Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযােগী

    বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহযােগী। প্রতিষ্ঠানটির সহায়তার ধরন মূলত, সহজ শর্তে ঋণ এবং অনুদান। এটি ঋণ, নীতি পরামর্শ, প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং জ্ঞান ভাগ করে নেওয়ার পরিষেবা প্রদান করে।

    বিশ্বব্যাংক একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা, যা বিভিন্ন দেশকে উন্নয়ন কর্মকাত্রে জন্য ঋণ, অনুদান ও পরামর্শ প্রদান করে। ১-২২ জুলাই ১৯৪৪ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডসের মাউন্ট ওয়াশিংটন হােটেলে অনুষ্ঠিত ৪৫টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে গৃহীত চুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক প্রতিষ্ঠা হয়। এ চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪৫। সংস্থাটির সদর দপ্তর ওয়াশিংটন ডিসি।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ১৯৪৭ সালে প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণ করে। তখনই বিশ্বব্যাংক শর্ত দেয় ঋণ পরিশােধকালে দেশটি অন্য যেকোনাে ঋণদাতার চেয়ে বিশ্বব্যাংকের ঋণ পরিশােধে অগ্রাধিকার দেবে। বাজেটে ব্যাপক কাটছাট করতে হবে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ৫টি অঙ্গসংস্থা হলাে— IBRD, IDA, IFC, ICSID ও MIGAT.

    পুনর্গঠন ও উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যাংক (IBRD) বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি অঙ্গ সংস্থা, যা মধ্যম আয়ের এবং ঋণযােগ্য নিম্ন-আয়ের দেশগুলির সরকারকে ঋণ দেয়। যার প্রধান উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ। IBRD-তে যােগদানের জন্য, দেশগুলিকে প্রথমে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) সদস্য হতে হবে। বাংলাদেশ IBRD থেকে কোনাে ঋণ নেয় নাই।

    আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি (IDA) বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি অঙ্গ সংস্থা, যা উন্নয়নশীল দেশসমূহ যাদের মাথাপিছু আয় ১,০৬৫ ডলারের নিচে, যেখানে লােকেরা দিনে দুই ডলারের কম আয় করে সেই দেশগুলিতে ঋণ প্রদান করে। IDA’র ঋণে শুধু ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪০ বছরের পরিকৃতা দেওয়া হয়। IDA’র ঋণে কোনাে সুদ নেই, তবে এটি বিতরণ করা এবং বকেয়া ঋণের উপর ০.৭৫% বার্ষিক পরিষেবা চার্জ দিতে হয়। IDA ঋণের এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি চার্জ বার্ষিক ০%-০.৫%। তাই IDA-কে Soft loan window বলা হয়। কারণ IDA সহজ শর্তে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেয়। IDA’র সদস্যপদ IBRD-এর সকল সদস্যের জন্য উন্মুক্ত।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    আন্তর্জাতিক পুঁজি বিনিয়ােগ সংস্থা (IFC) বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি অঙ্গ সংস্থা, যা স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে ব্যক্তিগত ও বেসরকারি খাতে ঋণ, ইকুইটি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। IFC সাধারণত ৭-১২ বছর মেয়াদে ব্যবসা। এবং ব্যক্তিগত প্রকল্পে ঋণ দেয়। IBRD’র সদস্যপদ IFC’তে সদস্য হওয়ার পূর্বশর্ত।

    পুঁজি বিনিয়ােগ জনিত বিরােধ নিষ্পত্তি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র (ICSID) বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি সালিশি প্রতিষ্ঠান। ICSID সরকার এবং বিদেশি বিনিয়ােগকারীদের মধ্যে বিনিয়ােগ বিরােধের সমঝােতা এবং সালিশের সুবিধা প্রদান করে।

    বহুপাক্ষিক বিনিয়ােগ গ্যারান্টি এজেন্সি (MIGA) বিশ্বব্যাংকগ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান, যা রাজনৈতিক ঝুঁকি বীমা এবং ঋণ বৃদ্ধির নিশ্চয়তা প্রদান করে। বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করার জন্য Foreign Direct Investment (FDI) এ উৎসাহ প্রদানের জন্য MIGA বিনিয়ােগকারীদের ঋণ দেওয়ার গ্যারান্টি প্রদান করে থাকে।

    বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের ঋণপ্রবাহ

    • ১৯৭১-৭২ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশকে সব উন্নয়ন সহযােগী সংস্থা ও দেশ খাদ্য, পণ্য এবং প্রকল্প সহায়তাসহ মােট ১৬,১২৮ কোটি ডলার বা ১৬১ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে জুন ২০২২ পর্যন্ত মােট ১০,১৩৬ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছাড় করেছে। ছাড় করা অর্থের মধ্যে ৩৬% বিশ্বব্যাংকের। নভেম্বর ১৯৭২ বাংলাদেশের জন্য বিশ্বব্যাংক প্রথম ৫ মিলিয়ন ইমার্জেন্সি রিকভারি ক্রেডিট দেয়।
    • জুন ১৯৭২-২০১৮ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে ২৮,৮৬৯ (বি.মা.ড) ঋণ প্রদান করেছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমানে ৫৫টি প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ১,৫৬৯ কোটি ডলার দিবে বিশ্বব্যাংক।
    • ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক তৃতীয় সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহযােগী হিসেবে বাংলাদেশের জন্য প্রায় ১৬৭ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা ছাড় করেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতি রেখে বিশ্বব্যাংক সিস্টেমেটিক কান্ট্রি ডায়গনস্টিক (SCD) ফান্ড গঠন করে।
    • ১৬ জুলাই ২০২২ Resilient Infrastructure for Adaptation and Vulnerability Reduction (RIVER) এর অধীনে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের | অনুদান ও ঋণদানের প্রতিশ্রুতি দেয়, যা সুদমুক্ত ঋণ।।
    • ৭ আগস্ট ২০২২ কোভিড রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ৩০০ (মি.মা.ড.) অর্থায়নের চুক্তি সই করে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশ SDR মুদ্রায় এ ঋণ গ্রহণ করবে। বার্ষিক ০.৭৫ % সার্ভিস চার্জ এবং ১.২০% হারে সুদ দিতে হবে।
    • ২২ আগস্ট ২০২২ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ১,৫০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। অন্যদিকে, IDA স্বাধীনতার পর থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত তিনটি খাতে সর্বমােট ২৪,৯৭১ (মি.মা.ড.) ঋণ দেয়। খাত তিনটি হলাে- খাদ্য সাহায্য, পণ্য সহায়তা ও বিভিন্ন প্রকল্প। IFC আগামী পাঁচবছরে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার দিবে। MIGA বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে বছরে ৬৯৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ গ্যারান্টি দিচ্ছে।
  • সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (CEPA)’র সাতকাহন

    দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মােদি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সংবাদ সম্মেলন করেন। দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (CEPA) স্বাক্ষরের ঘােষণা দেন।

    CEPA কী?

    CEPA’র পূর্ণরূপ Comprehensive Economic Partnership Agreement। দুটি দেশের মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়ােগ ও যােগাযােগ বাড়ানাের কৌশলগত উদ্যোগ বা ধারণাই CEPA। এতে দুই দেশের সুবিধা অনুযায়ী, অবাধ বাণিজ্যের পরিবেশ, সৃষ্টি হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি রয়েছে। ইউরােপীয় ইউনিয়নভুক্ত (EU) দেশগুলাের মধ্যেও এ চুক্তি রয়েছে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বর্তমানে ভারতের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার CEPA চুক্তি রয়েছে। আর কানাডা ও বাংলাদেশের সাথে CEPA চুক্তি নিয়ে আলােচনা চলমান। বাংলাদেশ এখনাে কারও সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর করে নাই। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গেই প্রথম স্বাক্ষরিত হবে এই চুক্তি। এই চুক্তির পথ ধরে জাপান, চীন ও EU’র সাথেও CEPA’র সম্ভাবনা রয়েছে।

    স্বাক্ষর প্রক্রিয়া

    সাধারণত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয় সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি। চুক্তির প্রস্তুতি হিসেবে একটি যৌথ সমীক্ষা দল তৈরি করে সংশ্লিষ্ট পক্ষ। এই সমীক্ষা দল দুই দেশের বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বাণিজ্যিক সহযােগিতার সম্ভাব্যতা যাচাই করে। দুই দেশের মধ্যে হওয়া অন্যান্য বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা-অসুবিধা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করার পাশাপাশি দুই দেশের বাজার সক্ষমতার বিভিন্ন বিষয় নিয়েও গবেষণা চালায়।

    পরবর্তী ধাপে সমীক্ষার পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে নানা আলােচনা ও সমঝােতা বৈঠকের মধ্যে দিয়ে চুক্তির শর্তগুলাে প্রণয়ন করে দুই দেশ। এ সব শর্তে সংযােজন-বিয়ােজন-পরিমার্জন এবং সংশােধনের মধ্য দিয়ে একমত হওয়ার মাধ্যমে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের দিকে এগিয়ে যায় দুই দেশ। এরপর আইনগত নানা প্রক্রিয়া শেষে চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশের সংসদে অনুমােদনের পর থেকেই মূলত কার্যকর হয় CEPA।

    CEPA’র উদ্দেশ্য

    সাধারণত ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সহযােগী দেশগুলাের মধ্যেই হয় CEPA। তবে বাণিজ্য পরিস্থিতি, পণ্যের ধরন, বাণিজ্যিক আইন-কানুন ইত্যাদি দেশভেদে বিভিন্নরকম হওয়ায় একেক দেশের ক্ষেত্রে CEPA একেক রকম হয়।CEPA সাধারণত win-win-win এই তিন বিবেচনায় করা হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে শুধু সংশ্লিষ্ট দুই দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের সুবিধার কথাই মাথা রাখা হয় না, একই সঙ্গে ভােক্তাদের সুবিধার কথাও মাথায় রাখতে হয়।CEPA’র উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলাের সাপেক্ষে স্নিভিন্ন হতে পারে। তবে মূল বিষয়টি হলাে দুই দেশের মধ্যে পণ্য ও সেবা বিনিময়ের ক্ষেত্রটি আরও উদার এবং বহুমাত্রিক করা।

    বাংলাদেশের জন্য CEPA’র গুরুত্ব

    ২৪ নভেম্বর ২০১৬ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্যের সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বাংলাদেশ পাবে না। এতে করে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) করতে হবে।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    অন্যথায় বাংলাদেশের পণ্য সেসব দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে না। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই বর্তমানে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (SAFTA) আওতায় রয়েছে। এর অধীনে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য স্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। LDC থেকে উত্তরণের ফলে ২০২৬ সালে SAFTA’র বিদ্যমান সুবিধা পাবে না। তখন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য বাড়াতে নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রয়ােজন হবে।

    তাছাড়া ভারত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য সহযােগী। চীনের পর সবচেয়ে বেশি পণ্য ভারত থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। তবে রপ্তানি সে তুলনায় নগণ্য। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতিও অনেক বেশি। যা প্রায় ১,২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ভারত তাদের বাজারে বাংলাদেশের অধিকাংশ পণ্যেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও ননট্যারিফ বাধার কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছে না। সে হিসাবে দেশটির বিশাল বাজার ধরতে CEPA সহায়ক হবে। বাংলাদেশ-ভারত CEPA স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০% এবং বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি ১৮৮% বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও ভারতের GDP’তে যথাক্রমে ১.৭২% এবং ০.০৩% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।

  • বিশ্বজুড়ে বিচিত্র মন্ত্রণালয়

    বিশ্বের প্রায় সব দেশে বিভিন্ন ধরনের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে। এর বাইরেও দেশে দেশে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী। সম্প্রতি পাপুয়া নিউগিনির সরকার দেশের কফিকে জনপ্রিয় করে তুলতে একজন কফি মন্ত্রী নিয়ােগ দেয়। এ প্রেক্ষিতে আমাদের এ আয়ােজন—

    বিশ্বের প্রথম কফিমন্ত্রী
    কফি ও পাম তেল পাপুয়া নিউগিনির দুটি শীর্ষ রপ্তানি পণ্য। ২০০৮ সাল থেকে পাপুয়া নিউগিনির প্রধান কৃষি রপ্তানির শীর্ষে রয়েছে পাম তেল। এ পণ্য থেকে ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার রপ্তানি আয় করে দেশটি। দেশটির কৃষি রপ্তানি পণ্যের দ্বিতীয় অবস্থানে কফি। এ পণ্য থেকে ২০১২-২০১৭ সাল পর্যন্ত GDP’র ৬% জোগান আসে। ২৩ আগস্ট ২০২২ পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপ্পে তার মন্ত্রিসভায় নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করেন। এর একটি হচ্ছে, কফিমন্ত্রী ও অন্যটি পাম তেলবিষয়ক মন্ত্রী। এর মধ্যে কফিমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ পান দেশটির কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক উপমন্ত্রী জো কুলি। বিশ্বে শুধু কফির বিষয়টি দেখতে মন্ত্রী পদে নিয়ােগের ঘটনা এটিই প্রথম। এই মন্ত্রীর কাজ হবে কফিবিষয়ক নানা কিছু দেখভাল ব্রা। দেশটির সরকারপ্রধান বলেছেন, চলতে-ফিরতে, ঘুমানাে, আড্ডা সবখানে কফি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে এ মন্ত্রীকে।

    জাতীয় সুখ কমিশন, ভুটান

    বজ্র ড্রাগনের দেশ নামে পরিচিত ভুটানের রাজার উপাধি ‘ড্রাগন রাজা’। স্থলবেষ্টিত দেশ ভুটানের আকার, আকৃতি ও ভূপ্রকৃতি সুইজারল্যান্ডের সদৃশ বলে দেশটিকে এশিয়ার সুইজারল্যান্ড ডাকা হয়। জনগণের সুখের কথা মাথায় রেখে প্রায় ৪৪ বছর আগেই জাতীয় সুখ কমিশন গঠন করেছিল ভুটান। বিশ্বে ভুটানই প্রথম দেশ যারা জাতীয় সুখ সূচক চালু করে । ১৮ জুলাই ২০০৮ থেকে দেশটি জাতীয় প্রবৃদ্ধি যাচাইয়ে মােট জাতীয় সুখকে অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচনা করছে। টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক সুরক্ষা ও সুশাসনের ভিত্তিতে এ মূল্যায়ন করা হয়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    প্রচার ও বিক্ষোভ বিভাগ, উত্তর কোরিয়া

    যাচ্ছেতাই দাবি প্রতিষ্ঠা করতেই ১৯৪৫ সালে প্রচার ও বিক্ষোভ (Propaganda and Agitation Department –PAD) নামে রাষ্ট্রীয় বিভাগের জন্ম। দেশটির সাবেক নেতা কিম জং ইল বার্গার আবিষ্কার করেন এবং তিনি গলফ খেলার অভিষেকেই ১১ পয়েন্ট অর্জন করেন বলে গুজব ছড়ায় এ বিভাগ। আরও দাবি করা হয় যে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন মাত্র তিন বছর বয়সে গাড়ি চালানাে শিখেছেন। এসব গুজব প্রচারণার লক্ষ্যেই এক সময় প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিভাগ। অন্যসব দেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে এ প্রতিষ্ঠানটি। কিম ২৮ নভেম্বর ২০১৪ তার বােনকে এ বিভাগের দায়িত্ব দেন।

    সহনশীলতা ও সহাবস্থান মন্ত্রণালয়, আমিরাত

    ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সংযুক্ত আরব আমিরাত সহনশীলতা ও সহাবস্থান মন্ত্রণালয় (Ministry of Tolerance and Coexistence) সৃষ্টি করে। অভিনব এ মন্ত্রণালয়ের জন্য মন্ত্রীও রয়েছেন। ২০১৯ সালে আমিরাত অসম্ভব একটি মন্ত্রণালয় তৈরি করে। এ মন্ত্রণালয়টি অসম্ভব চ্যালেঞ্জগুলাে কার্যকরভাবে মােকাবিলা করতে এবং ভবিষ্যতের প্রস্তাবগুলাের জন্য পরিকল্পনা করে। এ মন্ত্রণালয়ের কোনাে মন্ত্রী নেই। তবে বেশ কয়েকজন সদস্য দ্বারা পরিচালিত হয়।

    যােগ মন্ত্রণালয়, ভারত

    যােগ ব্যায়াম ভারতে ঐতিহ্যবাহী এক প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার পদ্ধতি। ৯ নভেম্বর ২০১৪ যােগ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় নরেন্দ্র মােদি ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যােগ দিবস বলে ঘােষণা করার প্রস্তাব দেন। একই সালের ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যােগ দিবস হিসেবে ঘােষণা করে। ২০১৫ সালের জুনে যােগ দিবসে তিনি আয়ােজন করেছিলেন বিশ্বের বৃহত্তম যােগ ব্যায়ামের আসর।

    একাকিত্ব মন্ত্রণালয়, যুক্তরাজ্য

    যুক্তরাজ্যের জো কক্স কমিশন অন লােনলিনেস-এর ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে জানায়, দেশটিতে ৯০ লাখের বেশি মানুষ হয় সব সময়, নতুবা প্রায়ই নিঃসঙ্গতাবােধ করে। যুক্তরাজ্য সরকারের গবেষণা বলছে, দেশটিতে প্রায় দুই লাখ প্রাপ্তবয়স্ক আছেন, যাদের বন্ধু বা স্বজনের সঙ্গে এক মাসের বেশি সময় কথা হয় না। এমন পরিস্থিতিতে ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ যুক্তরাজ্য একাকিত্ব মন্ত্রণালয় নামে অদ্ভুত মন্ত্রণালয় চালু করে। সাবেক যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের আমলে শুরু হয় এ মন্ত্রণালয়ের পথ চলা।

    রাষ্ট্রীয় আইন ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ, মিয়ানমার

    ১৯৬২ সাল থেকে নানা চড়াই-উতরাই পার করে আসছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার। এ দেশে সামরিক জান্তাদের কড়া শাসন আড়াল করতে রাষ্ট্রীয় শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার পরিষদ (State Peace and Development Council) নামে একটি বিভাগ খােলা হয়। এর সামগ্রিক পরিচালনায় ছিলেন মাত্র ১১ জন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা। ছদ্ধবেশী এ নামের বদৌলতে নাগরিকদের মন ও আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণই মূল লক্ষ্য ছিল। কিন্তু তা সফল না হওয়ায় ১৯৯৭ সালে নামটি পন্টে রাষ্ট্রীয় শান্তি ও উন্নয়ন পরিষদ (State Law and Order Restoration Council) দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ ২০১১ পরিষদ বিলুপ্ত করা হয়।

  • বিভিন্ন পরীক্ষাতে এশিয়া মহাদেশ থেকে যত প্রশ্ন এসেছে

    বিভিন্ন পরীক্ষাতে এশিয়া মহাদেশ থেকে যত প্রশ্ন এসেছে সেগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও জনবহুল মহাদেশ এশিয়া। বিশ্বের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ এশিয়ায় বাস করে। এবারে থাকছে দেশ-মহাদেশের এশিয়া পর্ব।

    দেশ ও মহাদেশ
    মহাদেশআয়তন (বর্গ কিমি)দেশবৃহৎ দেশক্ষুদ্রতম দেশসর্বশেষ স্বাধীন
    এশিয়া৪,৪৫,৭৯,০০০৪৫চীনমালদ্বীপপূর্ব তিমুর
    আফ্রিকা৩,০২,২১,০০০৫৪আলজেরিয়াসিচেলেসদক্ষিণ সুদান
    উ. আমেরিকা২,৪২,৫৬,০০০২৩কানাডাসেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসসেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস
    দ. আমেরিকা১,৭৮,১৯,০০০১২ব্রাজিলসুরিনামসুরিনাম
    ইউরােপ৯৯,৩৮,০০০৪৮রাশিয়াভ্যাটিকান সিটিকসোভাে
    ওশেনিয়া৮১,১২,০০০১৪অস্ট্রেলিয়ানাউরুপালাউ
    অ্যান্টার্কটিকা১,৩২,০৯,০০০
    ১৯৬টি দেশের মধ্যে ভ্যাটিকান সিটি ও ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দেশ। অন্যদিকে, কসােভাে জাতিসংঘের সদস্য কিংবা পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র নয়।

    দক্ষিণ এশিয়া

    প্রশ্ন : Orientalism শব্দটির অর্থ কী?
    উত্তর : প্রাচ্যবাদ।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : আফগানিস্তানের শেষ বাদশাহ কে ছিলেন?
    উত্তর : জহির শাহ।

    প্রশ্ন : কত সালে আফগানিস্তান থেকে সােভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়?
    উত্তর : ১৯৮৯ সালে।

    প্রশ্ন : আফগানিস্তানের কোন শহরে তালেবানরা ইরানের কূটনীতিবিদদের হত্যা করেছে?
    উত্তর : মাজার-ই-শরীফ।

    প্রশ্ন : কোনটি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সংশ্লিষ্ট বিষয়?
    উত্তর : সংস্কৃতি।

    প্রশ্ন : কোন দেশের পতাকায় চাঁদ ও সূর্য আছে?
    উত্তর : নেপাল।

    প্রশ্ন : জনসংখ্যার হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ কোনটি?
    উত্তর : ভারত।

    প্রশ্ন : নিকোবর দ্বীপ’-এর মালিকানা কোন দেশের?
    উত্তর : ভারত।

    প্রশ্ন : কান্দাহার কোন দেশের শহর?
    উত্তর : আফগানিস্তান।

    প্রশ্ন : নাথু লা পাস কোন দুটি দেশকে সংযুক্ত করেছে?
    উত্তর : ভারত-চীন।

    প্রশ্ন : ভারতের কোন শহরকে Wifi শহর বলা হয়?
    উত্তর : বেঙ্গালুরু।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    প্রশ্ন : বিশ্বের কোন দেশে সর্বাধিক দরিদ্র মানুষের বসবাস?
    উত্তর : ভারত।

    প্রশ্ন : স্বাধীনতাকালীন ভারতবর্ষে ভাইসরয় কে ছিলেন?
    উত্তর : লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

    প্রশ্ন : বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতবর্ষের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
    উত্তর : লর্ড কার্জন।

    প্রশ্ন : ভারতে ক্যাবিনেট মিশন কখন এসেছিল?
    উত্তর : ১৯৪৬ সালে।

    প্রশ্ন : ‘কালাপানি কোন দুটি রাষ্ট্রের অমীমাংসিত ভূখণ্ড?
    উত্তর : ভারত-নেপাল।।

    প্রশ্ন : বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান কোন দেশের?
    উত্তর : ভারতের।

    প্রশ্ন : টিপাইমুখ ভারতের কোন রাজ্যে এ অবস্থিত?
    উত্তর :মনিপুর।

    প্রশ্ন : ভারত উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে–
    উত্তর : ১৮৫৮ সালে।

