২০১১ সালে জনগণনার তথ্য অনুসারে কলকাতা মহানগর অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১,৪১,১২,৫৩৬ জন অর্থাৎ ১ কোটি ৪০ লক্ষের কিছু বেশি।[৪] কেএমডিএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী অঞ্চলটির মোট আয়তন ১,৮৮৬.৬৭ বর্গকিলোমিটার (৭২৮.৪৫ মা২), সুতরাং এই অঞ্চলটির জনঘনত্ব ৭,৪৮০ প্রতি বর্গকিলোমিটার (১৯,৪০০ /বর্গমাইল)
জাট এলাকা হলো পাট চাষের একটি শব্দ যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উত্তর-পূর্ব দিকের অংশকে নির্দেশ করে। এই ভৌগোলিক এলাকাটি বাংলাদেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল এবং কুমিল্লা জেলার অংশ নিয়ে গঠিত।[১] এলাকাটি প্রতি বছর বন্যার পানি দ্বারা বাহিত পলির তাজা জমা পায়। মাটির গঠন অম্লীয়, বেলে দোআঁশ থেকে কাদামাটি দোআঁশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। বাণিজ্যিক গুণাগুণ অনুসারে, এই এলাকায় সবচেয়ে ভালো মানের পাট, জাট জাতীয় পাট জন্মে। বিশ্বে উন্নতমানের পাটের কারণে নারায়ণগঞ্জের এ অঞ্চলে আদমজী জুট মিল্স প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মিলটি বিশ্বের বৃহত্তম পাটকলে পরিণত হয়। যদিও, মিলটি ২০০২ সালে বন্ধ হয়ে যায়।[২]
বাংলায় শহরটি চট্টগ্রাম নামে পরিচিত। নামটি চাটগাঁইয়া সংস্কৃতি, ভাষা এবং ইতিহাস থেকে এসেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন ইতিহাস এবং চাটগাঁইয়া ভাষায় এটির বেশ কয়েকটি নাম আছে। চাটগাঁইয়া ভাষায় প্রায় ৫০% আরবি উৎসের শব্দভান্ডার রয়েছে।[১]
চাটগাঁইয়া নাম
চাটগাঁইয়া ভাষায় চট্টগ্রামের নাম চিটাঙ। অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে চাটগা, চৈট্ট্যভূমি এবং চট্টলা।[২] চট্টগ্রামের চাটগাও নামটি এখনো হিন্দি, পাঞ্জাবি, এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় ব্যবহার করা হয়। উর্দু এবং ফারসী ভাষায় চট্টগ্রামের নাম চাটগাম। এছাড়া চিটাগং নামটি চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে এবং বাংলার পূর্ব উপভাষাও প্রচলিত, “গ্যাং” এর অর্থও গ্রাম। ইসলামাবাদ নামটি চট্টগ্রামের আরো একটি বহুল ব্যবহৃত নাম, যেটি মোঘল বিজয়ের পর দেয়া হয়। এবং এটি দ্বারা মূলত চট্টগ্রাম বিভাগীয় রাজধানী অর্থাৎ চট্টগ্রাম শহরকে বুঝানো হয়। এই নামেও চট্টগ্রাম সুপ্রসিদ্ধ। চাটগাঁইয়া ভাষাতেও চট্টগ্রাম শহর বুঝাতে এই নামের ব্যবহার আছে।
বাংলা নাম
বাংলা নাম চট্টগ্রাম-এর প্রত্যয় রয়েছে “-গ্রাম” যা প্রমিত বাংলা গ্রাম থেকে এসেছে, এবং “চট্ট” শব্দটি “চাটি” অর্থাৎ বাতি থেকে উৎপন্ন। একটি কিংবদন্তি অনুযায়ী নামটি ইসলামের প্রসারের সময়ে, যখন একজন মুসলমান শহরের একটি পাহাড়ের চূড়ায় একটি চাটি (বাতি) জ্বালিয়েছিলেন এবং নামাজ আদায় করার জন্য (আজান) আহ্বান করেছিলেন।[৩] এইভাবে, অনেকে শহরকে বলতে থাকেন, চাটিগ্রাম বা চাটিগাঁও, যেখানে গাঁও অর্থ গ্রাম।
আরবি নাম
আরব ব্যবসায়ীরা নবম শতাব্দীতে চট্টগ্রামে উন্নত মুদ্রা, ব্যাংকিং এবং শিপিং দেখেছিল। শুরুর দিকের বিশ্বজনীন মুসলমানরা সমুদ্র বাণিজ্যের একটি প্রবেশপথ হিসেবে বন্দরের উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।[৪] ভৌগোলিকভাবে, গঙ্গা বদ্বীপবাংলায় অবস্থিত। আরবি শব্দ শাত (شط) যার অর্থ বদ্বীপ, এটি চট্টগ্রাম, গঙ্গা বদ্বীপ, শাত আল-গঞ্জ (شط الغانج) এর ব্যুৎপত্তিও হতে পারে। [৫][৬][৭] মরক্কোর ভ্রমণকারী ইবনে বতুতাচট্টগ্রাম বন্দরকেসাদকাওয়ান (سدكاوان) বলে উল্লেখ করেছেন। [৮][৯] বর্তমানে চট্টগ্রামের আরবি নাম হল শীতাগুং (شيتاغونغ), যা চট্টগ্রামের ইংরেজি নাম থেকে উৎপন্ন।
আরাকানি নাম
বাংলা সালতানাত থেকে আরাকানের স্বাধীনতার পর ম্রাক ইউ রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর ছিল চট্টগ্রাম। শহরের ব্যুৎপত্তির বার্মিজ ঐতিহ্য হল, ৯ম শতাব্দীতে আক্রমণকারী একজন আরাকানিজ রাজা শহরটিকে সিট-টা-গুং নাম দিয়েছিলেন (যার অর্থ যইুদ্ধ করা অনুচিত)। [৫]
পর্তুগিজ এবং ডাচ নাম
আদি ডাচ বাংলার মানচিত্র
পর্তুগিজরা বন্দর শহরটিকে পোর্টো গ্র্যান্ডে ডি বেঙ্গালা বলে উল্লেখ করেছিল, যার অর্থ “বাংলার গ্র্যান্ড হারবার”। শব্দটি প্রায়শই পোর্টো গ্র্যান্ডে হিসাবে সরলীকৃত ছিল। [১০] অন্যান্য নামের মধ্যে রয়েছে ডাচ থেকে Xatigan[১১], Xetigam, এবং Chatigão একটি আদি বাংলা নাম থেকে এসেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ঐতিহাসিক নাম এবং ডাকনাম
ওলন্দাজ জাহাজ ১৭০২ সালে মুঘল আমলে চট্টগ্রাম পরিদর্শন করে
চট্টগ্রামের মুঘল বিজয় বাঙালি নিয়ন্ত্রণ পুনরায় প্রতিষ্ঠা করে এবং স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যের যুগের সূচনা করে। শহরটির নামকরণ করা হয় ইসলামাবাদ (ইসলামের শহর) এবং পুরনো শহরে এখনও ব্যবহার করা হচ্ছে।[১২][১৩]
রোমান ঐতিহাসিক প্লিনি দ্য এল্ডারের মতে, চট্টগ্রাম বন্দরকে এরিথ্রীয় সাগরের পেরিপ্লাসে গঙ্গাবাজার (Gongabazaar) অর্থ “গঙ্গার বাজার” হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত স্থানটি সম্ভবত সীতাকুণ্ড, সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। [১৪]
প্রাচীন তিব্বতীয় গ্রন্থে শহরটি জ্বালানধারা (Jaalondhaara) নামে পরিচিত ছিল এবং আরব ভৌগোলিক গ্রন্থে সামান্দর (Samandar) নামে পরিচিত ছিল। [১৪]
শহরটি বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার (বাংলাদেশের প্রবেশপথ) এবং সেইসাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী নামে পরিচিত। [১৫]
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ[১] বা সুন্দরবন ব-দ্বীপ, ইংরেজি: Ganges Delta বা, Bengal Delta) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতেরপশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিক ব-দ্বীপ।[২][৩] এটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র সহ বেশ কয়েকটি নদীর মিলিত জলরাশি হিসেবে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এ কারণে একে অনেক সময় গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র ব-দ্বীপ নামেও অভিহিত করা হয়। এটি বিশ্বের উর্বরতম অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি। তাই, অনেকে একে গ্রিন ডেল্টা বা সবুজ ব-দ্বীপ বলে থাকেন। বদ্বীপটি হুগলী নদী থেকে পূর্ব দিকে মেঘনা নদী পর্যন্ত প্রসারিত।
ভূগোল
ব-দ্বীপের একটি সাধারণ দৃশ্য, যেখানে খেজুর গাছ, ধান খেত, সবুজ সমতল ভূমি এবং পুকুর দেখা যাচ্ছে।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ দেখতে অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতির এবং এটি একটি “আর্কুয়েট” (তোরণ-আকৃতির) বদ্বীপ হিসাবে বিবেচিত হয়। বদ্বীপটি ১,০৫,০০০ কিমি২ (৪১,০০০ মা২)-এরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। বদ্বীপটি বাংলাদেশ এবং ভারতে বিস্তৃত থাকলেও উত্তরের ভুটান, তিব্বত, ভারত ও নেপাল থেকে সৃষ্ট নদীগুলো এই বদ্বীপের মধ্য দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। ব-দ্বীপটির প্রায় ৬০% হয় বাংলাদেশে এবং ৪০% ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। বদ্বীপটির বেশিরভাগ অঞ্চল নদী বাহিত ছোট ছোট পলি কণা দ্বারা গঠিত। এমনকি নদীগুলো তাদের উৎস হিমবাহগুলো থেকে ফ্লুভিও-হিমবাহ হিসাবে এই সূক্ষ্ম কণাগুলো বহন করে নিয়ে আসে। লাল এবং লাল-হলুদ ল্যাটারাইট মাটি আরো পূর্ব দিকের প্রান্তে পাওয়া যায়। এই মাটিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ ও পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা কৃষির জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
