Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১-২২

    সূচক০.৭৩২
    গড় আয়ু৭১.৪ বছর
    মাথাপিছু আয়১৬,৭৫২ মার্কিন ডলার
    শীর্ষ দেশসুইজারল্যান্ড (সূচক ০.৯৬২)
    সর্বনিম্ন দেশদক্ষিণ সুদান (সূচক ০.৩৮৫)
    গড় আয়ুতে শীর্ষেহংকং (৮৫.৫ বছর)
    গড় আয়ুতে সর্বনিম্নশাদ (৫২.৫ বছর)
    মাথাপিছু আয় (ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে) শীর্ষেলিচটেনস্টাইন (১,৪৬,৮৩০ মার্কিন ডলার)
    মাথাপিছু আয় (ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে) সর্বনিম্নবুরুন্ডি (৭৩২ মার্কিন ডলার)

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
    সূচক০.৬৬১
    গড় আয়ু৭২.৪ বছর • পুরুষ : ৭০.৬ বছর • নারী : ৭৪.৩ বছর
    মাথাপিছু আয় (ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে)৫,৪৭২ মার্কিন ডলার • পুরুষ : ৮,১৭৬ মার্কিন ডলার • নারী : ২,৮১১ মার্কিন ডলার

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ২৭-৩১তম প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
    যততমপ্রকাশদেশ ও অঞ্চলঅবস্থান
    ২৭২১ মার্চ ২০১৭১৮৮১৩৯তম
    ২৮১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮১৮৯১৩৬তম
    ২৯৯ ডিসেম্বর ২০১৯১৮৯১৩৫তম
    ৩০১৫ ডিসেম্বর ২০২০১৮৯১৩৩তম
    ৩১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২১৯১১২৯তম
    প্রতিবেদনে শীর্ষ ১০ দেশ
    অবস্থানদেশসূচকগড় আয়ু (বছর)মাথাপিছু আয় (PPP) মা. ড
    ০১সুইজারল্যান্ড০.৯৬২৮৪.০৬৬,৯৩৩
    ০২নরওয়ে০.৯৬১৮৩.২৬৪,৬৬০
    ০৩আইসল্যান্ড০.৯৫৯৮২.৭৫৫,৭৮২
    ০৪হংকং০.৯৫২৮৫.৫৬২,৬০৭
    ০৫অস্ট্রেলিয়া০.৯৫১৮৪.৫৪৯,২৩৮
    ০৬ডেনমার্ক০.৯৪৮৮১.৪৬০,৩৬৫
    ০৭সুইডেন০.৯৪৭৮৩.০৫৪,৪৮৯
    ০৮আয়ারল্যান্ড০.৯৪৫৮২.০৭৬,১৬৯
    ০৯জার্মানি০.৯৪২৮০.৬৫৪,৫৩৪
    ১০নেদারল্যান্ডস০.৯৪১৮১.৭৫৫,৯৭৯
    প্রতিবেদনে সর্বনিম্ন ১০ দেশ
    অবস্থানদেশসূচকগড় আয়ু (বছর)মাথাপিছু আয় (PPP) মা. ড
    ১৯১দক্ষিণ সুদান০.৩৮৫৫৫.০৭৬৮
    ১৯০শাদ০.৩৯৪৫২.৫১৩৬৪
    ১৮৯নাইজার০.৪০০৬১.৬১২৪০
    ১৮৮মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র০.৪০৪৫৩.৯৯৬৬
    ১৮৭বুরুন্ডি০.৪২৬৬১.৭৭৩২
    ১৮৬মালি০.৪২৮৫৮.৯২১৩৩
    ১৮৫মােজাম্বিক০.৪৪৬৫৯.৩১,১৯৮
    ১৮৪বুরকিনা ফাসাে০.৪৪৯৫৯.৩২,১১৮
    ১৮৩ইয়েমেন০.৪৫৫৬৩.৮১,৩১৪
    ১৮২গিনি০.৪৬৫৫৮.৯২,৪৮১
    ক্যাটাগরিভিত্তিক মােট দেশ, শীর্ষ ও সর্বনিম্ন দেশ
    ক্যাটাগরিদেশশীর্ষ দেশসর্বনিম্ন দেশ
    অতি উচ্চ৬৬সুইজারল্যান্ড (প্রথম)থাইল্যান্ড (৬৬তম)
    উচ্চ৪৯আলবেনিয়া (৬৭তম)ভিয়েতনাম (১১৫তম)
    মধ্যম৪৪ফিলিপাইন (১১৬তম)আইভরিকোস্ট (১৫৯তম)
    নিম্ন৩২তানজানিয়া (১৬০তম)দক্ষিণ সুদান (১৯১তম)
    প্রতিবেদনে সার্কভুক্ত দেশ
    সূচকেশীর্ষ : শ্রীলংকাসর্বনিম্ন : আফগানিস্তান
    গড় আয়ুতেশীর্ষ : মালদ্বীপসর্বনিম্ন : আফগানিস্তান
    মাথাপিছু আয়েশীর্ষ : মালদ্বীপসর্বনিম্ন : আফগানিস্তান
    অবন্থানদেশসূচকগড় আয়ু (বছর)মাথাপিছু আয় (PPP) মা. ড
    ৭৩শ্রীলংকা০.৭৮২৭৬.৪১২,৫৭৮
    ৯০মালদ্বীপ০.৭৪৭৭৯.৯১৫,৪৪৮
    ১২৭ভুটান০.৬৬৭১.৮৯,৪৩৮
    ১২৯বাংলাদেশ০.৬১৭২.৪৫,৪৭২
    ১৩২ভারত০.৬৩৩৬৭.২৬,৫৯০
    ১৪৩নেপাল০.৬০২৬৮.৪৩,৮৭৭
    ১৬১পাকিস্তান০.৫৪৪৬৬.১৪,৬২৪
    ১৮০আফগানিস্তান০.৪৭৮৬২.০১,৮২৪
  • জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পথপরিক্রমা

    জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন লন্ডন ঘােষণা থেকে শুরু করে অনেকগুলাে বৈঠক-সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে এর।

    লন্ডন ঘােষণা : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ এই লন্ডন ঘােষণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একপর্যায়ে। জার্মানি ব্রিটেনকে আক্রমণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউরােপের ৯টি প্রবাসী সরকার অভিন্ন উদ্দেশ্যে একটি ঘােষণায় স্বাক্ষর করে। উদ্দেশ্য- বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা। সময়- ১৯৪১ সালের ১২ জুন। স্থান- লন্ডনের জেমস প্রাসাদ।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    আটলান্টিক সনদ : সময়টা ওই একই বছর। তথা ১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট। আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটিশ নৌতরি প্রিন্সেস অব ওয়েলসে বৈঠকে মিলিত হন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল। তারা বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ঘােষণা দেন, যা ‘আটলান্টিক সনদ’ নামে অভিহিত হয়। মূলনীতি ছিল ৮টি।

    ওয়াশিংটন ডিসি সম্মেলন : ১ জানুয়ারি ১৯৪২ সালে ওয়াশিংটনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সােভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের নেতারা। বৈঠকে আটলান্টিক সনদের প্রাসঙ্গিকতা ও কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করা হয়। নেতারা United Nations Declaration তথা জাতিসংঘ ঘােষণায় স্বাক্ষর করেন। এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ। ঘােষণা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।

    মস্কো সম্মেলন : সময়টা ১৯-৩০ অক্টোবর, ১৯৪৩ সাল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মস্কোতে মিলিত হন। এবং জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ৭ দফাবিশিষ্ট একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করেন।

    তেহরান সম্মেলন : ১৯৪৩ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে মিত্রবাহিনীর নেতারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এর কোড নেম ছিল-ইউরেকা।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    ভার্জিনিয়া সম্মেলন : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৪৩ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। সম্মেলনের ফল হিসেবে ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় খাদ্য ও কৃষি। সংস্থা (FAO)।

    কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন : ১৯৪৩ সালের ১৪-২৪ জানুয়ারি মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহরে অবস্থিত আনফা হােটেলে অনুষ্ঠিত হয় সম্মেলনটি। এর কোড নেম ছিল-SYMBOL.

    ব্রেটন উডস সম্মেলন : যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডসে অনুষ্ঠিত হয় এটি। সময়-জুলাই ১৯৪৪ সাল। এতে আইএমএফ, আইবিআরডি (বিশ্বব্যাংক) ও গ্যাট গঠনের সিদ্ধান্ত। গৃহীত হয়।

    ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন : ১৯৪৪ সালে ওয়াশিংটনের ডাম্বারটন ওকস ভবনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে United Nations Declarationটি United Nations Organization- এ রূপান্তরিত হয়। জাতিসংঘের রূপরেখা, নিরাপত্তা পরিষদ গঠন ও ৫টি স্থায়ী সদস্য নির্ধারণ করা হয়।

    ইয়াল্টা সম্মেলন : ১৯৪৫ সালে ক্রিমিয়ার ইয়াল্টায় অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৫টি স্থায়ী সদস্যদেশকে ‘ভেটো ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

    সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলন : ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই সম্মেলন। ২৬ জুন ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করেন। ১৫ অক্টোবর ৫১তম দেশ হিসেবে স্বাক্ষর করে পােল্যান্ড। ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে এ সনদ কার্যকর হয়।

    জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন সনদ অনুযায়ী, জাতিসংঘের মূল অঙ্গসংগঠন ৬টি।

    • সাধারণ পরিষদ (General Assembly) : প্রথম অধিবেশন- ১০ জানুয়ারি ১৯৪৬, সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক।
    • নিরাপত্তা পরিষদ (Security Council) : সদস্য- ১৫টি দেশ (স্থায়ী ৫ ও অস্থায়ী ১০)। সদর দপ্তর- জাতিসংঘের কনফারেন্স বিল্ডিং, নিউইয়র্ক।
    • অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (Economic and Social Council) : সদস্য-৫৪ সদর দপ্তর-জাতিসংঘের কনফারেন্স বিল্ডিং, নিউইয়র্ক।
    • সচিবালয় (Secretariat) : সংস্থাপ্রধান- মহাসচিব। সদর দপ্তর- নিউইয়র্ক।
    • অছি পরিষদ (Trusteeship Council) : ১৯৯৪ সালে এর কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
    • আন্তর্জাতিক আদালত (International Court of Justice) : বিচারক-১৫ জন। সদর দপ্তর- হেগ (নেদারল্যান্ডস)

    জাতিসংঘ সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ দিবস কবে?
    উত্তর : ২৪ অক্টোবর।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের মূলমন্ত্র (Motto) কী?
    উত্তর : এ পৃথিবী আপনার।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ কোনটি?
    উত্তর : লন্ডন ঘােষণা।

    প্রশ্ন : কোন সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিসংঘ ঘােষণা স্বাক্ষরিত হয়?
    উত্তর : ওয়াশিংটন ডিসি সম্মেলন।

    প্রশ্ন : ১৯৪৩ সালে অনুষ্ঠিত ‘তেহরান সম্মেলন’-এর সাংকেতিক নাম কী ছিল?
    উত্তর : ইউরেকা।

    প্রশ্ন : কোন সম্মেলনে ৫টি স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রকে ‘ভেটো ক্ষমতা প্রদান করা হয়?
    উত্তর : ইয়াল্টা সম্মেলন।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে লন্ডন ঘােষণা করা হয় কবে?
    উত্তর : ১২ জুন ১৯৪১

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ নামকরণ করা হয় কত সালে?
    উত্তর : ১৯৪৪ সালে (ডাম্বারটন ওকস সম্মেলনে)

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয় কত তারিখে?
    উত্তর : ২৬ জুন ১৯৪৫

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদ কার্যকর হয় কবে?
    উত্তর : ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদে ৫১তম দেশ হিসেবে পােল্যান্ড স্বাক্ষর করে কবে?
    উত্তর : ১৫ অক্টোবর ১৯৪৫

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদের ধারা কয়টি?
    উত্তর : ১১১টি

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের প্রস্তাবক কে ছিলেন?
    উত্তর : ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।

    প্রশ্ন : ১৯৬৫ সালের আগপর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্র কয়টি ছিল?
    উত্তর : ১১টি (৫টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী)।

    প্রশ্ন : নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাষ্ট্র কয়টি?
    উত্তর : ১৫টি

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের কোন পরিষদকে স্বস্তি পরিষদ বলা হয়?
    উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদ।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের মূল অঙ্গসংস্থা কয়টি?
    উত্তর : ৬টি।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের বর্তমান সদস্যরাষ্ট্রের সংখ্যা কত?
    উত্তর : ১৯৩টি।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের কতজন মহাসচিব এ পর্যন্ত এশিয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছেন?
    উত্তর : দুজন।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের মহাসচিবদের মধ্যে কতজন নােবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন?
    উত্তর : দুজন।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের সদর দপ্তরের স্থপতি কে?
    উত্তর : ডব্লিউ হ্যারিসন।

    প্রশ্ন : সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিটি দেশ প্রতিনিধি পাঠাতে পারে সর্বোচ্চ কতজন?
    উত্তর : ৫ জন

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের প্রথম এশীয় মহাসচিব কে ছিলেন?
    উত্তর : উ-থান্ট (মিয়ানমার)।

    প্রশ্ন : প্রতিষ্ঠাকালীন জাতিসংঘের সদস্য ছিল কয়টি?
    উত্তর : ৫১টি।

    প্রশ্ন : নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয় কত বছরের জন্য?
    উত্তর : দুই বছর।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের সর্বশেষ সদস্যরাষ্ট্র কোনটি?
    উত্তর : দক্ষিণ সুদান (১৯৩তম)।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদের রচয়িতা কে?
    উত্তর : আর্চিবাল্ড ম্যাকলেইশ

    প্রশ্ন : লাতিন শব্দ Veto’-এর অর্থ কী?
    উত্তর : আমি এটা মানি না

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের ইউরােপীয় সদর দপ্তর কোথায়?
    উত্তর : জেনেভা (সুইজারল্যান্ড)।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সচিবালয়ের প্রধানকে কী বলা হয়?
    উত্তর : সেক্রেটারি জেনারেল বা মহাসচিব

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ মহাসচিব নিযুক্ত হন কোন পরিষদের সুপারিশক্রমে?
    উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদের ।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের মহাসচিবের মেয়াদকাল কত?
    উত্তর : ৫ বছর।

    প্রশ্ন : কোন পরিষদের সুপারিশক্রমে জাতিসংঘে : নতুন সদস্য গ্রহণ করা হয়?
    উত্তর : নিরাপত্তা পরিষদের

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কোন দেশের নাগরিক?
    উত্তর : পর্তুগাল

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের ছয়টি দাপ্তরিক ভাষা কী কী?
    উত্তর : আরবি, চীনা, ইংরেজি, ফরাসি, রুশ ও স্পেনিশ।

    প্রশ্ন : কোন পাঁচটি রাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য?
    উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়া

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস কবে?
    উত্তর : ২৯ মে

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা কয়টি?
    উত্তর : ৬টি

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের কার্যকর ভাষা কয়টি?
    উত্তর : দুটি (ইংরেজি ও ফরাসি)।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়?
    উত্তর : নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির মেয়াদকাল কত?
    উত্তর : ১ মাস।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর কার্যক্রম শুরু হয় কবে?
    উত্তর : ১৯৪৮ সালে।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে ছিলেন?
    উত্তর : ট্রিগভেলি (নরওয়ে)

    প্রশ্ন : আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের কততম মহাসচিব?
    উত্তর : নবম

    প্রশ্ন : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন বসে কখন?
    উত্তর : প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত কোথায়?
    উত্তর : টোকিও, জাপান।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ শান্তি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত কোথায়?
    উত্তর : সানজোসে, কোস্টারিকা

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনী কবে নােবেল পুরস্কার লাভ করে?
    উত্তর : ১৯৮৮ সালে।

    প্রশ্ন : জাতিসংঘ সনদ স্বাক্ষরিত হয় কোন সম্মেলনে?
    উত্তর : সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলন।

  • রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ : বর্ণাঢ্য এক জীবনের আখ্যান

    জন্মগ্রহণ২১ এপ্রিল ১৯২৬
    ব্রিটিশ রাজত্বের দায়িত্বগ্রহণ১৯৫২ সালে
    রানির ৭০ বছরের শাসনামলে যুক্তরাজ্য পেয়েছে১৬ জন প্রধানমন্ত্রী
    রানি ছিলেন১৬টি (ব্রিটেনসহ) কমনওয়েলথ রাজ্যের
    প্রধান ছিলেন৫৪ সদস্যের জোট কমনওয়েলথের
    প্রথম বাংলাদেশ সফর১৯৬১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি (পূর্ব পাকিস্তান থাকাকালে)
    দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফর১৪ নভেম্বর, ১৯৮৩
    শেষনিশ্বাস ত্যাগ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর (স্কটল্যান্ডের বালমােরাল ক্যাসলে)
    মৃত্যুকালে বয়স৯৬ বছর
    রাজকীয় মর্যাদায় সমাহিত১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯২৬ সালের ২১ এপ্রিল লন্ডনের বার্কলে স্কয়ারের কাছে একটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটিশ রাজা জর্জ ও রানি এলিজাবেথের প্রথম সন্তান। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পুরাে নাম এলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর।

    পারিবারিক জীবন

    ১৯৪৭ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ গ্রিক ও ডেনমার্কের প্রিন্স ফিলিপকে (ডিউক অব এডিনবরা) বিয়ে করেন। ফিলিপ গত বছরের ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে মারা যান। এলিজাবেথ-ফিলিপ দম্পতির চার সন্তান। তাঁরা হলেন ওয়েলসের যুবরাজ চার্লস (তিনি ব্রিটেনের নতুন রাজা), প্রিন্সেস অ্যান, ইয়র্কের ডিউক যুবরাজ অ্যান্ড্রুও আর্ল অব ওয়েসেক্স যুবরাজ এডওয়ার্ড।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাবা ১৯৩৬ সালে সিংহাসনে আরােহণ করেছিলেন। সে সময় থেকেই এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ছিলেন।

    ব্রিটিশ রাজত্বের দায়িত্ব গ্রহণ

    ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাবা রাজা জর্জ মারা গেলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটিশ রাজত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং কমনওয়েলথের প্রধান হন।

    দীর্ঘ সময় শাসনকার্য পরিচালনা

    ৯৬ বছর বয়সী রানি এলিজাবেথ ১৯৫২ সাল থেকে টানা ৭০ বছর সিংহাসনে আসীন ছিলেন। ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের দীর্ঘ ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থেকেছেন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    রাষ্ট্রপ্রধান

    প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যের সরকারব্যবস্থার প্রধান হলেও ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান রানি। দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭০ বছরের শাসনামলে যুক্তরাজ্য ১৬ জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১১ জন কনজারভেটিভ পার্টির ও ৫ জন লেবার পার্টির।

    অন্যান্য দেশ ও অঞ্চলের রানি

    যুক্তরাজ্য এবং আরও ১৫টি কমনওয়েলথ রাজ্যের রানি ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ ছাড়া তিনি। ৫৪ সদস্যের জোট কমনওয়েলথের প্রধান। তিনি চার্চ অব ইংল্যান্ডেরও প্রধান। এককথায়, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত রাজতন্ত্রের প্রতিভূ।

    রানি এলিজাবেথের মুকুটের কোহিনূর কে পাবেন

    এলিজাবেথের বড় ছেলে প্রিন্স চার্লস (রাজা তৃতীয় চার্লস) উপাধি নিয়ে সিংহাসনে আরােহন করেছেন। সে হিসেবে বিবাহসূত্রে রাজবধূ এবং ব্রিটেনের ভাবী রানি হতে যাচ্ছেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার। রাজা চার্লসের স্ত্রী হিসেবে রানি ক্যামিলার মাথায় উঠবে কোহিনূরের মুকুট।

    রানির উত্তরাধিকারী তৃতীয় চার্লসের অভিষেক

    দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর প্রথাগতভাবেই তাঁর উত্তরাধিকারী হয়েছেন তাঁর ৭৩ বছর বয়সী বড় ছেলে তৃতীয় চার্লস। ২০২২ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সেন্ট জেমস প্যালেসে এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের রাজা হিসেবে অভিষেক হয়েছে তৃতীয় চার্লসের।

    ব্রিটিশ জাতীয় সংগীতে পরিবর্তন

    ১৯৫২ সাল থেকে যে জাতীয় সংগীত গেয়ে আসছিল ব্রিটিশরা, রানির মৃত্যুর পর এবার পরিবর্তন আসছে। এখন থেকে ‘গড সেভ দ্য কুইন’-এর জায়গায় ‘গড সেভ দ্য কিং’ গাইবে সবাই।

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বাংলাদেশ সফর করেছিলেন দুবার

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ দুবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। প্রথমবার ১৯৬১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি (পূর্ব পাকিস্তান আমলে) এবং দ্বিতীয়বার ১৯৮৩ সালের ১৪ নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশে। ১৯৮৩ সালে সফরের সময় ১৬ নভেম্বর তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বৈরাগীরচালা গ্রাম দেখতে গিয়েছিলেন।

    মৃত্যু

    ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনশায়ারের বালমােরাল ক্যাসলে ৯৬ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। আর এরই মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ রাজশাসনের একটি বর্ণাঢ্য সময়ের ইতি হলাে।

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য

    ৮ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর পরদিন থেকে টানা ১০ দিনের জাতীয় শােক পালন শেষে ২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তাকে আড়ম্বরপূর্ণ আয়ােজনে ও রাজকীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পাঁচ শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ৭০ বছর আগে যে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানির অভিষেক, সেখানেই তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়। তার বিয়ের অনুষ্ঠানও হয়েছিল একই গির্জায়।

  • রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংস্কারক মিখাইল গর্বাচেভ

    জন্ম২ মার্চ ১৯৩১; স্তাভরােপােল ক্রায়ত, সােভিয়েত ইউনিয়ন।
    ক্ষমতা লাভ১৯৮৫ সালে ক্ষমতায় আসেন (৫৪ বছর বয়সে)।
    পেরেস্রোইকা এবং গ্লাসনস্ত কর্মসূচি চালুমার্চ, ১৯৮৫।
    কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিতমার্চ, ১৯৮৫ (৫৪ বছর বয়সে)।
    গর্বাচেভ ও রিগ্যান চুক্তিডিসেম্বর, ১৯৮৭।
    আফগানিস্তানে সােভিয়েত সেনা প্রবেশ ও প্রত্যাহার২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে প্রবেশ ও ১৯৮৯ সালে প্রত্যাহার।
    গর্বাচেভের শান্তিতে নােবেল লাভ১৯৯০ সালে।
    ওয়ারশ চুক্তি বিলুপ্তএপ্রিল, ১৯৯১।
    প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১।
    সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি২৬ ডিসেম্বর ১৯৯১।
    মৃত্যু৩০ আগস্ট ২০২২।

    বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বিশ্বে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ। রাশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংস্কারক তিনি। প্রায় সাত বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর হাত দিয়েই সােভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে। গর্বাচেভের দায়িত্ব পালনের সময়টি ছিল ঘটনাবহুল। তাঁর সময়কার ঘটনাপ্রবাহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে তুলে ধরা হলাে—

    জন্ম, শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবনের হাতেখড়ি

    মিখাইল গর্বাচেভের জন্ম ১৯৩১ সালের ২ মার্চ, সােভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্তাভরােপােল কায়তে। ১৫ বছর বয়সে গর্বাচেভ ইয়ং কমিউনিস্ট লিগ কমলােমলে যােগ দেন। ১৯৫২ সালে তিনি মস্কোর স্টেট ইউনিভার্সিটির ল স্কুলে ভর্তি হন এবং ১৯৫৫ সালে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তরের দশকে তিনি পার্টির অঞ্চল কমিটির ফার্স্ট সেক্রেটারি হন এবং ১৯৮৫ সালে সিপিএসইউর পলিটব্যুরাে গর্বাচেভকে জেনারেল সেক্রেটারি বানায়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    গর্বাচেভের ক্ষমতা লাভ

    পূর্ববর্তী কনস্তান্তিন চেরনেনকোর মৃত্যুর পর ১৯৮৫ সালে ৫৪ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন মিখাইল গর্বাচেভ। ১৯৮৮ সাল থেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে, ১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম সােভিয়েতের প্রেসিডিয়ামের চেয়ারম্যান এবং ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে সােভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতন্ত্রের পতন হলে গর্বাচেভ রাশিয়ার প্রথম ও একমাত্র প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।

    পেরেস্ত্রোইকা এবং গ্লাসনস্ত কর্মসূচি চালু

    ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে মিখাইল সের্গেয়েভিচ গর্বাচেভ দেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা থেকে বের করে আনতে পেরেস্রোইকা (অর্থনৈতিক সংস্কার) এবং গ্লাসনস্ত (বাক্‌স্বাধীনতা) কর্মসূচি চালু করেন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে এ নীতি দুটি অকার্যকর হয়ে পড়ে।

    গর্বাচেভ পলিটব্যুরাের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য

    ১৯৮৫ সালের মার্চ মাসে মিখাইল সের্গেয়েভিচ গর্বাচেভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন ৫৪ বছর বয়সে। তখন তিনি ছিলেন পলিটব্যুরাের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    পশ্চিমাদের বন্ধু

    ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত কমিয়ে আনতে ওয়াশিংটনে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করেন গর্বাচেভ ও রিগ্যান। আফগানিস্তান থেকে সােভিয়েত সেনা প্রত্যাহার ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৯ আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সােভিয়েত ইউনিয়ন। গর্বাচেভের নির্দেশে ১৯৮৮-৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে সােভিয়েত বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়। জর্জিয়া, ইউক্রেনসহ বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলাের স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে সােভিয়েত সামরিক বাহিনীর ৯ বছরের অভিযানের সমাপ্তি হয়। জর্জিয়া, ইউক্রেনসহ বাল্টিক অঞ্চলের দেশগুলাের স্বাধীনতা আন্দোলন জোরদার হতে থাকে।

    সােভিয়েত ইউনিয়নে প্রথমবারের মতাে একাধিক প্রার্থীর অংশগ্রহণে নির্বাচন

    ১৯৮৯ সালের মার্চ মাসে কংগ্রেস অব পিপলস ডেপুটির সদস্য নির্বাচনে সােভিয়েত ইউনিয়নে প্রথমবারের মতাে একাধিক প্রার্থীর অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

    বিপ্লবে প্রতিরােধ না গড়া

    ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে জনপ্রিয় বিপ্লবে পূর্ব জার্মানি এবং পূর্ব ইউরােপের বাকি অংশে কমিউনিস্ট সরকারগুলাের পতন ঘটে। তবে নিজের প্রভাবাধীন এসব সরকারের পতন ঠেকাতে কোনাে ধরনের হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালায়নি সােভিয়েত ইউনিয়ন।

    নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে গর্বাচেভের একচেটিয়া ক্ষমতা

    ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কমিউনিস্ট পার্টি দলটির একচেটিয়া ক্ষমতা সমর্পণ করে গর্বাচেভের ওপর। ব্যাপক ক্ষমতা বাড়িয়ে গর্বাচেভকে নির্বাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দিতে সম্মত হয় পার্লামেন্ট।

    গর্বাচেভের শান্তিতে নােবেল লাভ

    ১৯৯০ সালের অক্টোবরে বাজার অর্থনীতি গ্রহণে কমিউনিস্ট পার্টির মূল অর্থনৈতিক পরিকল্পনা পরিত্যাগের প্রস্তাব অনুমােদন করে সােভিয়েত পার্লামেন্ট। ওই বছর শান্তিতে নােবেল পুরস্কার পান। গর্বাচেভ।

    ওয়ারশ চুক্তি বিলুপ্ত

    ১৯৯১ সালের এপ্রিলে পূর্ব ইউরােপের দেশগুলাের সামরিক জোট ওয়ারশ প্যাক্ট তথা ওয়ারশ চুক্তি ভেঙে দেওয়া হয়।

    গর্বাচেভের ডেপুটি গেনাদি ইয়ানায়েভ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ

    ১৯ আগস্ট ১৯৯১ গর্বাচেভের কথিত অসুস্থতার কথা বলে তাঁর ডেপুটি গেনাদি ইয়ানায়েভ কট্টর কমিউনিস্ট জান্তার প্রধান হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

    গর্বাচেভের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে পদত্যাগ

    ২৪ আগস্ট ১৯৯১ গর্বাচেভ কমিউনিস্ট পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