    প্রশ্ন : কলকাতা নগরীর প্রতিষ্ঠাতা কে?
    উত্তর : জব চার্নক।

    প্রশ্ন : ইন্দোনেশিয়া ব্যতীত কোন দেশের মুসলমান সংখ্যা সর্বাধিক?
    উত্তর : পাকিস্তান।

    প্রশ্ন : কোন সালে পাকিস্তানে প্রথম ; সামরিক শাসন জারি হয়েছিল?
    উত্তর : ১৯৫৮।

    প্রশ্ন : তক্ষশীলা কোন দেশে অবস্থিত?
    উত্তর : পাকিস্তানে।

    প্রশ্ন : পাকিস্তান’ শব্দটি সর্বপ্রথম কে তৈরি করেন?
    উত্তর : চৌধুরী রহমত আলী।

    প্রশ্ন : আফগানিস্তানে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে কত সালে?
    উত্তর : ১৯৭৩।

    প্রশ্ন : পৃথিবীর সর্বোচ্চ বুদ্ধমূর্তিটি কোথায় অবস্থিত ছিল?
    উত্তর : আফগানিস্তান।

    প্রশ্ন : মধ্য এশিয়ার কোন দেশটির সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত নেই?
    উত্তর : কাজাখস্তান।।

    প্রশ্ন : জাফনা দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর :শ্রীলংকা।

    প্রশ্ন : বিশ্বের প্রথম ধুমপানমুক্ত দেশ কোনটি?
    উত্তর : ভুটান।

    প্রশ্ন : এশিয়ার দক্ষিণ ভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে—
    উত্তর : বিষুব রেখা।

    প্রশ্ন : আজকের কোন দেশটি প্রাচীনকালে পারস্য নামে পরিচিত ছিল?
    উত্তর : ইরান।

    প্রশ্ন : কোন দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পদ্ধতির সরকার নেই?
    উত্তর : ইরান।

    প্রশ্ন : নিচের কোন দেশটি স্থলবেষ্টিত নয়?
    উত্তর : ইরান।

    প্রশ্ন : এডামস্ পিক কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : শ্রীলংকা।

    দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া

    প্রশ্ন : ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমােক্রেসি কোন দেশের রাজনৈতিক দল?
    উত্তর : মিয়ানমার।

    প্রশ্ন : শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের কবর কোথায়?
    উত্তর : ইয়াঙ্গুন।

    প্রশ্ন : মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকারের নাম—
    উত্তর : ন্যাশনাল ইউনিটি সরকার।

    প্রশ্ন : কোন রাষ্ট্রটি বিরােধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমার দাবিদার নয়?
    উত্তর : কম্বােডিয়া।

    প্রশ্ন : লাওসের (Laos) সরকারি নাম কি?
    উত্তর : Loas People’s Democratic Republic

    প্রশ্ন : ‘ডমিনাে তত্ত্বটি কোন অঞ্চলের জন্য প্রযােজ্য ছিল?
    উত্তর : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।

    প্রশ্ন : কোন দেশটি অতীতে কখনও অন্য কোনাে দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়নি?
    উত্তর : থাইল্যান্ড।

    প্রশ্ন : এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত সর্বশেষ স্বাধীন দেশ কোনটি?
    উত্তর : পূর্ব তিমুর।

    প্রশ্ন : হ্যালং বে কোন দেশে অবস্থিত?
    উত্তর : ভিয়েতনাম।

    প্রশ্ন : পৃথিবীর সর্বাধিক দ্বীপপুঞ্জের দেশ কোনটি?
    উত্তর : ইন্দোনেশিয়া।

    প্রশ্ন : জনসংখ্যার ভিত্তিতে পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম দেশ কোনটি?
    উত্তর : ইন্দোনেশিয়া।

    প্রশ্ন : সুমাত্রা দ্বীপ কোন দেশের অংশ?
    উত্তর : ইন্দোনেশিয়া।

    প্রশ্ন : বান্দা আচেহ’ কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : ইন্দোনেশিয়া।

    প্রশ্ন : বর্তমান বিশ্বের একমাত্র নগর রাষ্ট্র হলাে—
    উত্তর : সিঙ্গাপুর।

    প্রশ্ন : মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক নাম হচ্ছে—
    উত্তর : দি রিপাবলিক অব ইউনিয়ন অব মিয়ানমার।

    প্রশ্ন : ‘আরাকানের পূর্বনাম কী?
    উত্তর : রােসাং।

    প্রশ্ন : বরবুদুর কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : ইন্দোনেশিয়া।

    পূর্ব এশিয়া/দূরপ্রাচ্য

    প্রশ্ন : চীনের জিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশের মুসলিম গােষ্ঠীর নাম
    উত্তর : উইঘুর।।

    প্রশ্ন : গ্রেট হল অবস্থিত—
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : নিচের কোন রাষ্ট্র সর্বাধিক রাষ্ট্রের সাথে সীমান্তযুক্ত?
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : এশিয়া ওয়াচ’ কর্তৃক উৎঘাটিত কোন অপরাধের জন্য চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র Special 301 প্রয়ােগ করার বিবেচনা করে?
    উত্তর : জুন ১৯৮৯ সালে তিয়েন আনমেন স্কোয়ারে সংঘটিত ট্রাজেডি।

    প্রশ্ন : বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশ কোনটি?
    উত্তর : চীন

    প্রশ্ন : ‘তিয়েন আনমেন স্কোয়ার’ কোথায় অবস্থিত?
    উত্তর : বেইজিং ।

    প্রশ্ন : কোন দেশের সেনাবাহিনী ‘পিপস লিবারেশন আর্মি নামে পরিচিত?
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : যে স্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে—
    উত্তর : দক্ষিণ চীন সাগর।।

    প্রশ্ন : চীনে কত সালে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠিত হয়?
    উত্তর : ১৯৪৯।

    প্রশ্ন : কত সালে নানকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে চুক্তির অধীনে হংকংকে ব্রিটিশ কলােনি হিসেবে ঘােষণা দেওয়া হয়?
    উত্তর : ১৮৪২।

    প্রশ্ন : ‘ফালুন গং’ কী?
    উত্তর : চীনের একটি আধ্যাত্মিক আন্দোলন।

    প্রশ্ন : কোন দেশে প্রথম আণবিক বােমা ফেলা হয়?
    উত্তর : জাপান।

    প্রশ্ন : পৃথিবীতে সর্বোচ্চ গড় আয়ুর দেশ কোনটি?
    উত্তর : জাপান।

    প্রশ্ন : Sunshine Policy-এর সাথে কোন দুটি দেশ জড়িত?
    উত্তর : উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া।

    প্রশ্ন : বেল্ট ও রােড ইনিসিয়েটিভ (বিআরআই) প্রস্তাব করেছে
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : বর্তমান বিশ্বে ‘নিউ সিল্ক রােড’ এর প্রবক্তা
    উত্তর : চীন।

    প্রশ্ন : দূর প্রাচ্যের দেশ কোনটি?
    উত্তর : জাপান।

    প্রশ্ন : উত্তর কোরিয়া অবস্থিত—
    উত্তর : পূর্ব এশিয়ায়।

    প্রশ্ন :বর্তমান বিশ্বের কোন দেশটির সংবিধানকে ‘শান্তি সংবিধান বলা হয়?
    উত্তর : জাপান।

    প্রশ্ন : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোন আমেরিকান জাপান পুনর্গঠন করেন?
    উত্তর : ম্যাক আর্থার।

    প্রশ্ন : জাপান ও রাশিয়ার মধ্যকার বিরােধপূর্ণ দ্বীপটির নাম কি?
    উত্তর : কুড়িল দ্বীপপুঞ্জ।

  • ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া

    কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া। মস্কো আবার ওই চুক্তিতে ফিরছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এই চুক্তি পুনর্বহালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক। খবর- বিবিসি ও আল-জাজিরার।

    তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান আজ বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারকে ফোন করেছেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী এত দিন যে করিডর দিয়ে শস্য রপ্তানি হচ্ছিল, বুধবার থেকে সেভাবে আবার শস্য রপ্তানি করা যাবে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    এবার শস্য রপ্তানিতে সোমালিয়া, জিবুতি ও সুদানের মতো আফ্রিকার দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। রাশিয়ার উদ্বেগের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, বৈশ্বিক খাদ্যসংকট মোকাবিলায় শস্য রপ্তানি শুরু হলেও এত দিন তা ধনী ও উন্নত দেশগুলোতে যাচ্ছিল।

    এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শস্য রপ্তানির জন্য তৈরি করিডরকে ইউক্রেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে না—কিয়েভের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই চুক্তিতে ফিরেছে রাশিয়া।

    রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, কিয়েভের কাছ থেকে এ প্রতিশ্রুতি আদায়ে তুরস্ক ও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করেছে। তারা ওই আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম জানায়নি। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়াকে শস্য রপ্তানির চুক্তিতে ফেরাতে তুরস্কের পাশাপাশি মধ্যস্থতা করেছে জাতিসংঘ।

    রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার বিশ্বাস, এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় যেসব নিশ্চয়তা মস্কো পাচ্ছে, তাতে করে চুক্তিতে আবার ফেরা যায়। গত সপ্তাহে সেভাস্তোপল বন্দরে সন্ত্রাসীদের (ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী) হামলার পর রাশিয়া শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিল।’

    ২৯ অক্টোবর কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপকূলে রাশিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন বাহিনী। এরপর ওই সাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় মস্কো। তখন ইউক্রেনের সমুদ্রসীমায় শস্য রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে ইউক্রেন থেকে কোনো শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায়নি।

    গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালে দেশটি থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত জুলাইয়ে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি করে দুই দেশ। গত ১ আগস্ট এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে বিভিন্ন দেশে ৯৩ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

    রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ দুই গম রপ্তানিকারক দেশ। ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করত। সেখানে গত সেপ্টেম্বরে দেশটি ৪০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করে।

    কিয়েভে আংশিক ‘ব্ল্যাকআউট’

    কিয়েভের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলায় শহরটির বাসিন্দাদের একটি অংশ এখনো বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত সোমবার কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি পানির সংকটেও পড়েন কিয়েভের বাসিন্দারা। গত মঙ্গলবার সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা সচল হলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

    গতকাল মঙ্গলবার কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশ্চকো বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সংকট মোকাবিলায় নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ক্রিমিয়ায় রুশ নৌঘাঁটিতে হামলার জেরে কিয়েভে এসব হামলা চালায় মস্কো।

  • কপ-২৭ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন জো বাউডেন

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাউডেন আগামী মাসে মিশরে অনুষ্ঠেয় কপ-২৭ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে তিনি জলবায়ু নিয়ে কাজ করার বিশ্বের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। খবর- এএফপির।

    এবারের কপ-২৭ সম্মেলনে জলবায়ু সংকটের লাগাম টেনে ধরতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা জোরদারে আরও প্রচেষ্টা চালানো হবে। আর এই সংকটের প্রভাবে দাবানল থেকে শুরু করে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তীব্রতর হচ্ছে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন বৈশ্বিক জলবায়ু মোকাবিলার যুদ্ধে এগিয়ে আসবেন ও জলবায়ুর প্রভাবের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্বলদের স্বাভাবিক অবস্থায় প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করবেন। তিনি দৃঢ়সংকল্পের এই দশকে জলবায়ু নিয়ে বিশ্বের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন।

    মিশর লোহিত সাগরের রিসোর্ট শহর শারম-আল-শেখে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের পক্ষগুলোর ২৭তম সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

    বার্ষিক ইউএস-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কম্বোডিয়ায় যাওয়ার আগে বাইডেন ১১ নভেম্বর এ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং পরে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য তিনি সেখান থেকে ইন্দোনেশিয়ায় যাবেন।

    হোয়াইট হাউস জানায়, তিনি জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং ক্রয়ক্ষমতাসহ জলবায়ু পরিবর্তন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে জি২০ অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবেন। তিনি বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারেও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে কাজ করবেন।

  • ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    স্থিতিশীল সরকার গঠনে ব্যর্থ ইসরাইলে চার বছরের কম সময়ে পঞ্চমবারের মতো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। রব উঠেছে মঙ্গলবারের এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফের ক্ষমতায় ফিরছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ভোট শেষ হওয়ার আগেই এবারে নির্বাচনে নেতানিয়াহুর উগ্র ডানপন্থি দলের সফলতার কথা জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। জনমত জরিপ অনুসারে, ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ষাটটির বেশি আসন পেতে পারে নেতানিয়াহুর জোট।

    ইতোমধ্যেই সরকার গঠনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী দলে রূপ নিয়েছে তার দল। লিকুদ ছাড়াও জোটে রয়েছে কট্টরপন্থি শাসক ও ইউনাইটেড তোরাহ জুদায়িজম। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়। শেষ হওয়ার কথা রাত ১০টা পর্যন্ত। দিনের শুরুতে জেরুজালেমের একটি কেন্দে ভোট দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও লিকুদের প্রধান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ভোট শেষে তিনি বলেন, ‘আমি একটু চিন্তিত। তবে আশা করি আমরাই শেষ হাসি হাসব।’

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ইসরাইলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৮.৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। ১৯৯৯ সালের নির্বাচনের পর সর্বোচ্চ ভোটদান। ২০২১ সালের নির্বাচনের তুলনায় এবারের ভোটার উপস্থিতি বেশি। আগের নির্বাচনে এই হার ছিল ২৫.৪ শতাংশ।

    আরো পড়ুন : কপ-২৭ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন জো বাউডেন

    ইসরাইলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা শুরু হয়েছে ২০১৯ সাল থেকেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর থেকে নির্বাচনের চক্রে আটকে আছে দেশটি। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা একজোট হলেও, তার অনুগতদের সমর্থন টলানো যায়নি।

    সমালোচকদের ধারণা তিনি ক্ষমতায় ফিরে এলে শাস্তি এড়াতে ইসরাইলের বিচারব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবেন। মূলত চরম ডানপন্থি ও কট্টর ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো তাকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সমর্থন দেওয়ায়, এই চতুর রাজনীতিক সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করার সম্ভাবনাই বেশি।

    নেতানিয়াহুর বিপরীতে রয়েছেন সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপক এবং অর্থমন্ত্রী ৫৮ বছর বয়সি লাপিদ। তার ‘দেয়ার ইজ আ ফিউচার’ দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে তার জোটটি নেতানিয়াহুর জোটের চেয়ে কিছুটা দুর্বল। এমনকি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যানট্জ এর ‘জায়োনিস্ট ইউনিয়ন’ দলটি নেতানিয়াহু বা লাপিদের দলের চাইতে অনেক কম আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বাইরে রয়েছেন ইতামার বেন-গেভির।

    আরো পড়ুন : ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া

    তিনি একজন চরম জাতীয়তাবাদী আইনপ্রণেতা, যিনি হয়তো নেতানিয়াহুকে ক্ষমতায় বসাতে পারেন। তার বিরুদ্ধে বর্ণবাদী উনকানি দেওয়া এবং ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কালোতালিকাভুক্ত এক গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থনের প্রমাণিত অভিযোগ থাকলেও, তিনি এখন আরও পরিপক্ব হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।

    দেশটির এক-পঞ্চমাংশ আরব সংখ্যালঘু মানুষের অনেকেই ফিলিস্তিনি হিসাবে বা তাদের পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হলে তা নেতানিয়াহুকে পরিষ্কার বিজয় এনে দিতে পারে। কিন্তু উপস্থিতি বেশি হলে তা যাবে লাপিদের পক্ষে, কারণ তার বিদায়ী ক্ষমতাসীন জোটটিতে ইসরাইলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি আরব দল অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    হারেৎজ পত্রিকার রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়োসি ভার্টার বলেন, নির্বাচনে নেতানিয়াহুর দল ভালো অবস্থায় রয়েছে। যেহেতু ক্ষমতায় যেতে ৬১টি আসন দরকার সে ক্ষেত্রে নেতানিয়াহুর জোট এর বেশি আসন পাবে। তার জয় হয়তো সময়ের ব্যাপার মাত্র। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ইসরাইলের ক্ষমতায় ছিলেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শেষ চার নির্বাচনেও সর্বোচ্চ আসন পেয়েছিল তার দল লিকুদ পার্টি। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেননি তারা।

  • দ্বিগুণ বেড়েছে ইউরোপের তাপমাত্রা

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত তিন দশকে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ বেড়েছে ইউরোপের তাপমাত্রা। নতুন এক রিপোর্টে ইউরোপ মহাদেশের জলবায়ু নিয়ে ভীতিকর এ তথ্য উঠে এসেছে। এটাকে একেবারেই ব্যতিক্রম ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন বিশ্লেষকরা।

    আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত ওই রিপোর্টমতে, গত ৩০ বছরে ইউরোপের তাপমাত্রা যে বেড়েছে, তার প্রভাব এরই মধ্যে টের পেতে শুরু করেছেন এ অঞ্চলের অধিবাসীরা। খরা, দাবানল ও হিমবাহ গলে যাওয়ার মতো উষ্ণায়নের প্রত্যক্ষ ফল তারা দেখছেন।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ‘দ্য ইউরোপিয়ান স্টেট অব ক্লাইমেট’ শীর্ষক রিপোর্টমতে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ইউরোপের তাপমাত্রা প্রতি ১০ বছরে গড়ে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হারে বেড়েছে। এর ফলে আল্পস পর্বতের হিমবাহ গলে গিয়ে এর পুরুত্ব ৩০ মিটার কমেছে। গ্রিনল্যান্ডের বরফের বিছানাও গলে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে সমুদ্রস্তর।

    আরো পড়ুন : কপ-২৭ জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন জো বাউডেন

    বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, উষ্ণায়নের এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দাবানলের সঙ্গে সঙ্গে বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভয়ানক রূপ নেবে। যার ফলে সমাজ, অর্থনীতি ও বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিরূপ আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এরই মধ্যে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ সালেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫ লাখ।

    জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব নিয়ে প্রতিনিয়তই খারাপ খবর আসছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, মনুষ্যসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চলতি বছর খরার প্রভাব ২০ গুণ বেড়েছে। ক্ষরার প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস ইউরোপের তাপমাত্রা সবচেয়ে উষ্ণ ছিল।

    বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে যোগসূত্রের গবেষণা করে জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্টি না হলে এমন খরা প্রতি ৪০০ বছরে একবার হতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অর্থাৎ জলবায়ু কতটা উষ্ণ, সে বিবেচনায় ধারণা করা হচ্ছে প্রতি ২০ বছরে এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি হবে।

    আরো পড়ুন : ফিরছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু

    চলতি সপ্তাহেই জলবায়ু নিয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিভিন্ন দেশ নানা প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকার করলেও সেসব অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এখনও দূর অস্ত। আর সেই সুযোগে বিশ্ব আরও প্রায় ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তপ্ত হওয়ার পথে হাঁটছে। বিপর্যয়কর পরিস্থিতির লাগাম টানতে চলতি দশকে কার্বন নিঃসরণ অবশ্যই ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

    বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ নিয়ে আইইএর সতর্কবার্তা

    এদিকে গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) জানিয়েছে, ২০২৫ সাল নাগাদ বৈশ্বিক জ্বালানি সংশ্লিষ্ট কার্বন নিঃসরণ সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    সংস্থাটির প্রকাশিত সবশেষ বার্ষিক বিশ্ব জ্বালানিসংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট গভীর এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে আরও টেকসই নিরাপদ জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরো পড়ুন : ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া

    আইইএর অনুমান, ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানি মূল্যের মুখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের সবশেষ নীতি ও পদক্ষেপে পরিচ্ছন্ন শক্তি খাতে বিনিয়োগ বর্তমানের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে নবায়নযোগ্য এবং পরমাণুশক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য সফলতা আসবে। আইইএ বলছে, ’এর ফলাফল হিসেবেই ২০২৫ সাল নাগাদ বৈশ্বিক নিঃসরণ শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছাবে।’

    গত বছরই আইইএ বলেছিল, ‘কোনো চূড়ান্ত মাত্রা নেই।’ কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পাল্টে গেছে সেই পরিস্থিতি। বায়ু ও সৌরশক্তি খাতে নতুন করে উচ্চমাত্রার বিনিয়োগ সব ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদাকে শীর্ষে নিয়ে যাবে এবং এর জেরে একটা নির্দিষ্ট সময় পর মোট কার্বন নিঃসরণ কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • মন্দার মুখে বৈশ্বিক অর্থনীতি

    করােনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় গতি হারায় পুরাে বিশ্বের অর্থনীতি। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্বে কি মন্দা আসন্ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরােপের অর্থনীতি দ্রুত গতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছরে সামান্য আঘাতেও মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৯৮০-এর দশক থেকে এখন পর্যন্ত ৯ বার মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র পাঁচবার মন্দা দেখা গেছে।

    মন্দা কী?

    মন্দার কোনাে স্বীকৃত সংজ্ঞা নেই। অর্থনীতির ভাষায় সাধারণত একটি অর্থবছরের পরপর দুইটি প্রান্তিকে কোনাে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে যদি নিম্নমুখী বা ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকে তবে তাকে মন্দা বলা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে অর্থনীতির বিকাশ যখন ৩ শতাংশের কম হয় তখন সেই পরিস্থিতিকে বিশ্বব্যাপী মন্দা বলা যায়। তাদের হিসাবে আনুমানিক ৮-১০ বছর। পরপর চত্রকারে বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দেয়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রকারভেদ

    অর্থনীতিবিদরা মন্দাকে V-Shape, U-Shape, L-Shape কিংবা W-Shape হিসেবে অর্থনীতির সূচকের গ্রাফে ব্যাখ্যা করে থাকেন। অর্থনীতির গ্রাফে সূচকগুলাে ওঠানামার আকৃতি V-Shape হলে বােঝতে হবে মন্দা ক্ষণস্থায়ী, আর U-Shape হলে মন্দা দীর্ঘস্থায়ী। মন্দা উপর্যুপরি হলে এর সূচকের ওঠানামা গ্রাফে দেখাবে W এর মতাে। আবার ১৯৯৭ ১৯৯৯ সালে জাপানের পরপর নয়টি প্রান্তিকের মধ্যে আটটি প্রান্তিকের গ্রাফ চিত্রে মন্দা দৃশ্যমান হয় L-Shape হিসেবে।

    কারণ

    যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে শুরু নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির মাধ্যমে মন্দার উদ্ভব হতে পারে। আকস্মিক অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণেও অতীতে মন্দা হতে দেখা গেছে। ৭০ এর দশকে ওপেক যুক্তরাষ্ট্রকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কোনাে ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। সাম্প্রতিক করােনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। এটাকেও আকস্মিক অর্থনৈতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    ব্যালেন্স শিট রিসিশন বা খাতা-কলমের মন্দা :

    সাধারণত কোনাে রাষ্ট্রের অত্যধিক ঋণগ্রস্ততা অথবা আর্থিক খাতের পতনের ফলে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একইসঙ্গে ঋণ পরিশােধ করতে হলে এ ধরনের মন্দা ঘটে। আবার কোনাে দেশ যদি সাধ্যের অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে থাকে যা এক পর্যায়ে তাদের শােধ করা সাধ্যের বাইরে চলে যায় তখনও মন্দা দেখা দিতে পারে।

    অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি :

    মূল্যস্ফীতি যখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে যায় তখন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দেয় এদিকে আবার উচ্চ সুদের হার তখন দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। ৭০-এর। দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

    ইতিহাস

    আধুনিক অর্থব্যবস্থায় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরােপে প্রথম মন্দা দেখা দেয়। আবার বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এর ব্যাপ্তি ছিল ১৯২৯-১৯৩৯ সাল পর্যন্ত। ১৯২৯ সালে অক্টোবরে মাত্র দুই দিনে ধ্বংস হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার। কয়েক দিনের মধ্যে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদনে ধস নামে।

    মাত্র এক বছরের মাথায় বেকার হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি মানুষ । ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ১৯৯৭ সালে বিদেশি মুদ্রার অভাবে এশিয়ার বাজারে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় থাইল্যান্ড থেকে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়ােগ সরিয়ে নিতে থাকেন বিদেশি বিনিয়ােগকারীরা।

    থাইল্যান্ড থেকে শুরু হওয়া এ অর্থ সংকট দ্রুত পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলােয় ছড়িয়ে পড়লে দেশগুলােতে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়ণ খাতের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দেশটির বন্ধকি বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণব্যবস্থা ও আর্থিক খাতের শিথিল নিয়ন্ত্রণই মন্দার রুটা করেছিল।

    দ্য গ্রেট ইনফ্লেশন

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমৃদ্ধি এনে দেয়। সে সময় উৎপাদন বাড়ে, কমে যায় বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতিও ছিল প্রায় ১%। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় ১৯৬৫ সাল থেকে। বাড়তে থাকে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। এ পরিস্থিতি ছিল ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। ১৯৮০ সালে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল প্রায় ১৫%।

    এ সময়কেই বলা হয় দ্য গ্রেট ইনফ্লেশন। এর মধ্যেই অভিজ্ঞতা হয় স্ট্যাগফ্রেশনেরও। ১৯৮১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন রােনাল্ড রিগ্যান। সে সময়ের মূল্যস্ফীতি দেখে তিনি একটি বিখ্যাত উক্তি করেন। উক্তিটি হলাে— ‘মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ছিনতাইকারীর মতাে হিংস্র, সশস্ত্র ডাকাতের মতাে ভয়ংকর এবং খুনির মতােই প্রাণঘাতী।’

    বাংলাদেশের করণীয় ও চ্যালেঞ্জ

    আসন্ন মন্দার ঝুঁকি এড়াতে ভােগ কমানাের চেয়ে বরং উৎপাদন বাড়ানাের দিকে নজর দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে বিনিয়ােগ বাড়ানাের চেষ্টা করতে হবে। মন্দায় বিশ্ববাজারে জালানি তেলের দাম কমলে তার সাথে দেশের বাজারের সমন্বয় সাধন করতে হবে। বাংলাদেশের সামনে কয়েকটি বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসবে। এগুলাে হলাে— রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে, আমদানি করা খাদ্য পণ্যের দাম বাড়বে ও রেমিট্যান্স কমতে পারে।’

    করােনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় গতি হারায় পুরাে বিশ্বের অর্থনীতি। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বিশ্বব্যাংকের ‘বিশ্বে কি মন্দা আসন্ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতির তিন মূল চালিকাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরােপের অর্থনীতি দ্রুত গতি হারাচ্ছে। ফলে আগামী বছরে সামান্য আঘাতেও মন্দা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ১৯৮০-এর দশক থেকে এখন পর্যন্ত ৯ বার মন্দার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র পাঁচবার মন্দা দেখা গেছে।

    মন্দা কী?

    মন্দার কোনাে স্বীকৃত সংজ্ঞা নেই। অর্থনীতির ভাষায় সাধারণত একটি অর্থবছরের পরপর দুইটি প্রান্তিকে কোনাে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে যদি নিম্নমুখী বা ঋণাত্মক ধারা অব্যাহত থাকে তবে তাকে মন্দা বলা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে অর্থনীতির বিকাশ যখন ৩ শতাংশের কম হয় তখন সেই পরিস্থিতিকে বিশ্বব্যাপী মন্দা বলা যায়। তাদের হিসাবে আনুমানিক ৮-১০ বছর। পরপর চত্রকারে বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দেয়।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রকারভেদ

    অর্থনীতিবিদরা মন্দাকে V-Shape, U-Shape, L-Shape কিংবা W-Shape হিসেবে অর্থনীতির সূচকের গ্রাফে ব্যাখ্যা করে থাকেন। অর্থনীতির গ্রাফে সূচকগুলাে ওঠানামার আকৃতি V-Shape হলে বােঝতে হবে মন্দা ক্ষণস্থায়ী, আর U-Shape হলে মন্দা দীর্ঘস্থায়ী। মন্দা উপর্যুপরি হলে এর সূচকের ওঠানামা গ্রাফে দেখাবে W এর মতাে। আবার ১৯৯৭ ১৯৯৯ সালে জাপানের পরপর নয়টি প্রান্তিকের মধ্যে আটটি প্রান্তিকের গ্রাফ চিত্রে মন্দা দৃশ্যমান হয় L-Shape হিসেবে।

    কারণ

    যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক অর্থনৈতিক ধাক্কা থেকে শুরু নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির মাধ্যমে মন্দার উদ্ভব হতে পারে। আকস্মিক অর্থনৈতিক ধাক্কার কারণেও অতীতে মন্দা হতে দেখা গেছে। ৭০ এর দশকে ওপেক যুক্তরাষ্ট্রকে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কোনাে ধরনের সতর্কবার্তা ছাড়াই। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। সাম্প্রতিক করােনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বেই অর্থনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে। এটাকেও আকস্মিক অর্থনৈতিক আঘাত হিসেবে দেখা হয়।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    ব্যালেন্স শিট রিসিশন বা খাতা-কলমের মন্দা :

    সাধারণত কোনাে রাষ্ট্রের অত্যধিক ঋণগ্রস্ততা অথবা আর্থিক খাতের পতনের ফলে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একইসঙ্গে ঋণ পরিশােধ করতে হলে এ ধরনের মন্দা ঘটে। আবার কোনাে দেশ যদি সাধ্যের অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে থাকে যা এক পর্যায়ে তাদের শােধ করা সাধ্যের বাইরে চলে যায় তখনও মন্দা দেখা দিতে পারে।

    অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি :

    মূল্যস্ফীতি যখন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় চলে যায় তখন বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দেয় এদিকে আবার উচ্চ সুদের হার তখন দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে। ৭০-এর। দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

    ইতিহাস

    আধুনিক অর্থব্যবস্থায় অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইউরােপে প্রথম মন্দা দেখা দেয়। আবার বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এর ব্যাপ্তি ছিল ১৯২৯-১৯৩৯ সাল পর্যন্ত। ১৯২৯ সালে অক্টোবরে মাত্র দুই দিনে ধ্বংস হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজার। কয়েক দিনের মধ্যে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদনে ধস নামে।

    মাত্র এক বছরের মাথায় বেকার হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি মানুষ । ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ১৯৯৭ সালে বিদেশি মুদ্রার অভাবে এশিয়ার বাজারে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ সময় থাইল্যান্ড থেকে কোটি কোটি ডলারের বিনিয়ােগ সরিয়ে নিতে থাকেন বিদেশি বিনিয়ােগকারীরা।

    থাইল্যান্ড থেকে শুরু হওয়া এ অর্থ সংকট দ্রুত পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলােয় ছড়িয়ে পড়লে দেশগুলােতে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রধান কারণ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের গৃহায়ণ খাতের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। দেশটির বন্ধকি বাজারের ঝুঁকিপূর্ণ ঋণব্যবস্থা ও আর্থিক খাতের শিথিল নিয়ন্ত্রণই মন্দার রুটা করেছিল।

    দ্য গ্রেট ইনফ্লেশন

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমৃদ্ধি এনে দেয়। সে সময় উৎপাদন বাড়ে, কমে যায় বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতিও ছিল প্রায় ১%। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় ১৯৬৫ সাল থেকে। বাড়তে থাকে বেকারত্ব ও মূল্যস্ফীতি। এ পরিস্থিতি ছিল ১৯৮২ সাল পর্যন্ত। ১৯৮০ সালে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ছিল প্রায় ১৫%।

    এ সময়কেই বলা হয় দ্য গ্রেট ইনফ্লেশন। এর মধ্যেই অভিজ্ঞতা হয় স্ট্যাগফ্রেশনেরও। ১৯৮১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হন রােনাল্ড রিগ্যান। সে সময়ের মূল্যস্ফীতি দেখে তিনি একটি বিখ্যাত উক্তি করেন। উক্তিটি হলাে— ‘মূল্যস্ফীতি হচ্ছে ছিনতাইকারীর মতাে হিংস্র, সশস্ত্র ডাকাতের মতাে ভয়ংকর এবং খুনির মতােই প্রাণঘাতী।’

    বাংলাদেশের করণীয় ও চ্যালেঞ্জ

    আসন্ন মন্দার ঝুঁকি এড়াতে ভােগ কমানাের চেয়ে বরং উৎপাদন বাড়ানাের দিকে নজর দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে বিনিয়ােগ বাড়ানাের চেষ্টা করতে হবে। মন্দায় বিশ্ববাজারে জালানি তেলের দাম কমলে তার সাথে দেশের বাজারের সমন্বয় সাধন করতে হবে। বাংলাদেশের সামনে কয়েকটি বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসবে। এগুলাে হলাে— রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে, আমদানি করা খাদ্য পণ্যের দাম বাড়বে ও রেমিট্যান্স কমতে পারে।’

  • পদক, পুরস্কার, সম্মাননা ২০২২

    ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযােগ্য ও অনুকরণীয় অবদান রাখার কারণে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের জন্য ১৫ এবং ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য ২৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১২ অক্টোবর ২০২২ বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩টি স্বর্ণ, ১৬টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জপদক দেওয়া হয়। স্বর্ণপদকপ্রাপ্তরা ১ লাখ টাকা, রৌপ্যপ্রাপ্তরা ৫০ হাজার টাকা ও ব্রোঞ্জপ্রাপ্তরা ২৫ হাজার টাকার সঙ্গে সনদ ও পদক পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু পুরস্কার তহবিল গঠন করেন। পরে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন, ২০০৯’ এবং এটিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রণয়ন করা হয়।

    জার্মানির মর্যাদাপূর্ণ কার্ল কুবল পুরস্কার পেয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

    জার্মানির কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কার্ল কুবল পুরস্কারে ভূষিত করেছে। অসংখ্য নারী গ্রাহকদের সন্তান ও তাদের পরিবারের জন্য একটি অধিকতর সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করার কারণে ফাউন্ডেশনটি তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। কার্ল কুবল ফাউন্ডেশন ফর চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জার্মানির দক্ষিণ হেসের বেনশাইমে ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর অবস্থিত।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বাংলা একাডেমি সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২

    বাংলা একাডেমি পরিচালিত সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২-এর জন্য ১০ অক্টোবর ২০২২ মনােনীত হয়েছেন মার্কিন লেখক ও বাংলা সাহিত্যের অনুবাদক ক্যারােলিন রাইট এবং কানাডাপ্রবাসী সাহিত্যিক জসিম মল্লিক। সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁদের এ পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দ্বিবার্ষিক এ পুরস্কারের অর্থমূল্য ১ লাখ টাকা। বাংলা একাডেমি আয়ােজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৩-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    অস্ট্রেলিয়ায় বর্ষসেরা সংগীত আয়ােজক বাংলাদেশি সিয়া

    অস্ট্রেলিয়ায় গানের জন্য প্রতিবছর দেওয়া হয় ‘দ্য আর্ট মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’। পুরস্কারের ‘ইলেকট্রোঅ্যাকুস্টিক’বিভাগে ২০১২ সালে বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশােদ্ভূত সংগীত আয়ােজক সিয়া আহমেদ।

    বুকার পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কার লেখক শেহান করুনাতিলকা

    বুকার পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কার লেখক শেহান করুনাতিলকা। অতি প্রাকৃতিক কাহিনি নিয়ে লেখা বিদ্রুপাত্মক উপন্যাস ‘দ্য সেভেন। মুনস অব মালি আলমেডা’র জন্য তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। শেহান করুনাতিলকার উপন্যাসটি শ্রীলঙ্কায় ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন মৃত এক আলােকচিত্রী। ব্রিটেনের কুইন অব কনসর্ট ক্যামিলা লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে শেহানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। যুক্তরাজ্য থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার উপন্যাসের জন্য দেওয়া হয় বুকার পুরস্কার। এ পুরস্কারের মূল্যমান ৫০ হাজার পাউন্ড। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা মনােনীত অন্য পাঁচ লেখককেও দেওয়া হয় আড়াই হাজার পাউন্ড করে।

    জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলরের জাতিসংঘ শরণার্থী পুরস্কার লাভ

    জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ৪ অক্টোবর ২০২২ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মর্যাদাপুর্ণ ননসেন পবস্কার লাভ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকাকালে আশ্রয়প্রার্থীদের সুরক্ষার জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে নানসেন পুরস্কার চালু করে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

    শাখারভ পুরস্কার পেলেন ইউক্রেনের জনগণ

    গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে চলছে রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ। প্রায় ৮ মাস হতে চলা এ যুদ্ধে ইউক্রেনের জনগণকে নানাভাবে করতে হচ্ছে লড়াই। জনগণের সেই লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দেশটির জনগণকে শাখারভ পুরস্কারে ভূষিত করেছে ইউরােপীয় পার্লামেন্ট। পুরস্কারের ৫০ হাজার ইউরাে ইউক্রেনের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। মানবাধিকার এবং মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ব্যক্তি ও সংস্থাকে শাখারভ পুরস্কার দেওয়া হয়। সােভিয়েত ইউনিয়নের ভিন্ন মতাবলম্বী আন্দ্রেই শাখারভের নামে চিন্তার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে ১৯৮৮ সাল থেকে।

    গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডস-২০২২পেলেন বুয়েটের জারীন তাসনীম শরীফ

    ‘ওয়েস্ট ইন দ্য সিটি : অ্যাগ্লোমেরেটিং লােকাল ইকোনমি অব মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল’ শিরােনামে স্নাতক থিসিসের জন্য আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনভিত্তিক জুনিয়র নােবেল প্রাইসখ্যাত ‘গ্লোবাল আন্ডারগ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’ জিতেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জারীন। ৭৩ দেশের ২ হাজার ৮১২টি থিসিসের মধ্যে আর্কিটেকচার ও ডিজাইন বিভাগে সেরা হয়েছেন জারীন তাসনীম শরীফ।