দার্শনিকের পাথর

দার্শনিকের পাথর বা পরশ পাথর (ইংরেজি: stone of the philosophers (লাতিন: lapis philosophorum) একটি কল্পিত রাসায়নিক (আলকেমিক্যাল) বস্তু। বলা হয়ে থাকে এটার স্পর্শে কম দামী ধাতু যেমন পারদকে সোনা অথবা রূপায় পরিণত করা যায়। এজন্য বাংলায় একে পরশ পাথরও বলা হয়। এটাকে অনেক সময় সঞ্জীবণী সুধা বলা হয়ে থাকে। এটার পূণঃর্জীবন বা অমরত্ত্ব প্রদানের ক্ষমতা আছে। কয়েক শতাব্দী ধরে আলকেমির লক্ষ্য ছিলো এই পরশ পাথর খুঁজে বের করা। এই দার্শনিকের পাথর আবিষ্কারের প্রচেষ্টাকে বলা হতো ম্যাগনাম ওপাস (মহান কর্ম)।[১]

ইতিহাস

দার্শনিকের পাথরের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় যীশু খ্রিস্টের জন্মের ৩০০ বছর আগে পেনোপোলিসের যোশিওমোসের লেখা “চেইরোকমেতা”য়।[২] আলকেমির লেখকেরা অবশ্য আরো প্রাচীন ইতিহাসের দাবী করেছেন। ১৬২০ সালে ইলিয়াম আশমোল এবং একজন অনামা লেখকের লেখা গ্লোরিয়া মুনদিতে দাবী করা হয়েছে যে আদম সরাসরি সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে এই পাথর সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছিলেন।

মধ্যযুগ

অষ্টম শতাব্দীতে আলকেমিস্ট জাবির ইবনে হাইয়ান বিশ্লেষণ করেন যে প্রতিটি বস্তুর চারটি গুণ আছে। আগুন গরম এবং শুকনো, মাটি শীতল এবং শুকনো, পানি শীতল এবং আর্দ্র, বাতাস গরম এবং আর্দ্র। তিনি তত্ত্ব প্রকাশ করেন যে প্রত্যেক ধাতু এই নীতির সংমিশ্রণ, দুটি ভেতরে এবং দুটি বাইরে। এই অনুমান থেকে বলা হতো এক ধাতু থেকে অন্য ধাতুতে রূপান্তরকালে এর মৌলিক গুণের পরিবর্তন সাধিত হয়।

তথ্যসূত্র

ম্যাক্স হেইনডেল, Freemasonry and Catholicism, আইএসবিএন০-৯১১২৭৪-০৪-৯

  1. Andrew Ede, Lesley B. Cormack. A History of Science in Society: from philosophy to utility. University of Toronto Press. p .66

আরো পড়ুন

বহিঃসংযোগ

উইকিমিডিয়া কমন্সে দার্শনিকের পাথর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।

দেমধ্যযুগের মুসলিম রসায়নবিদগন
(আলকেমিস্ট)৭ম শতাব্দীখালিদ ইবনে ইয়াজিদ (ইং)৮ম শতাব্দীহারবি আল হিমাইয়ারি (ইং) জাফর আল সাদিক (ইং)৯ম শতাব্দীজাবির ইবনে হাইয়ান (ইং) আব্বাস ইবনে ফিরনাস (ইং) আহমাদ ইবনে ইয়াহিয়া আল বালাধুরি (ইং) যিরাইয়াব (ইং)১০ম শতাব্দীইবনে ওয়াহশিয়্যা (ইং) মুহাম্মাদ ইবনে উমাইল আল তামিমি (ইং) মুহাম্মাদ ইবনে যাকারিয়া আল রাজি (ইং) আল ফারাবি (ইং) ইবনে আল নাদিম (ইং) মাসলামাহ ইবনে আহমাদ আল মাজরিতি (ইং) আবু মনসুর মুয়াফফাক (ইং)১১শ শতাব্দীইবনে আল ওয়াফিদ (ইং) আল বিরুনী (ইং) ইবনে সিনা (ইং) আল খোয়ারিজমি আল খাতি (ইং) মিসকাওয়াহ (ইং) আল মুইজ্জ ইবনে বাদিস (ইং) আহমাদ ইবনে ইমাদ আল দিন (ইং)১২শ শতাব্দীআল খাজিনি (ইং) আর্তেফিয়াস (ইং) আল তুঘারাই (ইং) আল নবারায়ি (ইং) আবুল হাসান ইবনে আরফা রাআ (ইং) আবু আল সালত (ইং)১৩শ শতাব্দীইবনে আল বাইতার (ইং) আবু আল আব্বাস আল নবাতি (ইং) নাজিম আল দিন আল কাজউইনি আল কাতিবি (ইং) নিশাপুরের আত্তার (ইং) আল সিমাবি (ইং) হাসান আল রাম্মাহ (ইং) মনসুর আল কামিলি (ইং)১৪শ শতাব্দীইবনে রাসসাম (ইং) আল জালদাকি (ইং) আবুল আশবা ইবনে তাম্মাম (ইং)
তত্ত্ব/ধারণাতাকবিন (ইং) দার্শনিকের পাথর (ইং) সঞ্জীবনী (ইং) আলেমবিক (ইং) আথানর (ইং)
বইকিতাব আল কিমাইয়া (ইং) কিতাব আল সাবীন (ইং)

বিষয়শ্রেণী: