Tag: bcsquestion

  • ইব্রাহিমীয় ধর্ম(Abrahamic religion)

    ইব্রাহিমীয় ধর্ম(Abrahamic religion)

    ইব্রাহিমীয় ধর্ম’ বা আব্রাহামীয় ধর্ম (ইংরেজি: Abrahamic Religion), যাকে সেমেটিক ধর্ম বা সেমিটিক ধর্মও বলা হয়, এটি দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য এলাকার একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে আব্রাহাম বা ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎপত্তি[১] অথবা ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।[২][৩][৪] ভারত, চীন, জাপান ইত্যাদি দেশের উপজাতীয় অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য।[৫] এই বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত ধর্মগুলো হলো ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম এবং বাহাই ধর্ম

    তবে খ্রিষ্টান ধর্ম ত্রি-তত্ব বাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।

    ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ

    Abrahamic religion

    তালিকা

    সূচনালগ্ন অনুসারে ক্রমবিন্যাস করলে, প্রধান ইব্রাহিমীয় ধর্মসমূহ হচ্ছে- [৬]

    সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

    ইহুদি ধর্ম

    Abrahamic religion

    মূল নিবন্ধ: ইহুদি ধর্ম

    ইহুদী ধর্মানুসারীরা নিজেদেরকে আব্রাহামের (ইব্রাহিমের) পৌত্র যাকোব (ইয়াকুব)-এর উত্তরপুরুষ বলে মনে করেন। এই ধর্ম কঠোরভাবে একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তাদের মূল ধর্মীয় বিধান বা হালাখা অনুসারে, এই ধর্মের অন্তর্গত সকল শাখার মূলগত ধর্মগ্রন্থ একটিই- তোরাহ বা তানাখ বা তাওরাত বা হিব্রু বাইবেল। ইহুদীদের ইতিহাসজুড়ে বিভিন্ন ধর্মসংশ্লিষ্ট পণ্ডিত ব্যক্তি ইহুদী ধর্মের মূল মত নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা প্রস্তাব করেন, যাদের সবগুলোই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে যায়। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যবস্থা বলে Maimonides প্রদত্ত “বিশ্বাসের তেরোটি নীতি” স্বীকৃত, যা দ্বাদশ শতকে প্রদত্ত হয়। অর্থোডক্স ইহুদী এবং রক্ষণশীল ইহুদী মতে, মোশি (মুসা) সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী সত্য; তিনি পূর্বতন বা পরবর্তী সকল নবী তথা প্রেরিতপুরুষের নেতৃত্বস্থানীয়।

    খ্রিস্ট ধর্ম

    Abrahamic religion

    মূল নিবন্ধ: খ্রিস্ট ধর্ম

    খ্রিস্টধর্ম সূচিত হয় ইহুদী ধর্মের একটি শাখা হিসাবে। এর উৎপত্তি ভূমধ্যসাগরীয় উপত্যকায় (বর্তমান ফিলিস্তিন ও ইসরাইল), খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে। পরবর্তীতে এটি পৃথক বিশ্বাস এবং ধর্মাচরণযুক্ত আলাদা ধর্ম হিসাবে বিস্তৃত হয়। খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম নবী যিশু (ঈসা(আ:))- প্রায় সকল মতেই তাকে ঐশ্বরিক বলে মনে করা হয়। খ্রিস্টীয় ত্রিত্ববাদ মতানুযায়ী যিশু ঐশ্বরিক তিন চরিত্রের একজন।প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন ভাববাদী বৈ কিছু নন।একজন ভাববাদী বা নবী হিসেবে যে মুজিযা বা প্রমান দরকার তা তিনি মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখিয়েছেন। খ্রিস্টীয় ইঞ্জিল শরীফ খ্রিস্টধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হিসাবে বিবেচিত; তবে এক্ষেত্রে ঐতিহ্যগত কিছু মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়, যেমনঃ- রোমান ক্যাথলিক মত এবং পূর্বস্থিত অর্থোডক্স মত।

    ইসলাম ধর্ম

    Abrahamic religion

    মূল নিবন্ধ: ইসলাম

    ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা। যিনি নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে দেন এবং নিজের ইচ্ছায় জীবন পরিচালিত না করে আল্লাহর দেয়া বিধি-নিষেধ মেনে চলেন তিনিই ইসলাম ধর্মের অনুসারী। আর ইসলামের অনুসারীদেরকে আরবীতে বলা হয় মুসলিম

    ইসলাম ধর্ম মতে হযরত আদম (আঃ)]] হতেই ইসলাম ধর্মের শুরু। হযরত আদম (এডাম) ইসলামের প্রথম নবী । আল্লাহ মানবজাতিকে পথপ্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবীরাসূল (বার্তাবাহক) প্রেরণ করেছেন। আর ইসলামী ইতিহাসবেত্তাদের মতানুযায়ী এসব বার্তাবাহকের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ চব্বিশ হাজার। রাসূলের সংখ্যা ৩১৩ জন ।

    এরই ধারাবাহিকতায় ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে জন্ম নেয়া এই ধর্মের সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী হলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:)

    ইসলাম ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো: আল্লাহ’র কোনো অংশীদার নেই এবং মুহাম্মদ (সা:) হলেন আল্লাহর বান্দা ও একজন রাসূল। এই ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হলো কুরআন, । কুরআনের ব্যাখ্যায় দ্বারস্থ হতে হয় সহীহ বা যাচাইকৃত হাদিস সংকলনসমূহের উপর।

    এই ধর্মের উল্লেখযোগ্য দিক হলো পবিত্র কুরআনে মুসলমানদের সমস্ত দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পারিবারিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন ।ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হজরত মুহাম্মদ (সা:)। মুসলিমরা দাবি করে ইসলাম ধর্ম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মুসলমান বলা হয়। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান সাধারণত দুইটি। পরবর্তীতে ইসলাম শিয়া এবং সুন্নি দুটি মতে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি ঈদ-ঊল-ফিতরঈদ-ঊল-আজহা । ইসলাম ধর্মকে সার্বজনীন ও চিরন্তন সত্য ধর্ম বলা হয় ।

    বাহাই ধর্ম

    Abrahamic religion

    মূল নিবন্ধ: বাহাই ধর্ম

    দ্রুজ

    মূল নিবন্ধ: দ্রুজ

    রাস্তাফারি

    মূল নিবন্ধ: রাস্তাফারি

    ইব্রাহিমীয় ধর্ম’ বা আব্রাহামীয় ধর্ম (ইংরেজি: Abrahamic Religion), যাকে সেমেটিক ধর্ম বা সেমিটিক ধর্মও বলা হয়, এটি দ্বারা মধ্যপ্রাচ্য এলাকার একেশ্বরবাদী ধর্মগুলোকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে আব্রাহাম বা ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্কিত ধর্মীয় উৎপত্তি[১] অথবা ধর্মীয় ইতিহাসগত ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।[২][৩][৪] ভারত, চীন, জাপান ইত্যাদি দেশের উপজাতীয় অঞ্চল বাদ দিয়ে সারা বিশ্বে এই মতবাদের আধিপত্য।[৫] এই বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত ধর্মগুলো হলো ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম এবং বাহাই ধর্ম

    Abrahamic religion

  • ইয়াজিদি(Yazidi)

    ইয়াজিদি(Yazidi)

    ইয়াজিদি(Yazidi) বা এজিদি হচ্ছে একটি কুর্দি নৃ-ধর্মীয় গোষ্ঠী, যাদের রীতিনীতির সাথে জরথুস্ত্র[১১] ধর্মমতের সাদৃশ্য রয়েছে। ইয়াজিদিগণ প্রধানত উত্তর ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশে বসবাস করে। আমেরিকা,জর্জিয়া এবং সিরিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইয়াজিদিদের সাক্ষাৎ মেলে। ১৯৯০ সালের দিকে ইয়াজিদিদের একটা অংশ ইউরোপে বিশেষ করে জার্মানীতে অভিবাসিত হয়।[১২] ইয়াজিদিগণ বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সাতটি পবিত্র জিনিস বা ফেরেশতার মাঝে এটাকে স্থাপন করেছেন। এই সাতজনের প্রধান হচ্ছেন মেলেক তাউস, ময়ূর ফেরেশতা। ইয়াজিদিদের বর্ণিত তাউসের সাথে ইসলাম ধর্মে বর্ণিত ইবলিশের সাদৃশ্য পাওয়া যায়। এমনকি স্বর্গ থেকে শয়তান ও মেলেক তাউসের বিতাড়নের কাহিনী একই, আদমকে সিজদা না করা।

    ধর্মীয় রীতি

    প্রার্থনা

    Yazidi

    ইয়াজিদিরা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করে।[১৩] নিভেজা বেরিস্পেদে (ভোরের প্রার্থনা), নিভেজা রোঝিলাতিনে (সূর্যোদয়ের প্রার্থনা), নিভেজা নিভ্রো (দুপুরের প্রার্থনা), নিভেজা এভারি (বিকেলের প্রার্থনা), নিভেজা রোজাভাবুনে (সূর্যাস্তের প্রার্থনা)। বর্তমানে ইয়াজিদিগণ শুধুমাত্র সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের প্রার্থনা করে থাকে।

    সূর্যোদয়ের প্রার্থনার সময় ইয়াজিদিগণ সূর্য পূজারীদের মত সূর্যের দিকে এবং সূর্যাস্তের নামাজের সময় লালিস এর দিকে মুখ করে থাকে। দিনের সকল প্রার্থনা সূর্যের দিকে ফিরে পড়া হয়। বহিরাগতদের উপস্থিতিতে দিবসের প্রার্থনা হয় না। বুধবার হচ্ছে তাদের পবিত্র দিন এবং শনিবার বিশ্রাম দিবস।[১৩][১৪] ডিসেম্বর মাসে তারা তিন দিনের রোজা পালন করে।[১৩][১৫]

    উৎসব

    Yazidi

    তীর্থযাত্রা

    লালিসে অবস্থিত সেক সাদির মাজার

    ইয়াজিদিদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ইরাক এর উত্তর মসুলের লালিস এ অবস্থিত শেখ আদি ইবনে মুসাফির (সেক আদি) এর মাজারে সাতদিনের তীর্থভ্রমণ পালন।[১৩][১৬] যদি সম্ভব হয় প্রত্যেক ইয়াজিদি তাদের জীবদ্দশায় একবার সেক সাদির মাজারে তীর্থভ্রমণের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। তীর্থভ্রমণের সময় তারা নদীতে স্নান করে। তাউস মেলেকের মূর্তি ধুইয়ে দেয় এবং শেখ সাদির মাজারে একশত প্রদীপ জ্বালায়। এই সময়ে তারা একটি ষাঁড় বলি দেয়।

    প্রথা

    Yazidi

    এই সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

    • Cumont, Franz. Oriental Religions in Roman Paganism. New York: Dover Publications, 1956, p. 152-153.
    • Drower, E.S. [E.S. Stevens]. Peacock Angel. Being Some Account of Votaries of a Secret Cult and their Sanctuaries. London: John Murray, 1941.
    • Joseph, I. “Yezidi Texts”. The American Journal of Semitic Languages and Literatures, 1908–1909/XXV, 2, pp. 111–156.
    • Kreyenbroek, F.G. “Yezidism – its Background, Observances and Textual Tradition”. Texts and Studies in Religion, 62. Lewiston, Queenston and Lampeter: Edwin Mellen Press, 1995.
    • Kurdoev, K.K. “Ob alfavite ezidskikh religioznykh knig” (Report on the alphabet of the Yezidi religious books). Pis’mennye pamiatniki i problemy istorii kul’tury narodov Vostoka. VIII godichnaia nauchnaia sessiia LO IV AN SSSR. Leningrad, 1972, pp. 196–199. In Russian.
    • Kurdoev, K.K. “Ob avtorstve i iazyke religioznykh knig kurdov XI–XII vv. predvaritel’noe soobshchenie” (Preliminary report on the Yezidi religious books of the eleventh-twelfth centuries: their author and language). VII godichnaia nauchnaia sessiia LO IV AN SSSR. Leningrad, 1971, pp. 22–24. In Russian.
    • Marie, A. 1911. “La découverte récente des deux livres sacrés des Yêzîdis”. Anthropos, 1911/VI, 1. pp. 1–39.
    • Menzel, Th. “Yazidi, Yazidiya” in Encyclopaedia of Islam.
    • Omarkhali, Kh. “Yezidizm. Iz glubini tisyachaletiy” (Yezidism. From the early millennia). Sankt Peterburg, 2005. In Russian.
    • Omarkhali, Kh. “Yezidism: Society, Symbol, Observance”. Istanbul, 2007. In Kurdish.
    • Reshid, T. Yezidism: historical roots ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৯ জুন ২০০৯ তারিখে, International Journal of Yezidi Studies, January 2005.
    • Reshid, R., Etnokonfessionalnaya situasiya v sovremennom Kurdistane. Moskva-Sankt-Peterburg: Nauka, 2004, p. 16. In Russian.
    • Rodziewicz, A., Yezidi Eros. Love as The Cosmogonic Factor and Distinctive Feature of The Yezidi Theology in The Light of Some Ancient Cosmogonies, Fritillaria Kurdica, 2014/3,41, pp. 42–105.
    • Rodziewicz, A., Tawus Protogonos: Parallels between the Yezidi Theology and Some Ancient Greek Cosmogonies, Iran and the Caucasus, 2014/18,1, pp. 27–45.
    • Wahbi, T., Dînî Caranî Kurd, Gelawej Journal, N 11-12, Baghdad, 1940, pp. 51–52. In Kurdish.
    • Williams, Kayla, and Michael E. Staub. 2005. Love My Rifle More Than You. W.W. Norton, New York. আইএসবিএন ০-৩৯৩-০৬০৯৮-৫
    • Ph.G. Kreyenbroek in collaboration with Z. Kartal, Kh. Omarkhali, and Kh.J. Rashow. Yezidism in Europe: Different Generations Speak about their Religion. Wiesbaden, 2009.
    • Omarkhali Khanna in collaboration with Kovan Khanki. A method of the analysis of the Yezidi Qewls: On the example of the religious hymn of Omar Khala and Hesin Chineri. Avesta, Istanbul, 2009.
    • Salman H Haji, Pharmacist, Lincoln NE US

    Yazidi

  • রোসারিও(Rosario)

    রোসারিও(Rosario)

    রোসারিও ( Rosario)হল উত্তর-মধ্য আর্জেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের বৃহত্তম শহর। এটি বুয়েনোস আইরেস থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৭ মাইল) দূরে পারানা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে রোসারিও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। কোনও রাজ্যের রাজধানী নয় এমন শহরগুলির মধ্যে আর্জেন্তিনায় এই শহরই সবচেয়ে জনবহুল; এই শহরের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। বৃহত্তর রোসারিওতে ২০১২ র হিসাবে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,২৭৬,০০০ জন। [৫] এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর নব্যধ্রুপদী স্থাপত্য; বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্যরীতি শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

    Rosario

    এই শহর রোসারিও দপ্তর‘এর প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। আর্জেন্তিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি একটি প্রধান রেলপথের প্রান্তিক স্টেশন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আর্জেন্তিনার অন্যতম প্রধান নৌকেন্দ্র। এই নদীবন্দরে জাহাজ পারানা নদীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই নদী যদিও ৩৪ ফুট (১০ মি) গভীর, তবে পলি জমে যাওয়ার প্রবণতা এর এক বড় সমস্যা; সেইকারণে পর্যায়ক্রমে পঙ্কোদ্ধার করে এর নাব্যতা বজায় রাখতে হয়। এখানে জাহাজ ঢোকা-বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রোসারিও পোর্ট কর্তৃপক্ষ। [৬] গম,ময়দা,খড়,তিসি, বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টা, চিনি,চেরা কাঠ , বিভিন্ন মাংস, চামড়া এবং উল এই বন্দরের মাধ্যমে মূলত রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

    Rosario

    পারানা নদী বরাবর গড়ে ওঠা যে কয়টি আর্জেন্তিনীয় শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম করা সম্ভব হয় না, রোসারিও তার মধ্যে অন্যতম। এই শহরের রক্ষাকর্ত্রী কুমারী রোসারিও। তার সম্মানে খ্রিস্টীয় উৎসবের দিন (ফিস্ট) হল ৭ অক্টোবর। এ’ ক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য উল্লেখের দাবি রাখে; গ্রহাণু ১৪৮১২ রোসারিওর নামকরণ এই সন্ত কুমারী রোসারিওর সম্মানেই করা হয়।[৭]

    রোসারিও শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষের সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন বিপ্লবী চে গেভারা; ফুটবল খেলোয়াড় ম্যাক্সিমিলিয়ানো উররুতি, লিওনেল মেসি, এঙ্খেল দি মারিয়া, ম্যাক্সিমিলিয়ানো রদ্রিগেজ এবং মাউরো ইকার্দি;ফুটবল প্রশিক্ষক সিজার লুইস মেনোত্তি, গেরার্দ্প মার্তিনো এবং মার্সেলো বিয়েলসা;হকি খেলোয়াড় লুসিয়ানা আয়ামার; অভিনেতা / কৌতুকাভিনেতা আলবার্তো ওলমেদো এবং অভিনেত্রী লিবের্তাদ লামার্কে;জ্যাজ সুরকার গাতো বারবিএরি; কার্টুনিস্ট / লেখক রবার্ট ফন্তানাহোসা; গায়ক / গীতিকার ফিতো পেজ; শিল্পী / চিত্রশিল্পী আন্তোনিও বের্নি; এবং মডেল ভ্যালেরিয়া মাজ্জা, প্রমুখ।

    রোসারিও (স্পেনীয় উচ্চারণ: [roˈsaɾjo]) হল উত্তর-মধ্য আর্জেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের বৃহত্তম শহর। এটি বুয়েনোস আইরেস থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৭ মাইল) দূরে পারানা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে রোসারিও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। কোনও রাজ্যের রাজধানী নয় এমন শহরগুলির মধ্যে আর্জেন্তিনায় এই শহরই সবচেয়ে জনবহুল; এই শহরের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। বৃহত্তর রোসারিওতে ২০১২ র হিসাবে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,২৭৬,০০০ জন। [৫] এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর নব্যধ্রুপদী স্থাপত্য; বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্যরীতি শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

    Rosario

    এই শহর রোসারিও দপ্তর‘এর প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। আর্জেন্তিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি একটি প্রধান রেলপথের প্রান্তিক স্টেশন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আর্জেন্তিনার অন্যতম প্রধান নৌকেন্দ্র। এই নদীবন্দরে জাহাজ পারানা নদীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই নদী যদিও ৩৪ ফুট (১০ মি) গভীর, তবে পলি জমে যাওয়ার প্রবণতা এর এক বড় সমস্যা; সেইকারণে পর্যায়ক্রমে পঙ্কোদ্ধার করে এর নাব্যতা বজায় রাখতে হয়। এখানে জাহাজ ঢোকা-বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রোসারিও পোর্ট কর্তৃপক্ষ। [৬] গম,ময়দা,খড়,তিসি, বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টা, চিনি,চেরা কাঠ , বিভিন্ন মাংস, চামড়া এবং উল এই বন্দরের মাধ্যমে মূলত রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

    Rosario

    পারানা নদী বরাবর গড়ে ওঠা যে কয়টি আর্জেন্তিনীয় শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম করা সম্ভব হয় না, রোসারিও তার মধ্যে অন্যতম। এই শহরের রক্ষাকর্ত্রী কুমারী রোসারিও। তার সম্মানে খ্রিস্টীয় উৎসবের দিন (ফিস্ট) হল ৭ অক্টোবর। এ’ ক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য উল্লেখের দাবি রাখে; গ্রহাণু ১৪৮১২ রোসারিওর নামকরণ এই সন্ত কুমারী রোসারিওর সম্মানেই করা হয়।[৭]

    রোসারিও শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষের সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন বিপ্লবী চে গেভারা; ফুটবল খেলোয়াড় ম্যাক্সিমিলিয়ানো উররুতি, লিওনেল মেসি, এঙ্খেল দি মারিয়া, ম্যাক্সিমিলিয়ানো রদ্রিগেজ এবং মাউরো ইকার্দি;ফুটবল প্রশিক্ষক সিজার লুইস মেনোত্তি, গেরার্দ্প মার্তিনো এবং মার্সেলো বিয়েলসা;হকি খেলোয়াড় লুসিয়ানা আয়ামার; অভিনেতা / কৌতুকাভিনেতা আলবার্তো ওলমেদো এবং অভিনেত্রী লিবের্তাদ লামার্কে;জ্যাজ সুরকার গাতো বারবিএরি; কার্টুনিস্ট / লেখক রবার্ট ফন্তানাহোসা; গায়ক / গীতিকার ফিতো পেজ; শিল্পী / চিত্রশিল্পী আন্তোনিও বের্নি; এবং মডেল ভ্যালেরিয়া মাজ্জা,

    Rosario

  • মেরুজ্যোতি(Polar lights)

    মেরুজ্যোতি(Polar lights)

    মেরুজ্যোতি(Polar lights) বা মেরুপ্রভা বা আরোরা বা আরোরা অস্ট্রালিস (আরোরা উষা) হলো আকাশে একধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী। প্রধানত উঁচু অক্ষাংশের এলাকাগুলোতে আরোরা’র দেখা মিলে। আরোরা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। আরোরা নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক উপকথা চালু ছিল। যেমন নর্জ উপকথা অনুসারে আরোরা হলো ঈশ্বরের সৃষ্টি সেতু। আবার কিছু কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষ আছে যারা মনে করেন তাদের পূর্বপুরুষেরা আকাশে নাচানাচি করে তাই আকাশের রঙ বদলে যায়।[১]

    আরোরা সৃষ্টির কারণ

    Polar lights

    সূর্য আমাদের থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৪৯৫৯৭৮৭০৭০০ মিটার(প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কি.মি.) দূরে অবস্থিত। কিন্তু এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সৌরঝড়ে চার্জিত কণা (প্লাজমা) মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে এসব কণা পৌছালে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এবং বায়ুমন্ডল এর সাথে প্রতিক্রিয়া করে। যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে। পরমাণু আন্দোলিত হওয়ার অর্থ হল এই যে, যেহেতু পরমাণু নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে আবর্তনকৃত ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত তাই যখন সূর্য থেকে আগত চার্জিত কণা বায়ুমন্ডলের পরমাণুকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রনগুলো উচ্চ শক্তিস্তরে (নিউক্লিয়াস থেকে আপেক্ষিকভাবে অনেকদূরে) ঘুরতে শুরু করে। তারপর যখন আবার কোনো ইলেক্ট্রন নিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে তখন সেটি ফোটন বা আলোতে পরিণত হয়।

