Tag: 44 bcs question

  • অতিথি

    অতিথি

    যে ব্যক্তিকে গৃহে, সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা প্রচারমাধ্যমে সাদরে আপ্যায়ন করা হয় তাকে অতিথি বলে। প্রায় সব ধর্মে অতিথি বা মেহমান কে ভালো ভাবে আপ্যায়ন করার নির্দেশ রয়েছে। মুসলিমদের ধর্মে অতিথি আপ্যায়ন একটি মহৎ কাজের মধ্যে পরে। হিন্দুরা মনে করেন অতিথি হচ্ছে তাদের দেবতার অংশ। অতিথিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানবমনে সৌজন্য, শিষ্ঠাচার ও মানবপ্রেমের অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

    অতিথি

    সংস্কৃতি

    সব দেশেই অতিথিদের সুন্দরভাবে আপ্যায়ন করার রীতি রয়েছে। যুগ যুগ ধরে অতিথি আপ্যায়নে বাঙালিদের সুনাম রয়েছে।বাংলাদেশে কারো বাড়িতে অতিথি বা মেহমান এলে সে বাড়িতে ভালো খাবার রান্না করা হয়। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা হয়। অনেক গল্প-গুজব হয়। মেহমানরা যেন কোনো ভাবে কোনো রকম কষ্ট না পান সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। এক কথায় অতিথি আসলে বাড়িতে অন্যরকম একটা আমেজ তৈরি হয়।

  • অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি হল কোন বহিরাগত বা অপরিচিত মানুষের থেকে ভয় বা অবিশ্বাস।[১][২]

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতির প্রভাব গোষ্ঠীর ভিতরের মানুষের গোষ্ঠীর বাইরের মানুষের ওপর বা বিষয়ে সম্বন্ধ, অনুভূতি ইত্যাদিতে দেখা যায়। নিজের পরিচয় হারানোর ভয়, কর্মকাণ্ডের ওপর সন্দেহ, উগ্রতা, এবং তার উপস্থিতি নাকচ করে আগে থেকে ধারণা করে নিয়ে পবিত্রতা রক্ষা ইত্যাদি এর অন্তর্গত।[৩] অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে “অন্য সংস্কৃতির অসমালোচনামূলক উৎকর্ষ” হিসাবে দেখানো যায়, যেখানে কোনো একটি সংস্কৃতিকে “অবাস্তব, রূঢ়বদ্ধভাবে ধৃত এবং বিদেশী” আখ্যা দেওয়া হয়।[৩]

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি এবং বর্ণবাদের (racism) ভেদ না বুঝে কখনো কখনো দুটি শব্দকে অন্যটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। কারণ বহুক্ষেত্রে, একই রাষ্ট্রের লোক একই বর্ণ বা জাতির হয়।[৪] সেইজন্য, অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে বহিরাগত সংস্কৃতির বিরোধ বলে মনে করে পৃথক করা হয়।[৪]

    সংজ্ঞা

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে “বহিরাগতের প্রতি দৃঢ়বদ্ধভাবে থাকা ভয়” বা “অচেনার ভয়” বলা যায়।[৫] অজ্ঞাতভীতির ইংরাজী শব্দ জেনোফোবিয়া (xenophobia) এসেছে গ্রিক জেনোস (ξένος) অর্থাৎ “অপরিচিত”, “বহিরাগত” এবং ফোবোস (φόβος) অর্থাৎ “ভয়”-এর থেকে।

    চিহ্নিতকরণ

    এশিয়া

    মালয়েশিয়া

    ২০১৪ সালে, পেনাং রাজ্যে বিদেশিদের স্থানীয় খাবার রান্না করার উপর একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। খ্যাতনামা স্থানীয় রাঁধুনি রেজুয়াওয়ান ইসমাইল এই আইনের সমালোচনা করেন।

    ওশিয়ানিয়া

    অস্ট্রেলিয়া

    ২০০৫ সালের ক্রোনুলা দাঙ্গা সংঘটিত হয় শ্বেতাঙ্গ ও লেবানিয় অস্ট্রেলীয়দের পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসপূর্ণ মনোভাবের জন্য।

    আফ্রিকা

    দক্ষিণ আফ্রিকা

    ২৩ এপ্রিল ২০১৫-তে জোহানেসবার্গে অজ্ঞাতব্যক্তিভীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    দক্ষিণ আফ্রিকায় অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি বর্ণভেদের যুগ এবং বর্ণভেদের পরবর্তী যুগ, উভয় সময়েই দেখা গেছে। দ্বিতীয় বুয়ার্স যুদ্ধের পর বুয়ারদের এবং ব্রিটিশদের মধ্যেকার সম্বন্ধ অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক গরিব আফ্রিকান ব্রিটিশদের ব্যবসায়িক স্থানসমূহ আক্রমণ করে।[৬] দক্ষিণ আফ্রিকায় সেকারণে অনেক আইন গৃহীত হয়, যেমন: “ইচ্ছুক না হওয়া” ভারতীয়দের বিতাড়ন করতে প্রণয়ন করা ১৯১৩ সালের ইমিগ্রেণ্টস্ রেগুলেশন অ্যাক্টটাউনশিপ ফ্র্যানচাইজি অর্ডিনেন্স অব ১৯২৪-এ ভারতীয়দেরকে মিউনিসিপাল ফ্র্যানচাইজির থেকে বঞ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছিল।[৭]

    ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫-তে জোহানেসবার্গে বিদেশীদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। দাবী করা হয় যে, পুলিশরা যেন বিদেশীদের তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়।[৮] ২০০৮ এ একই স্থানে পুনরায় আক্রমণ ঘটে।[৯][১০][১১] হাজার হাজার বিদেশীকে স্থান ত্যাগ করতে হয়; তাদের সম্পত্তি, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এবং ঘরবাড়ি লুট করা হয়।[১২] এই আক্রমণে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।[৮]

    ২০১৫-তে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পুনরায় অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি সম্বন্ধীয় আক্রমণ সংঘটিত হয় জিম্বাবুয়ে থেকে আসা লোকজনের বিরুদ্ধে।[১৩] জুলু রাজা গুডউইল জ্বেলিথিনি কভেকুজুলু বিদেশীদের “তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশ ছাড়ো” বলার পরেই এমনটা হয়।[৮][১৪] ২০ এপ্রিল ২০১৫-এর তথ্যানুযায়ী, এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু, এবং ২০০০-এরও বেশি বিদেশী স্থানচ্যুত হয়।[১৩]

  • রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্র

    রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্র

    রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্র বা রাতের অন্ধকারে দেখার চশমা হচ্ছে একপ্রকার আলোকীয় যন্ত্র, যা সম্পূর্ণ অন্ধকারেও দৃশ্যমান ছবি তৈরি করতে পারে। এটি মূলত সামরিক বাহিনীর বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে ব্যবহৃত হয়। তবে বেসামরিক ক্ষেত্রেও এর ব্যবহার রয়েছে। অনেক সময় রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্রের বিভিন্ন বাড়তি যন্ত্রাংশকেও রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্র হিসেবে অভিহিত করা হয়। একে ইংরেজিতে নাইট ভিশন ডিভাইস (ইংরেজি: Night vision device) বা নাইট ভিশন গগলস নামে ডাকা হয়।

    রাতের অন্ধকারে দেখার যন্ত্র
    An aircrewman on an HH-60H Black Hawk helicopter scans the ground with night vision lenses during an air assault mission to search for insurgents and weapons caches in Taji, Iraq, July 3, 2006. (U.S. Navy photo by Mass Communication Specialist 1st Class Michael Larson) (Released)

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে ভিয়েতনাম যুদ্ধসহ আরো অনেক যুদ্ধে এর ব্যবহার হয়।[১][২] আবিস্কারের সময় থেকেই এ ধরনের যন্ত্রের বিভিন্ন সংস্করণ বের হয়ে আসছে। এতে যেমন ক্রমান্বয়ে এর প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ঘটেছে তেমনি কমেছে উৎপাদন খরচ ও ক্রয়মূল্য।

    যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন বিমানচালক হেলমেটের সাথে লাগানো এএন/এভিএস-৬ মডেলের রাতের অন্ধকারে দেখার চশমা ব্যবহার করছেন।

  • গণবিধ্বংসী অস্ত্র

    গণবিধ্বংসী অস্ত্র

    গণবিধ্বংসী অস্ত্র বা গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্র (ইংরেজি ভাষায়: Weapon of mass destruction – WMD) বলতে এমন যেকোনও অস্ত্রকে বোঝায় যা অনেক মানুষকে একসাথে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে, যা মনুষ্য নির্মিত (দালান) বা প্রাকৃতিক (পাহাড়) কাঠামোর বিপুল ক্ষতি সাধন করে বা সাধারণভাবে জীবমণ্ডলের বিশাল ক্ষতির কারণ হয়। বিভিন্ন ধরনের অনেক অস্ত্র এই শ্রেণীর মধ্যে পড়ে।

    গণবিধ্বংসী অস্ত্র

    চিহ্ন

    চিহ্নইউনিকোডছবি
    বিষাক্ত প্রতীকU+2620
    তেজস্ক্রিয় প্রতীকU+2622
    জৈববিপদ প্রতীকU+2623
    রাসায়নিক যুদ্ধাবস্থা প্রতীকN/AN/A
  • এলিট শার্প সিটিটি

    এলিট শার্প সিটিটি

    এমার্জেন্ট লিডার ইমরসিভ ট্রেনিং এনভায়রনমেন্ট সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্ট/অ্যাসল্ট রেসপন্স অ্যান্ড প্রিভেনশন কমান্ড টিম ট্রেইনার, বা এলিট শার্প সিটিটি, হলো ল্যাপটপ-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন, যাতে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ব্যাটালিয়ন এবং ব্রিগেড কমান্ডাররা একসঙ্গে কাজ করতে এবং শিখতে যৌন নিপীড়ন প্রতিক্রিয়া সমন্বয়কারী (এসএআরসিএস) এবং ভিকটিম অ্যাডভোকেটস (ভিএএস) এর সাথে তাদের পদে যৌন নিপীড়ন বা হয়রানির অভিযোগের সঠিকভাবে যোগাযোগ করার জন্য।[১][২] এটি একটি ইন্টারেক্টিভ অ্যাভাটার-ভিত্তিক সিমুলেটর যা ভিডিও গেমের বিন্যাসে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে পাঠগুলি আরও কার্যকরভাবে বোঝানো যায় এবং ঐতিহ্যগত স্লাইড শো-ভিত্তিক প্রশিক্ষণকে প্রতিস্থাপন করা যায়।[১] এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রামটি সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস এবং ইউএস আর্মি রিসার্চ ল্যাবরেটরি (এআরএল) দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।

    এলিট শার্প সিটিটি

    উন্নয়ন

    এলিট শার্প সিটিটি সফটওয়্যারটি বর্তমান এমার্জেন্ট লিডার ইমারসিভ ট্রেনিং এনভায়রনমেন্ট (এলিট) লাইট প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, যা একটি অ্যাভাটার-ভিত্তিক কাউন্সেলিং সরঞ্জাম যা জুনিয়র অফিসার এবং নন-কমিশনড অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিতে সাহায্য করে যে কিভাবে উর্ধ্বতনদের সঙ্গে মতবিরোধ থেকে শুরু করে যৌন হয়রানির পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়।[১][২] এলিট লাইট প্রোগ্রামের বিপরীতে, যা প্লাটুন এবং এর নীচের স্তরের জন্য, এলিট-শার্প সিটিটি প্রোগ্রামটি কমান্ড দলের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।[২] গবেষকদের মতে, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় প্রায় ১২ মাস সময় লেগেছে এবং অতীতে তাদের কমান্ডের মধ্যে যৌন হয়রানি ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছে এমন কমান্ডারদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।[১]

    ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে, সফটওয়্যার যাচাই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইউএস আর্মি শার্প প্রোগ্রাম অফিস, ইউএস আর্মি শার্প একাডেমি, আর্মি রিসার্চ ল্যাব, ইনস্টিটিউট ফর ক্রিয়েটিভ টেকনোলজিস এন্ড ন্যাশনাল সিমুলেশন সেন্টার দ্বারা একটি বিটা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রাম ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তারিখে অফিসিয়াল আর্মি ট্রেনিং সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে এবং ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে মুক্তি পায়।[১]

    ব্যবহার

    এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রাম একটি ভার্চুয়াল হিউম্যান ইন্সট্রাক্টরকে মূল ধারণাগুলি শেখানোর জন্য ব্যবহার করে এবং অ্যানিমেটেড ভিগনেট প্রদান করে যা যৌন হয়রানির ঘটনার ভাল এবং খারাপ প্রতিক্রিয়ার উদাহরণ তুলে ধরে। অভ্যাসের অনুশীলনগুলিও সরবরাহ করা হয়েছিল যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা উদাহরণের পরিস্থিতিতে যা শিখেছিল তা পরীক্ষা করতে পারে।[৩]

    প্রশিক্ষণ অ্যাপ্লিকেশনটিতে ১৩টি দৃশ্য ছিল যা তিনটি পর্যায়ে উপস্থাপিত হয়েছিল: আপ-ফ্রন্ট নির্দেশ, অনুশীলন পরিবেশ এবং একটি পরের কর্ম পর্যালোচনা। অভ্যাসের অনুশীলনে এমন দৃশ্য দেখানো হয়েছে যেখানে কমান্ডারকে অবশ্যই ভিকটিম এবং যৌন হয়রানির কথিত অপরাধী উভয়ের সাথেই যোগাযোগ করতে হবে।[১] এলিট শার্প সিটিটি প্রোগ্রামে পুরুষ যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তিদের কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তার উদাহরণও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

    যৌন নিপীড়নের উপর ২০১৬ সালে মার্কিন সেনাবাহিনীর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানি কমান্ডার এবং প্রথম সার্জেন্টরা এলিট শার্প সিটিটি প্রশিক্ষণ শেষ করার পর যৌন হয়রানি/হামলা প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিরোধের ঘটনাগুলি পরিচালনার বিষয়ে তাদের জ্ঞানের ১৫% পয়েন্ট বৃদ্ধি দেখিয়েছে।[৪] যদিও সৈন্যরা একটি ওয়েবসাইটে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারে, মার্কিন সেনাবাহিনীর স্কুলের পাঠ্যক্রমের অংশ হিসাবে গেমটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে।[৫]

  • এয়ার গান‌

    এয়ার গান‌

    এয়ার গান‌ এক প্রকার রাইফেল, পিস্তল অথবা শটগান যা ঘনীভূত বাতাস বা অন্য কোনো গ্যাসের দ্বারা ক্ষেপনসাধ্য বস্তূ প্রক্ষেপ করতে সক্ষ‌ম‌। এয়ার গান মূলত শিকার, বিনোদনমূলক শুটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ( যেমন অলিম্পিক গেমস্ ) ইত্যাদি কাজে ব্যবহার করা হয়। এয়ার গান থেকে সাধার‌ন‌ত‌ ক্ষেপনসাধ্য ধাত‌ব‌ বস্তূ প্র‌ক্ষেপ‌ ক‌রা হ‌য় যা পেলেট‌ নামে প‌রিচিত‌। কিছু ক্ষেত্রে এয়ার গান থেকে সিসের গুলি বা ছররা প্র‌ক্ষেপ‌ ক‌রা হ‌য়। যে স‌ব‌ এয়ার গানে ক্ষেপনসাধ্য বস্তু হিসাবে প্লাস্টিকের গুলি ব্যবহার করা হয় তাদের‌ এয়ার স‌ফ্ট্ গান‌ ব‌লা হ‌য়। এয়ার গান তুলনায় আগ্নেয়াস্ত্র অপেক্ষা কম শক্তিশালী হলেও মারনাস্ত্রের কাজ করতে পারে।