এটি অসংখ্য চ্যানেল, জলাশয়, হ্রদ এবং পলি মাটির প্লাবন সমভূমি (চর)-এর সমন্বয়ে গঠিত। গঙ্গার শাখানদী- গড়াই-মধুমতি নদী গাঙ্গেয় ব-দ্বীপকে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে: একটি হল ভূতাত্ত্বিকভাবে তরুণ ও সক্রিয় পূর্বাঞ্চলীয় বদ্বীপ এবং অপরটি হল পুরাতন ও কম সক্রিয় পশ্চিমাঞ্চলীয় বদ্বীপ।[১]
জনসংখ্যা
মৌসুমী বায়ু জনিত বন্যা, হিমালয়ের বরফ গলার কারণে বেশি পানি প্রবাহ জনিত বন্যা এবং উত্তর ভারত মহাসাগরেরঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ১২৫ থেকে ১৪৩ মিলিয়ন মানুষ এই ব-দ্বীপে বাস করে। বাংলাদেশীদের একটি বড় অংশ গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাস করে এবং দেশের অনেক মানুষ বেঁচে থাকার জন্য এই বদ্বীপের উপর নির্ভরশীল।[৪]
মনে করা হয়, ৩০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের উপর নির্ভরশীল এবং প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ গঙ্গা অববাহিকায় বাস করে। অর্থাৎ, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল নদী অববাহিকা। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি কিলোমিটারে ২০০ জন (অর্থাৎ, বর্গমাইল প্রতি ৫২০ জন) এবং এটি বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চলগুলোর একটি।
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ জুড়ে রয়েছে তিনটি বাস্তুসংস্থান অঞ্চল। নিম্নতর গাঙ্গেয় সমভূমির আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য অঞ্চল এ অঞ্চলের সর্বাধিক অংশ জুড়ে বিদ্যমান। অবশ্য, বনের বেশিরভাগ অংশই কৃষিকাজের জন্য ফাঁকা করা হয়েছে এবং শুধুমাত্র ছোট ছোট কিছু বনাঞ্চল রয়েছে। ক্যানব্রেক নামে পরিচিত লম্বা ঘাসের ঘন স্ট্যান্ডগুলো আর্দ্র অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়। সুন্দরবনের স্বাদুপানির জলাভূমির বনাঞ্চল বঙ্গোপসাগরে কাছাকাছি অবস্থিত। এই বন শুষ্ক মৌসুমে নোনাপানিতে প্লাবিত হয় আবার বর্ষা মৌসুমে মিঠাপানিতে প্লাবিত হয়। এই বনও ধীরে ধীরে কৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। বাস্তু-অঞ্চলের ১৪,৬০০ বর্গকিলোমিটার (৫,৬০০ মা২)-এর মধ্যে মাত্র ১৩০ বর্গকিলোমিটার (৫০ মা২) অঞ্চল সুরক্ষিত। বদ্বীপটির বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ হল বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভবাস্তুসংস্থান অঞ্চল, যা ৫৪ টি দ্বীপ সহ মোট ২০,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৭,৯০০ মা২) জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সুন্দরবনের নামকরণও করা হয়েছে সুন্দরী নামে পরিচিত একটি ম্যানগ্রোভ প্রজাতির উদ্ভিদের নামানুসারে, যার বৈজ্ঞানিক নাম Heritiera fomes।
ব-দ্বীপের প্রাণীগুলির মধ্যে রয়েছে দেশি অজগর (Python molurus), মেঘলা চিতা (Neofelis nebulosa), ভারতীয় হাতি (Elephas maximus indicus), কুমির ইত্যাদি। প্রায় ১,০২০টি বিপন্নপ্রায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris tigris) সুন্দরবনে বাস করে বলে মনে করা হয়। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় গ্রীষ্মমন্ডলীয় পাতলা বন রয়েছে যা থেকে মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়। এই অঞ্চলে শাল, সেগুন এবং অশ্বত্থ গাছ পাওয়া যায়। এছাড়া, বদ্বীপ অঞ্চলে গরান গাছও রয়েছে।
অনুমান করা হয় যে প্রায় ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ (Axis axis) বদ্বীপটির সুন্দরবন অংশে রয়েছে। এছাড়াও সেখানে মাছরাঙা, ঈগল, কাঠঠোকরা, শালিক (Acridotheres tristis), জলার তিতির (Francolinus gularis) এবং দোয়েল (Copsychus saularis) পাখি দেখা যায়। বদ্বীপটিতে দুটি প্রজাতির ডলফিনের সন্ধান পাওয়া যায়: ইরাবতী ডলফিন (Orcaella brevirostris) এবং গঙ্গা নদীর ডলফিন (Platanista gangetica gangetica)। ইরাবতী ডলফিন একটি মহাসাগরীয় ডলফিন, যা বঙ্গোপসাগর থেকে বদ্বীপে প্রবেশ করে। তবে গঙ্গা নদীর ডলফিন সত্তিকারার্থেই একটি নদীতে বসবাসকারী ডলফিন। তবে এটি অত্যন্ত বিরল এবং বিপন্নপ্রায় প্রাণী হিসাবে বিবেচিত।
এছাড়া, অঞ্চলটিতে যেসব উদ্ভিদ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: সুন্দরী, গর্জন, বাঁশ, গোলপাতা (Nypa fruticans) এবং ম্যানগ্রোভ খেজুর (Phoenix paludosa)। উদ্ভিদের অনেক বিপন্ন প্রজাতিও এখানে পাওয়া যায়।
ভূ-তত্ত্ব
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত: ভারতীয় পাত, ইউরেশীয় পাত এবং বার্মা পাত।[৫]ইওসিন প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি কলকাতা থেকে শিলং মালভূমির প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। প্যালিওসেল্ফের প্রান্তটি উত্তর-পশ্চিমে পুরু মহাদেশীয় ভূত্বক থেকে দক্ষিণ-পূর্বের পাতলা মহাদেশীয় বা মহাসাগরীয় ভূত্বকে রূপান্তর চিহ্নিত করে। হিমালয়ের প্রবাহ থেকে আগত বিপুল পরিমাণে পলি ইওসিনের পর থেকে বদ্বীপটির সমুদ্রসৈকতকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মা) প্রসারিত করেছে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের নিচে পেলোশেল্ফের প্রান্তের দক্ষিণ-পূর্বে পলির ঘনত্ব ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) অতিক্রম করতে পারে।[৬]
অর্থনীতি
ধান, গবাদি পশু এবং নদী ও পুকুরের মাছ এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের প্রধান উৎস।
বাংলাদেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ লোক কৃষি ক্ষেত্রে কর্মরত। তারা বদ্বীপের উর্বর প্লাবনভূমিতে ফসল ফলান। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে যেসব ফসল উৎপন্ন হয় সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল পাট, চা এবং ধান।[৪] মাছ ধরাও এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা। কারণ এ অঞ্চলের অনেকের কাছেই মাছ একটি প্রধান খাদ্য।[৭]
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞানীরা মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি প্রয়োগ করতে বদ্বীপের দরিদ্র মানুষদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছেন। অব্যবহৃত পুকুরগুলোকে কার্যকর মাছের খামারে পরিণত করে এবং বিদ্যমান পুকুরগুলোতে মাছ চাষে উন্নত পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই এখন মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে পুকুরে মাছের উৎপাদন ৮০০% বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়েছে।[৮]চিংড়ি সাধারণত খোলা পানিতে নিমজ্জিত কন্টেইনার বা খাঁচায় চাষ করা হয়। এগুলোর বেশিরভাগই রফতানি করা হয়।[৭]
অসংখ্য নদী-নালা বেষ্টিত থাকায় অঞ্চলটিতে যাতায়াত করা বেশ কষ্টসাধ্য। বেশিরভাগ দ্বীপপুঞ্জ থেকে মূল ভূখণ্ডে যাতায়াতের একমাত্র উপায় হল কাঠের ফেরি নৌকা। সেতুর সংখ্যা খুবই কম। কিছু দ্বীপ এখনও বৈদ্যুতিক গ্রিডের সাথে সংযুক্ত নেই। সেসব দ্বীপের বাসিন্দাদের মাঝে সৌর কোষ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রবণতা দেখা যায়।
আর্সেনিক দূষণ
আর্সেনিক একটি প্রাকৃতিক মৌল যা স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। এটি ধান এবং অন্যান্য প্রধান ফসলের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করতে পারে।
জলবায়ু
গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের বেশিরভাগ এলাকা গ্রীষ্মমন্ডলীয় আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমাঞ্চলে প্রতি বছর ১,৫০০ থেকে ২,০০০ মিমি (৫৯ থেকে ৭৯ ইঞ্চি) এবং পূর্বাঞ্চলে প্রতি বছর ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মিমি (৭৯ থেকে ১১৮ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়। গরম ও শুষ্ক গ্রীষ্মকাল এবং শীতল ও শুষ্ক শীতকাল জলবায়ুকে কৃষির জন্য উপযুক্ত করে তোলে।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়
১৯৭০ সালের নভেম্বরে, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে মারাত্মক ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়টি গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে আঘাত হানে ১৯৭০ ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে ৫,০০,০০০ মানুষ নিহত হয় (সরকারিভাবে হিসেবে) এবং আরও ১০,০০০ জন নিখোঁজ হয়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুমান করেছিল যে, ভোলা ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০,০০,০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।[৯]
১৯৯১ সালে বদ্বীপটিতে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে প্রায় ১,৩৯,০০০ মানুষ মারা যায়।[১০]
এ অঞ্চলে প্রায়ই তীব্র বন্যা দেখা দিয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে বন্যার ফলে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত এবং ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। পুরো ধানের ফসল নষ্ট হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এই অঞ্চলের মানুষকে খাদ্য সরবরাহ করার জন্য ৯০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছিল।[১১]
বঙ্গীয় ব-দ্বীপের ইতিহাস
বিনিতা দামোদরন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক প্রশাসন কর্তৃক দুর্ভিক্ষ ব্যবস্থাপনার রীতিটির ব্যাপক সমালোচনা করেছেন এবং বন ও জমি পরিচালনার ফলে যে বড় ধরনের পরিবেশগত পরিবর্তন হয়েছে তার সাথে এই পদ্ধতিগুলোর সম্পর্ক চিহ্নিত করেছেন।[১২][১৩][১৪] দেবযানী ভট্টাচার্য্য দেখিয়েছেন যে পরিবেশগত পরিবর্তন মোকাবিলা করে অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে বিংশ শতাব্দীতে সূচনা পর্যন্ত ঔপনিবেশিক শক্তি কীভাবে কলকাতাকে নগর কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তুলেছিল।[১৫][১৬]
বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের পূর্ব অংশকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইফতেখার ইকবাল কৃষ্ণবিত্ত সমৃদ্ধি বা হ্রাস, সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব, দারিদ্র্য এবং দুর্ভিক্ষ অধ্যয়ন করার জন্য বঙ্গীয় ব-দ্বীপকে (বিশেষত, ঔপনিবেশিক সময়কালকে) একটি পরিবেশগত কাঠামো হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন।[১৭] ইকবাল দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে ঔপনিবেশিক শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে ফরায়েজি আন্দোলনের মতো প্রতিরোধ আন্দোলন কীভাবে অধ্যয়ন করা যেতে পারে।[১৮]
বঙ্গীয় বা গাঙ্গেয় বদ্বীপের পরিবেশ ইতিহাসের গবেষণার ক্ষেত্রে একটি দুর্বল দিক হল বেশিরভাগ গবেষণা অষ্টাদশ থেকে একবিংশ শতাব্দীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই অষ্টাদশ শতকের পূর্বে এই অঞ্চলের পরিবেশগত ইতিহাস সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে।
বদ্বীপের ভবিষ্যত
আসন্ন বছরগুলোতে গাঙ্গেয় বদ্বীপে বসবাসকারী লোকদের সবচেয়ে বড় যে হুমকির সম্মুখীন হতে হবে তা হল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা আর মাত্র ০.৫ মিটার (১ ফু ৮ ইঞ্চি) বাড়লেই বাংলাদেশে প্রায় ছয় মিলিয়ন লোক ঘরছাড়া হতে পারে।[১৯]
বদ্বীপটিতে তিতাস এবং বখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসের মজুদ আবিষ্কৃত হয়েছে। ফলে, এখন বেশ কয়েকটি বড় বড় তেল সংস্থা গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অনুসন্ধান চালানোর কাজে বিনিয়োগ করেছে।[২০][২১]
উত্তরবঙ্গ হল বাংলাদেশের উত্তর দিকে অবস্থিত একটি ভৌগোলিক অঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রাজশাহী বিভাগ ও রংপুর বিভাগকে একত্রে বলা হয় উত্তরবঙ্গ। প্রাচীন বঙ্গ রাজ্যের ভৌগোলিক নাম উত্তরবঙ্গ থেকেই এই নামের ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই অংশটি সমগ্র বাংলাদেশের উত্তরে বলেই, উত্তরবঙ্গ বলা হয়ে থাকে। রংপুর বিভাগ গঠন করার পূর্বে, পুরো উত্তরবঙ্গই রাজশাহী বিভাগের মধ্যে ছিল। মোট ১৬ টি জেলা নিয়ে উত্তরবঙ্গ গঠিত হয়েছে। নাটোরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় প্রশাসনিক বাসভবন অবস্থিত। পাকিস্তান আমলে তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সদরদপ্তর ছিল এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে নাটোরকে দেশের দ্বিতীয় প্রশাসনিক রাজধানী ও দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী তথা উত্তরা গর্ভামেন্ট হাউজকে উত্তরা গণভবন হিসেবে ঘোষণা করেন।
অদ্ভুৎসাগর গ্রন্থে রাজা বরেন্দ্র সেন এর এর উল্লেখ রয়েছে ইন্দ্রের বরে যার জন্ম(পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে)এবং তার রাজ্যটি বরেন্দ্র নামে পরিচিত ছিল। উত্তরবঙ্গে প্রাচীন বাংলার কয়েকটি রাজধানী অবস্থিত। বগুড়ায় মৌর্য আমলের শহর পুণ্ড্রনগরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ভারতের মালদহ সীমান্তে গৌড় বা কর্ণসুবর্ণ বা বল্লালঢিপি(বিজয়নগর) অবস্থিত,পাল শাসনামলে এই অঞ্চলটি সেন রাজাদের সামন্তরাজ্য হিসেবে পরচিত ছিল।একসময় রংপুর-কোচবিহার কামরুপ এর অংশ ছিলো।গৌড় এর পড়ে এ অঞ্চলের সবচেয়ে পুরাতন শহর নাটোর।
বর্তমান জেলা
ভারত ও বাংলাদেশের জেলাগুলো পৃথক রঙে চিহ্নিত
বাংলাদেশ
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের মোট ১৬ টি জেলা দ্বারা গঠিত।
১ অক্টোবর ২০০১ সালে বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকার গঠন করে। ১০ অক্টোবর ২০০১ সালে খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভা গঠিত হয় এবং ২৯ অক্টোবর ২০০৬ সালে এই মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়।[১][২]
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীগণের বাইরে বাংলাদেশ সরকারের ‘রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬’-এর ৩(বি)১ ধারা অনুযায়ী সংসদ সদস্য হবার যোগ্য এমন যেকোন ব্যক্তিকে তার উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারেন। উপদেষ্টাগণ সাধারণ মন্ত্রী পদমর্যাদা সম্পন্ন। রাজনৈতিক দল
