Tag: 44 bcs question

  • অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন যে-কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ব্যক্তিত্ব। এটি এক পদবি বিশেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অধিকারী। অধ্যক্ষ পদবির সমার্থক হিসেবে অনেক দেশে বিশেষতঃ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে উপাচার্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আচার্য বা চ্যান্সেলর ব্যবহৃত হয় এবং এটি ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের সমগোত্রীয় পর্যায়ের।

    অধ্যক্ষ (শিক্ষায়তনিক)

    প্রয়োগ ক্ষেত্র

    মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যক্ষ শব্দের যথাযথ প্রয়োগ হতে দেখা যায়। অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বা প্রধান শিক্ষানুক্রমিক কর্মকর্তা। সচরাচর অধ্যক্ষ পদবির পরিবর্তে ‘প্রিন্সিপাল’ শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।

    ইংল্যান্ড

    ইংল্যান্ডের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষতঃ যেগুলো শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত রাখার স্বার্থে শিক্ষার্থীদেরকে ধরে রেখেছে, ঐ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপাল ইন চার্জ বা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ রয়েছে। তন্মধ্যে – সুইনডন কলেজ এবং ওয়েস্ট নটিংহ্যামশায়ার কলেজ অন্যতম।[১][২]

    অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক কলেজের প্রধানগণ প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।[৩] তন্মধ্যে – ব্রেসনোজ, গ্রীন ট্যাম্পেলটন, হ্যারিস ম্যানচেস্টার, হার্টফোড, জিসাস, ল্যাডি মার্গারেট হল, লিনাক্রে, ম্যান্সফিল্ড, সেন্ট এ্যানি’জ, সেন্ট এডমান্ড হল, সেন্ট হিল্ডা’স, সেন্ট হিউজেস এবং সমারভিল অন্যতম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউনহ্যাম কলেজ, ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন অধিকাংশ মহাবিদ্যালয়ের প্রধানগণের পরিচিত হচ্ছে প্রিন্সিপাল।

    কানাডা

    মহারাণী ভিক্টোরিয়ার রাজকীয় সনদে স্বাক্ষর ও স্কটল্যান্ডে উৎপত্তিজনিত কারণে ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টের পরিবর্তে কানাডায় ১৬ অক্টোবর, ১৮৪১ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কুইন’স ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্সিপাল পদবি ব্যবহার করা হয়।[৪][৫]

    প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও সিনেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত হন। তিনি শিক্ষাক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যাবলীও তদারক করে থাকেন।[৬] ১৯৭৪ সাল থেকে অধ্যক্ষ ৫ বছর মেয়াদকালের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এছাড়াও, কার্যসন্তুষ্টি ও বিবেচনাপূর্বক তিনি পুনরায় নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন।

    স্কটল্যান্ড

    স্কটল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান হিসেবে প্রিন্সিপাল নিয়োগ করেন ইউনিভার্সিটি কোর্ট কিংবা পরিচালনা পরিষদ। তিনি পরবর্তীকালে শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রিন্সিপাল একাডেমিক সিনেটের সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর পদবি ধারণ করে আছেন। কিন্তু তার ক্ষমতা শুধু সনদ প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইস-চ্যান্সেলর বা উপাচার্য ও চ্যান্সেলর বা আচার্য – উভয় পদই নামেমাত্র পদ হিসেবে বিবেচিত।

  • ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    আমি Mr. Sandip Sanki । আমি একজন উইকিপিডিয়ান হিসাবে আামি গর্বিত । আমি একজন বাঙালি। তাই বাংলা ভাষার বাংলা উইকিপিডিয়াতেই বেশি সম্পাদনা করি। বাংলা ভাষা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রথম সারিতে থাক এটাই কামনা করি।

    ব্যবহারকারী:Mr. Sandip Sanki

    জন্মস্থান

    উইকিমিডিয়া | © ওপেনস্ট্রিটম্যাপ

    = ভারতের পূর্ব দিকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একেবারে দক্ষিনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত ঘাটাল থানার ছোট্ট একটি গ্রাম প্রতাপ পুর।

    শিক্ষা

    প্রতাপপুর গোলাপ সুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় এ প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত।

    প্রতাপপুর উচ্চবিদ্যালয় এ পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত।

    ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুল এ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী সম্পন্ন হয়।

    ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক।

    মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোল বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস।

    সম্পাদনার মাইলফলক

    10 = 31.05.2022

    50 = 02.06.2022

    যোগাযোগ করতে

    ইমেইল = sandipgeo98@gmail.com

    আঁকাআঁকি

    Drawing art by Sandip sanki

    Drawing art by Sandip sanki

    ওয়েবসাইট

    শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট. Study Hub 360

    ফেসবুক SANDIP SANKI

    ইন্স্টাগ্রাম SANDIP SANKI

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ হল মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্কগত একধরনের বিশ্বাস। ‘টোটেম’ শব্দটির অর্থ “আমার এক আত্মীয়”। আমেরিকা, আফ্রিকাঅস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের মধ্যে এর বিবরণ পাওয়া গেছে। জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, কোন একটি স্বজাতির গোষ্ঠীর টোটেম একটি প্রাণী বা গাছ হয়ে থাকে। এগুলোকে তাদের কোন পবিত্র বস্তু হতে হয় এবং কেবলমাত্র তাদেরই অধিকারভুক্ত হতে হয়।[১][২][৩][৪][৫]

    টোটেমবাদ

    উত্তর আমেরিকা

    উত্তর আমেরিকার টোটেম পোলসমূহ

    ধর্মের নৃবিজ্ঞান
    বিষয়ে ধারাবাহিকের একটি অংশ
    A totem pole in Ottawa, Ontario, Canada
    মৌলিক ধারণাসমূহপরকাল Animism Bora Communitas Comparative religion Divination Divine language Evolutionary origin of religions Fetishism Great Spirit Henotheism Initiation Liminality Magic Mana একেশ্বরবাদ Polytheism Transtheism Revitalization movement Rite of passage Ritual Sacred language Sacred–profane dichotomy Shamanism Theories about religions Totem Veneration of the dead
    ঘটনা অধ্যয়ন
    সংশ্লিষ্ট নিবন্ধসমূহ
    মূখ্য তাত্ত্বিকবৃন্দ
    গবেষণা জার্নালসমূহ
    ধর্মসমূহ
    সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান
  • জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান বলতে বুঝায় কোন এলাকার সাধারণত দেশের সম্পদের পরিমাণ, মানুষের আয়, চাহিদা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা। জীবনযাত্রার মানে অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যেমন-চাকরি বাজার, কর্মক্ষমতা, শ্রেণী -বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি, এক বছরে ছুটির পরিমাণ, ক্রয়ক্ষমতা, সেবার ব্যয়,শিক্ষার সহজলভ্যতা, রাজনৈতিক স্থিতীশিলতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জলবায়ু, প্রকৃতিক অবস্তুা, জাতীয় অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। বেঁচে থাকার মানদণ্ড আমাদের জীবনের মানের উপর নির্ভর করে।[১]

    জীবনযাত্রার মান

    মাপকাঠি

    জীবনযাত্রার মান সাধারনত হিসেব করা হয় মাথাপিছু আয় এবং দারিদ্রতার হার দিয়ে। অন্য কিছু উপাদান যেমন- শিক্ষার অবস্থা,আয়-বৃদ্ধি ইত্যাদি ও যোগ করা হয়। জীবনযাত্রার মান শব্দটি মূলত গুনগত জীবনের বিপরীত হিসেবে ধরা হয় যেখানে শুধু উপদানগত মান থাকবে না।

    আরও দেখুন

  • জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব বলতে মানব জনসংখ্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক আলোচনা ও গবেষণাশাস্ত্রকে বোঝায়। সাধারণভাবে এই শাস্ত্রে যে কোনো বাস্তব জনসংখ্যা, অর্থাৎ স্থান ও কাল সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল যে কোনো জনসমষ্টির বিশ্লেষণ সম্ভব। এতে উদ্দিষ্ট জনসংখ্যার আয়তন, গঠন ও জনবণ্টন সম্বন্ধে আলোকপাত করা যায়, আর সময়, জন্ম, পরিযান, আয়ুবৃদ্ধি ও মৃত্যু প্রভৃতি প্রভাবকের ফলে তার পরিবর্তনের বিশ্লেষণও করা যায়।

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-পদ্ধতিতে গোটা সমাজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সূচকের ভিত্তিতে নির্ধারিত জনসমষ্টিরও গবেষণা সম্ভব; এই সূচকগুলোর মধ্যে শিক্ষা, জাতীয়তা, ধর্ম এবং জাতি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জনসংখ্যাতত্ত্বকে সাধারণত সমাজবিজ্ঞানের শাখা হিসেবে গণ্য করা হলেও আলাদা জনসংখ্যাতত্ত্ব বিভাগেরও অস্তিত্ব আছে।[১]

  • ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ (ইংরেজি: Historical materialism)হচ্ছে সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ। সামাজিক জীবনধারা এবং সমাজ ও সমাজের ইতিবৃত্তের বিচারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ ও ব্যবহারকে বলে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।[১]

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    কার্ল মার্কস “ঐতিহাসিক বস্তুবাদ” অভিধাটি নিজে প্রয়োগ করেননি। তিনি যে শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন তা হচ্ছে ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারণা[২] ইতিহাসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্ব[৩] হচ্ছে সমাজব্যাখ্যার পদ্ধতি। মার্কসের কাছে সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তরণের জন্যই সমাজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হয়।[২] মার্কস ও এঙ্গেলস ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যার প্রথম প্রবক্তা। সমাজের দার্শনিক ব্যাখ্যায় মার্কসবাদ যে মৌলিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলো এটা ছিলো তার ভিত্তি।[৪]

    ইতিহাস সম্বন্ধে মার্কসবাদী ধারণা

    “সমাজ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত নয়, কিন্তু আন্তঃসম্পর্কের যোগফলকে প্রকাশ করে, সেই সম্পর্কগুলোর ভেতরেই ব্যক্তিগণ দাঁড়ায়।”

    — কার্ল মার্কস, Grundrisse, 1858[৫]

  • উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    তালিকা

    উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    • Jane Addams
    • Theodor Wiesengrund Adorno
    • Louis Althusser
    • Annales school
    • Robert Ardrey
    • Raymond Aron
    • Gaston Bachelard
    • Emily Greene Balch
    • Chester I. Barnard
    • Ruth Fulton Benedict
    • Walter Benjamin
    • Jeremy Bentham
    • Eduard Bernstein
    • Wilfred Bion
    • Marc Bloch
    • Herbert Blumer
    • Franz Boas
    • John E. Bowlby
    • Fernand Braudel
    • Ernest W. Burgess
  • আধুনিকীকরণ

    আধুনিকীকরণ

    আধুনিকীকরণ-কে সে-সব সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়া ও সম্পর্কের একটি সেট হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেগুলো আধুনিক জীবন সম্পর্কে ইউরোপীয় ধ্যানধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৭ শতক থেকে গড়ে উঠেছে।

    আধুনিকীকরণ

    উৎপত্তি

    ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব, সামাজিক ডারউইনবাদ-এ মানব সমাজের বিবর্তনের নিয়মাবলী বিবৃত হয়েছে।[১] বর্তমান আধুনিকীকরণ তত্ত্ব মূলত জার্মান সমাজবিজ্ঞানী মাক্স ভেবার (১৮৬৪-১৯২০) এর প্রাসঙ্গিতকতা ও অসঙ্গতার ভূমিকা ধারণার সাথে সাথে বিকাশ লাভ করে। ভেবারের ধারণা আধুনিকীকরণের মূল রচনা করে এবং এই ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেন হার্ভার্ডের সমাজবিজ্ঞানী থেলকট পার্সনস (১৯০২-১৯৭৯), যিনি ওয়েবারের কাজকে ১৯৩০ এর দশকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং তার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।[২][৩]

    প্রযুক্তি

    নতুন প্রযুক্তি সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। আধুনিকীকরণের পর থেকে সামাজিক পরিবর্তনে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে শিল্পায়নে অগ্রসর হয়েছে। ফলে প্রযুক্তিগত দিকে নজর দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। নতুন প্রযুক্তি সমাজ পরিবর্তন করে না। বরং প্রযুক্তিগত কারণে সামাজিক পরিবর্তন হয়।

  • অ্যানাসাইরমা

    অ্যানাসাইরমা

    অ্যানাসাইরমা (ইংরেজি: Anasyrma) যাকে অ্যানাসাইরমসও[১] বলা হয় এক ধরনের ভাবভঙ্গী যেখানে স্কার্টকে উপরে তোলা হয়। এটা কিছু ধর্মীয় উপাসনাতে, স্থূলতায় ও ইন্দ্রিয়াসক্তিপূর্ণ কৌতুকে ব্যবহার করা হয়। শিল্প সম্পর্কিত কাজের বর্ণনাতেও এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। অ্যানাসাইরমা ফ্ল্যাসিং থেকে আলাদা যা এক প্রকারের প্রদর্শনকামনা যেখানে যৌন উদ্দীপনাই মুখ্য থাকে; আর এখানে দর্শকের প্রতিক্রিয়ার জন্যই করা হয়। অ্যানাসাইরমা একধরনের প্ররোচনাপূর্ণ স্ব-উম্মোচন যেখানে একজন তার গুপ্তাঙ্গ বা নিতম্ব প্রদর্শন করে। কোন কোন সংস্কৃতিতে এটা করা হয় অতিপ্রাকৃতিক শত্রুকে ব্যঙ্গ করতে যা অনেকটা মুনিং-এর মতো।

    অ্যানাসাইরমা

    গ্রিসের প্রাচীন ইতিহাসে

    ধর্মীয় তামাশা ও অশ্লীলতা হলো সাধারণ একটা বিষয় ডিমিটার ও ডিওনাইসুসের উপাসনায়। পৌরণিকত্তত্ববিদ অ্যাপোলোডরাসের মতে ল্যাম্বিদের তামাশাই থেস্মোফোরিয়া নামের ধর্মীয় তামাশার চর্চার কারণ, যা ডিমিটার ও ডিওনাইসুসের স্নমানে করা হত। কিন্তু অন্য পুরাণ মতে ডিমিটার দেবী বাউবো নামের একজন মহিলাকে পায় যে তাকে হাসায় নিজেকে উন্মুক্ত করে অ্যানাসাইরমা নামের ধর্মীয় ভাবভঙ্গির মাধ্যমে।

  • অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন বলতে অনলাইনে যোগাযোগ করার সময় কোন ব্যক্তির সাথে সামনা সামনি কথা বলার তুলনায় অনুভূতিকে কম দমন করাকে বোঝানো হয়।[১] অনলাইন ডিজইনহিবিশনের সাম্ভাব্য কারণগুলো হল নামহীনতা (কেউ আমাকে চেনেনা, এরকম অনুভূতি) (anonymity), অদৃশ্যতা (invisibility), অসঙ্কালিক যোগাযোগ (asynchronous communication), সহমর্মিতার অভাব (empathy deficit), এবং সেই সাথে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণ যেমন ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তির সাংস্কৃতিক অবস্থার বিভিন্ন বিষয়।[২][৩][৪] এই এফেক্টের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। অনলাইন ডিজইনহিবিশনকে বিনাইন বা কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং টক্সিক বা বিষাক্ত এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।[১]

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    কারণসমূহ

    নামহীনতা, অসঙ্কালিক যোগাযোগ এবং সহমর্মিতার অভাব অনলাইন ডিজহিবিশনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।[২] নামহীনতা অনলাইনে ব্যক্তিকে নিরাপত্তার অনুভূতি দান করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের পছন্দ মত যেকোন ব্যক্তিত্ব ধারণ করতে পারেন, যা নিজে তিনি নন। অর্থাৎ এখানে তিনি একজন ভিন্ন মানুষ হয়ে যেতে পারেন। এর জন্য তিনি মনে করতে পারেন যে, এখানে যেকোন কিছু বলা বা করা সম্ভব, কারণ বাস্তব জীবনে এর জন্য তাকে তিরস্কার করা হবে না, কেউ সামনে এসে তাকে কিছু বলতে যাবে না।[১] অসঙ্কালিক যোগাযোগ এমন একরকম যোগাযোগ যা একাধিক ব্যক্তির মধ্যে লাইভ বা সরাসরি হয় না। এখানে অরিজিনাল বার্তাটি পাঠাবার পর তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায় না, প্রত্যুত্তর পেতে সময় লাগে।[৫] এই অসঙ্কালিক যোগাযোগ অনলাইন ডিজইনহিবিশনকে প্রভাবিত করে কারণ এখানে একজন ব্যক্তি ইন্টারনেটে কিছু লিখবার পর পরক্ষণেই তার প্রত্যুত্তর পান না, এবং সেখান থেকে চলে যান। আর একারণে সে কী বলছে এটা নিয়ে তাকে তেমন চিন্তা করতে হয় না। অন্যদিকে এটা একই সাথে একজন ব্যক্তিকে সময় নিয়ে চিন্তাশীল উত্তর দেবার সুযোগ তৈরি করে দেয়।[২] সহমর্মিতার অভাব বলতে বোঝায় অন্যের আবেগকে বুঝতে পারার ক্ষমতা কমে যাওয়া।[৬] অবাচনিক প্রতিক্রিয়ার (non-verbal feedback) (বডি ল্যাংগুয়েজ, ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ইত্যাদি) অভাবের কারণে অনলাইন যোগাযোগে এই সহমর্মিতার অভাব দেখা যায়।[৭] মাধ্যমায়িত যোগাযগ ব্যবস্থায় অপরপক্ষ কোন ভয়েস টোনে এবং কিরকম ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন নিয়ে বার্তাগুলো পাঠাচ্ছেন তা বোঝা মুশকিল। তাই এক্ষেত্রে অন্যের সাথে সহমর্মায়ন করা (empathizing) কঠিন হয়ে যায়। নামহীনতা এবং সহমর্মিতার অভাব – এই দুইয়ে মিলে অনলাইনে অন্যদের অনুভূতিকে বোঝা অনেক কঠিন হয়ে যায়, যার মূলে থাকে অন্যদেরকে সামনা সামনি পেয়ে তাদের ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন না দেখতে পাওয়া।[১][২]

    অনেক গবেষকই প্যাথলজিকাল ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বর্ধিত অনলাইন ডিজইনহিবিশনের মধ্যকার সম্পর্কের কথার উল্লেখ করেছেন, যা বিশেষ করে কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য সত্য।[৮][৯] অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, এই ডিজইনহিবিশন অনেক সময়ই অন্যান্য নেশাগ্রস্ত আচরণের পুর্বসুরি। মানুষের মধ্যকার নিম্ন আত্মমর্যাদা (low self-esteem) এবং অনলাইন ডিজইনহিবিশন – এই দুইয়ে মিলে প্যাথলজিকাল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যায় যে তাদের ইন্টারনেটের নামহীনতা আর অসঙ্কালিকতার সুবিধাগুলো একরকম মুক্তির অনুভূতি দান করে। আর এটা তাদেরকে অনলাইনে আরও বেশি ডিজইনহিবিশনের মধ্যে নিয়ে যায়।[৯]

    একটি গবেষণায় নামহীনতা এবং অধিকত ডিজইনহিবিশনের মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সেই অধিকতর ডিজইনহিবিশনের ব্যবহারগুলোর মধ্যে ফোরচ্যানের মেসেজ বোর্ডে দুষ্কৃতি-সদৃশ ব্যবহার ছিল।[১০] এদিকে দেখা গেছে, একই সাথে এই ডিজইনহিবিশন এর কারণে অনেকে অনেক সৃজনশীল মিম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    সাম্ভাব্য ফলাফল

    সাইবারবুলিং

    সাইবারবুলিং বলতে বোঝায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলা, ভীত করা, অথবা নিজেদের ব্যাপারে খারাপ ভাবানো।[১১] অনলাইন ডিজইনহিবিশন সাইবারবুলিংকে যথেষ্ট মাত্রায় প্রভাবিত করে। নামহীনতার কারণে ব্যক্তি অনেক হীন মন্তব্য করার দিকে ধাবিত হয়, কিন্তু কেবল এটাই সাইবারবুলিং এর একমাত্র কারণ নয়।[১২] অসঙ্কালিক যোগাযোগও মানুষকে এই কাজে প্রণোদনা যোগায়। এর কারণে মানুষ যা বলার তা বলে লগ আউট করে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে, যেন কিছুই ঘটেনি সেখানে। কারণ যাকে বলা হল ইন্টারনেটের বাইরে আর তার সম্মুখীন হতে হবে না।[১৩] এদিকে সহমর্মিতার অভাব প্রথম থেকেই তার অবদান রাকে এই বুলিং এর সুযগ করে দিয়ে, যেখানে ভুক্তভোগী কেবলি কম্পিউটার স্ক্রিনে থাকা একটি নাম।[২]

    আরও দেখুন