Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • বিজ্ঞানী

    বিজ্ঞানী (বাংলা উচ্চারণ: [বিজ্ঞানী] (শুনুন)) একজন ব্যক্তি, যিনি পদ্ধতিগতভাবে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে সম্পৃক্ত থেকে জ্ঞানরাজ্যে বিচরণ করেন। তিনি পৃথিবী সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করেন কিংবা অন্য যে কোন ধরনের বিষয়বস্তুর সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। যিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক স্বীয় কাজে অগ্রসর হন, তিনি বিজ্ঞানী বা বৈজ্ঞানিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকেন।[১] ব্যক্তি হিসেবে তিনি বিজ্ঞানের এক বা একাধিক শাখায় অভিজ্ঞ হতে পারেন।[২] একজন বিজ্ঞানী নির্দিষ্ট কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করেন, প্রশ্ন করেন এবং ব্যাপক-বিস্তৃত পটভূমিতে গবেষণা কর্মের মাধ্যমে প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। বিজ্ঞানীরা বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যথাযথ জ্ঞান আহরণপূর্বক প্রকৃতি এবং সমাজের নানা মৌলিক বিধি ও গবেষণালব্ধ সাধারণ সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।

    কর্মক্ষেত্র

    সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজ্ঞানীরা কাজ করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা শিক্ষাপ্রদান করে থাকেন। এছাড়াও, নতুনদের মাঝে বৈজ্ঞানিক চেতনাবোধ জাগ্রত ও নতুন বৈজ্ঞানিকরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান বিতরণে প্রয়াসী হন।

    প্রকারভেদ

    বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ও সফলতা লাভ করে দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীকে আধুনিক জীবনযাত্রায় উদ্বুদ্ধ করছেন। একজন পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী, ভূতত্ত্ববিদ যথাক্রমে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং শিলা নিয়ে গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে থাকেন।

    বিজ্ঞান হচ্ছে জীবিত এবং মৃত উভয় ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে শিক্ষালাভের ক্ষেত্রস্থল যা আমাদের চারপাশের পরিবেশে বিরাজমান। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তার বিষয়বস্তু বের করার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট উপকরণসমূহ ব্যবহার করেন। যেমন : বস্তুটি ধাতব পদার্থ কিংবা অ-ধাতব পদার্থ কি-না তা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সাহায্যে বের করে থাকেন।

    বিজ্ঞানে নারী

    পদার্থবিদ্যা ও রসায়নশাস্ত্রে অসামান্য অংশগ্রহণে মেরি ক্যুরি বৈশ্বিকভাবে পরিচিতি পেয়েছেন।

    ঐতিহাসিকভাবেই নারীকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান অধিকার আইন আকারে গৃহীত হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কিন্ত বিজ্ঞানে অংশগ্রহণের হার প্রকৌশল বিদ্যার তুলনায় নিম্নমুখী। বিজ্ঞান ও প্রকৌশলে ডক্টরেট গ্রহণের সংখ্যা ১৯৭০ সালে ৭% থেকে ১৯৮৫ সালে ৩৪%-এ দাড়ায়। তন্মধ্যে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রীর সংখ্যা যেখানে ছিল ১৯৭৫ সালে ছিল মাত্র ৩৮৫ জন, সেখানে ১৯৮৫ সালে ১১০০০ ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে নারীকে বিশেষায়িত করলেও এখনো এ পেশায় বেশ অসমতা বিরাজ করছে।

    বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১৯৮৯ সালে বিজ্ঞানী হিসেবে পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল ৬৫% এবং মাত্র ৪০% নারী উচ্চ পদে আসীন ছিলেন। যেখানে পূর্ণাঙ্গকালীন একজন বিজ্ঞানীর বার্ষিক আয় $৪৮,০০০; সেখানে নারীর আয় ছিল $৪২,০০০।[৩]

    খ্যাতিমান বিজ্ঞানী

    পরবর্তী জীবনে লুই পাস্তুরের প্রতিচিত্র

    আলবার্ট আইনস্টাইনকে বিংশ শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিজ্ঞানী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। স্টিফেন হকিং, বিশ্বতত্ত্বকোয়ান্টাম বলবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। চার্লস ডারউইন এর বিবর্তন তত্ত্ব জীববিজ্ঞান এর একটি যুগান্তকারী তত্ত্ব। এছাড়াও, লুই পাস্তুর, রেনে ডেসকার্টেস, থমাস ইয়াং, হারম্যান ভন হেলমোল্টজ, আইজ্যাক নিউটন, গটফ্রিড লিবনিজ, জোসেফ ফোরিয়ার, জন ভন নিউম্যান, এলান টুরিং, আন্দ্রে শাখারভ, আলেক্সান্দার খিনচিন, আন্দ্রেই মার্কভ, নর্বাট ওয়াইনাস, গ্যালিলিও গ্যালিলি, অলিভার ওয়েন্ডেল হোমস, উইলিয়াম হার্ভে, সান্টিয়াগো র‌্যামন ওয়াই ক্যাজাল, ভিলহেল্ম কনরাড র‌ন্টগেন, আলফ্রেড নোবেল,আরনেস্ট রাদারফোর্ড ,নিলস বোর প্রমুখ ব্যক্তিত্ব স্ব-স্ব ক্ষেত্রে মূল্যবান অবদান রেখে বিজ্ঞানী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।

  • পুলিনবিহারী সরকার

    জন্ম ও শিক্ষা জীবন

    পুলিনবিহারী সরকার ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে নভেম্বর কলকাতার ঝামাপুকুরে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা ছিলেন বিখ্যাত আইনজীবী বসন্তকুমার সরকার। তৎকালীন যাদবপুর ও সোনারপুর অঞ্চলের বিশাল জমিদার যাদবনারায়ণ সরকার ছিলেন তার প্রপিতামহ (এঁরই নামে কলকাতায় নামাঙ্কিত বর্তমানের যাদবপুর)। জমিদারির আবহ থেকে দূরে রাখতে চাইতেন তার মাতা সরোজিনী দেবী। পিতার কর্মক্ষেত্র ছিল মেদিনীপুরের তমলুকে। তাই তার মা স্বামীসহ তমলুকেই স্থায়ীভাবে বাস শুরু করেন। সুতরাং পুলিনবিহারীর বাল্য ও কৈশোর কাটে তমলুকে। সেখানকার হ্যামিলটন স্কুল থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তি-সহ এন্ট্রান্স পাশ করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে আই. এসসি ক্লাসে ভর্তি হন। এখানে তার সহপাঠী ছিলেন জ্ঞানেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, মানিকলাল দে, সত্যেন্দ্রনাথ বসু প্রমুখ।১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে বি.এসসি ও ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এম.এসসি পাশ করেন।

    কর্মজীবন

    ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দেই পুলিনবিহারী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে লেকচারার নিযুক্ত হন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ‘ঘোষ ট্রাভেলিং ফেলোশিপ’ নিয়ে প্যারিসে অধ্যাপক উরবাঁর ল্যাবরেটরিতে গবেষণা করতে যান। সেখানে স্ক্যাডিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম এবং ইউরেনিয়াম নিয়ে অভূতপূর্ব কাজের উপর তার ফরাসি ভাষায় লেখা গবেষণাকর্মের জন্য সেখানকার জ্ঞান-বিজ্ঞান জগতের বিশেষ সম্মান ” স্টেট ডক্টরেট অব ফ্রান্স” লাভ করেন। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে পুরানো পদে যোগ দেন এবং কলেজে এক ল্যাবরেটরি তৈরি করে গবেষক ছাত্রদের নিয়ে বর্ণালি বিশ্লেষণভিত্তিক রসায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে কাজ শুরু করেন। এই বিষয়ে অসামান্য অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আচার্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় স্বর্ণ পদক পান। তিনিই প্রথম ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে বিহারের গয়া থেকে ‘কলামবাইট’ ( Columnbite) নামের এক আকরিক পদার্থ আবিষ্কার করেন এবং এই আকরিক থেকেই তিনি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে রেনিয়াম (Rhenium) নিষ্কাশন করেছিলেন। ভারতে খনিজ দ্রব্য থেকে তার রেনিয়াম নিষ্কাশন এই প্রথম। তাছাড়া পান্নাজাতীয় ভারতীয় পাথরগুলি তিনি পর্যালোচনা করে তাদের বিচিত্র রঙের ব্যাখ্যা করেছেন। খনিজ পদার্থে দ্রুত ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ নির্ণয়ের সহজ পন্থা আবিষ্কার করেন। এমনকি সাধারণ জিনিস যেমন চাল মুসুর ডাল, উচ্ছে, করলা পান ইত্যাদির মধ্যে কী কী ধাতু কত পরিমানে আছে তাও দেখেছেন। চোখের জল মাতৃদুগ্ধ নিয়েও তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের রসায়ন শাখার সভাপতি, ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটের ফেলো ছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে বিশুদ্ধ রসায়ন বিভাগের ‘স্যার রাসবিহারী ঘোষ অধ্যাপক’ ও ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে রসায়ন বিভাগের প্রধান হন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবসর নিলেও সি.এস.আই.আর. এর আর্থিক সহায়তায় ছাত্রদের নিয়ে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত গবেষণায় লিপ্ত থেকেছেন।

    মৃত্যু

    বিজ্ঞানী পুলিনবিহারী সরকার ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ই জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।

    তথ্যসূত্র

    • সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত ‘সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান’ (প্রথম খণ্ড) সাহিত্য সংসদ কলকাতা হতে প্রকাশিত। ISBN : 978-81-7955-135-6(Vol.I)

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • আলোর অপেরণ

    আলোর গতি ও পৃথিবীর কক্ষীয় গতির মিলিচ প্রতিক্রিয়ায় কোন খ-বস্তুর আপাত সরণকে জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় আলোর অপেরণ বলা হয়। এর অপর নাম হচ্ছে আপাত স্থানচ্যুতি

    আবিষ্কার

    বিজ্ঞানী জেমস ব্রাডলি ১৭৩৮ সালে আলোর অপেরণ ক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি সর্পমণি নামক একটি নক্ষত্রের (ইংরেজি নাম Gamma-Draconis) লম্বন নির্ণয় করছিলেন এবং এসময় মানের গোলমাল দেখতে পান। এই ক্রিয়াটি কোনভাবেই ব্যাখ্যা করা যাচ্ছিলোনা। এ থেকেই তিনি স্থানচ্যুতি বা অপেরণের ধারণা দেন। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে শুন্যে পৃথিবী গতিশীল এবং আলোর বেগ সসীম।

    ব্যাখ্যা

    অপেরণ দুই ধরনের: বার্ষিক এবং আহ্নিক অপেরণ বা স্থানচ্যুতি।

    • পৃথিবীর আবর্তন বেগ এবং আলোর বেগের জন্য যে স্থানচ্যুতি হয় তাকে আহ্নিক স্থানচ্যুতি বা Diurnal aberration বলে।
    • আবার কোন নির্দিষ্ট সময়ে কোন গ্রহের প্রকৃত দিক এবং আপাত দিকের মধ্যবর্তী কোণকে ঐ সময়ে উক্ত গ্রহের গ্রহগত স্থানচ্যুতি বা Planetary aberration বলে।

    এটি প্রমাণ করা হয়েছে যে কোন খ-বস্তুর অপেরণ পৃথিবীর গতির দিক এবং খ-বস্তুর সঠিক দিকের অন্তবর্তী কোণের সাইন অণুপাতের সমানুপাতিক। অর্থাৎ গাণিতিকভাবে,
    A = K sin
    বৃত্তীয় মান বিবেচনা করলে k এর মান v এবং c এর অণুপাতের সমান। এই k-কে স্থানচ্যুতির ধ্রুবক বলা হয়।

     এই জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটি পরিবর্ধন করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

    নিজস্ব সরঞ্জামসমূহ

    আলোর অপেরণ

    উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

    এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: “আলোর অপেরণ” – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর(মার্চ ২০১০)
    এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। দয়া করে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্যসূত্র প্রদান করে এই নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সাহায্য করুন। তথ্যসূত্রবিহীন বিষয়বস্তুসমূহ পরিবর্তন করা হতে পারে এবং অপসারণ করাও হতে পারে।উৎস খুঁজুন: “আলোর অপেরণ” – সংবাদ · সংবাদপত্র · বই · স্কলার · জেস্টোর(October 2009)
  • আলফা সেন্টরাই

    আলফা সেন্টরাই বা জয়( α \,\alpha Cen / α \,\alpha Centauri) সেন্টারাসের নামক নক্ষত্রপুঞ্জের দক্ষিণদিকে অবস্থিত তারকা সিস্টেমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং রাতের আকাশের চতুর্থ উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।[১] এর অপর নাম Rigil Kent। [২] এর আপাত দর্শন মান (Visual Magnitude) হল -০.০১ এবং এটি একটি তিন তারকা সিস্টেম। মহাকাশের দক্ষিণ গোলার্ধের সর্ব উত্তরের সীমা নির্ধারণকারী হিসেবে সুপরিচিত এই তারকা সিস্টেমটি; কিন্তু এটি এতটাই দক্ষিণ ঘেঁষে অবস্থিত যে উত্তরের প্রায় কোন স্থান হতেই এটিকে দেখা যায়না। এতে তিনটি নক্ষত্র থাকলেও দুটি নক্ষত্র এতই কাছাকাছি থাকে যে এদেরকে পৃথক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়না, যার ফলে এই দুটিকে একত্রে একটিমাত্র নক্ষত্র হিসেব ধারণা করা হয় এবং এভাবে এর সর্বমোট দর্শন মান দাঁড়ায় -০.২৭, যা এটিই নির্দেশ করে যে এই নক্ষত্রটি আর্কটুরাস হতে উজ্জ্বল।

    আমাদের সৌরজগৎের বাইরে এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী নক্ষত্রপুঞ্জ। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৪.২ থেকে ৪.৪ আলোকবর্ষের মত। আলফা সেন্টরাই নক্ষত্রপুঞ্জটি যে ৩টি নক্ষত্র নিয়ে গঠিত। তারা হল আলফা সেন্টরাই এ, আলফা সেন্টরাই বি ও আলফা সেন্টরাই সি। আলফা সেন্টরাই -সি কে প্রক্সিমা সেন্টরাই নামেও ডাকা হয়। এটি খুব ছোটো লাল নক্ষত্র। প্রক্সিমা সেন্টরাই হল সূর্য ছাড়া পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটবর্তী নক্ষত্র।

  • আর্দ্রা

    আর্দ্রা (ইংরেজি: Betelgeuse) আকাশের কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলভুক্ত একটি তারা। বেয়ার নামকরণের নিয়মে এর নাম Alpha Orionis। আর্দ্রা আকাশের অষ্টম এবং কালপুরুষ নক্ষত্রমণ্ডলের দ্বিতীয় উজ্জ্বল তারা। এর ঋগ্বেদীয় নাম রুদ্র আর সৈদ্ধান্তিকরা ডাকে আর্দ্রা নামে।

    এই তারাটি বিষম এবং এটির আপাত মান ০.২ থেকে ১.২ এর মধ্যে সীমিত। আর্দ্রা, লুব্ধক ও প্রভাস এই তিনটি তারা দিয়ে শীতকালীন ত্রিভুজের কল্পনা করা হয়।

    খালি চোখে লালচে দেখতে এই তারাটি একটি লাল অতিদানবতারা। আমাদের জানা তারাদের মধ্যে আর্দ্রা অন্যতম বৃহৎ ও উজ্জ্বল তারা। আমরা যদি আর্দ্রাকে সূর্যের স্থানে ভাবি তাহলে সেটার পৃষ্ঠদেশ বৃহস্পতির কক্ষপথ ছাড়িয়ে যেতে পারে। কিন্তু আর্দ্রার দূরত্ত্ব মাপা সহজ হয় নি। গত একশো বছরে এই তারটির দূরত্ত্ব জ্যোতির্বিদরা সর্বনিম্ন ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০০ আলোকবর্ষ নির্ধারণ করেছিলেন। বর্তমানে এটির দূরত্ত্ব মোটামুটিভাবে ৬৪০ আলোকবর্ষ ধরা হচ্ছে। সেই হিসেবে এর পরম মান হবে -৬.০৫।

    সূর্যের পরে আর্দ্রাই হচ্ছে প্রথম তারা যার ব্যাস মাপা সম্ভব হয়েছে (১৯২০ সনে)। যেহেতু সময়ের সাথে সাথে আর্দ্রার আকারের তারতম্য হয় তাই পরবর্তীকালে থেকে অনেক ধরনের দুরবীন ব্যবহার করা সত্ত্বেও আর্দ্রার যথার্থ ব্যাস নির্ধারণ করা একটু কঠিনই হয়েছে। বর্তমানে এর ব্যাস ধরা হয় ০.০৪৩ থেকে ০.০৫৬ কৌণিক সেকেন্ড। এই ব্যাস আবার যে তরঙ্গদৈর্ঘ্যে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে। এছাড়া আবার আর্দ্রার পৃষ্ঠ থেকে বিশাল গ্যাসীয় পুঞ্জ অসম ভাবে উৎক্ষিপ্ত হয়। জ্যোতির্বিদরা মনে করেন আর্দ্রার বয়েস মাত্র ১০ মিলিয়ন বা ১ কোটি বছর, কিন্তু বড় ভরের জন্য তারাটির দ্রুত বিবর্তন হয়েছে। অনেকে মনে করেন তারাটি কালপুরুষের OB1 তারাসমষ্টি থেকে বের হয়ে এসেছে। কালপুরুষের বেল্টের তিনটি তারা – অনিরুদ্ধ (আলনিলাম), ঊষা (আলনিটাক) ও চিত্রলেখাকেও (মিনটাকা) এই তারাসমষ্টির অংশ ধরা হয়। আর্দ্রা তার জীবনের শেষ পর্যায়ে আছে এবং আগামী ১ মিলিয়ন বা ১০ লক্ষ বছরের মধ্যে সুপারনোভা হিসেবে তার বিস্ফোরিত হবার সম্ভাবনা আছে।

    পর্যবেক্ষণের ইতিহাস

    অতি প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ আর্দ্রার লাল রংকে খেয়াল করেছে। তবে টলেমী ও উলুগ বেগ একে লাল বলে বর্ণনা করলেও [১] [২] প্রথম শতকের প্রাচীন চীনা পর্যবেক্ষকরা আর্দ্রাকে হলুদ বলেছেন [৩]। বর্ণালির ভিত্তিতে তারাদের বর্তমান শ্রেণীকরণের পূর্বে ঊণবিংশ শতাব্দীতে ইতালীয় জ্যোতির্বিদ এঞ্জেলো সেচ্চি রোহিণী (আন্টারিস) ও আর্দ্রা এই দুটি তারাকে কমলা থেকে লাল রঙের III শ্রেণীভুক্ত করেন। [৪]

    হার্শেলের পর্যবেক্ষণ

    স্যার জন হার্শেল

    স্যার জন হার্শেলই সর্বপ্রথম আর্দ্রার উজ্জ্বলতার বিষমতা লক্ষ করেন। ১৮৩৬ সালে তার বই Outlines of Astronomy-তে এর উল্লেখ আছে। ১৮৩৬ থেকে ১৮৪০ পর্যন্ত তিনি তারাটির ঔজ্জ্বল্যের বৃদ্ধি দেখতে পান, তারপর আবার এর প্রভার হ্রাস হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিষম তারা পর্যবেক্ষকদের সংস্থার (AAVSO) তথ্য অনুযায়ী ১৯৩৩ এবং ১৯৪২এ আর্দ্রার মান ছিল সর্বোচ্চ ০.২, অথচ ১৯২৭ এবং ১৯৪১এ ছিল সর্বনিম্ন ১.২।[৫][৬] জোহান বায়ার ১৬০৩ খৃষ্টাব্দে আর্দ্রাকে কালপুরুষের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা বলে আলফা অরিয়নিস নামাকরণ করেছিলেন। কিন্তু বাণরাজা বা রাইজেল হচ্ছে কালপুরুষের উজ্জ্বলতম তারা। আর্দ্রার প্রভার বিষমতার কারণে হয়তো সেই সময় আর্দ্রাকে বাণরাজার থেকে উজ্জ্বল মনে হয়েছিল।[৭]

    তথ্যসূত্র

    Allen, Richard Hinckley, (১৯৬৩)। Star Names: Their Lore and Meaning (rep. সংস্করণ)। New York, NY: Dover Publications Inc.। পৃষ্ঠা 310–12। আইএসবিএন0486210790Stella lucida in umero dextro, quae ad rubedinem vergit. “Bright star in right shoulder, which inclines to ruddiness.” “Ancient chinese suggest Betelgeuse is a young star”New Scientist92 (1276): 238। অক্টোবর ২২, ১৯৮১। Brück, H. A. (July 11–15, 1978)। “P. Angelo Secchi, S. J. 1818–1878″। M. F. McCarthy, A. G. D. Philip, and G. V. Coyne। Spectral Classification of the Future, Proceedings of the IAU Colloq. 47। Vatican City। পৃষ্ঠা 7–20। বিবকোড:1979RA……9….7B। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |year= / |date= mismatch (সাহায্য) Davis, Kate (AAVSO Technical Assistant, Web) (২০০০)। “Variable Star of the Month: Alpha Orionis”American Association of Variable Star Observers (AAVSO)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১০। অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) Burnham, Robert (১৯৭৮)। Burnham’s Celestial Handbook: An Observer’s Guide to the Universe Beyond the Solar System, Volume 2। New York: Courier Dover Publications। পৃষ্ঠা 1290আইএসবিএন0486235688

    1. Kaler, James B. (২০০২)। The Hundred Greatest Stars। New York: Copernicus Books। পৃষ্ঠা 33। আইএসবিএন 0-387-95436-8
    এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।

    ২৮ নক্ষত্র

    Aries IAU.svg
    Libra IAU.svg

    অশ্বিনী • ভরণী • কৃত্তিকা • রোহিণী • মৃগশিরা • আর্দ্রা • পুনর্বসু • পুষ্যা • অশ্লেষা • মঘা • পূর্ব ফল্গুনী • উত্তর ফল্গুনী • হস্তা • চিত্রা • স্বাতী • বিশাখা • অনুরাধা • জ্যেষ্ঠা • মূলা • পূর্বাষাঢ়া • উত্তরাষাঢ়া • অভিজিৎ • শ্রবণা • ধনিষ্ঠা • শতভিষা • পূর্ব ভাদ্রপদ • উত্তর ভাদ্রপদ • রেবতী •

  • আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ

    গ্যালিলিও তার নিজের তৈরি টেলিস্কোপে প্রথম আকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করেন ১৬০৯ সালে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান, গুরুত্বপূর্ণ সব গবেষণালব্ধ তত্ত্ব আর অসামান্য অবদানের কারণে গ্যালিলিও-কে জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক বলা হয়ে থাকে। এ জন্য তার আবিষ্কার ও অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিশেষ করে টেলিস্কোপ দিয়ে প্রথম আকাশ পর্যবেক্ষণের ৪০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ২০০৯ সনকে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ-২০০৯ হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বব্যাপী সারা বছর জুড়ে বিজ্ঞান বিষয়ক নানা কর্মসূচী ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে পালিত এই জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ উদ্‌যাপন কার্যক্রম পরিচালনা করছে মূলত জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ ‘ইউনেস্কো’ এবং আন্তজার্তিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থা ‘আএইউ’। এ জন্য অবশ্য আগেই জাতিসংঘ একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল যা ২০০৩ সনের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল।[১]

    ইতিহাস

    ১৬০৯ সালে গ্যালিলিও স্বাধীনভাবে এবং উন্নত ধরনের দূরবীক্ষণ যন্ত্র নির্মাণ ও এই যন্ত্রকে জ্যোতির্বিদ্যায় সার্থকভাবে প্রয়োগের করেন। এর আগে ১৬০৮ খ্রীষ্টাব্দে ওলন্দাজ চশমা নির্মাতা লিপেরশাইম তার নির্মিত এক দূরবীক্ষণ যন্ত্রের কথা প্রকাশ করেন এবং সেই বছরেই এই অদ্ভুত কাচ নির্মিত যন্ত্রের কথা গ্যালিলিওর নিকট পৌঁছে। এসময় তিনি তার এক রচনায় লিখেন: “প্রায় ১০ মাস পূর্বে আমার কাছে সংবাদ পৌঁছে যে জনৈক ওলন্দাজ চশমা নির্মাতা এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার দ্বারা দূরবর্তী বস্তুদের নিকটবর্তী বস্তুর মতো স্পষ্ট দেখা যায়। এ খবর পাওয়া মাত্র আমি নিজে কিভাবে এরূপ একটি যন্ত্র নির্মাণ করতে পারি তা চিন্তা করতে লাগলাম।” শীঘ্রই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নানা উন্নতি সাধন করে গ্যালিলিও দূরবর্তী বস্তুদের অন্তত ৩০ গুণ বড় করে দেখার ব্যবস্থা করেন।

    দূরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে জ্যোতিষ্কদের প্রথম পর্যবেক্ষণের ফল ‘সাইডরিয়াস নানসিয়াস’ বা ‘নক্ষত্র থেকে সংবাদবাহক’ গ্রন্থে লিপিবব্ধ হয় (প্রকাশকাল ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দ)। চাঁদের পৃষ্ঠের খাদ, ছোট-বড় অনেক দাগ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এই গ্রন্থে আলোচিত হয়। ভূপৃষ্ঠের ন্যায় চাঁদের উপরিভাগে যে পাহাড়, পর্বত, উপত্যকা, নদী, গহ্বর, জলাশয় প্রভৃতির দ্বারা গঠিত গ্যালিলিও এইরূপ অভিমত ব্যক্ত করেন। দূরবীক্ষণ যন্ত্রে বড় বড় কাল দাগ দেখে তিনি তাদের সমুদ্র মনে করেছিলেন, পরে অবশ্য এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।

    আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ ২০০৯-এর মূল লক্ষ্য

    • ১) জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা।
    • ২) আকাশ পর্যবেক্ষণ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী করে তোলা।
    • ৩) উন্নয়নশীল রাষ্ট্রসমূহে জ্যোতির্বিজ্ঞান কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় করে তোলা।
    • ৪) আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষাকে সহায়তা ও উন্নত করে তোলা।
    • ৫) একটি আধুনিক বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের ভাবমূর্তি নিশ্চিত করে তোলা।
    • ৬) বিজ্ঞান কর্মকান্ডে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
    • ৭) বিশ্বের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলোকে সংরক্ষণ করা।[২]

    ১১টি বিশেষ প্রকল্প

    ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ-২০০৯ উদ্‌যাপনের জন্য ১১টি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে।

    জ্যোতির্বিজ্ঞানের ১০০ ঘণ্টা

    ২-৫ এপ্রিলে, সারা বিশ্বে ১০০ ঘণ্টা ব্যাপি আকাশ পর্যবেক্ষণ , জ্যোতির্বিজ্ঞান সর্ম্পকে বিভিন্ন্‌ আলোচনা সভা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা, যাতে সাধারণ মানুষ জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

    গ্যালিলিওস্কোপ

    গ্যালিলিওর ব্যবহৃত টেলিস্কোপের মত ছোট টেলিস্কোপ নির্মাণ করে আকাশ পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা । এর মূল্য থাকবে অনেক কম এবং সাধারণ মানুষ তা কিনে আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে।

    কসমিকডাইরী

    এটি ইন্টারনেট লগ ভিত্তিক একটি প্রকল্প। এর মাধ্যমে বিজ্ঞানী এমনকি সাধারণ মানুষও জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন তত্ত্ব ও গবেষণার বিষয়বস্তু’ নিয়ে মত বিনিময় করতে পারবেন।

    মহাবিশ্বের প্রবেশ দ্বার

    এটি একটি বিশেষ ধরনের ওয়েবসাইট যার মধ্যে টেলিস্কোপ বা উপগ্রহের মাধ্যমে ধারণকৃত মহাবিশ্বের ছবি ও ভিডিও প্রচার করা হবে যাতে বিশ্বব্যাপী জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী মানুষ সেগুলো দেখতে পারেন এবং ব্লগ করে মতামত জানাতে পারেন।

    মহিলা জ্যোতির্বিদ

    নারীদের মহাকাশ গবেষণায় অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্পের সৃষ্টি। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানে গবেষণায় পুরুষদের সংখ্যা নারীদের তুলনায় অনেক গুণ বেশি। এই বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে নারীরা যাতে আরও বেশি সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

    অন্ধকার আকাশ সচেতনতা

    এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল এই বছর কোন কোন সময় বিশ্বের কোন কোন শহর বা এলাকা বিদ্যুতবিহীন করা হবে, যাতে মানুষ অন্ধকারে রাতের পরিবেশে ভালোভাবে আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে।

    গ্যালিলিও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম

    বিশ্বব্যাপী ছাত্রছাত্রীদের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যাতে ঐ সব শিক্ষকগণ বই, চার্ট, ছবি ও ভিডিওর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন।

    জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বিশ্ব ঐতিহ্য

    জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে বিশ্বে যে সব প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স’াপনাগুলো আছে সেগুলোকে খুঁজে বের করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

    মহাবিশ্ব সচেতনতা

    সারাবিশ্বে শারীরিক প্রতিবন্ধিদের জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন ও উৎসাহিত করার জন্য এই প্রকল্পের সৃষ্টি করা হয়েছে। বিভিন্ন জ্যোতির্বিজ্ঞান সংগঠনগুলো মহাবিশ্বের ছবি ও ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধিদের উৎসাহিত করবে।

    পৃথিবী হতে মহাবিশ্বে

    মহাকাশে স্থাপিত টেলিস্কোপ ও পৃথিবীর বড় বড় অ্যাবজারভেটরী প্রাপ্ত থেকে মহাবিশ্বের উজ্জ্বলতম তারাপুঞ্জ, নীহারিকা, সুপারনোভা, ইত্যাদির বিরাটাকার আলোকচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতন করাই এই কর্মসূচীর লক্ষ্য।

    বিশ্বব্যাপী জ্যোতির্বিজ্ঞান উন্নয়ন

    অণুন্নত দেশগুলোতে যেখানে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার কোন সুযোগ নেই সে সব এলাকার জনগণের মাঝে জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিই এই কর্মসূচির লক্ষ্য।

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই বর্ষ পালিত হচ্ছে।

    স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম প্রকাশ

    আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান বর্ষ পালনের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিজ্ঞান সংগঠন অণুসন্ধিৎসু চক্রের প্রস্তাবনা ও ডিজাইনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৯ সালের জুলাই মাসে দুটি স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম প্রকাশ করে। দুটি স্মারক ডাকটিকিটের একটিতে গ্যালিলিও গ্যালিলির সেই বিখ্যাত দুরবিনের প্রতিকৃতি এবং অন্যটিতে আমাদের নিকটতম গ্যালাক্সি এন্ড্রোমিডা নীহারিকার ছবি রয়েছে। উদ্বোধনী খামে রয়েছে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলির ছবি। ১৯৭৪ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপারনিকাসের ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিটটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান-সংক্রান্ত ডাকটিকিট। [৩].[৪]

  • আকাশগঙ্গা ছায়াপথ

    আকাশগঙ্গা একটি ছায়াপথ। আমাদের সৌরজগতের কেন্দ্র সূর্য এই ছায়াপথের অংশ। অর্থাৎ আমরা থাকি এই ছায়াপথে। সূর্য এবং তার সৌরজগতের অবস্থান এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৭০০০ আলোকবর্ষ দূরে[১৮] আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কালপুরুষ বাহুতে। এটি একটি দন্ডযুক্ত সর্পিলাকার ছায়াপথ, যা স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির একটি সদস্য। আকাশগঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক উপগ্রহ ছায়াপথ এবং নিকটস্থ ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডাও এই সমষ্টির সদস্য। স্থানীয় সমষ্টি আবার কন্যা মহাছায়াপথস্তবকের অংশ । কন্যা ছায়াপথস্তবক আবার ল্যানিয়াকেয়া মহাস্তবকের মধ্যস্থ অনেকগুলি মহাছায়াপথস্তবকের একটি।[১৯][২০] আকাশগঙ্গার কেন্দ্র রেডিও তরঙ্গের একটি প্রবল উৎস এবং একটি অতিভারবিশিষ্ট কৃষ্ণগহ্বর, যার নাম ধনু এ*

    পৃথিবী হতে যেমন দেখায়

    পৃথিবী আকাশগঙ্গা ছায়াপথের একটি অংশে অবস্থিত। এই ছায়াপথটি রাতের বেলা পরিষ্কার আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিস্তৃত হালকা সাদা মেঘের মত দেখায়। খুব হালকা দেখায় বলে, শহর থেকে বা খুব বেশি উজ্জ্বল আলো আছে এমন স্থান থেকে আকাশগঙ্গা দেখা যায় না।