১৯৮৫ সালের শেষ দিকে এরশাদ জনদল, বিএনপির একাংশ, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি ও মুসলিম লীগের সমন্বয়ে গঠন করেন জাতীয় ফ্রন্ট। কাজী জাফর স্বেচ্ছায় ইউপিপি ভেঙে এরশাদের দলে যোগ দেন। ১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠিত হয়। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন এরশাদ এবং মহাসচিব হন এম এ মতিন।[৩][৪]
মন্ত্রিসভাটি কার্যকর ছিল ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি), বাংলাদেশের ইউনিয়নভিত্তিক ডিজিটাল সেন্টার, যার উদ্দেশ্য হলো তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যসেবা নিশ্চিত করা।[১][২] ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র ২০০৭ সালে ‘কমিউনিটি ইনফরমেশন সেন্টার’ (সিইসি) নামে শুরু হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম (এটুআই) এর আওতায় সিরাজগঞ্জেরতাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়ন পরিষদে এবং দিনাজপুর জেলারসেতাবগঞ্জ উপজেলার মুশিদহাট ইউনিয়ন পরিষদে পাইলট আকারে সিইসি এর কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হয়।
ইতিহাস
এ পাইলট প্রকল্পে অভিজ্ঞতার আলোকে ২০০৮ সালে বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই প্রোগ্রামের সহায়তায় ৩০টি ইউনিয়ন পরিষদে সিইসি থেকে বেরিয়ে এসে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে আবারো স্থানীয় সরকার বিভাগ এটুআই-এর সহায়তায় ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র স্থাপন করে। বর্তমানে (২০১২) স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এসব ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র সমন্বয় করছে। পরবতীর্তে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নাম করন করা হয়।২০১৪ ২০১০ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় ঐ বছরের জুন মাসের মধ্যে আরো ১০০০টি কেন্দ্র স্থাপন করবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইতোমধ্যে (২০১২) ১০০০টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং এর জন্য এসব ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০০০ জন উদ্যোক্তা বাছাই করা হয়। নারী পুরুষের সমতার কথা মাথায় রেখে উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় একজন যুবক, একজন যুবতিকে বেছে নেয়া হয়। এই উদ্যোক্তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে একাজে যুক্ত হোন। এই উদ্যোক্তা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি যুক্ত এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসক অবহিত।
মে ২০১০-এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ১০০ জনের একটি অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দল গঠনের লক্ষ্যে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এই প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের আওতায় বিভিন্ন টেলিসেন্টারের উদ্যোক্তারা অংশ নেন। যাদের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র রয়েছে। [৩]
ইউনিয়ন ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মুল সেবা সমুহ
১। কম্পিউটার কম্পোজ ২। ই-মেইল ৩। ইন্টারনেট ৪। ছবি তোলা ৫। কম্পিউটার প্রশিক্ষন ৬। বিভিন্ন সরকারি ফরম ৭। জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবরাহ ৮। মোবাইল ব্যংকিং ৯। ফটোকপি ১০। জীবন বীমা ১১। প্লাস্টিক আইডি কার্ড ১২। ছাপার কাজ ১৩। বিদ্যুত বিল গ্রহণ