Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • বাংলাদেশের ঋণ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) বাংলাদেশকে একাদশবারের মতো ঋণ দিচ্ছে। ৯ নভেম্বর ২০২২ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান । স্টাফ পর্যায়ে ঋণ প্রদানে সম্মতির পর বোর্ড সভায় ঋণের বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় । ২০১২ সালে বাংলাদেশ সর্বশেষ IMF থেকে ঋণ নেয়।

    ঋণ পেতে আলোচনা

    • ২৪ জুলাই ২০২২ : ঋণ চেয়ে IMF-কে চিঠি ।
    • ১২ অক্টোবর : ওয়াশিংটনে IMF’র সঙ্গে বৈঠক।
    • ২৬ অক্টোবর : IMF’র প্রতিনিধিদলের ঢাকা সফর শুরু ।
    • ২৭ অক্টোবর-৮ নভেম্বর : সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক
    • ৯ নভেম্বর : IMF ঋণ দিতে সম্মতি জানায় ।
    • ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ : IMF’র ডেপুটি ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট এম সায়েহ ঋণ চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশে আসবেন।

    ঋণদানের শর্তসমূহ

    • রাজস্ব আয় বাড়ানো
    • রাজস্ব খাতে সংস্কার
    • ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন
    • কৃষি-জ্বালানিতে ভর্তুকি কমানো
    • ভর্তুকি সুনির্দিষ্ট করা
    • মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ
    • মুদ্রার বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা
    • আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করতে পদক্ষেপ
    • ঋণে নজরদারি বাড়ানো
    • ব্যাংকের খেলাপি ঋণে লাগাম টানা
    • ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কমানো
    • ব্যাংক পর্ষদের সংস্কার ব্যাংকের সুদের হারের সীমা তুলে দেওয়া
    • বন্ড মার্কেট ও পুঁজিবাজারের উন্নয়ন
    • জলবায়ু খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জ্বালানির দাম সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা
    • বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিত করা
    • সরকারের ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা।

    বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ

    ৯ নভেম্বর ২০২২ সর্বশেষ হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ৩৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। IMF’র মানদণ্ড অনুযায়ী যদি হিসাব করা হয় তাহলে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল এবং অন্যান্য খাতে ব্যবহার করা অর্থ বাদ দিলে ৮ বিলিয়ন ডলার হিসাবের বাইরে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে রিজার্ভ হবে ২৬.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    রিজার্ভ হিসাবায়নে নতুন পদ্ধতি

    IMF বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবায়ন পদ্ধতি অ্যাকচুয়াল ভিত্তিতে করার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক IMF’র পরামর্শ নীতিগতভাবে মেনে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ হিসাবায়নে নতুন পদ্ধতি প্ৰয়োগ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে
    বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২-এর ৭/অ ধারায় বৈদেশিক মুদ্রার ধারণ ও ব্যবস্থাপনার এখতিয়ার বাংলাদেশ ব্যাংকের।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার দায় অর্থাৎ আমদানি দায় পরিশোধের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, সাধারণত কোনো দেশের তিন মাসের বৈদেশিক মুদ্রার দায় মেটানোর মতো মজুত থাকতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত রিজার্ভ হিসাবায়নের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে গ্রস রিজার্ভ এবং অন্যটি অ্যাকচুয়াল বা নিট রিজার্ভ।

    বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রস রিজার্ভ হিসাবকালে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডসহ বিভিন্ন প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে যে ঋণ প্রদান করা হয়েছে, তাকে অন্তর্ভুক্ত করে এবং সেই রিজার্ভই বাইরে প্রকাশ করে থাকে। অ্যাকচুয়াল বা নিট হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক অভ্যন্তরীণভাবে সংরক্ষণ করলেও তা সাধারণত বাইরে প্রকাশ করে না।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ হিসাবায়ন পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল ২০২১ সালের আগস্ট মাসে, ৪৮.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব হয় IMF’র ব্যালান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম৬) ম্যানুয়াল অনুযায়ী।

    বাংলাদেশের যত ঋণ

    IMF’র তিনটি তহবিল থেকে বাংলাদেশ মোট ঋণ পাবে ৩,৪৬৮ বিলিয়ন SDR । যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । এ ঋণ মোট সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ প্রথম কিস্তিতে পাওয়া যাবে ৩৫ কোটি ২৩ লাখ ৫০,০০০ SDR বা ৪৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩১,০০০ মার্কিন ডলার ৷

    বাকি ঋণ প্ৰতি ছয় মাস অন্তর ৫১৯ মিলিয়ন SDR হিসেবে ছয়টি সমান কিস্তিতে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে। সুদের হার হবে ফ্লোটিং বা বাজারভিত্তিক। বর্তমান SDR সুদের হার অনুযায়ী মোট ঋণের ওপর গড় সুদের হার হবে ২.২ % উল্লেখ্য, বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, SDR সুদের হার হলো ২.৬৪১%। ১ ডলার সমান ০.৭৭৬৩৬৭ SDR । Special Drawing Rights (SDR) হচ্ছে রিজার্ভ মুদ্রা, যা IMF সদস্যদেশগুলোকে ঋণ আকারে দেওয়া হয়।

    বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ECE) ECF-Extended Credit Facility

    • প্রাপ্ত ঋণ : ৮২২.৮২ মিলিয়ন SDR
    • গ্রেস পিরিয়ড : সাড়ে ৫ বছর।
    • পরিশোধ : ১০ বছরের মধ্যে। ঋণের অর্থ সম্পূর্ণ সুদমুক্ত

    বর্ধিত তহবিল সহায়তা (EFF) EFF-Extended Fund Facility

    • প্রাপ্ত ঋণ : ১৬৪৫.৬৪ মিলিয়ন SDR
    • গ্রেস পিরিয়ড : সাড়ে তিন বছর
    • পরিশোধ : ১০ বছরের মধ্যে । ফ্লোটিং SDR সুদের সঙ্গে ১% যোগ করে সুদ পরিশোধ করতে হবে

    স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সহায়তা (RSF) IRSF-Resilience and Sustainability Facility

    • প্রাপ্ত ঋণ : ১ বিলিয়ন বা ১০০০ মিলিয়ন ।
    • গ্রেস পিরিয়ড : ১০ বছর
    • পরিশোধ : ২০ বছরের মধ্যে । SDR সুদের সঙ্গে বাড়তি ০.৭৫% যোগ করে পরিশোধ করতে হবে
  • মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল

    মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। ৮ নভেম্বর ২০২২ যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনে ও উচ্চকক্ষ সিনেটের ১০০টি আসনের ৩৫টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ৩৬টি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদ ও সবকটি অঙ্গরাজ্যের আইনসভায়ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ আসনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে।

    নির্বাচনের পর দু’দলের আসন
    দলপ্রতিনিধি পরিষদগভর্ণরসিনেট
    রিপাবলিকান পার্টি২২১২৬৪৯
    ডেমোক্র্যাটিক পার্টি২১৩২৪৪৯
    অন্যান্য
    – ১১৮তম কংগ্রেসের সময়কাল ৩ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত।

    নির্বাচনের ঘোষণা ট্রাম্পের

    ১৫ নভেম্বর ২০২২ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচের মার-এ লাগোতে এক অনুষ্ঠানে ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তার প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    নতুন স্পিকার

    ১৭ নভেম্বর ২০২২ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের একমাত্র নারী স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন । পেলোসি মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার হিসেবে দায়িত্বপালন করা প্রথম নারী । এরই মধ্যে কংগ্রেসের নতুন স্পিকার পদে লড়াইয়ে দল থেকে মনোনয়ন পান রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাকার্থি । ১৫ নভেম্বর ২০২২ এক ভোটে ১৮৮টি ভোট পান ম্যাকার্থি। ম্যাকার্থির বিপক্ষে ভোট যায় মাত্র ৩১টি । জানুয়ারি ২০২৩ স্পিকার পদে চূড়ান্ত মনোনিত হতে হলে সমর্থকদের পাশাপাশি দলের বাকি সদস্যদেরও ভোটের প্রয়োজন পড়বে তার।

    ৪ বাংলাদেশির জয়

    যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ৪ বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রার্থী বিজয়ী হন। এরা হলেন— জর্জিয়া রাজ্যে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত শেখ রহমান এবং জর্জিয়া স্টেট সিনেটে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে জয়ী নাবিলা ইসলাম। এছাড়া কানেকটিকাট স্টেট সিনেটে বিজয়ী হন আরেক বাংলাদেশি-আমেরিকান মো. রহমান। এরা তিনজনই ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদিকে নিউ হ্যাম্পশায়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস পদে টানা পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন রিপাবলিকান প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল খান ।

    রেকর্ডসংখ্যক নারী গভর্নর ও সিনেটর

    যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নররা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হন। মার্কিন জনজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণের এখতিয়ার তাদের রয়েছে। শিক্ষা থেকে শুরু করে গর্ভপাতের অধিকার পর্যন্ত অঙ্গরাজ্য পর্যায়ের বিভিন্ন বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এবারের নির্বাচনে ১২ জন নারী গভর্নর নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৯ জন নারী গভর্নর রয়েছেন। ১৯৩২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮ জন নারী যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    ইতিহাস গড়লেন যারা

    • মাউরা হিলি : ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সমকামী নারী গভর্নর নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাট নেতা মউরা হিলি।
    • সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স : আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর সারাহ হাকেবি স্যান্ডার্স।
    • ওয়েস মুর : মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গভর্নর নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাট নেতা ওয়েস মুর । তিনিই এ অঙ্গরাজ্যের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৬ বছরের ইতিহাসে তৃতীয় নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ গভর্নর।
    • ক্যাথি হোকুল : নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর ক্যাথি হোকুল পুনর্নির্বাচিত হন। এর আগে ২৪ আগস্ট ২০২১ প্রথম নারী হিসেবে গভর্নর পদে শপথ নেন তিনি।
    • কেটি ব্রিট : আলাবামা অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন রিপাবলিকান প্রার্থী কেটি ব্রিট। এ অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী হিসেবে সিনেটে যাচ্ছেন।
    • ম্যাক্সওয়েল ফ্রস্ট : ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ফ্রস্টই প্রথমবারের মতো ‘জেনারেশন-জেড’ (১৯৯৭-২০১২ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী)-এর প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে যাবেন।
    • মার্কওয়েন মুলিন : ওকলাহোমায় সিনেটর নির্বাচিত হন রিপাবলিকান নেতা মার্কওয়েন মুলিন। তিনি এই অঙ্গরাজ্য থেকে ১০০ বছরের মধ্যে প্রথম আদিবাসী আমেরিকান সিনেটর।
    • জেমস রোজেনার : নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন জেমস রোজেনার। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে তিনিই প্রথম কোনো অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।
    • ডালিয়া রমিরেজ : ইলিনয় অঙ্গরাজ্য থেকে প্রথম লাতিন হিসেবে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ডেমোক্র্যাটিক ডালিয়া রমিরেজ ।
    • মার্ক কেলি : নাসার অবসরপ্রাপ্ত নভোচারী মার্ক কেলি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন।
  • জি২০ (G20) সম্মেলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    ১৫-১৬ নভেম্বর ২০২২ ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট G20-এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গভীর বিভক্তি সত্ত্বেও বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে জোটের নেতারা গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নেন ৷

    ফ্যাক্ট ফাইল
    আয়োজন১৭তম
    আয়োজকইন্দোনেশিয়া
    সময়কাল১৫-১৬ নভেম্বর ২০২২
    অংশগ্রহণকারী দেশG20 এর সদস্য দেশসমূহ— আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, কানাডা, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, দ. কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দ. আফ্রিকা, তুরস্ক, স. আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সাথে ১০টি আমন্ত্রিত দেশ ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা।

    গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সিদ্ধান্ত

    তহবিল গঠন : G20-এর নেতারা মহামারি প্রতিরোধ ও প্রস্তুতির জন্য একটি তহবিল গঠনে সম্মত হন। G20-এর দাতা ও G20- এর সদস্যের বাইরের দেশগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থা এতে সহযোগিতা করবে ।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    জলবায়ু পরিবর্তন : G20 নেতারা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫° সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে সম্মত হন। জো বাইডেন এবং শি চিন পিং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সহযোগিতা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হন ।

    খাদ্য নিরাপত্তা : বিশ্ব নেতারা খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন এবং কৃষ্ণ সাগরের শস্য রপ্তানির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

    নতুন সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র-চীন : সম্মেলনের প্রাক্কালে জো বাইডেন ও শি চিন পিং তিন ঘণ্টাব্যাপী দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এ দু’নেতা প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে মিলিত হলেন।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান : ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কঠোর নিন্দা জানায় G20-এর নেতারা। তাদের এক ঘোষণায় ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার নিঃশর্ত সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ।

    আগামী সম্মেলন ভারতে : ৯-১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বর্তমান সভাপতি ভারতে বসবে এ জোটের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন। ২০২৩ সালের সম্মেলনের থিম এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ। ভারতের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ এ সম্মেলনে অংশ নেবে।

    ট্রোইকা (Troika) : G20-এর সভাপতিত্ব প্রতি বছর তার সদস্যদের মধ্যে আবর্তিত হয়। চলমান সভাপতি দেশটি তার পূর্বসূরি এবং উত্তরসূরির সাথে একসাথে কাজ করে, যা ট্রোইকা নামে পরিচিত। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও ব্রাজিল হলো ট্রোইকা দেশ

  • COP27 সম্মেলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

    COP27 সম্মেলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। ৬-২০ নভেম্বর ২022 মিসরের শারম আল শেখ নগরীতে অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক ২৭তম COP27 সম্মেলন।

    ফ্যাক্ট ফাইল
    তারিখ৬-১৯ নভেম্বর ২০২২
    স্থানশারম আল শেখ (মিসর)
    অংশগ্রহণ২০০টি দেশের প্রায় ৩০,000 মানুষ
    প্রেসিডেন্টসামেহ শুকরি (মিসর)
    পরবর্তী সম্মেলন৬-১৭ নভেম্বর ২০২৩ (সংযুক্ত আরব আমিরাত)।

    গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও সিদ্ধান্ত

    লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড : জলবায়ু বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর জন্য ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২৪ সালের মধ্যে এর অবকাঠামো গঠন, অর্থায়নের প্রক্রিয়া, কোন পদ্ধতিতে পরিশোধ করা হবে সেসব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    গ্লোবাল শিল্ড প্রকল্প : জলবায়ু বিপর্যয়ের সময় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পূর্বনির্ধারিত আর্থিক সহায়তা হিসেবে G7 ও V20 গ্রুপ মিলে গ্লোবাল শিল্ড নামের একটি সহায়তা প্রকল্প গঠন করে । গ্লোবাল শিল্ড প্যাকেজগুলোর প্রথম প্রাপকের মধ্যে রয়েছে— বাংলাদেশ, কোস্টারিকা, ফিজি, ঘানা, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং সেনেগাল ।

    গুরুত্ব পায়নি ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি : বৈশ্বিক জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে এবং গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ২০২০ সাল থেকে দিতে ব্যর্থ হন বিশ্ব নেতারা । কিন্তু এবারের সম্মেলনে এ বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি।

    জীবাশ্ম জ্বালানি : কয়লা বাদে অন্য সকল জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধাপে ধাপে বেরিয়ে আসতে কোনো চুক্তি হয়নি ।

    বিশ্বব্যাংকের সংস্কার : গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন ও এর প্রভাবগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহে ব্যর্থ হওয়ায় বেশ কিছু দেশ বিশ্বব্যাংকের সংস্কার চেয়েছে।

    আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে আরো পড়ুন

    1.5°C : বেশ কিছু দেশ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি 1.5°C-এ সীমাবদ্ধ করার লক্ষ্যমাত্রা পরিত্যাগ করার চেষ্টা করলেও এ লক্ষ্যমাত্রা বহাল রয়েছে ।

    বাংলাদেশ প্রেক্ষিত : বাংলাদেশ থেকে COP27-এ যোগদানকারী জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা ২০২৫ সাল থেকে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিতে তাদের তহবিল দ্বিগুণ করতে প্রস্তাব দেয়।

    GCA পুরস্কার বাংলাদেশের : সম্মেলনে ‘অভিযোজন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড’ (GCA) অর্জন করে বাংলাদেশ । বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও কেনিয়া এ পুরস্কার লাভ করে।

  • টুইটার এখন ইলন মাস্কের

    ইলন মাস্কের জন্ম ২৮ জুন ১৯৭১ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কিনে এখন আলোচনায় বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা । এর বাইরেও তার রয়েছে অনেক উদ্যোগ।

    প্রতিষ্ঠা২১ মার্চ ২০০৬।
    সদর দপ্তরসান ফ্রান্সিসকো, যুক্তরাষ্ট্র।
    প্রতিষ্ঠাতাজ্যাক ডরসি, নোয়া গ্লাস, বিজ স্টোন ও ইভান উইলিয়ামস
    প্রথম টুইটjust setting up my twttr
    প্রথম টুইট করেনজ্যাক ডরসি, ২১ মার্চ ২০০৬।
    টুইট করার সর্বোচ্চ সীমাপ্রথমে ছিল ১৪০ অক্ষর। ২০১৮ সালে অক্ষর সংখ্যা বাড়িয়ে ২৮০ করা হয়।
    লোগোতে ব্যবহৃত পাখিটির নামল্যারি দ্য বার্ড। সাবেক এনবিএ বাস্কেটবল খেলোয়াড় ল্যারি বার্ডের নামে এর নামকরণ করা হয় ।

    প্রথম প্রতিষ্ঠান Zip2

    ১৯৯৫ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে ভাই কিম্বলকে নিয়ে ইলন মাস্ক Zip2 নামে একটি সফটওয়্যার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন ৬ নভেম্বর ১৯৯৫ এর পথচলা শুরু হয় । ১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কোম্পানির কাছে ২২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেন ।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    পেপ্যাল

    পেপ্যাল একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যারা অর্থের স্থানান্তর বা হাতবদল ইন্টারনেটের মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকে। মার্চ ১৯৯৯ ইলন মাস্ক X.com নামের একটি অনলাইন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এ প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী সময়ে সিলিকন ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট পিটার থয়েলের কনফিনিটির সঙ্গে একীভূত হয়ে পেপ্যাল নাম ধারণ করে যাত্রা শুরু করে। মাস্ক হন পেপ্যালের CEO । মতবিরোধের কারণে ২০০০ সালে মাস্ককে পেপ্যাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ২০০২ সালে eBay পেপ্যাল কিনে নেয়, তখন তিনি ১৬৫ মিলিয়ন ডলার পান ।

    এই বিভাগ থেকে আরো পড়ুন

    স্টারলিংক

    স্টারলিংক (Starlink) হলো— স্যাটেলাইট ভিত্তিতে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য SpaceX কর্তৃক তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ এ প্রকল্পের প্রধান রূপকার হচ্ছেন ইলন মাস্ক। ২০১৫ সালে স্টারলিংক প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় ৷

    SpaceX

    বেসরকারি মহাকাশযান প্রস্তুতকারক SpaceX। মহাকাশ যাত্রা ভ্রমণ সহজলভ্য করার এবং মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে ইলন মাস্ক ১৪ মার্চ ২০০২ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। এর প্রধান কার্যালয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার হাউথনে অবস্থিত। SpaceX মহাকাশযান এবং রকেট ইঞ্জিন তৈরির পাশাপাশি ড্রাগন স্পেসক্র্যাফট এবং স্টারলিংক স্যাটেলাইট তৈরি করে। ১১ মে ২০১৮ বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে পাঠায় ইলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX।

    বোরিং কোম্পানি

    বর্তমান সময়ে বড় বড় শহরগুলোতে বড় যন্ত্রণার নাম যানজট। The Boring Company (TBC) ভিড় এড়াতে বিকল্প পথ তৈরির কাজ করে থাকে। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬ প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ হচ্ছে মাটির নিচে যানবাহন চলাচলের জন্য টানেল বা সুড়ঙ্গপথ তৈরি করা। ইলন মাস্ক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বোরিং কোম্পানি এ ধরনের প্রকল্পের নাম দিয়েছে ‘লুপ’ প্রকল্প। অর্থাৎ, যানজট এড়াতে পাতালপথ বা বিশেষ লুপ তৈরি করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

