Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • বােমা আবিষ্কার ও বিবর্তন

    মানব সভ্যতা ধ্বংসের অন্যতম শক্তিশালী অস্ত্র বােমা। এটি পুরাে একটি শহরকে ধ্বংস করতে পারে এবং হত্যা করতে পারে লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রাকৃতিক পরিবেশকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি এর দীর্ঘমেয়াদি আগ্রাসন পরবর্তী প্রজন্মগুলােতে ভয়ানক প্রভাব ফেলে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার ব্যবহৃত গুচ্ছ ও ভ্যাকুয়াম বােমার আঘাতে মৃত্যুপুরী ইউক্রেন। এ প্রেক্ষাপটে জেনে নিন বােমার আবিষ্কার, বিবর্তন ও ক্রমবিকাশ।

    বােমা কী?

    বােমার ইংরেজি Bomb। গ্রিক শব্দ বােম্বাস (6mpc) থেকে বােমা শব্দের উৎপত্তি। ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি এক ধরনের বিস্ফোরক ও অস্ত্রবিশেষ। খুব দ্রুতবেগে অভ্যন্তরীণ শক্তির রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে বড় ধরনের কম্পন তরঙ্গের সৃষ্টি করে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে। জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সচরাচর বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ রাখার উপযােগী পাত্রে পরিপূর্ণ থাকে বােমা। এটি ধ্বংসাত্মক জিনিস দিয়ে। নকশা অনুসারে বসানাে হয় কিংবা নিক্ষেপ করা হয়। অধিকাংশ বােমাই সাধারণ জালানির তুলনায় কম শক্তি সঞ্চিত করে। ব্যতিক্রম হিসেবে রয়েছে পারমাণবিক বােমা।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ইতিহাস

    ১২২১ সালে চীনে প্রথম বােমার ব্যবহার দেখা যায়। গান রাজবংশের বিরুদ্ধে জিন রাজবংশের সেনাবাহিনী প্রথম এ অস্ত্র ব্যবহার করে। ১১ শতকে চীনে বাশ টিউব বােমার ব্যবহার দেখা গেছে। ১৩ শতকে বিস্ফোরক বারুদে ভরা ঢালাই লােহার শাঁস দিয়ে তৈরি বােমা ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ১২৩১ সালে জিন বংশধরদের আমলে মঙ্গলদের বিরুদ্ধে নৌযুদ্ধে এ বােমার প্রচলন হয়।

    ব্যবহার

    কয়েক শতাব্দী ধরেই সারা বিশ্বে বােমার ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায়শই প্রতিপক্ষ শত্রুবাহিনীর লক্ষ্যস্থলে বােমাবর্ষণ করে সামরিক বাহিনী। এছাড়াও সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্দেশ্য সাধনে আত্মঘাতী বােমা হামলা পরিচালনা করে। অবশ্য, শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে খনির উত্সস্থল নিরূপণে বােমার ব্যবহার অনেক।

    ক্ষয়ক্ষতি

    যারা আত্মরক্ষার উপকরণ ছাড়াই বােমা বিস্ফোরণের কাছাকাছি অবস্থান। করেন তারা চার ধরনের বিস্ফোরণ প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারেন। যেমন- কম্পনজনিত উচ্চচাপ, খণ্ড-বিখণ্ড, সংঘর্ষ এবং উচ্চতাপ। তবে বােমা নিরােধক ব্যক্তি, আত্মরক্ষার উপকরণ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তেমন প্রভাব পড়ে না। বলা প্রাসঙ্গিক, বােমা বিস্ফোরণের উচ্চচাপে আকস্মিক ও অতি তীব্র পরিবেষ্টিত চাপে। ব্যক্তির অভ্যন্তরীণ ক্ষয়ক্ষতিসহ স্থায়ী ক্ষতি কিংবা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। পাশাপাশি বিস্ফোরণ স্থলের ভূমিতে বিরাট গর্ত, ধ্বংসস্তুপ কিংবা গাছপালা উৎপাটনও হয়ে যায়।

    কম্পন

    বােমার বিস্ফোরকের কম্পন তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় শরীরের । অঙ্গচ্যুতির মতাে ঘটনা ঘটতে পারে। কম্পন তরঙ্গ ভুক্তভােগী। ব্যক্তিকে শূন্যেও নিক্ষিপ্ত করতে পারে। এছাড়াও অঙ্গচ্ছেদ, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, কানের পর্দা। ছিদ্র হয়ে শ্রবণশক্তি হাসি পেতে পারে। ধনাত্মক ও ঋণাত্মক তরঙ্গ দিয়ে গড়া বিস্ফোরক। উপাদানের সাহায্যে কম্পন তরঙ্গ তৈরি হয়। তরঙ্গের উৎসস্থলে। অর্থাৎ, বিস্ফোরণস্থলে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটে।

    হরেক রকম বােমা

    গুচ্ছ বােমা

    গুচ্ছ বােমা (Cluster Bomb) হলাে একটি বিস্ফোরক, ; যা ছােট সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে পারে। গুচ্ছ ; বােমার বিস্ফোরণে বৈদ্যুতিক পাওয়ার ট্রান্সমিশন, যুদ্ধ বিমানের রানওয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এই বােমার সাহায্যে রাসায়নিক বা জৈবিক অস্ত্র ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। ল্যান্ডমাইন ধ্বংস করতে এই বােমা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যানবাহন বা পরিকাঠামাে ধ্বংসের পাশাপাশি মানুষ হত্যা করা যায় এই বােমার মাধ্যমে।

    ভ্যাকুয়াম বা থার্মোব্যারিক বােমা

    ভ্যাকুয়াম বােমা বা থার্মোব্যারিক বােমা হলাে উচ্চ তাপমাত্রার একটি বিস্ফোরক। এটি বিস্ফোরণ ঘটালে আশপাশের বায়ু থেকে অক্সিজেন শুষে নেয়। সাধারণ বিস্ফোরণের তুলনায় অনেক বেশি বিস্ফোরণের তরঙ্গ তৈরি করে। এই বিস্ফোরণের আওতায় থাকে এমন যেকোনাে মানুষকে সম্পূর্ণরূপে বাষ্পীভূত করে দিতে পারে এই বােমা। অর্থাৎ যতদূর এর তরঙ্গ থাকে ততদূর এলাকায় মানুষের চিহ্ন থাকবে না। ভ্যাকুয়াম বােমাকে অ্যারােসল বােমা বা জ্বালানি বায়ু বিস্ফোরকও বলা হয়।

    সাধারণত একটি জ্বালানির পাত্রে দুই ধরনের বিস্ফোরক চার্জ রেখে এই বােমা তৈরি করা হয়। রকেট লঞ্চারের মাধ্যমে এ বােমা ছােড়া যায়। আবার বিমান থেকেও ফেলা যায়, লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানলে বােমার কনটেইনারের মুখ খুলে বিস্ফোরক জ্বালানি মিশ্রণটি মেঘের মতাে চারদিকে বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের ফলে তীব্র শকওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে, আশপাশের বাতাসের অক্সিজেন। শুষে নেওয়ায় বিস্ফোরণস্থলে তৈরি হয় এক ধরনের বায়ুশূন্য পরিস্থিতি। কোনাে আন্তর্জাতিক আইনে থার্মোব্যারিক অস্ত্র ব্যবহারে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তবে মানুষের বসবাসের এলাকা, স্কুল বা হাসপাতালে এবং বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে এ অস্ত্রের ব্যবহার করা হলে ১৮৯৯ ও ১৯০৭ সালের হেগ কনভেনশনের আওতায় তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

    পারমাণবিক বােমা

    এক প্রকার বােমা জাতীয় মারণাস্ত্র। এতে ইউরেনিয়াম২২ এবং প্লুটোনিয়াম-২৩৯ ব্যবহার করা হয়। দ্রুত নিউট্রনের সুশৃঙ্খল বিক্রিয়ার দ্বারা বিস্ফোরণ ঘটে থাকে। এটম বােমা বা পারমাণবিক বােমা নামে পরিচিত ইউরেনিয়াম বা প্রটোনিয়াম নিউক্লিয়ার বােমায় মিশন
    প্রক্রিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানাে হয়। এখন পর্যন্ত ২টি পারমাণবিক বােমা নিক্ষিপ্ত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরােশিমা ও নাগাসাকিতে।

    হাইড্রোজেন বােমা

    বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থের সংমিশ্রণে তৈরি হাইড্রোজেন বােমা সাধারণ পরমাণু বােমার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও ধ্বংসাত্মক। একটি হাইড্রোজেন বােমা ৬-৮ মাত্রার ভূমিকম্পের সমান শক্তিশালী। এর অপর নাম ‘থার্মোনিউক্লিয়ার বােমা’। এ বােমায় ভারী হাইড্রোজেনের আইসােটোপ ব্যবহার করা হয় এবং এতে ফিউশন প্রক্রিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটানাে হয়। এ ফিউশন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ট্রিগার হিসেবে একটি ফিশন বােমা বা এটম বােমা ব্যবহার করা হয়। সূর্যে যে প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয়, ঠিক সেই একই প্রক্রিয়া হাইড্রোজেন বােমা বিস্ফোরণেও অনুসরণ করা হয়। সােভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া) ও যুক্তরাষ্ট্রের শীতল যুদ্ধের সময় হাইড্রোজেন বােমার জন্ম হয়।

    পরমাণু ও হাইড্রোজেন বােমার পার্থক্য

    পরমাণু বােমা আর হাইড্রোজেন বােমা বানানাে হয়। একেবারেই আলাদা দুটি উপায়ে । পরমাণু বােমার কৌশল হলাে, একটা ক্ষুদ্র পরমাণুকে দুই বা ততােধিক ক্ষুদ্রতর পরমাণুতে ভেঙে ফেলা, যেখান থেকে বেরিয়ে আসে। প্রচুর পরিমাণে শক্তি ও বিধ্বংসী বিস্ফোরণের সৃষ্টি হয়। হাইড্রোজেন বােমার কৌশল হলাে, দুই বা ততােধিক হাইড্রোজেন পরমাণুকে জুড়ে অনেক বড় ও ভারী। পরমাণুতে পরিণত করা। তাই এর নাম হাইড্রোজেন। বােমা। এ বােমা থেকে নিউক্লিয়ার ফিউশনের তুলনায় কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তি নির্গত হয়।

    নাপাম বােমা

    নাপাম বােমা তৈরি করা হয় ন্যাপথ্যানিক অ্যাসিড ও পামিটিক অ্যাসিডের মিশ্রণে। এই দুই অ্যাসিড মিশে এক ধরনের জেলিজাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য তৈরি হয়। এই জেলির সঙ্গে পেট্রোল বা গ্যাসােলিন মিশিয়ে এক ধরনের থলথলে দাহ্য পদার্থ তৈরি করা হয়। সেটিকে বিস্ফোরকের সঙ্গে মিশিয়ে তৈরি করা হয় নাপাম বােমা। বােমা ফুটে চারদিকে আগুন তাে ছড়াবেই, তার সঙ্গে সঙ্গে এই জেলির মতাে থলথলে পদার্থ কাদা বা আলকাতরার মতাে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাবে। জলন্ত এই নাপাম মানুষের গায়ে লাগলে চামড়া পুড়ে খসে যায়। পানি দিলেও কিছু হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিস্ফোরক পুড়ে শেষ না হবে। ১৯৪২ সালে এ বােমা তৈরি করা হয়। ১৯৪৫ সালে আমেরিকা ৬,৯০,০০০ পাউন্ড নাপাম টোকিওতে ছাড়ে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ই নিষিদ্ধ এ বােমা যুদ্ধে ব্যবহৃত হলেও, ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর নিষ্ঠুরতার সঙ্গে এটির ব্যবহার সবচেয়ে বেশি করে।

    নিউট্রন বােমা

    স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রােনাল্ড রিগ্যানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর স্যামুয়েল টি কোহেন নিউট্রন বােমা তৈরি করেন। এ বােমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে, ভবন বা কঠিন বস্তু ধ্বংস না করে মানুষ হত্যা করা যায়। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত বােমার মধ্যে এটাকেই সবচেয়ে যৌক্তিক ও নৈতিক অস্ত্র বলা হয়। প্রথাগত পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে শহর ধূলিসাৎ হয়ে যায়। তবে নিউট্রন বােমা ছােট ছােট পার্টিকেল নিক্ষেপ করে যা দেয়াল, সামরিক যান ও অন্যান্য শক্ত বস্তু ভেদ করে কেবল জীবিত কোষই ধ্বংস করে। যুদ্ধের ময়দানে কেবল যােদ্ধারাই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

  • BCS Model Test Bangla Language and Literature

    BCS Model Test Bangla Language and Literature is the Most important Model test for BCS Preparation. You can try to complete the model test and enjoy it. 1347

    Created by Bcs Preparation

    বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

    মডেল টেস্টটিতে যতবার অংশগ্রহণ করবেন ততবার নতুন নতুন প্রশ্ন পাবেন।

    Bangla language and literature, Bangla literature, BCS preparation Bangla, BCS Bangla literature, BCS Bangla, BCS model test, english language and literature, BCS Bangla preparation, bangle literature, model test, BCS bangle literature, BCS preparation model test, BCS preparation Bangla literature, BCS preliminary model test, Bangla literature lecture, BCS short suggestion Bangla literature, english literature mcq questions and answers, english literature exam questions and answers, Bangla literature for BCS

  • আইমারা ভাষাসমূহ

    আইমারা ভাষাসমূহ দক্ষিণ আমেরিকান আদিবাসী আমেরিকান ভাষাসমূহের একটি দল, যেগুলি দক্ষিণ পেরুর উচ্চভূমি এবং সংলগ্ন বলিভীয় এলাকাগুলি নিয়ে গঠিত একটি বেশ বড় অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত। কিছু ভাষাবিদ আইমারা ভাষাসমূহ ও কেচুয়া ভাষাসমূহকে একত্রে কেচুমারা নামের একটি বৃহৎ দলের অন্তর্গত বলে মনে করেন।

    আরও দেখুন

  • ধূমকেতু (পত্রিকা)

    ধূমকেতু কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত একটি অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ২৬ শ্রাবণ (১৯২২ সালের ১১ আগস্ট) প্রথম প্রকাশিত হয়।[১] পত্রিকাটি শুরুতে ফুলস্কেপ কাগজের চার পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো এবং পরে আট পৃষ্ঠায় মুদ্রিত হতো। পত্রিকাটির সর্বশেষ সংস্করণ ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। এর প্রথম সংখ্যায় নজরুলের কবিতা ‘ধূমকেতু’ প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাকে আশীর্বাদ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,

    কাজী নজরুল ইসলাম কল্যাণীয়েষু, আয় চলে আয়রে ধূমকেতু।
    আঁধারে বাঁধ অগ্নিসেতু, দুর্দিনের এই দুর্গশিরে উড়িয়ে দে তোর বিজয় কেতন।[২]

    পত্রিকার প্রথম পাতার শীর্ষে এই বাণী লিখা থাকতো।[৩]

    সম্পাদনা পরিষদ[উৎস সম্পাদনা]

    নজরুলের প্রচেষ্টায় পত্রিকার কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ২০ পৃষ্ঠার ‘মোহররম সংখ্যা’ (৭ম সংখ্যা, ১৬ ভাদ্র ১৩২৯/ আগস্ট ১৯২২), ১২ পৃষ্ঠার ‘আগমনী সংখ্যা’ (১২শ সংখ্যা, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২), ১২ পৃষ্ঠার ‘দেওয়ালী সংখ্যা’ (১৫শ সংখ্যা, ২০ অক্টোবর ১৯২২) এবং ‘কংগ্রেস সংখ্যা’ (৩০তম সংখ্যা, ২৭ ডিসেম্বর ১৯২২) ছিল উল্লেখযোগ্য। নজরুল জেলে থাকার সময় বীরেন সেনগুপ্ত ও অমরেশ কাঞ্জিলাল এটি কিছুদিন সম্পাদনা করেছিলেন।[৩]

