Tag: bcs question

  • হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র(Hubble Space Telescope)

    হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র(Hubble Space Telescope)

    হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা মূল ইংরেজিতে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ (ইংরেজি: Hubble Space Telescope, সংক্ষেপে HST), মহাকাশে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের আয়ত্তাধীন ভাসমান পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র (প্রেক্ষিত ২০১২) দূরবীক্ষণ যন্ত্র, যা এ পর্যন্ত (২০১২) সবচেয়ে দূরাবধি দেখার জন্য মানুষের তৈরি শ্রেষ্ঠ দূরবীক্ষণ যন্ত্র। এমনকি পরিষ্কার দৃশ্য দেখার ক্ষেত্রেও দূরবীক্ষণ যন্ত্রটি এগিয়ে আছে, এর উজ্জ্বল দৃশ্য দেখার ক্ষমতা হলো ০.০৫ আর্কসেকেন্ড।

    Hubble Space Telescope

    হাবল মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র একটি মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র যা ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর কক্ষপথের মধ্যে চালু করা হয় এবং অপারেশন অবশেষ। যদিও প্রথম স্পেস দূরবীক্ষণ নয়, হাবলটি সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বহুমুখী, এবং এটি একটি অত্যাবশ্যক গবেষণা সরঞ্জাম এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য একটি জনসাধারণের স্বীকৃতি হিসাবে পরিচিত। এইচএসটি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবলের নামে নামকরণ করা হয়, এবং এটি নাসা’র গ্রেট মানমন্দিরের এক, কম্পটন গামা রশ্মি মানমন্দির, চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির এবং স্পিৎজার স্পেস দূরবীক্ষণ সাথে।[৫]

    একটি 2.4-মিটার (7.9 ফুট) আয়না সহ, হাবলের চারটি প্রধান যন্ত্র দৃশ্যমান এবং নিকটবর্তী অতিবেগুনী, পর্যবেক্ষণ এবং নিকটবর্তী অন্বেষণ বর্ণে পর্যবেক্ষণ করে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বিক্রির বাইরে হাবলের কক্ষপথটি অত্যন্ত উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি গ্রহণ করতে দেয়, যা স্থল-ভিত্তিক টেলিস্কোপের তুলনায় যথেষ্ট নিম্নতর পটভূমি লাইট। হাবল বেশিরভাগ বিস্তারিত দৃশ্যমান আলোর চিত্রই রেকর্ড করেছেন, যা স্থান ও সময়কে গভীর দৃষ্টিতে দেখতে দেয়। হাবলের অনেক পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে, যেমন সঠিকভাবে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার নির্ণয় করা।

    Hubble Space Telescope

    এইচএসটিটি ইউনাইটেড স্টেটস স্পেস এজেন্সি নাসা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি থেকে অবদান। স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট (STScI) হাবল এর লক্ষ্যগুলি নির্বাচন করে এবং ফলাফলগুলি তথ্যগুলি প্রক্রিয়া করে, যখন গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার মহাকাশযানটি নিয়ন্ত্রণ করে।[৬]

    স্পেস টেলিস্কোপগুলি 1923 সালের প্রথম দিকে প্রস্তাবিত হয়েছিল। 1983 সালে প্রস্তাবিত শুরু করা সাথে 1970-এর দশকে হাবলকে অর্থায়ন করা হয়েছিল, কিন্তু প্রকল্পটি প্রযুক্তিগত বিলম্ব, বাজেট সমস্যা, এবং চ্যালেঞ্জার দুর্যোগ (1986) দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। অবশেষে 1990 সালে চালু হয়, পাওয়া গেছে হাবল এর প্রধান আয়না ভুল মাটিতে ছিল, দূরবীন এর ক্ষমতা সমঝোতা। 1993 সালে একটি সার্ভিসিং মিশন দ্বারা আলোকবিদ্যা তাদের অভিপ্রায় মানের সংশোধন করা হয়েছিল

    Hubble Space Telescope

    হাবল একমাত্র টেলিস্কোপ মহাকাশে পরিসেবা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে মহাকাশচারীগণ দ্বারা। 1990 সালে স্পেস শাটল ডিসকভারি চালু হওয়ার পর, পরবর্তী পাঁচটি স্পেস শাটল মিশন দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মেরামত, আপগ্রেড এবং প্রতিস্থাপিত সিস্টেমগুলি, সমস্ত পাঁচটি প্রধান যন্ত্র সহ। কলম্বিয়া দুর্যোগের পর পঞ্চম মিশন নিরাপত্তার ভিত্তিতে বাতিল হয়ে যায় (2003)। তবে, আবেগপ্রবণ জনসাধারণের আলোচনার পর, নাসা প্রশাসক মাইক গ্রিফিন 2009 সালে সম্পন্ন পঞ্চম সার্ভিসিং মিশন অনুমোদন করে। টেলিস্কোপ 2018 হিসাবে কাজ করছে এবং 2030-2040 পর্যন্ত চলতে পারে। তার বৈজ্ঞানিক উত্তরাধিকারী, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (JWST), 2019 সালে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।[৭]

    ধারণা, নকশা এবং লক্ষ্য

    প্রস্তাব এবং অগ্রদূত

    মহাকাশচারী ওভেন গ্যারিওট স্কালেব এর মান্ড সৌর মহাকাশযান, 1973 এর পরে কাজ করে

    ১৯২৩ সালে, হেরমান অব্যর্থ (Hermann Oberth) – আধুনিক রকেটের পিতা হিসেবে বিবেচিত, রবার্ট এইচ (Robert H)। গডার্ড এবং কনস্ট্যান্টিন সিয়ালকোভস্কি (Konstantin Tsiolkovsky)-এর সাথে প্রকাশিত (মৃত) রাকটি জু ডেন প্ল্যানেটেনরুমেন (Rakete zu den Planetenräumen) (“দ্যা রকেট ইনটু প্লানেটারি স্পেস”), যা পৃথিবীর কক্ষপথে একটি দূরবীনকে কীভাবে চালিত করতে পারে? একটি রকেট দ্বারা।[৮]

    Hubble Space Telescope

    হাবল স্পেস টেলিস্কোপের ইতিহাসটি ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিমন স্পিৎসারের কাগজ “বহির্মুখী পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের জ্যোতির্বিদ্যা-সংক্রান্ত সুবিধার” খুঁজে পাওয়া যায়।[৯] এটিতে, তিনি দুটি প্রধান সুবিধার কথা আলোচনা করেছেন যে একটি স্থান-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণকারী স্থল-ভিত্তিক টেলিস্কোপগুলির উপরে থাকবে। প্রথমত, কৌণিক সমাধানের (বস্তুগুলিকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা যেতে পারে এমন ছোট ছোট বিভাজন) বায়ুমন্ডলে বিপর্যয়ের পরিবর্তে বিক্ষেপ দ্বারা সীমিত হবে, যার ফলে তারকাগুলিকে ঝলসানো হতে দেখা যায়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে দৃশ্যমান। সেই সময় ভূগর্ভে অবস্থিত টেলিস্কোপগুলি ০.৫-১.০ টি আর্কসেকেন্ডের রেজুলেশনে সীমাবদ্ধ ছিল, ব্যাসের আয়তক্ষেত্র ২.৫ মিটার (8.2 ফুট) দিয়ে একটি টেলিস্কোপের জন্য একটি তাত্ত্বিক বিচ্ছুরণ-সীমিত সমাধানের 0.05 আর্কসেক্সের তুলনায় সীমিত ছিল। দ্বিতীয়ত, একটি স্পেস-ভিত্তিক টেলিস্কোপ অবলোহিত এবং অতিবেগুনী আলো দেখতে পারে, যা বায়ুমন্ডলে দৃঢ়ভাবে শোষিত হয়।

    তহবিলের জন্য খোঁজা

    নির্মাণ এবং প্রকৌশল

    1972 সালের মার্চ মাসে পারকিন-এলমের হাবলের প্রাথমিক মিররকে পিষছিল

    অপটিক্যাল দূরবীক্ষণ সমাবেশ (ওটিএ)

    নামকরণ

    বিজ্ঞানী এ্যাডউইন পি. হাব্‌লই (১৮৮৯-১৯৫৩) প্রথম, মহাজাগতিক বস্তুসমূহের ব্লু-শিফ্‌ট আর রেড-শিফ্‌ট দেখিয়ে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল; আর প্রতিটি বস্তু একটা আরেকটা থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে; আর এই প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তিতে মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্বের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১০] তাই এই বিজ্ঞানীকে সম্মান জানিয়ে হাবল টেলিস্কোপের নামকরণ করা হয়।[১১]

    সংস্থাপন

    বিশাল এই টেলিস্কোপটি নির্মাণ শেষ হলে ১৯৯০ সালের ২৪ এপ্রিল শাটল মিশন STS-31 দ্বারা স্পেস শাটল ডিসকভারি দিয়ে এটিকে পাঠানো হয় পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে, এর কক্ষপথে।[১২] পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৫৯৬ কিলোমিটার উঁচুতে এর কক্ষপথে স্থান হয় টেলিস্কোপটির। তারপর সক্রীয় করা হয় একে।

    বিবরণ

    হাবল টেলিস্কোপ নিয়ন্ত্রণ করা হয় পৃথিবী থেকে। এটি একটি প্রতিফলন টেলিস্কোপ, আয়নার প্রতিফলনে সে দূরবর্তি বস্তুর তথ্য ধারণ করতে সক্ষম; সঠিক করে বললে হাবল মূলত ক্যাসেগ্রেইন রিফ্লেক্টর ঘরানার টেলিস্কোপ। ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের জুলাইতে এতে জোড়া হয় চন্দ্র এক্স-রে টেলিস্কোপ। চন্দ্র’র ক্ষমতা এতটাই ব্যাপক যে, দেড় মাইল দূর থেকে ওটা দিয়ে দেড় ইঞ্চির কোনো লেখা অনায়াসে পড়া সম্ভব। প্রতি ৯৭ মিনিটে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ঘণ্টায় ২৮,২০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীকে একবার ঘুরে আসে। এর যাবতীয় শক্তি’র প্রয়োজন সে মেটায় সূর্যের আলো থেকে, এবং এজন্য এর রয়েছে ২৫ ফুট লম্বা দুটো সৌরপ্যানেল। আর শক্তি সঞ্চয়ের জন্য রয়েছে ৬টি নিকেল-হাইড্রোজেন ব্যাটারি, যেগুলো একত্রে ২০টা গাড়ির বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করতে পারে।

    Hubble Space Telescope

    হাবল টেলিস্কোপ অতিবেগুনী থেকে অবলোহিত পর্যন্ত (১১৫-২৫০০ ন্যানোমিটারে) আলোর সব তরঙ্গদৈর্ঘ্যে দেখতে সক্ষম। এই অত্যাশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে হাবল যা পর্যবেক্ষণ করে তার প্রেক্ষিতে প্রতি সপ্তাহে ১২০ গিগাবাইট তথ্য পাঠায়। এতো এতো তথ্য সংরক্ষণে তাই ম্যাগনেটো-অপটিক্যাল ডিস্ক ব্যবহৃত হয়। হাবল, তার তোলা প্রথম ছবি পাঠায় ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ মে, সেটা ছিল স্টার ক্লাস্টার NGC 3532’র একটা দৃশ্য। সেই থেকে লক্ষাধিক ছবি পাঠিয়েছে পৃথিবীতে। আর সেসব ছবি বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে মহাবিশ্বের বয়স, জানা গেছে কোয়াযারদের সম্বন্ধে আর ডার্ক এনার্জি বা কৃষ্ণশক্তি সম্বন্ধে। হাবলের চোখ দিয়ে বিজ্ঞানীরা একেকটা গ্যালাক্সির বিভিন্ন অবস্থা সম্বন্ধে জেনেছেন। হাবল আবিষ্কার করে মহা শক্তিশালী গামা রে বার্স্ট বা গামারশ্মির বিষ্ফোরণ। হাবল, মহাকাশে গ্যাসের কিছু কুন্ডলি এমনভাবে আবিষ্কার করেছে, যেনবা তারা কিছু একটার ফাঁদে আটকা পড়েছে, যা ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে কাজ করে। হাবল, বৃহস্পতি’র উপগ্রহ ইউরোপার বাতাসে অক্সিজেনের উপস্থিতি সনাক্ত করেছে। এডউইন হাবল প্রমাণিত সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের মাত্রা আবিষ্কার করেছে হাবল টেলিস্কোপ। আর, হাবলের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে রচিত হয়েছে ৬,০০০-এরও বেশি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ।

    Hubble Space Telescope

    হাবলে ব্যবহৃত হয়েছে ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা ৩ (WFC3), যা অতিবেগুনী রশ্মির কাছাকাছি রশ্মি, দৃশ্যমান আলোকরশ্মি, আর ইনফ্রারেডের কাছাকাছি রশ্মি দেখতে পারে। এর কস্‌মিক অরিজিন স্পেকট্রোস্কোপ (COS) অতিবেগুনীরশ্মিতে দেখতে পারে। এটা অনেকটা প্রিযমের মতো আলোকে ভাগ করে, ফলে এর দ্বারা দৃশ্যমান বস্তুর তাপমাত্রা, রাসায়নিক মিশ্রণ, ঘনত্ব, আর গতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এর অ্যাডভান্সড ক্যামেরা ফর সারফেস (ACS) দৃশ্যমান আলো দেখতে পারে, আর এটা ব্যবহৃত হয় মহাবিশ্বের প্রথম দিককার দৃশ্যগুলো ধারণ করতে। এছাড়া ডার্কম্যাটার, মহাবিশ্বের দূ-রবর্তি বস্তু, গ্যালাক্সির চাকতি ইত্যাদি গবেষণায়ও ব্যবহৃত হয়। এর স্পেস টেলিস্কোপ ইমেজিং স্পেকট্রোস্কোপ (STIS) অতিবেগুনী, দৃশ্যমান আলোকরশ্মি আর ইনফ্রারেডের কাছাকাছি আলো দেখতে সক্ষম, এবং এই যন্ত্রটি কৃষ্ণগহ্বর অনুসন্ধানে বেশ সক্ষম। এর নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা অ্যান্ড মাল্টি-অবজেক্ট স্পেকট্রোমিটার (NICMOS) হলো হাবলের তাপ পরিমাপক যন্ত্র, এর দ্বারা লুক্কায়িত বস্তুর অনুসন্ধান করা হয়, আর দূরবর্তি আকাশে দৃষ্টি দেয়া হয়। আর এর ফাইন গাইড্যান্স সেন্সর (FGS) একে গাইড স্টার বা ধ্রুব তারা চিহ্নিত করে হাবলকে সেদিকে স্থির দৃষ্টিতে তাক করে থাকতে সহায়তা করে। এর সহায়তায় আরো যে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা হয় তা হলো দুটো তারার মধ্যকার দূরত্ব আর তাদের আনুপাতিক গতি পরিমাপ।

    এই টেলিস্কোপটি নাসা পাঠালেও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো বিজ্ঞানী হাবলকে ব্যবহারের অনুমতি চাইতে পারেন। অভিজ্ঞদের একটা প্যানেল তখন সেখান থেকে যোগ্যতমটি বাছাই করে সেদিকে হাবলকে ঘুরিয়ে সেখানকার ছবি তুলে পাঠান সেই বিজ্ঞানীকে বা সেই বিজ্ঞান মহলকে। প্রতিবছর এরকম বহু আবেদন জমা পড়ে, তবে সেখান থেকে বছরে প্রায় ১,০০০ আবেদন যাচাই করে প্রায় ২০০ আবেদন মঞ্জুর করা হয়, আর সেই আবেদন অনুযায়ী কাজ করতে হাবলকে মোটামুটি ২০,০০০ একক পর্যবেক্ষণ করতে হয়।

    হাবলের দেখভাল আর ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে নাসা’র গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, আর স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইন্সটিটিউট (STScl)।

    Hubble Space Telescope

  • কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022| Covid-19-ERPP-Project

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022| Covid-19-ERPP-Project

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022 | Covid-19-ERPP-Project

    DGHSERPP-Job-Circular- Covid-19-ERPP-Project

    ১. `নীল যে পদ্ম. নীল পদ্মকোন সমাস?

    ক. দ্বিগু সমাস

    খ. প্রাদি সমাস

    গ. বহুব্রীহি সমাস

    ঘ. কর্মধারয় সমাস

    ২. আপন ভালো পাগলেও বোঝেএখানে ভালো কোন পদ?

    বিশেষণ

    বিশেষ্য

    অব্যয়

    সর্বনাম

    ৩. উড়নচন্ডীবাগধারাটির
    অর্থ কী
    ?

    দূর্লভ বন্তু

    অপদার্থ

    অমিতব্যয়ী

    ভীষণ বিপদ

    ৪. সমুদ্রশব্দের প্রতিশব্দ কোনটি?

    নিচয়

    শর্বরী

    অভ্র

    জলধি

    ৫. এক কথায় প্রকাশ করুন যে নারীর স্বামী ও পুত্র নেই?

    অনূঢ়া

    কুমারী

    নবেঢ়া

    অবীরা

    ৬. Fill up with Article : I saw ____one eyed man
    at the street

    a

    the

    an

    none

    ৭. Fill in with Preposition : He died
    _____Cholera.

    by

    from

    to

    of

    ৮. Identify Tense: The sun rises in the East

    Present perfect

    Past Perfect Continuous

    Future Continuous

    Simple Present

    ৯. Translate into English : চাঁদ কিরণ দেয়

    Moon in shining

    The Moon gives light

    Moon lights

    The Moon shines at night

    ১০. Which one id the passive : “Put the pen’

    Let the pen be put

    The pen is put by me

    Let the pen put

    The pen is put by you

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022 | Covid-19-ERPP-Project

    ১১. একটি শ্রেণিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা যথাক্রমে ৪০ জন ও ৩০ জন হলে ছাত্রী
    ও ছাত্রের সংখ্যার অনুপাত কত
    ?

    ৪:৩

    ২:৩

    ৩:৪

    ৩:২

    ১২. রনি পরীক্ষায় ৮০% নম্বর পেল। পরীক্ষায় মোট নম্বর ৮০০ হলে রনির
    প্রাপ্ত নম্বর কত
    ?

    ৫৫০

    ৫৬০

    ৬৫০

    ৬৪০

    ১৩. a=1. b=2, c=3 হলে a2+2ab−c

    11

    2

    4

    6

    ১৪. (a+b) – ( a-b)= কত?

    2a

    -2a

    2b

    -2b

    ১৫. একটি বর্গাকার বাগানের দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট । ক্ষেত্রফল কত?

    ১০০০ বর্গফুট

    ৪০০০ বর্গফুট

    ৪০০০০ বর্গফুট

    ১০০০০ বর্গফুট

    ১৬. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?

    ১ মার্চ, ১৯১৯

    ১৭ মার্চ ১৯২০

    ১৪ আগস্ট, ১৯৪৭

    ২১ জনু, ১৯৪১

    ১৭. মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়?

    ১০

    ১১

    ১২

    ১৮. বাংলাদেশের জাতীয় ফল কোনটি?

    কাঁঠাল

    আম

    লিচু

    কলা

    ১৯. জাপানের মুদ্রার নাম কোনটি?

    উয়ান

    রিংগীত

    ইউয়ান

    ইয়েন

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022 | Covid-19-ERPP-Project

    ২০. পদ্মা ব্রীজের পিলার কয়টি?

    ৪১টি

    ৪২টি

    ৪৩টি

    ৪৪টি

    ২১. সাধারণ বর্জ্য কোন রংয়ের পাত্রে রাখতে হবে?

    কালো

    লাল

    হলুদ

    সবুজ

    ২২. হাসপাতালে ওয়ার্ড ব্যবস্থপনায় কোনটি অপরিহার্য?

    ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণ

    বর্জ্য ব্যবস্থপনা

    রেকর্ড সংরক্ষণ

    রোগী পরিবহন

    ২৩. কোন হাসপাতাল ওয়ার্ডবয়ের দায়িত্ব নয়?

    রোগীকে হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জায়গায় নিয়ে যাওয়া

    রোগীর ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সাহায্য করা

    রোগীর গোপনীয়তা বজায় রাখা

    উপরের সব কটি

    ২৪. হাসপাতালের তরল বজ্য কোথায় ফেলা উচিত?

    ড্রেনে

    টয়লেটের কমোডো

    যে কোন উম্মুক্ত স্থানে

    বিনে

    ২৫. চিঠিপত্র লেখা, হিসাব নিকাশ করার জন্য কোন সফটওয়্যার
    ব্যবহার করা হয়
    ?

    এডোবি ফটোশপ

    মাইক্রোফট এসকিউএল

    ওরাকল

    এমএস অফিস

    ২৬. নিচের কোনটি ই- মেইল প্রোগ্রাম নয়?

    জিমেইল

    ফায়ারফক্স

    ইয়াহু মেইল

    হট মেইল

    ২৭. হাসপাতাল ওয়ার্ড – এ সুপরিকল্পিত কাজের শিডিউল কে কি বলে?

    টাইম সিডিউল

    রোটেশন

    ডিউটি রোস্টার

    কোনটি নয়

    ২৮. ওয়ার্ডে মেঝে দিনে কতবার পরিষ্কার করা উচিৎ?

    ১ বার

    ২ বার

    ৩ বার

    ৪ বার

    ২৯. মানুষের দেহে হাড়ের সংখ্যা –

    ১০৬

    ২০৬

    ৩০৬

    ৪০৬

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022 | Covid-19-ERPP-Project

    ৩০. সামুদ্রিক মাছ, গরুর দুধ ও মাংস কিসের উৎস?

    খনিজ লবন

    আয়োডিন

    লৌহ

    স্নেহ পদার্থ

    ৩১. টাটকা সবুজ তরকারিতে পাওয়া যায়-

    খনিজ ও ভিটামিন

    ভিটামিন ও স্নেহ

    শর্করা

    কোনটি নয়

    ৩২. ডেঙ্গু জীবানু বহনকারী মশার নাম কি?

    এডিস

    এ্যানোফিলিস

    কিউলেক্স

    ম্যানসুনাইড

    ৩৩. পানিবাহিত রোগ কোনটি?

    ডিফথেরিয়া

    টাইফয়েড

    ম্যালেরিয়া

    যক্ষ্মা

    ৩৪. মানব দেহে সাধারণ তাপমাত্রা কত?

    ৯৪.৪০ ফারেনহাইড

    ৯৮.৮ ফারেনহাইড

    ৯৮.৪ ফারেনহাইড

    ৯৪.৮ ফারেনহাইড

    ৩৫. জরুরী বিভাগে একজন আহত রোগীর প্রাথমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ কত সময়
    ব্যয় করা যাবে
    ?

    ১ মিনিট

    ৫ মিনিট

    ১০ মিনিট

    ৩০ মিনিট

    ৩৬. বাংলাদেশে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা কতটি?

    ৩৭

    ৩৮

    ৩৯

    ৪০

    ৩৭. করোনা ভাইরাস চীনের কোন প্রদেশে প্রথম দেখা দেয়?

    সাংহাই

    উবেন

    উহান

    জিনজিয়াং

    ৩৮. পোলিওতে অধিক আক্রান্ত হয় কারা?

    শিশু

    নারী

    বৃদ্ধ

    কিশোর

    ৩৯. যক্ষা শরীরের কোন অংশে হয়?

    চোখে

    গলায়

    জিহবায়

    ফুসফুসে

    ৪০. বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান কোনটি?

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

    জেলা হাসপাতাল

    ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র

    কমিউনিটি ক্লিনিক

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022

    কোভিড-১৯ ইআরপিপি প্রকল্প নিয়োগ পরীক্ষা- ২০২২ | ওয়ার্ড বয় | 16.09.2022 | Covid-19-ERPP-Project

  • বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ 30+ প্রশ্ন ও উত্তর

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ 30+ প্রশ্ন ও উত্তর

    বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের লেখাটি খুবই উপকারি হবে। তো চলুন বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ি।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    প্রশ্ন : উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন
    উত্তর : লর্ড ক্যানিং।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডি-৮ সম্মেলন’র আয়ােজক দেশ ছিল
    উত্তর : বাংলাদেশ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি
    উত্তর : মারমা।

    প্রশ্ন : জিজিয়া কর ছিল
    উত্তর : মুসলমানদের ওপর ধার্য সামরিক কর।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে
    উত্তর : ২টি দেশের।

    প্রশ্ন : জগদ্দল বিহার অবস্থিত
    উত্তর : নওগাঁ জেলায়।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত
    উত্তর : ঢাকার সাভারে।

    প্রশ্ন : জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার নাম
    উত্তর : জাইকা।

    প্রশ্ন : কুমিল্লা বার্ড এর প্রতিষ্ঠাতা
    ​উত্তর : আখতার হামিদ খান।

    প্রশ্ন : ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়
    উত্তর : ১৯৭৫ সালে।

    প্রশ্ন : মুজিব নগর সরকার অবস্থিত
    উত্তর : ​মেহেরপুরে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয়
    উত্তর : ১৯৭৪ সালে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত জেলা
    উত্তর : চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
    উত্তর : ১৬ মে ১৯৭৪ সালে।

    প্রশ্ন : বীর মুক্তিযােদ্ধা কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়
    উত্তর : ঢাকা জেলে।

    প্রশ্ন : ‘রােহিতগিরি’ যে স্থানের পূর্ব নাম
    উত্তর : ময়নামতি।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
    উত্তর : ২০৩ সে.মি.

    প্রশ্ন : পদ্মা নদী বাংলাদেশের যে স্থানে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়
    উত্তর : চাঁদপুর।

    প্রশ্ন : সুনামি’র কারণ হলাে
    উত্তর : সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র
    উত্তর : ১২টি।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা
    উত্তর : ৫০টি।

    প্রশ্ন : ‘দ্য লিবারেশন অফ বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা
    উত্তর : মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং।

    প্রশ্ন : খানজাহান আলী মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা
    উত্তর : ৮১টি।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর প্রতীক
    উত্তর : বলাকা।

    প্রশ্ন : ছয় দফা দাবি প্রথম উত্থাপন করা হয়
    উত্তর : লাহােরে।

    প্রশ্ন : বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন
    উত্তর : এম মাযহারুল ইসলাম।

    প্রশ্ন : স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র সংবিধানের যে সংশােধনীতে সংযােজিত হয়
    উত্তর : পঞ্চদশ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি অবস্থিত
    উত্তর : গাজীপুরে।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
    উত্তর : বাংলাদেশ ব্যাংক।

    প্রশ্ন : ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল নির্মিত হয়
    উত্তর : ১৮৭২ সালে।

    প্রশ্ন : কুয়াকাটা সমুদ্র বন্দর যে জেলায় অবস্থিত
    উত্তর : পটুয়াখালী।

    প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
    উত্তর : ১০ জানুয়ারি ১৯৭২।

    প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি এর সভাপতি ছিলেন
    উত্তর : আকরাম খাঁ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র
    উত্তর : বেতবুনিয়া

    ✬প্রশ্ন: সাগরকন্যা কোন এলাকার ভৌগোলিক নাম?
    উত্তর: পটুয়াখালী।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের বৃহত্তম বিল কোনটি?
    উত্তর: চলন বিল।

    ✬প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সংবিধানের কোন তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
    উত্তর: পঞ্চম তফসিলে।

    ✬প্রশ্ন: আসাদ গেট কোন স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত?
    উত্তর: ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান।

    ✬প্রশ্ন: জাতীয় স্মৃতিসৌধের অপর নাম কী?
    উত্তর: সম্মিলিত প্রয়াস।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ 30+ প্রশ্ন ও উত্তর
    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ 30+ প্রশ্ন ও উত্তর

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম মহিলা বিচারপতির নাম কি?
    উত্তর: নাজমুন আরা সুলতানা।

    ✬প্রশ্ন: সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন কে?
    উত্তর: বেগম রাজিয়া বানু।

    ✬প্রশ্ন: পদ্মা সেতু কোন দু’টি জেলাকে সংযুক্ত করেছে?
    উত্তর: মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের সর্বাধিক চা বাগান কোন জেলায় অবস্থিত?
    উত্তর: মৌলভীবাজার।

    ✬প্রশ্ন: রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে কে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন?
    উত্তর: জাতীয় সংসদের স্পিকার।

    ✬প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন মোট কত দিন?
    উত্তর: ৪৬৮২ দিন।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর: রাজারবাগ, ঢাকা।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের শিশু আইন প্রণীত হয় কত সালে?
    উত্তর: ১৯৭৪ সালে।

    ✬প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণ দলিল কোথায় স্বাক্ষরিত হয়?
    উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে।

    ✬প্রশ্ন: আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা কোনটি?
    উত্তর: পার্বত্য রাঙামাটি।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোন জেলাটির নামকরণ করা হয়েছে একটি নদীর নাম অনুসারে?
    উত্তর: ফেনী।

    ✬প্রশ্ন: বাঙালি ও যমুনা নদীর সংযোগ কোথায় হয়েছে?
    উত্তর: বগুড়ায়।

    ✬প্রশ্ন: রাখাইন উপজাতিদের অধিক বাস কোন জেলায়?
    উত্তর: কক্সবাজার জেলায়।

    ✬প্রশ্ন: আয়তনের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কত তম?
    উত্তর: ৯০ তম।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপার কে?
    উত্তর: জান্নাতুল ফেরদৌস।

    ✬প্রশ্ন: কিয়োটো প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল কত সালে?
    উত্তর: ১৯৯৭ সালে।

    ✬প্রশ্ন: ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গানটির গীতিকার কে?
    উত্তর: গোবিন্দ হালদার।

    ✬প্রশ্ন: বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত মাসিক পত্রিকার নাম কী?
    উত্তর: উত্তরাধিকার।

    ✬প্রশ্ন: বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত দ্বীপ কোনটি?
    উত্তর: কুতুবদিয়া।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম নিরক্ষরতামুক্ত গ্রাম কোনটি?
    উত্তর: কচুবাড়ির কৃষ্টপুর, ঠাকুরগাঁও।

    ✬প্রশ্ন: ‘রূপসী বাংলাদেশ’ কোন এলাকাকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে?
    উত্তর: সোনারগাঁয়ের জাদুঘর এলাকাকে।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার নকশা কে তৈরি করেন?
    উত্তর: শিব নারায়ণ দাস।

    ✬প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় পুরস্কার দেয়া হয় কয়টি?
    উত্তর: ৪টি।

    ✬প্রশ্ন: বাংলা মুদ্রাক্ষরের জনক কে?
    উত্তর: চার্লস উইলকিনস।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের প্রথম মুদ্রা চালু হয় কত সালে?
    উত্তর: ৪ মার্চ, ১৯৭২ সালে।

    ✬প্রশ্ন: ‘জীবন তরী’ কী?
    উত্তর: একটি ভাসমান হাসপাতাল।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশ বিমানের প্রতীক কী?
    উত্তর: উড়ন্ত বলাকা।

    ✬প্রশ্ন: ‘নজরুল মঞ্চ’ কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর: বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে।

    ✬প্রশ্ন: বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
    উত্তর: প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন।

    ✬প্রশ্ন: মুসলিম সাহিত্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে?
    উত্তর: নওয়াব আবদুল লতিফ।

    বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

  • বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    বাক্যের ব্যবধান হল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের লেখার বাক্যের মাঝে অনুভূমিক ব্যবধান। এটি হল একটি বানান ও লেখা সাজানোর ব্যাপার। ইউরোপে স্থানান্তর উপযোগি ছাপা চালু হবার পর থেকে, রোমান লিপির ভাষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাক্যের ব্যবধান সাজানোর উপায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[১] এর মধ্যে আছে সাধারণ শব্দ ব্যবধান (বাক্যের অন্তঃস্থিত শব্দগুলোর মাঝে), একটিমাত্র বড় ব্যবধান, এবং দুইটি সম্পূর্ণ ব্যবধান। 

    বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশে প্রকাশনা সংস্থাগুলো এবং ছাপাখানাগুলো বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান ব্যবহার করত। এই গতানুগতিক ব্যবধান প্রক্রিয়া ব্যতিক্রমও ছিল – কিছু ছাপাখানা বাক্যের মাঝে অক্ষর ব্যবধানের থেকে প্রশস্ত নয় এমন বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করত। এটা ছিল ফরাসি ব্যবধান – একটি নাম যা বিংশ শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত একক-ব্যবধান এর সমার্থক ছিল।[২] উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে টাইপরাইটার ব্যবহারের সূচনার মধ্য দিয়ে, মুদ্রাক্ষরিকরা গতানুগতিক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকদের অনুকরণ করে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করত। [৩] বিংশ শতাব্দীর মাঝমাঝি সময়ে প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধান ছাপাখানার বাণিজ্যে বিকাশ লাভ করলেও, মুদ্রাক্ষরিকরা আগের অভ্যাস চালিয়ে যান[৪] এবং পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারেও।[৫] সম্ভবত এই কারণেই, অনেক আধুনিক সূত্র ভুল[৬] দাবি করে যে প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের জন্য।[৭]

