আগুনপাখি বাঙালি লেখক হাসান আজিজুল হক কর্তৃক লিখিত একটি বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ভারত বিভাগের পটভূমিতে রচিত। এর কাহিনী নির্মীত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর রাঢ় অঞ্চলকে ঘিরে, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অংশ।[১][২][৩]
কাহিনিসংক্ষেপ
আগুনপাখি উপন্যাসটি একটি গ্রামীণ পরিবারের উত্থান-পতনের ইতিহাস তুলে ধরেছে। ভারত বিভাগের কয়েক বছর আগে থেকে এর কাহিনি শুরু হয়। উপন্যাসটি একজন গ্রামীণ গৃহিণীর দৃষ্টিকোণ থেকে, উত্তম পুরুষে লিখিত। তিনি নিজের এবং তার চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে নানান পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেন। তার মধ্য দিয়ে তৎকালীন রাঢ় অঞ্চলের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়।
উপন্যাসের শুরুর দিকে, তার পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ই অধিক বিবৃত হয়েছে। উক্ত অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জমিদারে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের কলেরা, ফসলের ঘাটতি এবং সবশেষে হিন্দু-মুসলিম বিভক্তির শিকার হতে হয়। এই ঘটনাসমূহের মধ্য দিয়ে উপন্যাসের কাহিনি পারিবারিক পরিধি অতিক্রম করে বিস্তার লাভ করতে থাকে।
উপন্যাসের শেষে, গৃহিণীর স্বামী ও সন্তানেরা পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও তিনি সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৪][৫]
প্রকাশনা
গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে, আগুনপাখি উপন্যাসটির অর্ধেকাংশ ‘অপ-রূপকথা’ নামে প্রথম আলো পত্রিকার ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হয়।[১] এরপর ২০০৬ সালে সন্ধানী প্রকাশনী কর্তৃক উপন্যাসটি সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে ভারতের দে’জ পাবলিশিং কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
পুরস্কার
পুরস্কার | বছর | সূত্র |
---|---|---|
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১২ | ২০০৬ | [৬] |
আনন্দ পুরস্কার | ২০০৮ | [৭] |