    ব্রিটিশ বিরোধী প্রকাশনা[উৎস সম্পাদনা]

    পত্রিকার ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২২ সংখ্যায় নজরুলের কবিতা আনন্দময়ীর আগমনে প্রকাশিত হয়। এই রাজনৈতিক কবিতা প্রকাশিত হওয়ায় ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। একই বছরের ২৩ নভেম্বর তার যুগবাণী প্রবন্ধগ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং একই দিনে তাকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে কুমিল্লা থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জানুয়ারি নজরুল বিচারাধীন বন্দী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক জবানবন্দি প্রদান করেন। চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে এই জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তার এই জবানবন্দি বাংলা সাহিত্যে রাজবন্দীর জবানবন্দী নামে বিশেষ সাহিত্যিক মর্যাদা লাভ করেছে।[৪] ১৬ জানুয়ারি বিচারের পর নজরুলকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। নজরুলকে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।[৫]

    পরিনতি[উৎস সম্পাদনা]

    নজরুলের কারাদণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ জানুয়ারি সংখ্যাটি ‘নজরুল সংখ্যা’ হিসেবে প্রকাশিত হয়। এর পরে কিছুদিনের জন্য পত্রিকাটি বন্ধ থাকে। পরে পত্রিকাটি বীরেন সেনগুপ্ত ও অমরেশ কাঞ্জিলালের সম্পাদনায় পুনরায় প্রকাশিত হয়, কিন্তু তা অনিয়মিতভাবে চলে ও সেই বছরের (১৯২৩) মার্চ মাসে একেবারে বন্ধ হয়ে যায়।[৩

  • আগুনপাখি

    আগুনপাখি বাঙালি লেখক হাসান আজিজুল হক কর্তৃক লিখিত একটি বাংলা উপন্যাস। উপন্যাসটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। এটি ভারত বিভাগের পটভূমিতে রচিত। এর কাহিনী নির্মীত হয়েছে বিংশ শতাব্দীর রাঢ় অঞ্চলকে ঘিরে, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অংশ।[১][২][৩]

    কাহিনিসংক্ষেপ

    আগুনপাখি উপন্যাসটি একটি গ্রামীণ পরিবারের উত্থান-পতনের ইতিহাস তুলে ধরেছে। ভারত বিভাগের কয়েক বছর আগে থেকে এর কাহিনি শুরু হয়। উপন্যাসটি একজন গ্রামীণ গৃহিণীর দৃষ্টিকোণ থেকে, উত্তম পুরুষে লিখিত। তিনি নিজের এবং তার চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে নানান পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেন। তার মধ্য দিয়ে তৎকালীন রাঢ় অঞ্চলের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয়।

    উপন্যাসের শুরুর দিকে, তার পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ই অধিক বিবৃত হয়েছে। উক্ত অঞ্চলের সর্ববৃহৎ জমিদারে পরিণত হওয়ার মাধ্যমে তাদের ভাগ্য প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তাদের কলেরা, ফসলের ঘাটতি এবং সবশেষে হিন্দু-মুসলিম বিভক্তির শিকার হতে হয়। এই ঘটনাসমূহের মধ্য দিয়ে উপন্যাসের কাহিনি পারিবারিক পরিধি অতিক্রম করে বিস্তার লাভ করতে থাকে।

    উপন্যাসের শেষে, গৃহিণীর স্বামী ও সন্তানেরা পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও তিনি সেখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৪][৫]

    প্রকাশনা

    গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে, আগুনপাখি উপন্যাসটির অর্ধেকাংশ ‘অপ-রূপকথা’ নামে প্রথম আলো পত্রিকার ঈদসংখ্যায় প্রকাশিত হয়।[১] এরপর ২০০৬ সালে সন্ধানী প্রকাশনী কর্তৃক উপন্যাসটি সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সালে ভারতের দে’জ পাবলিশিং কর্তৃক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।

    পুরস্কার

    পুরস্কারবছরসূত্র
    প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪১২২০০৬[৬]
    আনন্দ পুরস্কার২০০৮[৭]
  • কবিতা

    কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস— যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রুপ এবং তা অত্যাবশ্যকীয়ভাবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ। পৃথিবী নামক গ্রহের তাবৎ বিষয়কে পুজি করে কবিতা ফলত সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। কাঠামোর বিচারে কবিতা নানা রকম। যুগে যুগে কবিরা কবিতার বৈশিষ্ট্য ও কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছেন। কবিতা শিল্পের মহত্তম শাখা হিসেবে পরিগণিত।

    এর আয়তন প্রকারের উপর নির্ভরশীল।

    কবিতা (গ্রিক: “ποίησις,” poiesis, “নির্মাণ” অথবা “তৈরি করা”; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলির ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলের পোয়েটিকস, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্ম বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের উপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সাহিত্যের আদিমতম শাখা।

    ইতিহাস

    মূল নিবন্ধসমূহ: কবিতার ইতিহাসসাহিত্য তত্ত্ব

    পশ্চিমা ঐতিহ্য

    ২০ শতকের বিরোধ

    উপাদানসমূহ

    ছন্দ:প্রকরণ

    মূল নিবন্ধ: মিটার (কবিতা)

    তাল

    মূল নিবন্ধসমূহ: সময়জ্ঞান (ভাষাতত্ত্ব), স্বন (ভাষাতত্ত্ব)গীতিপ্রস্বর

    মিটার

    মূল নিবন্ধ: ছন্দোরীতি পদ্ধতি

    ছন্দোময় নিদর্শন

    মূল নিবন্ধ: মিটার (কবিতা)

    ছড়া, অনুপ্রাস, স্বরানুপ্রাস

    মূল নিবন্ধসমূহ: অন্ত্যমিল, অনুপ্রাসধর্মী পদ্যস্বরসাদৃশ্য

    মিত্রাক্ষরকারী স্কিম

    মূল নিবন্ধ: মিত্রাক্ষরকারী স্কিম

    গঠন

    পদ এবং স্তবক

    দৃষ্টি সহায়ক উপস্থাপনা

    মূল নিবন্ধ: দৃষ্টি সহায়ক কবিতা

    রচনাশৈলী

    মূল নিবন্ধ: কাব্যিক রচনাশৈলী

    প্রকার

    রুবাই

    এটি আরবীয় অঞ্চলের চার পংক্তির একটি কবিতা। ওমর খৈয়াম তার রুবাই-এর জন্য বিখ্যাত।

    সিজো

    এটি সীমিত দৈর্ঘ্যের কোরীয় কবিতা। সাধারণত ৪ পংক্তিতে লেখা হয়।

    ক্বাসিদা

    ক্বাসিদা-কবিতা ইংরেজজাতি দ্বারা নিষিদ্ধ কবিতার বই । মুসলিম ধর্মে বিশ্বাসিগণ একে ক্বসিদা শরীফ বলে। মুসলিম জাতির বিভিন্ন দুর্যোগ-কালে এ ক্বাসিদা পাঠ করা হয় যাতে মুসলমানরা প্রাণ শক্তি ফিরে পান ।মুসলমানদের উপর এর প্রভার লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫) ভারতবর্ষে এ ক্বাসিদা (কবিতা) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ কবিতাকে আরবী ও ফার্সি ভাষায় বলা হয় ক্বাসিদা ।

    চতুর্দশপদী

    মূল নিবন্ধ: চতুর্দশপদী

    চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার উদ্ভব হয় ইউরোপে। এর বৈশিষ্ট হল যে এরূপ কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে মোট ১৪টি অক্ষর থাকবে।

    ইংরেজি চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল ১৬তম শতাব্দিতে ‘টমাস ওয়াট’ এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে উঠে স্যার ফিলিপ সিডিনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এরূপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালোবাসা।

    হাইকু

    মূল নিবন্ধ: হাইকু

    হাইকু (একবচনে “হাইকি”) একধরনের সংক্ষিপ্ত জাপানি কবিতা। তিনটি পংক্তিতে যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ৫ জাপানি শ্বাসাঘাত মোরাস মিলে মোট ১৭ মোরাসের সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি মুহূর্তে ঘটিত মনের ভাব প্রকাশ করা হয়। জাপানি হাইকু একটি লাইনে লিখিত হয়। সেই বাক্যটিতে ১৭টি মোরাস থাকে। সাধারণত একটি ছবি বর্ণনা করার জন্য হাইকু লিখিত হয়। মোরাস ও মাত্রা একই ব্যাপার নয়। ইউরোপীয়গণ ১৭ মোরাসকে ১৭ দল মনে করে হাইকু লেখার সূত্রপাত করে। তাদের দেখাদেখি বাংলা ভাষায় ১৭ মাত্রার হাইকু লেখার প্রচলন হয়। মোরাস, দল ও মাত্রা এক-একটি ভাষার নিজস্ব শ্বাস অনুসারী। সেই অনুযায়ী ১২ মোরাসে ১৭ সিলেবল হয়। ইউরোপে ইমেজিস্ট আন্দোলনের পর ১৭ সিলেবলের পরিবর্তে আরো বেশি সিলেবলের হাইকু লেখা শুরু হয়েছে। জ্যাক কেরুয়াক প্রমুখ মার্কিন কবিগণ স্বীকার করেছেন যে মার্কিন উচ্চারণ জাপানি উচ্চারণ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। তারা ১৭ দল ও তিন বাক্যবন্ধন অস্বীকার করে হাইকু লিখেছেন। বাংলা ভাষায় প্রথম আন্তর্জাতিক হাইকু কবি সম্মেলন হয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, কলকাতায় কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে, ‘যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা’র আয়োজনে। [১]

    লিমেরিক

    মূল নিবন্ধ: পঞ্চপদী ছড়া

    লিমেরিক (Limerick) একটি ইংরেজি শব্দ। শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা কবিতার জগতে এসেছে। লিমেরিক ছোট কবিতার (Little Poems) এক অনন্য রচনা শৈলী। ৫টি চরণে গঠিত এই ফর্মে অন্ত্যমিলের বিন্যাস- ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি ১ম, ২য় ও ৫ম এর চেয়ে মাপে ছোট হয়। ইংরেজি নার্সারী রাইম (Nursery rhyme) থেকে এর উৎপত্তি। সাধারণতঃ লিমেরিকের বক্তব্য অর্থবোধক হয় না, বরং দ্যোতনাযুক্ত হয়। বাংলা লিমেরিকের উদাহরণ –

    “তাতীর বাড়ি ব্যাঙের বাসা

    কোলা ব্যাঙের ছা।

    খায় দায়,

    গান গায়,

    তাইরে নাইরে না।”

    লিমেরিকের ইতিহাসঃ

    লিমেরিক আয়ারল্যান্ডের একটি জায়গার নাম। ফ্রান্সের সৈন্যদলের আইরিশ ব্রিগেডিয়াররা ওই লিমেরিকে অবস্থান কালে এ রকম ছোট ছোট ছড়ার গান গাইত এবং শেষ লাইনে থাকত ধোয়াশার মতো এ কথাটি “ Let us come up to Limerick”. (সুর করে কোরাসের মাধ্যমে এ গানগুলো গাওয়া হত।) কোন এক অজানা কবির হাতে সৃষ্টি হয় এ গীতিকবিতা। সৈন্যারা হয়ত লিমেরিকের এই ধরনটার অনুকরনে মুখে মুখে ছড়া তৈরী করে মুখে মুখে গান গাইত। যূদ্ধশেষে যে যার বাড়ী ফিরে তারা তাদের বংশধদের এ গান শোনাতো। লিমেরিক স্থান থেকে আগত বলে ছোট ছোট এই গীতিকবিতাগুলোর নাম হয়ে যায় লিমেরিক

    আঠারো খ্রিষ্টাব্দের গোড়ার দিকে ইংরেজি সাহিত্যে লিমেরিকের প্রচলনতা ও সাহিত্যিক জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এডোয়ার্ড লিয়রের হাত ধরে (A Book of Nonsense in the year 1846), তবে লিয়ের এগুলোকে কখনো লিমেরিক অভিধায় রাখেননি। এরপর এই ফর্মে লিখতে থাকেন Alfred Lord Tennyson, Shakespeare, Rudyard Kipling, Dante Gabriel Rossetti, Ogden Nash, H. G. Wells, W. H. Auden, T. S. Eliot, James Joyce, and Lewis Carroll – এঁদের মতো আরো অনেক বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক।

    গজল

    মূল নিবন্ধ: গজল

    গজল আরব থেকে এর উৎপত্তি হলেও ফার্সি ভাষায় এটি বিশেষ বিকাশ লাভ করে। পরবর্তীতে উর্দু ভাষায় এটি সমধিক জনপ্রিয়তা পায়। আরবি, ফার্সি, পশতু, উর্দু ছাড়াও হিন্দি, পাঞ্জাবী, মারাঠি, বাংলা এমনকি ইংরেজিতেও গজল লেখা হয়। প্রাথমিক দিকে ইমাম গাজালি, মওলানা জালালুদ্দিন রুমি, হাফিজ, সিরাজী, ফরিদুদ্দিন আত্তার, হাকিম শানাঈ প্রমুখ গজল লিখে বেশ নাম করেন। পরবর্তিতে আমির খসরু, মির তকি মির, ইবরাহিম জক, মির্জা গালিব, দাগ দেলবি এবং আধুনিক কালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, কাজী নজরুল ইসলাম, ফিরাক গোরখপুরী গজল লেখক হিসাবে নাম করেন। গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকুতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

    শব্দকবিতা

    মূল নিবন্ধ: তথ্যপ্রযুক্তিযুগের কবিতা

    i-কবিতা

    মূল নিবন্ধ: তথ্যপ্রযুক্তিযুগের কবিতা

    চ্যাটি কবিতা

    কাজল কবি রচিত পথের ধারে একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা ।

    অণুকবিতা

    ছোট আকারের কবিতা। যাতে খুব অল্প কথায় কবি তার মনের ভাব প্রকাশ করে।

    পরমাণু কবিতা

    পরমাণু কবিতা হল এক বিশেষ ধরণের কাব্য। এখানে সর্বোচ্চ ৯ শব্দের মধ্যে এই কবিতা লিখতে হয়। ভাবসম্প্রসাণযোগ্য। বাংলা ভাষায় পরমাণু কবিতা নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক কবি সম্মেলন হয়েছে ২১ মার্চ ২০২১ সালে কলকাতায় কৃষ্ণপদ ঘোষ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে, আয়োজক ছিল ‘যুথিকা সাহিত্য পত্রিকা’। [২]

    ধারা

    আখ্যান কবিতা

    মূল নিবন্ধ: আখ্যান কবিতা

    মহাকাব্য

    মূল নিবন্ধ: মহাকাব্য

    মহাকাব্য হচ্ছে দীর্ঘ ও বিস্তৃত কবিতা বিশেষ। সাধারণত দেশ কিংবা সংস্কৃতির বীরত্ব গাঁথা এবং ঘটনাক্রমের বিস্তৃত বিবরণ এতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়। সুপ্রাচীনকালে মুখে মুখে প্রচলিত কবিতাসমগ্রও মহাকাব্যের মর্যাদা পেয়েছে। মহাকাব্য নিয়ে আলবার্ট লর্ড এবং মিলম্যান প্যারি গবেষণা করেছেন। তারা উভয়েই যুক্তিপ্রদর্শন সহকারে ঐকমত্য পৌঁছেছেন যে, আধুনিককালের মহাকাব্যগুলো প্রকৃত অর্থে প্রাচীনকালের মৌখিকভাবে প্রচলিত ও প্রচারিত কবিতাসমগ্রেরই শ্রেণিবিভাগ মাত্র।

    নাট্যকাব্য

    বিদ্রুপাত্মক কবিতা

    এ ধরনের কবিতায় মূলত কবি তার কাব্য শৈলীতে কোনো সামাজিক,রাষ্ট্রীয়,বৈশ্বিক অবক্ষয় গুলোকে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে ফুটিয়ে তোলেন,নিজের চিন্তাশক্তি দ্বারা পাঠকের মনে আনন্দ অনুভূতি সৃষ্টির মাধ্যমে সচেতনতা প্রবেশে সাহায্য করেন।এ ধরনের কবিতা কোনো ব্যাক্তি,ঘটনা কিংবা স্থান কে কেন্দ্র করে লিখে থাকেন।

    গীতিকাব্য

    মূল নিবন্ধ: গীতি কাব্য

    শোককাব্য

    শোক বা দুঃখ অর্থাৎ স্যাডনেস, ফ্রাস্ট্রেশন থেকে উদ্ভূত কবিমনের মর্মবাণী হলো শোককাব্য। মৃত্যুতে শোকাহত কবিমনের জীবন ও মৃত্যুর যথার্থ উপলব্ধি এই ধরনের কবিতা বা কাব্যে প্রকাশিত হয় একটি বিখ্যাত কাব্যের মধ্যে রয়েছে অক্ষয় কুমার বড়ালের “এষা” নামক শোককাব‍্য।

    পদ্য আখ্যান

    গদ্য কবিতা

    গদ্য কবিতা বলতে সে সব কবিতাকে বুঝায় যেগুলো গদ্যে লিখিত হয়। এগুলো পদ্য ও গদ্যের সংমিশ্রণে সৃষ্ট। প্রকৃতির বাস্তবতার কাব্যিক ব্যঞ্জনার নাম গদ্য কবিতা। গদ্য কবিতা প্রাচীন যুগে স্কলারদের দ্বারা প্রথম লিখিত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে নাম-না-জানা কয়েকজন লেখক ইংরেজিতে গ্রিক ও হিব্রু বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন; এই অনুবাদের ভাষায় আশ্চর্য শক্তি এদের মধ্যে কাব্যের রস ও রূপকে নিঃসংশয়ে পরিস্ফুট করেছে। এই গানগুলোতে গদ্যছন্দের ব্যবহার রয়েছে। ১৮৪২ সালে প্রকাশিত হয় Aloysius Bertand-এর Gespard La nuit; যা গদ্য কবিতাকে প্রথম স্বীকৃতি এনে দেয়। এর ছন্দোময় ও কাব্যিক ভাষায় আকৃষ্ট হয়ে পরবর্তীতে অনেককে এ জাতীয় কবিতা লেখাতে আগ্রহী হন। ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয় Bandelaire-এর Petis poems en Prose। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে Rimbond, Oscar Wilde, Amy Lowell এই ধারায় লেখেন। ভার্জিনিয়া উল্‌ফ তার Gertrnde Stien- ÔTender Buttons উপন্যাসে এই ধারায অনুসরণ করেন। এটির সূচনা হয় ফ্রান্স থেকে এবং পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আমেরিকায় Pablo Neruda ও Borges, রাশিয়ার Turgenev, ইতালীতে Marinetti এবং ডেনমার্কে J. B. Jacobson, উত্তর আমেরিকায় Whitman, Robert Bly, W. S. Merwin প্রমুখ এই ধারার স্বার্থক ও প্রমাণিত কবি।

    তবে এটিকে কবিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে গদ্য কবিতা একটি বিশেষ ধারার কবিতা; কেননা এটা রূপক ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। অপর কারো মতে গদ্য কবিতা গদ্য। আধুনিকবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টি.এস.এলিয়ট গদ্য কবিতার বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন, যদিও তিনি নিজে দু-একটি চেষ্টাও করেছেন এই ধারায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেছেন — গদ্যকাব্য নিয়ে সন্দিগ্ধ পাঠকের মনে তর্ক চলছে। এতে আশ্চর্যের বিষয় নেই। ছন্দের মধ্যে যে বেগ আছে সেই বেগের অভিঘাত রসগর্ভ বাক্য সহজে হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করে, মনকে দুলিয়ে তোলে, এ কথা স্বীকার করতে হবে। তবে ছন্দটাই যে ঐকান্তিকভাবে কাব্য তা নয়। কাব্যের মূল কথাটা আছে রসে, ছন্দটা এই রসের পরিচয় দেয় তার অনুষঙ্গ হয়ে। সহায়তা করে দুই দিক থেকে। এক হচ্ছে স্বভাবতই তার দোলা দেবার শক্তি আছে, আর-এক হচ্ছে পাঠকের চির অভ্যস্ত সংস্কার। এই সংস্কারের কথাটা ভাববার বিষয়। একদা নিয়মিত অংশে বিভক্ত ছন্দই সাধু কাব্য ভাষায় একমাত্র পাঙ্কতেয় পদ্য ছিল। তখন ছন্দে মিল রাখাও ছিল অপরিহার্য। এমন সময় মধুসূদন বাংলা সাহিত্যে আমাদের সংস্কারের প্রতিকূলে আনলেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। তাতে রইল না মিল। তাতে লাইনের বেড়াগুলি সমানভাবে সাজানো বটে,কিন্তু ছন্দের পদক্ষেপ চলে ক্রমাগত বেড়া ডিঙিয়ে। অর্থাৎ এর ভঙ্গি পদ্যের মতো কিন্তু ব্যবহার চলে গদ্যের চালে। অমিত্রাক্ষর ছন্দের মিলবর্জিত অসমতাকে কেউ কাব্যরীতির বিরোধী বলে কাজ মনে করেন না। অথচ পূর্বতন বিধানকে এই ছন্দ বহুদূর লঙ্ঘন করে গেছে। কাজটা সহজ হয়েছিল, কেননা তখনকার ইংরেজি শেখা পাঠকেরা মিল্টন-শেক্স্পীয়রের ছন্দকে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কী হতে পারে এবং হতে পারে না, তা হওয়ার উপরই নির্ভর করে, লোকের অভ্যাসের উপর করে না, এ কথাটা ছন্দই পূর্বেই প্রমাণ করেছে। আজ গদ্যকাব্যের উপর প্রমাণের ভার পড়েছে যে, গদ্যেও কাব্যের সঞ্চারণ অসাধ্য নয়। এই ধারাবাহিকতায় আমরা গদ্যকবিতানির্ভর সবুজ তাপস (কাব্যগ্রন্থ) পেয়েছি এবং এর মতো আরও আরও কবিতার বই পাবো।

  • প্যারাফাইলি

    প্যারাফাইলি কথাটা জীববিজ্ঞান আর ভাষাতত্ত্ব উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় এমন কোনো গোষ্ঠীকে বোঝাতে, যা উৎপত্তির (বা বিবর্তনের) বিচারে কোনো এক বিশেষ বিন্দুতে অন্য কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর থেকে আলাদা হয়ে গেছে। জীববিজ্ঞানের ভাষায়,

    প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠী = কোনো সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত সমস্ত প্রজাতি – এক বা একাধিক মনোফাইলেটিক গোষ্ঠী।

    এই বহির্ভূত মনোফাইলেটিক গোষ্ঠীগুলোর সাপেক্ষে প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর প্যারাফাইলি নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, সরীসৃপদেরকে প্রথাগতভাবে পাখি ও স্তন্যপায়ীদের সাপেক্ষে প্যারাফাইলেটিক বিবেচনা করা হয়, কারণ একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত সমস্ত জীবিত সরীসৃপ ও বিলুপ্ত স্তন্যপায়ী-সদৃশ সরীসৃপ এদের অন্তর্গত, শুধু পাখি ও স্তন্যপায়ী ছাড়া, যারা ঐ পূর্বপুরুষেরই দুই বিশেষ ধারার বংশধর। অন্যান্য পরিচিত প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর মধ্যে মাছ আর টিকটিকিরা উল্লেখযোগ্য।

