অদ্ভুৎসাগর গ্রন্থে রাজা বরেন্দ্র সেন এর এর উল্লেখ রয়েছে ইন্দ্রের বরে যার জন্ম(পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে)এবং তার রাজ্যটি বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল। উত্তরবঙ্গে প্রাচীন বাংলার কয়েকটি রাজধানী অবস্থিত। বগুড়ায় মৌর্য আমলের শহর পুণ্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের মালদহ সীমান্তে গৌড় বা কর্ণসুবর্ণ বা বল্লালঢিপি(বিজয়নগর) অবস্থিত,পাল শাসনামলে এই অঞ্চলটি সেন রাজাদের সামন্তরাজ্য হিসেবে পরচিত ছিল।একসময় রংপুর-কোচবিহার কামরুপ এর অংশ ছিলো।গৌড় এর পড়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরাতন শহর নাটোর।
বর্তমান জেলা
ভারত ও বাংলাদেশের জেলাগুলো পৃথক রঙে চিহ্নিত
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ টি জেলা দ্বারা গঠিত।
১ অক্টোবর ২০০১ সালে বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করে। ১০ অক্টোবর ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এবং ২৯ অক্টোবর ২০০৬ সালে এই মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়।[১][২]
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীগণের বাইরে বাংলাদেশ সরকারের ‘রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬’-এর ৩(বি)১ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য হবার যোগ্য এমন যেকোন ব্যক্তিকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারেন। উপদেষ্টাগণ সাধারণ মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন। রাজনৈতিক দল
১৯৮৫ সালের শেষ দিকে এরশাদ জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি ও মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট। কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপিপি ভেঙে এরশাদের দলে যোগ দেন। ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠিত হয়। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন এরশাদ এবং মহাসচিব হন এম এ মতিন।[৩][৪]
মন্ত্রিসভাটি কার্যকর ছিল ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি), বাংলাদেশের ইউনিয়নভিত্তিক ডিজিটাল সেন্টার, যার উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা নিশ্চিত করা।[১][২] ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ২০০৭ সালে ‘কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’ (সিইসি) নামে শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই) এর আওতায় সিরাজগঞ্জেরতাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদে এবং দিনাজপুর জেলারসেতাবগঞ্জ উপজেলার মুশিদহাট ইউনিয়ন পরিষদে পাইলট আকারে সিইসি এর কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়।
ইতিহাস
এ পাইলট প্রকল্পে অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে সিইসি থেকে বেরিয়ে এসে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই-এর সহায়তায় ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। বর্তমানে (২০১২) স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এসব ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র সমন্বয় করছে। পরবতীর্তে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নাম করন করা হয়।২০১৪ ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় ঐ বছরের জুন মাসের মধ্যে আরো ১০০০টি কেন্দ্র স্থাপন করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে (২০১২) ১০০০টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং এর জন্য এসব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০০০ জন উদ্যোক্তা বাছাই করা হয়। নারী পুরুষের সমতার কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় একজন যুবক, একজন যুবতিকে বেছে নেয়া হয়। এই উদ্যোক্তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে একাজে যুক্ত হোন। এই উদ্যোক্তা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি যুক্ত এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক অবহিত।
মে ২০১০-এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ১০০ জনের একটি অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দল গঠনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের আওতায় বিভিন্ন টেলিসেন্টারের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। যাদের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র রয়েছে। [৩]
ইউনিয়ন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মুল সেবা সমুহ
১। কম্পিউটার কম্পোজ ২। ই-মেইল ৩। ইন্টারনেট ৪। ছবি তোলা ৫। কম্পিউটার প্রশিক্ষন ৬। বিভিন্ন সরকারি ফরম ৭। জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবরাহ ৮। মোবাইল ব্যংকিং ৯। ফটোকপি ১০। জীবন বীমা ১১। প্লাস্টিক আইডি কার্ড ১২। ছাপার কাজ ১৩। বিদ্যুত বিল গ্রহণ
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজবাংলাদেশেরজেলায় অবস্থিত জজ কোর্টের বিচারক যিনি দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় এখতিয়ার প্রয়োগ করেন। তিনি জেলা ও দায়রা জজের সমপর্যায়ের বিচারিক ক্ষমতার অধিকারী। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের গ্রেড-২ এর কর্মকর্তাগণের মধ্য হতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি জেলা ও দায়রা জজের ডেপুটি হিসেবে তার অবর্তমানে তার কার্যভার পালন করে থাকেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ যখন ফৌজদারি এখতিয়ার প্রয়োগ করেন তখন তিনি অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং যখন দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়োগ করেন তখন তিনি অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে অভিহিত হন।
ফৌজদারি এখতিয়ার: অতিরিক্ত দায়রা জজ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ আইনে উল্লেখিত সকল প্রকারের দন্ড প্রদান করতে পারেন।
দেওয়ানি এখতিয়ার: অতিরিক্ত জেলা জজের রিভিশন এখতিয়ার হচ্ছে দেওয়ানী বিষয়বস্তুর আপীল যার মূল্যমান সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা।[২][৩][৪]
প্রকৌশলপেশাদারি ও সমাজমুখীব্যবহারিক বিজ্ঞানের একটি বৃহৎ ক্ষেত্র, যেখানে গণিত ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক শাখাগুলিতে আলোচিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক বল ও পদার্থেরধর্মাবলিকে শাসনকারী বৈজ্ঞানিক বিধি ও মূলনীতিগুলি অধীত হয়; এবং যুগের আর্থ-সামাজিক চাহিদা মেটাতে, বাস্তব বিশ্বের অভিজ্ঞতা, যুক্তি, কল্পনা ও সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টির সহায়তা নিয়ে এবং ত্রুটিহীনতা, দীর্ঘস্থায়িত্ব, দ্রুততা, সরলতা, দক্ষতা, অর্থসাশ্রয়, অপচয় হ্রাস, জানমালের নিরাপত্তা, ইত্যাদি বিষয়ে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধান করে এই বিধি ও মূলনীতিগুলিকে সচেতনভাবে প্রয়োগ করে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত বিভিন্ন সম্পদ ও শক্তিকে (যান্ত্রিক, রাসায়নিক, বৈদ্যুতিক, ইত্যাদি) কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে নতুন, উদ্ভাবনী ও সাধারণত জটিলতর কোনও প্রযুক্তি (যেমন পদার্থ, বস্তু, কাঠামো, স্থাপনা, যন্ত্র, যন্ত্রাংশ, সরঞ্জাম, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া, সংস্থান বা সিস্টেম) অথবা একাধিক প্রযুক্তির সমবায়ের নকশা প্রণয়ন, নির্মাণ, এগুলির নির্মাণকাজে অন্য অনেক শ্রমিক মানুষকে সংগঠিতকরণ, যথাযথ নির্দেশনা প্রদান, পরিচালনা ও তদারকিকরণ কিংবা শিল্পক্ষেত্রে অর্থনৈতিক পণ্যদ্রব্য হিসেবে এগুলির উৎপাদন, নির্মাণ-পরিবর্তী বা উৎপাদন-পরিবর্তী কালে নকশা সম্পর্কে পূর্ণ অবহিতি নিয়ে এগুলি চালনা ও ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ, বিশ্লেষণ, প্রদত্ত চালনার শর্তে এগুলির ভবিষ্যৎ আচরণ, কর্মদক্ষতা ও খরচ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী প্রদান, ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করা হয়, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হল প্রকৃতির সম্পদকে মানুষের ব্যবহারযোগ্য কোনও রূপে রূপান্তরিত করে কোনও ব্যবহারিক সমস্যার প্রযুক্তিগত সমাধান করে মানবজাতির উপকার ও কষ্টলাঘব করা।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
যারা প্রকৌশল ক্ষেত্রের উপর্যুক্ত কর্মকাণ্ডগুলির সাথে জড়িত, তাদেরকে প্রকৌশলী বলে। প্রকৌশলীরা যা কিছু নকশা, সৃষ্টি ও নির্মাণ করেন, তাকে প্রযুক্তি বলে। যেমন পুরকৌশল ক্ষেত্রে সেতু, সড়ক, ভবন; তড়িৎ প্রকৌশল ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা; কম্পিউটার প্রকৌশল ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবস্থা, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা জালক; যন্ত্রকৌশল ক্ষেত্রে ইঞ্জিন, মোটরগাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন, যন্ত্রসামগ্রী; রাসায়নিক প্রকৌশল ক্ষেত্রে রাসায়নিক পদার্থ, এগুলি প্রস্তুতির যন্ত্রপাতি; জৈব প্রকৌশল ক্ষেত্রে জৈব পদার্থ বা জীব, ইত্যাদি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হয়। প্রকৌশলের উল্লিখিত প্রতিটি ক্ষেত্রেরই বহুসংখ্যক উপক্ষেত্র আছে, যেগুলির সম্মিলিত পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক এবং আধুনিক সমাজ ও সভ্যতার প্রতিটি ক্ষেত্রে এগুলির অবদান পরিলক্ষিত ও অনুভূত হয়।
প্রকৌশল হল সেই সুসংগঠিত শক্তি যা প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজ ও সভ্যতার ইতিহাস বদলে দেয়। মানব সভ্যতার ইতিহাস ও প্রকৌশলের ইতিহাস তাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। বস্তুবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্বসভ্যতার যতটুকু প্রগতি সম্পন্ন হয়েছে, তার সবটুকুতেই প্রকৌশলবিদ্যার গভীর অবদান আছে।
প্রকৌশলবিদ্যায় কেবল তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের খাতিরে বিশ্লেষণ করা হয় না কিংবা অস্তিত্বহীন কোনও কাল্পনিক, তাত্ত্বিক সমস্যার অসাধারণ প্রতিভাদীপ্ত সমাধান সন্ধান করা হয় না। প্রকৌশলবিদ্যার উদ্দেশ্য জ্ঞানবিজ্ঞানের নিরন্তর বিশ্বকোষীয় সংগ্রহ নয়, বরং সংগৃহীত তাত্ত্বিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সম্ভাব্য উপকারী দিকগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়া। প্রকৌশল ছাড়া বিজ্ঞানের টেকসই বাস্তব উপকারী প্রয়োগ সম্ভব নয়। আবার প্রকৌশল কেবল তাত্ত্বিক জ্ঞানবিজ্ঞান ও বাস্তব বিশ্বের মেলবন্ধনই ঘটায় না, এটি বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজ, মানুষের কায়িক পরিশ্রম ও অর্থনীতির মধ্যকার যোগসূত্র হিসেবেও কাজ করে। প্রকৌশল চিন্তাভাবনাহীন কায়িক পরিশ্রম নয়, বরং কায়িক পরিশ্রমের বিজ্ঞানভিত্তিক সর্বোচ্চ কৌশলী ব্যবহার। প্রকৌশলবিদ্যা যুগের চাহিদা ও সমাজের চাহিদার ব্যাপারে সচেতন। প্রকৌশলবিদ্যা ছাড়া সমাজ ও সভ্যতার বস্তুগত অগ্রগতি প্রায় অচল হয়ে যাবে। প্রকৌশলবিদ্যা ছাড়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলির দক্ষতা হ্রাস পাবে ও এগুলির প্রবৃদ্ধি স্থবির হয়ে পড়বে।
গণিত, বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তির সম্পর্ক
গণিত হল যুক্তি ও সৃজনশীলতার সহায়তায় বিমূর্ত ধারণাসমূহের পরিমাপ, বিন্যাস ও সম্পর্কের বিশুদ্ধ অধ্যয়ন। গণিতে ব্যবহৃত সাংকেতিক ভাষা বৈজ্ঞানিক ধ্যানধারণাকে সুস্পষ্টভাবে ও দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রকাশ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। গণিত তাই বিজ্ঞানের ভাষা। গণিত বিজ্ঞানের ধারণাগুলি প্রকাশের ব্যাকরণিক ভিত্তি প্রদান করে।
বিজ্ঞান হল প্রকৃতির বিভিন্ন পদার্থ ও শক্তির ধর্মসমূহ সম্পর্কে সত্যসমূহ এবং এগুলিকে নিয়ন্ত্রণকারী বিধি ও মূলনীতিসমূহের তাত্ত্বিক অধ্যয়ন। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় মানুষের কর্মকাণ্ড ও প্রভাব গণনায় না ধরে প্রকৃতিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লব্ধ সমস্ত পদার্থ, শক্তি, প্রক্রিয়া ও সংস্থান বা সিস্টেম। গণিতবিদেরা বিজ্ঞানের জগৎ থেকে আগত আগ্রহজনক গাণিতিক সমস্যার উপরে অনুসন্ধান চালাতে পারেন। তবে গণিতবিদেরা কেবল গবেষণার খাতিরেও বিমূর্ত ধারণা অধ্যয়ন করতে পারেন, যার সাথে বাস্তব বিশ্বপ্রকৃতি বা একে অধ্যয়নকারী বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই।
প্রকৌশল হল গণিত ও তাত্ত্বিক বিজ্ঞানের বিধি ও মূলনীতিগুলির সুশৃঙ্খল প্রণালীবদ্ধ প্রয়োগ করে প্রযুক্তি নির্মাণের মাধ্যমে মানুষের আর্থ-সামাজিক চাহিদার প্রয়োজনে উদ্ভূত বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান করা। প্রকৌশল তাই প্রকৃতির উপর মানুষের প্রভাব বিস্তারকারী এক বিশেষ ধরনের কর্মকাণ্ড। একজন প্রকৌশলী তাঁর বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের মাধ্যমে কোনও সমস্যার অন্তর্নিহত সীমাবদ্ধতাগুলি বুঝতে পারেন ও সেই অনুযায়ী বিভিন্ন দিক থেকে সমাধানের চেষ্টা করেন। একজন প্রকৌশলী গণিতের সাহায্যে ভৌত বিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার গাণিতিক প্রতিমান (মডেল) তৈরি করার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাধান মূল্যায়ন করার জন্য গণিতের আশ্রয় নেন। প্রকৌশল নকশাকরণ প্রক্রিয়ার সাথে গণিতের নিবিড় সম্পর্ক আছে। যেকোনও প্রকৌশলীকে বহুসংখ্যক গাণিতিক দক্ষতার অধিকারী হতে হয়, যেমন পাটিগণিত, কলনবিদ্যা, জ্যামিতি, পরিমাপ, ফলাফলের সারণী ও লেখচিত্র নির্মাণ, গাণিতিক সূত্রায়ন, সময়রেখা, ইত্যাদি।
প্রযুক্তি হল প্রকৌশলের সুবাদে লব্ধ বস্তু, যন্ত্র, সরঞ্জাম, প্রক্রিয়ার সমাহার যা বিভিন্ন ব্যবহারিক সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। প্রযুক্তি তাই প্রকৃতির বাইরে অবস্থিত সেই সমস্ত পদার্থ, জটিল বস্তু, প্রক্রিয়া ও সংস্থান বা সিস্টেমসমূহের সমগ্র, যা মানুষের উদ্দেশ্যমূলক ও প্রকৌশলমূলক কর্মকাণ্ডের ফসল।
প্রয়োগপদ্ধতি
সমস্যা সমাধান
একজন প্রকৌশলী একজন সাধারণ বিজ্ঞানীর মত যেকোনও আগ্রহজনক সমস্যা নিয়ে কাজ করেন না। তাকে এমন কোনও সমস্যার সমাধান করতে হয়, যে সমস্যা বাস্তব বিশ্বে কোনও ব্যবহারিক কারণে সৃষ্ট হয়েছে। প্রকৌশলীকে এমন সমাধান প্রদান করতে হয় যা অনেকগুলি পরস্পর-বিরোধী শর্তের মধ্যে সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধান করে। প্রকৌশলীর সমাধানটি যদি দক্ষ হয়, তাহলে সাধারণত সেটি ব্যয়বহুলও হয়। নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখলে সমাধান আরও জটিল রূপ ধারণ করে। কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করলে হয়ত ওজন বেড়ে যায়। একটি প্রকৌশলীয় সমাধান তাই অনেকগুলি বিষয় বিবেচনা করে গৃহীত এক ধরনের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিবিধানমূলক সমাধান, যা হয়ত নির্দিষ্ট কোনও ভারসীমার মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, কিছু নিরাপত্তামূলক শর্ত সন্তুষ্টকারী সরলতম এবং কোনও প্রদত্ত ব্য়য়সীমার মধ্যে সবচেয়ে কর্মদক্ষ।
মানব সভ্যতার শুরু থেকে প্রকৌশল জীবন ব্যবস্থার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ এবং ২০০০ সালে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা ও মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা (প্রাচীন ইরাক) থেকে পুরকৌশলের যাত্রা শুরু বলে ধারণা করা হয়, ঠিক যখন থেকে মানুষ তাদের বসবাসের জন্য আবাস নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। সেই সময়ে চাকা এবং পাল আবিষ্কার হবার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব দারুনভাবে বৃদ্ধি পায়।
বেশ কিছুদিন আগ পর্যন্তও পুরকৌশল এবং স্থাপত্যবিদ্যার মধ্যে কোন সুস্পষ্ট পার্থক্য ছিল না এবং প্রকৌশলী ও স্থপতি শব্দ দ্বারা ভৌগোলিক স্থানভেদে, মূলত একই ব্যক্তিকে বোঝান হত।[৭] মিশরের পিরামিডকে (খ্রিস্ট পূর্ব ২৭০০-২৫০০) বিশ্বের ইতিহাসে বড় কাঠামো নির্মাণের প্রথম দৃষ্টান্ত বিবেচনা করা হয়। অন্যান্য পুরকৌশল নির্মাণকাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কানাত পানি ব্যাবস্থাপনা কৌশল (সবচেয়ে পুরানোটি ৩০০০ বছর পূর্বের ও প্রায় ৭১ কিলোমিটার লম্বা,[৮]),দ্যা অ্যাপেইন ওয়ে, চীনের গ্রেট ওয়াল ইত্যাদি। রোমানরা, তাদের সাম্রাজ্যজুড়ে নালা পোতাশ্রয়, সেতু বাঁধ, রাস্তাসহ অসংখ্য বেসামরিক স্থাপনা গড়ে তোলে।
১৮শ শতাব্দীতে পুরকৌশল শব্দটিকে সামরিক প্রকৌশলবিদ্যার বিপরীত হিসেবে ব্যবহার করা হত। বিশ্বের প্রথম স্বঘোষিত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন জন স্মিয়াথন যিনি এডিস্টোন লাইটহাউস তৈরি করেছিলেন। ১৭৭১ সালে স্মিয়াথন ও তার কয়েকজন সহকর্মী মিলে স্মিয়াথন সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। যদিও তাদের কারিগরি বিষয় নিয়ে কিছু বৈঠক হয় তথাপিও এটি একটি সামাজিক সংগঠনের চেয়ে বেশি কিছু ছিল না।
১৮১৮ সালে লন্ডনে ইন্সিটিউট অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৮২০ সালে থমাস টেলফোর্ড এর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৮২৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি রাজকীয় সনদ গ্রহণ করে যা পুরকৌশলকে একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নরউইচ ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বেসরকারি কলেজ হিসেবে পুরকৌশল পড়ান শুরু করা হয়, ১৮১৯ সালে।[৯] যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৩৫ সালে রেন্সিলেয়ার পলিটেকনিক ইন্সিটিউট থেকে পুরকৌশলে সর্বপ্রথম ডিগ্রি প্রদান করা শুরু হয়।[১০] ১৯০৫ সালে প্রথম নারী হিসেবে পুরকৌশলে সেই ডিগ্রী পান নোরা স্ট্যান্টোন ব্লাচ কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে।[১১]
পুরকৌশলের ইতিহাস
আর্কিমিডিসের স্ক্রু, যা হাত দিয়ে পরিচালনা করা হত এবং এর সাহায্যে অত্যন্ত কার্যকরভাবে পানি তোলা যেত
পোন্ট দু গার্ড, ফ্রান্স, একটি রোমান পানি সরবরাহের কৃত্রিম প্রণালী যা আনুমানিক ১৯ খ্রিস্ট পূর্ব সালে তৈরি করা হয়েছিল
পুরকৌশল হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন সমাধানের নিমিত্তে প্রাকৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ধারণা এবং নীতিগুলোর প্রয়োগ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রকে অধিকতর বাস্তবভিত্তিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে পুরকৌশল পেশা আজকের অবস্থানে আসতে সক্ষম হয়েছে। যেহুতু পুরকৌশলের বিস্তৃতি অনেক ব্যপক, এর জ্ঞান কাঠামোবিদ্যা, বস্তুবিদ্যা, ভূবিজ্ঞান, ভূতত্ত্ব, মাটি, জলবিজ্ঞান, পরিবেশবিদ্যা, বলবিদ্যা এবং বিজ্ঞানের আর শাখার সাথে সংযুক্ত।
প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগীয় সময়কালে সকল সকল স্থাপত্যের নকশা এবং নির্মাণ রাজমিস্ত্রি এবং কাঠমিস্ত্রি দ্বারা করা হত, যার ফলে একসময় স্থপতির প্রয়োজন অনুভব করায়। সকল জ্ঞান একদল বিশেষ গোষ্ঠীর কাছে মুষ্ঠিবধ্য ছিল এবং তা খুব কম সময়ই অন্যদের জানানো হত। এর ফলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একই ধরনের স্থাপনা, রাস্তা ও অবকাঠামো দেখা যেত এবং তা আকারে ক্রমান্বয়ে আর বড় হতে থাকে। [১২]
পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতের সূত্রগুলিকে পুরকৌশলের জন্য ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রথম প্রচেষ্টাটি করেন আর্কিমিডিস তৃতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ সালে, যার মধ্যে আর্কিমিডিসের তত্ত্ব অন্তর্গত ছিল, যা প্লবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা মজবুত করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন ব্যবহারউপযোগী সমাধান যেমন আর্কিমিডিসের স্ক্রু বানাতে সাহায্য করে। ব্রহ্মগুপ্ত, একজন ভারতীয় গণিতবিদ, সপ্তম খ্রিস্টাব্দে হিন্দু-আরবিক সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে, পাটিগণিত ব্যবহার করে খননকৃত এলাকার আয়তন বের করবার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। [১৩]
পুর-প্রকৌশলী সাধারণত পুরকৌশল এর উপর একটি একাডেমিক ডিগ্রী নিয়ে থাকেন। এর শিক্ষাবর্ষ ৩ থেকে ৫ বছর হয়ে থাকে, এবং সম্পন্ন ডিগ্রী প্রকৌশল স্নাতক, বা বিজ্ঞান স্নাতক হিসেবে মনোনীত করা হয়। পুরকৌশল পাঠ্যক্রমে সাধারণত পদার্থবিদ্যা, গণিত, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নকশা এবং নির্দিষ্ট বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। পুরকৌশলের প্রয়োজনীয় শাখায় প্রাথমিক কোর্স গ্রহণ করার পর, তারা উন্নতির সাপেক্ষে এক বা একাধিক শাখার উপর বিশেষত্ব লাভ করে থাকেন। যদিও স্নাতক ডিগ্রীর (বিএসসি) একজন ছাত্র শিল্প-স্বীকৃত(industry-accredited) যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকে, আবার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্নাতকোত্তর ডিগ্রী (এমএসসি) প্রদান করে, যা শিক্ষার্থীদের তাদের পছন্দের বিষয়ে আরও বিশেষজ্ঞ হওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে।.[১৪] অধিকাংশ দেশে, একটি স্নাতক ডিগ্রীই ইঞ্জিনিয়ারিং পেশাদারী সার্টিফিকেশন হিসেবে কাজ করে। প্রত্যায়িত ডিগ্রী কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর, একজন প্রকৌশলীকে প্রত্যয়িত হওয়ার পূর্বেই তার পরীক্ষার ফলাফল আশাতীত এবং কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। একবার প্রত্যায়িত হয়ে গেলে, প্রকৌশলী তখন পেশাদার হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রাসঙ্গিক পেশাদারী সংস্থার মধ্যে, প্রকৌশলী জাতীয় সীমানা জুড়ে অনুশীলন বা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করার বেপারে আন্তর্জাতিক চুক্তি আছে। প্রশংসাপত্রের সুবিধা অনেকাংশে তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডাতে, শুধু মাত্র একজন প্রত্যায়িত পেশাদারী প্রকৌশলই পারবেন সরকারি এবং বেসরকারি কাজের জন্য, তার স্বাক্ষরকৃত প্রকৌশলী পরিকল্পনা (plan) এবং অঙ্কন(drawing) অনুমোদনের জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে। “[১৫] যুক্তরাজ্য সহ অন্যান্য দেশেও পুরকৌশলের জন্য একই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে পুর-প্রকৌশলীদের রাষ্ট্রীয় অনুমোদনে বা লাইসেন্সে কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রায় সকল প্রতায়িত সংস্থাই নীতিশাস্ত্র কোড(code of ethics) মেনে চলে, যা ওখানকার সকল সদস্যকে মেনে চলতে হবে “[১৬] একজন প্রকৌশলীকে অন্য পক্ষের সাথে, চুক্তি আইন সংবলিত চুক্তিমুলক বিষয়গুল অবশ্যই মেনে চলতে হবে। যদি একজন প্রকৌশলী তার কাররয ক্ষেত্রে অপারগ হয়, তবে তিনি আইনত দোষী সাব্বস্থ হতে পারে।”[১৭] একজন পুরকৌশলীকে আরও কিছু নিয়ম কানুন মেনে কাজ করতে হয়, সেটা হতে পারে বিল্ডিং কোড ও পরিবেশ গত আইন।
এমিল আর্টিন (জার্মান: Emil Artin) (৩রা মার্চ, ১৮৯৮ – ২০শে ডিসেম্বর, ১৯৬২) অস্ট্রীয় গণিতবিদ। ভিয়েনায় তার জন্ম হয়। তিনি ভিয়েনা, লাইপ্ৎসিশ ও গ্যোটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯২৩ থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ১৯৩৭ সালে তিনি নাৎসি জার্মানি ত্যাগ করে আমেরিকায় পাড়ি জমান এবং সেখানে নটরডেম, ইন্ডিয়ানা ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি জার্মানিতে ফিরে যান এবং হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
এডওয়ার্ড উইটেন (ইংরেজি: Edward Witten) (জন্ম ২৬শে আগস্ট, ১৯৫১) গণিতে ফিল্ড্স পদক বিজয়ী একজন মার্কিনগণিতবিদ ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন শহরের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডির নামক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রাকৃতিক বিজ্ঞান বিদ্যালয়ের একজন অবসরোত্তর সাম্মানিক (ইমেরিটাস) অধ্যাপক।[১] উইটেন স্ট্রিং তত্ত্ব, কোয়ান্টাম অভিকর্ষ, অতিপ্রতিসম কোয়ান্টাম ক্ষেত্রে তত্ত্বসমূহে ও গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রের একজন গবেষক। উইটেনের গবেষণাকর্ম বিশুদ্ধ গণিতশাস্ত্রের উপরে তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে।[২] ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক গণিত সংঘ তাঁকে প্রথম পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে গণিতে ফিল্ডস পদক প্রদান করে। পদার্থবিজ্ঞানে অন্তর্দৃষ্টির জন্য (যেমন সাধারণ আপেক্ষিকতা ক্ষেত্রে ১৯৮১ সালে ধনাত্মক শক্তি উপপাদ্যটির প্রমাণ) এবং জোনসের অপরিবর্তনীয়গুলিকে ফাইনম্যান সমগ্রক হিসেবে ব্যাখ্যা করার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।[৩] তাঁকে কার্যত এম-তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪]
জীবনী
উইটেন ম্যারিল্যান্ডের বাল্টিমোরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ সালে ব্যাচেলর্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে ১৯৭৪ সালে এমএ এবং ১৯৭৬ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার পিএইচডি উপদেষ্টা ছিলেন নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী ডেভিড জোনাথন গ্রস। তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রিন্সটনে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। [৫]