    নিউরালিংক

    মানব মস্তিষ্কে চিপ বসানোর জন্য জুলাই ২০১৬ নিউরালিংকের (Neuralink) যাত্রা শুরু। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। নিউরালিংকের লক্ষ্য হচ্ছে স্নায়বিক সমস্যা আছে, এমন ব্যক্তিদের মাথায় ওয়্যারলেস কম্পিউটার চিপ বসিয়ে আলঝেইমার, ডিমেনশিয়া কিংবা মেরুদণ্ডে সমস্যা ইত্যাদির সমাধান। ৯ এপ্রিল ২০২১ ‘নিউরালিংক’ তিন মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে । তাতে দেখা যায়, পেজার নামের একটি বানর শুধু চিন্তা করে, কোনো কিছু হাত দিয়ে না ধরেই মাইন্ড ‘পং নামের একটি ভিডিও গেম খেলছে। এর পেছনে আছে বানরটির মাথায় বসানো নিউরালিংক চিপ।

    টুইটারের মালিকানায় ইলন মাস্ক

    মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার (Twitter)। ২১ মার্চ ২০০৬ মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে টুইটার একটি বিশাল সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। টুইটারে ব্যবহারকারীগণ শুধু ২৮০ অক্ষর ব্যবহার করে পোস্ট করতে পারেন। স্বল্প ভাষায় মত প্রকাশের মাধ্যম হওয়ার কারণে টুইটারের জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। আর এ সীমাবদ্ধতা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টুইটারকে বেশ আলাদা করেছে। ১৪ এপ্রিল ২০২২ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক টুইটার পুরোপুরি কিনে নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেন। তিনি এ জন্য একদাম ৪,৪০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেন। এরপর দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২৭ অক্টোবর ২০২২ তিনি টুইটারের দায়িত্ব নেন।

  • বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের জন্য আজকের লেখাটি খুবই উপকারি হবে। তো চলুন বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো পড়ি।

    বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    প্রশ্ন : উপমহাদেশে প্রথম পুলিশ ব্যবস্থা চালু করেন
    উত্তর : লর্ড ক্যানিং।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ‘ডি-৮ সম্মেলন’র আয়ােজক দেশ ছিল
    উত্তর : বাংলাদেশ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজাতি
    উত্তর : মারমা।

    প্রশ্ন : জিজিয়া কর ছিল
    উত্তর : মুসলমানদের ওপর ধার্য সামরিক কর।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের সাথে সীমান্ত রয়েছে
    উত্তর : ২টি দেশের।

    প্রশ্ন : জগদ্দল বিহার অবস্থিত
    উত্তর : নওগাঁ জেলায়।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত
    উত্তর : ঢাকার সাভারে।

    প্রশ্ন : জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থার নাম
    উত্তর : জাইকা।

    প্রশ্ন : কুমিল্লা বার্ড এর প্রতিষ্ঠাতা
    ​উত্তর : আখতার হামিদ খান।

    প্রশ্ন : ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হয়
    উত্তর : ১৯৭৫ সালে।

    প্রশ্ন : মুজিব নগর সরকার অবস্থিত
    উত্তর : ​মেহেরপুরে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন জারি হয়
    উত্তর : ১৯৭৪ সালে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের সর্ব পশ্চিমে অবস্থিত জেলা
    উত্তর : চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়
    উত্তর : ১৬ মে ১৯৭৪ সালে।

    প্রশ্ন : বীর মুক্তিযােদ্ধা কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়
    উত্তর : ঢাকা জেলে।

    প্রশ্ন : ‘রােহিতগিরি’ যে স্থানের পূর্ব নাম
    উত্তর : ময়নামতি।

    বাংলাদেশ বিষয়াবলি থেকে আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ
    উত্তর : ২০৩ সে.মি.

    প্রশ্ন : পদ্মা নদী বাংলাদেশের যে স্থানে মেঘনা নদীর সাথে মিলিত হয়
    উত্তর : চাঁদপুর।

    প্রশ্ন : সুনামি’র কারণ হলাে
    উত্তর : সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশে কৃষি আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র
    উত্তর : ১২টি।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা
    উত্তর : ৫০টি।

    প্রশ্ন : ‘দ্য লিবারেশন অফ বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা
    উত্তর : মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং।

    প্রশ্ন : খানজাহান আলী মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা
    উত্তর : ৮১টি।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর প্রতীক
    উত্তর : বলাকা।

    প্রশ্ন : ছয় দফা দাবি প্রথম উত্থাপন করা হয়
    উত্তর : লাহােরে।

    প্রশ্ন : বাংলা একাডেমির প্রথম মহাপরিচালক ছিলেন
    উত্তর : এম মাযহারুল ইসলাম।

    প্রশ্ন : স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র সংবিধানের যে সংশােধনীতে সংযােজিত হয়
    উত্তর : পঞ্চদশ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি অবস্থিত
    উত্তর : গাজীপুরে।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক
    উত্তর : বাংলাদেশ ব্যাংক।

    প্রশ্ন : ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিল নির্মিত হয়
    উত্তর : ১৮৭২ সালে।

    প্রশ্ন : কুয়াকাটা সমুদ্র বন্দর যে জেলায় অবস্থিত
    উত্তর : পটুয়াখালী।

    প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
    উত্তর : ১০ জানুয়ারি ১৯৭২।

    প্রশ্ন : ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি এর সভাপতি ছিলেন
    উত্তর : আকরাম খাঁ।

    প্রশ্ন : বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র
    উত্তর : বেতবুনিয়া।

  • ৭ বীরশ্রেষ্ঠের পরিচয় ও মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান

    ৭ বীরশ্রেষ্ঠের পরিচয় : বাংলা ভূমির হাজার বছরের ইতিহাসে ১৯৭১ এক অনন্য মাইলফলক। এর আগেই ভাষা আন্দোলনের সূত্রে বাঙালি জাতি বিভেদ ভুলে এক হতে শুরু করেছিল। পরবর্তীতে নেতৃত্বের জাদুকরী শক্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ। একাত্তরে এক নেতা এক দেশ, শেখ মুজিবের বাংলাদেশ’ এই ছিল তার পরিচয়। সেদিন ‘জয় বাংলা’র মন্ত্রে এই ছিল উজ্জীবিত। ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আলোচিত আত্মত্যাগ করেন ৭ বীর সন্তান। বিজয়ের এই মাসে বীরশ্রেষ্ঠদের নিয়ে আমাদের এই বিশেষ আয়ােজন….

    বীরশ্রেষ্ঠ মােহাম্মদ মােস্তফা কামাল

    বীরত্বের ঘটনা

    মােহাম্মদ মােস্তফা কামাল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৬৭ বাড়ি থেকে পালিয়ে ইস্ট গেল রেজিমেন্টে যােগ দেন। তিনি প্রশিক্ষণ শেষে কুমিল্লার ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে নিয়ােগ পান। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন পূর্বে তিনি অবৈতনিক ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালের উত্তাল জনৈতিক পরিবেশে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অভ্যন্তরীণ গােলযােগ নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মােতায়েন করে।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    পাকিস্তানি চক্রান্ত বুঝতে পেরে কয়েকজন বাঙালি সৈনিককে সঙ্গে নিয়ে মেজর শাফায়াত জামিল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লে. কর্নেল খিজির হায়াত খানসহ সকল পাকিস্তানি অফিসার ও সেনাদের গ্রেপ্তার করেন। এরপর তারা মেজর খালেদ মােশারফের নেতৃত্বে আশুগঞ্জ, উজানিস্বর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এন্ডারসন খালের পাশ দিয়ে শিক্ষা অবস্থান নেন। ১৪ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী হেলিকপ্টার গানশিপ, নেভাল গানবােট ও এফ-৮৬ বিমানযােগে মুক্তিবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিরক্ষা অবস্থানের ওপর ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়।

    গঙ্গাসাগর প্রতিরক্ষা অবস্থানের দরুইন গ্রামে নিয়ােজিত আলফা কোম্পানির ২নং প্লাটুনের একজন সেকশন কমান্ডার ছিলেন মােস্তফা কামাল। ১৭ এপ্রিল সকাল থেকে পাকবাহিনী তীব্র গােলাবর্ষণ শুরু করে প্লাটুন পজিশনের ওপর। আক্রমণের খবর পেয়ে মেজর শাফায়াত অবস্থানকে আরাে শক্তিশালী করতে হাবিলদার মুনিরের নেতৃত্বে ডি কোম্পানির ১১ নম্বর প্লাটুন পাঠান। সারাদিন যুদ্ধ চলে।

    জন্ম ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭
    মৃত্যু১৮ এপ্রিল ১৯৭১
    জন্মস্থানহাজীপুর , দৌলতখান, ভােলা।
    যােদ্ধা২নং সেক্টর
    যুদ্ধআখাউড়ার দরুইন গ্রামে।
    পদবিসিপাহি
    কর্মস্থলপাকিস্তান সেনাবাহিনী
    সমাধিদরুইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
    বিশেষ তথ্যবীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম শহিদ।

    ১৮ এপ্রিল সকালে শত্রুবাহিনী দরুইন গ্রামের কাছে পৌঁছে যায়। দুপুর ১২টায় অবস্থানের পশ্চিমদিক থেকে মূল আক্রমণ শুরু হয়। শত্রু বাহিনীর একটি দল প্রতিরক্ষার পিছন দিক দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে ঘিরে ফেলে। মুক্তিবাহিনী দরুইন গ্রাম থেকে আখাউড়া রেল স্টেশনের দিকে পশ্চাদপসরণের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নিরাপদে সেখান থেকে সরে আসতে হলে তাদের প্রয়ােজন ছিল নিরবচ্ছিন্ন কাভারিং ফায়ার। মােস্তফা কামাল সহযােদ্ধাদের জানান যে, তিনি নিজে এই কাভারিং ফায়ার করবেন এবং সবাইকে পিছনে হটতে নির্দেশ দেন। সহযােদ্ধারা মােস্তফাকেও পশ্চাদপসরণের অনুরােধ করেন কিন্তু তিনি ছিলেন অবিচল।

    মােস্তফার গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রায় ২০-২৫ জন হতাহত হয় এবং তাদের অগ্রগতি মন্থর হয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা মরিয়া হয়ে তাঁর অবস্থানের ওপর মেশিনগান এবং মর্টারের গােলাবর্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোস্তফা কামালের এলএমজির গুলি নিঃশেষ হয়ে যায় এবং তিনি মারাত্মক জখম হন।

    তখন পাকসৈন্যরা ট্রেঞ্চে এসে তাঁকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনি প্রথম শহিদ হন। রুইন গ্রামের জনগণ মােস্তফা কামালকে তাঁর শাহাদত বরণের স্থানের পাশেই সমাহিত করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।

    বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ

    বীরত্বের ঘটনা

    ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং ইপিআর-এর ১৫০ জন সৈনিককে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথে নিরাপত্তাব্যুহ তৈরির এই দলের এক নম্বর এলএমজি চালক মুন্সী আবদুর রউফ ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নানিয়ারচর উপজেলাধীন বাকছডির একটি বাঙ্কারে।

    ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২ নং কমান্ডাে ব্যাটালিয়নের দুই কোম্পানি সৈনিক ৭টি স্পিডবােট ও ২টি লঞ্চ সহযােগে রাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথের আশেপাশে অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানি সৈন্যরা মুক্তিবাহিনীর অবস্থান আঁচ করে লঞ্চ থেকে তাদের অবস্থানের ওপর মর্টারে গােলাবর্ষণ শুরু। করে। এই অতর্কিত আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। এই সুযােগে কিছু পাকিস্তানি সৈন্য তীরে নেমে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান ঘিরে ফেলে।

    জন্ম৮ মে ১৯৪৩
    মৃত্যু২০ এপ্রিল ১৯৭১
    জন্মস্থানসালামতপুর, বােয়ালমারী , ফরিদপুর।
    যােদ্ধা১নং সেক্টর
    যুদ্ধরাঙামাটি-মহালছড়ি নৌপথে
    পদবিল্যান্সনায়েক
    কর্মস্থলইপিআর
    সমাধিরাঙামাটি জেলার নানিয়ারচর

    ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান পিছনে হটার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু নিরাপদে অবস্থান ত্যাগের জন্য প্রয়ােজন নিরবচ্ছিন্ন কাভারিং ফায়ার। আবদুর রউফের এলএমজির কাভারিং ফায়ারে দায়িত্ব দিয়ে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান তাঁর সৈন্যদের নিয়ে পিছনে হটতে থাকেন। তাঁর অব্যর্থ গুলিতে স্পিডবােটগুলাে ডুবে যায় এবং সেগুলােতে অবস্থানরত পাকিস্তানি সৈন্যরা হতাহত হয়। বাকি সৈন্যরা লঞ্চ দুটিতে করে পালাতে থাকে।

    পাক সৈন্যরা এলএমজির রেঞ্জের বাইরে গিয়ে লঞ্চ থেকে মর্টারে গােলাবর্ষণ করতে থাকে। অসমসাহসী আবদুর রউফ তখনাে গুলি চালানাে অব্যাহত রেখেছিলেন। অকস্মাৎ শত্রুর একটি গােলার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। সহযােদ্ধারা পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নানিয়ারচরের চিংড়ি খাল সংলগ্ন একটি টিলার ওপর সমাহিত করেন।

    মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। বাংলাদেশ রাইফেলস ১৯৭৩ সালে মুন্সী আবদুর রউফকে অনারারি ল্যান্স নায়েক পদে মরণােত্তর পদোন্নতি দান করে।

    বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান

    বীরত্বের ঘটনা

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ছুটিতে এসে মতিউর রহমান স্থানীয়ভাবে মুক্তিযােদ্ধাদের সংগঠিত করেন। ভৈরবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। পরে পারিবারিক চাপে মে মাসে তিনি পাকিস্তান চলে যান।

    সেখানে তিনি বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল বিমান ছিনতাই করে সেটি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেবেন। ২০ আগস্ট সকালে করাচির মাশরুর বিমানঘাঁটি থেকে পাইলট অফিসার মিনহাজ রশিদের টি-৩৩ বিমান নিয়ে উড়বার সিডিউল ছিল।

    জন্ম২৯ অক্টোবর ১৯৪১
    মৃত্যু২০ আগস্ট ১৯৭১
    জন্মস্থানপৈতৃক নিবাস রায়পুরা, নরসিংদী।
    পদবিফ্লাইট লেফটেন্যান্ট
    কর্মস্থলপাকিস্তান বিমানবাহিনী।
    সমাধিপাকিস্তানের করাচির মৌরিপুর মাশরুর ঘাঁটি। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ ২০০৬ তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পূর্ণ মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।

    মতিউর ছিলেন তার প্রশিক্ষক। এ বিমানের সাংকেতিক নাম ছিল ‘ব্লু বার্ড’। প্রশিক্ষণকালে মতিউর বিমানটির নিয়ন্ত্রণ নিজ হাতে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। বিমানটি বিধ্বস্ত হয় ভারতীয় সীমান্তের কাছে থাট্টায়। মতিউরের মৃতদেহ ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পাওয়া গেলেও মিনহাজের লাশ পাওয়া যায়নি।

    বিশেষ তথ্য :

    • মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি টি-৩৩ বিমান (ছদ্মনাম ‘ব্লু-বার্ড) ছিনতাই করে দেশে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় শহিদ হন।
    • তাঁর জীবনের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম ‘অস্তিত্বে আমার দেশ।
    যুদ্ধ :

    পাকিস্তানের মাশরুর বিমানঘাঁটিতে টি-৩৩ প্রশিক্ষণ বিমান ছিনিয়ে নিয়ে ভারতীয় সীমান্তের উদ্দেশে যাত্রা। এ টিভির পর্দায় মতিউর রহমান। মতিউর রহমানকে নিয়ে ২০০২ সালে ‘অগ্নিবলাকা’ নামে একটি ডকুড্রামা নির্মাণ করা হয়, যেখানে রিয়াজ মতিউর রহমানের চরিত্রে এবং তারিন তার স্ত্রী মিলির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়া তার জীবনী নিয়ে ২০০৭ সালে ‘অস্তিত্বে আমার দেশ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।

    সম্মাননা

    মতিউর রহমানের দেশপ্রেম ও আত্মদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যশাের বিমানঘাটি তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে।

    বীরশ্রেষ্ঠ নূর মােহাম্মদ শেখ

    বীরত্বের ঘটনা

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসে নূর মােহাম্মদ শেখ মুক্তিবাহিনীতে যােগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর ৮নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ যুতিপুরে নিজস্ব প্রতিরক্ষাব্যুহের সামনে যশাের জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে তাঁকে অধিনায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ট্যান্ডিং পেট্রোল পাঠানাে হয়।

    জন্ম২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬
    মৃত্যু৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
    জন্মস্থানমহিষখােলা, নড়াইল
    যােদ্ধা৮নং সেক্টর
    যুদ্ধযশােরের শার্শার বয়রায়
    পদবিল্যান্সনায়েক
    কর্মস্থলইপিআর
    সমাধিযশােরের কাশিপুর গ্রামে।

    সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঠাৎ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পেট্রোলটি তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিযােদ্ধারা পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। সিপাহি নানু মিয়া গুলিবিদ্ধ হলে নূর মােহাম্মদ তাঁকে কাঁধে তুলে নেন এবং হাতের এলএমজি দিয়ে এলােপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে শত্রুপক্ষ পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয়। হঠাৎ করেই শত্রুর মর্টারের একটি গােলা এসে তার ডান কাঁধে লাগে।

    তিনি শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখার দায়িত্ব নেন এবং অন্য সঙ্গীদের চলে যেতে অনুরােধ করেন। তিনি সমানে গুলি ছুড়তে লাগলেন। শত্রুপক্ষ এই বীর যােদ্ধাকে বেয়নেট চার্জ করে চোখ দুটো উপড়ে ফেলে এবং মস্তক বিদীর্ণ করে ঘিলু ছড়িয়ে ফেলে। পরবর্তীতে পাশের একটি ঝাড় থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। যশোরের কাশিপুর গ্রামে সমাহিত করা হয়।

    সম্মাননা

    নূর মােহাম্মদের দেশপ্রেম ও আত্মদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

    বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান

    বীরত্বের ঘটনা

    হামিদুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ধলই নামক স্থানে মুক্তিবাহিনীতে যােগ দেন। পাকসেনাদের ধলই সীমান্ত ঘাঁটির সামরিক গুরুত্বের কারনে মুক্তিযােদ্ধারা ঘাঁটিটি দখলের পরিকল্পনা করে। প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানিকে এ দায়িত্ব দেওয়া।

    জন্ম২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩
    মৃত্যু২৮ অক্টোবর ১৯৭১
    জন্মস্থানমহেশপুর, ঝিনাইদহ
    যােদ্ধা৪নং সেক্টর
    পদবিসিপাহি
    কর্মস্থলপাকিস্তান সেনাবাহিনী।
    সমাধিভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামে। পরবর্তীতে ১১ ডিসেম্বর ২০০৭ তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে আনা হয় এবং মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে পূর্ণ মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
    বিশেষ তথ্যবীরশ্রেষ্ঠ খেতাপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ

    হামিদুর ছিলেন এই কোম্পানির সদস্য। ২৮ অক্টোবরের পূর্ণতে মুক্তিযােদ্ধাদের তিনটি প্লাটুন পাকসেনাদের ঘাঁটি অভিমুখে অগ্রসর হয়। ঘাঁটির কাছাকাছি এলে অকস্মাৎ একটি মাইন বিস্ফোরণের শব্দে শত্রুপক্ষ সচকিত হয়ে এলােপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সংকটময় পরিস্থিতিতে হামিদুর শত্রুর এএমজি পােস্ট ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তাঁর দলকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গ্রেনেড হাতে রাতের অন্ধকারে হামাগুড়ি দিয়ে শত্রুর এলএমজি পােস্টের দিকে অগ্রসর হন এবং রাতের শেষ প্রহরে গ্রেনেড ছুড়ে দুই এলএমজি চালককে হত্যা করেন। কিন্তু নিজে তিনি শত্রুপক্ষের গুলিতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মুক্তিযােদ্ধারা তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ত্রিপুরা রাজ্যের আমবাসায় সমাহিত করেন।

    সমাধি স্থানান্তর

    হামিদুর রহমানের মৃতদেহ সীমান্তের অল্পদূরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ত্রিপুরা রাজ্যের হাতিমেরছড়া গ্রামের স্থানীয় এক পরিবারের পারিবারিক গােরস্থানে দাফন করা হয়। নিচু স্থানে অবস্থিত কবরটি একসময় পানিতে তলিয়ে যায়। ২৭ অক্টোবর ২০০৭ বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার হামিদুর রহমানের দেহ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ ডিসেম্বর ২০০৭ বাংলাদেশ রাইফেলসের একটি দল ত্রিপুরা সিমান্তে হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ গ্রহণ করে এবং যথাযােগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সাথে কুমিল্লার বিবিরহাট সীমান্ত দিয়ে তাঁর দেহাবশেষ বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়। ১১ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে কার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

    বীরশ্রেষ্ঠ মাে. রুহুল আমিন

    বীরত্বের ঘটনা

    ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে রুহুল আমিন এপ্রিল মাসে ত্রিপুরা সীমান্ত। অতিক্রম করে ২নং সেক্টরে যােগদান করেন। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি | বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্যে সকল সেক্টর থেকে প্রাক্তন নৌ-সেনাদের আগরতলায় সংগঠিত করে নৌবাহিনীর প্রাথমিক কাঠামাে গঠন করা হয়। পরে তাদের কলকাতায় আনা হয়।

    সেখানে সবার সাথে রুহুল আমিনও ছিলেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দুটি টাগবােট উপহার দেয়। এগুলােকে কলকাতার গার্ডেন রিচ নৌ-ওয়ার্কশপে দুটি বাফার গান ও মাইন-পড জুড়ে গানবােটে রূপান্তর করা হয়। গানবােট দুটির নামকরণ করা হয় ‘পদ্ম’ ও ‘পলাশ’ ।

    জন্ম১ জুলাই ১৯৩৫
    মৃত্যু১০ ডিসেম্বর ১৯৭১
    জন্মস্থানবাঘপাঁচড়া, নােয়াখালী
    যােদ্ধা১০নং সেক্টর
    যুদ্ধরূপসা নদী (গানবােট পলাশ)
    পদবিইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার
    কর্মস্থলনৌবাহিনী
    সমাধিমােংলার রূপসা নদীর পাড়ে

    রুহুল আমিন নিয়ােগ পান লাশের ইঞ্জিনরুম আর্টিফিশার হিসেবে। ৬ ডিসেম্বর মােংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌঘাটি পিএনএস তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে ‘পদ্মা’, ‘পলাশ ও মিত্রবাহিনীর গানবােট পানভেল’ ভারতের হলদিয়া নৌঘাঁটি থেকে রওনা হয়।

    ৮ ডিসেম্বর সুন্দরবনের আড়াই বানকিতে বিএসএফের পেট্রোল ক্রাফট ‘চিত্রাঙ্গদা’ তাদের বহরে যােগ দেয়। ৯ ডিসেম্বর কোনাে বাধা ছাড়াই তারা হিরণ পয়েন্টে প্রবেশ করেন। পরদিন ১০ ডিসেম্বর ভাের ৪টায় তারা মােংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল ৭টায় কোনাে বাধা ছাড়াই তারা মােংলায় পৌঁছান। পেট্রোল ক্রাফট চিত্রাঙ্গদা মােংলাতেই অবস্থান নেয় এবং পানভেল, পদ্মা ও পলাশ সামনে অগ্রসর হতে থাকে। দুপুর ১২টায় তারা খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি পৌঁছান।

    এ সময় আকাশে তিনটি জঙ্গিবিমান দেখা যায়। পদ্ম ও পলাশ থেকে বিমানের ওপর গুলিবর্ষণ করার অনুমতি চাইলে বহরের কমান্ডার বিমানগুলাে ভারতীয় বলে জানান। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে বিমানগুলাে পদ্মা ও পলাশের ওপর গুলি ও বােমাবর্ষণ শুরু করে। পলাশের কমান্ডার সবাইকে গানবােট ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু রুহুল আমিন পলাশেই অবস্থান নেন এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালান গানবােটকে সচল রাখতে।

    হঠাৎ শক্রর একটি গােলা পলাশের ইঞ্জিনরুমে আঘাত করে এবং তা ধ্বংস হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে রুহুল আমিন নদীতে লাফিয়ে পড়েন এবং আহত অবস্থায় কোনােক্রমে তীরে উঠতে সক্ষম হন। দুর্ভাগ্যক্রমে তীরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকাররা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরবর্তীতে তার লাশ ১৭ ডিসেম্বর রূপসার পাড়ে সমাহিত করা হয়।

    সম্মাননা

    মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়।

    বিশেষ তথ্য

    বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে একমাত্র নৌবাহিনীর সদস্য বীরশ্রেষ্ঠ মাে. রুহুল আমিন।

    বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর

    বীরত্বের ঘটনা

    মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ছিলেন ৭নং সেক্টরের মেহেদিপুরের (মালদহ জেলায়) সাব-সেক্টরের কমান্ডার। এ সময় লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী নুরুজ্জামান ৭নং সেক্টরের সেক্টর-কমান্ডার ছিলেন। মহিউদ্দিন পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে কানসার্ট, আরগরার হাট ও শাহপুরসহ কয়েকটি সফল অভিযানে অসাধারণ নৈপুণ্য ও সাহসিকতার পরিচয় দেন। ফলে ডিসেম্বর মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের জন্য তাঁকে একটি মুক্তিযােদ্ধা দলের নেতৃত্ব দেওয়া। হয়।

    জন্ম৭ মার্চ ১৯৪৯
    মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
    জন্মস্থানরহিমগঞ্জ, বরিশাল
    যােদ্ধা৭নং সেক্টর
    যুদ্ধচাঁপাইনবাবগঞ্জ
    পদবিক্যাপ্টেন
    কর্মস্থলসেনাবাহিনী
    সমাধিচাঁপাইনবাবগঞ্জ
    বিশেষ তথ্যবীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের মধ্যে সর্বশেষ শহিদ।

    ১৩ ডিসেম্বর প্রত্যুষে তিনি এক প্লাটুন মুক্তিযােদ্ধাসহ রেহাইচরের মধ্য দিয়ে নৌকাযােগে মহানন্দা নদী পার হন এবং অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে শত্রুর বেশ কয়েকটি বাঙ্কার দখল করে নেন। পাকিস্তানি বাহিনী তখন পশ্চাদপসরণ করে নওয়াবগঞ্জ শহরে অবস্থান নেয় এবং একটি দালানের ছাদ থেকে মেশিনগানে অনবরত গুলি চালিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের শহরাভিমুখে অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখে।

    এই সংকটময় সময়ে মহিউদ্দিন শত্রুর মেশিনগান ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেন। তিনি বা হাতে এসএমজি ও ডান হাতে একটি গ্রেনেড নিয়ে গােপনে ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসেন। হামাগুড়ি দিয়ে রাস্তা পার হয়ে তিনি দ্রুত মেশিনগানবাহী বাড়িটির দিকে ধাবিত হন। ত্বরিতগতিতে তিনি মেশিনগান বরাবর গ্রেনেড নিক্ষেপ করেন। বিস্ফোরিত গ্রেনেডের আঘাতে মেশিনগানের স্থলটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়।

    অকস্মাৎ রাস্তার পাশের একটি দোতলা বাড়ি থেকে শক্রর একটি গুলি তাঁর কপালে বিদ্ধ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এতে হতােদ্যম না হয়ে মুক্তিযােদ্ধারা সন্ধ্যার দিকে শত্রুর অবস্থানের ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। গভীর রাত পর্যন্ত এ আক্রমণ অব্যাহত ছিল। পাকসেনারা শেষ পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে নওয়াবগঞ্জ শহর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ভাের রাতে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ উদ্ধার করে তাঁকে ছােটো সােনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়

  • পদ (ব্যাকরণ)

    শাস্ত্র, পদ হচ্ছে একটি ভাষার রূপতত্ত্বগত শ্রেণীবিভাগ, যা সেই ভাষার বাক্যের নির্মাণ পদ্ধতি ও শব্দের সনাক্তকরণ, বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য ভাষাগত গঠনের বর্ণনা করে। শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে পদ বলে।[১] বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকেই এমন ভাবে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়, যার জন্য প্রতিটি শব্দের মধ্যে সম্পর্ক ও তাদের অর্থ সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ভাষায় বিশেষ্য পদ ও ক্রিয়াপদ প্রায়শ ব্যবহৃত পদ। কিন্তু এর পরেও বিভিন্ন ভাষায় উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে। উদাহরণস্বরূপ, জাপানি ভাষায় তিন প্রকারের পৃথক বিশেষণ পদ আছে। সেই তুলনায় বাংলাইংরেজিতে বিশেষণের কোনো পার্থক্য নেই।

    ইতিহাস

    ভাষাবিজ্ঞানের ইতিহাসের প্রারম্ভিক পর্বেই পদ বিষয়ক আলোচনার প্রমাণ পাওয়া যায়।[২] প্রাচীন ভারতীয় ভাষাবিদ যস্ক তাঁর নিরুক্ত গ্রন্থে খ্রিস্টপূর্ব ৫ বা ৬ সালে সংস্কৃত পদ নিয়ে আলোচনা করেন। নিরুক্ত গ্রন্থটি থেকে সেসময় সংস্কৃত ব্যাকরণে ব্যবহৃত ৪ টি পদ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এটিই ছিল উপমহাদেশে সর্বপ্রথম পদ-বিষয়ক আলোচনার দলিল।

    • নাম পদ
    • আখ্যাত পদ
    • উপসর্গ পদ
    • নিপাত পদ

    প্রকারভেদ

    বাংলা ব্যাকরণে পদ মূলত ২ প্রকার হলেও সাধারণ ভাবে পদ ৫ প্রকার। কিন্তু আধুনিক প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে পদ ৮ প্রকার।

    পদ মুলত ২ প্রকার:

    সব্যয় পদ চার প্রকার:

    সম্মিলিত শ্রেণীবিভাগ

    উভয় মূল মিলিয়ে পদ মুলত ৫ প্রকার। যথা:

    • বিশেষ্য
    • বিশেষণ
    • সর্বনাম
    • ক্রিয়াপদ
    • অব্যয়

    কিন্তু সাধারণ ব্যাকরণিক শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী অব্যয় পদটি একাধিক ভুমিকা পালন করে।

    আধুনিক শ্রেণীবিভাগ

    পদান্বয়ী অব্যয় অনুসর্গ রুপে কাজ করে, সমচ্চয়ী অব্যয় পদটি সংযোজক হিসেবে কাজ করে এবং অনন্বয়ী অব্যয় পদটি আবেগবাচক শব্দের ভুমিকা পালন করে। আবার ক্রিয়াবিশেষণকে বিশেষণের একটি অংশ মনে করা হয়। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ আলাদা শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্যতা রাখে। তাই, প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ অনুসারে শব্দ আট প্রকার।[১] যথা:

    [১]

    আলোচনা

    পদবৈশিষ্ট্যপদের উদাহরণবাক্যে ব্যবহারের উদাহরণটীকা
    ক্রিয়াপদক্রিয়া বা অবস্থাকে সনাক্ত করেহয়, করি, গাওয়া, হতে, খাইআমি ভাত খাইক্রিয়াপদের একটি কর্তা অংশ থাকে, যেটি কাজটি সম্পাদন করে। কিছু ক্রিয়াতে কর্ম অংশও থাকে, যেটি ক্রিয়াকে গ্রহণ করে বা সম্পন্ন কাজের প্রতিফলন ঘটায়। বাক্য গঠনের অন্যতম মৌলিক উপাদান হলো ক্রিয়াপদ। অপরটি হলো নামপদ (বিশেষ্য ও সর্বনাম)।
    বিশেষ্যব্যক্তি, স্থান, কাল ও বস্তু সনাক্ত করেকলম, কুকুর, কাজ, গান, নগর, ঢাকা, শিক্ষক, জহিরঢাকা একটি মহানগরীবাক্য গঠনের মৌলিক উপাদানের একটি।
    বিশেষণবিশেষ্য ও সর্বনামের অবস্থা বোঝায়টি, ২ (দুই), সামান্য, ভালো, বড়, লাল, মজাদারবিড়ালটির রঙ সাদা-টি কে পদাশ্রয়ী নির্দেশক হিসাবেও আখ্যায়িত করা হয়।
    ক্রিয়াবিশেষণক্রিয়াপদের অবস্থা বোঝায়দ্রুত, আস্তে, খারাপভাবে, অতি, সত্যিইখাবার আস্তে আস্তে খাওয়া উচিত, দ্রুততার সাথে নয়
    সর্বনামবিশেষ্যের পরিবর্তে বসেআমি, তুমি, সে, তিনি, এটিসে ভালো গান পারেবাক্য গঠনের অন্যতম মৌলিক উপাদান নামপদের অংশ।
    অনুসর্গনামপদের (বিশেষ্য ও সর্বনাম) সঙ্গে বাক্যেত অন্য পদের সংযোগ বা মিলন ঘটায়তো, এখানে, পরে, ওখানে, নিচেকুকুরটি টেবিলের নিচেলোকটি সেতুর উপর দিয়ে দৌড়ে গেল
    সংযোজক পদঅন্যান্য পদ, বাক্য ও উক্তিকে যুক্ত করেএ, কিন্তু, যখন, অথবাআমি আপেল কমলা পছন্দ করি, কিন্তু আঙুর নয়
    আবেগসূচক পদসংক্ষিপ্ত মনের ভাবওহ!, আও!, ওহেআও! খুবই ব্যথা পেলাম!একমাত্র পদ যেটি বাক্যে স্বাধীনভাবে বসে এবং অন্য কোনো পদের উপর নির্ভরশীল নয়।

    বিশেষ্য

    বিশেষ্য অর্থ নাম। কোনো কিছুর নামকে বিশেষ্য বলে। যেমন, কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, সমষ্টি, কর্ম বা গুণের নাম। উদাহরণস্বরূপ, আলবার্ট আইনস্টাইন, কাজী নজরুল ইসলাম, জোসেফ স্তালিন, বাংলাদেশ, ভারত, ইতালি, নিউইয়র্ক, জানুয়ারি, রমজান, ফাল্গুন, গীতাঞ্জলি, দৈনিক ইত্তেফাক, ধাতু, লোহা, পানি, অক্সিজেন, আদর্শ, মধুরতা, বিশ্বাসী, সরলতা, দেশী, দর্শন, ধর্ম, ইসলাম, ক্যাথলিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিজেপি, ডেমোক্রেটিক পার্টি, জনতা, সংঘ, ঝাঁক, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, নাট্যশালা, মানুষ, গরু, ছাগল, পাহাড়, নদী, দালান, লবণ, বই, খাতা, পঠন, শয়ন, করানো, পাঠানো – এগুলো বিশেষণ।

    সর্বনাম

    বিশেষ্যের পরিবর্তে যা ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। বাক্যের মধ্যে বিশেষ্য যে ভূমিকা পালন করে সর্বনামও একই ভূমিকা পালন করে।[১] উদাহরণস্বরূপ, আমি, তুমি, আমরা, তোমরা, তুই, তোরা, এরা, ওরা, যে, সে, যিনি, তিনি, তাঁর, তাঁরা, সবাই, ওই, কেউ, কি, কোথায়, কিভাবে – এগুলো সর্বনাম।

    বিশেষণ

    বিশেষণ বিশেষ্য ও সর্বনামকে বিশেষিত করে। উদাহরণস্বরূপ, তাজা মাছ, সাদা গোলাপ, কালো পানি, দুই বিঘা, বেলে মাটি, প্রথম – এগুলো বিশেষণ।

    ক্রিয়াপদ

    যা দ্বারা কাজ করা বুঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়। পক্ষ ও কালভেদে ক্রিয়াপদের রূপভেদ হয়।[১] উদাহরণস্বরূপ, করবে, করলে, করে, শিখতে, ঘুমায়, পড়ছে, দিলেন, লিখছে, খেলছে, করাচ্ছেন, খাওয়ায়, চমকায়, ছটফটিয়ে, মরে যাওয়া, কমে আসা, এগিয়ে চলো, হেসে উঠেছে, দাঁড়িয়ে যাও – এগুলো ক্রিয়াপদ।

    ক্রিয়াবিশেষণ

    যা ক্রিয়ার ভাব, কাল বা সময়কে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। উদাহরণস্বরূপ, ধীরে বাতাস বায়, লোকটি দ্রুত হাটে, টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে, যথাসময়ে সে হাজির হলো, আমার জানা নেই, সে যাবে না, কখনই বা দেখা হবে – এগুলো ক্রিয়াবিশেষণ।

    আবেগসূচক পদ

    যে শব্দ দ্বারা দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ ইত্যাদি প্রকাশ হয়ে থাকে তাকে আবেগসূচক পদ বলে। এধরনের পদ বাক্যের অন্যান্য পদের সঙ্গে সরাসরি সরাসরি সম্পর্কিত না হয়ে স্বাধীনভাবে বাক্যে বসে।[১] উদাহরণস্বরূপ, হ্যাঁ, বেশ, শাবাশ!, আহ!, ওহ!, ছি ছি!, বাপরে বাপ, আরে, হায় হায়! ওগো – আবেগসূচক পদ।

    সংযোজক পদ

    সংযোজক পদ দুটি শব্দের মধ্যে সংযোগ ঘটায়।উদাহরণস্বরূপ, ও, এবং, বা, অথবা, আর, না-হয়, না-কি, কিন্তু, তবে, যদি, কারণ, তাই – সংযোজক পদ।

    অনুসর্গ

    যা কোন শব্দের পরে বসে তাকে অনুসর্গ বলে। উদাহরণস্বরূপ, অবধি, আগে, উপরে, করে, কর্তৃক, ছাড়া, জন্য, তরে, থেকে, দ্বারা, ধরে, নাগাদ, পর্যন্ত, বনাম, ভেতরে, মধ্যে, লেগে, সঙ্গে, হতে – অনুসর্গ।

  • বহুব্রীহি সমাস

    যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনোটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোনো পদকে বোঝায়, তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে।[১] যেমন: বহু ব্রীহি (ধান) আছে যার= বহুব্রীহি। এখানের ‘বহু’ কিংবা ‘ধান’ কোনোটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লোককে বোঝাচ্ছে।

    বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়।

    প্রকারভেদ

    বহুব্রীহি সমাস আট প্রকার।[১] যথা:

    ১. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি

    পূর্বপদ বিশেষণ আর পরপদ বিশেষ্য হলে সমানাধিকরণ বহুব্রীহি হয়। যেমন: হত হয়েছে শ্রী যার= হতশ্রী, খোশ মেজাজ যার= খোশমেজাজ। এরূপ- হৃতসর্বস্ব, উচ্চশির, পীতাম্বর, নীলকণ্ঠ, জবরদস্তি, সুশীল, সুশ্রী, বদবখ্ত, কমবখ্ত ইত্যাদি।

    ২. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি

    বহুব্রীহি সমাসের পূর্বপদ এবং পরপদ কোনোটিই যদি বিশেষণ না হয়, তবে তাকে ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি বলে। যেমন: আশীতে (দাঁতে) বিষ যার= আশীবিষ, কথা সর্বস্ব যার= কথাসর্বস্ব।

    পরপদ কৃদন্ত বিশেষণ হলেও ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি সমাস হয়। যেমন: দুই কান কাটা যার= দু কানকাটা, বোঁটা খসেছে যার= বোঁটাখসা। অনুরূপভাবে- ছা-পোষা, পা-চাটা, পাতা-চাটা, পাতাছেঁড়া, ধামাধরা ইত্যাদি।

    ৩. ব্যতিহার বহুব্রীহি

    ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ’ এবং পরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়। যেমন: হাতে হাতে যে যুদ্ধ= হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা= কানাকানি। এরূপ- চুলাচুলি, কাড়াকাড়ি, গালাগালি, দেখাদেখি, কোলাকুলি, লাঠালাঠি, হাসাহাসি, গুঁতাগুঁতি, ঘুষাঘুষি ইত্যাদি।

    ৪. নঞ্ বহুব্রীহি

    বিশেষ্য পূর্বপদের আগে নঞ্ (না অর্থবোধক) অব্যয় যোগ করে বহুব্রীহি সমাস করা হলে তাকে নঞ্ বহুব্রীহি বলে। নঞ্ বহুব্রীহি সমাসে সাধিত পদটি বিশেষণ হয়। যেমন: ন (নাই) জ্ঞান যার= অজ্ঞান, বে (নাই) হেড যার= বেহেড, না (নাই) চারা (উপায়) যার= নাচার, নি (নাই) ভুল যার= নির্ভুল, না (নয়) জানা যা= নাজানা, অজানা ইত্যাদি। এরূপ- নাহক, নিরুপায়, নির্ঝঞ্ঝাট, অবুঝ, অকেজো, বে-পরোয়া, বেঁহুশ, অনন্ত, বেতার ইত্যাদি।

    ৫. মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি

    বহুব্রীহি সমাসের ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত বাক্যাংশের কোনো অংশ যদি সমস্তপদে লোপ পায়, তবে তাকে মধ্যপদলোপী বহুব্রীহি বলে। যেমন: বিড়ালের চোখের ন্যায় চোখ যে নারীর= বিড়ালচোখী, হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে= হাতেখড়ি। এরূপ- গায়ে হলুদ, মেনিমুখো,সোনাক্ষি= সোনার ন্যায়মূল্যপূর্ন অক্ষি যার, জন্মাষ্টমী= জন্ম হয়েছে অষ্টমীর দিনে যার, রুদ্রাক্ষী= রুদ্র রূপ হইতে অক্ষি যার ইত্যাদি।

