বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের লেখাটি খুবই উপকারি হবে। তো চলুন বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ি।
বাংলাদেশ (Bangladesh) বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন : উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন উত্তর : লর্ড ক্যানিং।
এই বিভাগের আরো পোস্ট :
প্রশ্ন : ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডি-৮ সম্মেলন’র আয়ােজক দেশ ছিল উত্তর : বাংলাদেশ।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি উত্তর : মারমা।
প্রশ্ন : জিজিয়া কর ছিল উত্তর : মুসলমানদের ওপর ধার্য সামরিক কর।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে উত্তর : ২টি দেশের।
প্রশ্ন : জগদ্দল বিহার অবস্থিত উত্তর : নওগাঁ জেলায়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত উত্তর : ঢাকার সাভারে।
প্রশ্ন : জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার নাম উত্তর : জাইকা।
বাক্যের ব্যবধান হল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের লেখার বাক্যের মাঝে অনুভূমিক ব্যবধান। এটি হল একটি বানান ও লেখা সাজানোর ব্যাপার। ইউরোপে স্থানান্তর উপযোগি ছাপা চালু হবার পর থেকে, রোমান লিপির ভাষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাক্যের ব্যবধান সাজানোর উপায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।[১] এর মধ্যে আছে সাধারণ শব্দ ব্যবধান (বাক্যের অন্তঃস্থিত শব্দগুলোর মাঝে), একটিমাত্র বড় ব্যবধান, এবং দুইটি সম্পূর্ণ ব্যবধান।
বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত, বিভিন্ন দেশে প্রকাশনা সংস্থাগুলো এবং ছাপাখানাগুলো বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান ব্যবহার করত। এই গতানুগতিক ব্যবধান প্রক্রিয়া ব্যতিক্রমও ছিল – কিছু ছাপাখানা বাক্যের মাঝে অক্ষর ব্যবধানের থেকে প্রশস্ত নয় এমন বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করত। এটা ছিল ফরাসি ব্যবধান – একটি নাম যা বিংশ শতাব্দীর শেষ দিক পর্যন্ত একক-ব্যবধান এর সমার্থক ছিল।[২] উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে টাইপরাইটার ব্যবহারের সূচনার মধ্য দিয়ে, মুদ্রাক্ষরিকরা গতানুগতিক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকদের অনুকরণ করে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করত। [৩] বিংশ শতাব্দীর মাঝমাঝি সময়ে প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধান ছাপাখানার বাণিজ্যে বিকাশ লাভ করলেও, মুদ্রাক্ষরিকরা আগের অভ্যাস চালিয়ে যান[৪] এবং পরবর্তী সময়ে কম্পিউটারেও।[৫] সম্ভবত এই কারণেই, অনেক আধুনিক সূত্র ভুল[৬] দাবি করে যে প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের জন্য।[৭]
আকাঙ্ক্ষিত বা সঠিক বাক্যের ব্যবধান নিয়ে প্রায়ই বিতর্ক হয় কিন্তু এখন অনেক সূত্রের মতে অতিরিক্ত ব্যবধানের প্রয়োজন নেই বা আকাঙ্ক্ষিত নয়। [৮] ১৯৫০ সাল দিকে, একক বাক্যের ব্যবধান বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকাতে আদর্শ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়,[৯] এবং বেশিরভাগ রচনাশৈলী কৌশল যেগুলো লাতিন-উদ্ভূত বর্ণমালাকে ব্যবহার করে ভাষার ভিত্তি হিসেবে সেগুলো এখন বিহিত করে বা সুপারিশ করে বাক্যের সমাপ্তিসূচক বিরাম চিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করাকে। [১০] যদিও, কিছু সূত্র এখনো বলে যে অতিরিক্ত ব্যবধান ঠিক ও গ্রহণযোগ্য। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে এ নিয়ে বিতর্ক চালু আছে।[৬] অনেক মানুষ দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান পছন্দ করে অনানুষ্ঠানিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কারণ তাদের সেভাবেই টাইপ করতে শেখানো হয়েছে। [১১] কোন সাজানোটি বেশি পাঠযোগ্য এই নিয়ে একটি বিতর্ক আছে; সাম্প্রতিক সময়ে ২০০২ সাল থেকে কিছু সরাসরি গবেষণা করা হলেও সেগুলো অমীমাংসিত ফলাফল প্রদান করেছে।[১২]
উপরে: বাক্যের মাঝে কমপক্ষে em-ব্যবধান সংবলিত প্রশস্ত ব্যবধানের বাক্যের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৯০৯). নিচে: ফরাসি ব্যবধানের ছাপাখানার অক্ষরবিন্যাসের লেখা (১৮৭৪)
স্থানান্তর উপযোগী ছাপা আবিষ্কারের কিছুদিন পর থেকে, বহু-পরিবর্তনশীল ব্যবধান ব্যবস্থা তৈরি করা হয় যা যেকোনো মাপের ব্যবধান তৈরি করতে পারে, এবং পুরোপুরি সমানভাবে প্রতিপাদনের অনুমতিপ্রাপ্ত ছিল।[১৩] প্রথমদিকের আমেরিকান, ইংলিশ এবং অন্যান্য ইউরোপিয়ান ছাপাখানার অক্ষরস্থাপকগুলোর রচনাশৈলী কৌশল (ছাপাখানার নিয়মাবলী হিসেবেও পরিচিত) ব্যবধানের আদর্শ মানগুলো নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সেগুলো অষ্টাদশ শতাব্দীর পর থেকে বলতে গেলে প্রায় একই ধরনের। এই কৌশলগুলো- যেমনঃ Jacobi in the UK (১৯৮০)[১৪] এবং MacKellar, Harpel, and De Vinne (১৮৬৬–১৯০১) আমেরিকাতে[১৫]— দেখায় যে বাক্যগুলো হতে হবে এম-ব্যবধানের, এবং শব্দগুলোর হতে হবে ১/৩ বা ১/২ এম-ব্যবধানের। বাক্যের ব্যবধানের আপেক্ষিক মাপ শব্দ ব্যবধানের মাপ এবং সমানভাবে প্রতিপাদনের চাহিদার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।[১৬] বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রে, বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত প্রকাশিত কাজের জন্য এটাই ছিল আদর্শ।.[১৭] তবুও, এই সময়কালেও, এমন প্রকাশনা সংস্থাও ছিল (বিশেষ করে ফ্রান্সে) যারা বাক্যের মাঝে ব্যবহার করত একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধানের মাপ – যাকে বলা হত ফরাসি ব্যবধান।
যান্ত্রিক ছাপা এবং টাইপরাইটারের আবির্ভাব
যান্ত্রিক ছাপার ব্যবস্থাগুলো উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে চালু হয়, যেমন লিনোটাইপ এবং মোনোটাইপ যন্ত্র, যেগুলোতে হাতের অক্ষরবিন্যাসের মত কিছু পরিবর্তনশীল বাক্যের ব্যবধান করা যেত।[১৮] যখনই এই যন্ত্রগুলো ছাপার ব্যাপক উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনে, প্রায় সেই একই সময়ে টাইপরাইটারের আবির্ভাব ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক নথিপত্রের তৈরিতে আনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু টাইপরাইটারের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরিবর্তনশীল ব্যবধানের সুযোগ ছিল না-মুদ্রাক্ষরিকরা শুধুমাত্র কতবার ফাঁকা চাবি চাপবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কিছু ইংরেজি-ভাষাভাষী দেশের মুদ্রাক্ষরিকরা প্রাথমিক ভাবে বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান দিতে শিখেছিল[১৯] গতানুগতিক ছাপার প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে মিলিয়ে রাখতে, কিন্তু পরে তারা এটিকে দুইটি ব্যবধান হিসেবে স্থির করে,[২০] এই রীতি বিংশ শতাব্দীর পুরোটা সময় চালু ছিল।[৩] এটি ইংলিশ ব্যবধান হিসেবে পরিচিত ছিল, এবং ফরাসি মুদ্রাক্ষরিকদের থেকে আলাদা হিসেবে চিহ্নিত হয়, যাঁরা ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করা অব্যাহত রাখে।[২১]
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, কিছু ছাপাখানা বাক্যগুলো আলাদা করতে দেড় শব্দ মধ্যবর্তী ব্যবধান (একটি “en quad“) ব্যবহার শুরু করে।[২২] কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ১৯৯০ এর দিকেও, এই রীতি ব্যবহার চালু থাকে।[২৩]
১৯৪০ এর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ম্যাগাজিন, পত্রিকা, এবং বইতে একক ব্যবধানের রীতি ব্যবহার করা শুরু হয় এবং ১৯৫০ এর দিকে যুক্তরাজ্যেও তা চালু হয়।[২৪] মুদ্রাক্ষরিকরা এর সাথে সাথে একক ব্যবধান ব্যবহার করা শুরু করে না।.একজন সাধারণ লেখক তখনও লেখার জন্য টাইপরাইটারের উপর নির্ভর করত—যাতে ছিল ব্যবধানের যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাক্যের ব্যবধানের কৌশলগুলোকে প্রভাবিত করা শুরু করে। ১৯৪১ সালে, IBM চালু করে এক্সেকিউটিভ, এমন এক টাইপরাইটার যা সমানুপাতিক ব্যবধান তৈরি করতে পারে[২৫]—যেটি পেশাদারী ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের জন্য শত শত বছর ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এই নবপ্রবর্তিত বস্তু টাইপরাইটারের উপর মোনোস্পেসড ফন্টের যে দখল ছিল তা ভেঙ্গে ফেলে— এটির যান্ত্রিক সীমাবদ্ধতার প্রখরতা কমিয়ে ফেলার মাধ্যমে।[২৫] ১৯৬০ এর মধ্যে, বৈদ্যুতিক ছবি-অক্ষরস্থাপন কৌশলগুলো লেখার মাঝে সাদা ব্যবধান রাখাকে উপেক্ষা করা শুরু করে।[৬]ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি,যেহেতু এইচটিএমএল সাধারণভাবে অতিরিক্ত ব্যবধান উপেক্ষা করে,[২৬][২৭] যদিও ২০১১ সালে সিএসএস 2.1 মানদণ্ড আনুষ্ঠানিকভাবে একটি বিকল্প যোগ করে যেটি অতিরিক্ত ব্যবধান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারে।[২৮] ১৯৮০ এর দিকে, ডেস্কটপ প্রকাশনী সফটওয়্যার সাধারণ লেখকদের জন্য আরো উন্নত বিন্যাস সরঞ্জাম সরবরাহ করে।[২৯] বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের মধ্যে, লেখার শব্দের সাহিত্য এটির বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশিকা সমন্বয় করা শুরু করে দেয়।
আধুনিক সাহিত্য
ছাপাখানার বিদ্যা
ইংরেজি প্রকাশনা সংস্থাগুলিতে ছাপাখানার বিদ্যার ( লেখার বিন্যাস ও আকৃতি )[৩০] প্রারম্ভিক অবস্থানে গতানুগতিগ ব্যবধান কৌশলগুলি অনুমোদিত ছিল। ১৯৫৪ সালে, জিওফ্রি ডডিং এর বইয়ে, ফাইনার পয়েন্টসইন দা স্পেসিং অ্যান্ড এরেঞ্জমেন্ট অফ টাইপ , একক প্রশস্ত এম ব্যবধান থেকে বাক্যের মাঝে আদর্শ শব্দ ব্যবধান ব্যবহারের যে ব্যাপক চলন শুরু হয় তাতে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।[৩১]
কম্পিউটার যুগের আবির্ভাবের মাধ্যমে, ছাপাখানার বিদ্যায় বিশারদরা দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত হওয়া শুরু করেন, এমনকি মোনোস্পেসড লেখার ক্ষেত্রেও। ১৯৮৯ সালে. ডিজাইন এরডেস্কটপ পাবলিশিং এ বলা হয় “ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন এর জন্য দাড়ি, প্রশ্নবোধক, আশ্চর্যবোধক, কোলন চিহ্নের পর শুধুমাত্র একটি ব্যবধান প্রয়োজন”, এবং একক বাক্যের ব্যবধানকে ছাপার কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৩২]স্টপ স্টিলিং সীপ অ্যান্ড ফাইন্ড আউট হাও টাইপ ওয়ার্কস (১৯৯৩) এবং ডিজাইনিং উইথ টাইপঃ দা এসেনশিয়াল গাইড টু টাইপোগ্রাফি (২০০৬) উভয়ই শব্দের মাঝে অভিন্ন ব্যবধান ব্যবহার করতে নির্দেশ করে, এমনকি বাক্যের মাঝেও।[৩৩]
ছাপাখানার বিদ্যার উপর করা সাম্প্রতিক কাজগুলো অনেক গুরুত্বের। ইলিন স্ট্রিজভার, টাইপ স্টুডিও এর প্রতিষ্ঠাতা, বলেন, “মতামতের পার্থক্য সহ্য করার কথা ভুলে যান, বাক্য শুরু করার আগে দুইটি ব্যবধান দেওয়া পুরোপুরি, দ্ব্যর্থহীনভাবে ভুল।”[১১]কমপ্লিট ম্যানুয়াল অন টাইপোগ্রাফি (২০০৩) এ বলা হয় “টাইপরাইটারের দাড়ির পর দুই শব্দ ব্যবধান ব্যবহার করে বাক্য আলাদা করার প্রক্রিয়ার ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনে কোনো জায়গা নেই” এবং একক ব্যবধান হল “আদর্শ ছাপার কৌশল”।[৩৪]এলিমেন্টস অফ টাইপোগ্রাফিক স্টাইল (২০০৪) পরামর্শ দেয় বাক্যের মাঝে একটি ব্যবধান দেবার, এমন কোনো কিছু নয় যা ” আপনার ছাপার কাজ ও এর সাথে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন লাভবান হবে এই অদ্ভুত [দ্বিগুণ ব্যবধান] ভিক্টোরিয়ান অভ্যাস ভুলে গেলে”। [৩]
ডেভিড জুরির বই, এবাউট ফেইসঃ রিভাইভিং দা রুলস অফ টাইপোগ্রাফি (২০০৪)- সুইজারল্যান্ডে প্রকাশিত- বাক্যের ব্যবধানের ব্যাপারে সমসাময়িক ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের অবস্থান পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা করেঃ
শব্দ ব্যবধান, বিরামচিহ্নের আগে বা পরে, এমনভাবে বিন্যস্ত করতে হবে যাতে দৃশ্যত মনে হয় তা আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সমান। যদি একটি দাড়ি বা কমার পর একটি আদর্শ শব্দ ব্যবধান দেওয়া হয়, তাহলে, দৃশ্যত, সেটি ছাপার বাক্যের অন্য যেকোনো শব্দ ব্যবধান থেকে ৫০% পর্যন্ত বেশি প্রশস্ত ব্যবধান তৈরি করে। এটা হয় কারণ এই বিরামচিহ্নগুলো তাদের উপরে ব্যবধান বহন করে, যেটি, যখন পার্শ্ববর্তী আদর্শ শব্দ ব্যবধানের সাথে যোগ করা হয়, সম্মিলিতভাবে দৃশ্যত আরও বড় ব্যবধান তৈরি করে। অনেকে দ্বিমত পোষণ করে বলেন যে কমা এবং দাড়ির পর “অতিরিক্ত” ব্যবধান পাঠকের জন্য “বিরতি সংকেত” হিসেবে কাজ করে। কিন্তু এটি অপ্রয়োজনীয় (এবং দৃষ্টিকটু) কেননা বিরামচিহ্ন নিজেই বিরতি সংকেতের কাজ করে।[৩৫]
শুরুর দিকে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের শৈলী নির্দেশিকাগুলোতে শব্দের মাঝের “গতানুগতিক ব্যবধান” এর থেকে প্রশস্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে ব্যবহার করা হত, ডানের ছবিতে যেমনটি দেখান হল।[৩৬] বিংশ শতাব্দীর সময়, শৈলী নির্দেশিকাগুলো সাধারণভাবে মুদ্রলিখিত পান্ডুলিপিতে বাক্যের মাঝে দুইটি ব্যবধান দেওয়াকে বাধ্যতামূলক করে,যেগুলো পেশাগতভাবে ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের কাজের আগে ব্যবহৃত হত।[৩৭] ডেস্কটপ প্রকাশনা যখন প্রচলন শুরু হল, মুদ্রলিখিত পাণ্ডুলিপি হয়ে পড়ল আরও কম প্রাসঙ্গিক এবং বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো পাণ্ডুলিপি ও চূড়ান্ত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের পণ্যের মাঝে পার্থক্য করা বন্ধ করে।[৩৮] একই সময়কালে, শৈলী নির্দেশিকাগুলো বাক্যের ব্যবধান সম্পর্কে তাদের নির্দেশনা বদলাতে শুরু করে। শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল এর ১৯৬৯ এর সংস্করণে বাক্যের মাঝে এম ব্যবধান ব্যবহার করা হয়;[৩৯] ২০০৩ এর সংস্করণে পাণ্ডুলিপি ও ছাপা উভয়ের জন্য তা পরিবর্তিত হয়ে একক ব্যবধান হয়। ১৯৮০ এর মধ্যে, যুক্তরাজ্যের হার্টস রুলস (১৯৮৩)[৪০] একক ব্যবধানে সরে আসে। অন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলোও ১৯৯০ এর দিকে তা অনুসরণ করে।[৪১] একবিংশ শতাব্দী শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই, বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো বদলে গিয়ে নির্দেশ করে যে বাক্যের মাঝে শুধুমাত্র একটি শব্দ ব্যবধানই যথাযথ।[৪২]
আধুনিক শৈলী নির্দেশিকাগুলো লিখিত ভাষার আদর্শ মান এবং নির্দেশনা সরবরাহ করে। লেখকদের জন্য এই কাজগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ “কার্যত সব পেশাদার সম্পাদকরা প্রকাশনার জন্য একটি পাণ্ডুলিপি সম্পাদনার তাদের কোনো একটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন”।[৪৩] ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকাগুলোর শেষের দিকের সংস্করণগুলোতে, যেমনঃ যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩)[৪৪] এবং যুক্তরাজ্যে দা শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০১০)[৪৫], বাক্যের ব্যবধানসহ অনেক ধরনের লেখা ও নকশার বিষয়ে আদর্শ মান সরবরাহ করে।[৪৬] চূড়ান্ত লেখা ও প্রকাশনার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকাগুলো এখন চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পর একক ব্যবধান ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।[৪২] কিছু শৈলী নির্দেশিকা খসড়া কাজে দ্বিগুণ ব্যবধান অনুমোদন করে, এবং গ্রেগ রেফারেন্স ম্যানুয়াল লেখকের ইচ্ছার উপর দ্বিগুণ ও একক ব্যবধানের ব্যাপারটি ছেড়ে দেয়।[৪৭] ওয়েব নকশা নির্দেশিকাগুলো সাধারণত এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয় না, যেহেতু “এইচটিএমএল দ্বিগুণ ব্যবধানকে স্বীকৃতি দিতে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে”।[৪৮] এই কাজগুলো নিজেরা বর্তমান প্রকাশনার আদর্শ মান একক ব্যবধান অনুসরণ করে।[৪৯]
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নেরইন্টারন্যাশনাল স্টাইল গাইড (২০০৮) এ উল্লেখ করা হয় যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৩ টি ভাষার সকল প্রকাশনায় একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করা হবে।[৫০] ইংরেজি ভাষার জন্য, ইউরোপিয়ান কমিশনেরইংলিশ স্টাইল গাইডে (২০১০) বলা হয় যে বাক্যগুলো সব সময় একক ব্যবধানের হবে।[৫১]স্টাইল ম্যানুয়ালঃ ফর অথারস, এডিটরস অ্যান্ড প্রিন্টারস (২০০৭), যেটি ১৯৬৬ সালে কমনওয়েলথ গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং অফিস অফ অস্ট্রেলিয়া দ্বারা প্রথম প্রকাশিত হয়, একক ব্যবধান ব্যবহারের শর্ত দেয় যে “বাক্য সমাপ্তকারি বিরামচিহ্নের” পরে এবং যেহেতু “শব্দ প্রক্রিয়াকরণের প্রোগ্রামগুলো ও ডেস্কটপ প্রকাশনা আরো পরিশীলিত, পরিবর্তনশীল ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন প্রদান করে, তাই দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহারের এই রীতি এখন পরিহার করা হয় কারণ এটি পাতার মাঝে বিভ্রান্তিমূলক ব্যবধান তৈরি করে।”[৫২]
জাতীয় ভাষাগুলো যেগুলো কোনো প্রামাণিক ভাষা একাডেমী এর অন্তর্ভুক্ত নয় সাধারণত সেগুলোর একাধিক শৈলী নির্দেশিকা থাকে-যাদের মধ্যে মাত্র কয়েকটি বাক্যের ব্যবধান নিয়ে আলোচনা করতে পারে। যুক্তরাজ্যে এমনটিই হয়। অক্সফোর্ড স্টাইল ম্যানুয়াল (২০০৩) এবং মডার্ন হিউম্যানিটিস রিসার্চ এসোসিয়েশন এর এমএইচআরএ স্টাইল গাইড (২০০২)-তে বলা হয়েছে শুধুমাত্র একক ব্যবধান ব্যবহার করা যাবে।[৫৩] কানাডাতে, কানাডিয়ান স্টাইল, এ গাইড টু রাইটিং অ্যান্ড এডিটিং (১৯৯৭) এর ইংরেজি ও ফরাসি ভাষা উভয় বিভাগে, একক বাক্যের ব্যবধানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।[৫৪] যুক্তরাষ্ট্রে, বহু শৈলী নির্দেশিকা- যেমন শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল (২০০৩)- শুধুমাত্র একক ব্যবধান অনুমোদন করে।[৫৫] ইতালির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শৈলী নির্দেশিকা, ইলা নুয়াভো মানুয়ালে দি স্তিলে (২০০৯)[৫৬]-এ বাক্যের ব্যবধানের কোনো উল্লেখ নেই, কিন্তু মাইক্রোসফট অনুবাদের আনুষ্ঠানিক নির্দেশিকা,গুইদা দি স্তিলে ইতালিয়ানো (২০১০)-তে ব্যবহারকারীদের “যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত দ্বিগুণ ব্যবধানের বদলে” একক বাক্যের ব্যবধান ব্যবহার করতে বলা হয়।[৫৭]
ভাষা নির্দেশিকা
কিছু ভাষা, যেমন ফরাসি এবংস্প্যানিশ ভাষাতে ভাষার নিয়ম নির্ধারণের জন্য একাডেমী আছে। তাদের প্রকাশনা সাধারণত ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন বিদ্যার বিষয়গুলোর বদলে লিখনবিধি এবং ব্যাকরণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এধরনের ভাষাগুলোর জন্য শৈলী নির্দেশিকাগুলো কম প্রাসঙ্গিক, যেহেতু তাদের একাডেমীগুলো বিধানবাদ ঠিক করে। উদাহরণস্বরূপ, আকাদেমি ফ্রঁসেজ বিশ্বব্যাপী ফরাসি ভাষাভাষীদের জন্য দিকসিওনের দ্য লাকাদেমি ফ্রঁসেজ প্রকাশ করে।[৫৮] ১৯৯২ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু পুরোপুরি একক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত-যা ঐতিহাসিক ফরাসি ব্যবধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্প্যানিশ ভাষা একই রকম। এসোসিয়েশন অফ স্প্যানিশ ল্যাঙ্গুয়েজ একাডেমীস এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ, রিয়েল একাডেমিয়া এসপানিওলা, প্রকাশ করে ডিকশনারিও দে লা লেঙ্গুয়াএসপানিওলা, যেটিকে বিশ্বব্যাপী স্প্যানিশ ভাষার প্রচলিত প্রথামত হিসেবে দেখা হয়।[৫৯] ২০০১ সালের সংস্করণে বাক্যের ব্যবধানের উপর কোনো নির্দেশনা দেওয়া নাই, কিন্তু এটি একক বাক্যের ব্যবধানে ছাপা। জার্মান ভাষা নির্দেশিকা এমফিলুনগেন দেস রাটস ফ্রু দোএতচে রেক্তসায়বুং (“কাউন্সিল ফর জার্মান ওরথোগ্র্যাফি কর্তৃক সুপারিশকৃত”) (২০০৬)-তে বাক্যের ব্যবধানের উল্লেখ নাই।[৬০] ম্যানুয়ালটিতে চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের পরে একক ব্যবধান ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া, ডুডেন, জার্মানিতে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত জার্মান ভাষার অভিধান,[৬১] নির্দেশ করে যে দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধান একটি ত্রুটি।[৬২]
ব্যাকরণ নির্দেশিকা
কতিপয় তথ্যসূত্রের ব্যাকরণ বাক্যের ব্যবধানের কথা উল্লেখ করে, যেহেতু শব্দের মাঝে বর্ধিত ব্যবধান নিজের মাঝে বিরামচিহ্নের মত।[৬৩] বেশিরভাগই করে না। ব্যাকরণ নির্দেশিকাগুলো সাধারণত চূড়ান্ত বিরামচিহ্ন এবং সঠিক বাক্য গঠনের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে-কিন্তু বাক্যের মাঝের ব্যবধান সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে না।[৬৪] তাছাড়া, বহু আধুনিক ব্যাকরণ নির্দেশিকা দ্রুত তথ্যসূত্র পাবার মত করে তৈরি করা হয়েছে[৬৫] এবং লেখার শৈলীর অতিরিক্ত বিষয়গুলোর জন্য ব্যবহারকারীদের ব্যাপক শৈলী নির্দেশিকা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়।[৬৬] উদাহরণস্বরূপ,পকেট ইডিয়টস গাইড টু গ্রামার অ্যান্ড পাঙ্কচুয়েসন (২০০৫) বিন্যাস কাজে ধারাবাহিকতা ও অন্যান্য “সম্পাদনা সম্পর্কিত বিষয়গুলোর” জন্য ব্যবহারকারীদের এম এলএ স্টাইল ম্যানুয়াল এর মত শৈলী নির্দেশিকাগুলো ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়।[৬৭]গ্রামার বাইবেল (২০০৪) -এ বলা হয় “ইংরেজি বিরামচিহ্নের আধুনিক ব্যবস্থা কোনোভাবেই সহজ নয়। একটি বই যদি সকল বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় তবে এটিকে হতে হবে বিশাল আকৃতির এবং যিনি এধরনের কিছু চাচ্ছেন তাঁকে শিকাগো ম্যানুয়াল অফ স্টাইল দেখার পরামর্শ দেওয়া হল।”[৬৮]
কম্পিউটারের যুগে, বিভিন্ন সফটওয়্যারের প্যাকেজে বাক্যের মাঝের ব্যবধানকে বিভিন্নভাবে পরিচালনা করা হয়। কিছু পদ্ধতি যা ব্যবহারকারী লিখে তাই অনুমোদন করে, যখন অন্যগুলো ব্যবধান পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, বা ব্যবহারকারীর নিবেশকে বাক্য শনাক্ত করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। কম্পিউটার ভিত্তিক শব্দ প্রক্রিয়াকারকগুলো, এবং ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনেরসফটওয়্যার যেমনঃ ট্রফ ওটেক্স, ব্যবহারকারীদের এমনভাবে লেখা সাজাবার সুযোগ করে দেয় যা আগে শুধুমাত্র পেশাদার অক্ষরস্থাপকগুলো করতে পারত।[৬৯]
ইমাক্স এর লেখা সম্পাদনার পরিবেশ স্পষ্টভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে দাড়ির পর দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করে, দ্বিগুণ ব্যবধানের এই প্রক্রিয়া বাক্যের মাঝের সেইসব দাড়ির সাথে ভুল বোঝাবুঝি রোধ করে যেগুলো দিয়ে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ প্রকাশ পায়। ইমাক্স কিভাবে বাক্যের সমাপ্তি বুঝতে পারবে তা নিয়ন্ত্রণ করে যে বিন্যাসটি সেটি হল সেন্টেন্স-এন্ড-ডাবল-স্পেস অ্যান্ড সেন্টেন্স-এন্ড .[৭০] The ভিআই সম্পাদকও এই কৌশল অনুসরণ করে; ফলে, ইমাক্স ও ভিআই উভয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাক্য নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলকভাবে সহজ হয় (জাম্প ওভার, কপি, ডিলিট)।
ইউনিক্স ছাপাখানার অক্ষরস্থাপনের প্রোগ্রাম ট্রফ বাক্যের শেষ চিহ্নিত করতে দুইটি ব্যবধান ব্যবহার করে।[৭১] এটি ছাপাখানার অক্ষরস্থাপককে শব্দের সংক্ষিপ্তরূপ থেকে বাক্যের সমাপ্তিকে পার্থক্য করার এবং আলাদাভাবে অক্ষরস্থাপনের সুযোগ করে দেয়। ট্রফের শুরুর দিকের সংস্করণগুলোতে,[৭২] শুধুমাত্র নির্দিষ্ট প্রস্থের ফন্ট অক্ষরস্থাপনে ব্যবহার করত, যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের মাঝে দ্বিতীয় একটি ব্যবধান যোগ করে দিত, যেগুলো চূড়ান্ত বিরামচিহ্নের মিশ্রণ ও লাইন ফিড উপর নির্ভর করে শনাক্ত করা হত।
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড নিজে থেকে বাক্যকে পরিবর্তন করে না, কিন্তু গ্রামার চেকিং এমনভাবে ঠিক করা যায় যাতে বাক্যের মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যবধান থাকে।
ল্যাটেক দাড়ির পর একটি “বাক্য-মধ্যবর্তী” অক্ষরস্থাপন করে যদিনা অন্য নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এটি একটি পরিবর্তনশীল ব্যবধান যা সাধারণত “শব্দ-মধ্যবর্তী ব্যবধান” থেকে প্রশস্ত হয়।
অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস সহ, কিছু আধুনিক টাচ-স্ক্রিন যন্ত্রে, পর পর দুইটি ব্যবধান দেওয়া হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাক্যের সমাপ্তি হিসেবে মনে করা হয়, এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি দাড়ি প্রবেশ করানো হয়। যদিও, শুধুমাত্র একটি ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে।
একাধিক ব্যবধান বেশিরভাগ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উপাদানে নিজে থেকে অপসারণ করা হয়, সেটি বাক্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত হোক বা নাই হোক তা সরিয়ে ফেলা হয়। ব্যবধান সংরক্ষণের উপায়ও আছে, যেমনঃ সিএসএস হোয়াইট-স্পেস প্রোপার্টি, ও <pre> ট্যাগ। টুইটার তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের অতিরিক্ত ব্যবধানের নিবেশ সংরক্ষণ করে। এইচটিএমএল-এ আরও কয়েকটি ব্যবধান তৈরির প্রক্রিয়া আছে যাতে ব্যবধান অক্ষুণ্ণ থাকে, যেমনঃ এম ব্যবধান, এন ব্যবধান, ও নন-ব্রেকিং ব্যবধান. কিছু ইউনিকোড ব্যবধান অক্ষরও ওয়েবে অক্ষুণ্ণ থাকে।
বাক্যের ব্যবধান(Sentence spacing)
বিতর্ক
জেমস ফেলিসি, কমপ্লিট ম্যানুয়াল অফ টাইপোগ্রাফি এর লেখক, বলেন যে বাক্যের ব্যবধানের বিষয়টি হল “এমন একটি বিতর্ক যা শেষ হতে অস্বীকৃতি জানায় … আমার ছাপার ব্যাপারে লেখার এত বছরে, এই প্রশ্নটি আমি সবচেয়ে বেশি শুনি, এবং ওয়েবে খুঁজলে এই বিষয়ে প্রচুর লেখা পাওয়া যাবে”।[৬] এই বিষয়টি নিয়ে আজ পর্যন্ত অনেক বিতর্ক আছে।
অনেক মানুষ বিভিন্ন কারণে একক বাক্যের ব্যবধানের বিরোধিতা করে। অনেকে বলেন যে দ্বিগুণ ব্যবধানের অভ্যাস এতটা গভীরভাবে বদ্ধমূল যে বদলান সম্ভব না।[৭৩] অন্যেরা দাবি করেন যে বাক্যের মাঝে অতিরিক্ত ব্যবধান লেখার সৌন্দর্য ও পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে।[৭৪] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা আরো বলেন যে কিছু প্রকাশক লেখকদের দ্বিগুণ-ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি জমা দিতে বলতে পারেন। একটি প্রধান উদাহরণ হল চিত্রনাট্যের পাণ্ডুলিপি লেখার জন্য চিত্রনাট্য লেখার শিল্পের মোনোস্পেসড এর আদর্শ মান, কুরিয়ার, ১২-পয়েন্ট ফন্ট,[৭৫] যদিও চিত্রনাট্য লেখার উপর করা কিছু কাজ নির্দেশ করে যে কুরিয়ার খুব কমই পছন্দের—সমানুপাতিক ফন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।[৭৬] কিছু বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের মতে লেখকদের তাদের নিজস্ব শৈলী নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত, কিন্তু দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তারা বলেন যে প্রকাশকের নির্দেশিকা প্রাধান্য পায়, এমনকি তারাও যারা দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের পাণ্ডুলিপি চায়।[৭৭]
প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের বিরুদ্ধে জনপ্রিয় একটি যুক্তি হল যে এটি তৈরি করা হয়েছিল টাইপরাইটারের মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য, এবং আধুনিক সমানুপাতিক ফন্টের জন্য তার আর কোনো প্রয়োজন নেই। [৭৮] যদিও, টাইপরাইটার আবিষ্কারের আগে সমানুপাতিক ফন্ট প্রশস্ত বাক্যের ব্যবধানের সাথে শত শত বছর একসাথে ছিল, এবং আবিষ্কারের পরও কয়েক যুগ ছিল। যখন টাইপরাইটার প্রথম আসে, মুদ্রাক্ষরিকদের সাধারণত বাক্যের মাঝে তিনটি ব্যবধান ব্যবহার করতে শেখানো হত।[১৯] এটি ক্রমান্বয়ে বদলে দুইটি ব্যবধান হয়, যখন প্রকাশনা শিল্প অপরিবর্তিত থাকে তাদের প্রশস্ত এম-ব্যবধানের বাক্যে। কিছু সূত্রের মতে এখন মোনোস্পেসড ফন্টকে একক ব্যবধান করা গ্রহণযোগ্য,[৭৯] যদিও অন্যান্য সূত্র মোনোস্পেসড ফন্টের জন্য এখনো দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করতে বলে।[৮০] টাইপরাইটারের দ্বিগুণ ব্যবধানের কৌশলটি বিদ্যালয়ের মুদ্রাক্ষর শ্রেণিতে শেখানো হয়, এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটিই অভ্যাস করা হয়।।[১১] কিছু মানুষ মনে করেন যে শিক্ষার্থীদের পরবর্তীতে এই কাজটি পুনরায় শিখতে বাধ্য করা হবে।[৮১]
বেশিরভাগ শৈলী নির্দেশিকা নির্দেশ করে যে একক বাক্যের ব্যবধান আজ চূড়ান্ত বা প্রকাশিত কাজের জন্য যথার্থ,[৪২] এবং বেশিরভাগ প্রকাশক পাণ্ডুলিপি সেভাবে চান প্রকাশনায় যেভাবে থাকবে—েএকক বাক্যের ব্যবধান সংবলিত।[৮২] লেখালিখির সূত্রগুলো সাধারণত পরামর্শ দেয় যে সম্ভাব্য লেখকরা যেন পাণ্ডুলিপি জমা দেওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত ব্যবধান সরিয়ে ফেলে,[৮৩] যদিও অন্যান্য সূত্রের মতে প্রকাশকরা চূড়ান্ত প্রকাশনার আগে সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবধান সরিয়ে ফেলবে।[৮৪]
কেতাবি প্রকাশনার ক্ষেত্রে, এলসেভিয়ার ফরাসি ব্যবধান ব্যবহার করে কিন্তু স্প্রিঙ্গার বাক্যের মাঝে শব্দের মাঝের ব্যবধানের চেয়ে প্রশস্ত ব্যবধান ব্যবহার করে।
একক ও দ্বিগুণ ব্যবধান প্রক্রিয়ার সহজপাঠ্যতা ও পাঠযোগ্যতার ব্যাপারে প্রচুর যুক্তি আছে—দুইদিকের প্রবক্তাদের দ্বারাই। একক ব্যবধানের সমর্থকরা দাবি করেন যে বর্তমানে বই, ম্যাগাজিন, ও ওয়েবে প্রচলিত আদর্শ মানের সাথে মিল পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে, সমানুপাতিক ফন্টের লেখায় দ্বিগুণ ব্যবধান ব্যবহার করলে তা অদ্ভুত দেখায়, এবং দ্বিগুণ ব্যবধানের কারণে তৈরি হওয়া “রিভারস” ও “হোলস” পাঠযোগ্যতার ক্ষতিসাধন করে।[৮৫] দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের প্রবক্তরা বলেন যে অতিরিক্ত ব্যবধান বাক্যের মাঝে পরিষ্কার বিরতি বুঝিয়ে পাঠযোগ্যতা বৃদ্ধি করে এবং লেখাকে আরো সহজপাঠ্য করে,[৮৬] দাড়ি ও কমার মাঝে দৃশ্যত যে সামান্য পার্থক্য আছে তা উল্লেখ করে।
যদিও, ছাপাখানার অক্ষরস্থাপন সম্পর্কিত মতামতগুলো সাধারণত প্রমাণবহির্ভূত হয়ে থাকে।[৮৭] ” মতামতগুলো সব সময় ছাপার সহজপাঠ্যতার জন্য নিরাপদ নির্দেশিকা নয়,”[৮৮] এবং যখন সরাসরি গবেষণা করা হয়, ভিত্তিহীন মতামত—এমনকি বিশেষজ্ঞদের—ভুল প্রমাণিত হতে পারে।[৮৯] লেখা যেটি মনে হয় সহজপাঠ্য (প্রথম দৃষ্টিতে দৃশ্যত আনন্দদায়ক) সেটি কার্যকর পাঠের ক্ষতিসাধন করে বলে প্রমাণ হতে পারে যখন এটির উপর বৈজ্ঞানিক গবেষণা করা হয়।[৯০]
গবেষণা
বাক্যের ব্যবধানের উপর করা গবেষণার মধ্যে আছে লোহ, ব্রাঞ্চ, সিওয়ানোঅন, ও আলি (২০০২); ক্লিনটন, ব্রাঞ্চ, হোলসু, ও সিওয়ানোঅন (২০০৩); এবং নি, ব্রাঞ্চ, ও সেন (২০০৪), যেগুলোর কোনটিই একক, দ্বিগুণ, কিংবা তিনগুণ ব্যবধানের পক্ষে ফলাফল দিতে পারে নাই।[৯১] ২০০২ সালের গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের একক ও দ্বিগুণ বাক্যের ব্যবধানের লেখা পড়ার গতি পরীক্ষা করা হয়। লেখকরা বলেন যে, ” ‘দ্বিগুণ ব্যবধানের দলটি’ ধারাবাহিকভাবে ‘একক ব্যবধানের দলটি’ থেকে বেশি সময় নিচ্ছিল শেষ করতে” কিন্তু সিদ্ধান্ত নেন যে ” সেখানে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে বলার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রমাণ ছিল না”।[৯২] ২০০৩ ও ২০০৪ সালের গবেষণায় একক, দ্বিগুণ ও তিনগুণ ব্যবধানের উপর বিশ্লেষণ করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে, লেখকরা বলেন যে একটি সিদ্ধান্তে আসার মত পর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল না।[৯৩] নি, ব্রাঞ্চ, সেন ও ক্লিনটন ২০০৯ সালে অভিন্ন ব্যবধানের চলক দিয়ে একইরকম একটি গবেষণা করেন। লেখকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে “ফলাফল বাক্যের মাঝে ভিন্ন ধরনের ব্যবধান সময় ও বুঝতে পারার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে এই বিষয়ে অপর্যাপ্ত প্রমাণ সরবরাহ করে
উচ্চারণ (pronunciation) (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।
কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]
শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
ভাষাতাত্ত্বিক পরিভাষা
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।
উচ্চারণ(pronunciation)
উচ্চারণ (সং. উৎ + √ চারি + অন) হল কথা বলার রীতি বা ভঙ্গী। নির্দিষ্ট কোন অঞ্চলের ভাষায় একটি শব্দ বা কথা বলার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আওয়াজের যে (সম্মতি বা শর্তাধীনে অধিষ্ঠিত / agreed-upon) অনুক্রম বা পরম্পরা তাকে উচ্চারণ (“সঠিক উচ্চারণ”) বলা যেতে পারে অথবা কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি যেভাবে কথা বলেন সহজ কথায় তাই উচ্চারণ।
কোন শব্দের বানান ঐ শব্দকে নির্দেশ করলেও তা শব্দটির উচ্চারণকে নির্ধারণ করে না। বিতর্কিত বা ব্যাপকহারে ভুল উচ্চারিত শব্দসমূহের উচ্চারণ তাদের উৎস থেকে যাচাই করে নেওয়া হয়। যেমন:- সম্প্রতি গ্রাফিকস ইন্টারচেঞ্জ ফরমেটের (GIF) আবিষ্কারক Gifকে Jif উচ্চারণ করতে বলেছেন।[১]
শৈশবে সাংস্কৃতিক উন্মেষের ব্যপ্তিকাল, বক্তার বর্তমান আবাসস্থল, কন্ঠস্বর বা বাকযন্ত্রের অসঙ্গতি-অসুখ[২] , বক্তার সামাজিক শ্রেণী, নৃগোষ্ঠী কিংবা শিক্ষার[৩] ন্যায় বহু কারণভেদে দল বা ব্যক্তি বিশেষে একই শব্দ বিভিন্নভাবে বলা হয়ে থাকতে পারে।
স্বন বা বাগধ্বনি (Phone) হচ্ছে মানুেষর কণ্ঠ থেকে উচ্চারিত ধ্বনি। অক্ষরকে বাগধ্বনির এককরূপে গণ্য করা হয়। ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় এটি আলোচনা করা হয় তা হল ধ্বনিবিজ্ঞান (phonetics)। যে সব ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত একেকর মধ্যে পারস্পরিক স্বনিস্বীয় বা মূলধ্বনিগত বিরোধ থাকে সেই ধ্বনিগত এককগুলোর প্রতিটিই এক একটি স্বনিম (Phoneme)।[৪] সহজভাবে অর্থের পার্থক্য সৃষ্টিকারী ক্ষুদ্রতম ধ্বনিগত এককই স্বনিম। যেমন:- কাল ও খাল শব্দদুটিতে শুধু ক এবং খ এর জন্য অর্থের পার্থক্য ঘটেছে। তাই ক ও খ এখানে স্বনিম। স্বন এবং স্বনিম স্বনিম-বিজ্ঞান (phonemics) বা ধ্বনিতত্ত্বে (phonology) আলোচনা করা হয়। সুস্পষ্ট উচ্চারণের অংশ হিসেবে বাগধ্বনিকে সচরাচর আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালার (IPA) মাধ্যমে বর্ণনা তথা প্রতিবর্ণীকরণ করা হয়।[৫]
পূরণবাচক/ক্রমবাচক সংখ্যা(Complementary Numerals ) হল ভাষাতত্ত্বে সেই সমস্ত শব্দ যারা কোনো সমষ্টির বিভিন্ন উপাদানের ক্রমিক অবস্থান বর্ণনা করে।[১][২] এই অবস্থান নির্ণয়ের মাপকাঠি হতে পারে আয়তন, গুরুত্ব, বয়স প্রভৃতি যে কোনো বিষয়। বাংলায় কতকগুলি নির্দিষ্ট বিশেষণ পদ এই কাজটি করে থাকে, যথা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি।
সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে এদের পার্থক্য হল এই যে, এরা উদ্দিষ্ট উপাদানের পরিমাণ নির্দেশ করে না।
বাংলা
(Complementary Numerals )বাংলায় সংখ্যার সাথে নির্দিষ্ট কিছু বিভক্তি যোগ করে পূরণবাচক পদ লেখা যেতে পারে, যেমন ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ১০ম, ১১শ ইত্যাদি। তবে সাধারণত এই পদ্ধতি ৩৮শ (অষ্টাত্রিংশ) এর পরবর্তী সংখ্যাগুলির ক্ষেত্রে প্রচলিত নয়। তারিখ লেখার ক্ষেত্রে পয়লা, দোসরা, তেসরা, চৌঠা, পাঁচই, ছউই প্রভৃতি শব্দগুলি ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে আঠারোই (১৮ই) এর পর থেকে বাকি পূরণবাচক পদগুলি সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে ‘শে’ যোগ করে নির্ণয় করা হয়ে থাকে।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা (ইংরেজি: (Polar coordinate System) এক ধরনের দ্বিমাত্রিক স্থানাংক ব্যবস্থা যেখানে সমতলের প্রতিটি বিন্দুর অবস্থান একটি নির্দিষ্ট বিন্দু ও একটি নির্দিষ্ট অক্ষরেখার সাপেক্ষে নির্নয় করা হয়। নির্দিষ্ট বিন্দুটিকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার সাপেক্ষ বিন্দু ও নির্দিষ্ট রেখাটিকে সাপেক্ষ রেখা বলে।
মূল বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় সাপেক্ষ বিন্দু এবং একটি নির্দিষ্ট অনুভুমিক অক্ষ L কে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থার মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ হিসাবে ধরা হয়। মূল বিন্দু থেকে স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় প্রকাশিত বিন্দুর দুরত্বকে ব্যাসার্ধ ভেক্টর বা ব্যাসার্ধ বলা হয় যা r দ্বারা প্রকাশ করা হয় (উল্লেখ্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরr একটি ধনাত্বক স্কেলার সংখ্যা) এবং r এর সাথে সাপেক্ষ বা মূল অক্ষ L এর উৎপন্ন ধনাত্বক কোণকে ভেক্টরিয়াল কোণ বলে যা θ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি বিন্দুকে পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় (r,θ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়।[১]
প্রকাশের উপায়
বিভিন্ন কোণের মাধ্যমে ষাট মূলক পদ্ধতিতে একটি পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
Polar coordinate system
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রতিটি বিন্দুর সতন্ত্র পোলার স্থানাংক ব্যবস্থা
1.Polar coordinate system
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
2.Polar coordinate system
ব্যাসার্ধ ভেক্টরকে r এবং উৎপন্ন কোণকেθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে। কোন বিন্দুর পোলার স্থানাংক (r, θ) দ্বারা প্রকাশিত হয়।
পোলার স্থানাংক ব্যবস্থায় কোণকে ষাট মূলক এককে ডিগ্রিতে এবং বৃত্তিয় এককে রেডিয়ানে প্রকাশ করা হয়। কোণ প্রকাশে ষাট মূলক পদ্ধতি সাধারনত নেভিগেশন, সার্ভে সহ অনেক ফলিত পদ্ধতিতে একক হিসাবে ধরা হয় যেখানে বৃত্তিয় পদ্ধতি গণিত এবং গাণিতিক পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয়।[২]
সাধারণত একটি ধনাত্বক কোণ উৎপন্ন হয় যখন কোণটি স্থানাংকের অক্ষের সাথে ঘড়ির কাটার বিপরীতে নির্নয় করা হয়। গাণিতিক সংস্কৃতিতে পোলার স্থানাংকের মূল অক্ষকে অনুভুমিক ভাবে আঁকা হয় এবং অক্ষ রেখাটি ডান দিকে অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
কোণের প্রতিটি মানের সাথে প্রতিবার ৩৬০ ডিগ্রি বা ২π কোণ যুক্ত করলে যেকোন বিন্দুর দিক অপরিবর্তিত থাকে। আবার ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান ঋনাত্বক হলে তা বিপরীত দিকে দুরত্ব বুঝায়। সে ক্ষেত্রে একই বিন্দুকে অসীম সংখ্যাক মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় যেমন: (r, θ ± n×৩৬০°) অথবা (−r, θ ± (২n + ১)১৮০°) যেখানে n যে কোন পূর্ন সংখ্যা।[৩] এক্ষেত্রে একই পোল বা বিন্দুর জন্য একাধিক স্থানাংকের মান পাওয়া যায়। এই ত্রুটি নিরসনের জন্য ব্যাসার্ধ ভেক্টরের মান সিমাবদ্ধ এবং তা অঋনাত্বক বাস্তব সংখ্যা গুলোর মাঝে আবদ্ধ (r ≥ ০)। এবং কৌনিক ব্যবধানের মান ষাট মূলক পদ্ধতিতে [০, ৩৬০°) এবং বৃত্তিয় পদ্ধতিতে [০, ২π) এর মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখা হয়। [৪] স্থানাংক নির্নয়ের জন্য সতন্ত্র অক্ষ রেখাও প্রয়োজন। সতন্ত্র অক্ষ রেখাটিই মূল অক্ষ বা সাপেক্ষ অক্ষ যেখানে θ = ০। পোল বা বিন্দুর স্থানংক (০,০) হলে এর ব্যাসার্ধ ভেক্টর ও ভেক্টরিয়াল কোণ উভয়ই শূন্য।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখাস্থ একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর জন্য বক্র রেখাটির বক্রতার কেন্দ্র বক্র রেখাটির অবতল অংশের দিকে অবস্থিত এমন একটি বিন্দু যা বক্ররেখাটির উক্ত বিন্দুটিতে সর্বাধিক পরিমাণে সেঁটে যায় এরূপ কোন বৃত্তের (চুম্বনকারী বৃত্ত) কেন্দ্রকে নির্দেশ করে। এছাড়াও আলোকবিজ্ঞানে কোন লেন্স বা গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশবিশেষ সেই গোলকের কেন্দ্রকে ঐ লেন্স বা গোলীয় দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র (center of curvature)এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
center of curvature
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
বক্ররেখারবক্রতার কেন্দ্র এমন এক বিন্দুতে পাওয়া যায় বক্ররেখাটি থেকে যার দূরত্ব নর্মাল ভেক্টর বরাবর শায়িত বক্রতার ব্যাসার্ধের সমান। অসীমত্বস্থ বিন্দু (point at infinity) হল সেই বিন্দু যেখানে অনন্ততা বা অসীমত্ব ঘটে। যদি বক্রতা শূন্য হয় তাহলে বক্রতার কেন্দ্রটি হবে অসীমত্বস্থ বিন্দু বা আদর্শ বিন্দু। বক্ররেখার চুম্বনকারী বৃত্ত বক্রতার কেন্দ্রেই কেন্দ্রিভূত হয় অর্থাৎ চুম্বনকারী বৃত্তের কেন্দ্র এবং বক্রতার কেন্দ্র একই। ফরাসি গণিতবিদ কোশি বক্রতার কেন্দ্র C কে পরস্পরের শূন্যসন্নিকর্ষী তথা সীমাহীভাবে পরস্পরের কাছাকাছি (infinitely close) এরূপ দুটি নর্মাল সরলরেখা ছেদবিন্দুরূপে সংজ্ঞায়িত করছেন।[১] উল্লেখ্য যে, পরস্পরের সমান্তরাল রেখাসমূহ ইউক্লিডীয় তলে পরস্পরকে কখনোই ছেদ করে না। কোন বক্র রেখাস্থ প্রতিটি বিন্দুর জন্য বক্রতার কেন্দ্রসমূহের লোকাসটি বক্ররেখাটির ইভলিউটকে ধারণ বা গঠন করে।
absolute dating– সুনিশ্চিত বা সন্দেহাতিত ভাবে বয়স ঠিক করা বা নিরুপন করা;জিও-ঐতিহাসিক ভূতত্বের ক্ষেত্রে ইহা নিখূঁত বয়স নর্ধারনের পদ্ধতি যেমন ইউরেনিয়াম-সীসা ডেটিং, যাহাতে আইসোটোপ সিষ্টেম সহ উপাদানগুলির শিলাগুলিতে আটকে থাকা উপাদানগুলির তেজস্ক্রিয় ক্ষয়কে ব্যবহার করা হয় (এবং তাহা) দ্বারা অর্জিত পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলাগুলির বয়স নিরঙ্কুশ বলিয়া মানিয়া লওয়া হয়; প্রত্নতত্বে এটি একটি সুনিশ্চিত কালানুক্রমিক বয়স নির্ধারনের প্রক্রিয়া যাহা সন্দেহাতিতভাবে সংখ্যাগত বয়স বা বয়সের ব্যাপ্তি নির্ধারন করে; কোন জীবাস্ম কতটা পুরোনো তা নির্ধারণ করার পদ্ধতি বোঝাতে ইহা বহুল ব্যবহৃত হয়।
acceleration of gravity-[n]–মধ্যাকর্ষণ ত্বরন ;মধ্যাকর্ষনের বেগবর্ধন বা দ্রুতকরন; পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন প্রভাবের অধীনে অভাধে পতিত একটি বস্তুর ত্বরন যাহা সময়ের প্রতি ইউনিট গতিবেগ-প্রায় ঠিক,বূদ্ধির হার হিসাবে প্রকাশিত হয়,আদর্শ মান নির্ধারিত করা হয়েছে প্রায় ৯.৮১ মিঃ প্রতি সেকেন্ড,প্রতি সেকেন্ড,অভিকর্ষ হল ত্বরনগতির সীমা যেমন বিশ্বে আলো হল অভিন্ন গতির সীমা *; পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন ক্ষেত্রে পতনশীল বস্তুর ত্বরন বস্তুর থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের দুরত্বের বর্গক্ষেত্রের বিপরীত ভাবে সমানুপাতিক এবং অক্ষাংশের সাথে কিছুটা ভিন্ন হয়**; পৃথিবীর মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে পৃথিবী পৃষ্ঠের কাছাকাছি একটি শুন্য স্থানে অবাধে পতিত একটি বস্তুর ত্বরন***; মধ্যাকর্ষ বলের প্রভাবে গতি বৃদ্ধি ও বলা হয়।
active layer–[n]–সক্রিয় বা কর্মক্ষম বা চালু স্তর বা পরত /থর / থাক / তবক / পলি /প্রলেপ /পরদা / চাপ /পাল্লা / ডিম্ব প্রসব কারিণী।
alluvial fan–[n]–পাহাড়,পর্বত থেকে নদী গুলি যখন অপেক্ষাক্রিত সমভূমিতে পৌঁছায় তখন এই নদী বাহিত নুড়ি, পাথর, বালি, ও তলানি পঙ্ক ইত্যাদি দিয়ে পাখা আকৃতির যে ভূমি গঠিত হয় তাহাকে অ্যালুভিয়াল ফ্যান বলে;এই রকম পাখা আকৃতির ভূমি মৃত্যু উপত্যকায় অর্থাৎ ডেথ ভ্যালিতে(যাহা উত্তর আমেরিকার মরুভূমি অঞ্চল) বিস্তার লাভ করছে এবং মঙ্গল গ্রহ সহ অন্য গ্রহগুলিতেও আছে।
alluvial soil–[n] পলল ভূমি বা পলল মাটি; পলিসৃষ্ট জমি; [description]- আলগা, অসংহত তলানি বা কাদামাটি,অপেক্ষাকৃত বড় দানাযুক্ত বালি, নুড়ি,কাকড় যাহা আকারে ক্ষয়ে, কিছু আকারে পুনর্গঠিত হয়ে একটি অ-সামুদ্রিক বিন্যাসে এক প্রকার সুক্ষ্ম দানাযুক্ত উর্বর মাটি তৈরি হয় যাহা বিশেষতঃ বন্যায় সমভূমিতে বা নদী অববাহিকায় প্রবাহিত জলের দ্বারা জমা হয়; বন্যার দ্বারা বিশেষত নদী উপত্যকায় জমা পলি যাহা পৃথিবীর উপরের স্তর যেথায় গাছপালা জন্মায়।
alternation–[n]–পালাক্রমে সংঘটন;পরিক্রমন; পর্যায় অনুব্রিত্তি; ক্রম; বিনিময়; বিকল্প; অদল বদল; একটি প্রদত্ত বিন্যাসে বা ক্রমে এগিয়ে যাওয়া;এক থেকে অন্যটিতে পালাক্রমে সংঘঠিত হওয়া বা ঘোরা; এক বস্তু, অবস্থা, ক্রিয়া, স্থিতি থেকে অন্যটিতে এবং বারবার,বারবার পুনরাবৃত ঘুর্ণন থেকে ক্রমাগত পরিবর্তন; একটি পরিস্থিতি যখানে এক জিনিষ বারবার ঘটে বা একের পর এক উপস্থিত থাকে।
angular distance–[n]–কৌণিক দূরত্ব; একটি পর্যবেক্ষক দ্বারা উপলব্ধ হিসাবে দুটি বস্তুর মধ্যে কৌনিক বিচ্ছেদ; synonym–angle বা কোন ইত্যাদি।
anthropocentric approach:– নৃতাত্বিক পদ্ধতি; মানব কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি; মানুষের মূল্যবোধ ও অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে জগতের সব কিছুকে বিচার করে দেখার প্রচেষ্টা সম্পর্কিত পদ্ধতি; মানুষকে বিশ্বের চরম পরিনতি হিসাবে গন্য করার ধারনা প্রসূত দৃষ্টিভঙ্গি।
anthropogeography -[n]–নৃতাত্ত্বিক ভূগোল বা মানব ভূগোল; মানুষের ভৌগোলিক বিতরন অধ্যয়ন; ইহা নৃবিজ্ঞানের একটি শাখা যাহা মানুষের ভৌগোলিক বিতরন এবং মানুষের ও তাদের পরিবেশের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে কাজ করে; সমাজের ভৌগোলিক বিভাজন, দেশান্তরে গমন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক এবং [যেটির জন্য এটি সবথেকে ভালভাবে স্মরন করা হয়] মানুষের এর উপর পরিবেশের প্রভাবের ইহা একটি পদ্ধতিগত বিশ্লেশনর একটি ধরন যাহা অনুসরন বা উপযোগী করে নওয়া হয়েছে উনবিংশ শতাব্দির শেষের দিক থেকে বিংশ শতকের গোড়ার দিক পর্য্যন্ত।
antipodes[n]–ূপৃষ্ঠের যে স্থান অন্য একটি স্থানের ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত;ভু-পৃষ্ঠের (পরস্পর) বিপরীত দিকে অবস্থিত (দুটি) স্থান;বিপরিত পৃথিবী পৃষ্ঠের বাসিন্দা।
arc –[n]– বৃত্ত চাপ; বৃত্তের পরিধি বা কোন বক্র রেখার অংশ ;বিদ্যুতের বৃত্তাকার আলোকচ্ছটা ।
area–[n]– ক্ষেত্রের পরিমান বা আয়তন; অঞ্চল; কোন কিছুর জন্য বা দ্বারা নির্দিষ্ট বা চিন্হিত এলাকা; কোন বিষয় ধারনা; জিজ্ঞাসা ইত্যদির পরিধি ।
areal differentiation– স্যাটেলাইট অথবা উড়োজাহাজ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও মনুষ্য জাতির দৃশ্যমান পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় তার উপর ভিত্তি করে বিভক্ত করা। এটি আকাশ থেকে দেখে কোন ভৌগোলিক অঞ্চল পৃথক করার পদ্ধতি
authigenic [adj]– [পাহাড় /পাথর/ শিলা যে ভাবে গঠিত হয়] ,সেই উপাদান যেথায় পাওয়া যায়।
axis–[n]–[geo]–মরু রেখা;অক্ষ রেখা; যে কাল্পনিক রেখাকে কেন্দ্র করে কোন বস্তু আবর্তিত হয়;[bio]-মেরুদন্ড ;[bot]-কান্ড ;[math]–স্থানাঙ্ক পরিমাপের জন্য নির্দেশক সরল রেখা; [pol]–দ্বিতীয় মহযুদ্ধের প্রাক্কালে জার্মানি ও ইতালির মধ্যে গঠিত রাজনৈতিক আতাত বা চক্র যাতে পরে জাপানও যুক্ত হয় ।
basin [n] –নদীর অববাহিকা; গোলাকার বা ডিম্ব আকৃতির উপত্যকা; নৌকা বেঁধে রাখার উপযোগী গভীর জলাশয়; হাত মুখ ধোয়ার জন্য কলযুক্ত এবং সচরাচর দেওয়ালে লাগানো গামলার মতো পাত্র।
bay[n]–উপসাগর; সাগরের চেয়ে ক্ষুদ্র কিন্তূ নদী বা মোহনা থেকে বড় বা খুদে সাগর, [উদাহরণ: বঙ্গোপসাগর,(Bay of Bengal)]; চির হরিৎ বৃক্ষ বিশেষ; কোনো বাড়ির কোনো অংশের মূল প্রকোষ্ঠ; বিমান বা মহাকাশ যান ইত্যাদিতে বিশেষ ভাবে ব্যবহৃত প্রকোষ্ঠ বা সংরক্ষিত অংশ
bed [n]– নদীর গতিপথ বা খাত; নদী,সমুদ্র প্রভৃতির তলদেশ বা গর্ভ;স্তর; যেখানে কোন বিশেষ ফুল বা উদ্ভিদ বহু সংখ্যায় উৎপন্ন হয়; ঘুমের স্থান; শয্যা; বিছানা/গদি/খাট; হোটেলে এক ব্যক্তির থাকার ব্যবস্থা বা হাসপাতালে একজন রোগীর শয্যা।
behavioural geography–[Adj]–আচারনগত ভূগোল যাহা আচার ব্যবহার (মনস্তাত্বিক)বিস্তার সম্পর্কে বিচার বিশ্লেষণ করে;যে ভূগোল মানব জাতীর প্রাথমিক ও মৌলিক কার্য্য কারন বিধি সম্পর্কে বিচার বিশ্লেসন করে বা এটি মানব ভূগোলের এমন একটি পন্থা বা উপ শাখা যাহা একটি সামগ্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে স্থানিক যুক্তি,সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং আচারনের অন্তর্নিহিত জ্ঞানীয় প্রক্রিয়ার উপর জোর দিয়ে মানুষের আচরন পরীক্ষা করে; সমাজতত্ব, মনোবিজ্ঞান এবং নৃতত্ব সম্পর্কিত ভূগোল ।
bell[n]–ঘণ্টা আকৃতির কোন বস্তু; প্রতি আধ ঘন্টা সময় বোঝাবার ঘন্টা ধ্বনি; শুষির বাদ্য যন্ত্রের ঘন্টার মত অংশ; ঘন্টা; ঘন্টার আওয়াজ।
belt–[n]–নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত কোন অঞ্চল/জেলা/প্রদেশ প্রভৃতি; নানা ধরনের চাকা ঘুরিয়ে যন্ত্রাদি চালনা ও মাল ও জনপরিবহনে নিয়োজিত, পোক্ত অথচ নমনীয় উপাদানে তৈরি ক্রমাগত চলমান ব্যান্ড বা পট্টি [কনভেয়র বেল্ট]; বেল্টের মতো যে বস্তু কোন কিছুকে বেষ্টন করে থাকে; কোমর বন্ধ; চামড়া বা কাপড়ের বেল্ট আকৃতির পট্টি বা ফিতে।
bio-diversity[n]– জীববৈচিত্র্য;পৃথিবীর পরিবেশ বা পরি মণ্ডলের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের বা বিশেষ কোন অঞ্চলের বিভিন্ন্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীদের মধ্যে বৈচিত্র্য বা বিভিন্ন্যতা।
biostratigraphic unit–[n]–বিভিন্ন জীবাশ্ম দিয়ে গঠিত ভূ-স্তরীয় সমষ্টি বা দলপুঞ্জ এর একক;শিলার আপেক্ষিক ভূতাত্বিক বয়স নির্ধারনের পদ্ধতি হিসাবে পাললিক শিলাস্তরের মধ্যে জীবাশ্ম সনাক্তকরনের একক;জীবাশ্মের একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর দ্বারা চিন্হিত স্তরগুলির একক;ভূবিদ্যায় পৃথক ও নর্দিষ্ট অন্তরবর্তী সময়ে শিলা,পাথর বা পাহাড় গঠনের পর্যায় ক্রমের হিসাবের মান বা একক ;প্রস্তর বিজ্ঞান সংক্রান্ত বৈশিষ্ট্যগুলির পরিবর্তে উদ্ভিদ ও প্রানী জগতের একটি বিশেষ জীবাশ্ম দ্বারা চিন্হিত ভূতাত্বিক স্তরের একটি গ্রুপ।
biozone[n]–জৈব অঞ্চল; এক ধরনের শিলা বা মাটির স্তর যেখানে জীবের একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের জীবাস্ম পাওয়া যায় যা পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে এসে ছিল;প্রদত্ত ট্যাক্সন এর মোট বিশ্ব ব্যাপী টাইম স্ট্যাটিগ্রাফিক পরিসীমা এবং সেই সময় কালের মধ্যে যে শিলার উপস্থিতি ছিল তার সমকালিন সময়ের শিলার অবস্থান।
canyon-[n]–গভীর খাদ;গিরিসংকট বা গভীর গিরিসংকট; গভীর গিরিখাত বিশেষ যার ভেতর দিয়ে কোন নদী প্রবাহিত হয় ।
cannon-[n]-কামান; বড়ো ভারি কামান; তোপ; আধুনিক সামরিক বিমানে ব্যবহৃত গোলা নিক্ষেপক ভারী সয়ংক্রিয় কামান; প্রাচীন কালে ব্যবহৃত ধাতুর তৈরী নিরেট গোলা নিক্ষেপক;আধুনিক অস্ত্রের ক্ষেত্রে গান ও শেল অর্থেও এটি ব্যবহৃত হয়; ব্লিয়ার্ড খেলায় পয়েন্ট পাবার জন্য লাঠি দিয়ে মারা বল দিয়ে অন্য বলকে মারা । [v i]-কামান দাগা বা ক্যানন করা।
Cenozoic Era–[n]–সনোজিক যুগ; সিনোজিক যুগ এর অর্থ হল “নতুন জীবন” যার অর্থ আবার ফ্যানেরোজোক ইওনের বা কালপর্বের তিনটি ভূতাত্বিক যুগের বর্তমান এবং সাম্প্রতিক যুগ; পৃথিবীর ইতিহাসের বৃহত্তম কালপর্ব(ফ্যানেরোজিক ইওন) এর তৃতীয়টি যাহা প্রায় ৬৬০ লক্ষ বৎসর পূর্বে শুরু হয়েছিল এবং বর্তমান অবধি প্রসারিত এবং এই সময়ের মধ্যে মহাদেশগুলি তাহাদের আধুনিক কনফিগারেশন বা আকৃতি এবং ভৌগোলিক অবস্থান গ্রহন করেছিল এবং এই সময় পৃথিবীর উদ্ভিদ ও প্রানীজগৎ বর্তমানের দিকে বিকশিত হয়েছিল; ৬৫০ লক্ষ বৎসর আগে শুরু হওয়া এক যুগ অর্থাৎ বর্তমান যুগ সম্পর্কিত, যখন স্তন্যপায়ী বৈশিস্ট যুক্ত প্রানীর আরোহন হয়েছিল।