    আকাঙ্ক্ষিত বা সঠিক বাক্যের ব্যবধান নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয় কিন্তু এখন অনেক সূত্রের মতে অতিরিক্ত ব্যবধানের প্রয়োজন নেই বা আকাঙ্ক্ষিত নয়। [৮] ১৯৫০ সাল দিকে, একক বাক্যের ব্যবধান বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকাতে আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়,[৯] এবং বেশিরভাগ রচনাশৈলী কৌশল যেগুলো লাতিন-উদ্ভূত বর্ণমালাকে ব্যবহার করে ভাষার ভিত্তি হিসেবে সেগুলো এখন বিহিত করে বা সুপারিশ করে বাক্যের সমাপ্তিসূচক বিরাম চিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করাকে। [১০] যদিও, কিছু সূত্র এখনো বলে যে অতিরিক্ত ব্যবধান ঠিক ও গ্রহণযোগ্য। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে এ নিয়ে বিতর্ক চালু আছে।[৬] অনেক মানুষ দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান পছন্দ করে অনানুষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারণ তাদের সেভাবেই টাইপ করতে শেখানো হয়েছে। [১১] কোন সাজানোটি বেশি পাঠযোগ্য এই নিয়ে একটি বিতর্ক আছে; সাম্প্রতিক সময়ে ২০০২ সাল থেকে কিছু সরাসরি গবেষণা করা হলেও সেগুলো অমীমাংসিত ফলাফল প্রদান করেছে।[১২]

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    ইতিহাস

    মূল নিবন্ধ: History of sentence spacing

    গতানুগতিক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন

    উপরে: বাক্যের মাঝে কমপক্ষে em-ব্যবধান সংবলিত প্রশস্ত ব্যবধানের বাক্যের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৯০৯). নিচে: ফরাসি ব্যবধানের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৮৭৪)

    স্থানান্তর উপযোগী ছাপা আবিষ্কারের কিছুদিন পর থেকে, বহু-পরিবর্তনশীল ব্যবধান ব্যবস্থা তৈরি করা হয় যা যেকোনো মাপের ব্যবধান তৈরি করতে পারে, এবং পুরোপুরি সমানভাবে প্রতিপাদনের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল।[১৩] প্রথমদিকের আমেরিকান, ইংলিশ এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকগুলোর রচনাশৈলী কৌশল (ছাপাখানার নিয়মাবলী হিসেবেও পরিচিত) ব্যবধানের আদর্শ মানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সেগুলো অষ্টাদশ শতাব্দীর পর থেকে বলতে গেলে প্রায় একই ধরনের। এই কৌশলগুলো- যেমনঃ Jacobi in the UK (১৯৮০)[১৪] এবং MacKellar, Harpel, and De Vinne (১৮৬৬–১৯০১) আমেরিকাতে[১৫]— দেখায় যে বাক্যগুলো হতে হবে এম-ব্যবধানের, এবং শব্দগুলোর হতে হবে ১/৩ বা ১/২ এম-ব্যবধানের। বাক্যের ব্যবধানের আপেক্ষিক মাপ শব্দ ব্যবধানের মাপ এবং সমানভাবে প্রতিপাদনের চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।[১৬] বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে, বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত প্রকাশিত কাজের জন্য এটাই ছিল আদর্শ।.[১৭] তবুও, এই সময়কালেও, এমন প্রকাশনা সংস্থাও ছিল (বিশেষ করে ফ্রান্সে) যারা বাক্যের মাঝে ব্যবহার করত একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধানের মাপ – যাকে বলা হত ফরাসি ব্যবধান।

    যান্ত্রিক ছাপা এবং টাইপরাইটারের আবির্ভাব

    যান্ত্রিক ছাপার ব্যবস্থাগুলো উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে চালু হয়, যেমন লিনোটাইপ এবং মোনোটাইপ যন্ত্র, যেগুলোতে হাতের অক্ষরবিন্যাসের মত কিছু পরিবর্তনশীল বাক্যের ব্যবধান করা যেত।[১৮] যখনই এই যন্ত্রগুলো ছাপার ব্যাপক উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে, প্রায় সেই একই সময়ে টাইপরাইটারের আবির্ভাব ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক নথিপত্রের তৈরিতে আনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু টাইপরাইটারের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিবর্তনশীল ব্যবধানের সুযোগ ছিল না-মুদ্রাক্ষরিকরা শুধুমাত্র কতবার ফাঁকা চাবি চাপবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কিছু ইংরেজি-ভাষাভাষী দেশের মুদ্রাক্ষরিকরা প্রাথমিক ভাবে বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান দিতে শিখেছিল[১৯] গতানুগতিক ছাপার প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে মিলিয়ে রাখতে, কিন্তু পরে তারা এটিকে দুইটি ব্যবধান হিসেবে স্থির করে,[২০] এই রীতি বিংশ শতাব্দীর পুরোটা সময় চালু ছিল।[৩] এটি ইংলিশ ব্যবধান হিসেবে পরিচিত ছিল, এবং ফরাসি মুদ্রাক্ষরিকদের থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত হয়, যাঁরা ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করা অব্যাহত রাখে।[২১]

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    একক ব্যবধানে উত্তরণ

    বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, কিছু ছাপাখানা বাক্যগুলো আলাদা করতে দেড় শব্দ মধ্যবর্তী ব্যবধান (একটি “en quad“) ব্যবহার শুরু করে।[২২] কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ১৯৯০ এর দিকেও, এই রীতি ব্যবহার চালু থাকে।[২৩]

    ১৯৪০ এর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাগাজিন, পত্রিকা, এবং বইতে একক ব্যবধানের রীতি ব্যবহার করা শুরু হয় এবং ১৯৫০ এর দিকে যুক্তরাজ্যেও তা চালু হয়।[২৪] মুদ্রাক্ষরিকরা এর সাথে সাথে একক ব্যবধান ব্যবহার করা শুরু করে না।.একজন সাধারণ লেখক তখনও লেখার জন্য টাইপরাইটারের উপর নির্ভর করত—যাতে ছিল ব্যবধানের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা।

    প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাক্যের ব্যবধানের কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করা শুরু করে। ১৯৪১ সালে, IBM চালু করে এক্সেকিউটিভ, এমন এক টাইপরাইটার যা সমানুপাতিক ব্যবধান তৈরি করতে পারে[২৫]—যেটি পেশাদারী ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের জন্য শত শত বছর ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই নবপ্রবর্তিত বস্তু টাইপরাইটারের উপর মোনোস্পেসড ফন্টের যে দখল ছিল তা ভেঙ্গে ফেলে— এটির যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার প্রখরতা কমিয়ে ফেলার মাধ্যমে।[২৫] ১৯৬০ এর মধ্যে, বৈদ্যুতিক ছবি-অক্ষরস্থাপন কৌশলগুলো লেখার মাঝে সাদা ব্যবধান রাখাকে উপেক্ষা করা শুরু করে।[৬] ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি,যেহেতু এইচটিএমএল সাধারণভাবে অতিরিক্ত ব্যবধান উপেক্ষা করে,[২৬][২৭] যদিও ২০১১ সালে সিএসএস 2.1 মানদণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিকল্প যোগ করে যেটি অতিরিক্ত ব্যবধান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।[২৮] ১৯৮০ এর দিকে, ডেস্কটপ প্রকাশনী সফটওয়্যার সাধারণ লেখকদের জন্য আরো উন্নত বিন্যাস সরঞ্জাম সরবরাহ করে।[২৯] বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের মধ্যে, লেখার শব্দের সাহিত্য এটির বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশিকা সমন্বয় করা শুরু করে দেয়।

    আধুনিক সাহিত্য

    ছাপাখানার বিদ্যা

    ইংরেজি প্রকাশনা সংস্থাগুলিতে ছাপাখানার বিদ্যার ( লেখার বিন্যাস ও আকৃতি )[৩০] প্রারম্ভিক অবস্থানে গতানুগতিগ ব্যবধান কৌশলগুলি অনুমোদিত ছিল। ১৯৫৪ সালে, জিওফ্রি ডডিং এর বইয়ে, ফাইনার পয়েন্টস ইন দা স্পেসিং অ্যান্ড এরেঞ্জমেন্ট অফ টাইপ , একক প্রশস্ত এম ব্যবধান থেকে বাক্যের মাঝে আদর্শ শব্দ ব্যবধান ব্যবহারের যে ব্যাপক চলন শুরু হয় তাতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।[৩১]

    কম্পিউটার যুগের আবির্ভাবের মাধ্যমে, ছাপাখানার বিদ্যায় বিশারদরা দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হওয়া শুরু করেন, এমনকি মোনোস্পেসড লেখার ক্ষেত্রেও। ১৯৮৯ সালে. ডিজাইন এরডেস্কটপ পাবলিশিং এ বলা হয় “ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন এর জন্য দাড়ি, প্রশ্নবোধক, আশ্চর্যবোধক, কোলন চিহ্নের পর শুধুমাত্র একটি ব্যবধান প্রয়োজন”, এবং একক বাক্যের ব্যবধানকে ছাপার কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩২] স্টপ স্টিলিং সীপ অ্যান্ড ফাইন্ড আউট হাও টাইপ ওয়ার্কস (১৯৯৩) এবং ডিজাইনিং উইথ টাইপঃ দা এসেনশিয়াল গাইড টু টাইপোগ্রাফি (২০০৬) উভয়ই শব্দের মাঝে অভিন্ন ব্যবধান ব্যবহার করতে নির্দেশ করে, এমনকি বাক্যের মাঝেও।[৩৩]

    ছাপাখানার বিদ্যার উপর করা সাম্প্রতিক কাজগুলো অনেক গুরুত্বের। ইলিন স্ট্রিজভার, টাইপ স্টুডিও এর প্রতিষ্ঠাতা, বলেন, “মতামতের পার্থক্য সহ্য করার কথা ভুলে যান, বাক্য শুরু করার আগে দুইটি ব্যবধান দেওয়া পুরোপুরি, দ্ব্যর্থহীনভাবে ভুল।”[১১] কমপ্লিট ম্যানুয়াল অন টাইপোগ্রাফি (২০০৩) এ বলা হয় “টাইপরাইটারের দাড়ির পর দুই শব্দ ব্যবধান ব্যবহার করে বাক্য আলাদা করার প্রক্রিয়ার ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনে কোনো জায়গা নেই” এবং একক ব্যবধান হল “আদর্শ ছাপার কৌশল”।[৩৪] এলিমেন্টস অফ টাইপোগ্রাফিক স্টাইল (২০০৪) পরামর্শ দেয় বাক্যের মাঝে একটি ব্যবধান দেবার, এমন কোনো কিছু নয় যা ” আপনার ছাপার কাজ ও এর সাথে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন লাভবান হবে এই অদ্ভুত [দ্বিগুণ ব্যবধান] ভিক্টোরিয়ান অভ্যাস ভুলে গেলে”। [৩]

    ডেভিড জুরির বই, এবাউট ফেইসঃ রিভাইভিং দা রুলস অফ টাইপোগ্রাফি (২০০৪)- সুইজারল্যান্ডে প্রকাশিত- বাক্যের ব্যবধানের ব্যাপারে সমসাময়িক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের অবস্থান পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেঃ

    শব্দ ব্যবধান, বিরামচিহ্নের আগে বা পরে, এমনভাবে বিন্যস্ত করতে হবে যাতে দৃশ্যত মনে হয় তা আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সমান। যদি একটি দাড়ি বা কমার পর একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধান দেওয়া হয়, তাহলে, দৃশ্যত, সেটি ছাপার বাক্যের অন্য যেকোনো শব্দ ব্যবধান থেকে ৫০% পর্যন্ত বেশি প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করে। এটা হয় কারণ এই বিরামচিহ্নগুলো তাদের উপরে ব্যবধান বহন করে, যেটি, যখন পার্শ্ববর্তী আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সাথে যোগ করা হয়, সম্মিলিতভাবে দৃশ্যত আরও বড় ব্যবধান তৈরি করে। অনেকে দ্বিমত পোষণ করে বলেন যে কমা এবং দাড়ির পর “অতিরিক্ত” ব্যবধান পাঠকের জন্য “বিরতি সংকেত” হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এটি অপ্রয়োজনীয় (এবং দৃষ্টিকটু) কেননা বিরামচিহ্ন নিজেই বিরতি সংকেতের কাজ করে।[৩৫]

    শৈলী এবং ভাষা নির্দেশিকা

    মূল নিবন্ধ: Sentence spacing in language and style guides

    ১৯১১ এর শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল থেকে গতানুগতিক ব্যবধানের উদাহরণ

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    শৈলী নির্দেশিকা

    শুরুর দিকে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের শৈলী নির্দেশিকাগুলোতে শব্দের মাঝের “গতানুগতিক ব্যবধান” এর থেকে প্রশস্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে ব্যবহার করা হত, ডানের ছবিতে যেমনটি দেখান হল।[৩৬] বিংশ শতাব্দীর সময়, শৈলী নির্দেশিকাগুলো সাধারণভাবে মুদ্রলিখিত পান্ডুলিপিতে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান দেওয়াকে বাধ্যতামূলক করে,যেগুলো পেশাগতভাবে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের কাজের আগে ব্যবহৃত হত।[৩৭] ডেস্কটপ প্রকাশনা যখন প্রচলন শুরু হল, মুদ্রলিখিত পাণ্ডুলিপি হয়ে পড়ল আরও কম প্রাসঙ্গিক এবং বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো পাণ্ডুলিপি ও চূড়ান্ত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের পণ্যের মাঝে পার্থক্য করা বন্ধ করে।[৩৮] একই সময়কালে, শৈলী নির্দেশিকাগুলো বাক্যের ব্যবধান সম্পর্কে তাদের নির্দেশনা বদলাতে শুরু করে। শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল এর ১৯৬৯ এর সংস্করণে বাক্যের মাঝে এম ব্যবধান ব্যবহার করা হয়;[৩৯] ২০০৩ এর সংস্করণে পাণ্ডুলিপি ও ছাপা উভয়ের জন্য তা পরিবর্তিত হয়ে একক ব্যবধান হয়। ১৯৮০ এর মধ্যে, যুক্তরাজ্যের হার্টস রুলস (১৯৮৩)[৪০] একক ব্যবধানে সরে আসে। অন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলোও ১৯৯০ এর দিকে তা অনুসরণ করে।[৪১] একবিংশ শতাব্দী শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই, বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো বদলে গিয়ে নির্দেশ করে যে বাক্যের মাঝে শুধুমাত্র একটি শব্দ ব্যবধানই যথাযথ।[৪২]

    আধুনিক শৈলী নির্দেশিকাগুলো লিখিত ভাষার আদর্শ মান এবং নির্দেশনা সরবরাহ করে। লেখকদের জন্য এই কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ “কার্যত সব পেশাদার সম্পাদকরা প্রকাশনার জন্য একটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার তাদের কোনো একটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন”।[৪৩] ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকাগুলোর শেষের দিকের সংস্করণগুলোতে, যেমনঃ যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩)[৪৪] এবং যুক্তরাজ্যে দা শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০১০)[৪৫], বাক্যের ব্যবধানসহ অনেক ধরনের লেখা ও নকশার বিষয়ে আদর্শ মান সরবরাহ করে।[৪৬] চূড়ান্ত লেখা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো এখন চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।[৪২] কিছু শৈলী নির্দেশিকা খসড়া কাজে দ্বিগুণ ব্যবধান অনুমোদন করে, এবং গ্রেগ রেফারেন্স ম্যানুয়াল লেখকের ইচ্ছার উপর দ্বিগুণ ও একক ব্যবধানের ব্যাপারটি ছেড়ে দেয়।[৪৭] ওয়েব নকশা নির্দেশিকাগুলো সাধারণত এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয় না, যেহেতু “এইচটিএমএল দ্বিগুণ ব্যবধানকে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে”।[৪৮] এই কাজগুলো নিজেরা বর্তমান প্রকাশনার আদর্শ মান একক ব্যবধান অনুসরণ করে।[৪৯]

    ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টারন্যাশনাল স্টাইল গাইড (২০০৮) এ উল্লেখ করা হয় যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৩ টি ভাষার সকল প্রকাশনায় একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করা হবে।[৫০] ইংরেজি ভাষার জন্য, ইউরোপিয়ান কমিশনের ইংলিশ স্টাইল গাইডে (২০১০) বলা হয় যে বাক্যগুলো সব সময় একক ব্যবধানের হবে।[৫১] স্টাইল ম্যানুয়ালঃ ফর অথারস, এডিটরস অ্যান্ড প্রিন্টারস (২০০৭), যেটি ১৯৬৬ সালে কমনওয়েলথ গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং অফিস অফ অস্ট্রেলিয়া দ্বারা প্রথম প্রকাশিত হয়, একক ব্যবধান ব্যবহারের শর্ত দেয় যে “বাক্য সমাপ্তকারি বিরামচিহ্নের” পরে এবং যেহেতু “শব্দ প্রক্রিয়াকরণের প্রোগ্রামগুলো ও ডেস্কটপ প্রকাশনা আরো পরিশীলিত, পরিবর্তনশীল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন প্রদান করে, তাই দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের এই রীতি এখন পরিহার করা হয় কারণ এটি পাতার মাঝে বিভ্রান্তিমূলক ব্যবধান তৈরি করে।”[৫২]

    জাতীয় ভাষাগুলো যেগুলো কোনো প্রামাণিক ভাষা একাডেমী এর অন্তর্ভুক্ত নয় সাধারণত সেগুলোর একাধিক শৈলী নির্দেশিকা থাকে-যাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি বাক্যের ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে। যুক্তরাজ্যে এমনটিই হয়। অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩) এবং মডার্ন হিউম্যানিটিস রিসার্চ এসোসিয়েশন এর এমএইচআরএ স্টাইল গাইড (২০০২)-তে বলা হয়েছে শুধুমাত্র একক ব্যবধান ব্যবহার করা যাবে।[৫৩] কানাডাতে, কানাডিয়ান স্টাইল, এ গাইড টু রাইটিং অ্যান্ড এডিটিং (১৯৯৭) এর ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা উভয় বিভাগে, একক বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।[৫৪] যুক্তরাষ্ট্রে, বহু শৈলী নির্দেশিকা- যেমন শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০০৩)- শুধুমাত্র একক ব্যবধান অনুমোদন করে।[৫৫] ইতালির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শৈলী নির্দেশিকা, ইলা নুয়াভো মানুয়ালে দি স্তিলে (২০০৯)[৫৬]-এ বাক্যের ব্যবধানের কোনো উল্লেখ নেই, কিন্তু মাইক্রোসফট অনুবাদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা,গুইদা দি স্তিলে ইতালিয়ানো (২০১০)-তে ব্যবহারকারীদের “যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত দ্বিগুণ ব্যবধানের বদলে” একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করতে বলা হয়।[৫৭]

    ভাষা নির্দেশিকা

    কিছু ভাষা, যেমন ফরাসি এবংস্প্যানিশ ভাষাতে ভাষার নিয়ম নির্ধারণের জন্য একাডেমী আছে। তাদের প্রকাশনা সাধারণত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন বিদ্যার বিষয়গুলোর বদলে লিখনবিধি এবং ব্যাকরণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এধরনের ভাষাগুলোর জন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলো কম প্রাসঙ্গিক, যেহেতু তাদের একাডেমীগুলো বিধানবাদ ঠিক করে। উদাহরণস্বরূপ, আকাদেমি ফ্রঁসেজ বিশ্বব্যাপী ফরাসি ভাষাভাষীদের জন্য দিকসিওনের দ্য লাকাদেমি ফ্রঁসেজ প্রকাশ করে।[৫৮] ১৯৯২ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু পুরোপুরি একক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত-যা ঐতিহাসিক ফরাসি ব্যবধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্প্যানিশ ভাষা একই রকম। এসোসিয়েশন অফ স্প্যানিশ ল্যাঙ্গুয়েজ একাডেমীস এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, রিয়েল একাডেমিয়া এসপানিওলা, প্রকাশ করে ডিকশনারিও দে লা লেঙ্গুয়া এসপানিওলা, যেটিকে বিশ্বব্যাপী স্প্যানিশ ভাষার প্রচলিত প্রথামত হিসেবে দেখা হয়।[৫৯] ২০০১ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু এটি একক বাক্যের ব্যবধানে ছাপা। জার্মান ভাষা নির্দেশিকা এমফিলুনগেন দেস রাটস ফ্রু দোএতচে রেক্তসায়বুং (“কাউন্সিল ফর জার্মান ওরথোগ্র্যাফি কর্তৃক সুপারিশকৃত”) (২০০৬)-তে বাক্যের ব্যবধানের উল্লেখ নাই।[৬০] ম্যানুয়ালটিতে চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পরে একক ব্যবধান ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, ডুডেন, জার্মানিতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত জার্মান ভাষার অভিধান,[৬১] নির্দেশ করে যে দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান একটি ত্রুটি।[৬২]

    ব্যাকরণ নির্দেশিকা

    কতিপয় তথ্যসূত্রের ব্যাকরণ বাক্যের ব্যবধানের কথা উল্লেখ করে, যেহেতু শব্দের মাঝে বর্ধিত ব্যবধান নিজের মাঝে বিরামচিহ্নের মত।[৬৩] বেশিরভাগই করে না। ব্যাকরণ নির্দেশিকাগুলো সাধারণত চূড়ান্ত বিরামচিহ্ন এবং সঠিক বাক্য গঠনের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে-কিন্তু বাক্যের মাঝের ব্যবধান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে না।[৬৪] তাছাড়া, বহু আধুনিক ব্যাকরণ নির্দেশিকা দ্রুত তথ্যসূত্র পাবার মত করে তৈরি করা হয়েছে[৬৫] এবং লেখার শৈলীর অতিরিক্ত বিষয়গুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।[৬৬] উদাহরণস্বরূপ,পকেট ইডিয়টস গাইড টু গ্রামার অ্যান্ড পাঙ্কচুয়েসন (২০০৫) বিন্যাস কাজে ধারাবাহিকতা ও অন্যান্য “সম্পাদনা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর” জন্য ব্যবহারকারীদের এম এলএ স্টাইল ম্যানুয়াল এর মত শৈলী নির্দেশিকাগুলো ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়।[৬৭] গ্রামার বাইবেল (২০০৪) -এ বলা হয় “ইংরেজি বিরামচিহ্নের আধুনিক ব্যবস্থা কোনোভাবেই সহজ নয়। একটি বই যদি সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তবে এটিকে হতে হবে বিশাল আকৃতির এবং যিনি এধরনের কিছু চাচ্ছেন তাঁকে শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল দেখার পরামর্শ দেওয়া হল।”[৬৮]

    প্রযুক্তিনির্ভর যুগ

    মূল নিবন্ধ: Sentence spacing in digital media

    কম্পিউটারের যুগে, বিভিন্ন সফটওয়্যারের প্যাকেজে বাক্যের মাঝের ব্যবধানকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করা হয়। কিছু পদ্ধতি যা ব্যবহারকারী লিখে তাই অনুমোদন করে, যখন অন্যগুলো ব্যবধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, বা ব্যবহারকারীর নিবেশকে বাক্য শনাক্ত করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। কম্পিউটার ভিত্তিক শব্দ প্রক্রিয়াকারকগুলো, এবং ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের সফটওয়্যার যেমনঃ ট্রফটেক্স, ব্যবহারকারীদের এমনভাবে লেখা সাজাবার সুযোগ করে দেয় যা আগে শুধুমাত্র পেশাদার অক্ষরস্থাপকগুলো করতে পারত।[৬৯]

    ইমাক্স এর লেখা সম্পাদনার পরিবেশ স্পষ্টভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে দাড়ির পর দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করে, দ্বিগুণ ব্যবধানের এই প্রক্রিয়া বাক্যের মাঝের সেইসব দাড়ির সাথে ভুল বোঝাবুঝি রোধ করে যেগুলো দিয়ে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ প্রকাশ পায়। ইমাক্স কিভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণ করে যে বিন্যাসটি সেটি হল সেন্টেন্স-এন্ড-ডাবল-স্পেস অ্যান্ড সেন্টেন্স-এন্ড .[৭০] The ভিআই সম্পাদকও এই কৌশল অনুসরণ করে; ফলে, ইমাক্সভিআই উভয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাক্য নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয় (জাম্প ওভার, কপি, ডিলিট)।

    ইউনিক্স ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের প্রোগ্রাম ট্রফ বাক্যের শেষ চিহ্নিত করতে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করে।[৭১] এটি ছাপাখানার অক্ষরস্থাপককে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ থেকে বাক্যের সমাপ্তিকে পার্থক্য করার এবং আলাদাভাবে অক্ষরস্থাপনের সুযোগ করে দেয়। ট্রফের শুরুর দিকের সংস্করণগুলোতে,[৭২] শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রস্থের ফন্ট অক্ষরস্থাপনে ব্যবহার করত, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের মাঝে দ্বিতীয় একটি ব্যবধান যোগ করে দিত, যেগুলো চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের মিশ্রণ ও লাইন ফিড উপর নির্ভর করে শনাক্ত করা হত।

    মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নিজে থেকে বাক্যকে পরিবর্তন করে না, কিন্তু গ্রামার চেকিং এমনভাবে ঠিক করা যায় যাতে বাক্যের মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবধান থাকে।

    ল্যাটেক দাড়ির পর একটি “বাক্য-মধ্যবর্তী” অক্ষরস্থাপন করে যদিনা অন্য নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এটি একটি পরিবর্তনশীল ব্যবধান যা সাধারণত “শব্দ-মধ্যবর্তী ব্যবধান” থেকে প্রশস্ত হয়।

    অ্যান্ড্রয়েডআইওএস সহ, কিছু আধুনিক টাচ-স্ক্রিন যন্ত্রে, পর পর দুইটি ব্যবধান দেওয়া হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের সমাপ্তি হিসেবে মনে করা হয়, এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি দাড়ি প্রবেশ করানো হয়। যদিও, শুধুমাত্র একটি ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে।

    একাধিক ব্যবধান বেশিরভাগ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাদানে নিজে থেকে অপসারণ করা হয়, সেটি বাক্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত হোক বা নাই হোক তা সরিয়ে ফেলা হয়। ব্যবধান সংরক্ষণের উপায়ও আছে, যেমনঃ সিএসএস হোয়াইট-স্পেস প্রোপার্টি, ও <pre> ট্যাগ। টুইটার তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ব্যবধানের নিবেশ সংরক্ষণ করে। এইচটিএমএল-এ আরও কয়েকটি ব্যবধান তৈরির প্রক্রিয়া আছে যাতে ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে, যেমনঃ এম ব্যবধান, এন ব্যবধান, ও নন-ব্রেকিং ব্যবধান. কিছু ইউনিকোড ব্যবধান অক্ষরও ওয়েবে অক্ষুণ্ণ থাকে।

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

    বিতর্ক

    জেমস ফেলিসি, কমপ্লিট ম্যানুয়াল অফ টাইপোগ্রাফি এর লেখক, বলেন যে বাক্যের ব্যবধানের বিষয়টি হল “এমন একটি বিতর্ক যা শেষ হতে অস্বীকৃতি জানায় … আমার ছাপার ব্যাপারে লেখার এত বছরে, এই প্রশ্নটি আমি সবচেয়ে বেশি শুনি, এবং ওয়েবে খুঁজলে এই বিষয়ে প্রচুর লেখা পাওয়া যাবে”।[৬] এই বিষয়টি নিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক বিতর্ক আছে।

    অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে একক বাক্যের ব্যবধানের বিরোধিতা করে। অনেকে বলেন যে দ্বিগুণ ব্যবধানের অভ্যাস এতটা গভীরভাবে বদ্ধমূল যে বদলান সম্ভব না।[৭৩] অন্যেরা দাবি করেন যে বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান লেখার সৌন্দর্য ও পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।[৭৪] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা আরো বলেন যে কিছু প্রকাশক লেখকদের দ্বিগুণ-ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে বলতে পারেন। একটি প্রধান উদাহরণ হল চিত্রনাট্যের পাণ্ডুলিপি লেখার জন্য চিত্রনাট্য লেখার শিল্পের মোনোস্পেসড এর আদর্শ মান, কুরিয়ার, ১২-পয়েন্ট ফন্ট,[৭৫] যদিও চিত্রনাট্য লেখার উপর করা কিছু কাজ নির্দেশ করে যে কুরিয়ার খুব কমই পছন্দের—সমানুপাতিক ফন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।[৭৬] কিছু বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মতে লেখকদের তাদের নিজস্ব শৈলী নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত, কিন্তু দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা বলেন যে প্রকাশকের নির্দেশিকা প্রাধান্য পায়, এমনকি তারাও যারা দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি চায়।[৭৭]

    প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় একটি যুক্তি হল যে এটি তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য, এবং আধুনিক সমানুপাতিক ফন্টের জন্য তার আর কোনো প্রয়োজন নেই। [৭৮] যদিও, টাইপরাইটার আবিষ্কারের আগে সমানুপাতিক ফন্ট প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে শত শত বছর একসাথে ছিল, এবং আবিষ্কারের পরও কয়েক যুগ ছিল। যখন টাইপরাইটার প্রথম আসে, মুদ্রাক্ষরিকদের সাধারণত বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান ব্যবহার করতে শেখানো হত।[১৯] এটি ক্রমান্বয়ে বদলে দুইটি ব্যবধান হয়, যখন প্রকাশনা শিল্প অপরিবর্তিত থাকে তাদের প্রশস্ত এম-ব্যবধানের বাক্যে। কিছু সূত্রের মতে এখন মোনোস্পেসড ফন্টকে একক ব্যবধান করা গ্রহণযোগ্য,[৭৯] যদিও অন্যান্য সূত্র মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য এখনো দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করতে বলে।[৮০] টাইপরাইটারের দ্বিগুণ ব্যবধানের কৌশলটি বিদ্যালয়ের মুদ্রাক্ষর শ্রেণিতে শেখানো হয়, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিই অভ্যাস করা হয়।।[১১] কিছু মানুষ মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে এই কাজটি পুনরায় শিখতে বাধ্য করা হবে।[৮১]

    বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকা নির্দেশ করে যে একক বাক্যের ব্যবধান আজ চূড়ান্ত বা প্রকাশিত কাজের জন্য যথার্থ,[৪২] এবং বেশিরভাগ প্রকাশক পাণ্ডুলিপি সেভাবে চান প্রকাশনায় যেভাবে থাকবে—েএকক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত।[৮২] লেখালিখির সূত্রগুলো সাধারণত পরামর্শ দেয় যে সম্ভাব্য লেখকরা যেন পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত ব্যবধান সরিয়ে ফেলে,[৮৩] যদিও অন্যান্য সূত্রের মতে প্রকাশকরা চূড়ান্ত প্রকাশনার আগে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবধান সরিয়ে ফেলবে।[৮৪]

    কেতাবি প্রকাশনার ক্ষেত্রে, এলসেভিয়ার ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করে কিন্তু স্প্রিঙ্গার বাক্যের মাঝে শব্দের মাঝের ব্যবধানের চেয়ে প্রশস্ত ব্যবধান ব্যবহার করে।

    পাঠযোগ্যতা এবং সহজপাঠ্যতার উপর প্রভাব

    মূল নিবন্ধ: Sentence spacing studies

    একক ও দ্বিগুণ ব্যবধান প্রক্রিয়ার সহজপাঠ্যতাপাঠযোগ্যতার ব্যাপারে প্রচুর যুক্তি আছে—দুইদিকের প্রবক্তাদের দ্বারাই। একক ব্যবধানের সমর্থকরা দাবি করেন যে বর্তমানে বই, ম্যাগাজিন, ও ওয়েবে প্রচলিত আদর্শ মানের সাথে মিল পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে, সমানুপাতিক ফন্টের লেখায় দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করলে তা অদ্ভুত দেখায়, এবং দ্বিগুণ ব্যবধানের কারণে তৈরি হওয়া “রিভারস” ও “হোলস” পাঠযোগ্যতার ক্ষতিসাধন করে।[৮৫] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তরা বলেন যে অতিরিক্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে পরিষ্কার বিরতি বুঝিয়ে পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং লেখাকে আরো সহজপাঠ্য করে,[৮৬] দাড়ি ও কমার মাঝে দৃশ্যত যে সামান্য পার্থক্য আছে তা উল্লেখ করে।