    Polar lights

    মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বা আরোরা বা আরোরা অস্ট্রালিস (আরোরা উষা) হলো আকাশে একধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী। প্রধানত উঁচু অক্ষাংশের এলাকাগুলোতে আরোরা’র দেখা মিলে। আরোরা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। আরোরা নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক উপকথা চালু ছিল। যেমন নর্জ উপকথা অনুসারে আরোরা হলো ঈশ্বরের সৃষ্টি সেতু। আবার কিছু কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষ আছে যারা মনে করেন তাদের পূর্বপুরুষেরা আকাশে নাচানাচি করে তাই আকাশের রঙ বদলে যায়।[১]

    আরোরাতে যা ঘটে তেমনটি ঘটে নিয়নের বাতিতেও। নিয়ন টিউবের মধ্যে নিয়ন গ্যাসের পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করবার জন্য ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ। তাই নিয়নের বাতিগুলো এরকম উচ্চ মানের রঙ্গিন আলো দেয়। আরোরাও ঠিক এভাবে কাজ করে-তবে এটি আরো বড় মাত্রায় হয়। আরোরাগুলো মাঝে মাঝে আলোর পর্দার মতো দেখায়। তবে এরা গোলাকার অথবা সর্পিল বা বাঁকানোও হতে পারে। বেশিরভাগ আরোরাতে সবুজ রঙ এবং গোলাপী রঙ দেখা যায়। তবে অনেকসময় লাল রঙ বা বেগুনী রঙের হতে পারে।

    Polar lights

    আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে আরোরার দেখা মিলে। মানব ইতিহাস জুড়ে আরোরার রঙ গুলো রহস্যময়। বিভিন্ন মিথোলোজিতে বিভিন্ন কুসংস্কার উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ে। তবে বিজ্ঞান বলেঃ আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসগুলোই হলো আরোরার বিভিন্ন রঙের কারণ। উদাহরণঃ আরোরার সবুজ রঙের কারণ হলো অক্সিজেন আবার আরোরার লাল এবং নীল রঙের জন্য দায়ী হলো নাইট্রোজেন গ্যাস(2008) ।

    আরোরা সৃষ্টির কারণ

    Polar lights

    সূর্য আমাদের থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৪৯৫৯৭৮৭০৭০০ মিটার(প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কি.মি.) দূরে অবস্থিত। কিন্তু এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সৌরঝড়ে চার্জিত কণা (প্লাজমা) মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে এসব কণা পৌছালে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এবং বায়ুমন্ডল এর সাথে প্রতিক্রিয়া করে। যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে। পরমাণু আন্দোলিত হওয়ার অর্থ হল এই যে, যেহেতু পরমাণু নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে আবর্তনকৃত ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত তাই যখন সূর্য থেকে আগত চার্জিত কণা বায়ুমন্ডলের পরমাণুকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রনগুলো উচ্চ শক্তিস্তরে (নিউক্লিয়াস থেকে আপেক্ষিকভাবে অনেকদূরে) ঘুরতে শুরু করে। তারপর যখন আবার কোনো ইলেক্ট্রন নিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে তখন সেটি ফোটন বা আলোতে পরিণত হয়।

    Polar lights

    আরোরাতে যা ঘটে তেমনটি ঘটে নিয়নের বাতিতেও। নিয়ন টিউবের মধ্যে নিয়ন গ্যাসের পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করবার জন্য ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ। তাই নিয়নের বাতিগুলো এরকম উচ্চ মানের রঙ্গিন আলো দেয়। আরোরাও ঠিক এভাবে কাজ করে-তবে এটি আরো বড় মাত্রায় হয়। আরোরাগুলো মাঝে মাঝে আলোর পর্দার মতো দেখায়। তবে এরা গোলাকার অথবা সর্পিল বা বাঁকানোও হতে পারে। বেশিরভাগ আরোরাতে সবুজ রঙ এবং গোলাপী রঙ দেখা যায়। তবে অনেকসময় লাল রঙ বা বেগুনী রঙের হতে পারে।

    আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে আরোরার দেখা মিলে। মানব ইতিহাস জুড়ে আরোরার রঙ গুলো রহস্যময়। বিভিন্ন মিথোলোজিতে বিভিন্ন কুসংস্কার উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ে। তবে বিজ্ঞান বলেঃ আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসগুলোই হলো আরোরার বিভিন্ন রঙের কারণ। উদাহরণঃ আরোরার সবুজ রঙের কারণ হলো অক্সিজেন আবার আরোরার লাল এবং নীল রঙের জন্য দায়ী হলো নাইট্রোজেন গ্যাস(2008) ।

    Polar lights

  • মূল মধ্যরেখা(main midline)

    মূল মধ্যরেখা(main midline)

    মূল মধ্যরেখা (main midline)হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।

    মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]

    ইতিহাস

    অবস্থান

    নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাইছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]

    ইতিহাস

    main midline

    জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]

    জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]

    অবকাঠামো

    main midline

    বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে

    মূল মধ্যরেখা হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।

    মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]

    ইতিহাস

    main midline

    অবস্থান

    নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাইছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]

    ইতিহাস

    main midline

    জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]

    জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]

    অবকাঠামো

    main midline

    main midline

    বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে

    main midline

  • মালভূমি(the plateau)

    মালভূমি(the plateau)

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    the plateau

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বেশি।

    কলোরাডো মালভূমি

    দক্ষিণ আমেরিকার মঁ রোরাইমা

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    the plateau

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বড়।

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বড়।

    the plateau

  • মানব বসতি(human settlement)

    মানব বসতি(human settlement)

    পরিসংখ্যানপ্রত্নতত্ত্বে মানব বসতি (ইংরেজিঃ Human Settlement) হল এমন একটি সম্প্রদায় যেখানে মানুষ বসবাস করে। ডিকশনারি অফ জিওগ্রাফি অনুসারে “স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কোন স্থানে এক বা একাধিক মানুষ যখন বসবাস করতে শুরু করে, তখন তাকে বসতি বলে।”[১] বিখ্যাত ভূগোলবিদ টেরি, জি, জনসন বলেন, “বসতি হল সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যের ধরন সম্পর্কিত অধ্যয়ন।” সুতরাং বলা যায় যে, কোন একটি স্থানে মানুষ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বা অস্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য যে অবয়ব তৈরি করে তাকেই মানব বসতি বলে।

    human settlement

    বসতিতে প্রথাগত ভাবে তার নিজস্ব নির্মিত সুযোগ-সুবিধা, যেমন রাস্তা, বেষ্টনী, মাঠ পদ্ধতি, নদীতীর ও খাল, পুকুর, পার্কবন, বায়ুকল ও পানিকল, জমিদার মহল, পরিখা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বিদ্যমান থাকে।[২]

    ইতিহাস

    প্রকারভেদ

    human settlement

    বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে মানব বসতির শ্রেণীবিভাগ করা হয়।[৩]

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনুসারে

    বসতিতে বসবাসকারী জনগোষ্টির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপরভিত্তি করে মানব বসতিকে ২টি ভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্রামীণ বসতি

    human settlement

    • যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির উপর নির্ভরশীল সেই বসতিকেই গ্রামীণ বসতি বলা হয়। গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ যেকোনো একটি হতে পারে।

    নগর বসতি

    স্থিতিকাল অনুসারে

    স্থিতিকাল অনুসারে বসতি ৩ প্রকার। যথা:

    • ক্ষণস্থায়ী বসতি:যে বসতি বছরের খুব অল্প সময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এবং বাকি সময় অব্যবহৃত থাকে তাকে ক্ষণস্থায়ী বসতি বলে।
    • অস্থায়ী বসতি:যে বসতি অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্মিত হয় তাকে অস্থায়ী বসতি বলে।
    • স্থায়ী বসতি:স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যে বসতি নির্মিত হয় তাকে স্থায়ী বসতি বলে।

    অবস্থান অনুসারে

    human settlement

    অবস্থান অনুসারে মানব বসতি ৩ প্রকার। যথা:

    • জলাময় বসতি: কোনো বড় জলাশয় (যেমন নদী, হ্রদ, সমুদ্র) এর তীরবর্তী এলাকায় যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে জলাময় বসতি বলে।
    • পাহাড়ী বসতি: পাহাড়ী অঞ্চলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে পাহাড়ী বসতি বলে।
    • সমতল বসতি:সমতল অঞ্চলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে সমতল বসতি বলে।

    আকৃতি অনুসারে

    আকৃতি অনুসারে বসতি চার প্রকার। যথা:

    • দন্ডবসতি:যাতায়াতের সুবিধার্থে যখন লোকজন নদী বা রাস্তার দুই ধারে বসতি গড়ে তুলে তবে তাকে দন্ড বসতি বলে।
    • সমকোনী বসতি:যে স্থানে দুই বা তিনটি রাস্তা সমকোনে বা ইংরেজি Y আকারে মিলিত হয় তবে তাকে দন্ড বসতি বলে।
    • চৌমাতা বসতি:দুটি রাস্তা পরস্পরকে ছেদ করেছে এমন রাস্তাকে চৌমাতা বসতি বলে।
    • বৃত্ত বসতি:নিরাপত্তার কারণে নিরাপদ ঘাঁটি বা স্থানকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে বৃত্ত বসতি বলে।

    বিন্যাস অনুসারে

    human settlement

    বিন্যাস অনুসারে মানব বসতি ৫ প্রকার। যথা:

    • সারিবন্ধ বসত:কোনো নদী বা সড়কের দুই ধারে সারিবন্ধভাবে গড়ে ওঠা বসতিকে সারিবন্ধ বসতি বলে।
    • অনুকেন্দ্রিক বসতি:কোনো একটি বিশেষ স্থানকে কেন্দ্র করে চক্রাকারে গড়ে উটা বসতিকে অনুকেন্দ্রিক বসতি বলে।
    • সংঘবদ্ধ বসতি:যখন অনেকগুলো বসতি খুব কাছাকাছি বসবাস করে তখন তাকে সংঘবদ্ধ বসতি বলে।
    • বিছিন্ন বসতি:যখন কোনো অঞ্চলের পরিবারগুলো এলোমেলো ভাবে বসবাস করে তখন তাকে বিছিন্ন বসতি বলে।
    • বিক্ষিপ্ত বসতি:যখন কোনো বসতির মধ্যো কৃষিভূমি, জলাভূমি, বনভূমি থাকার কারণে পরিবারগুলো দূরে অবস্থান করে তখন তাকে বিক্ষিপ্ত বসতি বলে।

    জনসংখ্যার আকার অনুসারে

    জনসংখ্যার আকার অনুযায়ী বসতি চার প্রকার। যথা:

    • খামার বাড়ি:একটি কৃষিজমিকে কেন্দ্র করে এক বা একাধিক পরিবার মিলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে খামার বাড়ি বলে।
    • পাড়া:সাধারণত অল্প কয়েকটি পরিবার মিলে একটি পাড়া তৈরি হয়।
    • ক্ষুদ্রগ্রাম:কয়েকটি পাড়ার সমন্বয়ে একটি ক্ষুদ্রগ্রাম গঠিত হয়।
    • বড়গ্রাম:অনেকগুলো পাড়া নিয়ে একটি বড়গ্রাম গঠিত হয়। এশিয়া মহাদেশএর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং বাংলাদেশএর হবিগণ্জ্ঞ জেলায় অবস্থিত।