    এয়ার গান‌

    প্রকারভেদ

    এয়ার গান মুলত তিন ধরনের হতে পারে, spring-piston, pneumatic, আর CO2. spring-piston ধরনের এয়ার গান সবচাইতে সরল প্রকৃতির আর দামে কম| এতে 0.177 গুলির স্পীড 1200 ফুট প্রতি সেকেন্ড অবধি হতে পারে| এতে সংকূচিত স্প্রীং এর শক্তি কে কাজে লাগানো হয় একটি পিষ্টন এর ওপর| pneumatic এয়ার গানে এয়ার ট্যাঙ্ক লাগানো থাকে, যাতে খুব উচ্চ চাপে বাতাস ভরে রাখা যায়| CO2 এয়ার গানে এয়ার ট্যাঙ্কের বদলে CO2 ট্যাঙ্ক থাকে| এই তিন রকমের ভেতর pneumatic, আর CO2 গানে খুব সঠিক নিশানা লাগানো যায় বলে Olympic আর ISSF ( International Shooting Sport Federation) ইভেন্ট এ এগুলো ব্যবহার করা হয়| তবে pneumatic এর দাম অনেক বেশি|

    Walther LGR অলিম্পিকে ব্যবহৃত এয়ার রাইফেল

    এয়ার গান সংক্রান্ত আইন‌

    পৃথিবীর এক একটি দেশে এয়ার গানের লাইসেন্স এর এক এক রকম আইন আছে| জাপানে যে কোনো এয়ার গানের জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হয়| আবার বৃটেন, ভারত, জার্মানি, ইটালি এবং আরো অনেক দেশে একটি নি‍র্দিষ্ট মাত্রার muzzle energy সম্পন্ন বন্দুকের জন্য লাইসেন্স লাগে না| অন্যদিকে আমেরিকাতে এয়ার গান মাত্রই লাইসেন্স বিহীন বন্দুক| তা যদি এয়ার গান প্রযুক্তিতে তৈরি 0.50 ক্যালিবার হেভি মেশিনগান হয় তা কিনতেও লাইসেন্স লাগবে না| বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুসারে এয়ারগান নিষিদ্ধ।[১]

    ক্যালিবার‌

    এয়ার গানের পেলেট নানা ব্যাসের হয় তবে ৪.৫ মিমি (.১৭৭) এবং ৫.৫ মিমি (.২২) সর্বাধিক‌ জনপ্রিয় | এই ৪.৫ মিমি (.১৭৭) ক্যালিবার হল সবচাইতে accurate যা Olympic আর ISSF ইভেন্ট এ ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও .20″ (5.0 mm), .25″ (6.35 mm), .45″ (11.25 mm), .50″ (12.5 mm), .58″ (14.5 mm) ক্যালিবারের গুলি আছে|

    ব্যবহার‌

    শিকার, বিনোদনমূলক শুটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ছাড়া যুদ্ধাস্ত্র হিসাবে এর ব্যবহার সীমিত| গুলির স্পীড আগ্নেয়াস্ত্র অপেক্ষা কম হওয়া এর প্রধান কারণ| যেখানে AK-47 এর গুলির স্পীড ২,৩৪৬ ফুট প্রতি সেকেন্ড সেখানে এয়ার গানে গুলির স্পীড ১২০০ ফুট প্রতি সেকেন্ড। তবে 17th century তে এয়ার গান যুদ্ধে ব্যবহার করা হত| Girandoni Air Rifle হল একটি যুদ্ধে ব্যবহার করা এয়ার গান। অনেকেই বিয়ে বাড়িতে বংশগত ঐতিহ্যে হিসাবে এয়ার গানের সাহায্য গুলি ফুটিয়ে বিনোদন দিয়ে থাকেন।

    নিরাপত্তা এবং অপব্যবহার

    যেহেতু ঐতিহাসিক এয়ার গানসমূহ যুদ্ধবিগ্রহের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাই আধুনিক এয়ার গানসমূহ প্রাণঘাতী হতে পারে।[২] চিকিৎসা সাহিত্যে আধুনিক এয়ার গানকে মৃত্যুর কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩][৪][৫