    যদিও, ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন সম্পর্কিত মতামতগুলো সাধারণত প্রমাণবহির্ভূত হয়ে থাকে।[৮৭] ” মতামতগুলো সব সময় ছাপার সহজপাঠ্যতার জন্য নিরাপদ নির্দেশিকা নয়,”[৮৮] এবং যখন সরাসরি গবেষণা করা হয়, ভিত্তিহীন মতামত—এমনকি বিশেষজ্ঞদের—ভুল প্রমাণিত হতে পারে।[৮৯] লেখা যেটি মনে হয় সহজপাঠ্য (প্রথম দৃষ্টিতে দৃশ্যত আনন্দদায়ক) সেটি কার্যকর পাঠের ক্ষতিসাধন করে বলে প্রমাণ হতে পারে যখন এটির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়।[৯০]

    গবেষণা

    বাক্যের ব্যবধানের উপর করা গবেষণার মধ্যে আছে লোহ, ব্রাঞ্চ, সিওয়ানোঅন, ও আলি (২০০২); ক্লিনটন, ব্রাঞ্চ, হোলসু, ও সিওয়ানোঅন (২০০৩); এবং নি, ব্রাঞ্চ, ও সেন (২০০৪), যেগুলোর কোনটিই একক, দ্বিগুণ, কিংবা তিনগুণ ব্যবধানের পক্ষে ফলাফল দিতে পারে নাই।[৯১] ২০০২ সালের গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একক ও দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের লেখা পড়ার গতি পরীক্ষা করা হয়। লেখকরা বলেন যে, ” ‘দ্বিগুণ ব্যবধানের দলটি’ ধারাবাহিকভাবে ‘একক ব্যবধানের দলটি’ থেকে বেশি সময় নিচ্ছিল শেষ করতে” কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন যে ” সেখানে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে বলার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রমাণ ছিল না”।[৯২] ২০০৩ ও ২০০৪ সালের গবেষণায় একক, দ্বিগুণ ও তিনগুণ ব্যবধানের উপর বিশ্লেষণ করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে, লেখকরা বলেন যে একটি সিদ্ধান্তে আসার মত পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না।[৯৩] নি, ব্রাঞ্চ, সেন ও ক্লিনটন ২০০৯ সালে অভিন্ন ব্যবধানের চলক দিয়ে একইরকম একটি গবেষণা করেন। লেখকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে “ফলাফল বাক্যের মাঝে ভিন্ন ধরনের ব্যবধান সময় ও বুঝতে পারার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে এই বিষয়ে অপর্যাপ্ত প্রমাণ সরবরাহ করে

    বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)

  • উচ্চারণ(pronunciation)

    উচ্চারণ(pronunciation)

    উচ্চারণ (pronunciation) (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।

    কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]

    শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।

    উচ্চারণ(pronunciation)

    ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা

    স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু এবং এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]

    উচ্চারণ(pronunciation)

    ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা(Terminology)

    স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু এবং এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]

    ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা

    স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু এবং এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।

    উচ্চারণ(pronunciation)

    উচ্চারণ (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।

    কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]

    শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।

    উচ্চারণ(pronunciation)

    ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা(Terminology)

    স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু এবং এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]

  • পূরণবাচক সংখ্যা (Complementary Numerals )

    পূরণবাচক সংখ্যা (Complementary Numerals )

    পূরণবাচক/ক্রমবাচক সংখ্যা(Complementary Numerals ) হল ভাষাতত্ত্বে সেই সমস্ত শব্দ যারা কোনো সমষ্টির বিভিন্ন উপাদানের ক্রমিক অবস্থান বর্ণনা করে।[১][২] এই অবস্থান নির্ণয়ের মাপকাঠি হতে পারে আয়তন, গুরুত্ব, বয়স প্রভৃতি যে কোনো বিষয়। বাংলায় কতকগুলি নির্দিষ্ট বিশেষণ পদ এই কাজটি করে থাকে, যথা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি।

    সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে এদের পার্থক্য হল এই যে, এরা উদ্দিষ্ট উপাদানের পরিমাণ নির্দেশ করে না।

    বাংলা

    (Complementary Numerals )বাংলায় সংখ্যার সাথে নির্দিষ্ট কিছু বিভক্তি যোগ করে পূরণবাচক পদ লেখা যেতে পারে, যেমন ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ১০ম, ১১শ ইত্যাদি। তবে সাধারণত এই পদ্ধতি ৩৮শ (অষ্টাত্রিংশ) এর পরবর্তী সংখ্যাগুলির ক্ষেত্রে প্রচলিত নয়। তারিখ লেখার ক্ষেত্রে পয়লা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছউই প্রভৃতি শব্দগুলি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে আঠারোই (১৮ই) এর পর থেকে বাকি পূরণবাচক পদগুলি সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে ‘শে’ যোগ করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে।

    পূরণবাচক সংখ্যা (Complementary Numerals )

    ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা

    সংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদসংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদসংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদ
    একপ্রথম৩৫পঁয়ত্রিশপঞ্চত্রিংশ৬৯ঊনসত্তরঊনসপ্ততি
    দুইদ্বিতীয়৩৬ছত্রিশষট্‌ত্রিংশ৭০সত্তরসপ্ততি
    তিনতৃতীয়৩৭সাঁইত্রিশসপ্তত্রিংশ৭১একাত্তরএকসপ্ততি
    চারচতুর্থ৩৮আটত্রিশঅষ্টাত্রিংশ৭২বাহাত্তরদ্বিসপ্ততি
    পাঁচপঞ্চম৩৯ঊনচল্লিশঊনচত্বারিংশ৭৩তিয়াত্তরত্রিসপ্ততি
    ছয়ষষ্ঠ৪০চল্লিশচত্বারিংশ৭৪চুয়াত্তরচতুঃসপ্ততি
    সাতসপ্তম৪১একচল্লিশএকচত্বারিংশ৭৫পঁচাত্তরপঞ্চসপ্ততি
    আটঅষ্টম৪২বিয়াল্লিশদ্বিচত্বারিংশ৭৬ছিয়াত্তরষট্‌সপ্ততি
    নয়নবম৪৩তেতাল্লিশত্রয়শ্চত্বারিংশ৭৭সাতাত্তরসপ্তসপ্ততি
    ১০দশদশম৪৪চুয়াল্লিশচতুঃচত্বারিংশ৭৮আটাত্তরঅষ্টসপ্ততি
    ১১এগারোএকাদশ৪৫পঁয়তাল্লিশপঞ্চচত্বারিংশ৭৯ঊনআশিঊনাশীতি
    ১২বারোদ্বাদশ৪৬ছেচল্লিশষট্‌চত্বারিংশ৮০আশিঅশীতি
    ১৩তেরোত্রয়োদশ৪৭সাতচল্লিশসপ্তচত্বারিংশ৮১একাশিএকাশীতি
    ১৪চৌদ্দচতুর্দশ৪৮আটচল্লিশঅষ্টচত্বারিংশ৮২বিরাশিদ্ব্যশীতি
    ১৫পনেরোপঞ্চদশ৪৯ঊনপঞ্চাশঊনপঞ্চাশৎ৮৩তিরাশিত্র্যশীতি
    ১৬ষোলোষোড়শ৫০পঞ্চাশপঞ্চাশৎ৮৪চুরাশিচতুরশীতি
    ১৭সতেরোসপ্তদশ৫১একান্নএকপঞ্চাশৎ৮৫পঁচাশিপঞ্চাশীতি
    ১৮আঠারোঅষ্টাদশ৫২বাহান্ন/বায়ান্নদ্বিপঞ্চাশৎ৮৬ছিয়াশিষড়শীতি
    ১৯উনিশঊনবিংশ৫৩তিপ্পান্নত্রিপঞ্চাশৎ৮৭সাতাশিসপ্তাশীতি
    ২০বিশ/কুড়িবিংশ৫৪চুয়ান্নচতুঃপঞ্চাশৎ৮৮অষ্টআশিঅষ্টাশীতি
    ২১একুশএকবিংশ৫৫পঞ্চান্নপঞ্চপঞ্চাশৎ৮৯ঊননব্বইঊননবতি
    ২২বাইশদ্বাবিংশ৫৬ছাপ্পান্নষট্‌পঞ্চাশৎ৯০নব্বইনবতি
    ২৩তেইশত্রয়োবিংশ৫৭সাতান্নসপ্তপঞ্চাশৎ৯১একানব্বইএকনবতি
    ২৪চব্বিশচতুর্বিংশ৫৮আটান্নঅষ্টপঞ্চাশৎ৯২বিরানব্বইদ্বিনবতি
    ২৫পঁচিশপঞ্চবিংশ৫৯ঊনষাটঊনষষ্টি৯৩তিরানব্বইত্রিনবতি
    ২৬ছাব্বিশষট্‌বিংশ৬০ষাটষষ্টি৯৪চুরানব্বইচতুর্নবতি
    ২৭সাতাশসপ্তবিংশ৬১একষট্টিএকষষ্টি৯৫পঁচানব্বইপঞ্চনবতি
    ২৮আটাশঅষ্টাবিংশ৬২বাষট্টিদ্বিষষ্টি৯৬ছিয়ানব্বইষন্নবতি
    ২৯ঊনত্রিশঊনত্রিংশ৬৩তেষট্টিত্রিষষ্টি৯৭সাতানব্বইসপ্তনবতি
    ৩০ত্রিশত্রিংশ৬৪চৌষট্টিচতুঃষষ্টি৯৮আটানব্বইঅষ্টনবতি
    ৩১একত্রিশএকত্রিংশ৬৫পঁয়ষট্টিপঞ্চষষ্টি৯৯নিরানব্বইনবনবতি
    ৩২বত্রিশদ্বাত্রিংশ৬৬ছেষট্টিষট্‌ষষ্টি১০০একশএকশত
    ৩৩তেত্রিশত্রয়োত্রিংশ৬৭সাতষট্টিসপ্তষষ্টি
    ৩৪চৌত্রিশচতুর্ত্রিংশ৬৮আটষট্টিঅষ্টষষ্টি

    পূরণবাচক সংখ্যা (Complementary Numerals )

    পূরণবাচক সংখ্যা (Complementary Numerals )

    ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা

    সংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদসংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদসংখ্যাসংখ্যাবাচক পদপূরণবাচক পদ
    একপ্রথম৩৫পঁয়ত্রিশপঞ্চত্রিংশ৬৯ঊনসত্তরঊনসপ্ততি
    দুইদ্বিতীয়৩৬ছত্রিশষট্‌ত্রিংশ৭০সত্তরসপ্ততি
    তিনতৃতীয়৩৭সাঁইত্রিশসপ্তত্রিংশ৭১একাত্তরএকসপ্ততি
    চারচতুর্থ৩৮আটত্রিশঅষ্টাত্রিংশ৭২বাহাত্তরদ্বিসপ্ততি
    পাঁচপঞ্চম৩৯ঊনচল্লিশঊনচত্বারিংশ৭৩তিয়াত্তরত্রিসপ্ততি
    ছয়ষষ্ঠ৪০চল্লিশচত্বারিংশ৭৪চুয়াত্তরচতুঃসপ্ততি
    সাতসপ্তম৪১একচল্লিশএকচত্বারিংশ৭৫পঁচাত্তরপঞ্চসপ্ততি
    আটঅষ্টম৪২বিয়াল্লিশদ্বিচত্বারিংশ৭৬ছিয়াত্তরষট্‌সপ্ততি
    নয়নবম৪৩তেতাল্লিশত্রয়শ্চত্বারিংশ৭৭সাতাত্তরসপ্তসপ্ততি
    ১০দশদশম৪৪চুয়াল্লিশচতুঃচত্বারিংশ৭৮আটাত্তরঅষ্টসপ্ততি
    ১১এগারোএকাদশ৪৫পঁয়তাল্লিশপঞ্চচত্বারিংশ৭৯ঊনআশিঊনাশীতি
    ১২বারোদ্বাদশ৪৬ছেচল্লিশষট্‌চত্বারিংশ৮০আশিঅশীতি
    ১৩তেরোত্রয়োদশ৪৭সাতচল্লিশসপ্তচত্বারিংশ৮১একাশিএকাশীতি
    ১৪চৌদ্দচতুর্দশ৪৮আটচল্লিশঅষ্টচত্বারিংশ৮২বিরাশিদ্ব্যশীতি
    ১৫পনেরোপঞ্চদশ৪৯ঊনপঞ্চাশঊনপঞ্চাশৎ৮৩তিরাশিত্র্যশীতি
    ১৬ষোলোষোড়শ৫০পঞ্চাশপঞ্চাশৎ৮৪চুরাশিচতুরশীতি
    ১৭সতেরোসপ্তদশ৫১একান্নএকপঞ্চাশৎ৮৫পঁচাশিপঞ্চাশীতি
    ১৮আঠারোঅষ্টাদশ৫২বাহান্ন/বায়ান্নদ্বিপঞ্চাশৎ৮৬ছিয়াশিষড়শীতি
    ১৯উনিশঊনবিংশ৫৩তিপ্পান্নত্রিপঞ্চাশৎ৮৭সাতাশিসপ্তাশীতি
    ২০বিশ/কুড়িবিংশ৫৪চুয়ান্নচতুঃপঞ্চাশৎ৮৮অষ্টআশিঅষ্টাশীতি
    ২১একুশএকবিংশ৫৫পঞ্চান্নপঞ্চপঞ্চাশৎ৮৯ঊননব্বইঊননবতি
    ২২বাইশদ্বাবিংশ৫৬ছাপ্পান্নষট্‌পঞ্চাশৎ৯০নব্বইনবতি
    ২৩তেইশত্রয়োবিংশ৫৭সাতান্নসপ্তপঞ্চাশৎ৯১একানব্বইএকনবতি
    ২৪চব্বিশচতুর্বিংশ৫৮আটান্নঅষ্টপঞ্চাশৎ৯২বিরানব্বইদ্বিনবতি
    ২৫পঁচিশপঞ্চবিংশ৫৯ঊনষাটঊনষষ্টি৯৩তিরানব্বইত্রিনবতি
    ২৬ছাব্বিশষট্‌বিংশ৬০ষাটষষ্টি৯৪চুরানব্বইচতুর্নবতি
    ২৭সাতাশসপ্তবিংশ৬১একষট্টিএকষষ্টি৯৫পঁচানব্বইপঞ্চনবতি
    ২৮আটাশঅষ্টাবিংশ৬২বাষট্টিদ্বিষষ্টি৯৬ছিয়ানব্বইষন্নবতি
    ২৯ঊনত্রিশঊনত্রিংশ৬৩তেষট্টিত্রিষষ্টি৯৭সাতানব্বইসপ্তনবতি
    ৩০ত্রিশত্রিংশ৬৪চৌষট্টিচতুঃষষ্টি৯৮আটানব্বইঅষ্টনবতি
    ৩১একত্রিশএকত্রিংশ৬৫পঁয়ষট্টিপঞ্চষষ্টি৯৯নিরানব্বইনবনবতি
    ৩২বত্রিশদ্বাত্রিংশ৬৬ছেষট্টিষট্‌ষষ্টি১০০একশএকশত
    ৩৩তেত্রিশত্রয়োত্রিংশ৬৭সাতষট্টিসপ্তষষ্টি
    ৩৪চৌত্রিশচতুর্ত্রিংশ৬৮আটষট্টিঅষ্টষষ্টি
  • পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা(Polar coordinate system)

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা(Polar coordinate system)

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা (ইংরেজি: (Polar coordinate System) এক ধরনের দ্বিমাত্রিক স্থানাংক ব্যবস্থা যেখানে সমতলের প্রতিটি বিন্দুর অবস্থান একটি নির্দিষ্ট বিন্দু ও একটি নির্দিষ্ট অক্ষরেখার সাপেক্ষে নির্নয় করা হয়। নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার সাপেক্ষ বিন্দু ও নির্দিষ্ট রেখাটিকে সাপেক্ষ রেখা বলে।

    মূল বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় সাপেক্ষ বিন্দু এবং একটি নির্দিষ্ট অনুভুমিক অক্ষ L কে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ হিসাবে ধরা হয়। মূল বিন্দু থেকে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় প্রকাশিত বিন্দুর দুরত্বকে ব্যাসার্ধ ভেক্টর বা ব্যাসার্ধ বলা হয় যা r দ্বারা প্রকাশ করা হয় (উল্লেখ্য ব্যাসার্ধ ভেক্টর r একটি ধনাত্বক স্কেলার সংখ্যা) এবং r এর সাথে সাপেক্ষ বা মূল অক্ষ L এর উৎপন্ন ধনাত্বক কোণকে ভেক্টরিয়াল কোণ বলে যা θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় (r,θ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।[১]

    প্রকাশের উপায়

    বিভিন্ন কোণের মাধ্যমে ষাট মূলক পদ্ধতিতে একটি পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    Polar coordinate system

    ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকে θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]

    সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

    প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    Polar coordinate system

    কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।

    Polar coordinate system

    ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকে θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]

    সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

    প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    Polar coordinate system

    কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।

    Polar coordinate system

    ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকে θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]

    সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

    প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    Polar coordinate system

    কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।

    Polar coordinate system

    ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকে θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]

    সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

    প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    1.Polar coordinate system

    কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।

    2.Polar coordinate system

    ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকে θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।

    পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]

    সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।

    প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা

    Polar coordinate system

    কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।

  • বক্রতার কেন্দ্র(center of curvature)

    বক্রতার কেন্দ্র(center of curvature)

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    বক্ররেখাস্থ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর জন্য বক্র রেখাটির বক্রতার কেন্দ্র বক্র রেখাটির অবতল অংশের দিকে অবস্থিত এমন একটি বিন্দু যা বক্ররেখাটির উক্ত বিন্দুটিতে সর্বাধিক পরিমাণে সেঁটে যায় এরূপ কোন বৃত্তের (চুম্বনকারী বৃত্ত) কেন্দ্রকে নির্দেশ করে। এছাড়াও আলোকবিজ্ঞানে কোন লেন্স বা গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে ঐ লেন্স বা গোলীয় দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

    center of curvature

    বক্ররেখার বক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।

  • বিশ্ব (World)

    বিশ্ব (World)

    পৃথিবী হ’ল গ্রহ পৃথিবী এবং এটিতে মানব সভ্যতা সহ সমস্ত জীবন[১] একটি দার্শনিক প্রসঙ্গে, “বিশ্ব” হ’ল পুরো শারীরিক ইউনিভার্স বা একটি অনটোলজিকাল ওয়ার্ল্ড (কোনও ব্যক্তির “বিশ্বের”)। ধর্মতাত্ত্বিক প্রেক্ষাপটে, পৃথিবী বস্তুবাদী বা অশ্লীল ক্ষেত্র, যেমন আকাশের, আধ্যাত্মিক, ক্ষুদ্র বা পবিত্র ক্ষেত্রের বিপরীতে। ” বিশ্বের শেষ ” পরিস্থিতি মানব ইতিহাসের সমাপ্তি নির্দেশ করে, প্রায়শই ধর্মীয় প্রসঙ্গে।

    পৃথিবীর ইতিহাস সাধারণত প্রথম সভ্যতা থেকে বর্তমান অবধি প্রায় পাঁচ সহস্রাব্দের বৃহত ভূ-রাজনৈতিক বিকাশ হিসাবে বিস্তৃত হিসাবে বোঝা যায়। বিশ্ব ধর্ম, বিশ্ব ভাষা, বিশ্ব সরকার এবং বিশ্বযুদ্ধের মতো পদে বিশ্ব শব্দটি বিশ্বের প্রতিটি অংশের অগত্যা অংশগ্রহণকে প্রভাবিত না করেই একটি আন্তর্জাতিক বা আন্তঃমহাদেশীয় সুযোগের পরামর্শ দেয়।

    বিশ্বের জনসংখ্যা যে কোনও সময়ে সমস্ত মানুষের জনসংখ্যার যোগফল; একইভাবে, বিশ্ব অর্থনীতি হ’ল বিশেষত বিশ্বায়নের প্রেক্ষাপটে সমস্ত সমাজ বা দেশগুলির অর্থনীতির যোগফল। ” ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ “, ” গ্রস ওয়ার্ল্ড প্রোডাক্ট ” এবং ” ওয়ার্ল্ড ফ্ল্যাগস ” এর মতো পদগুলি সমস্ত সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমষ্টি বা সংমিশ্রণকে বোঝায়।

    World

    ইংরেজি শব্দ বিশ্বের থেকে আসে প্রাচীন ইংরেজি weorold (-uld), weorld, worold (-uld, -eld), একটি যৌগ Wer “মানুষ” এবং বৃদ্ধাবস্থা “বয়স,” যা এইভাবে মানে মোটামুটিভাবে “ম্যান বয়স।” [২] ওল্ড ইংলিশ হ’ল কমন জার্মানিক * ওয়াইরা-আলিজের প্রতিচ্ছবি, এটি ওল্ড স্যাকসন ওয়ারোড, ওল্ড ডাচ ওয়ারিল্ট, ওল্ড হাই জার্মান ওয়েরাল্ট, ওল্ড ফ্রিশিয়ান ওয়ার্ড এবং ওল্ড নর্স ভার্ল্ড (যেখান থেকে আইসল্যান্ডীয় ভার্ল্ড ) প্রতিফলিত হয়েছে[৩] World

    লাতিন ভাষায় অনুরূপ শব্দটি মুন্ডাস, আক্ষরিক অর্থে “পরিষ্কার, মার্জিত”, নিজেই গ্রিক বিশ্বজগতের loan অনুবাদ “সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা”। যদিও জার্মানি শব্দটি “ডোমেন অব ম্যান” ( মিডগার্ডের তুলনা) এর পৌরাণিক ধারণাটি প্রতিফলিত করে, সম্ভবত একদিকে divine শ্বরিক ক্ষেত্রের বিপরীতে এবং অন্যদিকে আন্ডারওয়ার্ল্ডের চিতোনিক গোলকের বিপরীতে, গ্রিকো-ল্যাটিন শব্দটি প্রকাশ করেছে বিশৃঙ্খলার বাইরে আদেশ প্রতিষ্ঠার কাজ হিসাবে সৃষ্টির ধারণা

    “বিশ্ব” সমগ্র আলাদা গ্রহের বা জনসংখ্যা কোন বিশেষ থেকে দেশ বা অঞ্চল : বিশ্বের বিষয়াবলি মাত্র এক জায়গা কিন্তু সমগ্র বিশ্বের না থাকা, এবং বিশ্ব ইতিহাসের একটি ক্ষেত্র ইতিহাস বলেন বিশ্বব্যাপী (বদলে জাতীয় বা থেকে ইভেন্টগুলি পরীক্ষা একটি আঞ্চলিক) দৃষ্টিকোণ। অন্যদিকে, পৃথিবী একটি গ্রহকে একটি ভৌত সত্তা হিসাবে উল্লেখ করে এবং অন্যান্য গ্রহ এবং দৈহিক বস্তু থেকে পৃথক করে।

    “ওয়ার্ল্ড” শব্দগতভাবে বৈষয়িক মহাবিশ্ব বা মহাবিশ্বকে বোঝাতেও ব্যবহৃত হত: “দুনিয়াটি হিউইন এবং মাটির একটি অপ্ট ফ্রেম এবং এর মধ্যে থাকা সমস্ত অন্যান্য ন্যাচারাল পাতাগুলি রয়েছে।” [৪] পৃথিবীকে প্রায়শই “বিশ্বের কেন্দ্র” হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। [৫]

    এই শব্দটি বিশেষত ব্যবহার করা যেতে পারে, যার অর্থ “গ্লোবাল”, বা “সমগ্র বিশ্বের সাথে সম্পর্কিত”, বিশ্ব সম্প্রদায় বা বিশ্ব আধ্যাত্মিক গ্রন্থের মতো ব্যবহারগুলি তৈরি করে। [৬]

    World

    এক্সটেনশন দ্বারা, একটি পৃথিবী যে কোনও গ্রহ বা স্বর্গীয় দেহকে উল্লেখ করতে পারে, বিশেষত যখন এটি অধ্যুষিত হিসাবে বিবেচিত হয়, বিশেষত বিজ্ঞান কল্পকাহিনী বা ভবিষ্যতত্ত্বের প্রসঙ্গে।

    বিশ্ব, তার মূল অর্থে, যখন যোগ্য হয়, তখন মানুষের অভিজ্ঞতার একটি নির্দিষ্ট ডোমেনকেও উল্লেখ করতে পারে।

    • কাজের জগতের অর্থ গৃহকর্ম এবং একাডেমিক অধ্যয়ন থেকে আলাদা করার জন্য তার সমস্ত সামাজিক দিকগুলিতে অর্থ প্রদানের কাজ এবং একটি ক্যারিয়ারের অনুধাবনকে বর্ণনা করে।
    • ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড ডিজাইনার, ফ্যাশন হাউস এবং ফ্যাশন শিল্প তৈরির ভোক্তাদের পরিবেশ বর্ণনা করে।
    • ঐতিহাসিকভাবে, নিউ ওয়ার্ল্ড বনাম ওল্ড ওয়ার্ল্ড, আবিষ্কারের যুগের প্রেক্ষাপটে izedপনিবেশিকৃত বিশ্বের অংশগুলি উল্লেখ করে। বর্তমানে বেশিরভাগ প্রাণী ও উদ্ভিদবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন নিউ ওয়ার্ল্ড বানরের মতো ।

    দর্শন

    বিশ্ব

    গার্ডেন অফ আর্থলি ডিলাইটস ট্রিপটিচ হায়ারনামাস বোশ ( আনু. 1503 ) জান্নাত এবং জাহান্নাম দ্বারা flanked জাগতিক আনন্দ “বাগান” দেখায়। বাহ্যিক প্যানেল মানবতার উপস্থিতির আগে বিশ্বকে দেখায়, একটি গোলকের সাথে সংযুক্ত একটি ডিস্ক হিসাবে চিত্রিত হয়।

    World

    দর্শনে, শব্দটি শব্দের বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য অর্থ রয়েছে। কিছু প্রসঙ্গে, এটি বাস্তবতা বা দৈহিক মহাবিশ্বকে তৈরি করে এমন সমস্ত কিছুকে বোঝায়। অন্যদের মধ্যে, এর অর্থ একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টোলজিকাল বোধ থাকতে পারে ( বিশ্ব প্রকাশ দেখুন )। বিশ্বের ধারণাটি স্পষ্টরূপে পশ্চিমা দর্শনের মূল কাজগুলির মধ্যে বরাবরই ছিল, তবে এই থিমটি বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকেই স্পষ্টভাবে উত্থাপিত হয়েছে বলে মনে হয় [৭] এবং এটি ধারাবাহিক বিতর্কের বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবী কী তা নিয়ে কোনওভাবেই নিষ্পত্তি হয় নি।

    Parmenides

    পারমানাইডের কাজের ঐতিহ্যবাহী ব্যাখ্যাটি হ’ল তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে দৈহিক বিশ্বের বাস্তবতার দৈনন্দিন উপলব্ধিটি ( ডক্সায় বর্ণিত) ভুল হয়েছে, এবং বিশ্বের বাস্তবতা হ’ল ‘ওয়ান বিয়িং’ (অ্যালেথিয়াতে বর্ণিত): একটি অপরিবর্তনীয়, অজানা, অবিনাশী পুরো।

    তার অ্যালিগরি অফ দ্য গুহায়, প্লেটো রূপ ও ধারণার মধ্যে পার্থক্য করে এবং দুটি স্বতন্ত্র জগতের কল্পনা করেন: বোধগম্য পৃথিবী এবং বোধগম্য পৃথিবী।

    হেগেল

    জর্জি উইলহেলম ফ্রিডরিচ হেইগেলের ইতিহাসের দর্শনশাস্ত্রে, ওয়েলটগেসিচেট ইস্ট ওয়েল্টগারিচ্ট (বিশ্ব ইতিহাস একটি ট্রাইব্যুনাল যা বিশ্বকে বিচার করে) এই দৃষ্টিভঙ্গিটি ব্যবহার করার জন্য ব্যবহৃত হয় যে পুরুষদের বিচার, ইতিহাস এবং তাদের মতামত ইতিহাস is বিজ্ঞানের জন্ম মানব জীবনের সাথে বিশ্ব পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থেকে; এর চূড়ান্ত শেষটি প্রযুক্তিগত প্রয়োগ।

    শোপেনহাওয়ার

    উইল অ্যান্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ ওয়ার্ল্ড হ’ল আর্থার শোপেনহয়েরের কেন্দ্রীয় কাজ। শোপেনহয়ের উপস্থাপনার পিছনে বিশ্বের কাছে আমাদের এক উইন্ডো হিসাবে মানুষের ইচ্ছাটিকে দেখেছিলেন; ক্যান্টিয়ান নিজেই। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন, তাই আমরা নিজে থেকেই জিনিস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারি, কান্ট যা কিছু বলেছিলেন তা অসম্ভব, যেহেতু উপস্থাপন এবং জিনিস-ইন-ইন-এর মধ্যে বাকি সম্পর্কটি মানুষের ইচ্ছার এবং সম্পর্কের মধ্যে সাদৃশ্য দ্বারা বোঝা যায় মানুষের শরীর.

    Wittgenstein

    দুটি সংজ্ঞা যা উভয়ই 1920 এর দশকে সামনে রেখে দেওয়া হয়েছিল, তবে এটি উপলব্ধ মতামতের পরিসীমা নির্দেশ করে। “পৃথিবী যা কিছু তা-ই,” ১৯১২ সালে প্রথম প্রকাশিত তার প্রভাবশালী ট্র্যাক্যাটাস লজিকো-ফিলোসফিকাসে লুডভিগ উইটজেনস্টাইন লিখেছিলেন। [৮] এই সংজ্ঞাটি যৌক্তিক পজিটিভিজমের ভিত্তি হিসাবে কাজ করবে, এমন ধারণা নিয়ে যে ঠিক সেখানেই একটি বিশ্ব রয়েছে, পৃথক লোকেরা যে ব্যাখ্যা করতে পারে তা নির্বিশেষে তথ্যগুলির সামগ্রিকতার সমন্বয়ে।

    হাইডেগার

    এদিকে মার্টিন হাইডেগার যুক্তি দিয়েছিলেন যে “আশেপাশের পৃথিবী আমাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা, এবং তা সত্ত্বেও আমরা একটি সাধারণ পৃথিবীতে চলেছি”। [৯] হাইডেগারের পক্ষে বিশ্বটি এমন ছিল যা আমরা সর্বদা ইতোমধ্যে “নিক্ষিপ্ত” হয়ে থাকি এবং যার সাথে আমরা অবশ্যই পৃথিবীতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠি। তার ” ওয়ার্ল্ড ডিসকোসোলেজার ” ধারণাটি তার ১৯২27 সালের কাজ বেইনিং টাইম- এ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল।

    ফ্রয়েড

    জবাবে, সিগমুন্ড ফ্রয়েড প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে আমরা একটি সাধারণ পৃথিবীতে চলি না, তবে একটি সাধারণ চিন্তার প্রক্রিয়া। তিনি বিশ্বাস করতেন যে কোনও ব্যক্তির সমস্ত ক্রিয়াকলাপ একটি জিনিস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়: লালসা। এটি প্রতিক্রিয়াশীল চেতনা সম্পর্কে অসংখ্য তত্ত্বের দিকে পরিচালিত করে।

    অন্যান্য

    কিছু দার্শনিক, প্রায়শই ডেভিড লুইস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে যুক্তি দেন যে সম্ভাবনা, সম্ভাবনা এবং প্রয়োজনীয়তার মতো রূপক ধারণাগুলি বিশ্বের সম্ভাব্য বিশ্বের সাথে তুলনা করে সর্বোত্তম বিশ্লেষণ করা হয়; একটি দৃশ্য যা সাধারণত মডেল রিয়েলিজম হিসাবে পরিচিত।

    ধর্ম ও পুরাণ

    ইয়েজিড্রেসিল, নর্স ওয়ার্ল্ড ট্রি যা আকাশ, বিশ্ব এবং পাতালকে সংযুক্ত করে তার পুনর্গঠনের একটি আধুনিক প্রচেষ্টা।

    পৌরাণিক কসমোলজগুলি প্রায়শই বিশ্বকে একটি অক্ষ মুন্ডির কেন্দ্রিক হিসাবে চিত্রিত করে এবং একটি মহাসাগর, একটি বিশ্ব সর্প বা অনুরূপ হিসাবে একটি সীমানা দ্বারা সীমিত করা হয়। কিছু ধর্মে, পার্থিবতা (যাকে carnality বলা হয়) [১০][১১] হ’ল যা এই পৃথিবীর সাথে অন্যান্য জগৎ বা রাজ্যের বিপরীতে সম্পর্কিত।

    বৌদ্ধধর্ম

    বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্ব মানেই সমাজ, মঠ থেকে পৃথক। এটি বৈষয়িক জগতকে বোঝায় এবং সম্পদ, খ্যাতি, চাকরি এবং যুদ্ধের মতো পার্থিব লাভকে বোঝায়। আধ্যাত্মিক জগৎ আলোকিত করার পথ হবে এবং আমরা মনস্তাত্ত্বিক জগতকে কল করতে পারি এমন পরিবর্তনের চেষ্টা করা হবে।

    খ্রীষ্টধর্ম

    ইন খ্রীষ্টধর্ম শব্দটি প্রায়ই ধারণা শব্দের অর্থ হল পতিত মানব সমাজের এবং দুর্নীতিগ্রস্ত ওয়ার্ল্ড অর্ডার, এর বিপরীতে পরকালে । খ্রিস্টানদের পালানো উচিত এই প্রলোভনের একটি উৎস হিসাবে বিশ্বকে প্রায়শই মাংস এবং শয়তানের পাশাপাশি উদ্ধৃত করা হয়। ভিক্ষু হতে striving তো দূরের কথা “এই বিশ্বের, কিন্তু না পার্থিব” -as যীশু বললেন-এবং শব্দ “worldhood” “সন্ন্যাস” থেকে আলাদা করা হয়েছে, সাবেক বণিকেরা নেতারা এবং অন্যান্যরা যারা মোকাবেলা অবস্থা হচ্ছে “পার্থিব” জিনিসগুলির সাথে।

    এই দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্টরূপে ইংরাজের কিং আলফ্রেড (খ্রি। 899) তার বিখ্যাত কুরা প্যাসোরালিসের বিখ্যাত উপস্থাপনায় প্রকাশ করেছেন:   “অতএব আমি আপনাকে আদেশ করি যে আমি বিশ্বাস করি যে আপনি করতে ইচ্ছুক, আপনি নিজেকে পার্থিব বিষয়গুলি থেকে মুক্ত করুন (প্রাচীন ইংরেজি: ওয়ারুলডিংঙ্গ) যতবার আপনি পারেন, যাতে আপনি যেখানেই ঈশ্বর আপনাকে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন তা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, আপনি প্রতিষ্ঠা করুন এটিকে বিবেচনা করুন, যখন আমরা নিজেরাই জ্ঞানকে একেবারেই পছন্দ করিনি, বা অন্য পুরুষদের কাছে প্রেরণ করিনি তখন এই দুনিয়ায় আমাদের কী শাস্তি ঘটবে তা বিবেচনা করুন; আমরা একাই নাম রেখেছিলাম যে আমরা খ্রিস্টান, এবং খুব কম লোকই এর রীতি অনুসরণ করেছিল।

    World”

    যদিও “পৃথিবী” অর্থ হিব্রু এবং গ্রিক শব্দগুলি সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন ধরণের সাথে শাস্ত্রে ব্যবহৃত হয়, তবে যোহানের সুসমাচার অনুসারে যিশুর শিক্ষায় এই নির্দিষ্ট অর্থে এর ব্যবহারের অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়, যেমন 7:,, ৮ : 23, 12:25, 14:17, 15: 18-19, 17: 6-25, 18:36। বিপরীতে, তুলনামূলকভাবে নতুন ধারণাটি হল ক্যাথলিক কল্পনা ।

    কনটেমপাস মুন্ডি নামটি এই স্বীকৃতি হিসাবে দেওয়া হয়েছে যে পৃথিবী, তার সমস্ত অহংকারে, ভাল এবং পবিত্রতার জন্য আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে রেখে fromশ্বরের কাছ থেকে আড়াল করার নিরর্থক প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। [১২] আধুনিক ianতিহাসিক জিন ডেলিউউ এই “দৃষ্টিভঙ্গির যাজক” হিসাবে এই দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেছেন। [১৩]

    দ্বিতীয় ভ্যাটিকান কাউন্সিলের সময়, বিশ্বের একটি ইতিবাচক ধর্মতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশের একটি অভিনব প্রচেষ্টা ছিল যা গৌডিয়াম এট স্পেস, লুমেন জেনটিয়াম, ইউনিট্যাটিস রিডিনটগ্রিও এবং ডিগনিটিস হিউম্যানি সংবিধানের যাজকবাদী আশাবাদ দ্বারা চিত্রিত হয়েছে।

    পূর্ব খ্রিস্টান

    পূর্ব খ্রিস্টান সন্ন্যাসবাদ বা তপস্যাবাদে মানবজাতির বিশ্ব আবেগ দ্বারা চালিত। অতএব, বিশ্বের আবেগকে কেবল “বিশ্ব” বলা হয়। এই আবেগগুলির প্রতিটি মানবজাতির জগতের বা মানব সমাজের শৃঙ্খলার একটি লিঙ্ক। এই ব্যক্তির প্রত্যেকটি আকাঙ্ক্ষাকে অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে যাতে একজন ব্যক্তির পরিত্রাণ পেতে পারে ( তাত্ত্বিকতা )। থিসিসিসের প্রক্রিয়া হ’ল withশ্বরের সাথে একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক।

    World

    এই বোঝাপড়াটি এভাগ্রিয়াস পন্টিকাসের মতো তপস্বী কাজের মধ্যে শেখানো হয় এবং পূর্বের খ্রিস্টানরা, ফিলোকালিয়া এবং দ্য Asশ্বরিক অ্যাসেন্টের সিঁড়ি (ইভাগ্রিয়াস এবং জন ক্লাইম্যাকাসের কাজগুলিও ফিলোকালিয়ায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে) দ্বারা সর্বাধিক বিস্ময়কর তাত্পর্যপূর্ণ কাজগুলি পড়ে থাকে। বিশ্ব অতিক্রমের সর্বোচ্চ স্তরে হাইক্যাচেম যা the শ্বরের দৃষ্টিতে পৌঁছায় ।

    অরবিস ক্যাথলিকাস

    অরবিস ক্যাথলিকাস লাতিন বাক্যাংশ যার অর্থ ক্যাথলিক বিশ্ব, উরবি এট অরবি অভিব্যক্তি অনুসারে এবং পাপাল আধিপত্যের অধীনে খ্রিস্টীয় জগতের সেই অঞ্চলটিকে বোঝায়। এটি ধর্মনিরপেক্ষ বিশ্ব, ইহুদি বিশ্ব এবং ইসলামী বিশ্বের বাক্যাংশগুলির সাথে কিছুটা মিল।

    ইসলাম

    দুনিয়া মূলত আরবী শব্দ دنا (উচ্চারণ-দানাা) থেকে এসেছে যার অর্থ কাছাকাছি পৌঁছা, নিকটবর্তী হওয়া। সেই হিসেবে دنيا “দুনিয়া” অর্থ হলো- “যা খুবই নিকটে” এই নামকরণের কারণ হলো- ইসলাম পরকালে বিশ্বাস করে, তাই পরকাল হল দূরবর্তী। আর ইহকাল হল নিকটবর্তী।[১৪] [পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন] তাফসীরে মারিফুল কুরআনে সূরা ফাতিহার তাফসীরে আলম শব্দের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে আলম এর ভিতর পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টি অন্তর্ভুক্ত। বিশ্ব শব্দটিকে আরবিতে আলম বলে। কোরআনুল কারীমের প্রথম সূরায় আলম শব্দটি বহুবচনের ব্যবহৃত হয়েছে। আলম শব্দের অর্থ দুভাগে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    প্রথমভাগে বলা হয়েছে আলম অর্থ জগৎ। এই জগত হতে পারে বিভিন্ন প্রকারের। যেমন মানুষের জগৎ, জ্বীনদের জগৎ, ফেরেশতার জগত, পশুকুলের জগত, পক্ষীকুলের জগৎ, কীট পতঙ্গের জগত ইত্যাদি। ইহ জগতে সৃষ্ট সকল প্রাণীকুল এই আলম বা বিশ্বের অংশীদার বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। ফলে আলম শব্দের বিশ্ব অর্থটা ইহ জগতের ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবহার স্বাভাবিক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপে বিশ্ব জগত বা আলমের অর্থে আরো কিছু সন্নিবেশিত হতে পারে এই সম্ভাবনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে এইভাবে যে, চিন্তা করলে আরো বহু বিষয় জগতের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ স্বাভাবিক অর্থ তো ইহজগৎ।

    কিন্তু চিন্তাও গবেষণা করলে ইহজগতের বাহিরের বহু বস্তুকে বিশ্বের অংশ হিসেবে সাব্যস্ত করা যায়। যেমন সৌরজগতের বাহিরের বহু জগৎ এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। দেখুন তাফসীরে মারেফুল কোরআন পৃষ্ঠা নম্বর ৩। সুতরাং আলম শব্দের প্রাথমিক অর্থ ইহজগৎ হলে বিশ্ব শব্দের অর্থ‌ও ইহজগৎ হবে। আলম শব্দের ভিতর চিন্তর মাধ্যমে অন্যান্য জগৎ যুক্ত হতে পারলে বিশ্ব শব্দের মধ্যে‌ও অন্যান্য জগৎ যুক্ত হতে পারে।

    হিন্দুধর্ম

    হিন্দু ধর্ম একটি ভারতীয় ধর্ম এবং ধর্ম, বা জীবন উপায়ে, ব্যাপকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ভারতীয় ধর্মীয় traditionsতিহ্য রয়েছে যা আন্তঃসংযোগের সাথে Jainিলে senseালা সংবেদনের সাথে জৈন ও বৌদ্ধধর্ম থেকে পৃথক এবং (মধ্যযুগীয় ও আধুনিক কাল থেকে) ইসলাম ও খৃষ্টধর্মের সাথে পৃথক রয়েছে। হিন্দু ধর্মকে বলা হয় বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্ম। [নোট 1]

  • পৃথিবীর গঠন(The structure of the earth)

    পৃথিবীর গঠন(The structure of the earth)

    পৃথিবীর অভ্যন্তরীন গঠনপৃথিবীর গঠন(The structure of the earth) অনেকটা পেয়াজের মতো বিভিন্ন খোলসাকৃতির স্তরে বিন্যস্ত। এই স্তরগুলোকে তাদের বস্তুধর্ম এবং রাসায়নিক ধর্ম দিয়ে সংজ্ঞায়িত করা যায়। পৃথিবীর বাহিরের দিকে রয়েছে সিলিকেট দিয়ে তৈরি কঠিন ভূত্বক বা ক্রাস্ট, তারপর অত্যন্ত আঠালো একটি ভূ-আচ্ছাদন বা ম্যান্টল, একটি বহিঃস্থ মজ্জা বা কোর যেটি ম্যান্টলের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম আঠালো এবং সব শেষে একটি অন্তঃস্থ মজ্জা। পৃথিবীর অভ্যন্তরীন গঠন বৈজ্ঞানিক ভাবে বোঝার জন্য কোন স্থানের ভূসংস্থান এবং গভীরতা, বহিঃস্থ এবং অন্তঃস্থ শিলাস্তর, আগ্নেয়গিরি এবং অগ্ন্যুৎপাত, মহাকর্ষীয় এবং তরিৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিমাপ, ভূকম্পন তরঙ্গের বিশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়।

    পৃথিবীর ভর

    পৃথিবীর ভর নির্ণয় করার জন্য অভিকর্ষজ বল এর কারণে নির্গত শক্তি পরিমাপ করা হয়ে থাকে। এছাড়া জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপগ্রহের ঘূর্ণন থেকেও এটি পরিমাপ করতে পারেন। পৃথিবীর গড় ঘণত্ব পরিমাপ করা হয় অভিকর্ষীয় দোলক ব্যবহার করে। পৃথিবীর ভর হলো ৬×১০২৪ কিলোগ্রাম।[১]

    ভূ-গঠন

    প্রিলিমিনিরি রেফারেন্স আর্থ মডেল অনুযায়ী পৃথিবীর ঘণত্বের অরীয় বন্টন[২]

    The structure of the earth

    প্রিলিমিনারি রেফারেন্স আর্থ মডেল অনুযায়ী পৃথিবীর অভিকর্ষ;[২] পৃথিবীর অভ্যন্তরীন ঘণত্বের ধ্রুবক এবং রৈখিক তুলনা।

    The structure of the earth

    ভূমিকম্প তরঙ্গের সাহায্যে পৃথিবীর অভ্যন্তরীন চিত্র দেখানো হয়েছে

    পৃথিবীর অভ্যন্তরীন অংশের বিন্যস্ত চিত্র। ১. মহাদেশীয় ভূ-ত্বক – ২. মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক – ৩. উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন – ৪. নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন – ৫. বহিঃস্থ মজ্জা – ৬. অন্তঃস্থ মজ্জা – এ: মহো বিচ্ছিন্নতা – বি: গুটেনবার্গ বিচ্ছিন্নতা– সি: লেমান-বুলেন বিচ্ছিন্নতা

    পৃথিবীর গঠনকে দু’ভাবে বর্ণনা করা যায়। এক- যান্ত্রিক উপায়ে যেমন, বস্তুবিদ্যা, অথবা দুই- রাসায়ানিক ভাবে। যান্ত্রিক ভাবে দেখলে, পৃথিবীকে অশ্বমন্ডল, আস্থেনোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, বহিঃস্থ মজ্জা এবং অন্তঃস্থ মজ্জা এই ক’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর রাসায়নিক ভাবে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়েছে ভূত্বক, উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন, নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন, বহিঃস্থ মজ্জা এবং অন্তঃস্থ মজ্জা এই ক’টি ভাগে। ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর ভূ-তাত্ত্বিক উপদানগুলোর গভীরতা[৩] নিচের তালিকায় দেখানো হয়েছে।

    গভীরতা (কিলোমিটার)গভীরতা (মাইল)স্তর
    ০-৬০০-৩৫অশ্বমন্ডল (সাধারণত ৫-২০০ কিমি গভীর)
    ০-৩৫০-২২ভূত্বক (সাধারণত ৫-৭০ কিমি গভীর)
    ৩৫-৬০২২-৩৭ভূ-আচ্ছাদনের সবচেয়ে উপরিভাগ
    ৩৫-২,৮৯০২২-১৭৯০ভূ-আচ্ছাদন
    ২১০-২৭০১৩০-১৬৮উচ্চ মেসোমণ্ডল ( উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন)
    ৬৬০-২,৮৯০৪১০-১,৭৯০নিম্ন মেসোমণ্ডল (নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন)
    ২,৮৯০-৫,১৫০১,৭৯০-৩,১৬০বহিঃস্থ মজ্জা
    ৫,১৫০-৬,৩৬০৩,১৬০-৩,৯৫৪অন্তঃস্থ মজ্জা

    পৃথিবীর এই ধরনের স্তর বিন্যাস পরোক্ষ ভাবে বিভিন্ন সময়ে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট ভূ-কম্পন তরঙ্গের প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ভূ-মজ্জার কোন একটি অংশে যখন শিয়ার ওয়েভের চেয়ে ভিন্ন গতিবেগের ভূ-কম্পন তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, তখন সাধারণত শিয়ার ওয়েভ বা মাধ্যমিক ভূ-তরঙ্গ ভূ-মজ্জার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। আলো যে ভাবে প্রিজমের মধ্য দিয়ে যাবার সময় বেঁকে যায়, সেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন স্তরে ভূ-কম্পন তরঙ্গ তার গতিবেগের ভিন্নতার কারণে প্রতিসৃত হয়; এই প্রতিসরণ হয়ে থাকে স্নেলের সূত্র অনুযায়ী। একইভাবে প্রতিফলনের কারণে ভূ-কম্পন তরঙ্গের গতিবেগ অনেক বেশি বেড়ে যায়, ঠিক যেভাবে আয়নায় প্রতিফলিত হয়ে আলো ছড়িয়ে যায় অনেক দিকে।

    ভূ-ত্বক

    সর্ববহিঃস্থ স্তরে পৃথিবীর গঠন(The structure of the earth)পৃথিবীর ভূ-ত্বকের গভীরতা সাধারণত ৫-৭০ কিলোমিটার (৩.১-৪৩.৫ মাইল) হয়ে থাকে। এই পাতলা স্তরটিকে বলা হয় মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক; যেটি সমুদ্র অববাহিকার (৫-১০ কিমি) নিচে অবস্থিত এবং ঘণ লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, সিলিকেট এবং বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় শিলা (যেমন, ব্যাসাল্ট) দিয়ে গঠিত। অপরদিকে, ভূ-ত্বকের তুলনামূলক পুরু স্তরটিকে বলে মহাদেশীয় ভূত্বক; যেটির ঘণত্ব মহাসাগরীয় ভূ-ত্বকের চেয়ে কম এবং সোডিয়াম, পটাশিয়াম, এলুমিনিয়াম ও সিলিকেট শিলা (যেমন- গ্র্যানাইট) দিয়ে গঠিত। ভূত্বকের শিলাগুলোকে দু’টো প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়। তা হলো, ১-সিয়াল এবং ২-সিমা। হিসেব করা দেখা গেছে, কোনার্ড বিচ্ছিন্নতা (দ্বিতিয় ধাপের বিচ্ছিন্নতা) যেখানে শুরু হয়, তার ১১ কিমি নিচ থেকে শুরু হয় সিমা স্তর। সর্ববহিঃস্থ ভূ-আচ্ছাদন এবং ভূত্বককে নিয়ে অশ্বমন্ডল গঠিত।

    The structure of the earth

    দু’টো প্রাকৃতিক ঘটনার মধ্য দিয়ে ভূ-ত্বক এবং ভূ-আচ্ছাদনের মধ্যকার সীমারেখা তৈরি হয়েছে। প্রথমত, ভূকম্পন-গতিবেগ বা সিসমিক গতিবেগের বিচ্ছিন্নতা, যেটাকে মহো বিচ্ছিন্নতা হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। শিলাস্তরের উপর দিকে প্লেজিওক্লেস ফ্লেডস্পার (এক ধরনের এলুমিনিয়াম-পটাশিয়াম সংমিশ্রণ) থাকা এবং নিচের দিকে না থাকার তারতম্যের কারণে তৈরি হয় মহো বিচ্ছিন্নতা। দ্বিতীয়ত, মহাসাগরীয় ভূ-ত্বকের পুঁজিভূত আগ্নেয়শিলা এবং সুগঠিত পাতালিক শিলার মধ্যে এক ধরনের রাসায়নিক বিচ্ছিন্নতা কাজ করে। এই ঘটনাটি দেখা যায় মহাসাগরীয় ভূত্বকের সুগভীর অংশে, যেখানে অফিওলাইট ক্রম অনুযায়ী মহাদেশীয় ভূত্বকের উপর মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক অভিলেপিত বা প্রলেপিত হয়েছে।

    ভূত্বকের অনেক শিলাই গঠিত হয়েছে ১০ কোটি বছর আগে। সবচেয়ে পুরনো খনিজ পদার্থ যেটি পাওয়া গেছে তার বয়স হলো ৪.৪ বিলিয়ন বছর। অর্থাৎ ভূত্বকের বয়স অন্তত ৪.৪ বিলিয়ন বছর।[৪]

    ভূ-আচ্ছাদন

    পৃথিবীর মানচিত্রে মহো বিচ্ছিন্নতা দেখানো হয়েছে।

    The structure of the earth

    ভূ-আচ্ছাদনের গভীরতা ২,৮৯০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরু স্তর। দু’টো ভাগে ভাগ করা যায় ভূ-আচ্ছাদনকে; উচ্চ আচ্ছাদন এবং নিম্ন আচ্ছাদন। এই দু’টো স্তর একটি পরিবৃত্তি এলাকা দ্বারা বিভাজিত হয়েছে। ভূ-ত্বকের সর্বনিম্ন অংশ, যেটা ভূ-ত্বক এবং ভূ-আচ্ছাদনের সীমারেখায় অবস্থিত, সেটাকে বলা হয় ডি″ (ডি ডাবল প্রাইম) স্তর।[৫] ভূ-আচ্ছাদনের নিম্নভাগে মোট চাপের পরিমাণ প্রায় ১৪০ গিগা প্যাসকেল (১.৪ মেগা বায়ুচাপ)। সিলিকেট শিলার মাধ্যমে ভূ-আচ্ছাদন গঠিত হয়। সিলিকেট শিলায় লোহা এবং ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ উপরিভাগের ভূ-ত্বকের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। যদিও ভূ-আচ্ছাদন কঠিন অবস্থায় থাকে, তবে উচ্চ তাপমাত্রার ফলে এটি এক সময় বেশ নমনীয় হয় এবং প্রায় তরলের মতোই প্রবাহিত হতে পারে। তবে এ ঘটনা ঘটতে লক্ষ-কোটি বছর সময় লেগে যাবে। টেকটনিক পাতের গতিবিধির কারণে এক সময় ভূ-পৃষ্ঠে ভূ-আচ্ছাদনের পরিচলন ঘটে। ভূ-আচ্ছাদনের গভীরে যত যাওয়া হয়, ভূ-চাপ ততোই বেড়ে যায় বলে ভূ-আচ্ছাদনের প্রবাহিত হবার ঘটনা উপরিভাগে বেশি ঘটে, নিচের দিকে ঘটে কম (বলা ভাল, ভূ-আচ্ছাদনের রাসায়নিক পরিবর্তনও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে)। গভীরতার উপর নির্ভর করে, ভূ-আচ্ছাদনের সান্দ্রতার ব্যাপ্তি  ১০২১ থেকে ১০২৪ প্যাসকেল-সেকেন্ড হতে পারে।[৬] তুলনামূলক আলোচনা করলে বলা যায়, পানির সান্দ্রতা প্রায় ১০−৩ প্যাসকেল-সেকেন্ড এবং আলকাতরার ১০ প্যাসকেল-সেকেন্ড। ভূ-আচ্ছাদনে তাপের অন্যতম উৎস হলো প্লেট টেকটোনিক থেকে আসা তাপ, এই তাপ একদম পৃথিবী গঠিত হবার শুরুর দিকে তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ভূ-ত্বকে থাকা ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম এবং পটাশিয়াম মৌলের তেজস্ক্রিয়তার ক্ষয় থেকেও ভূ-আচ্ছাদনের ভেতর তাপ জমা হয়ে থাকে।[৭]

    ভূ-মজ্জা

    পৃথিবীর গড় ঘণত্ব হলো ৫,৫১৫ কিলোগ্রাম/কিউবিক মিটার, কারণ ভূ পৃষ্ঠের উপাদানগুলোর গড় ঘণত্ব হলো মাত্র ৩,০০০ কিলোগ্রাম/কিউবিক মিটার। ভূ-মজ্জায় এর চেয়ে ঘণ উপাদান রয়েছে এটা অবশ্যই ধরে নিতে হবে। ভূকম্পীয় পরিমাপ থেকে দেখা যায় যে, ভূ-মজ্জা দু’টি অংশে বিভক্ত; একটি কঠিন অন্তঃস্থ মজ্জা (ব্যাসার্ধ ১,২২০ কিমি[৮] এবং একটি তরল বহিঃস্থ মজ্জা (ব্যাসার্ধ ৩,৪০০ কিমি)। বহিঃস্থ মজ্জায় ঘণত্বের ব্যাপ্তি হলো ৯,৯০০ থেকে ১২,২০০ কিলোগ্রাম/কিউবিক মিটার এবং অন্তঃস্থ মজ্জায় এটি ১২,৬০০-১৩,০০০ কিলোগ্রাম/কিউবিক মিটার।[৯]

    ১৯৩৬ সালে ইঙ্গ লিম্যান অন্তঃস্থ মজ্জা আবিষ্কার করেছিলেন। সাধারণত ধারণা করা হয় যে, অন্তঃস্থ মজ্জা প্রাথমিকভাবে শুধু লোহা এবং নিকেল দ্বারা গঠিত। অন্তঃস্থ মজ্জা সর্বত্র কঠিনই হবে এমন কোন কথা নেই, তবে যেহেতু এটি ভূ-কম্পন তরঙ্গকে পথচ্যুত করে তাই এটাকে মোটামুটি কঠিনই বলা যায়। এক সময় পরীক্ষালব্ধ প্রমাণের মাধ্যমে ভূ-মজ্জার স্ফটিক মডেলটিকে সমালোচিত করা হয়েছিল।[১০] তবে অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ চাপে ভূ-মজ্জা অন্য রকম আচরণ করে। স্থির হীরকের নেহাই পরীক্ষায় দেখা যায়, মজ্জা চাপের কারণে গলন তাপমাত্রা উৎপন্ন হতে পারে। স্থির শক লেজার পরীক্ষায় এই তাপমাত্রা ছিল প্রায় ২,০০০ কেলভিন।[১১][১২] লেজার পরীক্ষায় প্লাজমা উৎপন্ন করে জানা গেছে,[১৩] অন্তঃস্থ মজ্জা কঠিন নাকি কঠিনের ন্যায় প্লাজমা তার উপর অন্তঃস্থ মজ্জার চাপীয় অবস্থা নির্ভর করে। এ বিষয়ে এখনো গবেষণা চলছে

    The structure of the earth

    পৃথিবী গঠিত হবার শুরুর দিকের ধাপগুলো সংগঠিত হয়েছে সারে চার বিলিয়ন (৪.৫×১০৯) বছর আগে। গলন প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে অপেক্ষাকৃত ভারী বস্তুগুলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে ডুবে গিয়েছে এবং হালকা বস্তুগুলো ভূ-ত্বকে এসে জমা হয়েছে; এই ঘটনাটি পৃথিবীর পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় ভূ-মজ্জার সিংহভাগ উপাদান হলো লোহা (৮০%), সাথে কিছুটা নিকেল এবং আরও কিছু হালকা মৌল। হালকা মৌলগুলোকে একীভূত করার কাজে ঘণ উপাদানগুলোর, যেমন সীসা কিংবা ইউরেনিয়ামের খুবই সামান্যই অবদান ছিল। তাই তারা ভূ-ত্বকেই স্থায়ীভাবে থেকে গেছে। তবে অনেকে এটাও দাবী করে যে, অন্তঃস্থ মজ্জা একটি একক লৌহ স্ফটিক মাত্র।[১৪][১৫]

    গবেষণাগারে লোহা এবং নিকেলের একটি সংকর ধাতুর নমুনাকে ভূ-মজ্জার মতো চাপীয় অবস্থায় রেখে একটি হীরক ধারকের সাহায্যে আটকে ৪,০০০ কেলভিন তাপ দেওয়া হয়েছিল। নমুনাটিকে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল এক্স রে-র সাহায্যে। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বিজ্ঞানীদের ধারণা আরও পোক্ত হয়েছে যে পৃথিবীর অন্তঃস্থ মজ্জা একটি অতিকায় স্ফটিক দিয়ে তৈরি, যেটি উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে ধাবমান।[১৬][১৭]

    পৃথিবীর বহিঃস্থ তরল মজ্জাটি ভেতরের কঠিন মজ্জাকে ঘিরে রেখেছে। এটি লোহা, নিকেল এবং আরও কিছু লঘু ধাতু দিয়ে তৈরি।

    সাম্প্রতিক চিন্তাধারা বলে, অন্তঃস্থ মজ্জার একদম ভেতরের দিকে প্রচুর পরিমাণে স্বর্ণ, প্লাটিনাম এবং লৌহ রয়েছে।[১৮]

    পৃথিবী মৌলিকভাবে কিছু পদার্থের সাথে সম্পৃক্ত, যেসব পদার্থ উল্কাপাতের ফলে অগঠিত ভাবে পৃথিবীতে এসেছে, গলন প্রক্রিয়ার সময় সুগঠিত হয়েছে, যেগুলো কন্ড্রাইট মিটিওরাইট বা ধাতব শিলা নামে পরিচিত এবং যে পদার্থগুলো সূর্যের বাহ্যিক অংশের উপাদান।[১৯][২০] তাই পৃথিবী মূলত একটি ধাতব শিলা, এমন ধারণা পোষণ করার পেছনে যুক্তি রয়েছে। পৃথিবী একটি সাধারণ কন্ড্রাইট মিটিওরাইট যেটি এন্সটাটাইট মিটিওরাইট-কে (এটি একরকম পাইরক্সিন শিলা, মূলত ম্যাগনেসিয়াম সিলিকেট দিয়ে গঠিত) উপেক্ষা করে পৃথিবীর ভূমিরূপকে প্রভাবিত করে থাকে, এই ধারণার উপর ভিত্তি করে ১৯৪০ সালের দিকে ফ্রান্সিস বার্চ সহ বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা একটি ভূপ্রকৃতিবিদ্যা গঠন করেছে। এই দুই ধরনের মিটিওরাইটের মধ্যে পার্থক্য হলো, এন্সটাটাইট মিটিওরাইট তৈরি হয়েছে সীমিত পরিমাণ অক্সিজেনের উপস্থিতিতে, যার ফলে বিভিন্ন অক্সিফাইল উপাদানগুলো আংশিক বা সম্পূর্ণ রূপে ভূ-মজ্জায় সংকর ধাতু হিসেবে জমা হয়েছে।

    The structure of the earth

    ডাইনামো মতবাদ বলছে যে পৃথিবীর বহিঃস্থ মজ্জার পরিচলন এবং কোরিওলিস প্রভাব সম্মিলিত ভাবে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরিতে সাহায্য করে। কঠিন অন্তঃস্থ মজ্জাটি এতই উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে যে সেটি কোন স্থায়ী চৌম্বকক্ষেত্রকে ধরে রাখতে পারে না, তবে তা তরল বহিঃস্থ মজ্জার তৈরি চৌম্বকীয় ক্ষেত্রটিকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পৃথিবীর বহিঃস্থ মজ্জায় অবস্থিত চৌম্বক ক্ষেত্রটির গড় শক্তি হলো ২৫ গস বা ২.৫ মিলি টেসলা, যা ভূপৃষ্ঠের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি শক্তিশালী।[২১][২২]

    সাম্প্রতিক প্রমাণাদি বলছে যে, পৃথিবীর অন্তঃস্থ মজ্জা পৃথিবীর তুলনায় সামান্য বেশি গতিতে ঘূর্ণায়মান।[২৩] ২০১১ সালের একটি গবেষণা অবশ্য এই মতবাদ নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেছে। এমনও হতে পারে যে ভূ-মজ্জাটি প্রাকৃতিকভাবে বা বিশৃঙ্খলভাবে দোদুল্যমান। ২০০৫ সালের অগাস্টে একদল ভূ-প্রকৃতিবিদ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশ করেছিল যে, পৃথিবীর অন্তঃস্থ মজ্জা ভূপৃষ্ঠের তুলনায় ০.৩ থেকে ০.৫ ডিগ্রি দ্রুততর গতিতে ঘুরছে।[২৪][২৫]

    পৃথিবীর তাপমাত্রা গ্রেডিয়েন্টের সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বলছে, তাপমাত্রা গ্রেডিয়েন্ট হলো পৃথিবীর প্রাথমিক ভূমিগঠনের সময় নির্গত তাপশক্তি, তেজষ্ক্রিয় পরমাণুর ক্ষয় এবং অন্তঃস্থ মজ্জার শীতলীভূতকরণের সমাহার।

    বিকল্প ধারণাসমূহের ঐতিহাসিক ক্রমবিকাশ

    এডমান্ড হ্যালির প্রকল্প।

    The structure of the earth

    ১৬৯২ সালে ফিলোসফিক্যাল ট্রাঞ্জিকশনস অফ রয়্যাল সোসাইটি অফ লন্ডন থেকে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এডমান্ড হ্যালি পৃথিবীর একটি ধারণা দিয়েছিলেন যে, পৃথিবীটা ৫০০ মাইল পুরুত্বের একটি ফাঁপা খোলস দিয়ে গঠিত, যার গভীরতম মজ্জার চারিদিকে আরও দু’টি সমকেন্দ্রিক খোলস রয়েছে, যেগুলোর ব্যাস যথাক্রমে শুক্র, মঙ্গল এবং বুধ এর অনুরূপ।[২৬] হ্যালির এই মতবাদটি গড়ে উঠেছিল পৃথিবী এবং চাঁদের আপেক্ষিক ঘণত্বের মানের উপর নির্ভর করে, যেমনটা আইজাক নিউটন বলেছিলেন তার গ্রন্থ প্রিন্সিপিয়াতে। হ্যালি মন্তব্য করেছিলেন, “স্যার আইজ্যাক নিউটন চাঁদকে পৃথিবীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত কঠিন বস্তু হিসেবে দেখিয়েছেন। তাহলে আমরা কেন ধরে নিচ্ছি না যে, আমাদের পৃথিবীটার চার-নবমাংশই ফাঁপা?”[২৬]