    ৬. প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি

    যে বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদে আ, এ, ও ইত্যাদি প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয়ান্ত বহুব্রীহি বলা হয়। যেমন: এক দিকে চোখ (দৃষ্টি) যার= একচোখা (চোখ+আ), ঘরের দিকে মুখ যার= ঘরমুখো (মুখ+ও), নিঃ (নেই) খরচ যার= নি-খরচে (খরচ+এ), তিন (তে) ভাগ যার= তেভাগা (আন্দোলনবিশেষ; ভাগ+আ)। এরূপ- দোটানা, দোমনা, একগুঁয়ে, অকেজো, একঘরে, দোনলা, দোতলা, ঊনপাঁজুরে ইত্যাদি।

    ৭. অলুক বহুব্রীহি

    যে বহুব্রীহি সমাসে পূর্ব বা পরপদের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে অলুক বহুব্রীহি বলে। অলুক বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদটি বিশেষণ হয়। যেমন: মাথায় পাগড়ি যার= মাথায়পাগড়ি, গলায় গামছা যার= গলায়গামছা (লোকটি)। এরূপ- হাতে-ছড়ি, কানে-কলম, গায়ে-পড়া, হাতে-বেড়ি, মাথায়-ছাতা, মুখে-ভাত, কানে-খাটো ইত্যাদি।

    ৮. সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি

    পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং পরপদ বিশেষ্য হলে এবং সমস্তপদটি বিশেষণ বোঝালে তাকে সংখ্যাবাচক বহুব্রীহি বলা হয়। এ সমাসে সমস্তপদে ‘আ’, ‘ই’ না ‘ঈ’ যুক্ত হয়। যেমন: দশ গজ পরিমাণ যার= দশগজি, চৌ (চার) চাল যে ঘরের= চৌচালা। এরূপ- চারহাতি, তেপায়া ইত্যাদি।

    কিন্তু, সে (তিন) তার (যে যন্ত্রের)= সেতার (বিশেষ্য)।

    বহুব্রীহি সমাসের নিয়ম

    বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাস বাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন: আয়ত লোচন যার= আয়তলোচনা (স্ত্রী), মহান আত্মা যার= মহাত্মা, স্বচ্ছ সলিল যার= স্বচ্ছসলিলা, নীল বসন যার= নীলবসনা, স্থির প্রতিজ্ঞা যার= স্থিরপ্রতিজ্ঞ, ধীরবুদ্ধি যার= ধীরবুদ্ধি।

    ‘সহ’ কিংবা ‘সহিত’ শব্দের সঙ্গে অন্য পদের বহুব্রীহি সমাস হলে ‘সহ’ ও ‘সহিত’ এর স্থলে ‘স’ হয়। যেমন: বান্ধবসহ বর্তমান= সবান্ধব, সহ উদর যার= সহোদর> সোদর। এরূপ- সজল, সফল, সদর্প, সলজ্জ, সকল্যাণ ইত্যাদি।

    বহুব্রীহি সমাসে পরপদে মাতৃ, পত্নী, পুত্র, স্ত্রী ইত্যাদি শব্দ থাকলে এ শব্দগুলোর সাথে ‘ক’ যুক্ত হয়। যেমন: নদী মাতা (মাতৃ) যার= নদীমাতৃক, বি (বিগত) হয়েছে পত্নী যার= বিপত্নীক। এরূপ- সস্ত্রীক, অপুত্রক ইত্যাদি।

    বহুব্রীহি সমাসে সমস্ত পদে ‘অক্ষি’ শব্দের স্থলে ‘অক্ষ’ এবং ‘নাভি’ শব্দের স্থলে ‘নাভ’ হয়। যেমন: কমলের ন্যায় অক্ষি যার= কমলাক্ষ, পদ্ম নাভিতে যার= পদ্মনাভ। এরূপ- ঊর্ণনাভ।

    বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘জায়া’ শব্দ স্থানে ‘জানি’ হয় এবং পূর্বপদের কিছু পরিবর্তন হয়। যেমন: যুবতী জায়া যার= যুবজানি (‘যুবতী’ স্থলে ‘যুব’ এবং ‘জায়া’ স্থলে ‘জানি’ হয়েছে)।

    বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘চূড়া’ শব্দ সমস্ত পদে ‘চূড়’ এবং ‘কর্ম’ শব্দ সমস্ত পদে ‘কর্মা’ হয়। যেমন: চন্দ্র চূড়া যার= চন্দ্রচূড়, বিচিত্র কর্ম যার= বিচিত্রকর্মা।

    বহুব্রীহি সমাসে ‘সমান’ শব্দের স্থানে ‘স’ এবং ‘সহ’ হয়। যেমন: সমান কর্মী যে= সহকর্মী, সমান বর্ণ যার= সমবর্ণ, সমান উদর যার= সহোদর।

    বহুব্রীহি সমাসে পরপদে ‘গন্ধ’ শব্দ স্থানে ‘গন্ধি’ বা ‘গন্ধা’ হয়। যেমন: সুগন্ধ যার= সুগন্ধি, পদ্মের ন্যায় গন্ধ যার= পদ্মগন্ধি, মৎস্যের ন্যায় গন্ধ যার= মৎস্যগন্ধা।

    নিপাতনে সিদ্ধ বহুব্রীহি

    এই ধরনের বহুব্রীহি সমাস কোনো নিয়মের অধীনে নয়। যেমন: দু দিকে অপ যার= দ্বীপ, অন্তর্গত অপ যার= অন্তরীপ, নরাকারের পশু যে= নরপশু, জীবিত থেকেও যে মৃত= জীবন্মৃত, পণ্ডিত হয়েও যে মূর্খ= পণ্ডিতমূর্খ ইত্যাদি।

    আরো দেখুন

  • বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষাতে কমন আসা ৫০টি প্রশ্ন ও উত্তর

    আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান। বিসিএসসহ বিভিন্ন পরীক্ষাতে কমন আসা ৫০টি এমসিকিউ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন তারা দেখে থাকবেন সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী অংশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন এসে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার্থে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে প্রশ্ন গুলো বারবার এসেছে সেই প্রশ্নগুলো একত্র করে দেওয়া হলো। তো চলুন পড়ে নেওয়া যাক-

    https://youtube.com/watch?v=x0DLYCEob40%3Ffeature%3Doembed

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    বিভিন্ন পরীক্ষাতে কমন আসা ৫০টি এমসিকিউ প্রশ্ন ও উত্তর

    ০১। কার নেতৃত্বে তমদুন মজলিশ’ গঠিত হয়?
    (ক) আবু মনসুর আহমদ
    (খ) অধ্যাপক আবুল কাশেম
    (গ) ড. কাজী মােতাহার হােসেন
    (ঘ) আব্দুল মতিন

    উত্তর : অধ্যাপক আবুল কাশেম

    ০২। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে প্রথম ধর্মঘট কখন হয়?
    (ক) ১৭ মার্চ, ১৯৪৯
    (খ) ৭ মার্চ, ১৯৪৭
    (গ) ১১ মার্চ, ১৯৪৮
    (ঘ) ১১ মার্চ, ১৯৪৭

    উত্তর : ১১ মার্চ, ১৯৪৮

    ০৩। কয়টি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়?
    (ক) ৪টি দল
    (খ) ৫টি দল
    (গ) ৩টি দল
    (ঘ) ৬টি দল

    উত্তর: ৪টি দল

    ০৪। ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলায় প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠন করেন কে?
    (ক) আতাউর রহমান খান
    (খ) এ কে ফজলুল হক
    (গ) শেখ মুজিবুর রহমান
    (ঘ) মওলানা ভাসানী

    উত্তর: এ কে ফজলুল হক

    ০৫। যুক্তফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল কত দিন?
    (ক) ৫৩ দিন
    (খ) ৫৪ দিন
    (গ) ৫৬ দিন
    (ঘ) ৬০ দিন

    উত্তর : ৫৬ দিন

    ০৬। ৬ দফা দাবির প্রথম দাবি কি ছিল?
    (ক) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে হবে
    (খ) পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হবার দাবি
    (গ) পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন।
    (ঘ) রাজস্ব, কর বিষয়ক দাবি

    উত্তর : পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন

    ০৭। যুক্তফ্রন্ট সরকার পতনের পর বাংলায় কার শাসনামল শুরু হয়?
    (ক) গভর্নরের
    (খ) প্রেসিডেন্টের
    (গ) প্রধানমন্ত্রীর
    (ঘ) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের

    উত্তর : গভর্নরের

    ০৮। ‘মারী চুক্তি’ কবে সম্পাদিত হয়?
    (ক) ৩০ মে, ১৯৫৪
    (খ) ৭ জুলাই, ১৯৫৫
    (গ) ২৩ মার্চ, ১৯৫৬
    (ঘ) ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭

    উত্তর : ৭ জুলাই, ১৯৫৫

    ০৯। ছয়দফা দিবস কবে পালিত হয়?
    (ক) ৫জুন
    (খ) ৬ জুন
    (গ) ৭ জুন।
    (ঘ) ৮ জুন

    উত্তর : ৭ জুন

    ১০। মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ কবে জারি করা হয়?
    (ক) ২৩ মার্চ, ১৯৬০
    (খ) ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৯
    (গ) ৭ অক্টোবর, ১৯৫৮
    (ঘ) ৭ অক্টোবর, ১৯৫৯

    উত্তর: ২৭ অক্টোবর, ১৯৫৯

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিছু সাধারণ জ্ঞান

    ১১। গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদ’ কিসের ভিত্তিতে গঠন করা হয়?
    (ক) ৬ দফা।
    (খ) ৮ দফা
    (গ) ১১ দফা
    (ঘ) ২১ দফা

    উত্তর : ৮ দফা

    ১২। ‘আগরতলা মামলা কবে প্রত্যাহার করা হয়?
    (ক) ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
    (খ) ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
    (গ) ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
    (ঘ) ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯

    উত্তর: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯

    ১৩। শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় কবে?
    (ক) ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
    (খ) ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯
    (গ) ৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯
    (ঘ) ৮ জানুয়ারি, ১৯৬৯

    উত্তর: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯

    ১৪। পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়?
    (ক) ২২ অক্টোবর, ১৯৭০
    (খ) ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭০
    (গ) ৫ অক্টোবর, ১৯৭০
    (ঘ) ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০

    উত্তর: ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০

    ১৫। ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ লাভ করেছিল?
    (ক) ১৬৯টি।
    (খ) ১৬০টি।
    (গ) ১৬২টি
    (ঘ) ১৬৭টি

    উত্তর : ১৬৭টি

    ১৬। স্বৈরাচারী আইয়ুব খানের শাসনের অবসান ঘটে কবে?
    (ক) ২৫ মার্চ, ১৯৬৯
    (খ) ১ মার্চ, ১৯৭০
    (গ) ২৫ মার্চ, ১৯৭০
    (ঘ) ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০

    উত্তর: ২৫ মার্চ, ১৯৬৯

    ১৭। কবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘােষণা করা হয়?
    (ক) ২৬ মার্চ, ১৯৭১
    (খ) ৩ মার্চ, ১৯৭১
    (গ) ১ মার্চ, ১৯৭১
    (ঘ) ৭ মার্চ, ১৯৭১

    উত্তর : ৩ মার্চ, ১৯৭১

    ১৮। বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়
    (ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনে এক ছাত্রসভায়
    (খ) কলকাতায়।
    (গ) কুর্মিটোলা ক্যান্টনমেন্টে।
    (ঘ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়

    উত্তর : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা ভবনে এক ছাত্রসভায়

    ১৯। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল হিসেবে কবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়?
    (ক) ৩০ অক্টোবর, ২০১৭
    (খ) ৩০ অক্টোবর, ২০১৮
    (গ) ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
    (ঘ) ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

    উত্তর: ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

    ২০। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কয়টি দাবি উপস্থাপন করেন?
    (ক) ৩টি
    (খ) ৪টি।
    (গ) ৫টি
    (ঘ) ৬টি

    উত্তর: ৪টি

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আরো কিছু সাধারণ জ্ঞান

    ২১। মুজিবনগর সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী কে ছিলেন?
    (ক) ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী
    (খ) তাজউদ্দীন আহমদ
    (গ) এ.এইচ. এম কামারুজ্জামান
    (ঘ) খন্দকার মােশতাক আহমদ

    উত্তর : ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী

    ২২। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র কত তারিখে গৃহীত হয়?
    (ক) ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে
    (খ) ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে
    (গ) ২৩ এপ্রিল, ১৯৭১সালে।
    (ঘ) ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে

    উত্তর : ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে

    ২৩। মুজিবনগর সরকারের সদস্য ছিল—
    (ক) ৭ জন।
    (খ) ৯ জন
    (গ) ৬ জন
    (ঘ) ১০ জন

    উত্তর: ৬ জন

    ২৪। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?
    (ক) এম. মনসুর আলী
    (খ) তাজউদ্দীন আহমেদ
    (গ) মওলানা ভাসানী
    (ঘ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম

    উত্তর: মওলানা ভাসানী

    ২৫। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় কোথায় ছিল?
    (ক) ৮নং থিয়েটার রােড, কলকাতা
    (খ) মুজিবনগর
    (গ) কালুরঘাট
    (ঘ) বেনাপােল

    উত্তর : ৮নং থিয়েটার রােড, কলকাতা

    ২৬। অনিয়মিত বাহিনীর সরকারি নাম কি ছিল?
    (ক) মুক্তিফৌজ
    (খ) মুক্তিবাহিনী।
    (গ) গণবাহিনী
    (ঘ) গেরিলা

    উত্তর : গণবাহিনী

    ২৭। কোথায় কাদেরিয়া বাহিনী গঠিত হয়?
    (ক) ভালুকা
    (খ) মানিকগঞ্জ
    (গ) সিরাজগঞ্জ
    (ঘ) টাঙ্গাইল।

    উত্তর : টাঙ্গাইল

    ২৮। ক্র্যাক প্লাটুন কত নং সেক্টরের অধীনে ছিল?
    (ক) ১নং
    (খ) ২নং
    (গ) ৩নং
    (ঘ) ৪নং

    উত্তর : ২নং

    ২৯। যৌথবাহিনী কবে গঠিত হয়?
    (ক) ২১ নভেম্বর, ১৯৭১
    (খ) ২১ অক্টোবর, ১৯৭১
    (গ) ২০ নভেম্বর, ১৯৭১
    (ঘ) ২০ অক্টোবর, ১৯৭১

    উত্তর: ২১ নভেম্বর, ১৯৭১

    ৩০। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানে কোন মন্ত্রিসভা গঠন করে?
    (ক) ডা. মালিক মন্ত্রিসভা
    (খ) আজিজ পাশা মন্ত্রিসভা
    (গ) শ্যামা মন্ত্রিসভা
    (ঘ) আজম মন্ত্রিসভা

    উত্তর : ডা. মালিক মন্ত্রিসভা

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ থেকে কমন আসার মত সাধারণ জ্ঞান

    ৩১। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ দলিলটির শিরােনাম কী?
    (ক) Instrument of Surrender
    (খ) Armistice
    (গ) Truce
    (T) Ceasefire

    উত্তর: Instrument of Surrender

    ৩২। Concert for Bangladesh’ আয়ােজনকারী জর্জ হ্যারিসন কোন দেশের নাগরিক?
    (ক) রাশিয়া
    (খ) যুক্তরাজ্য
    (গ) যুক্তরাষ্ট্র
    (ঘ) অষ্ট্রেলিয়া

    উত্তর: যুক্তরাজ্য

    ৩৩। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ের সম্প্রচার বন্ধ হয় কবে?
    (ক) ২৯ মার্চ, ১৯৭১
    (খ) ৩০ মার্চ, ১৯৭১
    (গ) ৩১ মার্চ, ১৯৭১
    (ঘ) কোনােটিই নয়

    উত্তর: ৩০ মার্চ, ১৯৭১

    ৩৪। বীর মুক্তিযােদ্ধা কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের?
    (ক) গারাে
    (খ) রাখাইন
    (গ) খাসিয়া
    (ঘ) চাকমা

    উত্তর : খাসিয়া

    ৩৫। বীরশ্রেষ্ঠদের মধ্যে প্রথম শহিদ হন –
    (ক) মােস্তফা কামাল
    (খ) রুহুল আমীন
    (গ) মুন্সী আব্দুর রউফ
    (ঘ) মতিউর রহমান

    উত্তর : মুন্সী আব্দুর রউফ

    ৩৬। বীরশ্রেষ্ঠ মােস্তফা কামাল কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
    (ক) ২ নং
    (খ) ৪নং
    (গ) ৮নং
    (ঘ) ৮নং

    উত্তর : ২ নং

    ৩৭। সাতজন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে সেনাবাহিনীর কত জন?
    (ক) ২ জন
    (খ) ৩ জন
    (গ) ৪ জন
    (ঘ) ৫ জন

    উত্তর : ৩ জন

    ৩৮। সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযােদ্ধা
    (ক) হামিদুর রহমান।
    (খ) নূর মােহাম্মদ শেখ
    (গ) মােস্তফা কামাল
    (ঘ) শহীদুল ইসলাম

    উত্তর: শহীদুল ইসলাম

    ৩৯। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম উত্তর আমেরিকান দেশ কোনটি?
    (ক) সেনেগাল
    (খ) ফিজি।
    (গ) বার্বাডােস
    (ঘ) ভেনিজুয়েলা

    উত্তর: বার্বাডােস

    ৪০। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর’ কোন সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত ছিল?
    (ক) ২ নং
    (খ) ৮ নং
    (গ) ১০ নং
    (ঘ) ১১ নং

    উত্তর: ৮ নং

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান

    ৪১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ কবে গঠিত হয়?
    (ক) ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮
    (খ) ১৩ অক্টোবর, ১৯৪৮
    (গ) ১১ মার্চ, ১৯৫০
    (ঘ) ৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭

    উত্তর : ১১ মার্চ, ১৯৫০

    ৪২। মুজিবনগর সরকারের চীফ অব স্টাফ কে ছিলেন?
    (ক) খন্দকার মােশতাক আহমেদ
    (খ) লে.কর্নেল (অব.) আব্দুর রব
    (গ) ক্যাপ্টেন এ.কে. খন্দকার
    (ঘ) ক্যাপ্টেন এম.এ.জি ওসমানী

    উত্তর : লে.কর্নেল (অব.) আব্দুর রব

    ৪৩। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন?
    (ক) শিল্প ও বাণিজ্য
    (খ) আইন ও বিচার
    (গ) কৃষি, ঋণ ও সমবায়
    (ঘ) অর্থ ও স্বরাষ্ট্র

    উত্তর : কৃষি, ঋণ ও সমবায়

    ৪৪। গণঅভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়
    (ক) ২৪ জানুয়ারি
    (খ) ২৩ ফেব্রুয়ারি
    (গ) ১০ মার্চ
    (ঘ) ৫ ডিসেম্বর

    উত্তর: ২৪ জানুয়ারি

    ৪৫। আগরতলা মামলা’র কত নং আসামিকে ক্যান্টনমেন্টে হত্যা করা হয়?
    (ক) ১৫ নং
    (খ) ১৬ নং
    (গ) ১৭ নং
    (ঘ) ১৮ নং

    উত্তর: ১৭ নং

    ৪৬। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেড আকারে মােট কয়টি ফোর্স গঠিত হয়েছিল?
    (ক) ২টি
    (খ) ৪টি
    (গ) ৩টি
    (ঘ) ৫টি

    উত্তর : ৩টি

    ৪৭। নিম্নের কোনটি মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টর ছিল?
    (ক) ঢাকা
    (খ) চট্টগ্রাম।
    (গ) রাজশাহী
    (ঘ) সিলেট

    উত্তর: চট্টগ্রাম

    ৪৮। মুক্তিযুদ্ধের কোন সেক্টরে কোন নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না?
    (ক) ৭ নং সেক্টর
    (খ) ১০ নং সেক্টর
    (গ) ৩ নং সেক্টর
    (ঘ) ১ নং সেক্টর

    উত্তর: ১০ নং সেক্টর

    ৪৯। নিচের কোন সেক্টরে পর্যায়ক্রমে তিন জন কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন?
    (ক) ১১ নং
    (খ) ১০ নং
    (গ) ৯ নং
    (ঘ) ৮ নং

    উত্তর : ১১ নং

    ৫০। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা কোন সাল?
    (ক) ১৩৭৯
    (খ) ১৩৭৬
    (গ) ১৩৭৮
    (ঘ) ১৩৭৭

    উত্তর: ১৩৭৮