    স্প্রিং-পিস্টন এয়ার রাইফেলের সংগ্রহ

    ব্রেক-ব্যারেল এয়ার রাইফেল

  • আগ্নেয়াস্ত্র

    আগ্নেয়াস্ত্র

    আগ্নেয়াস্ত্র এক প্রকার হাতিয়ার যা নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণের দ্বারা এক অথবা একাধিক‌ ক্ষেপণসাধ্য বস্তূ অতি দ্রুত‌ প্রক্ষেপ করতে সক্ষ‌ম‌।[১] বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে৷

    আগ্নেয়াস্ত্র

    এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:, একে-৪৭, এম ১৯১১, এম১৬ রাইফেল, গ্রেনেড, গ্লক ১৯ ইত্যাদি।

    প্রকারভেদ

    অস্ত্রকে বিভিন্ন গুনাবলী অনুসারে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করা হয়। বিভিন্ন গুনাবলী বিশ্লেষণ শেষে আগ্নেয়াস্ত্রসমূহকে প্রধানত নিম্নোক্তভাবে বিভক্ত করা হয়।

    কার্যকলাপ

    উৎপাদক

    বিশ্বে আগ্নেয়াস্ত্র উৎপাদনকারী অনেক দেশ রয়েছে৷ রাশিয়া,যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,চীন ইত্যাদি উল্লখযোগ্য৷

    কোল্ট পিস্তল

    TKB-059.

    A Colt Single Action Army revolver

    A Glock 17 semi-automatic pistol

    আরও দেখুন

  • স্বীকারোক্তি

    স্বীকারোক্তি

    স্বীকারোক্তি (Confession) হল যে কোনো সময় দেওয়া এমন একধরনের স্বীকৃতি (Admission) বা বক্তব্য যার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের অপরাধ কবুল করে। ভারতীয় সাক্ষ্য আইনে (Indian Evidence Act – 1872) স্বীকারোক্তির সংজ্ঞা না দেওয়া থাকলেও ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।

    স্বীকারোক্তি

    এই আইন (ধারা নং ২৪ – ৩০) অনুযায়ী স্বীকারোক্তি ফৌজদারী মামলায় একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল বিষয়রূপে চিহ্নিত[১]

    প্রকারভেদ

    ১) ফৌজদারী আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে দেওয়া স্বীকারোক্তি (Judicial confession)

    ২) ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের সম্মুখে ছাড়া অন্য কোথাও দেওয়া স্বীকারোক্তি ( Extra judicial confession)

    প্রাসঙ্গিক ধারাসমূহ

    সাক্ষ্য আইনের ২৪ নং ধারা : প্রলোভন, হুমকি, প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদায় করা স্বীকারোক্তি আদালতের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হবে যদি আদালত মনে করেন তা দ্বারা স্বীকারকারী ব্যক্তি কোনো সুবিধা পাবে বা খারাপ কিছু এড়াতে পারবে।

    সাক্ষ্য আইনের ২৫ নং ধারা : পুলিশের কাছে প্রদেয় স্বীকারোক্তি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে আনা যাবেনা।

    সাক্ষ্য আইনের ২৬ নং ধারা : পুলিশের হেফাজতে থাকা ব্যক্তির স্বীকারোক্তি প্রমাণ হিসেবে আনা যাবেনা, যদিনা তা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষাতে দেওয়া হয়

    সাক্ষ্য আইনের ২৭ নং ধারা : পুলিশের কাছে অভিযুক্ত ব্যক্তির স্বীকারোক্তি থেকে পাওয়া সংবাদের পরিমানস্বরূপ যে তথ্য আবিষ্কৃত হয় তার সাথে স্বীকারোক্তির সম্পর্ক প্রমাণ করা যাবে।

    সাক্ষ্য আইনের ২৮ নং ধারা : প্রলোভন, হুমকি প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি দেওয়ার ফলে মনে তার যে প্রভাব পড়ে, সেটা দূর হয়ে যাওয়ার পরে প্রাপ্ত স্বীকারোক্তি প্রাসঙ্গিক হয়।

    সাক্ষ্য আইনের ২৯ নং ধারা : অন্যথায় প্রাসঙ্গিক স্বীকারোক্তি গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি ইত্যাদির কারণে অপ্রাসঙ্গিক হবেনা।

    সাক্ষ্য আইনের ৩০ নং ধারা : প্রমাণিত স্বীকারোক্তি, যা স্বীকারকারী ও একই অপরাধে অভিযুক্ত বিচারাধীন অভিযুক্তকে প্রভাবিত করে তখন তা আদালতের বিবেচনায় আসতে পারে।[২]

  • স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট

    স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট

    স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট (ইংরেজি: Stop Online Piracy Act), সংক্ষেপে সোপা হচ্ছে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ অক্টোবর উত্থাপিত, যুক্তরাষ্ট্র সিনেট প্রস্তাবিত একটি বিল। মূলত অনলাইনে স্বত্বাধিকার ও মেধাস্বত্ব রক্ষা করার জন্য এ বিলটি পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবের মধ্যে আছে কপিরাইট বা স্বত্বাধিকার না মেনে যেসব ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন ও অর্থপ্রদান করবে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, সার্চ ইঞ্জিনগুলো্র বিভিন্ন কপিরাইট বা স্বত্বাধিকার না মেনে চলা সাইটের সাথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ এবং ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ওইসব ওয়েবসাইটগুলো ব্লক করতে বাধ্য করা। এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাস হওয়ার পর এ বিলটি একটি আইন বলে গণ্য হবে এবং এর প্রস্তাবিত নিয়মগুলো ভঙ্গ করলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে যার সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে পাঁচ বছর কারাদণ্ড।

    স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট

    স্টপ অনলাইন পাইরেসি অ্যাক্ট (সোপা) পাস হলে যেসব ওয়েবসাইটের সত্ত্বাধিকারী গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করে থাকেন, সেই ওয়েবসাইটগুলোর বিষয়বস্তু যদি স্বত্বাধিকার ভঙ্গ করে থাকে তবে সেই ওয়েবসাইটগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো এধরনের ওয়েবসাইটগুলো ইন্ডেক্স করতে পারবে না। এছাড়াও বিভিন্ন পেমেন্ট প্রসেসর যেমন: পেপ্যাল, ভিসা, মাস্টারকার্ড, মানিবুকার ইত্যাদির কার্যক্রমও আইনত দণ্ডনীয় বলে বিবেচিত হবে।

  • সেকশন ৩৭৭

    সেকশন ৩৭৭

    সেকশন ৩৭৭ ব্রিটিশ ঔপনিবেশ আমলের (১৮৬০ সালের) একটি ভারতীয় আইন যেটি ব্রিটিশদের অধীনস্থ ৪২ টি দেশে করা হয় এবং এটি পায়ুকাম নিষিদ্ধ বিষয়ক একটি আইন।[১][২] মূলত সমকামীদের ক্ষেত্রে আইনটি বানানো হলেও এটি বিষম যুগলদের মধ্যেও পায়ুকাম করতে বারণ করে যদিও বিষম যুগলদের প্রতি অতটা কড়াকড়িভাবে আরোপ করা হয়নি। ঠিক পায়ুকামিতা আইন এই সেকশন ৩৭৭ অনুযায়ী ভারতীয় উপমহাদেশে তৈরি হয় যেটাতে স্বামী-স্ত্রীর যোনি-শিশ্নের মিলন ছাড়া সকল প্রকার যৌন-কর্মকে অস্বাভাবিক এবং প্রকৃতিবিরুদ্ধ বলা হয়।[৩]

    সেকশন ৩৭৭

    এই আইনে বলা হয়েছে,

    যদি কেউ প্রকৃতির আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো পুরুষ বা নারী বা কোনো প্রাণীর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয় তবে তাকে দশ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে এবং এই মেয়াদ আজীবন পর্যন্ত বর্ধিত করা হতে পারে।

    আইনটি ব্রিটেনে ১৯৬৭ সালে বাতিল করা হয়।[৪]