    মানব বসতির নিয়ামকসমূহ

    মানব বসতি গড়ে উঠার পেছনে যে সকল উপাদান কাজ করে তাদের কে মানব বসতির নিয়ামক বলে। মানব বসতির নিয়ামক সমূহ প্রধানত ২ প্রকার।

    প্রাকৃতিক নিয়ামক সমূহ

    human settlement

    ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, মাটির উর্বরতা, পানির প্রাপ্যতা, অরণ্য ইত্যাদি

    সামাজিক নিয়ামকসমূহ

    • অর্থনীতি: যে অঞ্চলে খলিজ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ অধিক পরিমাণে পাওয়া যায় যেখানে বসতি গড়ে ওঠে।
    • সংস্কৃতি: যে অঞ্চলে একই ধরনের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট বিদ্যমান যেখানে মানব বসতি গড়ে ওঠে।
    • সমাজ: একই সামাজিক বৈশিষ্টসম্পন্ন মানুষ একত্রে বসবাসের জন্য মানব বসতি গড়ে তোলে।
    • রাজনীতি: রাজনৈতিক কারণেও অনেক সময় বসতির স্থান পরিবতর্তিত হয়।

    গুরুত্ব

    যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির উপর নির্ভরশীল সেই বসতিকেই গ্রামীণ বসতি বলা হয়। গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ যেকোনো একটি হতে পারে।

    human settlement

  • মানচিত্র(Map)

    মানচিত্র(Map)

    মানচিত্র (Map)ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    Map

  • মকরক্রান্তি(Makarkranti)

    মকরক্রান্তি(Makarkranti)

    মকরক্রান্তি(Makarkranti) বা মকরক্রান্তি রেখা বা দক্ষিণ বিষুব হল দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি অক্ষাংশীয় বৃত্ত, যার উপরে সূর্য দক্ষিণায়নের সময় (২১ ডিসেম্বর তারিখে) লম্বভাবে কিরণ দেয়। দক্ষিণ গোলার্ধের যত দূরত্ব পর্যন্ত সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় তার মধ্যে মকরক্রান্তি রেখা সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। মকরক্রান্তি রেখার সমমান বিশিষ্ট উত্তর গোলার্ধের অক্ষাংশটি হলো কর্কটক্রান্তি রেখা। মকরক্রান্তি রেখা পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত প্রধান পাঁচটি অক্ষাংশের একটি। ১০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত রেখাটি ২৩°২৬′১২.৮″ (বা ২৩.৪৩৬৮৯°)[১] অক্ষাংশে বিদ্যমান রয়েছে।

    ভূগোল এবং পরিবেশ

    পৃথিবী জুড়ে অবস্থান

    Makarkranti

    মূল মধ্যরেখা থেকে শুরু করে পূর্বদিকে মকরক্রান্তি রেখা যেসকল এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছেঃ

    স্থানাংকদেশ, অধিকৃত এলাকা বা সমুদ্রটিকা
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ০°০′ পূর্বআটলান্টিক মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৪°২৭′ পূর্ব নামিবিয়াইরোঙ্গো, খোমাস, হারডাপ, খোমাস (পুনরায়), এবং ওমাহেকে অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২০°০′ পূর্ব বতসোয়ানাKgalagadi, Kweneng and Central districts
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২৭°১৮′ পূর্ব দক্ষিণ আফ্রিকালিমপোপো প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩১°৩৩′ পূর্ব মোজাম্বিকগাজা প্রদেশ এবং ইনহাম্বানি প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩৫°২৬′ পূর্বভারত মহাসাগরমোজাম্বিক প্রণালী
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৩°৪৫′ পূর্ব মাদাগাস্কারটোলিয়ারা প্রদেশ এবং ফিয়ানারান্তসয়া প্রদেশশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৭°৩৯′ পূর্বভারত মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১১৩°৪৭′ পূর্ব অস্ট্রেলিয়াপশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, উত্তরাঞ্চল এবং কুইন্সল্যান্ড
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৫১°৩′ পূর্বপ্রবাল সাগরPassing just south of Cato Reef in  Australia’s Coral Sea Islands Territory
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৬৬°৪৬′ পূর্বপ্রশান্ত মহাসাগরPassing just north of the Minerva Reefs ( টোঙ্গা), and just south of Tubuai ( ফরাসি পলিনেশিয়া)
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৭০°৩৬′ পশ্চিম চিলিআন্তোফাগাস্তা অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬৭°০৭′ পশ্চিম আর্জেন্টিনাJujuy, Salta, Jujuy (again), Salta (again) and ফরমোসা প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬১°২৩′ পশ্চিম প্যারাগুয়েBoquerón, Presidente Hayes, Concepción, San Pedro and Amambay departments
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৫৫°৩৮′ পশ্চিম ব্রাজিলMato Grosso do Sul, Paraná, and São Paulo states
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৫°২′ পশ্চিমআটলান্টিক মহাসাগর
    সকল স্থানাঙ্কের মানচিত্র: ওপেনস্ট্রীটম্যাপ 
    এই হিসেবে স্থানাঙ্ক ডাউনলোড করুন: KML · GPX

    মকরক্রান্তি রেখা বরাবর অবস্থিত স্থান

    Makarkranti

    • আতসিমো-আন্দ্রেফানা অঞ্চল, মাদাগাস্কার
    • উত্তর আর্জেন্টিনার জুজুই প্রদেশে অবস্থিত মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশক চিহ্ন
    • একটি সাইনবোর্ড যেটি নামিবিয়ার উপর দিয়ে মকরক্রান্তি রেখার স্থান নির্দেশ করছে
    • Roadway plaque marking the Tropic of Capricorn in the city of Santana do Parnaíba, Brazil, at the correct latitude for year 1917.
    • Marker for the tropic in Maringá, Paraná, Brazil, July 2012
    • Roadside monument marking Tropic of Capricorn in Rockhampton, Queensland, Australia, 28 January 2005
    • কুইন্সল্যান্ডের রখ্যাম্পটনে অবস্থিত স্তম্ভটি মকরক্রান্তি নির্দেশ করছে, অস্ট্রেলিয়া, ১৯৭০
    • পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় একটি রাস্তার সংকেত মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করছে, অস্ট্রেলিয়া, ২৬ আগস্ট ২০০৮
    • Monument marking the Tropic of Capricorn just north of Alice Springs, Northern Territory, Australia

    পৃথিবীর আণতির সাথে (ε) ক্রান্তীয় এবং মেরু বৃত্তের সম্পর্ক

    মকরক্রান্তি রেখার সম্পূর্ণ দক্ষিণে অবস্থিত দেশগুলোর তালিকা

    পৃথিবীর স্থলভাগের অধিকাংশই উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত, তাই মাত্র চারটি দেশ সম্পূর্ণরূপে মকরক্রান্তি রেখার দক্ষিণে অবস্থিত (পৃথিবীর মোট ৭৪ টি দেশ সম্পূর্ণরূপে কর্কটক্রান্তি রেখার উত্তরে অবস্থিত):

    •  লেসোথো
    •  নিউজিল্যান্ড[২]
    •  সোয়াজিল্যান্ড
    •  উরুগুয়ে

    নাম

    Makarkranti

    আরো দেখুন

    পৃথিবীর মানচিত্রে মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করা হয়েছে

    ১৭৯৪ সালের স্যামুয়েল ডানের মানচিত্রে মকরক্রান্তি রেখা

    চিলির আন্তোফাগাস্তাতে অবস্থিত স্তম্ভটি মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করছে

    লংরিচ, কুইস্নল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া

    মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশকারী সংকেত, মারিঙ্গা, ব্রাজিল

    মকরক্রান্তি রেখায় অবস্থিত সূর্যঘড়ি, জুজুই প্রদেশ, আর্জেন্টিনা

    মকরক্রান্তি বা মকরক্রান্তি রেখা বা দক্ষিণ বিষুব হল দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি অক্ষাংশীয় বৃত্ত, যার উপরে সূর্য দক্ষিণায়নের সময় (২১ ডিসেম্বর তারিখে) লম্বভাবে কিরণ দেয়। দক্ষিণ গোলার্ধের যত দূরত্ব পর্যন্ত সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় তার মধ্যে মকরক্রান্তি রেখা সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। মকরক্রান্তি রেখার সমমান বিশিষ্ট উত্তর গোলার্ধের অক্ষাংশটি হলো কর্কটক্রান্তি রেখা। মকরক্রান্তি রেখা পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত প্রধান পাঁচটি অক্ষাংশের একটি। ১০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত রেখাটি ২৩°২৬′১২.৮″ (বা ২৩.৪৩৬৮৯°)[১] অক্ষাংশে বিদ্যমান রয়েছে।

    ভূগোল এবং পরিবেশ

    Makarkranti

    পৃথিবী জুড়ে অবস্থান

    মূল মধ্যরেখা থেকে শুরু করে পূর্বদিকে মকরক্রান্তি রেখা যেসকল এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছেঃ

    স্থানাংকদেশ, অধিকৃত এলাকা বা সমুদ্রটিকা
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ০°০′ পূর্বআটলান্টিক মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৪°২৭′ পূর্ব নামিবিয়াইরোঙ্গো, খোমাস, হারডাপ, খোমাস (পুনরায়), এবং ওমাহেকে অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২০°০′ পূর্ব বতসোয়ানাKgalagadi, Kweneng and Central districts
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২৭°১৮′ পূর্ব দক্ষিণ আফ্রিকালিমপোপো প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩১°৩৩′ পূর্ব মোজাম্বিকগাজা প্রদেশ এবং ইনহাম্বানি প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩৫°২৬′ পূর্বভারত মহাসাগরমোজাম্বিক প্রণালী
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৩°৪৫′ পূর্ব মাদাগাস্কারটোলিয়ারা প্রদেশ এবং ফিয়ানারান্তসয়া প্রদেশশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৭°৩৯′ পূর্বভারত মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১১৩°৪৭′ পূর্ব অস্ট্রেলিয়াপশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, উত্তরাঞ্চল এবং কুইন্সল্যান্ড
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৫১°৩′ পূর্বপ্রবাল সাগরPassing just south of Cato Reef in  Australia’s Coral Sea Islands Territory
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৬৬°৪৬′ পূর্বপ্রশান্ত মহাসাগরPassing just north of the Minerva Reefs ( টোঙ্গা), and just south of Tubuai ( ফরাসি পলিনেশিয়া)
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৭০°৩৬′ পশ্চিম চিলিআন্তোফাগাস্তা অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬৭°০৭′ পশ্চিম আর্জেন্টিনাJujuy, Salta, Jujuy (again), Salta (again) and ফরমোসা প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬১°২৩′ পশ্চিম প্যারাগুয়েBoquerón, Presidente Hayes, Concepción, San Pedro and Amambay departments
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৫৫°৩৮′ পশ্চিম ব্রাজিলMato Grosso do Sul, Paraná, and São Paulo states
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৫°২′ পশ্চিমআটলান্টিক মহাসাগর
    সকল স্থানাঙ্কের মানচিত্র: ওপেনস্ট্রীটম্যাপ 
    এই হিসেবে স্থানাঙ্ক ডাউনলোড করুন: KML · GPX
  • ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (Vladimir Kopen) ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    Vladimir Kopen

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (রুশ: Влади́мир Петро́вич Кёппен, ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ: