Category: সাধারণ বিজ্ঞান

General Science

  • Various medals and awards of Bangladesh 2022

    In recognition of his glorious and meritorious contribution at the national level. 9 prominent individuals and 2 organizations won the Independence Award 2022. The winners are: War of Independence and Liberation: Heroic Freedom Fighter Ilias Ahmed Chowdhury, Martyr Colonel Khandaker. Nazmul Huda (Bir Bikram), Abdul Jalil, Siraj Uddin Ahmed, Muhammad Sahiuddin Biswas (posthumous), Sirajul Haque (posthumous) Medicine: Prof. Dr. Kanak Kanti Barua, Prof. Dr. Mother. Kamrul Islam. Architecture: Architect Syed Mainul Hassan (Posthumous) Research and Training: Bangladesh Wheat and Maize Research Institute. Besides, it contributes to the socio-economic development of the country through electrification and in the year of Mujib. The power department also won the Independence Award for successfully completing 100% electrification.

    National Environment Medal

    The National Environment Medal was introduced in 2009. Medals are awarded at the individual and institutional levels in recognition of outstanding contributions to environmental pollution control and environmental conservation and development. Winners of 2021 Environmental Protection and Pollution Control »M, A Matin (Matin Beach) & Rajshahi City Corporation & Environmental Education & Promotion> Inam Al Haq & Bangladesh Resource Center For Indigenous Knowledge (BARCIK).

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    Ink and Pen Young Poet and Writer Award

    27 February 2022 IFIC Bank Dedicated ‘Ink and Pen Young Poet’. And the Writers Award 2021. This year’s winners are Sadat Hasain for his book Viva and Illusion in Fiction, Amin Al-Rashid for his essay-research ‘Map of Life’ and Chanakya Barai for his book ‘Sundarbans Series in Poetry’. This time the award was not given in this category as notable books on liberation war literature and children’s literature were not submitted.

    Pallibandhu Padak

    March 20, 2022 ‘Pallibandhu Padak-2021’ was awarded for special contribution in various fields. The winners are eight heroic freedom fighters. Jafrullah Chowdhury, poet Fazal Shahabuddin (posthumous), media personality Sheikh Siraj, Andrew Kisher (posthumous), Professor. Nazmul Ahsan Kalim Ullah, Engineer Kamrul Islam Siddique (posthumous), Gaelam Sarayer Tipu and heroic freedom fighter Abdul Wahed Babul. The medal was first introduced in 2022 in memory of former President Hussein Muhammad Ershad.

    Ananya Sahitya Puraskar

    On 22 March 2022, Ranjana Biswas, a distinguished writer, researcher and essayist, was awarded the Ananya Sahitya Puraskar-1426 for her special contribution to Bengali language fiction. The Ananya Sahitya Puraskar was introduced in Bengal 1401 (1993). The award is given annually to a woman writer in recognition of her special contribution.

  • Some important recent facts about The sky-space

    Toyota will send a car to the moon

    Japanese carmaker Toyota will help humans live on the moon by 2040 and then on Mars. Toyota is working with the Japan Aerospace Exploration Agency (JAEA) to build a car. The car is called Lunar Cruiser. The car is named after the Toyota Land Cruiser Sport Utility Vehicle (SUV). On January 26, 2022, Takao Satae, head of the Twitter Lunar Project, said people will be able to eat, work, sleep and communicate safely with others in the car.

    Saturn’s moon is the ocean

    Mimas is one of the satellites of Saturn, the second largest planet in the solar system. The atmosphere of this satellite is much warmer according to the earth. It contains the ocean. Mimas covered with at least 24-31 km thick ice. Researchers at the US space agency NASA have claimed that a thick layer of ice has to be penetrated to touch the liquid water of the ocean. They analyzed the Cassini mission data collected from the satellite. Concluded about having oceans.

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    Spy satellite in space

    On February 2, 2022, the United States launched another new reconnaissance satellite into space. The NROL-87 satellite was successfully launched into orbit by SpaceX’s Falcon-9 rocket. The satellite was developed by the National Reconnaissance Office (NRO), a subsidiary of the United States Department of Defense. The country’s space force is in charge of overseeing it. It basically does the job of looking after the satellite. The NRO is headquartered near Washington in North Virginia.

    Destruction of 40 satellites in the atmosphere

    On February 3, 2022, Starlink, the high-speed Internet satellite company of SpaceX, the aerospace company of US billionaire Elon Musk, launched 49 satellites from the Kennedy Space Center in Florida, USA. They are placed about 210 kilometers above the earth. But on 4 February 2022, 40 satellites were destroyed by a magnetic storm that fell out of orbit. Atmospheric warming is usually caused by geomagnetic storms.

    Search for habitable planets

    Scientists are speculating that a life-saving planet could be found near a dead star in the corner. If the matter is confirmed, for the first time, the orbiting white dwarf star will be found to be a useful planet to sustain life. The probable planet is 116 light-years from Earth. Dead stars are called white dwarfs or white dwarfs.

    ISS departed in 2031

    The International Space Station (ISS) will collapse on Earth after 2030. On January 31, 2022, NASA announced that it would collapse in early 2031 and fall into a part of the Pacific Ocean known as Point Nema. Point Nema is located farthest from the earth’s surface. It is also known as the spacecraft cemetery. Note that the first part of Earth’s orbit to be sent to build the International Space Station on November 20, 1997, is called Zarya. The International Space Station was then created by gradually connecting different parts to the space station. Construction of the ISS was completed in 2011.

    Joint mission in space

    The United Arab Emirates and Bahrain, two countries in the Gulf region of the Middle East, have launched joint missions in space. In the meantime, for the first time in a joint venture, the two countries have launched an artificial satellite into space. The light-1 satellite was launched from the Tsukuba Space Center (TKSC) on the International Space Station. Its main function will be to collect and store information about the gamma ray emitted as a result of weather and friction between clouds and clouds. The light-1 satellite was launched on 21 December 2021.

    Bangladesh’s first rocket

    This is the first rocket made in Bangladesh by a group of young talented students of Mymensingh Engineering College. With their own ingenuity and hard work, they built two rockets, Comet 0.1 and Comet 0.2, under the banner of Dhumketu X-Project and with the help of the Dhumketu X team. Besides, four more rockets of two models named Dhumketu-1 and Dhumketu-2 were made. Dhumketu-1 is 6 feet long and 16 feet long. And Dhumketu-2 each 8 feet, the two together 12 feet long. The larger rocket is 6 inches in size and the sixth is 4 inches

  • নববর্ষ আর পহেলা বৈশাখ এক সুরে বাঁধা

    নববর্ষ আর পহেলা বৈশাখ এক সুরে বাঁধা। সব ধর্মের, সব শ্রেণির মানুষের প্রাণের উচ্ছাস বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করেই প্রস্ফুটিত হচ্ছে। এ কারণেই বাঙালির সর্বজনীন ও সবচেয়ে বড় উৎসব বাংলা নববর্ষ।

    বঙ্গাব্দের ইতিকথা

    বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষের একটি ঐতিহ্যবাহী সৌর পঞ্জিকাভিত্তিক বর্ষপঞ্জি। কখন, কোথায় কীভাবে এর বিস্তার তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। অনেকেই মনে করেন, সম্রাট আকবরের আমলেই বাংলা সনের উৎপত্তি। আবার কেউ কেউ বলেন, স্বাধীন বাংলার সুলতানরা এর সূচনা ঘটান। আবার কারাে মতে, শশাঙ্ক বা আরও পুরােনাে কোনাে রাজার কীর্তি এ বাংলা সন।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    উৎপত্তি

