Tag: Edsger Wybe Dijkstra

  • রোসারিও(Rosario)

    রোসারিও(Rosario)

    রোসারিও ( Rosario)হল উত্তর-মধ্য আর্জেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের বৃহত্তম শহর। এটি বুয়েনোস আইরেস থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৭ মাইল) দূরে পারানা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে রোসারিও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। কোনও রাজ্যের রাজধানী নয় এমন শহরগুলির মধ্যে আর্জেন্তিনায় এই শহরই সবচেয়ে জনবহুল; এই শহরের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। বৃহত্তর রোসারিওতে ২০১২ র হিসাবে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,২৭৬,০০০ জন। [৫] এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর নব্যধ্রুপদী স্থাপত্য; বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্যরীতি শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

    Rosario

    এই শহর রোসারিও দপ্তর‘এর প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। আর্জেন্তিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি একটি প্রধান রেলপথের প্রান্তিক স্টেশন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আর্জেন্তিনার অন্যতম প্রধান নৌকেন্দ্র। এই নদীবন্দরে জাহাজ পারানা নদীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই নদী যদিও ৩৪ ফুট (১০ মি) গভীর, তবে পলি জমে যাওয়ার প্রবণতা এর এক বড় সমস্যা; সেইকারণে পর্যায়ক্রমে পঙ্কোদ্ধার করে এর নাব্যতা বজায় রাখতে হয়। এখানে জাহাজ ঢোকা-বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রোসারিও পোর্ট কর্তৃপক্ষ। [৬] গম,ময়দা,খড়,তিসি, বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টা, চিনি,চেরা কাঠ , বিভিন্ন মাংস, চামড়া এবং উল এই বন্দরের মাধ্যমে মূলত রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

    Rosario

    পারানা নদী বরাবর গড়ে ওঠা যে কয়টি আর্জেন্তিনীয় শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম করা সম্ভব হয় না, রোসারিও তার মধ্যে অন্যতম। এই শহরের রক্ষাকর্ত্রী কুমারী রোসারিও। তার সম্মানে খ্রিস্টীয় উৎসবের দিন (ফিস্ট) হল ৭ অক্টোবর। এ’ ক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য উল্লেখের দাবি রাখে; গ্রহাণু ১৪৮১২ রোসারিওর নামকরণ এই সন্ত কুমারী রোসারিওর সম্মানেই করা হয়।[৭]

    রোসারিও শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষের সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন বিপ্লবী চে গেভারা; ফুটবল খেলোয়াড় ম্যাক্সিমিলিয়ানো উররুতি, লিওনেল মেসি, এঙ্খেল দি মারিয়া, ম্যাক্সিমিলিয়ানো রদ্রিগেজ এবং মাউরো ইকার্দি;ফুটবল প্রশিক্ষক সিজার লুইস মেনোত্তি, গেরার্দ্প মার্তিনো এবং মার্সেলো বিয়েলসা;হকি খেলোয়াড় লুসিয়ানা আয়ামার; অভিনেতা / কৌতুকাভিনেতা আলবার্তো ওলমেদো এবং অভিনেত্রী লিবের্তাদ লামার্কে;জ্যাজ সুরকার গাতো বারবিএরি; কার্টুনিস্ট / লেখক রবার্ট ফন্তানাহোসা; গায়ক / গীতিকার ফিতো পেজ; শিল্পী / চিত্রশিল্পী আন্তোনিও বের্নি; এবং মডেল ভ্যালেরিয়া মাজ্জা, প্রমুখ।

    রোসারিও (স্পেনীয় উচ্চারণ: [roˈsaɾjo]) হল উত্তর-মধ্য আর্জেন্তিনার সান্তা ফে প্রদেশের বৃহত্তম শহর। এটি বুয়েনোস আইরেস থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ৩০০ কিলোমিটার (১৮৭ মাইল) দূরে পারানা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। জনসংখ্যার বিচারে রোসারিও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। কোনও রাজ্যের রাজধানী নয় এমন শহরগুলির মধ্যে আর্জেন্তিনায় এই শহরই সবচেয়ে জনবহুল; এই শহরের গুরুত্ব ক্রমবর্ধমান। বৃহত্তর রোসারিওতে ২০১২ র হিসাবে আনুমানিক জনসংখ্যা ছিল ১,২৭৬,০০০ জন। [৫] এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হল এর নব্যধ্রুপদী স্থাপত্য; বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে এই স্থাপত্যরীতি শহরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ভবনে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।

    Rosario

    এই শহর রোসারিও দপ্তর‘এর প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র। আর্জেন্তিনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই শহরটি একটি প্রধান রেলপথের প্রান্তিক স্টেশন এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আর্জেন্তিনার অন্যতম প্রধান নৌকেন্দ্র। এই নদীবন্দরে জাহাজ পারানা নদীর মাধ্যমে প্রবেশ করে। এই নদী যদিও ৩৪ ফুট (১০ মি) গভীর, তবে পলি জমে যাওয়ার প্রবণতা এর এক বড় সমস্যা; সেইকারণে পর্যায়ক্রমে পঙ্কোদ্ধার করে এর নাব্যতা বজায় রাখতে হয়। এখানে জাহাজ ঢোকা-বেরোনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে রোসারিও পোর্ট কর্তৃপক্ষ। [৬] গম,ময়দা,খড়,তিসি, বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টা, চিনি,চেরা কাঠ , বিভিন্ন মাংস, চামড়া এবং উল এই বন্দরের মাধ্যমে মূলত রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

    Rosario

    পারানা নদী বরাবর গড়ে ওঠা যে কয়টি আর্জেন্তিনীয় শহরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কোনও একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নাম করা সম্ভব হয় না, রোসারিও তার মধ্যে অন্যতম। এই শহরের রক্ষাকর্ত্রী কুমারী রোসারিও। তার সম্মানে খ্রিস্টীয় উৎসবের দিন (ফিস্ট) হল ৭ অক্টোবর। এ’ ক্ষেত্রে আরেকটি তথ্য উল্লেখের দাবি রাখে; গ্রহাণু ১৪৮১২ রোসারিওর নামকরণ এই সন্ত কুমারী রোসারিওর সম্মানেই করা হয়।[৭]

    রোসারিও শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষের সংখ্যা অনেক। এঁদের মধ্যে কয়েকজন হলেন বিপ্লবী চে গেভারা; ফুটবল খেলোয়াড় ম্যাক্সিমিলিয়ানো উররুতি, লিওনেল মেসি, এঙ্খেল দি মারিয়া, ম্যাক্সিমিলিয়ানো রদ্রিগেজ এবং মাউরো ইকার্দি;ফুটবল প্রশিক্ষক সিজার লুইস মেনোত্তি, গেরার্দ্প মার্তিনো এবং মার্সেলো বিয়েলসা;হকি খেলোয়াড় লুসিয়ানা আয়ামার; অভিনেতা / কৌতুকাভিনেতা আলবার্তো ওলমেদো এবং অভিনেত্রী লিবের্তাদ লামার্কে;জ্যাজ সুরকার গাতো বারবিএরি; কার্টুনিস্ট / লেখক রবার্ট ফন্তানাহোসা; গায়ক / গীতিকার ফিতো পেজ; শিল্পী / চিত্রশিল্পী আন্তোনিও বের্নি; এবং মডেল ভ্যালেরিয়া মাজ্জা,

    Rosario

  • মেরুজ্যোতি(Polar lights)

    মেরুজ্যোতি(Polar lights)

    মেরুজ্যোতি(Polar lights) বা মেরুপ্রভা বা আরোরা বা আরোরা অস্ট্রালিস (আরোরা উষা) হলো আকাশে একধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী। প্রধানত উঁচু অক্ষাংশের এলাকাগুলোতে আরোরা’র দেখা মিলে। আরোরা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। আরোরা নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক উপকথা চালু ছিল। যেমন নর্জ উপকথা অনুসারে আরোরা হলো ঈশ্বরের সৃষ্টি সেতু। আবার কিছু কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষ আছে যারা মনে করেন তাদের পূর্বপুরুষেরা আকাশে নাচানাচি করে তাই আকাশের রঙ বদলে যায়।[১]

    আরোরা সৃষ্টির কারণ

    Polar lights

    সূর্য আমাদের থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৪৯৫৯৭৮৭০৭০০ মিটার(প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কি.মি.) দূরে অবস্থিত। কিন্তু এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সৌরঝড়ে চার্জিত কণা (প্লাজমা) মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে এসব কণা পৌছালে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এবং বায়ুমন্ডল এর সাথে প্রতিক্রিয়া করে। যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে। পরমাণু আন্দোলিত হওয়ার অর্থ হল এই যে, যেহেতু পরমাণু নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে আবর্তনকৃত ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত তাই যখন সূর্য থেকে আগত চার্জিত কণা বায়ুমন্ডলের পরমাণুকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রনগুলো উচ্চ শক্তিস্তরে (নিউক্লিয়াস থেকে আপেক্ষিকভাবে অনেকদূরে) ঘুরতে শুরু করে। তারপর যখন আবার কোনো ইলেক্ট্রন নিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে তখন সেটি ফোটন বা আলোতে পরিণত হয়।

    Polar lights

    মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বা আরোরা বা আরোরা অস্ট্রালিস (আরোরা উষা) হলো আকাশে একধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী। প্রধানত উঁচু অক্ষাংশের এলাকাগুলোতে আরোরা’র দেখা মিলে। আরোরা দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। আরোরা নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক উপকথা চালু ছিল। যেমন নর্জ উপকথা অনুসারে আরোরা হলো ঈশ্বরের সৃষ্টি সেতু। আবার কিছু কুসংস্কারচ্ছন্ন মানুষ আছে যারা মনে করেন তাদের পূর্বপুরুষেরা আকাশে নাচানাচি করে তাই আকাশের রঙ বদলে যায়।[১]

    আরোরাতে যা ঘটে তেমনটি ঘটে নিয়নের বাতিতেও। নিয়ন টিউবের মধ্যে নিয়ন গ্যাসের পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করবার জন্য ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ। তাই নিয়নের বাতিগুলো এরকম উচ্চ মানের রঙ্গিন আলো দেয়। আরোরাও ঠিক এভাবে কাজ করে-তবে এটি আরো বড় মাত্রায় হয়। আরোরাগুলো মাঝে মাঝে আলোর পর্দার মতো দেখায়। তবে এরা গোলাকার অথবা সর্পিল বা বাঁকানোও হতে পারে। বেশিরভাগ আরোরাতে সবুজ রঙ এবং গোলাপী রঙ দেখা যায়। তবে অনেকসময় লাল রঙ বা বেগুনী রঙের হতে পারে।

    Polar lights

    আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে আরোরার দেখা মিলে। মানব ইতিহাস জুড়ে আরোরার রঙ গুলো রহস্যময়। বিভিন্ন মিথোলোজিতে বিভিন্ন কুসংস্কার উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ে। তবে বিজ্ঞান বলেঃ আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসগুলোই হলো আরোরার বিভিন্ন রঙের কারণ। উদাহরণঃ আরোরার সবুজ রঙের কারণ হলো অক্সিজেন আবার আরোরার লাল এবং নীল রঙের জন্য দায়ী হলো নাইট্রোজেন গ্যাস(2008) ।

    আরোরা সৃষ্টির কারণ

    Polar lights

    সূর্য আমাদের থেকে প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৪৯৫৯৭৮৭০৭০০ মিটার(প্রায় ১৫০ মিলিয়ন কি.মি.) দূরে অবস্থিত। কিন্তু এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। সৌরঝড়ে চার্জিত কণা (প্লাজমা) মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। পৃথিবীতে এসব কণা পৌছালে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র এবং বায়ুমন্ডল এর সাথে প্রতিক্রিয়া করে। যখন সূর্যের চার্জিত কণাগুলো আমাদের পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুকে আঘাত করে তখন সেই চার্জিত কণাগুলো বায়ুমন্ডলের অণু-পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে। পরমাণু আন্দোলিত হওয়ার অর্থ হল এই যে, যেহেতু পরমাণু নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিয়াসকে আবর্তনকৃত ইলেক্ট্রন দ্বারা গঠিত তাই যখন সূর্য থেকে আগত চার্জিত কণা বায়ুমন্ডলের পরমাণুকে আঘাত করে তখন ইলেক্ট্রনগুলো উচ্চ শক্তিস্তরে (নিউক্লিয়াস থেকে আপেক্ষিকভাবে অনেকদূরে) ঘুরতে শুরু করে। তারপর যখন আবার কোনো ইলেক্ট্রন নিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে তখন সেটি ফোটন বা আলোতে পরিণত হয়।

    Polar lights

    আরোরাতে যা ঘটে তেমনটি ঘটে নিয়নের বাতিতেও। নিয়ন টিউবের মধ্যে নিয়ন গ্যাসের পরমাণুগুলোকে আন্দোলিত করবার জন্য ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ। তাই নিয়নের বাতিগুলো এরকম উচ্চ মানের রঙ্গিন আলো দেয়। আরোরাও ঠিক এভাবে কাজ করে-তবে এটি আরো বড় মাত্রায় হয়। আরোরাগুলো মাঝে মাঝে আলোর পর্দার মতো দেখায়। তবে এরা গোলাকার অথবা সর্পিল বা বাঁকানোও হতে পারে। বেশিরভাগ আরোরাতে সবুজ রঙ এবং গোলাপী রঙ দেখা যায়। তবে অনেকসময় লাল রঙ বা বেগুনী রঙের হতে পারে।

    আরোরা সাধারণত দেখা যায় দক্ষিণ ও উত্তরের দেশগুলোতে। কানাডা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, গ্রীনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে আরোরার দেখা মিলে। মানব ইতিহাস জুড়ে আরোরার রঙ গুলো রহস্যময়। বিভিন্ন মিথোলোজিতে বিভিন্ন কুসংস্কার উল্লেখ করা হয়েছে এই নিয়ে। তবে বিজ্ঞান বলেঃ আমাদের বায়ুমন্ডলের গ্যাসগুলোই হলো আরোরার বিভিন্ন রঙের কারণ। উদাহরণঃ আরোরার সবুজ রঙের কারণ হলো অক্সিজেন আবার আরোরার লাল এবং নীল রঙের জন্য দায়ী হলো নাইট্রোজেন গ্যাস(2008) ।

    Polar lights

  • মূল মধ্যরেখা(main midline)

    মূল মধ্যরেখা(main midline)

    মূল মধ্যরেখা (main midline)হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।

    মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]

    ইতিহাস

    অবস্থান

    নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাইছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]

    ইতিহাস

    main midline

    জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]

    জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]

    অবকাঠামো

    main midline

    বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে

    মূল মধ্যরেখা হলো ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার একটি মধ্যরেখা (দ্রাঘিমাংশের একটি রেখা), যাকে ০° দ্রাঘিমাংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূল মধ্যরেখা এবং তার বিপরীত মধ্যরেখা (৩৬০°-পদ্ধতিতে ১৮০ তম মধ্যরেখা) মিলিতভাবে একটি মহাবৃত্ত গঠন করে। এই মহাবৃত্ত পৃথিবীকে দুটি গোলার্ধে বিভক্ত করে। মধ্যরেখা গুলোর অবস্থান মূল মধ্যরেখার সাপেক্ষে বিবেচনা করা হলে তাদের অবস্থানের ভিত্তিতে পূর্ব গোলার্ধ এবং পশ্চিম গোলার্ধ এই দুভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্যারারডাস মার্কেটর ১৫৯৫ সালে তার অ্যাটলাস কসমোগ্রাফিকায় ২৫° পশ্চিম মধ্যরেখার নিকটবর্তী কোন স্থানে মূল মধ্যরেখা ব্যবহার করেছেন, এটি আটলান্টিক মহাসাগরের সান্তা মারিয়া দ্বীপের নিকট দিয়ে গমন করে। তিনি ১৮০° মধ্যরেখাটি বেরিং প্রণালীর উপর দিয়ে অঙ্কন করেছেন।

    মূল মধ্যরেখা ইচ্ছাস্বাধীন ভাবে নির্বাচন করা হয়, এটি নিরক্ষরেখার মতো নয়। নিরক্ষরেখা মূলত অক্ষের আবর্তনের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয় হয়।[১]

    ইতিহাস

    main midline

    অবস্থান

    নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। নওগাঁ জেলা সদর থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে এটি অবস্থিত। নওগাঁর আত্রাইছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ভবানীপুর বাজার সংলগ্ন স্থানে জমিদার বাড়িটি অবস্থিত।[১][৫] আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে এই প্রাসাদটি অবস্থিত।[২][৪]

    ইতিহাস

    main midline

    জমিদার গির্জাশঙ্কর চৌধুরী এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা। তবে কবে নাগাদ এই জমিদার বংশ বা জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়, তার সঠিক তথ্য জানা যায়নি। গির্জাশঙ্কর চৌধুরী তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই জমিদারী পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার আমলেই এই জমিদারী আরো ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে। এছাড়াও জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই জমিদার বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য তৎকালীন সময়ে জমিদার বাড়ির গেটে দুইজন নেপালী প্রহরী ছিল।[১][৬]

    জমিদার বংশধরের মধ্যে জমিদার প্রিয়শঙ্কর চৌধুরী ছিলেন সকলের কাছে বেশ সু-পরিচিত। তিনি জমিদার বাড়ির সৌন্দর্যসহ প্রজাদের সুবিধার জন্য তার জমিদারী এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেন। রাস্তাঘাট, পুকুর খনন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরিসহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তিনি ০৬ ছেলে ও ০৬ মেয়ের জনক ছিলেন। দেশ ভাগের পর জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে তিনি স্ব-পরিবারে ভারতের কলকাতায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তার চতুর্থ পুত্র প্রতাপশঙ্কর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন। পরবর্তীতে জমিদার প্রিয়শঙ্কর তার চতুর্থ ছেলে প্রতাপশঙ্করকে রেখে পরিবারের বাকী সদস্যদের নিয়ে কলকাতায় চলে যান। তারপর প্রতাপশঙ্কর চৌধুরী তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এখানে বসবাস করতে থাকেন। তখন তিনি তার কর্মজীবন হিসেবে হাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং ২০০৫ সালে পরলোকগমন করেন। এখন এই জমিদার বাড়িতে তার পুত্র অভিজিৎ চৌধুরী বসবাস করতেছেন।[৭][৮]

    অবকাঠামো

    main midline

    main midline

    বসবাসের জন্য রোমান স্থাপত্যশৈলীতে দ্বিতল বিশিষ্ট প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। জমিদার বাড়ির দুর্গা মন্দির, গুপিনাথ মন্দির, বাসন্তি মন্দির নামে তিনটি নিজস্ব মন্দির রয়েছে। এই প্রাসাদে শান বাঁধানো একটি কুয়া এবং সান বাঁধানো ঘাটসহ একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরের পাশেই গানবাড়ি নামে একটি ভবন রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে গানবাজনাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা করা হতো। গানবাড়ির সন্নিকটে একটি বৈঠকখানা রয়েছে, যেখানে তৎকালীন সময়ে জমিদাররা বিচার-শালিস পরিচালনা করতেন। বৈঠকখানার সামনে বিশাল ফুলের বাগান রয়েছে। জমিদার বাড়ির চারপাশে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফুল,ফল, ঔষধি ও সুশোভন বাহারি পাতাবাহার গাছ দ্বারা পরিবেষ্টিত ফুলের বাগান রয়েছে

    main midline

  • মালভূমি(the plateau)

    মালভূমি(the plateau)

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    the plateau

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বেশি।

    কলোরাডো মালভূমি

    দক্ষিণ আমেরিকার মঁ রোরাইমা

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    the plateau

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বড়।

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ – ৬০০ মিটার উচুতে অবস্থিত, উপরিভাগ প্রায় সমতল বা তরঙ্গায়িত এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত বিস্তৃত ভূমিকে মালভূমি বলে।[১][২]

    যেহেতু মালভূমি দেখতে অনেকটা টেবিলের মতো অর্থাৎ এর ওপরটা প্রায় সমতল এবং চারিদিক খাড়া ঢালযুক্ত, সেইজন্য মালভূমির অপর নাম টেবিলল্যান্ড। যেমনঃ তিব্বতের মালভূমি, ছোটোনাগপুরের মালভূমি প্রভৃতি।

    তিব্বতের মালভূমি

    প্রকারভেদ

    the plateau

    উৎপত্তি অনুসারে মালভূমিকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।

    • পর্বত বেষ্টিত মালভূমিঃ ভু-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হওয়ার সময় দুটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেনীর মাঝখানের স্থান পার্শ্বচাপের উচু হয়ে এই প্রকার মালভূমির সৃষ্টি করে। চারিদিক পর্বত দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এর নাম পর্বত বেষ্টিত মালভুমি। যেমনঃ তিব্বতের মালভুমি, ইরানের মালভুমি প্রভৃতি।
    • ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমিঃ নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির মাধ্যমে প্রাচীন পর্বত অঞ্চল ধীরে হীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং উচ্চতা হ্রাস পায়। এরপর ওই মালভূমির ওপর দিয়ে নদনদী ও তার শাখা প্রশাখা প্রবাহিত হলে এদের উপত্যকা বরাবর মালভূমিটি ছোটো ছোটো অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এইভাবে কোনো বিস্তৃত মালভূমি অঞ্চল নদী উপত্যকা দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ছোটোনাগপুরের মালভূমি।
    • লাভাগঠিত মালভূমি: অনেক সময় ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা ভূত্বকের কোনো ফাটল বা দুর্বল অংশের মধ্য দিয়ে নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে লাভা রুপে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঞ্চিত লাভা ঠান্ডা ও কঠিন হয়ে লাভা মালভূমির সৃষ্টি করে। যেমনঃ ভারতের দাক্ষিনাত্য মালভূমি।

    মালভূমির আকার ও আকৃতি

    the plateau

    উচ্চতা ছাড়াও মালভূমির অন্য যেসব উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে সেগুলো হল—

    ক) মালভূমি এক বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি।

    খ) এর উপরিভাগ প্রায় সমতল বা কিছুটা তরঙ্গায়িত।

    গ) চারদিকে ঢাল বেশ বড়।

    the plateau

  • মানব বসতি(human settlement)

    মানব বসতি(human settlement)

    পরিসংখ্যানপ্রত্নতত্ত্বে মানব বসতি (ইংরেজিঃ Human Settlement) হল এমন একটি সম্প্রদায় যেখানে মানুষ বসবাস করে। ডিকশনারি অফ জিওগ্রাফি অনুসারে “স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য কোন স্থানে এক বা একাধিক মানুষ যখন বসবাস করতে শুরু করে, তখন তাকে বসতি বলে।”[১] বিখ্যাত ভূগোলবিদ টেরি, জি, জনসন বলেন, “বসতি হল সাংস্কৃতিক ভূদৃশ্যের ধরন সম্পর্কিত অধ্যয়ন।” সুতরাং বলা যায় যে, কোন একটি স্থানে মানুষ একত্রিত হয়ে স্থায়ীভাবে বা অস্থায়ী ভাবে বসবাসের জন্য যে অবয়ব তৈরি করে তাকেই মানব বসতি বলে।

    human settlement

    বসতিতে প্রথাগত ভাবে তার নিজস্ব নির্মিত সুযোগ-সুবিধা, যেমন রাস্তা, বেষ্টনী, মাঠ পদ্ধতি, নদীতীর ও খাল, পুকুর, পার্কবন, বায়ুকল ও পানিকল, জমিদার মহল, পরিখা, মসজিদ, মন্দির, গির্জা বিদ্যমান থাকে।[২]

    ইতিহাস

    প্রকারভেদ

    human settlement

    বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে মানব বসতির শ্রেণীবিভাগ করা হয়।[৩]

    অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অনুসারে

    বসতিতে বসবাসকারী জনগোষ্টির অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপরভিত্তি করে মানব বসতিকে ২টি ভাগে ভাগ করা যায়।

    গ্রামীণ বসতি

    human settlement

    • যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির উপর নির্ভরশীল সেই বসতিকেই গ্রামীণ বসতি বলা হয়। গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ যেকোনো একটি হতে পারে।

    নগর বসতি

    স্থিতিকাল অনুসারে

    স্থিতিকাল অনুসারে বসতি ৩ প্রকার। যথা:

    • ক্ষণস্থায়ী বসতি:যে বসতি বছরের খুব অল্প সময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এবং বাকি সময় অব্যবহৃত থাকে তাকে ক্ষণস্থায়ী বসতি বলে।
    • অস্থায়ী বসতি:যে বসতি অস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য নির্মিত হয় তাকে অস্থায়ী বসতি বলে।
    • স্থায়ী বসতি:স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যে বসতি নির্মিত হয় তাকে স্থায়ী বসতি বলে।

    অবস্থান অনুসারে

    human settlement

    অবস্থান অনুসারে মানব বসতি ৩ প্রকার। যথা:

    • জলাময় বসতি: কোনো বড় জলাশয় (যেমন নদী, হ্রদ, সমুদ্র) এর তীরবর্তী এলাকায় যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে জলাময় বসতি বলে।
    • পাহাড়ী বসতি: পাহাড়ী অঞ্চলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে পাহাড়ী বসতি বলে।
    • সমতল বসতি:সমতল অঞ্চলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে সমতল বসতি বলে।

    আকৃতি অনুসারে

    আকৃতি অনুসারে বসতি চার প্রকার। যথা:

    • দন্ডবসতি:যাতায়াতের সুবিধার্থে যখন লোকজন নদী বা রাস্তার দুই ধারে বসতি গড়ে তুলে তবে তাকে দন্ড বসতি বলে।
    • সমকোনী বসতি:যে স্থানে দুই বা তিনটি রাস্তা সমকোনে বা ইংরেজি Y আকারে মিলিত হয় তবে তাকে দন্ড বসতি বলে।
    • চৌমাতা বসতি:দুটি রাস্তা পরস্পরকে ছেদ করেছে এমন রাস্তাকে চৌমাতা বসতি বলে।
    • বৃত্ত বসতি:নিরাপত্তার কারণে নিরাপদ ঘাঁটি বা স্থানকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে বৃত্ত বসতি বলে।

    বিন্যাস অনুসারে

    human settlement

    বিন্যাস অনুসারে মানব বসতি ৫ প্রকার। যথা:

    • সারিবন্ধ বসত:কোনো নদী বা সড়কের দুই ধারে সারিবন্ধভাবে গড়ে ওঠা বসতিকে সারিবন্ধ বসতি বলে।
    • অনুকেন্দ্রিক বসতি:কোনো একটি বিশেষ স্থানকে কেন্দ্র করে চক্রাকারে গড়ে উটা বসতিকে অনুকেন্দ্রিক বসতি বলে।
    • সংঘবদ্ধ বসতি:যখন অনেকগুলো বসতি খুব কাছাকাছি বসবাস করে তখন তাকে সংঘবদ্ধ বসতি বলে।
    • বিছিন্ন বসতি:যখন কোনো অঞ্চলের পরিবারগুলো এলোমেলো ভাবে বসবাস করে তখন তাকে বিছিন্ন বসতি বলে।
    • বিক্ষিপ্ত বসতি:যখন কোনো বসতির মধ্যো কৃষিভূমি, জলাভূমি, বনভূমি থাকার কারণে পরিবারগুলো দূরে অবস্থান করে তখন তাকে বিক্ষিপ্ত বসতি বলে।

    জনসংখ্যার আকার অনুসারে

    জনসংখ্যার আকার অনুযায়ী বসতি চার প্রকার। যথা:

    • খামার বাড়ি:একটি কৃষিজমিকে কেন্দ্র করে এক বা একাধিক পরিবার মিলে যে বসতি গড়ে ওঠে তাকে খামার বাড়ি বলে।
    • পাড়া:সাধারণত অল্প কয়েকটি পরিবার মিলে একটি পাড়া তৈরি হয়।
    • ক্ষুদ্রগ্রাম:কয়েকটি পাড়ার সমন্বয়ে একটি ক্ষুদ্রগ্রাম গঠিত হয়।
    • বড়গ্রাম:অনেকগুলো পাড়া নিয়ে একটি বড়গ্রাম গঠিত হয়। এশিয়া মহাদেশএর বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং বাংলাদেশএর হবিগণ্জ্ঞ জেলায় অবস্থিত।

    মানব বসতির নিয়ামকসমূহ

    মানব বসতি গড়ে উঠার পেছনে যে সকল উপাদান কাজ করে তাদের কে মানব বসতির নিয়ামক বলে। মানব বসতির নিয়ামক সমূহ প্রধানত ২ প্রকার।

    প্রাকৃতিক নিয়ামক সমূহ

    human settlement

    ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, পরিবেশ, মাটির উর্বরতা, পানির প্রাপ্যতা, অরণ্য ইত্যাদি

    সামাজিক নিয়ামকসমূহ

    • অর্থনীতি: যে অঞ্চলে খলিজ সম্পদ, প্রাকৃতিক সম্পদ অধিক পরিমাণে পাওয়া যায় যেখানে বসতি গড়ে ওঠে।
    • সংস্কৃতি: যে অঞ্চলে একই ধরনের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট বিদ্যমান যেখানে মানব বসতি গড়ে ওঠে।
    • সমাজ: একই সামাজিক বৈশিষ্টসম্পন্ন মানুষ একত্রে বসবাসের জন্য মানব বসতি গড়ে তোলে।
    • রাজনীতি: রাজনৈতিক কারণেও অনেক সময় বসতির স্থান পরিবতর্তিত হয়।

    গুরুত্ব

    যে বসতির সংখ্যাগরিষ্ঠ অধিবাসী জীবিকা অর্জনের জন্য প্রথম পর্যায়ের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষত কৃষির উপর নির্ভরশীল সেই বসতিকেই গ্রামীণ বসতি বলা হয়। গ্রামীণ বসতি বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্ত ও গোষ্ঠীবদ্ধ যেকোনো একটি হতে পারে।

    human settlement

  • মানচিত্র(Map)

    মানচিত্র(Map)

    মানচিত্র (Map)ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    মানচিত্র ভূমির সাংকেতিক প্রতিচ্ছবি। দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত নির্ধারিত রং এর ব্যবহারে কোন এলাকার ভূমির উল্লেখ যোগ্য প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বস্তু সমূহকে নির্দিষ্ট সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ের উপর ক্ষুদ্রাকারে মাপনী অনুযায়ী অঙ্কন করাকে ম্যাপ বা মানচিত্র বলে।

    কোন স্থানে অবস্থিত বস্তু সমূহের অবস্থান এবং সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য সাধারণ প্রকাশ হচ্ছে মানচিত্র

    অনেক মানচিত্র স্থির, ত্রি-মাত্রিক স্থানের দ্বি-মাত্রিক প্রতিরূপ; আবার কিছু মানচিত্র পরিবর্তনশীল, এমনকি ত্রিমাত্রিকও হতে পারে। মানচিত্র বলতে সাধারণত ভৌগোলিক মানচিত্রকেই বোঝানো হয়, তবে মানচিত্র হতে পারে কোন স্থানের – বাস্তব বা কাল্পনিক, এতে স্কেল বা অন্যান্য অনুষঙ্গের প্রয়োজনীয়তা নাও থাকতে পারে; যেমন, ব্রেন মানচিoত্রকরণ, ডিএনএ মানচিত্রকরণ এবং মহাকাশের মানচিত্রকরণ।

    ইতিহাস

    Map

    মুহাম্মাদ আল-ইদ্রিসি এর টাবুলা রগেরিয়ানা ( ১৫৫৪ খ্রিষ্টাব্দ), আগের দিনের একটি অত্যাধুনিক ম্যাপ।

    ভৌগোলিক মানচিত্র

    ১৭’শ শতাব্দীর একটি মহাকাশের মানচিত্র, ডাচ মানচিত্রকারক ফ্রেডেরিক দ্য ভিটের তৈরি।

    ভূগোল— বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    Map

  • মকরক্রান্তি(Makarkranti)

    মকরক্রান্তি(Makarkranti)

    মকরক্রান্তি(Makarkranti) বা মকরক্রান্তি রেখা বা দক্ষিণ বিষুব হল দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি অক্ষাংশীয় বৃত্ত, যার উপরে সূর্য দক্ষিণায়নের সময় (২১ ডিসেম্বর তারিখে) লম্বভাবে কিরণ দেয়। দক্ষিণ গোলার্ধের যত দূরত্ব পর্যন্ত সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় তার মধ্যে মকরক্রান্তি রেখা সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। মকরক্রান্তি রেখার সমমান বিশিষ্ট উত্তর গোলার্ধের অক্ষাংশটি হলো কর্কটক্রান্তি রেখা। মকরক্রান্তি রেখা পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত প্রধান পাঁচটি অক্ষাংশের একটি। ১০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত রেখাটি ২৩°২৬′১২.৮″ (বা ২৩.৪৩৬৮৯°)[১] অক্ষাংশে বিদ্যমান রয়েছে।

    ভূগোল এবং পরিবেশ

    পৃথিবী জুড়ে অবস্থান

    Makarkranti

    মূল মধ্যরেখা থেকে শুরু করে পূর্বদিকে মকরক্রান্তি রেখা যেসকল এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছেঃ

    স্থানাংকদেশ, অধিকৃত এলাকা বা সমুদ্রটিকা
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ০°০′ পূর্বআটলান্টিক মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৪°২৭′ পূর্ব নামিবিয়াইরোঙ্গো, খোমাস, হারডাপ, খোমাস (পুনরায়), এবং ওমাহেকে অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২০°০′ পূর্ব বতসোয়ানাKgalagadi, Kweneng and Central districts
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২৭°১৮′ পূর্ব দক্ষিণ আফ্রিকালিমপোপো প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩১°৩৩′ পূর্ব মোজাম্বিকগাজা প্রদেশ এবং ইনহাম্বানি প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩৫°২৬′ পূর্বভারত মহাসাগরমোজাম্বিক প্রণালী
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৩°৪৫′ পূর্ব মাদাগাস্কারটোলিয়ারা প্রদেশ এবং ফিয়ানারান্তসয়া প্রদেশশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৭°৩৯′ পূর্বভারত মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১১৩°৪৭′ পূর্ব অস্ট্রেলিয়াপশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, উত্তরাঞ্চল এবং কুইন্সল্যান্ড
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৫১°৩′ পূর্বপ্রবাল সাগরPassing just south of Cato Reef in  Australia’s Coral Sea Islands Territory
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৬৬°৪৬′ পূর্বপ্রশান্ত মহাসাগরPassing just north of the Minerva Reefs ( টোঙ্গা), and just south of Tubuai ( ফরাসি পলিনেশিয়া)
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৭০°৩৬′ পশ্চিম চিলিআন্তোফাগাস্তা অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬৭°০৭′ পশ্চিম আর্জেন্টিনাJujuy, Salta, Jujuy (again), Salta (again) and ফরমোসা প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬১°২৩′ পশ্চিম প্যারাগুয়েBoquerón, Presidente Hayes, Concepción, San Pedro and Amambay departments
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৫৫°৩৮′ পশ্চিম ব্রাজিলMato Grosso do Sul, Paraná, and São Paulo states
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৫°২′ পশ্চিমআটলান্টিক মহাসাগর
    সকল স্থানাঙ্কের মানচিত্র: ওপেনস্ট্রীটম্যাপ 
    এই হিসেবে স্থানাঙ্ক ডাউনলোড করুন: KML · GPX

    মকরক্রান্তি রেখা বরাবর অবস্থিত স্থান

    Makarkranti

    • আতসিমো-আন্দ্রেফানা অঞ্চল, মাদাগাস্কার
    • উত্তর আর্জেন্টিনার জুজুই প্রদেশে অবস্থিত মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশক চিহ্ন
    • একটি সাইনবোর্ড যেটি নামিবিয়ার উপর দিয়ে মকরক্রান্তি রেখার স্থান নির্দেশ করছে
    • Roadway plaque marking the Tropic of Capricorn in the city of Santana do Parnaíba, Brazil, at the correct latitude for year 1917.
    • Marker for the tropic in Maringá, Paraná, Brazil, July 2012
    • Roadside monument marking Tropic of Capricorn in Rockhampton, Queensland, Australia, 28 January 2005
    • কুইন্সল্যান্ডের রখ্যাম্পটনে অবস্থিত স্তম্ভটি মকরক্রান্তি নির্দেশ করছে, অস্ট্রেলিয়া, ১৯৭০
    • পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় একটি রাস্তার সংকেত মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করছে, অস্ট্রেলিয়া, ২৬ আগস্ট ২০০৮
    • Monument marking the Tropic of Capricorn just north of Alice Springs, Northern Territory, Australia

    পৃথিবীর আণতির সাথে (ε) ক্রান্তীয় এবং মেরু বৃত্তের সম্পর্ক

    মকরক্রান্তি রেখার সম্পূর্ণ দক্ষিণে অবস্থিত দেশগুলোর তালিকা

    পৃথিবীর স্থলভাগের অধিকাংশই উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত, তাই মাত্র চারটি দেশ সম্পূর্ণরূপে মকরক্রান্তি রেখার দক্ষিণে অবস্থিত (পৃথিবীর মোট ৭৪ টি দেশ সম্পূর্ণরূপে কর্কটক্রান্তি রেখার উত্তরে অবস্থিত):

    •  লেসোথো
    •  নিউজিল্যান্ড[২]
    •  সোয়াজিল্যান্ড
    •  উরুগুয়ে

    নাম

    Makarkranti

    আরো দেখুন

    পৃথিবীর মানচিত্রে মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করা হয়েছে

    ১৭৯৪ সালের স্যামুয়েল ডানের মানচিত্রে মকরক্রান্তি রেখা

    চিলির আন্তোফাগাস্তাতে অবস্থিত স্তম্ভটি মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশ করছে

    লংরিচ, কুইস্নল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া

    মকরক্রান্তি রেখা নির্দেশকারী সংকেত, মারিঙ্গা, ব্রাজিল

    মকরক্রান্তি রেখায় অবস্থিত সূর্যঘড়ি, জুজুই প্রদেশ, আর্জেন্টিনা

    মকরক্রান্তি বা মকরক্রান্তি রেখা বা দক্ষিণ বিষুব হল দক্ষিণ গোলার্ধে অবস্থিত একটি অক্ষাংশীয় বৃত্ত, যার উপরে সূর্য দক্ষিণায়নের সময় (২১ ডিসেম্বর তারিখে) লম্বভাবে কিরণ দেয়। দক্ষিণ গোলার্ধের যত দূরত্ব পর্যন্ত সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয় তার মধ্যে মকরক্রান্তি রেখা সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত। মকরক্রান্তি রেখার সমমান বিশিষ্ট উত্তর গোলার্ধের অক্ষাংশটি হলো কর্কটক্রান্তি রেখা। মকরক্রান্তি রেখা পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত প্রধান পাঁচটি অক্ষাংশের একটি। ১০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত রেখাটি ২৩°২৬′১২.৮″ (বা ২৩.৪৩৬৮৯°)[১] অক্ষাংশে বিদ্যমান রয়েছে।

    ভূগোল এবং পরিবেশ

    Makarkranti

    পৃথিবী জুড়ে অবস্থান

    মূল মধ্যরেখা থেকে শুরু করে পূর্বদিকে মকরক্রান্তি রেখা যেসকল এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছেঃ

    স্থানাংকদেশ, অধিকৃত এলাকা বা সমুদ্রটিকা
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ০°০′ পূর্বআটলান্টিক মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৪°২৭′ পূর্ব নামিবিয়াইরোঙ্গো, খোমাস, হারডাপ, খোমাস (পুনরায়), এবং ওমাহেকে অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২০°০′ পূর্ব বতসোয়ানাKgalagadi, Kweneng and Central districts
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ২৭°১৮′ পূর্ব দক্ষিণ আফ্রিকালিমপোপো প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩১°৩৩′ পূর্ব মোজাম্বিকগাজা প্রদেশ এবং ইনহাম্বানি প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৩৫°২৬′ পূর্বভারত মহাসাগরমোজাম্বিক প্রণালী
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৩°৪৫′ পূর্ব মাদাগাস্কারটোলিয়ারা প্রদেশ এবং ফিয়ানারান্তসয়া প্রদেশশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৭°৩৯′ পূর্বভারত মহাসাগর
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১১৩°৪৭′ পূর্ব অস্ট্রেলিয়াপশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, উত্তরাঞ্চল এবং কুইন্সল্যান্ড
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৫১°৩′ পূর্বপ্রবাল সাগরPassing just south of Cato Reef in  Australia’s Coral Sea Islands Territory
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ১৬৬°৪৬′ পূর্বপ্রশান্ত মহাসাগরPassing just north of the Minerva Reefs ( টোঙ্গা), and just south of Tubuai ( ফরাসি পলিনেশিয়া)
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৭০°৩৬′ পশ্চিম চিলিআন্তোফাগাস্তা অঞ্চল
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬৭°০৭′ পশ্চিম আর্জেন্টিনাJujuy, Salta, Jujuy (again), Salta (again) and ফরমোসা প্রদেশ
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৬১°২৩′ পশ্চিম প্যারাগুয়েBoquerón, Presidente Hayes, Concepción, San Pedro and Amambay departments
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৫৫°৩৮′ পশ্চিম ব্রাজিলMato Grosso do Sul, Paraná, and São Paulo states
    ২৩°২৬′ দক্ষিণ ৪৫°২′ পশ্চিমআটলান্টিক মহাসাগর
    সকল স্থানাঙ্কের মানচিত্র: ওপেনস্ট্রীটম্যাপ 
    এই হিসেবে স্থানাঙ্ক ডাউনলোড করুন: KML · GPX
  • ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির কোপেন(Vladimir Kopen)

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (Vladimir Kopen) ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    Vladimir Kopen

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    ভ্লাদিমির পিটার কোপেন (রুশ: Влади́мир Петро́вич Кёппен, ভ্লাদিমির পেত্রোভিচ কিওপেন; ৭ অক্টোবর ১৮৪৬ – ২২ জুন ১৯৪০) ছিলেন একজন রুশ-জার্মান ভূগোলবিদ, আবহাওয়াবিদ, জলবায়ুবিদ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞানীসেন্ট পিটার্সবার্গে পড়াশোনা শেষ করে তিনি তার কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় জার্মানি এবং অষ্ট্রিয়ায় অতিবাহিত করেন। বিজ্ঞানে তার উল্ল্যেখযোগ্য অবদান হলো জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ পদ্ধতি প্রণয়ন। তার জলবায়ুর শ্রেণিবিভাগটি কিছুটা পরিমার্জিত রূপে এখনো সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।[১] বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় কোপেনের উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

    পটভূমি এবং শিক্ষাজীবন

    Vladimir Kopen

    ভ্লাদিমির কোপেন রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বসবাস করেন। তিনি অষ্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরে মৃত্যুবরণ করেন। কোপেনের পিতামহ পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। রাশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য জার দ্বিতীয় ক্যাথেরিন যেকজন ডাক্তারকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। পরবর্তীতে কোপেনের দাদা জারের ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার পিতা, পিয়ত্তর কোপেন ছিলেন একাধারে বিখ্যাত ভূগোলবিদ এবং প্রাচীন রুশ সংস্কৃতির ইতিহাসবিদ ও নৃতত্ত্ববিদ। এছাড়াও তিনি পশ্চিম ইউরোপের স্লাভিস এবং রুশ বিজ্ঞানীদের মাঝে জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।[১]

    কোপেন ক্রিমিয়ার সিমফেরোপোলে তার মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন এবং ১৮৬৪ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৮৬৭ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং ১৮৭০ সালে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে তাপমাত্রার প্রভাব এই বিষয়ের ওপরে ডক্টরেট গবেষণা ডিফেন্স দেন। [১]

    কোপেন পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগকে প্রথম প্রকাশ করেন ১৯০১ সালে। কয়েকবার সংশোধনের পর এর চূড়ান্ত সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে। তিনি পাঁচটি প্রধান উদ্ভিজ্জ শ্রেনীর সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি প্রধান জলবায়ু অঞ্চল চিহ্নিত করেন:

    • ক্রান্তীয় বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • শুষ্ক জলবায়ু
    • উষ্ণ তাপমাত্রার বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • তীব্র শীত সম্পন্ন বৃষ্টিবহুল জলবায়ু
    • মেরু জলবায়ু

    কর্মজীবন এবং অবদান

    কোপেন আধুনিক আবহাওয়াবিদ্যা এবং জলবায়ু বিজ্ঞানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

    মানচিত্রে কোপেনের বৈশ্বিক জলবায়ুর শ্রেণীবিভাগ

    তথ্যসূত্র

    1. “Wladimir Koppen: German climatologist”Encyclopædia Britannica Online। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৭।

    গ্রন্থপঞ্জি

    Vladimir Kopen

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা(Geographic coordinate system)

    ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা(Geographic coordinate system)

    ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা অথবা Geographic Co-ordinate System সংক্ষেপে GCS হল তিনটি স্থানাঙ্ক মানের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর যেকোন স্থানের একটি অনন্য স্থানাঙ্ক থাকে। স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার তিনটি মাত্রা হচ্ছে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বা গভীরতা।

    প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রা: অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ

    অক্ষাংশ ফাই (φ) এবং দ্রাঘিমাংশ ল্যাম্বডা (λ)

    Geographic coordinate system

    প্রাচীন ব্যাবিলিয়ন তত্ত্ব, যা পরে গ্রিক দার্শনিক ভুগোলবিদ টলেমি পরিবর্ধিত করেছেন, অনুসারে পূর্ণ বৃত্ত ৩৬০ ডিগ্রীতে (৩৬০°) বিভক্ত।

    • অক্ষাংশ (latitude) হচ্ছে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায়, কোন স্থান বিষুবীয় তলের কেন্দ্রের সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তার পরিমাপ। একই অক্ষাংশ বিশিষ্ট সকল বিন্দুকে যোগ করে যে রেখা পাওয়া যায় সেটি ভূপৃষ্ঠের উপরে অবস্থিত একটি বৃত্ত এবং বিষুবীয় অঞ্চলের পরিধির সাথে সমান্তরাল। পৃথিবীর দু মেরুতে এই রেখাগুলো বিন্দুবৃত্ত গঠন করে। প্রতিটি মেরুর অক্ষাংশের পরিমাপ হচ্ছে ৯০ ডিগ্রী: উত্তর মেরু ৯০° উ; দক্ষিণ মেরু ৯০° দ। ০° সমান্তরাল অক্ষাংশকে বিষুব রেখা বলা হয়। এই রেখাটিই পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে বিভক্ত করেছে
    • দ্রাঘিমাংশ (longitude) স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার কেন্দ্রে পূর্বে বা পশ্চিমে, ভূপৃষ্ঠের কোন বিন্দু বিষুব রেখার সাথে উল্লম্ব কোন পরিধির (যা উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে ছেদ করেছে) সাথে যে কোণ উৎপন্ন করে তার পরিমাপ। একই দ্রাঘিমাংশের সমস্ত বিন্দুকে নিয়ে যে রেখা পাওয়া যায় তাদের বলে মেরিডিয়ান বা ভূ-মধ্য রেখা। প্রতিটি ভূ-মধ্য রেখা একটি অর্ধবৃত্ত কিন্তু কেউ কারো সমান্তরাল নয়। সংজ্ঞানুসারে প্রতিটি রেখা উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে মিলিত হয়। ঐতিহাসিকভাবে যে ভূ-মধ্য রেখাটি রয়াল অবজারভেটরি, গ্রীনউইচ (যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কাছে) এর মধ্যে দিয়ে গেছে সেটিকে শূন্য-দ্রাঘিমাংশ বা প্রামাণ্য ভূ-মধ্য রেখা ধরা হয়।

    এই দুটি কোণের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের যেকোন স্থানের আনুভূমিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব।

    উদাহরণস্বরুপ ঢাকার অক্ষাংশ ২৩°৪২′০″ উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯০°২২′৩০″ পূর্ব (২৩°৪২′০″ উত্তর ৯০°২২′৩০″ পূর্ব)। সুতরাং পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে বিষুবরেখার ২৩°৪২′০″ উত্তরে ও গ্রীনউইচ থেকে ৯০°২২′৩০″ পূর্বে অঙ্কিত কোন ভেক্টর রেখা ঢাকার মাঝ দিয়ে যাবে।

    সাধারণত ডিগ্রীকে মিনিটে (এক ডিগ্রীর ৬০ ভাগের একভাগ, সংকেত ′ অথবা “m”) এবং সেকেন্ডে (এক মিনিটের ৬০ ভাগের একভাগ, সংকেত ″ অথবা “s”) ভাগ করেও প্রকাশ করা হয়। ডিগ্রী প্রকাশের কয়েকটি রীতি রয়েছে:

    • DMS ডিগ্রী:মিনিট:সেকেন্ড (49°30’00”-123d30m00s)
    • DM ডিগ্রী:মিনিট (49°30.0′-123d30.0m)
    • DD দশমিক ডিগ্রী (49.5000°-123.5000d), সাধারণত দশমিকের পর ৪ ঘর পর্যন্ত।

    DM অথবা DMS থেকে DD তে পরিনত করতে ব্যবহার করতে হয়, দশমিক ডিগ্রী = ডিগ্রীর পূর্ণসংখ্যা + মিনিটকে ৬০ দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ভাগফল + সেকেন্ডকে ৩৬০০ দিয়ে ভাগ করে প্রাপ্ত ভাগফল। DMS সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং মানচিত্র, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস প্রভৃতিতে এটি দেখা যায়।

    অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ বিভিন্ন স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন হতে পারে। এরকম ভিন্ন স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার উদাহরণ হচ্ছে WGS 84 যা সকল জিপিএস যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। সহজ ভাষায়, বিভিন্ন স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার জন্য একই স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের মান আলাদা হতে পারে।

    ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা অথবা Geographic Co-ordinate System সংক্ষেপে GCS হল তিনটি স্থানাঙ্ক মানের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর যেকোন স্থানের একটি অনন্য স্থানাঙ্ক থাকে। স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার তিনটি মাত্রা হচ্ছে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বা গভীরতা।

    প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রা: অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ

    অক্ষাংশ ফাই (φ) এবং দ্রাঘিমাংশ ল্যাম্বডা (λ)

    Geographic coordinate system

    প্রাচীন ব্যাবিলিয়ন তত্ত্ব, যা পরে গ্রিক দার্শনিক ভুগোলবিদ টলেমি পরিবর্ধিত করেছেন, অনুসারে পূর্ণ বৃত্ত ৩৬০ ডিগ্রীতে (৩৬০°) বিভক্ত।

    ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা অথবা Geographic Co-ordinate System সংক্ষেপে GCS হল তিনটি স্থানাঙ্ক মানের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর যেকোন স্থানের একটি অনন্য স্থানাঙ্ক থাকে। স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার তিনটি মাত্রা হচ্ছে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বা গভীরতা।

    প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রা: অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ

    Geographic coordinate system

    অক্ষাংশ ফাই (φ) এবং দ্রাঘিমাংশ ল্যাম্বডা (λ)

    প্রাচীন ব্যাবিলিয়ন তত্ত্ব, যা পরে গ্রিক দার্শনিক ভুগোলবিদ টলেমি পরিবর্ধিত করেছেন, অনুসারে পূর্ণ বৃত্ত ৩৬০ ডিগ্রীতে (৩৬০°) বিভক্ত।

    Geographic coordinate system

    ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা অথবা Geographic Co-ordinate System সংক্ষেপে GCS হল তিনটি স্থানাঙ্ক মানের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন স্থানের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করার একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার ফলে পৃথিবীর যেকোন স্থানের একটি অনন্য স্থানাঙ্ক থাকে। স্থানাঙ্ক ব্যবস্থার তিনটি মাত্রা হচ্ছে অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বা গভীরতা।

    প্রথম ও দ্বিতীয় মাত্রা: অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ

    অক্ষাংশ ফাই (φ) এবং দ্রাঘিমাংশ ল্যাম্বডা (λ)

    প্রাচীন ব্যাবিলিয়ন তত্ত্ব, যা পরে গ্রিক দার্শনিক ভুগোলবিদ টলেমি পরিবর্ধিত করেছেন, অনুসারে পূর্ণ বৃত্ত ৩৬০ ডিগ্রীতে (৩৬০°) বিভক্ত।

    Geographic coordinate system

  • ভৌগোলিক গঠন(Geographical structure)

    ভৌগোলিক গঠন(Geographical structure)

    ভৌগোলিক গঠন(Geographical structure) হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিকভাবে গঠিত গঠনাকৃতি। প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠনগুলো ভূমিরূপ এবং বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। উদাহরণস্বরূপ, ভূখণ্ডের ধরন (পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান) হলো প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠন। বিপরীতে, মানব বসতি বা অন্যান্য প্রকৌশলগত রূপগুলি কৃত্রিম ভৌগোলিক গঠনের ধরন হিসাবে বিবেচিত হয়।

    প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠন

    বাস্তুতন্ত্র

    Geographical structure

    মূল নিবন্ধ: বাস্তুতন্ত্র

    আবাসকে বর্ণনা করার জন্য দুটি পৃথক শব্দ রয়েছে: বাস্তুসংস্থান এবং বায়োম। একটি বাস্তুতন্ত্র হল জীবের একটি সম্প্রদায়[১] বিপরীতে, বায়োমগুলি বিশ্বের বৃহত্‌ অঞ্চল দখল করে থাকে এবং প্রায়শঃই পর্বতশ্রেণীসহ বিভিন্ন ধরনের ভৌগোলিক গঠনকে ধারণ করে।[২]

    একটি বাস্তুসংস্থানের মধ্যে জৈব বৈচিত্র্য হলো আন্তঃআলিয়া, স্থলজগত, সামুদ্রিক এবং অন্যান্য জলজ বাস্তুতন্ত্রসহ সমস্ত উত্‌স থেকে জীবিত প্রাণীর মধ্যকার পরিবর্তনশীলতা।[৩] জীবিত জৈব পদার্থগুলো তারা যে পরিবেশে থাকে সেখানকার প্রতিটি উপাদানের সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত থাকে এবং বাস্তুতন্ত্র এমন পরিস্থিতিকে বিবৃত করে যেখানে জীব এবং তাদের পরিবেশের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।

    বায়োম দ্বারা বাস্তুতন্ত্রের একই প্রজাতির গাছপালা, প্রাণী এবং মাটিতে বিস্তৃত জৈব উপাদানসমূহের বৃহত্‌ অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ কা হয়ে থাকে।[৪] বায়োমকে গাছের কাঠামো (যেমনঃ বৃক্ষ, ঝোপঝাড় এবং ঘাস), পাতার ধরন (যেমনঃ ব্রডলিফ এবং সুইডাফ), গাছের ব্যবধান (বন, কাঠের ভূমি, সাভানা) এবং জলবায়ু প্রভৃতির উপর ভিত্তি করে সংজ্ঞায়িত করা হয়। বাস্তুঅঞ্চলের মতো করে জিনগত, করশাস্ত্রীয় বা ঐতিহাসিক মিল দ্বারা বায়োমগুলি সংজ্ঞায়িত হয় না। বায়োমগুলি প্রায়শঃই পরিবেশগত উত্তরসূরি এবং বিবিধ উদ্ভিদের পারস্পরিক সম্মিলনে দিক থেকে চিহ্নিত হয়।

    ভূমিরূপ

    Geographical structure

    মূল নিবন্ধ: ভূমিরূপ

    একটি ভূমিরূপ একটি ভূতাত্ত্বিক একক নিয়ে গঠিত এবং ভূভাগের অংশ হিসাবে ভূ-পৃষ্ঠের পৃষ্ঠতল এবং অবস্থান দ্বারা মূলতঃ সংজ্ঞায়িত হয় এবং এরা সাধারণত ভূবিদ্যার একটি উপাদান। ভূমিরূপকে উচ্চতা, ঢাল, স্থিতি, স্তরায়ণ, শিলার প্রকরণ এবং মাটির ধরনের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বার্ম, স্তুপ, পাহাড়, খাড়া ভূমি, উপত্যকা, নদী এবং আরও অনেক উপাদান। মহাসাগর এবং মহাদেশগুলি সর্বোচ্চ ধাপের ভূমিরূপ। জলভাগ হলো জলের কোনও উল্লেখযোগ্য পরিমাণের জমে থাকা, যা সাধারণত পৃথিবীকে আবৃত করে রাখে। “জলভাগ” শব্দটি দ্বারা প্রায়শঃই মহাসাগর, সমুদ্র এবং হ্রদকে বুঝানো হয়; তবে এর মধ্যে জলের ছোট ছোট অংশগুলো, যেমনঃ পুকুর, ছড়া বা জলাভূমিও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। নদী, স্রোতস্বীনি, খাল এবং অন্যান্য ভৌগোলিক গঠন যেখানে জল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় তাদেরকে সর্বদা জলভাগ হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, তবে এদেরকে জল দ্বারা গঠিত ভৌগোলিক গড়ন হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

    কৃত্রিম ভৌগোলিক গঠন

    বসতি

    Geographical structure

    মূল নিবন্ধ: মানব বসতি

    একটি বসতি হল একটি স্থায়ী বা অস্থায়ী সম্প্রদায় যেখানে লোকজন বাস করে। বসতির ক্ষেত্রের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক দল একত্রিত হয়ে বসবাস করা থেকে শুরু করে চতুর্পার্শ্বে নগর-অঞ্চলগুলোর সাথে সংযুক্ত বৃহত্‌ মহানগরও অন্তর্ভুক্ত। অন্যান্য ভূদৃশ্য গঠন, যেমনঃ রাস্তাঘাট, বেষ্টনী, মাঠ, সীমানা তীর এবং গর্ত, পুকুর, উদ্যান এবং কাঠ, কল, প্রাসাদ, পরিখা এবং উপাসনালয়কে বসতির অংশ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।[৫]

    প্রকৌশল স্থাপনা

    মূল নিবন্ধসমূহ: স্থাপত্য প্রকৌশল, ভবনঅভবন স্থাপনা

    আরও দেখুন: অবকাঠামো

    প্রকৌশলগত ভৌগোলিক গঠনের মধ্যে মহাসড়ক, সেতু, বিমানবন্দর, রেলপথ, ভবনসমূহ, বাঁধসমূহ এবং জলাধারসমূহ অন্তর্ভুক্ত এবং নৃমন্ডলের অংশ কারণ এগুলি মানব-নির্মিত ভৌগোলিক গড়ন।

    মানচিত্রাঙ্কনিক গঠন

    মূল নিবন্ধসমূহ: মানচিত্রাঙ্কনবিদ্যামানচিত্র

    মানচিত্রাঙ্কনিক গঠন এমন একটি বিমূর্ত ভৌগোলিক গঠন, যা মানচিত্রে প্রদর্শিত হয়, কিন্তু গ্রহে এরা অবস্থিত হলেও তা বাস্তবে দৃষ্ট হয় না। উদাহরণস্বরূপ, অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, নিরক্ষীয় অঞ্চল এবং প্রধান অক্ষ পৃথিবীর মানচিত্রে প্রদর্শিত হয় কিন্তু এটি বাস্তবে বিদ্যমান নয়। এটি একটি তাত্ত্বিক রেখা যা তথ্যসূত্র, দিক নির্নয় এবং পরিমাপের জন্য ব্যবহৃত হয়।

    আরও দেখুন

    Geographical structure

    ভৌগোলিক গঠন হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিকভাবে গঠিত গঠনাকৃতি। প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠনগুলো ভূমিরূপ এবং বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। উদাহরণস্বরূপ, ভূখণ্ডের ধরন (পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান) হলো প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠন। বিপরীতে, মানব বসতি বা অন্যান্য প্রকৌশলগত রূপগুলি কৃত্রিম ভৌগোলিক গঠনের ধরন হিসাবে বিবেচিত হয়।

    ভৌগোলিক গঠন হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিকভাবে গঠিত গঠনাকৃতি। প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠনগুলো ভূমিরূপ এবং বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। উদাহরণস্বরূপ, ভূখণ্ডের ধরন (পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান) হলো প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠন। বিপরীতে, মানব বসতি বা অন্যান্য প্রকৌশলগত রূপগুলি কৃত্রিম ভৌগোলিক গঠনের ধরন হিসাবে বিবেচিত হয়।

    ভৌগোলিক গঠন হলো পৃথিবীর প্রাকৃতিকভাবে গঠিত গঠনাকৃতি। প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠনগুলো ভূমিরূপ এবং বাস্তুতন্ত্র নিয়ে গঠিত। উদাহরণস্বরূপ, ভূখণ্ডের ধরন (পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদান) হলো প্রাকৃতিক ভৌগোলিক গঠন। বিপরীতে, মানব বসতি বা অন্যান্য প্রকৌশলগত রূপগুলি কৃত্রিম ভৌগোলিক গঠনের ধরন হিসাবে বিবেচিত হয়।

    Geographical structure