    জাতিজনি

    প্রাইমেট-দের ক্ল্যাডোগ্রাম। এখানে দেখা যাচ্ছে একটা মনোফাইলি (সমস্ত সিমিয়ান, হলুদ রঙ), একটা প্যারাফাইলি (সমস্ত প্রোসিমিয়ান, নীল রঙ, লাল অংশ সমেত) এবং একটা পলিফাইলি (নিশাচর প্রাইমেট, লাল রঙ, লরিস আর টার্সিয়ার)।

    মনোফাইলেটিক গোষ্ঠীসমূহের সাথে সম্পর্ক

    যে সমস্ত গোষ্ঠী কোনো এক সাধারণ পূর্বপুরুষের সমস্ত উত্তরসূরীকে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের মনোফাইলেটিক বলা হয়। একটা মনোফাইলেটিক গোষ্ঠী থেকে এক বা একাধিক ‘ক্লেড’ বা অন্তর্ভুক্ত ক্ষুদ্রতর মনোফাইলেটিক অংশ সরিয়ে নিলে অবশিষ্ট অংশকে ‘প্যারাফাইলি’ বা ‘প্যারাফাইলেটিক’ গোষ্ঠী বলে। এরেশেফস্কি বলেছেন যে প্যারাফাইলি হল এই সরিয়ে নেওয়া ক্ষুদ্রতর গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অ্যানাজেনেসিসের ফল।[১] যেমন, ডাইনোসরেরা হল পাখিদের সাপেক্ষে প্যারাফাইলেটিক, কারণ পাখিদের দেহে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য আছে যা ডাইনোসরদের দেহে নেই, এবং এর ফলে পাখিরা সম্পূর্ণ আলাদা একটা শ্রেণী হিসেবে গণ্য হয়।

    বিবর্তনের আলাদা আলাদা ধারায় আবির্ভূত কিছু বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্যের ভিত্তিতে যে সমস্ত গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করা হয় তারা হল পলিফাইলেটিক (গ্রিক πολύς [পলিস্]/’বহু’)। বৃহত্তর অর্থে এমন যে কোনো ট্যাক্সন বা গোষ্ঠী যা মনোফাইলেটিকও নয় আবার প্যারাফাইলেটিকও নয়, তাদের পলিফাইলেটিক বলা যায়।

    এই পরিভাষাগুলোর প্রচলন হয়েছিল ১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকে, ক্ল্যাডিস্টিক্স বিদ্যার উদ্ভব ও তৎসংক্রান্ত নানা আলোচনার সূত্র ধরে।

    প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর উদাহরণ

    পুরোনো শ্রেণীবিন্যাস ব্যবস্থায় চিহ্নিত অনেক গোষ্ঠীই প্যারাফাইলেটিক, এবং এদের মধ্যে প্রথাগত রাজ্য নির্ভর তত্ত্বটিও পড়ে। এছাড়া মেরুদন্ডীদের প্রথাগত বিভাগগুলোতেও প্যারাফাইলির উপস্থিতি চোখে পড়ার মত। পরিচিত কয়েকটা প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর উদাহরণ হলː

    • সপুষ্পক উদ্ভিদ-দের মধ্যে দ্বিবীজপত্রীরা প্যারাফাইলেটিক, কারণ তাদের মধ্যে থেকে একবীজপত্রীদের বাদ দেওয়া হয়। আইসিবিএন অনুসৃত শ্রেণীবিন্যাস পদ্ধতিতে কয়েক দশক ধরে “দ্বিবীজপত্রী” নামটার আনুষ্ঠানিক ব্যবহার হয়নি, যদিও ম্যাগনোলিওফাইটার সমার্থক শব্দ হিসেবে এর ব্যবহার আছে।[note ১] ম্যাগনোলিওফাইটা অর্থাৎ ভূতপূর্ব গুপ্তবীজী উদ্ভিদগোষ্ঠীর মধ্যে দুটো বিভাগকেই ধরা হত। পরবর্তীকালে জাতিজনি শ্রেণীবিন্যাস থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে একবীজপত্রীরা বাস্তবিক এক রকম দ্বিবীজপত্রী পূর্বপুরুষ থেকেই উদ্ভূত। তাই একবীজপত্রীদের বাদ দিলে অবশিষ্ট দ্বিবীজপত্রীরা একটা প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠী।[২]
    • আর্টিওড্যাক্টাইলা বর্গটা (যুগ্ম খুরবিশিষ্ট আনগুলেট) প্যারাফাইলেটিক, কারণ এদের মধ্যে থেকে সিটাসিয়ানদের (তিমি, ডলফিন প্রভৃতি) বাদ দেওয়া হয়। আইসিজেডএন নির্দেশক অনুযায়ী দুটো গোষ্ঠীই সমান পর্যায়ের বর্গ। কিন্তু আণবিক স্তরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে সিটাসিয়ানরা প্রকৃতপক্ষে আর্টিওড্যাক্টাইল পূর্বপুরুষদের থেকেই বিবর্তিত হয়েছে, যদিও তাদের অভ্যন্তরীণ বিবর্তনের বিভিন্ন ধারা তথা জাতিজনি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিটাসিয়ান উত্তরসূরীদের বাদ দিলে অবশিষ্ট আর্টিওড্যাক্টাইলরা অবশ্যই প্যারাফাইলেটিক।[৩]
    • প্রথাগত শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সরীসৃপ শ্রেণীটি প্যারাফাইলেটিক, কারণ এদের মধ্যে থেকে স্তন্যপায়ী এবং পাখিদের বাদ দেওয়া হয়। আইসিজেডএন কোড অনুযায়ী তিনটি ট্যাক্সনই সমান পর্যায়ের শ্রেণী। যদিও স্তন্যপায়ীরা বিবর্তিত হয়েছে স্তন্যপায়ী-সদৃশ সরীসৃপ থেকে, আর পাখিরা এসেছে ডায়াপসিডদের একটা শাখা ডাইনোসর থেকে; আর এই দুই প্রাণীগোষ্ঠীই (স্তন্যপায়ী-সদৃশ সরীসৃপ ও ডাইনোসর) সরীসৃপদের অন্তর্গত।[৪]
    • ইউক্যারিওটদের বাদ দিলে প্রোক্যারিওটরা প্যারাফাইলেটিক, কারণ ইউক্যারিওটরা তাদেরই উত্তরসূরী। ব্যাক্টেরিয়াআর্কিয়া প্রোক্যারিওট, কিন্তু আর্কিয়াইউক্যারিওটরা এক সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত যাদের ব্যাক্টেরিয়ার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। প্রোক্যারিওট/ইউক্যারিওট বিভাজনের ধারণাটির উদ্ভাবক এডুয়ার্ড চ্যাটন, এবং ১৯৩৭ খ্রিঃ তিনি এর প্রবর্তন করার পর[৫] ১৯৬২ খ্রিঃ রজার স্ট্যানিয়ার ও সি. বি. ভান নীল কর্তৃক এটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। উদ্ভিদবিদ্যার নামকরণ সংস্থা (ভূতপূর্ব আইসিবিএন, এখন আইসিএন) ১৯৭৫ খ্রিঃ ব্যাক্টেরিয়ার নামকরণ নিয়ে মাথা ঘামানো বন্ধ করে দেয়। ১৯৮০ এর ১লা জানুয়ারী থেকে প্রোক্যারিওটদের নামকরণের তত্ত্বাবধানে রয়েছে আইসিএনবি (আইসিবিএন/আইসিএন এই কাজটা করে আসছিল ১৭৫৩ খ্রিঃ থেকে)।[৬]
    • অস্থিবিশিষ্ট মাছ বা অস্টিক্‌থিসরা প্যারাফাইলেটিক, কারণ অ্যাক্টিনোপ্টেরিজিয়াইসার্কোপ্টেরিজিয়াই – এই দুই গোষ্ঠী নিয়ে অস্টিক্‌থিস গঠিত, এবং চতুষ্পদরা এদের সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হলেও অস্টিক্‌থিসদের মধ্যে চতুষ্পদদের গণ্য করা হয় না।[৭]

