ্রহাদির ভূ-কেন্দ্রিক অবস্থান কিংবা দিগন্ত রেখার উপর তার ভাগ্যরেখাআয়ু নির্ভরশীল। জন্মগত তালিকায় হিসাব-নিকাশের সাহায্যে সময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের অবস্থান ব্যবহার করা হয়। এরফলে জ্যোতিষী কর্তৃক প্রয়োজনীয় পাথর, মণি-মুক্তা ইত্যাদি ব্যবহার করে ভাগ্যরেখা পরিবর্তন কিংবা আয়ু বৃদ্ধিকল্পে চক্রাকারে আবর্তিত রাহুকে দূর করার জন্য চেষ্টা চালানো হয়। প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রীষ্টান সম্প্রদায় আবারো জন্মগ্রহণের কথা বিশ্বাস করেন। এরফলে ঈশ্বরকে পাবার লক্ষ্যে সকল দুঃখ-দুর্দশা থেকে পরিত্রাণ ও ঐশ্বরিক শক্তি প্রয়োগে বিশ্বাসীকে রক্ষা করার কথা তুলে ধরা হয়েছে। কর্ম মতবাদ অনুযায়ী পুনর্জন্মে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ বিশ্বাস করেন যে মৃ্ত্যু পরবর্তীকালে তার আবারো পুনর্জন্ম ঘটবে। খ্রিস্টীয় মতবাদ অনুযায়ী প্রভু যীশু পবিত্র দেহ নিয়ে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেন। ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে তিনি কোন পুরুষের সঙ্গম ছাড়াই কুমারী মাতা মেরীর গর্ভে জন্মেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।[২]

    জটিল অবস্থা

    জন্মকালীন সময়ে শারীরিক কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীনতাজনিত জন্মের ত্রুটি হতে পারে। জন্মগত প্রক্রিয়ায় ব্যথা অনুভূত হলে পরবর্তীকালে শিশুর জীবনে ঐ ব্যথা প্রবাহিত হতে পারে। গর্ভকালীন জটিলতা গর্ভস্রাব কিংবা অনৈচ্ছিক গর্ভপাতের কারণেও সৃষ্টি হয়।[৩]বন্ধ্যাত্বতা ঘোঁচাত আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার, ঔষধ প্রয়োগ, মানসিক উদ্দীপনা অথবা আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা হয়। অনেক সময় অপরিপক্ক জন্মগ্রহণ গর্ভধারণের পূর্ণকালীন সময়ের পূর্বে ঘটে থাকে। মৃত অবস্থায় ভ্রুণ বা শিশু জন্ম নিলে তা স্টিলবার্থ নামে পরিচিত। সিজারিয়ান শিশুর জন্মের পর ভিব্যাক পদ্ধতির মাধ্যমে যোনীনালী দিয়ে সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে।