Tag: Edsger Wybe Dijkstra

  • টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ

    টোটেমবাদ হল মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে সম্পর্কগত একধরনের বিশ্বাস। ‘টোটেম’ শব্দটির অর্থ “আমার এক আত্মীয়”। আমেরিকা, আফ্রিকাঅস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীদের মধ্যে এর বিবরণ পাওয়া গেছে। জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মধ্যে গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, কোন একটি স্বজাতির গোষ্ঠীর টোটেম একটি প্রাণী বা গাছ হয়ে থাকে। এগুলোকে তাদের কোন পবিত্র বস্তু হতে হয় এবং কেবলমাত্র তাদেরই অধিকারভুক্ত হতে হয়।[১][২][৩][৪][৫]

    টোটেমবাদ

    উত্তর আমেরিকা

    উত্তর আমেরিকার টোটেম পোলসমূহ

    ধর্মের নৃবিজ্ঞান
    বিষয়ে ধারাবাহিকের একটি অংশ
    A totem pole in Ottawa, Ontario, Canada
    মৌলিক ধারণাসমূহপরকাল Animism Bora Communitas Comparative religion Divination Divine language Evolutionary origin of religions Fetishism Great Spirit Henotheism Initiation Liminality Magic Mana একেশ্বরবাদ Polytheism Transtheism Revitalization movement Rite of passage Ritual Sacred language Sacred–profane dichotomy Shamanism Theories about religions Totem Veneration of the dead
    ঘটনা অধ্যয়ন
    সংশ্লিষ্ট নিবন্ধসমূহ
    মূখ্য তাত্ত্বিকবৃন্দ
    গবেষণা জার্নালসমূহ
    ধর্মসমূহ
    সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান
  • জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান

    জীবনযাত্রার মান বলতে বুঝায় কোন এলাকার সাধারণত দেশের সম্পদের পরিমাণ, মানুষের আয়, চাহিদা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা। জীবনযাত্রার মানে অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যেমন-চাকরি বাজার, কর্মক্ষমতা, শ্রেণী -বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি, এক বছরে ছুটির পরিমাণ, ক্রয়ক্ষমতা, সেবার ব্যয়,শিক্ষার সহজলভ্যতা, রাজনৈতিক স্থিতীশিলতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জলবায়ু, প্রকৃতিক অবস্তুা, জাতীয় অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। বেঁচে থাকার মানদণ্ড আমাদের জীবনের মানের উপর নির্ভর করে।[১]

    জীবনযাত্রার মান

    মাপকাঠি

    জীবনযাত্রার মান সাধারনত হিসেব করা হয় মাথাপিছু আয় এবং দারিদ্রতার হার দিয়ে। অন্য কিছু উপাদান যেমন- শিক্ষার অবস্থা,আয়-বৃদ্ধি ইত্যাদি ও যোগ করা হয়। জীবনযাত্রার মান শব্দটি মূলত গুনগত জীবনের বিপরীত হিসেবে ধরা হয় যেখানে শুধু উপদানগত মান থাকবে না।

    আরও দেখুন

  • জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতত্ত্ব বলতে মানব জনসংখ্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক আলোচনা ও গবেষণাশাস্ত্রকে বোঝায়। সাধারণভাবে এই শাস্ত্রে যে কোনো বাস্তব জনসংখ্যা, অর্থাৎ স্থান ও কাল সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল যে কোনো জনসমষ্টির বিশ্লেষণ সম্ভব। এতে উদ্দিষ্ট জনসংখ্যার আয়তন, গঠন ও জনবণ্টন সম্বন্ধে আলোকপাত করা যায়, আর সময়, জন্ম, পরিযান, আয়ুবৃদ্ধি ও মৃত্যু প্রভৃতি প্রভাবকের ফলে তার পরিবর্তনের বিশ্লেষণও করা যায়।

    জনসংখ্যাতত্ত্ব

    জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-পদ্ধতিতে গোটা সমাজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সূচকের ভিত্তিতে নির্ধারিত জনসমষ্টিরও গবেষণা সম্ভব; এই সূচকগুলোর মধ্যে শিক্ষা, জাতীয়তা, ধর্ম এবং জাতি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জনসংখ্যাতত্ত্বকে সাধারণত সমাজবিজ্ঞানের শাখা হিসেবে গণ্য করা হলেও আলাদা জনসংখ্যাতত্ত্ব বিভাগেরও অস্তিত্ব আছে।[১]

  • ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ (ইংরেজি: Historical materialism)হচ্ছে সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ। সামাজিক জীবনধারা এবং সমাজ ও সমাজের ইতিবৃত্তের বিচারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ ও ব্যবহারকে বলে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।[১]

    ঐতিহাসিক বস্তুবাদ

    কার্ল মার্কস “ঐতিহাসিক বস্তুবাদ” অভিধাটি নিজে প্রয়োগ করেননি। তিনি যে শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন তা হচ্ছে ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারণা[২] ইতিহাসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্ব[৩] হচ্ছে সমাজব্যাখ্যার পদ্ধতি। মার্কসের কাছে সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তরণের জন্যই সমাজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হয়।[২] মার্কস ও এঙ্গেলস ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যার প্রথম প্রবক্তা। সমাজের দার্শনিক ব্যাখ্যায় মার্কসবাদ যে মৌলিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলো এটা ছিলো তার ভিত্তি।[৪]

    ইতিহাস সম্বন্ধে মার্কসবাদী ধারণা

    “সমাজ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত নয়, কিন্তু আন্তঃসম্পর্কের যোগফলকে প্রকাশ করে, সেই সম্পর্কগুলোর ভেতরেই ব্যক্তিগণ দাঁড়ায়।”

    — কার্ল মার্কস, Grundrisse, 1858[৫]

  • উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    তালিকা

    উইকিপিডিয়া:উইকিপ্রকল্প সমাজবিজ্ঞানী

    • Jane Addams
    • Theodor Wiesengrund Adorno
    • Louis Althusser
    • Annales school
    • Robert Ardrey
    • Raymond Aron
    • Gaston Bachelard
    • Emily Greene Balch
    • Chester I. Barnard
    • Ruth Fulton Benedict
    • Walter Benjamin
    • Jeremy Bentham
    • Eduard Bernstein
    • Wilfred Bion
    • Marc Bloch
    • Herbert Blumer
    • Franz Boas
    • John E. Bowlby
    • Fernand Braudel
    • Ernest W. Burgess
  • আধুনিকীকরণ

    আধুনিকীকরণ

    আধুনিকীকরণ-কে সে-সব সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়া ও সম্পর্কের একটি সেট হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেগুলো আধুনিক জীবন সম্পর্কে ইউরোপীয় ধ্যানধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৭ শতক থেকে গড়ে উঠেছে।

    আধুনিকীকরণ

    উৎপত্তি

    ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব, সামাজিক ডারউইনবাদ-এ মানব সমাজের বিবর্তনের নিয়মাবলী বিবৃত হয়েছে।[১] বর্তমান আধুনিকীকরণ তত্ত্ব মূলত জার্মান সমাজবিজ্ঞানী মাক্স ভেবার (১৮৬৪-১৯২০) এর প্রাসঙ্গিতকতা ও অসঙ্গতার ভূমিকা ধারণার সাথে সাথে বিকাশ লাভ করে। ভেবারের ধারণা আধুনিকীকরণের মূল রচনা করে এবং এই ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেন হার্ভার্ডের সমাজবিজ্ঞানী থেলকট পার্সনস (১৯০২-১৯৭৯), যিনি ওয়েবারের কাজকে ১৯৩০ এর দশকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং তার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।[২][৩]

    প্রযুক্তি

    নতুন প্রযুক্তি সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। আধুনিকীকরণের পর থেকে সামাজিক পরিবর্তনে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে শিল্পায়নে অগ্রসর হয়েছে। ফলে প্রযুক্তিগত দিকে নজর দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। নতুন প্রযুক্তি সমাজ পরিবর্তন করে না। বরং প্রযুক্তিগত কারণে সামাজিক পরিবর্তন হয়।

  • অ্যানাসাইরমা

    অ্যানাসাইরমা

    অ্যানাসাইরমা (ইংরেজি: Anasyrma) যাকে অ্যানাসাইরমসও[১] বলা হয় এক ধরনের ভাবভঙ্গী যেখানে স্কার্টকে উপরে তোলা হয়। এটা কিছু ধর্মীয় উপাসনাতে, স্থূলতায় ও ইন্দ্রিয়াসক্তিপূর্ণ কৌতুকে ব্যবহার করা হয়। শিল্প সম্পর্কিত কাজের বর্ণনাতেও এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। অ্যানাসাইরমা ফ্ল্যাসিং থেকে আলাদা যা এক প্রকারের প্রদর্শনকামনা যেখানে যৌন উদ্দীপনাই মুখ্য থাকে; আর এখানে দর্শকের প্রতিক্রিয়ার জন্যই করা হয়। অ্যানাসাইরমা একধরনের প্ররোচনাপূর্ণ স্ব-উম্মোচন যেখানে একজন তার গুপ্তাঙ্গ বা নিতম্ব প্রদর্শন করে। কোন কোন সংস্কৃতিতে এটা করা হয় অতিপ্রাকৃতিক শত্রুকে ব্যঙ্গ করতে যা অনেকটা মুনিং-এর মতো।

    অ্যানাসাইরমা

    গ্রিসের প্রাচীন ইতিহাসে

    ধর্মীয় তামাশা ও অশ্লীলতা হলো সাধারণ একটা বিষয় ডিমিটার ও ডিওনাইসুসের উপাসনায়। পৌরণিকত্তত্ববিদ অ্যাপোলোডরাসের মতে ল্যাম্বিদের তামাশাই থেস্মোফোরিয়া নামের ধর্মীয় তামাশার চর্চার কারণ, যা ডিমিটার ও ডিওনাইসুসের স্নমানে করা হত। কিন্তু অন্য পুরাণ মতে ডিমিটার দেবী বাউবো নামের একজন মহিলাকে পায় যে তাকে হাসায় নিজেকে উন্মুক্ত করে অ্যানাসাইরমা নামের ধর্মীয় ভাবভঙ্গির মাধ্যমে।

  • অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন বলতে অনলাইনে যোগাযোগ করার সময় কোন ব্যক্তির সাথে সামনা সামনি কথা বলার তুলনায় অনুভূতিকে কম দমন করাকে বোঝানো হয়।[১] অনলাইন ডিজইনহিবিশনের সাম্ভাব্য কারণগুলো হল নামহীনতা (কেউ আমাকে চেনেনা, এরকম অনুভূতি) (anonymity), অদৃশ্যতা (invisibility), অসঙ্কালিক যোগাযোগ (asynchronous communication), সহমর্মিতার অভাব (empathy deficit), এবং সেই সাথে ব্যক্তিগত বিভিন্ন কারণ যেমন ব্যক্তিত্ব ও ব্যক্তির সাংস্কৃতিক অবস্থার বিভিন্ন বিষয়।[২][৩][৪] এই এফেক্টের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই রয়েছে। অনলাইন ডিজইনহিবিশনকে বিনাইন বা কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং টক্সিক বা বিষাক্ত এই দুইভাগে ভাগ করা যায়।[১]

    অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট

    কারণসমূহ

    নামহীনতা, অসঙ্কালিক যোগাযোগ এবং সহমর্মিতার অভাব অনলাইন ডিজহিবিশনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।[২] নামহীনতা অনলাইনে ব্যক্তিকে নিরাপত্তার অনুভূতি দান করে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নিজের পছন্দ মত যেকোন ব্যক্তিত্ব ধারণ করতে পারেন, যা নিজে তিনি নন। অর্থাৎ এখানে তিনি একজন ভিন্ন মানুষ হয়ে যেতে পারেন। এর জন্য তিনি মনে করতে পারেন যে, এখানে যেকোন কিছু বলা বা করা সম্ভব, কারণ বাস্তব জীবনে এর জন্য তাকে তিরস্কার করা হবে না, কেউ সামনে এসে তাকে কিছু বলতে যাবে না।[১] অসঙ্কালিক যোগাযোগ এমন একরকম যোগাযোগ যা একাধিক ব্যক্তির মধ্যে লাইভ বা সরাসরি হয় না। এখানে অরিজিনাল বার্তাটি পাঠাবার পর তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায় না, প্রত্যুত্তর পেতে সময় লাগে।[৫] এই অসঙ্কালিক যোগাযোগ অনলাইন ডিজইনহিবিশনকে প্রভাবিত করে কারণ এখানে একজন ব্যক্তি ইন্টারনেটে কিছু লিখবার পর পরক্ষণেই তার প্রত্যুত্তর পান না, এবং সেখান থেকে চলে যান। আর একারণে সে কী বলছে এটা নিয়ে তাকে তেমন চিন্তা করতে হয় না। অন্যদিকে এটা একই সাথে একজন ব্যক্তিকে সময় নিয়ে চিন্তাশীল উত্তর দেবার সুযোগ তৈরি করে দেয়।[২] সহমর্মিতার অভাব বলতে বোঝায় অন্যের আবেগকে বুঝতে পারার ক্ষমতা কমে যাওয়া।[৬] অবাচনিক প্রতিক্রিয়ার (non-verbal feedback) (বডি ল্যাংগুয়েজ, ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন ইত্যাদি) অভাবের কারণে অনলাইন যোগাযোগে এই সহমর্মিতার অভাব দেখা যায়।[৭] মাধ্যমায়িত যোগাযগ ব্যবস্থায় অপরপক্ষ কোন ভয়েস টোনে এবং কিরকম ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন নিয়ে বার্তাগুলো পাঠাচ্ছেন তা বোঝা মুশকিল। তাই এক্ষেত্রে অন্যের সাথে সহমর্মায়ন করা (empathizing) কঠিন হয়ে যায়। নামহীনতা এবং সহমর্মিতার অভাব – এই দুইয়ে মিলে অনলাইনে অন্যদের অনুভূতিকে বোঝা অনেক কঠিন হয়ে যায়, যার মূলে থাকে অন্যদেরকে সামনা সামনি পেয়ে তাদের ফেশিয়াল এক্সপ্রেশন না দেখতে পাওয়া।[১][২]

    অনেক গবেষকই প্যাথলজিকাল ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বর্ধিত অনলাইন ডিজইনহিবিশনের মধ্যকার সম্পর্কের কথার উল্লেখ করেছেন, যা বিশেষ করে কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য সত্য।[৮][৯] অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, এই ডিজইনহিবিশন অনেক সময়ই অন্যান্য নেশাগ্রস্ত আচরণের পুর্বসুরি। মানুষের মধ্যকার নিম্ন আত্মমর্যাদা (low self-esteem) এবং অনলাইন ডিজইনহিবিশন – এই দুইয়ে মিলে প্যাথলজিকাল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদেরকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যায় যে তাদের ইন্টারনেটের নামহীনতা আর অসঙ্কালিকতার সুবিধাগুলো একরকম মুক্তির অনুভূতি দান করে। আর এটা তাদেরকে অনলাইনে আরও বেশি ডিজইনহিবিশনের মধ্যে নিয়ে যায়।[৯]

    একটি গবেষণায় নামহীনতা এবং অধিকত ডিজইনহিবিশনের মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। সেই অধিকতর ডিজইনহিবিশনের ব্যবহারগুলোর মধ্যে ফোরচ্যানের মেসেজ বোর্ডে দুষ্কৃতি-সদৃশ ব্যবহার ছিল।[১০] এদিকে দেখা গেছে, একই সাথে এই ডিজইনহিবিশন এর কারণে অনেকে অনেক সৃজনশীল মিম তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।

    সাম্ভাব্য ফলাফল

    সাইবারবুলিং

    সাইবারবুলিং বলতে বোঝায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কাউকে অস্বস্তিতে ফেলা, ভীত করা, অথবা নিজেদের ব্যাপারে খারাপ ভাবানো।[১১] অনলাইন ডিজইনহিবিশন সাইবারবুলিংকে যথেষ্ট মাত্রায় প্রভাবিত করে। নামহীনতার কারণে ব্যক্তি অনেক হীন মন্তব্য করার দিকে ধাবিত হয়, কিন্তু কেবল এটাই সাইবারবুলিং এর একমাত্র কারণ নয়।[১২] অসঙ্কালিক যোগাযোগও মানুষকে এই কাজে প্রণোদনা যোগায়। এর কারণে মানুষ যা বলার তা বলে লগ আউট করে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারে, যেন কিছুই ঘটেনি সেখানে। কারণ যাকে বলা হল ইন্টারনেটের বাইরে আর তার সম্মুখীন হতে হবে না।[১৩] এদিকে সহমর্মিতার অভাব প্রথম থেকেই তার অবদান রাকে এই বুলিং এর সুযগ করে দিয়ে, যেখানে ভুক্তভোগী কেবলি কম্পিউটার স্ক্রিনে থাকা একটি নাম।[২]

    আরও দেখুন

  • অতিথি

    অতিথি

    যে ব্যক্তিকে গৃহে, সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা প্রচারমাধ্যমে সাদরে আপ্যায়ন করা হয় তাকে অতিথি বলে। প্রায় সব ধর্মে অতিথি বা মেহমান কে ভালো ভাবে আপ্যায়ন করার নির্দেশ রয়েছে। মুসলিমদের ধর্মে অতিথি আপ্যায়ন একটি মহৎ কাজের মধ্যে পরে। হিন্দুরা মনে করেন অতিথি হচ্ছে তাদের দেবতার অংশ। অতিথিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে মানবমনে সৌজন্য, শিষ্ঠাচার ও মানবপ্রেমের অসাধারণ বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

    অতিথি

    সংস্কৃতি

    সব দেশেই অতিথিদের সুন্দরভাবে আপ্যায়ন করার রীতি রয়েছে। যুগ যুগ ধরে অতিথি আপ্যায়নে বাঙালিদের সুনাম রয়েছে।বাংলাদেশে কারো বাড়িতে অতিথি বা মেহমান এলে সে বাড়িতে ভালো খাবার রান্না করা হয়। তাদের সাথে সুন্দর ব্যবহার করা হয়। অনেক গল্প-গুজব হয়। মেহমানরা যেন কোনো ভাবে কোনো রকম কষ্ট না পান সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। এক কথায় অতিথি আসলে বাড়িতে অন্যরকম একটা আমেজ তৈরি হয়।

  • অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি হল কোন বহিরাগত বা অপরিচিত মানুষের থেকে ভয় বা অবিশ্বাস।[১][২]

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতির প্রভাব গোষ্ঠীর ভিতরের মানুষের গোষ্ঠীর বাইরের মানুষের ওপর বা বিষয়ে সম্বন্ধ, অনুভূতি ইত্যাদিতে দেখা যায়। নিজের পরিচয় হারানোর ভয়, কর্মকাণ্ডের ওপর সন্দেহ, উগ্রতা, এবং তার উপস্থিতি নাকচ করে আগে থেকে ধারণা করে নিয়ে পবিত্রতা রক্ষা ইত্যাদি এর অন্তর্গত।[৩] অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে “অন্য সংস্কৃতির অসমালোচনামূলক উৎকর্ষ” হিসাবে দেখানো যায়, যেখানে কোনো একটি সংস্কৃতিকে “অবাস্তব, রূঢ়বদ্ধভাবে ধৃত এবং বিদেশী” আখ্যা দেওয়া হয়।[৩]

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি এবং বর্ণবাদের (racism) ভেদ না বুঝে কখনো কখনো দুটি শব্দকে অন্যটির পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। কারণ বহুক্ষেত্রে, একই রাষ্ট্রের লোক একই বর্ণ বা জাতির হয়।[৪] সেইজন্য, অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে বহিরাগত সংস্কৃতির বিরোধ বলে মনে করে পৃথক করা হয়।[৪]

    সংজ্ঞা

    অজ্ঞাতব্যক্তিভীতিকে “বহিরাগতের প্রতি দৃঢ়বদ্ধভাবে থাকা ভয়” বা “অচেনার ভয়” বলা যায়।[৫] অজ্ঞাতভীতির ইংরাজী শব্দ জেনোফোবিয়া (xenophobia) এসেছে গ্রিক জেনোস (ξένος) অর্থাৎ “অপরিচিত”, “বহিরাগত” এবং ফোবোস (φόβος) অর্থাৎ “ভয়”-এর থেকে।

    চিহ্নিতকরণ

    এশিয়া

    মালয়েশিয়া

    ২০১৪ সালে, পেনাং রাজ্যে বিদেশিদের স্থানীয় খাবার রান্না করার উপর একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। খ্যাতনামা স্থানীয় রাঁধুনি রেজুয়াওয়ান ইসমাইল এই আইনের সমালোচনা করেন।

    ওশিয়ানিয়া

    অস্ট্রেলিয়া

    ২০০৫ সালের ক্রোনুলা দাঙ্গা সংঘটিত হয় শ্বেতাঙ্গ ও লেবানিয় অস্ট্রেলীয়দের পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসপূর্ণ মনোভাবের জন্য।

    আফ্রিকা

    দক্ষিণ আফ্রিকা

    ২৩ এপ্রিল ২০১৫-তে জোহানেসবার্গে অজ্ঞাতব্যক্তিভীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    দক্ষিণ আফ্রিকায় অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি বর্ণভেদের যুগ এবং বর্ণভেদের পরবর্তী যুগ, উভয় সময়েই দেখা গেছে। দ্বিতীয় বুয়ার্স যুদ্ধের পর বুয়ারদের এবং ব্রিটিশদের মধ্যেকার সম্বন্ধ অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক গরিব আফ্রিকান ব্রিটিশদের ব্যবসায়িক স্থানসমূহ আক্রমণ করে।[৬] দক্ষিণ আফ্রিকায় সেকারণে অনেক আইন গৃহীত হয়, যেমন: “ইচ্ছুক না হওয়া” ভারতীয়দের বিতাড়ন করতে প্রণয়ন করা ১৯১৩ সালের ইমিগ্রেণ্টস্ রেগুলেশন অ্যাক্টটাউনশিপ ফ্র্যানচাইজি অর্ডিনেন্স অব ১৯২৪-এ ভারতীয়দেরকে মিউনিসিপাল ফ্র্যানচাইজির থেকে বঞ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছিল।[৭]

    ১৯৯৪ এবং ১৯৯৫-তে জোহানেসবার্গে বিদেশীদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। দাবী করা হয় যে, পুলিশরা যেন বিদেশীদের তাদের দেশ থেকে বের করে দেয়।[৮] ২০০৮ এ একই স্থানে পুনরায় আক্রমণ ঘটে।[৯][১০][১১] হাজার হাজার বিদেশীকে স্থান ত্যাগ করতে হয়; তাদের সম্পত্তি, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান এবং ঘরবাড়ি লুট করা হয়।[১২] এই আক্রমণে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়।[৮]

    ২০১৫-তে, দক্ষিণ আফ্রিকায় পুনরায় অজ্ঞাতব্যক্তিভীতি সম্বন্ধীয় আক্রমণ সংঘটিত হয় জিম্বাবুয়ে থেকে আসা লোকজনের বিরুদ্ধে।[১৩] জুলু রাজা গুডউইল জ্বেলিথিনি কভেকুজুলু বিদেশীদের “তল্পিতল্পা গুটিয়ে দেশ ছাড়ো” বলার পরেই এমনটা হয়।[৮][১৪] ২০ এপ্রিল ২০১৫-এর তথ্যানুযায়ী, এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু, এবং ২০০০-এরও বেশি বিদেশী স্থানচ্যুত হয়।[১৩]