    বাংলা সনের প্রবর্তন করেন মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মােহাম্মদ আকবর। তিনি খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তার সভার জ্যোতির্বিদ আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর সহযােগিতায় ১৫৮৪। সালে ‘তারিখ-এ-এলাহি’ নামে নতুন একটি বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন। এটি কৃষকদের কাছে ‘ফসলি সন’ নামে পরিচিত হয়, যা পরে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ’ নামে প্রচলিত হয়ে ওঠে। ঐ সময়ে প্রচলিত রাজকীয় সন ছিল ‘হিজরি সন’, যা চন্দ্রসন হওয়ায় প্রতি বছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতাে না। বাংলা সন শূন্য থেকে শুরু হয়নি, যে বছর বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়, সে বছর হিজরি সন ছিল ৯২৩। সে অনুযায়ী, সম্রাটের নির্দেশে প্রবর্তনের বছরই ৯২৩ বছরে যাত্রা শুরু হয় বাংলা সনের। এ ব্যাপারে ১০ মার্চ মতান্তরে ১১ মার্চ ১৫৮৪ সম্রাটের নির্দেশনামা জারি হয়। তবে এর। কার্যকারিতা দেখানাে হয় ১৫৫৬ সাল থেকে। কারণ ঐ সালটি ছিল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরােহণের বছর।

    বাংলা সনের মাস

    শক রাজবংশকে স্মরণীয় করে রাখতেই ৭৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রবর্তিত শকাব্দ (শক বর্ষপঞ্জির) থেকে বাংলা সনের নামগুলাে এসেছে। বিভিন্ন তারকারাজির নামে বাংলা মাসগুলাের নামকরণ করা হয়। সেগুলাে বিশাখা থেকে বৈশাখ, জ্যেষ্ঠা থেকে জৈষ্ঠ্য, আষাঢ়া থেকে আষাঢ়, শ্রবণা থেকে শ্রাবণ, ভাদ্রপদ থেকে ভাদ্র, কৃত্তিকা থেকে কার্তিক, অগ্রাইহনী থেকে অগ্রহায়ণ, পুষ্যা থেকে পৌষ, মঘা থেকে মাঘ, ফল্গুনি থেকে ফাল্গুন এবং চিত্রা থেকে চৈত্র।

    ১৭ অক্টোবর ২০১৯ নতুন করে কার্যকর করা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে
    • ৩১ দিন
    • বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন,
    • ৩০ দিন
    • কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, চৈত্র
    • ২৯ দিন
    • ফালুন (গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিতে Leap Year হলে ৩০)

    নববর্ষ উদ্যাপন

    ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকার ও তার মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক বাংলা নববর্ষের ছুটি ঘােষণা করেন। ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ আইয়ুব খানের সামরিক শাসন জারি হওয়ায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৬৪ সালে বাঙালি জাতীয় চেতনার তীব্র চাপে প্রাদেশিক সরকার বাংলা নববর্ষে ছুটি ঘােষণা করে। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

    মঙ্গল শােভাযাত্রা

    বাংলাদেশের জনগণের লােকজ ঐতিহ্যের প্রতীক মঙ্গল শােভাযাত্রা। দেশের লােকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষকে একত্র করার লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে যশােরে ‘চারুপীঠ’ নামের একটি সংগঠন প্রথমবারের মতাে। বর্ষবরণ করতে আনন্দ শােভাযাত্রার আয়ােজন করে। নান্দনিক সে শােভাযাত্রা দেশব্যাপী আলােড়ন তৈরি করে। যশােরের সে শােভাযাত্রার পর ১৯৮৯ সালে ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়ােজন করা। না হয় প্রথম আনন্দ শােভাযাত্রার। ১৯৯৫ সালের পর থেকে। এ আনন্দ শােভাযাত্রাই মঙ্গল শােভাযাত্রা’ নামে পরিচিতি লাভ করে। শিল্পী ইমদাদ হােসেন মঙ্গল শােভাযাত্রার নামকরণ করেন। ৩০ নভেম্বর ২০১৬ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO)-এর নির্বম্ভক বা অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলা নববর্ষ বরণের বর্ণিল উৎসব মঙ্গল শােভাযাত্রা’।

    ১৪ এপ্রিল

    বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিশিষ্ট ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৬৩ সালে বাংলা পঞ্জিকা সংস্কার। কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ কমিটি ‘শহীদুল্লাহ কমিটি’ নামে আখ্যায়িত হয়। এ কমিটি ১৪ এপ্রিলকে পহেলা বৈশাখ নির্ধারণের সুপারিশ করে। পরবর্তীতে বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার কমিটি’ নামে আরেকটি কমিটির সুপারিশের আলােকে বাংলা একাডেমিতে ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৪ (বাংলা ২৮ ভাদ্র ১৪০১) অনুষ্ঠিত সভায় ১৪ এপ্রিলকে পহেলা বৈশাখ হিসেবে ধার্য করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৩ আগস্ট ১৯৯৫ (২৯ শাবণ ১৪০২) এ দু’সভার মাধ্যমে গঠিত টাস্কফোর্স ১ বৈশাখ ১৪০২ থেকে, অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল ১৯৯৫ থেকে এটি কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়। এভাবেই পহেলা বৈশাখরূপে (শুভ। নববর্ষ) প্রতিবছরই পালন করা হয় ১৪ এপ্রিল।

  • মার্চ মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

    মার্চ মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ইসলামভীতি প্রতিরােধ দিবস, FAO এশিয়া ও প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন (APRC) , OIC পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন, BAFTA অ্যাওয়ার্ড নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

    ০১ মার্চপুলিশ মেমােরিয়াল ডে
    ০১ মার্চজাতীয় বীমা দিবস। প্রতিপাদ্য- বীমায় সুরক্ষিত থাকলে, এগিয়ে যাব সবাই মিলে।
    ০২ মার্চজাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস।
    ০২ মার্চজাতীয় ভােটার দিবস। প্রতিপাদ্য- মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভােটাধিকার।
    ০৩ মার্চবিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস। প্রতিপাদ্য- বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি।
    ০৩ মার্চবিশ্ব শ্রবণ দিবস। প্রতিপাদ্য- শ্রবণ জীবন ভরে, শুনুন যত্ন করে ।
    ০৪ মার্চবিশ্ব যৌন নিপীড়ন বিরােধী দিবস।
    ০৬ মার্চজাতীয় পাট দিবস। প্রতিপাদ্য- সােনালি আঁশের সােনার দেশ, পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।
    ০৭ মার্চ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস।
    ০৮ মার্চআন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিপাদ্য- টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য।
    ১০ মার্চজাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস। প্রতিপাদ্য- মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি, দুর্যোগ ব্যবস্থার অগ্রগতি।
    ১০ মার্চবিশ্ব কিডনি দিবস (মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার) প্রতিপাদ্য- সুস্থ কিডনি সবার জন্য।
    ১২ মার্চবিশ্ব গ্লুকোমা দিবস।
    ১৪ মার্চকমনওয়েলথ দিবস (মার্চ মাসের দ্বিতীয় সােমবার)।
    ১৪ মার্চআন্তর্জাতিক গণিত দিবস। প্রতিপাদ্য- গণিত একত্রিত করে।
    ১৪ মার্চআন্তর্জাতিক নদী রক্ষা (কৃত্য) দিবস। প্রতিপাদ্য- জীববৈচিত্র্যের জন্য নদী। 
    ১৫ মার্চবিশ্ব পঙ্গু দিবস।
    ১৫ মার্চবিশ্ব ভােক্তা অধিকার দিবস। প্রতিপাদ্য- ডিজিটাল আর্থিক ব্যবস্থায় ন্যায্যতা।
    ১৭ মার্চজাতির পিতার জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস।
    ১৮ মার্চবিশ্ব ঘুম দিবস (মার্চ মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার)। প্রতিপাদ্য- গুণগত ঘুম, সুস্থ মন, সুখী পৃথিবী।
    ২০ মার্চআন্তর্জাতিক সুখ দিবস।
    ২০ মার্চবিশ্ব শিশু-কিশাের ও যুব নাট্য দিবস।
    ২০ মার্চWorld Oral Health Day!
    ২০ মার্চফরাসি ভাষা দিবস।
    ২১ মার্চবিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস। প্রতিপাদ্য- ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্তদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়া।
    ২১ মার্চবিশ্ব বন দিবস। প্রতিপাদ্য- বনের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
    ২১ মার্চবিশ্ব কবিতা দিবস।
    ২১ মার্চআন্তর্জাতিক বর্ণ বৈষম্য বিলােপ দিবস।
    ২১ মার্চআন্তর্জাতিক নওরােজ দিবস। 
    ২১ মার্চWorld Home Economics Day!
    ২১ মার্চবিশ্ব পুতুল নাট্য দিবস।
    ২২ মার্চবিশ্ব পানি দিবস। প্রতিপাদ্য-  ভূগর্ভস্থ পানি : অদৃশ্য সম্পদ, দৃশ্যমান প্রভাব।
    ২৩ মার্চবিশ্ব আবহাওয়া দিবস। প্রতিপাদ্য- আগাম সতর্কতা এবং আগাম পদক্ষেপদুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে আবহাওয়া, পানি ও জলবায়ুর তথ্য।
    ২৪ মার্চবিশ্ব যক্ষা দিবস। প্রতিপাদ্য- বিনিয়ােগ করি যক্ষা নিমূলে, জীবন বাচাই সবাই মিলে।
    ২৫ মার্চInternational Day of Solidarity with Detained and Missing Staff Members 
    ২৫ মার্চগণহত্যা দিবস।
    ২৬ মার্চস্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
    ২৬ মার্চEarth Hour (মার্চ মাসের শেষ শনিবার)।
    ২৭ মার্চবিশ্ব নাট্য দিবস।
  • বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে সাম্প্রতিক ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

    সফরনামা প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর

    আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও দুবাইয়ের শাসক মােহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের আমন্ত্রণে ৭ মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান। সফরকালে আল মাকতুমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করাসহ বাণিজ্য ও বিনিয়ােগ বাড়ানাের সিদ্ধান্ত হয়। ৮ মার্চ ২০২২ দুবাই এক্সিবিশন সেন্টারে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝােতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। স্মারক চারটি উচ্চতর শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণা বিষয়ে সহযােগিতা। স্মারক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (BISS) এবং এমিরেটস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস অ্যান্ড রিসার্চের (ECSSR) মধ্যে সহযােগিতা বিনিময়ে সমঝােতা স্মারক কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে একটি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (FBCCI) ও সংযুক্ত আরব আমিরাত চেম্বার্স অ্যান্ড কমার্সের ও মধ্যে সহযােগিতা বাড়াতে একটি সমঝােতা স্মারক।

    সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর

    ১৫ মার্চ ২০২২ সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ দু’দিনের সফরে ঢাকায় পৌছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মােমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। ২০১৬ সালের মার্চে সৌদি আরবের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর ঢাকা সফর করেন। এবার প্রায় ৬ বছর পর সৌদির কোনাে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এলেন। ১৬ মার্চ ২০২২ বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক শেষে দুটি সমঝােতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাচুয়ালি কেরানীগঞ্জের বসিলায় আরবি ভাষা ইন্সটিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ভার্চুয়াল জাদুঘরের যাত্রা

    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতাে চালু হয় ভার্চুয়াল জাদুঘর। দেশের যেকোনাে জায়গা থেকে কেবল একটি ভিআরের সাহায্যে ঘুরে দেখা যাবে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। ভার্চুয়াল জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ জামান সঞ্জীব। ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতেই এ ভার্চুয়াল জাদুঘরের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এ ভিএমবি অ্যাপে যুক্ত হয়েছে। যে কেউ virtualmuseumbd.com ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে অ্যাপটি ডাউনলােড করতে পারেন এবং একটি ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এ ছয়টি স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা। লাভ করতে পারেন। যে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলাে এ অ্যাপটিতে রয়েছে, সেগুলাে হলাে— বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, চাপাইনবাবগঞ্জের ছােট সােনা মসজিদ, যশােরের ১১ শিব মন্দির, সােনারগাঁওয়ের বড় সরদার বাড়ি, নারায়ণগঞ্জের পানাম নগর ও দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির।

    চুড়ান্ত ভােটার তালিকা

    ২ মার্চ ২০২২ ভােটারদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। এবার ১৫,৬৬,৩৪১ জন নতুন ভােটার এ তালিকায় যুক্ত হন। ভােটার বৃদ্ধির হার ১.৪০%। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সারা দেশে মােট ভােটার সংখ্যা ১১,৩২,৮৭,০১০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভােটার ৫,৭৬,৮৯,৫২৯ জন ও নারী ভােটার ৫,৫৫,৯৭,০২৭ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) ভােটার ৪৫৪ জন। চূড়ান্ত তালিকায় পুরুষ ভােটার ৫০.৯২% ও নারী ভােটার ৪৯.০৮%।

    মহীসােপানের হালনাগাদ তথ্য উত্থাপন

    বঙ্গোপসাগরের মহীসােপান সীমা সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য জাতিসংঘে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ। ২ মার্চ ২০২২ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২১ সদস্যের Commission on the Limits of the Continental Shelf (CLCS) এর ৫৪তম অধিবেশনে মহীসােপান সীমা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মােমেন। ২২ অক্টোবর ২০২০ CLCS-এ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মহীসােপানের সংশােধিত তথ্য দাখিলের পর এ সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যাদি উপস্থাপন করা হলাে। এ উপস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসােপানে তার অধিকার রক্ষা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত তথ্য সরবরাহ করেছে। এরপর CLCS’র নিয়ম । অনুযায়ী, এ উদ্দেশ্যে গঠিত একটি সাব-কমিশন বাংলাদেশের উপস্থাপিত দলিলাদি পরীক্ষা করে বাংলাদেশের মালিকানার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে। এর ফলে বাংলাদেশ ঐ এলাকায় প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে। বাংলাদেশের মহীসােপান সীমানাসংক্রান্ত দলিলাদি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবারের মতাে CLCS এ জমা দেওয়া হয়। তবে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমাজনিত বিরােধের কারণে কমিশন বাংলাদেশের দাখিল করা দলিলাদি সে সময় পরীক্ষা করতে পারেনি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিচারিক সংস্থার মাধ্যমে মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরােধের সমাধান করে।

    পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন

    ২১ মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশে উৎপাদনে আসা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলাের মধ্যে সবচেয়ে বড়। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে ১৫ মে ২০২০ আর দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ৮ ডিসেম্বর ২০২০। তবে করােনার মহামারি পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় পাওয়ার অপেক্ষায় এত দিন কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়নি। জানেন কি? পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগে দেশে সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪৫০ মেগাওয়াট। এই ক্ষমতার তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। অবশ্য বড় আরও তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উৎপাদনে যাবে বলে আশা রয়েছে। সেগুলাে হলাে। ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১,৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও কক্সবাজারের মাতারবাড়ীর। ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

    FACT FILE

    অবস্থান পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালীতে চীনের সাথে নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ৯ জুন ২০১৪। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ১৪ অক্টোবর ২০১৬ প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু ১৫ মে ২০২০ দ্বিতীয়। ইউনিট থেকে ৮ ডিসেম্বর ২০২০। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২১ মার্চ ২০২২ নির্মাণ বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (BCPCL) BCPCL গঠন ১ অক্টোবর ২০১৪ বর্তমানের বাংলাদেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র। প্রতিদিন উৎপাদনের সক্ষমতা ১৩২০ মেগাওয়াট। দেশের দ্বিতীয় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র (প্রথম বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র) কেন্দ্র নির্মাণের সিংহভাগ অর্থায়ন করেছে চীন। নির্মিত ১,০০০ একর জমির উপর । পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গােপালগঞ্জ পর্যন্ত, আমিনবাজার-মাওয়া-গােপালগঞ্জমােংলা পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বঙ্গোপসাগরের রামনাবাদ চ্যানেল হয়ে কয়লা আসে। পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বা প্ল্যান্টের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে বলা হয় আন্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। বিশ্বের ১৩তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

    ই-সিম

    গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতাে ই-সিম (embedded-SIM) চালু করে। ৭ মার্চ ২০২২ থেকে ই-সিম দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা ই-সিম ই-সিম কী? সমর্থন করে এমন ডিভাইসে প্লাস্টিক সিম সিম কার্ড ছাড়াই কার্ড ছাড়াই কানেকটিভিটির সুবিধা উপভােগ মােবাইল নেটওয়ার্ক করতে পারবেন। বহু নেটওয়ার্ক ও নম্বর ব্যবহারের ডিজিটাল একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে। তবে এটি পদ্ধতি। নির্ভর করবে মুঠোফোনের ওপর। নতুন ই- সুবিধা। সিম সংযােগ পেতে হলে গ্রাহকদের ই-সিম নিরাপদ সহজ সমর্থন করে এমন ডিভাইস থাকতে হবে। পরিবেশবান্ধব। বিশ্বজুড়েই ডিজিটাল রূপান্তরসহ পরিবেশগত সুবিধা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ই-সিম।

    পুলিশ মেমােরিয়াল

    দেশে-বিদেশে কর্তব্যরত অবস্থায় আত্মত্যাগকারী পুলিশ সদস্যদের সম্মানে ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কম্পাউন্ডে নির্মাণ করা হয় পুলিশ মেমােরিয়াল। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পুলিশ। মেমােরিয়ালের উদ্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে স্থায়ী দৃষ্টিনন্দন। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নকশা। প্রণয়ন ও সাইট নির্ধারণ করে ২০১৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়। অনন্য এ স্থাপত্য নকশায় নির্মিত পুলিশ মেমােরিয়ালের বেদির মােট আয়তন ২৮,৩০০ বর্গফুট।

    পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন

    ৮ মার্চ ২০২২ পদ্মা সেতুতে গ্যাস লাইন স্থাপন সম্পন্ন হয়। ১৫ মার্চ ২০২২ পানি দিয়ে গ্যাসপাইপ লাইনের হাইড্রোলিক পরীক্ষা করা হয়। এপ্রিলে গ্যাস ব্যবহারে এই পাইপলাইনের পরীক্ষা হবে। মূল সেতুজুড়ে গ্যাস লাইন বসানাের পর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটি এবং মাওয়া প্রান্তের এক নম্বর খুঁটি দিয়ে লাইন। নিচে নামিয়ে আনা হয়। সেতুর দুই প্রান্তেই গ্যাসের দুটি সাবস্টেশন স্থাপন হবে। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) পরবর্তীতে এ স্টেশন স্থাপন করবে। জিটিসিএল ও সেতু কর্তৃপক্ষ এবং মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ২৩ জুন ২০২২ সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই গ্যাস লাইনের কাজ সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষের। কাছে হস্তান্তর করা হবে। পদ্মা সেতুর গ্যাস সংযােগ। নিশ্চিত করার জন্য ৭৬২ মিলিমিটার ডায়া এবং ২৫.৪০ মিলিমিটার ওয়াল থিকনেসের এ গ্যাসপাইপ লাইন স্থাপন করা হয়। ১২ মিটার লম্বা ৫৩১টি গ্যাসপাইপ স্থাপন করা হয়। সাতটি মডিউলে ভাগ করে ৬.১৫ কিলােমিটার সেতুতে ৬.৭০ কিলােমিটার। গ্যাসপাইপ বসেছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে লাঙ্গলবন্দ ব্রাঞ্চ স্টেশন থেকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এ গ্যাস যুক্ত হবে মাওয়া গ্যাস সাবস্টেশনে।

    বিশ্বের (২৫) ঐতিহ্যের তালিকায় বাগেরহাট

    World Monuments Watch মূলত ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ড (WMF) দ্বারা পরিচালিত একটি প্রকল্প। বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ভারসাম্যহীন পর্যটন ও কম প্রচারের কারণে পিছিয়ে পড়ছে সেগুলাের রক্ষণাবেক্ষণ, সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে সহায়তা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে WMF। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রতি দুই বছর পরপর তারা এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে। এ ছাড়া ভারত, যুক্তরাজ্য, পেরু, স্পেন, পর্তুগাল, কম্বােডিয়ায় সংস্থার কার্যালয় ও কার্যক্রম রয়েছে। সম্প্রতি WMF ২০২২ সালের। বিশ্ববিখ্যাত ২৫টি ঐতিহ্যের তালিকা প্রকাশ করে। এবারের তালিকা তৈরির জন্য ২২৫টির বেশি স্থানের মনােনয়ন দেওয়া হয়। সেগুলাে থেকে যাচাই-বাছাই করে ২৫টি স্থানকে ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় । WMF’র মতে এবারের তালিকায় অসাধারণ। তাৎপর্যপূর্ণ যে ২৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে, তা ১২,০০০ বছরের ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে। এবারের ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদের শহর বাগেরহাট। বাগেরহাট এ তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র স্থান।

    ঐতিহাসিক মসজিদের শহর

    খানজাহান আলীর আমলে নির্মিত ইসলামী স্থাপত্যরীতির মসজিদগুলাের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে UNESCO ১৯৮৫ সালে বাগেরহাটকে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর হিসেবে ৩২১তম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। এর মধ্যে বাগেরহাটের ১৭টি স্থাপনাকে তালিকাভুক্ত করা হয়, যার মধ্যে ১০টি-ই মসজিদ। মসজিদগুলাে ষাট গম্বুজ মসজিদ, বিবি বেগুনি মসজিদ, চুনাখােলা মসজিদ, নয় গম্বুজ মসজিদ, জিন্দা পীরের মসজিদ, দশ গম্বুজ মসজিদ, রণবিজয়পুর মসজিদ, রেজা খােদা। মসজিদ, সিংগাইর মসজিদ ও এক গম্বুজ মসজিদ। বাগেরহাট শহরের আশপাশজুড়ে রয়েছে এ মসজিদগুলাে। এছাড়াও খানজাহান আলী (রহ.)-এর সমাধি, পীর আলী তাহেরের সমাধি, জিন্দা পীরের সমাধি, সাবেকডাঙ্গা প্রার্থনা কক্ষ, খানজাহান আলী। (রহ.)-এর বসতভিটা, বড় আদিনা দিঘি, খানজাহানের তৈরি প্রাচীন রাস্তাকেও বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করা হয়। ১৫ শতকের দিকে খানজাহান আলী (রহ.) ষাট গম্বুজ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিতে সর্বমােট ৮১টি গম্বুজ রয়েছে।

