মূল মধ্যরেখা (main midline)হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।


গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।
মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]
ইতিহাস
অবস্থান
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]
ইতিহাস
main midline

জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]
জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]
অবকাঠামো
main midline
বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে
মূল মধ্যরেখা হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।


গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।
মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]
ইতিহাস
main midline
অবস্থান
নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাই ও ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]
ইতিহাস
main midline
জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]
জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]
অবকাঠামো
main midline

বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে