শামসউদ্দিন আহমদ শাহ (শাসনকাল ১৪৩৩-১৪৩৬) ছিলেন বাংলার শাসক। তিনি সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহর পুত্র। পিতার মৃত্যুর পর ১৪ বছর বয়সে তিনি ক্ষমতালাভ করেন।[১]
ইতিহাস
আহমদ শাহ মাত্র ৩ বছর শাসন করেন। তার শাসনামলে অরাজক অবস্থা সৃষ্টি হয়। মুহাম্মদ কাসিম হিন্দু শাহর মতে তিনি তার পিতার উদারনীতি বজায় রাখেন এবং ন্যায়বিচার ও দানশীলতার জন্য পরিচিত ছিলেন।[২] তার শাসনামলে ইবরাহিম শাহ শারকি আগ্রাসন চালান। পরবর্তীতে আহমদ শাহ দুজন ক্ষমতাশালী অভিজাত সাদি খান ও নাসির খান কর্তৃক ১৪৩৬ সালে নিহত হন।[১] তার হত্যাকান্ডের পর সাদি খান ও নাসির খান পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং দুজনেই ক্ষমতা হারান। ইলিয়াস শাহি রাজবংশের একজন বংশধর ১৪৩৭ সালে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ নাম ধারণ করে সিংহাসনে বসেন।[২]
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার একটি ধরন। মূলত উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটের আলোকে এই ধারার উৎপত্তি। সাধারণত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পদ্ধতি বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে, সুনির্দিষ্ট জনগোষ্টির জন্য, বিশেষ উদ্দেশ্যে সংগঠিত এবং বিশেষ শিখন চাহিদা পূরণের জন্য, আলাদাভাবে বা সমন্বিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত শিক্ষামূলক কার্যক্রমই হচ্ছে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা (non formal education)।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার ধারণা নতুন নয়। উন্নয়নশীল দেশে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার আগেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে (drop out) বা কোন না কোন কারণে প্রাথমিক শিক্ষাচক্র (primary education cycle) সমাপ্ত করার আগেই স্কুল থেকে ঝরে পরে। ফলে এইসব দেশে এইভাবে নিরক্ষর জনগণের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। তাই তাদের মানে এইসব দেশের বিশাল নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত অসুবিধাগ্রস্থ (disadvantaged) ছেলে-মেয়ে, কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ (second chance of education) প্রদান করা যায়। তাই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ দানকারী কার্যক্রমও বলা হয়।
আবার উন্নয়নশীল দেশসমূহে দেখা যায় সরকারের একার পক্ষে সকল শ্রেণির সকল মানুষের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। তাই সেইসব ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সহায়ক/সম্পূরক ও পরিপূরক (supplementary and complementary) হিসেবেও কাজ করে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা। তবে কখনোই উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমান্তরাল শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করতে পারে না।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উল্লেখ্যযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য-
১। এটি একটি সুশৃঙ্খল নিয়ম-কানুন ও পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত উন্মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।
২। শিক্ষাক্রম নির্দিষ্ট নয়, আর থাকলেও শিথিলযোগ্য।
৩। ডিগ্রীমুখী বা সার্টিফিকেটমুখী শিক্ষা নয়।
৪। এটি স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম
৫। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুসারে বিষয়বস্তু নির্ধারিত হয়।
৬। ব্যবহারিক দিকগুলোর প্রতি বেশি লক্ষ রাখা হয়।
৭। আলাদাভাবে পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যবস্থা নেই তবে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা আছে।
আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালের ২৯ মার্চে গুয়াহাটি-এর আজারাত প্রতিষ্ঠা করা একটি ব্যক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়। আসাম ব্যক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয় বিধি,২০০৭র অনুসারে আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় বিধি,২০০৯ ২০০৯ সাল ৯ জানুয়ারির মতে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। Salesians of Don Bosco (SDB)র অধীনস্থ ডনবস্কো সোসাইটি বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন।[১][২][৩][৪] ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় আসামের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিহাস
Fr. Pascual Chávez, Rector Major, Salesians of Don Bosco laying the Foundation Stone of the University
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিক্ষার সর্বাঙ্গীণ উন্নতির জন্য Salesians of Don Bosco সোসাইটি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৯৩৪ সালে শিলংে সেইন্ট এন্ঠনিজ কলেজ প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে Salesians of Don Bosco উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কয়েকটি উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।
১১ আগস্ট, ২০০৮ সালে প্রথম প্রকৌশল এবং প্রযুক্তিবিদ্যার স্নাতকের পাঠক্রম আরম্ভ হয়েছিল।
আসাম সরকার আসাম ডনবস্কো বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ২০০৮ সালে অনুমোদন জানায়।
৬ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন।
২০০৯ সালের ২০ আগস্টে প্রথম কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী এবং ২৭ আগস্টে খারঘুলির ডনবস্কো ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রথম ব্যবস্থাপনার স্নাতকোত্তর শ্রেণী আরম্ভ করা হয়।
অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা (Informal Education) অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা শিক্ষার একটি সাধারণ শব্দ যা কাঠামোগত পাঠ্যক্রমের বাইরেও ঘটতে পারে। [১] এটি শিক্ষার একটি উল্লেখ্যযোগ্য ধরন। মানুষ তার জন্মের পর থেকে এ নানাভাবে শিখছে। এই শিক্ষা তার সমাজের কাছ থেকে হচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে হচ্ছে, আবার গুরুজনের বা বিশিষ্ট-অবিশিষ্ট ব্যক্তি বা বন্ধু-বান্ধবের মাধ্যমেও হচ্ছে। আবার প্রকৃতি কাছ থেকেও মানুষ শিখছে। প্রতিনিয়ত তার শেখার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছাসত্ত্বেও সে শেখে । এই যে অনির্দিষ্ট নানা উপায়ে মানুষ শিখছে এটাই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা। অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাই আমাদের শেখার বা আচার-আচরণের অনেক বৈশিষ্ট্য ঠিক করে দেয়। জন্মের পর একটি শিশু কীভাবে কথা বলতে হবে তাকে আলাদা করে শেখাতে হয় না, সে নিজে নিজে তার পরিবারের সবাইকে দেখেই শেখে। এইভাবেই সূচনা হয় অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার। প্রাচীন সমাজে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাই ছিল শিক্ষা লাভের একমাত্র উপায় এবং এ শিক্ষা ছিল সর্বজনীন। বাঁচার জন্য এবং বাঁচার মধ্যে দিয়ে এ শিক্ষা অর্জিত হতো। তখন সামাজিকীকরণ ও শিক্ষার মধ্যে কোন প্রভেদ ছিল না। আধূনিক সমাজে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আধিপত্য সত্ত্বেও পারিবারিক শিক্ষাই এখনো শিশুর মানসিক বিকাশ ও চরিত্র গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
এই অনানুষ্ঠানিক শিক্ষাকে বোঝাতেই সুনির্মল বসু লিখেছেন-
“বিশ্বজোড়া পাঠাশালা মোর
সবার আমি ছাত্র,
নানাভাবে নতুন জিনিস
শিখছি দিবারাত্রি”
নিয়ম
লোকেরা তথ্যের আলাদা ব্যাখ্যা করে এবং তাই কাঠামোগত পাঠ্যক্রম সমস্ত শিক্ষার্থীকে সঠিক তথ্য বুঝতে না দেয়। শ্রেণিকক্ষের শিক্ষা অনানুষ্ঠানিক শিক্ষার তুলনায় কম নিয়ন্ত্রিত, যার কারণে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এত শক্তিশালী হতে পারে
আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ধারাবাহিক এবং ক্রম উচ্চস্তরে বিন্যস্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে বোঝানো হয়। আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো থাকে। শিক্ষার্থী একটি বয়সে আনুষ্ঠানিক উপায়ে শিক্ষা অর্জন শুরু করে এবং ধারাবাহিকভাবে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে থাকে।
আনুষ্ঠানিক শিক্ষার কাঠামো স্তর
বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের শিক্ষা কমিশন রিপোর্টের আলোকে ১৯৭৭ সালে প্রণীত হয় আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী।
মূলত কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যক্ষ শব্দের যথাযথ প্রয়োগ হতে দেখা যায়। অধ্যক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বা প্রধান শিক্ষানুক্রমিক কর্মকর্তা। সচরাচর অধ্যক্ষ পদবির পরিবর্তে ‘প্রিন্সিপাল’ শব্দের প্রয়োগ হয়ে থাকে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন অনেক কলেজের প্রধানগণ প্রিন্সিপাল হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছেন।[৩] তন্মধ্যে – ব্রেসনোজ, গ্রীন ট্যাম্পেলটন, হ্যারিস ম্যানচেস্টার, হার্টফোড, জিসাস, ল্যাডি মার্গারেট হল, লিনাক্রে, ম্যান্সফিল্ড, সেন্ট এ্যানি’জ, সেন্ট এডমান্ড হল, সেন্ট হিল্ডা’স, সেন্ট হিউজেস এবং সমারভিল অন্যতম। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউনহ্যাম কলেজ, ডারহ্যাম ইউনিভার্সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন অধিকাংশ মহাবিদ্যালয়ের প্রধানগণের পরিচিত হচ্ছে প্রিন্সিপাল।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদ ও সিনেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত হন। তিনি শিক্ষাক্রম ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যাবলীও তদারক করে থাকেন।[৬] ১৯৭৪ সাল থেকে অধ্যক্ষ ৫ বছর মেয়াদকালের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। এছাড়াও, কার্যসন্তুষ্টি ও বিবেচনাপূর্বক তিনি পুনরায় নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন।
স্কটল্যান্ড
স্কটল্যান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান হিসেবে প্রিন্সিপাল নিয়োগ করেন ইউনিভার্সিটি কোর্ট কিংবা পরিচালনা পরিষদ। তিনি পরবর্তীকালে শিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে প্রিন্সিপাল একাডেমিক সিনেটের সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন। এছাড়াও তিনি ভাইস-চ্যান্সেলর পদবি ধারণ করে আছেন। কিন্তু তার ক্ষমতা শুধু সনদ প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভাইস-চ্যান্সেলর বা উপাচার্য ও চ্যান্সেলর বা আচার্য – উভয় পদই নামেমাত্র পদ হিসেবে বিবেচিত।
আমি Mr. Sandip Sanki । আমি একজন উইকিপিডিয়ান হিসাবে আামি গর্বিত । আমি একজন বাঙালি। তাই বাংলা ভাষারবাংলা উইকিপিডিয়াতেই বেশি সম্পাদনা করি। বাংলা ভাষা ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রথম সারিতে থাক এটাই কামনা করি।
জীবনযাত্রার মান বলতে বুঝায় কোন এলাকার সাধারণত দেশের সম্পদের পরিমাণ, মানুষের আয়, চাহিদা, আর্থ-সামাজিক অবস্থা। জীবনযাত্রার মানে অনেকগুলো উপাদান রয়েছে যেমন-চাকরি বাজার, কর্মক্ষমতা, শ্রেণী -বৈষম্য, মুদ্রাস্ফীতি, এক বছরে ছুটির পরিমাণ, ক্রয়ক্ষমতা, সেবার ব্যয়,শিক্ষার সহজলভ্যতা, রাজনৈতিক স্থিতীশিলতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, জলবায়ু, প্রকৃতিক অবস্তুা, জাতীয় অর্থনীতিক প্রবৃদ্ধি ইত্যাদি। বেঁচে থাকার মানদণ্ড আমাদের জীবনের মানের উপর নির্ভর করে।[১]
মাপকাঠি
জীবনযাত্রার মান সাধারনত হিসেব করা হয় মাথাপিছু আয় এবং দারিদ্রতার হার দিয়ে। অন্য কিছু উপাদান যেমন- শিক্ষার অবস্থা,আয়-বৃদ্ধি ইত্যাদি ও যোগ করা হয়। জীবনযাত্রার মান শব্দটি মূলত গুনগত জীবনের বিপরীত হিসেবে ধরা হয় যেখানে শুধু উপদানগত মান থাকবে না।
জনসংখ্যাতত্ত্ব বলতে মানব জনসংখ্যারসংখ্যাতাত্ত্বিক আলোচনা ও গবেষণাশাস্ত্রকে বোঝায়। সাধারণভাবে এই শাস্ত্রে যে কোনো বাস্তব জনসংখ্যা, অর্থাৎ স্থান ও কাল সাপেক্ষে পরিবর্তনশীল যে কোনো জনসমষ্টির বিশ্লেষণ সম্ভব। এতে উদ্দিষ্ট জনসংখ্যার আয়তন, গঠন ও জনবণ্টন সম্বন্ধে আলোকপাত করা যায়, আর সময়, জন্ম, পরিযান, আয়ুবৃদ্ধি ও মৃত্যু প্রভৃতি প্রভাবকের ফলে তার পরিবর্তনের বিশ্লেষণও করা যায়।
জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ-পদ্ধতিতে গোটা সমাজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু সূচকের ভিত্তিতে নির্ধারিত জনসমষ্টিরও গবেষণা সম্ভব; এই সূচকগুলোর মধ্যে শিক্ষা, জাতীয়তা, ধর্ম এবং জাতি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় জনসংখ্যাতত্ত্বকে সাধারণত সমাজবিজ্ঞানের শাখা হিসেবে গণ্য করা হলেও আলাদা জনসংখ্যাতত্ত্ব বিভাগেরও অস্তিত্ব আছে।[১]
ঐতিহাসিক বস্তুবাদ (ইংরেজি: Historical materialism)হচ্ছে সমাজজীবনের অনুশীলনে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ। সামাজিক জীবনধারা এবং সমাজ ও সমাজের ইতিবৃত্তের বিচারে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলনীতিগুলোর প্রয়োগ ও ব্যবহারকে বলে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ।[১]
কার্ল মার্কস “ঐতিহাসিক বস্তুবাদ” অভিধাটি নিজে প্রয়োগ করেননি। তিনি যে শব্দগুচ্ছ প্রয়োগ করেছেন তা হচ্ছে ইতিহাসের বস্তুবাদী ধারণা।[২] ইতিহাসের ঐতিহাসিক বস্তুবাদী তত্ত্ব[৩] হচ্ছে সমাজব্যাখ্যার পদ্ধতি। মার্কসের কাছে সমাজের বৈপ্লবিক রূপান্তরণের জন্যই সমাজের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন অনুভূত হয়।[২] মার্কস ও এঙ্গেলস ইতিহাসের বস্তুবাদী ব্যাখ্যার প্রথম প্রবক্তা। সমাজের দার্শনিক ব্যাখ্যায় মার্কসবাদ যে মৌলিক বিপ্লব ঘটিয়েছিলো এটা ছিলো তার ভিত্তি।[৪]
ইতিহাস সম্বন্ধে মার্কসবাদী ধারণা
“সমাজ ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত নয়, কিন্তু আন্তঃসম্পর্কের যোগফলকে প্রকাশ করে, সেই সম্পর্কগুলোর ভেতরেই ব্যক্তিগণ দাঁড়ায়।”