    শতভাগ বিদ্যুতায়িত বাংলাদেশ

    বিদ্যুতের উজ্জ্বল আলােয় আলােকিত পুরাে দেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ভেসে যাবে লাল-নীল আলাের ঝর্ণাধারায়। দুর্গম পাহাড় থেকে শুরু করে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ অঞ্চলে পৌছবে আলাের ছোঁয়া। শতভাগ বিদ্যুতায়িত দেশের কাতারে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর ২০০৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত। দেশের জনগােষ্ঠীর ৪৭% বিদ্যুতের আওতায় ছিল। এরপর গত এক যুগে বাকি ৫৩% মানুষ বিদ্যুৎ সংযােগের আওতায় আসে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌছানাের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা হয়। ২১। মার্চ ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আনুষ্ঠানিক ঘােষণা দেন। দেশে বর্তমানে ৪ কোটি ২১ লাখের বেশি বিদ্যুৎ সংযােগ। রয়েছে, যার আওতায় শতভাগ জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এক যুগ আগে বিদ্যুৎ গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এই মধ্যবর্তী সময়ে ২ কোটি ১৩ লাখ বিদ্যুৎসংযােগ বেড়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮টিতে। দেশের যেসব স্থানে গ্রিডের বিদ্যুৎ সরাসরি পৌছানাে যায়নি সেখানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সংযােগ এবং সােলার মিনিগ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়া হয়েছে। বিপুলসংখ্যক জনগণকে সংযুক্ত করার পর এখন টেকসই, নিরবচ্ছিন্ন এবং সাশ্রয়ী বিদ্যুৎসেবা নিশ্চিত করা হবে সরকারের আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ।

    রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪

    ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মন্ত্রিসভার বৈঠকে রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর খসড়ার অনুমােদন দেওয়া হয়। চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিন বছর পর পর রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করা হয়। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত বলতে সে সকল খাতকে বােঝায় যেখানে রপ্তানির বিশেষ সম্ভাবনা রয়েছে। 3 অথচ বিবিধ কারণে এ সম্ভাবনাকে তেমন কাজে লাগানাে যায়নি, তবে 3 প্রয়ােজনীয় সহযােগিতা দিলে অধিকতর সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। যথা—অধিকমূল্য সংযােজিত তৈরি পােশাক, ডেনিম। কৃত্রিম ফাইবার । গার্মেন্টস এক্সেসরিজ। ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য। প্লাস্টিক পণ্য। জুতা এবং চামড়াজাত পণ্য। পাটজাত পণ্য। কৃষি পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য। জাহাজ ও সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলার নির্মাণ। ফার্নিচার । হােম টেক্সটাইল ও হােম ডেকর, টেরিটাওয়েল। লাগেজ। একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (API) এবং ল্যাবরেটরি বিকারক। বিশেষ উন্নয়নমূলক খাত যে সকল পণ্যের রপ্তানি সম্ভাবনা রয়েছে। । অথচ পণ্যগুলাের উৎপাদন, সরবরাহ এবং রপ্তানি ভিত্তি সুসংহত নয় সে সকল পণ্যের রপ্তানি ভিত্তি সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যথা— ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য  সিরামিক পণ্য। মূল্য সংযােজিত হিমায়িত মৎস্য। প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং। কাটিং ও পােলিশকৃত মসৃন হীরা ও জুয়েলারি। পেপার ও পেপার প্রােডাক্টস। রাবার ও রাবারজাত পণ্য। রেশম সামগ্রী হস্ত ও কারু পণ্য। লুঙ্গিসহ তাঁত শিল্পজাত পণ্য। ফটোভলটিক মডিউল (সােলার এনার্জি)। কাজুবাদাম। জীবন্ত ও প্রক্রিয়াজাত কাকড়া। খেলনা। আগর। হালাল ফ্যাশন আবায়া ইত্যাদি, বােরকা, হিজাব। হালাল মাংস ও মাংসজাত পণ্য এবং অন্যান্য হালাল পণ্য। । রিসাইকেল্ড পণ্য। সফটওয়্যার ও আইটি এনাবল সার্ভিসেস, আইসিটি পণ্য BPO, Freelancing। বিশেষ উন্নয়নমূলক সেবা খাত পর্যটন শিল্প। আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং ও কনসালটেন্সি সার্ভিসেস।

    মানবদেহে মেকানিক্যাল হার্ট

    হৃদরােগে আক্রান্তদের জন্য সাময়িক উপশম হচ্ছে ‘মেকানিক্যাল হার্ট । এতদিন বিদেশে এ যন্ত্রের অস্ত্রোপাচার
    হলেও বাংলাদেশে এবারই প্রথম ৪২ বছর বয়সি বছর বয়সি এক নারীর শরীরে। ‘মেকানিক্যাল হার্ট বসানাে হয়। মেকানিক্যাল হার্ট মূলত একটি যন্ত্র যা রক্তমাংসের হৃদপিণ্ডের বদলে, রক্ত সঞ্চালনের কাজ করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ২ মার্চ ২০২২ রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল চার ঘণ্টা সময় নিয়ে অস্ত্রোপচার করে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট করেন। এটি ইমপ্ল্যান্ট করার জন্য যন্ত্রটির দামসহ সবমিলিয়ে খরচ হয় প্রায় সােয়া এক কোটি টাকা। এটি ব্যাটারি চালিত যা, মােবাইল ফোনের ব্যাটারির মতাে চার্জ দিতে হয়। ব্যাটারির চার্জ থাকে ছয় সাত ঘণ্টার মতাে। মেকানিক্যাল হাটের ব্যাটারি ও মনিটর শরীরের বাইরে একটি ব্যাগে বহন করতে হয়।। সবমিলিয়ে এর বহনযােগ্য অংশের ওজন দেড় কেজির মতাে। সাধারণত হৃদযন্ত্র পুরােপুরি বিকল হয়ে গেলে প্রতিস্থাপন করার দরকার হয়। সুস্থ। হৃদ্যন্ত্র পাওয়া না গেলে বা পেতে দেরি হলে এ যন্ত্রটি লাগানাে হয়।

    গণটিকায় মাইলফলক

    ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ দেশজুড়ে করােনার গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এদিন করােনার এক কোটি প্রথম ডােজ টিকা দেওয়ার টার্গেট থাকলেও দিনশেষে টিকা দেওয়া হয় ১,১১,৭৪,৭২৫ ডােজ। একইসঙ্গে করােনার দ্বিতীয় ডােজ এবং বুস্টার ডােজও দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডােজ দেওয়া হয় ৮,১৫,০৭৩ জনকে। আর বুস্টার ডােজ পান। ৭৩,৮৫৫ জন। একদিনে সর্বমােট ১,২০,৬৩,৬৫৩ ডােজ টিকা দিয়ে করােনা টিকাদানে অভূতপূর্ব সাফল্য দেখায় বাংলাদেশ সরকার। একদিনে ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি করােনার টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভারতের পরেই জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। টিকার বৈশ্বিক তালিকায় দুই ডােজ টিকাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৮ম। এছাড়া প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডােজ মিলে মােট টিকার তালিকায় চার ধাপ এগিয়ে ৭ম অবস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ।

    পােশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয়

    তৈরি পােশাকের বিশ্ববাণিজ্যে অনেক দিন ধরেই তীব্র প্রতিযােগিতা চলছে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে। চীনের পরের অবস্থান অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানিকারক দেশের মর্যাদা পেতেই এ লড়াই। এ প্রতিযােগিতায় ভিয়েতনামকে আবারও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। ২০২১ সাল শেষে ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৪৭২ কোটি ডলার বেশি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) পরবর্তী প্রতিবেদনে দ্বিতীয় অবস্থানের এ স্বীকৃতি পাওয়া যাবে। সদস্য দেশগুলাের রপ্তানি বাণিজ্যের বিশ্লেষণ নিয়ে প্রতিবছর জুনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে সংস্থাটি। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরাে (EPB) এবং ভিয়েতনামের ট্রেড প্রমােশন কাউন্সিলের (Vietrade) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পােশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩,৫৮০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, একই বছর ভিয়েতনামের রপ্তানির মােট পরিমাণ ৩,১০৮ কোটি ডলার। রপ্তানি বাণিজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বন্দর। ভিয়েতনামের আন্তর্জাতিক বন্দর আছে ১৬৩টি। বাংলাদেশের মাত্র তিনটি। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ভিয়েতনামের বন্দরের সংখ্যা ৩২০টি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ৭০টি।

    ১৩৪ শুল্ক স্টেশন বিলুপ্ত

    বর্তমানে দেশে ১৮৪টি ল্ক স্টেশন আছে। কাগজে-কলমে এসব ল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার সুযােগ ছিল। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ জাতীয় রাজস্ব বাের্ড (NBR) ১৩৪টি স্ক স্টেশনকে বিলুপ্ত ঘােষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি ও করে। এসব ল্ক স্টেশন দিয়ে কোন কোন পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে, সেই তালিকাও ইতােমধ্যে প্রকাশ করেছে NBR। চালু থাকা স্ক স্টেশনগুলাের 3 মধ্যে রয়েছে যশােরের বেনাপােল খুলনার রায়মঙ্গল ও খুলনা সদর 3 সাতক্ষীরার ভােমরা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও দৌলতগঞ্জ মেহেরপুরের মুজিবনগর রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ, রাজশাহী সদর ও সিরাজগঞ্জ চাপাইনবাবগঞ্জের সােনামসজিদ, রহনপুর ও আমনুরা রেলস্টেশন নওগাঁর ধামইরহাট দিনাজপুরের হিলি ও বিরল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা নীলফামারীর চিলাহাটি লালমনিরহাটের বুড়িমারী কুড়িগ্রামের সােনাহাট, রৌমারী, চিলমারী ও নুনখাওয়া মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট জামালপুরের ধানুয়া-কামালপুর, শেরপুরের নাকুগাঁও ময়মনসিংহের গােবরাকুড়া ও কড়ইতলী। ১ জুলাই ২০০৭ আমদানি-রপ্তানি হয় না এমন ৫০টি ল্ক স্টেশনকে অকার্যকর ঘােষণা করা হয়। তবে পূর্বানুমতি নিয়ে এসব স্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার সুযােগ রাখা হয়।

    প্রাইজবন্ডের ফল অনলাইনে

    ৫ মার্চ ২০২২ সহজে প্রাইজবন্ড লটারির ফল জানতে ‘প্রাইজবন্ড রেজাল্ট ইনকোয়ারি (PBRES) পিবিআরইএস’ নামের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করে সরকারের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)। ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ই-সেবা অংশে প্রাইজবন্ডের ড্র’র ফল অনুসন্ধানে প্রবেশ করে গ্রাহকরা ফল জানতে পারবেন। অনুষ্ঠানে জানানাে হয়, এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দুই পদ্ধতিতে প্রাইজবন্ডের ফল জানা যাবে। একটি সার্চ বক্সে বাংলা বা ইংরেজিতে সরাসরি প্রাইজবন্ডের নম্বর লেখা। এ পদ্ধতিতে একাধিক নম্বর একসঙ্গে অনুসন্ধান করতে হলে কমা দিয়ে নম্বরগুলাে লিখতে হবে। সিরিজ নম্বরের ক্ষেত্রে প্রথম ও শেষ সংখ্যার মাঝে হাইফেন লিখে সার্চ করা যাবে। এর বাইরে মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল আপলােড করে ফল জানা যাবে। এই ওয়েবসাইট সাবস্ক্রাইব অপশন আছে প্রাইজবন্ড গ্রাহকদের। লটারির পর সাবস্ক্রাইবারের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে যাবে এ সংক্রান্ত তথ্য। প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৬৭টি সিরিজের প্রাইজবন্ড রয়েছে। প্রতিটি সিরিজ থেকে ৪৬টি করে পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতি তিন মাস পর পর লটারি হয় প্রাইজবন্ডের। একটি লটারিতে সব সিরিজে মােট ৩,০৮২টি প্রাইজবন্ড পুরস্কার পেয়ে থাকে।

    নতুন দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

    দেশে নতুন করে আরও দুটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। এর মধ্যে একটি হবে নওগাঁয় ও আরেকটি ঠাকুরগাঁওয়ে। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হলে দেশে স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫২। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমােদন দেওয়া হয়। দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলত তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে সরকারি (সরকারি মালিকানাধীন), বেসরকারি বেসরকারি মালিকানাধীন) এবং আন্তর্জাতিক (আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক পরিচালিত)।

    ডেন্টাল ইউনিট হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ কলেজ

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ডেন্টাল ইউনিটকে পূর্ণাঙ্গ ‘ডেন্টাল কলেজ’-এ রূপান্তরের জন্য অনুমােদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে পৃথক হচ্ছে চমেকের ডেন্টাল ইউনিট।

    দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স

    কক্সবাজারে হচ্ছে দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। যার নাম হবে শেখ কামাল ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স। ফুটবল, ক্রিকেট ও হকি মাঠের পাশাপাশি কমপ্লেক্সে থাকবে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট প্র্যাকটিস মাঠ। প্রােফেশনাল অ্যাসােসিয়েটস লিমিটেড কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করবে। প্রস্তাবিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অবস্থান কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র ৩,৫০০ ফুট দূরে লাবণী বিচ সড়কে অবস্থিত। এ কমপ্লেক্সে ক্রিকেটে ১৫,০০০, ফুটবলে ১৫,০০০ এবং হকিতে ৮,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম হবে। কমপ্লেক্সে থাকবে গ্যালারি স্থান, ভিআইপি সুবিধা, রেস্তোরা, মিডিয়া, স্টেডিয়াম প্রশাসন, সেবাকক্ষ, স্টোরেজ, টয়লেট। এছাড়া জিমনেশিয়াম ও ইনডাের অনুশীলনে থাকবে প্রধান ইনডাের নেটব্লক, সেবাকক্ষ, টিভি রুম, টয়লেট। একাডেমিতে ডাইনিং, হলরুম, প্রশাসনিক ভবন, কনফারেন্স ভবন, অডিও-ভিজুয়াল কক্ষ ও পার্কিংয়ের জায়গা।

  • পাল সাম্রাজ্যের যে ইতিহাস আপনার জানা প্রয়োজন

    পাল শাসনের প্রতিষ্ঠা, প্রাচীন বাংলা অঞ্চলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। শশাঙ্কের পর প্রাচীন বাংলার শত বছরের রাজনৈতিক শূন্যতা ও অরাজকতাপূর্ণ মাৎস্যন্যায়’ যুগ পেরিয়ে জনজীবনে এক প্রকার স্বস্তি এনেছিল পালশাসন। পাল বংশ আট শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারের শাসনকারী রাজবংশ।

    প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

    ৬৩৭ সালে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় একশত বছর ধরে ঘাের অরাজকতা, অনৈক্য, আত্মকলহ ও বহিঃশত্রুর ক্রমাগত আক্রমণ চলতে থাকে। এ সময় বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ দেখা দেয়। মৎস্য জগতে বড় মাছ যেমন ছােট মাছকে গিলে ফেলে তেমনি শক্তিশালী রাষ্ট্র বা অঞ্চল অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও ছােট রাষ্ট্রকে দখল করে ফেলায় যে অরাজকতার সৃষ্টি হয় তাকে। মাৎস্যন্যায় বলে।

  • মে মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

    মে মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র-আসিয়ান বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলন, ESCAP বৈঠক, Create The World Without Disease, কলকাতায় বঙ্গবন্ধু, মারমা তইংরাংস্বা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

    মে মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

    ১ মেমহান মে দিবস প্রতিপাদ্য— শ্রমিক মালিক একতা, উন্নয়নের নিশ্চয়তা।
    ১ মেবিশ্ব হাসি দিবস (মে মাসের প্রথম রবিবার)। প্রতিপাদ্য— হাসি স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
    ২ মেবিশ্ব টুনা দিবস।
    ৩ মেবিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। প্রতিপাদ্য ডিজিটাল শৃঙ্খলে সংবাদমাধ্যম।
    ৪ মেআন্তর্জাতিক অগ্নিনির্বাপক দিবস।
    ৫ মেআন্তর্জাতিক মিডওয়াইফারি বা ধাত্রী দিবস।
    ৫ মেবিশ্ব পর্তুগিজ ভাষা দিবস।
    ৫ মেবিশ্ব অ্যাজমা দিবস।
    ৫ মেইউরােপ দিবস।
    ৭ মেবিশ্ব অ্যাথলেটিকস দিবস। প্রতিপাদ্য- শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আবেদন ছড়িয়ে দিতে হবে, খেলাধুলায় তাদের আগ্রহী করে গড়ে তােলাও দরকার।
    ৭ মে‘Vesak’, the Day of the Full Moon 
  • এপ্রিল মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

    এপ্রিল মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও ৬৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড , ৯৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২২ নিয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।

    এপ্রিল মাসের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

    ২ এপ্রিলবিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। প্রতিপাদ্য- এমন বিশ্ব গড়ি, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তির প্রতিভা বিকশিত করি।
    ২ এপ্রিলআন্তর্জাতিক শিশু গ্রন্থ দিবস। স্লোগান- একটি বই ছােট বা বড় হতে পারে।
    ৩ এপ্রিলজাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।
    ৪ এপ্রিলInternational Day for Mine Awareness and Assistance in Mine Action
    ৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক ন্যায়পরতা দিবস।
    ৬ এপ্রিলজাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস। প্রতিপাদ্য- সবাই মিলে খেলা করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি।
    ৬ এপ্রিলবিশ্ব টেবিল টেনিস দিবস।
    ৭ এপ্রিলরুয়ান্ডা গণহত্যার স্মরণ দিবস।
    ৭ এপ্রিলবিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিপাদ্য- সুরক্ষিত বিশ্ব নিশ্চিত স্বাস্থ্য।
    ৮ এপ্রিলবাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠা দিবস।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    ৮ এপ্রিলবাংলাদেশ স্কাউটস দিবস (দেশব্যাপী প্রথমবারের মতাে পালিত হয়)। প্রতিপাদ্য- প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
    ১১ এপ্রিলপােষা প্রাণী দিবস।
    ১১ এপ্রিলবিশ্ব পারকিনসন্স দিবস।
    ১২ এপ্রিলমহাকাশে মানুষ যাত্রার আন্তর্জাতিক দিবস।
    ১৪ এপ্রিলবাংলা নববর্ষ।
    ১৪ এপ্রিলWorld Chagas Disease Day
    ১৬ এপ্রিলবিশ্ব কণ্ঠ দিবস।
    ১৭ এপ্রিলমুজিবনগর দিবস।
    ১৭ এপ্রিলবিশ্ব হিমােফিলিয়া দিবস।
    ১৮ এপ্রিলবিশ্ব ঐতিহ্য দিবস। প্রতিপাদ্য- জটিল অতীত, বৈচিত্র্যময় ভবিষ্যৎ।
    ২০ এপ্রিলচীনা ভাষা দিবস।
    ২১ এপ্রিলবিশ্ব সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন দিবস।
    ২২ এপ্রিলবিশ্ব ধরিত্রী দিবস। প্রতিপাদ্য— Invest in Our Planet
    ২৩ এপ্রিলবিশ্ব গ্রন্থ ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস।
    ২৩ এপ্রিলইংরেজি ভাষা দিবস।
    ২৩ এপ্রিলস্প্যানিশ ভাষা দিবস।
    ২৪ এপ্রিলInternational Day of Multilateralism and Diplomacy for Peace
    ২৪ এপ্রিলWorld Day for Laboratory Animals
    ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস।
    ২৫ এপ্রিলInternational Delegate’s Day
    ২৬ এপ্রিলবিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস।
    ২৬ এপ্রিলInternational Chernoby Disaster Remembrance Day
    ২৬ এপ্রিলকমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা দিবস।
    ২৭ এপ্রিলবিশ্ব নকশা দিবস।
    ২৭ এপ্রিলআন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস (এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার)।
    ২৮ এপ্রিলজাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস।
    ২৮ এপ্রিলনিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মক্ষেত্রের জন্য বিশ্ব দিবস।
    ২৮ এপ্রিলInternational Girls in ICT Day (এপ্রিল মাসের চতুর্থ বৃহস্পতিবার)।
    ২৯ এপ্রিলআন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস।
    ৩০ এপ্রিলInternational Jazz Day

    সপ্তাহ

    • ৩১ মার্চ-৬ এপ্রিল : জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২২। প্রতিপাদ্য— ইলিশ আমাদের। জাতীয় মাছ, জাটকা ধরলে সর্বনাশ ।
    • ২৪-৩০ এপ্রিল : বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ।

    ৬৪তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড

    ৩ এপ্রিল ২০২২ যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার লাস ভেগাসের এমজিএম গ্র্যান্ড গার্ডেন এরেনায় প্রদান করা হয় ৬৪তম গ্র্যামি পুরস্কার। ২০২২ সালের উল্লেখযােগ্য বিজয়ী

    • রেকর্ড অব দ্য ইয়ার : লিভ দ্য ডাের ওপেন (সিল্ক সনিক ব্যান্ড)।
    • অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার : উই আর (জন ব্যাটিস্ট)।
    • সং অব দ্য ইয়ার : লিভ দ্য ডাের ওপেন (সিল্ক সনিক ব্যান্ড)।
    • পপ ভােকাল অ্যালবাম : সাওয়ার (অলিভিয়া রড্রিগাে)।
    • রক গান : ওয়েটিং অন অ্যাওয়ার (ফু ফাইটার্স)।
    • রক অ্যালবাম : মেডিসিন অ্যাট মিডনাইট (ফু ফাইটার্স)।
    • গ্লোবাল মিউজিক পারফরম্যান্স : মােহাব্বাত (আরুজ আফতাব)
    • কমেডি অ্যালবাম : সিনসিয়ারলি লুইস সি, কে.
    • চলচ্চিত্রের গানের অ্যালবাম : দ্য ইউনাইটেড স্টেটস।
    • ভার্সেস বিলি হলিডে (আড্রা ডে)।
    • চলচ্চিত্রের গানের গীতিকার-সুরকার : অল আইস অন মি (বাে বার্নহ্যাম, ছবিবাে বার্নহ্যাম : ইনসাইড)।

    প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে সংগীতশিল্পী গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন শিল্পী আরুজ আফতাব। তার গাওয়া সুফি ঘরানার ‘মহব্বত’ গানের জন্য ‘গ্লোবাল পারফরম্যান্স বিভাগে’এ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