    ভর এবং আকৃতি

    আকাশগঙ্গার ব্যাস আনুমানিকভাবে ১০০,০০০ আলোকবর্ষ বা ৯×১০১৭ কিলোমিটার (৩০ কিলোপারসেক) এবং এর পুরুত্ব প্রায় ১,০০০ আলোকবর্ষ (০.৩ কিলোপারসেক) ।[৪][৫] ধারণা করা হয় এই ছায়াপথে কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ বিলিয়ন পর্যন্ত নক্ষত্র রয়েছে। এটি স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির মধ্যে ভরের সাপক্ষে দ্বিতীয়। সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, আগের ধারণা থেকে আকাশগঙ্গার ভর অনেক বেশি, এর ভর আমাদের নিকটবর্তী সবচেয়ে বড় ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডা এর কাছাকাছি। আগে ধারণা করা হত এর ঘূর্ণন গতি প্রায় ২২০ কিমি/সেকেন্ড, কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী তা প্রায় ২৫৪ কিমি/সেকেন্ড। ২০১৯ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশগঙ্গার সর্বমোট ভর হিসাব করেছেন প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন সৌর ভর, যা ১,২৯,০০০ আলোকবর্ষের ব্যাসার্ধের মধ্যে সীমাবদ্ধ।[২১][২২] এই মান আগের ধারণার প্রায় দ্বিগুণ। আকাশগঙ্গার সকল তারার সর্বমোট আনুমানিক ভর ৪.৬×১০১০ সৌরভর । এছাড়াও রয়েছে আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস, যা ভরের দিক দিয়ে ৯০% হাইড্রোজেন এবং ১০% হিলিয়াম[২৩] মোট হাইড্রোজেনের দুই-তৃতীয়াংশ পারমাণাবিক এবং এক-তৃতীয়াংশ আণবিক ।[২৪] আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাসের ভরের ১% আন্তঃনাক্ষত্রিক ধুলিকণার কারণে ।[২৩] আকাশগঙ্গার ভরের ৯০% তমোপদার্থের কারণে ।[২১][২২] তমোপদার্থ এক পদার্থের এক অজানা ও অদৃশ্য রূপ যা সাধারণ পদার্থের সঙ্গে শুধুমাত্র মহাকর্ষের মাধ্যমেই আন্তক্রিয়া করে থাকে ।

    বয়স

    আকাশগঙ্গার বয়স নির্ধারণ করা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। এই ছায়াপথের সবচেয়ে প্রাচীন নক্ষত্র হল HE 1523-0901, যার বয়স প্রায় ১৩.২ বিলিয়ন বছর, প্রায় মহাবিশ্বের বয়সের সমান। ধারণা করা হয়, আকাশগঙ্গার সুচনা হয়েছে প্রায় ৬.৫ থেকে ১০.১ বিলিয়ন বছর আগে।

    গঠন

    আকাশগঙ্গার কেন্দ্র একটি দণ্ডাকার অংশ যা গ্যাস, ধুলি এবং তারা দ্বারা গঠিত একটি চাকতির ন্যায় অংশের দ্বারা বেষ্টিত । আকাশগঙ্গার বিভিন্ন স্থানে ভরের বণ্টন হাবল শ্রেণীবিন্যাসের Sbc শ্রেণীর সঙ্গে তুলনীয় । শিথিলভাবে বেষ্টিত সর্পিলাকার বাহুবিশিষ্ট সর্পিল ছায়াপথেরা এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ।[১] জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথম আকাশগঙ্গার কেন্দ্রস্থ দণ্ডাকার গঠনের কথা বলেন ১৯৬০-এর দশকে[২৫][২৬][২৭], এবং পরবর্তীকালে ২০০৫-এ স্পিৎজার মহাকাশ দূরবীক্ষণের পর্যবেক্ষণ তাঁদের এই ধারণাকে সমর্থন করে ।[২৮]

    কেন্দ্রস্থ অঞ্চল

    স্পিৎজার দূরবীক্ষণে অবলোহিত রশ্মিতে দেখা আকাশগঙ্গা ও তার কেন্দ্রের ছবি (মাঝের উজ্জ্বল সাদা বিন্দুটি ধনু এ*, আকাশগঙ্গার কেন্দ্র । শীতল তারাগুলো নীল রঙে দেখা যাচ্ছে । ছবির লালাভ আভা গরম ধুলির কারণে ।)

    আকাশগঙ্গার কেন্দ্রস্থ অঞ্চলের অন্তর্বর্তী অংশ তুলনামূলকভাবে অধিক ঘন এবং এই অংশে মূলত প্রাচীন তারা রয়েছে । কেন্দ্র থেকে প্রায় কয়েক কিলোপারসেক (প্রায় ১০,০০০ আলোকবর্ষ) ব্যাসার্ধের মধ্যে অবস্থিত এই প্রায় গোলাকার অংশকে স্ফীতাংশ বলা হয়ে থাকে ।[২৯] বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে আকাশগঙ্গার কেন্দ্র প্রকৃতপক্ষে পূর্বে দুই ছায়াপথের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে সৃষ্টি হওয়া প্রকৃত স্ফীতাংশ নয় । বরং এর কেন্দ্রস্থ দন্ডাকার গঠন একটি ছদ্ম-স্ফীতাংশ তৈরী করেছে ।[৩০] আকাশগঙ্গার কেন্দ্রস্থ অঞ্চল রেডিও তরঙ্গের একটি প্রবল উৎস, যাকে বিজ্ঞানীরা ধনু এ* নামে চিহ্নিত করেছেন । এই কেন্দ্রস্থ অঞ্চলের নিকটস্থ পদার্থের গতি বিবেচনা করে দেখা গিয়েছে যে আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে একটি অত্যধিক ভারবিশিষ্ট বস্তু রয়েছে ।[৩১] ভরের এরূপ বণ্টনের ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই বস্তুটি একটি অতিভারবিশিষ্ট কৃষ্ণগহ্বর[১৪][৩২] এটির প্রস্তাবিত ভর সূর্যের ভরের ৪.১ থেকে ৪.৫ মিলিয়ন গুণ ।[৩২]

    আকাশগঙ্গার কেন্দ্রস্থ দণ্ডাকার অঞ্চলের প্রকৃতি বিতর্কের মধ্যে রয়েছে, যদিও এই অংশের অনুমেয় অর্ধ-দৈর্ঘ্য ১ থেকে ৫ kpc এবং পৃথিবী থেকে ছায়াপথের কেন্দ্রের দিকে তাকালে এটি দৃষ্টিপথের সঙ্গে ১০-৫০ কোণ করে রয়েছে । এই দণ্ডাকার অঞ্চলটিকে ঘিরে একটি বলয়াকার গঠন রয়েছে যা “৫ kpc বলয়” নামে পরিচিত । এই বলয়ের মধ্যে ছায়াপথের অধিকাংশ আণবিক হাইড্রোজেন রয়েছে এবং আকাশগঙ্গার অধিকতর তারা এই অঞ্চলেই উৎপন্ন হয়ে থাকে । অ্যান্ড্রোমিডা ছায়াপথ থেকে দেখলে এই অঞ্চলটিকে উজ্জ্বলতম দেখাবে ।

    ২০১০ -এ ফার্মি গামা-রশ্মি মহাকাশ দূরবীক্ষণের থেকে নেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আকাশগঙ্গার কেন্দ্র থেকে উত্তর ও দক্ষিণে দুটি বৃহদাকার উচ্চ শক্তি বিকিরণের বুদবুদ ন্যায় গঠন লক্ষ করা গিয়েছে । এগুলির প্রত্যেকের ব্যাস প্রায় ৭.৭ কিলোপারসেক । দক্ষিণ গোলার্ধে রাত্রির আকাশে এগুলি সারস তারামণ্ডলী থেকে কন্যা তারামণ্ডলী পর্যন্ত বিস্তৃত । পরবর্তীকালে পার্কেস দূরবীক্ষণের মাধ্যমে এই গঠনগুলিতে সমাবর্তিত বিকিরণ দেখা গিয়েছে । তারার জন্মের কারণে উৎপন্ন চৌম্বকীয় বহিঃপ্রবাহ হিসেবে এগুলিকে ব্যাখ্যা করা হয় ।[৩৩]

    গ্যালারি

    • নাসার একজন শিল্পীর কল্পনায় আকাশগঙ্গার আনুমানিক চিত্র।
    • আকাশগঙ্গার প্যানোরামা
  • আকাশ

    আকাশ হল ভূপৃষ্ঠ থেকে বাইরের দিকে অবস্থিত অংশবিশেষ। বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যও এর অংশ।

    জ্যোতির্বিদ্যায় আকাশ কে খ-গোলক ও বলা হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে এটিকে একটি কাল্পনিক গোলক কল্পনা করা হয় যেখানে সূর্য, তারা ,চাঁদ এবং গ্রহসমূহকে পরিভ্রমণ করতে দেখা যায়। খ-গোলককে সাধারণত বিভিন্ন নক্ষত্রমণ্ডলে ভাগ করা হয়। সাধারণত আকাশ শব্দটি ভূপৃষ্ঠ থেকে উপরে যেকোনো বিন্দু নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর অর্থ এবং ব্যবহার ভিন্নও হতে পারে। যেমন, আবহাওয়ার ক্ষেত্রে আকাশ বলতে কেবলমাত্র বায়ুমণ্ডলের নিচের দিকের অধিক ঘন অংশ কে বোঝায়।

    দিনের আলোয় আলোর বিক্ষেপণের জন্য আকাশ নীল দেখায়।[১] আর রাতের বেলায় আকাশকে তারায় পরিপূর্ণ একটি কালো গালিচার মত মনে হয়। দিনের বেলায় মেঘ না থাকলে আকাশে সূর্য দেখা যায়। আর রাতের আকাশে (কখনও কখনও দিনেও) চাঁদ, গ্রহসমূহ এবং তারা দৃশ্যমান থাকে। মেঘ, রংধনু, অরোরা বা মেরুপ্রভা, বজ্রপাত প্রভৃতি প্রাকৃতিক ঘটনা আকাশে পরিলক্ষিত হয়।[২]

    আকাশ কেন নীল দেখায়

    আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়। আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক। বেগুনি ও নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম। তাই আকাশে এই আলো দুইটির বিক্ষেপণ বেশি হয়। আবার আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল বর্ণের আলোর প্রতি অধিক সংবেদনশীল । তাই আকাশ নীল দেখায়।[৩]

    মেঘের অণু বেশ বড় হয় এবং তাই তা নীল ছাড়া অন্য আলোকেও বিক্ষেপিত করে। যার ফলে মেঘের বর্ণ অনেকটা সাদাটে হয়।

    একারণেই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকালীন সময় আকাশ লাল দেখায়। এসময় সূর্য দিগন্তরেখার কাছে অবস্থান করে। তাই সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে আসতে পুরু বায়ুমণ্ডল ভেদ করে। তখন নীল আলো বিক্ষেপিত হয়ে বিভিন্ন দিকে চলে যায় কিন্তু লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তা কম বিক্ষেপিত হয় এবং পৃথিবীতে আসে। তাই তখন আকাশ লাল দেখায়।

    গ্যালারি

  • আইসি ৪৪০৬ (নেবুলা)

    আইসি ৪৪০৬ নেবুলার প্রস্থ প্রায় ০.১৩ আলোকবর্ষ আর দৈর্ঘ্য প্রায় ০.৪৫ আলোকবর্ষ। পৃথিবী থেকে প্রায় ২০০০ আলোকবর্ষ দূরের।[২] প্রতি সেকেন্ডে ২২ কিলোমিটার বেগে সৌরজগৎের দিকে ধেয়ে আসছে এর একদিকের মেঘ।

    ছবিঘর

    নির্গমন নীহারিকা
    অস্থিরমতি নীহারিকা
    Hubble Space Telescope view of IC 4406
    পর্যবেক্ষণ তথ্য: J2000 পিপোচ
    বিষুবাংশ ১৪ ২২মি ২৬.২৭৮সে[১]
    বিষুবলম্ব−৪৪° ০৯′ ০৪.৩৫″[১]
    দূরত্ব2.0 kly (600 pcআলোকবর্ষ
    নক্ষত্রমণ্ডলLupus
    শারীরিক বৈশিষ্ট্যাবলী
    পরম মান (ভি)-0.3
    উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য
    উপাধিরেটিনা নেবুলা
    আরও দেখুন: নীহারিকার তালিকা
  • অলবার্সের হেঁয়ালি

    অলবার্সের কূটাভাসের প্রতিরূপ।