chronometer-[n]–মূলত নাবিকদের ব্যবহৃত সুক্ষ্মভাবে সময় নিরূপনকারী ষন্ত্র বিশেষ ; সময় নিরূপক ঘড়ি বিশেষ, সমুদ্রে দ্রঘিমাংশ নিরূপনের কাজে যা ব্যবহৃত হয়;অত্যন্ত নির্ভূলভাবে কাল নিরূপক ষন্ত্র/ সময় মাপার যন্ত্র; সর্ব্বোচ্চ ভ্রমশুন্যতার জন্য এবং সমুদ্রে দ্রঘিমাংশ নির্ধারনে ব্যবহারের জন্য নিশ্চিতকরন এবং সামন্জস্য করার জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে যেখানে সময়টির খুব সঠিক পরিমাপের প্রয়োজন হয় তার জন্য একটি বিষেশ পদ্ধতি সহ ডিজাইন করা টাইমপিস বা টাইমিং ডিভাইস বা যন্ত্র ।
chronostratigraphic unit–[n]–ভূতাত্বিক সময়ের একটি পৃথক এবং নির্দিষ্ট বিরতিতে গঠিত শিলার একটি ক্রম; শিলাগুলির একটি দেহ যা ভূতাত্বিক সময়ের নির্দিষ্ট ব্যবধানের সময়কালে গঠিত শিলাগুলিকে অন্তর্ভূক্ত করে এবং সেই সময়ে কেবল সেই পাথরগুলি গঠিত হয়; এগুলি হ’ল স্তরযুক্ত বা অপরিবর্তিত শিলগুলির দেহ যা ভূতাত্তিক সময়ের নির্দিষ্ট সময়কালে গঠিত হয়েছিল,তাদের বয়স বা উৎসের সময়ের ভিত্তিতে পাথরগুলির এককগুলিতে শিলার সংগঠন।
climate –[n]–জলবায়ু অথবা কোন দেশের্ বা কোন স্থানের জলবায়ু আবার জলবায়ু হচ্ছে দীর্ঘ কয়েক বছরের আবহওয়ার গড়;স্থানীয় আবহাওয়া বা বাতাবরন;[pol]-চলতি অবস্থা অর্থাৎ লোকজনের ভাবনা মতামত প্রভৃতি।
স্বজাত্যবোধ বা স্বজাত্যকেন্দ্রিকতা (ইংরেজি: ethnocentrism) নৃবিজ্ঞানে একটি বহুল ব্যবহৃত প্রত্যয়। প্রতিটি মানুষই স্বাভাবিকভাবেই স্বজাত্যকেন্দ্রিক হয়। একমাত্র মানুষই সমাজে আপন বা নিজের সংস্কৃতি বহন করে থাকে। এজন্য সে অন্যান্য জীব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। জন্মের পর থেকে মানুষ তার নিজস্ব গোষ্ঠী থেকে কথাবার্তা,চলাফেরা,সমাজের প্রচলিত মূল্যায়ন,রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে এবং নিজস্ব সংস্কৃতি লালন-পালন করে। এভাবে গড়ে ওঠে প্রতিটি মানুষের নিজের সংস্কৃতি। মানুষের এই সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করা নৃবিজ্ঞানীদের অন্যতম প্রধান কাজ। আর এই গবেষণা করতে গিয়ে তারা খুঁজে পায় মানুষের ভিতরে স্বজাত্যবোধ খুব প্রবল।
স্বজাত্যকেন্দ্রিকতার সংজ্ঞা ও উৎপত্তি
স্বজাত্যকেন্দ্রিকতা বলতে সাধারণভাবে বোঝায় কোন ব্যক্তির আপন বা নিজের সংস্কৃতিকে যেমনঃ রীতিনীতি,মূল্যবোধ,আইন,প্রথা,বিধি-নিষেধ ইত্যাদি অন্য যেকোন সমাজ ব্যবস্থা থেকে উৎকৃষ্ট মনে করা বা ধরে নেওয়া। অর্থাৎ তার সংস্কৃতি বাদে পৃথিবীর অন্য সকল সংস্কৃতি নিকৃষ্ট। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি সামজিক বা সাংস্কৃতিক গোষ্টী তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে অন্য যেকোন সংস্কৃতি থেকে উৎকৃষ্টতর বলে মনে করে এবং নিজস্ব সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও ধারণাসমূহের প্রেক্ষিতেই নিজেদের সংস্কৃতির বিশিষ্টতা এবং একধরনের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে। এটাকেই মানববিজ্ঞানীরা বলেছেন স্বজাত্যবোধ বা Ethnocentrism Feelings. Ethnocentrism শব্দটি গ্রীক শব্দ “Ethnos” এবং ইংরেজি শব্দ “Centra”- এই দুটি শব্দের সমন্বয়ের মাধ্যমে।[১][২]
কিছু নৃবিজ্ঞানীদের ব্যক্তিগত সংজ্ঞা
বিভিন্ন নৃবিজ্ঞানী স্বজাত্যবোধকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেনঃ- L.M. Lewis – “Ethnocentrism is the natural condition of mankind”.[৩]
E.B. Tylor – “Judging alien custom and culture to be inferior to one’s own.[৪]
স্বজাত্যবোধ এবং তাঁর প্রকারভেদ
স্বজাত্যবোধ হচ্ছে একধরনের মানসিক অবস্থা। স্বজাত্যবোধ একরৈখিক বা দ্বিপাক্ষিকভাবেও ঘটে থাকতে পারে। যেমনঃ কোন জনগোষ্ঠী বা সংস্কৃতির মাঝে গবেষণা করতে গিয়ে গবেষক নিজে যেমনি ঐ জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির চেয়ে তার নিজের সংস্কৃতিকে উৎকৃষ্টতর মনে করতে পারে, তেমনি ঐ জনগোষ্টীও গবেষকের সংস্কৃতির চেয়ে তাদের নিজের সংস্কৃতিকে উৎকৃষ্ট বলে মনে করতে পারে।[৫]
কেন মানুষ স্বজাত্যকেন্দ্রিক হয়
মানুষের স্বজাত্যকেন্দ্রিক হওয়ার কিছু কারণ আছে। কারণগুলো হলো-
শেখার ভিন্নতার কারণে,
সীমাবদ্ধ জ্ঞান,
অর্থের ভিন্নতার কারণে,
অসচেতনার কারণে,
অনুমানের কারণে ।
এছাড়া একজন মানুষ যখন জন্মের পর তার চারপাশের পরিবেশ,পরিবার,সমাজ ব্যবস্থা,রীতিনীতি,ধর্ম,প্রথা,আইন ইত্যাদি দেখে দেখে বড় হয় তখন সে মনের অজান্তেই নিজের সংস্কৃতিকে উৎকৃষ্ট হিসেবে মেনে নেয়।
সামাজিক শ্রেণি বা শুধুই “শ্রেণি”, যা শ্রেণিভিত্তিক সমাজে, হচ্ছে সমাজের স্তরবিন্যাসের মডেলের উপরে কেন্দ্র করে গঠিত সমাজবিজ্ঞানের ধারণা এবং রাজনৈতিক তত্ত্ব। এটি হচ্ছে জনগণ বা দলের ক্রমবিভক্ত সামাজিক বিভাগের একটি সমষ্টি[১] যেগুলোর সবচেয়ে বড় পরিচিত হচ্ছে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন শ্রেণিসমূহ।
তাত্ত্বিক প্রতিমানসমূহ
মার্কসবাদী
“সামাজিক উৎপাদনের ইতিহাস-নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় নিজেদের স্থান, উৎপাদনের উপায়ের সংগে তাদের সম্পর্ক (অধিকাংশ ক্ষেত্রে যা আইন রূপে বিধিবদ্ধ), শ্রমের সামাজিক সংগঠনে তাদের ভূমিকা, সুতরাং যে সামাজিক সম্পদ তাদের হাতে রয়েছে তার কতটা অংশ ও পাবার উপায় অনুসারে লোকেদের পৃথক বড়ো বড়ো দলকে বলা হয় শ্রেণি। শ্রেণি হলও লোকেদের তেমন সব গ্রুপ, সামাজিক অর্থনীতির নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় তাদের বিভিন্ন স্থানের দরুন একদল অপর দলের শ্রম আত্মসাৎ করতে পারে।”
খুব সহজ ভাষায় শ্রেণি বলতে বুঝতে হবে, একই প্রণালীতে জীবনযাত্রা নির্বাহ করে সমাজের এরূপ এক একটি অংশ হলো এক একটি শ্রেণি। শ্রেণি বলতে বুঝতে হবে, সমাজের একাংশের শ্রমকে অপরাংশ আত্মসাৎ করতে পায় যার মাধ্যমে তাই হলও শ্রেণি। সমাজের একাংশ সমস্ত ভূমি আত্মসাৎ করলে হয় ভূস্বামী শ্রেণি ও কৃষক শ্রেণি। যদি সমাজের একাংশ হয় কলকারখানা, শেয়ার এবং পুঁজির মালিক, আর অন্য একটা অংশ কাজ করে ওইসব কলকারখানায়, তাহলে হয় পুঁজিপতি শ্রেণি এবং প্রলেতারিয়ান শ্রেণি অর্থাৎ শ্রমিক শ্রেণি। শ্রেণিদের মধ্যে পার্থক্যের মৌল লক্ষণ হলো- সামাজিক উত্পাদনে তাদের স্থান, সুতরাং উত্পাদনের উপায়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে। প্রতিটি শ্রেণির থাকে উৎপাদনের উপায়ের সংগে সুনির্দিষ্ট নিজস্ব সম্পর্ক। এই লক্ষণ দিয়েই পার্থক্য করা যায় শ্রেণি আর অন্যান্য সামাজিক গ্রুপের মধ্যে যারা শ্রেণি নয়। যেমন, উত্পাদনের উপায়ের সাথে বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্ক নেই, তাই তারা শ্রেণি নয়, বুদ্ধিজীবীরা হলও বিভিন্ন শ্রেণির অংশবিশেষ নিয়ে একটা সামাজিক স্তর।[৩]
অর্থাৎ শ্রেণি হচ্ছে বিশাল সংখ্যার একদল লোক যারা উৎপাদনের উপায়ের সংগে সম্পর্ক, শ্রমের সামাজিক সংগঠন, সামাজিক সম্পদ প্রাপ্তির প্রণালী আর পরিমাণের দিক থেকে পৃথক। এক্ষেত্রে শোষক দলটা সংখ্যায় অল্প, শোষিতরা অধিকাংশ। এই যে একদল লোক শোষক, উৎপীড়ক এবং অন্যদল শোষিত ও উৎপীড়িতরূপে সৃষ্ট হয়, তাদের বলা হয় বৈরী শ্রেণি, কারণ তাদের স্বার্থ আপোষহীন।[২]