    ৯৪তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ২০২২

    বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অস্কার বা অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড। ২৭ মার্চ ২০২২ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয় অস্কারের ৯৪তম আসর। ২০২২ সালের উল্লেখযােগ্য বিজয়ী-

    • চলচ্চিত্র : কোডা।
    • পরিচালক: জেন ক্যাম্পিয়ন (দ্য পাওয়ার অব দ্য ডগ)
    • অভিনেতা: উইল স্মিথ (কিং রিচার্ড)।
    • অভিনেত্রী : জেসিকা চ্যাস্টেইন (দ্য-আইজ অব ট্যামি ফে)।
    • সহ অভিনেতা: ট্রয় কটসুর (কোডা)।
    • সহ অভিনেত্রী : আরিয়ানা দেবােস (ওয়েস্ট সাইড স্টোরি)।
    • অ্যানিমেশন : জেন এনকান্ত।
    • অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম : দ্য উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার
    • আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র (পূর্ণদৈর্ঘ্য) : ড্রাইভ মাই কার।
    • তথ্যচিত্র (পূর্ণদৈর্ঘ্য) : সামার অব সােল
    • তথ্যচিত্র (সংক্ষিপ্ত) : দ্য কুইন অব বাস্কেটবল মৌলিক গান নাে টাইম টু ডাই।
    • মৌলিক চিত্রনাট্য : বেলফাস্ট।
    • আত্মীকৃত চিত্রনাট্য : কোড়া
    • শব্দ গ্রহণ : ডুন।
    • সঙ্গীত: ডুন।
    • ভিজুয়াল এফেক্ট : ডুন।
    • সম্পাদনা : ডুন।

    অস্কারজয়ী তৃতীয় নারী পরিচালক নিউজিল্যান্ডের জেন ক্যাম্পিয়ন। ২০১০ সালে প্রথম অস্কারজয়ী নারী পরিচালক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথরিন বিগেলাে; চলচ্চিত্র। The Hurt Locker। ২০২১ সালে দ্বিতীয় নারী হিসেবে অস্কার জয় করেন চীনের ক্লো ঝাও; চলচ্চিত্র Nomadland।

    অস্কারজয়ী প্রথম বধির অভিনেতা যুক্তরাষ্ট্রের ট্রয় কটসুর। অস্কারজয়ী প্রথম। বধির শিল্পী মার্লি ম্যাটলিন, তিনি ছিলেন একজন অভিনেত্রী। ১৯৮৭ সালে। Children of a Lesser God ছবিতে অভিনয়ের জন্য জিতেন অস্কার।

    ২৮ বছর পর জেন ক্যাম্পিয়ন দ্বিতীয় অস্কার জয় করেন। ১৯৯৪ সালে The Piano চলচ্চিত্রের জন্য সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য পুরস্কার লাভ করেন।

  • সেন সাম্রাজ্য : প্রাচীন যুগের সমাপ্তি

    ইতিহাসের পথ পরিক্রমায় বহুল আলােচিত, প্রাচীন যুগের সর্বশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ শাসনকাল হচ্ছে সেন রাজাদের শাসন। বাংলায় সেন শাসনের বিশেষ তাৎপর্য হলাে, সেনগণই সর্বপ্রথম বাংলার শাসন ক্ষমতা দখল করে সমগ্র বাংলার ওপর তাদের নিরঙ্কুশ শাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।

    ক্ষমতা গ্রহণ

    পাল বংশের পর বাংলায় সেন বংশের রাজত্ব শুরু হয়। সেনদের আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে। সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেনের পিতা বীর সেন। মূলত কর্ণাটক থেকে গৌড় রাজ্যে এসেছিলেন ভাগ্যান্বেষণে। বাংলা তখন পাল রাজাদের অধীনে। রামপাল, কুমারপাল প্রমুখ রাজাগণের শাসনকাল থেকে পাল সাম্রাজ্যে বিভিন্ন দুর্বলতা দেখা দেয়। ফলে শাসনকার্যের সুবিধার্থে পাল রাজারা বিদেশি কর্মচারীদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজে নিয়ােগ করতেন। এভাবে সেন বংশীয় লােকেরা প্রথমে পাল রাজাদের অধীনে উচ্চপদে কাজ করতেন।

  • পদ্মা বহুমুখী সেতু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    পদ্মা বহুমুখী সেতু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে জুনেই। উদ্বোধনের তারিখ ২৫ জুন ২০২২। তো চলুন পদ্মা সেতু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পড়ে নেয়া যাক-

    পদ্মা বহুমুখী সেতু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পের নাম—
    উত্তর : পদ্মা বহুমুখী সেতু।

    এই বিভাগের আরো পোস্ট :

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য—
    উত্তর : ৬.১৫ কিলােমিটার।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর প্রস্থ—
    উত্তর : ২২ মিটার।

    প্রশ্ন : পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা—
    উত্তর : ৬০ ফুট (প্রায় ১৮ মিটার)।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর মােট পিলারের সংখ্যা—
    উত্তর : ৪২টি।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পিলারের নিচে ষ্টিলের পাইল বসানাে হয়েছে—
    উত্তর : ১২২ মিটার গভীর।

    https://youtube.com/watch?v=4od_QGSDva4%3Ffeature%3Doembed

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানাে ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম—
    উত্তর : সর্বোচ্চ ১২২ মিটার।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পাইল-সংক্রান্ত সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ প্রদান করে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান—
    উত্তর : COWI।

    প্রশ্ন : প্রতিটি পিলারের জন্য পাইলিং করা হয়েছে—
    উত্তর : ছয়টি (মাটি নরম হওয়ায় ২২টি পিলারের পাইলসংখ্যা সাতটি করে)।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর পিলারের পাইল বসানাের জন্য হাইড্রোলিক হাতুড়ি (হ্যামার) নিয়ে আসা হয়েছিল যে দেশ থেকে—
    উত্তর : জার্মানি (সবচেয়ে বড় হ্যামারটির ক্ষমতা তিন হাজার কিলােজুল)।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুতে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যান বসানাে হয়েছে—
    উত্তর : ৪১টি।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর স্প্যান তৈরি হয়েছে চীনের হুবেই প্রদেশের—
    উত্তর : শিংহুয়াংড়াও শহরে।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুতে স্প্যান বসানাের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন—
    উত্তর : তিয়ান-ই (ক্রেনটির ধারণক্ষমতা ৩ হাজার ৬০০ টন আর স্প্যানের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন)।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের (মাওয়া-জাজিরা) সংযােগ সড়কের দৈর্ঘ্য—
    উত্তর : ১৪ কিলােমিটার।

    প্রশ্ন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন—
    উত্তর : ১২ ডিসেম্বর ২০১৫।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসনের কাজ শুরু হয়—
    উত্তর : ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসনের কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের সিনােহাইড্রো করপােরেশনের সঙ্গে চুক্তি হয়—
    উত্তর : ৮ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার (১১০ কোটি মার্কিন ডলার)।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে নদীশাসন করা হয়েছে—
    উত্তর : ১২ কিলােমিটার।

    প্রশ্ন : বিশ্বের প্রথম সেতু হিসেবে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে—
    উত্তর : কংক্রিট ও ষ্টিল দিয়ে।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে রয়েছে—
    উত্তর : মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা।

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতুর নকশা তৈরি করেছে আমেরিকান কোম্পানি—
    উত্তর : Maunsell Ltd. AECOM NZL Architecture, Engineering, Consulting, Operations and Maintenance (AECOM)

    প্রশ্ন : পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের প্রধান—
    উত্তর : এম শামীম জেড বসুনিয়া।