    প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর ব্যবহার

    বিবর্তনের ধারায় স্বতন্ত্র কিছু বৈশিষ্ট্যের উদ্ভবের ফলে যখন কোনো জীবগোষ্ঠী তার বৃহত্তর জনিতৃ গোষ্ঠী থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা হয়ে যায় (গঠনগত ও আচরণগত দিক দিয়ে), তখন ঐ জনিতৃ গোষ্ঠীর বাকি সদস্যদের বাদ দিয়ে অবশিষ্ট প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর চর্চা বেশি যুক্তিযুক্ত হয়। যেমন, নিওজিন যুগে আর্টিওড্যাক্টাইলা বা যুগ্ম খুরওয়ালা আনগুলেটদের বিবর্তন তাদেরই জ্ঞাতি সিটাসিয়া বা তিমি-ডলফিনদের থেকে এত বেশি আলাদা পরিবেশে হয়েছে যে হামেশাই সিটাসিয়াদের বাদ দিয়ে শুধু আর্টিওড্যাক্টাইলার আলোচনা করা হয়। প্রোক্যারিওট গোষ্ঠীটাও আর একটা উদাহরণ। এরাও প্যারাফাইলেটিক কারণ এদের অনেক বংশধরকে (ইউক্যারিওট প্রভৃতি) এদের থেকে আলাদা ধরা হয়, কিন্তু এভাবে আলোচনার সুবিধেও অনেক, কারণ একটা স্পষ্ট বৈশিষ্ট্য এদেরকে ইউক্যারিওটদের থেকে আলাদা করে রেখেছে; তা হল প্রকৃত নিউক্লিয়াসের অনুপস্থিতি।

    বিবর্তনের নানা সন্ধিক্ষণেও অনেক প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল। যেমন, প্রথম চতুষ্পদদের বিবর্তনের ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য। চতুষ্পদদের পূর্বপুরুষদের চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত যে কোনো নাম (মাছ প্রভৃতি) বাধ্যতামূলকভাবে প্যারাফাইলেটিক, কারণ তাদের মধ্যে থেকে চতুষ্পদদের বাদ দেওয়া হয়।[৮]

    বিবর্তনীয় গ্রেড” কথাটা মাঝে মাঝে প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠীর সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৯]

    পরস্পর সদৃশ অথচ স্বতন্ত্রভাবে বিবর্তিত বৈশিষ্ট্য

    মানুষ এবং অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণী জোলো স্কিংক (Southern Water Skink) নামক সরীসৃপের পূর্বপুরুষদের মধ্যে আলাদাভাবে জরায়ুজতা (Vivipary) বা ডিম না পেড়েই সন্তানের জন্ম দেওয়ার ক্ষমতার উদ্ভব হয়েছিল। অন্যভাবে বলতে গেলে, এই দুই প্রজাতির সাম্প্রতিকতম সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তিত অন্তত কোনো একটি শাখায় অণ্ডজ প্রাণীর উপস্থিতি ছিল; যেমন মানুষের বিবর্তনের একটা পর্যায়ে আসা পেলিকোসররা অণ্ডজ ছিল। জরায়ুজতার উদ্ভব পরবর্তীকালে হয়েছে।

    স্বতন্ত্রভাবে বিবর্তিত এই রকম বৈশিষ্ট্যকে প্যারাফাইলেটিক বলা যায় না, কারণ প্যারাফাইলি হতে গেলে বাদ পড়া গোষ্ঠীগুলোকে মনোফাইলেটিক হতে হয়। পেলিকোসরেরা মানুষ আর স্কিংকদের সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, তাই জরায়ুজতাকে তখনই প্যারাফাইলেটিক বলা যেত যদি স্কিংকদের ধারা বাদে বাকি পেলিকোসরেদের সমস্ত উত্তরসূরীরা অণ্ডজ হত। বাস্তবে তা হয়নি, কারণ মানুষও তাদের অন্যতম উত্তরসূরী। তাই মানুষ ও স্কিংক সমেত জরায়ুজ প্রাণীদের গোষ্ঠী প্যারাফাইলেটিক নয়।

    প্যারাফাইলি নয়

    ভাষাতত্ত্ব

    মূল নিবন্ধ: বৃক্ষ নকশা

    প্যারাফাইলির ধারণা ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হয়েছে, কেননা এই ক্ষেত্রটিতে ক্ল্যাডিস্টিক পদ্ধতিগুলো বিভিন্ন ভাষার তুলনামূলক আলোচনায় সহায়ক। যেমন, ফর্মোসান ভাষাগোষ্ঠীটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষাসমূহের একটি প্যারাফাইলেটিক গোষ্ঠী, কেননা এর অন্তর্গত নয়টি শাখা অস্ট্রোনেশীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত কিন্তু মালয়ো-পলিনেশীয় নয়, আর ভৌগোলিক ভাবে তাইওয়ান দ্বীপে সীমাবদ্ধ।[১০]

    টীকা

    1. The history of flowering plant classification can be found under History of the classification of flowering plants.

    তথ্যসূত্র

    http://books.google.ca/books?id=ucilIjrex5cC&pg=PA9&lpg=PA9&dq=paraphyletic+anagenesis&oi=book_result&ct=result&resnum=1&#v=onepage&q=paraphyletic%20anagenesis&f=falseSimpson 2006, পৃ. 139–140. “It is now thought that the possession of two cotyledons is an ancestral feature for the taxa of the flowering plants and not an apomorphy for any group within. The ‘dicots’ … are paraphyletic ….” O’Leary, Maureen A. (২০০১)। “The phylogenetic position of cetaceans: further combined data analyses, comparisons with the stratigraphic record and a discussion of character optimization”American Zoologist41 (3): 487–506। ডিওআই:10.1093/icb/41.3.487Romer, A. S. & Parsons, T. S. (1985): The Vertebrate Body. (6th ed.) Saunders, Philadelphia. Sapp, Jan (জুন ২০০৫)। “The prokaryote–eukaryote dichotomy: meanings and mythology”Microbiology and Molecular Biology Reviews69 (2): 292–305। ডিওআই:10.1128/MMBR.69.2.292-305.2005পিএমআইডি15944457পিএমসি1197417অবাধে প্রবেশযোগ্য। Stackebrabdt, E.; Tindell, B.; Ludwig, W.; Goodfellow, M. (১৯৯৯)। “Prokaryotic Diversity and Systematics”। Lengeler, Joseph W.; Drews, Gerhart; Schlegel, Hans Günter। Biology of the prokaryotes। Stuttgart: Georg Thieme Verlag। পৃষ্ঠা 679। A Tree of Life Kazlev, M.A. and White, T.। “Amphibians, Systematics, and Cladistics”Palaeos website। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১২। Dawkins, Richard (২০০৪)। “Mammal-like Reptiles”। The Ancestor’s Tale, A Pilgrimage to the Dawn of Life। Boston: Houghton Mifflin Company। আইএসবিএন0-618-00583-8

    1. Greenhill, Simon J. and Russell D. Gray. (2009.) “Austronesian Language and Phylogenies: Myths and Misconceptions About Bayesian Computational Methods,” in Austronesian Historical Linguistics and Culture History: a Festschrift for Robert Blust, edited by Alexander Adelaar and Andrew Pawley. Canberra: Pacific Linguistics, Research School of Pacific and Asian Studies, The Australian National University.

    বইপত্র

    বহিঃসংযোগ

    উইকিঅভিধানে প্যারাফাইলি শব্দটি খুঁজুন।

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • ধ্বনিতত্ত্ব

    ধ্বনিতত্ত্ব (ইংরেজি: Phonology) ভাষাবিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে কোন নির্দিষ্ট ভাষার ধ্বনি-ব্যবস্থা আলোচিত হয়। এতে বাক ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সৃজিত ধ্বনির ভৌত উৎপাদন ও অনুধাবন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

    ধ্বনিতত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল একটি ভাষার স্বলক্ষণযুক্ত (distinctive) পৃথক পৃথক ধ্বনি-এককগুলি বের করা । উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজিতে /p/ এবং /b/ দুইটি পৃথক ধ্বনি-একক । “pin” ও “bin” ন্যূনতম জোড়ে এই ঘটনাটি পরিলক্ষিত হয় , যে শব্দজোড়ে কেবল একটি ধ্বনির ক্ষেত্রে পার্থক্য ঘটেছে।

    ধ্বনি: ভাষার ক্ষুদ্রতম উপাদান হলো ধ্বনি। ফুসফুস থেকে নির্গত বাতাস গলার মধ্য দিয়ে মুখের মাধ্যমে বের হওয়ার পথে গলার ভিতরে থাকা বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করে বিভিন্ন রকমের শব্দের সৃষ্টি করে। এই শব্দগুলো হলো আওয়াজ। আওয়াজ যখন ভাষার নিদিষ্ট কোনো চিহ্নকে কল্পনা করতে সাহায্য করে তখন তাকে ধ্বনি বলে। ‘অ’; ‘আ’; ‘ক’; ‘খ’ একেকটা ধ্বনি। আওয়াজকে ধ্বনিতে রূপ দিতে গলার যে সব স্থানে বাতাসের স্পর্শ হয়, সে সব স্থানকে বাকযন্ত্র বলে। ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান হলেও, ধ্বনির একক কোনো অর্থ হয় না। ধ্বনির সাথে ধ্বনি একত্র হয়ে সৃষ্টি করে শব্দ আর শব্দ থেকে বাক্য গঠনের মথ্য দিয়ে ভাষার প্রকাশ হয়। ভাষাবিজ্ঞানের ধ্বনিতত্ত্ব বিভাগে ধ্বনির গঠন, বিকৃতি, পুনগঠন ও পরিবর্তনগুলো আলোচিত হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় ভাষার ধ্বনিগুলো সাধারণত উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্ব, মূলধ্বনিতত্ত্ব ও শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

    উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্ব: উচ্চারণীয় ধ্বনিতত্ত্বে বাকযন্ত্রের সহায়তায় ধ্বনিগঠন ও পরিবর্তনের দিক আলোচনা হরা হয়।

    মূলধ্বনিতত্ত্ব: মূলধ্বনিতত্ত্বে ব্যবহারিক ধ্বনির বৈশিষ্ট, বিন্যাস বিশ্লেশণ করা হয়।

    শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্ব: শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বে ধ্বনিগঠনের সময় গলা ও মুখের বিভিন্ন অংশে (বাকযন্ত্রের) বাতাসের যে বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি হয়ে তরঙ্গের সৃষ্টি করে, তারই পর্যালোচনা হয় এই শ্রুতিগতধ্বনিতত্ত্বের মাধ্যমে।

    ধ্বনির প্রকারভেদ।।

    ধ্বনিতত্ত্ব অনুসারে সকল ধ্বনিকে দু’ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথাক্রমে –

    1. স্বরধ্বনি
    2. ব্যাঞ্জনধ্বনি
    ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন।
    দেভাষাবিজ্ঞান
    ভাষা·পৃথিবীর ভাষাসমূহ·ভাষা পরিবারসমূহ·লিখন পদ্ধতি·পৃথিবীর লিখন পদ্ধতিসমূহ·ইশারা ভাষা
    ভাষিক তথ্য
    আহরণ
    ক্ষেত্রানুসন্ধানমূলক ভাষাবিজ্ঞান·ভাষাংশ ভাষাবিজ্ঞান
    তত্ত্বীয়
    ভাষাবিজ্ঞান
    বর্ণনামূলক/এককালিক ভাষাবিজ্ঞান·ধ্বনিতত্ত্ব·ধ্বনিবিজ্ঞান·রূপমূলতত্ত্ব·রূপধ্বনিতত্ত্ব·বাক্যতত্ত্ব·সঞ্জননী ব্যাকরণ·বাগর্থবিজ্ঞান·ভাষাতাত্ত্বিক শ্রেণীকরণবিদ্যা
    ভাষা
    ও সমাজ
    প্রয়োগতত্ত্ব·অধিবাচন বিশ্লেষণ·ক্রিয়াবাদী ভাষাবিজ্ঞান·সমাজভাষাবিজ্ঞান·নৃতাত্ত্বিক ভাষাবিজ্ঞান·জাতিভাষাবিজ্ঞান
    ঐতিহাসিক
    ভাষাবিজ্ঞান
    ভাষা পরিবারসমূহ·তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান·ব্যুৎপত্তি·ব্যক্তিগত ভাষার বিবর্তনতত্ত্ব·স্থান-নাম তত্ত্ব
    ফলিত
    ভাষাবিজ্ঞান
    উপভাষাতত্ত্ব·ভৌগোলিক ভাষাবিজ্ঞান·মনোভাষাবিজ্ঞান·অভিধানবিজ্ঞান·গাণিতিক বা পরিগণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান·মাতৃভাষা অর্জন·দ্বিতীয় ভাষা অর্জন·বহুভাষিকতা·আদালতি ভাষাবিজ্ঞান·চিকিৎসা ভাষাবিজ্ঞান·ভাষানুবাদ·ভাষা পরিকল্পনা·শিক্ষামূলক ভাষাবিজ্ঞান·স্নায়ুভাষাবিজ্ঞান
    ইতিহাসভাষার উৎস·ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাস
    ভাষাবিজ্ঞান
    ও সাহিত্য
    সাংস্কৃতিক ভাষাতত্ত্ব·শৈলীবিজ্ঞান·ছন্দোবিজ্ঞান·অলংকারশাস্ত্র
    অন্যান্যভাষাবিজ্ঞানীদের তালিকা·অমীমাংসিত সমস্যাসমূহ·পরিভাষা·সংকেতবিজ্ঞান

    বিষয়শ্রেণীসমূহ:

  • আদালতি ভাষাবিজ্ঞান

    আদালতি ভাষাবিজ্ঞান (ইংরেজি Forensic linguistics বা legal linguistics) ভাষা, আইন, অপরাধবিচার সংক্রান্ত ব্যাবহারিক শাস্ত্র। এটি ভাষাবিজ্ঞানের একটি ব্যাবহারিক শাখা।

    আদালতি ভাষাবিজ্ঞানের তিনটি প্রধান ব্যাবহারিক এলাকা আছে:[১]

    • লিখিত আইন বা বিধির ভাষা অনুধাবন
    • অপরাধ অনুসন্ধান ও বিচার পদ্ধতিতে ভাষার ব্যবহার অনুধাবন
    • ভাষাগত প্রমাণ

    ভাষাবিজ্ঞানী ইয়ান সোয়ার্তিক ১৯৬৮ সালে প্রথমবারের মত আদালতি ভাষাবিজ্ঞান বা forensic linguistics পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। [২]

  • হাত্তীক ভাষা

    হাত্তীক বা হাত্তীয় ভাষা হল একটি অ-ইন্দো-ইউরোপীয় এগলুটিনেটিভ ভাষা[৩][৪], যা খ্রিষ্টপুর্ব ২য় থেকে ৩য় শতাব্দীতে এশিয়া মাইনরের হাইতীর অধিবাসীগণের কথ্য ভাষা ছিল। ভাষাবিদদের মতে হাত্তীয় ভাষা হিট্টিট সাম্রাজের ইন্দো-ইউরোপীয় হিট্টিট ভাষা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ভাষা।[৫]

    শব্দ তালিকা

    জানার জন্য কিছু শব্দ:

    • alef = “ভাষা”
    • ashaf = “আল্লাহ”
    • fa-zari = “মানবজাতি-জনসংখ্যা”
    • fel = “বাড়ী”
    • *findu = “শরাব”
    • fur = “ভূমি”
    • Furun-Katte = “ভুমি রাজা”, হাত্তীয় যুদ্ধ দেবতা
    • Furu-Semu = হাত্তীয় সূর্য দেবী
    • Hanfasuit = হাত্তীয় সিংহাসন দেবী
    • hilamar = “মন্দির”
    • Kasku = হাত্তীয় চন্দ্র দেবতা
    • katte = “রাজা”
    • -nifas = “বসা”
    • pinu = “শিশু”
    • zari = “মরণশীল”
    • -zi = “রাখা”