    রাশিয়ার কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ

    ৮ ডিসেম্বর ১৯৯১ রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশ কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এখানে কেন্দ্রীয় কোনাে কর্তৃপক্ষ কিংবা গর্বাচেভের ভূমিকা থাকবে না। গর্বাচেভ প্রথমে এ ব্যবস্থার বিরােধিতা করে পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত এ অনিবার্য বাস্তবতা মেনে। নেন।

    গর্বাচেভের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ ও সােভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি

    ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১ গর্বাচেভ সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরদিন ২৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সােভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে।

    মৃত্যু

    সমাজতান্ত্রিক সােভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মস্কোর একটি হাসপাতালে ৯১ বছর বয়সে ৩০ আগস্ট ২০২২ শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

  • আর্মেনিয়া-আজারবাইজান যুদ্ধ

    আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনারা বিরােধপূর্ণ ভূখণ্ড নাগর্নো-কারাবাখ নিয়ে কয়েক দশকের পুরােনাে শত্রুতার জেরে আবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ এই লড়াই শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির সংখ্যা ২১০ ছাড়িয়ে গেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ দুই দেশের পক্ষ থেকে এই হালনাগাদ তথ্য জানানাে হয়েছে। আজারবাইজান ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে প্রতিবেশী দুটি দেশ এখন পর্যন্ত দুবার পুরােদমে যুদ্ধে জড়িয়েছে। পাশাপাশি তিন দশক ধরে নিয়মিত বিরতিতে ছােটখাটো সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনারা।

    যুদ্ধের কারণ

    আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানা অনুযায়ী নাগর্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানকার বাসিন্দারা জাতিগতভাবে আর্মেনীয়। সােভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সেই কারাবাখ অঞ্চল আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী দখল করে নিয়েছিল। দুটো দেশই এই এলাকাকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। আর্মেনিয়া ১৯৯২-৯৪ সালে যখন এই নাগর্নো-কারাবাখ দখল করে নেয়, তখন সেখান থেকে প্রায় ১০ লাখ আজেরি উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছিল।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    এতে ওই অঞ্চলের পাশাপাশি নিজেদের বিশাল ভূখণ্ড হারায় আজারবাইজান। এর পর থেকে এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করে দুটো দেশের মধ্যে গত কয়েক দশকে বারবার কূটনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, হুমকি দেওয়া হয় একে অপরকে আক্রমণের। ব্রাসেলসভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ বা আইসিজি বলছে, ২০১১ সালে নাগর্নো-কারাবাখ শান্তি আলােচনা থেমে যাওয়ার পর দুটো দেশের মধ্যে অস্ত্র প্রতিযােগিতা বৃদ্ধি পায়।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পুরােদমে যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি। ছয় সপ্তাহের লড়াইয়ে নিহত হয় প্রায় ৬ হাজার ৫০০ মানুষ। পরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি হয়। এ লড়াইয়ে ১৯৯২-৯৪ সালে হারানাে ভূখণ্ড উদ্ধার করে আজারবাইজান। তবে চুক্তিতে নাগর্নো-কারাবাখের ‘স্ট্যাটাস’ অনিষ্পন্ন ছিল। আলােচনার মাধ্যমে সেটি নির্ধারণ করার কথা বলা হয় চুক্তিতে। মস্কো সেখানে দুই হাজার শান্তিরক্ষী মােতায়েন করে। কিন্তু শান্তিপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আর্মেনিয়া গড়িমসি করে বলে অভিযােগ করে আজারবাইজান।

    এই যুদ্ধের বিপদ কী

    আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বাহিনীর মধ্যে যতবারই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, কয়েক দিন পরেই সেগুলােকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। কিন্তু লন্ডনে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চ্যাটাম হাউসে দক্ষিণ ককেশাস-বিশেষজ্ঞ ও গবেষক লরেন্স ব্রোয়ার্স বলছেন, বর্তমান যুদ্ধের যে তীব্রতা, সেটা দেখে ধারণা করা যায় যে এবার হয়তাে সে রকম সম্ভব হবে।

    ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুরু হওয়া যুদ্ধেই নাগনো-কারাবাখের জন-অধ্যুষিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বােমা হামলা চালানাে হয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের পর সেখানে এই প্রথম এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটল। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের বেসামরিক এলাকাতেও হামলা চালানাে হয়েছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে। এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘ সময় ধরে চললে বাইরের আরও অনেক শক্তি জড়িয়ে পড়বে, যার ফলে আরও বৃহত্তর পরিসরে আঞ্চলিক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

    যুদ্ধে তুরস্কের ভূমিকা কী

    ভৌগােলিক কৌশলগত কারণে আজারবাইজান তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। এ কারণে তুরস্ক বহু আগে থেকেই আজারবাইজানকে নৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্কের পক্ষ থেকে আজারবাইজানকে বিভিন্ন রকমের সামরিক সহযােগিতাও দেওয়া হয়েছে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধে যে তুরস্কের অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে, এ বিষয়ে তেমন একটা সন্দেহ নেই। আজারবাইজানের প্রতি তুরস্কের এই অকুণ্ঠ সমর্থনের নিন্দা করেছে আর্মেনিয়া। তারা বলেছে, এর ফলে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

    যুদ্ধে রাশিয়ার ভূমিকা কী

    এই সংঘাতে রাশিয়ার ভূমিকা নানা রকমের এবং কখনাে কখনাে সেসব ভূমিকা পরস্পরবিরােধী। আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। সে দেশে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তাজনিত সংস্থা কালেকটিভ সিকিউরিটি ট্রিটি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে মস্কো আর্মেনিয়াকে নিরাপত্তা সহযােগিতা প্রদান করে থাকে।

    আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া—উভয় পক্ষের কাছেই অস্ত্র সরবরাহ করে রাশিয়া। আজারবাইজানের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক ভালাে। তবে এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং তাতে তুরস্ক আরও বেশি করে জড়িয়ে পড়ে, তখন ওই অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য খর্ব হওয়ার আশঙ্কার কথা বিবেচনা করে রাশিয়া সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।

  • প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর

    ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদির আমন্ত্রণে ৫-৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেন। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাতটি সমঝােতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়।

    সমঝােতা স্মারক

    • কুশিয়ার নদী থেকে বাংলাদেশের ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সমঝােতা
    • বৈজ্ঞানিক সহযােগিতা বিষয়ে ভারতের বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (CSIR) সঙ্গে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (BCSIR) সমঝােতা
    • বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট ও ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল অ্যাকাডেমির মধ্যে সমঝােতা
    • ভারতের রেলওয়ের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলােতে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য সমঝােতা
    • বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যপ্রযুক্তিগত সহযােগিতা
    • ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম প্রসার ভারতী’র সঙ্গে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমঝােতা
    • মহাশূন্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযােগিতাবিষয়ক সমঝােতা স্মারক।

    প্রকল্প উদ্বোধন

    ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মােদি যৌথভাবে ৫টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করা ৫টি প্রকল্প হলাে—

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?client=ca-pub-6684125741392148&output=html&h=280&slotname=5948242971&adk=1040601861&adf=3005368777&pi=t.ma~as.5948242971&w=780&lmt=1672157621&format=780×280&url=https%3A%2F%2Fwww.bcspreparation.net%2F%25e0%25a6%25aa%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a7%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a8%25e0%25a6%25ae%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a4%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%2580%25e0%25a6%25b0-%25e0%25a6%25ad%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25b0%25e0%25a6%25a4-%25e0%25a6%25b8%25e0%25a6%25ab%25e0%25a6%25b0%2F&wgl=1&dt=1672157577100&bpp=2&bdt=6542&idt=2&shv=r20221207&mjsv=m202212060101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3Df416c332cec8e688-22b0d04104d900bf%3AT%3D1671983898%3ART%3D1671983898%3AS%3DALNI_MbJSbU7jROGz1KZ-y1ZquB6uyDnmQ&gpic=UID%3D00000b97837cb9d0%3AT%3D1671983898%3ART%3D1672153081%3AS%3DALNI_MaWOqEvu_uGbOGhTFfyI2pajQ7Oow&prev_fmts=0x0%2C1200x280%2C780x280%2C345x280%2C1005x124%2C780x280&nras=2&correlator=3462147403928&frm=20&pv=1&ga_vid=1265491175.1671983904&ga_sid=1672157574&ga_hid=1228671353&ga_fc=1&u_tz=360&u_his=1&u_h=1024&u_w=1280&u_ah=984&u_aw=1280&u_cd=24&u_sd=1&adx=47&ady=2558&biw=1263&bih=871&scr_x=0&scr_y=0&eid=44759876%2C44759927%2C44759837%2C44777876%2C42531848%2C44778780%2C31071250%2C44780492%2C44780792&oid=2&psts=ACgb8tuFroL8y2riF9ptTs9_JN_XZU0SkXeSUheXUTyA-RwhqBAg3UQ8kKFCoh5kB0VShQGtk0CZLzMXuCsXoA&pvsid=3536431099343565&tmod=906247953&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fwww.bcspreparation.net%2Fcategory%2F%25e0%25a6%2586%25e0%25a6%25a8%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25b0%25e0%25a7%258d%25e0%25a6%259c%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25a4%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%2595-%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25bf%25e0%25a6%25b7%25e0%25a7%259f%25e0%25a6%25be%25e0%25a6%25ac%25e0%25a6%25b2%25e0%25a7%2580%2Fpage%2F4%2F&eae=0&fc=1920&brdim=-8%2C-8%2C-8%2C-8%2C1280%2C0%2C1296%2C1000%2C1280%2C871&vis=1&rsz=%7C%7CoeEbr%7C&abl=CS&pfx=0&fu=0&bc=31&ifi=7&uci=a!7&btvi=3&fsb=1&xpc=b0HftsFI2g&p=https%3A//www.bcspreparation.net&dtd=44512

    • মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের (রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প) ইউনিট-১
    • খুলনার রূপসা রেল সেতু
    • বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ২৫টি প্যাকেজে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্মাণ, সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ
    • খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযােগ প্রকল্প
    • পার্বতীপুর-কাউনিয়া মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েল গেজ লাইনে রূপান্তর প্রকল্প।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন :

    যৌথ বিবৃতি

    দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ নয়াদিল্লির তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ৩৩ অনুচ্ছেদের বিবৃতিতে রাজনীতি, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন সহযােগিতা, দ্বিপক্ষীয় সহযােগিতার বিষয় উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মাশুলে ভারতে ট্রানজিট ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার প্রস্তাব পায়।

    মুজিব বৃত্তি

    ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নিহত ও আহত ভারতীয় সেনাদের বংশধরদের বৃত্তি প্রদান করেন। বঙ্গন্ধুর নামে নামকরণ করা হয় মুজিব বৃত্তি’ । শুরুতে এ কর্মসূচির আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে ১০০ এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ১০০ করে মােট ২০০ শিক্ষার্থীকে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে যথাক্রমে এককালীন ৫০০ এবং ১ হাজার মার্কিন ডলার করে দেওয়া হয়।

    রূপসা রেলসেতু

    ২১ ডিসেম্বর ২০১০ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) খুলনা-মােংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমােদন করে। খুলনা-মােংলা রেলপথ প্রকল্পটির কাজ তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর একটি রূপসা নদীর উপর রেলসেতু, অপরটি রেললাইন এবং অন্যটি টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং। সংযােগ রেললাইনসহ এই সেতুর মােট দৈর্ঘ্য ৫.১৩ কিলােমিটার হলেও মূল রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ৭১৬ মিটার।

    রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

    ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট-১ এর উদ্বোধন করেন। ১৩২০ (২ x ৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট ২০২২ জাতীয় গ্রিডের সাথে সমন্বয় করা হয়। ভারতের রেয়াতি অর্থায়ন প্রকল্পের আওতায় Bharat Heavy Electricals Limited (BHEL) এ প্রকল্পটি নির্মাণে কাজ করছে। রামপাল। বিদ্যুৎকেন্দ্র Bangladesh India Friendship Power Company Ltd (BIFPCL) এর মাধ্যমে স্থাপন করা হচ্ছে।

    অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন

    বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ৪০৫টি নদীপ্রবহমান। এ নদীগুলাের মধ্যে ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদী, যার মধ্যে ৫৪টি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন এবং ৩টি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অভিন্ন। অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে এক দীর্ঘমেয়াদি অমীমাংসিত ইস্যু। তবে চুক্তির আশায় দুই দেশের ৮টি নদীর পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে তথ্য-উপাত্ত বিনিময় হয়েছে। নদীগুলাে হলাে— তিস্তা, ফেনী, মনু, মুহুরি, খােয়াই, গােমতী, ধরলা ও দুধকুমার।

    কুশিয়ারা নদী

    কুশিয়ারা নদী ভারতের আসাম রাজ্যের উত্তরাঞ্চলের পর্বত থেকে উদ্ভূত হয়ে ২৪°৫৩‘ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯২°৩২‘ দক্ষিণ দ্রাঘিমাংশ বরাবর বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পূর্ব সীমান্তে অমলসিদ নামক স্থানে বরাক নদী দুটি ধারায় বিভক্ত হয়েছে। উত্তরপশ্চিমের ধারাটি সুরমা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমের ধারাটি লংশিয়ারা। হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলার মারকুলী নামক স্থানে কুশিয়ারা পুনরায় সুরমার সঙ্গে মিলিত হয়ে কালনী নাম ধারণ করে দক্ষিণ দিকে ভৈরব উপজেলার .ভৈরববাজার পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার পর সুরমার অপর শাখা ধনুর সঙ্গে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়েছে।

  • রানি এলিজাবেথের প্রয়াণ রাজা হচ্ছেন চার্লস

    ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মৃত্যুবরণ করেন। এর মাধ্যমে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। ব্রিটিশ সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় অধিষ্ঠিত ছিলেন রানি। তার মৃত্যুর পর রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন তৃতীয় চার্লস।

    পুরাে নামএলিজাবেথ আলেকজান্দ্রা মেরি উইন্ডসর
    ডাকনামলিলিবেট
    জন্ম২১ এপ্রিল ১৯২৬
    জন্মস্থানমেফেয়ার, লন্ডন
    মৃত্যুবরণ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
    মৃত্যুস্থানবালমােরাল প্রাসাদ, স্কটল্যান্ড
    পিতাষষ্ঠ জর্জ
    মাতাএলিজাবেথ বােয়েস-লিওন
    স্বামীপ্রিন্স ফিলিপ ডিউক অব এডিনবরা (গ্রিসের রাজপুত্র)
    একমাত্র ছােট বােনপ্রিন্সেস মার্গারেট
    সন্তান৪ জন। তৃতীয় চার্লস, প্রিন্সেস অ্যান, যুবরাজ অ্যান্ড্র এবং যুবরাজ এডওয়ার্ড
    সিংহাসনে আরােহণ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
    রাজ্যাভিষেক (মুকুট পরানাে হয়)২ জুন, ১৯৫৩ (২৭ বছর বয়সে)

    জানেন কি?

    এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি রাজশাসক (৭০ বছর ২১৫ দিন) • তিনি ঢাকা সফর করেন : ২ বার > প্রথমবার ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১ ও দ্বিতীয়বার ১৪-১৭ নভেম্বর ১৯৮৩ তার শাসনামলে ১৫ জন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে হ্যারল্ড উইলসন আলাদা সময়ে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার শাসনামলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির উইনস্টন চার্চিল। আর সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী (১৬তম) লিজ ট্রাস • রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘটনাবহুল জীবনের নানা অধ্যায় গল্পের আকারে বারবার উঠে এসেছে পর্দায়। এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে— The Story of Queen Elizabeth II (২০০২)। The Queen (২০০৬) The King’s Speech (২০১০)। The Crown (২০১৬)। The Royal House of Windsor (২০১৭) Prince Philip : An Extraordinary Life (২০২১)। Elizabeth : The Unseen Queen (২০২২)।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    সিংহাসনে এলিজাবেথ

    দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনের উত্তরাধিকারের তালিকায় তৃতীয় ছিলেন। এ তালিকায় প্রথম ছিলেন তার বড় চাচা প্রিন্স অব ওয়েলস অষ্টম এডওয়ার্ড আর দ্বিতীয় ছিলেন এলিজাবেথের পিতা ডিউক অব ইয়র্ক আলবার্ট ষষ্ঠ জর্জ। দ্বিতীয় এলিজাবেথের রানি হওয়াটা একবারে গল্পের মতাে।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    ২০ জানুয়ারি ১৯৩৬ দাদা পঞ্চম জর্জের মৃত্যুর পর তার বড় চাচা অষ্টম এডওয়ার্ড ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৬ তিনি সিংহাসন ত্যাগ করেন। এর পেছনে ছিল প্রেমের সম্পর্ক। মার্কিন সমাজকর্মী ওয়ালিস সিম্পসনকে বিয়ে করতে চাইলে তার সিংহাসনে থাকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কারণ, সিম্পসনের দুইবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সে কারণে যুক্তরাজ্যের তঙ্কালীন প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিরা এরূপ একজন নারীকে রাজবধূ হিসেবে গ্রহণ করার ঘাের বিরােধী ছিলেন।

    সিম্পসনকে বিয়ে করার বিষয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবারের পাশাপাশি বিরােধী ছিল চার্চ অব ইংল্যান্ডও। রাজাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজসিংহাসন না সিম্পসন—একটি বেছে নিতে হবে এডওয়ার্ডকে। তাই সিংহাসনে আরােহণের মাত্র ৩২৬ দিন পর তা ত্যাগ করেন অষ্টম এডওয়ার্ড। এর মাধ্যমে রানি এলিজাবেথের বাবা ষষ্ঠ জর্জ ইংল্যান্ডের সিংহাসনে বসেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যু হলে সিংহাসন চলে আসে এলিজাবেথের কাছে। বয়স তখন তার ২৬। ২ জুন ১৯৫৩ ব্রিটিশ সিংহাসনে অভিষেক হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের।

    অপারেশন ইউনিকর্ন

    ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কোড নাম ছিল লন্ডন ব্রিজ। ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্যন্ত ১০ দিন যা যা ঘটবে, সবই ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’ নামে একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয় ১৯৬০ সালে। তার মৃত্যু হলে রানির প্রাইভেট সেক্রেটারি লন্ডন ব্রিজ ইজ ডাউন’ নামে একটি বার্তা পাঠাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। তবে লন্ডনের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডে রানির মৃত্যু হওয়ায় ‘অপারেশন ইউনিকর্ন নামে কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

    স্কটল্যান্ডের জাতীয় পশু ইউনিকর্ন। রয়্যাল কোট অব আর্মসেও ব্রিটিশ সিংহের সঙ্গে থাকে এই ইউনিকর্ন। অপারেশন ইউনিকর্ন অনুসারে মৃত্যুর পর স্কটল্যান্ড থেকে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে রাখা হয় রানির দেহ। রানির প্রয়াণের দিনটিকে DDay বলে উল্লেখ করা হয় এবং পরবর্তী শােকের দিনগুলিকে D+১, D+২ বলে চিহ্নিত করা হয়।

    ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ D+১০ বা মৃত্যুর দশম দিনের মাথায় রানির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। রাজা ষষ্ঠ জর্জ মেমােরিয়াল চ্যাপেলে সমাধিস্থ করা হয় ব্রিটেনের সাত দশকের ম্রাজ্ঞীকে। আর সেই সঙ্গেই শেষ হয় অপারেশন ইউনিকর্ন। রানির মৃত্যুর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন তার ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস। চার্লস মারা গেলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকতারও নাম ঠিক হয়ে আছে আর সেটি হলাে, ‘অপারেশন মেনাই ব্রিজ।

    পুরাে নামচার্লস ফিলিপ আর্থার জর্জ
    জন্ম১৪ নভেম্বর ১৯৪৮
    জন্মস্থানবাকিংহাম প্রাসাদ, লন্ডন
    সন্তান২ জন [প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারি]
    দাম্পত্য সঙ্গীপ্রিন্সেস ডায়ানা (বিবাহ ১৯৮১, বিচ্ছেদ ১৯৯৬) ও ক্যামিলা, ডাচেস অব কর্নওয়াল (বিবাহ ২০০৫)।

    নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস

    মা দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর প্রথাগতভাবেই তার উত্তরাধিকারী হন বড় সন্তান তৃতীয় চার্লস। যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্রের প্রধান। হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বাকিংহাম প্যালেসে প্রথম পা রাখেন। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাজা হিসেবে তিনি প্রথম ভাষণ দেন। এরপর ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। চার্লসকে রাজা হিসেবে ঘােষণা দেয় এক্সেশন কাউন্সিল।

    রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে এ কাউন্সিল গঠন করা হয়। ঐতিহ্য অনুযায়ী, রাজা বা রানির মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ এক্সেশন কাউন্সিলের আয়ােজন করা হয়। কিন্তু রানির মৃত্যুর ঘােষণা দেরিতে আসায় সেই আয়োজন করার সময় হয়নি। ব্রিটিশ শপথ পড়তে হয় না। যদিও ১৮ শতকের গােড়ার দিক থেকে চালু হওয়া একটি প্রথা অনুসরণ করে নতুন রাজা কেবল অঙ্গীকার করবেন, যে তিনি চার্চ অব স্কটল্যান্ড সংরক্ষণ করেন। প্রথম চার্লস (রাজত্ব : ১৬২৫ – ১৬৪৯) দ্বিতীয় চার্লস (রাজত্ব : ১৬৬০ – ১৬৮৫) তৃতীয় চার্লস (রাজত্ব : ৮.৯.২০২২ – বর্তমান)

    অভিষেক প্রক্রিয়া

    রাজা হিসেবে অভিষেক হলাে চার্লসের দায়িত্ব গ্রহণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী ধাপ, যখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুকুট পরবেন। এটি অ্যাংলিকান ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যা পরিচালনা করেন আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবারি। আনুষ্ঠানিকতার চূড়ান্ত পর্বে তিনি চার্লসের মাথায় সেন্ট এডওয়ার্ড মুকুট স্থাপন করবেন। এটি খাঁটি স্বর্ণের তৈরি, যা ১৬৬১ সাল থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। টাওয়ার অব লন্ডনে যেসব মণিমাণিক্য রয়েছে, এটি তার মধ্যমণি। একমাত্র রাজা বা রানির অভিষেকের সময় এটি তারা পরেন। সরকার এই অনুষ্ঠানের খরচ সরকার বহন করে এবং সরকারই এর অতিথি তালিকা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেয়। গত ৯০০ বছর ধরে অভিষেক অনুষ্ঠান হয় ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে। উইলিয়াম দ্য কনকোয়ারার ছিলেন প্রথম রাজা, যার অভিষেক হয় সেখানে। আর চার্লসের অভিষেক হবে ৪০তম রাজা হিসেবে।

    রাজা-রানির জানা-অজানা তথ্য

    যুক্তরাজ্যের রাজতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, রাজা বা রানির যাতায়াতের জন্য কোনাে পাসপাের্ট লাগে না। কোনাে ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়ােজন পড়ে না। ব্রিটেনের রাজা বা রানির দুটি জন্মদিন পালিত হয়। একটি আসল জন্মদিন, আরেকটি আনুষ্ঠানিক। রাজা বা রানি কখনাে ভােট দেন না। নির্বাচনে দাঁড়ানাের অধিকারও নেই তাদের। দেশের প্রধান শাসক হিসেবে তাকে সর্বদা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষই থাকতে হয়। ব্রিটিশ শাসক শুধু ব্রিটেনের মানুষদের ওপরেই নয়, পশুপাখিদের ওপরও রাজত্ব করেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সমস্ত রাজহাঁসকেই রাজ পরিবারের অধিকার বলে মনে করা হয়। দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই এ নিয়ম পালন করা হচ্ছে। প্রতি ১০ বছর অন্তর রাজ পরিবার একজন কবিকে নিয়ােগ করেন, যিনি শুধু রাজার জন্যই কবিতা লেখেন। ১৭ শতাব্দী থেকেই এ নিয়ম পালন করা হচ্ছে।

    রাজপরিবারে ক্ষমতার পালাবদল

    ব্রিটিশ রাজপরিবার সব সময়ই আলােচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্বের সব মানুষের আগ্রহের বিষয় হিসেবেও বিবেচিত। কোনাে রাজা বা রানি যদি মারা যান, তাহলে তার সন্তানের মধ্যে যিনি সবচেয়ে বড় তিনি ক্ষমতায় বসবেন। সে। হিসেবে, রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর তার মেয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসেন। এর আগে রাজা ষষ্ঠ জর্জ তার বাবা পঞ্চম জর্জের পর দেশটির রাজা নির্বাচিত হন। তারও আগে ব্রিটিশ সিংহাসনে ছিলেন রাজা পঞ্চম জর্জের মা রানি ভিক্টোরিয়া।

    তখন বাবা-মায়ের ছেলে সন্তান না থাকায় রানি ভিক্টোরিয়া ও দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে বসার সুযােগ পান। কারণ রাজপরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরসূরিদের মধ্যে যদি ছেলে-সন্তান থাকে এবং সে যদি বয়সে মেয়েদের চেয়ে ছােটও হয়, তারপরও তিনিই রাজ সিংহাসনে বসবেন। কিন্তু ২০১৫ সালে প্রিন্স উইলিয়ামের মেয়ে প্রিন্সেস শার্লোটের জন্মের পর এ আইনের পরিবর্তন আনা হয়। ফলে প্রিন্সেস শার্লোট তার ভাই প্রিন্স লুইসের আগে সিংহাসনে বসতে পারবেন।

    পরবর্তী সিংহাসনের দাবিদার
    ব্রিটিশ রাজপরিবারের যা পরিসর তাতে সিংহাসনে উত্তরাধিকারের সঠিক সংখ্যা জানতে হলে রীতিমতাে হিসাবে বসতে হবে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে চার্লস সিংহাসনে আরােহণ করেন। পরবর্তী উত্তরাধিকার হিসেবে প্রথম সাতজনের পরিচয় তুলে ধরা হলাে-
    নামজন্মগ্রহণসম্পর্ক
    প্রিন্স উইলিয়াম২১ জুন ১৯৮২চার্লসের বড় সন্তান
    প্রিন্স জর্জ২২ জুলাই ২০১৩উইলিয়ামের বড় সন্তান
    প্রিন্সেস শার্লোটা২ মে ২০১৫উইলিয়ামের মেয়ে
    প্রিন্স লুইস২৩ এপ্রিল ২০১৮উইলিয়ামের ছােট সন্তান
    প্রিন্স হ্যারি১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪চার্লসের ছােট সন্তান
    আর্চি৬ মে ২০১৯হ্যারির সন্তান
    লিলিবেট৪ জুন ২০২১হ্যারির মেয়ে

    কুইন কনসর্ট কী?

    যুক্তফ্রাজ্যে রানি কে হবেন, তা ঠিক হয় উত্তরাধিকার সূত্রে। অর্থাৎরানি হবেন তিনিই, যিনি পূর্বসূরির কাছ থেকে উত্তরাধিকারবলে এ খেতাব পাবেন। তার মর্যাদা, কর্মকাণ্ড আর দায়িত্বগুলােও হবে একজন রাজার মতােই। অপরদিকে রাজাকে যিনি বিয়ে করবেন, তাকে বলা হবে কুইন কনসর্ট। যেটা বলা হচ্ছে ক্যামিলাকে। তিনি কখনােই রাজসিংহাসনে বসতে পারবেন না। কারণ, তৃতীয় চার্লসকে বিয়ের মধ্য দিয়ে। রাজপরিবারের সদস্য হন তিনি। কুইন কনসর্ট সরকারের কোনাে আনুষ্ঠানিক পদে থাকেন না। একজন কুইন কনসর্টের মূল দায়িত্ব হলাে রাজার পাশে থাকা এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাকে সমর্থন জোগানাে।

    প্রিন্স অব ওয়েলস

    প্রিন্স চার্লস নিয়ম অনুযায়ী ‘রাজাতৃতীয় চার্লস’ উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসেন। সে হিসেবে রাজা চার্লসের বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস হিসেবে তার বড় ছেলে উইলিয়াম ও পুত্রবধূ কেট মিডলটনের নাম ঘােষণা করেন। এর আগে চার্লস ও তার প্রয়াত স্ত্রী ডায়ানার যথাক্রমে প্রিন্স ও প্রিন্সেস অব ওয়েলস পদবি ছিল। প্রিন্স অব ওয়েলস পদটি রাজসিংহাসনের উত্তরসূরির জন্যই রাখা হয়। যিনি রাজা বা রানির অবর্তমানে সিংহাসনে আরােহণ করেন।

    রাজা বা রানির দায়িত্ব

    যুক্তরাজ্যে রাজা বা রানি হলেন নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান। যদিও তার ক্ষমতা প্রতীকী ও আনুষ্ঠানিক। তিনি উত্তরাধিকারসূত্রে সিংহাসনে আরােহণ করেন এবং আমৃত্যু স্বপদে বহাল থাকেন। যুক্তরাজ্যে আইন প্রণয়ন বা আইন পাস করার ক্ষমতা দেশটির পার্লামেন্টের হাতে। উল্লেখযােগ্য দায়িত্ব হলাে— দেশটির নির্বাচিত সরকার রানিকে দেশ পরিচালনার বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে, যা লাল রঙের একটি চামড়ার বাক্সে করে তার কাছে। পাঠানাে হয়। যুক্তরাজ্যের সরকার নিয়ােগ দেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচনে যে দল জয়লাভ করে, তার প্রধানকে বাকিংহাম প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানানাে হয় এবং রানির সঙ্গে দেখা করার পর রানি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের আহবান জানান। জাতীয় নির্বাচনের আগে চলমান সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘােষণাও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনিই দেন। তার ভাষণের মধ্য দিয়েই যুক্তরাজ্যে নতুন পার্লামেন্টের যাত্রা শুরু হয়। যেটি ‘স্টেট ওপেনিং সেরেমনি নামে পরিচিত। যুক্তরাজ্যে আইন প্রণয়ন বা আইন পাস করার ক্ষমতা দেশটির পার্লামেন্টের হাতে থাকলেও সেটি আইনে পরিণত হতে আনুষ্ঠানিকভাবে রানির অনুমতি নিতে হয়।

    রানির মৃত্যুতে পরিবর্তন

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের মানুষের জীবনে আসছে বেশকিছু পরিবর্তন। জাতীয় সংগীত তাে বটেই, পরিবর্তন করতে হবে মুদ্রা, স্ট্যাম্প, পােস্টবক্স ও পাসপাের্টেও। তবে কেবল যুক্তরাজ্যেই নয়, আরও কিছু দেশের মুদ্রায়ও ছিল রানির আসন।

    পতাকা > যুক্তরাজ্য জুড়ে থানার বাইরে উড়তে থাকা পতাকা থেকে রু করে নৌবাহিনীর কোনাে জাহাজে একজন জেনারেল অবস্থান করার সময় ব্যবহৃত পতাকা বদলাতে হবে। এসব পতাকায় আদ্যাক্ষর দিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম লেখা আছে।

    ব্যাংক নােট ও মুদ্রা > রানি যখন ১৯৫২ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন, তখন ব্যাংক নােটে কোনাে রাজা-রানির ছবি থাকত না। ১৯৬০ সালে প্রথম রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মুখমণ্ডলের ছবি এক পাউন্ডের ব্যাংক নােটে শােভা পায়। রানির মুখাবয়ব সংবলিত সাড়ে ৪০০ কোটি পাউন্ড স্টার্লিং নােট প্রচলিত রয়েছে বাজারে। রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের পর তার নতুন পােট্রেট তােলা হবে। এরপর সেখান থেকেই নতুন নােট ও মুদ্রার ছবি নির্বাচন করা হবে।

    জাতীয় সংগীত > ১৯৫২ সাল থেকে God Save the Queen শিরােনামে জাতীয় সংগীত গান ব্রিটিশরা। রানির মৃত্যুর পর এবার পরিবর্তন আসে দেশটির জাতীয় সংগীতেও। ১৭৪৫ সালে রাজা তৃতীয় জর্জের সম্মানে God Save the King শিরােনামে লেখা হয় এটি।

    স্ট্যাম্প এবং পােস্টবক্স > ১৯৬৭ সাল থেকে রয়্যাল মেইলের জারি করা স্ট্যাম্পে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি ব্যবহার করা হয়। এখন থেকে এটিতে রাজা তৃতীয় চার্লসের ছবি ব্যবহৃত হবে।

    সংস্থার পােশাক » ব্রিটেনে সেনা ও পুলিশের পােশাকে রানির একধরনের বিশেষ কোড থাকত, এবার সেই পােশাক বদলে গিয়ে সেখানে রাজার কোড ব্যবহার করা হবে।

    ১৫টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান

    ১৯৩১ সালে ওয়েস্টমিনস্টার সংবিধির মাধ্যমে কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ব্রিটিশ রাজা বা রানিকে মেনে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা করা হয়। ১৯৪৯ সালে লন্ডন ঘােষণার মাধ্যমে সদস্যভুক্ত দেশের প্রধান হিসেবে ব্রিটিশ রাজা বা রানির প্রতি আনুগত্যের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করা হয়। এরপর অনেক দেশ ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের আনুগত্য থেকে বের হয়ে আসে। তারপরও রাজা বা রানি যুক্তরাজ্য এবং একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। রানির মৃত্যুর পর রাজা তৃতীয় চার্লস যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৫টি দেশে রাষ্ট্রপ্রধান হন। অন্য ১৪টি দেশ হলাে—অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুড়া, বাহামাস, বেলিজ, কানাডা, গ্রানাডা, জ্যামাইকা, পাপুয়া নিউগিনি, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রানাডাইন্স, নিউজিল্যান্ড, সলােমন দ্বীপপুঞ্জ এবং টুভ্যালু।

    কমনওয়েলথের প্রধান

    ২৮ এপ্রিল ১৯৪৯ কমনওয়েলথের প্রধান পদটি সৃষ্টি করা হয়। এটি কমনওয়েলথের প্রতীকী নেতার পদ। কমনওয়েলথ জোটের প্রধান নির্বাচনে কোনাে সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রধানই এর নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। রাজা ষষ্ঠ জর্জ কমনওয়েলথের প্রথম প্রধান (নেতা) ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ ষষ্ঠ জর্জ মারা যাওয়ার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ কমনওয়েলথ জোটেরও প্রধান হন। সর্বশেষ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ রাজা তৃতীয় চার্লস ৫৬টি স্বাধীন দেশের জোট কমনওয়েলথের নতুন প্রধান হন।

  • যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস

    ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি লিজ ট্রাসকে দলটির নেতা নির্বাচন করে। নিয়ম অনুযায়ী, ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন লিজ।

    লিজ ট্রাস
    জন্ম২৬ জুলাই ১৯৭৫
    জন্মস্থানঅক্সফোর্ড, লন্ডন
    রাজনৈতিক দলকনজারভেটিভ পার্টি (১৯৯৬-বর্তমান)
    আইনসভার সদস্য৬ মে ২০১০
    পররাষ্ট্রমন্ত্রী১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১-৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
    কনজারভেটিভ দলের নেতা৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
    ৫৬তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
    সরকারি বাসন১০নং ডাউনিং স্ট্রিট
    দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী

    অদ্ভুত উপায়ে দলীয় নেতা বাছাই

    যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলাের নেতারাই প্রধানমন্ত্রী হন এবং দলের নেতা নির্বাচন করেন দলের সাধারণ সদস্যরা। তবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নন, এমন কেউ দলের নেতা হবে না। কনজারভেটিভ পার্টির দলীয় বিধি অনুযায়ী, আইনপ্রণেতারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ সম্পাদন করেন এবং সাধারণ সদস্যদের ভোটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুজনে নামিয়ে আনেন। এ বাছাই প্রক্রিয়া এবং আইনপ্রণেতাদের ভােটে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় মন্ত্রীদের কোনাে নিয়ন্ত্রণ নেই। পুরােটাই সাধারণ আইনপ্রণেতাদের হাতে, যাদের ব্ল্যাকবেঞ্চার বলা হয়। তাদের একটি কমিটি আছে, যা ১৯২২ কমিটি’ নামে পরিচিত।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    এই ১৯২২ কমিটি’ এবার ঠিক করে, অন্তত ১৫ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন ছাড়া কেউ প্রার্থী হতে পারবে নতুন নেতা নির্বাচনে শুধু তারাই ভােট দেবেন যারা কনজারভেটিভ পার্টির চাদা দানকারী সদস্য। পােস্টাল ভােটে যিনি বেশি সমর্থন পাবেন তিনিই দলটির পরবর্তী নেতা হবেন। নেতা নির্বাচন শেষে ব্রিটিশ রাজা বা রানি তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর ১৯২২ কার্লটন ক্লাব মিটিংয়ে কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্যরা ডেভিড লইড জর্জের কোয়ালিশন সরকার থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানায়। এ দাবি ১৯২২ সালের সাধারণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। ফলে ১৯২৩ সালের এপ্রিলে গঠিত এ কমিটির নামকরণ করা হয় ১৯২২ কমিটি’। এ কমিটি Conservative Private Members Committee নামেও পরিচিত।

    নেতৃত্বের নির্বাচন ২০২২

    ৭ জুলাই ২০২২ কনজারভেটিভ পার্টির . নেতা হিসেবে বরিস জনসন পদত্যাগ করেন। ১৩ জুলাই শুরু হয় কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের নির্বাচন। এরপর কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতারা পঞ্চম রাউন্ডের ভােটের মাধ্যমে লিজ ট্রাস এবং ভারতীয় বংশােদ্ভূত সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে বেছে নেন। এরপর পার্টির নিবন্ধিত ভােটাররা ভােট দেন। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ নির্বাচনে ট্রাসের পক্ষে ৮১,৩২৬ ভােট (৫৭.৪%) ও সুনাকের পক্ষে ৬০,৩৯৯ ভােট (৪২.৬%) পড়ে।

    বালমােরালে ক্ষমতা হস্তান্তর

    রানি এলিজাবেথের অসুস্থতার কারণে তার শাসনামলে প্রথমবারের মতাে ক্ষমতা হস্তান্তরের বৈঠকগুলাে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের পরিবর্তে স্কটল্যান্ডের বালমােরাল ক্যাসেলে অনুষ্ঠিত হয়। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বালমােরাল ক্যাসেলে রানির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দেখা করতে গেলে তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য অনুরােধ জানান। ১৮৮৫ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার সময় শেষবার বালমােরালে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল।

    মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদে অভিবাসীরা

    এবারই প্রথম দেশটির কোনাে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চার পদে নেই কোনাে শ্বেতাঙ্গ পুরুষ। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদে প্রাধান্য দেওয়া হয় অভিবাসী রাজনীতিবিদদের। • প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান কোয়াসি কোয়ার্টেং। তার মা-বাবা ঘানা বংশােদ্ভূত • পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি। তার মা সিয়েরা লিওন বংশােদ্ভূত আর বাবা একজন শ্বেতাঙ্গ • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলাব্রাভারম্যান। তার মাবাবা কেনিয়া ও মরিশাস থেকে যুক্তরাজ্যে . আসেন। তিনি জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দ্বিতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ভারতীয় বংশােদ্ভূত প্রীতি প্যাটেলের স্থলাভিষিক্ত হন • চ্যান্সেলর অব দ্য ডাচি অব ল্যানকাস্টার নাদিম জাহাউয়ি। তিনি ইরাকি বংশােদ্ভূত।

    বিশেষ তথ্য

    • মার্গারেট থ্যাচার যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
    • থেরেসা মে দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী।
    • যুক্তরাজ্যের ৩ জন নারী প্রধানমন্ত্রীর সকলেই কনজারভেটিভ পার্টি থেকে দায়িত্ব পান।
    • চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম ইওয়ার্ট গ্ল্যাডস্টোন।
  • মিখাইল গর্বাচেভের উত্থান-পতন

    ইতিহাসের এক দ্বৈত চরিত্র মিখাইল গর্বাচেভ। একদিকে যিনি হঠাৎ উদ্ভাসিত নায়ক অন্যদিকে, ক্রমাগত ডুবে যাওয়া বিতর্কিত রাজনীতিবিদ। ৩০ আগস্ট ২০২২ সােভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

    পুরাে নামমিখাইল সের্গেইভিচ গর্বাচেভ
    জন্ম২ মার্চ ১৯৩১
    মৃত্যুবরণ৩০ আগস্ট ২০২২
    সুপ্রিম সােভিয়েতের চেয়ারম্যান২৫ মে ১৯৮৯-১৫ মার্চ ১৯৯০
    সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট১৫ মার্চ ১৯৯০-২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১
    গ্লাসনস্ত (Glasnost) ও ‘পেরেস্রোইকা (Perestroika) নীতির প্রবর্তক
    সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম ও একমাত্র প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯৬ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে এক শতাংশেরও কম ভােট পান
    সােভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা।

    রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের স্তাভরােপােল শহরে। মিখাইল গর্বাচেভের জন্ম। তার মা-বাবা দুজনেই যৌথ কৃষি খামারে কাজ করতেন। কৈশােরে গর্বাচেভ ফসল কাটার কাজ করতেন। ১৯৫৫ সালে মস্কো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক শেষ করেন গর্বাচেভ। সে সময়ই কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য হন।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    গর্বাচেভ ১৯৭৮ সালে সেন্ট্রাল কমিটিজ সেক্রেটারিয়েট ফর অ্যাগ্রিকালচারের সদস্য হিসেবে মস্কোয় যান। দুই বছর পর পলিটব্যুরাের পূর্ণ সদস্য হিসেবে নিয়ােগ পান। বলশেভিক বিপ্লবের পর রাশিয়ার নেতৃত্বে ৩০ ডিসেম্বর ১৯২২ সালে গঠিত হয় Union of Soviet Socialist Republics (USSR) বা সােভিয়েত ইউনিয়ন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    কমিউনিস্ট নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের গড়া সােভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে ১৫টি জাতিরাষ্ট্র গড়ে ওঠে, তার মধ্যে অন্যতম আজকের রাশিয়া। একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর সােভিয়েত ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তির দিন গর্বাচেভ পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্বে চার দশক ধরে চলা স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি হয়। ১৯৯০ সালে গর্বাচেভ ‘নােবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।

    পেরেস্রোইকা ও গ্লাসনস্ত নীতি

    সােভিয়েত ইউনিয়নের সংস্কারের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৮৬ সালে মিখাইল গর্বাচেভ গ্লাসনস্ত (উন্মুক্ততা) এবং পেরেস্রোইকা (পুনর্গঠন) নীতি গ্রহণ করেন। গ্লাসনস্ত অনুযায়ী, সােভিয়েতরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা পায়। আর পেরেস্রোইকা অনুযায়ী, ভঙ্গুর সােভিয়েত অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করার পরিকল্পনা করা হয়। গর্বাচেভ সােভিয়েত ইউনিয়নকে। পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনেন কিন্তু এটি দেশের অনেক অঞ্চলের মানুষের। জাতীয়তাবাদী মনােভাব প্রকাশ করে, যা শেষ পর্যন্ত তাকে পতনের দিকে নিয়ে যায়। এজন্য বহু । রাশিয়ান তাকে ও তার সংস্কারবাদী নীতিকে সােভিয়েত ইউনিয়ন পতনের জন্য দায়ী করে।

    সোভিয়েত ইউনিয়নে গর্ভাচেভ

    • ১১ মার্চ ১৯৮৫ : গর্বাচেভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হন।
    • ১৯-২০ নভেম্বর ১৯৮৫ : সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রথমবারের মতাে বৈঠকে বসেন গর্বাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রােনাল্ড রিগ্যান।
    • ২৬ এপ্রিল ১৯৮৬ : ইউক্রেনের চেরনােবিল পারমাণবিক চুল্লিতে বিস্ফোরণে ইউরােপজুড়ে ‘তেজস্ক্রিয় মেঘ’ ছড়িয়ে পড়ে।
    • ৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭ : ওয়াশিংটনে গর্বাচেভ ও রিগ্যান INF চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
    • ১ অক্টোবর ১৯৮৮ : জাতীয় আইনসভা সুপ্রিম সােভিয়েতের সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হয়ে গর্বাচেভ ক্ষমতা সুসংহত করেন।
    • ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ : আফগানিস্তানে সােভিয়েত বাহিনীর অভিযানের সমাপ্তি।
    • ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৯ : মাল্টায় বৈঠকে মিলিত হন গর্বাচেভ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ।
    • ৩ অক্টোবর ১৯৯০ : ছয় শক্তির আলােচনার পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি আবার একত্রীকরণ হয়।
    • ১৭ মার্চ ১৯৯১ : সােভিয়েত ইউনিয়নকে নতুন ‘সম সার্বভৌম প্রজাতন্ত্রের ফেডারেশন’ হিসেবে রেখে দেওয়ার গণভােট প্রস্তাবে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
    • ১ এপ্রিল ১৯৯১ : পূর্ব ইউরােপের দেশগুলাের সামরিক জোট ওয়ারশ প্যাক্ট তথা ওয়ারশ চুক্তি ভেঙে দেওয়া হয়।
    • ১৯ আগস্ট ১৯৯১ : গর্বাচেভের কথিত অসুস্থতার কথা বলে তার ডেপুটি গেনাদি ইয়ানায়েভ কট্টর কমিউনিস্ট জান্তার প্রধান হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
    • ২২ আগস্ট ১৯৯১: সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।
    • ২৪ আগস্ট ১৯৯১: গর্বাচেভ কমিউনিস্ট পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
    • ৮ ডিসেম্বর ১৯৯১ : কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটস নামক সংস্থার আত্মপ্রকাশ।
    • ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯১ : গর্বাচেভ সােভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
    • ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯১ : আনুষ্ঠানিকভাবে USSR’র বিলুপ্তি ঘটে। সাবেক সােভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে ১৫টি রাষ্ট্র গঠিত হয়। রাষ্ট্রগুলাে—কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, বেলারুশ, আজারবাইজান, রাশিয়া, ইউক্রেন, মলদোভা, লিথুয়ানিয়া, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, আর্মেনিয়া, জর্জিয়া, লাটভিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও এস্তোনিয়া।
  • নোবেল পুরস্কার ২০২২ বিজয়ীদের তালিকা

    বিভাগবিজয়ীদেশ
    চিকিৎসা বিজ্ঞানসান্তে প্যাবােসুইডেন
    পদার্থ বিজ্ঞানজন ক্লোজারআমেরিকা
    অ্যালেন অ্যাসপেক্টফ্রান্স
    অ্যাটন জেলিঙ্গারঅস্ট্রেলিয়া
    রসায়ন বিজ্ঞানক্যারােলিন আর. বার্তোজীআমেরিকা
    কার্ল ব্যারি সার্পলেশআমেরিকা
    মর্টেন মেন্ডলডেনমার্ক
    সাহিত্যআনি এরনোফরাসি
    শান্তিআলেস বিলিয়াতস্কিবেলারুশ
    রাশিয়ান মেমােরিয়াল মানবাধিকার সংস্থারাশিয়া
    ইউক্রেনের মানবাধিকার সংস্থা সেন্ট্রাল ফর সিভিল লিবার্টিজইউক্রেন
    অর্থনীতিবেন এস. বারন্যাঙ্কআমেরিকা
    ডগ্লাস ডব্লিউ. ডায়মন্ডআমেরিকা
    ফিলিপ এইচ. ডিবভিগআমেরিকা

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    চিকিৎসা বিজ্ঞান : বিলুপ্ত হােমিন এবং মানব প্রজাতির জিনোম সম্পর্কিত গবেষণায় আবিষ্কারের দরুন চিকিৎসা বিজ্ঞানে একক ভাবে নােবেল বিজয়ী হলেন সুইডেনের বাসিন্দা সান্তে প্যাবাে।